Tag: World Bank

World Bank

  • Pakistan: পেটে নেই খাবার, মুখে যুদ্ধের জিগির! পাকিস্তানে মুরগির মাংস ৮০০ টাকা, চালের দর ৩৪০ টাকা কেজি

    Pakistan: পেটে নেই খাবার, মুখে যুদ্ধের জিগির! পাকিস্তানে মুরগির মাংস ৮০০ টাকা, চালের দর ৩৪০ টাকা কেজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা পাক নেতারা হুমকি দিচ্ছেন ভারতের ওপর পরমাণু হামলা চালানোর। কিন্তু নিজের দেশের অন্দরের অবস্থা ভাঁড়ে মা ভবানী! খাবার সংস্থান করাই পাকিস্তানের (Pakistan) কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। সেদেশে খাদ্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। চাল, আটা, সবজি, ফল ও মাংসের দাম অনেক বেশি (Pakistan Faces Food)। অবস্থা এতটাই খারাপ জায়গায় পৌঁছেছে যে মুরগির মাংসের দাম পাকিস্তানি মুদ্রায় ছুঁয়েছে প্রায় ৮০০ টাকা। অন্যদিকে, চালের দাম ছুঁয়েছে ৩৪০ পাকিস্তানি মুদ্রা। এই আবহে অনেকেই কটাক্ষ করে বলছেন, আগে পাকিস্তান নিজেদের খাদ্যের সংস্থান করুক, তারপর না হয় ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের কথা ভাববে।

    নিজের পায়েই কুড়ুল মেরেছে পাকিস্তান (Pakistan)

    ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করতেই পাকিস্তানজুড়ে খাদ্য সংকট আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত অর্থবর্ষেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ৩৮৩৮.৫৩ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছিল। এবার নতুন অর্থবর্ষ শুরু হতেই পাকিস্তানের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত। অমৃতসরের এই সীমান্ত দিয়েই মূলত আমদানি রফতানি হয় পাকিস্তান, আফগানিস্তানে। কিন্তু পাকিস্তান আগ বাড়িয়ে বাণিজ্য স্থগিত করে নিজের পায়েই কুড়ুল মেরেছে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    এক কেজি মুরগির মাংসের দাম ৭৯৮ পাকিস্তানি মুদ্রা, চালের দাম ৩৪০ পাকিস্তানি মুদ্রা

    ভারত থেকেই পাকিস্তান (Pakistan) এতদিন অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ, বিভিন্ন কেমিক্যাল, খাদ্যপণ্য, মাছ-মাংস, ফল, সবজি, জিপসাম ও লবণ আমদানি করত। বর্তমানে যদি পাকিস্তানের বাজারের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের বাজারে এক কেজি মুরগির মাংসের দাম ৭৯৮ পাকিস্তানি মুদ্রা। অন্যদিকে, চালের দাম ছুঁয়েছে প্রতি কেজি ৩৩৯ পাকিস্তানি মুদ্রা! জানা যাচ্ছে, এক ডজন মুরগির ডিমের দাম পাকিস্তানে ৩৩২ পাকিস্তানি মুদ্রা, এক লিটার দুধের দাম সেখানে ২২৪ পাকিস্তানি মুদ্রা।

    আলুর দাম প্রতি কেজি ছুঁয়েছে ১০৫ পাকিস্তানি মুদ্রা

    অন্যদিকে, ৫০০ গ্রাম পাউরুটির দামই রয়েছে ১৬১ পাকিস্তানি মুদ্রা, আলুর দাম প্রতি কেজি ছুঁয়েছে ১০৫ পাকিস্তানি মুদ্রা। আপেলের দাম সেখানে কেজি প্রতি ২৮৮ টাকা, কলার দাম ছুঁয়েছে ১৭৬ পাকিস্তানি মুদ্রা। এই আবহে পাকিস্তানে ইতিমধ্যেই ওষুধ সঙ্কটের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারত থেকেই ৩০-৪০ শতাংশ ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানি করে পাকিস্তান। বাণিজ্য বন্ধ হতেই বাজারে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বিরাট সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    মূল্যবৃদ্ধি আরও বাড়বে পাকিস্তানে

    প্রসঙ্গত, ভারতবর্ষের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পাকিস্তানের বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তৃতীয় দেশের মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ব্যবসা চলতে থাকে। ভারতের বেশিরভাগ জিনিসই পাকিস্তান আমদানি করতে থাকে আফগানিস্তান এবং অন্যান্য দেশ থেকে। সম্প্রতি, তৃতীয় দেশের মাধ্যমেও বাণিজ্য বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধের ফলে পাকিস্তানের অর্থনীতি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এর ফলে ওষুধ সহ খাদ্য সামগ্রীর জিনিসপত্রে ঘাটতি তৈরি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যার ফলে যে মূল্যবৃদ্ধি পাকিস্তানে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে তা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানে ভারত জিপসাম এবং লবণ ছাড়াও বিপুল পরিমাণে ওষুধ রাসায়নিক, সবজি, হাঁস মুরগির খাবার এবং শুকনো ফল রফতানি করত এতদিন।

    এক কোটিরও বেশি পাকিস্তানিকে অনাহারে ভুগতে হবে, রিপোর্ট বিশ্ব ব্যাঙ্কের

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের অবস্থা যে খুবই খারাপ হতে চলেছে আগামী দিনে, তার ভয়াবহ ভবিষ্যদ্বাণী শোনা গিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের একটি রিপোর্টেও। সেখানে বলা হচ্ছে যে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে চলেছে পাকিস্তান। চলতি আর্থিক বছরে তাদের দারিদ্রতার মাত্রা আরও ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয়, এক কোটিরও বেশি পাকিস্তানিকে অনাহারে ভুগতে হবে বলে নিজেদের রিপোর্টে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।

    ২০২৫ সালেই চরমভাবে অনাহার দেখা দেবে পাকিস্তানে

    ওই রিপোর্ট অনুসারে, পাকিস্তানের (Pakistan) বর্তমান পরিস্থিতিতে ধান এবং ভুট্টা উৎপাদনের ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এই কারণে এক কোটিরও বেশি পাকিস্তানি তীব্র খাদ্য নিরাপত্তার সম্মুখীন হবেন। ২০২৫ সালেই চরমভাবে অনাহার দেখা দেবে পাকিস্তানে। বিশ্বব্যাঙ্কের ওই রিপোর্টে পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক নীতি এবং ঋণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে সতর্ক করা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে যে সরকার চলছে তা বাজেট ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংঙ্কের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রতিবছর ২ শতাংশ হারে যদি বাড়তেই থাকে, তাহলে আগামী দিনে অর্থনৈতিক অবস্থা দেশটির আরও খারাপ হবে।

  • Modi Government Success: মোদি সরকারের সাফল্য, ১৭ কোটি ভারতবাসী দারিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে মুক্ত, বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক

    Modi Government Success: মোদি সরকারের সাফল্য, ১৭ কোটি ভারতবাসী দারিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে মুক্ত, বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের (Modi Government Success) ভাল কাজের স্বীকৃতি দিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। ১৭ কোটি (১৭১ মিলিয়ন) মানুষকে চরম দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য ভারত সরকারকে অভিনন্দন জানাল তারা। এপ্রিল ২০২৫-এ প্রকাশিত “প্রভার্টি এন্ড ইক্যুয়িটি ব্রিফ অফ ইন্ডিয়া (Poverty and Equity Brief for India” রিপোর্টে বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে, চরম দারিদ্র্য (প্রতিদিন ২.১৫ ডলারের নিচে আয়) ২০১১-১২ সালের ১৬.২ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ সালে কমে এসেছে মাত্র ২.৩ শতাংশে। বিশেষ করে গ্রামীণ ভারতে এই পতন ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য—সেখানে চরম দারিদ্র্য কমেছে ১৮.৪ শতাংশ থেকে ২.৮ শতাংশে। অন্যদিকে শহরে এই হার ১০.৭ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে মাত্র ১.১ শতাংশে। ফলে, গ্রাম ও শহরের মধ্যে দারিদ্র্যের ফারাক ৭.৭ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১.৭ শতাংশে—যা বার্ষিক ১৬ শতাংশ হারে কমেছে।

    বহু মানুষ দারিদ্র্যসীমার ওপরে

    বিশ্ব ব্যাঙ্ক (World Bank) জানিয়েছে, “গ্রামীণ চরম দারিদ্র্য ১৮.৪ শতাংশ থেকে ২.৮ শতাংশে এবং শহুরে চরম দারিদ্র্য ১০.৭ শতাংশ থেকে ১.১ শতাংশে নেমে এসেছে—ফলে গ্রামীণ ও শহুরে দারিদ্র্যের ফারাক বছরে ১৬ শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে।” ভারত এখন নিম্ন-মধ্য আয়ের (Lower Middle Income Country) তালিকায় প্রবেশ করেছে। ৩.৬৫ ডলার দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে এলএমটিসি (LMIC) দারিদ্র্যসীমায় দারিদ্র্য ৬১.৮ শতাংশ থেকে কমে ২৮.১ শতাংশ হয়েছে, যার ফলে ৩৭.৮ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার ওপরে উঠে এসেছে। গ্রামীণ দারিদ্র্য সেখানে ৬৯ শতাংশ থেকে কমে ৩২.৫ শতাংশ হয়েছে, আর শহরাঞ্চলে তা ৪৩.৫ শতাংশ থেকে কমে ১৭.২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

    কমেছে বহু মাত্রিক দারিদ্র

    বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল পাঁচটি রাজ্য—উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশ—২০১১-১২ সালে দেশের ৬৫ শতাংশ চরম দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করত। তারা ২০২২-২৩ সালে এই চরম দারিদ্র্য হ্রাসে দুই-তৃতীয়াংশ অবদান রেখেছে। তবে এই রাজ্যগুলো এখনও দেশের ৫৪ শতাংশ চরম দরিদ্র এবং ৫১ শতাংশ বহু-মাত্রিক দারিদ্র্যের (২০১৯-২১) প্রতিনিধিত্ব করে। বহু-মাত্রিক দারিদ্র্য (MPI) ২০০৫-০৬ সালে যেখানে ছিল ৫৩.৮ শতাংশ, তা ২০১৯-২১ সালে কমে হয়েছে ১৬.৪ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ সালে আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১৫.৫ শতাংশে।

    কর্মসংস্থানে অভাবনীয় অগ্রগতি

    বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০২১-২২ সাল থেকে কর্মসংস্থানের বৃদ্ধির হার কর্মক্ষম জনসংখ্যার বৃদ্ধির হারকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে মহিলাদের কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শহুরে বেকারত্বের হার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬.৬ শতাংশ, যা ২০১৭-১৮ সালের পর সর্বনিম্ন। পুরুষ শ্রমিকদের মধ্যে গ্রাম থেকে শহরে অভিবাসন বাড়ছে, অন্যদিকে, গ্রামীণ নারীদের কৃষিখাতে অংশগ্রহণ বেড়েছে। যদিও যুব বেকারত্বের হার ১৩.৩ শতাংশ, এবং উচ্চ শিক্ষিতদের মধ্যে তা ২৯ শতাংশে পৌঁছেছে। এছাড়া, অ-কৃষিখাতে বেতনের চাকরির মধ্যে মাত্র ২৩ শতাংশ চাকরি ফরমাল এবং অধিকাংশ কৃষিভিত্তিক কর্মসংস্থান এখনও অনানুষ্ঠানিক রয়ে গিয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক আরও জানিয়েছে, স্বনির্ভরতা গ্রামীণ নারীদের মধ্যে বাড়ছে। তবে এখনও লিঙ্গ বৈষম্য প্রকট—২৩৪ মিলিয়ন বেশি পুরুষ অর্থপূর্ণ কর্মে নিযুক্ত।

    সরকারি তথ্যের সাথে মিল

    বিশ্ব ব্যাঙ্কের এই পর্যবেক্ষণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, গত এক দশকে ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যের বাইরে এসেছে। সরকারের হাউসহোল্ড কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার সার্ভে অনুযায়ী, ১.৯০ ডলার পিপিপি-র দারিদ্র্যসীমার নিরিখে ভারতের চরম দারিদ্র্য ২০২৩-২৪ সালে ১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এলএমআইসি ৩.৬৫ ডলার পিপিপি দারিদ্র্যসীমায় দারিদ্র্য ২০১১-১২ সালে ৫২ শতাংশ ছিল, যা ২০২৩-২৪ সালে কমে হয়েছে ১৫.১ শতাংশ। এসবিআই বা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ২০২৪ অর্থবর্ষে ভারতের গ্রামীণ দারিদ্র্য কমে হয়েছে ৪.৮৬ শতাংশ (২০১২-১৩ অর্থবর্ষে ছিল ২৫.৭ শতাংশ), এবং শহুরে দারিদ্র্য নেমেছে ৪.০৯ শতাংশে। কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, নগরায়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, কৃষি সংস্কার ও সামাজিক কল্যাণমূলক নীতির সফল বাস্তবায়নের ফলে ভারত দারিদ্র্য হ্রাসে এক বিশাল সাফল্যের নজির গড়েছে। নারীশক্তির অংশগ্রহণ বেড়েছে। আত্মনির্ভর হচ্ছে দেশ।

  • Indus Waters Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করল ভারত, থমকে যাবে পাক জনজীবন? জানুন বিস্তারিত

    Indus Waters Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করল ভারত, থমকে যাবে পাক জনজীবন? জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন ২৭ জন ভারতীয়। লস্কর-ই-তৈবার শাখা, রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এই হামলা চালায়। এর ঠিক একদিন পরেই বুধবার মোদি সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে কয়েক দশকের পুরনো সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Waters Treaty) স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। মোদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তে সিন্ধু নদী সমেত তার শাখানদীগুলি – ঝিলাম, চেনাব, রবি, বিপাশা এবং শতদ্রুর জল পাকিস্তানে আর যাবে না। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের পরে বেশ বিপাকে পড়তে চলেছে পাকিস্তান। এমনটাই মনে করছেন ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। চুক্তি স্থগিতের বিরাট প্রভাব পড়তে চলেছে কয়েক কোটি পাক নাগরিকের ওপর। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় হামলার পরে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেছিলেন ‘‘রক্ত এবং জল একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।’’ তবে সেসময় ভারত জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত না করার সিদ্ধান্ত নেয়।

    চুক্তি স্বাক্ষর হয় ১৯৬০ সালে (Indus Waters Treaty)

    ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই দুই দেশ ছাড়াও অতিরিক্ত স্বাক্ষরকারী ছিল বিশ্বব্যাঙ্ক। এই চুক্তিতে সিন্ধু এবং এর উপনদীগুলির জল দুই দেশের মধ্যে ন্যায্যভাবে ভাগ করার কথা বলা হয়েছিল। চুক্তির অধীনে, পূর্বাঞ্চলীয় ৩ নদী – বিপাশা, রবি এবং শতদ্রুর জল ভারতকে এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় ৩ নদী – চেনাব, সিন্ধু এবং ঝিলামের জল পাকিস্তানকে বরাদ্দ করা হয়েছিল (Indus Waters Treaty)। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশকে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে একে অপরের নদী ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। যেমন ছোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু, জলসেচ ইত্যাদি কাজে।

    কে কীভাবে জলের ভাগ পাবে

    এই চুক্তি অনুযায়ী (Indus Waters Treaty) পূর্বাঞ্চলীয় তিনটি নদী – বিপাশা, রবি এবং শতদ্রু নদীর জলের ওপর নিয়ন্ত্রণ পায় ভারত। এই নদীগুলি ভারতেই অবস্থিত। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই নদীগুলির গড় বার্ষিক প্রবাহ ৪১ বিলিয়ন (৪ হাজার ১০০ কোটি) ঘনমিটার। অন্যদিকে, তিনটি পশ্চিমাঞ্চলীয় নদী সিন্ধু, চেনাব এবং ঝিলাম – নদীর জলের ওপর নিয়ন্ত্রণ পায় পাকিস্তান। এই নদীগুলির গড় বার্ষিক প্রবাহ ৯৯ বিলিয়ন (৯ হাজার ৯০০ কোটি) ঘনমিটার।  ভারতে অবস্থিত সিন্ধু নদীর মোট জলের প্রায় ৩০ শতাংশ পায় ভারত। অন্যদিকে বাকি ৭০ শতাংশ পায় পাকিস্তান।

    সিন্ধু জল চুক্তির (Indus Waters Treaty) প্রস্তাবনায় কী বলা হয়েছে

    সিন্ধু জল চুক্তির প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে সদিচ্ছা, বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতার মনোভাবের কথা। সিন্ধু নদীর জল থেকে দুই দেশই যাতে উপকৃত হয় এবং সুবিধা পায়, সেকথাই বলা হয় প্রস্তাবনায়। ওই চুক্তি অনুযায়ী, সিন্ধু নদী ব্যবস্থায় ভারতীয় অংশে অবস্থিত যে কোনও বাঁধ, ব্যারেজ, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদিতে পাকিস্তান হামলা চালালে তা চুক্তি লঙ্ঘন বলে মনে করা হবে। এর ফলে বাতিল করা হতে পারে সিন্ধু জল চুক্তি।

    ভারত-পাকিস্তানের বাঁধ বিরোধ

    এই চুক্তি মূলত জল বণ্টনের ওপর তৈরি হলেও জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থিত কিষাণগঙ্গা এবং রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প (Indus Waters Treaty) নিয়ে দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ রয়েছে। প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের ঝিলাম নদীর একটি উপনদী হল কিষাণগঙ্গা। এই কিষাণগঙ্গা নদীর এক পাড়ে বান্দিপোরা জেলায় কিষাণগঙ্গা প্রকল্পটি ২০১৮ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল। অন্যদিকে, কিশতোওয়ার জেলার চেনাব নদীর উপর অবস্থিত রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ চলছে। পাকিস্তানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নির্মিত এই দুই ভারতীয় বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাক সরকারের দাবি, এর ফলে তাদের সেচযোগ্য জল সরবরাহকারী নদীগুলির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক মঞ্চের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ ভারতকে কিষাণগঙ্গা বাঁধ নির্মাণের অনুমতি দেয়। খারিজ করে পাকিস্তানের দাবি। চলতি বছরে, নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালত ভারত সরকারের অবস্থানকেই সমর্থন করেছে। আদালতে রায় হল, বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জল চুক্তি তৈরি হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে ভারতের সিদ্ধান্ত সঠিক। কাশ্মীরে কিষাণগঙ্গা এবং রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আবেদনের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়।

    কেন ভয় পায় পাকিস্তান?

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Waters Treaty) কোনওভাবেই দুই দেশের নিরাপত্তার দিকে কোনওভাবেই যুক্ত নয়। পাকিস্তানের বরাবরেরই আশঙ্কা যে সিন্ধুর উপনদীগুলির প্রবাহের একেবারে নিচের অংশে তাদের অবস্থান। তাই ভারত যে কোনও সময় তাদের দেশে বন্যা বা খরার পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। আর যদি যুদ্ধ লাগে তাহলে তো এটা হতেই পারে। এমন আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রথম থেকেই। অর্থাৎ ১৯৪৮ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেই ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বাঁধে। এই যুদ্ধের অন্যতম কারণ ছিল সিন্ধু নদীর জল ব্যবস্থার উপর কার অধিকার থাকবে। তবে পরবর্তীকালে ১৯৬০ সালে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরে অন্তত জল ব্যবস্থার অধিকার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কখনও যুদ্ধ বাঁধেনি। এ নিয়ে বেশিরভাগই তাদের যে বিরোধ সামনে এসেছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একটা সময় ছিল যখন সিন্ধু জল চুক্তিকে একসময় বিশ্বের সবচেয়ে সফল জল বন্টন চুক্তি হিসেবে মনে করা হত। কিন্তু বর্তমানে বারবার সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় এবং প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে সেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করতে বাধ্য হল মোদি সরকার।

    পাকিস্তানের জিডিপির ২৫ শতাংশ নির্ভর করে এই সিন্ধুর জলের উপরেই

    সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ার ফলে চরম দুর্দিনে পড়তে চলেছে পাকিস্তান। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সেদেশের ৮০ শতাংশ কৃষিজমিতে জল সরবরাহ হয় এই চুক্তির মাধ্যমেই। এমনিতেই আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। তারপরে এমন চুক্তি স্থগিত করার অর্থ হল মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। জানা যাচ্ছে, সেচের জন্য প্রয়োজনীয় জলের ৯০ শতাংশেরও বেশি আসে সিন্ধু নদী থেকে। এর পাশাপাশি করাচি, মুলতান, লাহোরের মতো বড় শহরগুলিতেও সিন্ধু নদীর জলই ব্যবহৃত হয়। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, পাকিস্তানের তারবেলা এবং মাংলার জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র চলে সিন্ধুর জল থেকেই। গম, চাল, আখ, তুলো চাষ এবং পাকিস্তানের জিডিপির ২৫ শতাংশ নির্ভর করে এই সিন্ধুর জলের উপরেই, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এই চুক্তি মোতাবেক জল না পেলে পাকিস্তানের কৃষি, বিদ্যুৎ উৎপাদন, জনজীবন-সবই থমকে যাবে বলে আশঙ্কা পাক নাগরিকদের। এমনিতেই পাকিস্তানে প্রবল জল সংকট চলছে, তাই সিন্ধু নদীর জল না পেলে কার্যত শুকিয়ে যাবে দেশের বিরাট অংশ।

  • Global Remittance Chart: বিশ্ব রেমিট্যান্স তালিকায় শীর্ষে মোদির ভারত, বহু পিছনে চিন, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    Global Remittance Chart: বিশ্ব রেমিট্যান্স তালিকায় শীর্ষে মোদির ভারত, বহু পিছনে চিন, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) দীর্ঘ দিন ধরেই বিশ্বে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স (Global Remittance Chart) গ্রহণকারী দেশ হিসেবে পরিচিত। ব্যতিক্রম হল না এবারও। প্রবাসী ভারতীয়দের কাছ থেকে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ অর্থ প্রবাহের জন্য আবারও প্রথম স্থান দখল করল নরেন্দ্র মোদির ভারত। এর পরিমাণ ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    রেমিট্যান্স কী? (Global Remittance Chart)

    প্রশ্ন হল, রেমিট্যান্স কী? বিদেশে কর্মরত ব্যক্তিদের দ্বারা স্বদেশে ফেরত পাঠানো অর্থকে রেমিট্যান্স বলা হয়। এটি উন্নয়নশীল দেশগুলির পরিবারের জন্য একটি লাইফলাইনের মতো কাজ করে। এই অর্থপ্রবাহ শুধু পরিবারের আয় বৃদ্ধি করে না, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করে। ভারত থেকে কর্মসূত্রে যাঁরা বিদেশে যান এবং সেখানে অস্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করেন, তাঁরাই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের হাত ধরে দেশে আসে বিদেশি মুদ্রা। তার জেরে উন্নত হয় দেশের অর্থনীতি। ভারতে বসবাসকারী আত্মীয়স্বজন, নিকটজনেদের জন্য বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়ে থাকেন সেখানে কর্মরতরা। নিজেরা যখন দেশে ফেরেন, সঙ্গে নিয়ে আসেন বিদেশে অর্জিত অর্থ। তাতেই ভরে ওঠে দেশের মুদ্রা ভান্ডারের একটা অংশ।

    রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিসংখ্যান

    রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, গত কয়েক বছরে বিদেশ থেকে প্রবাসী ভারতীয়দের মাধ্যমে অর্জিত অর্থের নিরিখে অন্য অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মোদির ভারত। ২০২২ সালেও ওই তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারত। এর অর্থ হল, ওই বছর বিদেশ থেকে প্রবাসী ভারতীয়দের মাধ্যমে দেশে যত টাকা এসেছে, তা অন্য কোনও দেশের ভান্ডারে যায়নি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ২০২২ সালের বিশ্ব মাইগ্রেশন রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, বিদেশে কর্মরত ভারতীয়রা ২০২২ সালে ভারতে (India) যে অর্থ পাঠিয়েছেন, তার পরিমাণ ১১ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। এটাই বিশ্বে সর্বোচ্চ। রেমিট্যান্স প্রাপকের তালিকায় ওই বছর শীর্ষে ছিল ভারত। তার ঠিক পরেই রয়েছে মেক্সিকো, চিন, ফিলিপিন্স এবং ফ্রান্স।

    আরও পড়ুন: দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী, কে কী লিখলেন?

    শীর্ষে ভারত

    রেমিট্যান্সের (Global Remittance Chart) অঙ্ক ১০ হাজার কোটির গণ্ডি প্রথম ছুঁয়েছে ভারতই। বিশ্বের আর কোনও দেশ এখনও পর্যন্ত এই পর্যায়ে পৌঁছতে পারেনি। গত ১২ বছরে প্রবাসী ভারতীয়দের কাছ থেকে পাওয়া রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২২ সালের মতো ২০২৪-এও ভারত রয়েছে রেমিট্যান্স প্রাপকের তালিকার শীর্ষে। প্রবাসী ভারতীয়দের রেকর্ড ভাঙা রেমিট্যান্সের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে রয়েছে মেক্সিকো ও চিন। গত বছর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রেমিট্যান্স গ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে ছিল ফিলিপিন্স, ফ্রান্স, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিশর, গুয়াতেমালা এবং জার্মানি। চিনের রেমিট্যান্স প্রবণতা একটি চমকপ্রদ দৃষ্টিভঙ্গী দেয়। ২০০০-এর দশকের শেষভাগে চিন ও ভারতের রেমিট্যান্স ছিল সমান সমান। ২০২৪ সালে ড্রাগনের দেশের শেয়ার কমে গিয়ে ৫.৩ শতাংশে নেমে এসেছে — যা দু’দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন।

    চিনের পতনের কারণ

    বিশ্বব্যাঙ্কের মতে, চিনের এই পতনের জন্য দায়ী সে দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও বার্ধক্যজনিত জনসংখ্যা। এর জেরেই কম দক্ষ শ্রমিকদের অভিবাসনের গতি ধীর হয়েছে। প্রত্যাশিতভাবেই কমেছে রেমিট্যান্স বাবদ রোজগার। অন্যদিকে, ভারতের রেমিট্যান্স (Global Remittance Chart) শেয়ার ২০০০ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ১০ শতাংশের ওপরে রয়েছে। অতিমারীর পরবর্তী বছরগুলিতে এই শেয়ার বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালে ভারতের রেমিটেন্সের পরিমাণ ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি পাকিস্তান (৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ও বাংলাদেশের (৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) সম্মিলিত বার্ষিক বাজেটের প্রায় সমান। এটি দ্বিতীয় স্থানাধিকারী মেক্সিকোর রেমিটেন্সের প্রায় দ্বিগুণ। তার রোজগার ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৃতীয় স্থানে রয়েছে চিন। তার আয় ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফিলিপিন্স। পঞ্চম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। তার রোজগার ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    পাঁচ বছর ধরে সবার ওপরে 

    ২০২০ সাল বাদ দিলে গত পাঁচ বছর ধরে ভারত প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি রেমিট্যান্স (Global Remittance Chart) পেয়ে আসছে। ২০২০ সালে করোনার কারণে ভারতে রেমিট্যান্স এসেছে ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধির হার ৫.৮ শতাংশ বলে মনে করা হচ্ছে, যা ২০২৩ সালে ছিল মাত্র ১.২ শতাংশ। ভারত এত বেশি রেমিট্যান্স পেয়েছে যে এটি উল্লেখযোগ্যভাবে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। এটা সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিক পর্যন্ত দাঁড়িয়েছিল ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। রেমিট্যান্স ভারতের ২০২৪ সালের সামগ্রিক প্রতিরক্ষা বাজেটকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর পরিমাণ ছিল ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।

    গত ১০ বছরে ভারতের মোট রেমিট্যান্স ৫৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ভারত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স (Global Remittance Chart) পেয়েছে। বছর বছর এর পরিমাণ বাড়ছে। তাই শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে ভারত (India)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India Economy: ২০৩১ সালের মধ্যেই ভারত হবে উচ্চ-মধ্যবিত্তের দেশ, বলছে সমীক্ষা

    India Economy: ২০৩১ সালের মধ্যেই ভারত হবে উচ্চ-মধ্যবিত্তের দেশ, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৩১ সালের মধ্যেই ভারত হবে উচ্চ-মধ্যবিত্তের দেশ। এই সুখবর শোনাল বিশ্বের আর্থিক রেটিং সংস্থা ক্রিসিল (India Economy)। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০৩১ সালের মধ্যেই উচ্চ মধ্যবিত্তের দেশে পরিণত হবে ভারত। এ দেশের মাথাপিছু আয় হবে ৪৫০০ মার্কিন ডলার।

    ক্রিসিলের রিপোর্ট (CRISIL Survey)

    সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ক্রিসিল। তারা জানিয়েছে, ভারতীয় অর্থনীতি (India Economy) বর্তমান স্তর থেকে দ্বিগুণ হয়ে ৭ ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে। তার পরেই এটি উচ্চ মধ্যবিত্তের বন্ধনীভুক্ত হবে। ভারতের এই অগ্রগতির কারণও জানিয়েছে ক্রিসিল। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত সংস্কার ও অন্যান্য পদক্ষেপগুলির কারণে অর্থনৈতিক অগ্রগতি দেখা যাবে ভারতে। বিশ্ব রেটিং এই সংস্থার অনুমান, ২০৩১ সালের মধ্যে ভারত ঠাঁই করে নেবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকাতেও।

    ভারতের জিডিপি (India Economy)

    ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হারও যে ভালো হতে পারে, তারও ইঙ্গিত মিলেছে ক্রিসিলের ওই রিপোর্টে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের মধ্যে এই বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.৬ শতাংশের চেয়ে ভালো। আগামী অর্থবর্ষে এটি কিছুটা কমে হতে পারে ৬.৮ শতাংশ।

    ক্রিসিলের রিপোর্ট (India Economy) অনুযায়ী, ২০৩১ সালের মধ্যে ভারতের জিডিপি গড়ে ৬.৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। এর ফলেই ভারত পরিণত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে। আর এই সময়সীমার মধ্যে এ দেশের মাথাপিছু আয় দেশটিকে নিয়ে যাবে উচ্চ মধ্যবিত্ত আয়ের শ্রেণিতে। ২০২৫-২০৩১ এই সময়সীমায় সাতটি অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতি প্রথমে পেরোবে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের চৌকাঠ। তার পর পৌঁছবে ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতির কাছাকাছি।

    আরও পড়ুুন: ‘বাঘের’ চোখে জল! কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের প্রশ্নবাণে কি কেঁদে ফেললেন শাহজাহান?

    বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় বর্তমানে ভারত (India Economy) রয়েছে পঞ্চম স্থানে। দেশটির অর্থনীতির বহর ৩.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাই ওই তালিকায় ভারতের আগে রয়েছে আমেরিকা, চিন, জাপান এবং জার্মানি। বিশ্বব্যাঙ্কের মতে, হাজার থেকে ৪ হাজার ডলারের মাথাপিছু আয়ের দেশগুলি নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের বিভাগে পড়ে। ৪ হাজার থেকে ১২ হাজার ডলারের মাথাপিছু আয়ের দেশগুলি পড়ে উচ্চ মধ্যবিত্ত আয়ের শ্রেণিতে। ২০৩১ সালের মধ্যে এই বন্ধনীতেই চলে আসবে ভারত। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও জানিয়েছিলেন, অচিরেই ভারত চলে আসবে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার তিন নম্বরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Ajay Banga: মার্কিন বংশোদ্ভূত ভারতীয় নাগরিক হিসেবে প্রথম! জানুন বিশ্ব ব্যাঙ্কের নয়া প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গার পরিচয়

    Ajay Banga: মার্কিন বংশোদ্ভূত ভারতীয় নাগরিক হিসেবে প্রথম! জানুন বিশ্ব ব্যাঙ্কের নয়া প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গার পরিচয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত, মাস্টারকার্ডের প্রাক্তন সিইও অজয় বাঙ্গা। গত ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য তাঁকে মনোনীত করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাঙ্কের ২৫ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ সংস্থার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ভারতীয়-আমেরিকান অজয়কে নির্বাচিত করেছে।

    ভারতেই কেটেছে শিক্ষাজীবন

    প্রথম ভারতীয়-আমেরিকান এবং শিখ আমেরিকান হিসেবে বিশ্বের দুটি সেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার এবং বিশ্বব্যাঙ্ক) শীর্ষপদে বসতে চলেছেন বাঙ্গা। ৬৩ বছর বয়সি বাঙ্গা জন্মসূত্রে ভারতীয়। ১৯৫০ সালে মহারাষ্ট্রের পুণেতে, এক শিখ পরিবারে জন্ম। বাবা ছিলেন সেনা আধিকারিক। সিমলা এবং হায়দ্রাবাদে কেটেছে স্কুল জীবন। অর্থনীতিতে স্নাতক হন দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে। এর পর, আমদাবাদের আইআইএম থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। ২০০৭ সালে আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন বাঙ্গা।

    দীর্ঘ কর্মজীবনের শুরুও ভারতে

    ‘নেসলে ইন্ডিয়া’-র হাত ধরে কর্মজীবন শুরু হয়েছিল তাঁর। এর পর কাজ করেন সিটি ব্যাঙ্কেও। ১৯৯৬ সালে আমেরিকা পাড়ি দিয়েছিলেন অজয়। সেখানে ‘পেপসিকো’ সংস্থায় যোগ দেন। ১৩ বছর ওই সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিনি। সিইও-সহ সংস্থার একাধিক পদে দায়িত্ব সামলেছেন। ২০০৯ সালে মাস্টারকার্ডের প্রেসিডেন্ট এবং চিফ অপারেটিং অফিসার হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন অজয়। পরে ওই সংস্থার সিইও হন। তাঁরই নেতৃত্বে বিশ্ব দরবারে মাস্টারকার্ডের ব্যাপ্তি ঘটে।

    আরও পড়ুুন: ভোররাতে কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিয়ে রওনা গোয়েন্দাদের! কোথায় গেলেন?

    কবে থেকে দায়িত্ব গ্রহণ

    ভারত মুক্ত অর্থনীতির পথে হাঁটলে পিৎজা হাট, কেএফসি-কে দেশে ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়ার নেপথ্যেও বাঙ্গার হাত ছিল।  ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্সের চেয়ারম্যানও নিযুক্ত হন তিনি। ২০১৬ সালে ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত করে। ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল’, ‘ইউএস-ইন্ডিয়া সিইও ফোরাম’-এর মতো অলাভজনক সংস্থারও সদস্য বাঙ্গা।  ২০২৫ সালের মধ্যে ১০০ কোটি মানুষ এবং ৫০ কোটি ক্ষুদ্র অর্থনীতি ও ছোট ব্যবসাকে ডিজিটাল অর্থনীতির আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলেন তিনি। আপাতত বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট পদে আছেন ডেভিড মালপাস। এক মাস পরে তাঁর থেকেই দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বাঙ্গা।  আগামী ২ জুন থেকে তাঁর কার্যকাল শুরু হতে চলেছে। পাঁচ বছরের জন্য এই গুরুদায়িত্ব সামলাবেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ajay Banga: এবারে কি বিশ্ব ব্যাঙ্কের শীর্ষেও ভারতীয় বংশোদ্ভূত! অজয় বাঙ্গাকে মনোনীত করলেন জো বাইডেন

    Ajay Banga: এবারে কি বিশ্ব ব্যাঙ্কের শীর্ষেও ভারতীয় বংশোদ্ভূত! অজয় বাঙ্গাকে মনোনীত করলেন জো বাইডেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে কি বিশ্ব ব্যাঙ্কের দায়িত্ব সামলাবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অজয় বাঙ্গা! বৃহস্পতিবারে বিশ্ব ব্যাঙ্কের নেতৃত্বের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনোনীত করলেন মাস্টারকার্ডের প্রাক্তন সিইও অজয় বাঙ্গাকে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের বর্তমান প্রধান ডেভিড ম্যালপাস ইতিমধ্যেই নিজের পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। আর সেই জায়গায় এবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রবাসী অজয় বাঙ্গাকে মনোনীত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্টের জন্য প্রথমবার মনোনীত ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর বাকি থাকতে আচমকাই ইস্তফা দিয়েছিলেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘অনেক চিন্তার পরে আমি নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ কী কারণে মেয়াদ শেষের এক বছর আগে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি, তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেননি বিশ্ব ব্যাঙ্কের পদত্যাগী শীর্ষ কর্তা।

    ফলে এর পর এই পদের জন্য ইন্দো-আমেরিকান ব্যবসায়ী অজয় বাঙ্গার উপরই ভরসা রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সাধারণত বিশ্ব ব্যাঙ্কের সভাপতি পদে আমেরিকান কাউকেই বসানো হয়। কিন্তু এই প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটতে চলেছে। এই প্রথম কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনীত হলেন। ফলে অজয় বাঙ্গা এক ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলেছেন। উল্লেখ্য, ম্যালপাস ক্ষমতা থেকে সরে আসার পর থেকেই এই মনোনয়নের কাজ চলছিল। ২৯ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন চলবে।

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত অজয় বাঙ্গা

    ৬৩ বছর বয়সী অজয় বাঙ্গা বর্তমানে ‘জেনারেল আটলান্টিক’ নামে এক বেসরকারি শেয়ার লেনদেন সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। আগে তিনি মাস্টারকার্ডের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ছিলেন। ২০১৬ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল বাঙ্গাকে।

    বাঙ্গার জন্ম ভারতের পুণেতে। দিল্লিতে সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের অর্থনীতির স্নাতক। পরে আমদাবাদে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে এমবিএ করেন। ‘নেসলে ইন্ডিয়া’-র হাত ধরে কর্মজীবন শুরু হয় বাঙ্গার। এর পর কাজ করেন সিটি ব্যাঙ্কেও। ১৯৯৬ সালে আমেরিকা পাড়ি দেন তিনি। সেখানে ‘পেপসিকো’ সংস্থায় যোগ দেন। এর পর ধীরে ধীরে ওই সংস্থার সিইও-সহ একাধিক পদে দায়িত্ব সামলেছেন ও পরে মাস্টারকার্ডের প্রেসিডেন্ট ও সিইও হন। আর এবারে এক ইতিহাস গড়ার পথে তিনি।

  • Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতার প্রস্তাব খারিজ করে দিল ভারত

    Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতার প্রস্তাব খারিজ করে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) নিয়ে ভারত (India) ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্ততা করার আগ্রহ দেখিয়েছিল বিশ্বব্যাঙ্ক (World Bank)। বৃহস্পতিবার তারই কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত। নয়াদিল্লির তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ মেটানোর জন্য তৃতীয় কোনও পক্ষের প্রয়োজন নেই।এদিন ভারতের তরফে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। কেন্দ্রের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে কিষানগঙ্গা ও রাতলে হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রকল্প নিয়ে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে আলোচনার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। এ প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, আমাদের মনে হয় না দেশের হয়ে কোনও চুক্তিকে ব্যাখ্যা করার অবস্থানে রয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক। ওটা দুই দেশের মধ্যে চুক্তি।

    নয়াদিল্লি…

    নয়াদিল্লির তরফে এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়, বিশ্বব্যাঙ্ক কোর্ট অফ অর্বিট্রেশনে যাওয়ায় ভারত অত্যন্ত ক্ষুণ্ণ। অরিন্দম বাগচি বলেন, ভারতের তরফে সিন্ধু জল চুক্তির (Indus Water Treaty) কমিশনার ২৫ জানুয়ারি নোটিশ জারি করেছে। এই নোটিশে পাকিস্তানকে সরাসরি সরকারের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ৯০ দিনের মধ্যে এই নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তিনি জানান, পাকিস্তানের তরফে ভারতের দেওয়া নোটিশের এখনও কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে কী বলা হয়েছে বা এই চুক্তি নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া কী, সে বিষয়েও অবগত নন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘রাষ্ট্রবাদী সংখ্যালঘু মুসলিমদের সঙ্গে বিজেপির কোনও বিরোধী নেই’, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    দীর্ঘদিনের বিরোধ মেটাতে ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) স্বাক্ষর করে ভারত ও পাকিস্তান। চুক্তি অনুযায়ী, বিতস্তা ও চন্দ্রভাগার জলের ওপর পাকিস্তানের অধিকার ৮০ শতাংশ, ভারতের ২০ শতাংশ। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ভারত ওই জল ব্যবহার করলেও, আটকাতে পারবে না। ২০১৫ সালে ভারতের কিষেনগঙ্গা ও রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আপত্তি তোলে পাকিস্তান। তাতে তাদের ভাগের জল কমে যাবে বলে দাবি করে ইসলামাবাদ। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, সিন্ধু জল চুক্তি মেনেই প্রকল্পে নির্দিষ্ট পরিমাণ জল ব্যবহার করবে ভারত। ভারতের এই আশ্বাস কানে তোলেনি পাকিস্তান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • INR: উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় ভারতের অর্থ ব্যবস্থা মজবুত! জানাল বিশ্ব ব্যাঙ্ক

    INR: উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় ভারতের অর্থ ব্যবস্থা মজবুত! জানাল বিশ্ব ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে রয়েছে মন্দার অশনি সংকেত। তার জেরে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে। পাশাপাশি কমছে মুদ্রার দর। সাঁড়াশি আক্রমণে নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম অর্থ ব্যাবস্থার। চলতি বছরে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার দরে ক্রমশ পতন হচ্ছে। সেই তুলনায় ভারতীয় টাকার পতন কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদ ধ্রুব শর্মা। তিনি বলেছেন, “এবছর ভারতীয় টাকার দর কমেছে ১০ শতাংশ। শুনে মনে হবে অনেক বড় সংখ্যা। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গে বিচার করলে দেখা যাবে তুলনায় ভারতীয় মুদ্রার পতন কম হয়েছে।

    ভারতীয় অর্থনীতির শক্ত ভিত

    উল্লেখ্য, টাকার সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে চলতি বছরে। অক্টোবরে যা ৮৩ টাকা টপকে গিয়েছিল ডলারের বিনিময় মূল্যের নিরিখে। এখন টাকার দর ৮২-৮২.৫০- র মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেড নিয়মিত সুদের হার বাড়ানোর জন্যই টাকার দর পড়েছে। আসলে আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির দর আকাশ ছোঁয়া। তার ফলে মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতেই ক্রমশ সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে ফেড। যার প্রভাব পড়ছে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে।

    আরও পড়ুন: শুরু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, ১৬ বিল পেশ করবে কেন্দ্র, কোনগুলি জানেন?

    মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘ইন্ডিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট’-এর পূর্বাভাস— চলতি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৯ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। গত অক্টোবরে প্রকাশিত রিপোর্টে যা ৬.৫ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে ধ্রুব শর্মা বলেছেন, “গত দশ বছরে ভারতীয় অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী হয়েছে। গত এক দশকের বিভিন্ন আর্থিক পদক্ষেপ ভারতকে বিশ্ব অর্থনীতির প্রথম সারিতে নিয়ে এসেছে। বিদেশি নির্ভরতা কমেছে। করোনা কালে যে ধাক্কা নেগেছিল, তা কাটিয়ে উঠেছে ভারত। অন্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় ভারতের অর্থ ব্যাবস্থা মজবুত। অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিতে যাবতীয় ধাক্কা সামলে উঠতে সফল ভারতীয় অর্থনীতি।”

     

     

     

  • Indian Expats: চলতি বছর প্রবাসীরা ভারতে কত ডলার পাঠাবেন জানেন?

    Indian Expats: চলতি বছর প্রবাসীরা ভারতে কত ডলার পাঠাবেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলে কিংবা মেয়ে। বিদেশে গিয়েছে চাকরি করতে। মাস গেলে রোজগার করছেন রাশি রাশি ডলার। তার একটা অংশ তাঁরা পাঠাচ্ছেন দেশে বাবা-মা কিংবা সংসারে। পৃথিবীর সব দেশেই এই চল রয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে এই প্রবাসীরা (Indian Expats) ভারতে (India) যে টাকা পাঠাবেন, তার সম্মিলিত পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি বিশ্বব্যাঙ্কের (World Bank) তরফেই এ খবর মিলেছে। শুধু তাই নয়, এ ক্ষেত্রেও পৃথিবীর অন্যান্য দেশকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে ভারত।

    বিশ্বব্যাঙ্ক…

    কারণ ভারতই সেই দেশ, যে দেশের প্রবাসীরা তাঁদের দেশে পাঠিয়েছেন সব চেয়ে বেশি ডলার। বুধবার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। তাতে বলা হয়েছে, গত বছরের চেয়ে ২০২২ সালে এই বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ বেশি। যার জেরেই প্রবাসীদের মাধ্যমে চলতি বছরে দেশে ঢুকেছে ১০০ বিলিয়ন ডলার। কেবল ভারতে এত ডলার ঢুকলেও, তা অন্যান্য কয়েকটি দেশের তুলনায় ঢের বেশি। বিশ্বব্যাঙ্কের ওই রিপোর্টেই জানা গিয়েছে, চলতি বছর সাউথ এশিয়ান দেশগুলিতে পাঠানো মার্কিন ডলারের পরিমাণ ১৬৩ বিলিয়ন। বিশ্বব্যাঙ্কের বক্তব্য, এই প্রথম কোনও একটি দেশ এককভাবে প্রবাসীদের মাধ্যমে এক বছরে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘরে তুলবে। বিশ্বব্যাঙ্কের ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ভারতে বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ হলেও, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলিতে এই বৃদ্ধির হার মাত্র ৫ শতাংশ। প্রবাসীরা (Indian Expats) যে ডলার দেশে পাঠান, তা উন্নত করে ওই পরিবারের অর্থনীতিকে।

    আরও পড়ুন: ‘‘পুরো হযবরল…’’, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    বস্তুত, দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের কাছে এই আয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আয়ের ফলে তাঁদের সংসারে দূর হয় দারিদ্র, খাবারে বৃদ্ধি পায় পুষ্টির মান। শুধু তাই নয়, এই আয়ের ফলে খাবারে পুষ্টির মান বাড়ায় জন্মের সময় শিশুর ওজনও বাড়ে। শিশুদের স্কুলে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ে। কারণ এ দেশে অর্থাভাবে স্কুলছুটের হার ক্রমবর্ধমান। আয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, একদিকে যেমন তাঁদের মজুরি বেড়েছে, তেমনি অন্যদিকে আমেরিকায় বেড়েছে লেবার মার্কেটও। কেবল আমেরিকা নয়, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়ামের মতো ইউরোপিয়ান দেশগুলিতেও বেড়েছে লেবার মার্কেট। গলফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিতে মুদ্রাস্ফীতিও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। সব মিলিয়েই বেড়েছে দেশে ডলার পাঠানোর হার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share