Author: pranabjyoti

  • Bangladesh Crisis: ভোটের আগে নীতি নির্ধারণে জামাত! বাংলাদেশে কি চালু হবে শরিয়া আইন?

    Bangladesh Crisis: ভোটের আগে নীতি নির্ধারণে জামাত! বাংলাদেশে কি চালু হবে শরিয়া আইন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে রয়েছেন মহম্মদ ইউনূস (Md Yunus)। এই সরকারই ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাধারণ নির্বাচনের আগে জামাত-ই-ইসলামিকে নীতিনির্ধারণে প্রভাব বিস্তার করতে দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় অনেকেই মনে করছেন নির্বাচনী প্রক্রিয়া গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে পড়েছে। মৌলবাদী বিভিন্ন ইসলামি গোষ্ঠী দেশে শরিয়া আইন কার্যকর করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা দেশকে ইসলামিক স্টেটে পরিণত করার জোরালো দাবিও তুলেছে।

    জামাতের প্রভাব (Bangladesh Crisis)

    জামাতের প্রভাব বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসনে গোপন থাকছে না। শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক নীতির ওপর দেওয়া বিভিন্ন নির্দেশ থেকে এটা স্পষ্ট যে তাদের অ্যাজেন্ডা সরকারিভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। জামাতের অন্যতম বিতর্কিত পদক্ষেপ হিসেবে সম্প্রতি সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে প্রাথমিক পর্যায়ে নাচের শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে তারা দাবি করেছে, বিদ্যালয়গুলিতে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।

    জামাতের যুক্তি

    জামাতের সাধারণ সম্পাদক মিঞা গোলাম পরওয়ার এই নির্দেশের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষকের পরিবর্তে সঙ্গীত ও নৃত্য শিক্ষক নিয়োগ মেনে নেওয়া হবে না। সঙ্গীত বা নৃত্য শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক বিষয় হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। যদি কোনও পরিবারের এই ধরনের কার্যকলাপে তীব্র আগ্রহ থাকে, তাহলে তারা নিজেরাই বেসরকারি শিক্ষকের ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু সকল সম্প্রদায়ের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা অপরিহার্য।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের তরুণরা একটি নৈতিক সংকটের মুখোমুখি এবং কেবল ধর্মীয় শিক্ষাই মূল্যবোধ ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে পারে।” উল্লেখ্য, এই ধরনের বক্তব্যের সঙ্গে আফগানিস্তানে তালিবান নীতির ব্যাপক সাদৃশ্য রয়েছে (Md Yunus)।

    হিংসায় ইন্ধন

    তীব্র আন্দোলনের জেরে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে সে দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলি। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর মাত্র প্রথম সপ্তাহেই সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর ২০০টিরও বেশি হামলা হয়েছে। জামাতের (Bangladesh Crisis) ছাত্র সংগঠন, ইসলামি ছাত্রের সঙ্গে যুক্ত ক্যাডাররাই হিংসায় ইন্ধন জুগিয়েছে এবং সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। পরবর্তীকালে হিন্দুদের ওপর এই হিংসা আরও তীব্র আকার ধারণ করে। জামাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া, জেলবন্দি উগ্রপন্থী ও অপরাধীদের মুক্তি এবং উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলির ওপর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ না থাকায় দেশের অগ্রগতি থমকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। মানবাধিকার কর্মীদের মতে, নীতি পুলিশের বাড়বাড়ন্ত এবং নারীদের ওপর ক্রমবর্ধমান নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে তালিবানীকরণের প্রাথমিক প্রমাণ (Md Yunus)।

    পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে

    নিষেধাজ্ঞার জেরে আগামী বছরের নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে থাকছে না আওয়ামি লিগ। তাই বেগম খালেদা জিয়ার দল বিএনপির জয় একপ্রকার নিশ্চিত। তবে, যদি কোনও কারণে বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তাহলে জামাতের সঙ্গে জোট গঠন করা ছাড়া তাদের সামনে আর কোনও পথ খোলা থাকবে না। এই ধরনের পরিস্থিতি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও জটিল করে তুলতে পারে। শেখ হাসিনার আমলে নয়াদিল্লি ও ঢাকা শক্তিশালী নিরাপত্তা সহযোগিতায় জড়িত ছিল। কিন্তু ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে (Bangladesh Crisis)। ভারতীয় কর্তারা পড়শি দেশের এই পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছেন। তাঁদের আশঙ্কা, পাকিস্তানের আইএসআই দ্বারা প্রভাবিত বিএনপি-জামাত জোট অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।

    ইসলামিকরণের পরিকল্পিত প্রচেষ্টার সংকেত

    জামাতের বর্তমান আক্রমণাত্মক মনোভাব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে ইসলামিকরণের একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টার সংকেত (Md Yunus) বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। সাতের দশক থেকে দলটি পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সঙ্গে মিলিত হয়ে ইসলামি অ্যাজেন্ডা এগিয়ে নেওয়া এবং বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ শাসন ব্যবস্থাকে দুর্বল করার কাজ করে আসছে বলে খবর। বর্তমানে নির্বাচনের প্রচারেও একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পক্ষে সওয়াল করা হচ্ছে ঠিকই, তবে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করা, সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণ এবং নিয়ম-নীতি প্রণয়নে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে জামাত।

    বাংলাদেশে লাগু হবে তালিবানি শাসন!

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে অচিরেই বাংলাদেশে লাগু হবে তালিবানি শাসন। যে শাসনের জেরে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-চাকরি ছেড়ে ঘরবন্দি হতে হয়েছে আফগানিস্তানের মহিলাদের। ত্যাগ করতে হয়েছে নাচ-গানের মতো বিনোদনের বিভিন্ন মাধ্যমের মোহ। তালিবান শাসিত (Md Yunus) আফগানিস্তানে মহিলারা কার্যত পরিণত হয়েছেন ক্রীতদাসীতে। যেখানে তাঁদের নিজেদের ইচ্ছের কোনও দাম নেই, মর্যাদার তো প্রশ্নই নেই। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে ঘরবাড়ির নীচে চাপা পড়ে যাওয়া পুরুষদের উদ্ধার করা হলেও, মহিলাদের উদ্ধার করা হয়নি। স্রেফ মহিলা হওয়ায় তাঁদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেননি বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কোনও পুরুষ সদস্যও (Bangladesh Crisis)।

    বাংলাদেশের মহিলাদেরও কি সেই হাল হবে?

  • Charlie Kirk: প্রকাশ্যে খুন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ চার্লি কির্ক, বিশ্বকে নিরাপত্তার পাঠ দেওয়া আমেরিকার ঘরেই ফুটো!

    Charlie Kirk: প্রকাশ্যে খুন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ চার্লি কির্ক, বিশ্বকে নিরাপত্তার পাঠ দেওয়া আমেরিকার ঘরেই ফুটো!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ইউটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বছর একত্রিশের রক্ষণশীল নেতা চার্লি কির্ক (Charlie Kirk)। তিনি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এদিনের অনুষ্ঠান চার্লি যখন পড়ুয়াদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, তখন আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। অনুষ্ঠান মঞ্চেই লুটিয়ে পড়েন চার্লি। সেই ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    ‘দ্য আমেরিকান কামব্যাক ট্যুর’ (Charlie Kirk)

    চার্লির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিওটি একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে পোস্ট করা হয়েছে। বন্যা বয়ে গিয়েছে লাইক, কমেন্টের। চার্লি টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তিনিই এর সিইও। হামলার কয়েক মুহূর্ত আগেই তিনি গণহত্যা ও বন্দুকবাজদের হামলা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। চার্লি গোঁড়া এবং রক্ষণশীল রিপাবলিকান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের সমর্থনে ব্যাপক প্রচার করেছিলেন তিনি। অনেকের মতে, তার জেরে ছাত্র-যুবদের একটা বড় অংশের ভোট তিনি নিয়ে এসে ফেলেছিলেন রিপাবলিকান পার্টির ঝুলিতে। সম্প্রতি আমেরিকার কলোরাডো থেকে ভার্জিনিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সফর করার পরিকল্পনা করেছিলেন চার্লি। নাম দিয়েছিলেন ‘দ্য আমেরিকান কামব্যাক ট্যুর’। এই সফরেই তিনি গিয়েছিলেন ইউটার বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হন চার্লি (Charlie Kirk)।

    ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ইউটা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানের মঞ্চে বসে রয়েছেন চার্লি। তাঁর হাতে মাইক। পড়ুয়াদের নানান প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি। এই সময় আচমকাই আততায়ী চার্লিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি সটান গিয়ে বিঁধে যায় চার্লির ঘাড়ে। চেয়ারেই লুটিয়ে পড়েন চার্লি। অনুষ্ঠান মঞ্চেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় এখনও বন্দুকবাজের হদিশ পায়নি মার্কিন পুলিশ। সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটক করা হয়েছিল ঠিকই, যদিও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চার্লির মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে নিজস্ব সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “আমেরিকার যুব সমাজের হৃদয় চার্লির চেয়ে ভালো কেউ বোঝেনি বা বুঝতে পারেনি।” চার্লিকে ‘মহান’ এবং ‘কিংবদন্তি’ বলেও আখ্যা দেন ট্রাম্প। তিনি আরও লেখেন, “আমাদের সকলেরই উচিত চার্লির জন্য প্রার্থনা করা। তিনি একজন দুর্দান্ত মানুষ ছিলেন। ঈশ্বর তাঁকে আশীর্বাদ করুন।” ইউটার গভর্নর স্পেন্সার কক্স বলেন, “আধিকারিকরা মনে করছেন যে এই গুলি চালানোর ঘটনায় মাত্র একজন ব্যক্তি জড়িত ছিল। বন্দুকবাজ পালিয়ে গিয়েছে নাকি কোথাও গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।”

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ছবি

    ভাইরাল হওয়া (Donald Trump) ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, আততায়ীর গুলি থেকে বাঁচতে পড়ুয়ারা নিচু হয়ে পড়ছেন, চিৎকার (Charlie Kirk) করছেন এবং মঞ্চের কাছে থাকা একটি ফোয়ারা পার হয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। নিরাপত্তা রক্ষীরা চার্লিকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় কিছু পড়ুয়া তাঁকে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন। একজন মহিলাকে দেখা গিয়েছে লাল রংয়ের ‘এমএজিএ’ টুপি পরে কাঁদতে। অনেককে দেখা গিয়েছে, চার্লির আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করতে। চার্লি হত্যার নিন্দে করেছেন আমেরিকার দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতারাই। আমেরিকার উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্স চার্লির জন্য প্রার্থনা করেছেন তাঁর ‘অন্ধকারতম সময়ে’। ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেসান্তিস বলেন, “বিতর্কের সমাধান করা উচিত আলোচনার দ্বারা, হিংসার দ্বারা নয়।” ইউটা ভ্যালি ইউনিভার্সিটি  এ রাজ্যের সবচেয়ে বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৪৭ হাজার। অনুষ্ঠান মঞ্চে চার্লি খুন হওয়ার পরে তাৎক্ষণিকভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। প্রশাসকদের বক্তব্য, তদন্ত চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে (Donald Trump)।

    স্নাইপার হামলা!

    চার্লি (Charlie Kirk) হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামে জনতার। ট্রাম্প এই হত্যাকাণ্ডকে আমেরিকার জন্য একটি ‘অন্ধকার মুহূর্ত’ বলে  আখ্যা দেন। দেন ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতিও। জানা গিয়েছে, চার্লিকে ক্যাম্পাস ভবন থেকে প্রায় ২০০ গজ দূর থেকে গুলি করা হয়। এক্স হ্যান্ডেলে অনেকেই একে স্নাইপার আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ যেখান থেকে গুলি করা হয়েছে, তা অনেকটা দূর থেকেই। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যায়, চার্লির জুগুলার শিরায় লাগে গুলিটি। সেই কারণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

    ঘরামির ঘরেই ফুটো!

    পড়ুয়া-শিক্ষকে ঠাসা অনুষ্ঠানে কীভাবে চার্লিকে গুলি করা হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। চার্লি হত্যার পরে আমেরিকায় ট্রাম্প প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। মার্কিন মুলুকে বন্দুকবাজদের হিংসা এবং রাজনৈতিক হামলা এখন জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে দেশ নিজেকে বিশ্বের গণতন্ত্রের দিগন্তদর্শী হিসেবে উপস্থাপন করে এবং অন্যদের স্বাধীনতার পাঠ দেয়, সেখানেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেই বড়সড় ছিদ্র। যে ফুটো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, ভালো নেই আমেরিকা (Charlie Kirk)! প্রসঙ্গত, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারে বেরিয়ে এক বন্দুকবাজের শিকার হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে গুলিটি ট্রাম্পের কান (Donald Trump) ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যান ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

  • Assam Govt: ১ লাখ ৬৮ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি! অসমে শুরু হয়ে গেল অনুপ্রবেশকারী বিতাড়নের কাজ

    Assam Govt: ১ লাখ ৬৮ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি! অসমে শুরু হয়ে গেল অনুপ্রবেশকারী বিতাড়নের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মঙ্গলবারই। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু অসমে শুরু হয়ে গেল অবৈধ অনুপ্রবেশকারী (Declared Foreigners) বিতাড়নের কাজ। অসমের (Assam Govt) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার শুরু করেছে ১ লাখ ৬৮ হাজার বাংলাদেশিকে, যাদের ট্রাইব্যুনাল অবৈধ অভিবাসী ঘোষণা করেছে, শনাক্ত করার প্রক্রিয়া। এই ঘোষিত বিদেশিদের প্রায় ৯০ শতাংশই এই মুহূর্তে নিখোঁজ। বহু শুনানির পর অসমে বসবাসকারী এই অনুপ্রবেশকারীদের বিদেশি ঘোষণা করেছিল ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু অধিকাংশই আদালতের রায়ের পর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে আবার কেউ কেউ হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও আপিল করেছেন।

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য (Assam Govt)

    প্রসঙ্গত, ৯ সেপ্টেম্বর অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “নয়া ‘অসম অভিবাসী নির্বাসন বিধিমালা, ১৯৫০’-এর স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর অনুযায়ী, রাজ্য সরকার নির্বাসনের প্রক্রিয়া দ্রুততর করবে।” তিনি বলেছিলেন, “আমরা এখনও পর্যন্ত ৩০হাজার ১২৬ জন বিদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছি। কিন্তু নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর প্রণয়ন হলে সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার ট্রাইব্যুনাল দ্বারা ঘোষিত ১ লাখ ৬৮ হাজার বিদেশিকে নির্বাসিত করতে পারবে। যাঁরা আদালতে মামলা করেছেন কিংবা যেসব মামলায় স্থগিতাদেশ রয়েছে, তাঁদের ছাড়া। এই মামলাগুলি আর ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে না। বরং সন্দেহভাজন ব্যক্তি তাঁর নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য জেলাশাসকের সামনে ১০ দিনের মধ্যে হাজির হবেন। যদি তিনি তা না করেন, তাহলে জেলাশাসক নির্বাসনের নির্দেশ জারি করবেন।

    সুপ্রিম কোর্টের রায়

    উল্লেখ্য যে, যখন সুপ্রিম কোর্ট ২০০৫ সালে সর্বানন্দ সোনোয়াল বনাম ভারত সরকার মামলায় বিতর্কিত আইএমডিটি (অবৈধ অভিবাসী নির্ধারণ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আইন) বাতিল করে, তখন কংগ্রেস সরকার অসমে অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করতে বিদেশি ট্রাইব্যুনাল ব্যবস্থা চালু করে। এটি প্রক্রিয়াটিকে অত্যন্ত জটিল করে তোলে (Assam Govt)। সম্প্রতি এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, রাজ্য সরকার অসম থেকে অভিবাসী নির্বাসন আইন, ১৯৫০ প্রয়োগ করে (Declared Foreigners) শনাক্ত হওয়া অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্য থেকে বিতাড়িত করতে পারে। হিমন্ত বলেন, “এখন এটি দেশের আইন। কারণ এটি সুপ্রিম কোর্টের সংবিধানিক বেঞ্চ দ্বারা অনুমোদিত এবং রাজ্য সরকার এই আইন অনুযায়ীই কাজ করবে।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, অসমে বসবাসকারী বাঙালি হিন্দু জনগণ আত্মবিশ্বাসী কারণ তাঁদের অধিকাংশই ১৯৭১ সালের আগে এ রাজ্যে এসেছেন। শুধুমাত্র ১২ জন বাঙালি হিন্দু অসমে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুযায়ী ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। তাই অসমে এই আইনের কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই (Assam Govt)।

  • Nepal Unrest: নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হচ্ছেন ভারতে ‘বেড়ে ওঠা’ সুশীলা কার্কি!

    Nepal Unrest: নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হচ্ছেন ভারতে ‘বেড়ে ওঠা’ সুশীলা কার্কি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেন জি-র আন্দোলনের জেরে দিন দুয়েক ধরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল ভারতের পড়শি দেশ নেপাল (Nepal Unrest)। ব্যাপক আন্দোলনের জেরে পতন হয় কেপি শর্মা অলি সরকারের। দেশে শান্তি ফেরাতে ক্ষমতার রাশ নেয় সে দেশের সেনাবাহিনী। এর পরেই পরিস্থিতি থিতু হয়। এহেন নেপালেরই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে চলেছেন সুশীলা কার্কি (Sushila Karki)। তিনি নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তাঁকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন জেন জেড আন্দোলনের নেতৃত্ব। সুশীলা জানান, ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক আরও ভালো করা হবে।

    ভারত-নেপাল সম্পর্কে চিড় (Nepal Unrest)

    নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ছিল মধুর। এই সম্পর্কে চিড় ধরে কমিউনিস্ট শাসক অলির শাসন কালে। ভারতের পরিবর্তে তিনি মাখোমাখো সম্পর্ক তৈরি করেন আর এক কমিউনিস্ট শাসিত দেশ চিনের সঙ্গে। যে চিনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে বিপাকে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা-মলদ্বীপ এবং বাংলাদেশ, সেই বেজিংয়ের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন অলি। তার জেরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারত-নেপাল সম্পর্কের ফাটল চওড়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হচ্ছেন শুনে, সেই সম্পর্কই মেরামত করতে চান সুশীলা। বছর বাহাত্তরের সুশীলা নেপালের প্রথম মহিলা যিনি প্রধান বিচারপতির পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন। ২০১৬ সালে তাঁকে প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ করেন নেপালের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি। তাঁর নাম সুপারিশ করেছিলেন সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অলি।

    সুশীলা কার্কি

    আইনি যাত্রা শুরুর আগে সুশীলা ছিলেন শিক্ষিকা। সেই সময় থেকেই তাঁর একটা সাহসী, দক্ষ ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল। এ যাবৎকাল পর্যন্ত দুর্নীতির কোনও কালি লাগেনি তাঁর গায়ে। প্রত্যাশিতভাবেই জনমানসে জায়গা করে নেন এই প্রতিভাময়ী। ২০০৬ সালের সংবিধান খসড়া কমিটির সদস্য ছিলেন সুশীলা। ২০০৯ সালে তাঁকে নেপালের সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়। পরের বছরই স্থায়ী বিচারপতি পদে নিয়োগ করা হয় সুশীলাকে। ২০১৬ সালে দেশের শীর্ষ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পান সুশীলা। পরে হন স্থায়ী প্রধান বিচারপতি। এই পদে থাকাকালীন বেশ কয়েকটি দুর্নীতি মামলায় কঠোর রায় দিয়েছিলেন সুশীলা। পুলিশে নিয়োগে অনিয়ম, দ্রুত বিচার আদালত প্রতিষ্ঠা (Nepal Unrest) এবং বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল দুর্নীতির মামলায় কড়া রায় দিয়েছিলেন তিনি। এহেন সুশীলার ঘাড়েই বর্তেছে নয়া নেপাল গঠনের কাজের ভার (Sushila Karki)।

    প্রতিনিধি নির্বাচন

    প্রসঙ্গত, বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং দেশে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করতে অনলাইনে ভার্চুয়াল সভা করেন জেন-জি আন্দোলনকারীরা। বৈঠকে স্পষ্ট বলা হয়, জেন জি আন্দোলনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক রাখতে হবে। তাই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করা হবে না। বর্তমানে সুশীলা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং একজন নাগরিক কর্মী হিসেবে তাঁকেই এই ভূমিকার জন্য সব চেয়ে উপযুক্ত বলে মনে করেছে জেন জেড। তার পরেই ঘোষণা করা হয় (Nepal Unrest) তাঁর নাম।

    সুশীলার ভারত-যোগ

    সুশীলার সঙ্গে ভারতের যোগ বেশ পুরানো। তাঁর (Sushila Karki) পড়াশোনা ভারতেই, বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে। এখান থেকেই স্নাতক হয়েছিলেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি এই সময় শিখেছিলেন ভারতীয় নৃত্যও। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়েছিলেন সুশীলা। সেই সময়ের কথা, ভারতীয় বন্ধুদের কথা এবং তাঁর শিক্ষকদের কথা আজও সংরক্ষিত রয়েছে তাঁর মনের মণিকোঠায়। সংবাদ মাধ্যমকে সুশীলা জানান, এ সবের পাশাপাশি বেনারসের গঙ্গা নদীর কথাও তাঁর বেশ মনে পড়ে।

    কী বললেন সুশীলা?

    দীর্ঘদিন ভারতে কাটানোর পাশাপাশি কাশী বিশ্বনাথ ক্ষেত্রে বিচরণ করায় ভারতের প্রতি একটা আলাদা দুর্বলতা রয়েছে সুশীলার। জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কেও ভালো ধারণা রয়েছে তাঁর (Nepal Unrest)। সুশীলা বলেন, “অনেক দিন ধরেই আমরা ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করছি না। তবে আমরা এ নিয়ে কথা বলব। যখন কোনও একটা আন্তর্জাতিক বিষয় হয়, তখন দুই দেশের মধ্যে কিছু লোক এক সঙ্গে বসে একটা নীতি তৈরি করে। আমরাও তা-ই করব।” তিনি (Sushila Karki) জানান, ভারত সব সময়ই নেপালকে সাহায্য করেছে। কিছু ক্ষেত্রে বিরোধ থাকলেও, আগামী দিনে নেপাল আবারও ভারতের সাহায্য পাবে বলে আশাবাদী তিনি। তবে সরকারি ক্ষেত্রে সম্পর্কের বিষয়টি আলাদা বলেও মন্তব্য করেন সুশীলা। বলেন, “অবশ্য আমাদের দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে বরাবরই একটা ভালো সম্পর্ক রয়েছে।”

    এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার থেকেই নেপালে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার কাজ শুরু হবে বলে খবর। যদিও সেখানে বসবাসরত ভারতীয়দের পূর্ণ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সুশীলা। তিনি জানান, এখন দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে সেনা (Sushila Karki)। বিক্ষোভের সময় যে সব পরিবারের সদস্যরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবার যাতে সুবিচার পান, সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান (Nepal Unrest) সুশীলা।

  • Punjab: পাঞ্জাবে তরুণীকে উত্যক্ত করায় দোষী সাব্যস্ত আপ বিধায়ক-সহ ১২জন

    Punjab: পাঞ্জাবে তরুণীকে উত্যক্ত করায় দোষী সাব্যস্ত আপ বিধায়ক-সহ ১২জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক তরুণীকে বিয়ের অনুষ্ঠানে উত্যক্ত ও আক্রমণ করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হল পাঞ্জাবের (Punjab) আম আদমি পার্টির (আপ) বিধায়ক (AAP MLA) মনজিন্দর সিং লালপুর এবং আরও ১১জনকে। বুধবার তরণ তারণ অ্যাডিশনাল সেশনস জজ প্রেম কুমার খাদুর সাহিব তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করেন। মামলাটি ১২ বছর আগের। ১২ সেপ্টেম্বর দোষীদের সাজা ঘোষণা করবে আদালত। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর  পুলিশ মনজিন্দর সিং লালপুরা সহ সকলকে হেফাজতে নিয়েছে। তবে লালপুরার আইনজীবীরা বলেন, “আমাদের আইনি লড়াই চলবে”।

    ভিডিও প্রমাণ-সহ থানায় তরুণী (Punjab)

    মামলাটি দায়ের হয়েছিল ২০১৩ সালের ৩ মার্চ। লালপুরা-সহ দোষীরা তরণ তারণের উস্মা এলাকার গোবিন্দওয়াল রোডের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করেছিলেন। ওই তরুণীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। বাবা এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওই তরুণীও। সেখানে কয়েকজন ট্যাক্সি চালক তাঁকে উত্ত্যক্ত করে। প্রতিবাদ করায় তাঁর পরিবারকে আক্রমণ ও মারধর করা হয়। পুরো ঘটনাটি একজন ফটোগ্রাফার ভিডিও করেছিলেন। পরের দিন ওই তরুণীর পরিবার ভিডিও প্রমাণ-সহ সিটি পুলিশ স্টেশন, তরণ তারণে পৌঁছয়। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। যার জেরে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত নোটিশ গ্রহণ করে এবং ওই তরুণীর বাড়ির সামনে প্যারামিলিটারি ফোর্স মোতায়েন করে সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। পরে সিটি পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের করা হয়। ট্যাক্সি চালক হরবিন্দর সিং শোশি এবং সাহবা বর্তমানে খাদুর সাহিব বিধায়ক মনজিন্দর সিং লালপুরার নামে এফআইআর-ও দায়ের করা হয়। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আটজন পুলিশকর্মীও। তাঁদের মধ্যে একজন হেড কনস্টেবল পরমজিৎ সিংয়ের মৃত্যু হয় বিচার চলাকালীনই (Punjab)।

    কাঠগড়ায় আপের ৫ বিধায়ক

    প্রসঙ্গত, খাদুর সাহিবের বিধায়ক হলেন পাঞ্জাবে আটক হওয়া আপের পঞ্চম বিধায়ক, যাঁকে রাজ্য পুলিশ ও ভিজিল্যান্স ব্যুরো গ্রেফতার করেছে। এর আগে ভিজিল্যান্স ব্যুরো মানসা এমএলএ এবং প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রী বিজয় সিঙ্গলাকে ২০২২ সালের মে মাসে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। বাথিন্দা রুরালের আপ বিধায়ক অমিত রতন কোটফাট্টাকে ২০২৩ সালের (AAP MLA) ২৩ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছিল ভিজিল্যান্স ব্যুরো। গত ২৪ মে ভিজিল্যান্স ব্যুরো জলন্ধর সেন্ট্রালের বিধায়ক রামন অরোরাকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি মামলায়। সনাউরের আপ বিধায়ক হারমীত সিং পথানমজরাও গত ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন ধর্ষণের অভিযোগে। যদিও পরে তিনি পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যান (Punjab)।

  • Nepal Unrest: “আমাদের এখানে মোদির মতো একজন নেতার দরকার”, বলছেন নেপালিরা

    Nepal Unrest: “আমাদের এখানে মোদির মতো একজন নেতার দরকার”, বলছেন নেপালিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের এখানে মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) মতো একটি সরকার দরকার। এখন বলেন্দ্র শাহ আসবেন এবং সব ঠিক হয়ে যাবে।” অশান্তির আগুনে জ্বলতে থাকা নেপালে (Nepal Unrest) দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন স্থানীয় এক তরুণ। তিনি বলেন, “যদি আমাদের এখানে মোদির (PM Modi) মতো একজন নেতা থাকতেন, তবে নেপাল এই অবস্থায় থাকত না। এটি বিশ্বের শীর্ষ দেশ হতো।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে নেপালের জেন জেড-এর এহেন ‘জ্বরে’ যারপরনাই খুশি বিজেপি। ভারতীয় এক সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেপালি তরুণের ওই কথাগুলি ভাইরাল হয়েছে। সেটাকেই হাতিয়ার করেছে পদ্মশিবির।

    দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের জেরে উত্তাল (Nepal Unrest)

    ৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে ভারতের পড়শি দেশ নেপাল। জেন জেড-এর আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। দুর্নীতি, স্বজনপোষণ এবং পদ্ধতিগত ব্যর্থতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন নেপালবাসী। তার জেরেই শুরু হয় আন্দোলন। যুব-নেতৃত্বাধীন সেই বিক্ষোভে সোমবার নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালায় পুলিশ। তার পরেই মারাত্মক আকার ধারণ করে নেপালের পরিস্থিতি। অশান্তির জেরে ভারতের এই পড়শি দেশে নিহত হন কমপক্ষে ১৯ জন। জখম হন ৪০০ জনেরও বেশি। অস্থিরতার মধ্যেই পদত্যাগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকও। এহেন অগ্নগর্ভ পরিস্থিতিতেও নেপালবাসীর মুখে শোনা যায় মোদি-প্রশস্তি।

    বিজেপির কটাক্ষ-বাণ

    বুধবার সেই ভিডিওই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে শেয়ার করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। ওই ভিডিওতেই এক নেপালি তরুণকে বলতে শোনা যায়, দেশে এমন একজন নেতার প্রয়োজন, যিনি দেশকে নেতৃত্ব দেবেন, ঠিক যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন (Nepal Unrest)। সাম্প্রতিক অতীতে বিরোধী দলনেতার বেশ কয়েকটি ভিডিওর জন্য মালব্য বলেন, “কংগ্রেস রাহুল গান্ধীকে জেনারেল জেড “যৌন প্রতীক” হিসেবে উপস্থাপনের জন্য অশ্লীল অর্থ ব্যয় করছে, যেখানে তাঁকে তাঁর পেটের পেশি প্রদর্শন, বাইক চালানো, পুশ-আপ করা বা ঘুরে বেড়ানোর (PM Modi) মতো বোকা বোকা রিল দেখানো হয়েছে।” তিনি বলেন, “কিন্তু বাস্তব ছবিটা হল, ভারতের মতো নেপালেও জেনারেল জেড প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো একজন নেতাকে চান, যাঁর দূরদৃষ্টি, দৃঢ়তা এবং কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে।”  মালব্যর করা (Nepal Unrest) পোস্টে সংবাদমাধ্যম থেকে একটি ভিডিওও শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে একজন নেপালি তরুণকে বলতে শোনা যায়, তাঁদের দেশে মোদির মতো একজন নেতার প্রয়োজন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে যদি এমন সরকার থাকত, তাহলে নেপাল বর্তমানে যেখানে আছে সেখানে থাকত না। নেপাল সামনের সারিতে থাকত।”

    মোদিজির মতো নেতৃত্বের প্রয়োজন

    বিজেপির অন্ধ্রপ্রদেশের সহ-সভাপতি বিষ্ণু বরাধন রেড্ডিও একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেন, “নেপাল থেকে উঠে আসা যুব সমাজের আওয়াজ একটাই স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে – ‘আমাদের মোদিজির মতো নেতৃত্বের প্রয়োজন।’” তিনি আরও বলেন, “এটাই হচ্ছে ১১ বছর ধরে নিবেদিত শাসন ও দূরদর্শী নেতৃত্বের বৈশ্বিক প্রভাব। সবাই চায় এমন একজন নেতা যিনি প্রধানমন্ত্রী শ্রী অ্যাট দ্য রেট নরেন্দ্র মোদিজির মতো (Nepal Unrest)।”

    ভারতের উদ্বেগ

    এদিকে, নেপালে হিংসার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন ভারত সরকার। সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করে কেন্দ্র জানিয়েছে, নেপালের কাঠমাণ্ডু-সহ একাধিক শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে, সেদিকেও আমরা নজর রাখছি। নেপালে যে সব ভারতীয় রয়েছেন (PM Modi), তাঁদের প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। নেপালি প্রশাসনের নির্দেশ মতো চলতে অনুরোধ করা হচ্ছে ভারতীয়দের। ভারতীয়দের নেপাল যাত্রা আপাতত এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র। ভারত-নেপাল সীমান্তে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। ভারতীয়রা যাতে সে দেশে থেকেও কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি।

    ভারতে অশান্তি ছড়াতে পারে দেশ-বিরোধীরা, আশঙ্কা

    নেপালে অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে দেশে অশান্তি ছড়ানোর কৌশল নিতে পারে ভারত বিরোধীরা। সেই বিষয়েও সতর্ক নয়াদিল্লি। কড়া নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির ওপর। তবে নয়াদিল্লি শান্তি এবং স্থিতিশীলতার পক্ষে হলেও, ভারত যে নেপাল ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে কোনও পদক্ষেপ করবে না, সেটা স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তায়ই। প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নেপালের হিংসার ঘটনা হৃদয়বিদারক (Nepal Unrest)।” প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নেপালের স্থিতিশীলতা, উন্নতি এবং শান্তিরক্ষা ভারতের প্রাথমিক গুরুত্ব। আমার নেপালি ভাই-বোনেদের কাছে আবেদন (PM Modi), আপনারা শান্তির পক্ষে থাকুন।” নেপালে যেভাবে একগুচ্ছ তরুণের প্রাণ চলে গিয়েছে, তাতে শোকপ্রকাশও করেন প্রধানমন্ত্রী (Nepal Unrest)।

  • Himanta Biswa Sarma: “আমাদের ভূখণ্ডে কোনও অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেই বের করে দেওয়া হবে”, হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    Himanta Biswa Sarma: “আমাদের ভূখণ্ডে কোনও অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেই বের করে দেওয়া হবে”, হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Infiltrators) ফের একবার কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। বুধবার তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। এর ঠিক আগের দিনই অসম স্টেট ক্যাবিনেট “ইমিগ্র্যান্টস (অসম থেকে বহিষ্কার) অ্যাক্ট, ১৯৫০”-এর আওতায় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিওর (SOP) প্রণয়নের অনুমোদন দেয়। এই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিওর জেলা কমিশনার এবং সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশকে অসম থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার করতে এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে আসতে থাকা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের মোকাবিলা করার নির্দেশ দেবে।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা (Himanta Biswa Sarma)

    এক্স হ্যান্ডেলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা সতর্ক থাকুন! ইমিগ্র্যান্টস (অসম থেকে বহিষ্কার) অ্যাক্ট, ১৯৫০ সম্পূর্ণ কার্যকর রয়েছে এবং আমাদের ভূখণ্ডে কোনও অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেই বের করে দেওয়া হবে।” শর্মা জানান, আরও কড়াকড়ি পদক্ষেপ করা হবে, কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি জানান, যদি কোনও অনুপ্রবেশকারী জিরো লাইনের কাছে বা অবৈধ প্রবেশের ১২ ঘণ্টার মধ্যে ধরা পড়ে, তবে তাকে তৎক্ষণাৎ ফেরত পাঠানো হবে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, সমস্ত শনাক্ত হওয়া অভিবাসীর বায়োমেট্রিক্স বা ডেমোগ্রাফিক ডিটেলস পুশব্যাক করার আগে নিয়ে নিতে হবে।

    মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গুয়াহাটির লোকসেবা ভবনে আয়োজিত রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়। সভাপতিত্ব করেন মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ব শর্মা স্বয়ং (Himanta Biswa Sarma)। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানিক বেঞ্চের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে অসম সরকার ইমিগ্র্যান্টস অ্যাক্ট, ১৯৫০ প্রয়োগ করে বিদেশিদের শনাক্তকরণ ও বিতাড়ন করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন। এই আইন অনুসারে, ডেপুটি কমিশনারকে কেন্দ্রীয় সরকার এই ক্ষমতা দিয়েছে যে, যে কোনও ব্যক্তি যিনি ডেপুটি কমিশনারের মতে বিদেশি বলে বিবেচিত হবে, তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবেন।”

    আইনটি যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভা একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর ঘোষণা করেছে। নতুন এসওপির আওতায়, ডেপুটি কমিশনার সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তার নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য ১০ দিন সময় দেবেন। এই পর্বে শুনানির পরে যদি তিনি নির্ধারণ করেন যে ওই ব্যক্তি একজন বিদেশি, তাহলে তিনি অবিলম্বে তাকে (Illegal Infiltrators) স্বদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেবেন (Himanta Biswa Sarma)।

  • International Literacy Day: ভারতে বিপুল বেড়েছে সাক্ষরতার হার, বলছে সমীক্ষা, লক্ষ্যপূরণ হল কি?

    International Literacy Day: ভারতে বিপুল বেড়েছে সাক্ষরতার হার, বলছে সমীক্ষা, লক্ষ্যপূরণ হল কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৪৭ সালে ভারত (India) স্বাধীন হওয়ার সময় দেশে সাক্ষরতার (International Literacy Day) হার ছিল মাত্রই ১৮.৩ শতাংশ। এঁরা লিখতে এবং পড়তে পারতেন। দেশবাসীকে শিক্ষিত করতে করা হয় একাধিক পদক্ষেপ। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় সাক্ষরতা মিশন, সর্বশিক্ষা অভিযান এবং শিক্ষার অধিকার আইনের মতো কর্মসূচি। এই কর্মসূচিগুলি দেশের লাখ লাখ মানুষের কাছে স্কুল ও প্রাথমিক শিক্ষা পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৬১ সালের মধ্যে ভারতে সাক্ষরতার হার ছুঁয়েছিল ২৮.৩ শতাংশের গণ্ডি। ১৯৮১ সালের জনগণনায় দেখা যায় দেশে স্বাক্ষরতার হার ৪৩.৬ শতাংশ। ২০০০ সালের আশপাশে এই হার হয় ৬৪.৮ শতাংশ। ২০১১ সালের জনগণনায় এই হার আরও বেড়ে হয় ৭৪.০৪ শতাংশ। শ্রম শক্তি সমীক্ষা ২০২৩-২৪ অনুযায়ী, ভারতে সাক্ষরতার হার পৌঁছেছে ৮০.৯ শতাংশে।

    লক্ষ্যপূরণ হয়নি (International Literacy Day)

    যদিও এই সব তথ্য উৎসাহব্যাঞ্জক, তবে এখনও যাত্রা সম্পূর্ণ হয়নি। ভারতে শহরাঞ্চলে সাক্ষরতার হার ৮৮.৯ শতাংশ, কিন্তু গ্রামীণ অঞ্চলে এর হার ৭৭.৫ শতাংশ। একইভাবে, পুরুষদের সাক্ষরতার হার ৮৭.২ শতাংশ হলেও, মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হার ৭৪.৬ শতাংশ। এ থেকে এটা স্পষ্ট যে, শিক্ষার সুযোগের ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য এখনও বর্তমান (International Literacy Day)। তবে কয়েকটি রাজ্যের ছবিটা একেবারেই অন্যরকম। মিজোরামে সাক্ষরতার হার ১০০ শতাংশ, লাক্ষাদ্বীপ ৯৭.৩ শতাংশ, কেরলে ৯৫.৩ শতাংশ, ত্রিপুরায় ৯৩.৭ শতাংশ এবং গোয়ায় ৯৩.৬ শতাংশ। আবার বিহার-সহ কিছু রাজ্য এখনও পিছিয়ে রয়েছে।

    ভারতের লক্ষ্য

    ১৯৪৭ সালে, স্বাধীনতার সময় ভারতে সাক্ষরতার মাত্রা ছিল মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশেরও কম। ২০২৫ সালে এটি চার পঞ্চমাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তবুও প্রয়োজন যাত্রা অব্যাহত রাখার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার। গ্রাম ও শহরের মধ্যে ফারাক কমানো, শিক্ষার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন, এবং যোগ্য শিক্ষকের অভাব মোকাবিলা করাই অতি প্রয়োজনীয়। দেশ যখন আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস, ২০২৫ উদযাপন করছে, তখন এই বার্তাটি স্পষ্ট যে, ভারত (India) অনেক এগিয়ে গিয়েছে, কিন্তু মিশন শেষ হবে না যতক্ষণ না সাক্ষরতা প্রতিটি ঘর, প্রতিটি শিশু এবং দেশের প্রতিটি কোণে পৌঁছে যাচ্ছে, ততক্ষণ (International Literacy Day)।

  • India US Relation: ট্রাম্পের সুর নরম, প্রত্যুত্তর দিলেন মোদিও, বিপাকে পড়েই ভোল বদল আমেরিকার?

    India US Relation: ট্রাম্পের সুর নরম, প্রত্যুত্তর দিলেন মোদিও, বিপাকে পড়েই ভোল বদল আমেরিকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর পর চার দিন ফোন করেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (India US Relation)। সেই ফোন ধরেননি দিল্লিশ্বর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তারপর ফের একবার রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতকে চোখ রাঙিয়ে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপরেও রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যায় ভারত। ট্রাম্পের হুমকিকে ‘বুড়ো আঙুল’ দেখিয়ে চিনে আয়োজিত এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই, ট্রাম্পের উদ্দেশে পুতিন সাফ জানিয়ে দেন, ভারতের সঙ্গে কেউ এধরনের আচরণ করতে পারে না। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখে মার্কিন প্রশাসন। তার ওপর মঙ্গলবার ট্রাম্পকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন চিনা প্রেসিডেন্টও। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব কারণেই ফের ভারতের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    ‘মৈত্রী’র বার্তা মোদির (India US Relation)

    সম্প্রতি একটি পোস্টে নরেন্দ্র মোদিকে ‘প্রিয় বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। ইঙ্গিত দেন, থমকে যাওয়া বাণিজ্য আলোচনায় নয়া গতি আসার। এবার ‘মৈত্রী’র বার্তা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং স্বাভাবিক পার্টনার। আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের বাণিজ্য আলোচনা ভারত-মার্কিন পার্টনারশিপের অসীম সম্ভাবনাকে আনলক করার পথ প্রস্তুত করবে। আমাদের টিম এই আলোচনা দ্রুত সমাপ্ত করার জন্য কাজ করছে।” প্রধানমন্ত্রীর এহেন ট্যুইট-বার্তার ঠিক আগে আগে ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছিলেন, “আমি নিশ্চিত যে আমাদের দুই মহান দেশের সফল সমাপ্তিতে পৌঁছতে কোন সমস্যা হবে না!” তিনি লিখেছেন, আমি আশা করি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলব। ট্রাম্পের এই বার্তার পর প্রধানমন্ত্রীও জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে শীঘ্রই কথা বলার প্রত্যাশা করছেন। তিনি লেখেন, “আমরা এক সঙ্গে কাজ করব যাতে আমাদের উভয় দেশের মানুষের জন্য উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত নিশ্চিত করা যায়।”

    প্রমাদ গোণে ট্রাম্প প্রশাসন

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। করা হয় জরিমানাও। ট্রাম্প ভারতকে ‘মৃত অর্থনীতি’ উল্লেখ করেন। তাঁর সহকর্মীরা ভারতকে ‘ক্রেমলিনের লন্ড্রোম্যাট’ আখ্যা দেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘মোদির যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এর আগে ট্রাম্প নিজেই অভিযোগ করেছিলেন, ওয়াশিংটন ভারতকে হারিয়েছে সব চেয়ে অন্ধকার চিনের কাছে। চিনে আয়োজিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের একই মেরুতে জিনপিং-মোদি-পুতিনকে দেখে (PM Modi) প্রমাদ গোণে ট্রাম্প প্রশাসন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে (India US Relation), তার পরেই সুর নরম করতে শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সপ্তাহের শেষের দিকে তিনি তাঁর সুর নরম করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে “বিশেষ” বলে উল্লেখ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী পাল্টা বলেন, “আমি ট্রাম্পের ইতিবাচক মনোভাব সার্বিকভাবে মূল্যায়ন এবং সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাবর্তন করছি।” মার্কিন অর্থমন্ত্রকের সচিব স্কট বেসেন্ট, যিনি রাশিয়া থেকে তেল কেনায় ভারতকে কঠোর আক্রমণ করেছিলেন, তিনিও ‘টোন ডাউন’ করে বলেন, “আমি মনে করি দিনের শেষে, দুটি মহান দেশ এই সমস্যার সমাধান করবে।”

    ভোল বদলের কারণ

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই ভোল বদলের একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, আমেরিকা বরাবর চায়, ভারত-চিন উত্তেজনা চিরকাল বজায় থাকুক। সেই চিনকে যখন রাশিয়া এবং ভারতের সঙ্গে এক সারিতে দেখল ট্রাম্প প্রশাসন, তখন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড় মার্কিন প্রেসিডেন্টের। কারণ, ভারত, রাশিয়া ও চিন একত্রে বিশ্ব জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ এবং বিশ্ব জিডিপির প্রায় এক তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের (India US Relation) সম্মিলিত বাণিজ্য ও সামরিক শক্তি আমেরিকার সমকক্ষ, কিছু ক্ষেত্রে তার চেয়েও এগিয়ে। ‘মিস্টার প্রেসিডেন্টে’র এই ‘টোন ডাউনে’র পেছনে খানিকটা হলেও এই ভয় কাজ করেছিল যে, যদি ওয়াশিংটন শুল্ক বাড়িয়ে দেয় (PM Modi) এবং চাপ বাড়িয়ে চলে, তাহলে ভারত-রাশিয়া-চিন এক মেরুতে চলে আসবে। আর যদি তা হয়, তাহলে তা হবে আমেরিকার কাছে হুমকি স্বরূপ।

    মোদির অটল মনোভাব

    রাজনৈতিক মহলের মতে, মোদির অটল এবং একই সঙ্গে কঠোর মনোভাবও ট্রাম্পকে বাধ্য করেছে সুর নরম করতে। কারণ, ট্রাম্প যখন ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক এবং জরিমানা আরোপ করেন, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, “ভারত কখনওই তার কৃষক, পশুপালক এবং নাগরিকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না। ব্যক্তিগতভাবে আমায় বড় মূল্য দিতে হতে পারে, যদিও আমি তার জন্য প্রস্তুত।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও ট্রাম্পের নাম না নিয়ে বলেছিলেন (PM Modi), “কিছু মানুষ ভারতের উন্নয়ন সহ্য করতে পারছে না। তারা মনে করে তারা সবার বস। তাই তারা কীভাবে ভারতের এত দ্রুত উন্নয়ন মেনে নেবে (India US Relation)?”

  • Vice President: উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণন, গোহারা বিরোধীরা

    Vice President: উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণন, গোহারা বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের উত্তরসূরি হচ্ছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন (Vice President)। তিনি এনডিএর প্রার্থী হিসেবে উপ-রাষ্ট্রপতি পদে বসবেন। মঙ্গলবার অনায়াসে জয়ী হন বছর আটষট্টির রাধাকৃষ্ণন (CP Radhakrishnan)। ৪৫২টি প্রথম পছন্দের ভোট পেয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থী তথা সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বি সুধেরশন রেড্ডিকে ৩০০টি প্রথম পছন্দের ভোটে হারিয়ে দেন।

    গোহারা বিরোধীরা (Vice President)

    মোট ভোট পড়েছিল ৭৫৪টি। তার মধ্যে ১৫টি অবৈধ বলে গণ্য হয়। বৈধ ভোটের মধ্যে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার পিভি মোদি জানান, রাধাকৃষ্ণন পেয়েছেন ৪৫২টি প্রথম পছন্দের ভোট, বিচারপতি রেড্ডি পেয়েছেন ৩০০টি। তবে ১৫০ ভোটের ব্যবধানটি উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মধ্যে অন্যতম কম ব্যবধান। ২০২২ সালে জগদীপ ধনখড় প্রতিপক্ষের প্রার্থী মার্গারেট আলভার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি ৫২৮ ভোট পেয়েছিলেন, যেখানে মার্গারেট আলভা পেয়েছিলেন ১৮২টি ভোট।

    ক্রস-ভোটিং

    প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা থেকে এটাও স্পষ্ট যে ক্রস-ভোটিং হয়েছে। অনুমান, বিরোধী দলের অন্তত ১৫ জন সাংসদ এনডিএ প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। যদিও কংগ্রেসের দাবি, ৩১৫ জন বিরোধী সাংসদ একজোট ছিলেন (Vice President)। এনডিএর ভোট সংখ্যা ছিল ৪২৭। এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করেছিলেন ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ১১ জন সাংসদ। সুতরাং এনডিএর মোট ভোট হওয়া উচিত ছিল ৪৩৮। কিন্তু রাধাকৃষ্ণন পেয়েছেন ৪৫২ ভোট। অর্থাৎ ১৪টি বেশি ভোট। ১৫টি ভোট বাতিল হওয়ায় বিরোধী পক্ষের ভোট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেসের দাবি, তাদের ছিল ৩১৫ ভোট। যদিও বিরোধী প্রার্থী রেড্ডি পেয়েছেন মাত্র ৩০০ ভোট।

    বিজেপির কটাক্ষ-বাণ

    এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির নিশিকান্ত দুবে লেখেন, “কোন ১৫ জন লোক পালিয়ে গিয়ে আমাদের জন্য ভোট দিলেন?” তিনি লিখেছেন, “আপনাদের নেতারা এবং সাধারণ মানুষও আপনাদের থেকে পালিয়ে গিয়েছে… তাছাড়া রাহুল গান্ধীজি, উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সত্যিই ব্যালট পেপারে হয়েছে, ইলেকট্রনিক মাধ্যমে নয়।” এক্স হ্যান্ডেলে নয়া উপরাষ্ট্রপতিকে (CP Radhakrishnan) অভিনন্দন জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি লিখেছেন, “আমরা আশা করি নতুন উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ব্যক্তি সংসদীয় ঐতিহ্যের সর্বোচ্চ নীতিমালা অক্ষুণ্ণ রাখবেন, বিরোধীদের সমান জায়গা ও মর্যাদা নিশ্চিত করবেন এবং শাসক দলের চাপে আঘাতপ্রাপ্ত হবেন না।” তিনি আরও লিখেছেন, “উপ-রাষ্ট্রপতি, যা সাংবিধানিকভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ, তাঁকে স্বাধীনতা, ন্যায়পরায়ণতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে (Vice President)।”

LinkedIn
Share