Tag: water

water

  • Australian Report: পাকিস্তানের মাথায় ঝুলছে মৃত্যুর খাঁড়া, হাতল রয়েছে ভারতের হাতে!

    Australian Report: পাকিস্তানের মাথায় ঝুলছে মৃত্যুর খাঁড়া, হাতল রয়েছে ভারতের হাতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুম ছুটেছে পাকিস্তানের! ভারতের সঙ্গে বৈরিতার ফল যে ভালো হবে না, উল্টে পরিণতি যে হবে ভয়ঙ্কর, ইতিমধ্যেই তা টের পেয়ে গিয়েছেন পাক সেনকর্তারা। অস্ট্রেলিয়ার (Australian Report) সিডনি থেকে প্রকাশিত নয়া এক রিপোর্টে প্রকাশিত একটি তথ্য থেকে (India) তামাম বিশ্ব জেনে গিয়েছে, বর্তমানে পাকিস্তানের টিকে থাকাটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে ভারতের দয়ার ওপর।

    ‘ইকোলজিক্যাল থ্রেট রিপোর্ট ২০২৫’ (Australian Report)

    এবার ফেরা যাক মূল খবরে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যা পিস তার ‘ইকোলজিক্যাল থ্রেট রিপোর্ট ২০২৫’-এ একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। তার পরেই ঘুম ছুটে গিয়েছে পাকিস্তানের। ওই রিপোর্টে পাকিস্তান সম্পর্কে যে বক্তব্যটি এসেছে, তাতে বলা হয়েছে, ভারত এখন এমন প্রযুক্তি তৈরি করেছে, যার সাহায্যে সিন্ধু নদের প্রবাহ বদলে দেওয়া সম্ভব, এবং এটি ঠেকানোর ক্ষমতা পাকিস্তানের নেই। উল্লেখ্য যে, অস্ট্রেলিয়ার ওই প্রতিষ্ঠান বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলির একটি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি আর পাঁচটি সাধারণ অ্যাকাডেমিক কোনও গবেষণা রিপোর্ট নয়। এটি পাকিস্তানের মাথার ওপর ঝুলে থাকা মৃত্যুদণ্ডের খাঁড়া, যার হাতল ধরা রয়েছে ভারতের হাতে। ইসলামাবাদের এই সঙ্কটটি এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন পরিস্থিতি এর চেয়ে খারাপ হতে পারে না। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলায় খুন হন ২৬ জন হিন্দু ভারতীয়। তার পরেই পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। এর পাশাপাশি ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের জলসম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করত যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি, তাও স্থগিত করে দেয় নয়াদিল্লি।

    সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত

    সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় প্রমাদ গোণে পাকিস্তান। কারণ পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিজমি সম্পূর্ণভাবে সিন্ধু নদ থেকে সরবরাহ করা জলের ওপর নির্ভরশীল (Australian Report)। এই জল প্রবাহিত হয় ভারতের দিক থেকেই। পাকিস্তানের ঘনবসতিপূর্ণ সমতলভূমি, যেখানে কোটি কোটি মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভর করে বেঁচে রয়েছেন (India), তা পুরোপুরি এমন নদীগুলির জলের ওপর নির্ভরশীল, যেগুলি কোনও চুক্তি ভঙ্গ না করেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ভারত। যদিও জঙ্গিদের মদত দেওয়ায় এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কোনও পদক্ষেপ না করায় জলচুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিসের রিপোর্টে প্রকাশ্যে চলে এসেছে পাকিস্তানের দুর্বলতা। জানা গিয়েছে, ভারতের এই প্রতিবেশী শত্রু দেশটির কাছে মাত্র ৩০ দিনের জল সংরক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে। এই পর্বে নদীর প্রবাহে কোনও বাধা সৃষ্টি হলে ভয়ঙ্কর জলসঙ্কটে পড়বে পাকিস্তান। যার জেরে পাকিস্তান মুখোমুখি হতে পারে

    ভালভ ঘুরিয়ে দিলেই কেল্লাফতে

    দুর্ভিক্ষ এবং অর্থনৈতিক অধঃপতনের (Australian Report)। স্থানীয় লোকজনও এলাকা ছেড়ে ভিড় করতে পারেন শহরে গিয়ে। যা বিশ্বের যে কোনও দেশের পক্ষেই হতে পারে বিপর্যয়ের একটি বড় কারণ। পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে গিয়ে ভারতকে খুব বেশি ‘নীচে’ নামতে হবে না। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু গ্রীষ্মকাল বা কৃষি মরশুমের মতো সঙ্কটপূর্ণ সময়ে বাঁধ পরিচালনায় সামান্য পরিবর্তন আনলেই বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে পাকিস্তানের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে গেলে দেশটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার প্রয়োজন নেই ভারতের। প্রয়োজন নেই মিসাইল খরচেরও। সীমান্তে সেনা পাঠিয়ে অকারণে উত্তেজনা বাড়ানোরও প্রয়োজন নেই। পাকিস্তানের (India) অর্থনীতির কোমর ভেঙে দিতে প্রয়োজন শুধু চাষের সময় স্রেফ বাঁধের কয়েকটি ভালভ ঘুরিয়ে দেওয়া (Australian Report)।

    ‘রান-অফ-দ্য-রিভার’

    রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, এই পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারত যখন সিন্ধু জল-বণ্টন চুক্তি স্থগিত করে, তখন তারা পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও পরামর্শ ছাড়াই চেনাব নদীর জল ছেড়ে দেয়। শুরুতে নদীর কিছু অংশ পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়েছিল। পরে যখন ভারত হঠাৎ করে লকগেট খুলে দেয়, তখন কাদামাটি-মেশানো তীব্র স্রোত ধেয়ে আসে পাকিস্তানের দিকে। অসহায়ভাবে তা দেখতে হয় পাকিস্তানের নাগরিকদের। অস্ট্রেলিয়ার ওই সংস্থার রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলির ওপর যেসব বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলি কোনও বিশাল জলাধার নয়। আদতে সেগুলি ‘রান-অফ-দ্য-রিভার’ প্রকল্প, যা স্থায়ীভাবে আটকে রাখতে পারে না জলপ্রবাহ। পাকিস্তানের চিন্তার কারণ হল, জল ছাড়ার জন্য লকগেট কখন খোলা হবে, বন্ধই বা করা হবে কখন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার রশি রয়েছে ভারতের হাতে। জল কখন ছাড়বে, কতক্ষণ ধরে জলপ্রবাহ বইবে, এসবই ঠিক করে ভারত। কারণ জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি রয়েছে নয়াদিল্লির হাতেই। প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালের জলচুক্তি অনুযায়ী, ভারত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে সিন্ধু, ঝিলম এবং চেনাব – পশ্চিমাঞ্চলীয় এই তিন নদীর জল পাকিস্তানের সঙ্গে ভাগ করে নেবে (India)। আর ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকবে পূর্বের তিন নদী-বিয়াস, রাভি ও শতদ্রু। চুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ভারতের আর সেই বাধ্যবাধকতা নেই। শীতের মরশুমে যার চড়া মাশুল গুণতে হতে পারে পাকিস্তানকে (Australian Report)।

    পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা

    এমনিতেই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয়। শাসকরা সুখে রইলেও, আম-পাকিস্তানবাসীর অবস্থা করুণ। এই দিক থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সন্ত্রাসবাদকে। জঙ্গিদের নিয়মিত রসদ এবং মদত জুগিয়ে মজিয়ে রেখেছে পাকস্তানের যুব সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশকে। সেই কারণেই পাকিস্তানের বাজেটে জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তার চেয়ে ঢের বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয় প্রতিরক্ষা খাতে। তাই প্রতিরক্ষা খাতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত লোকজন সুখে থাকলেও, পেটে ভিজে গামছা দিয়ে দিন গুজরান করেন পাকিস্তানের একটা বড় অংশের মানুষ। তার পরেও ইসলামাবাদের (পাকিস্তানের রাজধানী) ধারণা ছিল যে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ও জেহাদি প্রক্সিগুলির কারণে তারাই কৌশলগত দিক থেকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে। পাকিস্তানের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা ভাবতেই পারেননি যে, হাতে না মেরেও ভারত পাকিস্তানকে মারতে পারে আক্ষরিক অর্থেই ভাতে। জলসম্পদ ও পরিকাঠামো উন্নয়নে ভারত যে দীর্ঘমেয়াদি লগ্নি করে চলেছে, তা বুঝতেই পারেনি (Australian Report) পাকিস্তান।

    সবচেয়ে শক্তিশালী অ–সামরিক অস্ত্র

    ভারত বাঁধ তৈরি করেছে। গড়েছে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ভারত এমন প্রযুক্তি তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে নদীর জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব। সন্ত্রাসের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা পাকিস্তান বুঝতেই পারেনি যে ভারতের হাতে সে তুলে দিয়েছে সবচেয়ে শক্তিশালী অ–সামরিক অস্ত্রটি। এখন, অপারেশন সিঁদুর ও সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে ভয়ঙ্কর বাস্তবতার। এই বাস্তবতাটি হল ভারত একটিও গুলি না ছুড়ে ভেঙে ফেলতে পারে পাকিস্তানের নড়বড়ে (India) অর্থনীতির মেরুদণ্ড। চোখের সামনে সব কিছু ঘটতে দেখলেও, হাত গুটিয়েই বসে থাকতে হবে ইসলামাবাদকে (Australian Report)।

  • Afghanistan: পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে কি ভারতের পথেই হাঁটতে চলেছে আফগানিস্তান?

    Afghanistan: পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে কি ভারতের পথেই হাঁটতে চলেছে আফগানিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে (Pakistan) শিক্ষা দিতে তবে কি ভারতের পথেই হাঁটতে চলেছে আফগানিস্তান (Afghanistan)? ইসলামাবাদের (পাকিস্তানের রাজধানী) দিকে জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবছে কাবুলও (আফগানিস্তানের রাজধানী)। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সীমান্ত সংঘাত ও কাবুলে ইসলামাবাদের বিমান হামলার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন পাঠানরা। আফগানিস্তানের তথ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, তালিবান নেতৃত্বাধীন সরকার একটি বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, যাতে পাকিস্তানের দিকে জলপ্রবাহ সীমিত করা যায়।

    আফগানিস্তানের বক্তব্য (Afghanistan)

    আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতা মাওলাভি হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা ঘোষণা করেছেন, তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব কুনার নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন। এভাবে কাবুল তাদের জলের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই লক্ষ্য পূরণে দেশীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে বাঁধ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য দ্রুত আলোচনা চলছে বলেও আফগানিস্তানের তথ্য উপমন্ত্রী মুহাজের ফারাহী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন। আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশ, “বিদেশি সংস্থার জন্য অপেক্ষা না করে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গেই যেন দ্রুত চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।” বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের পর এবার যদি আফগানিস্তানও জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে ঘোর বিপাকে পড়বে ভারত এবং আফগানিস্তানের এই পড়শি দেশটি। এমনিতেই দেশটি এখন দারিদ্র্য, অর্থনৈতিক সংকট, বিশৃঙ্খল অভ্যন্তরীণ অবস্থা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার জালে জড়িত। এমতাবস্থায় কাবুল পদক্ষেপ করলে, ভয়ঙ্কর সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে ইসলামাবাদকে।

    পহেলগাঁওকাণ্ড

    প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে (Afghanistan) বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা। তার পরেই ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে হওয়া সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দেন, “রক্ত ও জল একসঙ্গে বইতে পারে না।” এর ফলে পাকিস্তানের দিকে প্রবাহিত জল এখন ভারতের প্রয়োজন ও নীতির ভিত্তিতে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত। ভারতের এসব সিদ্ধান্তের জন্য পাকিস্তানকে কোনও জবাবদিহি করতে হয় না। ফলে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত পাকিস্তানে জলসঙ্কট, অপ্রত্যাশিত বন্যা বা খরার পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।

    সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের হস্তক্ষেপে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে দেয় ভারত। ওই চুক্তি অনুযায়ী, বিপাশা, শতদ্রু, ইরাবতীর জলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে ভারতের হাতে। আর সিদ্ধু, বিতস্তা, চন্দ্রভাগার জল ব্যবহার করতে পারবে পাকিস্তান। সিন্ধু ও তার শাখা এবং উপনদীর ৩০ শতাংশ জল ব্যবহার করতে পারবে ভারত। বাকি ৭০ শতাংশ পাবে পাকিস্তান (Pakistan)। চুক্তিতে বলা হয়েছে, সিন্ধু, বিতস্তা এবং চন্দ্রভাগা – এই তিন নদীর জল সেচের কাজের পাশাপাশি নৌ চলাচল, মাছ চাষ, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করতে পারবে ভারত। পাকিস্তানের হুঁশিয়ারির পরেও (Afghanistan) এই চুক্তি ফের লাগু করেনি ভারত।

    কুনার নদী

    এদিকে, ৪৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ কুনার নদীর উৎপত্তি আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতমালায়। এই পর্বতমালা আবার রয়েছে পাকিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি। নদীটি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে। এই পাকিস্তানের জালালাবাদ শহরে নদীটি কাবুল নদীর সঙ্গে মিশেছে। তার পর কাবুল নদী পাকিস্তানের অ্যাটক শহরের কাছে সিন্ধু নদের সঙ্গে মিশেছে। পাকিস্তানে কুনার নদীকে “চিত্রাল নদী” নামে ডাকা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই নদী আফগান-পাকদের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কাবুল নদীতে জলের জোগান দিয়ে থাকে এই কুনার নদীই। এই জল কেবল পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশেই নয়, পাঞ্জাব প্রদেশেও কৃষি এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়। আফগান সাংবাদিক সামি ইউসুফজাই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “কাবুল এবং কুনার নদী পাকিস্তানের জলের অন্যতম উৎস (Pakistan)।”

    তালিবান সরকারের অগ্রাধিকার

    কাবুলে প্রশাসনের দায়িত্ব নেওয়ার পর তালিবান সরকার তাদের দেশের নদী ও জলবিদ্যুৎ সম্পদের ওপর সার্বভৌমত্বকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হল (Afghanistan), জ্বালানি, কৃষি ও সেচ ব্যবস্থায় আত্মনির্ভরতা অর্জন করা এবং প্রতিবেশী দেশগুলির ওপর নির্ভরশীলতা কমানো। ভারত ও পাকিস্তানের মতো ইসলামাবাদ (Pakistan) এবং কাবুলের মধ্যেও কোনও দ্বিপাক্ষিক নদীজল বণ্টন চুক্তি। ফলে আফগানিস্তানের পক্ষে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হবে। তবে কাবুলের সাম্প্রতিক এই অবস্থান নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের জন্য একাধিক দিক থেকে জলসঙ্কট সৃষ্টি করবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। ইতিমধ্যেই অর্থনৈতিক সঙ্কট ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় জর্জরিত দেশটি, নিজেদের ভুল নীতি ও জঙ্গি কার্যকলাপের জেরে এখন নয়া জলসংঘাতের মুখোমুখি হতে চলেছে (Afghanistan)।

  • India: ‘এদের এক্তিয়ারই নেই’, সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে স্থায়ী সালিশি আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান ভারতের

    India: ‘এদের এক্তিয়ারই নেই’, সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে স্থায়ী সালিশি আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের ৮ অগাস্ট সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির (Indus Waters Treaty) বিষয়ে হেগের স্থায়ী সালিশি আদালতের (PCA) রায়কে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত (India)। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কিষানগঙ্গা ও রাটলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে তারা কখনওই এই আদালতের এক্তিয়ার স্বীকার করে না। ভারত স্পষ্ট করে জানিয়েও দিয়েছে, নয়াদিল্লি আদালতের এক্তিয়ার স্বীকার করে না এবং পাকিস্তান সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যাচাইযোগ্য পদক্ষেপ না করা পর্যন্ত চুক্তির বাস্তবায়নও ফের শুরু করা হবে না। ভারতের এই দৃঢ় অবস্থান এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমানোর হুমকিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে এবং তার জেরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফের একপ্রস্ত শুল্ক আরোপ করেছে ভারতীয় পণ্যের ওপর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বহিঃচাপের মুখে নয়াদিল্লির এই অবস্থান ক্রমবর্ধমান কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের ইঙ্গিত দেয়।

    সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির বিরোধ নিষ্পত্তি (India)

    নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তান একতরফাভাবে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করে এই সালিশি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সমাধানের সুযোগকে ক্ষুণ্ণ করেছে। সরকার জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের জোরাজুরিতে বিশ্বব্যাংক ২০২২ সালে একইসঙ্গে একজন নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ এবং সালিশি আদালত সক্রিয় করার পদক্ষেপ নিয়েছিল, যা বাস্তব ও আইনি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে এবং চুক্তির কাঠামোর অধীনে সেটি গ্রহণযোগ্যও নয়। ভারত সরকারের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগতি রাখা হয়েছে। পাকিস্তান সীমান্তপারের সন্ত্রাস নেটওয়ার্ক ভাঙতে বিশ্বাসযোগ্য ও যাচাইযোগ্য পদক্ষেপ না করা পর্যন্ত এটি ফের কার্যকর হবে না (India)।

    স্থায়ী সালিশি আদালতের রায়

    স্থায়ী সালিশি আদালতের রায় পাকিস্তানের ব্যাখ্যার পক্ষে গিয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাবের মতো (Indus Waters Treaty) পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলিকে ‘রান-অফ-দ্য-রিভার’ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নকশায় ভারতকে চুক্তির ধারা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে এবং নিজস্ব কোন মানদণ্ড চাপিয়ে দেওয়া চলবে না। আদালতের নির্দেশ, ভারতকে জলের প্রবাহ এমনভাবে রাখতে হবে (Indus Waters Treaty) যাতে পাকিস্তান অবাধে তা ব্যবহার করতে পারে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের দাবি, ভারতীয় প্রকল্পগুলি নিম্নপ্রবাহের জলের প্রবাহ কমিয়ে দিচ্ছে। শাহবাজ শরিফের দেশের এই অভিযোগ ভারত ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বারংবার উড়িয়ে দিয়েছে (India)।

  • Operation Sindoor: আর কত নিচে নামবে পাকিস্তান! ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই-কমিশনে সরবরাহ বন্ধ জল-গ্যাস এবং সংবাদপত্রের

    Operation Sindoor: আর কত নিচে নামবে পাকিস্তান! ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই-কমিশনে সরবরাহ বন্ধ জল-গ্যাস এবং সংবাদপত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে এঁটে উঠতে না পেরে এবার পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের ওপর ‘প্রতিশোধ’ (Operation Sindoor) নিতে শুরু করেছে পাকিস্তান। যার জেরে ফের একবার বিশ্বের দরবারে মুখ পুড়ল ইসলামাবাদের (Pakistan)। শুধু তাই নয়, এর ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গিয়েছে। প্রবীণ সরকারি আধিকারিকদের মতে, এই পদক্ষেপ ইচ্ছাকৃত, পরিকল্পিত এবং ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া অপারেশন সিঁদুর। সেই অভিযানে কার্যত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল খায় পাক সেনাবাহিনী। পরে পাল্টা প্রতিশোধ নিতে শুরু করে তারা। যদিও ভারতের কাছে পরাস্ত হয়ে শেষমেশ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠায় ভারতের কাছে। তাতে সাড়া দেয় ভারত।

    বন্ধ গ্যস, জল এবং খবরের কাগজ

    পাকিস্তানে ভারতীয় হাই কমিশন প্রাঙ্গনে গ্যাস পাইপলাইন বসিয়েছে সুই নর্দার্ন গ্যাস পাইপলাইন্স লিমিটেড। এতদিন তারাই গ্যাস সরবরাহ করছিল ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের বাড়ি এবং তাঁদের অফিসে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই গ্যাস সরবরাহ। এর ফলে ভারতীয় কূটনীতিক ও তাঁদের পরিবারকে বাধ্য হয়ে খোলাবাজারে চড়া দরে সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে। নিতান্তই তা সম্ভব না হলে ব্যবস্থা করতে হচ্ছে বিকল্প জ্বালানির।

    কেবল জ্বালানি নয়, বন্ধ (Operation Sindoor) করে দেওয়া হয়েছে জল সরবরাহও। ইসলামাবাদের সব বিক্রেতাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন ভারতীয় হাই কমশনকে মিনারেল ওয়াটার সরবরাহ না করেন (Pakistan)। এই ফতোয়ার জেরে ঘোর বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরা। পানীয় জলের পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সংবাদপত্র বিক্রিও। তথ্য প্রবাহ সীমিত করতেই ভারতীয় দূতাবাস ও তাদের কর্মীদের বাড়িতে কোনও প্রকাশনা সংস্থাই যেন খবরের কাগজ কিংবা ম্যাগাজিন বিক্রি না করে, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, পাকিস্তানের এই সব নির্দেশ ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্সের বিরোধী। এই ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স ভারতীয় দূতাবাসগুলির নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ কার্যকলাপ নিশ্চিত করে (Operation Sindoor)।

  • Liquid Water On Mars: মঙ্গলগ্রহের গভীরে রয়েছে তরল জলের বিশাল ভান্ডার, দাবি বিজ্ঞানীদের

    Liquid Water On Mars: মঙ্গলগ্রহের গভীরে রয়েছে তরল জলের বিশাল ভান্ডার, দাবি বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তরল আকারে জলের একটি বিশাল ভূগর্ভস্থ ভান্ডারের খোঁজ মিলল মঙ্গলগ্রহে (Liquid Water On Mars)। এই গ্রহের তলদেশে ভগ্ন-আগ্নেয়শিলার গভীরে রয়েছে ব্যাপক পরিমাণে তরল জল। মঙ্গলগ্রহের মাটির নীচের পরিবেশ সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে সক্ষম হয়েছেন নাসার (NASA) বিজ্ঞানীরা (American scientists)। তাঁদের দাবি, তরল জলের পরিমাণ এতটাই যে, তা দিয়ে মঙ্গলের গোটা পৃষ্ঠ ঢাকা পড়বে। অর্থাৎ, গোটা মঙ্গল জলের তলায় চলে যাবে! 

    নাসার পাঠানো রোবোটিক ইনসাইট ল্যান্ডার দ্বারা প্রাপ্ত সিসমিক ডেটার উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। ল্যান্ডারটি ২০১৮ সালে মঙ্গলগ্রহে অবতরণ করেছিল। তখন থেকেই এটি লালগ্রহের তরল ধাতব ভূত্বকের বিভিন্ন স্তর থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ করেছে। এই মিশন শেষ হয়েছিল ২০২২ সালে। এই চাঞ্চল্যকর দাবিতে মহাকাশ গবেষণা এবং গ্রহ বিজ্ঞানীদের মধ্যে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    জীবের জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য অনুকূল পরিবেশ (Liquid Water On Mars)

    ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত সান দিয়েগো স্ক্রিপস ইনস্টিটিউশন অফ অশেনোগ্রাফির গ্রহবিজ্ঞানী ভাসান রাইট একটি রিপোর্টে বলেন, “মঙ্গলগ্রহের (Liquid Water On Mars) পৃষ্ঠের প্রায় ৭.২ থেকে ১২.৪ মাইল (১১.৫ থেকে ২০ কিমি) নীচে অবস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জল রাশি। এই গভীরে তরল আকারে জল যেমন রয়েছে, তেমনই জীবের জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য সম্ভাব্য অনুকূল পরিস্থিতিও রয়েছে সেখানে। তবে, ওপরের দিকে, অর্থাৎ, কম গভীর স্তরে জল বরফের অবস্থায় রয়েছে।’’

    তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা পরিমাপ করেছি ভূ-পৃষ্ঠে ক্রমবর্ধমান কম্পনের তরঙ্গের গতিকে। সেই সঙ্গে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পরিমাপ এবং শিলা পদার্থবিদ্যা মডেলগুলির অংশ সংগ্রহ করেছি। আবার গ্রহের আগ্নেয়গিরির মধ্যস্থ কম্পনের তরঙ্গের গতি পরিমাপ করতে সক্ষম হয়েছে ইনসাইট ল্যান্ডার। গভীরতার সঙ্গে কীভাবে এই তরঙ্গ পরিবর্তিত হয়, পৃষ্ঠদেশের শিলাটি কী দিয়ে তৈরি, কোথায় কোথায় ফাটল রয়েছে ইত্যাদি নানা বিষয়ে অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছি আমরা। মঙ্গলগ্রহের ক্রাস্ট বা সবচেয়ে বাইরের স্তরের মধ্যে ম্যাগমা বা লাভার ঠান্ডা রূপ এবং ভগ্ন আগ্নেয়শিলাগুলির মধ্যে তরল জলের উপস্থিতিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। মঙ্গল-পৃষ্ঠে শিলার ফাটলগুলিও তরল জলে ভরা, তারও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ক্রমাগত ভূমিকম্পের ফলে মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশ আজ শীতল এবং জনশূন্য, কিন্তু একসময় ওই স্থান উষ্ণ ও ভেজা ছিল। অনুমানিক ৩০০ কোটি বছরেরও বেশি আগে পরিবর্তিত হয়েছিল এই গ্রহের রূপ। আমরা গবেষণায় দেখেছি যে, মঙ্গলগ্রহের উপরিভাগে যে জল ছিল, তার বেশির ভাগই মহাকাশে বিলীন হয়ে যায়নি বরং গ্রহের মধ্যে ফিল্টার হয়ে সঞ্চিত হয়েছে। আগামী দিনে মঙ্গলে রয়েছে আরও অপার সম্ভাবনা।”

    আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা, হিন্দু ছাত্রদের সঙ্গে আজ বৈঠক ইউনূসের

    মঙ্গলগ্রহেও জীব শক্তির উৎস রয়েছে

    গ্রহ বিজ্ঞানী (NASA) ভাসান রাইটের সহযোগী লেখক মাইকেল মাঙ্গা আবার বলেন, “পৃথিবীর ভূগর্ভের অভ্যন্তরে যেমন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবের প্রাণের সন্ধান পাই, ঠিক একই ভাবে এই মঙ্গলগ্রহেও (Liquid Water On Mars) জীব শক্তির উৎস রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মঙ্গলগ্রহের উপরিভাগে নদী, হ্রদ এবং সম্ভবত মহাসাগরে তরল জল ছিল। এই গ্রহের ভূত্বকটিও তার ইতিহাসের প্রথম দিক থেকেই জলে পূর্ণ ছিল বলে মনে করা যেতেই পারে। পৃথিবীতেও ভূগর্ভস্থ জল, পৃষ্ঠদেশে থেকেই পাতালে প্রবেশ করেছিল। ফলে আমরা আশা করতে পারি মঙ্গলে জলের ইতিহাস পৃথিবীর মতোই হবে। তবে যখন এই জলরাশি অন্দরে প্রবেশ করেছে তখন এই গ্রহের উপরের ভূত্বকটি আজকের চেয়ে অনেক বেশি উষ্ণ ছিল। পৃথিবীর মানবজাতি কখনও মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠে মহাকাশচারীদের পাঠালে বা সেখানে সম্পর্ক স্থাপন করতে গেলে, এই জল একটি অত্যাবশ্যক সম্পদ হবে। তাছাড়া দীর্ঘ সময়ের জন্য ওই গ্রহে কিছু করার পরিকল্পনায় দারুণ ভাবে সহযোগী হবে এই জল। মঙ্গলগ্রহের মেরু অঞ্চলগুলির পৃষ্ঠে থাকা জমা জল বরফের আকারে রয়েছে। ফলে ভূপৃষ্ঠের গভীরতায় খনন করা খুব কঠিন কাজ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sugarcane Juice: তাপপ্রবাহের ঠেলায় নাস্তানাবুদ? এনার্জি ফিরে পেতে আখের রসের জুড়ি মেলা ভার!

    Sugarcane Juice: তাপপ্রবাহের ঠেলায় নাস্তানাবুদ? এনার্জি ফিরে পেতে আখের রসের জুড়ি মেলা ভার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে মানুষ ঠান্ডা পানীয়ের ওপর অনেক সময়ই নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। বাইরের তীব্র গরমে নিজের শরীরকে কিছু সময়ের জন্য ঠান্ডা করতে নানান ফলের জুস থেকে শুরু করে ঠান্ডা পানীয় খেয়ে থাকেন অনেকেই। কিন্তু এই গরমে আরও এক পানীয় হল আখের রস (Sugarcane Juice), যা অনেকেরই প্রিয়। ভারতীয় ঐতিহ্য এবং আয়ুর্বেদিক দিক থেকে আখের রস একটি পুষ্টিকর ও উপকারী পানীয় নামেই পরিচিত। এতে ফাইবার ও বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর উপাদান থাকে, যা মানুষের শরীরকে ঠিক রাখতে নানান ভাবে সাহায্য করে। তবে যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত, তাদের এই আখের রস এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। কারণ এটি আচমকা মানব শরীরের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে।

    কোথায় মেলে? (Sugarcane Juice)

    ভারতের বিভিন্ন জায়গা যেমন মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, পন্ডিচেরি এবং কেরলে আখ চাষ হয়। এই আখের রস একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়। যা গরম আবহাওয়া থেকে মানব শরীরকে সুস্থ সতেজ রাখে। তাছাড়াও ক্লান্তি, হিট স্ট্রোক প্রভৃতি থেকে শরীরকে দূরে থাকে। গরমে মানুষের শরীরকে হাইড্রেট রাখাটা খুবই দরকারি। তাই এই আখের রসই হয়ে উঠতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ পানীয়। আসুন, দেখে নিই, কী কী উপকারিতা আছে এই আখের রসের।

    প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক

    এটি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এক গ্লাস আখের রস (Sugarcane Juice) এই তীব্র গরমে আপনার ক্লান্ত শরীরকে নিমেষে শক্তি জোগাতে পারে। আখের রসে আছে গ্লুকোজ, এবং বিভিন্ন ইলেক্ট্রোলাইট যা শরীরকে তাৎক্ষণিক ঠান্ডা করতে সাহায্য করে।

    ক্যান্সার রোধে সাহায্যকারী (Sugarcane Juice)

    বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই আখের রসের মধ্যে আছে ক্যান্সার রোধের গুণাবলী। আখের রস শরীরে পাওয়া ফ্লেভোন ক্যান্সার কোষের উৎপাদন ও বিস্তার বন্ধ করতে সাহায্য করে। শরীরের পিএইচ-এর মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে।

    কিডনি ভালো রাখে

    আখের রস উপকারী মূত্রবর্ধক (Sugarcane Juice) হিসেবেও পরিচিত। কারণ এটি কিডনির কার্যক্ষমতাকে স্বাভাবিক রাখে, দেহের অতিরিক্ত লবণ অপসারণ করে এবং শরীরকে কিডনি জনিত নানান সমস্যা থেকে দূরে রাখে।

    ত্বক ভালো রাখতে উপকারী

    আখের রসের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, এবং অন্যান্য ইলেক্ট্রোলাইট পদার্থ যা আমাদের শরীরের রক্ত প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে ও স্বাভাবিক রাখে যা সুন্দর ত্বক পেতে সাহায্য করে। তাছাড়াও বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে ত্বককে দূরে রাখে (Sugarcane Juice)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Water under moon surface: চাঁদের মাটিতে আরও জলের সন্ধান! গবেষণায় বড় দাবি ইসরোর

    Water under moon surface: চাঁদের মাটিতে আরও জলের সন্ধান! গবেষণায় বড় দাবি ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদে এত পরিমাণ জল (Water under moon surface) রয়েছে যে তা ভেবে কল্পনা করা কঠিন। সম্প্রতি আবারও চাঁদের মাটিতে জলের সন্ধান পেল ইসরো। আইআইটি কানপুর, ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া, জেট প্রপালশন ল্যাব এবং আইআইটি ধানবাদের গবেষকদের সহায়তায় স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার, ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন চাঁদের গর্তগুলিতে জমে রয়েছে বরফ। ইসরোর প্রকাশিত এক জার্নালে বলা হয়েছে, যে ভূপৃষ্ঠের কয়েক মিটার নীচে বরফের পরিমাণ ভূপৃষ্ঠের তুলনায় ৫ থেকে ৮ গুণ বেশি। সেই কারণেই অনুমান, চাঁদে ঠিক এতটা পরিমাণ জল রয়েছে যা কল্পনারও বাইরে।  

    প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ জলের হদিশ (Water under moon surface) 

    যদিও চাঁদের মাটিতে জলের সন্ধান আগেই পাওয়া গিয়েছিল। এ বার বিজ্ঞানীরা আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণ জলের সন্ধান পেয়েছেন। গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ মেরুর তুলনায় উত্তর মেরুতে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ জল বরফ আকারে সঞ্চিত রয়েছে। চাঁদে এই বিপুল পরিমাণ জলের হদিশ পেয়ে উৎসাহিত বিজ্ঞানীরা। 
    এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সাতটি যন্ত্রের ব্যবহার করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে র‍্যাডার, লেজার, অপটিক্যাল, নিউট্রন স্পেক্ট্রোমিটার, আলট্রাভায়োলেট স্পেক্ট্রোমিটার এভং থার্মাল রেডিওমিটার। তবে চাঁদের মাটিতে জলের সন্ধান পেতে সাহায্য করেছে ভারতের পাঠানো চন্দ্রযান ২-ও। 

    চাঁদের মাটিতে কীভাবে জমল বরফ?

    গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ৩.৮৫ বিলিয়ন বছর আগে ইমব্রিয়ান সময়কালে ঘটে যাওয়া আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের কারণে চাঁদের গর্তগুলিতে জল জমেছিল। সেই জলই (Water under moon surface) এখন বরফে পরিনত হয়েছে। মনে করা হচ্ছে পরবর্তীকালে ইসরো বা অন্যান্য মহাকাশ সংস্থাগুলি চাঁদে জল খোঁজার জন্য ড্রিলিং মেশিন পাঠাতে পারে।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী, ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি কোথায়, কখন জানেন?

    ভবিষ্যতে চন্দ্র অভিযানে সহায়ক হবে এই বরফ 

    ইসরো বলেছে যে এই তথ্য ভবিষ্যতের চন্দ্র অভিযান মিশনে বরফের নমুনা সংগ্রহ করতে বা চাঁদে মানুষের দীর্ঘমেয়াদী উপস্থিতির জন্য সহায়তা করবে। এমনকি এই বরফের (Water under moon surface) উপর নির্ভর করে, ভবিষ্যতে চাঁদে অবতরণের জন্য সঠিক স্থান এবং সঠিক নমুনা সংগ্রহের পয়েন্ট নির্বাচন করাও সহজ হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Panta Bhat: এই গরমে হিট স্ট্রোক এড়ানোর চাবিকাঠি ‘পান্তা ভাত’

    Panta Bhat: এই গরমে হিট স্ট্রোক এড়ানোর চাবিকাঠি ‘পান্তা ভাত’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চৈত্র মাস থেকেই নিজের তেজ দেখাতে শুরু করেছিল সূর্য দেব। আর বৈশাখ পড়তেই সূর্যের তেজে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে বাংলা। ইতিমধ্যেই ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছুঁয়ে ফেলেছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। তাপপ্রবাহের (heat wave) সতর্কবার্তাও জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। আর এই গরমে শরীরকে সুস্থ রাখাই হল চ্যালেঞ্জের। প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া নিয়েও সচেতন থাকতে হবে। আর এই নাজেহাল পরিস্থিতিতে পান্তা ভাতের (Panta Bhat) উপকারিতা ভীষণ। এই গরমে যদি নিয়ম করে পান্তা ভাত খান, হিট স্ট্রোকের (heat stroke) ঝুঁকি এড়াতে পারবেন। শরীরে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি একাধিক রোগের বিপদ কমায় এই ‘পান্তা ভাত’।

    আসুন আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা জেনেনি পান্তা ভাতের উপকারিতা

    পুষ্টিগুণের দিক থেকে পান্তাভাত একশোয় একশো

    রিহাইড্রেশন পান্তা ‘বডি রিহাইড্রেটিং ফুড’ হিসেবে পরিচিত। পান্তা ভাত শরীরকে ঠান্ডা করে। এই খাবারে যেহেতু তরলের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই শরীরকে হাইড্রেটেডও রাখে।

    উপকারি ব্যাকটেরিয়া

    প্রোবায়োটিক্সে ভরপুর পান্তা ভাত। যা হজম শক্তি রক্ষায় সাহায্য করে। সেই সঙ্গে পান্তা সারাদিন কাজ করার জন্য শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

    অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি

    বিজ্ঞানীদের মতে পান্তাভাত পিএইচ ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে। গ্যাস-অম্বল, অ্যাসিডিটি, আলসারের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এই খাবার।

    কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা

    ন্যাচারাল ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে। ফলে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়তা করে।

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

    রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকরী। সাধারণ ভাতের তুলনায় এতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম। অন্যদিকে পটাশিয়ামের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এছাড়াও অনিদ্রার সমস্যা দূরেও বিশেষ সহায়ক এই পান্তা ভাত।

    আরও পড়ুনঃ নববর্ষের ঢালাও মিষ্টিমুখের জেরে ডায়াবেটিসের বিপদ বাড়িয়ে তুলছেন না তো!

    গবেষণা কী বলছে?

    পান্তাভাতের প্রশংসাতেই পঞ্চমুখ চিকিৎসকেরাও। গবেষণা বলছে যে আগের দিন রেঁধে রাখা ভাত জল দিয়ে রেখে দিলে নাকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকর। এছাড়াও পান্তা ভাত (Panta Bhat) খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে। অসুখ-বিসুখ নাকি সহজে কাবু করতে পারে না। তাছাড়া খরচও কম আর খেতেও বেশ সুস্বাদু। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ফলের মতো পুষ্টিকর খাবার ফেলে পান্তা ভাত খেয়ে কারও গায়ের জোর হতে পারে এটা ভাবাই যায় না। তাই আর দেরি নয় এই গরমে শরীর সুস্থ রাখতে কাল থেকেই শুরু করুন পান্তা খাওয়া। রাত্রে খাওয়ার পর অতিরিক্ত ভাতে জল ঢেলে সারারাত রেখে দিন। অথবা সকালের তৈরি গরম ভাতে জল ঢেলে রাত্রে কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ, লেবু সহযোগে তৃপ্তি করে খান পান্তা ভাত।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: জলে আর্সেনিক, ট্যাপে জল আসে না, তৃণমূলের রাজত্বে নিষ্ক্রিয় প্রশাসন

    Purba Bardhaman: জলে আর্সেনিক, ট্যাপে জল আসে না, তৃণমূলের রাজত্বে নিষ্ক্রিয় প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের শাসনে পানীয় জলে আর্সেনিকের সমস্যায় কঠিন অবস্থার মধ্যে রয়েছে এলাকার মানুষ। পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) পূর্বস্থলীর মাদ্রাস গ্রামে টাকা খরচ করে পাম্প বসিয়েও সেই জল খেতে পারছেনা এলাকার মানুষ। বাধ্য হয়েই গত কয়েক বছর ধরে ভরসা কেনা জল। আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় অভাবী পরিবার দূর থেকে পানীয় জল এনে কাজ চালাচ্ছে বাসিন্দারা। আর্সেনিক প্রবণ গ্রামে এই ভাবেই পানীয় জলের সমস্যায় বছরের পর বছর কাটাচ্ছে কয়েকশো গ্রামবাসী।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য (Purba Bardhaman)

    পানীয় জলের সমস্যার কথা জানিয়ে স্থানীয় (Purba Bardhaman)  বাসিন্দা আনন্দ রায় বলেন, “মাটির নিচের পাইপ থেকে জল সংগ্রহ করে সেই জল পান করতাম আমরা। এরপর বাড়ির সকলেই আর্সেনিক আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। আর্সেনিকের বিষের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন আমার পরিবারের 8 জন। গত পাঁচ বছর ধরে আমাদের কলে জল পড়ে না। এলাকার মানুষের জলের সমস্যা নিয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না।”

    ২০০৩ সালে ট্যাপ দিলেও জল পড়ে না

    পূর্বস্থলীর (Purba Bardhaman) দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের আর্সেনিক প্রবণ মাদ্রাগ্রামে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পিএইচই দপ্তর থেকে বাড়ি বাড়ি আর্সেনিক মুক্ত পরিশ্রুত জলের ট্যাপ কল দেওয়া হয়েছিল ২০০৩ সালে। এলাকার মানুষের অভিযোগ, পাঁচ বছর আগে থেকেই সেই ট্যাপ কলে জল পড়ছে না। পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে বহুবার জানানো হলেও মিলেছে কোনও রকম সমাধান সূত্র। শুধু প্রতিশ্রুতিই সার। সমস্যার সমাধানে প্রশাসন একেবারেই নিষ্ক্রিয়।। তাই দিন দিন পানীয় জলের দাবিতে ক্ষোভ বাড়ছে আর্সেনিক প্রবণ এই মাদ্রা গ্রামের গ্রামবাসীদের।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও এলাকার (Purba Bardhaman) পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পানীয় জল সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, “জলের পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ায় বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছাচ্ছে না। তবে দ্রুত সমস্যার কথা সমাধান করার চেষ্টা করবো।”

    বিজেপির বক্তব্য

    পূর্ব বর্ধমান জেলার (Purba Bardhaman) বিজেপি সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলকের কাজ হল পাম্প বসিয়ে টাকা খরচের হিসাব দেখিয়ে কাটমানি খাওয়া। এবার নলে জল আসুক আর না আসুক দেখতে যায় না তৃণমূল। রাজ্যে চোরেদের শাসন চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Water:  পুরসভার পানীয় জলে এত দুর্গন্ধ! কোথায় জানেন?

    Water: পুরসভার পানীয় জলে এত দুর্গন্ধ! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের (Water) সংযোগ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলের কর না নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু, দুর্গাপুর নগর নিগম সেই নির্দেশ না মেনেই প্রতিমাসে মিটার দেখে জলের (Water)  কর নেয়। প্রতিমাসে জল করও দেন শহরবাসী। কিন্তু, বিনিময়ে পুরসভার দেওয়া পাইপ লাইন থেকে বের হচ্ছে দুর্গন্ধময় জল। দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার মামরা বাজারের সিদ্ধেশ্বরী মার্কেট এলাকার ঘটনা। জলে এতটাই দুর্গন্ধ বের হচ্ছে যে টেকা দায়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ,  নগর নিগমকে নিয়মিত জলের (Water)  ট্যাক্স দেওয়া হয়। বিনিময়ে বিশুদ্ধ পানীয় জলের পরিবর্তে মিলছে দূষিত ড্রেনের জল। বাড়ছে পেটের রোগ আর চামড়ার রোগ। এলাকায় জলের কল খুললেই দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। সেই জল খাওয়া তো দূরের কথা, দুর্গন্ধে ঘরে থাকা যাচ্ছে না। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, মামরা বাজারের একটি ড্রেনের পাশেই রয়েছে জলের পাইপ লাইন। সেই পাইপ হয়তো কোনও কারণে ফুটো হয়ে গিয়েছে, আর সেখান দিয়েই ড্রেনের নোংরা জল (Water)  ঢুকে পড়ে এই বিপত্তি হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, আমরা দিনে দুবার মাত্র দু ঘণ্টা জল পাই। আর সেই জল এখন বিষের সমতুল্য হয়ে উঠেছে। জলের (Water)  সমস্যায় থাকা পরিবারগুলিকে অনেক দূরে থাকা একটি কুয়ো থেকে অথবা অন্যের বাড়ি থেকে জল (Water)  নিয়ে এসে  নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পুরসভার কর্মীরা এসে পাইপ লাইন খোঁড়াখুঁড়ি করছেন। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

    কী পদক্ষেপ নিলেন দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য? Water

    পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের (Water)  সংযোগ দেওয়া হয়েছে। পাইপ লাইনের আশপাশে অনেক ড্রেন রয়েছে। সেই ড্রেনের নোংরা জল (Water)  পানীয় জলের পাইপে কী করে ঢুকল তা নিয়ে পুরসভার কর্মীরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।  দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তথা প্রাক্তন জল দপ্তরের মেয়র পারিষদ সদস্য দীপঙ্কর লাহা বলেন, আমাদের কর্মীরা বিগত চার পাঁচ দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি করে পাইপ লাইনের মধ্যে কোন সমস্যা আছে কিনা তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন। এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো  সমস্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি জলের (Water)  লাইন দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় সাময়িক একটা সমস্যা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য এলাকার ট্যাপ থেকে জল (Water)  সংগ্রহ করা হয়েছে।   জলে দুর্গন্ধ রয়েছে এ কথা সত্যি। তবে, কাজ চলছে, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।   বিজেপির দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুই বলেন, দল নোংরা, তাই জলও নোংরা। দলেরই কোন স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নেই তাহলে স্বচ্ছ জল (Water)  মিলবে কীভাবে? আর কয়েক মাস পরেই পুরসভা নির্বাচন হবে। তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। তারপরেই স্বচ্ছতা কাকে বলে বিজেপি দেখাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share