Tag: Work Pressure

Work Pressure

  • Good Mood: মেজাজ খিটখিটে! রাগ বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই মিলবে সমাধান

    Good Mood: মেজাজ খিটখিটে! রাগ বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই মিলবে সমাধান

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দিনভর একাধিক কাজের চাপ (Work Pressure)। ঘরের দায়িত্বের পাশপাশি কর্মজীবনেও নানান জটিলতা। সবমিলিয়ে অনেক সময়েই মানসিক চাপ (Mental Stress) বাড়ছে। যার ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। রাগ বাড়ছে‌। কাজের জায়গার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে। যার ফলে জটিলতা আরও বাড়ছে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মন ভালো (Good Mood) না থাকলে, অতিরিক্ত রাগ (Anger Attacks) বা বিরক্তি তৈরি হলে শরীরের উপরে গভীর প্রভাব পড়ে। উচ্চ রক্তচাপ, স্নায়ুর সমস্যা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই মেজাজ ভালো (Good Mood) রাখা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরোয়া কিছু উপাদানই বাজিমাত করবে‌।

    মেজাজ ভালো রাখার ঘরোয়া উপাদান কী?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেজাজ ভালো রাখার এবং রাগ নিয়ন্ত্রণ (Keeping Calm) করার দাওয়াই খাবারেই লুকিয়ে রয়েছে। ঠিকমতো খাবার শরীরে পৌঁছলে অনেক সময়েই এই অতিরিক্ত বিরক্তিভাব এবং রাগ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবার শুধুই পেট ভরায় না। খাবারের সঙ্গে শরীরের নানান হরমোন এবং একাধিক উপাদানের সম্পর্ক রয়েছে। যা মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাই কয়েকটি খাবার নিয়মিত খেলেই মন শান্ত (Good Mood) রাখা সহজ হবে।

    সকালের প্রাতঃরাশ ভারি হওয়া জরুরি!

    বাড়ি থেকে কাজে বেরোনোর আগে প্রাতঃরাশ জরুরি। আর সেটা অবশ্যই ভারি প্রাতঃরাশ হতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাজের তাড়া থাকায় অনেকেই খুব হালকা সামান্য খাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়েন। আর সারাদিনের কাজের উপরে এর গভীর প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সকালের প্রাতঃরাশ প্রোটিন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। একসঙ্গে প্রোটিন-ভিটামিন-কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেলে, তা ধীরে ধীরে হজম হয়। পেট দীর্ঘসময় ভর্তি থাকে। শরীরে রক্তচাপ এবং শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ থাকে। ফলে মেজাজ ভালো থাকে। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, প্রাতঃরাশের মেনুতে রুটি কিংবা স্যান্ডউইচের সঙ্গে সব্জি থাকা জরুরি। এতে শরীরে কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন পৌঁছবে। তার সঙ্গে অবশ্যই সোয়াবিন, পনীর কিংবা ডিমের মতো প্রোটিন জাতীয় একটি পদ থাকা দরকার। তাহলে শরীর পর্যাপ্ত এনার্জি পাবে। এতে বিরক্তিভাব কমবে। মন শান্ত থাকবে।

    দিনভর সঙ্গী হোক বাদাম ও বীজ!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। স্নায়ু সক্রিয় থাকলে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়লে বিরক্তিভাব কমে। মেজাজ খিটখিটে হয় না। তাই সকালে ভারি খাবার খেয়ে বেরনোর সময় সঙ্গী হোক বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার। অর্থাৎ দিনের যেকোনও সময় কিছুটা বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার খেলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তা যেকোনও ধরনের বাদামের পাশপাশি সূর্যমুখীর বীজ, তিল কিংবা কুমড়োর বীজ খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। যা মেজাজ ভালো (Good Mood) রাখতে সাহায্য করে।

    আপেল, বেদানার মতো ফল নিয়মিত থাকুক!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর খাবার মন ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, আপেল, বেদানা, কিউই জাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে তাই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। রাগ কমে।

    প্রোটিন মন শান্ত করতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের এনার্জির সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের ওতোপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে। তাই শরীর সুস্থ থাকলে, এনার্জিতে ভরপুর থাকলে রাগ ও বিরক্তি কম (Keeping Calm) হয়। না হলেই মেজাজ হারানোর ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত মেনুতে প্রোটিন জাতীয় খাবার জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডিম, মাছ কিংবা মাংসের মতো পদ মেনুতে থাকলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হবে না। এর প্রভাব মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও পড়বে। বিরক্তিভাব কমবে।

    তুলসী পাতা দেওয়া চা বাড়তি উপকারি!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মন ভালো (Good Mood) রাখতে দিনে অন্তত একবার তুলসী পাতা দেওয়া চা খাওয়া উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, তুলসী পাতা দেওয়া চা খেলে শরীরে কোর্টিসোল হরমোনের মাত্রা বজায় থাকে। এর ফলে মানসিক চাপ কমে। তাই নিয়মিত অন্তত একবার তুলসী পাতা দেওয়া চা খেলে শরীর ও মন সুস্থ থাকবে। কারণ, তুলসী পাতা শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। নানান সংক্রামক রোগের ঝুঁকিও কমায়।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Heart Attack: কাজের চাপে পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না? কী বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?

    Heart Attack: কাজের চাপে পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না? কী বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে। আর তার সঙ্গে উর্ধ্বমুখী উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। ব্যতিক্রম নয় ভারত। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও এই সমস্যা বাড়ছে। প্রতি বছর যতজন এ দেশে মারা যান, সেই মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া। যার নেপথ্যে থাকে উচ্চ রক্তচাপ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত পুরুষদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বাড়ছে। সাম্প্রতিক তথ্যে জানা গিয়েছে, জীবনের অতিরিক্ত ব্যস্ততা আর ভারসাম্য রাখতে না পারার জেরেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    কী বলছে তথ্য? (Heart Attack)

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ১৯ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। ১৫ বছরের উর্ধ্বে ছেলেদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ বছর বয়সের উর্ধ্বে ২৪ শতাংশ ছেলেদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি (Heart Attack) দেখা দিচ্ছে। তুলনায় মহিলাদের ঝুঁকি কম। 
    তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তার চেয়েও দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে অধিকাংশ আক্রান্ত জানেন না, তাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। অর্থাৎ, আক্রান্ত যে আসলে কতজন, সেই হিসাব পাওয়া কঠিন। এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ৩৩ শতাংশ ভারতীয় রক্তচাপ পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না।‌ যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।

    কেন ভারতীয় পুরুষদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে? 

    সম্প্রতি কলকাতায় কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার এক সম্মেলনে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানালেন, জীবনে ঠিকমতো ভারসাম্য রাখতে না পারার জেরেই বিপদ বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কাজের সময়ের পাশাপাশি পরিবারকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছেন না। এ নিয়ে নানান পারিবারিক সমস্যা বাড়ছে। আর তার জেরেই উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে।‌ তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় কাটাচ্ছেন।‌ কাজের নির্দিষ্ট সময় থাকছে না। এর জেরে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন না। কিংবা পরিবারের সঙ্গে অবসর যাপনের সুযোগ কম হয়। আর এর ফলে তৈরি হয় নানান জটিলতা। ফলে, মানসিক চাপ ও অবসাদ দেখা দেয়। যার জেরেই উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা (Heart Attack) তৈরি হয়‌। তাই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ভারসাম্য তৈরি করতে না পারলে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণ কঠিন‌ হবে।

    কেন দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ? 

    হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কারণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে, তার সরাসরি প্রভাব হৃদপিণ্ডের উপরে পড়ে। বিশেষজ্ঞ মহল‌ জানাচ্ছেন, আধুনিক ব্যস্ত জীবনে চটজলদি খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তাই স্থূলতার সমস্যা বাড়ছে। তার সঙ্গে বাড়ছে কোলেস্টেরল, ডায়বেটিসের সমস্যা। এগুলো সব হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তার উপরে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে বিপদ (Heart Attack) আরও বাড়বে। তাই তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশের উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। 

    কীভাবে মোকাবিলা হবে‌ এই সমস্যার? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হবে। তবেই উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যার মোকাবিলা করা যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ, বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরলেই নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা জরুরি।‌ রক্তচাপ ওঠানামা করছে কিনা, তা জানা প্রয়োজন। রোগ নির্ণয় হলে তবেই মোকাবিলা সহজ‌ হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ঠিকমতো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ২০৪০ সালের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা (Heart Attack) অর্ধেক কমে যাবে। তাই নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা জরুরি।

    যে কোনও সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। বই পড়া, গান‌ শোনা, ছবি আঁকার মতো যে কোনও কাজ নিয়মিত করতে হবে। তাহলে মানসিক চাপ সহজেই কমবে। 

    পাশপাশি, খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক কসরতের দিকে নজর দিতে হবে।‌ কারণ সহজপাচ্য হালকা খাবার নিয়মিত খেলে একাধিক রোগ এড়ানো‌ যাবে। নিয়মিত হাঁটা এবং যোগাভ্যাস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share