Author: ishika-banerjee

  • ICC Champions Trophy: যত জারিজুরি সোশ্যাল মিডিয়াতেই! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দৌড় শেষ পাকিস্তান, বাংলাদেশের

    ICC Champions Trophy: যত জারিজুরি সোশ্যাল মিডিয়াতেই! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দৌড় শেষ পাকিস্তান, বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) থেকে ছুটি হয়ে গেল বাংলাদেশ এবং আয়োজক দেশ পাকিস্তানের। গ্রুপ এ থেকে ভারতের সঙ্গে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল নিউজিল্যান্ড। এরপর পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচ স্রেফ নিয়মরক্ষার। আর গ্রুপের শেষ ম্যাচে রবিবার গ্রুপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ভারত ও নিউজিল্যান্ড।

    ৬ দিনেই বিদায় আয়োজকদের

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) নিয়ে উত্তেজনায় ফুটছিল পাকিস্তান। আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল তারা। ২০১৭ সালে শেষ বার এই টুর্নামেন্ট হয়েছিল। ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান উদ্বোধনী ম্যাচেই হেরেছিল নিউজিল্যান্ডের কাছে। সেখানেই খাদের কিনারায় ছিল। এরপর দুবাইয়ে ভারতের কাছে হার। পাকিস্তানের বিদায় কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। এদিন রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ড জিততেই সরকারিভাবে টুর্নামেন্টে ছুটি হয়ে গেল পাকিস্তান ও বাংলাদেশের। টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র ৬ দিনের মধ্যে আয়োজক দেশ পাকিস্তানের বিদায় নিশ্চিত হওয়ায় শোকের ছায়া পাক ক্রিকেট মহলে।

    রাচীনের যাদু

    রাওয়ালপিন্ডিতে সোমবার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিউয়িরা। বাংলাদেশ ৫০ ওভার ব্যাট করলেও পুঁজি ছিল মাত্র ২৩৬ রান। ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত মন্থর ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন। লোয়ার অর্ডারে অবদান রাখেন জাকের আলি ও রিশাদ হোসেন। ব্যাটিং সহায়ক পিচে ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট মাইকেল ব্রেসওয়েলের। রাওয়ালপিন্ডির পিচে ২৩৭ রানের টার্গেট নিউজিল্যান্ডের জন্য অন্তত বড় ছিল না। কিন্তু শুরুতেই ওপেনার উইল ইয়ং ও কেন উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে বন্য আনন্দে মেতেছিল বাংলাদেশ শিবির। ওপেনার ডেভন কনওয়ের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন রাচিন রবীন্দ্র। বাবা-মা দু’জনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। থাকতেন বেঙ্গালুরুতে। সেই শহরে এখনও থাকেন তাঁর দাদু-দিদা। সেই রাচিন রবীন্দ্রের ব্যাটে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে উঠে গেল নিউজিল্যান্ড। এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকলেন। এদিন ১১২ রান করে আউট হন রাচীন। ততক্ষণে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। বাইশ গজে নয়, পাকিস্তান, বাংলাদশের যাবতীয় জারিজুরি যে সোশ্যাল মিডিয়াতেই সীমাবদ্ধ তা-ও এদিন ফের স্পষ্ট হয়ে গেল।

  • Earthquake Hits Kolkata: সাতসকালে কাঁপল কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৫.১

    Earthquake Hits Kolkata: সাতসকালে কাঁপল কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৫.১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাতসকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল কলকাতা-সহ (Earthquake Hits Kolkata) দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চল। মঙ্গলবার সকালে কম্পন টের পেলেন কলকাতাবাসী। শুধু কলকাতা নয়, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় কম্পন অনুভূত হল। সকাল ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ কেঁপে ওঠে একাধিক জেলা। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরেই এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। ফলে বেশি প্রভাব পড়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.১। কম্পন অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশ ও ওড়িশাতেও।

    ভূমিকম্পের উৎসস্থল

    জাতীয় ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র বা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ নাগাদ ভূকম্পন (Earthquake Hits Kolkata) অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ওড়িশা থেকে ১৭৫ কিলোমিটার পূর্বে বঙ্গোপসাগরের ৯১ কিলোমিটার গভীরে। জাতীয় ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এবং উপকূল সংলগ্ন অঞ্চলে কম্পন অনূভূত হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া, কাঁথি, দিঘায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশেও ঢাকা-সহ পশ্চিম প্রান্তের উপকূলের কিছু অঞ্চলে কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের পরে সমুদ্রের পরিস্থিতি কী রয়েছে, তা নিয়েও সরকারি স্তরে কোনও তথ্য মেলেনি।

    কলকাতা কতটা ভূমিকম্প-প্রবণ

    সম্প্রতি তিব্বতের ভূমিকম্পেও কেঁপে উঠেছিল কলকাতা (Earthquake Hits Kolkata) তথা বাংলা। গত জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখে তিব্বতের ভূমিকম্পেই কেঁপে উঠেছিল কলকাতা সহ গোটা বাংলা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.১। ফলে, উত্তরবঙ্গে ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের ২০২১ সালের তথ্য অনুসারে কলকাতা অবস্থানগত দিক থেকে ‘সিসমিক জোন ৪’-এর মধ্যে পড়ে। কোনও অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা কতটা রয়েছে, তার উপর নির্ভর করে এই অঞ্চলগুলিকে ভাগ করা হয়। দেশে এমন চারটি অঞ্চল রয়েছে। ‘সিসমিক জোন ২’ (কম্পনের সম্ভাবনা সবচেয়ে কম) থেকে শুরু করে ‘সিসমিক জোন ৫’ (কম্পনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি) পর্যন্ত রয়েছে ভারতে। ‘সিসমিক জোন ৪’-এর অর্থ এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা মৃদু। কম্পনের উৎস এই অঞ্চলে সাধারণত দেখা যায় না। মূলত বঙ্গোপসাগর, উত্তর-পূর্ব ভারত, নেপালের কম্পনের প্রভাব পড়তে দেখা যায় এই অঞ্চলে।

  • Indian Army: সামরিক শক্তিতে বিশ্বে চতুর্থ ভারত! পাকিস্তান, বাংলাদেশের স্থান কত নম্বরে?

    Indian Army: সামরিক শক্তিতে বিশ্বে চতুর্থ ভারত! পাকিস্তান, বাংলাদেশের স্থান কত নম্বরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ। শুধু দেশের সুরক্ষাই নয়, অন্য দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং বিশ্বমঞ্চে নিজের প্রভাব বিস্তারেও সামরিক শক্তি অন্যতম বিবেচ্য বিষয়। এজন্যই বিশ্বের প্রতিটি দেশ তার সামরিক শক্তি প্রতিনিয়ত বাড়ানোর চেষ্টা করে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষণ করে প্রতি বছর একটি তালিকা প্রকাশ করে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ২০২৫ সালের রিপোর্টে বিশ্বের চতুর্থ শক্তিধর সামরিক বাহিনীর তালিকায় চার নম্বরে আছে ভারত (Indian Army)। দিল্লির থেকে বেশ কয়েক কদম পিছনে রয়েছে ইসলামাবাদ।

    প্রতিরক্ষায় জোর কেন্দ্রের

    সাম্প্রতিক সময়ে ঘরের মাটিতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। ‘হাইপারসোনিক’ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। এ ছাড়া অত্যাধুনিক ড্রোন প্রযুক্তিতেও উন্নতি লক্ষ করা গিয়েছে। ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় শক্তি বৃদ্ধি করতে একের পর এক রণতরী এবং ডুবোজাহাজ নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি সবাইকে চমকে দিয়ে গত দু’বছরে পরমাণু অস্ত্রের সম্ভারও বাড়িয়েছে ভারত। চিন এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা বাড়ানোর জন্য ভারত তার প্রতিরক্ষা বাজেট (৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বৃদ্ধি করেছে। ভারত তেজস যুদ্ধবিমান, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো দেশীয় অস্ত্র তৈরির উপর মনোযোগ দিয়েছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্সে যুক্তরাষ্ট্রের পাওয়ার ইনডেক্স ০.০৭৪৪, রাশিয়ার ০.০৭৮৮, চিনের ০.০৭৮৮ এবং ভারতের ০.১১৮৪। এরপরের স্থানগুলোতে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জাপান, তুরস্ক এবং ইতালি রয়েছে।

    কয়েক ধাপ পিছনে পাকিস্তান

    আগেরবারও এই তালিকায় ভারত (Indian Army) চার নম্বরেই ছিল। শুধু ২০২৪ সালে নয়, ২০০৬ সাল থেকেই লাগাতার চতুর্থ স্থানে আছে ভারত। ২০০৫ সালে ভারত পঞ্চম স্থানে ছিল। আর সেই বছর যে দেশ চতুর্থ স্থানে ছিল, সেই পাকিস্তান ২০২৫ সালে ১২ নম্বরে নেমে গিয়েছে। গত বছর ছিল নয় নম্বরে। অন্যদিকে এবার সামরিক শক্তির নিরিখে বিশ্বে ৩৫ নম্বরে আছে বাংলাদেশ। তালিকায় পাকিস্তানের পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে কয়েকটি কারণের কথা বলেছেন বিশ্লেষকেরা। এর মধ্যে অন্যতম হল ইসলামাবাদের আর্থিক দুরবস্থা। প্রায় দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতের পশ্চিম পারের প্রতিবেশী। এ ছাড়া হাতিয়ারের ব্যাপারে অত্যধিক চিনা নির্ভরতা রয়েছে রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তাদের।

    এক নম্বরে আমেরিকা

    বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের নিরিখে অবশ্য এক নম্বর স্থানটি ধরে রেখেছে আমেরিকা। ২০০৫ সাল থেকে চলা ‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারে’র তালিকায় এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ধারেকাছে নেই অন্য কোনও দেশ। পাওয়ার ইনডেক্স ২০২৫-এ ওয়াশিংটনের প্রাপ্ত পয়েন্ট ০.০৭৪৪। সমীক্ষকদের দাবি, আমেরিকার হাতে রয়েছে ২১ লক্ষ ২৭ হাজার ৫০০ সৈনিকের এক বিশাল বাহিনী। দেশের বাইরে অন্তত ১০০টি সেনাঘাঁটি রয়েছে ওয়াশিংটনের। সেখান থেকে বিশ্বের যে কোনও জায়গায় আক্রমণ শানানোর ক্ষমতা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ৭৫ হাজার কোটি ডলার খরচ করেছে আটলান্টিকের পারের এই ‘সুপার পাওয়ার’।

    ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশের সামরিক শক্তি

    স্থলভাগে অস্ত্রভাণ্ডার

    ভারত: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের হাতে ৪,২০১টি ট্যাঙ্ক আছে। গাড়ি আছে ১,৪৮,৫৯৪টি। সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা হল ১০০। আর ২৬৪টি মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএসআরএস) আছে ভারতের হাতে।

    পাকিস্তান: ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের ট্যাঙ্কের সংখ্যা হল ২,৬২৭। ১৭,৫১৬টি গাড়ি আছে। সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারি ৬৬২টি রয়েছে। মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেমের (এমএসআরএস) সংখ্যা হল ৬০০।

    বাংলাদেশ: বাংলাদেশের কাছে ৩২০টি ট্যাঙ্ক আছে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ১১,৫৮৪টি গাড়ি আছে। সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারি আছে ৫৬টি। রকেট আর্টিলারি ১১০টি রয়েছ।

    আকাশপথে অস্ত্রভাণ্ডার

    ভারত: মোট এয়ারক্রাফটের সংখ্যা হল ২,২২৯। যুদ্ধবিমান আছে ৫১৩টি। আবার ৮৯৯টি হেলিকপ্টার আছে। আবার অ্যাটাক হেলিকপ্টারের সংখ্যা হল ৮০।

    পাকিস্তান: পাকিস্তানের হাতে মোট ১,৩৯৯টি এয়ারক্রাফট আছে। যুদ্ধবিমানের সংখ্যা হল ৩২৮। হেলিকপ্টার আছে ৩৭৩টি। অ্যাটাক হেলিকপ্টারের সংখ্যা হল ৫৭।

    বাংলাদেশ: বাংলাদেশের হাতে ২১৪টি এয়ারক্রাফট আছে। যুদ্ধবিমানের সংখ্যা হল ৪২। হেলিকপ্টার মাত্র ৬৫টি আছে। কোনও অ্যাটাক হেলিকপ্টার নেই।

    জলপথে অস্ত্রভাণ্ডার

    ভারত: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের হাতে ২৯৩টি ‘অ্যাসেট’ আছে। এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারের সংখ্যা হল দুই। ডেস্ট্রয়ার আছে ১৩টি। ১৪টি ফ্রিগেট আছে। সাবমেরিন আছে ১৮টি। প্যাট্রোলিং ভেসেলের সংখ্যা হল ১৩৫।

    পাকিস্তান: পাকিস্তানর ‘অ্যাসেট’-র সংখ্যা হল ১২১টি। একটিও এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং ডেস্ট্রয়ার নেই পাকিস্তানের কাছে। ন’টি ফ্রিগেট, আটটি সাবমেরিন এবং ৬৯টি প্যাট্রোলিং ভেসেল আছে পাকিস্তানের হাতে।

    বাংলাদেশ: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের হাতে ১১৮টি ‘অ্যাসেট’ আছে। ফ্রিগেটের সংখ্যা সাত। সাবমেরিনের সংখ্যা দুটি। ৬১টি প্যাট্রোলিং ভেসেল আছে। আর পাকিস্তানের মতো একটিও এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং ডেস্ট্রয়ার নেই বাংলাদেশের হাতে।

  • ICC Champions Trophy: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থাকে কার্যত বিদায় পাকিস্তানের, ভারতের জয়ে উৎসব বারামুলায়

    ICC Champions Trophy: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থাকে কার্যত বিদায় পাকিস্তানের, ভারতের জয়ে উৎসব বারামুলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোহলির শট বাউন্ডারি পেরোতেই উচ্ছ্বসিত উপত্যকা। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বইয়ের মতোই আকাশে আতশবাজির রোশনাই বারামুলায়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে ভারত। প্রথমবারের মতো, আর্টিকেল ৩৭০ বাতিলের পর,ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখল উপত্যকাবাসী। ভারত জিততেই বারামুলা শহর উৎসবের সুরে ভরে ওঠে, যা জম্মু এবং অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে। এই জয় শুধুমাত্র ভারতের ক্রিকেট দক্ষতার নয়, বরং আর্টিকেল ৩৭০ বাতিলের পর কাশ্মির উপত্যকায় পরিবর্তিত মনোভাবের প্রতীকও হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    চির প্রতিদ্বন্দ্বি পাকিস্তান

    ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই উত্তেজনা তুঙ্গে। শুরুতে দুবাইয়ের গ্যালারির কিছু অংশ ফাঁকা থাকলেও পরে তা ভরে যায়। ২৯ বছর পরে কোনও আইসিসি (ICC Champions Trophy) টুনার্মেন্ট পাকিস্তানে, অথচ ‘চিরশত্রু’ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ম্যাচটাই করাচি বা লাহোরের বদলে দুবাইয়ে। এতেই শেষ হচ্ছে না দুর্ভোগ। করাচিতে প্রথম ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের কাছে হারের পরে, রবিবারও রোহিতদের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই ছুটি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা মহম্মদ রিজওয়ানদের। লাহোর থেকে করাচি, ক্ষোভের আগুন জ্বলছে ধিকিধিকি। অন্যদিকে ওয়াঘার এপারে খুশির হাওয়া। আট বছর আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওভালে ভারতকে হারিয়ে জিতেছিল পাকিস্তান। ২০১৭ সালের সেই ম্যাচের বদলা নিল ভারত। এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেই প্রায় ছিটকে যাওয়ার অবস্থা পাকিস্তানের। প্রথমে ব্যাট করে ২৪১ রান করেছিল পাকিস্তান। বিরাট কোহলির শতরানে ৪৫ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে জিতল ভারত।

    ভারতের জয়েই খুশি উপত্যকা

    বারামুলায় এদিন জয় উদযাপন ছিল এক উজ্জ্বল প্রদর্শন। বিশেষত যুবক-যুবতীদের মধ্যে জাতীয় গর্ব এবং উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। যখন আকাশে রঙিন আতশবাজি ফোটে এবং চারপাশে আতশবাজির শব্দ ভেসে আসে, তখন শহরটা জীবন্ত হয়ে ওঠে। বারামুলার মানুষের জন্য, এই জয় শুধু ভারতীয় ক্রিকেট দলের মাঠে সাফল্য নয়, বরং এক বৃহত্তর গর্ব এবং ঐক্যের প্রতীক। “এটি এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত, বন্ধুদের সঙ্গে উদযাপন করতে পারা এক বিশেষ অনুভূতি,” বলেন এক স্থানীয় যুবক, যার মুখ আলোয় ঝলমল করছে। “ক্রিকেট আমাদের জন্য শুধু খেলা নয়; এটি আমাদের একসাথে নিয়ে আসে।”

    কিং কোহলিতে মুগ্ধ

    এক দিনের ক্রিকেটে ৫১ নম্বর শতরান করে ফেললেন কোহলি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর ১১১ বলে করা শতরান বুঝিয়ে দিল কেন তিনি বড় ম্যাচের খেলোয়াড়। ম্যাচ জেতানো বাউন্ডারিতেই শতরান পূর্ণ কোহলির। সেই শতরান করে হাত নেড়ে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি আছেন, স্বমহিমাতেই আছেন। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর সারা দেশ রাজকীয় এই ইনিংসকে তাড়িয়ে উপভোগ করে। যে কাশ্মীরকে এতদিন ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন বলে মনে করা হত। প্রধানমন্ত্রী মোদির জমানায় সেই কাশ্মীরে দাঁড়িয়েই বিরাট-রোহিতদের জয় উদযাপন করল উপত্যকাবাসী। এই জয় আর্টিকেল ৩৭০ বাতিলের পর উপত্যকাবাসীর মনের অবস্থা পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিল।

    ক্রিকেটই মেলবন্ধন, পরিবর্তিত কাশ্মীরের ছবি

    ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ অনুসারে জম্মু ও কাশ্মীর যে বিশেষ মর্যাদা পেত, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট তার বিলোপ ঘটায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তারপর থেকেই কাশ্মীরে এসেছে পরিবর্তনের জোয়ার। পরিবর্তিত কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতা নয় মেলবন্ধনই প্রাধান্য পায়। তৈরি হয়েছে নয়া রেলপথ। যা জম্মুকে যুক্ত করেছে বারামুলার সঙ্গে। এখন কাশ্মীরে ভারতের পতাকা ওড়ানো অপরাধ নয়। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে এখন রোহিত-বিরাটদের হয়েই গলা ফাটায় কাশ্মীর। যার প্রতিফলন ঘটেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) ভারতের জয়ের পর বারামুলার উচ্ছ্বাসে। ক্রিকেটকে কেন্দ্র করেই কাশ্মীরের স্থানীয় যুবকদের মধ্যে যে নতুন এক সম্প্রদায়ভিত্তিক অনুভূতি গড়ে উঠেছে। এটি মুহূর্তের উৎসব নয়, বরং কাশ্মীরের রাজনৈতিক-সামাজিক পরিবর্তনের একটি চিহ্ন।

  • BSF: শৌচালয় না বাঙ্কার! ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কী বানাচ্ছে পাক সেনা? সতর্ক বিএসএফ

    BSF: শৌচালয় না বাঙ্কার! ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কী বানাচ্ছে পাক সেনা? সতর্ক বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে শৌচালয়ের নাম করে বাঙ্কার বানাচ্ছিল পাকিস্তান (Indo-Pak Border)! আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫০ গজের মধ্যে ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ অবৈধ নির্মাণে লিপ্ত পাক সরকার। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, রাজস্থানের বারমেরে ভারত-পাক সীমান্তের কাছে একটি বাঙ্কার তৈরি করছিল পাকিস্তান। এই বেআইনি নির্মাণকাজ ধরে ফেলে বিএসএফ (BSF)। এরপরই পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয় এই ভবনটি শৌচালয়ের কাজে ব্যবহার করা হবে। যদিও বিএসএফ এই দাবি মানতে নারাজ। তারা অবিলম্বে ওই ভবন ভেঙে ফেলতে জানিয়েছে পাকিস্তানকে।

    সীমান্তে বেআইনি নির্মাণ

    আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কিছু তৈরি করা আইনত নিষিদ্ধ, এটি ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ হিসেবে গণ্য করা হয়। বারমের জেলায় (Indo-Pak Border) গাদরায় নো-ম্যানস ল্যান্ডে রবিবার রাতে অবৈধ নির্মাণ কাজ করে পাকিস্তান। দাবি ভারতীয় সেনার। বিএসএফ (BSF) জানায়, সীমান্তের সততা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। কমান্ডার কর্তৃক এই নির্মাণ নিয়ে পাকিস্তানকে প্রতিবাদ নোট পাঠানো হয়েছে। এরপরই জুনিয়র অফিসারদের একটি ফ্ল্যাগ মিটিং সম্পন্ন হয়। যেখানে ওই নির্মাণটি যে ১৫০ গজের মধ্যে ছিল এই বিষয়টি পাকিস্তান (India-Pakistan) অস্বীকার করে। এদিকে, পাকিস্তান আরও দাবি করেছিল যে, তারা সৈন্যদের জন্য একটি অস্থায়ী টয়লেট তৈরি করছে এবং এটি কোনও বাঙ্কার বা পর্যবেক্ষণ পোস্ট নয়। যদিও, এই বিষয়টি আদৌ কতটা সত্যি এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    বিএসএফ-এর হুঁশিয়ারি

    বিএসএফ-এর (BSF) এক অফিসার এ প্রসঙ্গে বলেন, “নির্মাণ কাজ এখন স্থগিত করা হয়েছে এবং মাঠে কর্তব্যরত ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা নির্মাণস্থলের মাপ পরিমাপ করার দাবি জানিয়েছেন। পাকিস্তান রাতে এটি তৈরি করেছে, এর মানে তারা জানত যে এটি অবৈধ। সদর দফতরে এই ঘটনা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। সিনিয়র কর্মকর্তারা সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক চেয়েছেন। পাকিস্তান রেঞ্জার্স এখনও সাড়া দেয়নি। যদি তারা নির্মাণ অব্যাহত রাখে, তাহলে বিএসএফও তাদের সামনে একটি অনুরূপ বাঙ্কার তৈরি করবে।” এই অঞ্চলে ভারতীয় সীমান্ত রাজস্থান প্রশাসনের আওতাধীন, সীমান্ত এলাকা বিএসএফের গুজরাট ফ্রন্টিয়ারের দায়িত্বে। বিএসএফ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ২,২৯৬.৬৬ কিলোমিটার এবং কন্ট্রোল লাইন (LoC) এর ৪৩৫ কিলোমিটার পাহারা দেয়। তারাই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

  • Mohun Bagan: পর পর দু’বার! দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই আইএসএল লিগ-শিল্ড জয়ের ইতিহাস মোহনবাগানের

    Mohun Bagan: পর পর দু’বার! দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই আইএসএল লিগ-শিল্ড জয়ের ইতিহাস মোহনবাগানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে প্রয়োজন ছিল একটি জয়। আর অপেক্ষা নয়, ঘরের মাঠেই সেই লক্ষ্যে সফল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। ইনজুরি টাইমে দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোল। আর কোনও অঙ্ক নয়। মোহনবাগান লিগ-শিল্ড (ISL League Shield Champion) ধরে রাখল। আইএসএলে টানা দু-বার লিগ শিল্ড জয়ের ইতিহাস মোহনবাগানের। এর আগে কোনও টিমের এই কৃতিত্ব ছিল না। ২২ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ-শিল্ড জিতলেও এখনই তা পাচ্ছে না মোহনবাগান। ৮ মার্চ যুবভারতীতে নিজেদের শেষ ম্যাচে শিল্ড তুলবে তারা।

    পেত্রাতোসের গোলেই জয়

    সেই দিমিত্রি পেত্রাতোস। মোহনবাগান (Mohun Bagan) জনতার নয়নের মণি। গত মরসুমে দুর্দান্ত খেলেছিলেন। কিন্তু এবার চোট পাওয়ার পরে গোল পাচ্ছিলেন না। চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু হচ্ছিল না। সেই পেত্রাতোসের গোলেই লিগ-শিল্ড জিতল মোহনবাগান। এদিন খেলার শুরু থেকেই মোহনবাগান আক্রমণাত্মক ছিল। প্রথমার্ধেই বেশ কয়েক বার গোলের কাছে পৌঁছে যায় মোহনবাগান। কিন্তু গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না ম্যাকলারেনরা। দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছবি। অবশেষে ৯৩ মিনিটের মাথায় বাঁ পায়ের শটে গোল করে সোজা গ্যালারির কাছে ছুটে গেলেন পেত্রাতোস। সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কাছে। যে সমর্থকেরা কঠিন সময়ে তাঁর উপর বিশ্বাস রেখেছেন, ভরসা দেখিয়েছেন, সেই জনতার সঙ্গে উল্লাস করলেন। দেখা গেল পেত্রাতোসের পরিচিত ‘স্টেনগান’ সেলিব্রেশন। গোটা দল তখন উচ্ছ্বাসে ব্যস্ত। পেত্রাতোসের গোলের পর মাঠে নেমে উচ্ছ্বাসে ভাসলেন কোচ হোসে মোলিনাও। তাঁর কাছেও এটা ছিল পরীক্ষা।

    এবার নকআউট ট্রফিই লক্ষ্য

    এ মরসুমে শুরুর দিকে অস্বস্তিতে ছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। কোচ বদল হয়। হোসে মোলিনা দায়িত্ব নিয়ে আগে রিজার্ভ বেঞ্চ শক্তিশালী করার দিকে নজর দেন। তাঁর লক্ষ্য সফল হয়েছিল। টানা জয়ের মাঝেও বেশ কিছু ড্রয়ে অস্বস্তি বেড়েছিল। আবারও ঘুরে দাঁড়ায় মোহনবাগান। অবশেষে একটা লক্ষ্য পূরণ। টানা দ্বিতীয় বার আইএসএলে লিগ-শিল্ড (ISL League Shield Champion) জয়। এই প্রথম বার আইএসএলের ইতিহাসে কোনও দল ৫০-এর বেশি পয়েন্ট পেল। এখনও দু’টি ম্যাচ বাকি বাগানের। কাজও বাকি। এবার একসঙ্গে দুটো ট্রফি জেতাতেই নজর সবু-মেরুন সমর্থকদের। গত সংস্করণে আইএসএল লিগ-শিল্ড জিতলেও নকআউট ট্রফি আসেনি। এবার নকআউট ট্রফিই লক্ষ্য মোহনবাগানের।

  • Virat Kohli: পাক-বধে কিং কোহলি! বিরাটের শতরানে কার্যত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ চারে ভারত

    Virat Kohli: পাক-বধে কিং কোহলি! বিরাটের শতরানে কার্যত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ চারে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ের জন্য ভারতের দরকার ২ রান, আর চার রান পেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) প্রথম শতরান হবে কোহলির (Virat Kohli)। গ্যালারি তখন পিন ড্রপ সাইলেন্ট, ডাগ আউটে অধিনায়ক রোহিতের গালে হাত! কিসের চিন্তা? ভারত তো জিতেই গিয়েছে, শুধু সময়ের অপেক্ষা। না অপেক্ষা শতরানের, বিরাট ইনিংসের রাজকীয় সমাপন। গ্যালারির তখন একটাই প্রার্থনা বাউন্ডারি। এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। খুশদিল শাহকে কভারের উপর দিয়ে চার মেরে দেশকে জেতানোর পর বুকে বার বার হাত ঠেকিয়ে বিশেষ একটি ভঙ্গি করতে দেখা গেল তাঁকে। যেন গ্যালারির দিকে তাকিয়ে বলতে চাইছেন, “ম‍্যায় হুঁ না!”

    পাকিস্তানের বিপক্ষে বিরাট ইনিংস

    পাকিস্তানকে দেখলেই যেন বাড়তি এনার্জি পান বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ২০১২ এশিয়া কাপে ১৮৩। ২০১৫ এক দিনের বিশ্বকাপে ১০৭। ২০২৩ এশিয়া কাপে ১২২। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত ১০০। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত খেলতে নামবে আর তাঁর ব্যাটে রান দেখা যাবে না, এমন খুব কমই হয়েছে। ফর্ম, অবসর, শেষ আইসিসি প্রতিযোগিতা ইত্যাদি আলোচনায় জল ঢেলে কোহলি আরও এক বার বুঝিয়ে দিলেন, তিনি ফুরিয়ে যাননি। তিনি আছেন। আর বিপক্ষে পাকিস্তান হলে, তাঁর ব্যাট কথা বলবেই।এদিন শুরু থেকে সতর্ক ব্যাটিং করেন। লেগ স্পিনার আবরার আহমেদের বোলিংয়ে অতিরিক্ত ঝুঁকি নেননি। বরং নিজের ইনিংসটাকে হিসেব করে সাজিয়েছিলেন। অবশেষে ১১১ ডেলিভারিতে সেঞ্চুরি। ওয়ান ডে কেরিয়ারে সেঞ্চুরির নিরিখে মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরকে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেই ছাপিয়ে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। এদিন ওডিআইতে ৫১তম সেঞ্চুরি করলেন কিং কোহলি।

    কার্যত বিদায় পাকিস্তানের

    তারকারা বড় মঞ্চেই জ্বলে ওঠেন। বিরাট কোহলি (Virat Kohli) তা আবার প্রমাণ করলেন। দুবাইয়ে রবিবাসরীয় ভারত-পাক মহারণে ভিকে সত্যিই ভেরি ভেরি স্পেশাল। তাঁর দুরন্ত শতরানে ভর করেই পাকিস্তান বধ রোহিত ব্রিগেডের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে শুধু হারানো নয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেই কার্যত ছিটকে দিলেন মহাতারকা। ভারতের সেমি-ফাইনালে জায়গাও প্রায় নিশ্চিত করলেন বিরাট। কিন্তু ম্যাচের নায়ককে আবেগে ভাসতে দেখা গেল না। বললেন, “সত্যি বলতে, যে ভাবে খেলেছি সেটা এই ধরনের ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রোহিতকে শুরুতেই হারানোর পর ম্যাচ জেতানোর পিছনে নিজে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। আগের ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমি নিজের খেলার ধরন জানি। তাই বাইরের কোনও আওয়াজ শুনি না। নিজের মতো থাকি, নিজের শক্তি এবং ভাবনাচিন্তার খেয়াল রাখি। প্রত্যাশার চাপে মাথা ঘুরে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই আমি বর্তমানে বাঁচতে ভালবাসি এবং প্রতিটা সুযোগে দলের জন্য কিছু করতে চাই। প্রতিটা বলে ১০০ শতাংশ দেওয়াই আমার লক্ষ্য।”

  • Sniper Rifle: নিখুঁত নিশানা! দেড় কিমি দূর থেকেই লক্ষ্যভেদ, ভারতীয় সাবর হারাল মার্কিন ব্যারেট-কে

    Sniper Rifle: নিখুঁত নিশানা! দেড় কিমি দূর থেকেই লক্ষ্যভেদ, ভারতীয় সাবর হারাল মার্কিন ব্যারেট-কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের হাত ধরে অস্ত্রের জগতে ভারত ক্রমাগত শক্তি বাড়াচ্ছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSG) বৃহস্পতিবার অল ইন্ডিয়া পুলিশ কমান্ডো প্রতিযোগিতায় (All India Police Commando) কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং রাজ্যগুলির কমান্ডো শাখাকে পরাজিত করে স্নাইপার (Sniper Rifle) বিভাগে জিতেছে। দেশে তৈরি স্নাইপার রাইফেল এবার টেক্কা দিয়েছে তার বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীদের।

    রাইফেলের নিখুঁত নিশানা

    সর্বভারতীয় পুলিশ কম্যান্ডো প্রতিযোগিতার স্নাইপার (Sniper Rifle) ক্যাটেগরিতে ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড’ (এনএসজি) বাহিনী ‘সাবার’ ব্যবহার করেই ছিনিয়ে এনেছে সেরার সম্মান। এর পোশাকি নাম .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম। এই অস্ত্র প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে নিখুঁত নিশানায় আঘাত করতে পারে শত্রুকে! শুধু নিখুঁত লক্ষ্যভেদই নয়, প্রাণঘাতী আঘাত-সহ সমস্ত মাপকাঠিতেই ‘নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী’ আমেরিকায় তৈরি ৫০ ক্যালিবারের ‘ব্যারেট’কে পিছনে ফেলেছে ‘সাবার’। ওই স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করে দ্বিতীয় হয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশের বিশেষ সন্ত্রাসদমন কম্যান্ডো বাহিনী ‘ফোর্স ওয়ান’।

    চাহিদা বাড়বে

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের ইছাপুর রাইফেল (Sniper Rifle) ফ্যাক্টরিতে প্রায় দেড় দশক আগে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছিল প্রথম স্নাইপার রাইফেল ‘ঘাতক’। বিভিন্ন রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় আধাসেনা ব্যবহার করে। রাইফেল সাবার সম্পূর্ণরূপে ভারতে তৈরি। এর ডিজাইনও শুধুমাত্র ভারতে করা হয়েছে। এই রাইফেল দিয়ে দেড় কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত নির্ভুল নিশানা করা যায়। বেঙ্গালুরুর ছোট আগ্নেয়াস্ত্র প্রস্তুতকারক এসএসএস ডিফেন্সের তৈরি .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম ইতিমধ্যেই বিদেশের কয়েকটি কম্যান্ডো বাহিনী ব্যবহার করে। উৎকর্ষের নতুন মাত্রায় পৌঁছোনোর ফলে তার চাহিদা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশীয় প্রযুক্তির গর্ব

    ‘সাবার’ ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি স্নাইপার রাইফেল (Sniper Rifle) । এর সাফল্য দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি বড় অর্জন। এটি প্রমাণ করে যে ভারত এখন আন্তর্জাতিক মানের সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করতে সক্ষম। সাবার’-এর সাফল্য ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি দেশের সামরিক সক্ষমতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।

  • ICC Champions Trophy: ফেবারিট ভারত, মরণ-বাঁচন ম্যাচ পাকিস্তানের! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এগিয়ে কোন দল?

    ICC Champions Trophy: ফেবারিট ভারত, মরণ-বাঁচন ম্যাচ পাকিস্তানের! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এগিয়ে কোন দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপার সানডে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) আাগমী কাল ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত খেলতে নামবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতে এগিয়ে রয়েছে ভারত। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারায় রবিবার মরণ-বাঁচন‌ ম্যাচ পাকিস্তানের। তবে, বাংলাদেশ ম্যাচে জয় পেলেও ভারতীয় দল কিন্তু পয়েন্ট তালিকায় ২ নম্বরে। তাই পাকিস্তানকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ স্থানে ওঠাই লক্ষ্য ভারতের।

    কে কোন ম্যাচে এগিয়ে

    সাম্প্রতিক সময় আইসিসি (ICC Champions Trophy) ইভেন্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাপট দেখিয়েছে ভারত। ওডিআই বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে যখনই খেলতে নেমেছে তখনই হারের মুখ দেখেছে পাকিস্তান। কিন্তু আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আবার এগিয়ে পাকিস্তানই। মিনি বিশ্বকাপে এই দুই দল ৫ বার মুখোমুখি হয়েছে। এরমধ্যে তিনবার জয় পেয়েছে পাকিস্তান, দুবার জিতেছে ভারত। ২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। সেই ম্যাচে পাকিস্তান সহজেই জিতে যায়। ২০০৯ সালে সেঞ্চুরিয়ানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হয় ভারত পাক। শোয়েব মালিকের শতরানে ভর করে সেই ম্যাচেও জয় পায় পাকিস্তান। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের মুখ দেখে ভারত। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানকে হেলায় হারায় ভারত। কিন্তু ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরেই ট্রফি জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় ভারতের।

    চালকের আসনে ভারতই

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) ফলাফল যাই-হোক না কেন গত দেড় দু’দশক ধরে ভারতই পাকিস্তানের উপর কর্তৃত্ব করছে ৷ এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের দল পাকিস্তানের থেকেও শক্তিশালী ৷ রবিবার দুবাইয়ে রোহতরাই ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামবেন। এই ম্যাচকে ঘিরে গোটা বিশ্ব অপেক্ষা করে রয়েছে। ২২ গজে আরও একবার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। মেগা ম্যাচ ঘিরে চড়তে শুরু করেছে পারদ। দুই দলের সমর্থকরা ভিড় জমাচ্ছেন। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ইতিমধ্যেই বলেছেন, ‘‘ব্যাটিং অর্ডারে আমাদের প্রথম চার জন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। সেখানে কোনও বদল হবে না। তার মধ্যে অন্তত একজনকে সেঞ্চুরি করতে হবে। বিশ্বকাপে আমরা খুব বেশি সেঞ্চুরি না করেও বড় স্কোর করেছি। প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত সাফল্যের দিকে না তাকিয়ে দলগত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। এখানেও যদি আমাদের ৭-৮ জন সেই ভাবে চেষ্টাটা চালাতে পারে, তবে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।’’

    ভারতীয় দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল, ঋষভ পন্ত, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা, মহম্মদ শামি, আর্শদীপ সিং, রবীন্দ্র জাদেজা, বরুণ চক্রবর্তী।

    পাকিস্তান দল: মহম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), বাবর আজম, ইমাম-উল-হক, কামরান গুলাম, সউদ শাকিল, তায়েব তাহির, ফাহিম আশরাফ, খুশদিল শাহ, সলমন আলি আঘা, উসমান খান, আবরার আহমেদ, হ্যারিস রউফ, মহম্মদ হাসনাইন, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি।

  • Kash Patel: ‘‘কাশকে সবাই পছন্দ করে’’, বললেন ট্রাম্প, গীতা ছুঁয়ে শপথ নিলেন নয়া এফবিআই প্রধান

    Kash Patel: ‘‘কাশকে সবাই পছন্দ করে’’, বললেন ট্রাম্প, গীতা ছুঁয়ে শপথ নিলেন নয়া এফবিআই প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গীতা ছুঁয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের প্রধান হিসাবে শপথ গ্রহণ করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ্যপ ওরফে কাশ প্যাটেল (Kash Patel)। তিনি জানান, এফবিআই-এ “সততা এবং ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধার” করার সময় এসেছে। এফবিআই-র প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডিরেক্টর প্যাটেল। এ দিন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি তাঁকে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন-এর নবম পরিচালক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ বাক্য পাঠ করান।

    কাশকে কেন পছন্দ ট্রাম্পের

    আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ ঘনিষ্ঠ কাশ (Kash Patel)। তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও ট্রাম্প উপস্থিত ছিলেন। কেন তিনি কাশকে পছন্দ করেন, কেন তাঁকেই এই পদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে মনে হয়, জানিয়েছেন ট্রাম্প। শনিবার হোয়াইট হাউসের ইইওবি ভবনে ভারতীয় চুক্তি কক্ষে কাশের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এফবিআইয়ের ডিরেক্টর হিসাবে শপথগ্রহণের সময়ে গীতার উপরে হাত রেখেছিলেন কাশ। ট্রাম্প বলেন, ‘‘কাশকে আমি পছন্দ করি। এই কাজের দায়িত্ব উনি পান, আমি চেয়েছিলাম। তার অন্যতম কারণ হল, এফবিআইয়ের সমস্ত এজেন্ট ওঁকে ভীষণ সম্মান করেন। এই পদের জন্য উনিই সবচেয়ে উপযুক্ত।’’ শপথের অনুষ্ঠানে কাশকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।

    গীতা হাতে শপথ

    ৪৪ বছরের কাশের (Kash Patel) শিকড় রয়েছে ভারতে। গুজরাটের আনন্দ জেলার ভদ্রন গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তাঁরা। তাই হিন্দু সংস্কৃতির মতোই গীতা হাতে শপথ নেন কাশ। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যাটেলের বান্ধবী এবং পরিবারের সদস্যরা। পথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের শেষে মার্কিন জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্যাটেল। তিনি বলেন, ‘‘আমি আমেরিকানদের স্বপ্নের মধ্যেই বেঁচে আছি। যারা মনে করেন আমেরিকানদের স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সামনের দিকে তাকিয়ে দেখুন। আমি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত হয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্ব দিতে চলেছি। এটি অন্য কোথাও ঘটতে পারত না।’’

LinkedIn
Share