Tag: wb

wb

  • SSC: অযোগ্যদের নিয়োগ ‘কবুল’, ৩ হাজার ৫১২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    SSC: অযোগ্যদের নিয়োগ ‘কবুল’, ৩ হাজার ৫১২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডির অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সব মিলিয়ে ওই তালিকায় নাম রয়েছে ৩ হাজার ৫১২ জনের (Tainted Staff)। সোমবার সন্ধে ৭টার পর এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।

    অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ (SSC)

    এদিনই এসএসসির তরফে প্রকাশ করা হয় গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডির জন্য আলাদা অযোগ্যদের তালিকা। এসএসসির তরফে প্রকাশিত ওই তালিকায় গ্রুপ-সিতে ১ হাজার ১৬৩ জন এবং গ্রুপ-ডিতে ২ হাজার ৩৪৯ জন অযোগ্যের নাম রয়েছে। এঁদের মধ্যে গ্রুপ-সিতে ওএমআর শিটে জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছিলেন ৭৮৩ জন। সুপারিশপত্র ছাড়া চাকরি পেয়েছিলেন ৫৭ জন অযোগ্য। গ্রুপ-ডির তালিকায় দাগি রয়েছেন ১ হাজার ৭৪১ জন। ওএমআর শিটে জালিয়াতির পাশাপাশি র‌্যাঙ্ক জাম্পেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। অযোগ্যদের নাম ও রোল নম্বর দিয়ে তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। এদিনের তালিকায় যাঁদের নাম প্রকাশিত হয়েছে, তাঁরা আর স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডির নয়া নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

    নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর গত অগাস্ট মাসে অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করেছিল এসএসসি। নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৮০৪জনের নাম ছিল ওই তালিকায়। এবার গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডির অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি (SSC)। এই তালিকা প্রকাশ করে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্তদের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল কমিশন। শীর্ষ আদালতের রায়ে গত ৩ এপ্রিল চাকরি খুইয়েছিলেন ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। পুরানো প্যানেল বাতিল করে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এজন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সময়ও। সেই সব নিয়ম মেনেই আপাতত চলছে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। এবার পালা শিক্ষাকর্মী নিয়োগের। এই মর্মে ১০ অক্টোবরহ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছিল এসএসসি। আবেদনপত্র জমা নেওয়া শুরু হয়েছে সোমবার থেকে, চলবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে এতে অংশ নিতে পারবেন না দাগিরা।

    উল্লেখ্য, এই দাগিদের (Tainted Staff) তালিকায় রয়েছেন কোচবিহারের তৃণমূল যুব সভাপতি, বাঁকুড়ার তৃণমূল বুথ সভাপতি, শিলিগুড়ির যুব তৃণমূল নেতা, দুর্গাপুরের তৃণমূল শ্রমিক নেতার ছেলে। তৃণমূল কর্মী কিংবা তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনের নামও ওই তালিকায় রয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর (SSC)।

  • Kerala: ‘রাজ্যে চরম দরিদ্র মানুষ নেই’, কেরল সরকারের ঘোষণায় সমালোচনার ঝড়

    Kerala: ‘রাজ্যে চরম দরিদ্র মানুষ নেই’, কেরল সরকারের ঘোষণায় সমালোচনার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাজ্যে কোনও চরম দরিদ্র মানুষ নেই।’ গত ৩১ অক্টোবর এমনই দাবি করেছিল কেরল (Kerala) সরকার। পরের দিন, রাজ্য গঠন দিবসেও বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে সেটি ফের জানানো হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। এদিন বলা হয় (Data Manipulation), যে কেরল এক সময় দেশে দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যায় শীর্ষে ছিল, সেই রাজ্যই এখন হয়ে গিয়েছে চরম দারিদ্রমুক্ত রাজ্য। ওই দিনই সন্ধেবেলায় সরকার তিরুবনন্তপুরমে তাদের এই দাবির প্রচারের জন্য একটি বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে যোগ দেন জনপ্রিয় মালয়ালম অভিনেতা মাম্মুটি। যদিও অনুষ্ঠানে যোগ দেননি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা মোহনলাল এবং সেরা অভিনেতার পুরস্কারজয়ী কমল হাসান।

    এলডিএফের ঘোষণা (Kerala)

    কেরলের ক্ষমতায় রয়েছে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোট এলডিএফ। তারাই ঘোষণাটি করেছে। তার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেরল সরকারের এই ঘোষণাটি একটি স্রেফ ফাঁপা বুলি। যদিও স্থানীয় স্বশাসনমন্ত্রী এমবি রাজেশ বিরোধীদের সমালোচনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, চরম দারিদ্র্যের মধ্যে থাকা পরিবারগুলিকে সরকার স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শনাক্ত করেছে। সমাজবিজ্ঞানীরা অবশ্য সরকারের এহেন দাবির (চরম দারিদ্রমুক্ত রাজ্য) সমালোচনায় সরব হয়েছেন।

    খোলা চিঠিতে প্রশ্ন

    কমবেশি ২০ জন অর্থনীতিবিদ ও সামাজিক কর্মীর স্বাক্ষরিত একটি খোলা চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, রাজ্য সরকার যে প্রক্রিয়ায় ৬৪ হাজার ৬টি পরিবারকে চরম দারিদ্র্যপীড়িত হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তা কতটা বিশ্বাসযোগ্য, এবং কোন কোন মানদণ্ডের ভিত্তিতে সরকার ঘোষণা করল যে চরম দারিদ্র্য বিভাগে আর কোনও পরিবার নেই! ওই চিঠিতে যাঁরা সই করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সমাজবিজ্ঞানী তথা অধ্যাপক আরভিজি মেনন এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ কেপি কান্নানও। ওই চিঠিতে কেরল সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে, চরম দারিদ্র্যপীড়িত মানুষদের শনাক্ত করার জন্য যে সমীক্ষা করা হয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য যেন সরকার প্রকাশ করে (Kerala)। স্বাক্ষরকারীদের প্রশ্ন, রাজ্যের ১.১৬ লাখ আদিবাসী পরিবার এবং অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার আওতায় থাকা ৫.৯২ লাখ মানুষ কি সত্যিই চরম দারিদ্র্যের বাইরে চলে গিয়েছেন? চরম দারিদ্র্য যে অতীত হয়েছে, এই দাবি প্রমাণের নির্ভরযোগ্য তথ্যই বা কী (Data Manipulation)? চরম দারিদ্র্য নির্মূল প্রকল্পের জন্য কোন সংস্থা তথ্য সংগ্রহ করেছে? সরকার কি আনুষ্ঠানিকভাবে মাত্র ৬৪ হাজার ৬টি পরিবারকেই চরম দারিদ্র্য অবস্থায় খুঁজে পেয়েছে? তাঁদের আশঙ্কা, চরম দারিদ্র্য বিভাগের জন্য যে সব পরিবার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে, তাদের অনেকেই এই তালিকা থেকে বাদ পড়ে যেতে পারে।

    বিজেপির তোপ

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন, “এই ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী-নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের একটি নির্বাচনী চাল ছাড়া আর কিছুই নয়। সরকারের প্রকাশ করা পরিসংখ্যানে অসংখ্য বিরোধাভাস রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের নথি অনুযায়ী, দারিদ্র্য দূরীকরণে কেরল (Kerala) সব চেয়ে পিছিয়ে থাকা রাজ্য। গত সাড়ে ন’বছরে সরকার কিছুই করেনি। আর এখন নানাভাবে নাটক করে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে।” বিজেপিরই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এমটি রমেশ সরকারের এই ঘোষণাকে নিছক মিথ্যাচার বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “কোন মানদণ্ড ব্যবহার করে এই সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। গত সেপ্টেম্বর মাসে মন্ত্রী জিআর অনিলকুমার বিধানসভায় বলেছিলেন (Data Manipulation) যে রাজ্যে ছ’লাখ দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা মানুষ রয়েছেন। তাহলে সরকার কীভাবে এত দ্রুত এত বিশাল সংখ্যক মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করল? নীতি আয়োগের নথি অনুযায়ী, রাজ্যে এখনও বিপুলসংখ্যক মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছেন।” কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালও বলেন, “সরকারের এই ঘোষণা নিছকই পিআর স্টান্ট। তারা ক্ষুধার্ত মানুষদের নির্বাচনী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে (Kerala)।”

  • SIR: বাংলা-বিহার দুই রাজ্যেরেই ভোটার ভোটকুশলী পিকে! হলটা কী ‘SIR’?

    SIR: বাংলা-বিহার দুই রাজ্যেরেই ভোটার ভোটকুশলী পিকে! হলটা কী ‘SIR’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ভোটকুশলী। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ‘কৌশল’ বেচে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে জেতানোয় তাঁর নাকি (SIR) দারুন হাতযশ! আদতে বিহারের বাসিন্দা এই প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) ওরফে পিকে-কে ২০১৪ সালে বাংলায় ডেকে নিয়ে এসেছিলেন কালীঘাটের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সদস্য তথা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। উদ্দেশ্য ছিল, বাংলায় তৃণমূলকে ভোট-বৈতরণী পার করে দেওয়া। জনশ্রুতি এই যে, পিকের সংস্থার দাওয়াইয়ের জেরেই পর পর দু’বার ক্ষমতায় এসে টানা তিনবার মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে রয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি ‘জন সুরাজ পার্টি’ নামে নিজে একটি দলও খুলেছেন পিকে। আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে গুচ্ছের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট-ময়দানে নেমেও পড়েছে তাঁর দল। এহেন পিকেই ফের একবার চলে এলেন খবরের শিরোনামে। না, রাতারাতি বিরাট কিছু করে ফেলেননি তিনি। তবে বাংলায় এসআইআরের ঢাকে কাঠি পড়তেই ‘মুখোশ’ খুলে পড়েছে এই ভোটকুশলীর।

    বাংলায় এসআইআর (SIR)

    ফেরা যাক খবরে। ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে এসআইআর করতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কেবল এ রাজ্যেই নয়, গোটা দেশেই, যে প্রক্রিয়ার নান্দীমুখ হয়ে গিয়েছে পড়শি রাজ্য বিহারে। সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন বাংলায় এসআইআরের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন। রাত ১২টায় ফ্রিজ করে দেওয়া হয় ভোটার তালিকা। তার পরেই দেখা গেল, কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়েছে কেউটে! জানা গেল, বাংলা এবং বিহার দু’রাজ্যেরই ভোটার তালিকায় জ্বলজ্বল করছে ভোটকুশলীর নাম! পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা অনুযায়ী, তিনি কলকাতার বাসিন্দা। ঠিকানা ১২১, কালীঘাট রোড। এই ঠিকানাটি আবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের শীর্ষ কমান্ডার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর এলাকার মধ্যে পড়ে। প্রশান্ত কিশোরের নাম রয়েছে বিহারের করহাগর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায়ও। ওই রাজ্যে তাঁর ভোটকেন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কোনার। এই গ্রামই প্রশান্ত কিশোরের পৈতৃক গ্রাম।

    একই সঙ্গে দুই রাজ্যের ভোটার পিকে

    অর্থাৎ একই প্রশান্ত কিশোর একই সঙ্গে দুই রাজ্যের (SIR) ভোটার। একটি রাজ্যে লড়ছে তাঁর দল, আর একটি রাজ্যে তৃণমূলকে জেতাতে মরিয়া তাঁরই হাতে গড়া সংস্থা আই-প্যাক। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানতে চেয়েছে, প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) কি নাম কাটার জন্য আবেদন করেছিলেন? বিষয়টি ইচ্ছাকৃত কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে কমিশন। উল্লেখ্য, কোনও একজন ভোটারের একই সঙ্গে দুই জায়গার ভোটার তালিকায় নাম থাকা নিয়ম বহির্ভূত।

    পিকের টিমের বক্তব্য

    একই সঙ্গে দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম থাকার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি পিকে স্বয়ং। তবে তাঁর টিমের এক সদস্য বলেন, “বঙ্গের ভোট শেষ হওয়ার পরই তিনি ভোটার হন বিহারের। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে।” তবে সেই আবেদন বর্তমানে কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা স্পষ্ট নয় (SIR)। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বিনোদ সিং গুঞ্জিয়াল।

    কী বলছে আইন

    প্রসঙ্গত, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫০ এর ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় নাম রাখতে পারেন না। ১৮ নম্বর ধারায়ও বলা হয়েছে, একই কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় একাধিকবার নাম তোলা আইন বিরুদ্ধ। তবে, কোনও ভোটার বাসস্থান পরিবর্তন করলে তিনি ফর্ম ৮ পূরণ করে নয়া ঠিকানার ভোটার তালিকায় তাঁর নাম স্থানান্তর করতে পারেন (SIR)। নির্বাচন কমিশনের মতে, দেশে একাধিক জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম থাকা নতুন কিছু নয় (Prashant Kishor)। এই কারণেই নির্বাচন কমিশন চালু করেছে এসআইআর, যার নান্দীমুখ হয়ে গিয়েছে বিহারে। কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বিহারের ভোটার তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ৬৮.৬৬ লাখ নাম। এর মধ্যে ৭ লাখ ভোটারের নামই ছিল একাধিক জায়গার ভোটার তালিকায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য লেখেন, “জন সুরাজের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোরের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার — দুই জায়গায়ই… আরও তাৎপর্যপূর্ণ হল, রাহুল গান্ধীর সব সহযোগীরাই ‘ভোট চুরি’তে জড়িত। এই কপটতা বিস্ময়কর।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    কলকাতার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতৃবধূ কাজরি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “১২১, কালীঘাট রোড আমাদের দলীয় কার্যালয়। প্রশান্ত কিশোর তখন এখানে কাজ করতেন এবং প্রায়ই থাকতেন। তবে তিনি এখান থেকে ভোটার হিসেবে নাম তুলেছেন কিনা, তা জানি না (SIR)।” রাজনৈতিক মহলের মতে, কাজরি না জানলেও, বিষয়টি নিশ্চিত জানতেন তৃণমূলের সর্বময় কর্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জানতেন পিকের টিমের সদস্যরা। তাছাড়া, পার্টি অফিসের ঠিকানা (Prashant Kishor) দেখিয়ে যে কোনও ‘গৃহস্থে’র নাম (পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী এবং পার্টি অফিসই যাঁর ঘর, তাঁদের কথা অবশ্য আলাদা) ভোটার তালিকায় তোলা যায়, তা দেখিয়ে দিলেন (SIR) ভোটকুশলী স্বয়ং।

    এটাও কি ভোটকৌশলেরই অঙ্গ ‘SIR’?

  • SIR: বাংলায় শুরু এসআইআর, জেনে নিন ভোটার তালিকায় নাম রাখতে গেলে যা করতে হবে

    SIR: বাংলায় শুরু এসআইআর, জেনে নিন ভোটার তালিকায় নাম রাখতে গেলে যা করতে হবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, মঙ্গলবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) শুরু গিয়েছে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন, সংক্ষেপে এসআইআরের (SIR) কাজ। এই এসআইআরের চূড়ান্ত তালিকা ধরেই আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন করতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সোমবারই বিকেলে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরু হবে ২৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার থেকে। এর পরেই উঠছে নানা প্রশ্ন। এসআইআর হলে কী কী নথির প্রয়োজন? কাদের নাম তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে? কারাই বা অবৈধ ভোটার?

    ‘এনুমারেশন’ ফর্ম (SIR)

    কমিশন সূত্রে খবর, এসআইআরের জন্য রাজ্যের প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে পৌঁছে যাবে ‘এনুমারেশন’ ফর্ম। ফর্ম পৌঁছে দেবেন বুথ লেভেল অফিসার, সংক্ষেপে বিএলওরা। এই ফর্মের সঙ্গেই কমিশনের বেঁধে দেওয়া নথি জমা দিতে হবে। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের কোনও নথিই দিতে হবে না। ওই তালিকায় নাম থাকলেই এসআইআরে তাঁদের নাম উঠে যাবে। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, ১১টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি এবং ২০০২ সালের তালিকায় বাবা অথবা মায়ের নাম রয়েছে, তা প্রমাণ করতে পারলেই নাম উঠবে নয়া তালিকায়।

    যে সব নথির প্রয়োজন

    কমিশন নির্দিষ্ট যে ১১টি নথির প্রয়োজন, সেগুলি হল কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন কিংবা পেনশন পান এমন পরিচয়পত্র, ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া যে কোনও নথি, জন্মের শংসাপত্র, পাসপোর্ট, মাধ্যমিক বা তার অধিক কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র, রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের শংসাপত্র, ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট, জাতিগত শংসাপত্র, কোনও নাগরিকের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া পারিবারিক রেজিস্ট্রার এবং জমি কিংবা বাড়ির দলিল। এর বাইরেও এমন কোনও নথি যা নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারে, তাও গ্রহণ করা হবে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো আধারকার্ড দেখানো গেলেও, তাকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ধরবে না কমিশন (SIR)। অর্থাৎ, আধারের পাশাপাশি উপরের ১১টির মধ্যে যে কোনও একটি দেখাতে হবে। এখনকার ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের জন্য দু’টি করে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হবে। এই ফর্মে ভোটারের এপিক (West Bengal) নম্বর, নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ-সহ ৯০ শতাংশ তথ্য ছাপা থাকবে। এই সব ফর্ম ভোটারদের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন বিএলওরা। ফর্মের বাকি অংশ পূরণ করে উপযুক্ত নথি-সহ একটি দিয়ে দিতে হবে বিএলওকে, অন্যটি থাকবে ভোটারের কাছে।

    নাম বাদ যাবে

    প্রশ্ন হল, কাদের নাম বাদ যাবে? মৃত এবং ভুতুড়ে ভোটারের নাম বাদ যাবে প্রথমেই। ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে পরিবারের কারও নাম নেই এবং সংশ্লিষ্ট ভোটার ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ, তাঁর নাম বাদ যেতে পারে। যাঁরা অন্যত্র চলে গিয়েছেন কিংবা যাঁদের নাম দু’টি এপিক নম্বরে দু’জায়গায় রয়েছে, তাঁদের নাম এক জায়গা থেকে বাদ পড়বে। কারচুপি করে তালিকায় নাম তোলা ব্যক্তিরা ‘অবৈধ ভোটার’। ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে না পারলে বাদ পড়বে এদের নামও।

    নতুন করে নাম তোলা

    প্রশ্ন হল, নতুন করে নাম তোলা যাবে কিনা? নতুন নাম অবশ্যই তোলা যাবে। যাঁদের ভোটার তালিকায় নাম নেই, তাঁদের নতুন করে ওই তালিকায় নাম তোলাতে হবে। এঁরা অবশ্য এনুমারেশন ফর্ম পাবেন না। কমিশনের ৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করে নথিভুক্ত করতে (West Bengal) হবে নাম। কমিশনের আগের বেঁধে দেওয়া নিয়মেই তোলা যাবে নতুন করে নাম (SIR)।

    ভোটার লিস্ট

    প্রশ্ন হল, ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট কোথায় মিলবে? সিইও দফতরের ওয়েবসাইটে ওই লিস্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সময়কার বিধানসভা এলাকা অনুযায়ী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। এবার সেখান থেকেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্র মিলিয়ে নাম রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে পারবেন ভোটাররা। ভোটাররা প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সাহায্য নিতে পারবেন।

    প্রশিক্ষণের কাজ শুরু 

    মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণের কাজ, চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। ৪ নভেম্বর থেকে পরবর্তী এক মাস ধরে চলবে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া-নেওয়ার কাজ। ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। কোনও সমস্যা হলে অভিযোগ জানানো যাবে আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই পর্বেই শুরু হয়ে যাবে বাড়ি বাড়ি ভেরিফিকেশনের কাজ। এই কাজ শুরু হবে ৯ ডিসেম্বর থেকে, চলবে নতুন বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা (SIR)।

    ম্যাপিংয়ের কাজ

    বর্তমানে বাংলায় ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৬৫ লাখ। ২০০২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৫৮ লাখ। অর্থাৎ ভোটার (West Bengal) বেড়েছে তিন কোটির কিছু বেশি। এর ওপর ভিত্তি করেই এসআইআর করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ২০০২ সালের সঙ্গে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। দুই তালিকায়ই যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা ম্যাপিংয়ের আওতায় আসছেন। এই অর্থ হল, এই ভোটারদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যে ভারতীয়, সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত কমিশন। তাঁদের নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে কোনও নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই (SIR)।

    শেষবার এসআইআর

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সালে, বাম জমানায়। সেবারের সংশোধিত তালিকার (SIR) সঙ্গে রাজ্যের ভোটার তালিকার ম্যাপিংয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এই এসআইআর করেই সব ভোটারের নাম নতুনভাবে নথিভুক্ত করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন এসআইআর করতেই পারে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে রাজ্য তথা দেশের ভোটার তালিকায় কোনও ভুয়ো ভোটার বা ভুতুড়ে ভোটার বা একই নামের ভোটার দু’জায়গায় রয়েছেন কিনা কিংবা তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে কেউ মারা গিয়েছেন কিনা – এসবই সংশোধন করার এক বিশেষ প্রক্রিয়াই হল এসআইআর।

    এসআইআরে অংশ না নিলে?

    প্রশ্ন হল, এসআইআরে অংশ না নিলে কী সমস্যা হতে পারে? জানা গিয়েছে, এসআইআর হলে ২০২৬ সালে যে নয়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন, তাতে নাম থাকবে না। স্বাভাবিকভাবেই তিনি অংশ নিতে পারবেন না ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে, তাতে নাম রাখতে গেলে অংশ নিতেই হবে এসআইআর প্রক্রিয়ায় (SIR)।

    বাদ পড়তে পারে ১ কোটি নাম

    পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হলে বাদ পড়তে পারে প্রায় এক কোটি নাম। যদিও এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য কমিশনের কাছে নেই। তবে কমিশনের আধিকারিকদের একাংশের অনুমান, নয়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে কমবেশ এক কোটি নাম। তাঁদের যুক্তি, ২০০২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বছরের হিসেব ধরলে মৃত এবং অন্যত্র চলে গিয়েছেন, এমন ভোটারের সংখ্যা অন্তত ৭৫ লাখ। এর সঙ্গে গত ২৩ বছরে অবৈধ ভোটারের সংখ্যাটা যোগ করলে দেখা যাবে বাদের খাতায় (West Bengal) নামের গণ্ডী ছাড়িয়েছে কোটির ঘর। যদিও এটা নিছকই অনুমান মাত্র। কমিশনের দেওয়া তথ্য নয়।

    কমিশন সূত্রে খবর, বিএলও নিয়োগ নিয়ে কিছু অসুবিধা থাকলেও, বাকি সব প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে বলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সিইও মনোজ আগরওয়াল (SIR)।

  • SIR: “পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার দায়বদ্ধতার কথা জানে, পালনও করবে”, বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    SIR: “পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার দায়বদ্ধতার কথা জানে, পালনও করবে”, বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে এসআইআর (SIR)। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ তথা তৃণমূলের আপত্তি নিয়ে এদিন কমিশনের (Election Commission) সাংবাদিক বৈঠকেই প্রশ্ন উঠেছিল। তবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এখনই কোনও চাপানউতোর বা বিতর্কে ঢুকতে চাননি। শুধু আইনের একটি ধারার কথা মনে করিয়ে দেন।

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য (SIR)

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ব্যাপারে প্রশ্ন নিয়ে একটা কথাই বলতে চাই – ভারতের সংবিধানের ৩২৪ (৬) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি বা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্যপাল নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী নির্বাচন কমিশনারের কাছে সরবরাহ করতে বাধ্য। এই কর্মীরা নির্বাচন পরিচালনা, ভোটার তালিকা প্রস্তুত ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত থাকেন। আবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার দায়িত্ব রয়েছে রাজ্য সরকারের। আমি মনে করি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই দায়বদ্ধতার কথা জানে, এবং তা পালন করবে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এসআইআর প্রক্রিয়া বাংলায় শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। এ ব্যাপারে নীতিগতভাবে আপত্তি জানাচ্ছে বাংলায় শাসক দল তৃণমূল। জোড়াফুলের সাংসদদের একাংশ এবং তৃণমূলের কিছু নেতাও এসআইআর নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “নির্বাচন কমিশনের অরাজনৈতিক নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা উচিত। বিজেপির প্রভাবে কোনওভাবে প্রভাবিত হয়ে যদি কোনও বৈধ ভোটারকে বাদ দিতে চান, তখন সাংবিধানিকভাবে তার প্রতিবাদ হবে।”

    কুণালের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে (SIR) বিজেপির মুখপাত্র জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল এখন যে কথা বলছে, তাতে একটা কথাই বলতে পারি, এসআইআর নিয়েও পাল্টি খেল তৃণমূল। গতকাল পর্যন্ত তৃণমূলের অবস্থান ছিল, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর করতে দেব না। আর আজ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের ঘোষণার পর তৃণমূল বলছে, এসআইআর নিয়ে বিজেপির প্ররোচনায় পা দেবেন না। তার মানে আইন মেনে এসআইআরে অংশ নিচ্ছে। বিজেপি কোনওদিন এসআইআর নিয়ে প্ররোচনা দেয়নি (Election Commission)। বিজেপি বলেছে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, অবৈধ ভোটারের নাম বাদ দিতে হবে (SIR)।”

  • ECI: মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে শুরু এসআইআর, জানুন কীভাবে সম্পন্ন হবে এই প্রক্রিয়া

    ECI: মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে শুরু এসআইআর, জানুন কীভাবে সম্পন্ন হবে এই প্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে যাচ্ছে বিশেষ নিবিড় সংশোধন, সংক্ষেপে এসআইআর-এর (SIR) কাজ। আগেই জানা গিয়েছিল, সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এসআইআরের সময়সূচি ঘোষণা করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। প্রথম পর্যায়ে তারা ঘোষণা করেছিল বিহারে এসআইআরের কাজের নির্ঘণ্ট। তার কারণ, নভেম্বরেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে সে রাজ্যে।

    কোন কোন রাজ্যে এসআইআর (ECI)

    এদিন দ্বিতীয় দফায় ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআরের দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। যে সব রাজ্যে আগামী বছরেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, সেই সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর হবে আগে। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হওয়ার কথা মার্চের শেষাশেষি, তাই মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে শুরু হয়ে যাবে এসআইআর প্রক্রিয়া। এই তালিকায় রয়েছে তামিলনাড়ু, কেরল, অসম এবং পুদুচেরির নামও। এদিন বিকেল ৪টে ১৫মিনিট নাগাদ দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, সফল হয়েছে প্রথম দফার এসআইআর। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরু হবে মঙ্গলবার থেকে।

    এসআইআরের মূল উদ্দেশ্য

    এসআইআরের মূল উদ্দেশ্যগুলির একটি হল (ECI), অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত ও অপসারণ করা। এজন্য ভোটারদের জন্মস্থান যাচাই করার কাজেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে যেসব অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ভারতে ঢুকেছে, তাদের বিরুদ্ধেই তৎপরতা চালানো হচ্ছে (SIR)। এদিনের বৈঠকে কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জানুয়ারি মাসের মধ্যেই এই এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে এই দফায় এসআইআর প্রক্রিয়া চালু হতে চলেছে। তবে অসমে এই পর্বে এসআইআর হচ্ছে না। সেখানে এসআইআর হবে আলাদা করে।

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “এসআইআরের দায়িত্ব বৈধদের রাখা, অবৈধদের বাদ দেওয়া। আর যে কোনও নির্বাচনের আগে এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিহারে এসআইআর সফল হয়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ বা আবেদন আসেনি।” এসআইআরের সময় প্রথমে এনুমারেশন ফর্ম প্রিন্ট করা হবে। যে রাজ্যে এসআইআর হবে, সেখানকার ভোটারদের সূচি সোমবার রাত ১২টায় ফ্রিজ করে দেওয়া হবে। সেই সূচিতে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের ওই ফর্ম দেওয়া হবে। বিহারের মতো আধার কার্ডকেও পরিচয়পত্র হিসেবে মান্যতা দেওয়া হবে। যদিও আধার কখনওই নাগরিকত্ব ও জন্ম তারিখের প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে না (SIR)।

    মঙ্গলবার শুরু প্রশিক্ষণের কাজ

    মঙ্গলবার থেকে (ECI) শুরু হবে প্রশিক্ষণের কাজ। চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। তার পরের দিন থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া ও জমা নেওয়ার কাজ চলবে। ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। ২০২৬ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নেওয়া হবে অভিযোগ। এই পর্বেই শুরু হয়ে যাবে বাড়ি বাড়ি ভেরিফিকেশনের কাজ। যা চলবে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। জানা গিয়েছে, আগামী ১ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে যাবেন বুথ লেভেল অফিসার, সংক্ষেপে বিএলওরা। এই ফর্মের সফট কপি ইআরও পোর্টালে আগেই তুলে দেবে কমিশন। পরে সেগুলি যাবে ছাপার জন্য। একজন ভোটারের জন্য দু’টো করে এনুমারেশন ফর্ম ছাপানো হবে।

    এনুমারেশন ফর্ম

    বর্তমানে বাংলায় ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৬৫ লাখ। এনুমারেশন ফর্মগুলি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবেন বিএলওরা। এই ফর্মে ভোটারের নাম, এপিক নম্বর, ঠিকানা, জন্মতারিখ-সহ বেশিরভাগ তথ্য ছাপা থাকবে। ফর্মের বাকি অংশ পূরণ করে উপযুক্ত নথি-সহ জমা দিতে হবে। দু’টি ফর্মের মধ্যে একটি থাকবে সংশ্লিষ্ট ভোটারের কাছে, অন্যটি নিয়ে যাবেন বিএলওরা। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, বিহারের মতোই এ রাজ্যেও বর্তমানে ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা সবাই এনুমারেশন ফর্ম পাবেন (ECI)। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সালে, বাম জমানায়। সেবারের সংশোধিত তালিকার (SIR) সঙ্গে রাজ্যের ভোটার তালিকার ম্যাপিংয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এসআইআর করে সব ভোটারের নাম নতুনভাবে নথিভুক্ত করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন এসআইআর করতেই পারে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে রাজ্য তথা দেশের ভোটার তালিকায় কোনও ভুয়ো ভোটার বা ভুতুড়ে ভোটার বা একই নামের ভোটার দু’জায়গায় রয়েছেন কিনা কিংবা তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে কেউ মারা গিয়েছেন কিনা – এসবই সংশোধন করার এক বিশেষ প্রক্রিয়া হল এসআইআর।

    এসআইআর হলে বিপাকে পড়বে তৃণমূল!

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হলে বিপাকে পড়বে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ শাসক দলের নেতাদের একাংশকে হাত করে বিভিন্ন আইডি প্রুফ সংগ্রহ করে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছে বহু বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গা। বাম আমলে ২০০২ সালের পরে দলে দলে এদের পশ্চিমবঙ্গে ঠাঁই দেওয়া হলেও, সময় যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা। বিরোধীদের মতে, এদের ভোটেই পুষ্ট হয়েছে শাসক দল। তাই এসআইআরের মাধ্যমে এদের ছাঁটাই করতে পারলেই কেল্লাফতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই একই ভয় পাচ্ছে রাজ্যের শাসক দলও। গদি খোয়াবার ভয়ে তারা সোচ্চার হয়েছে এসআইআরের বিরুদ্ধে। এসআইআর নিয়ে অপপ্রচারও চালানো (SIR) হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    এখন দেখার, এ রাজ্যে এসআইআর নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় কিনা (ECI)!

  • Calcutta High Court: “রাজ্যে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে?” পশ্চিমবঙ্গের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “রাজ্যে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে?” পশ্চিমবঙ্গের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কাছে মুখ পুড়ল রাজ্যের! রাজ্যের সব আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের। রাজ্যের উচ্চ ও নিম্ন আদালতগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন খাতে পর্যাপ্ত অর্থের বরাদ্দ নিয়ে আরও একবার আদালতের ক্ষোভের মুখে পড়ল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার (West Bengal Govt)। এর আগেও মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ভর্ৎসনা করেছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।

    অর্থ চেয়েও না মেলায় ক্ষোভ আদালতের (Calcutta High Court)

    পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ প্রয়োজনীয় নানা কাজে অর্থ চেয়ে রাজ্যের দ্বারস্থ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসন। অর্থের জন্য হন্যে হলেও, অর্থ তো মেলেইনি, বরং এ সংক্রান্ত অন্তত ৫৩টি ফাইল আটকে রয়েছে। এর সমাধান হওয়া তো দূর অস্ত, পেপারলেস অবস্থায় চলছে আদালতের কাজকর্ম। হাইকোর্ট এবং জেলা আদালতগুলিতে প্রয়োজনীয় কর্মী নেই। লাখ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে যে  সংস্থা আদালতে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়েছে, তাদের। এনিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। তার পরেও পরিস্থিতি যথা পূর্বং, তথা পরং। পুজোর ছুটির মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যের অর্থ দফতরের সচিবের বৈঠকে সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আদালতের তরফে। তাতেও সুরাহা হয়নি। এদিকে সোমবার রাজ্যের পক্ষে ফের সময় চাওয়া হয়। এর পরেই ক্ষোভ উগরে দেন দেবাংশু বসাক এবং মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।

    কী বলছে আদালত

    বিচারপতি বসাক বলেন, “বিএসএনএলের তিন বছরের বিল বাবদ বাকি ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। হাইকোর্টের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিলে কী হবে? আজ সরকারি ছুটি মানেই তো আর ইন্টারনেট হলি-ডে নয়! রাজ্য কি কনসলিডেলেট ফান্ড রিজার্ভ ব্যাঙ্কে রাখে? তাহলে তার অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন। অ্যাটাচ করে দেব। সব লেনদেন বন্ধ রাখুন তাহলে! আরবিআইকে বলছি লেনদেন বন্ধ করতে।” তিনি বলেন, “রাজ্যের প্রশাসনিক (Calcutta High Court) মাথা, মুখ্যসচিব, অর্থসচিব – তাঁরা এক মাসেও কিছু করতে পারলেন না। রাজ্যের ভূমিকায় আমরা বাকরুদ্ধ। আমরা এগুলি রাজ্যের নজরে আনছি।” এই মামলায় এর আগে দু’বার (West Bengal Govt) ভার্চুয়াল হাজিরা দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি বসাক বলেন, “উনি (মুখ্যসচিব) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার পরেও কেন টাকা দেওয়া হল না?” এর পরেই তিনি বলেন, “রাজ্যে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে? আপনারা তো প্রথম লাইনেই মিথ্যে কথা বলছেন!” প্রসঙ্গত, বছর তিনেক ধরে বকেয়া থাকায় ৩৬টি প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে। মেটানো হয়নি বিএসএনের প্রাপ্য বকেয়া বিলও।

    রাজ্য সরকার মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছে!

    বেঞ্চের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “হাইকোর্টের কাজে অর্থ বরাদ্দ করা কি প্রশাসনিক কাজের মধ্যে পড়ে না? গত তিন বছর যথেষ্ট সময়। বিল দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি? দেখে তো মনে হচ্ছে শামুক আর কচ্ছপের দৌড় প্রতিযোগিতা হচ্ছে।” বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, “এই যদি হাইকোর্টের অবস্থা হয়, তাহলে নিম্ন আদালতগুলির কী অবস্থা!” এদিন রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানান, ৬০ লাখ টাকা মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ৩০ তারিখের মধ্যে (West Bengal Govt) বাকি টাকা দেওয়া হবে। অর্থ দফতরের আধিকারিক বলেন, “আমরা দু’দিনের মধ্যে অর্ধেক টাকা মিটিয়ে দিচ্ছি।” বিচারপতি (Calcutta High Court) বসাকের ফের প্রশ্ন, “কেন দু’দিন সময় লাগবে? এখন তো সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাঠানো যায়!” রাজ্যের তরফে জানানো হয় রাজ্য সরকারের ছুটি রয়েছে। এর পরেই বেঞ্চ বলে, “এখন তো অনলাইনেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া যায়। ছুটি বলে তো আর ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ নয়! আদালত মনে করে, রাজ্য সরকার এই বিষয়ে মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছে।”

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন

    এদিন শুনানির সময় আদালতে হাজির ছিলেন রাজ্যের অর্থ দফতরের এক আধিকারিক। বেঞ্চ তাঁর কাছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর জানতে চাইলে তিনি জানান, আরবিআইয়ের অ্যাকাউন্ট নম্বর জানা নেই তাঁর। এর পরেই আদালত (Calcutta High Court) বলে, “আমরা বসে আছি। এখনই মুখ্যসচিবকে ফোন করে অ্যাকাউন্ট নম্বর জেনে জানান।” এদিন রাজ্যের তরফে উপস্থিত আইনজীবী বলেন, “দয়া করে একটু সময় দেওয়া হোক। বিলের ২.৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।” বেঞ্চের প্রশ্ন, “কিন্তু সেই টাকা কি আদৌ আদালতের হাতে এসেছে?”

    আদালতের নির্দেশ

    এর পরেও রাজ্যের তরফে এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১০ নভেম্বর। বেঞ্চের নির্দেশ, তার আগে ২৯ অক্টোবর এবং ৬ নভেম্বর বিষয়টি (West Bengal Govt) নিয়ে ফের বৈঠকে বসতে হবে রাজ্য এবং হাইকোর্ট (Calcutta High Court) প্রশাসনকে। মুখ্যসচিবের পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে হবে অর্থসচিবকেও।

  • BJP: সিএএ নিয়ে তৎপর বিজেপি, জনতার পাশে দাঁড়াতে বাংলায় হচ্ছে ৭০০ ক্যাম্প

    BJP: সিএএ নিয়ে তৎপর বিজেপি, জনতার পাশে দাঁড়াতে বাংলায় হচ্ছে ৭০০ ক্যাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হয়েছে দেশজুড়ে। তবে পশ্চিমবঙ্গের আমজনতা এ ব্যাপারে বিশেষ সচেতন নন। কেন আবেদন করবেন, কীভাবেই (CAA) বা করবেন, কোথায় আবেদন করবেন, অনেকেই তা জানেন না। মাস সাতেক পরে এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এবার এই বিষয়টি নিয়েই তৎপর হলেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। বুধবার সিএএ নিয়ে বিশেষ বৈঠক তথা কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএল সন্তোষ, অমিত মালব্যের মতো কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা। ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন পদ্ম সাংসদ, বিধায়ক এবং পদস্থ নেতৃত্ব। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুনীল বনশলও, ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেকেই।

    কী বললেন সন্তোষ? (BJP)

    বৈঠকে কেবল এসআইআর নয়, সিএএ-র ওপরও যাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেই বিষয়েও রাজ্য নেতৃত্বকে সচেতন করেন কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা। যত দ্রুত এবং যত বেশি সম্ভব আবেদনপত্র যাতে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, এদিন বিজেপি নেতৃত্বকে সে কথাই জানিয়েছেন সন্তোষ। জানা গিয়েছে, এদিন বিজেপির সল্টলেকের কার্যালয়ে বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল। পদ্ম শিবিরের ওই বৈঠক হয়েছে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে। সেখানে রাজ্যের ১৭টি জেলায় বিধানসভা ভিত্তিক সিএএ সহায়তা ক্যাম্প খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মতুয়া, উদ্বাস্তু মানুষদের ভিড় রয়েছে, যেমন, বনগাঁ, নদিয়া, এমন জেলাগুলির ওপর আলাদা নজরদারির কথা বলা হয়েছে। ওই বিধানসভাগুলির অধীনে থাকা প্রত্যেক মণ্ডলে তিনটি করে ক্যাম্প খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের ওপর এই দায়িত্ব বর্তেছে, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তাঁদের এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কারা এই কাজের দায়িত্ব পাচ্ছেন, কারা দায়িত্ব পাবেন, তার তালিকাও দিতে হবে।

    শমীকের বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “দেশ ভাগের সময় বা তার পরে যে পাপ করেছে কংগ্রেস, সেই পাপমুক্তি বা প্রায়শ্চিত্ত করছে বিজেপি। আমরা বাংলাদেশি উদ্বাস্তু হিন্দুদের পক্ষে। এটা আমাদের ঘোষিত অবস্থান। সেই জন্য আমরা ক্যাম্প করব, অর্থ সাহায্য করব। বিজেপি যতক্ষণ আছে, ততক্ষণ একজন উদ্বাস্তু হিন্দুর কেশাগ্রও কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।”

    ৭০০-এরও বেশি সিএএ ক্যাম্প

    জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে ৭০০-এরও বেশি সিএএ ক্যাম্প করতে চাইছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, সবে মাত্র হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বুধবারই বাড়ি ফিরেছেন শমীক (BJP)। চিকিৎসকদের পরামর্শে আরও কিছু দিন বিশ্রাম নিতে হবে তাঁকে। তাই তাঁর বাড়িই এখন তাঁর অফিসের পাশাপাশি দলেরও পার্টি অফিসও (CAA)। ফোন এবং অনলাইনে দফায় দফায় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। রাজ্যের পুরানো কর্মী, জেলা সভাপতি এবং বুথস্তরের এজেন্টদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকা নেতাদের সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল বৈঠকে শমীক এসআইআর নিয়ে সাফ জানিয়ে দেন, রাজ্যে এসআইআর চালু হয়ে গেলে এই কাজে দলের নেতা-কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এ সংক্রান্ত কোনও কাজে কোনওরকম ঢিলেমি করা চলবে না। কর্মীরা যেন এসআইআরকে একেবারে ‘ডু অর ডাই’ মিশন হিসেবে বিবেচনা করেন। কারণ এই কাজে কর্মীদের গাফিলতি হলে রাজ্যে সংগঠনের ভিত নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে।

    শমীকের বার্তা

    বিজেপির জন্য এ রাজ্যে এসআইআর সফলভাবে সম্পন্ন হওয়াটা যে ঠিক কতটা জরুরি, সেটা বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, “এ রাজ্যে এসআইআরের কাজ ঠিক মতো এগোচ্ছে কিনা, সেটা যদি নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর এবং সুসজ্জিত পার্টি অফিস আর থাকবে না। বিহারের পর এবার দেশজুড়ে যে কোনও দিন চালু হয়ে যেতে পারে এসআইআর।” ইতিমধ্যেই এসআইআর নিয়ে প্রাথমিক কাজ সেরে রাখছে রাজ্যগুলি। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের প্রায় ২৩ বছর পর (CAA) আবারও দেশে স্পেশাল ইনটেনশিভ রিভিশন করা হতে চলেছে (BJP)।

    সিএএ ক্যাম্প

    এদিনের বৈঠকে সিএএ ক্যাম্প কীভাবে পরিচালিত হবে, লোকেশন নির্বাচন, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় কীভাবে করা হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট পেতে যেসব সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যেমন, নথিপত্র ঘাটতি, ফর্ম ফিলাপে অসুবিধা, আবেদন প্রক্রিয়ায় জট, এগুলির সমাধানে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয় বলে খবর। রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির অগ্রগতি এবং সেগুলিকে জনমানসে তুলে ধরার রণকৌশল নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে বলে খবর (BJP)।

  • Adina Masjid: আদিনা মসজিদ কি মন্দির? নাকি এর পেছনেও রয়েছে অন্য গল্প?

    Adina Masjid: আদিনা মসজিদ কি মন্দির? নাকি এর পেছনেও রয়েছে অন্য গল্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ফের খবরের শিরোনামে পশ্চিমবঙ্গের মালদহের শতাব্দীপ্রাচীন আদিনা মসজিদ (Adina Masjid)। সম্প্রতি এই মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা সাংসদ তৃণমূলের ইউসুফ পাঠান। তার পরেই বয়ে যায় বিতর্কের ঝড়। সোশ্যাল মিডিয়া (Malda Mosque) ইউজারদের একাংশের দাবি, মসজিদটি আদতে একটি হিন্দু মন্দির। এক ইউজার লেখেন, “প্রিয় ইউসুফ পাঠান, আপনি দাঁড়িয়ে আছেন ভারতের অন্যতম বৃহৎ হিন্দু মন্দির – আদিনাথ মন্দিরের প্রাঙ্গনে, যা আক্রমণকারীরা ধ্বংস ও দখল করেছিল।” তিনি এর সঙ্গে এমন কিছু ছবিও যুক্ত করেন, যেখানে মন্দিরের ভেতরে হিন্দু মন্দিরের মতো বিভিন্ন নকশা ও খোদাই করা প্রতীক দেখা যায়।

    তীব্র বিতর্ক (Adina Masjid)

    এই কাঠামো নিয়ে প্রথম বিতর্ক তীব্র আকার ধারন করেছিল ২০২২ সালের মে মাসে। ওই সময় বিজেপি নেতা রথীন্দ্র বোস সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন “আদিনাথ মন্দিরটি এই আদিনা মসজিদের নীচে ঘুমিয়ে রয়েছে। জিতু সর্দার এই মন্দির রক্ষায় নিজের জীবন দিয়েছিলেন। এই ইতিহাস অনেকেই জানেন না।” ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তুঙ্গে পৌঁছয় বিতর্ক। ওই সময় হিন্দু পুরোহিত হিরন্ময় গোস্বামী একদল ভক্তকে নিয়ে পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ দফতরের (ASI) তালিকাভুক্ত আদিনা মসজিদ কমপ্লেক্সে পুজো করতে গিয়েছিলেন। পুরোহিতের দাবি, তিনি সেখানে একটি শিবলিঙ্গ ও অন্যান্য পবিত্র প্রতীকের সন্ধান পেয়েছিলেন। শেষমেশ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। ওই পুরোহিতের বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর।

    ইতিহাসবিদদের দাবি

    একাধিক ইতিহাসবিদ এবং পুরোহিতের দাবি (Malda Mosque), ইলিয়াস শাহি বংশের সুলতান সিকন্দার শাহ ১৩৭৩–৭৪ খ্রিষ্টাব্দে একটি বিশাল হিন্দু মন্দির ধ্বংস করেন। তার ধ্বংসাবশেষের ওপর নির্মাণ করেন আদিনা মসজিদ। এটি সেই সময় ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় মসজিদ হিসেবে পরিচিত ছিল। ঐতিহাসিক নথি অনুযায়ী, সুলতান সিকন্দার শাহ ১৩৬৩ থেকে ১৩৭৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলা শাসন করেন। মৃত্যুর অল্প আগে তিনি আদিনা মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন, যা পরবর্তীকালে বঙ্গ সুলতানাতের শক্তির প্রতীক হয়ে ওঠে (Adina Masjid)।

    মন্দির না মসজিদ

    বহু প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং স্থানীয় ইতিহাসবিদদের মতেও, এই মসজিদটি গড়ে উঠেছে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কাঠামোর ধ্বংসাবশেষ ব্যবহার করেই। এই দাবির সবচেয়ে প্রাচীন প্রমাণ মেলে মসজিদ কমপ্লেক্সের স্থাপত্য নিদর্শন থেকেই। এর ভিত্তি গঠিত হয়েছে ভারী ব্যাসাল্ট পাথরের গাঁথনিতে, যা প্রাচীন হিন্দু মন্দিরগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য। আর ওপরের অংশে ব্যবহৃত হয়েছে ইসলামিক ইটের কাজ। অনেক পাথরের ফলকে ফুলের নকশা, পদ্মের অলঙ্করণ এবং খোদাই করা দেবদেবীর প্রতিরূপ দেখা যায়। বস্তুত এগুলি স্পষ্টতই ইসলামিক নকশা নয়। স্থানীয়রা এই জায়গাটিকে ‘আদিনাথ ধাম’ বলেও উল্লেখ করেন। ‘আদিনা’ শব্দটি সম্ভবত ‘আদিনাথ’ (ভগবান শিবের এক নাম) থেকেই বিবর্তিত হয়েছে।

    কী বলছেন গবেষকরা

    গবেষকদের মতে, এই মসজিদের ভেতরে এমন বেশ কিছু নকশাগত অসংগতি রয়েছে, যা শুধুমাত্র ইসলামি স্থাপত্যের মাধ্যমেই ব্যাখ্যা করা যায় না। প্রথমত, মিহরাব (নামাজের দিক নির্দেশক খাঁজ) ও খিলান কাঠামোয় এমন নকশার ছাপ পাওয়া গিয়েছে, যা মসজিদের খোদাইয়ের চেয়ে হিন্দু মন্দিরের দরজার নকশার সঙ্গে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ। স্তম্ভ ও প্রাচীরের অলংকরণে পদ্মফুল, কেন্দ্রাভিমুখী মণ্ডল (মণ্ডলা), ও নৃত্যরত মানবমূর্তির মতো আইকনোগ্রাফিও দেখা যায়। কাঠামোর কিছু কোণে আংশিক দেবমূর্তির চিত্রও মিলেছে। এর মধ্যে গণেশ ও শিবের নটরাজ রূপের সদৃশ খোদাই উল্লেখযোগ্য। দ্বিতীয়ত, ঐতিহ্যগতভাবে মসজিদ পশ্চিমমুখী (মক্কার দিকে) হয়। কিন্তু আদিনা কাঠামোর কেন্দ্রাংশ একটি প্রাচীন পূর্বমুখী গর্ভগৃহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি হিন্দু মন্দির স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য। তৃতীয়ত, স্থানীয় মৌখিক ঐতিহ্য ও সামাজিক নথিপত্র আদিনা মন্দির হওয়ার দাবিকে আরও শক্তিশালী করে। বহু প্রজন্ম ধরে মালদার গ্রামবাসীরা এই জায়গাকে ‘আদিনাথ ধাম’ বলে অভিহিত করে আসছেন এবং এএসআই রক্ষণাবেক্ষণ শুরু করার বহু আগেই এর আশপাশে মাঝে মাঝে ধর্মীয় আচার পালন করতেন। স্থানীয়দের দাবি, এই ঐতিহ্য ব্রিটিশ আমলের মসজিদ সংক্রান্ত সরকারি রেকর্ডেরও পূর্ববর্তী (Adina Masjid)।

    রহস্যের পরত

    রহস্য আরও গভীর হয় আঞ্চলিক ইতিহাসের দৌলতে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলার সুলতানরা প্রায়ই প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পুনঃব্যবহার করে নতুন কাঠামো গড়ে তুলতেন। পাণ্ডুয়া, গৌড় ও গৌড়ের মতো জায়গায় এই ধারা স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত। এই সব জায়গায় মন্দিরের পাথর ও মূর্তি মসজিদ ও প্রাসাদের ভিত্তিতে ফের ব্যবহার করা হয়েছিল (Malda Mosque)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইউসুফ পাঠানের পোস্ট অনিচ্ছাকৃতভাবে এই আন্দোলনে নতুন করে ইন্ধন জুগিয়েছে। এটি শুরু হয়েছিল নিছকই একটি সাধারণ পর্যটন পোস্ট হিসেবে, পরে অবশ্য সেটি এখন বাংলার অন্যতম প্রাচীন ও সংবেদনশীল বিতর্ককে পুনরুজ্জীবিত করেছে (Adina Masjid)।

  • CV Ananda Bose: “রাজ্যে গুন্ডারাজ চলছে, পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না”, নাগরাকাটাকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “রাজ্যে গুন্ডারাজ চলছে, পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না”, নাগরাকাটাকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমার মনে হয়েছে, পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। এভাবে চলতে পারে না।” রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে কথাগুলি বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তিনি বলেন, “গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকে। রাজ্যপাল হিসেবে সব কিছু বিবেচনা করে দেখা উচিত, মাঠে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে তবেই কিছু সুপারিশ করা উচিত আমার। রাজ্যপাল হিসেবে কী সুপারিশ করব, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। কিন্তু কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি (Nagrakata Issue)।”

    গ্রাউন্ড জিরোর পরিস্থিতি আমি জানি (CV Ananda Bose)

    পরে তিনি বলেন, “গ্রাউন্ড জিরোর পরিস্থিতি আমি জানি। সব রিপোর্ট পাঠানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, গুরুতর কিছু ঘটেনি। আমি জানি গুরুতর ঘটনা ঘটেছে। আমি নিজে এলাকায় গিয়ে কথা বলি মানুষের সঙ্গে, তাঁদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করি। বাংলায় যা ঘটছে, তা হওয়া উচিত নয়। না বলার সময় এসেছে। উপযুক্ত পদক্ষেপ করার সময় এসেছে।” প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় বানভাসিদের ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। শঙ্করের আঘাত ততটা গুরুতর না হলেও বিজেপির উপজাতি সম্প্রদায়ের নেতা খগেনের আঘাত অত্যন্ত গুরুতর। শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।

    এই পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না

    উত্তরবঙ্গের বন্যা দুর্গতদের দেখতে বুধবারই রাজ্যপাল গিয়েছিলেন শিলিগুড়িতে। সেখান থেকে তিনি (CV Ananda Bose) হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিজেপির জখম দুই বিধায়ককে দেখতে। পরে সটান চলে যান রাষ্ট্রপতি ভবনে। সেখানে তিনি সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথাও হয়েছে বলে জানান রাজ্যপাল। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির কথা হলেও, ৩৫৬ ধারা বা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তাঁর সাফ কথা, “রাজ্যে যে একাধিক জায়গায় গুন্ডারাজ চলছে, তা পরিষ্কার। এই পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না (Nagrakata Issue)।”

    মমতা-রাজ্যপাল সম্পর্ক

    রাজ্যপাল জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর পেশাদার সম্পর্ক অটুট রয়েছে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাও রয়েছে, যোগাযোগ বন্ধ হয়নি। কিন্তু গোটা রাজ্যের আনাচে-কানাচে যা ঘটছে, তাতে তিনি সন্তুষ্ট নন। এর পরেই রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, “গ্রাউন্ড জিরোর পরিস্থিতি আমি জানি। বন্যা দুর্গত এলাকায় গিয়ে আমজনতার সঙ্গে কথাও বলেছি আমি। পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে, সে সম্পর্কে আমি যথেষ্ট অবগত।” তিনি জানান, আগামিদিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক-সহ আর যেখানে যেখানে যাওয়ার প্রয়োজন, সেখানেও যাবেন। উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় পরিস্থিতি নিয়েও নিজের মতামত ব্যক্ত করেন তিনি। রাজনৈতিক দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপে না গিয়ে, পরিস্থিতি মোকাবিলার রাস্তা খুঁজতে হবে বলেও জানান সিভি আনন্দ বোস।

    হেল্পলাইন নম্বর

    প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুর্গত এলাকায় নজরদারি ও প্রশাসনিক তৎপরতা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এজন্য গঠন করা হয়েছে একটি র‌্যাপিড অ্যাকশন সেল। সাহায্যের জন্য যোগাযোগের ঠিকানাও দেওয়া হয়েছে রাজভবনের তরফে। ফোন করতে পারেন ০৩৩–২২০০১৬৪১ এই নম্বরে। ই-মেল করা যাবে পিসরুমরাজভবন@জিমেল.কম-এ। উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনাই হোক কিংবা অন্য কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষ, তিনি বারংবার মানুষের পাশে থাকতে ছুটে গিয়েছেন। কথা বলেছেন বিপন্ন মানুষদের সঙ্গে (Nagrakata Issue)। এদিন সেকথাও মনে করিয়ে দেন রাজ্যপাল। তাঁর মতে, এবারও তিনি সেই একই কাজ করেছেন। এর পরেই তিনি (CV Ananda Bose) বলেন, “বাংলার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে।”

LinkedIn
Share