Author: pranabjyoti

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের খুন হিন্দু, ইউনূস জমানায় হচ্ছেটা কী?

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের খুন হিন্দু, ইউনূস জমানায় হচ্ছেটা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া মহম্মদ ইউনূসের জমানায় ফের হিন্দু খুন (Bangladesh Crisis)! বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ শহরে (Hindu)। সূত্রের খবর, সদ্য মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা দিয়েছিল বছর ষোলোর কিশোর জনি দাস। এদিন গভীর রাতে আচমকাই তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে অস্ত্র হাতে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি।

    দুষ্কৃতীকে বাধা দেয় জনি (Bangladesh Crisis)

    জনি প্রথমে তাকে বাধা দেয়। সে চিৎকার করে দাদা সাগর দাস জয়কে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে। দুই ভাইয়ে আগন্তুককে বাধা দেয়। ধারালো অস্ত্র হাতে ওই ব্যক্তি দুই ভাইয়ের ওপরই হামলা চালায়। আচমকাই দুষ্কৃতিটি বারবার জনিকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। জখম হন সাগরও। তাঁদের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। চম্পট দেয় দুষ্কৃতী। স্থানীয়রাই দুই ভাইকে উদ্ধার করে নিয়ে যান হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ভাই সাগর বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।

    হিন্দু খুনে ফের আতঙ্ক বাংলাদেশে

    জনির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই একই সঙ্গে শোক এবং আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসা ও ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সে দেশের বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায়ের একাংশও। হবিগঞ্জ থানার ওসি সজল সরকার বলেন, “আমার মনে হয় ওই ব্যক্তি চুরি করতে (Bangladesh Crisis) ওই বাড়িতে গিয়েছিল। বাধা পেয়ে নির্মমভাবে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। বিস্তারিত জানা যাবে তদন্ত শেষ হলে।” শুক্রবার দুপুর পর্যন্তও আততায়ীকে শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।

    আততায়ীকে (Hindu) দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে জনির পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা। পরিবারের দাবি, লেখাপড়ায় জনি অত্যন্ত মেধাবী ছিল। সব সময় তার মুখে লেগে থাকত হাসি। সে ছিল পরিশ্রমী ছেলেও। তাই তার এই অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা।

    জনির মৃত্যুর পর ফের একবার প্রশ্ন উঠছে (Hindu), ইউনূস জমানায় আদৌ কি নিরাপদ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা (Bangladesh Crisis)?

  • D Gukesh: কালো ঘুঁটিতে খেলে কার্লসেনকে হারিয়ে ‘দুর্বল প্লেয়ার’ কটাক্ষের মোক্ষম জবাব দিলেন গুকেশ

    D Gukesh: কালো ঘুঁটিতে খেলে কার্লসেনকে হারিয়ে ‘দুর্বল প্লেয়ার’ কটাক্ষের মোক্ষম জবাব দিলেন গুকেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের বারবেলায় ফের একবার জাগরেবে গুকেশের (D Gukesh) কাছেই হারলেন নরওয়ের তারকা দাবাড়ু (Grand Chess Tour) ম্যাগনাস কার্লসেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কার্লসেনকে হারালেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন গুকেশ। সেই সঙ্গে জবাব দিলেন যাবতীয় কটাক্ষেরও। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কার্লসেনের কাছ থেকে ‘দুর্বল প্লেয়ার’ কটাক্ষ হজম করতে হয়েছিল গুকেশকে। এদিন সেই কটাক্ষের জবাবই দাবার ৬৪ খোপের লড়াইয়ে দিলেন ভারতীয় দাবাড়ু। গ্র্যান্ড চেস ট্যুরের জাগরেব এডিশনে সুপারইউনাইটেড ব়্যাপিড ২০২৫ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে কার্লসেনকে হারিয়ে সমালোচকদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছেন ভারতীয় দাবাড়ু গুকেশ। জাগরেবে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চলে গেলেন তিনি।

    এদিনের ম্যাচটা গুকেশের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (D Gukesh)

    এদিনের ম্যাচটা গুকেশের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ এই প্রতিযোগিতার শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি তাঁর। পোলান্ডের গ্র্যান্ডমাস্টারের কাছে প্রথম রাউন্ডে হেরে যান তিনি। পরের দু’রাউন্ডে জিতে ফের ফেরেন লড়াইয়ের ময়দানে। কার্লসেনের কাছে হেরে গেলে যে তিনি আরও পিছিয়ে পড়বেন, তা ভালো করেই জানতেন গুকেশ। তাই এদিন কার্লসেনকে মাত দিলেন তিনি।

    কার্লসেনকে গত মাসেই হারিয়েছিলেন

    বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু কার্লসেনকে গত মাসেই ব়্যাপিড অ্যান্ড ব্লিৎজ প্রতিযোগিতায় হারিয়ে দিয়েছিলেন গুকেশ (D Gukesh)। টানা পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কার্লসেন আর নামেন না বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের প্র্তিযোগিতায়। গতবার দাবা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন ভারতীয় দাবাড়ু গুকেশ। গত মাসে যখন কার্লসেনকে তিনি হারিয়েছিলেন, তখন নরওয়ের তারকা যেভাবে টেবিল চাপড়ে ছিলেন, তা দেখে মনে হচ্ছিল হয়তো এই হারটা তাঁর কাছে (Grand Chess Tour) অপ্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ফের জাগরেবে গুকেশের কাছেই হারলেন কার্লসেন।

    এদিন কালো ঘুঁটি দিয়ে খেলা শুরু করেন ভারতীয় দাবাড়ু। কিছুক্ষণের মধ্যেই কার্লসেন পিছিয়ে পড়েন। শেষমেশ ৪৯টি দানের পর রিটায়ার করে নেন কার্লসেন। কিছুদিন আগেই গুকেশকে দুর্বল দাবাড়ু আখ্যা দিয়েছিলেন কার্লসেন। সেই কার্লসেনকেই পর পর দু’বার (Grand Chess Tour) হারিয়ে গুকেশ বুঝিয়ে দেন, আগামী দাবা বিশ্বের তারকা তিনিই। গুকেশ বলেন, “দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে কী করতে হয়, আমি জানি। তাই তখন জয়ের জন্য আমি সব কিছুই করি (D Gukesh)।”

  • Shamik Bhattacharya: “তলোয়ার নয়, আমরা তাদের হাতে কলম তুলে দিতে চাই,” ‘মেইডেন স্পিচে’ বললেন শমীক

    Shamik Bhattacharya: “তলোয়ার নয়, আমরা তাদের হাতে কলম তুলে দিতে চাই,” ‘মেইডেন স্পিচে’ বললেন শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি (BJP) মুসলমান বিরোধী নয়, বরং মুসলমানদের হাত থেকে তলোয়ার কেড়ে নিয়ে কলম ধরাতে চায়।” বৃহস্পতিবার কলকাতার সায়েন্স সিটির বিশাল মঞ্চ থেকে কথাগুলি বললেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বস্তুত, এ রাজ্যে বিজেপি এখনও মুসলমানদের ‘কাছের লোক’ হয়ে উঠতে পারেনি। তৃণমূলের চটকদারির রাজনীতিতে (স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ইদের জমায়েতে গিয়ে নমাজ পড়েন) ভুলে গিয়ে ‘স্বজাতি’কেই (পড়ুন, তমান্না খাতুন)খুন করে বসে।

    মুসলিমদের প্রতি বার্তা শমীকের (Shamik Bhattacharya)

    রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের পাল্লায় পড়ে মুসলিমদের এই বিপথগামিতা থেকে সরিয়ে আনতে বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি যে আগ্রহী, এদিন সেই বার্তাই দিলেন শমীক। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে এদিন তাঁর ‘মেইডেন স্পিচে’ শমীক মুসলমানদের কাছে টানার চেষ্টা করলেন আন্তরিকভাবেই। এদিন শমীকের হাতে রাজ্য সভাপতির দায়িত্বের শংসাপত্র তুলে দেন গৈরিক শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাতে শংসাপত্র পাওয়ার পর বঙ্গ বিজেপির নয়া সারথি হিসেবে তাঁর ‘মেইডেন স্পিচে’ শমীক বলেন, “দিনের পর দিন বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বিজেপির লড়াই কোনও মুসলমানের বিরুদ্ধে নয়। যারা পাথর হাতে ঘোরে, তাদের আমরা বই ধরাতে চাই। যারা তলোয়ার নিয়ে রাস্তায় নামে, তাদের হাতে আমরা কলম তুলে দিতে চাই।”

    হিন্দু-মুসলিম সৌহার্দ্যের বার্তা

    হিন্দু-মুসলিম সৌহার্দ্যের বার্তা দিয়ে বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমরা চাই দুর্গাপুজোর বিসর্জন আর মহরমের শোভাযাত্রা একই রাস্তা দিয়ে যাক, এক সঙ্গে, সংঘর্ষ ছাড়াই। আমরা চাই সম্প্রীতির বাংলাকে (BJP) বাঁচাতে।” তিনি বলেন, “এজন্য কোনও দাঙ্গা হবে না, সংঘর্ষ হবে না। কোনও রাজনৈতিক সম্প্রীতির বিভাজন থাকবে না। পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে, বাঁচাতে হবে এর বহুত্ববাদকে। এই মাটিকে রক্ষা করতে হবে। এটাই বিজেপির (Shamik Bhattacharya) লড়াই। এটা আমরা করেও দেখাব।”

    মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতের কথা স্মরণ

    এদিনের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শমীক বলেন, “বাংলার সংখ্যালঘু ভাইবোনেরা সৈয়দ মুজতবা সিরাজ, সৈয়দ মুস্তাফা আলি, এস ওয়াজেদ আলি, নজরুলের কথা শুনবে, না কি কোনও উগ্রপন্থীর কথা শুনবে? না কি হুমায়ুন কবীরের বক্তব্যকে গ্রহণ করবে?” তিনি বলেন, “আপনাকেই চিন্তা করতে হবে, আপনার পরবর্তী প্রজন্ম তলোয়ার নিয়ে রাস্তায় বেরবে, না কি রাস্তায় পাথর ছুড়বে? মুসলমান মানেই সমাজবিরোধী! দেখুন রাজ্যের দিকে তাকিয়ে। মারছে মুসলমান, মরছেও মুসলমানই। কারা এই অবস্থা তৈরি করল?” বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, “আপনারা মনে করলে বিজেপিকে ভোট দেবেন না, কিন্তু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন, গত তিন বছরে পশ্চিমবঙ্গে যত খুন হয়েছে, তার মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা কত। ৯০ শতাংশই মুসলমান খুন হয়েছেন। যারা মারছে আর যারা মরছে, তারা সবাই মুসলমান। আর তাদের পরিবার বলছে সিবিআই তদন্ত চাই।”

    ঘাসফুল বিরোধী সব ভোটকে পদ্মঝুলিতে ফেলার চেষ্টা

    বছর ঘুরলেই রাজ্যে বাজবে বিধানসভা নির্বাচনের ডংকা। তাই তৃণমূলকে (Shamik Bhattacharya) রাজ্য থেকে উৎখাত করতে ঘাসফুল বিরোধী সব ভোটকে পদ্মঝুলিতে ফেলার চেষ্টাও এদিন করেছেন শমীক। বঙ্গ বিজেপির দণ্ডমুণ্ডের নয়া কর্তা বামেদের উদ্দেশে (BJP) বলেন, “বামদের বলছি, ভোট কাটাকাটি করবেন না। পেছনের দরজা দিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় ফেরাবেন না। ২০২৬ সালে নির্বাচন, তৃণমূলের বিসর্জন। তাই যার যা পতাকা আছে, সেগুলি সরিয়ে রেখে আসুন এক সঙ্গে লড়ুন। সমস্ত মত-পথ ভুলে যান। এগিয়ে আসুন। তৃণমূলকে সরিয়ে দিন। তারপর আবার যে যার মত-পথে চলবেন।” তিনি বলেন, “মানুষ শিল্প চায়, চাকরি চায়। অথচ রাজ্যে তা নেই। অথচ আমাদের সোনার বাংলা ছিল। আবার সোনার বাংলা বানাতে হবে।” শমীক (Shamik Bhattacharya) বলেন, “বাংলার মানুষ তৃণমূলের শাসন থেকে মুক্তি চাইছেন।”

    ছাব্বিশের ভোটে বিজেপিই জিতবে

    তবে ছাব্বিশের ভোটে যে আর তৃণমূল আর রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরবে না, এদিন সে কথাও প্রত্যয়ের সঙ্গে জানিয়ে দেন শমীক। বলেন, “তৃণমূল শেষ হয়ে গিয়েছে। আর থাকবে না। তৃণমূলের মুখ কোথায়? মানুষ সবাইকে প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করব। আগামী নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে আমরা ক্ষমতায় আসব।” তবে এ রাজ্যে বিজেপির সংগঠন বিস্তার যে অনায়াস নয়, তা বেশ বোঝেন শমীক। বলেন, “এতদিন ধরে বিজেপি এতটা রাস্তা পেরিয়েছে। সেই রাস্তা কিন্তু মসৃণ ছিল না। আমাদের কর্মীদের ওপর অনেক অত্যাচার হয়েছে, মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও কর্মীরা সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছেন।” তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “আমরা সর্বস্তরের সব নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে এক সঙ্গে লড়াই করব। কোথাও কোনও ভেদাভেদ থাকবে না।” শমীক বলেন, “আগামী নির্বাচনে বিজেপিই জিতছে। পৃথিবীর কোনও শক্তি নেই, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাবেন (BJP)।”

  • Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় প্রথম রায় ঘোষণা, ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত তৃণমূল নেতা

    Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় প্রথম রায় ঘোষণা, ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) শিকার হয়েছিল বেশ কিছু বিজেপি সমর্থক পরিবার (Malda)। দুষ্কৃতীরা রেহাই দেয়নি মালদার বছর নয়ের এক বালিকাকেও। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল, করা হয়েছিল নির্যাতনও। তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্যে এই প্রথম কোনও অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হল। অভিযোগ, চার বছর আগে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে এলাকারই প্রভাবশালী তৃণমূলের এক নেতা। তিনি আবার অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় পকসো আইনে ওই নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করে জেলা আদালত।

    রফিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত (Post Poll Violence)

    মালদা অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতের এডিজে সেকেন্ড কোর্টের বিচারক রাজীব সাহা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রফিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করেন। শুক্রবার ঘোষণা করা হবে সাজা। প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় রাজ্যে এই প্রথম কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। আদলত চত্বরে দাঁড়িয়ে রফিকুলের কঠোর শাস্তির দাবি জানায় নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার মা বলেন, “মেয়ে বাড়ির সামনে খেলা করছিল। তাকে ফুঁসলে ঘরে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি ধর্ষণ করে। বিধানসভা ভোটে বিজেপি করায় আমাদের এই শাস্তি দেওয়া হয়।”

    নির্যাতিতার পরিবার বরাবরই বিজেপি সমর্থক

    স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতার পরিবার বরাবরই বিজেপি সমর্থক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তৃণমূল নেতা রফিকুল ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই বছরই সেপ্টেম্বর মাসে জেলা সফরে আসেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগের মামলায় দায়িত্বভার নেয় সিবিআই। সব মিলিয়ে রাজ্যে সিবিআই মোট ৫৫টি মামলার দায়িত্বভার নেয়। তার মধ্যেই এবার প্রথম ধর্ষণের মামলায় কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হল।

    সিবিআইয়ের আইনজীবীর বক্তব্য

    সিবিআইয়ের আইনজীবী অমিতাভ মৈত্র বলেন, “সিবিআই হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় মোট ৫৫টি মামলার দায়িত্বভার নেয়। তার মধ্যে মালদার ধর্ষণের মামলাটিও রয়েছে। এদিন পকসো আইনে ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচারক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন (Post Poll Violence)। শুক্রবার সাজা ঘোষণা করা হবে। আমরা সর্বোচ্চ সাজার দাবি জানাব।” স্থানীয় সূত্রে খবর, আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া রফিকুল প্রথমে সিপিএম করতেন। পরে যোগ দেন (Malda) তৃণমূলে। তার পরেই “পদস্খালন”।

    পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন

    ২০২১ সালের ২ মে ফল বের হয় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের। বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল। ফল প্রকাশ হওয়ার ঠিক তিনদিন পর থেকেই রাজ্যে বিরোধীদের ওপর শুরু হয় ব্যাপক অত্যাচার। সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় জায়গা করে নেয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধীদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কাহিনি। সংবাদ মাধ্যমের রোজকার খবর হয়ে ওঠে কোথাও ধর্ষণ, কোথাও আবার ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। খুন-জখম-রাহাজানির ঘটনাও ঘটতে থাকে আকছার। এর পর কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় বেশ কয়েকটি রিট পিটিশন। নির্বাচনোত্তর হিংসা মামলায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেয় মানবাধিকার কমিশনও।

    কলকাতা হাইকোর্ট

    আদালতে দেওয়া সাক্ষ্য এবং মানবাধিকার কমিশনের জমা দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির  বেঞ্চ ওই বছরের ১৯ অগাস্ট ভোট (Malda) পরবর্তী হিংসার মামলাগুলি তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের কাছে পাঠানোর নির্দেশ জারি করে (Post Poll Violence)। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সিবিআই ভোট পরবর্তী হিংসার বেশ কয়েকটি ঘটনা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করে। এজন্য সিবিআই কর্তারা একটি তদন্তকারী দলও গঠন করেছিলেন। সেই দলই তদন্ত শুরু করে। তদন্তের পর সিংহভাগ ক্ষেত্রেই দাখিল করা হয়েছিল চার্জশিট। মামলার ফয়সলা যাতে দ্রুত হয়, তাই বিশেষ আইনজীবীও নিয়োগ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা।

    সিবিআইয়ের তদন্ত

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যেসব মামলার তদন্ত করেছিল, তার মধ্যে ছিল মালদার মানিকচকের ওই নাবালিকা ধর্ষণের মামলাটিও। তদন্তে জানা যায়, ওই বছরের ৪ জুন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রফিকুল ইসলাম ওরফে ভেলু (মালদারই একটি সরকারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক) চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ফুঁসলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নির্যাতিতা নাবালিকার খুড়তুতো বোন স্বয়ং। নির্যাতিতা ও তার বছর দশেকের খুড়তুতো বোন ধর্ষণ সম্পর্কে আদালতে জবানবন্দি দেয়। তার পরেই শুরু হয় মামলা। যে মামলায় ভেলুকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় বুধবার। সাজা ঘোষণা করা হবে শুক্রবার। পকসো আইনের ৬ এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবি ধারার অধীনে বারো বছরের (Malda) কম বয়সী নাবালিকাকে ধর্ষণে ভেলুকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত (Post Poll Violence)।

  • Article 370: ৩৭০ ধারা বাতিলের পদক্ষেপকে সমর্থন দেশের প্রধান বিচারপতি গাভাইয়ের

    Article 370: ৩৭০ ধারা বাতিলের পদক্ষেপকে সমর্থন দেশের প্রধান বিচারপতি গাভাইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিলোপ করা হয় ৩৭০ ধারা (Article 370)। তা নিয়ে দেশজুড়ে কম বিতর্ক হয়নি। মোদি সরকারকে তীব্র নিশানা করেন ‘তুষ্টিকরণের রাজনীতি’র কারবারিরা। তবে কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা বাতিল করার পদক্ষেপকে সমর্থন করেন দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) বিআই গাভাই। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সংঘবদ্ধ ভারতের জন্য একটি সংবিধানের ভাবনা ছিল বাবাসাহেব বিআর আম্বেডকরের। কিন্তু ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ তাঁর সেই ভাবনার পরিপন্থী।”

    বাবাসাহেবের কথা মনে পড়েছিল (Article 370)

    নাগপুরে কনস্টিটিউশনার প্রেম্বল পার্কের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। সেখানেই তিনি বুঝিয়ে দেন, ৩৭০ ধারা বাবাসাহেবের মতাদর্শের পরিপন্থী। এদিন বক্তৃতা দিতে গিয়ে গাভাই মনে করিয়ে দেন, “সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে উঠেছিল ৩৭০ ধারা বাতিলের মামলা। সেখানে পাঁচ বিচারপতিই কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন।” এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, “৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। মামলা হয়। এ নিয়ে যথন শুনানি চলছিল, তখন আমার বাবাসাহেবের কথা মনে পড়েছিল।” তিনি বলেন, “দেশকে যদি সংঘবদ্ধ রাখতে হয়, তাহলে আমাদের একটা মাত্র সংবিধান চাই।” দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি বলেন, “গোটা দেশের জন্য একটাই সংবিধান প্রয়োজন। দেশ পরিচালিত হবে একটি মাত্র সংবিধানের ভিত্তিতে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমরা যদি দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে চাই, তবে আমাদের একটাই সংবিধান প্রয়োজন (Article 370)।”

    সংঘবদ্ধ ভারতের জন্য একটিই সংবিধান

    তিনি বলেন, “সংঘবদ্ধ ভারতের জন্য একটিই সংবিধানের ভাবনা ছিল বিআর আম্বেডকরের। কিন্তু ৩৭০ নম্বর ধারা তাঁর সেই ভাবনার পরিপন্থী।” তিনি (CJI) বলেন, “সংসদ নয়, আমার কাছে সংবিধানই সর্বোচ্চ।” গাভাই বলেন, “সংসদ সংবিধানের মূল কাঠামো সংশোধন করতে পারে, কিন্তু তাকে বদলাতে পারে না।” তিনি বলেন, “বাবাসাহেব আম্বেডকর একাধিকবার সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন এই জন্য যে, ভারতীয় সংবিধানে অতিরিক্তভাবে ফেডারেলিজম রাখা হয়েছে, যা যুদ্ধ বা সংকটের সময় দেশের ঐক্যের পক্ষে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু (CJI) আম্বেডকর স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, ভারতীয় সংবিধান সম্পূর্ণ কেন্দ্রভিত্তিক নয়, আবার পুরোপুরি ফেডারেলও নয়। এটি তার অ্যাডাপটাবিলিটির দিক থেকে একক এবং অনন্য (Article 370)।”

  • S Jaishankar: ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়প্রতজ্ঞ’, আমেরিকায় মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়প্রতজ্ঞ’, আমেরিকায় মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোয়াড সম্মেলনে যোগ দিতে আমেরিকা গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বুধবার (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটন ডিসিতে এফবিআই পরিচালক কাশ (কাশ্যপ) প্যাটেলের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। ওই বৈঠকে সংঘবদ্ধ অপরাধ, মাদক পাচার এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। পরে এ নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।

    কী লিখলেন জয়শঙ্কর?

    লেখেন, “আজ এফবিআই ডিরেক্টর কাশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভালো লাগল। সংঘবদ্ধ অপরাধ, মাদক পাচার এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ় সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞ।” এর আগে একটি বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গাবার্ড বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। তার পরেই এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছিলেন, “আজ দুপুরে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গাবার্ডের সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দিত হলাম। বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও আমাদের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে।”

    ক্রিস রাইটের সঙ্গেও বৈঠক

    মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটন ডিসিতে জয়শঙ্কর সাক্ষাৎ করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রী ক্রিস রাইটের সঙ্গে। ভারতের জ্বালানি খাতে যে ট্রান্সফর্মেশন চলছে, তা নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। দুই নেতা ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও গভীর জ্বালানি অংশীদারত্বের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন (S Jaishankar)। এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর লিখেছেন, “আজ সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন জ্বালানি সচিব ক্রিস রাইটের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ভারতে বর্তমানে যে জ্বালানি ট্রান্সফর্মেশন চলছে, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও গভীর অংশীদারিত্বের সুযোগ নিয়ে কথা হয়েছে।”

    জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথেরও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আজ ওয়াশিংটন ডিসিতে ডিফেন্স সেক্রেটারি পিট হেগসেথের সঙ্গে দেখা করে ভালো লাগল। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা অংশীদারত্বকে আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে, যা পারস্পরিক স্বার্থ, সক্ষমতা ও দায়িত্বের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠছে (S Jaishankar)।”

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের পাল্টা জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের পাল্টা জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশ করে তৃণমূল। যুব কংগ্রেসের ব্যানারে রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান করতে গিয়ে (Suvendu Adhikari) বাম আমলে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল কয়েকজন যুব কংগ্রেস কর্মীর। তাঁদেরই ‘শহিদ’ (যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দেন, তাঁদের শহিদ বলে। এটা তো ছিল পার্টির প্রোগ্রাম!) আখ্যা দিয়ে ফি বছর ঘটা করে ২১ জুলাই পালন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল গঠন করলেও, নিয়ম করে শহিদ দিবস পালন করে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

    উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক (Suvendu Adhikari)

    এবারও পালিত হবে ২১ জুলাই। তৃণমূল যেদিন ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করবে, সেদিনই উত্তরকন্যা অভিযানের (Uttarkanya Abhiyan) ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কসবা গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার যুব মোর্চার এক কর্মসূচিতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানালেন, ২১ জুলাই উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সদর দফতর উত্তরকন্যার উদ্দেশে অভিযান করবে বিজেপি যুব মোর্চা। পাশাপাশি ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাকও দিলেন তিনি।

    হবে নবান্ন অভিযানও

    গত বছর ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল সেই ডাক্তারি পড়ুয়ার, যিনি ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই দিনটির স্মরণেই এবার হবে নবান্ন অভিযান।  শুভেন্দু বলেন, “অভয়ার চোখ দিয়ে সেদিন জল নয়, রক্ত বেরিয়েছে। হাঁসখালি থেকে বগটুই – এই সরকার ও তার বাহিনী ধর্ষকদের রক্ষাকারী। তাই এদের ক্ষমতা থেকে সরাতেই হবে।” এদিন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির মধ্যেই ভাষণ দিচ্ছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বৃষ্টি তো দূরের কথা, এই সরকারকে সরাতে গুলি খেতেও রাজি আছি। আমাদের লড়াই চলবে। ২১ জুলাই ওরা কলকাতায় ডিম-ভাত খাবে, আর আমরা উত্তরকন্যায় যাব। কর্মীদের বলছি, নিজের খরচে যাবেন, ভালো করে লড়তে হবে (Uttarkanya Abhiyan)।”

    নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কাছে

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) জানান, নবান্ন অভিযানের আগে তাঁরা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কাছে যাবেন অনুমতি নিতে। নবান্ন অভিযানে তাঁরা যাতে যোগ দেন, সেই অনুরোধও করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা সেদিন পতাকা ছাড়াই আন্দোলনে যাব। অভয়ার স্মৃতিতেই হবে এই প্রতিবাদ। ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানে মমতার সরকারের পতন ঘটানোর ডাকও দেওয়া হবে।” বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “আগামিকালই (বৃহস্পতিবার) নতুন সভাপতিকে স্বাগত জানাব। নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে আসবে নতুন লড়াইয়ের কর্মসূচি।” তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, এটা শেষ নয়, এটা ওদের শেষের শুরু।”

    গণধর্ষণের প্রতিবাদে মিছিল

    কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে প্রথম বর্ষের (Suvendu Adhikari) ছাত্রীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে বুধবার মিছিল ও জনসভা করেন শুভেন্দু। রাসবিহারী মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মিছিল এগিয়ে গিয়েছে কসবার দিকে। মিছিলে বিজেপির মহিলা কর্মী-সমর্থকদের দেখা যায় ঝাঁটা হাতে নিয়ে হাঁটতে। ছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী-সমর্থকরাও। ‘কন্যা বাঁচাও’ স্লোগান তুলে সেই মিছিল গিয়ে শেষ হয় (Uttarkanya Abhiyan) সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের কাছে। সেখানেই হয় সমাবেশ। সেই সমাবেশেই রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে শানিত আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “বাঙালি হিসেবে অন্য রাজ্যে গিয়ে পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ হয়। এ রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অনেক অপরাধ হয়। তবে কোনও প্রতিকার হয় না।” সমাবেশ থেকে অনেক স্লোগান দেন শুভেন্দু। তার মধ্যে রয়েছে, ‘ঝাড়ু মেরে করো সাফ, মমতার সরকার’। ‘এক হাজার ঝাড়ু, এক হাজার মা মিছিল করেছেন।’ ‘কন্যা বাঁচাও, মমতা হটাও।’ ‘ধর্ষকদের ফাঁসি চাই, মমতার পতন দেখতে চাই।’ ‘বিজেপি কর্মীরা গুলি খেতেও তৈরি।’

    জোড়া কর্মসূচির কথা ঘোষণা

    এই সমাবেশেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ঘোষণা করেন জোড়া কর্মসূচির কথা। ২১ জুলাই উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, “ওই দিন চোরেরা কলকাতায় ডিম-ভাত খেতে আসে। আর আমরা উত্তরকন্যা নড়িয়ে দেব (Uttarkanya Abhiyan)।” এর পরেই তিনি জানান, ৫ অগাস্ট তিনি যাবেন অভয়ার বাবা ও মায়ের কাছে, অনুমতি নিতে। শুভেন্দু বলেন, “৫ তারিখে পানিহাটিতে উল্টো রথে যাব। ওই দিন আমি অনুমতি নিতে অভয়ার বাবা-মায়ের কাছে যাব। তাঁদের বলব, পতাকা ছাড়া ৯ অগাস্ট অভয়ার ধর্ষণ-খুনের বর্ষপূর্তিতে নবান্ন অভিযান করতে হবে।”

    মাস আটেক পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Suvendu Adhikari)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার আগে ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশের নামে তৃণমূল ফের একবার নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করিয়ে নিতে চাইছে। বিজেপিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে দেখিয়ে দিতে চাইছে (Uttarkanya Abhiyan), তাদের শক্তি কতটা।

  • Mali: কারখানা থেকে তিন ভারতীয়কে অপহরণ করে নিয়ে গেল জঙ্গিরা, মালির ঘটনায় উদ্বেগে ভারত

    Mali: কারখানা থেকে তিন ভারতীয়কে অপহরণ করে নিয়ে গেল জঙ্গিরা, মালির ঘটনায় উদ্বেগে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে (Mali) তিন ভারতীয় নাগরিকের অপহরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। বর্তমানে এই দেশটির একাধিক অঞ্চলে জঙ্গি হামলার ঘটনা বেড়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক ঘটনাটিকে ‘নিন্দনীয় হিংসা’ অভিহিত করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। অপহৃতদের উদ্ধার ও নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে মালির সরকারকে (Al Qaeda)।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য (Mali)

    বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, মালির কায়েসে অবস্থিত ডায়মন্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে কর্মরত তিন  ভারতীয় শ্রমিককে ১ জুলাই অপহরণ করা হয়। ওইদিন একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী ওই ফ্যাক্টরিতে হামলা চালিয়ে অপহরণ করে তিন ভারতীয় নাগরিককে। খবর পাওয়ার পরেই অপহরণকারীদের উদ্ধার করতে তৎপর হয় নয়াদিল্লি। ভারত মালির সরকারকে আহ্বান জানায় যাতে অপহৃত ভারতীয় নাগরিকদের “নিরাপদ ও দ্রুত” মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

    গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে “মালি প্রজাতন্ত্রের কায়েস শহরের ডায়মন্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে কর্মরত তিন ভারতীয় নাগরিককে অপহরণের ঘটনায় বিদেশ মন্ত্রক গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ঘটনাটি ঘটে ২০২৫ সালের ১ জুলাই, যখন একদল সশস্ত্র হামলাকারী কারখানাটিতে হামলা চালায় এবং জোর করে ওই তিন ভারতীয় নাগরিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় (Mali)।”

    যদিও বুধবার রাত পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই অপহরণের দায় স্বীকার করেনি। তবে আল-কায়েদার সঙ্গে যোগ রয়েছে জামাআত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন (JNIM) নামে এক সংগঠনের।  মঙ্গলবার এরাই মালির বিভিন্ন জায়গায় সংঘটিত হামলার দায় স্বীকার করেছে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, মালির রাজধানী বামাকোয় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং ডায়মন্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। অপহৃত ভারতীয় নাগরিকদের পরিবারের সঙ্গেও দূতাবাসের তরফে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত সরকার এই নিন্দনীয় সহিংস ঘটনার কঠোর নিন্দা করছে (Al Qaeda) এবং মালি সরকার যাতে দ্রুত ও নিরাপদে অপহৃত ভারতীয়দের মুক্তির জন্য সবরকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়, সেই আহ্বানও জানাচ্ছে (Mali)।”

  • India China Relation: “ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ জটিল”, কবুল চিনের, তবে ‘আলোচনায় প্রস্তুত’, জানাল বেজিং

    India China Relation: “ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ জটিল”, কবুল চিনের, তবে ‘আলোচনায় প্রস্তুত’, জানাল বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি। তাই কি বদলাচ্ছে চিনও (India China Relation)! কারণ সোমবার বেজিংয়ের তরফে একটি মন্তব্য, যাতে তারা স্বীকার করে নিয়েছে ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ (Border Dispute) জটিল। তবে এই সমস্যার সমাধান জটিল হলেও, ভারত-চিন সীমান্ত নির্ধারণ নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত তারা। এর পাশাপাশি তারা যে সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতেও আগ্রহী, তাও জানিয়ে দিয়েছে ড্রাগন।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠক (India China Relation)

    ২৬ জুন কুইংদাওয়ে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-র প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠক হয় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দং জুনের। সেই বৈঠকে রাজনাথ সীমান্তে বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন এবং গ্রাউন্ডে অ্যাকশনের মাধ্যমে আস্থা ফেরানোর বার্তা দেন। এই বৈঠকের প্রেক্ষিতেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “সীমান্ত সংক্রান্ত প্রশ্নটি অত্যন্ত জটিল। এটা এক দিনে মিটবে না। তবে ইতিমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে একাধিক স্তরে যোগাযোগের জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে, যা একটি ইতিবাচক দিক।”

    কী বললেন মাও নিং

    মাও নিং জানান, দুই দেশের মধ্যে বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের আলোচনার একটি ফোরাম রয়েছে এবং সেখানে রাজনৈতিক মানদণ্ড ও দিশা নির্দেশক নীতি নিয়ে একমত হওয়া গিয়েছে। তিনি বলেন, “চিন আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত নির্ধারণ এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল সীমান্ত রক্ষায় যৌথভাবে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত।” চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “আমরা আশা করি ভারতও চিনের সঙ্গে একই পথে চলবে এবং যোগাযোগ অব্যাহত রেখে সীমান্তে শান্তি রক্ষায় কাজ করবে।”

    ২৩টি বৈঠক

    ভারত ও চিন (India China Relation) দুই দেশের মধ্যে বিশেষ প্রতিনিধিদের মধ্যে সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ২৩টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাহলে সীমান্ত বিরোধ সমাধানে এত সময় লাগছে কেন (Border Dispute)? এই প্রশ্নের উত্তরেই মাও নিং বলেন, “সীমান্ত প্রশ্নটি জটিল এবং এটি সমাধান করতে সময় লাগবে।” ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ সমাধানের জন্য কোনও সময়সীমা নির্ধারণ করা যেতে পারে কিনা, জানতে চাইলে মাও নিং বলেন, “আমরা আশা করি, ভারত-চিনের সঙ্গে একই বিষয়ে কাজ করবে। জটিল বিষয়গুলিতে কথা বলা চালিয়ে যাবে যাতে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায়।”

    ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ

    গত সেপ্টেম্বরে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের মধ্যে ২৩তম বিশেষ প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বৈঠকে দুই দেশই ২০২৪ সালের বিচ্ছিন্নতা চুক্তি নিশ্চিত করেছিল, যাতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় টহল এবং পশুচারণ ফের শুরু করার অনুমতি মেলে। মাও নিং বলেন (India China Relation), “চিন সীমা নির্ধারণ আলোচনা এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা-সহ বিভিন্ন বিষয় (Border Dispute) নিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে প্রস্তুত। সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা এক সঙ্গে রক্ষা করতে এবং সীমান্ত পারাপার বিনিময় সহযোগিতা এগিয়ে নিতেও আগ্রহী চিন।”

    আকসাই চিন দখল

    এশিয়া মহাদেশের দুই বৃহত্তম দেশ হল ভারত ও চিন। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত রয়েছে ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার। এই সীমান্ত নিয়েই দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলছে বিরোধ। এই সীমান্ত বিরোধ কেবল উভয় দেশকেই প্রভাবিত করে না, সমগ্র এশিয়া মহাদেশের শান্তি এবং নিরাপত্তাকেও প্রভাবিত করে। অনেক আগেই পশ্চিম লাদাখের আকসাই চিন দখল করেছে চিন। লাদাখের এই অংশটি ভারতের। যদিও চিন মনে করে এটি জিনজিয়াং প্রদেশের একটি অংশ। চিন পূর্বাঞ্চলীয় অরুণাচলপ্রদেশকে তাদের অংশ বলে দাবি করে। তাদের মতে, এটি তিব্বতেরই অংশ (India China Relation)।

    ভারত-চিন বিরোধ

    ২০১৭ সালে ডোকলামে চিন ও ভারতের মধ্যে বিরোধ বাঁধে। চিন ভারত-ভুটান-চিন ট্রাই-জংশনে রাস্তা তৈরির চেষ্টা করলে বাধা দেয় ভারত। এর পর ৭৩ দিন ধরে চোখে চোখ রেখে ঠায় দাঁড়িয়েছিল দুই দেশের সেনা (Border Dispute)। এর ঠিক তিন বছর পরে ২০২০ সালের ১৫-১৬ জুন গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিন ও ভারতীয় জওয়ানরা মুখোমুখি হন। সেবার দু’দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছিল। এই সংঘর্ষে একজন কমান্ডার-সহ শহিদ হন ২০জন ভারতীয় সেনা। ২০২২ সালে তাওয়াংয়ে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারত ও চিনে সেনাবাহিনী। উত্তরপ্রদেশের তাওয়াংয়ে ওই সংঘর্ষ হয়। তার পর থেকে দু’দেশেই রয়ে গিয়েছে সীমান্তে (Border Dispute) উত্তেজনা। যে উত্তেজনা প্রশমনে বরাবর সক্রিয় হয়েছে ভারত (India China Relation)।

  • Welfare Revolution: সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল নরেন্দ্র মোদির ভারত

    Welfare Revolution: সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল নরেন্দ্র মোদির ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল নরেন্দ্র মোদির ভারত। এক দশকেরও কম সময়ে এই কভারেজ বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস ন্যাশনাল ইন্ডিকেটর ফ্রেমওয়ার্কের অগ্রগতি (Social Security Coverage) রিপোর্ট ২০২৫-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। এই তথ্য উপস্থাপিত করেছে পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রক (Welfare Revolution)।

    সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা (Welfare Revolution)

    প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতা ২০১৬ সালে যেখানে ছিল মাত্র ২২ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪.৩ শতাংশে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কোনও বড় গণতান্ত্রিক দেশের অন্যতম বৃহত্তম কল্যাণমূলক সাফল্য। এই বিপুল বৃদ্ধি ভারত সরকারের একটি সুস্পষ্ট নীতিগত পরিবর্তন নির্দেশ করে, যেখানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরাপত্তা-নির্ভর উন্নয়ন মডেল গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। এর লক্ষ্য হল সমাজের দুর্বল শ্রেণিগুলির ক্ষমতায়ন এবং বৈষম্য হ্রাস করা, যা সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস ১ (SDG 1) অর্থাৎ, “সর্বত্র ও সকল মাত্রায় দারিদ্র্য দূরীকরণ”-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

    গুরুত্বপূর্ণ জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি

    ভারত গত এক দশকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি শুরু করেছে, যা সামাজিক নিরাপত্তা কভারেজের দ্রুত সম্প্রসারণে সহায়ক হয়েছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল নগদ হস্তান্তর, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পেনশন কভারেজ, খাদ্য নিরাপত্তা এবং বিমা প্রকল্পসমূহকে একটি বিস্তৃত নিরাপত্তা নেটওয়ার্কের আওতায় এনে নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি (PM-KISAN) প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রতি বছর ৬,০০০ টাকা সরাসরি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে চালু হওয়া আয়ুষ্মান ভারত (Social Security Coverage) প্রধানমন্ত্রীর জন আরোগ্য যোজনা (AB-PMJAY) প্রকল্পে প্রতি পরিবারকে বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য কভার দেওয়া হয় (Welfare Revolution)। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন, যা ২০১৩ সালে কার্যকর হয়েছিল, এবং সাম্প্রতিক কিছু প্রকল্প যেমন প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় (PMGKAY) বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করে খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করেছে।

    ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় বার্ধক্য পেনশন যোজনা (IGNOAPS) এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধন যোজনার মাধ্যমে ভারত অসংগঠিত খাতের শ্রমিক, বৃদ্ধ ও বিধবাদের জন্য পেনশন ব্যবস্থার পরিধি বাড়িয়েছে। ২০১৪ সালে চালু হওয়া প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা (PMJDY) ৫০ কোটিরও বেশি অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা (Social Security Coverage) বিমা যোজনার মতো স্বল্প খরচের জীবন ও দুর্ঘটনা বিমা প্রকল্পগুলি লাখ লাখ দরিদ্র মানুষের কাছে বিমা সুরক্ষা পৌঁছে দিয়েছে (Welfare Revolution)।

LinkedIn
Share