Tag: Xi Jinping

Xi Jinping

  • Omicron China: চিনে নতুন করে মাথাচাড়া দিল ওমিক্রন

    Omicron China: চিনে নতুন করে মাথাচাড়া দিল ওমিক্রন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের শেষ দিক থেকে চিনের উহান ভাইরাস বা করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। তারপরের ইতিহাসটুকু সকলেরই জানা। এই মুহূর্তে ভারত সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে করোনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চিনে আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে করোনাভাইরাস। এই মুহূর্তে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চিনে ওমিক্রনের (Omicron China) নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট BF-7 এবং BA.5.1.7। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, করোনার এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। স্থানীয় সংবাদপত্র জানিয়েছে, এই ভাইরাস প্রথম সনাক্ত হয়েছে চিনের উত্তর পশ্চিমে। রবিবার ওমিক্রনের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে প্রায় ১৮৭৮ জন সংক্রমিত হয়েছে।

    ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার ১৬ অক্টোবর থেকে চিনের ২০তম পার্টি কংগ্রেসের বৈঠক অনুষ্ঠিত করাতে চলছে। চিনে ফের ওমিক্রনের (Omicron China) দাপট বাড়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে  চিন সরকারের কপালে । যদিও সরকারি তরফে কোন বিবৃতি ঘোষণা করেনি। প্রসঙ্গত, এই পার্টি কংগ্রেসেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর (Xi jinping) ক্ষমতা আরও খানিকটা বাড়িয়ে দেওয়া হবে। তিনি আগামী পাঁচ বছরের জন্য চিনের কমিউনিস্ট পার্টির রূপরেখা দেবেন বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।

    বিজ্ঞানীরা করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাঁদের আশঙ্কা অচিরেই সারা চিনে ছড়িয়ে পড়বে ওমিক্রনের (Omicron China) এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ দিন ধরেই বলে আসছেন, করোনার নতুন একটি রূপ আসা মানেই, সেটির বিরুদ্ধে টিকা কতটা কার্যকর হবে, সেটি মানুষের শরীরে কীভাবে প্রভাব ফেলবে, সেটির বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা কার্যকর হবে – সব নিয়েই সন্দেহ থাকে।

    শুধু তাই নয়, এই নতুন রূপ ফুসফুস বা শ্বাসনালী সংক্রমণ বাদ দিয়ে আর কোনও ক্ষতি করবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়। সেই কারণেই, যে কোনও একটি নতুন ভ্যারিয়েন্টই বিজ্ঞানীদের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর তাই বিজ্ঞানীরা আপাতত চিনের এই ওমিক্রন (Omicron China) ভাইরাসের উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন।

    চিন করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের জন্য সারা দেশে আগেই জিরো টলারেন্স নীতি (Zero Tolerance Policy) গ্রহণ করেছিল। কিছুদিন আগেও করোনার গ্রাফ নেমে আসায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল। কিন্তু চিনের ছুটির মরশুম শেষ হবার পরই ওমিক্রনের (Omicron China) হানা সারা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। পুনরায় দেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা করেছে চিনা কমিউনিস্ট সরকার। চিনের শানহি প্রদেশে কঠোর লকডাউন (Lockdown) ঘোষণা করা হয়েছে। একেবারে জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া নিষেধ। স্কুল, কলেজ, অফিস, ব্যবসা সব বন্ধ। মঙ্গোলিয়া প্রদেশের রাজধানী হোহটে বাইরের গাড়ি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। করোনার প্রকোপ কমাতে মঙ্গলবার থেকে শহরে ঢোকাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

    যদিও অর্থনীতিবিদদের মতে, বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশ চিন। তাদের এই জিরো কোভিড টলারেন্স নীতির ফলে ভবিষ্যতে আর্থিক ভাবে পঙ্গু হয়ে পড়বে চিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • China: আত্মহত্যা না খুন! চিনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং-এর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্নের মুখে প্রেসিডেন্ট জিনপিং

    China: আত্মহত্যা না খুন! চিনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং-এর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্নের মুখে প্রেসিডেন্ট জিনপিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে জনসমক্ষে দেখা যায়নি চিনের (China) প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংকে (Qin Gang)। ২৫ জুন বেজিংয়ে শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কিন গ্যাং। তারপর থেকেই তাঁকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, চিনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংয়ের মৃত্যুসংবাদ। অথচ, তাঁর মৃত্যু হয়েছে মাস পাঁচেক আগে। গত জুলাইয়ের শেষ দিকে বেজিংয়ের হাসপাতালে কিন শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। কী ভাবে এই মৃত্যু, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। অনেকেই দাবি করছেন, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। অনেকে আবার মনে করছেন, অত্যাচার করে তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। আসলে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping ) কী করছেন তা গোপনই থেকে যাচ্ছেয তাঁর স্বৈরাচারী মনোভাব বারবার সামনে এলেও, প্রমাণ আড়াল করা হচ্ছে, মত বিশেষজ্ঞদের।

    কে ছিলেন কিন গ্যাং

    গ্যাং ছিলেন চিনের রাজনীতিতে উদীয়মান নক্ষত্র। সারা জাগিয়ে শুরু করেও কেন এভাবে পতন, তা নিয়ে ইতিমধ্যে বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছে ময়নাতদন্ত। চিনের রাজনীতিতে বিতর্কিত এবং বর্ণময় চরিত্র এই কিন গ্যাং। তিনি কমিউনিস্ট পার্টির দাপুটে রাজনীতিবিদ ছিলেন। মাস ছয়েক সামলেছেন বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব। গত জুলাই মাসে কিনকে বিদেশমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত করেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। অপসারণের পরেই কিনের মৃত্যু হয়। গত ২৫ জুলাই প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইকে (Wang Yi) ফের মন্ত্রকের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হয়। সেই সময়ে চিনা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছিল, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কিন গ্যাং। যদিও পরে সরকারি নথিপত্র-সহ সমস্ত জায়গা থেকেই সরিয়ে নেওয়া হয় এই কথা। তারপর থেকেই চিনা প্রশাসন থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে কিন গ্যাংয়ের অস্তিত্ব।

    কী করেন কিন

    দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল একটি রিপোর্টে কিনের পরকীয়ার কথা উল্লেখ করেছিল। আমেরিকায় চিনের রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা পালন করেছিলেন কিন। সেই সুবাদে দীর্ঘ দিন আমেরিকায় ছিলেন তিনি। অভিযোগ, তখনই তাঁর সঙ্গে এক মার্কিন তরুণীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিনের এই পরকীয়া সম্পর্কের কথা সামনে আসতেই বিপদে পড়েন জিনপিং ঘনিষ্ঠ কিন। মনে করা হয় তিনি তাঁর প্রেমিকার কাছে চিন সরকারের গোপনীয় তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছেন। কিনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছিল। জুলাই মাসে কিনকে বিদেশ মন্ত্রক থেকে সরিয়ে দেন জিনপিং। তার পর আর তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপরই তাঁর মৃত্যু হয়। 

     লি খেচিয়াং-এর মৃত্যু

    গত অক্টোবর মাসে মারা যান চিনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লি খেচিয়াং। দশ বছর ধরে চিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। বর্তমান প্রেসিডেন্ট তথা কমিউনিস্ট পার্টির আজীবন সদস্য শি জিনপিংয়ের সঙ্গে লি খেচিয়াংয়ের সম্পর্কে ফাটল দেখা দিতেই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অবসর নেন খেচিয়াং। এরপর সাংহাইতে আচমকাই সুইমিং পুলে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তাঁর মৃত্যুও রহস্যাবৃত।

    আরও পড়ুন: করাচিতে গুলিতে নিকেশ কাশ্মীর হামলার মাথা, ২৬/১১-এর ষড়যন্ত্রীর শরীরে বিষক্রিয়া

    লি স্যাংফু নিখোঁজ

    লি স্যাংফু হলেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিরোধী লবির সদস্য। চিনের সঙ্গে আফ্রিকার শান্তি ও সুরক্ষা ফোরামের একটি বৈঠক হয়েছিল বেজিংয়ে, সেটা ছিল ২৯ অগাস্ট। তখনই শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে (Chinese Defence Minister)। লি পার্টির স্টেট কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। সম্প্রতি সেখান থেকে তাঁকে অপসারিত করা হয়েছে। তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি।

    প্রশ্নের মুখে প্রেসিডেন্ট

    এক এক করে কীভাবে গায়েব হয়ে যাচ্ছেন চিনা মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা? সত্যিই কি তাঁরা নিখোঁজ? নাকি চিনা কমিউনিস্ট শাসনে তাঁদের গোপনে হত্যা করা হচ্ছে? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিনে নিরঙ্কুশ আনুগত্য নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর আমলেই ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে অর্থনীতির গ্রাফ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও তাইওয়ান ইস্য়ুতে সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে খবর, এহেন পরিস্থিতিতে প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করার নামে দলের মধ্যে থাকা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের এক এক করে নির্মূল করছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। লি ও কিন বারবার তাঁর একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। অনেকেরই অনুমান সেই কারণে দু’জনকে গুম খুন করে থাকতে পারেন জিনপিং।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jinping Biden meet: বৈঠক শেষে ফের জিনপিংকে ‘একনায়ক’ কটাক্ষ বাইডেনের, কেন চুপ চিনা প্রেসিডেন্ট?

    Jinping Biden meet: বৈঠক শেষে ফের জিনপিংকে ‘একনায়ক’ কটাক্ষ বাইডেনের, কেন চুপ চিনা প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক চিনা প্রেসিডেন্টের (Jinping Biden meet)। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হলেও, পরে নিজের অবস্থানে অনড় রইলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বৈঠকের আগেও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ‘একনায়ক’ আখ্যা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার বিশ্বের দুই বৃহৎ শক্তিধর দেশের দুই প্রধানের বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরেই জিনপিংকে ফের ‘একনায়ক’ আখ্যা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কেন তিনি চিনা প্রেসিডেন্টকে একনায়ক আখ্যা দিলেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বাইডেন। তিনি বলেন, “উনি এমন একটা দেশ চালান, যেটা একটা কমিউনিস্ট দেশ। ওই দেশে প্রশাসনিক পরিকাঠামো আমাদের দেশের তুলনায় একদমই আলাদা।”

    ‘গঠনমূলক আলোচনা’

    আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোয় এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলির বৈঠকের মাঝেই বুধবার পার্শ্ব বৈঠকে বসেন বাইডেন ও জিনপিং। বৈঠক শেষে বাইডেন বলেন, “আমি মনে করি যে, আমরা কিছু গঠনমূলক ও কার্যকরী আলোচনা করতে পেরেছি।” চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বৈঠকের নির্যাস প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, “বিবিধ বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে গভীর আলোচনা ও মতের আদানপ্রদান হয়েছে। একটি দেশের সাফল্য অন্য দেশটির সাফল্যের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দেয়।”

    ঐক্যের ছবি!

    দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তও হয়েছে, “যদি কারও উদ্বেগ দেখা দেয়, তাহলে আমাদের উচিত ফোন হাতে তুলে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কথা বলা। এবং আমরা তা করব। এটা একটা বড়সড় অগ্রগতি।” ঘণ্টা চারেকের এই বৈঠকের মধ্যে এক সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া সেরেছেন জিনপিং-বাইডেন। বাগানে ঘোরাঘুরিও করেছেন। আমেরিকার বুকে দুই বৃহৎ শক্তিধর দেশের দুই প্রধানের এহেন কাছাকাছি আসার ছবি দীর্ঘদিন (Jinping Biden meet) দেখেনি বিশ্ব।

    আরও পড়ুুন: গাজায় প্রবীণ হামাস নেতার বাড়িতে হানা ইজরায়েলের, কোথায় গেলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী?

    এর আগে যখন বাইডেন জিনপিংকে ‘একনায়ক’ বলে অভিহিত করেছিলেন, তখন চিনা আধিকারিকরা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। সেবার তাঁরা বাইডেনের মন্তব্যটিকে অযৌক্তিক ও উসকানিমূলক বলে অভিহিত করেছিলেন। এবার অবশ্য বাইডেনের মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি চিনের তরফে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড অতিমারির পরবর্তী পরিস্থিতিতে ধাক্কা খেয়েছে চিনা অর্থনীতি। বিশ্ববাজারেও মার খাচ্ছে চিনা পণ্য। এমতাবস্থায় মার্কিন-সঙ্গ লাভে বিশেষ উপকৃত হতে পারে বেজিং। সর্বোপরি, তাইওয়ান নীতিতে বাইডেনকে পাশে পেতে চায় চিন। তাইওয়ানকে চিনের অংশ বলে দাবি করে বেজিং। আর তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে আমেরিকা। সেই কারণেও বাইডেন-সঙ্গ লাভ করতে চাইছে জিনপিং (Jinping Biden meet)।

    চিনা প্রেসিডেন্টের দৌত্য কতটা সফল হয়, এখন সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

       

  • BRICS Summit: ব্রিকসের মঞ্চে করমর্দন মোদি-জিনপিংয়ের, ভারতের সাফল্যে খুশি নন চিনা প্রেসিডেন্ট?

    BRICS Summit: ব্রিকসের মঞ্চে করমর্দন মোদি-জিনপিংয়ের, ভারতের সাফল্যে খুশি নন চিনা প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিকস সম্মেলনে (BRICS Summit) মঞ্চ শেয়ার করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। তবে বুধবার ফটোশেসনের সময় দেখা গেল দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসের দু পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দুজন। বুধ-সন্ধ্যায় চাঁদের মাটি ছোঁয় ভারতের চন্দ্রযান-৩।

    মোদি-জিনপিংয়ের করমর্দন

    ভারতই প্রথম দেশ যে পা রেখেছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। সম্ভবত, তার পরেই বদলে গেল ছবিটা। বৃহস্পতিবার করমর্দন করতে দেখা গেল মোদি এবং জিনপিংকে। এএনআইয়ের প্রকাশ করা একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, মোদি ও জিনপিং একে অপরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, হাত মেলাচ্ছেন এবং কথা বলছেন। তবে এই দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ঠিক কী কথা হল, তা জানা যায়নি। গত বছর জি-২০ সম্মেলন হয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। ওই সম্মেলনে মুখোমুখি হয়েছিলেন মোদি ও জিনপিং। সেই সময় করমর্দন (BRICS Summit) করতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের।

    ব্রিকসের কলেবর বৃদ্ধির প্রস্তাব

    এদিকে, ব্রিকসের কলেবর বৃদ্ধির পক্ষেও এদিন সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ব্রিকস বর্ধনকে সব সময় সমর্থন করে এসেছে ভারত। আমরা বিশ্বাস করি ব্রিকসের সদস্য সংখ্যা বাড়লে তা আরও শক্ত হবে।” উন্নয়নশীল দেশগুলি যেভাবে ব্রিকসে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তাতে তিনি খুশি বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এদিন ইজিপ্ট, আর্জেন্টিনা, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব এবং ইউনাইটেড আরব আমিরশাহিকে ব্রিকসে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

    এদিকে, বুধ-সন্ধ্যায় ভারতের চন্দ্রাভিযান সফল হওয়ায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। এই তালিকায় যেমন রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের মতো বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ, তেমনি রয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোতায় শেরিং, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো উন্নয়নশীল দেশের নেতারাও। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টও।

    আরও পড়ুুন: “আমরা তো চাঁদেই বাস করছি”! ভারতের ‘চাঁদমারি’তে শ্লেষ পাক নাগরিকের

    চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম পা রেখে ইতিহাস গড়েছে ভারত। এহেন আবহে বিশ্ব নেতারা ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেও, অদ্ভুতভাবে নীরব জিনপিং। এ ব্যাপারে (BRICS Summit) একটি বাক্যও ব্যয় করেননি কমিউনিস্ট শাসিত দেশটির প্রেসিডেন্ট।

    ভারতের চাঁদ জয়ে কি তবে গোঁসা হল কমরেডের!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • BRICS Summit: ব্রিকসের মঞ্চেও ঘুচলো না দূরত্ব, মোদি জিনপিং রইলেন দূরে দূরেই

    BRICS Summit: ব্রিকসের মঞ্চেও ঘুচলো না দূরত্ব, মোদি জিনপিং রইলেন দূরে দূরেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখোমুখি হলেন বটে, তবে মোদি-জিনপিংয়ের দূরত্ব ঘুঁচল না। বুধবার ব্রিকসের (BRICS Summit) যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতেই ধরা পড়েছে ভারত ও চিনের রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যের এই দূরত্ব। মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার ছিল সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন। এদিন স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে যাওয়ার আগে ব্রিকসের সদস্য দেশগুলির নেতারা যোগ দেন ফটোশেসনে। সেখানেই ধরা পড়েছে মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের দূরত্বের ছবি।

    দূরত্বের ছবি

    ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার একদিকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মোদি, অন্যদিকে রয়েছেন জিনপিং। এই সম্মেলনে (BRICS Summit) রাশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। গ্রুপ ফটোয় ছিলেন তিনিও। ছিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডা সিলভাও। মঙ্গলবার ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যেই উন্নত দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার শপথ নিয়েছে ভারত।” ভারত যে অচিরেই বিশ্বে উন্নয়নের চালিকা শক্তি হয়ে উঠবে, এদিন প্রত্যয়ের সঙ্গে সেকথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। প্রসঙ্গত, ব্রিকসের সদস্য দেশগুলি হল, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।

    প্রধানমন্ত্রীর দেশপ্রেম

    এদিকে, বুধবার ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর দেশপ্রেমের নমুনা দেখল তামাম বিশ্ব। এদিন ছিল ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন। সম্মেলন শুরুর আগে অন্যান্য রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রীও। প্রত্যেক রাষ্ট্রনেতা মঞ্চের কোথায় দাঁড়াবেন, তা ঠিক করেছিলেন আয়োজকরা।

    সেই মতো মঞ্চের প্লাটফর্মে সাঁটিয়ে রাখা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট দেশের পতাকা আঁকা স্টিকার। মঞ্চে নিজের জন্য দাঁড়ানোর জায়গায় ভারতের পতাকা দেখে প্রথমে থমকে দাঁড়ান প্রধানমন্ত্রী। তারপর ঝুঁকে পড়ে স্টিকারটি তুলে নিয়ে রেখে দেন পকেটে।

    আরও পড়ুুন: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর সিইও ছিলেন অভিষেক! বিবৃতি জারি করে জানাল ইডি

    প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট। মোদিকে দেখে তিনিও হাতে তুলে নেন সে দেশের পতাকা আঁকা স্টিকার। ব্রিকস সম্মেলনের মঞ্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এহেন দেশপ্রেমের নিদর্শন হয়েছে ভাইরাল। প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্ববাসী। এদিকে, ব্রিকস সম্মেলনের (BRICS Summit) ফাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দুই রাষ্ট্রনেতাই জোর দিয়েছেন ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সম্পর্কের উন্নতিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • India-China Conflict: মোদি-জিনপিং বৈঠকের আগে পূর্ব লাদাখে মেজর জেনারেল স্তরের আলোচনা শুরু

    India-China Conflict: মোদি-জিনপিং বৈঠকের আগে পূর্ব লাদাখে মেজর জেনারেল স্তরের আলোচনা শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকায় চিনের (India-China Conflict) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের আগে পূর্ব লাদাখের সীমান্ত সমস্যা মেটাতে চুসুল-মলডো সীমান্তবর্তী এলাকায় বৈঠকে বসলেন দু’দেশের সেনাকর্তারা। আগামী সপ্তাহে ব্রিকস সম্মেলনের আসরে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে দেখা হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তার আগে দু-দেশের সীমান্ত বিরোধের একটা মুখরক্ষার সমাধান সূত্র বের হোক চাইছে দুপক্ষই। দুই দেশের পরিকল্পনা, সেনা কর্তাদের বৈঠকে অগ্রগতি হলে তা সামনে রেখে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। 

    দক্ষিণ আফ্রিকা ও গ্রিস সফর মোদির

    পূর্ব লাদাখে অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে মেজর জেনারেল পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দৌলত বেগ ওল্ডি এবং চুসুলে বর্তমান অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে ইন্দো-চিন (India-China Conflict) সেনারা মেজর-জেনারেল পর্যায়ে আলোচনা করছে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের আগে এটিকে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। পঞ্চম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি মালামেলা সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ২২ থেকে ২৪ অগাস্ট জোহানেসবার্গে থাকবেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে গ্রিসের বিদেশমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিসের আমন্ত্রণে সরকারি সফরে গ্রিস যাবেন মোদি।

    আরও পড়ুন: আর্থিকভাবে এগিয়ে চলেছে দেশ, বেড়েছে গড় আয় ও করদাতার সংখ্যা, রিপোর্ট প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    ভারত-চিন আলোচনা

    প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে যে পূর্ব লাদাখে অচলাবস্থা কাটানোর জন্য মেজর জেনারেল পর্যায়ের আলোচনা চলছে। মোদি জিনপিংয়ের (India-China Conflict) মধ্যে আলোচনার আগে এই বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আলোচনায় ভারতীয় পক্ষের প্রতিনিধিত্ব করেন ত্রিশূল ডিভিশনের কমান্ডার মেজর জেনারেল পিকে মিশ্র এবং ইউনিফর্ম ফোর্স কমান্ডার মেজর জেনারেল হরিহরণ। ১৩-১৪ অগাস্ট চুসুল-মলডো বর্ডার মিটিং পয়েন্টে দুই পক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত কোর কমান্ডার পর্যায়ের ১৯তম দফার আলোচনার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে এই আলোচনা হয়। বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে তিন বছরের আগেকার স্থিতাবস্থা অবিলম্বে বহাল রাখা ও ডেপসাং ও ডেমচক থেকে চিনা সেনাদের পিছিয়ে যাওয়ার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। তিন বছর আগে গলওয়ান উপত্যাকায় ভারতীয় অংশে আচমকাই ঢুকে আসে চিন সেনা। দু’পক্ষের সংঘর্ষে ক্ষয়ক্ষতি হয় উভয় শিবিরের। তারপর থেকেই সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা চলছে দু’দেশের মধ্যে। যার ফল হিসাবে ২০২১ সালে গোগরা হটস্প্রিং এলাকা ও প্যাংগং লেকের বিস্তীর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় দু’দেশই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Li Qiang: জিনপিংয়ের একান্ত ঘনিষ্ঠ লি কিয়াংই হচ্ছেন চিনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী

    Li Qiang: জিনপিংয়ের একান্ত ঘনিষ্ঠ লি কিয়াংই হচ্ছেন চিনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমিউনিস্ট চিনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের অধিবেশন শুরু হয়েছে রবিবার। ভারতের প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করতে এই অধিবেশনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অধিবেশনে মন্ত্রিপরিষদে বড় ধরনের রদবদল হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, সাংহাইয়ে দলীয় প্রধান লি কিয়াং (Li Qiang) হতে চলেছেন চিনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

    সাংহাইয়ে কোভিড সংক্রমণ বাড়বাড়ন্তের সময় ব্যাপক কড়াকড়ি শুরু করেছিল চিনের প্রশাসন। কঠোর নীতি প্রণয়নের নেপথ্যে ছিলেন ছিলেন লি কিয়াং (Li Qiang)। এবার তিনিই চিনের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসতে চলেছেন। শি জিনপিং- এর অত্যন্ত ঘনিষ্ট এই নেতা। যদিও এই নেতাকে নিয়ে অসন্তুষ্ট চিনা নাগরিকদের একাংশ। কারণ সাংহাইয়ের আর্থিক অবস্থার অবনতির নেপথ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল লির।     

    চিনের বার্ষিক এই অধিবেশনে প্রায় তিন হাজার প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। এতে ঘোষিত হওয়া নতুন প্রধানমন্ত্রীকে (Li Qiang) বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির হাল ধরতে হবে। জিনপিংয়ের পরে তিনিই হবেন দেশটির দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় গত বছর দেশটির বাণিজ্যিক কেন্দ্র সাংহাইয়ে লকডাউন তদারকির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। লকডাউনের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ধসে সমালোচিতও হয়েছিলেন লি। তারপরও তাঁর কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে যাওয়ার খবরে অনেকেই বিস্মিত।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডল কেমন থাকবেন জানালেন দিলীপ ঘোষ

    লি কিয়াংয়ের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, চিনের নিয়মকে পাশ কাটিয়ে অনৈতিক ভাবে প্রিমিয়ার পদে বসতে চলেছেন তিনি। শুধুমাত্র জিনপিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্টতার সুবাদেই দেশের অন্যতম শীর্ষ পদে বসছেন, এমনটাই মনে করছেন অনেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাঙ্কার বলেছেন, এই নিয়োগ ঘিরে একেবারেই অখুশি চিনের ব্যবসায়ী মহল। যদিও কোনও সংস্থার তরফে নয়া প্রিমিয়ারের বিরুদ্ধে সরকারি ভাবে কিছু বলা হয়নি। 

    আজ বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং মঞ্চের কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। এরপর নতুন প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং সেই জায়গা দখল করবেন। চিনের প্রিমিয়ার হিসাবে দেশের আর্থিক নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন লি (Li Qiang)। বিশেষজ্ঞদের মতে, শি-লির সুসম্পর্কের চিনা প্রশাসনে একটা নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ দুই নেতার মধ্যে বোঝাপড়ার কারণে উন্নতি হতে পারে চি্নের। কিন্তু অপর একাংশের দাবি, নয়া প্রিমিয়ারের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীল জিনপিং। তাঁকে খুশি রাখতে ভুল নীতি প্রণয়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে চিনা রাষ্ট্রপতির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Xi Jinping: “সামনে আশার আলো…”, নতুন বছরের শুরুতেই বললেন শি জিনপিং

    Xi Jinping: “সামনে আশার আলো…”, নতুন বছরের শুরুতেই বললেন শি জিনপিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতে দেশের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। গত সোমবারেই চিনের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন শি জিংপিং। গতকালও তিনি চিনের জনসাধারণের প্রতি বক্তব্য রাখলেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে, চিনে কোভিড ঢেউ একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে এবং এটির বিরুদ্ধে লড়াই করা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেছেন ‘অসাধারণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা অভূতপূর্ব অসুবিধা এবং চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠেছি। এটি কারও জন্য সহজ যাত্রা ছিল না।’

    জাতির উদ্দেশে ভাষণ শি জিনপিং-এর

    গত কয়েকদিনে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার জিনপিং (Xi Jinping) দেশের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, চিনে করোনার বাড়বাড়ন্তে জিরো কোভিড পলিসি শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তা দেশবাসীর জন্য ধীরে ধীরে শিথিল করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, সামনে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, “করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে আমরা নতুন পর্বে প্রবেশ করেছি। সবাই দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করছে। আশার আলো সামনেই।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের এখনও লড়াই করতে হবে। সবাই অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করছে। চলুন, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর পরিশ্রম করি।”

    আরও পড়ুন: ‘বাবার মৃত্যুর সময়ও কর্তব্যে অবিচল ছিলেন মোদি’, স্মৃতির সাগরে ডুব ভিএইচপি নেতার

    চিনের করোনা পরিস্থিতি

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, চিনে গতকালই নতুন করে ৭০০০ জনের করোনা আক্রান্তের কথা জানা গিয়েছে ও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে চিনাদের বিদেশে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে ও চিনে প্রবেশকারী ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইনের নিয়ম সরিয়ে ফেলা হবে। অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে ফ্রান্স এবং ইতালি সহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ, পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান ঘোষণা করেছে যে, চিন থেকে আগত যাত্রীদের করোনার নেগেটিভ টেস্টের রিপোর্ট লাগবে। আবার মরক্কো চিন থেকে আসা সমস্ত যাত্রীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

    হু-এর সঙ্গে চিনের বৈঠক

    করোনা কেস, ভ্যাকসিন, চিকিৎসার মত বিষয় নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ এবং চিনা কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। সাম্প্রতিক এক বৈঠকে বলা হয়েছে, চিনের উচিত যে কোনও তথ্য গোপন না করে বিশ্বের সঙ্গে শেয়ার করা। তথ্য গোপন করলে সমস্যা আরও বাড়বে। এ কারণে সেখানে করোনার প্রকৃত অবস্থা খুঁজে বের করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • China Protest: “জিনপিং পদত্যাগ করুন”, বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে চিন

    China Protest: “জিনপিং পদত্যাগ করুন”, বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের করোনার গ্রাসে প্রতিবেশী দেশ চিন (China Protest)। দৈনিক  সংক্রমণ ছাড়িয়েছে ৪০ হাজার। সংক্রমণে লাগাম দিতে ফের কোভিড নীতি আটোসাটো শি জিনপিং- এর সরকার। আর এতেই ক্ষেপে উঠেছে চিনা জনতা। বছরের পর বছর ঘরবন্দি হয়ে থাকতে রাজী নয় তারা। সরকারের কোভিড নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন সে দেশের নাগরিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ, বন্দিদশা থেকে মুক্তি চান সকলে। দেশজুড়ে রবিবার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচী চলল। উঠল জিনপিং বিরোধী শ্লোগান। ‘‘লকডাউন চাই না, মুক্তি চাই।’’ জনরোষে কেঁপে উঠল, রাজধানী শহর বেজিং এবং শাংহাইয়ের রাজপথ। 

    সাধারণ মানুষের (China Protest) অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সরকার এখনও করোনা-শূন্য নীতি থেকে সরে আসেনি। অর্থাৎ, দেশে করোনা সংক্রমণ শূন্য না হওয়ার পর্যন্ত কড়াকড়ি বন্ধ থাকবে। যার প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের রোজগারে, ব্যবসা-বাণিজ্যে।
     
     
    সম্প্রতি জিনঝিয়াং প্রদেশে একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মানুষের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। ওই প্রদেশের রাজধানী উরুমকিউই-এর একটি বহুতলে গত বৃহস্পতিবার আগুন লাগে। তাতে প্রাণ হারান দশ জন চিনা নাগরিক (China Protest)। ওই আবাসনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, তালাবন্দি থাকার জন্যই অনেকে আবাসন ছেড়ে বেরোতে পারেননি। আগুন লেগে যাওয়ার পরেও অনেকে ঘরের মধ্যেই আটকে পড়েন বলে দাবি বাসিন্দাদের একাংশের। চিনা প্রশাসন যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই শি জিনপিং- এর পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন শয়ে শয়ে মানুষ।
     

    বেজিং- শাংহাইতে বিক্ষোভ 

     
    রবিবার বেজিং শহরের একটি নদীর ধারে প্রতিবাদ জানাতে অন্তত ৪০০ জন মানুষ জড়ো হয়েছিলেন বলে খবর (China Protest)। দীর্ঘ ক্ষণ তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পরে বিক্ষোভকারীরা এলাকা ছেড়ে চলে যান।
     
    শাংহাইতেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মানুষ (China Protest)। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। ‘শি জিনপিং, ইস্তফা দাও’ বলে স্লোগান তুলতে শোনা গিয়েছে শাংহাইয়ের রাস্তায়। শনিবার গভীর রাত থেকে শাংহাইয়ের রাস্তায় জড়ো হয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। রবিবার সকালে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে বেলার দিকে ফের পথে নামেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • China: ‘শি জিনপিংকে টেনে নামাও’, এবার দাবি উঠল খোদ চিনেই

    China: ‘শি জিনপিংকে টেনে নামাও’, এবার দাবি উঠল খোদ চিনেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শি জিনপিংকে (Xi Jinping) টেনে নামাও! চিনা কমিউনিস্ট পার্টিকে (China Communist Party) টেনে নামাও। রবিবার সকালে এমনই স্লোগান শোনা গেল চিনের (China) একটি শহরে বিক্ষোভকারীদের গলায়। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ফের লকডাউন (Lockdown) করা হয়েছে চিনের বিভিন্ন অংশে। এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার উরুমকি শহরের এক আবাসনে আগুন লাগে। এই উরুমকি হল শিংজিয়াং এলাকার রাজধানী। এই বহুতলের একাংশ তালাবন্দি করে রাখায় আবাসনের বাইরে বেরতে পারেননি বাসিন্দারা। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে চিনের বিভিন্ন অংশে। তার পরেই লকডাউন তুলে নেওয়ার দাবিতেও শুরু হয় বিক্ষোভ।

    বাড়ছে সংক্রমণ…

    গোটা বিশ্বে করোনা অতিমারির বাড়বাড়ন্ত কমলেও, চিনে তা ধারণ করেছে ভয়াবহ আকার। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, দৈনিক সংক্রমণ এখন সর্বোচ্চ। বুধবার ৩১ হাজার ৪৫৪ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, অতিমারি পর্বে চিনে এটিই সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ।

    সম্প্রতি চিনের শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এবার দেশে কড়াকড়ি কমানো হবে। করোনা পরিস্থিতি চলায় এতদিন জিরো কোভিড পলিসি থেকে এতটুকুও সরেনি বেজিং। নিয়ম ভাঙলে কপালে জুটত শাস্তি। দিন কয়েক আগেও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এবার কিছুটা লঘু করা হবে করোনা নীতি। কিন্তু সম্প্রতি ফের সংক্রমণ বাড়ায় ফের হয়েছে কড়া লকডাউন। বৃহস্পতিবার এক সঙ্গে দশজনের জীবন্ত দগ্ধ হওয়ার খবরে খেপে যান চিনাদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: পার্টি কংগ্রেসে হংকং, তাইওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং, কেন জানেন?

    চিনের সব চেয়ে জনবহুল শহর সাংহাই। এটি দেশের ফাইনান্সিয়াল হাবও। শনিবার রাতে এই শহরের বাসিন্দারা এলাকায় বিভোক্ষ দেখান। বিক্ষোভ দেখানো হয় রবিবার সাত সকালেও। সম্প্রতি সেই বিক্ষোভের একটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে বিক্ষোভকারীদের সমস্বরে বলতে শোনা যায়, উরুমকি থেকে লকডাউন তোল। শিনজিয়াং থেকে লকডাউন তোল। গোটা চিন থেকে লকডাউন তোল। এর পরেই উত্তেজিত জনতার একাংশকে বলতে শোনা যায়, টেনে নামাও শি জিনপিংকে (Xi Jinping)। টেনে নামাও চিনা কমিউনিস্ট পার্টিকে। উরুমকিকে মুক্ত কর। প্রসঙ্গত, এর আগে পার্টি কংগ্রেসের সময়ও শি জিনপিংকে একনায়ক বিশ্বাসঘাতক বলে দেগে দিয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছিলেন চিনের বাসিন্দাদের একাংশ। এবার দাবি উঠল টেনে নামানোর।

    গদি কি ক্রমেই নড়বড়ে হচ্ছে জিনপিংয়ের (Xi Jinping)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share