Author: ishika-banerjee

  • ICC Champions Trophy: জাদু জাদরানের! আফগান ঝড়ে চ‍্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় ইংল্যান্ডের

    ICC Champions Trophy: জাদু জাদরানের! আফগান ঝড়ে চ‍্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় ইংল্যান্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) থেকে বিদায় নিল ইংল্যান্ড। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ৮ রানে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করল আফগানিস্তান। ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের (Ibrahim Zadran) রেকর্ড ইনিংসে শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল আফগানিস্তান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৪৬ বলে ১৭৭ রান করলেন জাদরান। যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সর্বাধিক। সেঞ্চুরি করে ভারতীয় সংস্কৃতিকেও সম্মান জানালেন আফগান ক্রিকেটার ইব্রাহিম জাদরান। শতরানের পর ভারতীয় সমর্থকদের উদ্দেশে দুই হাত এক করে নমস্কারের ভঙ্গিতে উৎসবে ভাসেন। জাদরানের এই ছবি সোশাল সাইটে ভাইরাল।

    আফগানদের দাপট

    এক দিনের বিশ্বকাপের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও (ICC Champions Trophy) হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হেরে গেল ইংল্যান্ড। আফগানদের এই জয়ের গায়ে ‘অঘটন’ তকমা সাঁটিয়ে দেওয়া যায় না। কারণ বার বার অঘটন হয় না। সাদা বলের বড় প্রতিযোগিতায় আফগানিস্তানের ধারাবাহিক সাফল্য ক্রিকেট বিশ্বকে আর চমকে দেয় না। পুলকিত করে। বুধবার লাহোরের বাইশ গজে ম্যাচের শুরুটা ভাল হয়নি আফগানিস্তানের। ৩৭ রানের মধ্যে তিন উইকেট চলে গিয়েছিল তাদের। গুরবাজ (৬), সেদিকুল্লা অটল (৪) এবং রহমত শাহ (৪) অল্প রান করে আউট হয়ে যান। সেখান থেকে ইনিংস গড়ার কাজটা করেন জাদরান এবং অধিনায়ক শাহিদি। তাঁরা ১০৩ রানের জুটি গড়েন। প্রথমে ব্যাট করে হশমতুল্লা শাহিদির দল ৭ উইকেটে ৩২৫ রান করে। ইব্রাহিম জাদরানের নজির গড়া ১৭৭ রানের ইনিংসে ভর করে জস বাটলারদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় আফগানরা। জবাবে ইংল্যান্ড করল ৪৯.৫ ওভারে ৩১৭। ৮ রানে হারায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে তৃতীয় দল হিসাবে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল ইংল্যান্ডের। কাজে এল না জো রুটের ১২০ রানের লড়াকু ইনিংস।

    সচিন ভক্ত জাদরান

    গত কয়েক বছর ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দাপট দেখাচ্ছে আফগানিস্তান। এশিয়া থেকে নতুন শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে তারা। লড়াকু মনোভাব, হার-না-মানা লড়াই এবং ক্রিকেটবিশ্বের ‘দৈত্য’ দেশগুলিকে হারিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে জন্ম দিয়েছে একের পর এক প্রতিভাবান ক্রিকেটারের। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন ইব্রাহিম জাদরান। ইংল্যান্ডের তারকা বোলারদের পিটিয়ে যিনি বুধবার ১৭৭ রান করেছেন। ২০২৩ একদিনের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর ম্যাচ জেতানো ৮৭ রান এখনও সমর্থকদের মুখে মুখে ঘোরে। বিশ্বকাপের আসরেই জাদরানের সঙ্গ কথাহয় তাঁর স্বপ্নের ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকরের। আফগানিস্তানের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে আলাদা করে জাদরানে কিছু পরামর্শ দেন সচিন। তার পরেই সেই ম্যাচে শতরান করেন আফগান তারকা। ১৪৩ বলে ১২৯ রান করেছিলেন। সেই ম্যাচের পর জাদরান বলেছিলেন, “সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে অনেক কথা বলেছিলাম। নিজের ক্রিকেটজীবনের কথা শুনিয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নামার আগে দলের সবাইকে বলেছিলাম, আজ সচিনের মতো ব্যাট করব। সেটাই করেছি।” এদিনও ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষে ইব্রাহিম বলেন, “আত্মবিশ্বাস ও শৃঙ্খলার কারণে এই রান করেছি। আমি খেলার আগে কোচদের অনেক পরামর্শ নিই। রাশিদ খানের সাথে কথা বলি। রাশিদ অনেক পরামর্শ দেন। নেটে অতিরিক্ত সময় কাটাই। প্রচুর পরিশ্রম করেছি। মাথায় শুধু একটাই ভাবনা, দলকে জেতাতে হবে। তাছাড়া কিছুই ভাবিনি। প্রথমে ৪০ রান পর্যন্ত টার্গেট করেছিলাম। তারপর থেকে ৫০, ৬০, ৭০ এই ভাবে এগোতে থাকি। তাতেই সাফল্য এসেছে।”

  • Hyperloop Test Track: ৩০ মিনিটেই বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই! প্রস্তুত ভারতের প্রথম হাইপারলুপ টেস্ট ট্র্যাক

    Hyperloop Test Track: ৩০ মিনিটেই বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই! প্রস্তুত ভারতের প্রথম হাইপারলুপ টেস্ট ট্র্যাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকদিনের। ৩০০ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা সম্ভব হবে মাত্র ৩০ মিনিটে! দিল্লি থেকে জয়পুর বা বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই পৌঁছতে লাগবে মাত্র আধ ঘণ্টা। ভারতের প্রথম ‘হাইপারলুপ টেস্ট ট্র্যাক’ (Hyperloop Test Track) পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় রেলের (Indian Railways) সহায়তায় এই ট্র্যাক বানিয়েছে আইআইটি মাদ্রাজ (IIT Madras)।

    দ্রুত হাইপারলুপ তৈরির চেষ্টা

    রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, যে ট্র্যাক তৈরি করা হয়েছে তা ৪২২ মিটার লম্বা। এই ট্র্যাক দিয়ে গেলে কমপক্ষে ৩৫০ কিলোমিটার পথ ৩০ মিনিট বা তার কমে অতিক্রম করা সম্ভব। এই ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার, যা বুলেট ট্রেনের থেকেও বেশি। সেই প্রেক্ষিতে বলা যায়, হাইপারলুপ দিয়ে দিল্লি থেকে জয়পুর (দুরত্ব মোটামুটি ৩০০ কিলোমিটার) যেতে মাত্র আধ ঘণ্টা সময় লাগবে। ইতিমধ্যে এই প্রজেক্টের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে দু-দফায় ১ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে আইআইটি মাদ্রাজকে। আরও এক দফায় এই টাকা দিতে ইচ্ছুক ভারতীয় রেল মন্ত্রক। আসলে খুব দ্রুত এই হাইপারলুপ প্রজেক্ট বাস্তবায়িত করতে চাইছে তাঁরা।

    হাইপারলুপ ট্রেন কী

    হাইপারলুপ ট্রেন হল যাত্রী এবং মাল বহনের জন্য উচ্চগতির পরিবহন ব্যবস্থা। একটি হাইপারলুপ ট্রেন একটি ভ্যাকুয়াম ক্যাপসুল টিউবের মধ্যে দিয়ে চৌম্বক প্রযুক্তির সাহায্যে একটি পডের উপর চলে। টিউব ঘর্ষণহীন হওয়ায় ট্রেনের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১২০০ কিমিতে পৌঁছতে সক্ষম। যদিও জানা গিয়েছে যে, ভারতীয় রেলের হাইপারলুপ ব্যবস্থার সর্বোচ্চ গতি হতে পারে প্রতি ঘন্টায় ৬০০ কিমি। এই ট্রেনের ক্ষেত্রে টিউবের মধ্যে কোনও বাতাস থাকে না। ফলে ট্রেনটির সামনের দিকে এগোতে বায়ুমণ্ডলের কোনও বাধা থাকে না। তাই অতি দ্রুত ট্রেন এগিয়ে যেতে পারে। তাই একে বলে হাইপারলুপ ট্রেন। সাধারণ ট্রেনের মতো হাইপারলুপ ট্রেনের একাধিক কামরা নেই, মাত্র একটি কামরা থাকে। মূলত বিদ্যুতেই চলে এই অত্য়াধুনিক অতিগতিসম্পন্ন এই ট্রেন।

  • India Bangladesh Relation: ভারতই ভরসা! থমকে একাধিক রেল প্রকল্প, দিল্লির টাকার দিকে তাকিয়ে ঢাকা

    India Bangladesh Relation: ভারতই ভরসা! থমকে একাধিক রেল প্রকল্প, দিল্লির টাকার দিকে তাকিয়ে ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল সাইট থেকে ঢাকার অলিগলি— বাংলাদেশে এখন ভারত-বিদ্বেষ (India Bangladesh Relation) চূড়ান্ত। যে ভারতের হাত ধরে বাংলাদেশের সৃষ্টি, সেই ভারত-বৈরিতা এখনকার বাংলাদেশ সরকারের বৈশিষ্ট্য। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারতের (India) সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh)। কিন্তু ভারত ছাড়া বাংলাদেশ যে কতটা অচল, তা স্পষ্ট হল বাংলাদেশ রেলওয়ের (Bangladesh Railway) সাম্প্রতিক প্রকাশিত তথ্যে। জানা গিয়েছে, অর্থ সংকটের কারণে বাংলাদেশে রেলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প থমকে রয়েছে। বাংলাদেশের অভিযোগ, ভারত সরকার ছ’বছর আগে এইসব প্রকল্পের জন্য ঋণ (Loan) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও অর্থ বরাদ্দ করেনি। এর ফলে, প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন শুরু করা সম্ভব হয়নি।

    কেন সাহায্য করবে ভারত?

    ওপার বাংলার সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছয় বছর আগে বাংলাদেশ রেলের একাধিক প্রকল্পের জন্য ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু আজ অবধি সেই টাকা পায়নি ঢাকা। এর ফলে ওই প্রকল্পগুলির কাজ থমকে গিয়েছে। এই বিষয়ে একাধিক বার নরেন্দ্র মোদি সরকারকে চিঠি দিয়েও লাভ হয়নি। যদিও পালটা প্রশ্ন উঠছে, হাসিনা পরবর্তী সময়ে যে ভারতকে কথায় কথায় বিষোদগার করছে মহম্মদ ইউনূস সরকার এবং পদ্মাপাড়ের রাজনৈতিক দলগুলি, কোন ভরসায় তাদের অর্থসাহায্য করবে ভারত?

    সাতটি রেল প্রকল্প আটকে

    বাংলাদেশে (India Bangladesh Relation) এই মূহূর্তে সাতটি রেল প্রকল্প রয়েছে যা ভারতের টাকায় হওয়ার কথা। যার মধ্যে রয়েছে খুলনা-দর্শনা রেল লাইন প্রকল্প, সিরাজগঞ্জ-বগুরা ন্যারো এবং ব্রড গেজ লাইন প্রকল্প। ভারত এখনও ঋণ না দেওয়ায় এই দুই প্রকল্পের কাজ শুরুই করা যায়নি। তবে আরও দুটি প্রকল্পে কাজ চলছে ভারতের ঋণের টাকায়। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-টঙ্গি তৃতীয় এবং চতুর্থ লাইনের কাজ, ৩৮ শতাংশ এই কাজ এগিয়েছে। সেই সঙ্গে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ নির্মাণের কাজ এগিয়েছে ৫১ শতাংশ। এখানেই শেষ নয়, ভারতের টাকায় বাংলাদেশে খুলনা-মোংলা রেলপথ এবং আখাউড়া-আগরতলা লাইনের কাজ হওয়ার কথা ছিল। এই কাজ অনেকটা এগোলেও শেষ হয়নি। রেলের কাজের সঙ্গে নিযুক্ত ভারতীয় শ্রমিকরা এখনও ফেরেননি বাংলাদেশে। সেই সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে না ভারতের টাকাও, তাই মাথায় হাত বাংলাদেশের। প্রকল্পগুলি আদৌ কী ভাবে শেষ হবে সেই নিয়েই চিন্তায় বাংলাদেশ সরকার। এছাড়া, দিনাজপুর-কাউনিয়া রেলপথের জন্য ভারত ঋণ বরাদ্দ করলেও কাজ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

    ভারত বিদ্বেষ বাড়ছে

    শেখ হাসিনা পরবর্তী সময় বাংলাদেশে ক্রমাগত ভারত বিদ্বেষ বাড়ছে। সে দেশের ক্ষমতায় থাকা কিছু নেতা বারবার নয়াদিল্লিকে (India Bangladesh Relation) নিশানা করছেন। কখনও যুদ্ধের জিগির তুলছেন তো কখনও দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার জন্য দায়ী করছে ভারতকে। বিষয়গুলি নিয়ে এতদিন ‘চুপ’ থাকলেও সম্প্রতি ঢাকাকে কড়া বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ, তা স্পষ্ট করতে হবে, দ্বিচারিতা চলবে না। একদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনূস বলছেন, “ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই।” অন্যদিকে তাঁরই সরকারের অন্য়ান্য উপদেষ্টারা নয়াদিল্লিকে নিশানা করছেন। বারবার অসম্মান করছেন। দেশে ক্রমাগত সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। এভাবে চলতে পারে না বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ভারতের প্রতি তাদের সরকারি অবস্থান স্পষ্ট করুক বাংলাদেশ। দুদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করতে হলে, হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। ভারত-বিরোধী মন্তব্যও বন্ধ করতে হবে বলে জানান বিদেশমন্ত্রী।

    বিকল্প অর্থায়নের উপায় খুঁজুক বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঢাকা-টঙ্গি এবং কুলাউড়া-শাহবাজপুর প্রকল্পের জন্য ভারত আদৌ টাকা দেবে কি না, তা জানতে চেয়ে গত ডিসেম্বরে নয়াদিল্লিকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর আসেনি। অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, বর্তমান রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ভারত হয়তো অর্থ বরাদ্দ নাও করতে পারে। আসলে, ঢাকার দ্বিচারিতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে কূটনৈতিক মহলে। যে বাংলাদেশ নিয়মিত ‘ভারত বিদ্বেষ ছড়ানো অভ্যেস করে ফেলেছে, সেখানে রেল প্রকল্পে অর্থসাহায্য করবে কেন নয়াদিল্লি! এমনকী যেখানে প্রতিবেশী দেশ দখল করারও হুঁশিয়ারি দেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা, সেখানে কোন ভরসায় ফিরবেন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার ও শ্রমিকরা? এই অবস্থায়, বিকল্প অর্থায়নের উপায় খুঁজতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে।

  • Jammu and Kashmir: রাজৌরিতে সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি! জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি জম্মুতে

    Jammu and Kashmir: রাজৌরিতে সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি! জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি জম্মুতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলওয়ামার মতো ফের ভারতীয় সেনাবাহিনীর ট্রাকে হামলা চালাল জঙ্গিরা (Terror Attack)। বুধবার দুপুরে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রাজৌরি জেলায় একটি সেনা ট্রাককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর মেলেনি। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনার একটি ট্রাক জম্মুর রাজৌরি জেলায় সুন্দেরবানি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় একদল দুষ্কৃতী গুলি চালায়। সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    প্যাট্রলিং-এর সময় গুলি

    গত কয়েক মাস ধরে জম্মু-কাশ্মীরে একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে। কখনও সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি-বোমা চলে, আবার কখনও গ্রামে প্রবেশ করে বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালায়। জঙ্গিদের খোঁজে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir)  বিভিন্ন জায়গায় মাঝেমধ্যেই তল্লাশি অভিযান করে সেনা। সুন্দেরবানি মাল্লা রোড সংলগ্ন জঙ্গলে ঘেরা এলাকাগুলিতে প্রচুর জঙ্গি গা ঢাকা দিয়ে থাকে। বুধবার সেই এলাকাতেই টহল দিচ্ছিল সেনা। দুপুর একটা নাগাদ একটি জলাশয়ের ধারে পৌঁছয় টহলদারি বাহিনী। সেই সময়েই জঙ্গলের ভিতর থেকে গুলিবৃষ্টি শুরু হয়। জানা গিয়েছে, ৯ জেএকে ইউনিটের গাড়ি লক্ষ্য করে এক বা দুই রাউন্ড গুলি চালানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে পালটা গুলি চালায় সেনাও।

    টহলদারির খবর পেয়েই গুলি

    প্রাথমিকভাবে সেনার অনুমান, টহলদারির খবর ছিল জঙ্গিদের কাছে। সেই কথা জেনেই তারা গুলি চালিয়েছে সেনার গাড়িতে। তবে হামলার পরে আরও বেশি সতর্ক হয়েছে সেনা। সূত্রের খবর, পালটা গুলি চালানো হয়েছে সেনার তরফে। এছাড়াও ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত বাহিনী এবং অস্ত্র পাঠানো হয়েছে। ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খোঁজে আরও জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে হামলার পর। দিন কয়েক আগেই জম্মু ও কাশ্মীরের সোপোরের জালোরা গুজ্জরপতি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে এক জওয়ানের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি গুলমার্গেও সেনার গাড়িতে হামলা চলেছিল। তাতে দু’জন জওয়ান এবং বাহিনীর দুই মালবাহকের মৃত্যু হয়েছিল। তবে বুধবারের হামলাও এখনও কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। কারা হামলা চালিয়েছে, সেই তথ্যও অজানা। গুলি চালানোর দায়ও কেউ স্বীকার করেনি এখনও। এর আগে ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সেনাবাহিনীর কনভয়ে হামলা করে জঙ্গিরা। ওই হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল।

  • Make in India: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া মেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’! ভারত থেকে অত্যাধুনিক কামান কিনবে ট্রাম্পের আমেরিকা

    Make in India: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া মেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’! ভারত থেকে অত্যাধুনিক কামান কিনবে ট্রাম্পের আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের বিরাট সাফল্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্পের সফল রূপায়ণ ঘটছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। প্রতিরক্ষাতেও সেই ছবি ধরা পড়েছে। শুধু দেশীয় উৎপাদন নয়, ভারতের সমরাস্ত্রের চাহিদা এখন বিশ্ববাজারেও হু হু করে বাড়ছে। আর্মেনিয়া থেকে ফিলিপাইন্স, ফ্রান্স থেকে ভিয়েতনাম— সকলেই ভারত থেকে অস্ত্র কিনছে ও কেনার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। বিগত কয়েক বছরে ভারতের প্রতিরক্ষা রফতানি বিপুল হারে বেড়েছে। যা মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া, মেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ (Make in India Made For The World) নীতির পালে হাওয়া দিয়েছে। এবার সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। জানা গিয়েছে, ভারত থেকে উন্নত আর্টিলারি গান বা কামান কিনতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশীয় সংস্থা ভারত ফোর্জের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কল্যাণী স্ট্র্যাটেজিক সিস্টেমস লিমিটেড (KSSL) এবং এএম জেনারেলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ট্রাম্পের আমেরিকা। আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী আইডিএক্স ২০২৫ (IDEX 2025) এ আবু ধাবিতে একটি ইচ্ছাপত্র (Letter of Intent) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    মোদি-ট্রাম্প সাক্ষাতের পর চুক্তি!

    প্রতিরক্ষা খাতে মেক-ইন-ইন্ডিয়া উদ্যোগে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। প্রথমবার ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আর্টিলারি গান সরবরাহ করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে সম্প্রতি একটি দ্বিপাক্ষীয় বৈঠকে ইউএস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সুরক্ষা সহযোগিতার অঙ্গীকার করা হয়। দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আলোচনায় বেশ কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত জানুয়ারিতেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে বড় কিছু পদক্ষেপ করতে চলেছেন তিনি। একই সঙ্গে এটাও জানিয়েছিলেন যে, ভারতকে তাঁর দেশ আরও বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করতে প্রস্তুত। অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছিলেন, ভারতের প্রতিরক্ষাকে আরও মজবুত করতে আমেরিকা ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ নিতে চলেছে। এই আবহেই ভারত থেকে আমেরিকার কামান কেনার কথা সামনে এল।

    চুক্তি থেকে আশা

    কল্যাণী স্ট্র্যাটেজিক সিস্টেমস লিমিটেড সম্প্রতি এএম জেনারেলের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে, যার মাধ্যমে তারা আগামী প্রজন্মের আর্টিলারি সমাধানগুলি, যেমন মাউন্টেড, টোড এবং অতিক্ষুদ্র গানের সিস্টেমগুলি ১০৫ মিমি এবং ১৫৫ মিমি ক্যালিবারে তৈরি করবে। এএম জেনারেল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য উন্নত আর্টিলারি সমাধান খুঁজে বের করতে কাজ করছে। কেএসএসএল এক ঘোষণায় জানিয়েছে, “এই ইচ্ছাপত্রে স্বাক্ষর আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্প্রসারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেএসএসএল-এর প্রমাণিত আর্টিলারি সক্ষমতা এবং আমাদের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে একত্রিত করে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য উন্নত আর্টিলারি সমাধান নিয়ে আসার বিশাল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।”

  • Maha Kumbh 2025: মহা শিবরাত্রিতে মহাকুম্ভে শেষ অমৃত স্নান! উপচে পড়ল ভিড়, কন্ট্রোল রুমে বসে যোগী

    Maha Kumbh 2025: মহা শিবরাত্রিতে মহাকুম্ভে শেষ অমৃত স্নান! উপচে পড়ল ভিড়, কন্ট্রোল রুমে বসে যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহা শিবরাত্রির (Maha Shivratri) উপলক্ষে মহা কুম্ভের শেষ অমৃত ‘স্নান’ (Last Amrit Snan)। মহা কুম্ভের (Maha Kumbh 2025) শেষ দিনে পবিত্র স্নান করার জন্য ত্রিবেণী সঙ্গমে (Prayagraj Sangam) বিপুল ভক্ত সমাগম। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তৎপর উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। গোটা পরিস্থিতির ওপর নিজের অফিস থেকে নজরদারি চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) স্বয়ং। জানা গিয়েছে, গোরক্ষনাথ মন্দিরে একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছেন যোগী। সেখান থেকেই অনবরত নজরদারি চালাচ্ছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশ সরকারের হিসেব জানাচ্ছে, এদিন সকাল ১১টা পর্যন্ত প্রায় ৮২ লক্ষ মানুষ পুণ্যডুব দিয়েছেন। এদিন সকালে এক্স হ্যান্ডলে যোগী আদিত্যনাথ জানান, কুম্ভে ৬৩.৬৩ কোটি মানুষ স্নান করেছেন। মেলা শেষে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে, তা নিশ্চিত।

    লাখ লাখ পূণ্যার্থী প্রয়াগরাজে

    গত ১৩ জানুয়ারি মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) সূচনা ঘটেছিল। ৬ সপ্তাহ ধরে চলেছে এই ধর্মীয় ‘মহামিলন’। এর মধ্যে মোট ৬ দিন ‘শাহি স্নানের যোগ’ ছিল- ১৩ জানুয়ারি (পৌষ পূর্ণিমা), ১৪ জানুয়ারি (মকর সংক্রান্তি), ২৯ জানুয়ারি (মৌনী অমাবস্যা), ৩ ফেব্রুয়ারি (বসন্ত পঞ্চমী), ১২ ফেব্রুয়ারি (মাঘী পূর্ণিমা), ২৬ ফেব্রুয়ারি (মহা শিবরাত্রি)। মহাকুম্ভের শেষ শাহি স্নানের সময় সঙ্গমে ডুব দিতে ভোররাত থেকেই ঘাটে ঘাটে ভিড় জমিয়েছেন লক্ষাধিক পূণ্যার্থী। মহা শিবরাত্রি (Maha Shivratri) উপলক্ষে মহাকুম্ভে ডুব দিয়ে পুণ্য অর্জনের ‘শেষ সুযোগ’ যাতে হাতছাড়া না হয়ে যায়, তার জন্যে লাখ লাখ পুণ্যার্থী প্রয়াগরাজে ভিড় জমিয়েছেন।

    কুম্ভে কড়া নিরাপত্তা

    শেষ অমৃত স্নান (Last Amrit Snan) উপলক্ষে গোটা কুম্ভ এলাকায় গাড়ি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে আজ কোনও ভিআইপি-র জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে না কুম্ভে। এদিকে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। নিকটবর্তী ঘাটেই স্নান করতে বলা হয়েছে পুণ্যার্থীদের। এদিকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশে ডিআইজি (কুম্ভ) বৈভব কৃষ্ণ দাবি করেছেন, শিবরাত্রিতে ‘জোড়া পরিস্থিতি’ সামাল দেওয়ার মতো প্রস্তুতি করেছে পুলিশ বাহিনী। ৩৭ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, ১৪ হাজার হোমগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। ২৭৫০টি এআই ভিত্তিক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ৩টি জল পুলিশ স্টেশন বসানো হয়েছে। এছাড়াও ১৮টি জল কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে। এরই সঙ্গে ৫০টি ওয়াচটাওয়ার বসানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরারি চালানো হচ্ছে যাতে কোনও ভুয়ো খবর না ছড়ানো হয়। ভারতীয় রেলওয়েও মহা শিবরাত্রির (Maha Shivratri) জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা কুম্ভ ২০২৫-এর (Maha Kumbh 2025) চূড়ান্ত অমৃত স্নানের (Last Amrit Snan) পর তীর্থযাত্রীদের ফিরে যাওয়ার সুবিধার্থে প্রয়াগরাজ থেকে ৩৫০ টিরও বেশি অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

  • Trump’s Gold Card: মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে গুনতে হবে ৪৩ কোটি টাকা! ‘গোল্ড কার্ড’ চালুর ঘোষণা ট্রাম্পের

    Trump’s Gold Card: মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে গুনতে হবে ৪৩ কোটি টাকা! ‘গোল্ড কার্ড’ চালুর ঘোষণা ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আনছে আমেরিকা। মার্কিন মুলুকে অভিবাসীদের নাগরিকত্ব পেতে এত দিন চালু ছিল ‘গ্রিন কার্ড’। এ বার চালু হতে চলেছে ‘গোল্ড কার্ড’। ‘গ্রিন কার্ড’-এর নতুন সংস্করণ এটি। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন নীতির কথা ঘোষণা করেন। এবার আমেরিকার নাগরিকত্ব পেতে হলে গুনতে হবে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৪৩ কোটি টাকা। ওই পরিমাণ টাকা দিলেই মিলবে ‘গোল্ড কার্ড’, যা আমেরিকায় নাগরিকত্বের প্রমাণ।

    কী বলছেন ট্রাম্প

    ট্রাম্পের কথায়, ‘‘আমরা আমেরিকায় গোল্ড কার্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছি। এতে গ্রিন কার্ডের সুবিধাও মিলবে, যা আমেরিকায় নাগরিকত্বের নতুন পথ খুলে দেবে। ধনী ব্যক্তিরা এই কার্ড কিনে আমাদের দেশে আসতে পারবেন। এখানে এসে তাঁরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করবেন, কর দেবেন, সেই সঙ্গে কর্মসংস্থানও তৈরি করবেন। এ দেশে এসে তাঁরা সফল হবেন।’’ তাঁর আশা ১০ লক্ষ কার্ড বিক্রি হবেই। আর সেই বিপুল অর্থ দিয়ে আমেরিকার যত ঋণ রয়েছে সব শোধ করা যাবে। কিন্তু যদি স্রেফ অর্থ দিয়েই নাগরিকত্ব ‘কেনা’ যায়, তাহলে তো রুশরাও আমেরিকায় এসে নাগরিক হয়ে যেতে পারে? সাংবাদিকদের এহেন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্পকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘হ্যাঁ, আসতেই পারে। আমি তো কয়েকজন রুশ ধনকুবেরকে চিনি, যাঁরা খুবই সজ্জন ব্যক্তি।’’

    কবে থেকে ‘গোল্ড কার্ড’ চালু

    ট্রাম্প জানান, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই নতুন প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাবে। এর জন্য আমেরিকান কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন না ট্রাম্প। তবে কী ভাবে ‘গোল্ড কার্ড’ পাওয়া যাবে বা প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও ধারণা দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, আমেরিকায় বিদ্যমান ‘ইবি-৫ প্রোগাম’কে প্রতিস্থাপন করতে চলছে এই ‘গোল্ড কার্ড’ সিস্টেম। নতুন এই সিস্টেম চালু করা হলে ‘ইবি-৫ প্রোগাম’ আর থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। দ্বিতীয় বার আমেরিকায় ক্ষমতায় এসেই একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

  • Bangladesh Crisis: হিন্দু-নির্যাতন অব্যাহত! বাংলাদেশে পয়লা বৈশাখে গো-হত্যার পরিকল্পনা ইসলামিক মৌলবাদীদের

    Bangladesh Crisis: হিন্দু-নির্যাতন অব্যাহত! বাংলাদেশে পয়লা বৈশাখে গো-হত্যার পরিকল্পনা ইসলামিক মৌলবাদীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংঘর্ষ, ভাঙচুর, হিন্দুদের উপর অত্যাচার, খুনোখুনি। হাসিনা সরকারের পতনের পর, এগুলোই এখন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) চেনা ছবি। যা থামা তো দূর, উল্টে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই এগোচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এই আবহেই বাংলাদেশে প্রশ্নের মুখে পড়েছে বাংলার বর্ষবরণ। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখে ১০০টি গো-হত্যা করার কথা ইসলামিক মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি প্রকাশ্যে এনেছে। এই বিপজ্জনক পরিকল্পনাটি উপেক্ষা করছে ইউনুস পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকার। এর আগেও অবশ্য সংখ্যালঘু নির্যাতনে নীরব ভূমিকা পালন করছে ইউনূস প্রশাসন।

    গুরুত্ব দিতে নারাজ ইউনূস সরকার

    শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে বৈষম্য বিরোধী বিক্ষোভ এবং তার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হিন্দু, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। সরকারের পতনের পর হিন্দুদের বাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের হিংসাত্মক আন্দোলন হোক কিংবা হিন্দুদের উপর অত্যাচার। প্রত্যেকবারই নানা পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে ইউনূস সরকার। কিন্তু, সে সবই যে আদতে লোক দেখানো। এবারও পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান নিয়ে ভাবতে নারাজ অন্তর্বর্তী সরকার। পয়লা বৈশাখের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি সামনে আসার পরও সরকারের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় গো-হত্যার মতো হুমকিগুলি বাড়তে থাকলেও, সরকার কোনও প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে না। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রকের সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা, মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী, আশ্চর্যজনকভাবে এই হুমকির প্রতি কোনও গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, “অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক কিছু বলেন… সরকার হিসেবে আমরা সবকিছুতে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারি না।”

    বাংলাদেশের অতীত

    বিশেষজ্ঞদের মতে, পদ্মাপাড়ে এই ধরনের হুমকির বাস্তব পরিণতি উপেক্ষা করার নয়। এর আগে ধর্মীয় উৎসবগুলির বিরুদ্ধে ইসলামিক মৌলবাদীদের আক্রমণের ইতিহাস রয়েছে। ২০০১ সালে হরকত-উল জিহাদ আল ইসলামি (HUJI) দলের করা রামনা বটমূল বোমা হামলায় ৯ জন নিহত এবং অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছিল। ২০১৪ সালে এই হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার হলেও, তাদের মধ্যে অনেকেই এখনো পলাতক। ইউনুস সরকারের শাসনকাল শুরু হওয়ার পর ইসলামিক মৌলবাদীরা আরও উৎসাহিত হয়েছে। যদিও ইউনুস নিজে সরাসরি কোনো উসকানি দেননি, কিন্তু তাঁর নীরবতা মৌলবাদীদের শক্তিশালী করেছে। তাঁর প্রশাসন সন্ত্রাসী এবং ইসলামিক মৌলবাদীদের মুক্তি দিয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণগুলোকে “ভুয়ো,” “অতিপ্রসারিত,” বা “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে অবমূল্যায়ন করেছে।

    উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রপুঞ্জ

    বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও। হিন্দু নিপীড়ন থেকে পুলিশ খুন, নারী নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটছে এখানে। বাংলাদেশে শান্তি ও রাজনৈতিক স্বচ্ছতা ফেরানোর সুপারিশও করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর। ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারকে পতনের পর, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ব্যাপক আক্রমণ শুরু হয়। এই সময়ে কমপক্ষে ২০৫টি হিন্দু মন্দির, দোকান এবং ব্যবসায় আক্রমণ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বিভিন্ন ধর্মীয় ও আদিবাসী গোষ্ঠীর উপর হামলার সঙ্গে জড়িত ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু প্রতিশোধমূলক হিংসা ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর উপর হামলার অপরাধীরা এখনও মুক্ত রয়েছে।ইউনূসের আমলে ছাত্র আন্দোলনের সময়ে প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড ও হিংসার ঘটনাকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে। এমনকী নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও পরিকল্পিতভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।

    হিন্দুদের উপর চলমান নির্যাতনের কিছু ঘটনা

    সেপ্টেম্বর ৬: চট্টগ্রামে ভগবান গণেশের মূর্তি নিয়ে হিন্দু পূণ্যার্থীদের উপর ইসলামিক মৌলবাদীদের আক্রমণ।

    সেপ্টেম্বর ২৫: ময়মনসিংহে মা দুর্গার মূর্তি ভাঙার ঘটনা।

    সেপ্টেম্বর ২৮ অক্টোবর ১: পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায় ৯টি হিন্দু মূর্তি ভাঙার ঘটনা।

    অক্টোবর ৩: ঢাকার গোপীনাথ জিউর আখাড়া দুর্গাপুজা মন্ডপে ৭টি মূর্তি ভাঙা।

    নভেম্বর ৫: চট্টগ্রামের হাজারি গলিতে পুলিশের দ্বারা হিন্দুদের উপর আক্রমণ।

    নভেম্বর ২৯: চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় তিনটি মন্দির ভাঙার ঘটনা।

    ডিসেম্বর ১৩: মহাশ্মাশান কালী মাতা মন্দিরে সাতটি মূর্তি ধ্বংস ও স্বর্ণালঙ্কার লুণ্ঠন।

    ডিসেম্বর ১৯: ময়মনসিংহে একাধিক হিন্দু মন্দিরে আক্রমণ, মূর্তি ভাঙার ঘটনা।

    হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন

    শারীরিক আক্রমণের বাইরে আরও কিছু ঘটনা ঘটেছে পদ্মাপাড়ে। ৬০ জন হিন্দু সরকারি কর্মকর্তা এবং শিক্ষককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। হিন্দুদেরকে জোর করে ‘জামায়াত-ই-ইসলামী’ তে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। হিন্দু কর্মী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর বিরুদ্ধে মিথ্যা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রপন্থা গভীরে প্রবাহিত হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায় প্রতিদিন আক্রমণের মুখে পড়ছে। মূর্তি ধ্বংস, জোর করে ধর্মান্তরিত হওয়া এবং সাংবিধানিকভাবে বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। পদ্মা তীরে হিন্দুদের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় অস্তিত্ব এখন বিপন্ন।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে রাজনীতির ময়দানে ছাত্রদল! শুক্রবার সূচনা নয়া পার্টির

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে রাজনীতির ময়দানে ছাত্রদল! শুক্রবার সূচনা নয়া পার্টির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে (Bangladesh Crisis) ক্ষমতাচ্যুত করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব এবার সক্রিয় রাজনীতিতে আসতে চলেছেন। শুক্রবার নতুন দলের নাম ঘোষণা করা হবে। এই দল জামাত, আওয়ামি কিংবা বিএনপির নয়। এই সমীকরণ যুব প্রজন্মের। এই সমীকরণ নতুনদের। সামাজিক মঞ্চ জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে মিলিত ভাবে এই রাজনৈতিক দল গঠন করছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব।

    ছাত্রদের নিয়ে গঠিত দল

    শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব এবার নামতে চলেছে বাংলাদেশের কাদা-মাটির রাজনীতিতে। জুলাই আন্দোলনের সময় দেশের সংস্কারের উদ্দেশ্য়ে নিয়ে ময়দানে নেমেছিল তারা। সেই আন্দোলনই যে সময়ের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত হয়ে গিয়েছে তা আপাতত স্পষ্ট। সাম্প্রতিককালেই নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন, সরকারি পদ ছেড়ে তারা এবার নতুন দল নিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে নামবে। সম্ভবত, চলতি বছরেই বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন। আর তার আগে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি সেরে নিতে চলেছে ছাত্ররা। জানা গিয়েছে, আগামী শুক্রবার নতুন দলটির সূচনা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চ ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে মিলেই গঠন করা হচ্ছে এই দল। তবে নাম কী হবে, মাথায় কারা থাকবে, কোন দায়িত্ব কার কাঁধে যাবে সেই নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা।

    পদ্মা পাড়ে নয়া সমীকরণ

    জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বক্তব্য, “নতুন বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) সম্পর্কে মানুষের যে কল্পনা, বাংলাদেশকে সেই জায়গায় নিয়ে যাওয়া একটা দীর্ঘ লড়াইয়ের বিষয়। সেই লড়াইকে সামনে রেখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ঐক্যবদ্ধ ভাবে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছে।” নতুন দলের আহ্বায়ক হতে পারেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা। শুক্রবারের আগেই উপদেষ্টার পদ ছাড়তে পারেন নাহিদ। বিগত কয়েক মাসে পদ্মার বুক হয়ে বয়ে গিয়েছে কত জল। এই পদ্মা দেখেছে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের নির্মাণ। এই পদ্মা সাক্ষী থেকেছে বঙ্গবন্ধুর উত্থান ও মৃত্যুর। সেই পদ্মাপাড়েই এবার অন্য আর এক সমীকরণ।

  • PM Modi: মাখনা তাঁর ফিটনেসের রহস্য, নিজেই ফাঁস করলেন মোদি, জানেন এই খাদ্যের উপকারিতা?

    PM Modi: মাখনা তাঁর ফিটনেসের রহস্য, নিজেই ফাঁস করলেন মোদি, জানেন এই খাদ্যের উপকারিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাখনাকে ‘সুপারফুড’-এর তকমা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জানালেন, ছিয়াত্তর বছর বয়সেও তাঁর ঝলমলে ও ফিট স্বাস্থ্যের অন্যতম কারণ মাখনা (Makhana)। বছরে কমপক্ষে ৩০০ দিন পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই মাখনা খান তিনি। দাবি করেন, গোটা বিশ্বের জন্যই স্বাস্থ্যকর মাখনার উৎপাদন জরুরি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রবিবার ভাগলপুরের সভায় মোদি জানান, আজ গোটা ভারত জলখাবারে মাখনা খচ্ছে। এদিন মাখনার (Makhana) মালা দিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) স্বাগত জানান স্থানীয় বিজেপি নেতারা। ভাষণে মোদি বলেন, “আজ গোটা দেশের শহরগুলিতে জলখাবারের অন্যতম অংশ হয়ে উঠেছে মাখনা। কেন্দ্রীয় বাজেটে মাখনা বোর্ডের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মাখনা এবার গোটা বিশ্বের খাদ্য বাজারকে শাসন করবে।”

    কোথায় কোথায় হয় মাখনার উৎপাদন

    পদ্ম ফুলের বীজ থেকেই তৈরি হয় মাখনা। কেউ কেউ আবার একে ফক্স নাট বলেও ডাকেন। মূলত, বিহারের মিথিলা এলাকায় তিন জেলা জুড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষ হয় মাখানা। এই চাষের জন্য জলাজমি দরকার হয়। দেশে ধীরে ধীর এই মাখানার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ভারতে তৈরি মাখনা সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়, আমেরিকা, কানাডা, ইউকে, অস্ট্রেলিয়া, আমিরশাহি। কারণ এই সমস্ত জায়গায় বহু প্রবাসী ভারতীয়ের বাস রয়েছে। গত ২ দশক ধরে এই মাখনা বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

    বাজেটে মাখনা বোর্ড গঠন

    চলতি বাজেটে বিহারে মাখনা বোর্ড গঠনের কথা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। লক্ষ্য হল মাখনার (Makhana) উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিপুল হারে মাখনার বাণিজ্য থেকে অর্থ উপার্জন। উল্লেখ্য, বিহার দেশের ৮০ শতাংশ মাখনা উৎপাদন হয়। যদিও বিশ্বজুড়ে এর চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন ও বাণিজ্যে যথেষ্ট কম। সেই কারণেই বোর্ড গঠনের ভাবনা কেন্দ্রের। তিনি জানান, ‘মাখনা চাষিদের ট্রেনিং দেওয়া হবে, এবং নিশ্চিত করা হবে, তাঁরা যাতে সমস্ত সরকারি স্কিমের সুবিধা পান।’ আইএমএআরসি অনুযায়ী, মাখনা ২০২৩ সালে ভারতের মাখনা মার্কেটের দর ৭.৮ বিলিয়ন ছিল। ২০২২ সালের এপ্রিলে জিআই ট্যাগ পেয়েছে ‘মিথিলা মাখনা’। ধীরে ধীরে মিথিলা অঞ্চল থেকে মাখানার চাষ কোশী উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে সাহারসা, সুপৌলেও চাষ চলছে মাখনার। বিহারের পূর্ণিয়া, কাটিহার, আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ জেলাতেও চলছে এই মাখনার চাষ।

    মাখনার উপকারিতা

    মাখনা (Makhana) বা পদ্মবীজ অনেকেই ডায়েট চার্টে রেখে থাকেন। বলা হচ্ছে, এটি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ফসফরাসের উৎস। এরমধ্যে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস থাকে। বহু গবেষণার দাবি, হার্টের সমস্যা থাকলে, মাখানা উপকার দিয়ে থাকে। থাকে অ্যান্টি এজিং প্রপার্টি। ওজন কমাতেও এটি সাহায্য করে থাকে। অনেকেই মাখনা ভেজে বা সেঁকে মুড়ি কিম্বা ভেলপুরীর সঙ্গে খান। আবার অনেকে ডালে মাখনা দিয়ে থাকেন। অনেকে স্ন্যাকস হিসাবেও মাখনা খান। বিশেষজ্ঞরা জানান, মাখনা শুধু খেতেই ভালো এমন নয় কিন্তু। এর অনেক উপকারিতা রয়েছে।

    ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাখনায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান। স্বাস্থ্যের নানা ঘাটতি পূরণ করতে এর জুড়ি মেলা ভার। এতে থাকা ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাস, ক্যালশিয়াম হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেশি সচল রাখে। স্নায়ুর নানা সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ভর্তি

    মাখনায় (Makhana) রয়েছে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। স্ট্রেস থেকে নানা মানসিক সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত খাবাররে তালিকায় মাখনা রাখলে বিভিন্ন জটিল অসুখ দূরে থাকে। বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ, ক্যানসার, টাইফ টু ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

    রক্তে শর্করার মাত্রা

    রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে মাখনা। তেমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যাঁদের মধুমেহ রোগ রয়েছে, তাঁদের জন্য তো অবশ্যই দারুণ উপকারী। এছাড়াও, যাঁদের মধুমেহ নেই, তাঁরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন।

    ওজন কমাতে সাহায্য করে

    ওজন কমানোর জন্য অনেকেই মাখনা খেয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়ই অহেতুক খিদে পাওয়ার কারণে শরীরে অবাঞ্ছিত মেদ জমা হয়। মাখনা (Makhana) এই অহেতুক খিদে পাওয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি এতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে। শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না মাখনা। ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ত্বকে টানটান ভাব বজায় রাখে, ত্বক উজ্জ্বল করে। হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রেখে বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে মাখনা। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং আরও অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

LinkedIn
Share