Author: pranabjyoti

  • Mohan Bhagwat: “ভারত মাতা কি জয় বললেই সংঘের শাখায় স্বাগত,” বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “ভারত মাতা কি জয় বললেই সংঘের শাখায় স্বাগত,” বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শাখায় সব ভারতীয়কে স্বাগত জানানো হয়। একমাত্র শর্ত হল শাখায় যোগ দিতে আসা প্রত্যেকের ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলতে কোনও দ্বিধা থাকবে না এবং গেরুয়া পতাকাকে শ্রদ্ধা করতে হবে।” রবিবার বারাণসীতে কথাগুলি বললেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। চারদিনের সফরে বারাণসীতে গিয়েছেন সরসংঘচালক।

    ভারত মাতা কি জয় (Mohan Bhagwat)

    এদিন তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন লাজপত নগর কলোনির একটি শাখায়। সেখানে তিনি বর্ণ বৈষম্য দূর করে একটি শক্তিশালী সমাজ গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। পরিবেশ, অর্থনীতি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা করছিলেন সংঘপ্রধান। তখনই একজন স্বয়ংসেবক জানতে চান, মুসলমানরা কি সংঘের শাখায় যোগ দিতে পারবেন? তারই উত্তরে ভাগবত বলেন, “যারা ভারত মাতা কি জয় স্লোগান ও গেরুয়া ঝান্ডাকে শ্রদ্ধা করে, শাখা তাদের সবাইকে স্বাগত জানাবে।”

    শাখায় সবাই স্বাগত

    ভাগবত বলেন, “যদিও ভারতীয়দের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ভিন্ন ছিল, তাদের সংস্কৃতি একই ছিল। তাই ভারতের সমস্ত ধর্ম, সম্প্রদায় ও বর্ণের মানুষ শাখায় স্বাগত।” লাজপত নগরের ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আগে শনিবার সন্ধ্যায় ভাগবত কাশীর বৈদিক পণ্ডিতদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। সেখানে তিনি তাঁদের ভারতকে বিশ্বগুরু বানানোর লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করেন।

    ‘হিন্দু’ যে কোনও উপাসনা পদ্ধতি নয়, তা নানা সময় বলতে শোনা গিয়েছে ভাগবতকে। চলতি বছরের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছিলেন তিনি। সেই সময় পূর্ব বর্ধমানের তালিতের সাইয়ের ময়দানে ‘মধ্যবঙ্গ প্রদেশের একত্রীকরণ’ সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন সরসংঘচালক। সেই সময় ‘হিন্দু’ শব্দের সংঘীয় ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন (Mohan Bhagwat), “হিন্দু কোনও উপাসনা পদ্ধতি বা কোনও সম্প্রদায় নয়। হিন্দু হল ভারতীয়দের পরিচয়।” ভাগবত বলেন, “ভারতের নানা প্রান্তে নানা ভাষা, নানা রীতি, নানা সম্প্রদায়, নানা খাদ্যাভ্যাস। কিন্তু তবুও তাদের মধ্যে একটা সাংস্কৃতিক মিল রয়েছে। একটা অভিন্ন সংস্কৃতি। এটাই (RSS) ভারতের স্ব-ভাব। আর এর নামই হিন্দুত্ব।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই যে কোনও হিন্দুই সংঘের শাখায় স্বাগত বলে ভাগবত (Mohan Bhagwat) জানিয়েছেন।

  • Ram Navami: নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হল রামের পুজো, ইফতার পার্টির বদলি!

    Ram Navami: নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হল রামের পুজো, ইফতার পার্টির বদলি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতবার রামনবমী (Ram Navami) পালনের অনুমতি দিয়েও, পরে তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। আর এবার অনুমতিই মেলেনি। তবে রামনবমী পালন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন হিন্দু পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ। রবিবার তাঁরাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) ক্যাম্পাসে রামনবমী পালন করলেন ঘটা করে। রীতিমতো রামচন্দ্রের প্রতিমা বসিয়ে পুজোও হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনোলজি ভবনের নীচে দেওয়ালে লেখা ‘আজাদ কাশ্মীর’। তার পাশেই ব্যানার টাঙিয়ে দিল ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর মুখরিত হল ‘জয় শ্রীরাম’, ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগানে।

    রামের পুজো (Ram Navami)

    বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রামনবমী পালনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। উপাচার্য নেই, এই ‘অজুহাতে’ অনুমতি দেওয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। তখনই হিন্দু ছাত্রগোষ্ঠী প্রশ্ন তুলেছিল, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যদি ইফতার পার্টির আয়োজন করা যায়, তাহলে রামনবমী পালন করা যাবে না কেন? সেই সময়ই তারা জানিয়েছিল, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে হবে রামের পুজো। সেই মতো এদিন সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভিড় করেছিলেন পড়ুয়ারা। ছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। সবার উপস্থিতিতেই পুজো হয় রামের।

    এবিভিপির বক্তব্য

    এবিভিপির কলকাতা জেলা সম্পাদক দেবাঞ্জন পাল বলেন, “ইফতার পার্টির আয়োজন করা গেলে ক্যাম্পাসে রামনবমী পালন করা যাবে না কেন?” তাঁর অভিযোগ, ‘ইফতার পার্টিতে কোনওরকমের নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করেই সবাইকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। আর এদিন আইকার্ড দেখে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, “আমরা তো শুধু আমাদের আরাধ্য ভগবান রামের (Ram Navami) আরাধনা করেছি। যাদবপুর তো পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নয়! এখানে যদি ইফতার বা সরস্বতী পুজো হতে পারে, তাহলে রামের পুজো নয় কেন?” এবিভিপির দক্ষিণবঙ্গের রাজ্য সম্পাদক অনিরুদ্ধ সরকার বলেন, “এর আগের বছরও আমরা শোভাযাত্রা করতে গিয়েছিলাম। বামেরা হামলা করেছিল। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম, যা-ই হোক না কেন, এবার আমরা করবই। করেওছি।”

    বামঘেঁষা যাদবপুরে সফলভাবে রামের পুজো হওয়ার ঘটনাটিকে বিশেষজ্ঞরা ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বলে অভিহিত করেছেন (Jadavpur University)। তাঁদের বক্তব্য, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রছাত্রীদের (Ram Navami) একটা অংশের মধ্যে এবিভিপির প্রভাব রয়েছে। এবার সেটাকেই সংগঠিত রূপ দিতে পেরেছে তারা।

  • BJP Foundation Day: “পদ্মফুল দেশবাসীর আশা-আকাঙ্খার প্রতীকে পরিণত হয়েছে,” বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে বললেন শাহ

    BJP Foundation Day: “পদ্মফুল দেশবাসীর আশা-আকাঙ্খার প্রতীকে পরিণত হয়েছে,” বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পদ্মফুলের প্রতীকটি দেশবাসীর হৃদয়ে আশা-আকাঙ্খার নয়া প্রতীকে পরিণত হয়েছে।” রবিবার বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে (BJP Foundation Day) এমনই মন্তব্য করলেন গেরুয়া নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দলীয় কর্মীদের অভিনন্দনও জানান তিনি।

    কী বললেন শাহ (BJP Foundation Day)

    এক্স হ্যান্ডেলে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শাহ লিখেছেন, “আজ (প্রধানমন্ত্রী) মোদির নেতৃত্বে পদ্ম ফুলের প্রতীক দেশবাসীর হৃদয়ে আস্থা ও আশার নতুন প্রতীকে পরিণত হয়েছে। গত এক দশকে বিজেপি যে সেবা, নিরাপত্তা ও সাংস্কৃতিক জাগরণের কাজ করেছে, তা ভবিষ্যতে মাইলফলক হয়ে থাকবে।” তিনি এও লিখেছেন, “কোটি কোটি বিজেপি কর্মী, ইডিওলজিক্যাল প্রতিশ্রুতিতে অবিচল থেকে জাতি গঠনে অবদান রাখতে থাকবে।”

    গরিব, বঞ্চিত ও নারীদের কল্যাণ নিশ্চিত করেছে

    শাহ দশকের পর দশক ধরে দলের অবদানগুলির কথাও এদিন স্মরণ করিয়ে দেন। এর মধ্যে রয়েছে ৩৭০ ধারা বাতিল এবং অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ আন্দোলন। শাহ বলেন, “দল সব সময় গরিব, বঞ্চিত ও নারীদের কল্যাণ নিশ্চিত করেছে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, “শ্রীরাম মন্দির আন্দোলনকে প্রতিটি ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়া হোক, ৩৭০ ধারা অপসারণকে তার সংকল্পে পরিণত করা হোক, বা গরিব, বঞ্চিত ও নারীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা হোক – বিজেপি তার প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই জাতির স্বার্থকে তার সর্বোচ্চ লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে।”

    ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল বিজেপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে কীভাবে একটি রাজনৈতিক দল ঐতিহ্যকে সম্মান করা ও কৃষকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে, তা বিজেপি সব সময় দেখিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বিজেপির এই সৈনিক লিখেছেন, “চার দশকের যাত্রায়, বিজেপি দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে একটি রাজনৈতিক দল একই সঙ্গে ঐতিহ্য রক্ষা, প্রতিটি গরিব মানুষকে বাসস্থান, খাদ্য, স্বাস্থ্যবিমা এবং কৃষকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে পারে (BJP Foundation Day)।”

    দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে বিজেপির সমস্ত কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা। গত কয়েক দশক ধরে যারা আমাদের দলকে শক্তিশালী করতে আত্মনিয়োগ করেছেন, তাঁদের সকলকে আমরা স্মরণ করছি। এই গুরুত্বপূর্ণ দিনটি আমাদের ভারতের অগ্রগতির (Amit Shah) দিকে কাজ করার ও একটি বিকশিত ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমাদের অতুলনীয় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে (BJP Foundation Day)।”

  • Ram Navami: “প্রেতাত্মাদের রামের নাম সহ্য হয় না,” নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা সজল ঘোষের  

    Ram Navami: “প্রেতাত্মাদের রামের নাম সহ্য হয় না,” নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা সজল ঘোষের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমী (Ram Navami) উৎসব উপলক্ষে ব্যাপক উন্মাদনা রাজ্যে। রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর মিছিল বেরনোর কথা। এদিন মধ্য হাওড়ার রামরাজাতলায় রামনবমীর শোভাযাত্রা (BJP) বের হয়। এই শোভাযাত্রার পুরোভাগে ছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।

    অস্ত্র মিছিলের পক্ষে সওয়াল সজলের (Ram Navami)

    রামনবমীতে অস্ত্র মিছিলের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। বলেন, “কোনও কোনও সময় ধর্মকে রক্ষা করতে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।” তৃণমূলকে নিশানা করে তিনি বলেন, “মানুষের মনে দাঙ্গার বীজ বপন করে দেওয়া হয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করেই তিনি বলেন, “তোষণের রাজনীতিই ওঁর কাল হবে। প্রেতাত্মাদের রামের নাম সহ্য হয় না।” এদিন সকালে মধ্য হাওড়ার কদমতলা এলাকা থেকেও একটি মিছিল হয় রামনবমী। মিছিল আসে রামরাজাতলায়, রামমন্দির পর্যন্ত।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

    রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে বেরলে কোনও সমস্যা নেই বলেই মনে করে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে বেরবো, এতে সমস্যা কোথায়…ভগবান রামের ছবি তো অস্ত্র ছাড়া হয় না। ভগবান অস্ত্র নিয়ে না বেরলে এত রাক্ষসকে মারলেন কীভাবে?” তিনি বলেন, “নতুন রাক্ষসরা অস্ত্র দেখে ভয় পাচ্ছে। ভয় পাওয়ার কারণ নেই। বিনা কারণে অস্ত্র বেরোবে না।” তিনি বলেন, “রামের নামেই মুক্তি। তাই সকলে জয় শ্রীরাম বলুন। রামনবমী হলে অনেকের বুক দুরদুর করে। যাদের বুক দুরদুর করে, তারা যেন রাস্তায় না বের হয়।” দিলীপ বলেন, “রামের ইচ্ছেতেই এই জাগরণ।”

    অন্যদিকে, রামনবমী (Ram Navami) উপলক্ষে এদিন দেড় কোটি হিন্দুকে রাস্তায় নামার ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ছোটবড় মিলিয়ে এদিন রাজ্যে প্রায় আড়াই হাজার শোভাযাত্রা বের হওয়ার কথা। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ব্যাপক পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংবেদনশীল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে ১০ পুলিশ জেলা ও পুলিশ কমিশনারেটকে। এই সব এলাকার দায়িত্বে থাকছেন ২৯ জন আইপিএস। বড় মিছিলগুলির ওপর নজরদারি চালানো হবে ড্রোন দিয়ে। বিশেষ কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতি তদারকি (Ram Navami) করবেন খোদ এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম (BJP)।

  • PM Modi: দেশবাসীকে রামনবমীর শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির, অযোধ্যায় ভক্তের ঢল

    PM Modi: দেশবাসীকে রামনবমীর শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির, অযোধ্যায় ভক্তের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শুভেচ্ছা জানিয়ে দেশবাসীর জীবনে নতুন উদ্দীপনা কামনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “রামনবমী উপলক্ষে সমস্ত দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। ভগবান শ্রী রামের জন্মোৎসবের এই পবিত্র সময় যেন আপনাদের সকলের জীবনে নয়া চেতনা ও সজীব উদ্দীপনা আনে এবং একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও সক্ষম ভারত গঠনের সঙ্কল্পকে অবিরাম নতুন শক্তি প্রদান করে। জয় শ্রী রাম।” এদিন, রাম নবমী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী যাবেন তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমের রামনাথস্বামীর মন্দিরে। পরে সেখানে তিনি একটি সেতুর উদ্বোধন করবেন।

    দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতিরও

    দেশবাসীকে রামনবমীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “রামনবমীর পবিত্র উৎসবে দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। এই উৎসব ধর্ম, ন্যায় ও কর্তব্যবোধের বার্তা বহন করে।” তিনি লিখেছেন, “মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম মানবজাতির জন্য ত্যাগ, প্রতিশ্রুতি, সম্প্রীতি ও বীরত্বের সর্বোচ্চ আদর্শ (PM Modi) উপস্থাপন করেছেন। তাঁর সুশাসনের ধারণা, যা রামরাজ্য নামে পরিচিত, তা আদর্শ হিসেবে বিবেচিত। আমার শুভ কামনা যে এই শুভদিন উপলক্ষে সব দেশবাসী একটি উন্নত ভারত গঠনের জন্য একত্রিত হয়ে কাজ করার সঙ্কল্প গ্রহণ করবেন।”

    এদিকে, রামনবমী উপলক্ষে অযোধ্যার রাম মন্দিরে কার্যত ঢল নেমেছে ভক্তদের। সরযূ নদীতে স্নান সেরে পুণ্যার্থীরা লাইন দিয়েছেন দেবদর্শন করতে। ব্যাপক ভিড় হয়েছে অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দিরেও। এই মন্দিরের পুরোহিত মহন্ত রাজু দাস বলেন, “রামনবমী উপলক্ষে আমি সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। এদিন ভোর ৩টেয় মঙ্গল আরতি হয়েছে। রামনবমী উপলক্ষে মন্দিরে ব্যাপক ভক্ত সমাগম হয়েছে। ভক্তরা পুজো দিচ্ছেন। আজ ভগবান শ্রী রামের জন্মদিন। আমি সমস্ত ভক্তকে শুভকামনা জানাই। আমি বিশ্বের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করব।”

    এদিন ভোর থেকে বেলা ৯টা পর্যন্ত লাইনে ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন এক ভক্ত। তিনি বলেন, “এখানে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। ব্যবস্থাপনা খুব ভালো।” বারাণসী থেকে আসা আর এক পুণ্যার্থী বলেন, “আমি রামনবমী (Ram Navami) উপলক্ষে শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরে পুজো দিতে এসেছি। খুব ভালো লাগছে। দেবদর্শনের পর মনে প্রশান্তি এসেছে (PM Modi)।”

  • Waqf Amendment Bill: স্বাক্ষর করলেন রাষ্ট্রপতি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আইনে পরিণত ওয়াকফ সংশোধনী বিল

    Waqf Amendment Bill: স্বাক্ষর করলেন রাষ্ট্রপতি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আইনে পরিণত ওয়াকফ সংশোধনী বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আইনে পরিণত হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill)। শনিবার রাতে বিলটিতে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। তার পরেই বিলটি পরিণত হয় আইনে। বুধবার দীর্ঘ বিতর্কের পর গভীর রাতে লোকসভায় ৫৬ ভোটের ব্যবধানে পাশ হয়েছিল ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। বিলের পক্ষে পড়েছিল ২৮৮টি ভোট, আর বিপক্ষে ২৩২টি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজ্যসভায়ও পাশ হয়ে যায় বিলটি। তার পরেই বিলটি পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। শনিবার তাতে সই করেন তিনি। এর পরেই বিলটি পরিণত হয় আইনে।

    ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ (Waqf Amendment Bill)

    ভারত সরকারের গেজেটিয়রে প্রকাশিত হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিজ্ঞপ্তি। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, “ওয়াকফ শব্দের অর্থ ঐক্যবদ্ধ ওয়াকফ ব্যবস্থাপনা, ক্ষমতায়ন, দক্ষতা ও উন্নয়ন।” নতুন আইন অনুযায়ী, তাই কোনও জমি ওয়াকফ কিনা, সেই সম্পর্কিত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাককরা। বোর্ডে এবার থেকে থাকতে পারবেন অমুসলিম প্রতিনিধিরাও। নিয়ন্ত্রণ থাকবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারেরও।

    ওয়াকফ সম্পত্তি কী

    মুসলিম আইনে যে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি দলিলের মাধ্যমে ধর্মীয় বা দাতব্যের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়, তাই হল ওয়াকফ। এই সম্পত্তিকে বলা হয় ওয়াকফ সম্পত্তি। এই সম্পত্তি মূলত সেবামূলক কাজে ব্যবহার করা হয়। এই সম্পত্তি কখনও হস্তান্তর করা যায় না। মূলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান, মসজিদ এবং দরিদ্রদের আশ্রয় দেওয়ার মতো কল্যাণকর কাজে ব্যবহার করা হয় এই জমি। সম্পত্তির দেখভাল করে ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Amendment Bill)।

    এই বোর্ডের বিরুদ্ধেই বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ করেছিলেন মুসলমানদেরই একাংশ। তার জেরেই ওয়াকফ বিল আনে কেন্দ্র। এদিন সেটি পরিণত হল আইনে। কেন্দ্রের দাবি, এর ফলে সার্বিকভাবে উন্নতি হবে মুসলিমদের। ক্ষমতায়ন হবে মুসলিম মহিলাদের। নয়া আইন অবশ্য মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করবে না। তবে ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে অস্বচ্ছতা দূর হবে। নয়া আইন মুসলিম মহিলাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির দিশা দেখাবে। মুসলিম ছাত্রীদের বৃত্তি, মহিলাদের স্বাস্থ্য ও মাতৃত্বকালীন সুবিধা, দক্ষতা বৃদ্ধি, মহিলা উদ্যোগীদের জন্য ঋণের ব্যবস্থার পাশাপাশি (Waqf Amendment Bill) বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের রাস্তা খুলে দেবে নয়া আইন (Droupadi Murmu)। উন্নত করবে দরিদ্রদের জীবনযাপনের মান।

  • Waqf Amendment Bill: চোদ্দ পুরুষের ভিটে ওয়াকফ সম্পত্তি! বোর্ডের দাবিতে মাথায় হাত, বিল পাশ হতেই বিজেপিতে ৫০

    Waqf Amendment Bill: চোদ্দ পুরুষের ভিটে ওয়াকফ সম্পত্তি! বোর্ডের দাবিতে মাথায় হাত, বিল পাশ হতেই বিজেপিতে ৫০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোদ্দ পুরুষের ভিটেয় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন তাঁরা। রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Amendment Bill) দাবি, ওই ৪০০ একর জমি ওয়াকফ সম্পত্তি। তার পরেই গত ১৭৪ দিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে (BJP) কেরলের মুন্নামবাম গ্রামের প্রায় ৬০০ পরিবার। এদের সিংহভাগই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। ৩০ মার্চ সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল। তারপর শনিবার ওই গ্রাম পরিদর্শনে যান বিজেপি নেতারা। সেই সময় গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান ৫০ জন স্থানীয় বাসিন্দা।

    বিজেপি নেতার বক্তব্য

    মুন্নামবাম পরিদর্শন শেষে বিজেপির কেরল রাজ্য সভাপতি রাজীব চন্দ্রশেখর স্থানীয় বাসিন্দাদের বলেন, “এটি রাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই আন্দোলন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদকে সংশোধনী বিল পাশ করতে শক্তি জুগিয়েছে। জমির রাজস্ব অধিকার ফিরে পাওয়া পর্যন্ত আমরা আপনাদের পাশে থাকব। এই বিলের মাধ্যমে আপনাদের জমির রাজস্ব অধিকার ফিরে পাওয়ার ক্ষমতা আছে। মুন্নামবামের মানুষ তাঁদের নির্বাচিত সাংসদ ও বিধায়কদের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কণ্ঠ সংসদে পৌঁছেছে এবং এটি ভারতীয় গণতন্ত্রের একটি উজ্জ্বল মুহূর্ত।”

    কেউ কথা রাখেনি!

    এদিন যে ৫০ জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁরা সবাই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। প্রথমে কংগ্রেস এবং পরে সিপিএমের ঝান্ডা বয়েছেন। ওয়াকফ বিল পাশের পর এখন তাঁরাই হাতে তুলে নিলেন পদ্ম আঁকা ঝান্ডা। বিজেপির তরফে স্থানীয়দের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে যে, একমাত্র পদ্ম-পার্টিই তাঁদের লক্ষ্যের সঙ্গে একমত। অথচ, সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস উভয়ই মুসলিম ভোটব্যাংকের (Waqf Amendment Bill) স্বার্থের জন্য লড়াই করছে। প্রসঙ্গত, এলডিএফ এবং ইউডিএফের দাবি, তারা মুন্নামবামের মানুষের পাশে রয়েছে। তবুও উভয় ফ্রন্টের সাংসদরা বিলের সংশোধনীর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

    মুন্নামবামের আন্দোলন যখন শুরু হয়, তখন আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ায়নি সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস। প্রথম থেকেই তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতারা। ওয়াকফ বিল পাশের পরে এটাকেই হাতিয়ার করতে ওই গ্রামে যাতায়াত করতে শুরু করেন ওই দুই রাজনৈতিক দলের নেতারা। এদিন বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়ে তারই জবাব দিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের ৫০ জন (Waqf Amendment Bill)।

  • Waqf Amendment Bill 2025: ওয়াকফ বিলকে ব্যাপক সমর্থন অল ইন্ডিয়া মুসলিম উইমেন পার্সোনাল ল বোর্ডের

    Waqf Amendment Bill 2025: ওয়াকফ বিলকে ব্যাপক সমর্থন অল ইন্ডিয়া মুসলিম উইমেন পার্সোনাল ল বোর্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের উভয় কক্ষেই পাশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ (Waqf Amendment Bill 2025)। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই বিলটি পরিণত হবে আইনে। এই বিলের বিপক্ষে সুর চড়িয়েছে তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে খাওয়া রাজনৈতিক দলগুলির নেতা-নেত্রীদের একাংশ। তবে এই বিলকে সমর্থন করেছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম উইমেন পার্সোনাল ল বোর্ড (Muslim Women Personal Law Board)। শুধু তাই নয়, সরকারকে ওয়াকফ বোর্ডের কাজকর্মে স্বচ্ছতা আনার পাশাপাশি নারীর অধিকার নিশ্চিত করার অনুরোধও জানিয়েছে।

    প্রেসিডেন্টের বক্তব্য (Waqf Amendment Bill 2025)

    অল ইন্ডিয়া মুসলিম উইমেন পার্সোনাল ল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট শাইস্তা আম্বর বলেন, “আজকের সরকারের এই পদক্ষেপটি অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিল আগের সরকার ও ধর্মীয় নেতাদের।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ইতিবাচক কাজ করা উচিত। যাঁরা ওয়াকফে দান করেন, তাঁদের উদ্দেশ্য থাকে যে তাঁদের দান গরিবদের জন্য ব্যয় করা হবে। কিন্তু তা হচ্ছিল না। এটা নয় যে সব ওয়াকফ জমি অপব্যবহার হয়েছে, কিন্তু ওয়াকফ বোর্ড সততার সঙ্গে কাজ করেনি এবং তাদের যা করা উচিত ছিল, তা করেনি। আমরা সরকারের কাছ থেকে আশা ও অনুরোধ করি যে যদি বিলটি এসে থাকে, তাহলে ওয়াকফ জমি সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে গরিবদের জন্য ব্যবহার করা হোক।”

    পূর্বতন সরকারকে তুলোধনা

    তিনি বলেন, “আজ পর্যন্ত কোনও সরকার মুসলমানদের জন্য কাজ করেনি। তারা শুধু ভোটের রাজনীতি করেছে।” শাইস্তা আম্বার (Waqf Amendment Bill 2025) বলেন, “আমরা বিজেপি সরকারকে অনুরোধ করছি তারা যেন নারীদের অধিকার নিশ্চিত করে এবং ওয়াকফ বোর্ডে স্বচ্ছতা আনে। অন্যান্য দলগুলি এতদিন কী করেছিল? তারা কি ঘুমিয়ে ছিল? আমি বর্তমান সরকারকে অনুরোধ করছি, এখন পর্যন্ত যা ঘটেছে, তার প্রেক্ষিতে তারা যেন অবৈধভাবে দখল করা ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্ধার করতে সাহায্য করে। এজন্য তদন্ত করা হোক এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” তাঁর প্রস্তাব, মুসলিম সম্প্রদায়ের তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য ওয়াকফ সম্পত্তিতে বাসস্থান নির্মাণ করা উচিত। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের (Muslim Women Personal Law Board) অগাস্ট মাসে শাইস্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই সময়ই তিনি ওয়াকফ সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের কবলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলেন (Waqf Amendment Bill 2025)।

    কী বললেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী?

    এদিকে, এবার ওয়াকফ সংশোধনী বিলের (Waqf Amendment Bill 2025) সমর্থনে মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই আইনটি কোনও মসজিদ, উপাসনালয় বা কবরস্থান স্পর্শ করবে না।” তিনি বলেন, “বিলটি বরং ওয়াকফ বোর্ডগুলির কার্যকলাপে আরও বেশি স্বচ্ছতা আনবে।” প্রাক্তন আইনমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, ওয়াকফ কোনও ধর্মীয় সংস্থা নয় বরং একটি আইনি সংস্থা। তিনি বলেন, “বিষয়টি খুবই সহজ ও সরল। ওয়াকফ প্রতিষ্ঠাতা (‘ওয়াকিফ’) যে মহৎ উদ্দেশ্যে ওয়াকফ তৈরি করেছিলেন (Muslim Women Personal Law Board), তা ‘মুতাওয়ালি’ (ব্যবস্থাপক) সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করছেন কি না, তা দেখা হয়।” এর পরেই তিনি বলেন, “ওয়াকফ কোনও ধর্মীয় সংস্থা নয়, এটি একটি আইনি বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। ‘মুতাওয়ালি’ শুধু একজন তত্ত্বাবধায়ক বা ব্যবস্থাপক। সম্পত্তির ওপর তাঁর কোনও অধিকার নেই। কারণ একবার ওয়াকফ তৈরি হয়ে গেলে সম্পত্তির মালিকানা আল্লাহর কাছে চলে যায়।”

    উপকৃত হবেন মুসলিম মহিলা ও প্রান্তিকরা

    প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, এই বিলটি মুসলিম নারীদের এবং প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলিকে ক্ষমতায়িত করবে। তাঁর ভাষায়, “এই বিলটি (Waqf Amendment Bill 2025) মুসলিম নারীদের ক্ষমতায়িত করবে এবং এই সম্প্রদায়ের বিধবাদের ও প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করবে।” তিনি বলেন, “সম্পূর্ণ বিষয়টিকে জবাবদিহিমূলক করা হচ্ছে। সব কিছু অনলাইনে পাওয়া যাবে, ডিজিটাইজেশন করা হবে, আপনি দেখতে পারবেন কোন সম্পত্তি কোথায় আছে, কে মুতাওয়ালি (ব্যবস্থাপক), ওয়াকিফ (যিনি সম্পত্তি উৎসর্গ করেছেন) এর উদ্দেশ্য অনুযায়ী সেই নির্দিষ্ট সম্পত্তি কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই, এখন এই সব কিছুই খুব স্বচ্ছ (Muslim Women Personal Law Board)।”

    ভোট কুড়োতে ‘ওয়াকফ জুজু’!

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ বিল পাশ হতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তোষণের রাজনীতি করে খাওয়া রাজনীতিকরা। তাঁরা মুসলমানদের ‘ওয়াকফ জুজু’ দেখাচ্ছেন। বিলটি পাশ হতেই শুক্রবার (মুসলমানদের কাছে অতি পবিত্র এই দিন জুম্মাবার নামে পরিচিত) মুসলমান অধ্যুষিত কলকাতার পার্কসার্কাসে জমায়েত করে মুসলমানদের কয়েকটি সংগঠন। রাজনীতিকদের একাংশের মতে, এটি তৃণমূলেরই মস্তিষ্কপ্রসূত। ওয়াকফ (Waqf Amendment Bill 2025) তাস খেলেই তারা পার হতে চাইছে ২০২৬ সালের ভোট বৈতরণী (Muslim Women Personal Law Board)।

  • Bhutan PM: “প্রধানমন্ত্রী মোদি আমার দাদা, আমার গুরু,” তাইল্যান্ডে দাঁড়িয়ে বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

    Bhutan PM: “প্রধানমন্ত্রী মোদি আমার দাদা, আমার গুরু,” তাইল্যান্ডে দাঁড়িয়ে বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আমার দাদা। তিনি আমার গুরু।” শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমনই প্রশস্তি করলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী (Bhutan PM) শেরিং টোবগে। দ্বীপরাষ্ট্র তাইল্যান্ডে শুক্রবার শেষ হয়েছে ষষ্ঠ বিমস্টেকের (BIMSTEC) শীর্ষ সম্মেলন। সেই সম্মেলনের ফাঁকেই শেষ দিন হয় ভারত ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। সেখানেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর গলায়। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে টোবগে বলেন, ‘‘আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমার দাদা বলে মনে করি। তিনি আমাকে নির্দেশনা দেন। তাই আমি তাঁকে আমার গুরু বলেও মনে করি। তাঁর সঙ্গে প্রতিটি বৈঠকই আমার জন্য খুব বিশেষ।’’

    মোদি ‘আধ্যাত্মিক নেতা’ (Bhutan PM)

    ভুটানের প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘আধ্যাত্মিক নেতা’ বলেও অভিহিত করেন। আমেরিকান পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে তাঁর পডকাস্টের প্রশংসা করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথাগুলি শুনতে শুনতে আমার মনে হচ্ছিল, আমি যেন একজন আধ্যাত্মিক গুরুর কথা শুনছি।” তিনি জানান, পডকাস্টটি তিনি ইংরেজি এবং হিন্দি উভয় ভাষায়ই শুনেছেন। শেরিং টোবগে (Bhutan PM) বলেন, ‘‘আমি লেক্স ফ্রিডম্যানের প্রধানমন্ত্রী মোদির সাক্ষাৎকার শুনেছি। আমি এটি ইংরেজিতে শুনেছি। হিন্দিতেও শুনেছি। যদিও আমি খুব বেশি হিন্দি বুঝি না। তবে আমি এটি মূল ভাষায় শুনতে চেয়েছিলাম। আমি প্রধানমন্ত্রীকে সে কথা জানিয়েওছি।” তিনি বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলেছিলাম, দাদা, আমি সেই পডকাস্টটি শুনেছি এবং আমি একজন আধ্যাত্মিক নেতাকে দেখেছি। আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন একজন আধ্যাত্মিক গুরুর ভাষণ শুনছি। এটি খুবই আধ্যাত্মিকভাবে পরিপূর্ণ ছিল।’’

    ভারতের নেতৃত্বের ভূমিকায় জোর

    বিমস্টেকের মধ্যে ভারত সব চেয়ে বড় দেশ। তাই ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ভারতের নেতৃত্বের ভূমিকার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “এই বৈঠকের সময় আমরা খুব সংক্ষেপে বিমস্টেকের কার্যক্রম ও ভারতের নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছি। কারণ ভারত বিমস্টেকের সব চেয়ে বড় সদস্য রাষ্ট্র, সব চেয়ে জনবহুল সদস্য রাষ্ট্র, সব চেয়ে বড় অর্থনীতি এবং বিমস্টেক অঞ্চলের সব চেয়ে শক্তিশালী দেশ। আমরা ভারতের নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সেই নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। তাই আমি বলেছি যে বিমস্টেকের জন্য অনেক ভালো কিছু (Bhutan PM) পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।”

  • Waqf Bill Protest: ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে অবরুদ্ধ পার্কসার্কাস, আন্দোলনের নেপথ্যে তৃণমূলের ভোট-অঙ্ক?

    Waqf Bill Protest: ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে অবরুদ্ধ পার্কসার্কাস, আন্দোলনের নেপথ্যে তৃণমূলের ভোট-অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ও রাজ্যসভা – সংসদের উভয় কক্ষেই পাশ হয়ে গিয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Bill Protest) ২০২৫। সেই বিল পাশ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুসলমানদের একটা বড় অংশ। অথচ, এই বিলের প্রতিবাদেই শুক্রবার পার্কসার্কাসে হল মিছিল। শুক্রবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে মুসলিম অধ্যুষিত পার্ক সার্কাসের দখল কার্যত চলে গিয়েছিল মুসলিমদের বিভিন্ন সংগঠনের হাতে। পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টস অবরুদ্ধ করেন বিক্ষোভকারীরা।

    ‘শক্তিপরীক্ষা’ (Waqf Bill Protest)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রবিবার রামনবমী (Ramnavami)। তার আগে বস্তুত ‘শক্তিপরীক্ষা’ করে নিল মুসলিম সংগঠনের আড়ালে তৃণমূল। বছর ঘুরলেই এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের শাসক দল ওয়াকফ বিল তাস খেলে দিয়ে মুসলিম ভোটকে ঘাসফুলের ঝুলিতে ফেলতে চাইছে। এটা সম্ভব হলে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ফের একবার গদি নিশ্চিত হয়ে যাবে তৃণমূল সুপ্রিমোর।

    জমায়েতের পিছনে তৃণমূলের ‘মস্তিষ্ক’!

    শুক্রবার জুম্মাবার। সেদিনই জমায়েতের পিছনে তৃণমূলের ‘মস্তিষ্ক’ কাজ করছে বলে ধারণা ভোট বিশেষজ্ঞদের। যদিও এদিনের সমাবেশে কোথাও তৃণমূলের নাম ছিল না, ছিল না তৃণমূলের কোনও সংগঠনের ব্যানার কিংবা ফেস্টুন। তবে পার্ক সার্কাসের ওই জমায়েতে দেখা গিয়েছে তপসিয়া, কসবা, তিলজলা এবং বেকবাগান এলাকার তৃণমূল নেতাদের। তৃণমূলের এক প্রবীণ নেতা বলেন, “হয়তো দলের সরাসরি নির্দেশে কোনও কর্মসূচি পালিত হয়নি। কিন্তু রামনবমীর আগে এমন জমায়েত উত্তেজনা প্রশমনের বদলে বাড়াতেই সাহায্য করবে (Waqf Bill Protest)।”

    ইদের দিনে রেড রোডে নমাজ আদায়ের জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি নমাজ আদায়ও করেন। ওই জমায়েতেই তিনি বলেছিলেন, ‘কাউকে গন্ডগোল করতে দেবেন না।’ তার পরেও জুম্মাবারে যেভাবে শক্তিপ্রদর্শন হল, তাতে অশান্তির আশঙ্কা করছে তৃণমূলেরই একাংশ।

    ২০২৩ সালে রামনবমীর মিছিলে হামলা হয়েছিল হাওড়ায়। সেদিন মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ছাদ থেকে ইট-পাটকেল-বোতল ছোড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। অশান্তি হয়েছিল হুগলির শ্রীরামপুর-সহ আরও কয়েকটি জায়গায়। এবারও সেই সব স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে অশান্তির আশঙ্কা করছে প্রশাসনেরই একাংশ (Ramnavami)। তার আগে পার্কসার্কাসে যেভাবে ব-কলমে জমায়েত করল তৃণমূল (!), তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন প্রশাসনেরই বড় কর্তারা (Waqf Bill Protest)।

LinkedIn
Share