Author: pranabjyoti

  • Waqf Bill: “ওয়াকফ সংশোধনী বিল মুসলমানদের উন্নয়নে সাহায্য করবে”, বললেন জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন

    Waqf Bill: “ওয়াকফ সংশোধনী বিল মুসলমানদের উন্নয়নে সাহায্য করবে”, বললেন জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Bill) ২০২৫ মুসলমান সম্প্রদায়ের উন্নয়নে সাহায্য করবে (Darakhshan Andrabi)।” বুধবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন দারাখশান আন্দরাবি। তিনি বলেন, “সংসদে পেশ করা বিলটি মুসলমানদের বিরুদ্ধে বলে মনে হয় না। যদি ওয়াকফের এত জমি থাকে, তাহলে এত মুসলমান গরিব কেন? যদি বোর্ডটি সঠিকভাবে পরিচালিত হয় এবং দায়বদ্ধ করা হয়, তাহলে আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়ন সম্ভব হবে।”

    জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সনের বক্তব্য (Waqf Bill)

    তিনি বলেন, “বিলটি মুসলমানদের কল্যাণের জন্যই পেশ করা হয়েছে বলে মনে হয়। বিলটিতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে এমন কিছুই নেই।” এদিন সকালে লোকসভায় বিলটি পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু প্রশ্ন তোলেন, “কেন ওয়াকফের সম্পত্তি দেশ ও মুসলমানদের উন্নয়নে ব্যবহার করা হয়নি।” তিনি জানান, ভারতের কাছে বিশ্বের সব চেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। তিনি বলেন, “যখন আমাদের দেশের কাছে বিশ্বের সব চেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে, তখন সেগুলি দরিদ্র মুসলমানদের শিক্ষা, চিকিৎসা, দক্ষতা উন্নয়ন ও আয় বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়নি কেন (Darakhshan Andrabi)? এ ব্যাপারে এতদিনে কেন কোনও অগ্রগতি হয়নি?” তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের মুসলমানদের উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে বাধা দিচ্ছেন। মন্ত্রী জানান, দেশে ওয়াকফ সম্পত্তির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। তাদের আয়ও বেড়েছে।

    ওয়াকফ সংশোধনী বিলের লক্ষ্য

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী বিলের লক্ষ্য হল, ভারতের ওয়াকফ সম্পত্তির প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা উন্নত করা। এটি পূর্ববর্তী আইনের ত্রুটিগুলো দূর করে ওয়াকফ বোর্ডের দক্ষতা বাড়ানো, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া উন্নত করা এবং ওয়াকফ রেকর্ড ম্যানেজমেন্টে প্রযুক্তির ভূমিকা বাড়ানোর চেষ্টা করে।

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশের আগে গঠন করা হয়েছিল যৌথ সংসদীয় কমিটি। সেই কমিটি দেশের বিভিন্ন (Waqf Bill) নাগরিক কমিটি ও সংগঠনগুলির কাছ থেকে ৯৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৭২টি মেমোরান্ডাম পেয়েছে। দারুল উলুম দেওবন্দ, জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ এবং জামায়াতের বিভিন্ন শাখার মতো বিশিষ্ট মুসলিম সংগঠনগুলির পরামর্শ নেওয়া হয়। সেখানে ওয়াকফ সম্পদ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পর্কিত আইনি, প্রশাসনিক এবং সাম্প্রদায়িক (Darakhshan Andrabi) উদ্বেগগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল (Waqf Bill)।

  • Waqf Amendment Bill 2025: “স্রেফ ভোটব্যাংকের স্বার্থে ওয়াকফ বিল নিয়ে ভীতি ছড়ানো হচ্ছে,” লোকসভায় তোপ শাহের

    Waqf Amendment Bill 2025: “স্রেফ ভোটব্যাংকের স্বার্থে ওয়াকফ বিল নিয়ে ভীতি ছড়ানো হচ্ছে,” লোকসভায় তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওয়াকফ বিল মুসলিমদের ধর্মীয় বিষয় ও তাদের দান করা সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করবে – এই ধরনের ভীতি ছড়ানো হচ্ছে শুধুমাত্র ভোটব্যাংকের স্বার্থে।” বুধবার ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ (Waqf Amendment Bill 2025) নিয়ে আলোচনার সময় কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন লোকসভায় বিল পেশের সময় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুও বলেছিলেন, এই বিলের উদ্দেশ্য হল ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনা চালু করা, জটিলতাগুলি সমাধান করা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

    কী বললেন শাহ? (Waqf Amendment Bill 2025)

    শাহ বলেন, “একজন মুসলমান তো চ্যারিটি কমিশনার হতেই পারেন। তাঁকে ট্রাস্ট দেখতে হবে না, আইন অনুযায়ী ট্রাস্ট কীভাবে চলবে, সেটা দেখতে হবে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটা ধর্মের কাজ নয়। এটা প্রশাসনিক কাজ। সব ট্রাস্টের জন্য কি আলাদা আলাদা কমিশনার থাকবে?” বিরোধীদের আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা তো দেশ ভাগ করে দিচ্ছেন। আমি মুসলমান ভাই-বোনেদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আপনাদের ওয়াকফ বোর্ডে কোনও অমুসলিম থাকবে না। এই আইনে এমন কিছুই নেই।”

    ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা!

    এদিন বক্তৃতায় অংশ নিয়ে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকেও নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ওয়াকফ ৬০২ বর্গ কিলোমিটার জমি দখল করতে চেয়েছিল। সেজন্য হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “পাঁচতারকা হোটেলের জন্য জমি মাসে ১২ হাজার টাকায় ওয়াকফকে দেওয়া হয়েছিল। তারা (কংগ্রেস) মনে করে যে এভাবে তারা ভোট বৈতরণী পার হবে।”

    তিনি বলেন, “ভারতে অনেক গির্জা ওয়াকফ বিলকে সমর্থন করছে। চার বছরের মধ্যে মুসলমানরা বুঝতে পারবেন যে এই বিল তাঁদের উপকারে আসবে। বিভিন্ন ধর্মের অন্তর্গত বেশ কিছু সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রয়াগরাজের চন্দ্রশেখর আজাদ পার্কও রয়েছে। সরকার মুসলমানদের চ্যারিটি ও দানের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করবে না।” শাহ বলেন, “ওয়াকফ ইসলামের নীতিগুলি (Waqf Amendment Bill 2025) থেকে এসেছে। আমি সব মুসলমানকে বলতে চাই, অমুসলিমরা আপনাদের (Amit Shah) ওয়াকফে প্রবেশ করবে না।

    ওয়াকফ পরিষদ সম্পত্তির কার্যকারিতা তদারকি করে। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও অবৈধভাবে জমি দখল করে, তারা তাদের ধরবে (Waqf Amendment Bill 2025)।”

  • National Flag: জনগণের দাবি ছিল অশোক চক্রযুক্ত গেরুয়া, জাতীয় পতাকার রং বদলে গিয়েছিল ‘মহাত্মা’র ভেটোয়!

    National Flag: জনগণের দাবি ছিল অশোক চক্রযুক্ত গেরুয়া, জাতীয় পতাকার রং বদলে গিয়েছিল ‘মহাত্মা’র ভেটোয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের জাতীয় পতাকার (National Flag) রং হওয়ার কথা ছিল গেরুয়া। জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসও এটি মেনে নিয়েছিল। কিন্তু একজনের তীব্র বিরোধিতায় বদলে যায় ভারতের জাতীয় পতাকার রং (Mohandas Karamchand Gandhi)। যাঁর জন্য জাতীয় পতাকার রং গেরুয়া না হয়ে তেরঙা হল, তিনি হলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। এহেন বিস্ময়কর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘হেডগেওয়ার: এ ডেফিনিটিভ বায়োগ্রাফি’ গ্রন্থে। লেখক সচিন নন্দা।

    কী লিখেছেন নন্দা? (Mohandas Karamchand Gandhi)

    বইটির ১২তম অধ্যায়ে (পৃষ্ঠা ২৩১), নান্ধা লিখেছেন, “ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস একটি ৭-সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল। এদের কাজই ছিল জাতীয় পতাকার রং কেমন হবে, তা নিয়ে জনগণের মতামত নেওয়া। ১৯৩১ সালে কমিটি জানায়, জনগণ চায় অশোক চক্রযুক্ত একটি কেসরি (গেরুয়া) রঙের জাতীয় পতাকা। ‘রিপোর্ট অফ দ্য ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ কমিটি’র একটি অংশ তুলে দেওয়া হয়েছে ‘হেডগেওয়ার: এ ডেফিনিটিভ বায়োগ্রাফি’ গ্রন্থে। সেখানে লেখা হয়েছে, “এই মত একমতভাবে গৃহীত হয়েছে যে আমাদের জাতীয় পতাকার ডিভাইসের রং ছাড়া বাকি অংশ এক রংয়ের হওয়া উচিত। যদি এমন একটি রং থাকে যা সমগ্র ভারতীয়ের কাছে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য, আবার অন্যান্য রংয়ের তুলনায় বেশি স্বতন্ত্র, যে রং দীর্ঘ ঐতিহ্য দ্বারা এই প্রাচীন দেশের সঙ্গে যুক্ত – তা হল কেসরী (গেরুয়া) বা জাফরান রং। সেই মতো এই ধারণা হয়েছে যে ডিভাইসের রং ছাড়া পতাকার রং কেসরী হওয়া উচিত। আর ডিভাইস হিসেবে চরকা ব্যবহার করা হবে এ নিয়েও সর্বসম্মতভাবে একমত হওয়া গিয়েছে।”

    বাগড়া দিয়েছিলেন গান্ধী!

    কমিটির এই রিপোর্ট মেনে নিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং আবুল কালাম আজাদের মতো ব্যক্তিত্বরা। তাঁরা এতে স্বাক্ষরও করেছিলেন। আরএসএস গেরুয়া রংকেই ‘রাষ্ট্র ধ্বজ’ হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে দেয় (National Flag)। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তটি মহাত্মা গান্ধীর (Mohandas Karamchand Gandhi) কারণে বাতিল হয়ে যায়। তাঁর সাফ কথা, জাতীয় পতাকার রং শুধু ‘তিরঙ্গা’ হওয়াই উচিত। গান্ধীর এই ভেটোর কারণে জনগণমনের আবেগ ও সভ্যতার পরিচয় উপেক্ষিত হয়। মান্যতা পায় গান্ধীর ইচ্ছা। গেরুয়া নয়, জাতীয় পতাকার রং হয় তেরঙা। বস্তুত, গান্ধীর জন্যই গেরুয়া ধ্বজা আমাদের জাতীয় পতাকা হয়ে উঠতে পারেনি। নন্দা লিখেছেন, “ভারত আজও সেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বেঁচে আছে, এবং যদিও এটি (ভারত) এ নিয়ে বেঁচে থাকতে শিখেছে, আধুনিক ভারতের কোটি কোটি মানুষ কিন্তু মনে করেন যে তাঁদের দেশের জাতীয় পতাকাটির রং ভুল (Mohandas Karamchand Gandhi)।”

    নন্ধার সাফ কথা

    সম্প্রতি সাংবাদিক বরখা দত্তকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন নন্দা। সেখানে তিনি বলেছিলেন, “দু’বছর শেষে এই কমিটি কংগ্রেসকে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। তারা বলে, রিপোর্টে যা পাওয়া গিয়েছে, তা হল মানুষ এমন একটি পতাকা চান যা তাঁদের সাংস্কৃতিক সভ্যতার প্রতিনিধিত্ব করে, যেই নামেই ডাকুন না কেন, তা হতে হবে কেসরী রংয়ের যার কোণের কোনও এক জায়গায় একটি চক্র থাকবে। কমিটির এই রিপোর্টে নেহরু স্বাক্ষর করেছিলেন। আবুল কালাম আজাদ এবং কমিটির অন্যান্য ছ’জন সদস্যও এটি অনুমোদন করেছিলেন। এটি গান্ধীর কাছে গেল এবং গান্ধী এটিতে ভেটো দিলেন। তিনি কমিটিকে সরিয়ে দিয়ে বললেন, আমি এটা মানব না (National Flag)। এটা তেরঙা পতাকা হতে হবে।” জানা গিয়েছে, গান্ধী (Mohandas Karamchand Gandhi) ভারতের জাতীয় পতাকায় ইউনিয়ন জ্যাক রাখতে চেয়েছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, যদি চরকার জায়গায় অশোক চক্র বসানো হয়, তবে তিনি একে কুর্নিস করবেন না।

    জাতীয় পতাকার রং বদল

    প্রসঙ্গত, ১১৭ বছরে ভারতের জাতীয় পতাকা পরিবর্তিত হয়েছে মোট ৬ বার। প্রত্যেকবারই এই রাষ্ট্র ধ্বজা আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে বিভিন্ন রূপে। স্বাধীনতা সংগ্রামী ও জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া আজকের তেরঙা পতাকাটির নকশা প্রস্তুত করেছিলেন। ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই সংবিধান কমিটির সভায় এই পতাকাটি স্বাধীন ভারতের পতাকা হিসাবে গৃহীত হয়। তিনি খুব চিন্তাভাবনা করেই রংগুলি যুক্ত করেছিলেন। তেরঙার ওপরে রয়েছে গেরুয়া রং। এটি বীরত্ব ও ত্যাগের প্রতীক। মাঝে রয়েছে সাদা রং। এটি শান্তির প্রতীক। নীচের সবুজ রং সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক। আর মাঝখানে থাকা অশোক চক্রটি সারনাথের অশোক স্তম্ভ থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি কর্তব্যের প্রতীক। ১৯০৬ সালে প্রথম ভারতীয় জাতীয় পতাকা (National Flag) উত্তোলন করা হয়। যদিও তা বর্তমান পতাকার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল (Mohandas Karamchand Gandhi)।

  • Bangladesh Crisis: প্রতিশ্রুতি দিয়েও সাত মাসে কথা রাখেননি ইউনূস! ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশ

    Bangladesh Crisis: প্রতিশ্রুতি দিয়েও সাত মাসে কথা রাখেননি ইউনূস! ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দায়িত্ব নেওয়ার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে (Bangladesh Crisis) উপহার দেবেন দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন। তারপর কেটে গিয়েছে সাত মাস। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। উল্টে তাঁর ঘনিষ্ঠদের গায়ে লেগেছে দুর্নীতির পাঁক।

    ‘ইউরেশিয়া রিভিউ’য়ের নিবন্ধ (Bangladesh Crisis)

    ‘ইউরেশিয়া রিভিউ’তে আনজুমান-এ-ইসলাম প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী মহম্মদ ইউনূস দুর্নীতি নির্মূল করাকে তাঁর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর মিশন হল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার নির্মূল করে নতুন যুগের সূচনা করা এবং বাংলাদেশকে পুনর্গঠিত করা। নিবন্ধে বলা হয়েছে, বস্তুত, ইউনূসের প্রাথমিক ঘোষণা পূরণ হয়নি। উল্টে তাঁর সরকারের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

    অবাধে চলছে নিয়ম লঙ্ঘন

    ওই নিবন্ধে এও উল্লেখ করা হয়েছে, একটি বাংলাদেশি সংবাদপত্রের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে ইউনূসের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা সরকারি কাজের জন্য নির্ধারিত একাধিক গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। এটি নিয়ম বিরুদ্ধ। বাংলাদেশে একজন উপদেষ্টার জন্য শুধুমাত্র একটিই গাড়ি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। সেই নিয়ম আকছার লঙ্ঘন করেই উপদেষ্টারা ব্যবহার করছেন একাধিক গাড়ি। করদাতাদের অর্থে প্রাপ্ত সম্পদের এই অপব্যবহারে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের অন্দরে।

    ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা!

    সেখানে আরও বলা হয়েছে, একটি উদ্বেগজনক বিষয় হল ইউনূসের অফিস তাঁর উপদেষ্টাদের এসব নিয়ম-বিরুদ্ধ কার্যকলাপ ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। বিষয়টি চাপাও পড়ে গিয়েছিল। মিথ্যার বেসাতির পর্দা ফাঁস করে ওই সংবাদপত্রটি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ শাখার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইফতেখারুজ্জামান এটিকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনার স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন (Bangladesh Crisis)। ইউনূস নানাভাবে চেয়েছেন বাংলাদেশের জনমানসে একটি ধারণার বীজ রোপণ করতে। সেটি হল, আওয়ামি লিগই দেশের একমাত্র দুর্নীতির উৎস। ইউনূসের এই অভিযোগ ধোপে টেকেনি। উল্টে নোবেল জয়ীর পার্ষদদের কাণ্ডকারখানা এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারে যারপরনাই ক্ষুব্ধ বাংলাদেশবাসী (Muhammad Yunus)।

    আখের গুছোনোর কাজ শুরু!

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পদে বসে ইউনূস আখের গুছোতে শুরু করেছেন বলেও অভিযোগ। তিনি নিয়ম বিরুদ্ধভাবে তাঁর ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে যুক্ত বড় ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলিকে দ্রুত অনুমোদন দিয়ে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ। দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র দু’মাসের মধ্যেই ইউনূসের মাইক্রোক্রেডিট সংস্থা গ্রামীণ ব্যাংককে পাঁচ বছরের জন্য ট্যাক্স-ফ্রি করে দেওয়া হয়। আনজুমানের নিবন্ধে বলা হয়েছে, ইউনূস ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত লোকজনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলিও অনৈতিকভাবে লাভ করেছে সরকারি বদান্যতা। এরকমই একটি অনুমোদনে হাইকোর্টের আগের রায়ের পরোয়া না করে ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণ সংস্থার ৬৬৬ কোটি টাকা কর মকুব করে দেওয়া হয়। এছাড়াও, গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় নামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, এই বিশ্ববিদ্যালয় ইউনূস ঘনিষ্ঠদের স্বার্থে কাজ করছে (Bangladesh Crisis)।

    এদিকে, শ্রমিক অধিকার কর্মী, দুর্নীতিবিরোধী প্রচারক এবং আইনজীবীরা ইউনূসের নেতৃত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলি দ্রুত খারিজ হয়ে যাওয়া নিয়ে ইউনূসের নীরবতা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ৫ আগস্টের (এদিনই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা) আগে দায়ের হওয়া এসব মামলা কোনও ব্যাখ্যা ছাড়াই দ্রুত খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। যার জেরে ইউনূস প্রশাসনের সততা সম্পর্কে আরও জোরালো সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

    দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়েছে আগেও

    প্রসঙ্গত, এর আগে ইউনূস প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির (Muhammad Yunus) পর্দা ফাঁস করেছিল দি এশিয়াপোস্ট নিউজ। এই সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, “এই প্রকাশনাগুলি (দুর্নীতি সংক্রান্ত খবর) আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয় যে যেসব ব্যক্তি এক সময় ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানোর দাবি করেছিলেন, তাঁরা এখন হয়তো নির্বিচারে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন, এবং এই সবই ঘটছে যখন বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়গুলির একটির মুখোমুখি। এই প্রমাণগুলি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি কেলেঙ্কারিগুলির একটি প্রকাশ করতে পারে।” প্রতিবেদনটিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, “জাতি যখন বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে, তখন প্রশ্নটি থেকে যায়: ন্যায়বিচার কি প্রতিষ্ঠিত হবে, নাকি যাঁরা ক্ষমতায় আছেন তাঁরা তাঁদের সেই মানুষদের শোষণ করতে থাকবেন যাঁদের রক্ষা করার জন্য তাঁরা একসময় শপথ নিয়েছিলেন (Bangladesh Crisis)?”

    এশিয়াপোস্ট নিউজের তদন্তে (Muhammad Yunus) জানা গিয়েছিল, ‘ছাত্র কর্মী’ সারজিস আলমের কাছে ৭৭.৬ লক্ষ মার্কিন ডলারের একটি বিশাল সম্পদ জমা হয়েছে। এটি এমন একটি সময়ে হয়েছে, যখন জানা যায়নি তাঁর আয়ের কোনও উৎস। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও পদেও নেই তিনি। এই আলমই বারবার ভারতকে হুমকি দিয়েছেন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর ভারত-বিরোধী বক্তব্যের কারণে, এই ইসলামপন্থীকে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান সংগঠক করা হয়েছিল। তিনি বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর ২০২৪) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গোপন হুমকিও দিয়েছিলেন (Bangladesh Crisis)।

  • Lashkar E Taiba: পাকিস্তানে ফের অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর গুলিতে নিহত হাফিজ-ঘনিষ্ঠ আরও এক লস্কর নেতা

    Lashkar E Taiba: পাকিস্তানে ফের অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর গুলিতে নিহত হাফিজ-ঘনিষ্ঠ আরও এক লস্কর নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুশির ইদের দিনেও রক্তাক্ত হল পাকিস্তান (Pakistan)। গুলি করে খুন করা হল লস্কর ই তৈবা (Lashkar E Taiba) প্রধান তথা ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদ ঘনিষ্ঠ জঙ্গিনেতাকে। মৃতের নাম আবদুল রহমান। এদিন ইদের আনন্দে মেতেছিলেন পাকিস্তানের নাগরিকরা। সেই সময় আচমকাই খুব কাছ থেকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করে তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আবদুলের।

    লস্করের হয়ে ফান্ড জোগাড় (Lashkar E Taiba)

    জানা গিয়েছে, লস্করের আর্থিক লেনদেন-সহ একাধিক কাজ করতেন নিহত আবদুল। লস্করের হয়ে ফান্ড জোগাড় করাটাও ছিল তাঁর অন্যতম কাজ। তাই পাকভূমে তাঁর খুন হওয়াটা বিস্মিত করেছে পাক প্রশাসনকেও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাকিস্তানের পুলিশ। ঘটনার নেপথ্যে কোনও জঙ্গি যোগ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও সরকারের তরফে এ ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি। দিন কয়েক আগে প্রায় একই কায়দায় খুন হতে হয়েছিল লস্কর ই তৈবার কুখ্যাত জঙ্গি আবু কাতালকে। মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার একেবারে ওপরের দিকে নাম ছিল তাঁর। লস্কর প্রধানের ডান হাত হিসেবে কাজ করতেন কাতাল।

    একই কায়দায় খুন হয়েছিলেন কাতালও

    মুম্বই হামলা (Lashkar E Taiba) ছাড়াও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা ও নিরীহ নাগরিকের ওপর একাধিক হামলার নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন কাতাল। যার সর্বশেষ উদাহরণ গত বছর রিয়াসিতে হিন্দু পুণ্যার্থীদের ওপর হামলা। এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে রাজৌরিতে আমজনতাকে টার্গেট করে হামলা চালায় লস্কর জঙ্গিরা। সেই হামলায় মৃত্যু হয় ন’জনের। এই রাজৌরি হামলার ঘটনায় এনআইএর চার্জশিটেও নাম ছিল কাতালের। এহেন কাতাল একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন দুষ্কৃতী গুলি করে খুন করে তাঁকে। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের খুন জঙ্গি নেতা। এবং সেই পাকিস্তানের মাটিতেই।

    আবদুলের খুনের ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ইদের সকালে এলাকার একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবদুল। সেই সময় বাইকে করে তাঁর সামনে চলে আসেন দুজন। আবদুলকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তারা (Lashkar E Taiba)। আবদুল মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই বাইকে করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এই জঙ্গিনেতার (Pakistan)।

  • PM Modi: মোদি-ভাগবতের যুগলবন্দি, রাজনীতির বাইরেও এক অটুট বন্ধনের বার্তা

    PM Modi: মোদি-ভাগবতের যুগলবন্দি, রাজনীতির বাইরেও এক অটুট বন্ধনের বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও আরএসএসের সরসংঘচালক মোহন ভাগবতের মধ্যে সম্পর্ক সব সময়ই অভিন্ন আদর্শ ও গভীর পারস্পরিক শ্রদ্ধার। আরএসএসের প্রবীণরা প্রায়ই বলেন, তাঁরা সবচেয়ে ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছেন। বৃহত্তর লক্ষ্যে নিবেদিতপ্রাণ ভাইদের মতোই তাঁরা এক সঙ্গে কাজ করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন। রবিবার নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে (Mohan Bhagwat) গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তাঁদের যুগলবন্দি— স্মৃতি মন্দিরে পাশাপাশি হাঁটা, মঞ্চে হালকা মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়া এবং সহজ-সরল সৌহার্দপূর্ণ আচরণ—এই সম্পর্কের একটি বিরল প্রকাশ যা জনসমক্ষে দেখা যায় না।

    বিশেষ বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত (PM Modi)

    যাঁরা ভিজ্যুয়ালি দেখতে পেয়েছিলেন, তাঁরা খুব কমই জানতেন যে তাঁরা কী নিয়ে কথা বলেছেন। তবে এটি স্পষ্ট যে দুজনের মধ্যে বন্ধন— বৃহত্তম হিন্দুত্ব শক্তির প্রধান ও দেশের সবচেয়ে প্রতিভাধর মুখ— রাজনীতি, নিয়মিত বিষয় এবং সমস্ত বিতর্কের ঊর্ধ্বে। ২০০০ সালে ভাগবতকে আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। আর ২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন মোদি। একজন পদস্থ আরএসএস কর্মী বলেন, “যদিও তাঁরা বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তবুও তাঁরা সবসময় একটি বিশেষ বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।”

    কী বলছে আরএসএস?

    আরএসএসের আর এক পদস্থ কর্তা বলেন, “তাঁদের প্রায়ই জনসমক্ষে এক সঙ্গে দেখা যায় না। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, তাঁরা (PM Modi) কথাবার্তা বলেন না। প্রয়োজন অনুযায়ী এবং বিভিন্ন স্তরে তাঁরা যোগাযোগ রাখেন। আমরা প্রায়ই তাঁদের জয়-বীরু বলে ডাকি, যদিও আমাদের কাঠামোয় আমাদের সর্বদা শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকতে হয়, এমনকি কথাবার্তাতেও। কিন্তু আমরা তাঁদের বন্ধুত্ব, তাঁদের পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং আশ্চর্যজনক সংগঠনিক কাজের সমীকরণের কথা শুনে শুনেই বড় হয়েছি। গত তিন দশক ধরে, আমরা সেখানে কোনও ফাটল দেখিনি (Mohan Bhagwat)।” আরএসএস সূত্রে খবর, শনিবার মোদি-ভাগবতের এই মঞ্চ শেয়ার কোনও আকস্মিক সাক্ষাতের উদাহরণ নয় এটি ছিল একটি বন্ধনের পুনর্নিশ্চয়তা, যা দশকজুড়ে সাধারণ মূল্যবোধ, শৃঙ্খলা এবং সেবার প্রতি সমর্পণের মধ্যে প্রোথিত। রবিবার নাগপুরে দেশ যখন একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছিল, তখন এই বন্ধনটি ফের একবার প্রমাণিত হয়েছিল।

    আরএসএসের সদর দফতরে মোদি

    রবিবারই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে পা রাখেন। কেবল পা রাখাই নয়, এদিন মোদি ভাগবতের সঙ্গে, আরএসএসের ভরকেন্দ্র স্মৃতি মন্দির পরিদর্শনও করেন। স্মৃতি মন্দির— যেটি রেশিমবাগে হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দির নামে বেশি পরিচিত— সংঘের কাছে একটি পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ড. হেডগেওয়ার এবং এমএস গোলওয়ালকরের (যিনি সংঘের মধ্যে ‘গুরুজি’ নামে খ্যাত) উত্তরাধিকার ও স্মৃতি বহন করে চলেছে। এটি সর্বদাই সংঘের সব স্তরের স্বয়ংসেবকদের জন্য তাত্ত্বিক চিন্তা ও শ্রদ্ধা নিবেদনের কেন্দ্রস্থল। ভাগবতের সঙ্গে মোদির রেশিমবাগে উপস্থিতি ভারতের পুনরুত্থানের লক্ষ্যে আরএসএস ও সরকারের মধ্যে চিন্তার ধারাবাহিকতাকে প্রতীকীভাবে প্রকাশ করেছে। এটি সমগ্র সংঘ পরিবার, যার মধ্যে বিজেপিও অন্তর্ভুক্ত, তাদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় (Mohan Bhagwat)।

    “হম স্বয়ংসেবক”

    এদিন, স্মৃতি মন্দির থেকে মোদি ও ভাগবত মাধব নেত্রালয়ে পৌঁছান। এটি একটি প্রতিষ্ঠান যা আরএসএসের সেবা ধর্মের প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) দশকের পর দশক ধরে দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধারে তাদের অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন, সংগঠনের কাজ এবং আরএসএসের বৃহত্তর মিশনের প্রশংসাও করেন। সমাজে শারীরিক ও আদর্শগত দৃষ্টিভঙ্গি দুইই আনার কথাও বলেন তিনি। তাঁর বক্তৃতায়, মোদি একজন বহিরাগতের মতো নয়, বরং তাঁদেরই একজন হিসেবে কথা বলেন। তিনি বারবার “হম স্বয়ংসেবক” শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করে তাঁর আরএসএসের ঐতিহ্যকে পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রসঙ্গত, এক সময় আরএসএসের প্রচারক হিসেবে কাজ করতেন প্রধানমন্ত্রী। এই আনুষ্ঠানিকতার বাইরে যা চোখে পড়ল তা হল অকৃত্রিম কিছু মুহূর্ত— মোদি ও ভাগবতের সাবলীল কথোপকথন (Mohan Bhagwat), তাঁদের হাসি-ঠাট্টা এবং প্রাঞ্জল আলাপচারিতা।

    সম্মিলিত সংগ্রাম ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে গড়ে ওঠা বন্ধন

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদি-ভাগবতের এসব (PM Modi) আচরণ লোক দেখানোর জন্য নয়, বরং বছরের পর বছর ধরে সম্মিলিত সংগ্রাম ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে গড়ে ওঠা একটি বন্ধন, একটি সম্পর্কের প্রতিফলন। তাঁদের মধ্যে যে আন্তরিকতা বিভিন্ন টুকরো টুকরো দৃশ্যের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে, তা প্রায় সমস্ত অভিযোগমূলক বিভেদের ধারণা বা কোনও বিবাদের জল্পনাকে খারিজ করে দিয়েছে। আরএসএসের কর্তাদের একাংশের মতে, এদিনের এই অনুষ্ঠানটি একটি সুসময়ের সংযোগ, সযত্নে তৈরি একত্রীকরণের একটি মুহূর্ত। এটি আরএসএস ও সরকারের মধ্যে আদর্শিক সেতুকে আরও শক্তিশালী করেছে। নাগপুরে (PM Modi) এই অনুষ্ঠানের মূল বার্তা স্পষ্ট— একটি ঐক্যবদ্ধ সংঘ পরিবারের প্রতিচ্ছবি (Mohan Bhagwat)।

    এক দেশ, এক ভারত!

  • Chaitra Navratri 2025: স্বয়ং ব্রহ্মা তৈরি করেছিলেন পুষ্করের এই নবদুর্গা মন্দির, নবরাত্রিতে ভক্তের ঢল

    Chaitra Navratri 2025: স্বয়ং ব্রহ্মা তৈরি করেছিলেন পুষ্করের এই নবদুর্গা মন্দির, নবরাত্রিতে ভক্তের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, রবিবার। শুরু হয়ে গিয়েছে চৈত্র নবরাত্রি (Chaitra Navratri 2025)। এদিন থেকেই লাখ লাখ ভক্ত জড়ো হতে শুরু করেছেন আজমেঢ়ের প্রাচীন নবদুর্গা মন্দিরে (Nav Durga Temple)। প্রতিবারের মতো এবারও মধ্যপ্রদেশের এই মন্দিরে উড়ছে ১০৮ ফুট উঁচু একটি পতাকা। হিন্দুদের বিশ্বাস, এই মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময়ই। ত্রিমূর্তির প্রধান দেবতা সৃষ্টিকর্তা ভগবান ব্রহ্মা পুষ্করের নাগ পাহাড়ের প্রান্তে নবদুর্গাকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যাতে নবদুর্গা মা সৃষ্টি যজ্ঞে বাধা সৃষ্টিকারী নেতিবাচক শক্তিগুলিকে ধ্বংস করতে পারেন।

    মন্দিরের বিশেষত্ব (Nav Durga Temple)

    স্থানীয়দের বিশ্বাস, নবদুর্গা মা পুষ্করকে রক্ষা করেন। এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল, ভক্তরা এখানে এক সঙ্গে দেবীর নটি রূপের দর্শন লাভ করতে পারেন। এটি দেবী দুর্গার এমন একটি মন্দির, যেখানে দেবীর নটি রূপের মূ্র্তিই তৈরি মাটি দিয়ে। ভক্তদের কাছে নবদুর্গা মা নৌসর মাতা নামেও পরিচিত। বছরভর ভক্ত সমাগম হলেও, বছরে দুটি নবরাত্রিতে ব্যাপক ভিড় হয়। গোটা দেশে চৈত্র নবরাত্রি উপলক্ষে নবদুর্গার পুজো হয়। আজমেঢ়ের এই মন্দিরেও ঘটা করে পুজো হবে দেবী দুর্গার নটি রূপের। পদ্ম পুরাণেও উল্লেখ রয়েছে পুষ্করের নাগ পাহাড়ের চূড়োয় অবস্থিত নবদুর্গা মায়ের এই মন্দিরের।

    মন্দির তৈরি করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা

    শোনা যায়, ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির সময় জগৎপিতা ব্রহ্মা পুষ্করে যজ্ঞ করেছিলেন (Chaitra Navratri 2025)। যজ্ঞ পণ্ড করতে উপদ্রব শুরু করেছিল নেতিবাচক বিভিন্ন শক্তি। তখন ব্রহ্মা আদি শক্তির আরাধনা করে অপশক্তির হাত থেকে তাঁকে রক্ষা করতে অনুরোধ করেন (Nav Durga Temple)। তখনই দেবী পুষ্করে নটি রূপে আবির্ভূত হন। সৃষ্টি যজ্ঞ শেষে স্বয়ং ব্রহ্মা এখানে নবদুর্গা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। নৌসর মাতা মন্দিরের পীঠাধীশ্বর রামকৃষ্ণ দেব বলেন, “মায়ের এই মন্দির ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আগে থেকেই বিদ্যমান। মায়ের এমন রূপ পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখা যায় না।” তিনি বলেন, “এখানে একই দেহে দেবীর নটি ভিন্ন মুখমণ্ডল রয়েছে। নৌসর মায়ের এই অতি প্রাচীন মন্দির ভক্তদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।”

    কী বলছেন পীঠাধীশ্বর

    রামকৃষ্ণ বলেন, “শতাব্দীর পর শতাব্দী কেটে গেলেও, দেবী মূর্তির উজ্জ্বলতা এখনও অক্ষত রয়েছে। এটি একটি রহস্য। দ্বাপর যুগে, বনবাসের সময় পাণ্ডবরা পুষ্করের নাগ পাহাড়ে দীর্ঘকাল বসবাস করেছিলেন। পাণ্ডবরা এখানে শিব ও শক্তির পূজা করতেন। বনবাসের সময় পাণ্ডবরা এই মন্দিরে নবদুর্গার (Nav Durga Temple) পুজো করেছিলেন। এই মন্দিরের নবদুর্গার ভক্ত ছিলেন চৌহান রাজবংশের রাজারা। শোনা যায়, মহম্মদ ঘোরিকে যুদ্ধে পরাজিত করার আগে পৃথ্বীরাজ চৌহানও পুজো করেছিলেন এই নবদুর্গার। পীঠাধীশ্বর (Chaitra Navratri 2025) বলেন, “আওরঙ্গজেবের সেনাবাহিনী নবদুর্গা মায়ের মন্দিরের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিল। তারা মন্দিরের একটি অংশের চারটি দেওয়াল ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু তারাও মন্দিরে থাকা মায়ের মূর্তির কোনও ক্ষতি করতে পারেনি। মারাঠারা আজমেঢ়ের দখল নিলে নবদুর্গা মন্দিরের সংস্কার সাধন করেছিলেন।” তিনি জানান, পরে মন্দির সংস্কার করেন পীঠাধীশ্বর সন্ত বুধকরণ মহারাজ। সেও প্রায় ১৩২ বছর আগে।

    দেবীর ন’টি রূপ

    প্রসঙ্গত, বছরে চারবার নবরাত্রি উৎসব আসে। এর মধ্যে দুটি গুপ্ত। প্রকট বাকি দুটি – একটি চৈত্র নবরাত্রি, অন্যটি আশ্বিন নবরাত্রি। এই দুই নবরাত্রিতেই আরাধনা করা হয় দেবী দুর্গার। ন’টি দিনে দেবীর নয় রূপের পুজো করা হয়। দেবীর এই ন’টি রূপ হল শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী এবং সিদ্ধিদাত্রী। আশ্বিনের শুক্লা প্রতিপদ থেকে শুক্লা নবমী পর্যন্ত ন’দিন ধরে পালন করা হয় নবরাত্রি ব্রত (Chaitra Navratri 2025)। এই ন’দিনে দেবীর দুর্গার ন’টি রূপের আরাধনা করা হয়। চৈত্রের শুক্লা প্রতিপদ থেকে শুরু হয় চৈত্র নবরাত্রি ব্রত।

    কোন দিনে কী রূপে পুজো পান দেবী

    প্রতিপদে দেবী দুর্গা রূপ নেন হিমালয়ের কন্য শৈলপুত্রীর। দ্বিতীয়ায় সেই একই শক্তি ধারণ করেন ব্রহ্মচারিণীর রূপ। তৃতীয়ায় তিনি চন্দ্রঘণ্টার রূপ ধারণ করেন। দেবীর এই রূপ সাহস ও সৌন্দর্যের প্রতীক। চতুর্থীতে দেবী রূপ নেন কুষ্মাণ্ডার। পুরাণ অনুযায়ী, এই রূপেই দেবী সৃষ্টি করেন বিশ্ব চরাচর। পঞ্চমীতে দেবী পুজিত হন স্কন্দমাতা রূপে। ষড়ানন কার্তিকের জননী হিসেবে পুজিতা হন তিনি। কার্তিকের আর এক নাম স্কন্দ। তাই দেবী স্কন্দমাতা (Nav Durga Temple)। ষষ্ঠীতে দেবী পুজিত হন কাত্যায়নী রূপে। এই রূপে রয়েছে দেবীর চার হাত ও ত্রিনয়ন। এখানে দেবীর বাহন সিংহ। সপ্তম দিনে দেবী পুজিত হন কালরাত্রি রূপে। এদিন তিনি ভক্তদের সাহস ও উৎসাহ দান করেন। অষ্টমীতে দেবী হন মহাগৌরী। আর নবমীতে তিনিই হন সিদ্ধিদাত্রী। দেবীর এই রূপে অষ্টসিদ্ধি ঘিরে রাখেন তাঁকে (Chaitra Navratri 2025)।

    প্রসঙ্গত, চৈত্র নবরাত্রির অষ্টমীতে পুজো হয় দেবী অন্নপূর্ণার। আর এই নবরাত্রির নবমী তিথি পরিচিত রামনবমী হিসেবে (Nav Durga Temple)।

  • PM Modi: গড়লেন ইতিহাস, আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর, কী বললেন মোদি?

    PM Modi: গড়লেন ইতিহাস, আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর, কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, রবিবার হিন্দু নববর্ষ। এদিনই নাগপুরে আরএসএসের (RSS) দফতরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নাগপুরে কেশবকুঞ্জে একটি চক্ষু হাসপাতালের সম্প্রসারণের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সকালে তিনি প্রথমে যান রেশমিবাগে আরএসএসের সদর দফতরের কাছে স্মৃতি মন্দির দর্শনে। শ্রদ্ধা জানান সংঘের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারকে।

    আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী পা রাখলেন আরএসএসের সদর দফতরে। ২০১২ সালে শেষবারের মতো সংঘের সদর দফতরে গিয়েছিলেন মোদি। তবে তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। তারপর কেটে গিয়েছে আস্ত একটা যুগ। রাজনীতির কারবারিদের মতে, এই পর্বে দেশজুড়ে বিজেপিকে বিপুল রাজনৈতিক মাইলেজ দিয়েছে সংঘ। তবে সেই কারণে তিনি নাগপুর যাননি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিন আরএসএস প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এই বৈঠকের পর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নাম ঘোষণা করা হতে পারে।

    মোদির পাশে ভাগবত   

    এদিন মোদির শ্রদ্ধাজ্ঞাপন পর্বে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সরসংঘচালক মোহন ভাগবতকে। আরএসএসের শ্রুতি মন্দিরে সংঘ প্রতিষ্ঠাতাদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর দীক্ষাভূমি মন্দিরে যান প্রধানমন্ত্রী। পরে সংবিধান প্রণেতা বাবা সাহেব আম্বেডকরকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী যান দীক্ষাভূমিতে। এখানেই হিন্দু ধর্ম ছেড়ে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নিয়েছিলেন আম্বেডকর (PM Modi)।

    এর আগে গত বছর অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনে সংঘ প্রধানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৪ সালে একবার প্রকাশ্য অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছিল মোদি ও ভাগবতকে। তার পরে আবার এদিন এক মঞ্চে দেখা গেল দুই মহীরুহকে। আরএসএসের দফতর ঘোরার শেষে ভিজিটর্স বুকে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “নাগপুরে স্মৃতি মন্দির দর্শন একটি অত্যন্ত বিশেষ অভিজ্ঞতা। এটি জাতির সেবা করতে প্রাণিত করে।” ভিজিটর্স বুকে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ভারতীয় সংস্কৃতি, জাতীয়তাবাদ ও সংগঠনের মূল্যবোধের প্রতি নিবেদিত এই পবিত্র স্থান আমাদের দেশের সেবায় প্রেরণা জোগায়। এই স্থানের সঙ্গে যুক্ত সকল মহান ব্যক্তিদের নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রম (RSS) জাতির সেবায় লক্ষ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবকদের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। আমাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভারত মাতার গৌরব উজ্জ্বল হবে (PM Modi)।”

  • RSS: “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,” বললেন হোসাবলে

    RSS: “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,” বললেন হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দু একটি ভৌগোলিক-সাংস্কৃতিক পরিচয়। অন্য কোনও ধর্ম গ্রহণ করলেই কারও সাংস্কৃতিক পরিচয় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় না”। কথাগুলি বললেন (Hindu) আরএসএস (RSS) নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে। তিনি বলেন, “ভারতের মুসলমানরা তাঁদের ধর্মীয় অনুশীলন পরিবর্তন করলেও, হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়”।

    “হিন্দু ও মুসলমানদের একই পূর্বপুরুষ” (RSS)

    প্রসঙ্গত, আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবতও বলেছিলেন, হিন্দু ও মুসলমানদের একই পূর্বপুরুষ। তিনি এও বলেছিলেন, সমস্ত ভারতীয় একই ডিএনএ শেয়ার করে। তাই উপাসনার ভিত্তিতে তাদের মধ্যে পার্থক্য করা যায় না। তারও আগে ভাগবত বলেছিলেন, “হিন্দু শব্দটি আমাদের মাতৃভূমি, পূর্বপুরুষ ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের সমতুল্য এবং প্রতিটি ভারতীয় একজন হিন্দু।” হোসাবলের গলায়ও শোনা গেল প্রায় সেই একই সুর। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের বক্তব্যকে সমর্থন করে হোসাবলে বলেন, “দেশের মানুষ বিভিন্ন জাতিতে বিভক্ত নয়”।

    ‘এটি আদতে মানব ধর্ম’

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে হোসাবলে (RSS) বলেন, “এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, ভারতের মানুষ, তাঁদের ধর্ম, ভাষা বা ঐতিহ্য নির্বিশেষে, বিভিন্ন জাতির অন্তর্গত নয়। বাবাসাহেব আম্বেডকর তো নিজেই এটি বলেছেন। হিন্দু হওয়া একটি ধর্মীয় পরিচয় নয়। এটি একটি জীবনধারা। এস রাধাকৃষ্ণন এবং ভারতের সুপ্রিম কোর্টও এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।” আরএসএসের এই নেতা বলেন, “হিন্দুদের দ্বারা পালন করা ধর্মকে সাধারণত হিন্দু ধর্ম বলা হয়।  কিন্তু এটি আদতে মানব ধর্ম। মানবিক মূল্যবোধের সার্বজনীন নীতি। হিন্দু একটি ভৌগোলিক-সাংস্কৃতিক পরিচয়। এটি কোনও সম্প্রদায়গত বা কঠোর ধর্মীয় ধারণা নয়।” তিনি বলেন, হিন্দু ধারণাটি কখনওই একটি মাত্র ঐতিহ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কেউ অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হলে তার জাতীয় পরিচয় হারায় না (Hindu)।”

    হোসেবলে বলেন, “ভারতের মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারে। একজন বৌদ্ধ কি কালই লিঙ্গায়ত হতে পারবে না? একজন ব্রাহ্মণ, যদি তিনি চান, বৌদ্ধ হতে পারবেন না? একই পরিবারের ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী পৃথকভাবে শৈব ও বৈষ্ণব মত অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে এক সঙ্গে বসবাস করেন — এর অসংখ্য উদাহরণ আছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায় বা ঐতিহ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। শুধুমাত্র অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার অর্থ সাংস্কৃতিক ও জাতীয় পরিচয় ছিন্ন করা উচিত নয় (Hindu)। এটিই সংঘের (RSS) অবস্থান।”

  • Nepal Unrest: হিন্দুরাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল নেপাল, সংঘর্ষের বলি ২, জারি কারফিউ

    Nepal Unrest: হিন্দুরাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল নেপাল, সংঘর্ষের বলি ২, জারি কারফিউ

    মাধ্যম নিউজ জেস্ক: হিন্দুরাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল নেপাল (Nepal Unrest)। বিক্ষোভের আগুনে পুড়ল ঘরবাড়ি। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা জনতার। অবস্থা আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ায় বিক্ষোভকারীদের দিকে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ছোড়ে পুলিশ। তার পরেও নেভেনি অশান্তির আগুন। যার জেরে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। পুলিশ-জনতার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজন সাংবাদিক-সহ দুজনের। জখম হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে টিংকুনের কান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    নেপালে রাজতন্ত্র (Nepal Unrest)

    হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ছোট্ট দেশ নেপাল। এক সময় দেশটিতে ছিল রাজতন্ত্র। বিশ্বে একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবেও পরিচিত ছিল দেশটি। ২০০৮ সালে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। ঘুচে যায় হিন্দু রাষ্ট্রের তকমাও। তার পর থেকে মাঝে মধ্যেই রাজতন্ত্র ও হিন্দুরাষ্ট্রের দাবিতে সরব হয়েছেন নেপালের নাগরিকরা। শুক্রবার সেই আন্দোলনই ব্যাপক আকার ধারণ করে। যার বলি হলেন দুজন।

    হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা ফেরানো দাবিতে মিছিল

    জানা গিয়েছে, গণতন্ত্রের পরিবর্তে রাজতন্ত্র এবং হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা ফেরানোর দাবিতে শুক্রবার মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন রাজতন্ত্রের সমর্থক রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি এবং আরও কয়েকটি দলের নেতারা। মিছিল শেষে রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। সেই বিক্ষোভ দমন করতে গিয়েই খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে জনতা ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। তাঁর নাম সাবিন মহার্জন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক সাংবাদিকেরও। জখম হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। দেশে অশান্তির এই আবহে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রিসভার বৈঠকের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তলব করা হয়েছে সেনাকে। জারি করা হয়েছে কারফিউও। এদিন আন্দোলনকারীরা টিংকুনের একটি রাস্তার পাশের ভবনে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে পুলিশের তৈরি ব্যারিকেডও।

    জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ

    তার জেরেই বেঁধে যায় জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ। নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে জনতা। বিক্ষোভ দমনে ফাটানো হয় টিয়ার গ্যাসের শেল। ব্যবহার করা হয় জলকামান। তার পরেও আন্দোলনকারীদের দমন করতে না পেরে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। অশান্তি এড়াতে কাঠমাণ্ডুজুড়ে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। নিউ বাণেশ্বর এলাকায় যাওয়ার পথে বহু তরুণকে আটক করে পুলিশ (Nepal Unrest)।

    মিছিলে যোগী আদিত্যনাথের ছবিও

    এদিন আন্দোলনকারীরা স্লোগান দেন ‘নেপাল সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘দেশে রাজতন্ত্র ফিরে আসুক’। এই দাবিতে টিংকুনে এলাকায় পথে নামেন হাজার হাজার রাজতন্ত্র সমর্থক। নেপালের জাতীয় পতাকা ও দেশের প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহের ছবি হাতে ‘রাজা আসুন, দেশ বাঁচান’, ‘আমরা রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই’ – স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলে জ্ঞানেন্দ্রর পাশাপাশি ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ছবিও তুলে ধরেছিলেন অনেকে। জেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাত দশটা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। এই সময় কয়েকটি এলাকায় কাউকে রাস্তায় বেরতে দেওয়া হবে না। সূত্রের খবর, কারফিউয়ের সময়সীমা বাড়িয়ে করা হয়েছিল শনিবার সকাল সাতটা পর্যন্ত। পরে তা প্রত্যাহার করা হয়। শুক্রবার অশান্তির পর থেকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১০০ জনকে (Nepal Unrest)।

    রাজতন্ত্রের অবসান

    ২০০৮ সালে সংসদীয় ঘোষণার মাধ্যমে অবসান ঘটে নেপালের ২৪০ বছরের পুরানো রাজতন্ত্রের। হিন্দু রাষ্ট্র নেপাল পরিণত হয় ধর্মনিরপেক্ষ, যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে। এর ঠিক সতের বছর পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নেপালের গণতান্ত্রিক দিবসে প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ একটি ভিডিও বার্তা দেন। নেপালে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আবেদন জানান জনগণের কাছে। তার পরেই তৎপর হয়ে ওঠে রাজতন্ত্রের সমর্থক দলগুলি। গত ৯ মার্চ জ্ঞানেন্দ্রর সমর্থনে বিশাল মিছিল হয় নেপালে।জানা গিয়েছে, এদিনের এই প্রতিবাদ নেতৃত্বে ছিল নাওয়ারাজ সুবেদীর নেতৃত্বাধীন যৌথ আন্দোলন কমিটি। এছাড়াও, রাজেন্দ্র লিংডেনের নেতৃত্বাধীন রাজতন্ত্রপন্থী রাষ্ট্রীয় প্রজাতান্ত্রিক দল (আরপিপি)-ও এই আন্দোলনকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে, যা ব্যাপকভাবে রাজতন্ত্রপন্থী দাবিগুলির সঙ্গে সহমত পোষণ করে। গত কয়েক মাসে নেপালের প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্রর প্রতি সমর্থন বেড়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই এদিন ব্যাপক অশান্তি হয় নেপালে।

    এদিকে, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (মাওবাদী সেন্টার)-এর প্রধান পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ডর হুঁশিয়ারি, রাজতন্ত্রের বাহিনীরা যেন স্বাধীনচেতা নেপালবাসী ও দেশের রাজনৈতিক দলগুলিকে দুর্বল না ভাবে। রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ যেন ফের একই ভুল না করেন (Nepal Unrest)।

LinkedIn
Share