Tag: Yemen

  • Nimisha Priya: কেরলের নার্স নিমিশা কি মুক্তি পাবেন? ইয়েমেনে প্রিয়ার সঙ্গে কী হয়েছিল, কী বলছে বিদেশমন্ত্রক?

    Nimisha Priya: কেরলের নার্স নিমিশা কি মুক্তি পাবেন? ইয়েমেনে প্রিয়ার সঙ্গে কী হয়েছিল, কী বলছে বিদেশমন্ত্রক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ের প্রাণভিক্ষা চাইতে ইয়েমেনে গিয়েছেন নিমিশা প্রিয়ার (Nimisha Priya) ১৩ বছরের কন্যা মিশেল। তাঁর আর্জি “আমার মাকে ফিরিয়ে দাও।” তবে মিশেলের আর্জি পূরণ হয়েছে কি না সে নিয়ে এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। ভারতীয় সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মগুরু, গ্র্যান্ড মুফতি কান্দাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার দফতর থেকে সাজা মুকুবের কথা বলা হলেও। বিদেশমন্ত্রক এই দাবিকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি। ইয়েমেন থেকে সরকারি কোনও বার্তা না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছে দিল্লি।

    কেন ইয়েমেনে যান নিমিশা

    কেরলের পালক্কাড়ের বাসিন্দা নিমিশা (Nimisha Priya) নার্সের কাজ নিয়ে ২০০৮ সালে ইয়েমেনে গিয়েছিলেন। ইয়েমেনে যাওয়ার পরে স্বামী টমি এবং মেয়ের সঙ্গেই থাকছিলেন নিমিশা। পরে ২০১৪ সালে আর্থিক কারণে তাঁর স্বামী এবং ১১ বছরের কন্যা ভারতে ফিরে এলেও নিমিশা ইয়েমেনেই থেকে যান। সে বছরই ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে সে দেশে ভিসা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চাইলেও আর ভারত থেকে ইয়েমেন যেতে পারেনি নিমিশার পরিবার। নিমিশ ইয়েমেনে থেকে যান। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ইয়েমেনে ক্লিনিক খোলা। ওই বছরই ইয়েমেনি নাগরিক তালাল আব্দো মাহদির সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। মাহদি তাঁকে নতুন ক্লিনিক খুলতে সাহায্য করবেন বলে আশ্বাস দেন। কারণ, আইন অনুযায়ী, ইয়েমেনে নতুন ব্যবসা শুরু করতে গেলে দেশীয় অংশীদারের দরকার ছিল নিমিশার। সেইমতো ২০১৫ সালে দু’জন মিলে নতুন ক্লিনিক খোলেন।

    কী ঘটেছিল নিমিশার সঙ্গে

    ক্লিনিক খোলার পরেই নিমিশার (Nimisha Priya) সঙ্গে ভারতে আসেন মাহদি। সেখানেই নিমিশার বিয়ের একটি ছবি চুরি করে নেন মাহদি। পরে ইয়েমনে ফিরে সেই ছবি ব্যবহার করে নিমিশাকে নিজের স্ত্রীয়ের পরিচয় দেয় মাহদি। শুরু হয় তার উপর অত্যাচার। এর পর থেকেই শুরু হয় দুই অংশীদারের মতবিরোধ। অভিযোগ, নিমিশার টাকা এবং পাসপোর্ট মাহদি কেড়ে নিয়েছিলেন। মারধর করে নাকি নিমিশাকে মাদকসেবনেও বাধ্য করেছিলেন মাহদি। আইনি কাগজপত্রে নিমিশাকে স্ত্রী হিসাবে পরিচয় দিয়ে প্রশাসনিক সাহায্য পাওয়ার পথও প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি। উল্টে পুলিশ নিমিশাকেই ৬ দিন জেলে আটক রাখে। পরে ছাড়া পেলে মাহদির অত্যাচারও বেড়ে যায়। বাধ্য হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই মাহদিকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেন ওই নার্স। নিমিশার দাবি, মাহদিকে ঘুম পাড়িয়ে নিজের পাসপোর্ট পুনরুদ্ধার করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। কিন্তু ওভারডোজ়ের কারণে মৃত্যু হয় মাহদির। এরপরে ইয়েমেন ছেড়ে পালানোর সময় ধরা পড়ে যান নিমিশা। সেই থেকে ইয়েমেনের জেলেই বন্দি রয়েছেন ভারতীয় যুবতী।

    নিমিশাকে বাঁচাতে আইনি লড়াই

    ২০১৮ সালে এই মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় ইয়েমেনের আদালত। তাঁর প্রাণ বাঁচাতে এত বছর ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে এসেছে নিমিশার (Nimisha Priya) পরিবার। প্রবাসী ভারতীয় ওই যুবতীর প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছলে তা খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট রশিদ মহম্মদ আল আলিমি। এই পরিস্থিতিতে প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড রদ করতে তৎপর হয় বিদেশমন্ত্রক। কিন্তু ভারতের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের সঙ্গে, হুতিদের সঙ্গে নয়। আর তারাই ইয়েমেনের অধিকাংশ জায়গা নিয়ন্ত্রণ করে। হুতিদের প্রধান প্রশাসনিক সংগঠন ‘সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিল’। তারা নিয়ন্ত্রণ করছে ইয়েমেনের বড় অংশ, যার মধ্যে পড়ে রাজধানী সানাও। এই সানাতেই নিমিশার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা। ফলে, ভারত সরকার তাদের সঙ্গে সরাসরি কোনও কূটনৈতিক যোগাযোগ করতে পারে না।

    ভারতের কূটনৈতিক চাল

    বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, এরপর ব্যাক চ্যানেল নীতি গ্রহণ করা হয়। এই নীতির ফলে সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা কোনও দেশের সঙ্গ তৃতীয় পক্ষর মাধ্যমে সাহায্য চাওয়া হয়। ভারতীয় সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মগুরু, গ্র্যান্ড মুফতি কান্দাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার দফতর-এর মাধ্যমে চলে আলোচনা। ইসলামী আইন অনুসারে, অপরাধের শিকারদের অপরাধীদের কীভাবে শাস্তি দেওয়া যায় সে সম্পর্কে তাদের মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। খুনের ঘটনায় তা ভিকটিমের পরিবারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। হত্যার ক্ষেত্রে, মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা যেতে পারে, তবে যদি নিহতের পরিবার চায় তবে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে দোষীকে ক্ষমা প্রদানও করতে পারে। মুসলিয়ার দফতর, সোমবার রাতে জানায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর নিমিশার (Nimisha Priya) সাজা বাতিল হয়েছে। তবে এখনও সরকারি তরফে কোনও সবুজ সঙ্কেত মেলেনি।

  • Nimisha Priya: কেরলের নার্স প্রিয়া নিমিশার মৃত্যুদণ্ড খারিজ ইয়েমেনে! দাবি গ্র্যান্ড মুফতির

    Nimisha Priya: কেরলের নার্স প্রিয়া নিমিশার মৃত্যুদণ্ড খারিজ ইয়েমেনে! দাবি গ্র্যান্ড মুফতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ আইনি লড়াই ও কূটনৈতিক আলোচনার পর অবশেষে স্বস্তি। ইয়েমেনে (Yemen) খুনের অপরাধে জেলবন্দি নিমিশা প্রিয়ার (Nimisha Priya) মৃত্যুদণ্ড রদ করে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছে, ভারতীয় সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মগুরু, গ্র্যান্ড মুফতি কান্দাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার দফতর। ভারত সরকারের সহায়তায় এই কাজ সফল হয়েছে। বিদেশমন্ত্রক সবসময় সঙ্গে ছিল এমনই দাবি, নিমিশার পরিবারের।

    নিমিশার মৃত্যুদণ্ড খারিজ কীভাবে

    এএনআই সূত্রে খবর, গ্র্যান্ড মুফতির কার্যালয় জানিয়েছে, গত ১৬ জুলাই মৃত্যুদণ্ড পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল নিমিশার (Nimisha Priya)। এবার সেই সাজা পুরোপুরি বদলে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ইয়েমেনের রাজধানী সানায় দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা খারিজ করা হয়েছে। তবে, ইয়েমেন বা ভারত সরকারের তরফে এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও করা হয়নি। উল্লেখ্য, এক ব্যক্তিকে হত্যার অপরাধে ২০১৭ সাল থেকে ইয়েমেনের জেলে বন্দি রয়েছেন নিমিশা। ২০১৮ সালে এই মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় ইয়েমেনের আদালত। তাঁর প্রাণ বাঁচাতে এত বছর ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে এসেছে নিমিশার পরিবার। প্রবাসী ভারতীয় ওই যুবতীর প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছলে তা খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট রশিদ মহম্মদ আল আলিমি। নিমিশার ফাঁসির আদেশ কার্যকর হওয়া আটকাতে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয় তাঁর পরিবার। কেন্দ্রীয় সরকার যাতে বিষয়টিতে কোনও ভাবে হস্তক্ষেপ করে, সেই আর্জি জানান তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড রদ করতে তৎপর হয় বিদেশমন্ত্রক।

    ভারতের কৃটনৈতিক জয়

    কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার পর দেখা যায়, নিমিশার (Nimisha Priya) মৃত্যুদণ্ড আটকানোর একমাত্র উপায় ছিল ‘ব্লাড মানি’। এই পরিস্থিতিতেই কেরলের বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মগুরু কান্দাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার। ইয়েমেনের ধর্মীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন তিনি। যদিও রক্তের দাম নিতে শুরু থেকেই নারাজ ছিলেন মৃত তালাল মেহেদির ভাই আবদুল মেহেদি।। এই পরিস্থিতিতে রক্তের দামের বিনিময়ে মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পেলেন নিমিশা নাকি ‘ব্যাক চ্যানেল’ কূটনৈতিক আলোচনায় ভারত সরকারের এই সাফল্য! এখনই এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে নারাজ কোনও পক্ষই। তবে এই ঘটনা যে মোদি সরকারের বিরাট কূটনৈতিক সাফল্য তা মানছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Nimisha Priya: আপাতত পিছিয়ে গেল ইয়েমেনে কেরলের নার্সের ফাঁসি

    Nimisha Priya: আপাতত পিছিয়ে গেল ইয়েমেনে কেরলের নার্সের ফাঁসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ইয়েমেনে (Yemen) ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল কেরলের মেয়ে পেশায় নার্স নিমিশা প্রিয়ার (Nimisha Priya)। তার ঠিক একদিন আগে এল চমকে দেওয়ার মতো খবর। জানা গিয়েছে, আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের তারিখ। প্রিয়াকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছিল ভারত। ফাঁসির ঠিক একদিন আগে মঙ্গলবার আসরে নেমে পড়েন সুন্নি মৌলানা কান্থাপূরম এপি আবুবাকার মুসলিয়ার। তিনি ‘গ্র্যান্ড মুফতি অফ ইন্ডিয়া’ নামেই পরিচিত। জানা গিয়েছে, ইয়েমেনের তালাব আবদো মাহাদির নামে যে নাগরিককে খুনের দায়ে ফাঁসির সাজা হয়েছে প্রিয়ার, তাঁর পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন ওই মৌলানা। ‘ব্লাড মানি’ নিয়ে প্রিয়াকে ক্ষমা করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

    ময়দানে ‘গ্র্যান্ড মুফতি অফ ইন্ডিয়া’ (Nimisha Priya)

    বছর চুরানব্বইয়ের এই মৌলানা ইয়েমেনের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গেও কথা বলেছেন। মঙ্গলবার ধামার এলাকায় একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রসিদ্ধ পণ্ডিত তথা সুফি নেতা শেখ হাবিব উমর বিন হাফিজাও। মৌলানার অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, নিহতের এক আত্মীয় হুদেইয়া স্টেট কোর্টের বিচারক। তিনি ইয়েমেনি সুরা কাউন্সিলেরও সদস্য। ধামারের বৈঠকেও উপস্থিত থাকবেন তিনি। ফলে সেই আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে প্রিয়াকে ক্ষমা করে দেওয়ার আর্জি রাখতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ওই মৌলানা। তাঁর দেখা করার কথা সে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গেও। যাতে কোনওভাবে অন্তত প্রিয়ার ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়া যায়। ফাঁসির তারিখ পিছিয়ে গেলে ব্লাড মানি জোগাড় করার সময় মিলবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এই মর্মেই ইয়েমেন সরকার আপাতত (Nimisha Priya) স্থগিত করেছে কেরলের নার্সের ফাঁসি।

    ‘ব্লাড মানি’

    প্রসঙ্গত, নিহতের পরিবার ধামার গোষ্ঠীর সদস্য। এতদিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কথা বলার কোনও উপায় ছিল না। এই প্রথম মৌলানার হস্তক্ষেপে প্রিয়ার হয়ে আর্জি জানানো সম্ভব হল। ‘ব্লাড মানি’ হল এমন এক ধরনের ক্ষতিপূরণ যা একজন অপরাধী সাধারণত খুনি, যাঁকে খুন করেন, তাঁর পরিবার কিংবা আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে থাকে। ইয়েমেনে (Yemen) এটি একটি আইনি প্রথা যেখানে রক্তের প্রতিশোধের পরিবর্তে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় (Nimisha Priya)।

  • Israel: ইজরায়েলে মিসাইল হামলা হুথি জঙ্গিদের, ক্ষয়ক্ষতি কিছুই হয়নি জানাল ইহুদি দেশ

    Israel: ইজরায়েলে মিসাইল হামলা হুথি জঙ্গিদের, ক্ষয়ক্ষতি কিছুই হয়নি জানাল ইহুদি দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইয়েমেনের হুথি জঙ্গিগোষ্ঠী শনিবার সকালে ইসরায়েলের (Israel) দক্ষিণ অংশের দিকে ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (IDF) এই হামলার খবর নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি, ইসরায়েলের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইজরায়েলে এ নিয়ে একটি বিশদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আইডিএফ-এর বিবৃতি অনুযায়ী, হুথিদের ছোড়া এই মিসাইল সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে এবং কোনও প্রাণহানি বা গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। হামলার আগে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে। বিরসেবা, দিমোনা, আরাদ প্রভৃতি দক্ষিণ ইসরায়েলের শহরগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়। ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাইরেন বেজে ওঠার চার মিনিট আগেই সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের মোবাইলে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। এই দ্রুত পদক্ষেপেই সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে সক্ষম হন।

    হুথিদের দায় স্বীকার

    হুথি জঙ্গিগোষ্ঠী (Houthis) মিসাইল ছোড়ার দায় স্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য ছিল বিরসেবা অঞ্চল। তারা দাবি করেছে, “অপারেশন সফল হয়েছে।” যদিও ইজরায়েলের (Israel) তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, এই হামলায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। টাইমস অফ ইসরায়েল জানাচ্ছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হুথিরা হামাসের পক্ষ নিয়েছে। ওই সময় থেকেই হুথি জঙ্গিরা ইজরায়েলের ভূখণ্ড ও বাণিজ্যিক জাহাজগুলির উপর ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে।

    ইজরায়েলের (Israel) ওপর হুথি জঙ্গিদের হামলা

    ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। ওই সময় হুথিরাও সাময়িকভাবে হামলা বন্ধ রাখে। তবে যুদ্ধ চলাকালীন সময়, বিশেষ করে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত, হুতিরা প্রায় ৪০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক মিসাইল এবং অসংখ্য ড্রোন ও ক্রুজ মিসাইল ছুড়েছে ইজরায়েলের দিকে। টাইমস অফ ইজরায়েলের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে হুতিদের ছোড়া একটি মিসাইল হামলায় ইজরায়েলের (Israel) একজন নাগরিক নিহত হন। এই ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল।

  • Donald Trump: ইয়েমেনে ব্যাপক বোমাবর্ষণ আমেরিকার, মৃত অন্তত ২৩

    Donald Trump: ইয়েমেনে ব্যাপক বোমাবর্ষণ আমেরিকার, মৃত অন্তত ২৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইয়েমেনে ব্যাপক বোমাবর্ষণ আমেরিকার। এই হামলার পর অন্তত ২৩ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি সংবাদ মাধ্যমের। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা এবং শিশুরাও। ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের বিরুদ্ধেই মূলত অভিযান ট্রাম্পের (Donald Trump)। হুঁশিয়ারির সুরে ইরানের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্তা, “আপনারা থামুন, না হলে আকাশ থেকে নরক বর্ষণ হবে।” ট্রাম্প আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েই পশ্চিম এশিয়ার দিকে নজর দিলেন ট্রাম্প। তাঁরই নির্দেশে শনিবার লোহিত সাগরের তীরে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে মার্কিন সেনা।

    মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্তা (Donald Trump)

    ইরানের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্তা, “অবিলম্বে হুথিদের সমর্থন করা বন্ধ করুন। ইরান থেকে আমেরিকার ওপরে যদি কোনও হুমকি আসে, তার দায় সম্পূর্ণ আপনাদের। এর ফল খুব একটা ভালো হবে না।” সৌদি আরবের দক্ষিণে ছোট্ট একটি দেশ ইয়েমেন। দেশটির একদিকে রয়েছে লোহিত সাগর এবং অন্যদিকে রয়েছে এডেন উপসাগর। আর এক দিকে রয়েছে আরব সাগর। এই জলপথে বহু মালবোঝাই জাহাজ নিত্য যাতায়াত করে (Donald Trump)। ইয়েমেনের হুথিরা সেই জাহাজ আক্রমণ করে বাণিজ্যে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই জঙ্গিদেরই শায়েস্তা করতে বোমাবর্ষণের নির্দেশ ট্রাম্পের।

    হুথিদের হামলা

    ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে এ পর্যন্ত লোহিত সাগরে বাণিজ্যতরী লক্ষ্য করে অন্তত ১০০টি হামলা চালিয়েছে হুথিরা। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে আমেরিকার সেনাবাহিনীকেও ওই অঞ্চলে লাগাতার সক্রিয় থাকতে হয়েছে। সারা বিশ্বের বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়েছে। হুথিদের বক্তব্য, গাজায় ইজরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে হামাস ও প্যালেস্তাইনিদের সমর্থনে তাদের এই পাল্টা হামলা।

    মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হুমকি দিয়েছে হুথিরাও। এই হামলাকে (Donald Trump) তারা যুদ্ধাপরাধ বলে উল্লেখ করেছে। তাদের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী এই ধরনের হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ইরান যদি আমেরিকাকে হুমকি দেয়, তাহলে আমেরিকা কোনও নমনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না।” জানা গিয়েছে, মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ থেকে যুদ্ধবিমান উড়ে গিয়েছিল হুথি ঘাঁটিতে হামলা চালাতে। হুথিদের ওপর হামলার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে এক মার্কিন কর্তা বলেন, “এই অভিযান সম্ভবত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে (Donald Trump)।”

LinkedIn
Share