Tag: WBBSE

WBBSE

  • SSC Scam: মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের হাইকোর্ট ভাবে!  তোপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    SSC Scam: মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের হাইকোর্ট ভাবে! তোপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদেরকে হাইকোর্ট মনে করে না কি? নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন তিনি। পর্ষদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলবও করেন বিচারপতি। যদিও পরে সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করেন তিনি।

    কী হয়েছিল

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে প্রিয়াঙ্কা সাউ, নামে আদালতে আবেদনকারী এক চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিতে হবে। কিন্তু তা হয়নি। তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয় ১৪ নভেম্বর। মঙ্গলবার বিচারপতিকে সেকথা জানান প্রিয়াঙ্কার আইনজীবী। এর পরই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উদ্দেশে তীব্র ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন, কেন ২৮ অক্টোবরের মধ্যে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি? এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে তা জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, ‘যদি সময়ে চাকরি না দিতে পারে, তা হলে আদালতে এসে জানানো উচিত ছিল। কেন পর্ষদ নিয়োগপত্র দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেনি আদালতে?’ এ প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতিকে এজলাসে তলবও করেন তিনি। পরে পর্ষদের তরফে জানানো হয় যে, ২৮ অক্টোবর এসএসসি নিযোগ সুপারিশপত্রের হার্ড কপি হাতে পায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাই ২৮ অক্টোবর প্রিয়াঙ্কা সাউকে নিয়োগপত্র দেওয়া যায়নি। একথা জানার পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতির হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ

    প্রিয়াঙ্কা সাউয়ের অভিযোগ ছিল, তার থেকে কম নম্বর প্রাপ্তরা নিয়োগ পেলেও তিনি পাননি। পর্ষদের দফতরে অভিযোগ জানাতে গেলে কর্ণপাত করেননি কোনও আধিকারিক। তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রিয়াঙ্কা। আদালতের তরফে এদিন বিচারপতি পর্ষদের কাজে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘রাজ্যের একাধিক শিক্ষা সংক্রান্ত অফিসার জেলে। তারপরেও এই বোর্ডের দৃষ্টিভঙ্গি, আচরণ পরীক্ষার্থী বিরোধী। বোর্ডের বহু কর্তা ছাত্রবিরোধী কাজ করছেন। যা কখনওই কাম্য নয়’।

    সিটের প্রধানকে তলব

    নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের সিটের প্রধানকেও তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আজ দুপুর ২টোয় সিটের প্রধানকে তলব করেছেন তিনি। ‘ভুয়ো নিয়োগের প্রকৃত সংখ্যা কত?’ সিবিআইয়ের কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Madhyamik Merit List: মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত, কোন জেলা জিতে নিল প্রথমের খেতাব?

    Madhyamik Merit List: মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত, কোন জেলা জিতে নিল প্রথমের খেতাব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হয়েছে ২০২২ সালের মাধ্যমিকের ফলাফল (Madhyamik Results 2022)। দুবছর অতিমারীর অভিশাপ কাটিয়ে আবার পুরনো ছন্দে মাধ্যমিক হয়েছে এবছর। এই বছর ৬৯৩ নম্বর পেয়ে রাজ্যে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছেন বাঁকুড়ার রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের অর্ণব ঘড়াই (Arnab Ghorai) এবং বর্ধমান সিএমএস স্কুলের রৌনক মণ্ডল (Raunak Mandal)। দ্বিতীয় স্থানেও রয়েছে ২ জন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। মালদার (Malda) কৌশিকী সরকার এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) রৌনক মণ্ডল। কৌশিকী মালদার গাজোলের আদর্শবাণী অ্যাকাডেমি হাইস্কুলের ছাত্রী ও রৌনক ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের ছাত্র।

    তৃতীয় স্থানেও ২ জন। পশ্চিম বর্ধমানের অনন্যা দাশগুপ্ত এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দেবশিখা প্রধান। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। আসানসোল উমারানী ঘরাই মহিলা কল্যাণ গার্লস হাইস্কুলের অনন্যা দাশগুপ্ত ও চোরেপালিয়া শ্রী শ্রী বাসন্তী বিদ্যাপীঠের দেবশিখা প্রধান। চতুর্থ হয়েছেন ৪ জন। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। পঞ্চম হয়েছেন ১১ জন।  প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। ষষ্ঠ স্থানেও জায়গা করে নিয়েছেন পাঁচজন। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। ১০ জন জায়গা করে নিয়েছেন সপ্তম স্থানে। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। অষ্টম স্থানে ৬৮৬ নম্বর পেয়ে রয়েছেন ২২ জন। নবম স্থানাধিকারী ১৫ জনের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫। প্রায় ৪০ জন রয়েছেন দশম স্থানে। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪।   

    আরও পড়ুন: প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফলাফল, জেনে নিন কী করে দেখবেন?       

    এবছর রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। প্রায় ১১ লক্ষ পড়ুয়া এবার পরীক্ষায় বসেন। এবছর পাশের হার ৮৬.৬ শতাংশ৷ অর্থাৎ ৯ লক্ষ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থী এবার পাশ করেছেন। ছাত্রদের পাশের হার ৮৮ শতাংশ, ছাত্রীদের মধ্যে পাশের হার ৮৫ শতাংশ। পাশের হারের নিরিখে এবার শীর্ষস্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর৷ তারপরেই কালিম্পং৷ এরপর রয়েছে যথাক্রমে পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও মালদা৷ পূর্ব মেদিনীপুরে পাশের হার ৯৭.৬৩ শতাংশ। কালিম্পং,পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতায় পাশের হার ৯৪ শতাংশর বেশি। ঝাড়গ্রামে পাশের হার ৯২.৫৯ শতাংশ। উত্তর ২৪ পরগনায় পাশের হার ৯১.৯৮ শতাংশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পাশের হার ৮৯.০৮ শতাংশ। 

    এ বার মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হয়েছে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭৯ দিনের মাথায়। এবছর ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা ১১ শতাংশ বেশি। ছাত্রদের তুলনায় ১ লক্ষ ২০ হাজার ৯৬১ জন বেশি ছাত্রী এবছর পরীক্ষায় বসেছিলেন।  

     

  • SSC scam: এসএসসি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস, শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই

    SSC scam: এসএসসি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস, শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) দফতরে অভিযান চালাল সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার সকাল ন’টা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ছয় সদস্যের একটি দল যায় সল্টলেকের ডিরোজিও ভবনে। তদন্তকারীরা কথা বলেন আধিকারিকদের সঙ্গেও। এদিকে, এদিনই উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।এদিন সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি দল যায় তাঁর সার্ভে পার্কের বাড়িতে।

    এসএসসি দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে। সেই শিকড়ের গোড়ায় পৌঁছতেই এদিন সকালে সিবিআইয়ের একটি দল হানা দেয় সল্টলেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে। কথা বলেন পর্ষদের আধিকারিকদের সঙ্গে। খতিয়ে দেখেন প্রয়োজনীয় নথিপত্রও। কাদের কাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, তা জানতে আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।

    সিবিআইয়ের একটি দল যখন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে অভিযান চালাচ্ছে, প্রায় ঠিক সেই সময়েই অন্য একটি দল হানা দেয় এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে। এসএসসি গ্রুপ সি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।শান্তিপ্রসাদ ছাড়াও নাম রয়েছে তৎকালীন প্রোগ্রামার সমরজিৎ আচার্য, তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৌমিত্র সরকার, তৎকালীন সচিব অশোক কুমার সাহা এবং তৎকালীন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের।

    সূত্রের খবর, শান্তিপ্রসাদের বাড়ির সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। শান্তিপ্রসাদের কোথায় কী সম্পত্তি রয়েছে, তাও জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা।  

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উপদেষ্টা কমিটির পাঁচ সদস্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিষয়ে খোঁজখবর করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও আয়কর সংক্রান্ত নথিপত্রও খতিয়ে দেখতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এই পাঁচজনের নামে-বেনামে গত পাঁচ বছরে কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে, সেই সংক্রান্ত নথিও চাওয়া হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, এদিন সার্ভে পার্কের একটি আবাসনের তিন তলায় শান্তিপ্রসাদের বাসভবনে পৌঁছান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। নথিপত্র দেখিয়ে ফ্ল্যাটে ঢোকেন তাঁরা। পরে বন্ধ হয়ে যায় ফ্ল্যাটের দরজা। তারপর আর দীর্ঘক্ষণ খোলেনি।

    সিবিআইয়ের দাবি, এসএসসি দুর্নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে শান্তিপ্রসাদের। দুর্নীতি করতেই বেআইনি কমিটি গড়ে তার উপদেষ্টা পদে বসানো হয়েছিল তাঁকে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, শান্তিপ্রসাদের গ্রেফতারি এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

     

LinkedIn
Share