Author: pranabjyoti

  • Rath yatra 2025: মুসলমান ভক্তকে দর্শন দিতে যাত্রা পথে দাঁড়ায় জগন্নাথের রথ!

    Rath yatra 2025: মুসলমান ভক্তকে দর্শন দিতে যাত্রা পথে দাঁড়ায় জগন্নাথের রথ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর মন্দিরে বিধর্মীদের প্রবেশাধিকার নেই। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকেও জগন্নাথ দর্শন না করেই পুরী থেকে ফিরতে হয়েছিল শুকনো মুখে (Muslim Devotee)। তবে পুরীর রথযাত্রার (Rath yatra 2025) সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে ভগবান জগন্নাথের এক মুসলমান ভক্তের কাহিনি। আজ আমরা জানব সেই চমকপ্রদ কাহিনি।

    ভক্ত সালবেগা (Rath yatra 2025)

    ওড়িশার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। চন্দ্র মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়ায় রথে চড়ে মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরে যান জগন্নাথ, বলরাম এবং শুভদ্রা। আটদিন মাসির বাড়িতে কাটিয়ে ত্রিদেব ফিরে যান শ্রীমন্দিরের রত্নবেদিতে। এই রথযাত্রার সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছেন জগন্নাথের মুসলিম ভক্ত সালবেগার ভক্তিগাথা। তিনি ছিলেন ওড়িশার ভক্ত-কবি। মুসলমান পরিবারে জন্ম নিয়েও তিনি তাঁর পুরো জীবন উৎসর্গ করেছিলেন জগন্নাথদেবের উপাসনায়।

    জীবন উৎসর্গ করেন জগন্নাথের সেবায়

    এক মুঘল সুবেদার ও হিন্দু ব্রাহ্মণ মহিলার পুত্র সালবেগা। এক মারাত্মক আঘাত পেয়েও দৈবীবলে বেঁচে যাওয়ায় তিনি হয়ে ওঠেন জগন্নাথ দেবের একনিষ্ঠ ভক্ত। তিনি স্বপ্নে দেখেন, জগন্নাথ স্বয়ং তাঁর চিকিৎসা করছেন। আর তিনি প্রতিদিনই সুস্থ হচ্ছেন একটু একটু করে। সুস্থ হয়ে উঠে সালবেগা তাঁর জীবন উৎসর্গ করেন জগন্নাথের সেবায়। রচনা করেন চিরস্মরণীয় একাধিক ভজন ও ভক্তিগীতি। এর মধ্যে সব চেয়ে জনপ্রিয় হল ‘আহে নীলা শৈল’ (Rath yatra 2025)।

    কিংবদন্তী অনুসারে, একবার রথযাত্রার সময় মাঝ পথে আচমকাই থেমে যায় জগন্নাথের রথ। খবর পেয়ে ছুটে আসেন সালবেগা। তারপর ফের রথ চলতে শুরু করে। পরে ওই জায়গায় একটি মন্দির নির্মাণ করা হয়। সালবেগার প্রতি জগন্নাথদেবের ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে আজও ওই মন্দিরের সামনে কয়েক মুহূর্তের জন্য থেমে যায় জগন্নাথদেবের রথ। সালবেগার ভক্তিভাবনায় পরিপূর্ণ ভজন ও গান আজও মুখে মুখে ফেরে ওড়িশাবাসীর। স্থানীয়দের বিশ্বাস, সেই গানের মাধ্যমে (Muslim Devotee) ভক্ত সালবেগার ভক্তিরস পৌঁছে যায় স্বয়ং জগন্নাথ দেবের কানে।

    তিনি যে ভক্তের ভগবান (Rath yatra 2025)!

  • Amaranth Yatra: প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রবিবার অমরনাথের পথে ফের ৭ হাজারেরও বেশি পুণ্যার্থী

    Amaranth Yatra: প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রবিবার অমরনাথের পথে ফের ৭ হাজারেরও বেশি পুণ্যার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩ জুলাই শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা (Amaranth Yatra)। ইতিমধ্যেই দেবদর্শন করে ফেলেছেন ৫০ হাজারেরও বেশি তীর্থযাত্রী (Holy Cave)। রবিবার ভোরে জম্মুর বেস ক্যাম্প থেকে ফের রওনা দিলেন ৭ হাজার ২০০ জনেরও বেশি পুণ্যার্থীর একটি দল। ৩ জুলাই শুরু হওয়া এই তীর্থযাত্রা চলবে ৩৮ দিন ধরে। এদিন যে পুণ্যার্থীর দল অমরনাথ গুহার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৫৮৭ জন নারী এবং ৩০ জন শিশু। ভগবতী নগর বেস ক্যাম্প থেকে এদিন ভোর ৩.৩৫ থেকে ৪.১৫-এর মধ্যে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পৃথক দুটি কনভয়ে যাত্রা শুরু করেন তীর্থযাত্রীরা। বুধবারের পর সব চেয়ে বড় তীর্থযাত্রীর দল এদিন রওনা দেন দেব দর্শনে।

    অমরনাথের পথে (Amaranth Yatra) 

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে অমরনাথ যাত্রাপথে। এদিন প্রথম কনভয়ে ছিল ১৪৭টি গাড়ি। এই গাড়িগুলি ৩ হাজার ১৯৯ জন তীর্থযাত্রী নিয়ে গাঁদারবাল জেলার খাড়া ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ বালতাল রুটে যাত্রা শুরু করে। দ্বিতীয় কনভয়ে গাড়ি ছিল ১৬০টি, পুণ্যার্থী ছিলেন ৪ হাজার ৯জন। এঁরা যাত্রা করেন অনন্তনাগ জেলার ঐতিহ্যবাহী ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পহেলগাঁও রুটে। শনিবার রাতভর প্রবল বৃষ্টি হয়েছে জম্মুতে। এদিন ভোরেও বৃষ্টি হচ্ছিল ঝমঝমিয়ে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দেব দর্শনের বেরিয়ে পড়েন তীর্থযাত্রীরা। ইতিমধ্যেই ৫০ হাজার তীর্থযাত্রী পৌঁছেছেন ৩ হাজার ৮৮০ মিটার উচ্চতার গুহা মন্দিরে।

    নাম নথিভুক্ত করেছেন তিন লাখেরও বেশি মানুষ 

    জানা গিয়েছে, এখনও (Amaranth Yatra) পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষ তীর্থযাত্রার জন্য অনলাইনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। জম্মুজুড়ে ৩৪টি আবাসন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের দেওয়া হয়েছে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ। পুণ্যার্থীদের নাম নথিভুক্ত করণের উদ্দেশ্যে খোলা হয়েছে ১২টি কাউন্টার।

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলায় বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেও পুণ্য যাত্রায় অংশ নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। তবে (Holy Cave) জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে ভগবতীনগর বেস ক্যাম্প (Amaranth Yatra)।

  • Elon Musk: নয়া দল গড়লেন ইলন মাস্ক, পার্টির নাম কি জানেন?

    Elon Musk: নয়া দল গড়লেন ইলন মাস্ক, পার্টির নাম কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পুরোদস্তুর রাজনীতিক হয়ে গেলেন মার্কিন বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক (Elon Musk)। শনিবার একটি নয়া দল গঠনের কথা ঘোষণা করেন তিনি। দলের নাম আমেরিকা পার্টি। দল গড়ার আগে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছেন এই ধনকুবের। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে নয়া দলের ধারণা (Donald Trump) নিয়ে জনমত যাচাই করতে ভোটাভুটি করিয়েছিলেন তিনি। সেখানে মেলে বিপুল সাড়া। তার পরেই ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাশ হওয়ার পরেই নয়া রাজনৈতিক দল খুলে ফেললেন মাস্ক। নয়া পার্টির ঘোষণা করে এক্স হ্যান্ডেলে মাস্ক লেখেন, ‘২ টু ১ এর ফ্যাক্টরে আপনারা একটি নয়া রাজনৈতিক দল চান এবং আপনি সেটাই পাবেন। আজ আমেরিকা পার্টি আপনাকে আপনার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য গঠিত হয়েছে।’

    মাস্কের হুঁশিয়ারি (Elon Musk)

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্প যখন দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসেন, তার আগে তাঁর হয়ে প্রচারে শত শত মিলিয়ন ডলার ঢেলেছিলেন মাস্ক। ট্রাম্প ক্ষমতায় বসে মাস্ককে বসিয়েছিলেন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির নেতৃত্বে। সরকারি ব্যয় হ্রাস করার পক্ষে ছিলেন মাস্ক। পরে নানা কারণে ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয় মাস্কের। ট্যাক্স কাট এবং ব্যয় বিল – দ্য বিগ বিউটিফুল বিল নিয়ে ট্রাম্প-মাস্কের বিরোধ চরমে ওঠে। মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষেই সামান্য ব্যবধানে পাশ হয়ে যায় ট্রাম্পের বিল। এর পরেই মাস্ক হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এই বিল আইনে পরিণত হলে নয়া দল গড়বেন তিনি। মাস্কের বক্তব্য, ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা আসলে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। ৪ জুলাই বিলটিতে সই করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। বিলটি পরিণত হয় আইনে। তার পরেই এদিন মাস্ক জন্ম দেন আমেরিকান পার্টির।

    সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রিপাবলিকানরা

    মাস্ক (Elon Musk) নয়া দল খোলায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রিপাবলিকানরা। কারণ মাস্কের সমর্থকদের সিংহভাগই রিপাবলিকান। আগামী বছর মধ্যবর্তী কংগ্রেসনাল নির্বাচনে মাস্কের দল নির্বাচনী ময়দানে নামলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ট্রাম্পের দল। ভোট কাটাকুটির খেলার সুযোগ নিতে পারেন ডেমোক্র্যাটরা। মার্কিন কংগ্রেসে আটকে যেতে পারে বহু বিল। ট্রাম্প (Donald Trump) প্রেসিডেন্ট পদ না খোয়ালেও, ক্ষমতার রাশ রিপাবলিকানদের হাতে নাও থাকতে পারে (Elon Musk)।

  • PM Modi: ফের বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী, ১৮ জুলাই জনসভা দুর্গাপুরে

    PM Modi: ফের বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী, ১৮ জুলাই জনসভা দুর্গাপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই ফের বাংলায় আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৮ জুলাই তিনি সভা করতে পারেন দক্ষিণবঙ্গের দুর্গাপুরে। ২১ জুলাই তৃণমূলের সমাবেশ হবে ধর্মতলায় (Samik Bhattacharya)। তার ঠিক তিন দিন আগেই প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে এ রাজ্যে সভা করিয়ে তৃণমূলকে মাত দিতে চাইছে মোদি-শাহের দল। বাংলার নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে পাশে নিয়েই ওই সভা করতে পারেন মোদি। বিহারে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার আগেই দুর্গাপুরে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। বিহার যাওয়ার পথে দুর্গাপুর ছুঁয়ে যাওয়া নিয়ে দিল্লি থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে। তখনই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বাংলায় একটি সভা করতে চান প্রধানমন্ত্রী। সভা সেরে তিনি চলে যাবেন বিহারে। তার আগেই তিনি সভা করবেন দুর্গাপুরে।

    জনসভা হবে দুর্গাপুরে (PM Modi)

    দিল্লির কথা শুনে রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হবে ১৮ জুলাই, দুর্গাপুরে। এজন্য দু’টি মাঠ পছন্দ হয়েছে পদ্ম নেতৃত্বের। এর মধ্যেই চূড়ান্ত করা হবে একটি (PM Modi)। দমদম বিমানবন্দর থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত মেট্রো রেলের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে। এটি উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু নানা কারণে বার বার পিছিয়ে গিয়েছে সেটি। এই সমাবেশ থেকেই যাতে প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন, সেজন্য তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।

    পঞ্চবাণে বিদ্ধ করেছিলেন তৃণমূলকে

    এর আগে ২৯ মে রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে হিংসা, অরাজকতা, নারীর নিরাপত্তাহীনতা, বেকারত্ব, দুর্নীতি এবং গরিবের অধিকার হরণ – এই পঞ্চবাণে বিদ্ধ করেছিলেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে। সেদিন তিনি বলেছিলেন, “আজ বাংলা এক সঙ্গে একাধিক সঙ্কটে। প্রথম সঙ্কট সমাজে হিংসা ও অরাজকতা। দ্বিতীয় সঙ্কট মা-বোনেদের নিরাপত্তাহীনতা (PM Modi), তাঁদের বিরুদ্ধে ঘটে চলা জঘন্য অপরাধ। তৃতীয় সঙ্কট, তরুণ সমাজের মধ্যে বাড়তে থাকা বেকারত্ব ও হতাশা। চতুর্থ সঙ্কট দুর্নীতি। এখানে সিস্টেমের ওপর বিশ্বাস কমেছে। আর পঞ্চম সঙ্কট হল গরিবের হক ছিনিয়ে নেওয়ার শাসক দলের স্বার্থের রাজনীতি।” ১৮ জুলাই ফের রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের শাসক দলকে কোনও তিরে বিদ্ধ করেন, এখন তা-ই দেখার।

    শমীককে নিয়ে সভা!

    ৩ জুলাই রাজ্য বিজেপির নয়া সভাপতি হয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। বিজেপি সূত্রের খবর, তাঁকে পাশে নিয়েই দুর্গাপুরে জনসমাবেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির এই সভার প্রস্তুতির জন্য ইতিমধ্যেই সাত সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের সমাবেশ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার আগেই প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে জনসভা করিয়ে তৃণমূলকে খানিকটা হলেও ব্যাকফুটে ঠেলে দিতে চাইছে পদ্ম শিবির।

    জনসভার প্রস্তুতিপর্ব দেখলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা

    গেরুয়া শিবিরের খবর, ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রস্তুতি দেখতে শনিবার দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সতীশ ধন্ড, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিজেপির লক্ষ্ণণ ঘোড়ুই, বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি, বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ তা, সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর-সহ পদ্ম শিবিরের অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিন ওই স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন বিজেপির যুব নেতা পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায়, জেলা মুখপাত্র সুমন্ত মণ্ডল, সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত-সহ অন্যরা। সেখান থেকে তাঁরা গিয়েছিলেন এএসপি স্টেডিয়ামেও (Samik Bhattacharya)।

    তৃণমূলকে উৎখাত করতে পদ্ম শিবিরে নয়া রথী

    ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করতে পদ্ম শিবির বেছে নিয়েছে বাগ্মী তথা লড়াকু নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে (PM Modi)। কলকাতার সায়েন্স সিটির মঞ্চে বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব নিয়েই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, “এবার আর দু’শো পার নয়, তৃণমূলের পরপার নিশ্চিত।” তিনি বলেন, “একদিন বাংলায় বিজেপি অপাঙক্তেয় ছিল। আমাদের ভোট এক শতাংশেরও নীচে ছিল। আর আজ বাংলার মানুষ তৃণমূলকে হঠিয়ে বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের জন্য তৈরি হচ্ছেন।” শমীক বলেছিলেন, “মমতার বিকল্প মুখ কোথায়? বাংলার মানুষ স্থির করে নিয়েছেন, ছাব্বিশের ভোটে তৃণমূলকে তাঁরা বিদায় দেবেন। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততার প্রতীক আর কাজে লাগছে না। দুর্নীতির সরকারকে হঠাতে মানুষ এখন বদ্ধপরিকর।”

    মাসখানেক আগে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ১৮ জুলাই জনসভা করবেন দক্ষিণবঙ্গে। সেই সভায় প্রধানমন্ত্রী প্রচারের কী সুর বেঁধে দেন, সেদিকেই তাকিয়ে বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। সেই সুর ধরেই (Samik Bhattacharya) কোমর কষে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়বেন পদ্ম নেতারা (PM Modi)।

  • PM Modi: লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গল-এর অন্যতম দেশ আর্জেন্টিনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন তাৎপর্যপূর্ণ এই সফর?

    PM Modi: লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গল-এর অন্যতম দেশ আর্জেন্টিনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন তাৎপর্যপূর্ণ এই সফর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের সফরে আর্জেন্টিনায় পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভারতীয় সময় শনিবার সকালে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয় এজেইজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Argentina)। ৫৭ বছর পরে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী পা রাখলেন ওই দেশে। ২০১৮ সালে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতেও আর্জেন্টিনায় গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি।

    প্রধানমন্ত্রীর পোস্ট (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, দু’দিনের এই সফরে মোদি আর্জেন্টিনার শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ভারতের যে সহযোগিতা চলছে, তা নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। আলোচনা করবেন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির উপায় নিয়ে। এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আর্জেন্টিনার সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করে দ্বিপাক্ষিক সফরের জন্য বুয়েনোস আইরেসে পৌঁছেছি। আমি রাষ্ট্রপতি জাভিয়ের মিলের সঙ্গে দেখা করতে এবং তাঁর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করতে আগ্রহী।” এই পর্বে প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি দেশ সফর করবেন। এটি তাঁর তৃতীয় গন্তব্য। এদিন হোটেলে পৌঁছানোর পর প্রবাসী ভারতীয়রা ‘মোদি মোদি’ স্লোগান দেন। চিৎকার করেন ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলেও। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে একটি নৃত্যও পরিবেশন করা হয় প্রবাসী ভারতীয়দের তরফে।

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্য

    এক্স হ্যান্ডেলে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল লিখেছেন, “আমাদের দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী বন্ধুত্ব অর্জন করছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি সরকারি সফরে আর্জেন্টিনার প্রাণবন্ত শহর বুয়েনোস আইরেসে অবতরণ করেছেন। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়। ৫৭ বছরের মধ্যে এটি কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর আর্জেন্টিনা সফর, যা ভারত-আর্জেন্টিনা সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।” বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁর সফরকালে মোদি প্রতিরক্ষা, কৃষি, খনি, তেল ও গ্যাস নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ-সহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে ভারত-আর্জেন্টিনা (Argentina) অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে রাষ্ট্রপতি মিলের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করবেন (PM Modi)। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক সফর ভারত ও আর্জেন্টিনার মধ্যে বহুমুখী কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করবে।”

    আর্জেন্টিনার খনিজ সম্পদ

    দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা লিথিয়াম, তামা এবং শেল গ্যাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। যা এই দেশটিকে ভারতের জন্য একটি সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি অংশীদার করে তুলছে। বিশেষ করে এমন একটা সময়ে যখন ভারত তার জ্বালানির উৎস বিস্তৃত ও বৈচিত্র্যময় করার চেষ্টা করছে। আর্জেন্টিনায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শেল গ্যাসের মজুত রয়েছে। এর বেশিরভাগই এখনও অনুসন্ধান করা হয়নি। এই দেশে রয়েছে চতুর্থ বৃহত্তম শেল তেলের ভান্ডার। এছাড়াও দেশটিতে রয়েছে প্রচলিত তেল ও গ্যাসেরও বিপুল ভান্ডার।

    লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গেলের একটি

    মনে রাখতে হবে, আর্জেন্টিনা লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গেলের তিনটি দেশের একটি। বাকি দু’টি দেশ হল – বলিভিয়া ও চিলি। লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গেল হল একটি অঞ্চল যা আন্দিজ পর্বতমালায় অবস্থিত এবং দক্ষিণ আমেরিকার এই তিনটি দেশের সীমান্তে বিস্তৃত। এই অঞ্চল লিথিয়াম সম্পদের জন্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। লিথিয়াম ভারতবর্ষের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ইলেকট্রিক যানবাহন ও গ্রিড স্টোরেজের রিচার্জেবল ব্যাটারিতে ব্যবহৃত হয়। ভারতের পরিচ্ছন্ন জ্বালানির লক্ষ্যের জন্য এটি অত্যাবশ্যক (Argentina)। ভারত ইতিমধ্যেই আর্জেন্টিনার লিথিয়াম সংগ্রহের দিকে একটি পদক্ষেপ করেছে। খনিজ বিদেশ ইন্ডিয়া লিমিটেড (ভারত সরকারের একটি যৌথ উদ্যোগ) আর্জেন্টিনার ক্যাটামার্কা প্রদেশে লিথিয়ামের ভান্ডারের খোঁজ চালানোর অধিকার পেয়েছে। আর্জেন্টিনা একটি বৃহৎ তরল প্রাকৃতিক গ্যাস প্রকল্প, ‘আর্জেন্টিনা এলএনজি’, বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল এখনও পর্যন্ত অপ্রচলিত থাকা ভাকা মুইর্তা শেল গঠনের সম্ভাবনা অনুসন্ধান করা। এটি আর্জেন্টিনার নিউকেন অববাহিকায় অবস্থিত একটি বিশাল শেল গঠন, যা বিপুল পরিমাণ অপ্রথাগত তেল ও গ্যাসের জন্য পরিচিত (PM Modi)।

    এলএনজি রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্য

    জানা গিয়েছে, আর্জেন্টিনা ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ৩০ মিলিয়ন টন পর্যন্ত এলএনজি রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে ধাপে ধাপে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছে। দেশটি আন্তর্জাতিকভাবে এলএনজি রফতানি বাড়ানোর কথাও ভাবছে এবং ভারতের উৎপাদন-পূর্ব খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আগ্রহ দেখিয়েছে (Argentina)। প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার সঙ্গে সঙ্গে ভারত ধীরে ধীরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির ওপর জ্বালানি সরবরাহ নির্ভরতা কমাতে চাইছে। বাজারের ওঠানামা এড়াতেও তার জ্বালানি সরবরাহকে বৈচিত্র্যময় করতে চাইছে। আর্জেন্টিনা-সহ পাঁচটি দেশে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর সেই দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

    বিকল্প জ্বালানির খোঁজ

    গত কয়েক বছরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যখন যুদ্ধভেরী বাজছে, সেই সময় ভারত উপলব্ধি করেছে যে জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো বিকল্প হল একাধিক বিকল্প থাকা। আমেরিকার হুমকি সত্ত্বেও, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের পর সস্তায় রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল আমদানি করার ভারতের সিদ্ধান্ত, তার জ্বালানি সরবরাহকে বৈচিত্র্যময় করার ভারতের কৌশলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এটি দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই মোদি সরকার এমন দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপনের (Argentina) জন্য কাজ করছে যারা ভারতের সম্ভাব্য জ্বালানি অংশীদার হতে পারে (PM Modi)।

  • Piyush Goyal: “কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করবে না ভারত,” সাফ জানালেন পীযূষ

    Piyush Goyal: “কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করবে না ভারত,” সাফ জানালেন পীযূষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে আমেরিকার সঙ্গে নয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (India US Trade Agreement) স্বক্ষর করবে না ভারত।” শুক্রবার সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল (Piyush Goyal)। একই সঙ্গে তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন, “নয়াদিল্লি তার নিজের শর্তেই বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে।”

    সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৯ জুলাই (Piyush Goya)

    ২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের পণ্যে শুল্কের পরিমাণ ছিল ২৬ শতাংশ। পরে নয়া শুল্কনীতি কার্যকর হওয়ার আগে ৯০ দিনের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৯ জুলাই। ফলে তার আগেই ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত হবে কি না, তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা।

    কী বললেন পীযূষ

    ট্রাম্প আগেই আভাস দিয়েছেন ৯ জুলাইয়ের পর তিনি আর ওই সময়সীমা বাড়াতে চান না। জুনের শেষ সপ্তাহে চিনের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সেরে ফেলার পর ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য ভারত। তারই প্রেক্ষিতে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নিউজিল্যান্ড, ওমান, আমেরিকা, চিলি বা পেরু, অনেক দেশের সঙ্গে চুক্তির জন্য আলোচনা চলছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি তখনই হয়, যখন পারস্পরিক সুবিধা থাকে। যখন ভারতের স্বার্থরক্ষা করে চুক্তিটি করা হয়। জাতীয় স্বার্থকে সর্বদা অগ্রাধিকার দিয়ে ভারত সর্বদা উন্নত দেশগুলির সঙ্গে চুক্তি করতে প্রস্তুত।” প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে আমেরিকায় বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে বৈঠকের পরে পীযূষ বলেছিলেন, “আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া ফার্স্ট নীতি নিয়ে আমরা এগোব।”

    সেই পীযূষই (Piyush Goyal) এদিন বলেন, “একেবারে উইন-উইন চুক্তি হতে হবে। এবং ভারতের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকাই একমাত্র শর্ত। জাতীয় স্বার্থ সব সময়ই অগ্রাধিকার পায়। এবং সেক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে যদি কোনও ভালো চুক্তি সম্পন্ন হয়, ভারত সব সময় উন্নত দেশগুলির সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে তুলবে।”

    বৃহস্পতিবারই হোয়াইট হাউসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমাদের সঙ্গে সকলেই চুক্তি করতে চায়। গতকালই আমরা চিনের সঙ্গে চুক্তি সই করেছি। আরও একটা বড়সড় চুক্তি করতে চলেছি, সম্ভবত ভারতের সঙ্গে। বিরাট বড়মাপের (India US Trade Agreement) চুক্তি হবে।” তার পরেই এদিন পীযূষের মুখে শোনা গেল চুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের স্বার্থের অগ্রাধিকারের কথা (Piyush Goyal)।

  • India Greece Missile Deal: ‘জাতশত্রু’ গ্রিসকে ক্রুজ মিসাইল দিতে চলেছে ভারত! আতঙ্কিত তুরস্ক

    India Greece Missile Deal: ‘জাতশত্রু’ গ্রিসকে ক্রুজ মিসাইল দিতে চলেছে ভারত! আতঙ্কিত তুরস্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ককে (Turkey) সবার আগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। বিশেষ বিমানে করে ত্রাণ পাঠিয়েছিল নয়াদিল্লি। অথচ, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে যখন পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়, তখন নয়াদিল্লির অবদান ভুলে গিয়ে মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের পাশেই দাঁড়ায় ইসলামিক রাষ্ট্র তুরস্ক (India Greece Missile Deal)! উন্নত ড্রোন, অন্যান্য সামরিক যুদ্ধাস্ত্র এবং যুদ্ধ জাহাজ দিয়ে বন্ধু পাকিস্তানকে সাহায্য করেছিল তুরস্ক। সেই তুরস্ককেই এবার উপযুক্ত জবাব দিতে চলেছে ভারত! তুরস্কের জাতশত্রু গ্রিসকে লং রেঞ্জ ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল দিতে চলেছে ভারত। সাম্প্রতিক গ্রিস সফরের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান মার্শাল ভিআর চৌধুরি গ্রিসের বিমান বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গ্রিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উভয় দেশই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে একটি চুক্তি সই করেছে। এই চুক্তির আওতায় ভারত থেকে গ্রিসে লং-রেঞ্জ ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল সরবরাহের একটি সম্ভাব্য চুক্তির কথাও উল্লেখ রয়েছে।

    ক্রুজ মিসাইল গ্রিসকে দেওয়ার প্রস্তাব (India Greece Missile Deal)

    তুরস্কের সংবাদসংস্থা টিআর হেবার জানিয়েছে, ডিআরডিও নির্মিত এই মিসাইল সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। যদিও ভারত বা গ্রিসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্র মারফত পাওয়া খবরে ওই সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, ভারত ১,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রমে সক্ষম একটি ক্রুজ মিসাইল গ্রিসকে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এই সম্ভাব্য মিসাইল দেওয়ার খবরে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে তুরস্কে। ভারতের কাছ থেকে গ্রিস এই ধরনের কৌশলগত অস্ত্র পেতে পারে, এমন আশঙ্কায় কাঁটা আঙ্কারা (তুরস্কের রাজধানী)। ভারতের এই মিসাইলটি বিমানঘাঁটি, প্রতিরক্ষা (Turkey) ব্যবস্থা, রাডার ইনস্টলেশন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ টার্গেটে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে। এটাই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আঙ্কারার (India Greece Missile Deal)।

    ভারত-তুরস্ক সম্পর্ক

    এই জল্পনা এমন একটা সময়ে উঠেছে যখন ভারত-তুরস্ক সম্পর্ক অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে নানাভাবে সাহায্য করেছিল তুরস্ক। বস্তুত তার পরেই ভারত-তুরস্কের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে। অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতের অস্ত্রের ক্ষমতা চাক্ষুষ করেছে তামাম বিশ্ব। তাই আরও বেশি করে ভয় পেয়েছে তুরস্ক। কারণ গ্রিস যদি ভারতের এলআর-এলএএসিএম মিসাইল পায়, তাহলে তারা তুরস্কের বিমান ঘাঁটিতে বড় ধরনের হামলা চালাতে পারবে। তখন পরিস্থিতি অনেকটা এমন হবে, যেমনটা হয়েছিল অপারেশন সিঁদুরের সময়। প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরে ভারত বেছে বেছে আঘাত হেনেছিল পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে।

    এলআর-এলএএসিএম মিসাইলটি বৈশিষ্ট্য 

    প্রসঙ্গত, এলআর-এলএসিএম মিসাইলটি ব্রহ্মোস মিসাইলের মতোই তৈরি করা হয়েছে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল কম উচ্চতায় এবং অত্যন্ত উচ্চ গতিতে চলা, যার ফলে একে প্রতিহত করা অত্যন্ত কঠিন। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরিসর ১,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি এবং এটি প্রচলিত ও অপ্রচলিত—উভয় ধরনের যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম। এটি তৈরি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা। ২০২৪ সালে এর প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয় (Turkey)।

    তুরস্কের সংবাদ মাধ্যমে জল্পনা

    তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম এই জল্পনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। হেবারের একটি প্রতিবেদনের হেডলাইনই ছিল, “ভারত ১,০০০ কিমি রেঞ্জের ক্রুজ মিসাইল এজিয়ানে নিয়ে এসেছে! তারা তুরস্ককে টার্গেট বানাবে!” ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিস সম্ভবত ভারতের “অপারেশন সিঁদুরের কৌশলগত দিকগুলি বিশ্লেষণ করে তুরস্কে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে এও দাবি করা হয়েছে, গ্রিস ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমানের পারফরম্যান্স সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে (India Greece Missile Deal)।

    গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা

    গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা নতুন নয়। এই দুই ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। সামরিক সংঘর্ষ এবং আইজিয়ান সাগর, আকাশসীমা লঙ্ঘন, সাইপ্রাস ইস্যু এবং সাম্প্রতিককালে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে জ্বালানি সম্পদের ওপর প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা উঠেছে তুঙ্গে। একই সামরিক জোটের অংশ হওয়া এবং ইউরোপীয় (Turkey) ইউনিয়নের কিছু সহযোগিতা কাঠামো শেয়ার করা সত্ত্বেও, গ্রিস-তুরস্কের সম্পর্ক কার্যত সাপে-নেউলে (India Greece Missile Deal)।

    প্রসঙ্গত, পূর্ব ভূমধ্যসাগরের দ্বীপপুঞ্জকে কেন্দ্র করে প্রায়ই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে গ্রিস আর তুরস্ক। গ্রিসের দাবি, কোস, সামোস, লেসবস-সহ পূর্ব এজিয়ান সাগরের বেশ কয়েকটি দ্বীপে অনুপ্রবেশ করাচ্ছে তুরস্ক। ওই দ্বীপগুলির ওপর দিয়ে তারা নাকি নিয়মিত যুদ্ধবিমানও ওড়ায়। ১৯২৩ সালে লুসানের চুক্তি অনুযায়ী, গ্রিস আর তুরস্কের বর্তমান (Turkey) সীমান্ত নির্ধারিত হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী লেসবস, চিওস, সামোসের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা পেয়েছিল গ্রিস (India Greece Missile Deal)।

  • Weather Update: টানা চারদিন দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

    Weather Update: টানা চারদিন দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা চারদিন দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর। ঘূর্ণাবর্তের জেরেই হতে পারে এই বৃষ্টি। শুক্রবার সকাল থেকেই মুখভার কলকাতার। যমজ শহর হওড়ায়ও এদিন সকাল থেকে আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। টিপটিপ করে বৃষ্টিও (Heavy Rain) হয়েছে। আরও কিছুদিন আবহাওয়া থাকবে এমনই। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হবে কলকাতায়। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে দেখা দিতে পারে দুর্যোগের ঘনঘটা।

    হাওয়া অফিসের খবর (Weather Update)

    আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই মুহূর্তে বিকানের, জয়পুর, আসানসোল এবং কলকাতার ওপর দিয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত মৌসুমি অক্ষরেখা। গাঙ্গেয় বঙ্গের উত্তরভাগে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্তও। আরও একটি উচ্চ অক্ষরেখা গিয়েছে গুজরাট থেকে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড হয়ে গাঙ্গেয় বঙ্গের ওপর দিয়ে। সেটি মিশেছে ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গে। রাজ্যে সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী বায়ুও। এই ত্র্যহস্পর্শেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণও হতে পারে। আগামী চারদিনের পূর্বাভাস দিয়ে বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে।

    ভারী বৃষ্টি

    শুক্রবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, হুগলি এবং মুর্শিদাবাদে। বাকি জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। শনিবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়ায়। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং দুই ২৪ পরগনায়। রবিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও হতে পারে ভারী বর্ষণ।

    ভারী বৃষ্টি হতে পারে সোমবারও। এদিন পুরুলিয়া (Heavy Rain), বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে (Weather Update)। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, শনি ও রবিবার বৃষ্টির দাপট তুলনামূলকভাবে কম থাকবে। সোমবার থেকে ফের হতে পারে ভারী বর্ষণ। চলবে বুধবার পর্যন্ত। এই পর্বে বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদহ, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পংয়ে (Weather Update)।

  • BJP leaders Death Case: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইকে ধমক আদালতের

    BJP leaders Death Case: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইকে ধমক আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ঠিক এই প্রশ্ন তুলেই সিবিআইকে (CBI) ধমক দিল আদালত। তথ্যপ্রমাণ জোগাড় হয়ে গিয়েছে দু’বছর আগেই (BJP leaders Death Case)। তার পরেও কেন অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হল চার বছর পর? প্রশ্ন আদালতের।

    ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন (BJP leaders Death Case)

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হয়েছিলেন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। সেই মামলায় মাত্র দু’দিন আগেই অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। এই চার্জশিটে নাম রয়েছে ১৮ জনের। তার মধ্যে আবার তিনজনই হলেন তৃণমূলের নেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল এবং কলকাতা পুরসভার দুই কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার এবং পাপিয়া ঘোষ। শুক্রবার কলকাতার বিচার ভবন সেই মামলায় ১৮ জনকেই সমন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। পাঠাতে বলা হয়েছে চার্জশিটের প্রতিলিপিও। আদালত এদিন জানিয়ে দেয়, কেবল ওই ১৮ জনই নন, মূল চার্জশিটে যে ২০ জনের নাম রয়েছে, তাঁদেরও সমন পাঠাতে হবে।

    সিবিআইকে ধমক আদালতের

    বিচারকের এই নির্দেশের পর সিবিআইয়ের তরফে আদালতকে জানানো হয়, সকলকে চার্জশিট পাঠাতে তাদের মাসখানেক সময় লাগবে। এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারক। বলেন, “চার বছর পর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিচ্ছেন। এটা কী ম্যাটার অফ জোক? চার বছর ধরে কী করছিলেন? চার্জশিটে তো দেখলাম তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে দু’বছর আগেই।” তিনি বলেন, “তদন্তের অধিকার দেওয়া হয়েছে মানে সেটা আপনাদের খামখেয়ালির ওপর নির্ভর করতে পারে না।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ জুলাই। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, ওই দিনই অভিযুক্তদের আদালতে হাজির থাকতে বলা হবে (BJP leaders Death Case)।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় ভোট পরবর্তী হিংসা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বিজয়ী দল তৃণমূলকে। ওই সময়ই ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিজিৎ খুন হন বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, ২ মে ফল ঘোষণার দিনই অভিজিৎকে পিটিয়ে, গলায় কেবল টিভির তার জড়িয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত অরুণ দে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন গত সপ্তাহে (BJP leaders Death Case)।

  • Dalai Lama: দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, চিনের নাক গলানোর প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল ভারত

    Dalai Lama: দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, চিনের নাক গলানোর প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর উত্তরসূরি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা (Dalai Lama)। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রচলিত প্রথা মেনেই তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন হবে। সেই অধিকার থাকবে তাঁদের সংস্থা গাদেন ফোদরাং ট্রাস্টের হাতেই।

    ভারতের জবাব (Dalai Lama)

    তিব্বতি ধর্মগুরুর ঘোষণার পরেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল চিন। শি জিনপিংয়ের নাম না নিয়েই এর জবাব দিল ভারত (India Slams China)। তিব্বতি ধর্মগুরু নির্বাচনে চিনের নাক গলানোর বিষয়টি যে ভালো চোখে দেখা হচ্ছে না, সেকথা শি জিনপিংয়ের দেশকে বুঝিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, পরবর্তী দলাই লামা নির্বাচনের অধিকার রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও বর্তমান দলাই লামার হাতেই। সাংবাদিক বৈঠকে রিজুজু বলেন, “বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলেন দলাই লামা। তাঁর অনুগামীরা চাইছেন, দলাই লামার ইচ্ছে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সংস্থাই উত্তরসূরি বেছে নিক। এর বাইরে অন্য কারও এই প্রক্রিয়ায় নাক গলানোর অধিকার নেই।”

    তিব্বতি এই ধর্মগুরুর ৯০তম জন্মদিন

    ৬ জুলাই ধর্মশালায় পালিত হবে তিব্বতি এই ধর্মগুরুর ৯০তম জন্মদিন। সেখানে কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজু। থাকবেন আরও এক মন্ত্রী রাজীব রঞ্জনও। ৯০তম জন্মদিনের কয়েক দিন আগেই বুধবার তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে ফের নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন দলাই লামা। তিনি জানিয়েছিলেন, ছ’শো বছরের প্রাচীন প্রথা ও ঐতিহ্য মেনেই চলবে আমাদের সংস্থার কাজকর্ম (Dalai Lama)। উত্তরসূরি নির্বাচনের অধিকার থাকবে কেবল গাদেন ফোদরাং ট্রাস্টের হাতেই। অন্য কেউ নাক গলাতে পারবে না।

    প্রসঙ্গত, ১৯৫৯ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে লাসা (তিব্বতের রাজধানী) থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন দলাই লামা। কারণ সেই সময় তিব্বত আক্রমণ করেছিল চিন। তার পর থেকে চিন তাঁকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে দেগে দিয়েছে। পরে তিনি আশ্রয় নেন ভারতে। ওয়াকিবহাল মহলের (India Slams China) মতে, তাঁর সাম্প্রতিক এই ঘোষণাটি কেবল তাঁর আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা নয়, চিনা রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ থেকে তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মীয় ঐতিহ্যের স্বাধীনতাকেও জোরালোভাবে তুলে ধরে (Dalai Lama)।

LinkedIn
Share