Author: ishika-banerjee

  • West Indies : ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে লজ্জার দিন, টেস্টে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    West Indies : ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে লজ্জার দিন, টেস্টে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের (Australia vs West Indies)। সাবিনা পার্কে তৃতীয় টেস্টে ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ২৭ রানে অলআউট ক্যারিবিয়ানরা। যা টেস্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। ১ রানের জন‍্য রক্ষা পেল লজ্জার বিশ্বরেকর্ড। বিশ্ব ক্রিকেটে এক সময়ের ত্রাস যারা ছিল, তারাই লজ্জার রেকর্ড গড়ল। এর আগে ১৯৫৫ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৬ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল নিউ জিল‍্যান্ড। তার থেকে মাত্র এক রান বেশি করে ওয়েস্টইন্ডিজ। টেস্টে এটাই তাদের সর্বনিম্ন রানের ইনিংস।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের লজ্জা

    অস্ট্রেলিয়ার (Australia vs West Indies) মিচেল স্টার্ক ৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন। তিনিই প্রথম বোলার, যিনি ১৫ বলের মধ্যে পাঁচটা উইকেট তুলে নেন। ১৯৪৭ সালে আর্নি টোশাক ও ২০১৫ সালে স্টুয়ার্ট ব্রড ১৯ বলে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন। ১০০ তম টেস্টে খেলতে নেমে ৪০০ উইকেট তুললেন স্টার্ক। অন্যদিকে হ্যাটট্রিক করেন স্কট বোলান্ড। ২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন বোলান্ড। সাবিনা পার্কে গোলাপি বলের টেস্টে তিন দিনের মধ‍্যে অস্ট্রেলিয়া ১৭৬ রানে জিতে গিয়েছে। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করে ২২৫। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমে যায় ১৪৩ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে শামার জোসেফ ও আলজারি জোসেফের দাপটে অস্ট্রেলিয়াও ১২১ রানের বেশি করতে পারেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিততে হলে ২০৪ রান করতে হত। প্রথম দুটি টেস্টে হেরে থাকা নড়বড়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং অর্ডার যে গোলাপি বলে রানটা তুলতে পারবে না, তা কার্যত দেওয়াল লিখন ছিল। কিন্তু তারা যে ১৪.৩ ওভারে মাত্র ২৭ রানে অলআউট হয়ে যাবে, তা ভাবা যায়নি।

    স্টার্ক-বোলান্ডের নজির

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের (Australia vs West Indies) সাত জন ব‍্যাটার শূন‍্য রানে আউট হয়েছেন। এর আগে ১৯৮০ সালে পাকিস্তানের ৬ ব্যাটার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। কিন্তু সেটা ১২৮ রানে। বাংলাদেশের ৬ উইকেট পড়েছিল ৮৭ রানে। ম্যাচ এবং সিরিজের সেরা হয়েছেন স্টার্ক। এটা তাঁর শততম টেস্ট। বোল‍্যান্ড হ‍্যাটট্রিক করেছেন। প্রথম বোলার হিসেবে দিন-রাতের টেস্টে হ্যাটট্রিক করার নজির গড়লেন তিনি।

  • UPI: লেনদেনের সংখ্যা মাসে ১৮০০ কোটি! ভিসাকে টেক্কা দিল ইউপিআই, আইএমএফ-এর প্রশংসা

    UPI: লেনদেনের সংখ্যা মাসে ১৮০০ কোটি! ভিসাকে টেক্কা দিল ইউপিআই, আইএমএফ-এর প্রশংসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে ইউপিআই। বর্তমানে দেশের একটি বড় অংশের মানুষ নিয়মিতভাবে অনলাইন পেমেন্টে এই অ্যাপ করছেন। হু হু করে বাড়ছে ইউপিআই ব্যবহারকারীর সংখ্যা। ভারতের ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস (UPI) এখন বিশ্বের কাছেও এক অনন্য উদাহরণ। সম্প্রতি একটি বড় মাইলফলক স্পর্শ করেছে ইউপিআই। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেজ (UPI) অফিশিয়ালি ভিসাকে (Visa) টপকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল টাইম পেমেন্ট সিস্টেমে পরিণত হয়েছে। দৈনিক ৬৫০ মিলিয়ন লেনদেন এবং প্রতি মাসে প্রায় ১৮ বিলিয়ন (১৮০০ কোটি) ট্র্যানজাকশন হয় এর মাধ্যমে। ইউপিআই-এর হাত ধরে ভারত এই মুহূর্তে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে দ্রুতগতির রিটেইল ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার উদাহরণ স্থাপন করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ভারতের এই সাফল্যের প্রশংসা করা হয়েছে।

    ইউপিআই-এর প্রশংসায় আইএমএফ

    ২০১৬ সালে ভারতে চালু হয় ইউপিআই। ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এনপিসিআই ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের যৌথ উদ্যোগে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিউআর কোড বা ইউপিআই আইডির মাধ্যমে সহজে পেমেন্ট করা যায় বলে এই ব্যবস্থা এবার ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বিশ্বে। ‘গ্রোয়িং রিটেল জিজিটাল পেমেন্টস’(Growing Retail Digital Payments: The Value of Interoperability) শীর্ষক এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে চালু হওয়ার পর থেকে ভারতের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থায় এক বিপ্লব ঘটিয়েছে ইউপিআই। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) জানিয়েছে, উন্নত দেশগুলোকেও পেছনে ফেলে এখন ভারতই এই খাতে পথপ্রদর্শক।

    ইউপিআই সাফল্যের পেছনের কারণ

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্যবহারকারী-বান্ধব ডিজাইন, রিয়েল-টাইম পেমেন্ট, একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যুক্ত হওয়ার সুযোগ এবং সহজ ইন্টারঅপারেবিলিটি ইউপিআই-কে সফল করেছে। কিউআর কোড, ভয়েস-নোটিফিকেশন ও সহজ ইন্টারফেস থাকায় গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহর, ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে প্রবীণ নাগরিক—সবাই খুব সহজেই ডিজিটাল লেনদেন গ্রহণ করতে পেরেছেন। ইউপিআই কার্যত বর্তমানে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে।

    অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির মডেল

    সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৬৩২-টিরও বেশি ব্যাঙ্ক ইউপিআই (UPI) প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় এবং প্রতি মাসে ১৬.৫৮ বিলিয়নেরও বেশি লেনদেন হয়, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ২৩.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা। এটি শুধু ডিজিটাল লেনদেন নয়, বরং আইনি স্বচ্ছতা, আর্থিক সাক্ষরতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিক থেকেও এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। সূত্রের খবর, নীতি আয়োগের প্রাক্তন চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (CEO) অমিতাভ কান্ত সম্প্রতি ইউপিআই –এর এই নয়া মাইলফলক সম্পর্কে জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘X’ –এ একটি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেজ ভিসা কে ছাড়িয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল টাইম পেমেন্ট সিস্টেম হয়ে উঠেছে। ইউপিআই মাত্র নয় বছরে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছে। এই বিষয়টি ইউপিআই –এর দুর্দান্ত বৃদ্ধির ইঙ্গিত করছে। দুর্দান্ত গতিতে এই সিস্টমেটির গ্রহযোগ্যতা বেড়েছে।

    সীমান্ত পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে

    শুধু ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এখনও পর্যন্ত মোট ৮টি দেশে এই ইউপিআই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। ভারতের বাইরে প্রথম দেশ হিসাবে ২০২১ সালে ইউপিআই চালু হয় ভূটানে। এর পর ওই বছরই ইউপিআই চালু হয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। ২০২৪ সালে প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসাবে ইউপিআই গ্রহণ করে ফ্রান্স। ভারতের এনপিসিআই ও ফ্রান্সের লায়রা নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় সে দেশে ইউপিআই চালু হয়। এ ছাড়াও নেপাল, মরিশাস, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর ও ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতেও চালু হয়েছে ইউপিআই। আগামীতে কাতার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ব্রিটেন, ওমান ও মালদ্বীপের মতো দেশে ইউপিআই চালু হতে পারে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর ফলে বিদেশে ভারতীয় পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের জন্য অর্থনৈতিক লেনদেন আরও সহজ ও নিরাপদ হয়েছে।

    ভিসাকে টেক্কা ইউপিআই-এর

    সম্প্রতি ইউপিআই –এর দৈনিক ট্রানজ্যাকশনের সংখ্যা সাড়ে ৬০০ মিলিয়নে পোঁছে গিয়েছে। অপরদিকে, ভিসা –এর দৈনিক ট্রানজ্যাকশনের সংখ্যা রয়েছে ৬৩৯ মিলিয়ন। অর্থাৎ, দৈনিক লেনদেনের দৌড়ে ভিসার থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ইউপিআই। সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হল, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ২০০ টিরও বেশি দেশে ভিসার উপস্থিতি রয়েছে। সেই তুলনায় ইউপিআই –এর উপস্থিতি রয়েছে মাত্র ৮ টি দেশে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও এই দুর্দান্ত সাফল্যের দেখা পেয়েছে পেমেন্ট সিস্টেমটি। উল্লেখ্য, ইউপিআই হল মোবাইল প্ল্যাটফর্মের জন্য ডিজাইন করা একটি ইনস্ট্যান্ট ইন্টার ব্যাঙ্ক পেমেন্ট সিস্টেম। এটিকে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার তরফে তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে এটি প্রতি মাসে ১৮ বিলিয়ন ট্রানজ্যাকশন প্রসেস করে থাকে। সম্প্রতি ইউপিআই নিয়ে আইএমএফ-এর স্বীকৃতি ভারতের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক আর্থিক নেতৃত্বের পথে এক বড় ধাপ, যা শুধুমাত্র প্রযুক্তি নয়, আর্থিক স্বচ্ছতা, শিক্ষা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও ভারতের অবস্থানকে মজবুত করে।

  • India vs England: ব্যর্থ জাদেজার লড়াই, লর্ডসে ২২ রানে হার মানল টিম ইন্ডিয়া

    India vs England: ব্যর্থ জাদেজার লড়াই, লর্ডসে ২২ রানে হার মানল টিম ইন্ডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেওয়াল লিখনটা স্পষ্টই হয়ে গিয়েছিল লর্ডস টেস্টের চতুর্থ দিনে। পঞ্চম দিনে প্রাপ্তি শুধুই জাদেজার লড়াই। লড়েছিলেন তিনি। ভয়ঙ্কর রকম লড়েছিলেন। যদি জেতাতে পারতেন তাহলে নায়কের আসন ছিল পাকা। কিন্তু পরাজিত হলে লড়াইয়ের দাম থাকে না। তাই হল। জাদেজা নিজে অপরাজিত থাকলেন ৬১ রানে। কিন্তু শোয়েব বশিরের বলটা সিরাজ খেলার পরেও দিল উইকেট ভেঙে। আটকাতেই পারতেন পা দিয়ে। মুহূর্তের ভুল। আর তাতেই সবশেষে। ১৯৩ রান তাড়া করতে নেমে ভারত শেষ হয়ে গেল ১৭০ রানে। লর্ডস টেস্ট ইংল্যান্ড (India vs England) জিতে নিল ২২ রানে। সিরিজে এগিয়ে গেল ২–১ ব্যবধানে।

    ডুবল গিলের রণতরী

    ২০২১ সালে ভারত শেষ বার লর্ডসে (India vs England) জিতেছিল। চার বছর আগের লর্ডস টেস্টে লোকেশ রাহুল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। চার বছর পরে লর্ডস টেস্টের নায়ক হতে পারতেন তিনি। প্রথম ইনিংসে তিনি সেঞ্চুরি করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকেই ত্রাতা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বেন স্টোকসের বাঁক খাওয়া বলটা মৃত্য পরোয়ানা নিয়ে হাজির হল ভারতের ওপেনারের সামনে। চতুর্থ দিনের শেষে রাহুল ব্যাট করছিলেন ৩৩ রানে। পঞ্চম দিন রাহুল বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। বেন স্টোকসের ব্যুমেরাং মোক্ষম সময়ে রাহুলের পায়ে লাগল। ৩৯ রানে ফিরে গেলেন ভারতের ওপেনার। লর্ডস টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষে একেবারেই স্বস্তিতে ছিল না টিম ইন্ডিয়া। ১৯৩ রান তাড়া করতে গিয়ে চতুর্থ দিনের শেষে টিম ইন্ডিয়ার সংগ্রহ ৫৮/৪। সোমবার ম্যাচের শেষ দিনে জয়ের জন্য লোকেশ রাহুলদের প্রয়োজন ছিল ১৩৫ রান। রাহুল-পন্থ থাকলে ম্যাচের ফলটা অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু পন্থও ফিরে গেলেন দ্রুত। আসলে এজবাস্টনের হারটা মানতে পারছিলেন না আর্চার-স্টোকসরা।

    জাদেজার লড়াই

    রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে অনেকক্ষণ ধৈর্য ধরে ব্যাট করছিলেন নীতীশ রেড্ডি। কিন্তু লাঞ্চের ঠিক আগেই আউট হয়ে গেলেন তিনি। সেখান থেকে জশপ্রীত বুমরাহকে নিয়ে দীর্ঘ সময় একা কুম্ভের মতো লড়ে যান রবীন্দ্র জাদেজা। বুমরাহও স্টোকস-আর্চারদের সামলে দিচ্ছিলেন। কিন্তু স্টোকসের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আশ্চর্যজনকভাবে আউট হলেন মহম্মদ সিরাজ। যখন আশা করা হচ্ছিল, সিরাজ ঠিক লড়ে যাবেন, তখনই বিপর্যয়। তীরে এসে তরী ডুবল ভারতের। চতুর্থ ইনিংসের চাপ নিতে না পারার খেসারত দিল গিল-বাহিনী।

  • BrahMos: সিঁদুরে মেঘ দেখেছিল পাকিস্তান! ইসলামাবাদকে ভয় ধরানো ‘ব্রহ্মস’ কিনতে আগ্রহী ১৫ দেশ

    BrahMos: সিঁদুরে মেঘ দেখেছিল পাকিস্তান! ইসলামাবাদকে ভয় ধরানো ‘ব্রহ্মস’ কিনতে আগ্রহী ১৫ দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন শত্রু পাকিস্তানের বুকে আতঙ্ক ধরিয়েছে ভারতের ‘ব্রহ্মস’ (BrahMos) সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এর আঘাতেই চোখের নিমেষে ধূলোয় মিশেছে পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটির অন্তত ন’টি বায়ুসেনা ঘাঁটি। ফলে লড়াই থামতেই দুনিয়ার অস্ত্রবাজারে তুঙ্গে উঠেছে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্রের চাহিদা। বিশ্বের সমীহ কুড়িয়ে নেওয়া সেই মারণাস্ত্র এবার দেশের রাজকোষ ভরাতে চলেছে। আত্মনির্ভর ভারতের জয়গান গেয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, স্বদেশী প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্বের ১৪-১৫টি দেশ।

    লখনউ থেকে রফতানি হবে ব্রহ্মস

    সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানেই এক বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে আমি লখনউয়ে ব্রহ্মস এয়ারস্পেস ইন্টিগ্রেশন ও পরীক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছি। আপনারা দেখেছেন কিছুদিন আগে আমাদের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কীভাবে পাকিস্তানে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ব্রহ্মসের তাণ্ডবলীলায় মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। এই মিসাইলের মারণ ক্ষমতা দেখার পর ১৪-১৫টি দেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং এই ক্ষেপণাস্ত্রের কেনার আর্জি জানিয়েছে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র এখন লখনউ থেকে রফতানি করা হবে। আমি বিশ্বাস করি এই পদক্ষেপ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশকে আত্মনির্ভর করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানও তৈরি করবে। আমাদের লক্ষ্য এখানে আরও শিল্প আনা যাতে লখনউয়ের পাশাপাশি রাজ্যের উন্নতি হয়।”

    ব্রহ্মস-এর নামকরণ

    ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে মারণ ক্ষেপণাস্ত্র ‘ব্রহ্মস’। এই নামকরণের নেপথ্যে রয়েছে দুই দেশের দুই নদী বিখ্যাত নদী ব্রহ্মপুত্র ও মস্কোভা। ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎপাদনকারী সংস্থা হল ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস লিমিটেড। সংশ্লিষ্ট মারণাস্ত্রটির প্রযু্ক্তি তৈরিতে রয়েছে ভারতের ‘ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন’ বা ডিআরডিও এবং রুশ প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা এনপিও মাশিনোস্ট্রোয়েনিয়ার যৌথ উদ্যোগ। দেশের প্রতিরক্ষাকে মাথায় রেখে এই ব্রহ্মসকে আরও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে ৫ দফা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে ব্রহ্মসের পাল্লা ও গতি দুটোই বাড়ানো হচ্ছে।

    ব্রহ্মস-এর শ্রেণিবিভাগ

    বর্তমানে ভারত যে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে, তার চারটি শ্রেণিবিভাগ রয়েছে। স্থল, রণতরী, যুদ্ধবিমান এবং ডুবোজাহাজ থেকে একে ছোড়া যায়। প্রথাগত বিস্ফোরকের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্রটি পরমাণু হাতিয়ার বহনেও সমান ভাবে সক্ষম। এর গতিবেগ তিন ম্যাকের সামান্য বেশি। সূত্রের খবর, ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪,৯০০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে ‘ব্রহ্মস’। ২০০৫ সালের নভেম্বর থেকে এই ব্রহ্মাস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করে ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী। এর পাল্লার রকমফের রয়েছে। প্রায় সাড়ে আট মিটার লম্বা ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র ৩০০ কেজি বিস্ফোরক বহনে সক্ষম। এক একটি ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন তিন হাজার কেজি। মারণাস্ত্রটি হাইপারসনিক শ্রেণিতে বদলে গেলে এর পাল্লা বেড়ে দাঁড়াবে দেড় হাজার কিলোমিটার। ভারতীয় সেনা এবং নৌবাহিনী যে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে, তার পাল্লা ৮০০ কিলোমিটার। অন্য দিকে এ দেশের বিমানবাহিনীর হাতে থাকা এই হাতিয়ার ৪৫০-৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ভারতের ব্যবহৃত ব্রহ্মস সামরিক ট্রাক, যুদ্ধবিমান, ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়। পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্র বহনেও সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। ব্রহ্মসের গতি শব্দের চেয়ে তিনগুণ। তবে স্থলভূমি ও যুদ্ধজাহাজ থেকে যে ব্রহ্মস উৎক্ষেপণ করা হয় তার পাল্লা ২৯০ থেকে ৪০০ কিমি। ডুবোজাহাজে যে ব্রহ্মস ব্যবহার হয় তার তুলনায় এই পাল্লা কিছুটা কম।

    ভারতের অস্ত্র মন কেড়েছে

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ব্রহ্মস হল সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এটা শুধু হাতিয়ার নয়, একটা বার্তা। শত্রুকে প্রতিহত করার বার্তা। বর্ডার সুরক্ষিত করার বার্তা।” এরপর এ দিন রাজনাথ প্রসঙ্গ তোলের এ পি জে আবদুল কালামের। মন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব শক্তিশালীদের সম্মান করে। ভীতুদের নয়। আমাদের শক্তি বাড়াতে হবে। দেশ শক্তিশালী না হলে কেউ সম্মান করবে না। আর ভারত অন্য়তম শক্তিশালী দেশ।” তবে শুধু ব্রহ্মস নয়, অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের আরও একাধিক মারণাস্ত্র ও প্রযুক্তি মন কেড়ে নিয়েছে বিশ্বের বহু দেশের। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের কমিউনিকেশন সিস্টেম, অফশোর টহল জাহাজ, স্করপিন সাবমেরিন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ও গরুড় বন্দুকের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে ব্রাজিল। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই পদক্ষেপে বিরাট সাফল্য পাবে কেন্দ্রের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প।

     

     

     

     

  • Subhanshu Sukla: ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা….’! মহাকাশ জয় করে ঘরে ফেরার আগে আপ্লুত শুভাংশু

    Subhanshu Sukla: ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা….’! মহাকাশ জয় করে ঘরে ফেরার আগে আপ্লুত শুভাংশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে তাকালে মনে হয়, ভারত ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা….’। আত্মবিশ্বাসী, ভয়ডরহীন, গর্বিত এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষায় পরিপূর্ণ এই দেশ। মহাশূন্য থেকে ঘরে ফেরার আগে এমনই বললেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা (Subhanshu Sukla)। সব ঠিকঠাক থাকলে ১৫ জুলাই পৃথিবীতে ফিরবেন শুভাংশু। সঙ্গে অ্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানের আরও তিন সদস্য- পেগি হুইটসন, টিবর কাপু ও স্লাওস উজনানস্কি। আজ, সোমবার দুপুর দু’টো নাগাদ শুরু হবে শুভাংশুদের আনডকিং প্রক্রিয়া। আনডকিং শেষ হওয়ার পর পৃথিবীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন শুভাংশুরা। এই দু’টি প্রক্রিয়া সরাসরি দেখা যাবে নাসার ওয়েবসাইট এবং সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে।

    বিদায় সংবর্ধনা, মহাকাশে সংস্কৃতির আদান-প্রদান

    রবিবারই মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে তাঁদের ফেয়ারওয়েল জানানো হয়েছে। রবিবার, ভারতীয় সময় সন্ধে সাড়ে সাতটা থেকে শুরু হয় ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠান। নাসার এক্সপিডিশন ৭৩-এর সাতজন সদস্য বিদায় সংবর্ধনা দেন শুভাংশু-সহ চার মহাকাশচারীকে। সেই সংবর্ধনা সরাসরি সম্প্রচার করে নাসা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন শুভাংশুরা। গাজরের হালুয়া-আম রস অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেন শুভাংশু। পোল্যান্ডের স্লাওস উজনানস্কি ভাগ করেন পোলিশ স্যান্ডউইচ। ক্ষণিকের জন্য ঘরোষা উষ্ণতায় ভরে যায় আইএসএস।

    নাসার ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার

    ১৪ জুলাই ভারতীয় সময়ানুসারে বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিটে (আমেরিকার সময় ভোর ৭টা বেজে ৫ মিনিটে) ড্রাগন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। তারপর পৃথিবীর অভিমুখে যাত্রা করবে ড্রাগন। প্রায় ৩০ মিনিট এই যাত্রার সরাসরি সম্প্রচার করবে নাসা। তারপর নাসার সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। শুভাংশুদের মহাকাশযান পৃথিবীতে প্রবেশের পর যখন সমুদ্রে অবতরণ করবে, তখন ফের শুরু হবে লাইভ টেলিকাস্ট। ভারতীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল তিনটের সময় পৃথিবীতে ফিরবেন শুভাংশুরা। সেই দৃশ্যও সম্প্রচারিত হবে নাসার ওয়েবসাইটে।

    সাতদিন রিহ্যাবে শুভাংশুরা

    ক্যালিফোর্নিয়ায় উপকূলে অবতরণ করবেন শুভাংশুরা। এরপর সাতদিন রিহ্যাবে থাকবেন ভারতীয় নভশ্চর। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো একথা জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব নেই। যার ফলে হাড়ের ওজন কমে যায়। দুর্বল হয়ে পড়ে পেশি। এছাড়াও একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। পৃথিবীতে ফিরলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব পড়বে শরীরে। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। সেজন্যই এই রিহ্যাব। বিবৃতিতে ইসরো জানিয়েছে, ‘স্প্ল্যাসডাউনের পর ফ্লাইট সার্জনের পর্যবেক্ষণে সাতদিনের রিহ্যাবে থাকবেন গগনযাত্রী। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতেই এই পদক্ষেপ। যেমন হয়েছিল সুনীতা উইলিয়ামসের ক্ষেত্রেও। বর্তমানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়রে মাধ্যমে শুভাংশুর স্বাস্থ্যের খবর রাখছেন ইসরোর ফ্লাইট সার্জনরা।’

    সারে জাঁহা যে আচ্ছা

    ১৯৮৪ সালে প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা যে অবিস্মরণীয় মন্তব্য করেছিলেন, সেটার রেশ ধরেই ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু বলেন, ‘আজও এখান থেকে ভারতকে দেখে মনে হচ্ছে, সারে জাঁহা যে আচ্ছা….।’ সোমবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পৃথিবীর দিকে রওনা দিতে চলেছেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন। তার আগে অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের মহাকাশচারীদের জন্য বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছেন। আর তিনি যা শিখেছেন, সেই অভিজ্ঞতা দেশবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নেবেন। তাঁর কথায়, ‘এটা আমার কাছে মায়াবী মনে হচ্ছিল। আমার এই যাত্রাটা দুর্দান্ত কাটছে।’

    মহাকাশে ১৭ দিন, শুভাংশুদের জন্য ইসরোর কত খরচ

    মহাকাশে ১৭ দিনে শুভাংশু শুক্লা ৬০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। ভারতের পক্ষ থেকে তিনি ৭টি বিশেষ পরীক্ষা করেছেন, যার মধ্যে ছিল— টার্ডিগ্রেডস, একটি ক্ষুদ্র জীব যা মহাকাশে কীভাবে বেঁচে থাকে এবং বংশবৃদ্ধি করে তা দেখার জন্য গবেষণা। মেথি ও মুগ চাষ, যা থেকে মহাকাশে খাদ্য উৎপাদনের সম্ভাবনা বাড়বে। সায়ানোব্যাকটেরিয়া, মহাশূন্যে অক্সিজেন ও জৈবজ্বালানির সম্ভাব্য উৎস খোঁজাও ছিল শুভাংশুর কাজ। মায়োজেনেসিস, মানুষের পেশীর উপর স্থানের সংস্পর্শের প্রভাব বোঝারও চেষ্টা করেন ভারতীয় মহাকাশচারী। বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশুকে যে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে, সেটার জন্য ইসরোর প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আসলে কয়েক মাস পরেই ভারতের গগনযান মহাকাশে পাড়ি দেবে। তার আগে যাতে আরও নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা করতে পারে ইসরো এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু মহাকাশের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন, সেটার জন্যই তাঁকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল।

     

     

     

  • Tesla In India: ভারতে লঞ্চ হবে টেসলার প্রথম মডেল ওয়াই, দাম কত হতে পারে ?

    Tesla In India: ভারতে লঞ্চ হবে টেসলার প্রথম মডেল ওয়াই, দাম কত হতে পারে ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই ভারতের বাজারে আসছে টেসলা (Tesla In India)। কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যেতে পারে টিজার। এবার টেসলা নতুন মডেল ওয়াই এসইউভি নিয়ে ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার উপস্থিতি শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারতে বিক্রির জন্য প্রথম পণ্য হিসাবে আসবে ‘ওয়াই’ এসইউভি । আগামী মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই মুম্বইয়ে টেসলা এই মডেলের প্রথম স্টোর লঞ্চ করবে। সূত্রের মতে, অগাস্টের শেষ দিক থেকে গাড়ি ডেলিভারি শুরু হতে পারে। গ্রাহকরা আগামী সপ্তাহ থেকেই তাদের গাড়ি কনফিগার ও অর্ডার করতে পারবেন। গাড়ির দাম সম্পর্কে আগেই জানিয়ে দিতে পারে কোম্পানি। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে আরও একটি শোরুম খুলবে জুলাইয়ের শেষ নাগাদ।

    টেসলার মডেলে নতুন আপডেট

    টেসলার (Tesla In India) নতুন মডেল ওয়াই একটি বড় আপডেট নিয়ে ভারতে আসতে পারে। একটি নতুন চেহারা আরও ভালো সাসপেনশন ও নতুন ইন্টেরিয়র থাকবে এই গাড়িতে। ভারতে নতুন মডেল ওয়াইয়ের রেঞ্জ ৭০০ কিলোমিটারেরও বেশি হতে পারে। নতুন গাড়িটির সামনের অংশ আলাদা ও অভ্যন্তরীণ অংশে একটি বড় টাচস্ক্রিন ও পিছনের যাত্রীদের জন্য আলাদা স্ক্রিন রয়েছে। এই গাড়ি খুব দ্রুত গতির হবে। ০-১০০ কিমি গতি তুলতে ৫.৯ সেকেন্ড সময় নেবে এই গাড়ি। অন্যদিকে অল হুইল ড্রাইভ (AWD) ৪.৩ সেকেন্ড ১০০ কিমি পর্যন্ত গতি তোলার একটি সুপারকার হবে।

    ভারতে কী তৈরি হবে এই গাড়ি

    আপাতত এই গাড়িগুলি ভারতে আমদানি করা হবে। ভারতে স্থানীয়ভাবে এই গাড়িগুলি (Tesla In India) সেম্বলির কোনও পরিকল্পনা নেই। ভারতে আমদানি করার সময় মডেল ওয়াই-এর দাম প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি হতে পারে। অন্যদিকে মডেল ৩ কিছুটা সস্তা হতে পারে, তবে খুব বেশি নয়। মডেল ওয়াই আপাতত ফ্ল্যাগশিপ পণ্য হবে কারণ আরও বড় গাড়ি এস সম্ভবত এখানে আসবে না এবং সাইবারট্রাকও আনুষ্ঠানিকভাবে এখানে আসবে না। প্রথম দফায় চিনের টেসলা কারখানা থেকে আসা পাঁচটি মডেল ওয়াই রিয়ার-হুইল ড্রাইভ এসইউভি ইতিমধ্যেই ভারতে এসে পৌঁছেছে।

  • India China Relation: প্রথমবার চিন সফরে জয়শঙ্কর! এসসিও সামিটের পর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক দুই বিদেশমন্ত্রীর

    India China Relation: প্রথমবার চিন সফরে জয়শঙ্কর! এসসিও সামিটের পর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক দুই বিদেশমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবার চিন (India China Relation) সফরে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) তখন একটি দেশ সেখানে সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি উল্লেখ করতে অস্বীকার করে। সন্ত্রাসবাদের উল্লেখ ছাড়া ভারতের কাছে এই ঘোষণাপত্রটির কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই।” উল্লেখ্য, এসসিও সর্বসম্মতিতে কাজ করে। কোনও বিষয় নিয়ে যদি একটি দেশেরও আপত্তি থাকে, তাহলে কিছুই এগোয় না।

    ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    সূত্রের খবর, এসসিও বৈঠকে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ও ওয়াং-এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আলোচনায় বিরল খনিজ উপাদান সরবরাহ, দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক উত্তেজনা এবং দু’দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় শুরু করার বিষয়গুলি উঠে আসতে পারে। ভারত সব সময় প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। তাই বেজিংয়ের প্রস্তাব মেনে বৈঠকে সম্মতি দেয় দিল্লি। যদিও বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এখনও সরকারিভাবে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

    সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে সফর

    চলতি বছর সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতীয় (India China Relation) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একাধিক সফরের অংশ হিসেবে জয়শঙ্করের (S Jaishankar) এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত মাসেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কুউইংদাওয়ে অনুষ্ঠিত এসসিও-র প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নিতে চিন সফর করেন। এসব সফরকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্ভাব্য চীন সফরের প্রস্তুতি হিসেবেও দেখা হচ্ছে। চিনের রাষ্ট্রদূত এপ্রিল মাসে এক বার্তায় জানিয়েছিলেন, মোদিকে “উষ্ণ আমন্ত্রণ” জানানো হয়েছে, যদিও দিল্লি এখনো তা নিশ্চিত করেনি। সূত্রের খবর, এ মাসেই চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ভারত সফরে আসবেন। তীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে সীমান্ত ইস্যুতে তাঁর আলোচনারও কথা রয়েছে।

    জয়শঙ্করের সফরের গুরুত্ব

    ২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখ সীমান্তে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন ভারতীয় এবং বহু চিনা (India China Relation) সেনা নিহত হন। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন, ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান স্থানান্তরের ঘটনাও ঘটে। তবে গত অক্টোবরে রাশিয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের পর সম্পর্ক স্থিতিশীল করার বিষয়ে সম্মত হন দুই নেতা। এরপর থেকে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ও ওয়াং ই দুইবার বিদেশে – প্রথমে নভেম্বর মাসে রিও ডি জেনেইরোতে জি২০ সম্মেলনে এবং ফেব্রুয়ারিতে জোহানেসবার্গে জি২০ সম্মেলনে অংশ নেন। তবে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চললেও উত্তেজনা এখনো পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। ভারত চিনের উপর ভিসা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। অন্যদিকে চিন ভারতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিল্পখাতকে প্রভাবিত করে এমন খনিজ রফতানিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। জুলাইয়ের শুরুতে মোদির পক্ষ থেকে দলাই লামাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো নিয়ে চিন কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই আবহে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের এই সফর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে গভীর প্রভাব ফেলবে বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের।

  • China Rare Earth Metal: পরিবেশ নষ্ট করেই চলছে বিরল খনিজের সন্ধান! মানুষের জীবন নিয়ে উদাসীন চিন সরকার

    China Rare Earth Metal: পরিবেশ নষ্ট করেই চলছে বিরল খনিজের সন্ধান! মানুষের জীবন নিয়ে উদাসীন চিন সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের ইনার মঙ্গোলিয়ার বায়ান ওবো শহরের প্রান্তে দাঁড়ালে চোখে পড়ে ধূসর রঙের এক বিস্তৃত, ক্ষতবিক্ষত ভূমি । এক সময়ের সবুজ তৃণভূমিকে আধুনিক প্রযুক্তির এক অপরিহার্য খনিজের (China Rare Earth Metal) খোঁজে বছরের পর বছর ধরে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়েছে। এই ছোট্ট শহরের নাম হয়তো অনেকেই শোনেননি, কিন্তু বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি-নির্ভর জীবনের চালিকা শক্তি এই জায়গা থেকেই আসে। বায়ান ওবো হচ্ছে পৃথিবীর অর্ধেক বিরল মাটি বা ‘রেয়ার আর্থ’ খনিজের উৎস। এই খনিজগুলো স্মার্টফোন, ব্লুটুথ স্পিকার, টিভি স্ক্রিন, কম্পিউটার থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই খনিজগুলো ছাড়া চলে না আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্র।

    চিনের বড় হাতিয়ার

    বিশ্বের যে কোনও দেশের চেয়ে চিন বিরল মাটি খনন ও পরিশোধনে অনেক এগিয়ে। এর ফলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিশাল প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হচ্ছে বেজিং। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দিতে চিনের প্রধান শক্তিই হচ্ছে এই বিপুল খনিজ ভাণ্ডার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য ও শুল্ক নিয়ে দর কষাকষিতে এই ‘বিরল খনিজ’ চিনের বড় হাতিয়ার। বায়ান ওবো ছাড়া আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর জীবন কার্যত অচল হয়ে পড়তে পারে। বায়ান ওবো ও চিনের জিয়াংসি প্রদেশের গানঝৌ শহরে কেন্দ্রীভূত বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিরল খনিজ আহরণ ও পরিশোধন শিল্প (China Rare Earth Metal)। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক বিরল খনিজ এখান থেকেই তোলা হয়। তবে এই আধিপত্যের পেছনে রয়েছে ভয়াবহ পরিবেশগত মূল্য।

    মূল্য চোকাচ্ছে পরিবেশ

    বিবিসির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চিনের দুটি প্রধান রেয়ার আর্থ খনন কেন্দ্র—উত্তরের বায়ান ওবো এবং দক্ষিণের জিয়াংসির গানঝৌতে দেখা মিলেছে বিষাক্ত বর্জ্যে ভরা কৃত্রিম হ্রদের। দূষিত জল ও মাটির কথা শোনা গিয়েছে ওই অঞ্চলের মানুষের মুখে। কিছু এলাকায় ক্যানসার ও জন্মগত ত্রুটির ঘটনাও দেখা গিয়েছে, যা এই খনন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত। চিনের কমিউনিস্ট সরকার এই খবর সামনে আসতে দেয় না। এই খবর বিশ্বের সামনে আনতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় সাংবাদিকদের। খনির মালিক আটকে রাখেন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের, সঙ্গে চলে পুলিশের জেরা। সব ভিডিও ডিলিট করার পরেই মুক্তি মেলে সাংবাদিকদের। তারপরই আর যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, তাই খনির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

    দূষণের চিত্র

    বায়ান ওবোতে চলছে নিয়মিত খনন, যেখানে খোঁজা হচ্ছে নিওডিমিয়াম ও ডিসপ্রোসিয়াম নামের বিরল খনিজ (China Rare Earth Metal)। এই ধাতুগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী চুম্বক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বৈদ্যুতিক গাড়ি, কম্পিউটার হার্ডড্রাইভ থেকে শুরু করে এমআরই মেশিন পর্যন্ত বহু প্রযুক্তিপণ্যে এদের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু এসব আহরণের প্রক্রিয়ায় উন্মুক্তভাবে তোলা হয় টন টন মাটি, যা ছড়ায় ক্ষতিকর ধুলো ও রেডিওঅ্যাকটিভ উপাদান। প্রতি এক টন বিরল খনিজ উত্তোলনে তৈরি হয় প্রায় ২ হাজার টন বিষাক্ত বর্জ্য। খনিজের খোঁজে জমির ওপরিভাগ একের পর এক স্তরে সরিয়ে নেওয়া হয়। এতে উঠে আসে ভারী ধাতু ও তেজস্ক্রিয় ধূলিকণা।

    স্যাটেলাইট চিত্র ভয়ঙ্কর

    স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায় গত কয়েক দশকে বায়ান ওবো খনির (China Rare Earth Metal) ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে। বনাঞ্চল ধ্বংস করে, নদী-লেকে বিষাক্ত পদার্থ ছড়িয়ে বহরে বাড়ছে খনি অঞ্চল। গানঝৌতে দৃশ্যপট আরও ভয়াবহ—খাড়া পাহাড়ের চূড়ায় উন্মুক্ত বিষাক্ত “লিচিং পুকুর” রয়েছে। এখানে মাটি থেকে খনিজ আলাদা করতে অ্যামোনিয়াম সালফেট, অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডসহ বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এর ফলে স্থানীয় নদী ও কৃষিজমিতে দূষণের প্রমাণ মিলেছে। ২০১২ সালে সরকার হস্তক্ষেপ করে খনি লাইসেন্স কমিয়ে দিলেও ততদিনে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যায় এই অঞ্চলের।

    গ্রামবাসীদের দুর্দশা

    স্থানীয় কৃষক হুয়াং জিয়াওচং অভিযোগ করেছেন, তার জমির চারপাশে চারটি খনি রয়েছে। যেখানে ভূমিধস অপ্রতিরোধ্য। তাঁর কথায়, “এই সমস্যা আমার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব না। এটা সরকারিভাবে সমাধান করতে হবে। আমরা সাধারণ মানুষ, দুর্বল। আমাদের কিছু করার নেই।” বায়ান ওবো ও গানঝৌর স্থানীয়রা এখনও ‘আগে উন্নয়ন, পরে পরিষ্কার’ নীতির শিকার বলে মনে করেন অধ্যাপক জুলি ক্লিংগার। তাঁর রেয়ার আর্থ ফ্রন্টিয়ার (Rare Earth Frontiers) বইয়ে এ বিষয়ে বিশদে লিখেছেন তিনি। জুলি বলেন, যদিও এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে, কিন্তু যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। বিশেষ করে বাওতোউ শহরের দক্ষিণে উইকুয়াং বাঁধের পাশের গ্রামগুলোতে ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত বাস করা মানুষদের হাড় ও গাঁটে বিকৃতি, ফ্লোরাইড বিষক্রিয়া এবং আর্সেনিক বিষাক্ততার প্রমাণ মিলেছে।

    ভবিষ্যতের হুমকি

    বায়ান ওবো খনির দক্ষিণে বাওটো শহরে অবস্থিত ওয়েইকুয়াং বাঁধ ঘিরে সবচেয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এক গবেষণায় দেখা যায়, গ্রামের মানুষদের হাড়ের বিকৃতি, অতিরিক্ত ফ্লোরাইড ও আর্সেনিক বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার অতিরিক্ত মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। সরকার পরে সেখানকার মানুষদের সরিয়ে নিয়েছে, কিন্তু ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ বিষাক্ত বর্জ্যভরা পুকুর আজও রয়ে গেছে। যার বিষাক্ত জল যেকোনও সময় মিশে যেতে পারে চিনের অন্যতম প্রধান জলের উৎস হোয়াংহো নদীতে। বিশ্বজুড়ে স্মার্ট ডিভাইস, বৈদ্যুতিক গাড়ি, সোলার প্যানেল ও উচ্চপ্রযুক্তির যন্ত্রের চাহিদা বাড়ছে। চিন (China Rare Earth Metal) এখন বিদেশেও খনন সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। তবে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন—সঠিক ব্যবস্থা না থাকলে যেখানেই খনন হোক না কেন, প্রকৃতি ও মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বেই।

    কিন্তু তা নিয়ে কী একটুও ভাবছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার?

  • YouTube Monetisation: ভিডিও বানিয়ে সহজে লক্ষ্মীলাভ আর হবে না! ইউটিউবে বদলে যাচ্ছে টাকা পাওয়ার নিয়ম

    YouTube Monetisation: ভিডিও বানিয়ে সহজে লক্ষ্মীলাভ আর হবে না! ইউটিউবে বদলে যাচ্ছে টাকা পাওয়ার নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে (YouTube Monetisation) কনটেন্ট বানিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করা এখন আর সহজ নয়। আগামী সপ্তাহ থেকেই বদলে যাচ্ছে ইউটিউবের পলিসি। ১৫ জুলাই থেকে একটি নতুন মানিটাইজেশনে পলিসি নিয়ে আসছে গুগল। মূলত, একই ধরনের বা কম খাটনির ভিডিও ক্রিয়েটরদের আয় কমাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

    ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম

    নতুন ইউটিউবের মানিটাইজেশনের (YouTube Monetisation) নীতিতে ইউটিউব বলেছে, “ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম (YPP) এর অংশ হিসাবে এবার মানিটাইজেশনের জন্য, ইউটিউব ক্রিয়েটরদের ‘মূল’ এবং ‘আসল’ ভিডিয়ো আপলোড করতে বাধ্য করা হবে। ১৫ জুলাই থেকে ইউটিউব এই নির্দেশিকা অনুযায়ী আপডেট করবে। যাতে ব্যাপকভাবে উৎপাদিত ও একই ধরনের কনটেন্ট আরও ভালভাবে সনাক্ত করা যায়। এই আপডেটের ফলে যাচাই না করা কনটেন্টগুলি কেমন দেখাতে পারে তাও বোঝা যাবে। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, এবার থেকে ইউটিউব মানিটাইজেশন অনুমোদনের জন্য ক্রিয়েটরদের ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ্যতার মান পূরণ করতে হবে। একটি চ্যানেলের অবশ্যই কমপক্ষে ১,০০০ জন সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে এবং গত বছরে ৪,০০০ ঘণ্টা বৈধ পাবলিক ওয়াচ আওয়ার থাকতে হবে। অথবা গত ৯০ দিনে ১ কোটি বৈধ পাবলিক শর্টস ভিউ থাকতে হবে কনটেন্ট ক্রিয়েটরের।

    নতুন কী কী পরিবর্তন আনছে ইউটিউব

    প্রথমত, অন্যান্য সোর্স থেকে ধার করা কনটেন্টকে মৌলিক হিসেবে বিবেচনা করার জন্য উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করতে হবে নতুন কনটেন্টে। দ্বিতীয়ত, বার বার দেখানো কনটেন্টকে ভিউ অর্জনের বাইরেও একটি উদ্দেশ্য পূরণ করতে হবে। এটি অবশ্যই বিনোদনমূলক বা শিক্ষামূলক হতে হবে। এই নীতিটি ক্লিকবেট, টেমপ্লেট এবং এআই-জেনারেটেড কনটেন্টের উপরও প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে যে ভিডিওগুলি এআই-জেনারেটেড ভয়েসের উপর নির্ভর করে বা ন্যূনতম সম্পাদনা সহ অন্যান্য নির্মাতাদের উপকরণ পুনরায় ব্যবহার করে তাদের সমস্যা বাড়বে। মূলত ইউটিউবের এই নিয়মের উদ্দেশ্য হচ্ছে এখন থেকে ইউটিউব এমন নির্মাতাদের প্রাধান্য দেবে যারা বিশ্বাসযোগ্য ও আবেগপ্রবণ কনটেন্ট তৈরি করে এবং নিজের চিন্তা ও মেধা দিয়ে ভিডিও বানায়।

    নিয়ম না মানলে কী হবে

    নতুন নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য নির্মাতারা কী পরিণতির মুখোমুখি হতে পারেন তা অবশ্য ইউটিউব নির্দিষ্ট করেনি। আপডেট করা শর্তাবলীর অধীনে জরিমানা, সাসপেনশন বা স্ট্রাইকের কোনও উল্লেখ নেই। কোম্পানি জানিয়েছে নতুন পদ্ধতি তার মানিটাইজেশনের (YouTube Monetisation) নিয়মগুলিকে বর্তমান প্রবণতা ও কনটেন্ট কৌশলগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। একইসঙ্গে নতুন আপডেট অনুযায়ী ইউটিউব ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের প্রাপ্তবয়স্কদের তত্ত্বাবধান ছাড়া প্ল্যাটফর্মে লাইভ স্ট্রিমিং দেখা নিষিদ্ধ করেছে।

  • PM Modi: বিশ্ব কূটনীতিতে নজিরবিহীন সাফল্য, বিদেশের পার্লামেন্টে সবচেয়ে বেশি ভাষণ মোদির

    PM Modi: বিশ্ব কূটনীতিতে নজিরবিহীন সাফল্য, বিদেশের পার্লামেন্টে সবচেয়ে বেশি ভাষণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ দেশ সফর সেরে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিশ্ব কূটনীতিতে ভারতের অবস্থানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন তিনি। বিদেশি পার্লামেন্টে ভাষণ ও আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রীয় সম্মান গ্রহণের ক্ষেত্রে তিনি সব ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মিলিত রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন। তাবড় বিশ্বনেতাদের মধ্যে নরেন্দ্র মোদি সবথেকে জনপ্রিয়। তা প্রমাণ হয়েছে বারবার। মূলত বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের কারণেই মানুষের মধ্যে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে মোদির গ্রহণযোগ্যতা এত বেশি। ক্রিকেট থেকে বিনোদন, রাজনীতি থেকে অর্থনীতি সব ক্ষেত্রে জনপ্রিয় তিনি। সন্ত্রাস দমনে কঠোর, মানবতার পূজারী, যুদ্ধ রুখে শান্তির বার্তা তাঁর কণ্ঠে।

    ১৭টি বিদেশি পার্লামেন্টে ভাষণ

    সম্প্রতি পাঁচ-দেশ সফরের সময় ঘানা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং নামিবিয়ার পার্লামেন্টে ভাষণ দেন মোদি। এই তিনটি ভাষণের সঙ্গে তাঁর মোট বিদেশি পার্লামেন্ট ভাষণের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭। এই সংখ্যাটি কংগ্রেসের সব প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী—জওহরলাল নেহরু (৩), ইন্দিরা গান্ধী (৪), রাজীব গান্ধী (২), পি ভি নরসিমা রাও (১) ও মনমোহন সিং (৭)—এর সম্মিলিত সংখ্যার সমান। অটলবিহারী বাজপেয়ী (২) ও মোরারজি দেশাই (১) ছাড়া অন্য কোনও অ-কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী এই ক্ষেত্রে পৌঁছতেই পারেননি। সেখানে মোদি বিভিন্ন দেশের আইনসভায় ভারতের জয়গান গেয়েছেন। লোকে শুনেছে মোদিকে।

    গণতন্ত্রের জয়গান

    নানা দেশের আইনসভায় দাঁড়িয়ে ভারতের বৈচিত্র, সংস্কৃতির কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Sets Global Records)। বলেছেন, “ভারত গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক। কারণ ভারতের কাছে গণতন্ত্র নিছক কোনও ব্যবস্থা নয়, গণতন্ত্র ভারতের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে জড়িয়ে। ঋগ্বেদে সব দিক থেকে আসা শুভ চিন্তাকে গ্রহণের কথা বলা আছে। সব ভাবনার এই গ্রহণ করার এই ক্ষমতাই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি।” তাঁর কথায়, প্রকৃত গণতন্ত্রে আলোচনা, তর্ক-বিতর্কের অবকাশ থাকে। এতে মানুষের মধ্যে ঐক্য তৈরি হয়। মর্যাদা বোধ তৈরি হয়, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। ভারতে বিভিন্ন রাজ্যে ২০টি দল ক্ষমতায় রয়েছে। ২২টি সরকারি ভাষা রয়েছে। হাজার হাজার উপভাষা রয়েছে। এই কারণেই বাইরে থেকে আসা সকলকে দু’হাত বাড়িয়ে স্বাগত জানায় ভারত। আর এই একই কারণে পৃথিবীর সর্বত্র মানিয়ে নিতে পারেন ভারতীয়রা।

    সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরব

    সব দেশের সংসদে দাঁড়িয়েই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মোদি। বলেছেন শান্তির কথাও। মানবতার সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল সন্ত্রাস। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী নীতির কোনও জায়গা নেই। মানবতার স্বার্থে সন্ত্রাস রোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। শান্তির বার্তা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বাগ্মিতায় মুগ্ধ হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাঁকে নানা সম্মানে ভূষিত করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান অর্জনের ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী মোদির নাম এখন শীর্ষে। যেখানে নেহরু, ইন্দিরা ও মনমোহন সিং পেয়েছেন মাত্র ২টি করে সম্মান।

    বিশ্ব নেতৃত্বের সংকটে ভারত একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি

    বিশ্ব রাজনীতির অস্থিরতার মাঝে ভারত একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। যখন চিন স্বৈরাচারী নীতিতে আবদ্ধ, রাশিয়া আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন এবং যুক্তরাষ্ট্র অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে বিপর্যস্ত, তখন ভারতের নেতৃত্বে মোদি একটি ভিন্নতর বার্তা দিচ্ছেন—স্বচ্ছ কূটনীতি, দৃঢ় লক্ষ্য ও নৈতিক নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সাফল্য শুধু সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়; এটি ভারতের নতুন আত্মবিশ্বাস, বিশ্বের মঞ্চে বিশ্বাসযোগ্যতা ও নীতিনিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতীক। ১৪০ কোটির আস্থা নিয়ে ভারত আজ বিশ্বের কূটনৈতিক মানচিত্রে এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা।

LinkedIn
Share