Author: ishika-banerjee

  • Weather Update: রাতভর বৃষ্টি, জলমগ্ন কলকাতা! ঘূর্ণাবর্তের জেরে শক্তি বাড়ল নিম্নচাপের, চলবে দুর্যোগ

    Weather Update: রাতভর বৃষ্টি, জলমগ্ন কলকাতা! ঘূর্ণাবর্তের জেরে শক্তি বাড়ল নিম্নচাপের, চলবে দুর্যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক রাতের বৃষ্টিতেই (Weather Update) জলমগ্ন কলকাতা। বিপর্যস্ত শহরের স্বাভাবিক জীবন। উত্তর-থেকে দক্ষিণ, মধ্য কলকাতা কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও আবার গোড়ালি পর্যন্ত জল। ফিয়ার্স লেন, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, সেন্ট্রাল এভিনিউ, নর্থ পোর্ট থানা লাগোয়া এলাকা-সহ বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কাঁকুড়গাছি, পাতিপুকুর এবং উল্টোডাঙা আন্ডারপাসেও জল জমেছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে আজ বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির (Rain in Kolkata) সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলবে। জেলার কিছু অংশে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে।

    জলমগ্ন উত্তর থেকে দক্ষিণ

    কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, প্রবল বৃষ্টির (Rain in Kolkata) সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলবে। জেলার কিছু অংশে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটাফলে ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট, বৌবাজারের একাংশ থেকে শুরু করে বেহালা, গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজ-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল জমেছে। এই সব এলাকা থেকে জল বার করার চেষ্টাও শুরু হয়েছে। তবে যেহেতু অনেক ক্ষণ ধরে বৃষ্টি হচ্ছে, তাই জল নামতে দেরি হচ্ছে। বিভিন্ন গলিপথগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তবে, মাত্র এক রাতের বৃষ্টিতেই এত জল জমা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শহরবাসীর মনে। মঙ্গলবারও সারাদিন ধরেই কমবেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেলে জল জমার পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

    গাঙ্গেয় বঙ্গের উপর রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত

    রাজ্যে এই মুহূর্তে বর্ষার (Rain in Kolkata) সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলবে। জেলার কিছু অংশে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটাবাতাস অত্যন্ত সক্রিয়। সেই সঙ্গে গাঙ্গেয় বঙ্গের উপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং দু’টি অক্ষরেখা। এর প্রভাবেই বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণের বিস্তীর্ণ অংশে। কলকাতাতে সোমবার রাত থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে। এর ফলে শিয়ালদহ মেইন শাখাতেও কিছু জায়গায় লাইনে জল জমতে শুরু করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বেশ কিছু ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছুটা দেরিতে চলাচল করছে বলে খবর। ফলে সকালের বৃষ্টির দুর্ভোগের মধ্যে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে অফিসযাত্রীদের। রাস্তাতেও জল জমে থাকার কারণে গাড়ি ধীরে চলাচল করছে। শহরের বেশ কিছু জায়গায় ফুটপাথও জল জমে গিয়েছে। ফলে পথচারীদেরও রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

    কতদিন পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি

    দিনভর বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি (Weather Update) হতে পারে উত্তরবঙ্গে। একই অবস্থা বজায় থাকবে হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোয় অর্থাৎ দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হবে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টিকিছুটা কমতে পারে বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। কলকাতায় আজ মূলত মেঘলা আকাশ থাকবে। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। শনিবার থেকে ফের বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে।

     

  • PM Modi at BRICS: “২১ শতকের সফটওয়্যার ২০ শতকের টাইপরাইটারে চলে না”, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের আহ্বান মোদির

    PM Modi at BRICS: “২১ শতকের সফটওয়্যার ২০ শতকের টাইপরাইটারে চলে না”, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের আহ্বান মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক শাসন ব্যবস্থায় গ্লোবাল সাউথ বা উন্নয়নশীল বিশ্বের আরও বেশি প্রতিনিধিত্বের দাবি তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi at BRICS)। ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরো শহরে অনুষ্ঠিত ১৭তম ব্রিকস (BRICS)  শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “বিশের শতকে তৈরি হওয়া বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে আজকের দিনে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব নেই। যেসব দেশ আজকের বিশ্ব অর্থনীতিতে মুখ্য ভূমিকা নিচ্ছে, তাদের কোনও জায়গা নেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। এটা শুধু প্রতিনিধিত্বের প্রশ্ন নয়, বরং বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যকারিতার প্রশ্নও বটে।”

    পুরাতন কাঠামো পরিবর্তনের আহ্বান

    রিওর আইকনিক মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্টে অনুষ্ঠিত এই শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানের কাঠামোগত সংস্কারের জন্য জোরালো আবেদন করেন মোদি (PM Modi at BRICS)। তিনি বলেন, “২১ শতকের সফটওয়্যার ২০ শতকের টাইপরাইটারে চলতে পারে না”। এই কটাক্ষের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের অচলাবস্থা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে, যেখানে প্রযুক্তি প্রতি সপ্তাহে বদলাচ্ছে, সেখানে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৮০ বছরেও একবার বদল হয় না— এটা গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এবং বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর সংস্কার শুধুমাত্র প্রতীকী না হয়ে বাস্তবভিত্তিক হওয়া উচিত।

    ব্রিকস কী

    ব্রিকস (BRICS) হল উদীয়মান অর্থনীতির ৫টি দেশের গোষ্ঠী – ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এটি ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ সালে এতে যোগ দেয়। সম্প্রতি এতে যোগ দিয়েছে সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ইরান। ক্রমে এই গোষ্ঠী বিশ্বে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান অর্থনীতির জোটে পরিণত হয়েছে। রাশিয়া বাদে সব দেশই উন্নয়নশীল। ব্রিকসের মূল লক্ষ্য হল বিকল্প অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিশ্বের দরবারে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা।

    গ্লোবাল সাউথ-এর কণ্ঠস্বর

    দক্ষিণ গোলার্ধের উন্নয়নশীল (PM Modi on Global South) এবং স্বল্প উন্নত দেশগুলির প্রতি ‘বঞ্চনা’ হচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দাবি করলেন মোদি। যদিও এই দেশগুলি বিশ্ব কূটনীতির ময়দানে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জোট বা গোষ্ঠীগুলিতে এই দেশগুলির প্রতিনিধিত্ব থাকা জরুরি। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “গ্লোবাল সাউথ বহুবার দ্বৈত মানদণ্ডের শিকার হয়েছে। উন্নয়ন, সম্পদের বণ্টন বা নিরাপত্তা— প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই বৈষম্য স্পষ্ট।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “যেসব দেশ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে, সেগুলো এখনো আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মঞ্চে যথাযথ স্থান পায় না।” তিনি জানান, গ্লোবাল সাউথের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। সরাসরি বলেন, “জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলার অর্থ, উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে এই দেশগুলিকে বেশির ভাগ সময়েই নামমাত্র কিছু দেওয়া হয়ে থাকে।” মোদির দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ গোলার্ধের উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গে এই বঞ্চনা চলছে। তাঁর কথায়, “গ্লোবাল সাউথকে ছাড়া আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলি যেন এমন একটি মোবাইল ফোন, যার সিম আছে কিন্তু নেটওয়ার্ক নেই।”

    আগামী বছর ভারতে ব্রিকস সম্মেলন

    সম্মেলনে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে মোদির  (PM Modi at BRICS) উষ্ণ সাক্ষাত্‍ ও আলিঙ্গন বিশ্ব নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যের বার্তা দেয়। “সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শাসন ব্যবস্থার জন্য গ্লোবাল সাউথ সহযোগিতা জোরদার করা”— এই মূল উদ্দেশ্যে ব্রাজিলের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আলোচনা হয় জলবায়ু পরিবর্তনের অর্থায়ন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শাসনব্যবস্থা, বহুপাক্ষিকতাবাদ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে। সম্মেলনে মোদি ব্রিকস (BRICS)-কে একটি “সময়ের সঙ্গে পরিবর্তনশীল ও অভিযোজনক্ষম সংগঠন” হিসেবে বর্ণনা করেন। সম্প্রতি ব্রিকস-এর সম্প্রসারণকে স্বাগতও জানান। বলেন, “ব্রিকস সম্প্রসারিত হয়েছে, নতুন বন্ধুরা যোগ দিয়েছেন। এটা প্রমাণ করে, আমরা পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারি। এখন একই ইচ্ছাশক্তি দরকার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ এবং বিশ্ব উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর মতো প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্যও।” উল্লেখ্য, ২০২৬ সালে ভারত ব্রিকস (BRICS)-এর সভাপতিত্ব নিতে চলেছে।

  • India vs England: শুভ-মহরৎ শুরু! ৬৩ বছরে এজবাস্টনে প্রথম জয়, টেস্টে একগুচ্ছ রেকর্ড ভারতের

    India vs England: শুভ-মহরৎ শুরু! ৬৩ বছরে এজবাস্টনে প্রথম জয়, টেস্টে একগুচ্ছ রেকর্ড ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে জয়ের শুভ-মহরৎ শুরু। হেডিংলির প্রতিশোধ বার্মিংহ্যামে নিল শুভমন গিলের ভারত (India vs England)। দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৩৩৬ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনল গম্ভীরের ছেলেরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের ফলাফল এখন ১-১। যে এজবাস্টনে ভারত কোনওদিন জিততে পারেনি, সেই স্টেশনে এসেই অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেলেন গিল। তিনিই নায়ক, তিনিই অধিনায়ক। ক্যাপ্টেন্স নক-প্রথম ইনিংসে ২৬৯, দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১। অধিনায়কোচিত ইনিংসকে সম্মান জানালেন দলের বোলাররা। ১০ উইকেট নিয়ে বুমরাহীন ভারতীয় বোলিংকে ভরসা দিলেন বাংলার আকাশদীপ। ম্যাচের শেষ উইকেটটিও তাঁর দখলে। আর শেষ ক্যাচটিও ক্যাপ্টেন শুভমন গিলের হাতেই। অনেক ক্যাপ্টেন চেষ্টা করেছেন। কিন্তু জয়ের স্বাদ পাননি এই মাঠে। অবশেষে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন, জয়ের ইতিহাসও গড়লেন শুভমন গিল। রোহিত-বিরাট পরবর্তী যুগে ভারতীয় ক্রিকেটের নয়া আইকন শুভমন।

    সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়

    ইংল্যান্ডকে ৬০৮ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছিল ভারত। চতুর্থ দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৩ উইকেটে ৭২। পঞ্চম ও শেষ দিনে ৫৩৬ রান করলে জিতবে ইংল্যান্ড (India vs England), এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে বেন স্টোকসরা থেমে গেলেন ২৭১ রানে। ইংল্যান্ডকে ৩৩৬ রানে হারাল ভারত। এটাই রানের ব্যবধানে টেস্টে ভারতের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩১৮ রানে হারিয়েছিল ভারত। সেই রেকর্ড ভেঙেছেন শুভমনেরা। শুধু ভারত নয়, ইংল্যান্ডের মাটিতে এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে এটা সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। এই প্রথম বার টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০০০ বা তার বেশি রান করেছে ভারত। এজবাস্টনে প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রানের পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪২৭ রান করেছে ভারত। অর্থাৎ, এই টেস্টে মোট ১০১৪ রান করেছে ভারত।

    এজবাস্টনে নজির

    ১৯৬২ সাল থেকে এজবাস্টনে শুরু হয়েছে টেস্ট। কিন্তু প্রথম এশীয় কোনও দলের সেখানে জিততে লাগল ৬৩ বছর। এর আগে এজবাস্টনে ৮টি টেস্ট খেলেছিল ভারত (India vs England)। এর মধ্যে ৭ ম্যাচেই হার। একটি ড্র হয়েছিল। অবশেষে নবম সাক্ষাতে জয়। এই জয়ের ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মাঠে টেস্ট জয়ের রেকর্ড গড়েছে ভারত। ১৯৩২ সালে প্রথম বার টেস্ট খেলা শুরু ভারতের। তার পর ৯৩ বছরে বিশ্বের মোট ৮৫টি মাঠে ম্যাচ খেলেছে ভারত। তার মধ্যে ৬০টি মাঠে জিতেছে তারা। এত দিন ৫৯টি মাঠে জিতেছিল ভারত। তাতে যুক্ত হল এজবাস্টন। এই ৬০টি মাঠের মধ্যে ২৩টি ভারতে। তার মধ্যে চেন্নাইয়ে সবচেয়ে বেশি ১৬টি টেস্ট জিতেছে ভারত। বিদেশের মাটিতে ৩৭টি মাঠে অন্তত একটা হলেও টেস্ট জিতেছে ভারত। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি টেস্ট জিতেছে মেলবোর্নে। অস্ট্রেলিয়ার এই মাঠে চার বার টেস্ট জিতেছে ভারতীয় দল। লর্ডসে তারা জিতেছে তিন বার।

    রেকর্ড বুকে শুভমন

    এজবাস্টনে দুই ইনিংসে অসাধারণ খেলে রেকর্ডের পাহাড়ে শুভমন গিল (Shubhman Gill)। এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে দ্বিশতরানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করেছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে এসেছে ১৬১ রান। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে এই টেস্টে ৪৩০ রান করেছেন ভারত অধিনায়ক। এই টেস্টে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। শুভমনই বিশ্বের একমাত্র ব্যাটার যিনি এক টেস্টের দুই ইনিংসে দ্বিশতরান ও ১৫০-এর বেশি রানের ইনিংস খেললেন। এর আগে এক টেস্টের দুই ইনিংসে ১৫০-এর বেশি রানের ইনিংস খেলেছিলেন একমাত্র অ্যালান বর্ডার। ১৯৮০ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেটা করেছিলেন বর্ডার। কিন্তু শুভমনের কীর্তি এখনও পর্যন্ত কেউ করতে পারেননি। এশীয় ব্যাটারদের মধ্যে এশিয়ার বাইরে এক টেস্টে সর্বাধিক রান করেছেন শুভমন। ছাপিয়ে গিয়েছেন সুনীল গাভাসকরকে। ১৯৭১ সালে পোর্ট অফ স্পেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে এক টেস্টে ৩৪৪ রান করেছিলেন তিনি। শুভমন ভারতের কনিষ্ঠতম অধিনায়ক যিনি বিদেশের মাটিতে টেস্ট জিতেছেন। ২৫ বছর ৩০১ দিনে এই কীর্তি করেছেন তিনি। এর আগে ১৯৭৬ সালে ২৬ বছর ২০২ দিন বয়সে অকল্যান্ডে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়েছিলেন সুনীল গাভাসকর। তাঁর রেকর্ড ভেঙেছেন শুভমন।

    ইংল্যান্ডের আকাশে জ্বলল দীপ

    ইংল্যান্ডে (India vs England) ভারতীয় বোলারদের মধ্যে এক টেস্টে সেরা বল করেছেন আকাশদীপ। এজবাস্টনে দুই ইনিংসে মিলিয়ে ১৮৭ রান দিয়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর আগে ১৯৮৬ সালে এই মাঠেই ১৮৮ রান দিয়ে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন চেতন শর্মা। ইংল্যান্ডে আর কোনও ভারতীয় বোলারের এক টেস্টে ১০ উইকেটের নজির নেই। বিহারের সাসারামের ছেলে আকাশদীপ। সেই রাজ্যে ক্রিকেটীয় পরিকাঠামো না থাকায় চলে এসেছিলেন কলকাতায়। ক্লাব ক্রিকেটে খেলার পর বাংলার হয়ে রঞ্জিতে ভাল খেলে আইপিএলের চুক্তি আদায় করেছেন। সেখানেও ভাল খেলে ঢুকে গিয়েছেন জাতীয় দলে। লাল বলে অন্য রূপে দেখা যাচ্ছে আকাশদীপকে।

  • PM Modi At BRICS Summit: ‘সুবিধা বুঝে নয়, সন্ত্রাসের নিন্দাই নীতি হওয়া উচিত’, ব্রিকস-মঞ্চ থেকে বিশ্বকে বার্তা মোদির

    PM Modi At BRICS Summit: ‘সুবিধা বুঝে নয়, সন্ত্রাসের নিন্দাই নীতি হওয়া উচিত’, ব্রিকস-মঞ্চ থেকে বিশ্বকে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে এবার পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi At BRICS Summit)। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে ব্রাজিলে ব্রিকস সম্মেলনে মোদি বলেন, ‘‘ভারত সন্ত্রাসবাদের শিকার আর পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের সমর্থক। তাই আক্রান্ত ও সমর্থককে একই পাল্লায় বিচার করা যায় না।’’ এই সময় যে দেশগুলি ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। একইসঙ্গে যারা ব্যক্তিগত স্বার্থ বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূরণের জন্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলে না, তাদের তীব্র ধিক্কার জানান প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “চুপ থেকে জঙ্গিদের সম্মতি দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। ভারত একাধিকবার প্রমাণ দিয়েছে যে জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়ে পাকিস্তান কীভাবে সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রনীতি বলে চালাচ্ছে।”

    মানবতার উপর আঘাত

    ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে ব্রিকস (BRICS) শীর্ষ সম্মেলনে রবিবার, প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যে হামলা হয় তা শুধুমাত্র ভারতের উপর নয়, এটি মানবতার উপর আঘাত। মানবতার সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সন্ত্রাসবাদ। পহেলগাঁওয়ে একটি অমানবিক এবং কাপুরুষোচিত জঙ্গি হামলা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয়ে দ্বিমুখী নীতির কোনও স্থান নেই। যদি কোনও দেশ সন্ত্রাসবাদকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন করে, তবে তাকে অবশ্যই এর মূল্য চোকাতে হবে।” আগামী বছরের ব্রিকস সম্মেলন হতে চলেছে ভারতে। তার আগেই ব্রিকসের মঞ্চ থেকে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    শান্তির পথই সর্বোত্তম

    ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে ‘শান্তি ও নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক শাসন সংস্কার’ শীর্ষক অধিবেশনে, শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের প্রতি ভারতের অবস্থানের কথাও স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi At BRICS Summit)। তিনি মহাত্মা গান্ধী ও গৌতম বুদ্ধের শান্তির বার্তা উদ্ধৃত করে বলেন, “পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেন, মানবতার কল্যাণের জন্য শান্তির পথই সর্বোত্তম।” মোদি বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে নিন্দা করা আমাদের সুবিধামতো নয়, বরং নীতিগত অবস্থান হওয়া উচিত।” তিনি আরও বলেন, যারা রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত লাভের জন্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলে না, তারা প্রকৃতপক্ষে মৌন সমর্থন দিচ্ছে। এটা কখনও গ্রহণযোগ্য নয়। ব্রিকস সম্মেলনে দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলির ‘বঞ্চনা’ নিয়েও সরব হন মোদি। তাঁর দাবি, দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলির প্রায়শই দ্বিচারিতার শিকার হচ্ছে। দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলি বর্তমান বিশ্ব কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেও এই দেশগুলির স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে না।

    ভারতের সঙ্গে সহমত

    উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। এই হামলার দায় গ্রহণ করে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। ওই হামলার পিছনে পাক-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের হাত আছে তা সামনে আসার পরেই অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করার জন্য ব্রিকস দেশগুলিকে একটি স্পষ্ট এবং ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণ করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর সঙ্গে সমহত প্রকাশ করে যৌথ ঘোষণাপত্র ব্রিকসের রাষ্ট্রনেতারা সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করেন। তাদের উদ্দেশ্য যা-ই হোক না কেন, যে বা যারা সন্ত্রাস করছে, তাদের অপরাধী বলেই অ্য়াখ্যা দেওয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রে বলা হয়, “জম্মু-কাশ্মীরে ২২ এপ্রিল যে জঙ্গি হামলা হয়েছে, যেখানে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন, আমরা তার তীব্র নিন্দা করি। সীমান্ত পার করে সন্ত্রাসবাদ থেকে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত বা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়া- সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা করি আমরা।”

    ভারতের বড় কূটনৈতিক জয়

    যদিও ঘোষণাপত্রে পাকিস্তানের নাম সরাসরি লেখা হয়নি, কিন্তু সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ, অর্থ জোগান, ও নিরাপদ আশ্রয়ের মতো শব্দগুলি দিয়ে যে ইঙ্গিত কোথায়, তা স্পষ্ট। ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, ব্রিকস সন্ত্রাসবাদ দমনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সমন্বিত পদক্ষেপে বিশ্বাস করি। ব্রিকসের এই ঘোষণায় স্বাগত জানানো হয়েছে জোটের ‘কাউন্টার-টেরোরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপ’-এর চলমান কর্মসূচিকে। রাষ্ট্রসংঘে ‘কমপ্রিহেনসিভ কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল টেরোরিজম’ দ্রুত চূড়ান্ত করার আহ্বান জানিয়েছে ব্রিকস। ব্রিকসের এই সরাসরি এবং স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া ভারতীয় কূটনীতির এক বড় জয় হিসেবে দেখছে বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানের বন্ধু চিনের উপস্থিতিতেই এই সম্মেলনে ইসলামাবাদের সন্ত্রাস-নীতির সমালোচনা করেন মোদি। তাঁর পাশে দাঁড়ায় ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। চিনের উপস্থিতিতেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা ঘোষণা করা হয়।

  • Arijit Singh: জনপ্রিয়তায় শীর্ষে! অরিজিতের টেক্কা হলিউডের তারকাদের

    Arijit Singh: জনপ্রিয়তায় শীর্ষে! অরিজিতের টেক্কা হলিউডের তারকাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হলিউডের তাবড় তারকাদের পিছনে ফেললেন বাংলার গায়ক অরিজিত্‍ সিং (Arijit Singh)। সঙ্গীত স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাইয়ে ফলোয়ারের সংখ্যায় তিনিই এখন বিশ্বের সেরা শিল্পী। ২০২৫ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত অরিজিৎ সিংয়ের ফলোয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫১ মিলিয়ন, যা তাকে টেলর সুইফট, এড শিরান, বিলি আইলিশ, এমনকী কে-পপ ব্যান্ড বিটিএসের চেয়েও এগিয়ে দিয়েছে।

    জনপ্রিয়তার নিরিখে কোথায় কারা

    ২০১৯ সালে ভারতে এসেছে স্পটিফাই। ছয় বছর সময় পেয়েছেন ভারতের শিল্পীরা। তার মধ্যে অরিজিত্‍ (Arijit Singh) যেভাবে এশিয়া থেকে উঠে এলেন তালিকার শীর্ষে, তা নিয়ে এখন চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। অরিজিৎ সিংয়ের অনুষ্ঠান মানেই মানুষের উপচে পড়া মানুষের ভিড়। তাঁর গানের মূর্ছনায় মুহূর্তে ভাসেন অনুরাগীরা। তাঁর গান যেমন আনন্দ দেয়, তেমনই অবলীলায় আবেগে ভাসাতে পারে। বিশ্বের সংগীতমঞ্চে ইতিহাস গড়লেন অরিজিৎ সিং। আন্তর্জাতিক পপ আইকনদের পিছনে ফেলে স্পটিফাই (Spotify)-র সবচেয়ে বেশি ফলোয়ারের মালিক এখন বাংলার ছেলে! এই মুহূর্তে স্পটিফাই-তে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ছুঁয়েছে ১৫১ মিলিয়ন—যেখানে আমেরিকান সুপারস্টার টেলর সুইফট রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে (১৩৯.৬ মিলিয়ন) এবং ব্রিটিশ গায়ক এড শিরান তৃতীয় (১২১ মিলিয়ন)। সপ্তাহের শুরুতেই চার্টমাস্টার্স (Chartmasters) এবং ভোল্ট।এফএম (Volt.fm)-এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিলি আইলিশ (১১৪ মিলিয়ন), আর পঞ্চম স্থানে দ্য উইকেন্ড (১০৭.৩ মিলিয়ন)। এই শীর্ষ দশের তালিকায় আছেন আরও কিছু হেভিওয়েট নাম—আরিয়ানা গ্র্যান্ডে, এমিনেম, ড্রেক, ব্যাড বান্নি এবং জাস্টিন বিবার।

    অনুরাগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে

    বিশ্বমানের শিল্পী, জগৎজোড়া খ্যাতি। তবু থাকেন মাটির কাছাকাছি। শিকড়ের টানে মুম্বই ছেড়ে আসেন জন্মভিটে জিয়াগঞ্জে। সেখানেই দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসার। সাফল্য ও অর্থ নাকি মানুষের মাথা ঘুরিয়ে দেয়। কিন্তু সেখানেই সকলের থেকে আলাদা অরিজিৎ (Arijit Singh)। তাঁকে নিয়ে এমনটাই দাবি করেছেন সমসাময়িকরা। অর্থ, প্রতিপত্তি কম নেই, কিন্তু দেখনদারি নেই অরিজিতের। জিয়গঞ্জের বাড়ি ছাড়া নাভি মুম্বইয়ে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট আছে তাঁর এ ছাড়াও প্রায় ৩ কোটির গাড়ি রয়েছে। যদিও অধিকাংশ সময় স্কুটি করেই ঘুরতে দেখা যায় তাঁকে। পোশাকেও নেই কোনও বাহুল্য। মাটির কাছাকাছি থাকতেই ভালবাসেন গায়ক। ২০২৪ সালে অরিজিৎ সিংয়ের গাওয়া কেশরিয়া, তুম কেয়া মিলে, ধুন, জানে তু গানগুলো স্থান পেয়েছে বছরের সর্বাধিক স্ট্রিমিং হওয়া গানের তালিকায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

  • BrahMos Strike: ‘স্রেফ ৩০ সেকেন্ড সময় ছিল’! ব্রহ্মস হামলায় কাঁপে পাক সেনার ‘নার্ভ সেন্টার’, স্বীকার শেহবাজের উপদেষ্টার

    BrahMos Strike: ‘স্রেফ ৩০ সেকেন্ড সময় ছিল’! ব্রহ্মস হামলায় কাঁপে পাক সেনার ‘নার্ভ সেন্টার’, স্বীকার শেহবাজের উপদেষ্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সময় চাপে ছিল পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। এতদিনে সেই কথা মানলেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বিশেষ উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ভারতের নিক্ষিপ্ত ব্রহ্মস সুপারসনিক মিসাইল (BrahMos Strike) যখন পাকিস্তানের চট্টগ্রামের নুর খান এয়ারবেসে আঘাত হানে, তখন পাকিস্তানের কাছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় ছিল মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড। মিসাইলটি পারমাণবিক কিনা তা নির্ধারণ করাই ছিল লক্ষ্য।

    ব্রহ্মস আক্রমণের প্রেক্ষাপট

    চলতি বছর ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে এক ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় পাকিস্তান ঘেঁষা সন্ত্রাসীরা ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করে। এই ঘটনার জবাবে ভারত ৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করে। লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বাহিনী। নিহত হয় ১০০-র বেশি জঙ্গি। পাকিস্তান পাল্টা ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালালে সেগুলি প্রতিহত করে ভারতীয় প্রতিরক্ষা। এরপর ভারত সোজাসুজি পাক সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ব্রহ্মস হামলা চালায়। ৯ মে রাত থেকে ১০ মে ভোর পর্যন্ত একযোগে ১১টি পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে হামলা হয়— যার মধ্যে ছিল সর্গোধা, রফিকি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চকলালার নুর খান এয়ারবেস।

    কেন এত গুরুত্বপূর্ণ নুর খান ঘাঁটি?

    নুর খান এয়ারবেস পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ভিআইপি ফ্লিট, তুরস্ক থেকে কেনা উন্নত ড্রোন (Bayraktar TB2), এবং স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড সেন্টারের কেন্দ্রবিন্দু। এটি রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতরের পাশেই। এমন স্পর্শকাতর স্থানে ভারতের এই সুপারসনিক হামলা ছিল নজিরবিহীন।

    ব্রহ্মসের গতি এবং পাকিস্তানের বিভ্রান্তি

    ব্রহ্মস একটি ইন্দো-রাশিয়ান যৌথভাবে তৈরি সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এটি মাক ২.৮–৩.০ (প্রায় ৩৪৫০ কিমি/ঘণ্টা) গতিতে ছুটে আসে এবং মাটির কাছাকাছি উড়ে আসায় সহজে ধরা যায় না। রানা সানাউল্লাহ বলেন, “এই মিসাইল যদি পারমাণবিক হতো, পাকিস্তানের সামনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ছিল মাত্র ৩০ সেকেন্ড। পরিস্থিতিটা ছিল সত্যিই ভয়ানক।” তিনি এটিকে বিশ্ব যুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি করার মতো বিপজ্জনক পরিস্থিতি বলেও মন্তব্য করেন। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, নুর খান ঘাঁটিতে রানওয়ে ভাঙা, হ্যাঙ্গার বিধ্বস্ত, রাডার ইনস্টলেশন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একই ধ্বংসের ছবি দেখা যায় সর্গোধা, ভোলারি, রহিম ইয়ার খান, ও সুক্কুর ঘাঁটিতে। এই হামলায় পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা কার্যত বিপর্যস্ত হয়। পাকিস্তান শুরুতে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার স্বীকার করেন— “ভারত দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটিতে হামলা করেছে।”

    যুদ্ধবিরতির বিতর্ক

    পাকিস্তান দাবি করে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যস্থতা করে যুদ্ধবিরতি করান এবং তাঁকে শান্তির নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার কথাও বলেন রানা সানাউল্লাহ। তবে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক তা খণ্ডন করে জানায়, পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন (DGMO) নিজেই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠান। আসলে ভারতের হামলায় দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল ইসলামাবাদ। রানা সানাউল্লাহ-এর কথা থেকেই তা স্পষ্ট। তবে পারমাণবিক হামলায় যে আশঙ্কার কথা রানা সানাউল্লাহ উল্লেখ করছেন, তা অমূলক। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র নীতির (No First Use) ভিত্তিতে পাকিস্তানের বোঝা উচিত ছিল, ব্রহ্মসে পারমাণবিক ওয়ারহেড থাকার সম্ভাবনা কম। এই কথা বলে পাকিস্তান পাকিস্তান আন্তর্জাতিকভাবে সহানুভূতি আদায় করতে চাইছে।

    পাকিস্তানের আতঙ্ক

    পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও সম্প্রতি স্বীকার করে নিয়েছিলেন ভারতের ব্রহ্মস মিসাইলে বিপর্যস্ত হয়েছিল পাক বায়ুসেনা ঘাঁটি। যার মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দর। আজারবাইজানে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, পাক বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল ভারত। পাকিস্তান তার আগেই হামলার মতলব কষেছিল। কিন্তু তাদের হতভম্ব করে আগেই হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের সব রণকৌশল ব্যর্থ করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। এবার সেই পাক আতঙ্কের কথা জানালেন সানাউল্লাহও। এই ব্রহ্মস হামলা পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কতটা অসহায় করে দিয়েছিল, রানা সানাউল্লাহর স্বীকারোক্তি থেকে তা জলের মতো পরিষ্কার।

  • PM Modi in Trinidad and Tobago: নারী শক্তির প্রশংসা, লারা-নারাইনের গল্প! ত্রিনিদাদ-টোবাগোর সংসদে অকপট মোদি

    PM Modi in Trinidad and Tobago: নারী শক্তির প্রশংসা, লারা-নারাইনের গল্প! ত্রিনিদাদ-টোবাগোর সংসদে অকপট মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের ভক্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয়রাও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের সমর্থক। শুধু যখন শচিন বনাম লারা খেলা হতো তখন বিষয়টা আলাদা। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবারের এই ঐতিহাসিক ভাষণে মোদি কূটনৈতিক বন্ধুত্বের পাশাপাশি ক্রিকেটপ্রেমের উল্লেখ করে বলেন, “আমাকে বলতেই হবে, ভারতীয়রা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম উৎসাহী সমর্থক। আমরা তাদের জন্য মনপ্রাণ দিয়ে গলা ফাটাই — শুধু তখন নয়, যখন তারা ভারতের বিরুদ্ধে খেলছে।”

    ভারতীয় স্পন্দনের সঙ্গে ক্যারিবিয়ান ছন্দ

    ক্রিকেটের মাধ্যমে ভারত ও ক্যারিবিয়ান দেশের বন্ধুত্বের উষ্ণতা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর মজার মন্তব্যে অধিবেশনকক্ষে হাসি ও করতালির রোল পড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বক্তব্যে ভারত ও ত্রিনিদাদ-টোবাগোর ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও গণতান্ত্রিক বন্ধনের উল্লেখ করেন। তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানান ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রবাসীদের প্রতি, যাঁরা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তিনি বলেন, “প্রায় ১৮০ বছর আগে দীর্ঘ ও কষ্টকর সমুদ্রযাত্রার পর ভারতীয়রা এই দেশে এসে পৌঁছেছিলেন। সেই ভারতীয় স্পন্দন আজ ক্যারিবিয়ান ছন্দের সঙ্গে একাকার হয়ে গিয়েছে। রাজনীতি থেকে কবিতা, ক্রিকেট থেকে বাণিজ্য—সব ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান আজ গর্বের বিষয়।”

    ২৫ বছর আগের ঘটনা

    ক্রিকেটে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে সুগভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী মোদি সেখানে পৌঁছনোর পরে ক্রিকেটারদের কথাও উল্লেখ করেন। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে ক্রিকেট খুব জনপ্রিয়। এখান থেকে অনেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার এসেছেন। যাঁদের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার ব্রায়ান লারাও রয়েছেন। তাঁকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি ঘটনাও শোনান। তিনি বলেন, “২৫ বছর আগে যখন আমি এখানে এসেছিলাম, তখন সবাই লারার পুল শট, তাঁর কাট শটের প্রশংসা করতে ক্লান্ত হতো না।” প্রধানমন্ত্রী এর পরে পুরান এবং নারাইনেরও প্রশংসা করেন, এই দুজনেই ভারতে হওয়া বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট লিগ, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (IPL) খেলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ সুনীল নারাইন এবং নিকোলাস পুরান আমাদের যুবকদের মধ্যে উৎসাহ জোগান, সেই থেকে এখনও পর্যন্ত আমাদের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে।”

    নেতৃত্বে নারী শক্তি

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর নেতৃত্বে নারী শক্তির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই দেশের জনগণ দু’জন অসাধারণ নারী নেত্রীকে তাদের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচিত করেছেন — রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। তাঁরা নিজেদের ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে গর্বের সঙ্গে পরিচয় দেন।” ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সংসদে নারীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতিতেও খুশি হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই সংসদে এত নারী সদস্য দেখে আমি আনন্দিত। ভারতে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, সংস্কৃতির অন্তর্গত। আমাদের পবিত্র স্কন্দ পুরাণেও বলা হয়েছে — একটি কন্যা সন্তান দশটি পুত্র সন্তানের সমান আনন্দ বয়ে আনে। আমরা আধুনিক ভারতের নির্মাণে নারী শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করছি।” তিনি আরও বলেন, “অন্তরীক্ষ থেকে ক্রীড়া, স্টার্টআপ থেকে বিজ্ঞান, শিক্ষা থেকে উদ্যোগ, বিমান চলাচল থেকে সশস্ত্র বাহিনী — সর্বত্র নারীরা ভারতের ভবিষ্যৎ নির্মাণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”

    গণতন্ত্রের জয়গান

    এদিন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “ভারতের কাছে গণতন্ত্র শুধু একটি রাজনৈতিক মডেল নয়, বরং একটি জীবনধারা। আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। এখানে উপস্থিত বহু সংসদ সদস্যের পূর্বপুরুষ বিহার থেকে এসেছিলেন, যা ছিল মহাজনপদের — প্রাচীন প্রজাতন্ত্রের — কেন্দ্র।” তিনি যোগ করেন, “আমাদের দুই দেশই ঔপনিবেশিক শাসনের ছায়া থেকে উঠে এসে সাহসের কালি ও গণতন্ত্রের কলমে নিজেদের গল্প নিজেরাই লিখেছে।”

    মোদিকে বিশেষ সম্মান

    উত্তর অতলান্তিক সাগরের ছোট্ট দু’টি দ্বীপ! আর তা নিয়েই ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, একটা রাষ্ট্র। সেখান থেকেই বিশেষ সম্মানেও ভূষিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘অর্ডার অফ দ্য রিপাবলিক অফ ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো’ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। তিনি হলেন দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রথম বিদেশি নেতা, যিনি এই মর্যাদা পেলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির ঝুলিতে এখন ২৫টি আন্তর্জাতিক সম্মাননা। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর রাষ্ট্রপতি ক্রিস্টিন কাঙ্গালু প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার প্রদান করেছেন। পুরস্কার গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমি এই সম্মান ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে গ্রহণ করছি। এই পুরস্কার দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের বন্ধনের প্রতীক।” তিনি আরও বলেন, “এই সম্পর্কের মূলে রয়েছে আমাদের যৌথ ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, যা ১৮০ বছর আগে এই দেশে আগত ভারতীয়দের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে।” প্রধানমন্ত্রী মোদির এই ঐতিহাসিক সফরের মাধ্যমে ভারত ও ত্রিনিদাদ-টোবাগোর সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলেই আশাবাদী দুই দেশ।

  • PM Modi in Trinidad and Tobago: ভারতীয় শিকড়ের প্রশংসা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিহারের মেয়ে’ বললেন মোদি

    PM Modi in Trinidad and Tobago: ভারতীয় শিকড়ের প্রশংসা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিহারের মেয়ে’ বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মিকভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত ভারত ও ত্রিনিদাদ। ক্যারিবিয়ান এই দ্বীপপুঞ্জে ৪০ শতাংশ মানুষই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসারকে বিহারের মেয়ে বলে সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Trinidad and Tobago)৷ তাঁর জন্য উপহার হিসেবে সরযু নদী এবং মহাকুম্ভের পবিত্র জলও নিয়ে এসেছেন বলে জানালেন মোদি৷ পাঁচটি দেশ সফরের দ্বিতীয় ধাপে বৃহস্পতিবার ত্রিনিদাদ ও টোবাগো পৌঁছছেন ভারতের মোদি। পিয়ারকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসর। তাঁকে ঘিরেই আয়োজন করা হয়েছিল এক জাঁকজমকপূর্ণ আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা ও গার্ড অফ অনার।

    বিহারের মেয়ে কমলা

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Trinidad and Tobago) সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসরকে “বিহারের মেয়ে” বলে অভিহিত করেন। স্থানীয় ভারতীয় সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, কমলা প্রসাদ-বিসেসরের পূর্বপুরুষরা বিহারের বক্সার জেলা থেকে এসেছিলেন এবং তিনিও সেই স্থান পরিদর্শন করেছেন। মোদি বলেন, “আমরা শুধু রক্ত বা পদবিতে নয়, আত্মিকভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত। ভারত তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, তোমাদের সাদরে স্বাগত জানায়। কমলা জির পূর্বপুরুষরা বিহারের বক্সার থেকে এসেছিলেন। তিনি নিজেও সেখানে গিয়েছেন। মানুষ তাঁকে বিহারের মেয়ে বলে মনে করে।” তাই কমলার জন্য মোদি উপহার হিসেবে নিয়ে গিয়েছেন মহাকুম্ভের পবিত্র জল এবং রাম মন্দিরের একটি প্রতিরূপ। প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতে উপহার তুলে দিয়েছেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসারের হাতে। এদিন কমলা প্রসাদ বিসেসারের সঙ্গে বৈঠকও করেন মোদি। এই বৈঠক দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

    বিহার থেকে নতুন সম্ভাবনার সূচনা

    কমলা প্রসাদ-বিসেসরের রাজনৈতিক জীবন বহু ঐতিহাসিক প্রথমের সাক্ষী। ১৯৮৭ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন কমলা। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিরোধী দলনেত্রী হন তিনি। এছাড়া তিনি কমনওয়েলথ নেশনসের প্রথম মহিলা চেয়ারপার্সন। ভারত ও উপমহাদেশের বাইরের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী তিনি। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “বিহারের ঐতিহ্য ভারতের গর্ব, সারা বিশ্বের গর্ব… বিহার বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পৃথিবীকে পথ দেখিয়ে এসেছে। ২১শ শতাব্দীতেও বিহার থেকে নতুন সম্ভাবনার সূচনা হবে।” উল্লেখ্য, ২০১২ সালে বিহারের বক্সারের ভেলপুরের গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ৷

    গিরমিতিয়া সম্প্রদায়ের কথা

    ত্রিনিদাদে প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে আলাদা করে গিরমিতিয়া সম্প্রদায়ের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ উনিশ ও বিশ শতাব্দীতে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে বহু শ্রমিককে ব্রিটেন অধীনে থাকা কয়েকটি দেশে নিয়ে গিয়েছিল ব্রিটিশরা ৷ সেই সূত্র ধরেই অন্য আরও কয়েকটি জায়গার মতো ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোয় ভারতীয়দের আসা ৷ এ প্রসঙ্গ তুলে ধরে মোদি বলেন, “প্রবাসী ভারতীয় দিবসে আমি গিরমিতিয়া সম্প্রদায়কে সম্মান জানাতে উদ্যোগ নিয়েছি ৷ তাঁদের জন্য যা যা করা দরকার সেটা আমি করেছি ৷” তাঁর মতে, এ দেশে ভারতীয় আসা এবং তারপর নিজের যোগ্যতায় দেশের উন্নতিতে সামিল হওয়ার নেপথ্যে আছে লড়াকু মানসিকতা ৷

    ভারতীয় পোশাকে স্বাগত মোদি

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে পৌঁছনোর পর সেখানকার প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসার ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাকে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে সম্মান জানানোর জন্য ত্রিনিদাদ ও টোবাগো তাদের সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার ‘দ্য অর্ডার অফ দ্য রিপাবলিক অফ ত্রিনিদাদ ও টোবাগো’ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় নরেন্দ্র মোদিকে। হোটেলে পৌঁছনোর পরে প্রবাসী ভারতীয়রা তাঁকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ও ‘মোদি, মোদি’ ধ্বনিতে স্বাগত জানান। এক অর্কেস্ট্রা পারফরম্যান্সের পর পরিবেশিত হয় ভজন। এই সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর রাষ্ট্রপতি ক্রিস্টিন কার্লা কাংগালুর সঙ্গেও বৈঠক করবেন। সে দেশের সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ারও কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির।

    বেনারস, পাটনা, কলকাতা ও দিল্লির নামে রাস্তা ত্রিনিদাদে

    প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর ২৫ বছর আগের ত্রিনিদাদ সফরের স্মৃতিও স্মরণ করেন এবং বলেন, সেই সময় থেকে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে। তিনি দুই দেশের সাংস্কৃতিক সংযোগের কথাও উল্লেখ করেন, জানিয়ে দেন ত্রিনিদাদে বেনারস, পাটনা, কলকাতা ও দিল্লির নামেও রাস্তার নামকরণ হয়েছে। মোদি বলেন, “এই দ্বীপে নবরাত্রি, মহাশিবরাত্রি ও জন্মাষ্টমী উৎসাহ, শ্রদ্ধা ও গর্বের সঙ্গে পালন করা হয়। চৌতাল ও বৈঠক গান এখানেও সমানভাবে জনপ্রিয়। আমি এখানে অনেক পরিচিত মুখ দেখতে পাচ্ছি।” বৃহস্পতিবার মোদির ত্রিনিদাদ আগমনে তাঁকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। পিয়ারকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসর, সঙ্গে ছিলেন ৩৮ জন মন্ত্রী ও চারজন সংসদ সদস্য। তাঁকে গার্ড অফ অনারও প্রদান করা হয়।

    ত্রিনিদাদে ভারতের ছোঁয়া

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রায় ৪০% মানুষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় ৫,৫৬,৮০০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষ বসবাস করেন। এর মধ্যে প্রায় ১,৮০০ জন এনআরআই, বাকিরা স্থানীয় নাগরিক যাদের পূর্বপুরুষরা ১৮৪৫ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক হিসেবে ভারতে থেকে সেখানে গিয়েছিলেন। যদিও ত্রিনিদাদ ও টোবাগো আয়তনে ভারতের জোধপুর থেকেও ছোট, তবুও দেশটির সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে ভারতীয় সম্প্রদায়ের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের খাবার, সংগীত, ভাষা ও ধর্মীয় উৎসবে এখনও স্পষ্টভাবে ভারতীয় ঐতিহ্যের ছাপ দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন ঘোষণা করেন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে বসবাসরত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ষষ্ঠ প্রজন্মকেও এবার থেকে ওভারসিজ সিটিজেন অব ইন্ডিয়া (OCI) কার্ড প্রদান করা হবে।

    ত্রিনিদাদে হিন্দুত্বের বিকাশ

    এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রথম ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফর এবং ১৯৯৯ সালের পর প্রথমবার কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সফরে এই দেশে এলেন। মোদির কথায়, “ভারত এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর বন্ধুত্ব আগামী দিনে আরও ভাল জায়গায় পৌঁছক, এই কামনা করি।” ত্রিনিদাদের প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে মোদি বলেন, “শ্রী রামের প্রতি আপনাদের বিশ্বাসের কথা জানি। ভগবান রামের পবিত্র শহর এত সুন্দর যে তার মহিমা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। আমি নিশ্চিত যে আপনারা সকলেই রামলালার অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনকে অত্যন্ত আনন্দের সাথে স্বাগত জানিয়েছেন। আপনারা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের সময় পবিত্র জল এবং শিলা পাঠিয়েছিলেন, তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।” এরপরই মোদি বলেন, “আপনারা সকলেই জানেন, এ বছরের শুরুর দিকে মহাকুম্ভ মেলা হয়েছিল ৷ আমার সৌভাগ্য আমি সেই জল আপনাদের জন্য নিয়ে আসতে পেরেছি ৷”

  • India England 2nd Test: শুভমনের দ্বিশতরান, ছাপিয়ে গেলেন সচিন-কোহলিকে! যোগ্য হাতেই ভারতের টেস্ট ক্রিকেটের ব্যাটন

    India England 2nd Test: শুভমনের দ্বিশতরান, ছাপিয়ে গেলেন সচিন-কোহলিকে! যোগ্য হাতেই ভারতের টেস্ট ক্রিকেটের ব্যাটন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এজবাস্টনে ইতিহাস লিখলেন শুভমন গিল (Shubman Gill)। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে (India England 2nd Test) তাঁর ২৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রান করল ভারত। ১৮ বছর পর আবার ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে এক ইনিংসে ৫০০ রানের বেশি করল ভারত। একের পর এক নজির গড়লেন ভারত অধিনায়ক। ছাপিয়ে গেলেন সুনীল গাভাসকর, শচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলিদের। প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টা ক্রিজে থেকে এজবাস্টনে প্রথম ইনিংসে একাই প্রায় ৬৫ ওভারের বেশি ব্যাট করে ফেলেছেন শুভমন গিল।

    শুভমনের নজির

    ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে টেস্টে সর্বাধিক রানের ইনিংস খেললেন শুভমন। এর আগে সেই রেকর্ড ছিল কোহলির দখলে। তিনি ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অপরাজিত ২৫৪ রান করেছিলেন। শুভমনই এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রথম অধিনায়ক যিনি ইংল্যান্ডের মাটিতে দ্বিশতরান করেছেন। এর আগে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক তিলকরত্নে দিলশান ইংল্যান্ডের মাটিতে ১৯৩ রান করেছিলেন। ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সর্বাধিক রান করলেন শুভমন। এত দিন সেই রেকর্ড ছিল সুনীল গাভাসকরের দখলে। ১৯৭৯ সালে ওভালে ২২১ রান করেছিলেন তিনি। ৪৬ বছর পুরনো রেকর্ড ভেঙেছেন শুভমন। এশিয়ার বাইরে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সর্বাধিক রান করেছেন শুভমন। এত দিন এই রেকর্ড ছিল সচিনের দখলে। ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ২৪১ রান করেছিলেন তিনি। ২১ বছর পর এজবাস্টনে ভাঙল সেই রেকর্ড।

    শক্ত হাতে ভারতীয় ক্রিকেট

    ত্রিশতরান হাতছাড়া হলেও কঠিন পরিস্থিতিতে যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ভালবাসেন, তা বুঝিয়ে দিলেন শুভমন গিল। তাঁর হাতে দলের ব্যাটন তুলে দিয়ে বিসিসিআই যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা-ও বুঝিয়ে দিলেন আইপিএলে গুজরাট-টাইটান্সের ক্যাপ্টেন। গত ৫০ বছরে টেস্টে ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাটন বদলেছে। সুনীল গাভাসকরের কাছ থেকে পেয়েছিলেন শচিন তেন্ডুলকর। দুই দশকের বেশি সময় ধরে তিনি সেই দায়িত্ব সামলেছেন। নিজের চার নম্বর জায়গা তিনি ছেড়ে গিয়েছিলেন কোহলিকে। শচিনের মান রেখেছেন কোহলি। শুধু ব্যাটার হিসেবে নয়, অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে আরও উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কোহলির ছেড়ে দেওয়ার চার নম্বর জায়গা মাত্র দুই টেস্টেই নিজের করে নিয়েছেন শুভমন। মাত্র দুই টেস্টেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, শক্ত হাতে রয়েছে ভারতের টেস্ট ক্রিকেট।

    কোন রসায়নে সাফল্য

    শুভমন যখন ১৯৯ রানে খেলছেন তখনও তাঁকে বাউন্সার করেন জশ টং। তাতে শুভমনের কোনও সমস্যা হয়নি। ফাইন লেগে পুল মেরে নিজের প্রথম দ্বিশতরান করেছেন তিনি। তার পরেও থামেননি। শেষ পর্যন্ত থেমেছেন ২৬৯ রানে। তাঁর ইনিংসে ছিল ৩০টি চার ও তিনটি ছক্কা। ধুম-ধারাকা আইপিএলের পর ক্লাসিকাল ক্রিকেটে ধ্রুপদী ইনিংস। শুভমন বলেন, ‘আমাদের দল ভাল জায়গায় আছে। আমি কয়েকটা দিক নিয়ে পরিশ্রম করেছিলাম। আইপিএল শেষ হওয়ার পর বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম যা টেস্ট ক্রিকেটের আগে খুব জরুরি ছিল। এখনও পর্যন্ত যা দেখছি, সেগুলো আমাকে সাহায্য করেছে।’

    মুগ্ধ ইংল্যান্ডও

    শুভমনের ইনিংস দেখে উচ্ছ্বসিত ইংল্যান্ড শিবিরও। মুগ্ধতার ছবিটা কেমন? প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ দিনের শেষ বলটা করতেই ব্যাট বগলদাবা করে ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা শুরু করলেন হ্যারি ব্রুক। অপর অপরাজিত ব্যাটার জো রুটকে দেখা গেল উল্টো দিকে হাঁটা দিলেন। তিনি এগিয়ে গেলেন শুভমন গিলের দিকে। করমর্দন করলেন ভারতের অধিনায়কের সঙ্গে। ইংল্যান্ড তো বটেই, বর্তমান বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার অভিনন্দন জানাতে এগিয়ে যাচ্ছেন, এটাই শুভমনের ইনিংসের সার্থকতা।

    অ্যাডভান্টেজ ভারত

    এজবাস্টনে শুভমনের সামনে অসহায় দেখিয়েছে ইংরেজ বোলিংকে। এখানকার পাটা উইকেটে ২১১ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। শুভমন জানতেন, অন্তত ৪০০ রান করার লক্ষ্য ছিল তাঁর। শুভমনকে সাহায্য করলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিন বছর আগে এই মাঠেই শতরান করেছিলেন জাদেজা। তিনি ভাল খেললেন। দু’জনের মধ্যে ২০৩ রানের জুটি হল। তাতে চাপ অনেক কমে গেল শুভমনের উপর। জাদেজা আউট হওয়ার পর শুভমনের ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায়। বাংলার পেসার আকাশ দীপ পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। তৃতীয় ওভারে দুই উইকেট খুইয়ে ইংল্যান্ড যখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল, তখন আবার মহম্মদ সিরাজ বাধা হয়ে দাঁড়ান। অপর ওপেনার ক্রলিকে ফেরান তিনি। মাত্র ২৫ রানে তিন উইকেট খুইয়ে বসে ইংরেজ বাহিনী। এরপর জো রুট ও হ্যারি ব্রুক ম্যাচের হাল ধরেন। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ৩ উইকেটে ৭৭ রানে শেষ হয় দ্বিতীয় দিনের খেলা। ম্যাচের যা পরিস্থিতি তাতে বলাই যায়, অ্যাডভান্টেজ টিম ইন্ডিয়া।

  • Covid Vaccine: করোনা-পরবর্তীকালে বাড়ছে আকস্মিক মৃত্যু! ভ্যাকসিনের যোগ নেই, জানাল কেন্দ্র

    Covid Vaccine: করোনা-পরবর্তীকালে বাড়ছে আকস্মিক মৃত্যু! ভ্যাকসিনের যোগ নেই, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এবং এইমসের বিশদ গবেষণা থেকে এটা স্পষ্ট যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) এবং কোভিড-১৯ পরবর্তীকালে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে আকস্মিক মৃত্যুর কোনও যোগসূত্র নেই। দেশে ৪০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় এই গবেষণাটি করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, কোভিড ভ্যাকসিন এবং অল্পবয়স্কদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। জাতীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে জীবনযাপন এবং আগে থেকে থাকা শারীরিক অসুস্থতাই এই আকস্মিক মৃত্যুর প্রধান কারণ।

    কেন এই মৃত্যু

    ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) এবং অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)-এর যৌথভাবে পরিচালিত বিস্তৃত গবেষণায় এটি নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে কোভিড-১৯ টিকা (Covid Vaccine) গ্রহণ এবং টিকা পরবর্তী প্রাপ্তবয়স্কদের হঠাৎ মৃত্যুর মধ্যে কোনও প্রত্যক্ষ যোগসূত্র নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইসিএমআর ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (NCDC)-এর গবেষণাগুলি প্রমাণ করে যে ভারতে ব্যবহৃত কোভিড টিকাগুলি নিরাপদ ও কার্যকর। খুবই বিরল কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও, হঠাৎ হৃদ্‌রোগজনিত মৃত্যু একাধিক কারণে হতে পারে—যেমন জিনগত কারণ, জীবনধারা, পূর্ববর্তী স্বাস্থ্য সমস্যা এবং কোভিড-পরবর্তী জটিলতা।

    দুটি পৃথক গবেষণা

    এই বিষয়ে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে দুটি পৃথক গবেষণা পরিচালিত হয়েছে—একটি পূর্বের তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং অন্যটি চলমান রিয়েল-টাইম ভিত্তিতে। প্রথম গবেষণার ফলাফলে দেখা গিয়েছে, ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের মধ্যে টিকাকরণ (Covid Vaccine) হঠাৎ মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায় না। এইমস, নয়াদিল্লি কর্তৃক পরিচালিত দ্বিতীয় গবেষণাটি এখনও চলছে। প্রাথমিক বিশ্লেষণে জানা গিয়েছে, এই বয়সের মানুষের হঠাৎ মৃত্যুর প্রধান কারণ হৃদ্‌রোগ বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে যে বিজ্ঞানীরা বারবার বলছেন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং আকস্মিক মৃত্যুর মধ্যে যোগসূত্র সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “চূড়ান্ত প্রমাণ ছাড়া এমন দাবি অথবা ভাবনা জনসাধারণের মধ্যে ভ্যাকসিন সম্পর্কে অনাস্থা তৈরি করতে পারে। যা অতিমারীর সময় লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে ভ্যাকসিন নেওয়ার পাশাপাশি জীবনযাত্রার সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা এবং সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো বেশি জরুরি।

LinkedIn
Share