Author: ishika-banerjee

  • India’s ‘Aakraman’ Exercise: পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ হামলা, পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মাঝেই ভারতের ‘আক্রমণ’ মহড়া কিসের ইঙ্গিত?

    India’s ‘Aakraman’ Exercise: পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ হামলা, পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মাঝেই ভারতের ‘আক্রমণ’ মহড়া কিসের ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান (Indi – Pakistan) উত্তেজনা যখন চরমে, তখনই ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) শুরু করেছে এক বড় সামরিক মহড়া। যার নাম ‘আক্রমণ’। নামেই পরিষ্কার এই মহড়ার (India’s ‘Aakraman’ Exercise) উদ্দেশ্য ও বিধেয়। দেশের মধ্যাঞ্চলে শুরু হওয়া এই মহড়ার অংশ নিয়েছে বায়ুসেনার (Indian Air Force) তুখোড় যুদ্ধবিমানের বহর, যার নেতৃত্বে রয়েছে রাফাল ও সুখোই-৩০ এমকেআই স্কোয়াড্রন।

    নিয়মিত প্রস্তুতির অঙ্গ

    রাফাল স্কোয়াড্রন দুটি, আম্বালা ও হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে, সেখান থেকে বিমানগুলি এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। পূর্বাঞ্চল থেকেও বেশ কিছু বিমান ও সেনা-সরঞ্জাম এই মহড়ার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বায়ুসেনার এক অফিসার জানিয়েছেন, “এটি নিয়মিত প্রস্তুতির অঙ্গ হলেও, পহেলগাঁওয়ে হামলার পর মহড়ার সময়সূচি তাৎপর্যপূর্ণ। রাফাল ও সুখোই বিমানগুলি নির্ভুল ভুমি-আক্রমণ ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধাভিযান অনুশীলন করছে।” যদিও ভারত সরকার বলছে এটি একটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ, তবে ইতিহাস বলছে অন্য কথা। অতীত বলছে, ২০২০ সালে লাদাখ সংঘাতের আগে চিন সীমান্তে একাধিক সামরিক মহড়া চালিয়েছিল। তার মাসখানেকের মধ্যেই গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়, যাতে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন। চিনেরও প্রায় চল্লশিের বেশি সৈন্য নিহত হয়। আবার ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ঠিক আগে, তারা Zapad নামে বিশাল সামরিক মহড়া চালিয়েছিল, যেখানে ২ লক্ষ সেনা, ৮০টির বেশি বিমান, ১৫টি যুদ্ধজাহাজ অংশ নিয়েছিল। এইসব নজির ইঙ্গিত দেয় যে, ভারতের ‘আক্রমণ’ মহড়া নিছক ট্রেনিং নয়, বরং একটি কৌশলগত বার্তা—যেটি যেমন দেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির প্রতিফলন, তেমনি শত্রু পক্ষের কাছে একটি সতর্ক সংকেত।

    কেমন চলছে অনুশীলন

    এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে মিগ-২১, এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, AWACS (এয়ারবোর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম), মিড-এয়ার রিফুয়েলার ও গরুড় কমান্ডোরা। মহড়ার অনুশীলনে সমতল এলাকা থেকে শুরু করে পার্বত্য অঞ্চলে আক্রমণের অনুশীলন করা হচ্ছে, যা বাস্তব অভিযানের অনুরূপ। সূত্রের খবর, ইস্টার্ন সেক্টর থেকে সেন্ট্রাল সেক্টরে অনেক বায়ুসেনার সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। যেখানে এই মহড়ার আওতায় দূরদূরান্তে গিয়ে শত্রুর অবস্থানে সুনির্দিষ্ট বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে। পাইলটরা বাস্তব যুদ্ধের পরিস্থিতিতে অনুশীলন করছেন, যাতে তাঁরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা পেতে পারেন।

    আরব সাগরে নৌ মহড়া শুরু

    মহড়ার ঠিক আগেই পাকিস্তান আরব সাগরে নৌ-মহড়া শুরু করে এবং ২৪ ও ২৫ এপ্রিল তারিখে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য এনওটিএএম (Notice to Airmen/Mariners) জারি করে। একই সময় ভারতীয় নৌবাহিনী আরব সাগরে গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার আইএনএস সুরাটের মাধ্যমে সফলভাবে একটি মিড-রেঞ্জ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (MR-SAM) উৎক্ষেপণ করে, যা তাদের প্রস্তুতি ও সক্ষমতার প্রমাণ দেয়।

    দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অঙ্গীকার 

    পাকিস্তান ইতিমধ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে নানা পাল্টা পদক্ষেপ করেছে—ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমা বন্ধ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত এবং সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতকে ‘যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য’ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নয়াদিল্লি যে এ বার কঠোর অবস্থান নিয়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তা স্পষ্ট করতে বিহারে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার বলেন, “২৬ এপ্রিলের পহেলগাঁও হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের রক্ত বৃথা যাবে না। ভারত প্রতিটি জঙ্গি ও তাদের মদতদাতাদের খুঁজে বার করবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবে।”

    সক্রিয় প্রতিরোধে বিশ্বাস 

    পহেলগাঁওয়ে হামলায় সাতজন জঙ্গি শরিক ছিল, যাদের অধিকাংশই পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার (LeT) সাথে যুক্ত। তারা বডি-ক্যামেরা ও স্টিল কোর গোলাবারুদসহ একে-৪৭ নিয়ে পর্যটকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়, বিশেষত হিন্দু পুরুষদের টার্গেট করে। এরপরই ভারতের সামরিক মহড়া এবং কূটনৈতিক কৌশল থেকে স্পষ্ট—দেশ এখন আর প্রতিক্রিয়ার নীতিতে নয়, বরং সক্রিয় প্রতিরোধে বিশ্বাস করছে। ‘আক্রমণ’ মহড়া সেই বার্তাই বহন করছে। কেন্দ্রীয় সেক্টরে বর্তমানে যুদ্ধ মহড়া চলছে। এই মহড়ায় বিমান বাহিনীর পাইলটরা পাহাড়ি ও স্থল লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অনুশীলন করছেন।

    থর মরুভূমিতে যুদ্ধ-প্রস্তুতি

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২৫-২৬ এপ্রিল রাতে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একাধিক পোস্ট থেকে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে অপ্রীতিকরভাবে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়। ভারতীয় সেনারা ছোট আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে উপযুক্তভাবে জবাব দিয়েছে। এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।” এই আবহে শুরু হয়েছে বায়ুসেনার আক্রমণ মহড়া, চলছে নৌসেনার প্রস্তুতি। একইসঙ্গে রাজস্থানে যুদ্ধ-প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। জয়পুরে সপ্তশক্তি কামান নিয়ে রাজস্থানের থর মরুভূমিতে পাক বর্ডারের কাছে যুদ্ধ-প্রস্তুতি। পাকিস্তানের সীমা অতিক্রম করে স্ট্রাইক ? এই যুদ্ধ-প্রস্তুতির মাধ্যমে। প্রতিপক্ষের সীমা অতিক্রম করে কীভাবে স্ট্রাইক করা যায়, তার জন্যই ভারতের এই যুদ্ধ-প্রস্তুতি। এই যুদ্ধ-প্রস্তুতিতে প্যারা-এসএফ কম্যান্ডোর সঙ্গে ট্যাঙ্ক ও স্পেশাল আর্মড ভেহিক্যালসের ব্যবহার করা হয়েছে। শত্রুদের এলাকা কব্জা করতে এই ট্যাঙ্কের ব্যবহার করা হয়, সূত্রের খবর। এরপর প্যারা কম্যান্ডো অপারেশনের পর ফিরে আসে।

  • Pahalgam Terror Attack: ‘‘প্ল্যান এ ফেল, উপত্যকার ঘাসে রয়েছে ৩৫টি বন্দুক’’! আটক ঘোড় সহিসের ‘প্ল্যান বি’-ই কি বৈসরনে হামলা?

    Pahalgam Terror Attack: ‘‘প্ল্যান এ ফেল, উপত্যকার ঘাসে রয়েছে ৩৫টি বন্দুক’’! আটক ঘোড় সহিসের ‘প্ল্যান বি’-ই কি বৈসরনে হামলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Terror Attack) হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শুক্রবার এক সহিসকে আটক করেছে গান্দেরবাল পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওর ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ভিডিওটি রেকর্ড করেছেন এক মহিলা পর্যটক। ভিডিওতে তিনি ওই ব্যক্তির ছবি দেখিয়ে অভিযোগ করেছেন, সন্দেহভাজন পহেলগাঁওয়ের হামলাকারীদেরই একজন। তাঁর আরও দাবি, তিনি যখন কাশ্মীরে ঘুরতে এসেছিলেন ওই ব্যক্তি তাঁর ধর্ম পরিচয় জানতে চেয়েছিল। ওই ছবির ভিত্তিতে দ্রুত ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে পুলিশ।

    অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয়

    গান্দেরবাল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সহিসের নাম আইয়াজ আহমেদ জুঙ্গাল। তাঁর বাবার নাম নবি জুঙ্গাল। গান্দেরবালের গোহিপোড়া রাইজানের বাসিন্দা তিনি। সোনমার্গের থাজওয়াস হিমবাহে পর্যটকদের খচ্চরের সওয়ারি করান তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, এই আইয়াজের সঙ্গে পহেলগাঁও হামলার কোনও যোগ রয়েছে কি না, মহিলা যে সহিসের কথা বলেছেন, ধৃত তিনিই কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত তিন জনের স্কেচ প্রকাশ করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। সেই স্কেচ দেখার পরে একতা তিওয়ারি নামে এক মহিলা পর্যটক দাবি করেছেন, ওই তিন জনের মধ্যে এক জনের সঙ্গে গত ২০ এপ্রিল তাঁর দেখা হয়েছিল পহেলগাঁওয়ে। একতা উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর থেকে ২০ জনের একটি দলের সঙ্গে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন।

    ভাইয়ের হাতে রুদ্রাক্ষ কেন

    একতা নিজের মোবাইলে মেরুন জ্যাকেট, পাজামা পরা এক ব্যক্তির ছবি দেখিয়ে দাবি করেন, ওই ব্যক্তিই পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) সঙ্গে জড়িত। ওই ব্যক্তি তাঁকে ধর্ম নিয়েও জিজ্ঞাসা করেছিলেন বলে দাবি একতার। তিনি আরও জানিয়েছেন, বৈসরন উপত্যকাতেই ওই ব্যক্তির ছবি তুলেছেন তিনি। তবে তাঁর নাম জিজ্ঞাসা করতে ভুলে গিয়েছেন। ভিডিওতে একতা আরও দাবি করেন, তাঁর বন্ধুরাও ওই ব্যক্তিকে চিনতে পেরেছেন। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। তবে তিনি একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। স্ক্রিনশটে দেখা যাচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অন্যরাও জঙ্গিদের স্কেচ থেকে সন্দেহভাজনদের চিনতে পেরেছেন। একতা জানিয়েছেন, ওই সহিস তাঁকে তাঁর নাম এবং ধর্ম জিজ্ঞাসা করেছিলেন। একতার ভাইয়ের হাতে রুদ্রাক্ষ দেখে ওই ব্যক্তি জানতে চান, কেন তাঁর ভাই হাতে ওটা পরেছেন?

    অজমের শরিফ গিয়েছেন

    একতার দাবি, ওই ঘোড় সহিস এ-ও জিজ্ঞাসা করেন যে, একতা কখনও অজমের শরিফ বা অমরনাথ গিয়েছেন কি না। তাঁর কত জন হিন্দু বা মুসলিম বন্ধু রয়েছেন। তিনি অমরনাথ যেতে চান কি না, তা-ও জিজ্ঞাসা করেছিলেন ওই সহিস। তাঁর অমরনাথ যাত্রার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন বলেও দাবি করেছিলেন সহিস। একতা কোরান পড়েছেন কি না, সেই প্রশ্নও করেন তিনি। একতার দাবি, তিনি জবাবে জানিয়েছিলেন, উর্দু পড়তে পারেন না। তাই কোরান পড়া হয়নি। তখন সহিস জানিয়েছিলেন, হিন্দিতে লেখা কোরানও পাওয়া যায়। একতা জানিয়েছেন, এ সব প্রশ্নের পরে তিনি ভয় পেয়ে যান।

    প্ল্যান এ ফেল, প্ল্যান বি!

    একতা জানান, এসব কথা শুনে তিনি ও তাঁর দল সিদ্ধান্ত নেন যে, বৈসরনে যাবেন না। তাঁরা ফিরে আসেন। এর মধ্যেই ওই সহিসের কাছে একটা ফোন আসে। একতা জানান, তাঁর সঙ্গে কথোপকথনের সময়ই ওই ব্যক্তির ফোন আসে। সেই ফোনে তাঁকে বলতে শুনেছিলেন, ‘‘প্ল্যান এ ব্রেক ফেল। প্ল্যান বি ৩৫ বন্দুক পাঠানো হয়েছে। উপত্যকার ঘাসে রয়েছে।’’ যখন সহিস বুঝতে পারেন একতা তাঁর কথা শুনছেন, তখন অন্য ভাষায় তিনি কথা বলতে শুরু করেন, এমনটাই জানিয়েছেন একতা। এখন প্রশ্ন তবে কি প্ল্যান বি-ই বৈসরনে হামলা! ২৬ নিরীহ হিন্দু পর্যটককে হত্যা! বৈসরনের ঘাসেই কি লুকানো ছিল আগ্নেয়াস্ত্র! যা দিয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা!

    জেরা শুরু আইয়াজের

    মহিলার আরও দাবি, কথা শুনে ওই সহিসকে পাকিস্তানি বলে মনে হয়েছিল তাঁর। প্রশ্ন উঠেছে, এইসব শোনার পরেও পুলিশকে কেন জানাননি তিনি? একতার দাবি, পর্যটকদের বুথে কোনও লোক ছিল না। এমনকি, পহেলগাঁওয়ের ৭-৮ কিলোমিটার আগে একটি চেকপোস্ট ছিল। তিনি যখন ফিরছিলেন, তখন সেই চেকপোস্টেও কেউ ছিলেন না। কিন্তু একতা বারবার দাবি করেছেন, পুলিশ যে তিনজনের স্কেচ প্রকাশ করেছেন, তাদের মধ্যে একজনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল পহেলগাঁওতেই। একতার অভিযোগের ভিত্তিতেই আইয়াজকে গ্রেফতার করে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। এখন তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। তবে, ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে সত্যিই পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) যোগ রয়েছে কি না সেই বিষয়ে স্পষ্ট করেনি পুলিশ।

  • Pahalgam Terror Attack: জোর করে পাহাড়ে তোলা হয়েছিল,পুলিশ দেখেও নীরব! পহেলগাঁও হামলায় নিহত শুভমের স্ত্রীর বিস্ফোরক দাবি

    Pahalgam Terror Attack: জোর করে পাহাড়ে তোলা হয়েছিল,পুলিশ দেখেও নীরব! পহেলগাঁও হামলায় নিহত শুভমের স্ত্রীর বিস্ফোরক দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দু’মাস আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন দম্পতি। ফেব্রুয়ারিতে চার হাত এক হয়েছিল কানপুরের ব্যবসায়ী শুভম দ্বিবেদীর। গা থেকে এখনও মুছে যায়নি নতুন বিয়ের গন্ধটুকু। স্ত্রী ঐশ্বন্যাকে নিয়ে মধুচন্দ্রিমার জন্য বেছে নিয়েছিলেন ভূস্বর্গকে। কিন্তু সেই মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে বিধবা হলেন ঐশ্বন্যা। সিঁথির লাল রং মুছে গেল রক্তের দাগে। মঙ্গলবার দুপুরে অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ব্যবসায়ী শুভম। অতর্কিতে হামলার ফলে এলোপাথাড়ি গুলিতে রক্তে ভেসে যায় বৈসরন। এখনও পর্যন্ত সেই ঘটনায় ২৬ জন হিন্দুর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই পর্যটক। হামলায় কেউ স্বামীকে হারিয়েছেন, কেউ পুত্রকে! মাত্র কয়েক মিনিটের তাণ্ডবের নেপথ্যে ছিল চার থেকে ছ’জন জঙ্গি। কিন্তু শুভমের স্ত্রীর দাবি, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে বড় চক্রান্ত। রয়েছে স্থানীয় যোগাযোগ।

    স্থানীয় কয়েকজন ঘোড়াওয়ালাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    কানপুরের বাসিন্দা শুভম দ্বিবেদীর মরদেহ তাঁর শহরে নিয়ে আসা হয়। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে নিজে উপস্থিত হন। মুখ্যমন্ত্রীর সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে শুভমের স্ত্রী ঐশান্যা (Aishanya)। তিনি জানান, হামলার আগেই কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছিল, যা থেকে স্পষ্ট হয় যে স্থানীয়দের কেউ কেউ এই হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। ঐশান্যা জানিয়েছেন, তাঁরা দু’জনে ঘোড়ায় চড়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন, তবে তাঁরা আগেই ঘোড়াওয়ালাকে বলে দিয়েছিলেন বেশি উঁচুতে না নিয়ে যেতে। কিন্তু সেই ঘোড়াওয়ালা জোর করে তাঁদের পাহাড়ের শীর্ষে নিয়ে যেতে থাকে। শুভম তাঁকে অনুরোধ করেন যে পুরো টাকা নিয়ে নিলেও যেন নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু সেই অনুরোধ উপেক্ষিত হয়।

    জড়িত কয়েকজন কাশ্মীরি পুলিশকর্মী

    কয়েকটি পরিবারের অভিযোগ, ঘোড়াওয়ালারা ইচ্ছাকৃতভাবে পর্যটকদের ওপর দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন এবং যখন গুলি চলতে শুরু করে, তখন চারদিকে হইচই পড়ে যায়। সেসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত তিনজন কাশ্মীরি পুলিশকর্মী ছিলেন, কিন্তু তাঁরা কিছুই করেননি। পর্যটকদের সাহায্যের জন্য বারবার চিৎকার করা হলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। শুভমের বাবা জানান, পহেলগাঁওয়ে তাঁদের হোটেলে কিছু স্থানীয় ব্যক্তি পর্যটকদের সম্পর্কে — কে কোথা থেকে এসেছে, কতজন, নাম ও ফোন নম্বর — এসব জানার চেষ্টা করছিল। অন্যদিকে, এক মহিলা পর্যটক অভিযোগ করেছেন, তাঁদের ঘোড়াওয়ালা ঘন ঘন ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাইছিল এবং কোরান নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিল। সেই ব্যক্তি জানতে চেয়েছিল, তাঁদের দলের সদস্যরা মুসলিম না হিন্দু। সন্দেহবশত ওই মহিলা তাঁকে বলেন যে তাঁরা সবাই মুসলিম, তখন সে বলেছিল যে রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই তারা অমরনাথে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে। এমনকি ফোনে কথা বলার সময় ঘোড়াওয়ালা ৩৫টি বন্দুকের কথাও বলেছিল, বলে দাবি ওই মহিলা পর্যটকের।

    হামলার পেছনে কি স্থানীয় স্লিপার সেল 

    এই সমস্ত ঘটনাকে ঘিরে প্রশ্ন উঠছে, পহেলগাঁওয়ে এই হামলার পেছনে কি স্থানীয় স্লিপার সেল বা মৌলবাদী চক্র কাজ করেছে? এত বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা স্থানীয় সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়। পহেলগাঁও থেকে বৈসরন উপত্যকা যাওয়ার পথ বেশ দুর্গম। সেখানে গাড়ি চলাচলের কোনও পথ নেই। হয় পায়ে হেঁটে অথবা ঘোড়ায় বা খচ্চরে চেপে যেতে হয় সেখানে। এতটা পথ পার হয়ে জঙ্গিরা পৌঁছে গেল সেখানে। তারা রেইকি করল, সেনার পোশাক গায়ে সঙ্গে অস্ত্র নিয়ে ঘাপটিও মেরে থাকল। অথচ স্থানীয়রা কিছুই টের পেল না? উঠছে এই ধরনের নানা প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, এই ঘটনার জবাব সঠিক সময়ে দেওয়া হবে এবং সন্ত্রাসবাদকে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলা হবে।

    জানা যাচ্ছে, পিওকে ও পাকিস্তানের হ্যান্ডলারদের সহায়তায় নাশকতার এই ছক অত্যন্ত নিখুঁতভাবে করা হয়েছিল। ওপার থেকে অস্ত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের এদেশে পাঠানোর পাশাপাশি খোঁজা হয়েছিল এমন পর্যটনস্থল, যেখানে পর্যটকের সংখ্যা প্রচুর হলেও নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকে তুলনামূলক কম। শুধু তাই নয়, আততায়ীদের কাছে ওপার থেকে রিয়াল টাইম নানা নির্দেশও পাঠানো হচ্ছিল বলেও শোনা যাচ্ছে। যে চার আততায়ী মঙ্গলবার নাশকতা চালিয়েছিল, তাদের হেলমেটে ক্যামেরা লাগানো ছিল। যার ফলে ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং ও রিয়াল টাইম আপডেটও নিচ্ছিল তাদের ‘আকা’-রা। স্থানীয় সহযোগিতা ছাড়া সীমান্তের ওপার থেকে এসে এত নিখুঁত পরিকল্পনা সম্ভব নয় বলেই মনে করেছে বিশেষজ্ঞরা।

     

     

     

     

  • Mohan Bhagwat On Pahalgam: “লড়াইটা ধর্ম বনাম অধর্মের, হিন্দুরা হলে কোনওদিন এমন করত না”, পহেলগাঁও ইস্যুতে মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat On Pahalgam: “লড়াইটা ধর্ম বনাম অধর্মের, হিন্দুরা হলে কোনওদিন এমন করত না”, পহেলগাঁও ইস্যুতে মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ লড়াই ধর্ম বনাম অধর্মের। একজোট হতে হবে। পহেলগাঁও হামলা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat On Pahalgam)। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘এই যুদ্ধ ধর্ম এবং অধর্মের মধ্যে। আমরা প্রত্যেকে এই ঘটনায় ব্যথিত, ক্ষুব্ধ। কিন্তু শয়তানকে ধ্বংস করতে গেল পূর্ণ শক্তি প্রদর্শন করতে হবে। যেমন রাবণ নিজেকে শোধরাতে অসম্মত ছিলেন। তাই রামের হাতে আর কোনও বিকল্প ছিল না। তবু রাবণ শোধরানোর একটা সুযোগ দিয়ে তার পরই হত্যা করেছিলেন রাম।’ ভাগবতের কথায়, “একজন প্রকৃত হিন্দু কখনও ধর্ম জিজ্ঞাসা করে কাউকে হত্যা করতে পারে না। পহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছে, তা রাক্ষসোচিত আচরণ—মানবতাবিরোধী ও ধর্মের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।”

    ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে হিন্দুদের

    ‘হিন্দু’ শব্দটির উল্লেখ না করেও আরএসএস প্রধান বুঝিয়ে দিলেন, এই কঠিন সময়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে সংখ্যাগুরুদের। তবে একই সঙ্গে মোদি সরকারকে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এবার কড়া জবাব দিতেই হবে। বৃহস্পতিবার আরএসএস প্রধান পহেলগাঁও ইস্যুতে মুখ খুলে বললেন, “ধর্ম জিজ্ঞেস করে করে মানুষ মারা হয়েছে। হিন্দুরা হলে কোনওদিন এমন করত না। এই লড়াইটা এখন ধর্ম বনাম অধর্মের।” সংঘপ্রধান বলছেন, “আমাদের হৃদয় ব্যাথিত। আমরা ক্ষুব্ধ। কিন্তু শয়তানকে শেষ করতে হলে নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে হয়। রাবণও নিজেকে বদলাতে চায়নি। তাই অন্য কোনও বিকল্প না দেখে রাম তাঁকে হত্যা করেন। তবে সেটার আগে একবার মত বদলের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল রাবণকে।” ভাগবত বলেন, “আজকের রাবণ ধ্বংসে দরকার মা দুর্গার মতো শক্তি—অষ্টাদশ ভুজা শক্তি। সেই শক্তি আমাদের ঐক্য, আমাদের সংগঠন, আমাদের নৈতিক অবস্থান।”

    একত্রিত হওয়ার ডাক

    সরসংঘপ্রধান (Mohan Bhagwat On Pahalgam) বলছেন, “এবার আমাদের একত্রিত হতে হবে। আমরা একত্রিত থাকলে কেউ আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারবে না। আর যদি কেউ চোখ তুলে তাকায় তাহলে সেই চোখ গেলে দেওয়া হবে। ঘৃণা বা নৃশংসতা কোনওটাই আমাদের স্বভাব নয়। কিন্তু চুপচাপ নিজের ক্ষতি সহ্য করাও যাবে না। অহিংসদেরও শক্তিশালী হতে হয়। শক্তি না থাকলে কোনও বিকল্প থাকে না। আর শক্তি থাকলে সেটা দৃশ্যমান হওয়া উচিত।” ভাগবত বলেন, “এটি কোনো ধর্মীয় সংঘর্ষ নয়, এটি ন্যায় ও অন্যায়ের লড়াই। রাবণও শিবের ভক্ত ছিলেন, পণ্ডিত ছিলেন। কিন্তু তিনি অধর্মের পথে চলেছিলেন—তাই রামের হাতে নিহত হন। তেমনি যারা আজ ঘৃণা ও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে, তাদেরও নির্মূল করতে হবে ধর্ম রক্ষার তাগিদে।”

    জোরালো প্রতিক্রিয়া

    আরএসএস প্রধান ভাগবতের মতে, ‘এই কঠিন সময়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনা, শয়তানি শক্তিকে আটকাতে হলে আমাদের আরও শক্ত হবে। আমরা দেশবাসীরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই। তাহলে কেউ আমাদের দিকে খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে তাকাতেও সাহস পাবে না। আর কেউ যদি সে সাহস করে তার চোখ যেন উপড়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনার জোরালো প্রতিক্রিয়া দরকার।’ মোহন ভাগবতের কথায়, ভারতবাসীর স্বভাবে হয়তো শত্রুতা ঘৃণা নেই। কিন্তু তা বলে তাঁরা নীরবেও ক্ষতি সহ্য করবে না। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি ধর্ম বা সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনও যুদ্ধ নয়। এটি ন্যায়-অন্যায়ের মধ্যে একটি যুদ্ধ। কারণ যারা নিহত হয়েছে তাদের ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। কোনও হিন্দু বা আমাদের সৈন্য কখনও তাদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে কাউকে হত্যা করেনি। কিছু চরমপন্থী তাদের নিজস্ব ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করেছে এবং এই ধরনের কাজ করেছে। সবার মধ্যে ক্রোধ এবং শোক রয়েছে। তবে গোটা জাতিকে আরও শক্তিশালী হতে হবে।’

    সরছে পর্যটকরা

    জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Terror Attack) বৈসরন উপত্যকায় মঙ্গলবারের জঙ্গিহানার ঘটনায় অন্তত ২৫ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কয়েকটি সূত্রের মতে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৮। সূত্রের খবর, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল পাঁচ-ছ’জন। পহেলগাঁও হামলার পরে কাশ্মীর উপত্যকা থেকে অন্তত ১০ হাজার পর্যটক ইতিমধ্যেই সরে গেছেন। ২৪ এপ্রিল শুধুমাত্র শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ১১০টি ফ্লাইটে ১৪,০০০-এরও বেশি যাত্রীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চ পর্যায়ে নিরাপত্তা পর্যালোচনা শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহনের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে আইবি ও র’ প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

  • India-Pak Simla Agreement: যুদ্ধের পথে পাকিস্তান! সিমলা চুক্তি স্থগিত, এখনও কেন গুরুত্বপূর্ণ এই সন্ধি?

    India-Pak Simla Agreement: যুদ্ধের পথে পাকিস্তান! সিমলা চুক্তি স্থগিত, এখনও কেন গুরুত্বপূর্ণ এই সন্ধি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন পর্যটকের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে তলানিতে পৌঁছেছে। ভারতের কঠোর পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে, তারা ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি (Simla Agreement) সহ ভারতের সঙ্গে সমস্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করা হচ্ছে।

    সিমলা চুক্তি কী

    ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যুদ্ধের পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সিমলা চুক্তি (India-Pak Simla Agreement) স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তি মূলত একটি শান্তিচুক্তি, যার আওতায় নিয়ন্ত্রণরেখার দুই তরফে শান্তি বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয় দুই দেশ। ১৯৭২ সালের ২ জুলাই, হিমাচলপ্রদেশের সিমলায় ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকর ভুট্টোর মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে গণ্য হয় এই চুক্তি। এর ফলে যুদ্ধ ভুলে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সৌজন্য বজায় রাখার পাশাপাশি, সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে শান্তি টিকিয়ে রাখতে সম্মত হয় দুই দেশ।

    চুক্তিতে কী ছিল

    ● দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কে মধ্যস্থতা করবে রাষ্ট্রপুঞ্জ।

    ● যাবতীয় সংঘাত, মতানৈক্য শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে মেটাবে দুই দেশ, পারস্পরিক বোঝাপড়াকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

    ● কোনও পক্ষ শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিতে বিঘ্ন ঘটাবে না, কোনও সংগঠন বা গোষ্ঠী শান্তি ও সম্প্রীতি ভঙ্গ করতে চাইলে, তা রুখবে।

    ● প্রতিবেশী দেশ হিসেবে শান্তিপূর্ণ অবস্থান, পরস্পরের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমিকতাকে সম্মান জানাবে দুই দেশ। একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না।

    ● রাষ্ট্রপুঞ্জের বিধি মেনে কেউ কাউকে হুমকি দেবে না, কেউ কারও আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতার উপর বলপ্রয়োগ করবে না।

    ● ওই চুক্তি মেনে যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের যে ১৩০০০ বর্গকিলোমিটার জায়গা ভারত দখল করেছিল, তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ টুরটুক এবং চালুঙ্কা ধরে রাখে ভারত।

    ● আর এই সিমলা চুক্তির পরই স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় পাকিস্তান, যার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভারত।

    চুক্তির পরবর্তী প্রভাব 

    চুক্তিটি (India-Pak Simla Agreement) একটি কূটনৈতিক কাঠামো তৈরি করলেও ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক চিরস্থায়ী শান্তি দেখেনি। সিয়াচেন সংঘর্ষ (১৯৮৪), কারগিল যুদ্ধ (১৯৯৯) এবং নিয়মিত সীমান্ত উত্তেজনা প্রমাণ করে যে, সিমলা চুক্তির প্রতিশ্রুতি অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তবায়িত হয়নি। ভারত আজও সিমলা চুক্তিকে আন্তর্জাতিক ফোরামে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যানের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করে। পাকিস্তান কখনো কখনো কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চায়, যা এই চুক্তির ব্যাখ্যা নিয়ে মতানৈক্য সৃষ্টি করে।

    চুক্তির স্থগিতকরণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ

    পাকিস্তানের তরফ থেকে সিমলা চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে একটি বড় ধাক্কা। এটি একদিকে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি করছে, অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে থাকা একটি ঐতিহাসিক চুক্তির কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও চুক্তিটি অনেক সময়েই উপেক্ষিত হয়েছে, তবু এটি দুই দেশের সম্পর্কের মৌলিক কাঠামো হিসেবে গণ্য ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই চুক্তির ভবিষ্যৎ ও উপযোগিতা নিয়ে ফের একবার আলোচনা শুরু হয়েছে।

  • Pahalgam Terror Attack: সোশাল মিডিয়াতেও বয়কট, পহেলগাঁও হামলার জবাবে পাক সরকারের এক্স হ্যান্ডেল ব্লকের নির্দেশ কেন্দ্রের

    Pahalgam Terror Attack: সোশাল মিডিয়াতেও বয়কট, পহেলগাঁও হামলার জবাবে পাক সরকারের এক্স হ্যান্ডেল ব্লকের নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) প্রতিবাদে পাক সরকারকে প্রচারমাধ্যমও বয়কট করল নয়াদিল্লি। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ভারতে আর দেখা যাবে না পাক সরকারের সরকারি এক্স হ্যান্ডেল। অ্যাকাউন্টটি ব্লক করার নির্দেশ দিল নয়াদিল্লি। সাধারণত এক্স হ্যান্ডেলের মাধ্যমে কোনও দেশের সরকার বিভিন্ন সরকারি বিবৃতি, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে অবস্থান ঘোষণা করে।

    কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের নির্দেশ

    পাক সরকারের সরকারি এক্স হ্যান্ডেল এতদিন ভারতে দেখা যেত। বৃহস্পতিবার থেকে সেটা আর দেখা যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের নির্দেশেই পাক এক্স হ্যান্ডেল বন্ধ করেছে ওই সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় যে নারকীয় হত্যালীলা (Pahalgam Terror Attack) চলেছে, তার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। এদেশে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ভিসা। এর পাশাপাশি বাতিল হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি জানিয়েছেন, যতদিন না পর্যন্ত পাকিস্তান সীমান্ত সন্ত্রাস থামাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই চুক্তি কার্যকর থাকবে না।

    পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিক আঘাত

    পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) প্রত্যাঘাতে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিকভাবে আঘাত এনেছে নয়াদিল্লি। বন্ধ করা হয়েছে ওয়াঘা-আটারি সীমান্তও। আর এইসবের পর পাকিস্তানের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলের অ্যাকসেসও বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এছাড়াও দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানের শীর্ষ কূটনীতিককে সাদ আহমেদ ওয়ারিচকে তলব করেছে ভারত। পার্সোনা নন গ্রাটা অর্থাৎ তিনি অবাঞ্ছিত বলে দিল্লির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ বলতে এমন ব্যক্তিকে বোঝায় যিনি গ্রাহক রাষ্ট্র কর্তৃক অগ্রহণযোগ্য ও অবাঞ্চিত ঘোষিত হয়েছে। এ ধরনের ব্যক্তি অবাঞ্চিত বলে ঘোষিত হলেই ওই দেশ থেকে ‘প্রত্যাহারযোগ্য’ বলে বিবেচিত হবে। দুই দেশের হাই কমিশনে কর্মরত সাপোর্ট স্টাফদেরও সংখ্যা হ্রাস পাবে। বিক্রম মিশ্রি এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ১ মে ২০২৫ থেকে দুই দেশের হাই কমিশনের মোট জনবল ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০-এ নামিয়ে আনা হবে। ভারতের এই পদক্ষেপগুলো স্পষ্টতই পাকিস্তানের প্রতি একটি শক্ত বার্তা, যে সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের বিরুদ্ধে ভারত কোনোভাবেই আপস করবে না।

     

     

     

     

     

  • Pahalgam attack: ২ জঙ্গি পাকিস্তানের নাগরিক, বৈসরনের ভৌগলিক অবস্থান জেনেই হামলা, দাবি গোয়েন্দাদের

    Pahalgam attack: ২ জঙ্গি পাকিস্তানের নাগরিক, বৈসরনের ভৌগলিক অবস্থান জেনেই হামলা, দাবি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam attack) নৃশংস জঙ্গি হামলার নেপথ্যে ছিল গভীর পরিকল্পনা ও স্থানীয় ভৌগোলিক জ্ঞানের কৌশলী ব্যবহার। তদন্তকারী সূত্র জানিয়েছে, হামলাকারীরা জানত সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর নিকটতম ক্যাম্প থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে অন্তত এক ঘণ্টা সময় লাগবে — আর এই সময়টুকুই তাদের পালিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। সূত্রের দাবি, সবচেয়ে নিকটবর্তী রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ইউনিট থেকে বাহিনীকে প্রথমে ৪০-৪৫ মিনিট গাড়িতে যেতে হয়, এরপর আরও ৩০-৩৫ মিনিট ট্রেক করে বৈসরন (একটি জনপ্রিয় পিকনিক স্পট)-এ পৌঁছাতে হয়। এমনকি কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর (CRPF) একটি ক্যাম্প সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সামনেই থাকলেও, তারাও এক ঘণ্টার আগে পৌঁছতে পারে না। কারণ ওই পথ গাড়ি চলাচল করা কষ্টসাধ্য। ঘোড়ায় বা ট্রেক করে উঠতে হয় বৈসরন।

    পাকিস্তানের ভূমিকা স্পষ্ট

    এই ঘটনায় তিনজন সন্দেহভাজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুইজন পাকিস্তানি নাগরিক বলে জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। অভিযুক্তরা হল – পাকিস্তানের নাগরিক হাশিম মুসা ওরফে সুলেমান, আলি ভাই ওরফে তালহা ভাই এবং অনন্তনাগ জেলার বাসিন্দা আব্দুল হুসেন থোকার। তিনজনই পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সক্রিয় সদস্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাদের গ্রেফতার কিংবা অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ। হামলার পর থেকেই ভারতীয় সেনা ও আধাসামরিক বাহিনী পুরো অঞ্চলে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে, তবে এখনও হামলাকারীদের কোনও খোঁজ মেলেনি।

    দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে হামলা

    কাশ্মীরস্থিত সেনার ১৫ কোরের প্রাক্তন জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিপি পান্ডে বলেন, “রাজ্য শান্ত ছিল, মানুষ ঘুরতে আসছিল— কিন্তু কিছু উগ্রপন্থীদের মনে শান্তি ছিল না। এই মৌলবাদী চিন্তাধারার অবসান না হলে স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়। হামলাকারীরা জানত কোন সময়ে পর্যটকের ভিড় বেশি থাকে এবং সেই অনুযায়ী তারা একাধিক দিন ধরে রেকি করেছে। হামলাকারীরা জানত এমন একটি স্থান বেছে নিলে তারা ধর্মীয় পরিচয় যাচাই করে হত্যাকাণ্ড চালাতে পারবে — যা অন্য কোথাও সম্ভব নাও হতে পারত।”

    পর্যটন নির্ভর অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা

    সূত্রের খবর, বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরে ১২০-র বেশি পাকিস্তানি জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৭০ জন কাশ্মীর উপত্যকায় এবং বাকি পীর পঞ্জালের দক্ষিণে। ২০২২ সালে যেখানে স্থানীয় জঙ্গি নিয়োগ ছিল ১২০-এর বেশি, ২০২৪ সালে তা কমে ১০-এর নিচে নেমে এসেছে। ৩৭০ ধারা বিলোপ ও কাশ্মীরের উন্নতি জঙ্গিদের কাছে চিন্তার কারণ। তবে, এই হত্যাকাণ্ড কাশ্মীরের পর্যটন নির্ভর অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দিতে পারে। এর ফলে সীমান্ত পেরিয়ে আসা টাকা দিয়ে স্থানীয়দের সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টা করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা গোয়েন্দাদের।

  • Gautam Gambhir: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিবাদ করায় গম্ভীরকে খুনের হুমকি আইসিসের!

    Gautam Gambhir: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিবাদ করায় গম্ভীরকে খুনের হুমকি আইসিসের!

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: খুনের হুমকি পেলেন ভারতীয় সিনিয়র ক্রিকেট দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে মঙ্গলবারই সমাজমাধ্যমে বার্তা লিখেছিলেন তিনি। বুধবার খুনের হুমকি পেলেন গম্ভীর। ভারতীয় দলের কোচকে ইমেলে হুমকিবার্তা পাঠিয়েছে ‘আইএসআইএস কাশ্মীর’। দু’টি হুমকিবার্তা পেয়েছেন গম্ভীর। থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন ভারতীয় দলের কোচ। বৃহস্পতিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।

    থানায় অভিযোগ দায়ের

    মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা লিখেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ। তারপরই খুনের হুমকি পেলেন গম্ভীর (Gautam Gambhir)। এক বার নয়, মোট ২ বার বিরাট-রোহিতদের কোচকে ইমেলে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ৩টি শব্দের ছোট্ট একটি মেসেজ পাঠানো হয়েছে গম্ভীরকে। কী লেখা হয় তাতে? বুধবার (২৩ এপ্রিল) ‘আইসিস কাশ্মীর’ নামের এক সংগঠন গম্ভীরকে ‘আই কিল ইউ’ (যার অর্থ আমি তোমাকে মেরে ফেলব) লিখে দুটি ইমেল পাঠিয়েছে। প্রথম ইমেলটি আসে দুপুরে আর দ্বিতীয়টি বিকেলে যা পাওয়ার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভারতীয় টিমের হেড কোচ। রাজেন্দ্র নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই সঙ্গে দিল্লির ডিসিপিকেও বিষয়টি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার কথা জানিয়েছেন পুলিশকে।

    তদন্তে পুলিশ

    গম্ভীরের (Gautam Gambhir) অভিযোগ পেয়েই দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কোথা থেকে ওই ইমেল এসেছে, কারা তা পাঠিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গম্ভীর এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা বাড়ানো হবে বলেও জানা গিয়েছে। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তারা অভিযোগ পেয়েছে। গম্ভীর এখন দিল্লি পুলিশের নিরাপত্তা পান। তবে কতটা নিরাপত্তা বাড়ানো হবে সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ে বৈসরন উপত্যকায় ২৬ জন সাধারণ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। বেছে বেছে হিন্দুদের টার্গেট করে তারা। তারপর এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ বা টিআরএফ। গম্ভীর সমাজমাধ্যমে এই ঘটনার নিন্দা করেছিলেন। লিখেছিলেন, “মৃতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা। যারা এই কাজের জন্য দায়ী তাদের মূল্য চোকাতেই হবে। ভারত পাল্টা আঘাত হানবেই।” প্রসঙ্গত, গৌতম গম্ভীর বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ। তিনি পূর্ব দিল্লি কেন্দ্রে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। প্রথমে কেকেআর ও পরে ভারতীয় ক্রিকেট দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য এখন তিনি রাজনীতি থেকে একটু দূরে।

  • Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পিছনে পাক যোগ! ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর নামে জঙ্গি তাণ্ডব, পিছনে কি লস্কর নেতা সইফুল্লা?

    Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পিছনে পাক যোগ! ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর নামে জঙ্গি তাণ্ডব, পিছনে কি লস্কর নেতা সইফুল্লা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ ! জঙ্গিদের গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে রয়েছেন একের পর এক পর্যটক ৷ একবার দেখে মনে হতে পারে বৈসরণের ঘন সবুজ প্রান্তরে কেউ যেন লাল রং ঢেলে দিয়েছে ৷ জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Terror Attack) মঙ্গলবার দুপুরের জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ হিন্দু পর্যটক। মঙ্গলবার রাতেই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার মূল চক্রী সইফুল্লা খালিদ ওরফে সইফুল্লা কাসুরি। তাঁর নির্দেশেই, পাঁচ-ছয় জন জঙ্গি এই হামলা চালায়। সইফুল্লা লস্করের অন্যতম প্রধান। এই জঙ্গিগোষ্ঠীর অন্যতম মাথা তথা ভরতের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত সইফুল্লা।

    পহেলগাঁও হামলার মূল চক্রী সইফুল্লার সঙ্গে পাক যোগ

    গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ে হামলার পিছনে রয়েছে লস্কর নেতা সইফুল্লা। তাঁর পরিকল্পনা মাফিক লস্কর-ই-তৈবার ‘ছায়া সংগঠন’ টিআরএফ এর পাঁচ-ছয় জন জঙ্গি এই হামলা চালায়। পাক সেনায় যথেষ্ট ‘প্রভাব’ রয়েছে সইফুল্লার। পহেলগাঁও হামলার মাস দুই আগে পাকিস্তানের পঞ্জাবের কাঙ্গলপুরে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। সেখানেই পাক সেনার একটি বড় ব্যাটেলিয়ন ছিল। জানা গিয়েছে, ওই ব্যাটেলিয়নে একটি জ্বালাময়ী বক্তৃতা করার জন্য সইফুল্লাকে আহ্বান করেছিলেন পাক সেনার কর্নেল জাহিদ জারিন। সেনাকর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি করতে সইফুল্লাকে ডাকা হয়। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সইফুল্লার বক্তৃতার বেশির ভাগ অংশ জুড়েই ছিল ভারতবিরোধী বার্তা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালানোর ‘পরামর্শ’ও দেওয়া হয়।

    পাকিস্তানে বসেই হামলার পরিকল্পনা

    পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়াতেও ভারত-বিরোধী সভার আয়োজন করেছিল পাক সেনা। সেই সভাতেও সইফুল্লা ভারত বিদ্বেষী বক্তৃতা করেন। এ ছাড়াও, কাশ্মীর দখলের হুঙ্কারও দিতে শোনা যায় তাঁকে। গোয়েন্দা সূত্রে আরও খবর, গত বছর শতাধিক পাকিস্তানি কিশোর-যুবক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল। সেই যোগদান অনুষ্ঠানেও ছিলেন সইফুল্লা। মনে করা হচ্ছে, সেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরই কয়েক জনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল পহেলগাঁও হামলার জন্য। সেখানেই তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে পাক সেনার সহায়তাতেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল তারা।

    পাকিস্তানের হাত ধরেই টিআরএফ-এর উত্থান

    টিআরএফের উত্থান ২০১৯ সালে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ হওয়ার পর। টিআরএফের জন্ম হয়েছিল কাশ্মীরি জঙ্গি শেখ সাজ্জাদ গুলের হাতে। সে সময় জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’-র সদ্য অবলুপ্তি হয়েছে। তখনই লস্কর-ই-তৈবার ‘ছায়া সংগঠন’ হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ। সে সময় একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর থেকে এই সংগঠনে সদস্যদের নিযুক্ত করা হয়। এদের মূল লক্ষ্য ছিল, কাশ্মীরের স্থিতাবস্থায় বিঘ্ন ঘটানো এবং ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা। সেই লক্ষ্য সাধনের জন্য নাশকতামূলক কাজকর্মে পুনর্বিন্যাস আনার চেষ্টা শুরু করে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। বিশেষ ভাবে নিশানা করা হয় পরিযায়ী শ্রমিক এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, টিআরএফ জঙ্গিগোষ্ঠীর দ্রুত আড়ে-বহরে বিস্তারের নেপথ্যে সরাসরি ভূমিকা ছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। ২০২৩ সালে টিআরএফকে ‘সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্র।

    টিআরএফ কী ভাবে কাজ করে?

    টিআরএফ (TRF) হল প্রথম সন্ত্রাসী সংগঠন যার নাম ইংরেজিতে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত সন্ত্রাসী সংগঠনের নামে উর্দু বা ফারসি শব্দ ব্যবহার করা হয়। বলা হয়ে থাকে যে, বিশ্বের চোখ এড়াতে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ইংরেজি শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। এই সংগঠনে যোগদানের সঙ্গে সঙ্গেই সন্ত্রাসীদের প্রথমে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়া হয় প্রশিক্ষণের জন্য। এরপর তাঁরা ফিরে আসে দেশে। সংগঠনে একটি কমান্ডার সিস্টেম আছে, যারা জোন অনুযায়ী কাজ করে। সূত্রের খবর, টিআরএফের সকল কমান্ডার কেবল পাকিস্তান থেকে নির্দেশ পান। টিআরএফ সন্ত্রাসীরা প্রায়ই হিন্দু, পর্যটক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপর আক্রমণ করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন টিআরএফ সন্ত্রাসবাদীরা দ্রুত খ্যাতি অর্জনের জন্য এই কৌশল অবলম্বন করে।

    নিহতদের পরিবারের পাশে শাহ, মোদির বৈঠক, ট্রাম্পের বার্তা

    পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Terror Attack) পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার পর সৌদি আরব সফর কাটছাঁট করে ইতিমধ্যেই দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে পা রাখেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। দিল্লি বিমানবন্দরে তিন জনের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের কাছ থেকে জঙ্গি হামলার বিষয়ে সম্পূর্ণ খোঁজখবর নেন। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দেন। এক্স হ্যান্ডলে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল একথা জানিয়েছেন। পহেলগাঁওয়ে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। বুধবার সকালে তিনি জঙ্গি হামলায় নিহতদের শেষ শ্রদ্ধা জানান। কথা বলেন তাঁদের পরিজনদের সঙ্গে। জরুরি পরিস্থিতিতে উপত্যকায় পৌঁছেছে জাতীয় তদন্তকারী দল এনআইএ।

    চার জঙ্গির ছবি প্রকাশ

    পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত চার জঙ্গিকে শনাক্ত করেছে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। ইতিমধ্যে চার জনের ছবিও প্রকাশ করে পরিচয় জানানো হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, চার জঙ্গি হল— আদিল, আসিফ ফুজি, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে আইইডি বিস্ফোরণের ছক করেছিল জঙ্গিরা। পরে পরিকল্পনা বদলে দু’টি দলে ভাগ হয়ে যায় তারা। অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে পর্যটকদের উপর হামলা চালায়। জঙ্গিরা সকলেই সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিল বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। দিন কয়েক আগেই ভারতে আসে তারা। এমনকি এলাকা পরিদর্শনও করে যায়।

  • Pahalgam Terror Attack: ‘এটা মুসলিম নয়, গুলি করো’! নাম জেনে, বিবস্ত্র করিয়ে ধর্মীয় পরিচয় দেখে বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের হত্যা

    Pahalgam Terror Attack: ‘এটা মুসলিম নয়, গুলি করো’! নাম জেনে, বিবস্ত্র করিয়ে ধর্মীয় পরিচয় দেখে বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের হত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ের উপর ছোট্ট সবুজ স্বপ্নিল উপত্যকা বৈসরনে তখন প্রায় জনা চল্লিশেক পর্যটকের ভিড়৷ হঠাৎ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এল সশস্ত্র জঙ্গিরা ৷ তাদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র৷ সাধারণ পর্যটকদের ঘিরে তাঁদের লক্ষ্য করে নির্দ্বিধায় এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করল জঙ্গিরা৷ বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করিয়ে নাম জিজ্ঞাসা হয় করা হয় পর্যটকদের। বলা হয় ‘কালমা’ পড়তে। না পড়তে পারলেই নিশ্চিত করা হয় হিন্দুত্ব। চলে গুলি। এভাবেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন একের পর এক পর্যটক৷ আহতদের কেউ সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন ৷ কেউ বা আতঙ্কে কথাই বলতে পারছেন না! কারও রক্তে ভেজা নিথর দেহ পড়ে রয়েছে সবুজ ঘাসের উপর ৷ মঙ্গলবার এমনই ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার সাক্ষী থাকল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও (Pahalgam Terror Attack) জেলার বৈসরন উপত্যকা ৷

    নিশানায় হিন্দু পর্যটকরা

    কাশ্মীরের (Kashmir Terrorist Attack) পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর আতঙ্কে কাঁপছে গোটা উপত্যকা। বৈসরণে যে পৈশাচিক হামলা চালায় জঙ্গিরা, প্রতক্ষদর্শীদের মুখে তার বিবরণ শুনে মানুষ কেঁপে উঠতে শুরু করেছে। বৈসরণে জঙ্গিরা যেভাবে হামলা চালায়, সেখানে নাম শুনে, পরিচয় পত্র দেখে তবেই পর্যটকদের (Kashmir Tourist) মারা হয়েছে বলে জানান প্রতক্ষ্যদর্শীরা। নাম জিজ্ঞেস করে, যাঁরা মুসলিম নন, সেই সমস্ত পর্যটকদের বেছে বেছে গুলি করা হয়েছে। প্রিয়জনকে হারিয়ে তাই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় এক তরুণীকে। তিনি স্পষ্ট জানান, তাঁর স্বামীর নাম জিজ্ঞেস করে তবেই গুলি করার কথা বলে জঙ্গিরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল (Viral) হতে শুরু করেছে যেখানে এক তরুণী হানিমুনে গিয়েছিলেন কাশ্মীরে। জঙ্গি হামলা হলে ওই তরুণীকে সদ্য বিবাহিত স্বামীর মৃতদেহ পাশে নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। যে ছবি দেখে গোটা দেশের মানুষের চোখে জল। জঙ্গিরা নাম জিজ্ঞাসা করে, পরিচয় পত্র দেখে ইচ্ছে করে তাঁর স্বামীকে চোখের সামনে গুলি করে দেয় বলে জানান ওই তরুণী।

    ‘এটা মুসলিম নয়, গুলি করো

    ভাইরাল একটি ভিডিওয় (Pahalgam Terror Attack) এক মহিলা বলেন, “আমরা ভেলপুরি খাচ্ছিলাম, তখনই ওরা এসে আমার স্বামীকে গুলি করে। একজন বলে উঠল, ‘এটা মুসলিম নয়’ – তারপরই ওকে গুলি করে মেরে ফেলল।” এক প্রতক্ষ্যদর্শীর কথায়, সন্ত্রাসীরা মানুষের ধর্ম নিশ্চিত করতে তাদের ‘কালমা’ পড়তে বলে – ইসলাম ধর্মে কালমা হলো ইমানের ঘোষণা। যারা এটি পড়তে পারেননি, তাদের অমুসলিম মনে করে হত্যা করা হয়। এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে জঙ্গিরা লোকজনকে বিবস্ত্র করে ‘খৎনা’ আছে কি না তা পরীক্ষা করে, এবং যাদের মধ্যে খৎনা পাওয়া যায়নি, তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়। জঙ্গিদের পরনে ছিল সেনাবাহিনীর পোশাক। তাই প্রথমে তাদের বোঝা যায়নি, বলেও জানান পর্যটকরা। কাশ্মীরে মঙ্গলবার জঙ্গি হামলায় এখনও পর্যন্ত বাংলার ৩ জন-সহ ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দক্ষিণ কলকাতার বৈষ্ণবঘাটা লেনের বাসিন্দা বিতান অধিকারী। কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নিহত বেহালার বাসিন্দা সমীর গুহ। প্রাণ গিয়েছে হায়দরাবাদে কর্মরত আইবি অফিসার পুরুলিয়ার বাসিন্দা মণীশ রঞ্জনের। জঙ্গিদের গুলিবৃষ্টিতে নিহতদের মধ্যে ২ জন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় আহত অন্তত ২০ জন ।

    ‘মোদিকে গিয়ে বোলো

    ফিরে এল বিবেক অগ্নিহোত্রী ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files)-এর স্মৃতি। ১৯৯০ সালের পয়লা জানুয়ারি সমগ্র কাশ্মীরে (Kashmir) যে পাঁচ হাজার হিন্দু পণ্ডিত ব্রাহ্মণদের গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, তার উপর ভিত্তি করেই এই ছবি। এখানে দেখা যায় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জেহাদিদের হিংস্র স্লোগান “কাশ্মীর শুধু কাশ্মীরি মুসলমানদের, এখানে থাকতে হলে আজাদিকে সমর্থন করো, নইলে কাশ্মীর হবে হিন্দু পুরুষহীন, শুধু হিন্দু মহিলারা থাকবেন।” এদিনও যেন তাই হল। জম্মু-কাশ্মীরে কর্নাটক থেকে সপরিবারে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন মঞ্জুনাথ রাও। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Terror Attack) বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় মঞ্জুনাথের। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন স্ত্রী পল্লবী এবং তাঁদের পুত্র। কর্নাটকের শিবমোগ্গার বাসিন্দা পল্লবীর দাবি, অতর্কিত তাঁদের আক্রমণ করে তিন থেকে চার জন। জঙ্গিহানার বিবরণ দিতে গিয়ে পল্লবী বলেন, ‘‘স্বামী-ছেলের সঙ্গে কাশ্মীর বেড়াতে এসেছিলাম। দুপুর দেড়টা নাগাদ আমরা ছিলাম পহেলগাঁওয়ে। আচমকা তিন-চার জন বন্দুক হাতে আমাদের দিকে এগিয়ে আসে। নাম জিজ্ঞাসা করে গুলি চালায় ওরা।’’ পল্লবীর দাবি, আততায়ীরা বেছে বেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের খুন করছিল। চোখের সামনে স্বামীকে লুটিয়ে পড়তে দেখে পল্লবী আততায়ীদের বলে তারা যেন তাঁকেও মেরে দেন। কিন্তু সেটা করেনি জঙ্গিরা। পল্লবীর কথায়, ‘‘আমি ওদের কাঁদতে কাঁদতে বললাম, স্বামীকে মেরে দিয়েছ। আমাকেও মেরে ফেলো। ওদের একজন বলল, ‘না, তোমায় মারব না। এইটা মোদিকে (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) গিয়ে বোলো।’’

LinkedIn
Share