Tag: West Bengal news

West Bengal news

  • Recruitment Scam: আরও ৪০ ‘অযোগ্য শিক্ষকের’ নাম, ওএমআর শিট প্রকাশ এসএসসি-র, দেখুন তালিকা

    Recruitment Scam: আরও ৪০ ‘অযোগ্য শিক্ষকের’ নাম, ওএমআর শিট প্রকাশ এসএসসি-র, দেখুন তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিযোগ ছিল, সাদা উত্তরপত্র জমা দিয়েও ৪৩ নম্বর পেয়েছেন একাধিক পরীক্ষার্থী। নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগের পরে ওএমআর শিটে বিকৃতির (OMR sheet Corruption) অভিযোগ ওঠে গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রেও (Recruitment Scam)। শেষমেশ, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ‘অযোগ্য শিক্ষকদের’ নামের দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। মঙ্গলবার এই নতুন তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। তালিকায় নাম রয়েছে ৪০ জনের। তবে, এবার শুধু তালিকাই নয়। আদালতের নির্দেশে এই ৪০ জনের জমা দেওয়া ফাঁকা ওএমআর শিটও প্রকাশ করা হয়েছে কমিশনের তরফে। 

    আরও পড়ুন: গ্রুপ-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি! ওএমআর শিট সবার সামনে আনার নির্দেশ হাইকোর্টের

    কী নিয়ে বিতর্ক

    পরীক্ষায় পেয়েছেন শূন্য। অথচ স্কুল সার্ভিস কমিশন (Recruitment Scam)-এর সার্ভারে দেখা যায়, গ্রুপ ডির সেই প্রার্থী পেয়েছেন ৪৩। সিবিআইয়ের পেশ করা নথি নিয়েই মঙ্গলবার সরব হয় কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন শুনানিতেই বেআইনিভাবে নিয়োগ হওয়া ৪০ জনের নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। কমিশনের ওয়েবসাইটে ৪০ জনের নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ী, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কমিশনের ওয়েবসাইটে আরও ৪০ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের তালিকা ও ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়।

    মামলার প্রেক্ষাপট

    গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলা করেছিলেন লক্ষ্মী টুঙ্গা। এই মামলায় বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, মোট ২৮২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০০ জনের ওএমআর শিটেই এই বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে। ওই ১০০ জন গ্রুপ ডি প্রার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) জনসমক্ষে আনার নির্দেশ দেন বিচারপতি। এদিন বিচারপতি আরও বলেন, ‘যাঁদের নাম প্রকাশ করা হবে তাঁরা চাইলে মামলাও করতে পারেন। যদি তাঁরা মামলা করতে চান তো আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মামলা দায়ের করতে পারেন। তাঁদের এই মামলায় যুক্ত করা হবে।

    প্রকাশ্যে তালিকা—

    এর আগে, ১৮৩ জনের নামের তালিকা একইভাবে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রকাশ করেছে কমিশন। এবার আদালতের নিয়ম মেনে ৪০ জনের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (Recruitment Scam)।  

     

     

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Partha Chatterjee CBI Custody: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ, সঙ্গী কল্যাণময়

    Partha Chatterjee CBI Custody: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ, সঙ্গী কল্যাণময়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) সিবিআই হেফাজতের (CBI Custody) নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। ২১ শে সেপ্টেম্বর অবধি সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ। এদিন এসএসসি দুর্নীতির (SSC Scam) মামলা আদালতে ওঠে। এতদিন ইডির হেফাজতে (ED Scam) ছিলেন পার্থ। এদিন জামিনের আর্জি জানান রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। জামিনের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কেও (Kalyanmay Ganguly) সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। 

    আদালত থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, আরও তদন্তের জন্য কাস্টডিতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন। এটি একটি বড় চক্রান্ত। এদিন আদালতেও একই কথা বলেছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। 

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    সিবিআই গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, এসএসসি দুর্নীতির মূল চক্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে ঘাড় থেকে যাবতীয় দায় ঝেড়ে ফেলার মরিয়া চেষ্টা করেছেন পার্থ। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, “এসএসসি আলাদা সংস্থা। আমি মন্ত্রী থাকলেও এসএসসির কোনও কাজে আমার নিয়ন্ত্রণ ছিল না।” নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে এদিন বার বার জামিনের আর্জি জানান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। কিন্তু এদিনও জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় সিবিআই- এর বিশেষ আদালত।   

    এদিন আদালতে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পারিবারিক কৌলিন্যের কথাও বিচারকের সামনে তুলে ধরেন পার্থ। তিনি বলেন, “আমি শিক্ষিত, ইকনমিক্সে স্নাতক, এমবিএ। আমার মামার নাম শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এখন আরও এক সংস্থা নতুন করে তদন্ত করতে চাইছে। আমি খুবই অসুস্থ। কে সাহায্য করবে? আপনি আপনার মতো বিচার করবেন। আপনার কাছে বিচারের আশায় আছি।” তিনি আরও বলেন, “ইডি দুমাস ধরে জেলে রেখেছে। এবার সিবিআই হেফাজতে চাইছে। ২৮টি ওষুধ খাই, আমি খুব অসুস্থ, জামিন দেওয়া হোক।” 

    আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জের, সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় 

    সিবিআই- এর আইনজীবী আদালতে পাল্টা বলেন, সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে জানান, ২০১৬-তে গ্রুপ সি পরীক্ষা হয়। রেজাল্ট বের হয় ২০১৭-তে। কিন্তু ২০১৯-এ নিয়ম না মেনে ৪০০ চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে। অযোগ্যদের নিয়োগ করা হয়েছে অনৈতিকভাবে। 

    অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, “কোনও এফআইআর-এ আমার মক্কেলের নাম নেই। সিবিআই, ইডি ষড়যন্ত্র করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রাখতে চাইছে। সিবিআই যখনই ডেকেছে আমার মক্কেল তখনই গেছেন। ইডি গ্রেফতার করার পর ৬০ দিন হয়ে গেছে। ইডি চার্জশিট দিতে না পারলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পেয়ে যেতে পারেন, তাই এবার এফআইআর-এ নাম না থাকলেও সিবিআই তাঁকে হেফজতে নিতে চাইছে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও অশোক সাহাকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Bengal Child Marriage: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?

    Bengal Child Marriage: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের (TMC Government) ভোট অস্ত্র। শহর থেকে গ্রাম এই সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপন ঢেকে গিয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী যে কোনও সভা মঞ্চে সাফল্যের তালিকা তুলে ধরলেই সেই প্রকল্পের কথা সব্বার প্রথমে বলেন। কিন্তু তারপরেও যেন বাস্তবে বড় ধাক্কা খেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata) স্বপ্নের প্রকল্প।

    রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে। প্রশ্ন উঠছে কন্যাশ্রী কি শুধুই বিজ্ঞাপনে আটকে? বাস্তবের ছবি কি আলাদা? ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের (NFHS) ২০১৯-২০ সালের রিপোর্ট বলছে, পশ্চিমবঙ্গে নাবালিকা বিয়ে (Child Marriage) বেড়েছে। ১৮ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ের সংখ্যা ২০১৫-১৬-র তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে।

    কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ সালের এনএফএইচএস রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৪১ শতাংশ মেয়ের ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু ২০১৯-২০ সালের এনএফএইচএস রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ৪৮.১ শতাংশ গ্রামীণ মেয়ের নাবালিকা বিয়ে হয়। শহরে সেই সংখ্যা ২৬.২ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: কার্ড দেখালেই বেসরকারি হাসপাতালে ‘বেড ফাঁকা নেই’, স্বাস্থ্য সাথী কি কেবল ‘বিজ্ঞাপন’?

    কেন্দ্রের এই পরিসংখ্যান কন্যাশ্রীর (Kanyashree) সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বলে মনে করছেন একাংশ। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই কন্যাশ্রী প্রকল্প শুরু করে। মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প। ১৮ বছর পর্যন্ত মেয়েরা পড়াশোনা করবে এবং নাবালিকা বিয়ে আটকানো যাবে, এই দুইয়ের বাস্তবায়ন কন্যাশ্রীর উদ্দেশ্য। কিন্তু বাস্তবে কন্যাশ্রী আদৌও কার্যকরী হচ্ছে কি? সেই প্রশ্ন জোরালো করছে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান।

    প্রশাসনের অন্দরের একাংশ জানাচ্ছেন, কন্যাশ্রী নিয়ে প্রচার যতখানি হচ্ছে, সুফল ভোগ কত মেয়ে করছে, সে নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। অনেকেই কন্যাশ্রীর টাকা ঠিক মতো পাচ্ছে না। শুধু টাকা নয়, সরকারের তদারকিরও অভাব থাকছে। মেয়েদের বিয়ে রুখে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা জরুরি। কিন্তু অনেক জায়গায় অভিযোগ উঠছে, নাবালিকা বিয়েতে স্থানীয় প্রশাসন অর্থাৎ পঞ্চায়েত সদস্য, কাউন্সিলরদের ও ইতিবাচক ভূমিকা থাকছে। ফলে, হোর্ডিংয়ের মতো বাস্তবে কন্যাশ্রী জ্বলজ্বল করছে না। 

    প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্যাশ্রীর টাকা পাওয়া নিয়েও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অনেক এলাকায় কন্যাশ্রীর টাকার একাংশ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কিংবা কাউন্সিলরকে দিতে হয়। কন্যাশ্রীর টাকার ‘ভাগ’ না পেলে প্রয়োজনীয় নথিতে সই করতে চান না সংশ্লিষ্ট মহল। তার উপরে কে কন্যাশ্রী পাবে, সে নিয়েও চলে নানান রাজনৈতিক জটিলতা। এলাকার শাসক দলের নেতার সুনজরে না থাকলে অনেকেই ফর্ম পূরণ করেও কন্যাশ্রীর সুবিধা পাচ্ছেন না। ফলে, যাদের এই প্রকল্পের প্রয়োজন, তাঁরা অনেকেই আওতার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। 

    আরও পড়ুন: এসএসসিতে ভুয়ো নিয়োগ কত? ১৩ হাজারের নামের তালিকা পর্ষদের!

    যদিও কন্যাশ্রীর জন্য পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে বলে মনে করেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কন্যাশ্রী যে সফল, তা শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও স্বীকৃতি পেয়েছে। নাবালিকা বিয়ের মতো সমস্যা একদিনে মিটবে না। প্রশাসন এ নিয়ে তৎপর। উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে এই ঘটনা আরও বেশি হচ্ছে।”
     
    তবে, খামতি যে থাকছে সে কথা স্বীকার করছে রাজ্য শিশুর অধিকার সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের তরফে বলা হয়, নাবালিকা বিয়ে একটা সামাজিক সমস্যা। একে পুরোপুরি নির্মূল করতে হলে আরও সক্রিয় হতে হবে। সব মহলকেই সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারি প্রকল্পের পাশাপাশি মেয়েদের সতর্ক ও করতে হবে। বাড়ির লোক জোর করলেও যাতে মেয়েরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়, অভিযোগ করে, সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে। সেটা হচ্ছেও। অনেক জায়গায় মেয়েদের সাহসের জোরেই নাবালিকা বিয়ে আটকানো যাচ্ছে।

  • Medical Council Election: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন ‘নির্মল’ হবে কিনা সংশয়ে চিকিৎসকরা

    Medical Council Election: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন ‘নির্মল’ হবে কিনা সংশয়ে চিকিৎসকরা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: প্রায় ন’বছর পরে নির্বাচন হতে চলেছে। কিন্তু আশঙ্কা কাটছে না। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন (West Bengal state medical council election) নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে জটিলতা চলছে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সেই নির্বাচন শুরু হবে। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে, যে দাবিতে চিকিৎসকদের একাংশ সরব হয়েছিলেন, সেটা কতখানি বাস্তব আকার নেবে, সে নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। অর্থাৎ, আদৌ স্বচ্ছ নির্বাচন হবে কিনা সেই নিশ্চয়তা নেই।

    রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন যেন, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। শাসক দলের সেই দাদাগিরি এবারেও অপরিবর্তিত। এ বছরেও সব চিকিৎসক ভোটাধিকারের সুযোগ পাবেন কিনা, সে নিয়ে সংশয় রয়েছে। চিকিৎসক নেতা শারোৎদ্বত মুখোপাধ্যায় বলেন, “সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের ব্যালট পেপার হাসপাতালের অধ্যক্ষ অথবা সুপারের কাছে যায়। তিনি সেগুলো প্রত্যেককে দেন। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের প্রশাসনিক যা অবস্থা, তাতে কোনও ব্যালট পেপার বিলি হবে না।” তাঁর আশঙ্কা, “হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্তা, যাঁরা আসলে তৃণমূলের লোক, তাঁরাই ব্যালট খুলে ভোট দিয়ে দেবেন। আসলে সংবিধান যাঁরা তৈরি করেছিলেন, তারা ভাবেননি, চিকিৎসকরা এমন নিম্নরুচির কাজ করতে পারেন।” তাঁর আশঙ্কা, এ বছরেও মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন হবে লোক দেখানো। তার মধ্যে গণতান্ত্রিক ভাবাদর্শ ছিটেফোঁটাও থাকবে না। 

    রাজ্যের চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া, ঠিকমতো আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে চিকিৎসা হচ্ছে কিনা, তা নজরদারি করা, ভুয়ো চিকিৎসকদের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচানো এবং মানুষ ঠিকমতো স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্ব রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের। এই কাউন্সিলের দায়িত্ব কে সামলাবে, তা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক হয়। চিকিৎসকরাই নির্বাচিত করেন কাউন্সিলের সদস্যদের। কিন্তু রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হচ্ছে, এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি, দিনের পর দিন বাড়ছে সংক্রমণ

    ২০১৩ সালে শেষ নির্বাচন হয়েছিল। সেই নির্বাচন নিয়ে নানান অভিযোগ উঠেছিল। মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি হয়েছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক নির্মল মাঝি (Nirmal Majhi)। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই মতো ২০১৮ সালে মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনের আয়োজন হয়। কিন্তু অধিকাংশ হাসপাতালের চিকিৎসকরাই ব্যালট পাননি। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন নিয়ম অনুযায়ী, হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে ব্যালট পৌঁছে যাবে। তিনি পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেবেন। ডাকে মুখ বন্ধ খামে তাঁর ব্যালট আবার কাউন্সিলে ফেরত যাবে। কিন্তু অভিযোগ, ২০১৮ সালে অধিকাংশ চিকিৎসক ব্যালট পাননি। অনেকেই খালি খাম পেয়েছেন। ডাক বিভাগ থেকে চিকিৎসকের কাছে ব্যালট পৌঁছনোর আগেই কীভাবে ভিতরের ব্যালট পেপার উধাও হয়ে গেল, সে নিয়ে সংশয়ে চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালের নির্বাচনে কতখানি স্বচ্ছতা থাকবে, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

    চিকিৎসকদের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্মের তরফ থেকে চিকিৎসক কৌশিক চাকি বলেন, “কাউন্সিলের স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য হাইকোর্ট একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ রাজ্য সরকারকে দিয়েছিল। সরকার ৮ সদস্যের একটি কমিটি গড়ে। তবে, সেই কমিটির ৫ জন সদস্যেরই সরাসরি শাসক দলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। ফলে, মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন স্বচ্ছ করার কতখানি সদিচ্ছা সরকারের আছে, এই ঘটনাই তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে।”

    রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রাক্তন সভাপতি নির্মল মাঝির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠেছে। কখনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে দামি জীবনদায়ী ওষুধ চুরির আবার কখনও ভুয়ো চিকিৎসককে রেজিস্ট্রেশন পাইয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ হয়েছে। অপর দিকে শাসক দলের আরেক চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেনের (TMC Rajya Sabha MP Shantanu Sen) বিরুদ্ধেও চিকিৎসক মহলে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ। বিশেষত স্বাস্থ্য দফতরের নিয়োগ গড়মিলে তার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করেন রাজ্যের চিকিৎসক মহল। তাই শাসক দল, এবার নির্মল মাঝি ও শান্তনু সেন এই দুই চিকিৎসক নেতাকেই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন থেকে দূরে রেখেছেন। এবছর শাসক দলের মুখ সুদীপ্ত রায়।

    নেতা বদল হলেও পরিস্থিতি বদলাবে না বলেই আশঙ্কা করছেন রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে দুটো প্যানেলে নির্বাচন হয়। একটি মেডিক্যাল এডুকেশন সার্ভিসের, যেখানে মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক পদাধিকারী থেকে অধ্যাপক পদে কর্মরত চিকিৎসকরা ভোট দেন। আরেকটি প্যানেল নন-টিচিং ডাক্তারদের। প্রত্যেক প্যানেল থেকে ৭ জন সদস্য নির্বাচিত হন।

    আরও পড়ুন: শিক্ষক দিবসের দিন ‘যন্ত্রণা’ দিবস পালন করলেন বিক্ষোভরত হবু শিক্ষকরা

    আজ মঙ্গলবার নমিনেশন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ৭ সেপ্টেম্বর নমিনেশন ভেরিফিকেশন হবে। যেগুলোতে ভুল আছে, তা বাতিল হবে। তারপরে প্রত্যেক দল, তাদের মনোনিত ৭ জন করে সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা ঘোষণা করবেন। সাধারণত, প্রত্যেক দলের ১০-১২ জন সদস্য নমিনেশন পেপার জমা দেন। কারণ, অনেকের ভেরিফিকেশনের সময় বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু শাসক দল ৭ জন সদস্যই নমিনেশন জমা দিয়েছেন এবং নির্বাচনে কারা দাঁড়াবেন, সেটাও দল ঘোষণাও করে দিয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশের প্রশ্ন, “এই ঘটনায় বোঝাচ্ছে, নমিনেশন, ভেরিফিকেশন এগুলো সব লোক দেখানো। শাসক দলের এসব কিছুর করার প্রয়োজন নেই? তারা কোনও ভুল করবেন না?” 

    রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সর্বত্র শাসক দল নিজেদের পেশি শক্তির প্রকাশ করতে চাইছে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন ও তার ব্যতিক্রম নয়। রাজের মেডিক্যাল কাউন্সিল ঠিকমতো কাজ না করলে স্বাস্থ্য পরিষেবাতেও তার প্রভাব পড়বে। যার জেরে সাধারণ মানুষকেও নাজেহাল হতে হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Partha Chatterjee Aide: অর্পিতার মতো প্রসন্নরও রয়েছে ফিল্মি-যোগ? পার্থ-ঘনিষ্ঠদের ‘অপ’-কর্মেও মিল!

    Partha Chatterjee Aide: অর্পিতার মতো প্রসন্নরও রয়েছে ফিল্মি-যোগ? পার্থ-ঘনিষ্ঠদের ‘অপ’-কর্মেও মিল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী। আরেক ঘনিষ্ঠ প্রযোজক! এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) জেল হাজতে থাকা তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) এক ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) সঙ্গে ফিল্মি জগতের যোগ সকলেরই জানা। হরিদেবপুর (Haridevpur) ও বেলঘরিয়ায় (Belghoria) অভিনেত্রী-মডেল অর্পিতার জোড়া ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই তিনি রয়েছেন শ্রীঘরে।

    ইতিমধ্যেই, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ২ মিডলম্যানও। একজন হলেন প্রদীপ সিং, অপরজন প্রসন্নকুমার রায় (Prasanna Kumar Roy)। এরমধ্যে সিবিআই সূত্রে দাবি, সম্পর্কে পার্থর ভাগ্নী-জামাই প্রসন্নর সঙ্গেও নাকি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Kolkata Film Industry) যোগসূত্র রয়েছে। অন্তত এমনটাই দাবি করছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, একসময় সিনেমা প্রযোজনাও করেছিলেন এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-র ধৃত মিডলম্যান প্রসন্নকুমার রায়।

    আরও পড়ুন: সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ে হোটেল-মালিক! পার্থ-ঘনিষ্ঠর উল্কাবেগে উত্থানে তাজ্জব সিবিআই

    হেফাজতে প্রসন্নকে যত জেরা করছেন তদন্তকারীরা, ততই যেন তাঁর নিত্য-নতুন সম্পত্তির রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে। এমনিতেই, তদন্তে উঠে এসেছে যে, সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে কীভাবে অল্প সময়ের মধ্যে স্রেফ পার্থর ‘প্রসন্নতায়’ বৈভবের চূড়ায় পৌঁছেছেন প্রসন্ন। এবার তাঁর আরও সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। 

    সিবিআই সূত্রে দাবি, প্রসন্নকুমারের একাধিক ফ্ল্যাটের মধ্যে রয়েছে আইডিয়াল ভিলা, হাওড়ার গাদিয়াড়ায় চলন্তিকা রিসর্ট–সহ নানা সম্পত্তি। প্রায় দশ বিঘা জমির উপর তৈরি হয়েছে চলন্তিকা রিসর্ট। হোটেলটি মূলত থ্রি স্টার। আবার টাইলস কারখানার খোঁজ মিলল তাঁর নামে। ২০১৫–১৬ সালে বাগনানে ১২ কোটি টাকা দিয়ে এই টাইলস কারখানা কেনেন। ওই কারখানাটি ৩০ বিঘা জমির উপর তৈরি।

    আরও পড়ুন: সিবিআই হেফাজতে আসতে পারেন পার্থ! ১৩১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান

    সিবিআই সূত্রে খবর, প্রসন্নকে জেরা করে অযোগ্যদের নিয়োগ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে যে, প্রসন্নই তৈরি করতেন অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা। তারপর সেটি প্রদীপ সিংয়ের হাত ধরে পৌঁছে যেত এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার কাছে।

    আবার, এই প্রসন্ন-ঘনিষ্ঠ এক পার্শ্বশিক্ষকও রয়েছেন সিবিআই রেডারে। আব্দুল আমিন নামে ওই ব্যক্তি পাথরঘাটা স্কুলের সহকারি শিক্ষক। ২০১৬ সালে পাথরঘাটা এলাকায় প্রাসাদোপম বাড়ি নির্মাণ করেন আমিন। সূত্রের খবর, বাড়িটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১.৫ কোটি টাকা। কিন্তু ১০ হাজার টাকার চাকরি করে কীভাবে এত বড় বাড়ি বানিয়েছেন আমিন? তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। 

    তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০১৪ সাল থেকে পাথরঘাটা হাই স্কুলের প্যারা টিচার হিসেবে কাজ করতেন। কাজের সূত্রেই কোনওভাবে প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা হয়। অভিযোগ, কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে আমিনও একাধিক ব্যক্তির চাকরি করিয়ে দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ১১৩টি চাকরি তিনি টাকার বিনিময়ে করিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • SSC Recruitment Scam: সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ে হোটেল-মালিক! পার্থ-ঘনিষ্ঠর উল্কাবেগে উত্থানে তাজ্জব সিবিআই

    SSC Recruitment Scam: সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ে হোটেল-মালিক! পার্থ-ঘনিষ্ঠর উল্কাবেগে উত্থানে তাজ্জব সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) যত তদন্ত এগোচ্ছে, ততই এক-এক করে রহস্য ফাঁস হচ্ছে। ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ছে এক এক করে বেড়াল। কয়েকদিন আগেই, এই মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ এক মিডলম্যান প্রদীপ সিংকে (Pradip Singh) গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। এবার সেই প্রদীপকে জেরা করে মেলা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার আরেক মিডলম্যান প্রসন্ন কুমার রায়কে (Prasanna Roy) শুক্রবার সন্ধেয় সল্টলেক থেকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    কে এই প্রসন্ন রায়? সিবিআই সূত্রে খবর, প্রদীপের মতো ধৃত প্রসন্নও পার্থর ‘ঘনিষ্ঠ’। শুধু তাই নয়, শোনা যাচ্ছে, সম্পর্কে তিনি নাকি পার্থর ভাগ্নি-জামাইও। কেন সিবিআইয়ের নজরে এলেন প্রসন্ন? সল্টলেকে প্রসন্নর একটি গাড়ি ভাড়ার অফিস রয়েছে। সূত্রের খবর, এই অফিস থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের একাধিক তথ্য এবং নথি উদ্ধার করেছে। সিবিআই গোয়েন্দাদের দাবি, এই অফিসেই বসেই নাকি হত এসএসসি কাণ্ডের টাকার লেনদেন। 

    আরও পড়ুন: সিবিআই হেফাজতে আসতে পারেন পার্থ! ১৩১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান

    সূত্রের দাবি, মূলত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা থেকে যে সব নিয়োগ হয়েছে, সেই সব চাকরি প্রার্থীদের থেকে টাকা নেওয়ার কাজ চলত সেখান থেকেই। তদন্ত করে সিবিআই জানতে পেরেছে, প্রায়ই রাতে একাধিক গাড়ি করে আসত টাকা। সেই টাকা কোথা থেকে আসত, কে পাঠাত, কোথায় যেত, কার কাছে যেত— এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে প্রসন্নকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে সিবিআই। 

    ইতিমধ্যেই, প্রসন্নর উল্কার বেগে উত্থানের কাহিনী শুনে রীতিমতো চমকে উঠেছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রের খবর, প্রসন্নর এই উত্থান যে কোনও কল্পনাকেও হার মানাবে। কী জানতে পেরেছে সিবিআই? তদন্তে জানা গিয়েছে, কয়েক বছরের মধ্যেই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠেছেন এই প্রসন্ন। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ এতটাই যে শুনলে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়! কয়েক বছর আগে পর্যন্ত সামান্য রং-মিস্ত্রির কাজ করতেন প্রসন্ন। সেখান থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘হাতযশেই’ ফুলেফেঁপে ওঠেন তিনি। সিবিআই জানতে পেরেছে, এখন তিনি দুবাইয়ে হোটেলের মালিক! পরে রঙের ঠিকাদারির ব্যবসা শুরু করেন। তারপর নাকি আচমকা এমন উত্থান! বর্তমানে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার অফিস রয়েছে তাঁর। 

    কী আছে সেই সম্পত্তির তালিকায়? সিবিআই জানতে পেরেছে, সল্টলেক ও নিউটাউন এলাকায় একাধিক সম্পত্তি রয়েছে এই প্রসন্নর। নিউটাউনের বলাকা আবাসনে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। নিউটাউনে অন্তত পাঁচটি বাগান বাড়ি রয়েছে তাঁর। কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় একটি অভিজাত ভিলা রয়েছে প্রসন্নর— বিশাল ভিলা, সামনে বাগান একেবারে চোখ ধাঁধানো। 

    আরও পড়ুন: এবার পার্থর পকেটেও কাট ছাঁট! জানেন কত হল প্রাক্তন মন্ত্রীর এখনকার বেতন?

    এছাড়া, রাজারহাটের ধারসাইতে তাঁর তিন তলা বাগান বাড়ির হদিশ মিলেছে বলেও সূত্রের খবর। এ ছাড়া একাধিক জমির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই বাগান বাড়িতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় একাধিক বার গিয়েছেন বলেও সিবিআই সূত্রে দাবি৷ সিবিআই সূত্রে খবর, রাজ্যের চারদিকে যেমন— দিঘা, সুন্দরবন, জঙ্গলমহল, উত্তরবঙ্গে রিসর্ট রয়েছে প্রসন্নর। বেশ কয়েকটি চা বাগানেরও মালিক তিনি। উত্তরবঙ্গে তাঁর নামে কয়েক বিঘা জমিরও তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। হোটেল ব্যবসা রয়েছে পুরী, উত্তরাখণ্ডেও। এমনকী দুবাইতেও তাঁর হোটেল রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। 

    প্রশ্ন হচ্ছে, একজন রঙের ঠিকাদারের এত বিপুল সম্পত্তি, এত বৈভব কী ভাবে হল? তাহলে কি নিয়োগ দুর্নীতির টাকার সঙ্গে এই বিপুল সম্পত্তির যোগ রয়েছে? এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। কীভাবে একের পর এক হোটেলের মালিক হলেন প্রসন্ন? তাঁর আয়ের উৎস কী? এই সব প্রশ্নের উত্তরই জানতে চাইছে সিবিআই। তদন্তকারীদের অনুমান, প্রসন্ন ও প্রদীপ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। বিশেষ করে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কীভাবে ঘুরপথে সাদা করা যায়, সেই কাজই চালাত এই দুই ধৃত মিডলম্যান। অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসএসসি-র নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে যোগযোগা করতেন প্রদীপ।

    সিবিআই জানতে পেরেছে, শান্তিপ্রদসাদের ফোনে প্রদীপ সিং-র নাম ছোটু বলে সেভ করা ছিল। প্রদীপের ডাক নাম ছোটু। দুজনের কখোপকথনও হোয়াটসআপে পাওয়া গিয়েছে। প্রদীপ সিংকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এবার প্রসন্নকেও হেফাজতে চাইবে সিবিআই। সূত্রের কবর, হেফাজতে নেওয়ার পর প্রদীপ ও প্রসন্ন দু’জনকেই মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে এসএসসি দুর্নীতির অনেক প্রশ্নের উত্তরই মিলবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সাতদিনের সিবিআই হেফাজতে এসপি সিন‍্‍হা, অশোক সাহা

    SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সাতদিনের সিবিআই হেফাজতে এসপি সিন‍্‍হা, অশোক সাহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতি (SSC scam) মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিন‍্‍হা (Shantiprasad Sinha) ও অশোক সাহাকে (Ashok Saha) ৭ দিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা তথা তৎকালীন সচিবকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    বুধবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং তৎকালীন সচিব অশোক সাহা। বৃহস্পতিবার তাঁদের সিবিআই হেফাজতে পাঠাল আলিপুর আদালত (Alipore Court)। সূত্রের খবর, এদিনের শুনানিতে সিবিআই আইনজীবীরা সওয়ালে বলেন, এসএসসি দুর্নীতি বৃহত্তর এক ষড়যন্ত্র। অনেক প্রভাবশালী এর সঙ্গে জড়িত।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা ও অশোক সাহাকে গ্রেফতার সিবিআইয়ের

    স্কুল সার্ভিস নিয়োগে(School Service Recruitment) দুর্নীতি মামলায় সিবিআই যে এফআইআর দায়ের করেছিল তাতে প্রথম নাম ছিল শান্তিপ্রসাদের। চার নম্বরে নাম ছিল অশোক সাহার। মঙ্গলবার সকাল থেকে এই দুজনকে জেরা করছিল সিবিআই। সন্ধের মুখে দুজনকে গ্রেফতার করার কথা ঘোষণা করা হয় সিবিআইয়ের তরফে। প্রসঙ্গত, এই প্রথম এসএসসি মামলায় কাউকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মানিক ভট্টাচার্যদের বহুবার জেরা করেছে সিবিআই।

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরার সময়ে বিভ্রান্ত করছিলেন শান্তিপ্রসাদ এবং অশোক। তাঁদের কাছে জানতে যাওয়া হয়েছিল, উপদেষ্টা কমিটিকে কারা নিয়ন্ত্রণ করত। কীভাবে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া চলেছিল? কারা কারা তাঁদের নির্দেশ দিতেন? এ হেন প্রশ্নে এক-একবার একএক রকম জবাব দিচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে নিজাম প্যালেস সূত্রে। এরপরই দুজনকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    এর আগে সিবিআই নিজাম প্যালেসে জেরা করার পাশাপাশি শান্তিপ্রসাদের রিজেন্ট পার্কের বাড়িতে গিয়েও তল্লাশি চালিয়েছিল। শুধু তাই নয়। এসএসসি-র অন্য কর্তাদের দুয়ারেও হানা দিয়েছিল তদন্ত এজেন্সি। সিবিআই সূত্রে খবর, দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ৷ মূলত তাঁদের ঘর থেকে একাধিক পেনড্রাইভ, সিডি-সহ যে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেগুলি দেখিয়ে জেরা করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

  • Partha Chatterjee: ‘টাকা মাটি মাটি টাকা’! সেলে পার্থর হাতে কথামৃত! ফিরবে চৈতন্য?

    Partha Chatterjee: ‘টাকা মাটি মাটি টাকা’! সেলে পার্থর হাতে কথামৃত! ফিরবে চৈতন্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসি নেই। রয়েছে পাখা। গদিওয়ালা বিছানা নেই। রয়েছে একটা চৌকি। অ্যাটাচড বাথ নয়, সেলের এক কোণে দেওয়াল তুলে ঘেরা জায়গায় রয়েছে শৌচালয়। প্রেসিডেন্সি জেলে সাধারণ বন্দিদের মতোই দিন কাটাচ্ছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। 

    আর একাকী সেলে তাঁর সময় কাটছে বই পড়ে ও জেলের অভিজ্ঞতা লিখে। সে কারণে বাড়ি থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে দুটি বই। লেখালেখি করে বই পড়ে জেলের দিন কাটছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর সেল ব্লকে আসছে বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি সহ মোট ৮টি করে সংবাদপত্র। যদিও সেদিকে নজর নেই তাঁর। সংবাদপত্র থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই মুখ ফিরিয়েছেন পার্থ।

    আরও পড়ুন: কেন অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার? হাসপাতাল সুপারকে ধমক স্বাস্থ্য কর্তার, দায় নেবে না নবান্ন

    সেলের বাইরে যখন হাঁটাহাঁটি করছেন তখন কোনও কটূক্তি যেন ধেয়ে না আসে বা কেউ তাঁকে বিরক্ত যেন করতে না পারে তাই সর্বক্ষণ সঙ্গে রয়েছেন দুজন কারারক্ষী। নিরাপত্তায় তাঁর সেলের বাইরেই রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। সাধারণের মতো জেলে থাকলেও মাঝে মধ্যেই পার্থর দিনযাপনে আসছে আবদারও। গতকাল চপ ও বেগুনি খেতে চেয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কারা দফতর সূত্রে খবর ডাল, ভাত, তরকারি ও মাছ দিয়েই মধ্যাহ্নভোজ সারছেন তিনি।

    গত শুক্রবার ইডির হেফাজত থেকে আদালতের নির্দেশে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে এসেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রথমদিকে সংশোধনাগারে তাঁর নানান বায়না থাকলেও বর্তমানে সাধারন বন্দিদের মতোই দিন কাটাচ্ছেন রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবদার করেছিলেন খাতা ও কলম দেওয়ার জন্য। কারণ তিনি লিখবেন জেলের প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা। 

    আরও পড়ুন: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    সেই মতো পার্থকে দেওয়া হয়েছে খাতা কলম। তাঁর আইনজীবী সুকন্যা ভট্টাচার্যকে অনুরোধ করেছিলেন সময় কাটানোর জন্য বই পাঠাতে। সেই মতো পার্থর বাড়ি থেকে সুকন্যা জেলে এনে দিয়েছেন শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণের কথামৃত ও মহাশ্বেতা দেবীর লেখা বাংলা সাহিত্য অমনিবাস। 

  • SSC scam: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা ও অশোক সাহাকে গ্রেফতার সিবিআইয়ের

    SSC scam: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা ও অশোক সাহাকে গ্রেফতার সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় (SSC Case) প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) গ্রেফতার করেছে ইডি (ED)। এবার এই মামলায় এবার প্রথম গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)৷ এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা এবং এসএসসি-র প্রাক্তন সচিব অশোক সাহাকে এ দিন গ্রেফতার করেছে সিবিআই৷ প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এটাই সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেফতারি।

    বুধবার সকাল থেকেই শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং অশোক সিন্‌হার বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেখানেই দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছিল উপদেষ্টা কমিটির দুই সদস্যকে। এর আগেও তাঁদের একাধিকবার জেরা করেছিল সিবিআই৷ তাঁদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশিও চালানো হয়৷ অভিযোগ, জেরায় একাধিক তথ্য গোপন করেন এসএসসির প্রাক্তন দুই কর্তা। এরপরই তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নিল সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    সম্প্রতি, দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরই, বিভিন্ন মহল থেকে চাউর করা হয় যে, আদতে ‘সেটিং’ করতে গিয়েছিলেন দিদি। তা হয়ে গেছে। যদিও, রাজ্য বিজেপির তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কোনও সেটিং-এর গল্প নেই। এগুলো অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়। 

    গেরুয়া শিবিরের এক নেতার জানান, মমতা যেদিন দিল্লি থেকে ফেরেন, তার পরের দিনই দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন সিবিআই-এর অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর। এখনও তিনি কলকাতাতেই রয়েছেন। তার মধ্যেই, এসএসসি কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতারি করল সিবিআই। এর আগেও, উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটাভুটি থেকে তৃণমূল বিরত থাকার পরের দিনই, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। ফলে মোদি-দিদির যে সেটিং নিয়ে কথা বলা হচ্ছে, তা সর্বৈব মিথ্যে।

    জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের এফআইআরে ১ নম্বরে শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা এবং ৪ নম্বরে অশোক সাহার নাম রয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, দুই কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক তথ্য উঠে আসবে। রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বাধীন কমিটির রিপোর্টেও এসপি সিন্‌হা এবং অশোক সাহার নাম ছিল। অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে নিযুক্ত করা হয়েছিল সেই সময়। উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসেবে দুই কর্তারও ভূমিকা ছিল এর পিছনে। 

    আরও পড়ুন: রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি সুকান্তর, কী লিখলেন তিনি?

  • Partha Chatterjee: আজ ফের আদালতে পেশ পার্থ-অর্পিতাকে, পুনরায় হেফাজতে চাইবে ইডি?

    Partha Chatterjee: আজ ফের আদালতে পেশ পার্থ-অর্পিতাকে, পুনরায় হেফাজতে চাইবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Teachers Recruitment Scam) মামলায় আজ, বুধবার ইডি হেফাজতের (ED custody) মেয়াদ শেষ হচ্ছে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee)। এই প্রেক্ষিতে আজই এই দুজনকে ফের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হবে। এর আগে পার্থ-অর্পিতার ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। সূত্রের খবর, এদিন ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারেন তদন্তকারীরা। ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরা পর্ব চলাকালীন বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে দু’জনকেই ফের জেরা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেই কারণেই পার্থ-অর্পিতাকে (Partha-Arpita) ফের হেফাজতে নেওয়ার ভাবনা ইডি-র।

    এদিন আদালতে তদন্তকারীদের তরফে সওয়ালে বলা হতে পারে, পার্থ এবং অর্পিতার নামে বেনামে প্রচুর সম্পত্তির (Benami Properties) হদিশ তাঁরা পেয়েছেন৷ আরও সম্পত্তির খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস এখনও পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি৷ এ ছাড়াও তাঁদের বিলাসবহুল চারটি গাড়ির খোঁজও এখনও মেলেনি৷ ফলে পার্থ এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার প্রয়োজন রয়েছে। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের অভিযোগ, পার্থ ও অর্পিতা দু’জনেই তদন্তকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছেন। সূত্রের খবর, গুরুত্বপূর্ণ ও সুনির্দিষ্ট নথি থাকা সত্ত্বেও জেরায় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার জন্য নানা ধরনের কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন পার্থ-অর্পিতা। এই বিষয়টিও এদিন আদালতে পেশ করতে পারে ইডি। 

    আরও পড়ুন: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    ইডির (ED) সন্দেহ, এই গোটা কাণ্ডে আরও একাধিক প্রভাবশালী জড়িয়ে থাকতে পারেন। সঙ্গে রয়েছে হাওয়ালা-যোগও। সেই কারণে ওই দু’জনকে ফের হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এর জন্য পার্থ ও অর্পিতাকে আবার হেফাজতে নিয়ে জেরা করার আবেদন করতে পারে ইডি। সূত্রের খবর, তদন্তকারী দল তাদের সওয়ালে এও জানাতে পারেন, কীভাবে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন পার্থ-অর্পিতা। এছাড়া, পার্থর বিরুদ্ধে প্রভাবশালী তত্ত্বও তুলতে পারে ইডি। বলা হতে পারে, বের হলেই, নিজের প্রভাব খাটিয়ে অনেক তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে পারেন তিনি এবং অর্পিতা। 

    টালিগঞ্জ (Tollygunj) ও বেলঘরিয়া (Belghoria)— অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে প্রায় ৬ কোটি মূল্যের সোনা। এছাড়া, ইডি এখনও রাজ্যজুড়ে পার্থ ও অর্পিতার নামে বেনামে থাকা বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে। সেই তালিকায় যেমন রয়েছে ফ্ল্যাট ও বাড়ি, তেমনই রয়েছে ফার্মহাউস, কোম্পানি ও জমির দলিল। এই প্রেক্ষিতে, মঙ্গলবার কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা অন্তত ৬টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে ইডি। এরমধ্যে দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট যেমন ছিল, তেমনই ছিল অর্পিতার একাধিক নেল-আর্ট পার্লার।

    আরও পড়ুন: মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম, পার্থকে জুতো ছুড়ে বললেন মহিলা

    গতকালের অভিযান থেকে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া তিনটি ডায়েরি। ইডি সূত্রের খবর, এই গোটা দুর্নীতির যাবতীয় হিসেব-নিকেষ রয়েছে ওই ডায়েরিগুলোতে। কার হাতে সেই ডায়েরি লেখা, তা নিশ্চিত করার জন্য হ্যান্ড-রাইটিং এক্সপার্টের (Hand writing expert) সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। ফলে, এই পরিস্থিতিতে পার্থ-অর্পিতা জামিন পেলে, তদন্ত বিঘ্নিত হবে বলে মনে করছে ইডি। যে কারেণে, এই দুজন এখনই যাতে জামিন না পান, তার জন্য জোরালো সওয়াল করতে পারে ইডি। 

    এদিকে, গতকালের জুতোকাণ্ডের পর এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালত (Bankshall court) চত্বরে কঠোর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আদালতে আগে থেকেই অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পার্থ-অর্পিতার নিরাপত্তার জন্য রয়েছে অন্তত ৮৬ জন আধা-সামরিক বাহিনীর জওয়ান।

LinkedIn
Share