Tag: world news

world news

  • AI Startup: এআইয়ের কোম্পানি খুলে বিশাল রোজগার দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূতের

    AI Startup: এআইয়ের কোম্পানি খুলে বিশাল রোজগার দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তামাম বিশ্বের নজর কাড়ল দুই (Youngest Self Made Billionaires) ভারতীয় বংশোদ্ভূত। মাত্র বাইশ বছরের তিন তরুণ তৈরি করে ফেলেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI Startup) আস্ত একটা কোম্পানি, নাম মেরকর। এই কোম্পানিই ৩৫০ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করার পর বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ারের স্বীকৃতি পেয়েছেন। এই কোম্পানির তিন সহ-প্রতিষ্ঠাতা হলেন আদর্শ হিরেমঠ, সূর্য মিধা এবং ব্রেনডন ফুডি। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠাতা ২২ শতাংশের মালিক হওয়ায় বর্তমানে মেরকরের মূল্যায়ন দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এর ফলে তাঁরা ছাড়িয়ে গিয়েছেন মেটা সিইও মার্ক জুকারবার্গকেও। এই জুকারবার্গই ২০০৮ সালে ২৩ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো ‘ফোবর্স বিলিয়নিয়ার্সে’র তালিকায় ঢুকে পড়েছিলেন।

    মেরকরের সাফল্য (AI Startup)

    মেরকরের এই সাফল্য এই তিন তরুণ উদ্যোগীকে প্রযুক্তির দুনিয়ার সর্বকনিষ্ঠ এবং সব চেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, জেন-জেড উদ্ভাবকরা বদলে দিয়েছে এআই উদ্যোক্তা জগৎকে। হিরেমঠ এবং মিধা দু’জনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাঁরা বেড়ে উঠেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফর্নিয়ার সান হোসেতে। পড়াশোনা করেছেন বেলারমাইন কলেজ প্রিপারেটরি নামে একটি বেসরকারি স্কুলে। এই স্কুলটি ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য পরিচিত। এই দু’জনই প্রথম জাতীয় পর্যায়ে পরিচিতি পেয়েছিলেন যখন তাঁরা হাইস্কুলে এক বছরে তিনটি প্রধান জাতীয় নীতি-বিতর্ক চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করেন।

    সিলিকন ভ্যালির সঙ্গে সম্পর্ক

    জানা গিয়েছে, এই তিন (AI Startup) প্রতিষ্ঠাতাই সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তি ইকোসিস্টেমের সঙ্গে গভীরভাবে পরিচিত। কারণ, তাঁদের বাবা-মায়েরা শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানিতে প্রযুক্তিবিদ এবং সফটওয়্যার উন্নয়ন–সংক্রান্ত বিভিন্ন পদে কাজ করেছিলেন। শৈশব থেকেই উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা পরিবেশে বেড়ে ওঠা, তাঁদের ভবিষ্যৎ সাফল্যের ভিত্তি গঠন করেছে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। মেরকরের লক্ষ্য হল, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বৈশ্বিক শ্রম–সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনার পদ্ধতিকে আমূল বদলে দেওয়া। এই স্টার্টআপের প্রযুক্তি দক্ষ পেশাদারদের এমন এআই সিস্টেমের সঙ্গে (Youngest Self Made Billionaires) যুক্ত করে, যা কর্মী নিয়োগ, কাজ বণ্টন এবং টাস্ক ম্যানেজমেন্টকে আরও দক্ষ করে তুলতে পারে। যার ফলে বদলে যেতে পারে ডিজিটাল-নির্ভর অর্থনীতিতে ভবিষ্যতের কর্মসংস্থানের ছবিটাই (AI Startup)।

     

  • Sheikh Hasina: হাসিনাকে গদিচ্যুত করার নেপথ্যে সিআইএ! বড় দাবি বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    Sheikh Hasina: হাসিনাকে গদিচ্যুত করার নেপথ্যে সিআইএ! বড় দাবি বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনা অভ্যুত্থানের গুজব এবং শীর্ষ পর্যায়ে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগকে ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশের রাজনীতির আঙিনা। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে একটি বই। তাতেই চাঞ্চল্যকর দাবি (CIA) করা হয়েছে। কীভাবে নিপুণভাবে ঘুঁটি সাজিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) একটি বৃহৎ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল, তার উল্লেখ করা হয়েছে বইটিতে। হাসিনা মন্ত্রিসভার প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের অভিযোগ, দেশের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান নাকি সিআইএ-সমর্থিত একটি পরিকল্পনার অংশ ছিলেন, যার লক্ষ্যই ছিল হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা। ‘ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ: দ্য স্টোরি অফ অ্যান আনফিনিশড রেভোল্যুশন’ শিরোনামের ওই বইটি লিখেছেন দীপ হালদার, জয়দীপ মজুমদার এবং শহিদুল হাসান খোকন।

    ‘সিআইএ-র চক্রান্ত’ (Sheikh Hasina)

    বইটির তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসের এক সকালে দিল্লির একটি হোটেলে লেখকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় খান কামাল এসব ঘটনা জানিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলকে ‘একটি নিখুঁত সিআইএ (মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা) চক্রান্ত’ বলে বর্ণনা করেন। তাঁর দাবি, দীর্ঘ সময় ধরে সুচারুভাবে এই ষড়যন্ত্রের ছক কষা হয়েছিল। বইটিতে তাঁকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “আমরা জানতামই না যে সিআইএ ওয়াকারকে কব্জা করে ফেলেছে।” কামালের দাবি, দেশের প্রধান দুই গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এবং এনএসআই প্রধানমন্ত্রীকে এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক করতেও ব্যর্থ হয়েছিল। তাঁর ইঙ্গিত, এই দুই সংস্থার প্রবীণ কর্তারাও এতে জড়িত থাকতে পারেন, যেহেতু সেনাপ্রধান নিজেই ছিলেন এই ষড়যন্ত্রের অন্যতম চাঁই।

    কেন নেপথ্যে আমেরিকা?

    বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের জন্য আমেরিকা কেন জড়াতে চাইবে? এ প্রশ্নের উত্তরে কামাল দুটি কারণ তুলে ধরেন। তিনি জানান, ওয়াশিংটন দক্ষিণ এশিয়ায় একই সময়ে অতিরিক্ত শক্তিশালী নেতাদের দেখতে চায় না। উদাহরণ হিসেবে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চিনের শি জিনপিং এবং শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, শক্তিশালী আঞ্চলিক নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ চাপিয়ে দেওয়ার কাজটা কঠিন করে তোলে (Sheikh Hasina)। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত কৌশলগত সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বিষয়টির কথা। মায়ানমারের উপকূল থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে গুরুত্ব পেয়েছে। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের বাড়তি প্রভাবের কারণেই বেড়েছে এই দ্বীপের গুরুত্ব (CIA)।

    হাসিনার নিশানায় আমেরিকা

    ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে আগে হাসিনা নিজেই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ আমেরিকাকে দিতে ওয়াশিংটন তাঁর ওপর চাপ দিচ্ছিল। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে একটি প্রেস কনফারেন্সে তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁকে জানানো হয়েছিল দ্বীপটির অ্যাক্সেস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দিলে তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি একে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি আপস বলেও উল্লেখ করেছিলেন। পদচ্যুত হওয়ার পরেও ১১ জুন ফেসবুক লাইভেও তিনি একই দাবি করেন। তিনি বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নয়া সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে কাজ করছে। বইটিতে কামালের উদ্ধৃতি থেকে জানা গিয়েছে, “ভারতের সংবাদমাধ্যম এখন এটি রিপোর্ট করছে। কিন্তু আমাদের সরকার পতনের অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী আমাদের সতর্ক করেছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য (Sheikh Hasina)।”

    বাংলাদেশকে গভীরভাবে নাড়িয়ে দেবে

    প্রসঙ্গত, বইটি এমন একটি সময়ে প্রকাশিত হয়েছে যখন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী যার নেতৃত্বে এখনও রয়েছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান—ফের রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে (CIA)। ১১ অক্টোবর সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে স্বীকার করে যে তাদের ১৫ জন আধিকারিক নিখোঁজ ও গুমের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক রয়েছেন। এই ঘটনা ঘটেছিল হাসিনার জমানায়। এই পরিস্থিতি সেনাবাহিনীর ভেতরে উত্তেজনা ও বিভেদের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। ওয়াকারের সৌদি আরব সফরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার কারণে তিনি আপাতত বাতিল করেছেন তাঁর সফর। দীপ বলেন, “এটি বাংলাদেশকে গভীরভাবে নাড়িয়ে দেবে।”

    লেখকের বক্তব্য

    দীপ বলেন, এই তথ্যগুলি বাংলাদেশের রাজনীতিকে গভীরভাবে অস্থির করে তুলবে। তিনি জানান, জেনারেল ওয়াকারকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন হাসিনা নিজেই। তিনি বলেন, “দুই শীর্ষ ব্যক্তি জেনারেল ওয়াকার এবং রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ক্ষমতার পরিবর্তন নিয়ে নানা গুজব ও তত্ত্বের কেন্দ্রে ছিলেন।” তিনি জানান, গোপালগঞ্জের দাঙ্গা থেকে শুরু করে সেনা কর্তাদের গ্রেফতার সব ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রপতি সেনাবাহিনীকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। গত এক বছর ধরে গুজব ছিল যে জেনারেল ওয়াকার ‘ভারতের এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করছেন। কিন্তু নতুন দাবি হল, তিনি নাকি সিআইএর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। প্রশ্ন উঠছে, তিনি আসলে কোন পক্ষে রয়েছেন?

    অভিমন্যুর সঙ্গে হাসিনার তুলনা

    বইটিতে খান কামাল শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) ভাগ্যকে মহাভারতের অভিমন্যুর সঙ্গে (CIA) তুলনা করেছেন। তিনি লেখকদের বলেছেন, “যেমন অভিমন্যুকে তাঁরই বিশ্বস্ত মানুষরা ঘিরে ধরে হত্যা করেছিল, ঠিক তেমনই ওয়াকার বাংলাদেশে মৌলবাদী শক্তিগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে হাসিনাকে পদচ্যুত করার কাজটি করেছেন।” তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ-সহ বিভিন্ন উগ্রপন্থী গোষ্ঠী, যারা বহু বছর ধরে পরস্পর শত্রু ছিল, তারা প্রথমবারের মতো একজোট হয়েছিল হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার অভিন্ন লক্ষ্যে।” কামালের মতে, এই ইসলামি দলগুলির জোট জামায়াতের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছিল এবং এর পেছনে ছিল বিদেশি গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের মদত।

    প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি

    কামাল বলেন, “ওয়াকার ২০২৪ সালের জুনে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন। তারই কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ৫ অগাস্ট ২০২৪ তিনি হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেন। কামালের বিশ্বাস, হাসিনাকে সরানোই ছিল ওয়াকারের প্রথম গোপন মিশন, এমন একটি মিশন যার জন্য তাঁকে সেই নেত্রীরই প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে হয়েছিল, যিনি তাঁকে সর্বোচ্চ পদে উন্নীত করেছিলেন।” কামাল এও জানান, পাকিস্তানের আইএসআই দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছিল। আইএসআই-প্রশিক্ষিত লোকেরা জামায়াতে যোগ দিয়েছিল এবং জুনের শেষ দিকে হিংসা উসকে দিতে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিল। এর মধ্যে পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলাও ছিল। তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় পুলিশের (CIA) শীর্ষ কর্তারা তাঁকে সতর্ক করেছিলেন এই বলে যে বিদেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গিরা বিক্ষোভকারীদের ভিড়ে মিশে যাচ্ছে। তিনি (Sheikh Hasina) ততক্ষণাৎ খবরটি দেন হাসিনাকে। কিন্তু হাসিনা তাঁকে জানিয়েছিলেন, সেনাপ্রধান ইতিমধ্যেই তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনীই যথেষ্ট।”

    সেনাপ্রধানের দ্বিচারিতা!

    কামালের দাবি, আইএসআই জড়িত থাকার খবর দেওয়ার পরেও ওয়াকার বারবার তাঁকে এই বলে আশ্বস্ত করেছিলেন যে পুলিশ মোতায়েনের  প্রয়োজন নেই, সেনাবাহিনীই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে। হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করার আগের দিন গণভবনে পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে একটি বৈঠক হয়। তাতে সরকার ও নিরাপত্তা সংস্থার শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কামাল প্রস্তাব দেন, বিক্ষোভকারীরা যাতে ঢাকায় ঢুকতে না পারে, সে জন্য পুলিশ যেন সব প্রবেশপথ সিল করে দেয়। কিন্তু ওয়াকার সহমত হননি। তিনি বলেছিলেন, পুলিশের ওপর আর ভরসা নেই জনগণের। তাই সেনাবাহিনীরই দায়িত্ব নেওয়া উচিত। কামাল জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন রক্ষায় পুলিশ মোতায়েনের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। ওয়াকার সেই প্রস্তাবও খারিজ করে দেন এবং কামাল ও হাসিনা দু’জনকেই আশ্বস্ত করেন যে গণভবনের দিকে কাউকে এগোতে দেওয়া হবে না (CIA)। তিনি বলেন, “সেদিন রাতে তিনি (হাসিনা) তাঁর কথায় বিশ্বাস করেছিলেন। তার পরের দিন কী হয়েছিল, তা তো আমরা সবাই জানি (Sheikh Hasina)।”

  • Loksabha Election 2024: বুথে ২২ জন এজেন্ট বসবে কোথায়? ভেবেই কুল পাচ্ছে না নির্বাচন কমিশন

    Loksabha Election 2024: বুথে ২২ জন এজেন্ট বসবে কোথায়? ভেবেই কুল পাচ্ছে না নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যদি হও সুজন, তেঁতুল পাতায় ৯ জন। কিন্তু বাংলার প্রবাদ একটু বদলে গেছে বরাহনগরে। এখানে যেন তেঁতুল পাতায় ২২ জন। কথা হচ্ছে একেবারে শেষ দফার ভোটের। দমদম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বরাহনগর বিধানসভায় লোকসভা (Loksabha Election 2024) ও উপনির্বাচন মিলিয়ে প্রার্থীর সংখ্যা ২২। স্বাভাবিকভাবেই সকলে এজেন্ট দিলে কমপক্ষে ২২ জন কে স্থান দিতে হবে প্রতিটি বুথে। আর এ নিয়েই চিন্তার ভাঁজ কমিশনের কপালে।

    ২ ইভিএম বনাম ২২ এজেন্ট

    একদম শেষ দফায় ১ জুন দমদম লোকসভার সঙ্গেই হবে বরাহনগর বিধানসভার। উপনির্বাচনের এই কেন্দ্রে পাশাপাশি দুটি ইভিএমে ভোট দেবেন বরাহনগরের বাসিন্দারা। একদিকে দমদম লোকসভায় প্রার্থীর সংখ্যা ১৪। অন্যদিকে বরাহনগর বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন ৮ জন। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ২২, তৃণমূল, সিপিএম, বিজেপির মত রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি কিছু নির্দল প্রার্থীও রয়েছেন। তাঁরা সকলে একজন করে যদি এজেন্ট দেন সে ক্ষেত্রেও ২২ জনকে কোথায় বসানো হবে, একরতি বুথের ভিতর, সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। তারপর নিয়মমাফিক একজন প্রিসাইডিং অফিসার ও দুজন পোলিং অফিসার এবং ব্যালট ইউনিটের জন্য আলাদা জায়গা।

    কমিশনের রফাসূত্র

    ভোটারদেরও এই কেন্দ্রে ঢুকলে অন্য কেন্দ্রের থেকে আলাদা চিত্র দেখতে হবে। এতগুলি এজেন্টের দিকে ভোটারদের না তাকালেও চলবে। কিন্তু দুটি ইভিএম দেখতে পাবেন নির্বাচকরা। একটি দমদম লোকসভার জন্য অন্যটি বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য। স্বাভাবিকভাবেই দুটি ইভিএমের বোতামে টিপতে হবে ভোটারদের। তবে ভোটারদের থেকে বেশি এখন চিন্তা নির্বাচন কমিশনের কারণ দমদম লোকসভায় প্রধান তিন দলের প্রার্থী ছাড়াও ১১ জন নির্দল প্রার্থী রয়েছেন। অন্যদিকে বিধানসভার উপনির্বাচনে পাঁচ জন নির্দল প্রার্থী রয়েছেন। ফলে ২২ জন প্রার্থীর জন্য সব জায়গায় না হলেও কিছু জায়গায় ২২ জন এজেন্ট হওয়ার কথা। কিন্তু তাঁদের কোথায় বসাবে কমিশন, সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। এবার বরাহনগরে অনেক ক্লাবেও ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করা হয়েছে। ক্লাবের ছোট্ট পরিসরে বহু জায়গায় ২২ জনের বসার জায়গা হবে না।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের পাঠানো ট্যাঙ্কের জল খেয়ে ২০ জন অসুস্থ, সরব বিজেপি

    বরাহনগরে ২৫২ টি বুথের মধ্যে ৩২ টি বুথ ছোট বলে নির্বাচন কমিশন চিহ্নিত করেছে। সেখানে মেরে কেটে ৪-৫ জন বসতে পারবে সুস্থভাবে। এর মধ্যে আবার নির্বাচনের কাজ পরিচালনার জন্য আধিকারিক কর্মী মিলিয়ে অন্তত চারজন থাকেন। বাকিরা কোথায় বসবেন তা নিয়েই রফা সূত্র বের করার চেষ্টা করছে কমিশন। কমিশনের রফাসূত্র হল ছোট্ট বুথ গুলিতে অস্থায়ী কাঠামো করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এজেন্টের চাপ কমাতে সর্বদলীয় বৈঠক করে কমিশনের তরফে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে লোকসভা (Loksabha Election 2024) এবং বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বুথে একজন করে প্রতিনিধি বসানোর অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে শাসক দল কমিশনের অনুরোধ না মানলে বিরোধীরা ও বেঁকে বসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iran Israel War: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের কতটা প্রভাব পড়বে ভারতে? কেন উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি?

    Iran Israel War: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের কতটা প্রভাব পড়বে ভারতে? কেন উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিলই। আর সেটাই সত্যি হল। ইজরায়েলে হামলা চালাল ইরান (Iran Israel War)। এই হামলায় ইজরায়েলের বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, বিশ্বে আরও একটা সংঘাতের আগুন জ্বলে উঠল। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের পর সৃষ্টি হল আরেকটা যুদ্ধের ফ্রন্ট— ইজরায়েল বনাম ইরান। এর ফলে, বিশ্ববাসীর সামনে উঠে এল মোকাবিলা করার জন্য আরও একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ আর্থিক মন্দার, মুদ্রাস্ফীতির, মূল্যবৃদ্ধির। এই চ্যালেঞ্জ যতটা অর্থনৈতিক, ঠিক ততটাই আবার কূটনৈতিক। তবে, ভারতের কাছে এই চ্যালেঞ্জ (Impact On India) অন্যদের তুলনায় অনেকটাই যেন বেশি। কিন্তু কেন?

    ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ইজরায়েল

    ইরান ও ইজরায়েল— উভয়ের সঙ্গেই কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। দশকের পর দশক ধরে, দুপক্ষের সঙ্গে একটা ভারসাম্যের কূটনীতি পালন করে এসেছে নয়াদিল্লি। কিন্তু, বর্তমান ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ (Iran Israel War) শুরু হওয়ার ফলে সেই ভারসাম্য বা নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে ভারতের। এর কারণ— একদিকে ইজরায়েলের সঙ্গে গভীর কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। বিশেষ করে, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে। গত দশকে এই সম্পর্কের বিষয়টি উন্মুক্ত হয়েছে অনেকটাই। যে কারণে, গত বছর ৭ অক্টোবর তেল আভিভের আকাশে হামাসের জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছে ভারত। চরমপন্থা থেকে নাশকতার সমস্যা এবং তার মোকাবিলা নিয়ে ভারত ও ইজরায়েলের মনোভাবে অনেকটাই মিল। কারণ, ২৬/১১ মুম্বই হামলার সময় উভয় দেশই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এযাবৎকালে, অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্রে ভারতের অন্যতম বড় যোগানদার হিসেবে উঠে এসেছে ইজরায়েল। 

    অর্থনৈতিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইরান

    অন্যদিকে, সাম্প্রতিককালে ইরানের সঙ্গেও কৌশলগত ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে প্রভূত উন্নত করেছে ভারত। তরল জ্বালানির ক্ষেত্রে ভারতকে বেশিরভাগটাই নির্ভর করতে হয় আমদানির ওপর। এক্ষেত্রে, অশোধিত তেলের যোগানদার হিসেবে রয়েছে ইরান। তবে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে, সেই যোগানের পরিমাণ ধাক্কা খেয়েছে বটে। আবার, পাকিস্তানে উৎস হওয়া নাশকতার শিকার হয়েছে এই দু’দেশই। উভয় দেশই তালিবানের একাধিক নীতির—বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের অধিকার কেন্দ্রিক— সমোচ্চরে বিরোধিতা করেছে। তবে, ভারতের কাছে সবচেয়ে বড় কৌশলগত গুরুত্ব হল চাবাহার করিডরের। ইরানের এই বন্দর ব্যবহার করে ভারত। এই বন্দর দিয়েই আফগানিস্তান থেকে শুরু করে মধ্য এশিয়া ও ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্য করতে হয় ভারতকে। কারণ, ভারতীয় পণ্যকে পরিবহণের জন্য নিজেদের ভূমি দিতে অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। ফলত, চাবাহার বন্দর ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

    ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ (Iran Israel War) নিয়ে কেন উদ্বিগ্ন ভারত?

    এই দুই দেশ নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে, আখেরে ক্ষতি ভারতেরই (Impact On India)। কারণ, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে কোনও এক দিক বেছে নেওয়া সহজ হবে না ভারতের। যে কারণে, জাতীয় স্বার্থকে মাথায় রেখেই, ভারসাম্যের কূটনীতির মাধ্যমে দু’দেশকেই ভারত আবেদন জানিয়েছে অবিলম্বে যুদ্ধ থামানোর। যেটা অমূলক নয় একেবারেই। ভারত এখন উভয় দেশের কাছে শান্তির আবেদন করেছে। ভারত বিলক্ষণ জানে, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ আরও বাড়লে তিন দিকে সমস্যা হবে নয়াদিল্লির— প্রবাসী ভারতীয় সম্পৃক্ত, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত।

    প্রবাসী ভারতীয়দের নিয়ে চিন্তা

    প্রথমত, ইজরায়েল ও ইরানে বর্তমানে বসবাস করছে যথাক্রমে প্রায় ১৮ হাজার এবং ৫ থেকে ১০ হাজার ভারতীয়। এছাড়া, প্রায় পশ্চিম এশিয়া ও গাল্ফ অঞ্চলে কর্মরত প্রায় ৯০ লক্ষ ভারতীয়। যে কোনও সংঘাতের (Iran Israel War) ফলে, গোটা অঞ্চলে অস্থিরতা তৈরি হবে। এমনিতেই, ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধের ফলে, সেখানে একটা অনিশ্চয়তা ও আশঙ্কার পরিবেশ আগে থেকেই ছিল। তার ওপর এখন ইজরায়েল-ইরান পুরোদমে যুদ্ধ বাঁধলে, সমস্যা বহুগুণ বেড়ে যাবে। ভারত জানে, এতে সেখানে বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়ের জটিলতা বৃদ্ধি পাবে (Impact On India)। হতে পারে, ভারতীয়দের সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। যেমনটা হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুতে। 

    অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধির শঙ্কা

    দ্বিতীয়ত, অর্থনৈতিক সঙ্কট। ভারতের অর্থনৈতিক স্বার্থ জ্বালানির সঙ্গে জড়িত। জ্বালানি চাহিদার অধিকাংশটাই আমদানি করে সামাল দিতে হয় ভারতকে। আর এই আমদানির ৮০ শতাংশ হয় পশ্চিম এশিয়া অঞ্চল থেকে। ফলত, এখানে যুদ্ধ বাঁধলে (Iran Israel War), অশোধিত তেলের জোগান কমবে, বাড়বে দাম। যার প্রভাব পড়বে ভারত সহ আন্তর্জাতিক বাজারে। ফলে, পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা থাকছে। যার ফলস্বরূপ, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধিও হবে অনিবার্যভাবে (Impact On India)। ভারত অবশ্য গত ২ বছরে পশ্চিম এশিয়ার ওপর এই নির্ভরতা অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে পশ্চিম এশিয়ার পাশাপাশি রাশিয়া থেকে ন্যায্য মূল্যে অশোধিত তেল কেনে ভারত। কিন্তু, সেও তো যুদ্ধে লিপ্ত।

    বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে ভারতের

    তৃতীয়ত, আরব-মুলুকে তথা মধ্যপ্রাচ্যে বিপুল বিনিয়োগ করেছে ভারত। বিনিয়োগ রয়েছে ইরান ও ইজরায়েলেও। দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চল দিয়ে ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ করিডর প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দিতে উদ্যোগী ভারত। এখন, এই অঞ্চলে আরেকটা যুদ্ধ (Iran Israel War) হলে, সেই প্রকল্প, সেই স্বপ্ন জোর ধাক্কা খেতে পারে (Impact On India)। ভারত তা একেবারেই চাইছে না। যে কারণে, সব পক্ষকে যুদ্ধের পথ ছেড়ে আলোচনায় ফেরার আবেদন একাধিকবার করে চলেছে ভারত। নয়াদিল্লি বিলক্ষণ জানে, একবার এই করিডর সফল হলে, ভারতের বাণিজ্য বিশেষ করে রফতানি বহুগুণ বেড়ে যাবে। সহজেই বিদেশের বাজার ধরতে সক্ষম হবে ভারত। 

    রক্তাক্ত ভারতের শেয়ার বাজার

    এমনিতেই, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ (Iran Israel War) শুরু হতেই তার প্রভাব পড়েছে ভারতের শেয়ার বাজারে। তেলের দাম বাড়া এবং বিনিয়োগে ধাক্কা এই জোড়া আশঙ্কার ফলে, গত তিন দিনে লাগাতার পতন হয়েছে স্টক মার্কেটে। গত শুক্রবার এবং চলতি সপ্তাহের সোম-মঙ্গল—এই তিনদিনে ভারতের শেয়ার বাজারে প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে একটিই শর্তে। তা হল, ইরান-ইজরায়েলের সংঘাতের পরিবেশে যেন না নতুন করে আগুন লাগে (Impact On India)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-Maldives: প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি মুইজ্জুর, ক্ষতে প্রলেপের চেষ্টা?

    India-Maldives: প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি মুইজ্জুর, ক্ষতে প্রলেপের চেষ্টা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনৈতিক সংঘাতের (India-Maldives) মধ্যেই ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day 2024) উপলক্ষে ভারতকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠালেন মহম্মদ মুইজ্জু। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দুটি পৃথক চিঠি পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। তাতে দুদেশের মধ্যে থাকা ‘দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের’ উল্লেখ করা হয়েছে। 

    কী লেখা হয়েছে চিঠিতে?

    মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু ভারতের ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day 2024) উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদি এবং দ্রৌপদী মুর্মুকে দু’টি পৃথক বার্তায় অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে মলদ্বীপ এবং ভারতের সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে।’’ আগামী দিনেও দুই দেশের মধ্যে শান্তি, সম্প্রীতি (India-Maldives) বজায় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট।

    মলদ্বীপের বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ

    শুক্রবার দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ভারতের ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবস। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা এজন্য ভারতকে শুভেচ্ছাবার্তাও পাঠিয়েছেন। তবে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ হল মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তা। দুদেশের (India-Maldives) মধ্যে চলতে থাকা কূটনৈতিক টানাপোড়েনের নিরিখে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ। সাম্প্রতিককালে ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তাই অনেকেই মনে করছেন, ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর চেষ্টা করলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের অবনতি

    গত নভেম্বরে ক্ষমতায় এসেছেন মুইজ্জু। তিনি চিনঘেঁষা বলে পরিচিত। তার ওপর, নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক লক্ষদ্বীপ সফরে নিয়ে সমাজমাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কুৎসিত মন্তব্য করেন মুইজ্জু-মন্ত্রিসভার তিন সদস্য (India-Maldives)। ভারতে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ভারতীয়রা ওই বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন। এমনকী, সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভারতীয়রা বয়কট মলদ্বীপ-এর ডাক দেন। এদেশের বহু ভ্রমণ ও পর্যটন সংস্থা মলদ্বীপ ট্যুর বাতিল করে। এর ফলে, তীব্র ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় মলদ্বীপের অর্থনীতি, যা তাদের পর্যটনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে। আর মলদ্বীপে পর্যটনের সিংহভাগ আয় হয় ভারতকে থেকে সেদেশে আসা পর্যটকদের থেকেই।

    ঘরে প্রবল সমালোচিত মুইজ্জু

    সে সময়ে চিন সফরে গিয়েছিলেন মুইজ্জু। তিনি ফিরে এসে কারও সামনে মাথা নত না করার হুঁশিয়ারি দেন। উল্টে তিনি ভারতীয় নৌসেনাকে মার্চ মাসের মধ্যে মলদ্বীপ থেকে সরে যেতে বলে দেন। শুধু তাই নয়। চিনের চর-জাহাজকে মলদ্বীপে স্বাগত জানানোর কথাও ঘোষণা করেন। এতে যেন বিতর্কে ঘৃতাহুতি পড়ে। ঘরেই প্রবল সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় মুইজ্জুকে। সেদেশের প্রধান ২ বিরোধী দল মুইজ্জুর ভারত-বিরোধী (India-Maldives) অবস্থানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করে। বিরোধীরা একসুরে জানিয়ে দেয়, মলদ্বীপের ‘ভারত-বিরোধী অবস্থান’ দ্বীপরাষ্ট্রের জন্য ‘অত্যন্ত ক্ষতিকর’ বলে প্রমাণিত হবে। এর পরই, প্রবল চাপে পড়ে এখন শুভেচ্ছাবার্তা  (Republic Day 2024) ক্ষতে প্রলেপ লাগাতে উদ্যোগী হয়েছেন মুইজ্জু। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Japan Moon Mission: ভারতের পর চাঁদের মাটিতে পা রাখাল জাপান, তবে সফল হল কি?

    Japan Moon Mission: ভারতের পর চাঁদের মাটিতে পা রাখাল জাপান, তবে সফল হল কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের পর চাঁদের মাটিতে সাফল্য পেল আরও এক দেশ। বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসাবে চাঁদের মাটিতে পা রাখল এবার জাপান (Japan Moon Mission)। গত ২৩ অগাস্ট ভারতের ইসরো চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল ভাবে অবতরণ করেছিল। চন্দ্রযান অবতরণের পর বিক্রমের ভিতর থেকে রোভার প্রজ্ঞান বেরিয়ে এসেছিল। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এই প্রথম ভারতের সফল অভিযান হয়েছিল। এবার সেই অভিযানের পর সাফল্য পেল জাপান। আগে চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রেখেছে অ্যামেরিকা, তারপরে দ্বিতীয় সোভিয়েত ইউনিয়ান, তৃতীয় চিন এবং চতুর্থ স্থানে ভারত।

    চাঁদে পৌঁছাল জাপানের মুন স্নাইপার(Japan Moon Mission)

    জানা গিয়েছে, জাপানের সময় অনুযায়ী রাত ১২ টা বেজে ২০ মিনিটে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে জাপানের মুন স্নাইপার (Japan Moon Sniper)। তবে জাপানের এই অভিযানের সাফল্য নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্নচিহ্ন। কারণ, ল্যান্ডারের সফট ল্যান্ডিং হয়েছে কিনা এই নিয়ে সংশয় রয়েছে। ল্যান্ডারের অবস্থা ঠিক কেমন রয়েছে সেই বিষয়ে এখনও ঠিক করে স্পষ্ট ভাবে জানা যাচ্ছে না। এখন ল্যান্ডারের সম্পর্কে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

    উপর্যুপরি, ল্যান্ডারের সোলার প্যানেল ঠিকমতো কাজ করছে না। এই কথা স্বীকার করেছে জাপান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। জানা গিয়েছে অবতরণে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জাপান মহাকাশ স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন (স্লিম)-এ সৌরশক্তি পৌঁছাচ্ছেনা। চাঁদের মাটিতে কাজ করতে গেলে সূর্যের আলো বা সৌরশক্তি একান্ত দরকার। এই ল্যান্ডারের সৌরশক্তি ব্যবহারের যন্ত্রে এক প্রকার ত্রুটি দেখা গিয়েছে। এই যন্ত্র ঠিক না হলে জাপানের চন্দ্র অভিযান প্রক্রিয়াটি পুরো ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। ফলত, জাপানের উদ্দেশ্য আদৌ সফল হবে কি না তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। 

    কী জানিয়েছে মহাকাশ সংস্থা?

    যদিও, জাপানের মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, সৌরশক্তির অভাবে যদি ল্যান্ডার চাঁদের (Japan Moon Mission) মাটিতে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ নাও করতে পারে তাহলেও এই অভিযানকে সফল বলে ধরা হবে। তাঁদের দাবি এর কারণ হল, চাঁদের মাটিতে সফল ভাবে মহাকাশযান অবতরণ করেছে। চাঁদের মাটিতে নামার পর যন্ত্র বিকল হলেও পরবর্তী কাজে বাধা এসেছে মাত্র। কিন্তু চন্দ্রযানের সঠিক ভাবে অবতরণ সফল। তাই বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসাবে জাপান চাঁদের মাটিকে ছুঁতে পেরেছে। তবে কেন সৌরশক্তির অভাবে যন্ত্র বিকল হয়েছে সেই বিষয়ে পরীক্ষা চলছে। এখন কেবলমাত্র ব্যাটারির শক্তিতেই চলছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হবে সেই শক্তি। তাই স্বল্প সময়ের মধ্যে চাঁদের মাটির ছবি তুলে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Iran Pakistan Conflict: ফের আকাশপথে হামলা চালাতে পারে ইরান! পাকিস্তানে জারি ‘হাই-অ্যালার্ট’

    Iran Pakistan Conflict: ফের আকাশপথে হামলা চালাতে পারে ইরান! পাকিস্তানে জারি ‘হাই-অ্যালার্ট’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকাশপথে হামলা করতে পারে ইরান (Iran Pakistan Conflict)। সেই আশঙ্কায় পাকিস্তানে জারি হয়েছে হাই-অ্যালার্ট (Pakistan on High Alert)। যদি দুদেশের মধ্যে যুদ্ধে বাঁধে, তাই আগাম পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং গোয়েন্দাকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসলেন পাকিস্তানের তদারকি সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার-উল-হক কাকর। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছে পাক সেনাও। দুদেশের মধ্যে থাকা প্রায় ৯০০ কিলোমিটার সীমান্তে সেনা-অস্ত্র মোতায়েন বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ইরান-পাকিস্তান সংঘাত (Iran Pakistan Conflict)

    ইরান-পাকিস্তানের এই সাম্প্রতিকতম সংঘাতের সূচনা হয় বুধবার। পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশে হামলা চালায় ইরান। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জয়েশ অল-আদাল গোষ্ঠী বা ‘আর্মি অফ জাস্টিস’-এর ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল তেহরান। ইরানের দাবি, এই জঙ্গি সংগঠন তাদের মাটিতে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। 

    এর ‘প্রতিশোধ’ নিতে ২৪-ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার ইরানের মাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে পাকিস্তান। পাক সেনার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, বিচ্ছিনতাবাদী সংগঠনের ঘাঁটিতে এই হামলা চালিয়েছে তারা। পাকিস্তান দাবি করছে, এই অভিযানে তারা জঙ্গিদের খতম করেছে। তবে তেহরানের পাল্টা দাবি, পাক এয়ারস্ট্রাইকে চার শিশু এবং তিনজন মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে ফের পাক ভূমে ইরান নতুন করে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা (Pakistan on High Alert) করছে পাক প্রশাসক ও সেদেশের সেনা। 

    নতুন হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তান

    ইসলামাবাদের এই আশঙ্কাযে অমূলক নয়, তার আভাস মিলেছে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনেই। ওই সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের হামলার জবাব দেওয়ার জন্য জোর প্রস্তুতি চালাচ্ছে তেহরান (Iran Pakistan Conflict)। খুব শীঘ্রই পাক-ভূমে নতুন হামলা হতে পারে পারে সংবাদমাধ্যমটি তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা  উড়িয়ে দিচ্ছেনা তারা। এই পরিস্থিতিতে ৯০৯ কিলোমিটার দীর্ঘ দু’দুদেশের সীমান্তে তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে (Pakistan on High Alert)। ইরান-পাকিস্তান সীমান্তের দুদিকে সেনা ও অস্ত্রের সমাগমে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। সীমান্তের একদিকে ইরানের সিস্তান প্রদেশ। সীমান্তের ওপারে রয়েছে পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশ।

    আরেকটা যুদ্ধের ভ্রুকুটি

    ২০২২ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায় রাশিয়া। প্রায় দু’বছর পরেও যুদ্ধ থামেনি। তারই মধ্যে গত ৭ অক্টোবর গাজা ভূখণ্ড থেকে ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস গোষ্ঠী। এরপর শুরু হয় সংঘর্য। এখনও সেই সংঘর্ষ চলছে। এবার ইরান-পাকিস্তান (Iran Pakistan Conflict) পরিস্থিতি নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক মহলে।

  • Qatar Death Penalty: ভারতীয় নৌসেনার ৮ প্রাক্তন কর্মীর মৃত্যুদণ্ড রদ কাতারে, বড় জয় মোদির কূটনীতির

    Qatar Death Penalty: ভারতীয় নৌসেনার ৮ প্রাক্তন কর্মীর মৃত্যুদণ্ড রদ কাতারে, বড় জয় মোদির কূটনীতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনীতির (India Qatar Relations) ময়দানে বড় জয় মোদি সরকারের। কাতারে ৮ ভারতীয়র মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদ হল বৃহস্পতিবার (Qatar Death Penalty)। 

    অক্টোবরে মৃত্যুর সাজা 

    চরবৃত্তির অপরাধে অক্টোবর মাসে ভারতীয় নৌসেনার আট প্রাক্তন আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছিল কাতার (Qatar Death Penalty)। এই ৮ জন হলেন— ক্যাপ্টেন নবতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্রকুমার বর্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুণাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা এবং নাবিক রাজেশ। কাতারের নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালাচ্ছিল কেন্দ্র। একইসঙ্গে, কাতার প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টি কূটনৈতিক (India Qatar Relations) স্তরেও আলোচনা চালাচ্ছিল বিদেশমন্ত্রক। আজ মৃত্যুদণ্ড রদ করে হাজতবাসের সাজা শুনিয়েছে কাতারের আদালত।

    কোর্ট অফ আপিলে জয়

    বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘আজ কোর্ট অফ আপিল অফ কাতারের রায় অনুযায়ী, দাহরা গ্লোবান কেসে মৃত্যু দণ্ডের সাজা মকুব করা হয়েছে৷ তবে বিস্তারিত রায় এখনও আসেনি৷ আমরা এ বিষয়ে কাতারের আদালতে পূর্ণাঙ্গ রায়ের প্রতীক্ষা করছি। কাতারে আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং অন্য আধিকারিকরা আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷ তাঁদের সঙ্গে ৮ জনের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন৷ এই বিষয়ের প্রথম থেকেই আমরা নৌ-আধিকারিকদের পাশে রয়েছি৷ আমরা তাঁদের আইনি সব সাহায্য করে যাব৷’’

    চরবৃত্তির অভিযোগে গত বছর গ্রেফতার 

    গত বছর অগাস্ট মাসে নৌসেনার এই ৮ জন প্রাক্তন আধিকারিককে আটক করেছিল কাতারের গোয়েন্দা সংস্থা। কাতারের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ পরিষেবা প্রদান করা দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস নামের একটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তাঁরা। ঠিক কী কারণে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, প্রথমে তা দোহার ভারতীয় দূতাবাসকেও জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। চলতি বছরের এপ্রিলে আদালতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর জানা যায়, তাঁদের বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পর অক্টোবর মাসে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় কাতারের নিম্ন আদালত (Qatar Death Penalty)। 

    কাতার আদালতের নির্দেশে কার্যতই স্তম্ভিত হয়ে যায় দিল্লি। এর পরই কেন্দ্রের তরফে তৎপরতা দেখা যায়। নভেম্বরে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, মৃত্যদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয়দের (India Qatar Relations) ছাড়িয়ে আনতে সব রকম আইনি সাহায্য করবে ভারত সরকার৷ গত মাসেই ভারত কাতারের কোর্ট অফ আপিলে মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে আবেদন জানায়৷ তারপর আজ মৃত্যুদণ্ড রদ হওয়ার খবর এল (Qatar Death Penalty)।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • China Nuclear Test: পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করতে চলেছে চিন? উপগ্রহ চিত্র ঘিরে উদ্বেগ

    China Nuclear Test: পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করতে চলেছে চিন? উপগ্রহ চিত্র ঘিরে উদ্বেগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করতে চলেছে চিন? প্রশ্নটা ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে, কারণ সাম্প্রতিক কয়েকটি উপগ্রহ চিত্রে  তেমন উদ্বেগের ছবি ধরা পড়েছে।

    লপ নুর পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে অতিসক্রিয়তা

    সম্প্রতি, বহুল প্রচলিত মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বেশ কিছু উপগ্রহ চিত্র ছাপা হয়েছে। ওই ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে, চিনের উত্তর-পশ্চিমে স্বায়ত্তশাসিত জিনজিয়াং প্রদেশে লপ নুর পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষাগার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এখানে বলে রাখা ভালো, চিনা পরমাণু অস্ত্রের ইতিহাসে লপ নুর পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষাগারের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। প্রায় ৬ দশক আগে, ১৯৬৪ সালের ১৬ অক্টোবর প্রথম পরমাণু অস্ত্রটি পরীক্ষা করে চিন। সেবারও শিনজিয়াং প্রদেশের লপ নুর এলাকায় পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল, নজরদারি এড়াতে ওই প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছিল ‘প্রজেক্ট ৫৯৬’। 

    ৯০ ফুট গভীর কূপ খনন! কেন?

    এবার ফের একবার নতুন করে ওই কেন্দ্রটিকে সক্রিয় করতে অতিসক্রিয়তা লক্ষ্য করা গিয়েছে জিনপিং সরকারের। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে গতিতে কাজ চলছে, তাতে শীঘ্রই সেখানে চিন পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করতে পারে। অথবা, রাসায়নিক বিস্ফোরকের মাধ্যমে সাব-ক্রিটিকাল পরমাণু বিস্ফোরণের চেষ্টা করছে। মার্কিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, লপ নুর এলাকায় নতুন করে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেছে চিন। পার্বত্য এলাকায়, পাশাপাশি একাধিক উল্লম্ব সুড়ঙ্গ গড়ে তোলা হচ্ছে। আগেও ওই সুড়ঙ্গগুলি পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। এবার প্রায় ৯০ ফুট গভীর কূপ খনন করার চেষ্টা চলছে। তেমনই উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে। এর থেকেই বিশেষজ্ঞদের অনুমান, চিন কিছু আধুনিক মানের ব্যালিস্টিক এবং জাহাজ থেকে ছোড়ার পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে। 

    অস্বীকার চিনের, নজর রাখছে ভারত

    মার্কিন রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় এক দশক আগে চিনের কাছে ছিল ৫০টি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র। পেন্টাগনের অনুমান, যে হারে সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে চিন, ২০৩৫ সাল নাগাদ চিনের হাতে প্রায় ১৫০০ পরমাণু শক্তিসম্পন্ন ওয়ারহেড থাকবে, যা তুলনায় তিরিশ গুণ বেশি। চিনের এই কর্মকাণ্ড ভারতের কাছে যথেষ্ট উদ্বেগের। লপ নুরে চিনের এই সক্রিয়তায় দিল্লিও নড়েচড়ে বসেছে, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে খবর। একাধিক ইস্যুতে দু’দেশের সম্পর্ক একেবারে স্পর্শকাতর জায়গায় আছে। এই অবস্থায় এই উপগ্রহ ছবি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও, পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি স্বভাবতই অস্বীকার করেছে চিন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • China Earthquake: শক্তিশালী ৬.২ তীব্রতার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চিন, মৃত শতাধিক, জখম বহু

    China Earthquake: শক্তিশালী ৬.২ তীব্রতার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চিন, মৃত শতাধিক, জখম বহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চিন (China Earthquake)। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, সোমবার রাতে উত্তর-পশ্চিম চিনের গানসু এবং কিংহাই প্রদেশে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.২। এই দুই জায়গা মিলিয়ে শতাধিক মানুষ মারা গিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তাতে ১১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখমের সংখ্যা আশঙ্কা করা হচ্ছে কয়েক’শ হতে পারে। এর মধ্যে গানসুতে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, কিংহাই প্রদেশের হাইডং শহরে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

    হীমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা, নেই বিদ্যুৎ

    মার্কিন ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, মধ্যরাতে হওয়া এই কম্পনের উৎসস্থল ছিল গানসু প্রদেশের রাজধানী লানঝৌর ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত জায়গায় (China Earthquake) শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। বহু জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে এখন ওই এলাকায় তাপমাত্রা প্রায় হীমাঙ্কের নিচে পৌঁছে গিয়েছে। ফলে, তীব্র প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারের প্রক্রিয়া। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ওই দুই প্রদেশের আধিকারিকদের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

    ভূমিকম্পের (China Earthquake) জেরে তীব্র ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে আতঙ্কিত হয়ে লোক জন রাস্তায় দৌড়চ্ছেন এবং নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ করছেন। ধ্বংসস্তূপের ছবিও দেখা গিয়েছে বেশ কিছু ভিডিওতে। যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    অতীতেও ভূমিকম্পের কবলে চিন

    শক্তিশালী ভূমিকম্প (China Earthquake) চিনে নতুন নয়। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসেও তীব্র ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল চিনের বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৮। তাতে কমপক্ষে ৬৫ জনের মৃত্য হয়। ২০২২ সালে সিচুয়ান প্রদেশে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়। ২০০৮ সালে সিচুয়ান প্রদেশে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৯০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে পাঁচ হাজারেরও বেশি ছিল শিশু। আহতের সংখ্যা ছিল প্রায় চার লক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share