Tag: war

war

  • Hamas Israel War: গাজার সুড়ঙ্গে মিলল বিদেশি অস্ত্র, আত্মঘাতী বিস্ফোরক বেল্ট, ছবি দিয়ে জানাল ইজরায়েল

    Hamas Israel War: গাজার সুড়ঙ্গে মিলল বিদেশি অস্ত্র, আত্মঘাতী বিস্ফোরক বেল্ট, ছবি দিয়ে জানাল ইজরায়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের (Hamas Israel War) মাসপূর্তি হয়েছে মঙ্গলবারই। এদিনই প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপে ইসলামি জঙ্গি সংগঠন হামাসের ডেরা থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র প্রদর্শন করল ইজরায়েল। ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলকে ফাঁদে ফেলতে উত্তর গাজায় প্রচুর সুড়ঙ্গ খুঁড়ে রেখেছিল হামাস। মাটির প্রায় ৮০ মিটার গভীরে সরু সুড়ঙ্গপথ। সেথানেই থরে থরে মজুত করেছিল ভিন দেশ থেকে আমদানি কার অস্ত্রশস্ত্র।

    গাজার সুড়ঙ্গে অস্ত্রসম্ভার

    এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার তৈরি হ্যান্ড গ্রেনেড আরপিজি-৭, চিনা একে সিরিজের স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। ইরানে তৈরি স্বল্পপাল্লার রকেটের পাশাপাশি মজুত করা হয়েছিল প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরকও। বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে ইজরায়েলি সেনার তরফে হামাসের ডেরায় উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের তালিকার পাশাপাশি ছবি এবং ভিডিও-ও প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে হাজার দেড়েক হ্যান্ড গ্রেনেড, ৭৬০টি আরপিজি, আত্মঘাতী হামলা চালানোর জন্য বানানো ৪২৭টি বিস্ফোরক ভরা বেল্ট, ৩৭৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১০৬টি রকেট।

    সুড়ঙ্গ থেকে টেনে বের করে মারব

    ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে (Hamas Israel War), গাজা শহরের প্রাণকেন্দ্রে ঢুকে পড়েছে তারা। চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে শুরু হয়েছে বোমাবর্ষণ। হামাসদের সুড়ঙ্গেও ঢুকে পড়েছে তারা। এই সব সঙ্কীর্ণ সুড়ঙ্গগুলির কোনও কোনওটা লম্বায় ৪০-৪১ কিলোমিটার। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, সুড়ঙ্গ থেকে টেনে বের করে এনে মারা হবে হামাসদের। এর আগে ফোমের মতো এক ধরনের বোমা দিয়ে সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইজরায়েল। পরে ঠিক হয়, হামাসদের নির্মূল করা হবে। তারা যাতে সুড়ঙ্গ পথে পালাতে না পারে, তাই ঘিরে ফেলা হয়েছে গাজা স্ট্রিপ। সুড়ঙ্গেও ঢুকে পড়েছে ইজরায়েলি সেনা। তারা জানিয়েছে, এই সুড়ঙ্গে ঢুকে হামাস কমান্ডারদের খুঁজে খুঁজে নিকেশ করা হবে। তাদের দাবি, এই সুড়ঙ্গেই লুকিয়ে রয়েছে হামাসের চাঁইরা।

    গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় হামাস। নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ইহুদিদের। এর পরেই পাল্টা আঘাত হানার সিদ্ধান্ত নেয় ইজরায়েল। তার পর থেকে চলছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ইতিমধ্যেই দু’ তরফে যুদ্ধের বলি হয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ (Hamas Israel War)।

    আরও পড়ুুন: জন্মনিয়ন্ত্রণ-নারীশিক্ষা নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য, ক্ষমা চাইলেন নীতীশ কুমার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hamas Israel War: বিপুল কর্মসংস্থান! প্যালেস্তিনীয়দের ছাঁটাই করে ১ লক্ষ ভারতীয়কে নেবে ইজরায়েল সরকার?

    Hamas Israel War: বিপুল কর্মসংস্থান! প্যালেস্তিনীয়দের ছাঁটাই করে ১ লক্ষ ভারতীয়কে নেবে ইজরায়েল সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, ‘কারও পৌষ মাস, তো কারও সর্বনাশ’! ক্যালেন্ডারে কার্তিক মাস হলেও, আক্ষরিক অর্থে ভারতীয় নির্মাণ শ্রমিকদের পৌষ মাস হতে চলেছে। বিষয়টি তাহলে খুলেই বলা যাক। আজ, মঙ্গলবারই হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের (Hamas Israel War) মাসপূর্তি হয়েছে।

    যুদ্ধবিরতি নয়

    এদিনই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়ে দিয়েছেন, গাজা স্ট্রিপে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে সাময়িক যুদ্ধ বন্ধ করা যেতে পারে, তবে যুদ্ধবিরতি নয়। এর পর বেলা গড়ালে জানা যায়, হাতে মারার পাশাপাশি এবার প্যালেস্তাইনের নাগরিকদের ভাতে মারতে চায় ইজরায়েল। সে দেশের বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প ও শিল্পক্ষেত্রে ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে প্যালেস্তিনীয় নাগরিকদের ছাঁটাই করতে চায় ইজরায়েল সরকার। তার পরিবর্তে তারা সুযোগ দেবে ভারতীয়দের। প্রত্যাশিতভাবেই এটি ভারতীয় নির্মাণ শ্রমিকদের কাছে একটা বড় সুযোগ।

    বড় সুযোগ ভারতীয়দের 

    এক মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে দিন (Hamas Israel War) কয়েক আগেই ইজরায়েল বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হাইম ফেইগলিন জানিয়েছিলেন, তাঁদের দেশের নির্মাণ শিল্পে কর্মরত ৯০ হাজারেরও বেশি প্যালেস্তিনীয়কে ছাঁটাই করা হবে। তার বদলে সুযোগ দেওয়া হবে এক লক্ষ ভারতীয়কে। সোমবার এ বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ওই অ্যাসোসিয়েশন। এদিন ফেইগলিন বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করছি। ইজরায়েল সরকারের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছি। তবে আমরা আশাবাদী, ভারত থেকে ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ শ্রমিক এনে এই সেক্টরকে সচল রাখতে পারব।”

    আরও পড়ুুন: মমতার বিদেশ সফরের খরচ জানতে আরটিআই, জবাব না পেয়ে আদালতের পথে শুভেন্দু!

    ৭ অক্টোবর ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর আচমকাই হামলা চালায় ইসলামি রাষ্ট্র প্যালেস্তাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। গাজা স্ট্রিপ থেকে তারা প্রথমে আক্রমণ করে ইজরায়েলকে। পরে প্রত্যাঘাত করে তেল আভিভ। গত এক মাস ধরে চলছে সেই যুদ্ধ। ইতিমধ্যেই দু’ পক্ষের অন্তত ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার গাজা স্ট্রিপে এয়ার স্ট্রাইক চালায় ইজরায়েলি সেনা। তাতে জঙ্গিদের সাড়ে চারশোটি ডেরা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি তাদের। হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের জেরে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে গাজায়। গাজার সাধারণ মানুষকে শহরের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সেনা (Hamas Israel War)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hamas Israel War: “যুদ্ধ থামানোর কোনও প্রশ্নই নেই”, যুদ্ধের মাসপূর্তিতে সাফ জানালেন নেতানিয়াহু

    Hamas Israel War: “যুদ্ধ থামানোর কোনও প্রশ্নই নেই”, যুদ্ধের মাসপূর্তিতে সাফ জানালেন নেতানিয়াহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যুদ্ধ (Hamas Israel War) থামানোর কোনও প্রশ্নই নেই। আমরা সে কথা ভাবছিও না। তবে ত্রাণ ও অন্যান্য প্রয়োজনে সাময়িকভাবে মাঝেমধ্যে যুদ্ধ থামাতে আপত্তি নেই ইজরায়েলের।” সাফ জানিয়ে দিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও যে মাথা নত করবে না তেল আভিভ, নেতানিয়াহুর কথায়ই তা স্পষ্ট।

    ‘যুদ্ধবিরতি নয়’

    সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ত্রাণ ইত্যাদি বিশেষ প্রয়োজনে সাময়িকভাবে আমরা যুদ্ধ আগেও থামিয়েছি, ভবিষ্যতেও থামাব। ত্রাণসামগ্রী পাঠানো, আমাদের পণবন্দিদের উদ্ধার করে দেশে ফেরানোর জন্য কোথাও এক ঘণ্টা, কোথাও দু’ ঘণ্টার বিরতিতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু সাধারণভাবে যুদ্ধবিরতি এখনই হচ্ছে না।” ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত কোনও যুদ্ধবিরতি নয়।”

    হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের মাসপূর্তি 

    আজ, মঙ্গলবারই একমাস পূর্ণ হল হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের। তার পরেও বিরতি নেই গোলাগুলি বর্ষণে। ৭ অক্টোবর প্রথম ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে হামালা চালায় ইসলামি রাষ্ট্র প্যালেস্তাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। গাজা স্ট্রিপ থেকে হামলা চালায় তারা। প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইজরায়েল। যার জেরে ইতিমধ্যেই দু’ পক্ষে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ হাজার। ইজরায়েল ও গাজা (Hamas Israel War) স্ট্রিপের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে স্বজন হারানোর কান্নায়। খাবার এবং প্রয়োজনীয় ত্রাণ না পেয়ে অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছেন গাজা স্ট্রিপের বাসিন্দারা।

    হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সোমবার মানবিক কারণে গাজায় যুদ্ধের ‘কৌশলগত বিরতি’ ও অপহৃতদের মুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা এই লড়াইয়ে অস্থায়ী ও স্থানীয়ভাবে বিরতির জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখব।”

    আরও পড়ুুন: “এই রাজভবন জনতার হয়ে উঠেছে”, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সুকান্ত

    এদিকে, হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের (Hamas Israel War) মাসপূর্তিতে গাজা স্ট্রিপে হামলার তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে ইজরায়েলি সেনা। গাজার আল সাতি শরণার্থী শিবিরে এয়ার স্ট্রাইক চালায় তারা। এতে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এর মধ্যে রয়েছে জঙ্গি জামাল মুসাও। ইজরায়েলি সেনার দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় হামাসের সাড়ে চারশোরও বেশি ঠিকানা ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে। আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, “আমাদের সেনা গাজা স্ট্রিপকে দুই অংশে ভাগ করে দিয়েছে। আপাতত সেনা ট্যাঙ্ক নিয়ে জঙ্গিদের ঠিকানাগুলি ধ্বংস করছে। সাধারণ মানুষকে সাউথ গাজায় চলে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ, পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে মোদিকে ফোন সুনকের

    Israel Hamas War: হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ, পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে মোদিকে ফোন সুনকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসখানেক হতে চলল যুদ্ধ চলছে হামাস ও ইজরায়েলের (Israel Hamas War) মধ্যে। নিত্য ঘটছে প্রাণহানি। পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে রাষ্ট্রনেতারা। এমতাবস্থায় হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ নিয়ে বার্তালাপ হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের। ৭ অক্টোবর প্রথমে হামাস আঘাত হানে ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর। প্রত্যাঘাত করে তেল আভিভ। তার পর থেকে আজও অব্যাহত যুদ্ধ।

    মোদি-সুনক কথা 

    এহেন পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরে সুনক কথা বলছেন বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে। শুক্রবার বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটের তরফে জানানো হয়েছে, ইজরায়েলের ওপর যেভাবে হামাস হামলা (Israel Hamas War) চালিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে মোদি ও সুনকের মধ্যে। ওই পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়া যে জরুরি, তা নিয়েও হয়েছে আলোচনা। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায় এটা স্পষ্ট যে, হামাস কোনওভাবেই প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধি নয়। ইজরায়েলের হামালায় গাজা স্ট্রিপে যে বহু নিরীহ মানুষ বিপন্ন হয়ে পড়েছেন, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এঁদের যাতে সাহায্য করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। এর পাশাপাশি সুনকের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য নিয়েও কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কিছু চুক্তির বিষয়েও কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্র প্রধানের।

    সন্ত্রাসবাদ নিয়ে উদ্বেগ

    এদিকে, হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগে মোদিও। গত কয়েক দিন ধরে তিনিও পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন ইজরায়েল, জর্ডন , মিশর ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রধানদের সঙ্গে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ, যুদ্ধে সাধারণ মানুষের জীবনহানি এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি (Israel Hamas War) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধানই। তাঁরা দুজনেই আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব এবং মানবিক সাহায্যের বিষয়ে সহমত পোষণ করেছেন।

    আরও পড়ুুন: “আরও পাঁচ বছর ৮০ কোটিরও বেশি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন”, প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “গতকাল সন্ধেয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়েও মত বিনিময় হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের কোনও জায়গা নেই বলেই আমরা সহমত পোষণ করেছি।” তিনি লিখেছেন, “সাধারণ মানুষের মৃত্যু উদ্বেগের। আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব এবং মানবিক সাহায্যের বিষয়ে কাজ করা প্রয়োজন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: গাজা স্ট্রিপজুড়ে সুড়ঙ্গ জাল, হামাসকে রুখতে স্পঞ্জ বোমা বানাচ্ছে ইজরায়েল!

    Israel Hamas War: গাজা স্ট্রিপজুড়ে সুড়ঙ্গ জাল, হামাসকে রুখতে স্পঞ্জ বোমা বানাচ্ছে ইজরায়েল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলকে ঘায়েল করতে গাজা স্ট্রিপজুড়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়েছে প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস (Israel Hamas War)। সেই সুড়ঙ্গ-জাল ধরেই ইজরায়েলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হামাসের নৃশংস জঙ্গিরা। হামাসের তৈরি এই সুড়ঙ্গ জালই এবার ছিঁড়ে ফেলতে চাইছে ইজরায়েল। তেল আভিভের মতে, হামাসের তৈরি এই সুড়ঙ্গ জাল অবরুদ্ধ করতে পারলেই কেল্লাফতে। সেই কারণেই এবার গাজার সুড়ঙ্গে স্পঞ্জ বোমা নিক্ষেপ করতে চলেছে ইজরায়েল। বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জোরকদমে স্পঞ্জ বোমা তৈরি করতে শুরু করেছে ইজরায়েল।

    স্পঞ্জ বোমা কী?

    প্রশ্ন হল, স্পঞ্জ বোমা কী? স্পঞ্জ বোমা দেখতে খানিকটা ফেনার মতো। প্রাথমিকভাবে মনে হতে পারে এটি কোনও রাসায়নিকের ফেনা। কিন্তু নিক্ষিপ্ত হওয়ার পরেই ফেনা পরিণত হয় কঠিন পদার্থে। আসলে দুটি তরল দিয়ে তৈরি এই ফেনা। রাখা থাকে একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটের মধ্যে। লোহার প্রতিবন্ধক দিয়ে প্যাকেটের মধ্যে আলাদা করে রাখা হয় তরল দুটি। নিক্ষিপ্ত হওয়ার পর ঘটে বিস্ফোরণ। তখনই প্লাস্টিকের প্যাকেট ছিন্ন করে মিশে যায় তরল দুটি। তৈরি হয় ফোম। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই ফোম। বাতাসের সংস্পর্শে এসে জমাটও বাঁধতে থাকে দ্রুত। তার জেরে বন্ধ হয়ে যায় সুড়ঙ্গ কিংবা গুহামুখ।

    রাসায়নিক গ্রেনেডের পরীক্ষা

    গাজা স্ট্রিপে হামাসের (Israel Hamas War) তৈরি সুড়ঙ্গের মুখ এই স্পঞ্জ বোমা দিয়েই অবরুদ্ধ করে দিতে চাইছে ইজরায়েল। সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ করতে রাসায়নিক গ্রেনেডের পরীক্ষাও করছে ইজরায়েল। এই জাতীয় গ্রেনেডে কোনও বিস্ফোরক নেই। তবে সুড়ঙ্গ কিংবা গুহামুখ বন্ধ করতে ব্যবহার করা হয় এই ধরনের বোমা। বছর দুই আগেও গাজা স্ট্রিপ সীমান্তে থাকা কিছু সুড়ঙ্গমুখ বন্ধ করতে পরীক্ষামূলকভাবে এই জাতীয় গ্রেনেড ব্যবহার করেছিল ইজরায়েল।

    আরও পড়ুুন: আগেই ইডিকে তোপ! পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে বালুকে দেখে কি আতঙ্কিত সুজিত?

    ইজরায়েলকে পরাস্ত করতে নয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে গাজায় এই সুড়ঙ্গ তৈরির ছক কষে হামাস। ২০০৫ সালে যখন ইজরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় এবং তার পরের বছর নির্বাচনে জয়ী হয় হামাস, তার পরেই শুরু হয় সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ। এই সুড়ঙ্গগুলিতে রয়েছে বাঙ্কার, স্টোরেজ এবং নানা ধরনের ফাঁদ। সূত্রের খবর, কয়েকশো কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে এই সুড়ঙ্গ (Israel Hamas War)। গভীরতা ৮০ মিটারের কাছাকাছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Israel Hamas War: উল্লেখ নেই হামাসের, রাষ্ট্রসংঘে ভোটদানে বিরত ভারত, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব খারিজ ইজরায়েলেরও

    Israel Hamas War: উল্লেখ নেই হামাসের, রাষ্ট্রসংঘে ভোটদানে বিরত ভারত, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব খারিজ ইজরায়েলেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে গাজা সংক্রান্ত (Israel Hamas War) প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত রইল ভারত। এই প্রস্তাবে হামাসের উল্লেখ ছিল না। কূটনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, সেই কারণেই ভোটদানে বিরত রইল নয়াদিল্লি। তবে রাষ্ট্রসংঘের ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১২০টি দেশের প্রতিনিধিরা ভোট দেওয়ায় সাধারণ সভায় পাশ হয়ে গিয়েছে প্রস্তাবটি। ঘটনাটিকে ‘মানবতার কালো অধ্যায়’ বলে অভিহিত করেছে ইজরায়েল।

    ইজরায়েলে হামলা হামাসের

    ২৪ দিন আগে ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলে হামালা চালায় মুসলমানদের দেশ প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। হামাসের নৃশংস আক্রমণে অকালে প্রাণ হারিয়েছেন ইজরায়েলের বহু মানুষ। তার পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইজরায়েল। গাজা স্ট্রিপের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে আঘাত হানে তেল আভিভ। জঙ্গিদের উচিত শিক্ষা দিতে গাজা স্ট্রিপ সীমান্তে অবরোধ করে ইজরায়েল। তার জেরে ওষুধ থেকে শুরু করে অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সেখানে পাঠানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় প্রস্তাবটি আনে জর্ডন। প্রস্তাবে হামাসের উল্লেখ না থাকায় ভারত ভোটদানের বিরত ছিল বলে ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের। কেবল ভারত নয়, এই প্রস্তাবে ভোট দেয়নি ইংল্যান্ড, ইউক্রেন, কানাডা এবং জাপানের মতো ৪৫টি দেশও।

    কানাডার প্রস্তাব

    প্রস্তাব পেশের সময় কানাডা জানায়, প্রস্তাবের একটি অংশে হামাসের হামলার নিন্দা করা হোক। এর পক্ষে মত দেয় ভারত সহ ৮৭টি দেশ। রাষ্ট্রসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, দুই তৃতীয়াংশ সদস্য পক্ষে না থাকলে সংশোধনী প্রস্তাব গৃহীত হয় না। এ ক্ষেত্রে সংশোধনী ছাড়াই পেশ হয় প্রস্তাবটি। এদিকে, রাষ্ট্রসংঘের যুদ্ধ বিরতির (Israel Hamas War) প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল ইজরায়েল। তাদের দাবি, ইজরায়েল হামাসকে বিশ্ব থেকে মুছে ফেলতে চায়, যেমনভাবে নাৎসী এবং আইসিসকে খতম করা হয়েছিল।

    শুক্রবার ইউএনএর তরফে যুদ্ধ বিরতির পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক্স হ্যান্ডেল থেকে রাষ্ট্রসংঘের এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। রাষ্ট্রসংঘে ইজরায়েলের পক্ষ থেকে স্থায়ী সদস্য জানান, এই সভায় সত্যের কোনও গুরুত্ব নেই। আজকের অধিকাংশ সম্প্রদায়ই দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা আইন মেনে চলা ইজরায়েলকে নয়, বরং নাৎসী বাহিনীর সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করছে। যারা সত্যিকারের হিংসা রুখতে আগ্রহী তারা যেন এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন না জানায়। তিনি জানান, ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য হামাসকে (Israel Hamas War) নির্মূল করা হবে।

    আরও পড়ুুন: সময় দেওয়া হল মহুয়াকে, তবে ২ নভেম্বর হাজিরার চিঠি ধরাল এথিক্স কমিটি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Israel Hamas war: ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে লেবাননও, চিন্তায় ভারত, কেন জানেন?

    Israel Hamas war: ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে লেবাননও, চিন্তায় ভারত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ (Israel Hamas war)। এই যুদ্ধের সূচনা করেছিল প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ডের হামাসরা। ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলকে শিক্ষা দিতেই হামলা চালায় মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। এই যুদ্ধে ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। হামাসের হাতে পণবন্দি ২০০ জন ইজরায়েলি নাগরিক।

    হামাসকে সঙ্গত লেবাননের হেজবুল্লার

    এমতাবস্থায় হামাসের পাশে দাঁড়িয়েছে মুসলমানের দেশ সিরিয়া ও লেবাননও। হামাসকে সঙ্গত দিচ্ছে লেবাননের হেজবুল্লা নামে এক জঙ্গি সংগঠন। প্রত্যাশিতভাবেই হামাসের পাশাপাশি সিরিয়া ও হেজবুল্লা-বধে নেমেছে ইজরায়েল। এতেই চিন্তা বাড়ছে ভারতের। কারণ এই মুহূর্তে ইজরায়েল-লেবানন সীমান্তে মোতায়েন রয়েছেন ৯০০ ভারতীয় জওয়ান।

    ব্লু লাইনে’ মোতায়েন ভারতীয় সেনা

    এই জওয়ানরা রাষ্ট্রসংঘের অন্তর্বর্তী বাহিনীর সদস্য হিসেবে ইজরায়েল-লেবানন (Israel Hamas war) সীমান্ত এলাকায় ‘ব্লু লাইনে’ মোতায়েন রয়েছেন। ইজরায়েল-সিরিয়া সীমান্ত এলাকায়ও রাষ্ট্রসংঘের অন্তর্বর্তী বাহিনীর সদস্য হিসেবে মোতায়েন রয়েছেন ২০০ ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনা মোতায়েনের প্রধান উদ্দেশ্যই হল ইজরায়েল ও লেবাননের মধ্যে শান্তি বজায় রাখা। বর্তমানে এই অঞ্চলে বিশ্বের ৪৮টি দেশের ১০ হাজারেরও বেশি শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এই ৪৮টি দেশের মধ্যে রয়েছে ভারতও।

    আরও পড়ুুন: মিসাইল হামলায় উড়ল গাজার হাসপাতাল, হত অন্তত ৫০০, কাঠগড়ায় প্যালেস্তাইন

    সিরিয়া এবং লেবানন ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় চিন্তা বাড়ছে ভারতের। কারণ সীমান্তে টহলদারি চালাতে গিয়ে হামলার মুখোমুখি হতে হতে পারে ভারতীয় সেনাকে। তাই বোমাবর্ষণের ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রতিরক্ষামন্ত্রকের।

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে (Israel Hamas war) ইজরায়েলের পক্ষ নিয়েছে ভারত। স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় সেনা লক্ষ্য হতে পারে সিরিয়া এবং লেবাননের জঙ্গিদের। বিশেষত সেই কারণেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে ইরানও। কারণ ইরান ইতিমধ্যেই হুমকি দিয়েছে, প্যালেস্তাইনে যা হচ্ছে, তার দায় নিতে হবে ইজরায়েলকে। আমেরিকা ইজরায়েলের পাশে থাকলেও, গাজায় স্থলে পথে হামলার চিন্তা ইজরায়েলকে ছাড়তে হবে বলেও সতর্ক করেছে বাইডেন প্রশাসন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Israel Hamas War: মিসাইল হামলায় উড়ল গাজার হাসপাতাল, হত অন্তত ৫০০, কাঠগড়ায় প্যালেস্তাইন

    Israel Hamas War: মিসাইল হামলায় উড়ল গাজার হাসপাতাল, হত অন্তত ৫০০, কাঠগড়ায় প্যালেস্তাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিসাইলের হামলায় উড়ে গেল আস্ত একটা হাসপাতাল। চোখের পলকে অকালে প্রয়াত হলেন অন্তত পাঁচশো জন মানুষ। সুস্থ হতে কিংবা রোগীর আত্মীয়-পরিজন হিসেবে যাঁরা এসেছিলেন হাসপাতালে। যুদ্ধের সঙ্গে যাঁদের পরোক্ষভাবেও কোনও সম্পর্কই নেই। গাজার (Israel Hamas War) স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এ খবর জানানো হয়েছে। হামাসের অভিযোগ, ইজরায়েলের ছোড়া মিসাইলেই ভেঙে পড়েছে আস্ত হাসপাতালটি।

    অভিযোগ অস্বীকার ইজরায়েলের

    যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ। তাদের দাবি, প্যালেস্তাইনের ছোড়া রকেটের আঘাতেই এই বিপর্যয়। এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই খুলে গেল অপপ্রচারের মুখোশ। ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে ইজরায়েল জানায়, গাজার হাসপাতালে যে রকেট আছড়ে পড়ে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে, তা হামাসের ছোড়া। মিসফায়ার করে ওই রকেট হাসপাতালে গিয়ে পড়ে। দোষ চাপানোর চেষ্টা হয় ইজরায়েলের ওপর।  

    হামাস-ইজরায়েলের যুদ্ধ

    দিন দশেকেরও বেশি সময় ধরে চলছে হামাস-ইজরায়েলের যুদ্ধ (Israel Hamas War)। ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলকে শিক্ষা দিতে হামলা চালায় মুসলমানের দেশ প্যালেস্তাইন। এই প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গি হামাসরাই প্রথম হামলা চালায়। প্রতিরোধ গড়ে তোলে তেল আভিভ। তার জেরে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

    ইজরায়েল-হামাসের এই সংঘর্ষ থেকে গাজার আল আহলি হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন শতাধিক সাধারণ মানুষ। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কিছু রোগীও। তাঁদের দেখতে এসেছিলেন তাঁদের পরিজনেরা। আচমকাই আছড়ে পড়ে একটি মিসাইল। ভেঙে পড়ে হাসপাতালের একটি বড় অংশ। দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। গাজা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, মিসাইলের ঘায়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৫০০ জনের। এর পরেই শুরু হয়েছে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের (Israel Hamas War) মধ্যে দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের পালা। ইজরায়েলের দাবি, যে সময় হাসপাতালটি ভেঙে পড়ে, সেই সময় প্যালেস্তাইনের জিহাদি সংগঠন রকেট হামলা চালিয়েছিল। কোনও একটি রকেটের উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়। সেটিই আছড়ে পড়ে গাজার ওই হাসপাতালের ওপর।

    রয়েল ডিফেন্স ফোর্সের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “একাধিক গোয়েন্দা সূত্রে খবর, হাসপাতালে রকেট হামলার জন্য ইসলামিক জিহাদ জঙ্গি সংগঠনই দায়ী। আইডিএফের অপারেশনাল সিস্টেমের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, একগুচ্ছ রকেট ইজরায়েল লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল। তা ওই হাসপাতালের ওপর দিয়েই গিয়েছিল। কোনও একটি রকেট আছড়ে পড়েই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।” আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, “বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা জেনেছি, ইসলামিক জিহাদির এজন্য দায়ি। রকেট হামলা ব্যর্থ হওয়ায়ই ঘটেছে এই বিপর্যয়।”

    আরও পড়ুুন: “গ্রিন প্ল্যানেটের জন্য ব্লু ইকনমিকের দিকে যাচ্ছি”, মেরিটাইম সামিটে বললেন মোদি

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

     

  • Hamas Israel War: ইজরায়েলের হানায় হত নুখবার শীর্ষ কমান্ডার, এবার হামাসের ঘরে ঢুকে জঙ্গি নিধন!  

    Hamas Israel War: ইজরায়েলের হানায় হত নুখবার শীর্ষ কমান্ডার, এবার হামাসের ঘরে ঢুকে জঙ্গি নিধন!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলি বায়ুসেনার হামলায় হত হামাসের (Hamas Israel War) এলিট বাহিনী নুখবার শীর্ষ কমান্ডার। মৃতের নাম বিলাল আল কেদরা। শনিবার রাতে গাজা ভূখণ্ডে থাকা হামাসের ডেরাগুলিতে লাগাতার বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল। তেল আভিভের দাবি, সেই হানায়ই মৃত্যু হয়েছে নুখবার শীর্ষ কমান্ডারের। কেবল কেদরা নয়, ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছে আরও কয়েকজন জঙ্গির।

    গাজা সীমান্তে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

    এদিকে, এদিনই সেনার সঙ্গে গাজা সীমান্তে এসেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সব দিক থেকে সেনাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, নুখবা বাহিনীর কমান্ডার দক্ষিণ ইজরায়েলের কিবুৎজ নিরিম ও নির ওজে হামলার দায়িত্বে ছিল। মুসলমানদের দেশ প্যালেস্তাইনের হামাস অধিকৃত গাজা ভূখণ্ডের বাসিন্দাদের শনিবারের মধ্যে শহর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বলা হয়েছিল ইজরায়েলের তরফে। এর পর প্রচুর মানুষ গাজা ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। এর পরেই গাজায় ঘরে ঢুকে হামাস জঙ্গিদের খতম করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স।

    সীমান্তে ১০ হাজার সেনা

    জানা (Hamas Israel War) গিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত শহর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল, তা ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই এবার সেখানে স্থল, জল এবং আকাশ – তিন পথেই হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স। ইজরায়েলের (Hamas Israel War) এই বাহিনীর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চারদিক থেকে গাজায় হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গাজা সীমান্তে ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। জড়ো করা হয়েছে ট্যাঙ্ক। নির্দেশ পেলেই হামাস ধ্বংস-যজ্ঞে নামবে ইজরায়েলি বাহিনী।

    আরও পড়ুুন: অপারেশন অজয়, চতুর্থ দফায় ইজরায়েল থেকে ফিরলেন ২৭৪ জন ভারতীয়

    ইজরায়েলের তরফে জারি করা বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, হামাস তাদের শক্তি দেখাচ্ছে। এ বার ইজরায়েল দেখাবে তাদের ক্ষমতা। এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও ঠাঁই নেই। তাই হামাসকে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার কাজ শুরু হবে দ্রুত। হামাসকে দুরমুশ করতে ইজরায়েলের (Hamas Israel War) পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। তারা আগেই একটি যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়ে দিয়েছিল। দ্বিতীয় রণতরীটিও পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পাঠানোর তোড়জোড় করছে জো বাইডেনের দেশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hamas Israel War: ইজরায়েলের পাশাপাশি প্যালেস্তাইনেও ফোন বাইডেনের, কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

    Hamas Israel War: ইজরায়েলের পাশাপাশি প্যালেস্তাইনেও ফোন বাইডেনের, কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে হামাস-ইজরায়েলের যুদ্ধ (Hamas Israel War)। এখনও বাতাসে গোলা-বারুদের গন্ধ। যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে মৃতদেহ। কোথাও শিশুর লাশ, তো কোথাও মায়ের, কোথাও আবার বাবা-ছেলের দেহ পড়ে রয়েছে পাশাপাশি। গত শনিবার ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায় মুসলমানের দেশ প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। এই যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ায় আমেরিকা।

    প্যালেস্তাইনে ফোন বাইডেনের 

    তবে বাইডেন প্রশাসন যে প্যালেস্তাইনের নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়েও চিন্তিত, তাও হয়ে গেল স্পষ্ট। শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ড জো বাইডেন ফোন করেন প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে। হামাসের দখলে থাকা গাজা ভূখণ্ডের বাসিন্দাদের জন্য সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বাইডেন। এদিন হোয়াইট হাউসের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাইডেন একই দিনে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের (Hamas Israel War) সঙ্গে কথা বলেছেন। যুদ্ধের কারণে প্যালেস্তাইনে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাইডেন।

    ইজরায়েলে ফোন মার্কিন প্রেসিডেন্টের 

    প্যালেস্তাইন প্রেসিডেন্টকে সে দেশের বাসিন্দাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় যে কোনও সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিশেষভাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা শহরের বাসিন্দাদের সাহায্যের কথা বলেছেন বাইডেন। প্রসঙ্গত, এই গাজা ভূখণ্ড থেকেই ইজরায়েলে আক্রমণ শানাচ্ছে হামাসরা। ইজরায়েলেরও পাখির চোখ গাজায় হামাসের ডেরাগুলি। প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও কথা বলেছেন বাইডেন। ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এলাকায় শান্তি ফেরানো, যুদ্ধের পরিধি পকেটের মধ্যেই সীমাবন্ধ রাখার বিষয়েও আলোচনা করেছেন তাঁরা। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইজরায়েলকে যুদ্ধাস্ত্র দিয়েও সাহায্য করছে আমেরিকা।

    আরও পড়ুুন: মোদি জমানায় অতীত মাও আতঙ্ক, প্রথমবার ভোট দেবে ছত্তিশগড়ের বস্তার

    এদিকে, দ্বিতীয় এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে ইস্টার্ন মেডিটেরিয়ান সমুদ্রে পাঠাল আমেরিকা। ইজরায়েলের ওপর হামাসের (Hamas Israel War) আক্রমণ প্রতিহত করতেই এটা পাঠানো হয়েছে বলে শনিবার জানান মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। এদিকে, রবিবার প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, গাজা ভূখণ্ড ও ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৩৮৩ জন। এর মধ্যে কেবল গাজায়ই মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৩২৯ জন। সব মিলিয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ হাজার ৮১৪ জন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share