Tag: World Bank

World Bank

  • INR: উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় ভারতের অর্থ ব্যবস্থা মজবুত! জানাল বিশ্ব ব্যাঙ্ক

    INR: উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় ভারতের অর্থ ব্যবস্থা মজবুত! জানাল বিশ্ব ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে রয়েছে মন্দার অশনি সংকেত। তার জেরে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে। পাশাপাশি কমছে মুদ্রার দর। সাঁড়াশি আক্রমণে নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম অর্থ ব্যাবস্থার। চলতি বছরে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার দরে ক্রমশ পতন হচ্ছে। সেই তুলনায় ভারতীয় টাকার পতন কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদ ধ্রুব শর্মা। তিনি বলেছেন, “এবছর ভারতীয় টাকার দর কমেছে ১০ শতাংশ। শুনে মনে হবে অনেক বড় সংখ্যা। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গে বিচার করলে দেখা যাবে তুলনায় ভারতীয় মুদ্রার পতন কম হয়েছে।

    ভারতীয় অর্থনীতির শক্ত ভিত

    উল্লেখ্য, টাকার সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে চলতি বছরে। অক্টোবরে যা ৮৩ টাকা টপকে গিয়েছিল ডলারের বিনিময় মূল্যের নিরিখে। এখন টাকার দর ৮২-৮২.৫০- র মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেড নিয়মিত সুদের হার বাড়ানোর জন্যই টাকার দর পড়েছে। আসলে আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির দর আকাশ ছোঁয়া। তার ফলে মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতেই ক্রমশ সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে ফেড। যার প্রভাব পড়ছে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে।

    আরও পড়ুন: শুরু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, ১৬ বিল পেশ করবে কেন্দ্র, কোনগুলি জানেন?

    মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘ইন্ডিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট’-এর পূর্বাভাস— চলতি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৯ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। গত অক্টোবরে প্রকাশিত রিপোর্টে যা ৬.৫ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে ধ্রুব শর্মা বলেছেন, “গত দশ বছরে ভারতীয় অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী হয়েছে। গত এক দশকের বিভিন্ন আর্থিক পদক্ষেপ ভারতকে বিশ্ব অর্থনীতির প্রথম সারিতে নিয়ে এসেছে। বিদেশি নির্ভরতা কমেছে। করোনা কালে যে ধাক্কা নেগেছিল, তা কাটিয়ে উঠেছে ভারত। অন্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় ভারতের অর্থ ব্যাবস্থা মজবুত। অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিতে যাবতীয় ধাক্কা সামলে উঠতে সফল ভারতীয় অর্থনীতি।”

     

     

     

  • Indian Expats: চলতি বছর প্রবাসীরা ভারতে কত ডলার পাঠাবেন জানেন?

    Indian Expats: চলতি বছর প্রবাসীরা ভারতে কত ডলার পাঠাবেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলে কিংবা মেয়ে। বিদেশে গিয়েছে চাকরি করতে। মাস গেলে রোজগার করছেন রাশি রাশি ডলার। তার একটা অংশ তাঁরা পাঠাচ্ছেন দেশে বাবা-মা কিংবা সংসারে। পৃথিবীর সব দেশেই এই চল রয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে এই প্রবাসীরা (Indian Expats) ভারতে (India) যে টাকা পাঠাবেন, তার সম্মিলিত পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি বিশ্বব্যাঙ্কের (World Bank) তরফেই এ খবর মিলেছে। শুধু তাই নয়, এ ক্ষেত্রেও পৃথিবীর অন্যান্য দেশকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে ভারত।

    বিশ্বব্যাঙ্ক…

    কারণ ভারতই সেই দেশ, যে দেশের প্রবাসীরা তাঁদের দেশে পাঠিয়েছেন সব চেয়ে বেশি ডলার। বুধবার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। তাতে বলা হয়েছে, গত বছরের চেয়ে ২০২২ সালে এই বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ বেশি। যার জেরেই প্রবাসীদের মাধ্যমে চলতি বছরে দেশে ঢুকেছে ১০০ বিলিয়ন ডলার। কেবল ভারতে এত ডলার ঢুকলেও, তা অন্যান্য কয়েকটি দেশের তুলনায় ঢের বেশি। বিশ্বব্যাঙ্কের ওই রিপোর্টেই জানা গিয়েছে, চলতি বছর সাউথ এশিয়ান দেশগুলিতে পাঠানো মার্কিন ডলারের পরিমাণ ১৬৩ বিলিয়ন। বিশ্বব্যাঙ্কের বক্তব্য, এই প্রথম কোনও একটি দেশ এককভাবে প্রবাসীদের মাধ্যমে এক বছরে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘরে তুলবে। বিশ্বব্যাঙ্কের ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ভারতে বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ হলেও, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলিতে এই বৃদ্ধির হার মাত্র ৫ শতাংশ। প্রবাসীরা (Indian Expats) যে ডলার দেশে পাঠান, তা উন্নত করে ওই পরিবারের অর্থনীতিকে।

    আরও পড়ুন: ‘‘পুরো হযবরল…’’, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    বস্তুত, দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের কাছে এই আয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আয়ের ফলে তাঁদের সংসারে দূর হয় দারিদ্র, খাবারে বৃদ্ধি পায় পুষ্টির মান। শুধু তাই নয়, এই আয়ের ফলে খাবারে পুষ্টির মান বাড়ায় জন্মের সময় শিশুর ওজনও বাড়ে। শিশুদের স্কুলে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ে। কারণ এ দেশে অর্থাভাবে স্কুলছুটের হার ক্রমবর্ধমান। আয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, একদিকে যেমন তাঁদের মজুরি বেড়েছে, তেমনি অন্যদিকে আমেরিকায় বেড়েছে লেবার মার্কেটও। কেবল আমেরিকা নয়, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়ামের মতো ইউরোপিয়ান দেশগুলিতেও বেড়েছে লেবার মার্কেট। গলফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিতে মুদ্রাস্ফীতিও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। সব মিলিয়েই বেড়েছে দেশে ডলার পাঠানোর হার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • World Bank Fears Recession: আগামী বছরই আর্থিক মন্দার গ্রাসে গোটা বিশ্ব, আশঙ্কা বিশ্ব ব্যাঙ্কের

    World Bank Fears Recession: আগামী বছরই আর্থিক মন্দার গ্রাসে গোটা বিশ্ব, আশঙ্কা বিশ্ব ব্যাঙ্কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কার কালো মেঘ অনেক আগেই ঘনীভূত হয়েছে। সেই সম্ভাবনা আরও বেশি করে উস্কে দিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক (World Bank)। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী বছরেই আর্থিক মন্দা গ্রাস করতে পারে গোটা বিশ্বকে।

    কেন এমন আশঙ্কা? বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক দ্রুত গতিতে সুদের হার বাড়াচ্ছে। আর তাতে অর্থের জোগান ক্রমশ কমছে বাজারে। মুদ্রাস্ফীতির দর নিম্নমুখী হচ্ছে ঠিকই, তবে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করা যাচ্ছে অর্থনীতিতে। চড়া সুদের হার থেকে বাঁচতে যে কোনও সংস্থা নতুন করে আর বিনিয়োগের পথে হাঁটতে চাইবে না। অনেক সংস্থা ব্যয় সংকোচের পথ বেছে নিতে বাধ্য হবে। তার জেরে বাণিজ্য ও আর্থিক বিকাশের পথ সঙ্কুচিত হয়ে আসে। তখনই গ্রাস করবে আর্থিক মন্দা (Global Recession)। হাজার হাজার মানুষ চাকরি হারাবেন। কমবে কর্মসংস্থান।

    আরও পড়ুন: মোদির জন্মদিনে পুজো বা কেক কাটা নয় আজ থেকে সেবাপক্ষ শুরু বিজেপির

    বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস (David Malpass) রিপোর্ট পেশ করার সময় বলেন, ‘এভাবে সুদের হার বাড়তে থাকলে আথির্ক মন্দা ঠেকানো যাবে না। এর পরিণতি খুব খারাপ হতে পারে। নতুন নতুন যে সব বাণিজ্যক্ষেত্র খুলেছে, সেগুলি দ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে উন্নয়শীল দেশগুলি।’

    সুদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে আমেরিকা। পিছিয়ে নেই ইউরোপের দেশগুলি। সেই তুলনায় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ধীরে চলো নীতি নিয়েছে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য, ভারতীয় অর্থনীতিকে বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে আরও চাঙ্গা করা। সুদ বৃদ্ধি সেই প্রয়াসে বড় বাধা হতে পারে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা শুরু হলে ভারতও যে রেহাই পাবে না, বলাই বাহুল্য। তবে সাম্প্রতিক কয়েকটি রিপোর্টে এটা স্পষ্ট, অন্য দেশগুলির তুলনায় ভারতীয় অর্থনীতি অনেকটাই মজবুত। বিশেষজ্ঞদের মতে, যা মূলত ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সুফল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share