Tag: Xi Jinping

Xi Jinping

  • G20 Summit: মোদিকে দেখে এগিয়ে এলেন বাইডেন! আলিঙ্গন বন্ধু মাক্রঁর, শুরু জি-২০ বৈঠক

    G20 Summit: মোদিকে দেখে এগিয়ে এলেন বাইডেন! আলিঙ্গন বন্ধু মাক্রঁর, শুরু জি-২০ বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার বালিতে শুরু হল জি-২০ বৈঠক। গতকালই জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে বালিতে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো তাঁকে সম্মেলন স্থলে আমন্ত্রণ জানান। সম্মেলনের ফাঁকেই তাঁকে দেখে এগিয়ে যান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গলা মেলান বন্ধু ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ।

    মোদি-বাইডেন মুখোমুখি

    বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেখে এগিয়ে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁদের দুজনের মধ্যে ক্ষণিক আলাপচারিতা হয়। সৌহার্দ্য বিনিময় করেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। এর আগে গতকালই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেখা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে। দুজনের মধ্যে তাইওয়ান প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয় বলে খবর।

    মাক্রঁ-মোদি সাক্ষাত

    জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর সঙ্গে দেখা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। দুজনের মধ্যেই কিছুক্ষণ কথা হয়। তবে কী নিয়ে কথা হয়েছে তা বিস্তারিত জানা যায়নি।  বালিতে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে চিনের রাষ্ট্রনেতা শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন মাক্রঁ। প্যারিস ও বেজিংকে ইউক্রেনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ম্যাক্রঁ।

    বৈঠকে কী বললেন মোদি

    এদিন বৈঠকে মোদি বলেন, “ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনৈতিক শক্তি। আমরা অবশ্যই জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ  করব না। আমাদের জ্বালানির বাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। ভারত পরিচ্ছন্ন শক্তি এবং পরিবেশের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” যুদ্ধ- হিংসার পথ ত্যাগ করে শান্তিই শ্রেয় বলে দাবি করেন মোদি।

    তিনি বলেন, ” দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিশ্বের সর্বনাশ হয়েছিল। এরপর ওই সময়ের নেতারা শান্তির পথে চলার প্রাণপণ চেষ্টা চালান। এবার আমাদের পালা। কোভিড পরবর্তী সময়ের জন্য একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থা তৈরির দায়িত্ব আমাদের কাঁধে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Gujarat Bridge collapse: কাউকে আড়াল করা হবে না! মোরবি সেতু বিপর্যয়ে উচ্চপর্যায় তদন্তের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    Gujarat Bridge collapse: কাউকে আড়াল করা হবে না! মোরবি সেতু বিপর্যয়ে উচ্চপর্যায় তদন্তের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোরবি সেতু দুর্ঘটনায় (Morbi Bridge Collapse) কোনওভাবেই দোষীদের আড়াল করা হবে না। আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। গভীরে গিয়ে তদন্ত করতে হবে, বলেন মোদি। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনার সবিস্তার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রয়োজনে গভীরে গিয়ে তদন্ত করতে হবে। চিহ্নিত করতে হবে দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত দিকগুলি। তার থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: মোরবির দুর্ঘটনায় মোদির পাশে থাকার বার্তা বাইডেনের! আজ ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী মোদি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে এবং এই সময়ে তাঁরা যাতে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য পায় তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী উদ্ধারকাজ, এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার বিষয়ে বিশদে খোঁজ খবর নেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এই দুর্ঘটনার বিস্তারিত ও ব্যাপক তদন্তের প্রয়োজন। তার জন্য সময় লাগবে।” মোরবি সিভিল হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন মোদি। রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের মোরবি জেলায় মাচ্ছু নদীতে পড়ে যায় পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা আস্ত একটি কেবল ব্রিজ। যে সময় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে তখন সেখানে প্রায় ৪০০-র বেশি পর্যটক ছিল বলে জানা যায়। ইতিমধ্যেই ১৭৭ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে এসডিআরএফ, এনডিআরএফ, সামরিক বাহিনী, নৌসেনা, বায়ুসেনা।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে সেতু ভেঙে মৃত অন্তত ১৩২, ঘটনাস্থলে তদন্তকারী দল

    মোরবিতে সেতু দুর্ঘটনায়  শোকের ছায়া গোটা দেশে। সরকারি সূত্র মতে, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৩৫ জন। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। এবার শোক প্রকাশ করতে দেখা গেল চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে (Chinese President Xi Jinping)। ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে শোক বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংও শোক বার্তা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি লিখেছেন। একইসঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার সাইমন ওং-ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। আজ, ২ নভেম্বর, বুধবার রাজ্যব্যাপী শোক পালনের সিদ্বান্ত নিয়েছে গুজরাট সরকার। রাজ্যের সরকারি ভবনগুলিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রয়েছে। এদিন কোনও সরকারি অনুষ্ঠান,সংবর্ধনা বা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • China Covid: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ফের লকডাউন চিনে

    China Covid: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ফের লকডাউন চিনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তাই আবারও লকডাউনের (Lockdown) সিদ্ধান্ত নিল চিন প্রশাসন। প্রশাসনের এহেন সিদ্ধান্তের আওতায় আসবেন চিনের ২০৮ মিলিয়ন মানুষ। জানা গিয়েছে, দেশের ২৮টি শহরে এই লকডাউন জারি করা হয়েছে। এই শহরগুলির মধ্যে রয়েছে উহানও। বছর তিনেক আগে এই উহানেই প্রথম খোঁজ মিলেছিল মারণ ভাইরাসের (China Covid)। সম্প্রতি করোনার নয়া স্ট্রেইনের সন্ধান মিলেছে। এটি আগেরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) সাফাই গেয়েছেন লকডাউনের পক্ষে। তিনি একে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে জনতার যুদ্ধ আখ্যা দিয়েছেন। তার পরেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে তাঁর জিরো-কোভিড টলারেন্স নীতি।

    করোনার এই যে দুটি নয়া স্ট্রেইন চোখ রাঙাচ্ছে চিনে, সেগুলি ভয় ধরিয়েছে সে দেশের প্রশাসনের বুকেও। আধিকারিকদের মতে, এবার যে সংক্রমণ হচ্ছে, সেজন্য দায়ী বিএফ.৭ এবং বিএ.৫.১.৭। চিনের স্পেশালিস্ট ফার্ম নোমুরা জানিয়েছে, সরকারি পরিসংখ্যান এবং আমাদের সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে দেশের ২৮টি শহরে বিভিন্ন পর্যায়ের লকডাউন জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, উহান জেলায় প্রায় ৮ লক্ষ মানুষকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ঘরবন্দি থাকতে বলা হয়েছে। এই উহানেই চলতি সপ্তাহে প্রতিদিন নথিভুক্ত কোভিড (China Covid) রোগীর সংখ্যা বাড়ছে ২৫ জন করে।

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের করোনা গ্রাফ, পজিটিভিটি রেট বেড়ে ৫.৩১%

    শহরে ঢোকার বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওয়াংঝাউয়ে। অর্থনৈতিক দিক থেকে এটি চিনের চতুর্থ বৃহত্তম শহর। বৃহস্পতিবার দিনভর শহরবাসীকে বন্দি থাকতে হয়েছে ঘরেই। আশপাশের শহরগুলিতে ক্রমেই বাড়ছে সংক্রমণের বহর। সেই কারণেই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অবলম্বন করা হয়েছে এই পন্থা। করোনার (China Covid) বাড়বাড়ন্তে দেশের অর্থনীতি হাল খারাপ হতে শুরু করেছে চিনে। জিডিপি পড়ে গিয়েছে ২.৬ শতাংশ। চলতি আর্থিক বর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের হিসেব এটি। এদিকে, করোনা (China Covid) ঠেকাতে একটি টিকা আবিষ্কার করেছে সাংহাই। নয়া এই ভ্যাকসিন ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে নিতে হবে না, ইনহেল করতে হবে। বিশ্বে এটাই প্রথম এই ধরনের করোনা প্রতিষেধক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Xi Jinping: চিনকে প্রয়োজন গোটা বিশ্বের, তৃতীয়বার দেশের সর্বাধিনায়ক হয়েই ঘোষণা জিনপিংয়ের

    Xi Jinping: চিনকে প্রয়োজন গোটা বিশ্বের, তৃতীয়বার দেশের সর্বাধিনায়ক হয়েই ঘোষণা জিনপিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনকে (China) প্রয়োজন বিশ্বের। তৃতীয়বারের জন্য চিনের সর্বাধিনায়ক হওয়ার পর একথাই জানালেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। মাও জে দংয়ের পর তিনিই একমাত্র নেতা যিনি পর পর তিনবার চিনা কমিউনিস্ট পার্টির (CCP) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়লেন। শনিবারই দেশের প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। যার অর্থ, আগামী পাঁচ বছর কেবল দেশ নয়, দলেরও সর্বেসর্বা তিনিই।

    চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এদিন জিনপিংকে (Xi Jinping) আগামী পাঁচ বছরের জন্য সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করেন। তাঁর বয়স ৬৯। অথচ চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদকের পদে অবসর নেওয়ার বয়স ৬৮ বছর। ইতিমধ্যেই টানা ১০ বছর সাধারণ সম্পাদক থাকার মেয়াদ পূর্ণ করে ফেলেছেন শি জিনপিং। এদিন ফের নির্বাচিত হলেন। পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এদিন পলিটব্যুরোর ২৫ জন সদস্যকেও বেছে নিয়েছে। এঁরাই নির্বাচিত করবেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের। নির্বাচিত হওয়ার পর জিনপিংয়ের সহযোগী হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন এঁরা। প্রসঙ্গত, এবার পলিটব্যুরোয় কোনও মহিলা প্রতিনিধি নেই। গতবার সাকুল্যে ছিলেন একজন। তিনি অবসর নেওয়ার পর আর কেউ নেই। পার্টির গত পঁচিশ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটল।

    আরও পড়ুন: অগ্নি প্রাইমের সফল উৎক্ষেপণ, পাল্লায় চিন, পাকিস্তান!

    তৃতীয়বারের জন্য কর্তৃত্ব পেয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেন জিনপিং (Xi Jinping)। বলেন, চিনকে প্রয়োজন গোটা বিশ্বের। চিনা প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্ব ছাড়া চিন উন্নতি করতে পারে না। আবার চিনকেও প্রয়োজন বিশ্বের। তিনি বলেন, চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে লাগাতার প্রচেষ্টার সুফল মিলেছে। আমরা দুটো মিরাক্যাল ঘটাতে পেরেছি। এক, দ্রুত অর্থনৈতিক বিকাশ এবং দীর্ঘ মেয়াদি সামাজিক স্থায়িত্ব। তিনি বলেন, পার্টি এবং আমাদের লোকজন যে বিশ্বাস করে আমার ওপর দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, কঠোর পরিশ্রম করে আমি তার মর্যাদা রাখব। প্রসঙ্গত, পার্টি এবং দেশ বাদেও সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের প্রধানও নির্বাচিত হয়েছেন শি জিনপিং।

    পার্টি কংগ্রেস শুরু হওয়ার আগে জিনপিংকে (Xi Jinping) বিশ্বাসঘাতক একনায়ক বলে দেগে দিয়ে পোস্টার পড়েছিল চিনের বিভিন্ন এলাকায়। তবে তা যে কোনও কাজে আসেনি জিনপিংকে ফের সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করাই তার তার প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • China: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে, নিশানায় কে?   

    China: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে, নিশানায় কে?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে। ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে ২০তম কংগ্রেসে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পুননির্মাণের আগে চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) যথেষ্ঠ চাপে রয়েছেন। দিন কয়েক আগে শি জিনপিংকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে খবর ছড়িয়েছিল। পরে অবশ্য তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যায়। চিনের সর্বাধিনায়কের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতক একনায়ক লেখা ব্যানার পড়ায় অস্বস্তিতে পার্টি। যদিও ব্যানারের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি সরিয়ে নেওয়া সেগুলি।

    চিনের রাজধানী বেজিংয়ের এক সাংবাদিকের করা ট্যুইট থেকে জানা গিয়েছে, কোনও কোনও ব্যানারে চিনের জিরো কোভিড পলিসির বিরোধিতা করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, আমরা কোভিড পরীক্ষা চাই না, খাবার চাই। লকডাউন চাই না, স্বাধীনতা চাই। আবার কোনও কোনও ব্যানারে লেখা হয়েছে, বিশ্বাসঘাতক একনায়ক (Dictatorial Traitor)। জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ব্যানারের ছবি ছড়িয়ে পড়তেই দ্রুত খুলে নেওয়া হয় সেগুলি। হেইডিয়ান জেলায় ব্যানারের নীচে রাস্তার ওপর থেকে ধোঁয়া উঠতেও দেখা গিয়েছে। সেখানে জনতা স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে এই বলে যে স্কুলে ধর্মঘট করা যাক, ধর্মঘট করা যাক কাজেও, বিশ্বাসঘাতক একনায়ক শি জিনপিংকে সরানো যাক।

    আরও পড়ুন: ‘আড়াই বছর অত্যন্ত কঠিন ছিল…’ ভারত-চিন সম্পর্কের হাল হকিকত জানালেন জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, বেজিংয়ের জিরো কোভিড পলিসির কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, কোয়ারেন্টাইন এবং পরপর লকডাউনের ওপর ব্যাংক করে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে জিন পিং সরকার। যদিও চিনা সরকারের দাবি, কোভিড প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এটি দারুণ কার্যকর হয়েছে। প্রসঙ্গত, চিনা নাগরিকরা আশা করেছিলেন যে ২০ তম কংগ্রেসের পরে জিরো কোভিড নীতি শেষ হবে। প্রসঙ্গত, চিনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার একটি সম্পাদকীয়তে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে একটি লেখা প্রকাশিত হতেই  তাঁদের নিরাশ হতে হয়। চিনের কড়া কোভিড নীতির কারণে থমকে গিয়েছে অর্থনৈতিক উন্নতি। জিনপিংয়ের আমলে মার খেয়েছে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা। এই ব্যানার-আন্দোলনের পর জিন পিংয়ের পদ থাকে কিনা, এখন সেটাই দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Xi Jinping: গদি বাঁচাতে হংকং, তাইওয়ানের পর এবার গলওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং!

    Xi Jinping: গদি বাঁচাতে হংকং, তাইওয়ানের পর এবার গলওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদি বাঁচাতে খেলেছিলেন হংকং তাস। প্লে করেছিলেন তাইওয়ান তাসও। এবার চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) সরাসরি খেলে দিলেন ইন্দো-চিন বর্ডারের গলওয়ান (galwan) সংঘর্ষ তাস! রবিবার চিনা কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসে (CPC) গলওয়ান কার্ড প্লে করেন চিনের সর্বাধিনায়ক শি জিনপিং। এদিন তিনি বলেন, চিনা সেনা সব সময় ট্রেনিংয়ের মধ্যে থাকে। প্রস্তুত থাকে যুদ্ধের জন্য। জয়ের খিদেও তাদের রয়েছে। প্রসঙ্গত, সাতদিন ধরে চলবে এই পার্টি কংগ্রেস। প্রতি পাঁচ বছরে একবার বসে কংগ্রেসের এই অধিবেশন।

    শি জিনপিং (Xi Jinping) সে দেশের মিলিটারিকে একটি স্পেশাল সেকশন উৎসর্গ করেছেন। নাম অ্যাচিভিং দ্য সেন্ট্রাল গোল অফ দ্য পিএলএ অ্যান্ড ফার্দার মর্ডানাইজেশন ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড মিলিটারি। ৬৩ পাতার রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ডের জেরে ২০২০ সালের মে মাস থেকে চিন-ভারত (India) সীমান্তে বিশেষ করে পূর্ব লাদাখে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনার ছাপ পড়ছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। দুই দেশের মধ্যে ১৬ দফা বৈঠক হয়। অমীমাংসিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার জন্য সম্মত হয় দুই দেশই। এদিন অবশ্য বিশেষ কোনও দেশের নাম করেননি শি জিনপিং। তবে এদিন পার্টি কংগ্রেসে উপস্থিত ছিলেন চিনা মিলিটারির কমান্ডার কুই ফাবাও। গলওয়ান উপত্যকা সংঘর্ষের সময় জখম হয়েছিলেন তিনি। চিনের সর্বাধিনায়ক বলেন, আমাদের জনগণের সশস্ত্র বাহিনী যাতে যুদ্ধ করতে পারে এবং জয়ী হতে পারে, তা দেখার জন্য আমরা সৈন্যদের প্রশিক্ষণ আরও জোরদার করব। বাড়াব যুদ্ধের প্রস্তুতিও।

    আরও পড়ুন: পার্টি কংগ্রেসে হংকং, তাইওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং, কেন জানেন?

    মনে রাখতে হবে, শি জিনপিং কেবল দেশের প্রেসিডেন্টই নন, তিনি সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের সামগ্রিক হাইকমান্ডেরও প্রধান। তিনি বলেন, কৌশলগত প্রতিরোধের একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা আমরা গড়ে তুলব। বাড়াব কমব্যাট ক্ষমতা, মানুষ ছাড়া, বুদ্ধিমান কমব্যাট ক্ষমতাও বাড়াব। নেটওয়ার্ক ইনফর্মেশন সিস্টেমকেও আরও উন্নত করব। প্রসঙ্গত, চিনা প্রেসিডেন্টের ওপর বেজায় ক্ষিপ্ত দেশবাসীর একটা বড় অংশ। পার্টি কংগ্রেসের আগে তাঁকে বিশ্বাসঘাতক একনায়কতন্ত্র দেগে দিয়ে ব্যানার পড়েছিল দেশের বিভিন্ন অংশে। কূটনৈতিক মহলের মতে, জনরোষের সেই আগুনে জল ঢালতেই হংকং, তাইওয়ানের পর এবং গলওয়ান তাস খেললেন শি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Xi Jinping: পার্টি কংগ্রেসে হংকং, তাইওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং, কেন জানেন?

    Xi Jinping: পার্টি কংগ্রেসে হংকং, তাইওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁকে একনায়ক বিশ্বাসঘাতক বলে দেগে দিয়েছেন চিনের (China) বাসিন্দারা। পরিস্থিতি যে বিশেষ সুবিধার নয়, তা বোধহয় আঁচ করতে পেরেছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। তাই পার্টি কংগ্রেসের উদ্বোধনী ভাষণে চিনা প্রেসিডেন্ট বলেন, হংকংয়ের পরিস্থিতির ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তাইওয়ানে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ এবং তৃতীয় শক্তির হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।

    প্রতি পাঁচ বছরে একবার বসে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি (CCP) কংগ্রেস। এবারের পার্টি কংগ্রেসে উপস্থিত রয়েছেন প্রায় ২৩০০ দলীয় প্রতিনিধি। বেজিংয়ের গ্রেট হলে জড়ো হয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যেই যখন ঢুকলেন শি জিনপিং (Xi Jinping), তখন কার্যত হাততালির বন্যা। রবিবার থেকে শুরু হয়েছে চিনের ২০তম পার্টি কংগ্রেস। পর পর দুটো টার্মে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি ও প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন শি জিনপিং। আগামী পাঁচ বছরের জন্যও ফের ওই পদে ফিরতে চলেছেন তিনি।

    এদিন বক্তৃতা দিতে উঠে হংক ও তাইওয়ান তাস খেলে দেন শি জিনপিং (Xi Jinping)। বলেন, হট্টগোলের রাজনীতি থেকে সুশাসনের পথে ফিরেছে হংকং। স্বশাসিত তাইওয়ানে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। দেশজুড়ে চলা দুর্নীতির বিরুদ্ধেও এদিন সুর চড়িয়েছেন তিনি। বলেন, দেশজুড়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। যা মানুষ ও দেশের সেনাবাহিনীকে বিপন্মুক্ত করেছে। তাইওয়ানের দাবি যে চিন ছাড়ছে না, এদিন তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছিন শি জিনপিং। তিনি বলেন, তাইওয়ান সমস্যার সমাধান করা চিনা জনগণের ওপর নির্ভর করে। চিন কখনওই শক্তি প্রয়োগের দাবি পরিত্যাগ করবে না।

    আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    চিনা প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে একটি শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের চেষ্টা চালিয়ে যাব। তবে প্রয়োজনে শক্তির ব্যবহার করব না, এমন প্রতিশ্রুতি দেব না। চিনা নাগরিকদের সুরক্ষার জন্যই যে কড়া কোভিড নীতি লাগু করা হয়েছে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন চিনের সর্বাধিনায়ক। সরকারের কোভিড নীতিতে আমজনতার হাঁসফাঁস দশা হলেও, শি জিনপিং (Xi Jinping) বলেন, নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে এবং তাঁদের সুস্বাস্থ্য যাতে বজায় থাকে তাই এই নীতি নেওয়া হয়েছে। এতে ফলও মিলেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। মহামারি আপাতত নিয়ন্ত্রণেও বলে জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chinese Communist Party: চিনের কম্যুনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের গুরুত্ব

    Chinese Communist Party: চিনের কম্যুনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের গুরুত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই মাসেই ১৬ অক্টোবর চিনের কম্যুনিস্ট পার্টির (Chinese Communist Party) ২০তম (20th CCP Congress) জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। চিনের রাজনীতিতে পার্টি কংগ্রেস প্রতি পাঁচ বছরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়। এই সম্মেলনেই সিসিপি- র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। এই সম্মেলনে যে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন তিনিই ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের মাধ্যমে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হবেন বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদরা। চিনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে, সে দেশের সংসদ, ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস।

    চিনের বর্তমান রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং (Xi Jinping) এবার আবারও সিসিপির সাধারণ সম্পাদক হলে আগামী বছর তিনিই পিপলস কংগ্রেসে রাষ্ট্রপতি হিসেবে অনুমোদন পাবেন। জিনপিং ইতিমধ্যে দু দফায় ১০ বছর দেশের রাষ্ট্রপতি পদে রয়েছেন। আগে এই পদে দু দফার বেশি থাকা যেত না। ২০১৮ সালে জিনপিং সেই আইন পাল্টে নেন। এ থেকে অনেকে মনে করছেন তৃতীয় দফাতেও রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারেন তিনি। যদি জিনপিং আরও এক দফা চিনের রাষ্ট্রপতি পদে বহাল থাকেন, তাহলে তিনি হবেন মাও সে তুংয়ের পর দীর্ঘ সময় পদে থাকা সিসিপি প্রধান।

    আরও পড়ুন: উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাষ্ট্রসংঘে চিনের বিরুদ্ধে গেল না ভারত    

    তাঁকে মাওয়ের সম উচ্চতায় দেখানোর চেষ্টাও করতে পারে সিসিপি। শি জিনপিং- এর নামের সঙ্গে ইদানীং ‘দলের মূল নেতা’ কথাটা বার বার বলা হয়। ‘শি জিনপিং- এর চিন্তাধারা’ এমন শব্দও ব্যবহার করা হয়। যা আগে মাও  সেতুং- এর সময়ও বলা হত। জিনপিং- কে নিয়ে পার্টির কী পরিকল্পনা তা জানতে চায় সারা পৃথিবী। 
     
    তাই এই সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। কম্যুনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জিনপিং- এর মেয়াদ বাড়বে কি না সেদিকেই লক্ষ্য সবার। জিনপিং- এর ক্ষমতায় থাকা- না থাকা ছাড়াও সিসিপি কীভাবে আগামীতে বিশ্বের দরবারে চিনকে তুলে ধরতে চাইছে, তারও কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যাবে কংগ্রেসে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলবে এই সম্মেলন।

    পরবর্তী একশো বছরের জন্য লক্ষ্য স্থির করা হবে এই সম্মেলনে। এই সম্মেলনে থেকেই উঠে আসবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ। দেশের প্রধান লক্ষ্য, উন্নয়ন সবটাই। এই সম্মেলনেই বুঝে নেওয়া হবে চিনের উন্নয়নের জন্য কী কী প্রয়োজন, জনগণের চাহিদাই বা ঠিক কী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

      

  • SCO Summit: আগামী বছর এসসিও সম্মেলন আয়োজনে ভারতকে সাহায্যের বার্তা চিনের

    SCO Summit: আগামী বছর এসসিও সম্মেলন আয়োজনে ভারতকে সাহায্যের বার্তা চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এই প্রথম মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও  চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। এসসিও বৈঠকের (SCO summit) মঞ্চে দু’জনের দেখা হয়। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) সম্মেলনের শুরুতেই যে গ্রুপ ফোটো তোলা হয়,তাতেও একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন দু’জনে। এই সমেমলনেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন জিনপিং। ২০২৩ সালের এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) আয়োজন করবে ভারত। সেখানে ভারতকে সবরকমের সাহায্য করার বার্তা দিয়েছেন জিনপিং।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের এপ্রিল-মে থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর ভারত এবং চিনের সংঘাত শুরু হয়। তারপর এই প্রথম পাশাপাশি দেখা গেল মোদি এবং জিনপিংকে।  বৃহস্পতিবার রাতে উজবেজকিস্তানের সমরখন্দে এসসিও-এর নৈশাহার এড়িয়ে গিয়েছিলেন দুই নেতাই। নৈশাহারের যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে মোদি বা জিনপিংকে কাউকে দেখা যায়নি। তবে শুক্রবার সকালে এসসিওভুক্ত অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে গ্রুপ ফোটোয়  ছিলেন দুই রাষ্ট্রনেতাই।

    সীমান্ত-সমস্যার আবহে সমরখন্দে এসসিও সামিটের পার্শ্ব বৈঠক হিসেবে মোদি-জিনপিং আলাদা করে কথা বলবেন কি না তা নিয়ে চর্চা চলছিল। এর মধ্যেই এসসিও-র বৈঠকেই ভারতকে আগাম শুভেচ্ছা জানালেন চিনা প্রেসিডেন্ট। আগামী বছর ভারতেই হবে এই বৈঠক। তার জন্য নয়াদিল্লিকে সাহায্য করার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, চাপে পড়েই এমন মন্তব্য করেছেন শি জিনপিং। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার সংঘর্ষ বিন্দু থেকে কোনও অবস্থাই যে ভারত পিছু হটবে না,এটা বুঝেই মাথা নোয়ালেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: “১০০-র বেশি ইউনিকর্ন এবং ৭০ হাজারের বেশি স্টার্ট-আপ রয়েছে ভারতে”, এসসিও সম্মেলনে বললেন মোদি

    চলতি মাসে পূর্ব লাদাখের অন্যতম সংঘাতপূর্ণ এলাকা গোগরা-হটস্প্রিংয়ের প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৫ থেকে পিছু হটেছে ভারতীয় এবং চিনা সেনা। তাই সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে গেলে এবার ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে হবে তা ভালুই বুঝেছে বেজিং। তাই সৌহার্দ্যের বার্তা। তবে এখনই দুই রাষ্ট্রনেতার মুখোমুখি বৈঠক হচ্ছে না বলেই অনুমান কূটনীতিকদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SCO Summit 2022: মোদির মুখোমুখি শি, শেহবাজ! এবারের এসসিও সম্মেলনে ভারতের গুরুত্ব কতটা?

    SCO Summit 2022: মোদির মুখোমুখি শি, শেহবাজ! এবারের এসসিও সম্মেলনে ভারতের গুরুত্ব কতটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হল ২২তম সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সামিট, সংক্ষেপে এসসিও (SCO)। দু দিনের এই সম্মেলন শুরু হয়েছে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে। ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping), রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin), পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) যোগ দিয়েছেন এই সম্মেলনে। এই প্রথম বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা মুখোমুখি হবে এই সম্মেলনে। কারণ অতিমারির কারণে এর আগে দুবার এসসিও সামিট হয়েছিল ভার্চুয়ালি।এক মঞ্চে জিনপিং এবং পুতিনের আগমনে যেমন নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল, তেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিও নজর কাড়ছে বিশ্ববাসীর।

    আঞ্চলিক নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, মাদক পাচার, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ইস্যু সহ নানা বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করে ভারত। এসসিও ভারতকে বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে। যদিও ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি ভারতে সামাজিক ক্ষত তৈরি করতে যুবসমাজকে টার্গেট করছে বলে অভিযোগ। ভারত যখন থেকে এসসিওর সদস্য হয়েছে, তখন থেকেই শান্তি, সমৃদ্ধি এবং ইউরেশিয়ান অঞ্চলে স্থায়িত্বের ওপর জোর দিচ্ছে। এসসিও নয়াদিল্লির কাছে একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও কাজ করছে। যার মাধ্যমে পাকিস্তানকে সেন্ট্রাল এশিয়া এবং সাউথ এশিয়া সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য করে। ভারত এই সম্মেলনে ছাবাহার বন্দর প্রোজেক্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর নিয়েও আলোচনা করতে পারে। ভারত, ইরান এবং উজবেকিস্তান এই তিন দেশ ছাবাহার বন্দর ও অন্যান্য কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করেছিল ২০২০ সালে।এই সামিটের মাধ্যমে ভারত রাশিয়া, ইরান এবং সেন্ট্রাল এশিয়ান রিপাবলিক্সের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঝালিয়ে নেওয়ার একটা সুযোগ পেল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুন : শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি-পুতিন, কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে?

    এদিকে, এই সম্মলেনর ফাঁকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদির আলাদা করে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনেছে। তাই এই বৈঠকের দিকে শ্যেনদৃষ্টি রয়েছে আমেরিকারও। এদিকে, এবারের সমরখন্দ সামিটে যোগ দেওয়ার কথা শি জিনপিংয়ের। ২০২০ সালের পর অতিমারির কারণে তিনি দেশের বাইরে পা রাখেননি। তাই তিনি এই সামিটে যোগ দেওয়ায় শুরু হয়েছে নয়া গুঞ্জন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share