Tag: west bengal chief minister

west bengal chief minister

  • NRC: এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে তীব্র আক্রমণ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    NRC: এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে তীব্র আক্রমণ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনআরসি (NRC) নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এমন দাবি করতে শোনা গেল অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “এনআরসি নিয়ে কোনও ঘোষণা হয়নি, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাঙালিদের মধ্যে ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।” এর পাশাপাশি এনআরসি নিয়ে মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন বলেও জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

    মমতাকে তীব্র আক্রমণ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (NRC)

    গুয়াহাটিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী তীব্র আক্রমণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “হঠাৎ উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বলছেন, আমি এনআরসি মানব না। কে এনআরসি-র নির্দেশ দিয়েছে? বিগত পাঁচ বছরে উনি এনআরসি নিয়ে কথা বলেননি। হঠাৎ তিনি এইসব বিষয় নিয়ে কথা বলছেন।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আক্রমণ করে তিনি বলেন, “বাঙালিদের মধ্যে ভয় তৈরি করা এবং তাদের ভোট আদায় করার কৌশল এটা। গত ৫ বছরে এনআরসি নিয়ে কথা বলেননি। এখন নির্বাচন আসছে, তাই উনি এইসব কথা বলতে শুরু করেছেন।”

    এসআইআরের বিরোধিতা কেন করছেন মমতা?

    প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই এসআইআরের তীব্র বিরোধিতায় নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটার তালিকা সংশোধন এবং অবৈধ ভোটব্যাঙ্ক বাদ দেওয়ার যে প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশন চালু করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে, তাকেই এনআরসি বলে উল্লেখ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যকে ঘিরে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এসআইআর তো নতুন কিছু নয়, আগেও পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে। এভাবে ভোটার তালিকায় থাকা অবৈধ ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কাজে বাধা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে কাদের সুরক্ষিত করতে চাইছেন — সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে (NRC)।অনেকের মতে, অবৈধ ভোটব্যাঙ্কই (NRC) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটে জেতার বড় একটি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। তাই তিনি এসআইআরের বিরোধিতা করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে একাধিক সভায় বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

  • High Court: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস

    High Court: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনকে কেন্দ্র করে একের পর এক আক্রমণ করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্লীলতাহানির অভিযোগ পর্ব থেকে সেই যে বিতর্ক শুরু, তারপর মুখ্যমন্ত্রী টানা আক্রমণ করে গিয়েছে সি ভি আনন্দ বোসকে। যদিও এই পর্বে অনেকটাই রক্ষণাত্মক রাজ্যপাল। কিন্তু এবার বিচার চাইতে হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হলেন সি ভি আনন্দ বোস। তিনি কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর।

    শপথ ঘিরে জটিলতা (Governer)

    শুধু মুখ্যমন্ত্রী নয়, রাজ্যের আরও কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে রাজ্যপাল ওই মামলা (High Court) করেছেন বলে জানা গিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী জানিয়েছেন, এখন অবধি মামলা লিস্টেড হয়নি। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মেয়েরা ওখানে (রাজভবন) যেতে ভয় পাচ্ছে। এই মন্তব্য উল্লেখ করে মামলাটি করেছেন রাজ্যপাল (Governer)। প্রসঙ্গত রাজভবন নাকি বিধানসভায়, শপথ কোথায় হবে এ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। সদ্য জয়ী তৃণমূলের দুই বিধায়ক চাইছেন বিধানসভায় শপথ করানো হোক। অন্যদিকে রাজভবনে এসে শপথ নেওয়ার সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। বিধায়করা সেখানে না যাওয়ার ফলে দুই বিধায়কের শপথ ঘিরে জটিলতা অব্যাহত। এরই মাঝে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে শপথ জটিলতার সমাধান না হলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তিনি আবার বোমা পাঠাবেন। অন্যদিকে বিধানসভার সামনে বরানগর কেন্দ্র থেকে জয়ী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলে দিয়েছেন তখন আর কিছু বলার নেই। ভয় তো লাগতেই পারে।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের মদতেই সরকারি জমি বিক্রি! শিলিগুড়িতে মিলল বড় চক্রের হদিশ

    অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলে দিয়েছেন, তাই বিধায়কদের ভয় লাগছে। কিন্তু বাকি একজন পুরুষ বিধায়কের কেন শ্লীলতাহানির ভয় নাকি দলের হুইপের ভয় তা জানা যায়নি।  

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া (High Court)

    সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, শুক্রবার মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) দায়ের করা হয়। মামলার কপির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য উল্লেখ করা আছে। রাজ্যপালের এই মামলা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “রাজ্যপাল (Governer) সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত অনেক আগে নেওয়া উচিত ছিল। রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের মর্যাদা জড়িত আছে। এ বিষয়ে রাজ্যপালের প্রতি আমার সমর্থন রয়েছে।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Narendra Modi: মুসলিম কট্টরপন্থীদের চাপে এবং ভোট পেতেই সাধুদের অপমান করছেন মমতা, তোপ মোদির

    PM Narendra Modi: মুসলিম কট্টরপন্থীদের চাপে এবং ভোট পেতেই সাধুদের অপমান করছেন মমতা, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারে ভোট প্রচারে বাংলায় এসে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) বলেন, ‘‘মুসলিম কট্টরপন্থীদের চাপে এবং ভোট পেতে সাধুদের অপমান করছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’ প্রসঙ্গত শনিবার একটি সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজের নাম করে তাঁকে আক্রমণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। কার্তিক মহারাজ। আমি শুনেছি উনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেব না। তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তিনি সরাসরি রাজনীতি করছেন।’’ এর পাশাপাশি আসানসোলের রামকৃষ্ণ মিশন এবং ইসকনকেও নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার দাবি, এই সংস্থাগুলি বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে। এই ইস্যুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    তীব্র আক্রমণ মোদির

    তীব্র আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল-মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সাধু-মহারাজদের প্রকাশ্যেই ধমকাচ্ছেন। মঞ্চ থেকেই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। বিশ্ব জুড়ে ইসকন, মিশনের লোক থাকেন।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘৪ জুন নতুন সরকার তৈরি হওয়ার পরে দুর্নীতিগ্রস্ত জনগণের ঠাঁই হবে জেলে। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘দুর্নীতিগ্রস্ত ইন্ডিয়া জোট, তাতেই রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। এটা মোদির গ্যারান্টি, কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ সুরক্ষিত থাকবে না।’’

    ধমকাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

    তিনি (PM Narendra Modi) আরও বলেন, ‘‘দেশে ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ নিয়ে পুরো বিশ্বে জনপ্রিয়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের প্রকাশ্যেই ধমকাচ্ছেন। মঞ্চ থেকেই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। বিশ্ব জুড়ে ইসকন, মিশনের লোক থাকেন। তাঁদের লক্ষ্য, মানুষের সেবা করা। নিজের ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে এখন তাঁদেরকেই ধমকাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। লাখো মানুষের ভাবনার কথা ভাবছেন না।’’

    প্রধানমন্ত্রী তুলে আনেন স্বামী বিবেকানন্দর প্রসঙ্গ

    প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) তুলে আনেন স্বামী বিবেকানন্দর প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘স্বামী বিবেকানন্দ বিদেশের মাটিতে গিয়েছিলেন, যখন ভারতের কথা বলতেন, তখন লাখো মানুষ ওঁর ভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এক জন এমন ছিলেন, যিনি ভারতের প্রতি বিদ্বেষ ছিল, তিনি স্বামী বিবেকানন্দকে ধমকিয়েছিলেন, খুব অপমান করেছিলেন। এখন  আবারও সেরকম হচ্ছে। আজ সেরকমই বাংলার মাটিতে হচ্ছে।  নির্বাচনে বাংলার মানুষকে ভয় দেখানো, ধমকানো, হিংসা করানোর তৃণমূল সরকার এবার সব সীমা পেরিয়ে গিয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share