Tag: West Bengal Assembly Elections 2026

  • SIR: বাংলা-বিহার দুই রাজ্যেরেই ভোটার ভোটকুশলী পিকে! হলটা কী ‘SIR’?

    SIR: বাংলা-বিহার দুই রাজ্যেরেই ভোটার ভোটকুশলী পিকে! হলটা কী ‘SIR’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ভোটকুশলী। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ‘কৌশল’ বেচে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে জেতানোয় তাঁর নাকি (SIR) দারুন হাতযশ! আদতে বিহারের বাসিন্দা এই প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) ওরফে পিকে-কে ২০১৪ সালে বাংলায় ডেকে নিয়ে এসেছিলেন কালীঘাটের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সদস্য তথা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। উদ্দেশ্য ছিল, বাংলায় তৃণমূলকে ভোট-বৈতরণী পার করে দেওয়া। জনশ্রুতি এই যে, পিকের সংস্থার দাওয়াইয়ের জেরেই পর পর দু’বার ক্ষমতায় এসে টানা তিনবার মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে রয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি ‘জন সুরাজ পার্টি’ নামে নিজে একটি দলও খুলেছেন পিকে। আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে গুচ্ছের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট-ময়দানে নেমেও পড়েছে তাঁর দল। এহেন পিকেই ফের একবার চলে এলেন খবরের শিরোনামে। না, রাতারাতি বিরাট কিছু করে ফেলেননি তিনি। তবে বাংলায় এসআইআরের ঢাকে কাঠি পড়তেই ‘মুখোশ’ খুলে পড়েছে এই ভোটকুশলীর।

    বাংলায় এসআইআর (SIR)

    ফেরা যাক খবরে। ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে এসআইআর করতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কেবল এ রাজ্যেই নয়, গোটা দেশেই, যে প্রক্রিয়ার নান্দীমুখ হয়ে গিয়েছে পড়শি রাজ্য বিহারে। সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন বাংলায় এসআইআরের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন। রাত ১২টায় ফ্রিজ করে দেওয়া হয় ভোটার তালিকা। তার পরেই দেখা গেল, কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়েছে কেউটে! জানা গেল, বাংলা এবং বিহার দু’রাজ্যেরই ভোটার তালিকায় জ্বলজ্বল করছে ভোটকুশলীর নাম! পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা অনুযায়ী, তিনি কলকাতার বাসিন্দা। ঠিকানা ১২১, কালীঘাট রোড। এই ঠিকানাটি আবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের শীর্ষ কমান্ডার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর এলাকার মধ্যে পড়ে। প্রশান্ত কিশোরের নাম রয়েছে বিহারের করহাগর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায়ও। ওই রাজ্যে তাঁর ভোটকেন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কোনার। এই গ্রামই প্রশান্ত কিশোরের পৈতৃক গ্রাম।

    একই সঙ্গে দুই রাজ্যের ভোটার পিকে

    অর্থাৎ একই প্রশান্ত কিশোর একই সঙ্গে দুই রাজ্যের (SIR) ভোটার। একটি রাজ্যে লড়ছে তাঁর দল, আর একটি রাজ্যে তৃণমূলকে জেতাতে মরিয়া তাঁরই হাতে গড়া সংস্থা আই-প্যাক। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানতে চেয়েছে, প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) কি নাম কাটার জন্য আবেদন করেছিলেন? বিষয়টি ইচ্ছাকৃত কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে কমিশন। উল্লেখ্য, কোনও একজন ভোটারের একই সঙ্গে দুই জায়গার ভোটার তালিকায় নাম থাকা নিয়ম বহির্ভূত।

    পিকের টিমের বক্তব্য

    একই সঙ্গে দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম থাকার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি পিকে স্বয়ং। তবে তাঁর টিমের এক সদস্য বলেন, “বঙ্গের ভোট শেষ হওয়ার পরই তিনি ভোটার হন বিহারের। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে।” তবে সেই আবেদন বর্তমানে কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা স্পষ্ট নয় (SIR)। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বিনোদ সিং গুঞ্জিয়াল।

    কী বলছে আইন

    প্রসঙ্গত, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫০ এর ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় নাম রাখতে পারেন না। ১৮ নম্বর ধারায়ও বলা হয়েছে, একই কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় একাধিকবার নাম তোলা আইন বিরুদ্ধ। তবে, কোনও ভোটার বাসস্থান পরিবর্তন করলে তিনি ফর্ম ৮ পূরণ করে নয়া ঠিকানার ভোটার তালিকায় তাঁর নাম স্থানান্তর করতে পারেন (SIR)। নির্বাচন কমিশনের মতে, দেশে একাধিক জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম থাকা নতুন কিছু নয় (Prashant Kishor)। এই কারণেই নির্বাচন কমিশন চালু করেছে এসআইআর, যার নান্দীমুখ হয়ে গিয়েছে বিহারে। কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বিহারের ভোটার তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ৬৮.৬৬ লাখ নাম। এর মধ্যে ৭ লাখ ভোটারের নামই ছিল একাধিক জায়গার ভোটার তালিকায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য লেখেন, “জন সুরাজের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোরের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার — দুই জায়গায়ই… আরও তাৎপর্যপূর্ণ হল, রাহুল গান্ধীর সব সহযোগীরাই ‘ভোট চুরি’তে জড়িত। এই কপটতা বিস্ময়কর।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    কলকাতার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতৃবধূ কাজরি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “১২১, কালীঘাট রোড আমাদের দলীয় কার্যালয়। প্রশান্ত কিশোর তখন এখানে কাজ করতেন এবং প্রায়ই থাকতেন। তবে তিনি এখান থেকে ভোটার হিসেবে নাম তুলেছেন কিনা, তা জানি না (SIR)।” রাজনৈতিক মহলের মতে, কাজরি না জানলেও, বিষয়টি নিশ্চিত জানতেন তৃণমূলের সর্বময় কর্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জানতেন পিকের টিমের সদস্যরা। তাছাড়া, পার্টি অফিসের ঠিকানা (Prashant Kishor) দেখিয়ে যে কোনও ‘গৃহস্থে’র নাম (পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী এবং পার্টি অফিসই যাঁর ঘর, তাঁদের কথা অবশ্য আলাদা) ভোটার তালিকায় তোলা যায়, তা দেখিয়ে দিলেন (SIR) ভোটকুশলী স্বয়ং।

    এটাও কি ভোটকৌশলেরই অঙ্গ ‘SIR’?

  • Suvendu Adhikari: ‘ভবানীপুরে মমতাকে হারাবই, বিজেপির যিনিই দাঁড়াবেন, জিতবেন’, অঙ্ক কষে বোঝালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘ভবানীপুরে মমতাকে হারাবই, বিজেপির যিনিই দাঁড়াবেন, জিতবেন’, অঙ্ক কষে বোঝালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসন থেকে বিজেপি প্রার্থীই জয়ী হবে, বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) ভবানীপুর আসনে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল প্রার্থী হবেন ধরে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে হারানোর দাবি করেছেন তিনি। রবিবার অঙ্ক কষে শুভেন্দু বললেন, “ভবানীপুরে বিজেপির যিনিই প্রার্থী হবেন, তিনিই জিতবেন।” একইসঙ্গে শুভেন্দু দাবি করেছেন, আজ, সোমবারই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরুর ঘোষণা করতে পারে কমিশন।

    ভবানীপুর বিজেপির জায়গা

    রবিবার ভবানীপুর বিধানসভার ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ‘আউটসাইডার’ মন্তব্য তুলে ধরে সরব হন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। কয়েকদিন আগে ভবানীপুরে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে উত্তরবঙ্গ থেকে ফোনে বক্তব্য রাখার সময় মমতা বলেছিলেন, ভবানীপুরে ‘আউটসাইডারদের’ দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরে নিজের মন্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, “আমার কথা অন্যভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমি বহিরাগত বলতে এখানে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের কথা বলিনি।” এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্য নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “রাজস্থান, পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশের লোককে বলেছেন বহিরাগত। এটা কেউ বলতে পারে? এরা সবাই ভারতীয়। পরের দিন ঢোঁক গিলেছেন। বুঝেছেন, একটু গোলমাল হয়েছে। এই ভাগ করার রাজনীতি ওঁর রয়েছে, এটা সবাই বুঝেছে। এবার বিজেপির যিনিই দাঁড়াবেন, জিতবেন।” ভবানীপুরকে ‘মিনি ইন্ডিয়া’ বলে উল্লেখ করে জানালেন, ভবানীপুর বিজেপি-রই জায়গা, যা তারা ধরে রাখবে।

    ভবানীরে প্রার্থী কে

    ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) নন্দীগ্রামে মমতা এবং শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মধ্যে জোর টক্কর দেখেছিলেন রাজ্যবাসী। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভবানীপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জল্পনা উস্কে দিয়েছেন শুভেন্দু। ভবানীপুরে বিজেপির প্রার্থী প্রসঙ্গ বিরোধী দলনেতা বলেন, “বিজেপিতে এভাবে হয় না। পার্টি ঠিক করবে, কে প্রার্থী হবে।” তারপরই শুভেন্দু অঙ্ক দিয়ে বোঝান কেন ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থীই জিতবেন। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, “ম্যাপিংয়েই এক লক্ষ ২০ হাজারের নাম বাদ গিয়েছে। বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা হলে কমপক্ষে ৫০ হাজার মৃত ও ভুয়ো ভোটার ও চেতলায় থাকা বাংলাদেশি ভোটারের নাম বাদ যাবে। আর যাদের ক্যানিং ও ভবানীপুরে, ফলতা ও ভবানীপুরে নাম রয়েছে, এবার আর উঠবে না। তারপর তো এই সিটে লিড ৩০ হাজার দিয়ে শুরু করবে বিজেপি।”

    ভবানীপুর মিনি ইন্ডিয়া

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, “আমাদের তথাগত রায়, শিক্ষাবিদ, ত্রিপুরার রাজ্যপাল হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি এখান থেকে ৪০০ ভোটের লিড নেন। এটা হচ্ছে মিনি ইন্ডিয়া…নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান। ভবানীপুরে শিখ, সিন্ধি, মাড়োয়ারি, বিহার-উত্তরপ্রদেশের হিন্দিভাষী, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, উৎকল, গুজরাটি, রাজস্থানের সব জেলার মানুষ রয়েছেন। সেই সঙ্গে আছেন বাঙালিরা। ধর্ম বাঁচাতে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা হিন্দু বাঙালিরা রয়েছেন এখানে। বর্ধিষ্ণু পরিবার, শিক্ষিত মানুষ আছেন। এটা বিজেপি-র জায়গা। অতএব এই জায়গা ধরে রাখার কাজ করবে বিজেপি। বিজেপি এখানে আছে। কালীঘাটের কাছে…ওয়াকিং ডিসট্যান্স। কয়েকশো মিটার হাঁটলেই পৌঁছনো যাবে। ইয়ে তো পহেলে ঝাঁকি হ্যায়, অভি বহুত বাকি হ্যায়। পোস্টার ব্যালট গোনা চলছে, ইভিএম-এ হাত পড়েনি এখনও। লাফিয়ে গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে আমাকে হারাতে। আমি ওঁকে হারিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। মরে গেলে উপনির্বাচন হয়। উনি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে খড়দা পাঠিয়ে, নিজে ছাপ্পা মেরে এখানে জিতেছেন।”

    সোমবারই এসআইআর ঘোষণা

    আজ, সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এদিনই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরুর নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। সেই নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আপনারা জোট বেঁধে কাজ করুন। সংবাদমাধ্যমে দেখলাম, সোমবার এসআিআর-এর (SIR) ঘোষণা করতে পারে কমিশন। আপনারা প্রস্তুত তো! বাড়ি বাড়ি বিএলও-রা যাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র। বিএলও-রা চাপে থাকবেন। ভয় পাবেন না। চারটি ডব্লুবিসিএস অফিসার সাসপেন্ড হয়েছে। এফআইআর পেন্ডিং। আরও দু’জন সাসপেন্ড হওয়ার পথে। বিচার-বিবেচনা চলছে। আগে এসব করেনি কমিশন।” শুভেন্দুর আরও দাবি, “এমনিতে কয়েক লক্ষ পালিয়ে গিয়েছে। আবার এসআইআর ঘোষণা হলে তো দেখতে হবে না। ৮০ ভাগ এমনি পালাবে। আবার কমিশন যদি ঘোষণা করে, কোনও বাংলাদেশি মুসলিমকে ধরে দিলে ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। তাহলে এই কাজটা বিএলও ও বিজেপিকে করতে হবে না। তৃণমূলই করে দেবে।” নন্দীগ্রামে মমতাকে হারানোর কথা ফের স্মরণ করে বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, “ওকে হারাবই। শুধু সাহায্য করুন। ভয় পাবেন না। মিথ্যা মামলা করলে পাশে থাকব।”

LinkedIn
Share