Tag: yunus government

  • Bangladesh: কবিগুরুর পৈতৃক বাড়িতে হামলা! কড়া প্রতিক্রিয়া দিল্লির, চাপে পড়ে তদন্ত শুরু বাংলাদেশের

    Bangladesh: কবিগুরুর পৈতৃক বাড়িতে হামলা! কড়া প্রতিক্রিয়া দিল্লির, চাপে পড়ে তদন্ত শুরু বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এপার বাংলাতেও ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শনিবারই এই ইস্যুতে রাস্তায় নামে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে (MEA) বলেন, ২০২৫ সালের ৮ জুন একদল দুষ্কৃতী গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। বাংলাদেশে কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত ভবনে এই হামলা আসলে চরমপন্থীদের দ্বারা সহনশীলতার প্রতীকগুলিকে মুছে ফেলার আরও একটি উদাহরণ। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ঢাকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের সরকার যেন এই হামলার সঙ্গে জড়িত দোষীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং এমন কঠোর পদক্ষেপ করে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের ঘটনা

    প্রসঙ্গত, ঘটনাটি ঘটে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে। এখানেই অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়ি। বর্তমানে এই বাড়ি জাদুঘর হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। গত রবিবার সেখানে মোটরসাইকেলের পার্কিং ফি নিয়ে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ও কিছু দর্শনার্থীর মধ্যে বচসা বাধে। পরে সেখান থেকেই মারপিট হয়। এরপর মঙ্গলবার স্থানীয় একদল লোক জড়ো হয় কবিগুরুর ওই বাড়ির সামনে। যারা সংখ্যায় ছিল ৫০-৬০ জন। এরপরেই বিক্ষোভের নামে জাদুঘরে হামলা চালানো হয়। জানালা-দরজা এবং আসবাবপত্রে ভাঙচুর করা হয় (MEA)।

    চাপে পড়ে পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি ইউনূস সরকারের

    অবশেষে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মুখে পড়ে ইউনূস সরকার। এই আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকেও বিবৃতি জারি করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ সরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভাষা ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গণ্য করে। দেশের মানুষ তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা জানায়। রবীন্দ্রনাথের পৈতৃক সম্পত্তিতে ঘটে যাওয়া এই অনভিপ্রেত ঘটনার পরই প্রশাসন তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ করেছে।”

    তিন সদস্যের কমিটি গড়েছে বাংলাদেশ সরকার

    প্রসঙ্গত, ঘটনার পরে বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে এবং এই কাজে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই পৈতৃক বাড়ি, যা বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়, সেটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনজন সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পরেই এই তিন সদস্যের কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দেবে।

    কী বলছেন কছারি বাড়ির কর্মী হাবিবুর রহমান?

    অন্যদিকে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই কাছারি বাড়ির দেখভাল করেন যিনি, সেই হাবিবুর রহমান এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনার পরে কাছারি বাড়ির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, ভারত সরকারের প্রবল চাপ এবং আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েই ইউনূস সরকার এমন পদক্ষেপ করতে বাধ্য হচ্ছে।

    তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ধামি

    অন্যদিকে, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই যে এই ঘটনার রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে, এমনটা নয়। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাসস্থানের উপর এই হামলাকে তিনি মর্মান্তিক এবং অনভিপ্রেত বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন যে, এই ঘটনায় ইউনূস সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতেই সংঘটিত হয়েছে। ভাঙচুরের থেকেও বড় কিছু হয়েছে এই ঘটনা, এমনই মত প্রকাশ করছেন তিনি এবং এই ঘটনা যে পূর্বপরিকল্পিত, তাও তিনি জানিয়েছেন নিজের বিবৃতিতে। ভারতের সভ্যতা, চেতনা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপর এই আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

    ১৮৪০ সালে এই বাড়ি কিনেছিলেন কবিগুরুর পিতামহ

    গবেষকরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই কাছারি বাড়ি, যা বর্তমানে রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর নামে পরিচিত, তা কিনেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদু প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। সেটি ছিল ১৮৪০ সাল—অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের আগেই কেনা হয়েছিল ওই বাড়ি। পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রায়শই ওই স্থানে যেতেন। এ বাড়ি নিয়ে তিনি একদা তাঁর নিজের ভাগ্নি ইন্দিরা দেবীকে একখানি চিঠি লেখেন। সেখানে কবিগুরু লিখেছিলেন, “আমি অন্য যে কোনও জায়গার চেয়ে এখানে বসে লিখতে অনেক বেশি প্রেরণা পাই।”

    ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত ওই বাড়িটি

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই কাছারি বাড়ি, যা বর্তমানে রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর নামে পরিচিত, তা ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত। এখানেই রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত পাণ্ডুলিপি, ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সমেত আরও অন্যান্য অনেক কিছু। বর্তমানে এটি একটি সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠেছে। আর এই উনিশ শতকের ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রের ওপরেই ইউনূস জমানার বাংলাদেশে (Bangladesh) মৌলবাদীরা হামলা চালাল।

  • Mujibur Rahman: মুজিব-বিরোধিতায় মরিয়া ইউনূস, এবার বাংলাদেশের নোট থেকে সরল বঙ্গবন্ধুর ছবি

    Mujibur Rahman: মুজিব-বিরোধিতায় মরিয়া ইউনূস, এবার বাংলাদেশের নোট থেকে সরল বঙ্গবন্ধুর ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুছে ফেলার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে ইউনূস সরকার। হাসিনা সরকারে পতনের পর থেকেই বঙ্গবন্ধু (Mujibur Rahman) বিরোধী একাধিক অবস্থান সামনে এসেছে ইউনূস জমানায়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর পৈত্রিক ভিটেমাটি। বঙ্গবন্ধুকে পাঠ্যক্রম থেকে মুছে ফেলাও হয়েছে। এবার বাংলাদেশের মুদ্রা থেকেও তাঁকে সরিয়ে ফেলল ইউনূস সরকার।

    উঠছে প্রশ্ন (Mujibur Rahman)

    রবিবার ১ জুন বাংলাদেশে (Bangladesh) নতুন ব্যাঙ্ক নোট প্রকাশিত করে ইউনূস সরকার। টাকা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (Mujibur Rahman) ছবি একেবারেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বদলে রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান, বিভিন্ন ল্যান্ডমার্ক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি। বাংলাদেশের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক এই নতুন নোট প্রকাশের পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দেশের মুদ্রায় বদল আনার মতো বড় পদক্ষেপ করার ক্ষমতা একমাত্র নির্বাচিত সরকারের আছে। সেই স্থানে রয়েছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার। তারা কীভাবে মুদ্রার ছবি বদলে ফেলতে পারে?

    কী বলছেন ব্যাঙ্ক কর্তা?

    প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের সমস্ত মুদ্রায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছিল। ১৯৭১-র মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর (Mujibur Rahman) আত্মত্যাগকে স্মরণে রাখতেই এমনটা করা হয়েছিল। তবে বাংলাদেশে এখন নতুন শাসন ব্যবস্থা। এতেই এল নতুন নিয়ম। এনিয়ে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “নতুন সিরিজ ও ডিজাইনের অধীনে এবার থেকে আর কোনও ব্যক্তির ছবি থাকবে না, বরং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও ঐতিহ্যবাহী স্থানের ছবি থাকবে।” বাংলাদেশের নতুন ধর্মীয় স্থানের পাশাপাশি প্রয়াত চিত্রশিল্পী জাইনুল আবেদিনের আঁকা ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলার ছবিও তুলে ধরা হয়েছে।

    খালেদা জিয়ার জমানাতেও বদলেছিল ছবি

    বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত বঙ্গবন্ধুর (Mujibur Rahman) ছবি থাকা নোটগুলি বাতিল করা হচ্ছে না। তা কার্যকর থাকবে। তবে ব্যাঙ্ক আর নতুন করে বঙ্গবন্ধুর ছবি সহ নোট ছাপাবে না। প্রসঙ্গত, এটাই নতুন বা প্রথম নয়, এর আগে খালেদা জিয়ার দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি বা বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, তখনও বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো হয়েছিল ব্যাঙ্ক নোটে।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন, ব্যবস্থা নিচ্ছেনা ইউনূস সরকার, অভিযোগ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন, ব্যবস্থা নিচ্ছেনা ইউনূস সরকার, অভিযোগ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর হওয়া অত্যাচারে কোনও রকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে না সেদেশের ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার মধ্যপ্রদেশে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এমনই অভিযোগ তুলল। এই সংগঠনের মতে, ‘‘বাংলাদেশ সরকার এবং সেখানকার সেনাবাহিনী কোনওরকম পদক্ষেপ করছে না হিন্দুদের (VHP) ওপর নির্যাতনরোধে।’’

    কী বললেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা (Bangladesh)

    সংগঠনের তরফ থেকে অভিযোগ আনা হয়, ‘‘প্রত্যহ বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য ঘটনা আসছে। যেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলছে। বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর। গত অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ আনে ভিএইচি। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পারান্দে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকার এবং সেনাবাহিনী কোনও রকমের পদক্ষেপ করছে না হিন্দুদের ওপর চলা অত্যাচারকে প্রতিরোধ করার জন্য। গত বছর থেকেই সে দেশে হিংসা এবং নৈরাজ্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তা ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে বর্তমানে। সম্পূর্ণ দক্ষিণ এশিয়ার পক্ষেই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) নৈরাজ্য। বিশেষত ভারতের পক্ষে নিরাপত্তার জন্য তা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’

    হিন্দুদেরও মানবাধিকার আছে বলে স্মরণ করান বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    তিনি আরও বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকার এবং এদেশের কূটনীতিকরা এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য অনেক পদক্ষেপ করেছেন।’’ এর পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা স্মরণ করিয়েছেন যে প্রত্যেককে মনে রাখা উচিত যে হিন্দুদেরও মানবাধিকার রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি নিন্দা করেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীরও। তাঁর অভিযোগ, বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সরব হওয়া দরকার ছিল, সেটা দেখা যায়নি। প্রসঙ্গত, গত বছরের অগাস্ট মাসেই পতন হয় হাসিনা সরকারের। জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্রে দখল করা হয় গণভবন। এরপরেই বাংলাদেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতনের খবর সামনে আসতে থাকে। সেদেশে রাজনৈতিক হিংসা অনেকক্ষেত্রে পরিবর্তিত হয় সাম্প্রদায়িক হিংসাতে।

  • Bangladesh: হাসিনাই ছিল ভালো! অসুখী ইউনূসের বাংলাদেশ, বাড়ছে দারিদ্রতা, লাগামছাড়া ওষুধের দাম

    Bangladesh: হাসিনাই ছিল ভালো! অসুখী ইউনূসের বাংলাদেশ, বাড়ছে দারিদ্রতা, লাগামছাড়া ওষুধের দাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের অগাস্ট মাসেই পতন হয় হাসিনা সরকারের। জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্রে দখল করা হয় গণভবন। দেশ ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হন মহম্মদ ইউনূস (Yunus Government)। তবে পালাবদলের বাংলাদেশে (Bangladesh) সুখে নেই নাগরিকরা। এমনটাই বলছে রিপোর্ট। সেদেশে বেড়েই চলেছে দারিদ্রতা। লাফিয়ে বাড়ছে জীবনদায়ী ওষুধের দাম। একইসঙ্গে ইউনূস জমানায় বেড়েছে রাজনৈতিক হিংসা। সংখ্যালঘু নির্যাতন তো প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের অন্দরে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বাড়ন্ত মূল্যবৃদ্ধি, দারিদ্রতা সব নিয়েই একটা চাপা ক্ষোভ পূঞ্জীভূত হচ্ছে সেদেশের নাগরিকদের মনে। নাগরিকদের বড় অংশই মনে করছেন, সুখে নেই পালাবদলের বাংলাদেশ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ (Yunus Government) যে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সেদেশের এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। ছাত্র সমাজ যে আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্নের সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিল, তা তো হয়নি উল্টে অবস্থা আরও বেহাল হয়েছে। একাধিক রিপোর্টে ইতিমধ্যে সামনে এসেছে বাংলাদেশের এই নিদারুণ অবস্থার কথা।

    দারিদ্রতার অন্ধকারে বাংলাদেশ (Bangladesh), বাড়ছে ক্ষোভ নাগরিকদের মধ্যে

    রিপোর্ট বলছে, নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন রয়ে গিয়েছে অধরাই। সম্প্রতি, বাংলাদেশের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা BIDS তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এখানেই উঠে এসেছে, বাংলাদেশে আগের তুলনায় দারিদ্র্যের হার ও নিরাপত্তাহীনতার কথা। দারিদ্রতা ও নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে বলেই জানাচ্ছে এই রিপোর্ট। ইতিমধ্যে ওই দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে এনিয়ে খবরও প্রকাশিত হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ২০২২ সালে গোটা বাংলাদেশে দারিদ্রতার হার ছিল ১৮.০৭ শতাংশ। যা এই ইউনূস আমলে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.১১ শতাংশে। বাংলাদেশের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, আগে শহরে দরিদ্রের হার আগে ছিল ১৪.৭ শতাংশ। ২০২৪ সালে এটা এসে ঠেকেছে ২০.৪৩ শতাংশে। গ্রামের হালও একই বলে জানা যাচ্ছে।

    গ্রামীণ বাংলাদেশে (Bangladesh) দারিদ্রতার চিত্র

    গত দু’বছরে গ্রামীণ বাংলাদেশে দারিদ্রতা বেড়েছে ৪ শতাংশ। আগে ছিল যা ছিল ২০ শতাংশ। এখন বর্তমানে হয়েছে ২৪ শতাংশ। এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দেশে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ছিল ৩৮ শতাংশ। যা ২০২৪ সালে পৌঁছে গিয়েছে ৪৬ শতাংশে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সমীক্ষা কিন্তু শুধু একা বাংলাদেশের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান করেনি। তাদের এই সমীক্ষায় সাহায্য করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের আওতাধীন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিও।

    পালাবদলের বাংলাদেশে জীবনদায়ী ওষুধের দাম লাগামছাড়া

    পালাবদলের বাংলাদেশে জীবনদায়ী ওষুধের দামও বেড়েই চলেছে। ইউনূস জমানায় গত কয়েক মাসেও বেড়েছে ওষুধের দাম। বিভিন্ন ওষুধের দাম ৩০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে বলে খবর। অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) মানুষদের আয় স্বল্প। এই পরিস্থিতিতে স্বল্প আয়ের মানুষজন বাড়তি মূল্যে ওষুধ কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকেরই আবার নিঃস্ব হওয়ার দশা হয়েছে। কিন্তু কী এর কারণ? ওষুধের দামের এই ব্যাপক বৃদ্ধির জন্য জন্য উৎপাদক ও সবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলির অনৈতিক বিপণন চর্চা বা প্রোমোশনাল মার্কেটিং কর্মসূচিকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, প্রোমোশনাল মার্কেটিংয়ের নামে ডাক্তারদের উপহার বা উৎকোচ দেয় কোম্পানিগুলো। এই উপহারের পুরোটাই আবার কেটে নেওয়া হয় ক্রেতারই পকেট থেকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ওষুধের কোনও বিকল্প নেই, রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ওষুধ অপরিহার্য। সেখানে যদি এমনটা হয়, তবে দরিদ্র মানুষজন কীভাবে বেঁচে থাকবেন!

    বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৫ শতাংশই শুধু ওষুধের জন্য ব্যয় হয়, বলছে রিপোর্ট

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ওষুধের গুরুত্ব এতটাই যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ওষুধকে স্বাস্থ্য খাতের ছয়টি অত্যাবশ্যকীয় উপাদানের মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করেছে। তাই একথা বলাই যায় যে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ওষুধ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই আবহে আবার সামনে এসেছে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণকের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের একটি গবেষণা। ওই গবেষণায় বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের মোট চিকিৎসা ব্যয়ের মধ্যে ৬৫ শতাংশই শুধু ওষুধের জন্য ব্যয় হয়। খুব সহজে বললে বলা যায়, যদি কোনও বাংলাদেশি নাগরিক স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে মোট ১০০ টাকা খরচ করেন, তার মধ্যে ৬৫ টাকা খরচ হয় শুধুমাত্র ওষুধ কিনতে।

    কী বলছেন ওষুধের দোকানের মালিক?

    ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এটা থেকেই বোঝা যায়, বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ওষুধের ওপর ঠিক কতটা নির্ভরশীল। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেদেশে গ্যাস্ট্রিক তথা অ্যাসিডিটির সমস্যা নেই, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। সমীক্ষা বলছে, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মালিবাগের ফেনী ফার্মেসির মালিক হলেন আব্দুল মালেক সুমন। তিনি এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, বাংলাদেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় বিভিন্ন ধরনের গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ। এরপরেই বিক্রির তালিকায় স্থান রয়েছে প্রেসার এবং ডায়াবেটিসের ওষুধ। জানা যাচ্ছে, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় সারজেল, প্যানটোনিক্স এবং ম্যাক্সপ্রো। এছাড়াও প্যারাসিটামল গ্রুপের নাপাও বেশ ভালোই বিক্রি হয় বাংলাদেশে। এবার এই সমস্ত ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়াতে চরম হতাশ সেদেশের নাগরিক সমাজের বড় অংশ। অনেকেই বলছেন, এর থেকে হাসিনা জমানা অনেক ভালো ছিল।

    স্বল্প আয়ের মানুষ বাড়তি মূল্যে ওষুধ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন

    প্রসঙ্গত, ঢাকার মধ্য বাড্ডা বাজারের এক ফার্মেসির ব্যবস্থাপক তাপস দাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিগত কয়েক মাসে বাংলাদেশে ওষুধের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৯০ শতাংশ। এদেশের স্বল্প আয়ের মানুষ বাড়তি মূল্যে ওষুধ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওষুধের দাম বৃদ্ধির ফলে জনসাধারণের মনে ব্যাপক চাপা ক্ষোভ কাজ করছে। জানা গিয়েছে, ওষুধের মূল্য নির্ধারণে বাংলাদেশ সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই একেবারে অসহনীয় পর্যায়ে দাম বাড়ছে। ওষুধ কোম্পানিগুলির অনৈতিক কাজ নিয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক মিজানুর রহমান কল্লোল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশে ওষুধের দাম বাড়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, ওষুধ কোম্পানি ও চিকিৎসকদের মধ্যে চলা প্রোমোশনাল কার্যক্রমের নামে অনৈতিক বিপণন চর্চা। প্রোমোশনাল মার্কেটিংয়ের নামে ডাক্তারদের দেওয়া উৎকোচ বা উপহার কোনও কোম্পানিই নিজেদের পকেট থেকে দিচ্ছে না। ওষুধের দাম বাড়িয়ে সেই টাকা তুলছে তারা। ক্রেতাদের কাছ থেকেই আদায় করা হয়। তিনি জানিয়েছেন এটা বন্ধ হলেই দাম কমবে ওষুধের।

    বাংলাদেশের ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনের বিশ্লেষণ

    ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনকে এবার বিশ্লেষণ করা যাক। কস্ট অব গুডস অর্থাৎ ওষুধের উৎপাদন খরচ হয় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। মার্কেটিং, প্রোমোশন এবং অন্যান্য খরচ আরও ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এরপর ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হল কোম্পানির মুনাফা। বাংলাদেশের ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, কোনওও ওষুধের গায়ে যদি মূল্য ১০০ টাকা থাকে, সেখান থেকে বাংলাদেশ সরকার ভ্যাট পায় ১৫ শতাংশ। ফার্মেসির লাভ থাকে ১৫ শতাংশ। বাকি ৭০ টাকার মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কাঁচামালসহ উৎপাদন খরচ। আর ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মার্কেটিং ও প্রোমোশনাল খরচ, বাকিটা কোম্পানির মুনাফা।

  • Bangladesh Crisis: ভারত-বিরোধী ইউনূসের বাংলাদেশে তুমুল শ্রমিক বিক্ষোভ, কাজের দাবিতে উত্তাল ঢাকা

    Bangladesh Crisis: ভারত-বিরোধী ইউনূসের বাংলাদেশে তুমুল শ্রমিক বিক্ষোভ, কাজের দাবিতে উত্তাল ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারখানা পুনরায় খোলার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাজধানী ঢাকায় শনিবার হাজার হাজার শ্রমিক একত্রিত হয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। দুই ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ থাকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। যার ফলে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয় এবং যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। শ্রমিকদের দাবি ছিল, বার্ষিক ছুটি, বকেয়া বেতন এবং বোনাস দ্রুত প্রদান করতে হবে। শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে অশান্ত বাংলাদেশে (Yunus Government) চলমান বিক্ষোভের ফলে একাধিক ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই বিক্ষোভে অনেক শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছে অথবা গুরুতর আহত হয়েছে।

    রমজানে বাংলাদেশি জনগণের দুর্দশা

    বিক্ষোভের কারণ গাজীপুর জেলার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি “জায়ান্ট কনিট গার্মেন্ট” এর শ্রমিকরা ফ্যাক্টরি বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্তের পর বিক্ষোভ শুরু করেন। গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বার্ষিক ছুটি, বোনাস এবং বকেয়া পাওনা দাবি করে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষ তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কারখানা বন্ধের নোটিশ জারি করে। এই আবহে, ছুটি এবং বোনাস নিয়ে আলোচনা চললেও শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান হয়নি। রমজান মাসেই বাংলাদেশি জনগণের দুর্দশায় একজন বিক্ষোভকারী শ্রমিক বলেন, ‘‘আমরা পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছি। ঈদ চলে আসছে, কিন্তু আমাদের ছুটি এবং বোনাসের কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফ্যাক্টরি খোলা হোক এবং আমাদের পাওনা পরিশোধ করা হোক।’’ বেতন না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ এই সপ্তাহে, একদল শ্রমিক গাজীপুরের ভোগরা বাইপাসে ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। তাদের অভিযোগ, ৩০০-রও বেশি শ্রমিক বেতন পায়নি এবং কর্তৃপক্ষ তাদের বেতন প্রদান না করার বৈধ কারণও জানায়নি।

    সাম্প্রতিক সময়ে বন্ধ নানা কারখানা

    সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) নানা প্রান্তে এক সপ্তাহে ১৫টি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ১৫টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা একটি ফ্যাক্টরি বন্ধের অভিযোগ এবং শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে অংশ নেয়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) এর ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কা এবং ভুটানের পর দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় সর্বোচ্চ নিম্ন-মজুরি কর্মীসহ দেশ।

    অর্থনীতিবিদদের উদ্বেগ

    ইউনূস সরকারের (Yunus Government) অধীনে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যে অর্থনীতিবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাড়তি বৈষম্যের কারণে কম আয়ের এবং অদক্ষ শ্রমিকদের খাদ্য ভোগ কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই, বাংলাদেশে বেতন না পাওয়া এবং শ্রমিকদের খারাপ কাজের পরিস্থিতির কারণে বিক্ষোভ এবং ধর্মঘটের ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এই কয়েক মাসে শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিক্ষোভের সময় বহু শ্রমিকরা প্রাণ হারিয়েছে বা গুরুতর আহত হয়েছে।

    বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই নানা সঙ্কট

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সাম্প্রতিক ঘটনাবলি দেখে অনেক বিশেষজ্ঞ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মডেল শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আমেরিকার সাহায্য বন্ধের কারণে বাংলাদেশের সমস্যা আরও বেড়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ১০ লাখের বেশি মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। অনেক শিল্প-কারখানাও স্থবির হয়ে পড়েছে। ভারতের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে ঝগড়া করতে গিয়েই নিঃশব্দে বিপদকে কাছে টেনে এনেছে ঢাকা। ভারতবন্ধু বলে পরিচিত হাসিনা সরকারের পতনে বাংলাদেশের মূলমন্ত্র ছিল ভারত-বিরোধিতা। সেই জন্য বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরও চলতে থাকে ক্রমাগত নির্যাতন। যার জেরে বাংলাদেশের প্রকৃত উন্নতি ব্যহত হতে থাকে। ক্রমে অর্থনৈতিক সঙ্কট বাড়তে থাকে।

    বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা

    সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাঙ্কের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জিডিপি প্রবৃদ্ধির নতুন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনৈতিক কর্মসূচি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমে গিয়েছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা। এমন পরিস্থিতি এবং নীতি অনিশ্চয়তার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানো হয়েছে। বাংলাদেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ঘাটতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধীর প্রবৃদ্ধি মোকাবিলা করছে। পদ্মাপাড়ে ক্রমেই বাড়ছে বেকারত্বের হার। মুদ্রাস্ফীতি চরমে উঠছে। বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। বদলের বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলাই বিদ্যমান।

  • Bangladesh Crisis: হিন্দু-নির্যাতন অব্যাহত! বাংলাদেশে পয়লা বৈশাখে গো-হত্যার পরিকল্পনা ইসলামিক মৌলবাদীদের

    Bangladesh Crisis: হিন্দু-নির্যাতন অব্যাহত! বাংলাদেশে পয়লা বৈশাখে গো-হত্যার পরিকল্পনা ইসলামিক মৌলবাদীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংঘর্ষ, ভাঙচুর, হিন্দুদের উপর অত্যাচার, খুনোখুনি। হাসিনা সরকারের পতনের পর, এগুলোই এখন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) চেনা ছবি। যা থামা তো দূর, উল্টে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই এগোচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এই আবহেই বাংলাদেশে প্রশ্নের মুখে পড়েছে বাংলার বর্ষবরণ। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখে ১০০টি গো-হত্যা করার কথা ইসলামিক মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি প্রকাশ্যে এনেছে। এই বিপজ্জনক পরিকল্পনাটি উপেক্ষা করছে ইউনুস পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকার। এর আগেও অবশ্য সংখ্যালঘু নির্যাতনে নীরব ভূমিকা পালন করছে ইউনূস প্রশাসন।

    গুরুত্ব দিতে নারাজ ইউনূস সরকার

    শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে বৈষম্য বিরোধী বিক্ষোভ এবং তার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হিন্দু, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। সরকারের পতনের পর হিন্দুদের বাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের হিংসাত্মক আন্দোলন হোক কিংবা হিন্দুদের উপর অত্যাচার। প্রত্যেকবারই নানা পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে ইউনূস সরকার। কিন্তু, সে সবই যে আদতে লোক দেখানো। এবারও পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান নিয়ে ভাবতে নারাজ অন্তর্বর্তী সরকার। পয়লা বৈশাখের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি সামনে আসার পরও সরকারের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় গো-হত্যার মতো হুমকিগুলি বাড়তে থাকলেও, সরকার কোনও প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে না। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রকের সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা, মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী, আশ্চর্যজনকভাবে এই হুমকির প্রতি কোনও গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, “অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক কিছু বলেন… সরকার হিসেবে আমরা সবকিছুতে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারি না।”

    বাংলাদেশের অতীত

    বিশেষজ্ঞদের মতে, পদ্মাপাড়ে এই ধরনের হুমকির বাস্তব পরিণতি উপেক্ষা করার নয়। এর আগে ধর্মীয় উৎসবগুলির বিরুদ্ধে ইসলামিক মৌলবাদীদের আক্রমণের ইতিহাস রয়েছে। ২০০১ সালে হরকত-উল জিহাদ আল ইসলামি (HUJI) দলের করা রামনা বটমূল বোমা হামলায় ৯ জন নিহত এবং অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছিল। ২০১৪ সালে এই হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার হলেও, তাদের মধ্যে অনেকেই এখনো পলাতক। ইউনুস সরকারের শাসনকাল শুরু হওয়ার পর ইসলামিক মৌলবাদীরা আরও উৎসাহিত হয়েছে। যদিও ইউনুস নিজে সরাসরি কোনো উসকানি দেননি, কিন্তু তাঁর নীরবতা মৌলবাদীদের শক্তিশালী করেছে। তাঁর প্রশাসন সন্ত্রাসী এবং ইসলামিক মৌলবাদীদের মুক্তি দিয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণগুলোকে “ভুয়ো,” “অতিপ্রসারিত,” বা “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে অবমূল্যায়ন করেছে।

    উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রপুঞ্জ

    বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও। হিন্দু নিপীড়ন থেকে পুলিশ খুন, নারী নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটছে এখানে। বাংলাদেশে শান্তি ও রাজনৈতিক স্বচ্ছতা ফেরানোর সুপারিশও করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর। ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারকে পতনের পর, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ব্যাপক আক্রমণ শুরু হয়। এই সময়ে কমপক্ষে ২০৫টি হিন্দু মন্দির, দোকান এবং ব্যবসায় আক্রমণ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বিভিন্ন ধর্মীয় ও আদিবাসী গোষ্ঠীর উপর হামলার সঙ্গে জড়িত ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু প্রতিশোধমূলক হিংসা ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর উপর হামলার অপরাধীরা এখনও মুক্ত রয়েছে।ইউনূসের আমলে ছাত্র আন্দোলনের সময়ে প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড ও হিংসার ঘটনাকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে। এমনকী নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও পরিকল্পিতভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।

    হিন্দুদের উপর চলমান নির্যাতনের কিছু ঘটনা

    সেপ্টেম্বর ৬: চট্টগ্রামে ভগবান গণেশের মূর্তি নিয়ে হিন্দু পূণ্যার্থীদের উপর ইসলামিক মৌলবাদীদের আক্রমণ।

    সেপ্টেম্বর ২৫: ময়মনসিংহে মা দুর্গার মূর্তি ভাঙার ঘটনা।

    সেপ্টেম্বর ২৮ অক্টোবর ১: পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায় ৯টি হিন্দু মূর্তি ভাঙার ঘটনা।

    অক্টোবর ৩: ঢাকার গোপীনাথ জিউর আখাড়া দুর্গাপুজা মন্ডপে ৭টি মূর্তি ভাঙা।

    নভেম্বর ৫: চট্টগ্রামের হাজারি গলিতে পুলিশের দ্বারা হিন্দুদের উপর আক্রমণ।

    নভেম্বর ২৯: চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় তিনটি মন্দির ভাঙার ঘটনা।

    ডিসেম্বর ১৩: মহাশ্মাশান কালী মাতা মন্দিরে সাতটি মূর্তি ধ্বংস ও স্বর্ণালঙ্কার লুণ্ঠন।

    ডিসেম্বর ১৯: ময়মনসিংহে একাধিক হিন্দু মন্দিরে আক্রমণ, মূর্তি ভাঙার ঘটনা।

    হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন

    শারীরিক আক্রমণের বাইরে আরও কিছু ঘটনা ঘটেছে পদ্মাপাড়ে। ৬০ জন হিন্দু সরকারি কর্মকর্তা এবং শিক্ষককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। হিন্দুদেরকে জোর করে ‘জামায়াত-ই-ইসলামী’ তে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। হিন্দু কর্মী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর বিরুদ্ধে মিথ্যা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রপন্থা গভীরে প্রবাহিত হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায় প্রতিদিন আক্রমণের মুখে পড়ছে। মূর্তি ধ্বংস, জোর করে ধর্মান্তরিত হওয়া এবং সাংবিধানিকভাবে বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। পদ্মা তীরে হিন্দুদের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় অস্তিত্ব এখন বিপন্ন।

  • Bangladesh: শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, খুলনায় এবার বাদ পড়লেন সত্যেন বসু, জগদীশচন্দ্র এবং জীবনানন্দ

    Bangladesh: শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, খুলনায় এবার বাদ পড়লেন সত্যেন বসু, জগদীশচন্দ্র এবং জীবনানন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বা তাঁর পরিবারের পাশাপাশি মানবতাবাদী লালন সাঁই, বিজ্ঞানী আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, কবি জীবনানন্দ দাশদের নামও এবার মুছে দিল ইউনূস সরকার। ঘটনা বাংলাদেশের (Bangladesh) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ব্রাত্যের তালিকায় রয়েছেন রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে প্রাণ দেওয়া কয়েক জন বিশিষ্ট অধ্যাপক ও বিদগ্ধ জনও।

    রবীন্দ্রনাথের নামে বিষোদগার

    গত বুধবারই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Bangladesh) রেজিস্ট্রার এস এম মাহবুবুর রহমান একটি নোটিস দেন। সেখানেই ১৬টি ভবনের নাম বদলের কথা ঘোষণা করা হয়। ওই নোটিসে জানানো হয়, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে এই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে, রেজিস্ট্রার যা কার্যকর করছেন। এর বাইরে তিনটি ভবন (Khulna University) মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামের নামাঙ্কিত। এগুলি অবশ্য থেকে গিয়েছে। তবে প্রথম থেকেই ‘ভারতের নাগরিক’ রবীন্দ্রনাথের নামে বিষোদগার করতে শোনা গিয়েছে ইউনূস সরকারকে। কেন এই ‘বিদেশি’ এই কবির লেখা গান বাংলাদেশের জাতীয়সঙ্গীত? তা নিয়েও ক্ষোভের শেষ নেই। ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান হল’ নাম বদলে করা হয়েছে ‘বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন হল’। ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ হয়েছে ‘বিজয় ২৪ হল’, ‘জয় বাংলা ভবন’ হয়েছে ‘অ্যাকাডেমিক ভবন ০৪’।

    লালন সাঁইয়ের মতো উদারপন্থীকে নিয়ে প্রবল আপত্তি

    প্রসঙ্গত বাংলাদেশে (Bangladesh) লালন সাঁইয়ের মতো উদারপন্থী মানবতাবাদীকে নিয়ে ইউনূস সরকারের সমর্থকদের ক্ষোভও চরমে উঠেছে। সম্প্রতি টাঙ্গাইলের মধুপুরে ‘লালন স্মরণোৎসব’ বন্ধ করে দিয়েছে হেফাজতে ইসলামি। ইউনূস প্রশাসনও কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে, যাতে কেউ লালন মেলায় বসতে না পারেন। হেফাজতের নেতা মাহমুদুল্লা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “লালনের ভ্রান্ত আদর্শের প্রচার আমরা করতে দেব না।” প্রসঙ্গত, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Bangladesh) সিন্ডিকেট ‘লালন সাঁই মিলনায়তন’-এর নাম বদলে ‘টিএসসি ভবন’ হয়ে গিয়েছে। একইভাবে আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, জীবনানন্দের নামে ভবনগুলি থেকেও এঁদের নাম সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট

    সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার শাখা জুলাই-অগস্টে বাংলাদেশের অরাজকতা ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটি রিপোর্ট সামনে এনেছে। ওই রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৭ থ‌েকে ১৫ অগাস্ট, হাসিনার পদত্যাগের পরের ৮ দিনে সব চেয়ে বেশি ৭৫০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতরা প্রত্যেকেই আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মী ও পুলিশ। এর আগে ১ জুলাই থেকে ৬ অগাস্ট পর্যন্ত ৬৫০ জন মারা গিয়েছেন, তাঁরা দাঙ্গাকারী, পুলিশ ও আওয়ামি লিগের কর্মী ছিলেন।

LinkedIn
Share