Tag: Weather Report

Weather Report

  • Weather Report: আগামী ৫ দিন আরও চড়বে পারদ! তাপপ্রবাহের সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে, কলকাতায় কী হবে?

    Weather Report: আগামী ৫ দিন আরও চড়বে পারদ! তাপপ্রবাহের সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে, কলকাতায় কী হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র গরমে নাজেহাল মানুষ। সকাল থেকেই গনগনে রোদ। বেলা গড়াতেই অস্বস্তির আবহাওয়া। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তি এবং নববর্ষতে স্বস্তি মিলছে না আপাতত। পশ্চিমের জেলাগুলিতে সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (Weather Report), আগামী ৫ দিন এই তাপমাত্রা আরও বাড়বে। জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।

    আগামী ৫ দিন বাড়তেই থাকবে তাপমাত্রা

    সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে (Weather Report) বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল অবধি উত্তরবঙ্গের সব জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী দিন পাঁচেকে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের সমতল এলাকার দিনের তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলিসয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

    বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি হতে পারে

    সোমবার দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলির অধিকাংশ জায়গায় তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রির ওপরে। কোথাও কোথাও তা ৪০ ডিগ্রিও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়া পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৮ ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। সোমবার যা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৭ শতাংশ।

    বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি হতে পারে। এই গরমে ত্বকে জ্বলুনি ভাব আসতে পারে। লু বইবার আশঙ্কা। উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। ক্রমশ বাড়বে তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। উত্তরবঙ্গের মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের নতুন পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতায় তাপমাত্রা আজই ৪০ ডিগ্রির কোঠা ছুঁয়ে যেতে পারে৷ আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৪৯ শতাংশ৷ ফিল লাইক তাপমাত্রা হবে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: নববর্ষে তাপপ্রবাহের ভ্রুকুটি! কিছুদিন চলবে পোড়া গরম, বৃষ্টি নিয়ে কী পূর্বাভাস?

    Weather Report: নববর্ষে তাপপ্রবাহের ভ্রুকুটি! কিছুদিন চলবে পোড়া গরম, বৃষ্টি নিয়ে কী পূর্বাভাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কে বলবে তিনমাস আগেও শীতকাল ছিল! লেপ কম্বল মুড়ি দিয়ে থাকতে হতো। শেষ চৈত্রের তাপপ্রবাহ সেসব ভুলিয়ে দিয়েছে। আর ক’দিন পরে বাঙালি মেতে উঠবে নতুন বছরকে বরণ করতে। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তাপমাত্রার পারদ চড়বে বলছেন আবহাওয়াবিদরা। সপ্তাহের প্রথম দিনেই চল্লিশ ছুঁয়ে ফেলতে পারে পশ্চিমাঞ্চলের পারদ। সপ্তাহের মাঝামাঝি চল্লিশের ঘরে ঢুকতে পারে কলকাতার তাপমাত্রাও। সংক্রান্তি, নববর্ষ– দু’দিনই ৪০-৪১ এমনকী ৪২ ডিগ্রির গরমও সইতে হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাকে। জলীয় বাষ্প তলানিতে। তাই তপ্ত মাটি ভেজার কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই। শুকনো গরমের একচ্ছত্র দাপট চলবে।

    কী বলছেন আবহাওয়াবিদরা (Weather Report)

    আবহাওয়াবিদরা জানিয়ে দিয়েছেন, সোমবার থেকেই রাজ্যে বাড়বে গরম। ৬-৭ জেলায় স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি থাকতে পারে তাপমাত্রা। কলকাতার পারদ ছুঁতে পারে ৪০ ডিগ্রি। ১০ থেকে ১৫ এপ্রিল গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরে হতে পারে তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা বীরভূম, বাঁকু়ডা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের মতো জেলাগুলিতে। এছাড়াও দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের তাপমাত্রাও বাড়তে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির দেখা না মিললেও আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে, এমনটাই বলছে হাওয়া অফিস। রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবারও কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার তুলনায় এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। 

    আপাতত নেই বৃষ্টির সম্ভাবনাও

    আবহাওয়াবিদরা জানিয়ে দিয়েছেন, আগানী পাঁচ দিন বাংলায় বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। উল্টে বাড়বে তাপপ্রবাহ। চলতি সপ্তাহে পশ্চিমাঞ্চল, উপকূল সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও তাপপ্রবাহের আশঙ্কা থাকছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ১২ ও ১৩ তারিখ কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছবে ৩৯ ডিগ্রিতে। তারপরে তা ছুঁতে পারে ৪০ ডিগ্রির ঘরও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: সপ্তাহান্তে বৃষ্টি জারি, সঙ্গী ঝড়ো হাওয়া! সোমবার থেকেই কি ঊর্ধ্বমূখী তাপমাত্রার পারদ?

    Weather Update: সপ্তাহান্তে বৃষ্টি জারি, সঙ্গী ঝড়ো হাওয়া! সোমবার থেকেই কি ঊর্ধ্বমূখী তাপমাত্রার পারদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার মধ্য রাতেই শুরু হয়েছিল ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। আজ, শনিবার সপ্তাহের শেষ দিনেও আকাশের মুখ ভার। আলিপুর হাওয়া অফিস (Weather Update) জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গে আজ কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি থাকবে। কলকাতা-সহ রাজ্যের ১৪টি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার গতি বাড়ার পাশাপাশি বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণও। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

    রবিবার থেকে পরিষ্কার আকাশ

    ঝড়-বৃষ্টির জেরে এপ্রিলের শুরুতেই সামান্য নামল শহরের তাপমাত্রা। এদিনও প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের একাংশে। আগামীকাল আবহাওয়ায় বিশেষ পরিবর্তন আসবে না বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রবিবার বিকেল থেকে আকাশ পরিষ্কার হবে। ৩ তারিখ থেকে রৌদ্রজ্বল দিন দেখতে পারে শহরবাসী। সেদিন থেকেই ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে তাপমাত্রার পারদ। আগামী সপ্তাহতেই ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে পৌঁছতে পারে তাপমাত্রা। আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিরও বিশেষ সম্ভাবনা নেই, জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। বৃষ্টির পাশাপাশি বইবে দমকা হাওয়াও। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯১ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: হাওড়ার শিবপুরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা, কী বললেন শুভেন্দু?

    বঙ্গোপসাগর থেকে পশ্চিমাঞ্চলে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরেই এমন আবহাওয়ার ভোলবদল বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা৷ হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সবকটি জেলাতেই সকাল থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। অন্যদিকে আজ শনিবারও দার্জিলিং এবং কালিম্পং সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তৃর্ণ এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ দক্ষিণের তুলনায় উত্তরবঙ্গে হাওয়ার গতিবেগও থাকবে বেশি৷ তাই বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Forecast: দোলের আগেই হাঁসফাঁস কলকাতায়, কেমন কাটবে রঙের উৎসব?

    Weather Forecast: দোলের আগেই হাঁসফাঁস কলকাতায়, কেমন কাটবে রঙের উৎসব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত কাটলেই রঙের উৎসব। তার আগে তাপে পুড়ছে তিলোত্তমা। আনন্দোৎসবের মাঝেই অস্বস্তি বাড়াচ্ছে আবহাওয়া (Weather Forecast)। মার্চের শুরুতেই হাঁসফাঁস গরম। ক্রমশ বাড়ছে পারদ। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আগামিকাল তাপমাত্রার পারদ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলার তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি থাকবে। বাঁকুড়াতে সবচেয়ে বেশি চড়বে পারদ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমানের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। আপাতত সমগ্র দক্ষিণবঙ্গের কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।   

    তবে দোলের সময় বৃষ্টিপাত হতে পারে উত্তরবঙ্গের কিছু। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে সোমবার সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ (Weather Forecast)। আজ ও আগামিকাল বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে পাহাড়ে। দক্ষিণবঙ্গে বেড়েছে দিনের তাপমাত্রা। জেলায় জেলায় হাওয়ার বদল। পশ্চিমের শুকনো ও গরম বাতাস ঢুকছে এরাজ্যে। এর ফলেই পশ্চিমের জেলা সহ সংলগ্ন জেলাগুলিতে বাড়ছে তাপমাত্রা।

    আরও পড়ুন: কাটল জট! কেষ্টকে কলকাতায় আনার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশেরই, নির্দেশ সিবিআই আদালতের

    ঝাড়খন্ড ও ওড়িশায় বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা (Weather Forecast)। এর ফলে ঝাড়খন্ড এবং ওড়িশা সংলগ্ন জেলাগুলিতে আংশিক মেঘলা আকাশ। কোথাও কোথাও মেঘলা আকাশ। বুধবার পুরুলিয়ায় এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবার পুরুলিয়া বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রামে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ খুব হালকা বৃষ্টি দু এক জায়গায় সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।

    উত্তরবঙ্গে আগামী কয়েক দিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টি চলবে দার্জিলিং ও কালিম্পংএ। সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি।  উঁচু পার্বত্য এলাকায় হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকছে আগামী ৪/৫ দিন।

    বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৩৪ থেকে ৭৮ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে (Weather Forecast)। একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রয়েছে উত্তর পশ্চিম ভারতে। আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা নতুন করে আসবে আগামীকাল মঙ্গলবার। একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে গুজরাট থেকে রাজস্থান ও সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত। আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে দক্ষিণ কঙ্কন থেকে মধ্য মহারাষ্ট্র পর্যন্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Forecast: তাপমাত্রার ওঠানামা জারি রাজ্যজুড়ে, রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Weather Forecast: তাপমাত্রার ওঠানামা জারি রাজ্যজুড়ে, রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়ায় ওঠানামা জারি। পারদের ওঠানামা অব্যহত (Weather Forecast)। তাই কখনও কম্বল চাপাতে হচ্ছে তো, কখনও ফ্যান চালাতে হচ্ছে। গতকাল যেমন এক ধাক্কায় ৪ ডিগ্রি নেমে গিয়েছিল পারদ, তেমনই আজ তা ফের বেড়ে প্রায় ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবার যে পাকাপাকি বিদায় নিচ্ছে শীত, তা প্রায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন আবহবিদরা। তবে শীতের এই বিদায় লগ্নে একধিক জেলায় রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।     

    এবার গোটা রাজ্যেই জমিয়ে পড়েছিল ঠাণ্ডা। বহু বছর পর এবার শীতের আমেজে মন ভরেছে কলকাতাবাসীরও (Weather Forecast)। এবার বিদায়ের পালা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতা শহরে আপাতত আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদের ওঠানামা চলতে থাকবে। তবে ১৫ ফেব্রুয়ারির পর থেকে এবছরের মতো পাকাপাকিভাবে বিদায়ের পথ ধরে নেবে শীত।

    শনিবার কলকাতায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। বুধবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ৩৩ থেকে ৯৪ শতাংশের মধ্যে।

    ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে (Weather Forecast)। দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে অল্প বৃষ্টির সম্ভাবনা। যদিও রাজ্যের অন্যান্য এলাকা শুকনোই থাকবে। আগামী কয়েক দিন শুষ্ক আবহাওয়াই থাকবে রাজ্যজুড়ে। বিক্ষিপ্তভাবে কুয়াশা থাকবে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতেও। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা এবং নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা আগামী ৪৮ ঘণ্টায়। ভোররাতে এবং সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও পরে পরিষ্কার আকাশ দেখা যাবে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই। শনিবার এবং রবিবার আবারও বাড়বে তাপমাত্রা। সোম এবং মঙ্গলবার তাপমাত্রা ফের নিম্নমুখী হবে বাংলায়। মঙ্গলবার ১৪ ফেব্রুয়ারি বেশ কিছুটা নীচে নামতে পারে পারদ।

    আরও পড়ুন: জিট্টি ভাইয়ের সঙ্গে রয়েছে মমতার ভাতৃবধূ কাজরীর যৌথ সম্পত্তি! মিলল হদিশ

    মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান থেকে রাজস্থান পর্যন্ত একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে (Weather Forecast)। উত্তর পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে আবহাওয়ায় বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষণীয়। এই মুহূর্তে সক্রিয় পশ্চিমী ঝঞ্ঝা অবস্থান করছে উত্তর পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায়। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কাশ্মীর ভ্যালি, জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন এলাকায়। পঞ্জাব, চন্ডীগড় এবং হরিয়ানার কিছু অংশেও বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হবে। আসাম এবং মেঘালয়ে শনি ও রবিবার ঘন কুয়াশার দাপট দেখা যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Weather Forecast: রাত থেকে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা, জানাচ্ছে হাওয়া অফিস

    Weather Forecast: রাত থেকে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা, জানাচ্ছে হাওয়া অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রাত থেকেই ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গ (Weather Forecast)। দুই মেদিনীপুর-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ১৭ এবং ১৮ জানুয়ারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। ১৭, ১৮, ১৯ জানুয়ারি দার্জিলিঙে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ১৮ জানুয়ারি হালকা বৃষ্টি হতে পারে কালিম্পঙে। পাহাড় ছাড়া উত্তরবঙ্গের সমতলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

    কী জানাচ্ছে হাওয়া অফিস? 

    আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় আগামী এক সপ্তাহে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। সিকিমে তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর (Weather Forecast)। 

    আগামী কয়েকদিনে উত্তরবঙ্গে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস নামতে পারে রাতের তাপমাত্রা। কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, মালদায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখা যেতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েকদিন হালকা কুয়াশা (Weather Forecast) থাকবে। গাঙ্গেও পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রায় খুব একটা পার্থক্য হবে না। 

    আগামী ১৮ জানুয়ারি কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে পারে। সকালের আকাশ থাকবে কুয়াশাচ্ছন্ন (Weather Forecast)। এরপর ১৯  এবং ২০ জানুয়ারিতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কোনও হেরফের হবে না। এই দুই দিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ২৫ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  

    আগামী ২১ জানুয়ারি শহর কলকাতায় পারদ চড়তে পারে। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Forecast) বেড়ে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। সেইদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২২ জানুয়ারি রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেতে পারে ২৮ ডিগ্রির কাছে। আগামী ১৯ থেকে ২২  জানুয়ারি কলকাতার আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে।

    আরও পড়ুন: মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী! আবদুল রহমান মাক্কিকে ‘গ্লোবাল টেরোরিস্ট’ ঘোষণা রাষ্ট্রসংঘের

    কলকাতা ও তার আশেপাশের অঞ্চলে মঙ্গলবার সকালে আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন (Weather Forecast) থকাবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২৪ ডিগ্রির কাছাকাছি। আগেরদিন অর্থাৎ সোমবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৬ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিনমাণ ৮৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন পরিমাণ ৫০ শতাংশ ছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

         

  • Weather Report: বছরের শেষ দিনেও শীত উধাও! কলকাতায় ঠান্ডা কবে থেকে?

    Weather Report: বছরের শেষ দিনেও শীত উধাও! কলকাতায় ঠান্ডা কবে থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝ-পৌষেই শীত বাড়ি ফেরার পথে। ডিসেম্বর মাসের শেষ থেকেই চলছে আবহাওয়ার খাম-খেয়ালিপনা। একবার ঠান্ডা-একবার গরম। সকালে কুয়াশা, পরে ফের পরিষ্কার আকাশ। জাঁকিয়ে শীতের মুখ এখনও দেখেনি কলকাতাবাসী। তাই ঠান্ডা উপভোগ করতে শীতবিলাসীরা পাড়ি জমিয়েছেন দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শীয়াংয়ে। যাঁদের হাতে সময় রয়েছে তাঁরা ছুটি কাটাতে গিয়েছেন হিমাচল, উত্তরাখণ্ড। কলকাতায় জাঁকিয়ে শীত কবে থেকে পড়বে তা-ও বলতে পারছে না হাওয়া অফিস।

    জাঁকিয়ে শীতের দেখা নেই

    আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতায় ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে তাপমাত্রা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর,আগামী ৪ থেকে ৫ দিন শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। উত্তর-পশ্চিমে শীতল হওয়ারও দাপট থাকবে। তাই বছর শেষ ও বর্ষবরণে শীতের ভাব থাকলেও জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা নেই। শনিবার সকালে  শুক্রবারের থেকে বেশ কিছুটা তাপমাত্রা বেড়েওছে শহরে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে ঘোরাফেরা করছে ১৫ ডিগ্রির আশেপাশে। স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। গতকাল তাপমাত্রা ছিল ১৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বিকেলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কলকাতায় ছিল ২৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও বেড়ে হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোরের দিকে কুয়াশা থাকলেও, বেলা বাড়তেই পরিষ্কার আকাশ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত কয়েকদিন এরকমই থাকবে তাপমাত্রা। 

    আরও পড়ুন: শুক্রবারও শহরে শীতের আমেজ! কেমন থাকবে বর্ষশেষের রাত?

    দখিনা বাতাসের পালে ভর করে জলীয় বাষ্প ঢোকায় পাততাড়ি গুটিয়ে প্রায় উধাও শীত। লেপ-কম্বল-সোয়েটার-চাদরে রীতিমতো অস্বস্তিজনক অবস্থা হচ্ছে মাঝেমাঝেই। আগামী চার-পাঁচ দিন কলকাতার তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও স্বাভাবিকের খুব নীচে নামবে না। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে উত্তুরে হাওয়ায় কিছুটা গতি কমলেও শীতের আমেজ বজায় থাকবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে সকালের দিকে কুয়াশা থাকবে। আপাতত ঘন কুয়াশার কোনও সতর্কবার্তা নেই রাজ্যে। নেই বৃষ্টির সম্ভাবনাও। তবে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • West Bengal Weather: একধাক্কায় তাপমাত্রা বাড়ল সাড়ে তিন ডিগ্রির বেশি! ফের কবে শীত?

    West Bengal Weather: একধাক্কায় তাপমাত্রা বাড়ল সাড়ে তিন ডিগ্রির বেশি! ফের কবে শীত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পারদ ঊর্ধ্বমুখী। দু’দিনের মধ্যেই কলকাতার তাপমাত্রা সাড়ে তিন ডিগ্রির বেশি বেড়ে গেল। তবে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শীতের আমেজ বজায় থাকবে রাজ্য জুড়ে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। রাজ্য জুড়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা তার কাছাকাছি থাকবে। আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা আগামী দু-তিন দিনে আরও বাড়বে। ফলে শহরবাসীর একটাই প্রশ্ন ফের কবে কনকনে শীত পড়বে?

    ফের কবে শীত?

    ফের কবে শীত আসবে এই প্রশ্নের উত্তরে জানা গিয়েছে যে, মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা আরও কিছুটা বাড়বে এবং বুধবারের পর সাময়িকভাবে শীতের আমেজ কমবে। কিন্তু শুক্রবারের পর ফের কিছুটা পারদ পতন ঘটবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এই সপ্তাহের শেষে শীতের আমেজ ফেরার পূর্বাভাস রয়েছে। বড়দিনে শীতের আমেজ নিয়েই আনন্দ করতে পারবেন শহরবাসী, এমনটাই ইঙ্গিত আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।

    কলকাতার আবহাওয়া

    সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬ ও ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। রবিবার যা ছিল ১৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার যা ছিল ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার ছিল মরশুমের শীতলতম দিন। কিন্তু গত ৪৮ ঘন্টায় একধাক্কায় কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে সাড়ে তিন ডিগ্রির বেশি। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ পরিস্কার থাকবে। তবে কোথাও কোথাও সামান্য কুয়াশা থাকতে পারে। এদিন আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ।

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বর বুধবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। উত্তরবঙ্গের কোনও কোনও জায়গায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুয়াশা থাকতে পারে। আগামী ৩-৪ দিন রাতের তাপমাত্রার সেরকম বড় কোনও পরিবর্তন হবে না।

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বর বুধবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র আবহাওয়াও শুকনো থাকবে। আগামী ৩-৪ দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে পশ্চিমের জেলাগুলিতে ১০ ডিগ্রি বা তার নীচে নামতে পারে তাপমাত্রা। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে।

  • Bengal Weather Update: রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী? অবশেষে স্বস্তির খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর

    Bengal Weather Update: রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী? অবশেষে স্বস্তির খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তবে সপ্তাহান্তে স্বস্তির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। আগামী ১ তারিখ অর্থাৎ রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী শনিবার উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।

    গত এক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ চলছে। উত্তরবঙ্গ ভিজলেও গোটা এপ্রিল মাসে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হয়নি। উল্টে তাপপ্রবাহের জেরে নাজেহাল হয়েছে সাধারণ মানুষ। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপমাত্রা পেরিয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। বেড়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও। 

    হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, রাজ্যে ইতিমধ্যেই দখিনা বাতাস বইতে শুরু করেছে। ফলে সমুদ্র থেকে প্রচুর জলীয়বাষ্প ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে। এই জলীয়বাষ্প ঝাড়খণ্ড, বিহারের ছোটনাগপুর এলাকায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি করছে। আর তার প্রভাবেই বাংলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি কালবৈশাখীর পরিস্থিতি তৈরি হবে।

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার রাজ্যে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। কিন্তু, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। তবে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।  সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। তাতে অস্বস্তি কমবে।
     
    রবিবার থেকে রাজ্যে হতে পারে কালবৈশাখী। আর তা চলতে পারে মঙ্গলবার পর্যন্ত। রবি থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিও। হাওয়া অফিসের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ওই ক’দিন তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমবে। কমবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।  

    পাশাপাশি, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে।  দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুত্‍ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুত্‍ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মালদা ও দুই দিনাজপুরেও।

  • Cyclone Name: ‘আয়লা’ থেকে ‘অশনি’ বা ‘আমফান’ থেকে ‘ফণী’ – কীভাবে হয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ?

    Cyclone Name: ‘আয়লা’ থেকে ‘অশনি’ বা ‘আমফান’ থেকে ‘ফণী’ – কীভাবে হয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছরই পৃথিবীর কোনও না কোনও প্রান্তে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। এক এক ঘূর্ণিঝড়ের আবার এক এক নাম। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, ঘূর্ণিঝড়ের এমন নাম কেন হয়? সম্প্রতি যে ঘূর্ণিঝড়গুলি ভারতের পূর্ব উপকূলে বিশেষ দাগ কেটেছে, সেগুলি হল ‘আয়লা’, ‘আম্পান’, ‘ইয়াস’ ও ‘ফণী’।
     
    ইতিমধ্যেই ‘অশনি’ ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা দিয়েছিল হাওয়া অফিস। সেই ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আছড়ে পড়ার আগেই নিম্নচাপে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম নিয়েও জনসাধারণের মনে কৌতূহল চাড়া দিয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ নাম দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সিংহলি ভাষায় এর অর্থ ‘ক্রোধ’। রবিবার সকালে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছিল এই ঘূর্ণিঝড়। 

    রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (WMO)-র তথ্য অনুসারে, একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অবস্থানে বা বিশ্বজুড়ে একসময়ে একাধিক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। আর, এই ঘূর্ণিঝড়গুলির জেরে দুর্যোগ একসপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে চলতে পারে। তাই বিভ্রান্তি এড়াতে প্রতিটি নিরক্ষীয় অঞ্চলে তৈরি ঝড়কে, দুর্যোগের পরিমাণ অনুমান করতে, ঝুঁকি বোঝাতে, কতটা সচেতনতার দরকার তা বোঝাতে, ব্যবস্থাপনা বোঝাতে এবং প্রশমনের সময়কাল বোঝাতেই আলাদা নাম দেওয়া হয়। নাম তৈরির ক্ষেত্রে মাথায় রাখা হয় যে তা হবে সংক্ষিপ্ত এবং সহজে উচ্চারণ করা যাবে এমন। যাতে এই নাম সহজে রেলস্টেশন, উপকূলীয় ঘাঁটি, সমুদ্রে থাকা জাহাজের মধ্যেও দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। যাতে সাধারণ মানুষ এবং যাত্রীরা ঝড়ের বিস্তারিত তথ্য দ্রুত পেতে পারেন। আর, সেই অনুযায়ী সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন। 

    জটিল অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ সনাক্তকরণের যে পদ্ধতি আগে চালু ছিল, তার চেয়ে নতুন এই পদ্ধতিতে ঝড়ের সম্পর্কে মানুষকে জানানো বা সচেতন করা অনেক সহজ হয়েছে। শুরুর দিকে ঝড়ের নামকরণ করা হত ইচ্ছেমতো। ১৯০০ সালের মাঝামাঝি থেকে, ঝড়ের মেয়েলি নাম ব্যবহার শুরু হয়েছিল। আবহাওয়াবিদরা পরবর্তীতে আরও সংগঠিত এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি তালিকা থেকে ঝড়ের নাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

    ১৯৫৩ সাল থেকে অতলান্তিক নিরক্ষীয় অঞ্চলে ঝড়ের নামকরণ করা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন সেন্টারে তৈরি তালিকা অনুযায়ী। এমনটাই জানিয়েছে ডব্লিউএমও। বর্তমানে বিশ্বে ছ’টি আঞ্চলিক বিশেষ আবহাওয়া কেন্দ্র (আরএসএমসি) এবং পাঁচটি আঞ্চলিক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র রয়েছে। এখান থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় এবং সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়। 

    ভারতের মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি) হল আরএসএমসিগুলির মধ্যে একটি। স্বভাবতই একটি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করার দায়িত্ব তারও রয়েছে। উত্তর ভারত মহাসাগরে যখন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, আর তার বাতাসের গতিবেগ যখন ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার বা তার বেশি হয়ে যায়, তখন আইএমডি সতর্কবার্তা জারি করে। আইএমডি উত্তর ভারত মহাসাগরের ১৩টি দেশকে ঘূর্ণিঝড় এবং ঝড়-বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেয়।

    বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে। ঘূর্ণিঝড়ের নামের এই তালিকাটি লিঙ্গ, রাজনীতি, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং সংস্কৃতির নিরপেক্ষতা বজায় রেখে বর্ণানুক্রমিকভাবে সাজানো দেশগুলোর দেওয়া নাম অনুসারে তৈরি করা হয়েছে। দক্ষিণ চিন সাগর থেকে তাইল্যান্ড অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরে যে ঝড় আসে, তার নাম বদলানো হয় না।

    একবার যদি কোনও একটি নাম নির্দিষ্ট ঝড়কে বোঝাতে ব্যবহার হয়, তবে পরে আর ওই নাম অন্য কোনও ঝড়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় না। নামকরণের সময় মাথায় রাখা হয়, সর্বোচ্চ আটটি অক্ষর থাকতে পারবে। কোনও সদস্য দেশের আপত্তি থাকলে সেই নামগ্রহণ করা হয় না। কোনও জনগোষ্ঠীর আবেগ যাতে আঘাতপ্রাপ্ত না হয়, ঝড়ের নামকরণে সেটাও মাথায় রাখেন আবহাওয়াবিদরা। ২০২০ সালে, ১৩টি দেশের দেওয়া ঝড়ের ১৬৯টি নামের নতুন একটি তালিকাও প্রকাশ হয়েছে। এর আগে ৮টি দেশের ৬৪টি নাম ব্যবহার হয়েছে।  

    ভারত থেকে যে নামগুলো দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ‘গতি’, ‘মেঘ’, ‘আকাশ’। অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ দিয়েছে ‘অগনি’, ‘হেলেন’ এবং ‘ফণী’। পাকিস্তান দিয়েছে ‘লায়লা’, ‘নার্গিস’ ও ‘বুলবুল’। ‘অশনি’র পর যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে, তার নাম হবে ‘সিত্রং’। এই নামটি তাইল্যান্ড দিয়েছে। ভবিষ্যতে ঘূর্ণিঝড়ের যে নামগুলো ব্যবহার করা হবে, তার মধ্যে রয়েছে ভারতের ‘ঘূর্ণি’, ‘প্রবাহ’, ‘ঝড়’ এবং ‘মুরাসু’। বাংলাদেশের ‘বিপর্যয়’, সৌদি আরবের ‘আসিফ’, ইয়েমেনের ‘দিকসাম’, ইরানের ‘তুফান’, এবং শ্রীলঙ্কার ‘শক্তি’।

     

LinkedIn
Share