Tag: yellow line

  • IDF: ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির বেলুন ফুটো! ফের সংঘর্ষ শুরু ইজরায়েল-হামাসের

    IDF: ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির বেলুন ফুটো! ফের সংঘর্ষ শুরু ইজরায়েল-হামাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল ইজরায়েল ও হামাসের সঙ্গে। সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রচার করেছিলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক অগ্রগতি। তাঁর সেই অগ্রগতির বেলুন ফেঁসে গেল চুক্তির সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র জঙ্গিরা (Hamas) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর (IDF) ওপর হামলা চালায়। আইডিএফ এই ঘটনাকে চুক্তি লঙ্ঘন হিসেবে বর্ণনা করেছে। হামলায় আরপিজি ও স্নাইপার গুলি ব্যবহার করা হয়। এগুলি চালানো হয় তথাকথিত ইয়েলো লাইনের পূর্ব দিকে মোতায়েন করা সেনাদের লক্ষ্য করে। জানা গিয়েছে, শান্তি চুক্তি অনুযায়ী এই এলাকাটি ইজরায়েলের নিয়ন্ত্রণেই রয়ে গিয়েছে।

    জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ব্যাপক হামলা আইডিএফের (IDF)

    জঙ্গি হামলার পর অবশ্য হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি ইজরায়েল। জঙ্গিদের জবাব দিতে দক্ষিণ গাজায় হামাসের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ব্যাপক বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ করে আইডিএফ। ২০টিরও বেশি জায়গায় হামলা হয়। এর মধ্যে সুড়ঙ্গপথ ও জঙ্গিদের ডেরাগুলিও ছিল। এই সংঘর্ষ এমন একটা সময়ে হল যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজার অসামরিক নাগরিকদের ওপর হামাসের আসন্ন আক্রমণের বিষয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছিল। জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে যখন এই হামলার ঘটনা ঘটে, তখন জঙ্গিরা পূর্ব রাফাহ অঞ্চলে থাকা আইডিএফ সেনাদের লক্ষ্য করে আরপিজি এবং স্নাইপার গুলি চালায়। আইডিএফ জানিয়েছে, যে সব সেনা হামলার শিকার হয়েছেন, তাঁরা ইয়োলো লাইনের পূর্ব পাশে হামাসের সঙ্গে সমঝোতা অনুযায়ী ওই এলাকায় জঙ্গি পরিকাঠামো ধ্বংসের অভিযান চালাচ্ছিলেন।

    আইডিএফের উপযুক্ত জবাব

    ইজরায়েলি পক্ষে হতাহতের কোনও (IDF) খবর মেলেনি। তবে এই ঘটনা শুক্রবারের হামলার মতোই। সেদিনও রাফাহর একটি টানেল থেকে গুলিবর্ষণ এবং খান ইউনিস এলাকায় জঙ্গিদের এগিয়ে আসার ঘটনা ঘটেছিল। দুটি ক্ষেত্রেই বিমান হামলা চালিয়ে জবাব দেয় আইডিএফ।যদিও এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে হামাস। প্যালেস্তাইনের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর দাবি, ঘটনাটি ইজরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ঘটেছে। ওই অঞ্চলে কয়েক মাস ধরে আটকে থাকা তাদের সদস্যদের সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগই নেই (Hamas)। হামাসের প্রবীণ কর্তা ইজ্জাত আল-রিশেক ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাঁর জোটের চাপের মুখে পড়ে প্রতিশ্রুতি এড়িয়ে যাচ্ছেন। হামাস-ঘনিষ্ঠ কিছু গণমাধ্যমের দাবি, এই হামলার লক্ষ্য ছিলেন ইয়াসির আবু শাবাব — যিনি কথিতভাবে ইজরায়েল-সমর্থিত একটি মিলিশিয়ার নেতা এবং নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ছিলেন।

    সিভিল ডিফেন্স সংস্থার দাবি

    দক্ষিণ কমান্ডের নেতৃত্বে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ গাজায় হামাসের ঘাঁটিগুলিতে পাল্টা বিমান হামলা চালায়। রাফাহ অঞ্চলে হুমকি দূরীকরণে ফোকাস করে এই অভিযান পরিচালিত হয় এবং তা দেইর আল-বালাহ সংলগ্ন এলাকায়ও সম্প্রসারিত হয়। অভিযানের সময় বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ ও জঙ্গি তৎপরতায় ব্যবহৃত ভবন শনাক্ত করে ধ্বংস করা হয়। ইজরায়েল ২০টিরও বেশি টার্গেটে আঘাত হানে (IDF)। গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানিয়েছে, রবিবার সারা দিনে ইজরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে, এর মধ্যে ছ’জন উত্তরাঞ্চলে। নেতানিয়াহু জঙ্গি টার্গেটের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাটজ সতর্ক করে বলেন, “হামাস কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করলে তাদের কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে এবং প্রয়োজনে এর জবাবে ধাপে ধাপে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে (Hamas)।”

    ইয়েলো লাইন চিহ্নিতকরণ শুরু

    একই সময়ে কাটজের নির্দেশ, আইডিএফ ইয়েলো লাইন চিহ্নিত করা শুরু করেছে, হলুদ কংক্রিটের ব্লক ও সাইনবোর্ড স্থাপন করে, যাতে সীমানা স্পষ্টভাবে নির্ধারিত থাকে এবং কেউ যেন সীমা অতিক্রম না করে সেই সতর্কবার্তা দেওয়া যায়। গত কয়েক দিনে আইডিএফ বাহিনী এই রেখা অতিক্রম করে হুমকি সৃষ্টির অভিযোগে বেশ কয়েকজন প্যালেস্তাইনিকে হত্যা করে (IDF)। সাম্প্রতিক এই উত্তেজনা ইঙ্গিত দেয়, যদিও হামাস শান্তিচুক্তির পর বন্দিদের ফিরিয়ে দিয়েছে, তবুও এ অঞ্চলে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ এখনও অনেক দূর (Hamas)। হামাস ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি ফর্মুলার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ধারা, যেমন, সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ ও গাজায় রাজনৈতিক ক্ষমতা থেকে দূরে থাকা প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে, ইজরায়েল সাফ জানিয়েছে, হামাস যদি চুক্তির সব ধারা মেনে না চলে, তবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাবে (IDF)।

    প্রসঙ্গত, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী হামাস জীবিত সব বন্দিকে মুক্তি দেয় এবং নিহত বন্দিদের দেহাবশেষ ফেরত দিতে শুরু করে। এর বিনিময়ে ইজরায়েল প্রায় ২ হাজার প্যালেস্তাইন বন্দি ও আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেয়। এর মধ্যে ২৫০ জন সন্ত্রাসবাদ-সংক্রান্ত অপরাধে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছিল। শনিবার ১৮ অক্টোবরের (Hamas) শেষ নাগাদ ২৮ জন নিহত বন্দির মধ্যে ১০ জনের দেহাবশেষ ফেরত এসেছে। ওই দিন আরও দু’জনের দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছে, যেগুলির আনুষ্ঠানিক শনাক্তকরণ বাকি ছিল (IDF)।

  • Pm Modi: মোদির হাত ধরে চালু হয়ে গেল বেঙ্গালুরু মেট্রোর বহু প্রতীক্ষিত ইয়োলো লাইন

    Pm Modi: মোদির হাত ধরে চালু হয়ে গেল বেঙ্গালুরু মেট্রোর বহু প্রতীক্ষিত ইয়োলো লাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরু মেট্রোর (Bengaluru Metros) বহু প্রতীক্ষিত ইয়োলো লাইন চালু হয়ে গেল রবিবার। উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Pm Modi)। এদিনই তিনি সূচনা করেন বেঙ্গালুরু ও বেলাগাভির মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রারও। বেঙ্গালুরু মেট্রোর ফেজ-৩ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে শেয়ার করা সফরসূচিতে বলা হয়েছে, মোদী তাঁর প্রায় চার ঘণ্টার এই শহর সফরের সময় তিনটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

    মেট্রোর ইয়োলো লাইনের উদ্বোধন (Pm Modi)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মেট্রোর এই ইয়োলো লাইন উদ্বোধন সহায়ক হবে শহরের আইটি হাবের সঙ্গে যুক্ত একাধিক অত্যন্ত যানজটপূর্ণ করিডরের ট্রাফিক চাপ কমাতে। প্রধানমন্ত্রী আরভি রোড (রাগিগুড়্ডা) থেকে ইলেকট্রনিক সিটি মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো সফর করেন। যাত্রাপথে কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রায় ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ আরভি রোড থেকে বোম্মাসান্দ্রা পর্যন্ত এই রুটটি বেঙ্গালুরু মেট্রো ফেজ-২ প্রকল্পের অংশ। এজন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৭,১৬০ কোটি টাকা। এই রুটে স্টেশন রয়েছে মোট ১৬টি। জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু ইয়োলো লাইন চালু হওয়ার ফলে বেঙ্গালুরুর মেট্রো নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হল ৯৬ কিলোমিটারেরও বেশি। যার ফলে উপকৃত হবেন এই অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মানুষ (Pm Modi)।

    কী বলছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ

    মেট্রো কর্তৃপক্ষের মতে, নয়া এই রেল যোগাযোগ হোসুর রোড, সিল্ক বোর্ড জংশন এবং ইলেকট্রনিক্স সিটি জংশনের মতো একাধিক অতিরিক্ত যানজটপূর্ণ করিডরে যানজট কমাতে সাহায্য করবে। বেঙ্গালুরু উন্নয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার সম্প্রতি বলেছেন, এখন তিনটি ট্রেন ২৫ মিনিটের ব্যবধানে চলবে। ৩টি ট্রেন সেট ইতিমধ্যেই ইয়োলো লাইনের জন্য এসে পৌঁছেছে। চতুর্থটি আসবে এই মাসেই। পরে এই ফ্রিকোয়েন্সি ১০ মিনিটে নামিয়ে আনা হবে।

    এদিন প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে রাস্তার দু’ধারে ভিড় করেন প্রচুর মানুষ। ফুল ছিটিয়ে, ‘মোদি মোদি’ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। গাড়ির ভেতর থেকে প্রধানমন্ত্রীও তাঁদের উদ্দেশে হাত নাড়েন (Bengaluru Metros)। এদিন প্রধানমন্ত্রীর (Pm Modi) সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শোভা করন্দলাজে, উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডি. কে. শিবকুমার-সহ অন্যরা।

LinkedIn
Share