Author: pranabjyoti

  • Union Budget 2025: এবারের বাজেটে চার শ্রেণিকে গুরুত্ব দিলেন নির্মলা, কী কী ঘোষণা করলেন?

    Union Budget 2025: এবারের বাজেটে চার শ্রেণিকে গুরুত্ব দিলেন নির্মলা, কী কী ঘোষণা করলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা রাখলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। শনিবার বাজেট পেশের শুরুতেই তিনি বলেছিলেন, “সবার উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। বিশ্বে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি (Union Budget 2025)।” তিনি এও বলেছিলেন, “বাজেটে মধ্যবিত্তদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। গরিব, যুব, কৃষক, মহিলাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ৭০ শতাংশ মহিলা যাতে আর্থিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সেদিকেও নজর দেওয়া হবে।” কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘আমরা আগামী ৫ বছরকে ‘সবকা বিকাশ’ বাস্তবায়নের একটি অনন্য সুযোগ হিসেবে দেখি, যা সমস্ত অঞ্চলের সমতামূলক প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করবে।’’

    নারীদের জন্য প্রকল্প (Union Budget 2025)

    নারী ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের উদ্যোক্তাদের জন্য নয়া প্রকল্প চালু করা হবে বলেও এদিন বাজেটে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, সরকার নিবন্ধিত ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলির জন্য ৫ লাখ টাকার সীমাযুক্ত কাস্টমাইজড ক্রেডিট কার্ড চালু করবে। তিনি বলেন, ‘‘ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ বাড়ানোর জন্য, ক্রেডিট গ্যারান্টি কভার বাড়ানো হবে। ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগগুলির জন্য এটি ৫ কোটি টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা করা হবে, যার ফলে আগামী ৫ বছরে অতিরিক্ত ১.৫ লাখ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হবে। স্টার্টআপগুলির ক্ষেত্রে, এটি ১০ কোটি টাকা থেকে ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।’’

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’

    নির্মলা বলেন, ‘‘২৭টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ঋণের জন্য গ্যারান্টি ফি ১% নির্ধারণ করা হবে, যা ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভালোভাবে পরিচালিত রপ্তানিকারক এমএসএমই-গুলির জন্য, মেয়াদি ঋণের সীমা ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হবে। এছাড়াও, ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলির জন্য, উদ্যম পোর্টালে নিবন্ধিত উদ্যোগগুলির জন্য ৫ লাখ টাকার সীমাযুক্ত কাস্টমাইজড ক্রেডিট কার্ড চালু করা হবে।’’ নয়া কর ব্যবস্থায় ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের জন্য কোনও কর দিতে (Union Budget 2025) হবে না। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বেতনভোগীদের বছরে ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ে করের পরিমাণ শূন্য রাখা হয়েছে। টিডিএস ও টিসিএস সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে সম্মতি সংক্রান্ত বোঝা হ্রাস পেয়েছে। রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্য জিডিপির ৪.৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ২০২৫ অর্থবর্ষের ৪.৮ শতাংশ থেকে কমানো হয়েছে। বাজার থেকে ঋণ গ্রহণ নির্ধারণ করা হয়েছে ১১.৫৪ লাখ কোটি টাকা। মোট ঋণ গ্রহণের পরিমাণ ১৪.৮২ লাখ কোটি টাকা।’’

    ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’

    কৃষিক্ষেত্রে চালু হচ্ছে ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, এই যোজনায় উপকৃত হবেন দেশের মোট ১০০টি জেলার ১.৭ কোটি কৃষক। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলে ওই জেলাগুলিতে কৃষি উন্নয়নে কাজ করবে কেন্দ্র। তিনি জানান, যেসব জেলায় উৎপাদনের হার কম, সেরকমই ১০০টি জেলাকে চিহ্নিত করা হবে। ওই জেলাগুলির পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে আলাদা আালাদা ফসল চিহ্নিত করা হবে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ (Nirmala Sitharaman) দেওয়া হবে। ব্যবস্থা করা হবে উৎপাদিত ফসল বিক্রির। প্রক্রিয়াকরণও হবে ওই জেলাগুলিতে।

    ডালজাতীয় শস্যে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা

    ভোজ্য তেল এবং ডালজাতীয় শস্যে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বিহারে তৈরি হবে মাখনা বোর্ড। কিষান ক্রেডিট কার্ডে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করা (Union Budget 2025) হবে বলেও বাজেটে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আগে এই ঋণের পরিমাণ ছিল তিন লাখ টাকা। সেটাই এবার বাড়িয়ে করা হবে পাঁচ লাখ। তুলো উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৫ বছরের বিশেষ পরিকল্পনাও নিয়েছে কেন্দ্র। কৃষকদের জন্য ইউরিয়া প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে।

    ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ঋণ

    ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ঋণ গ্যারান্টির সীমা বৃদ্ধি করে করা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। গভীর প্রযুক্তি ও উৎপাদন খাতে স্টার্টআপের জন্য চালু করা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল। এমএসএমই ক্রেডিট কার্ড চালু করা হয়েছে। এটির সাহায্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের সুবিধা পাবেন। প্রথমবারের মতো উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেওয়া হবে। এখানে নারী ও তফশিলি জাতি ও উপজাতির লোকজন ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। রাজ্যগুলির জন্য মূলধনী প্রকল্পে ১.৫ লাখ কোটি টাকা সুদমুক্ত ঋণ বরাদ্দ করা (Union Budget 2025) হয়েছে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী?

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, সব এমএসএমইর শ্রেণিবিন্যাসের জন্য বিনিয়োগ ও টার্নওভার যথাক্রমে ২.৫ গুণ ও ২ গুণ বাড়ানো হবে (Union Budget 2025)। এটি তাদের বৃদ্ধি পেতে ও আমাদের যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। ৮ কোটি শিশু ও মহিলাকে পুষ্টিগত সহায়তা দিতে “সক্ষম আঙ্গনওয়াড়ি এবং পোষণ ২.০” কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)।

  • Union Budget 2025: কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’ ঘোষণা নির্মলার

    Union Budget 2025: কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’ ঘোষণা নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেটে (Union Budget 2025) যে কৃষি, মহিলা এবং যুবসমাজকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে, শনিবার বাজেট ভাষণের শুরুতেই সে কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। বাজেট ভাষণের শুরুটাও তিনি করলেন কৃষিক্ষেত্র দিয়েই। কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে ঘোষণা করলেন ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’।

    নির্মলার ঘোষণা (Union Budget 2025)

    নির্মলা জানান, এই যোজনায় উপকৃত হবেন দেশের মোট ১০০টি জেলার ১.৭ কোটি কৃষক। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলে ওই জেলাগুলিতে কৃষি উন্নয়নে কাজ করবে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, যেসব জেলায় উৎপাদনের হার কম, সেরকমই ১০০টি জেলাকে চিহ্নিত করা হবে। ওই জেলাগুলির পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে আলাদা আালাদা ফসল চিহ্নিত করা হবে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ব্যবস্থা করা হবে উৎপাদিত ফসল বিক্রির। প্রক্রিয়াকরণও হবে ওই জেলাগুলিতে। নির্মলার দাবি, এই প্রকল্পে বদলে যাবে ১.৭ কোটি কৃষকের জীবন।

    ডালজাতীয় শস্যে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা

    ভোজ্য তেল এবং ডালজাতীয় শস্যে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বিহারে তৈরি হবে মাখনা বোর্ড। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফুড টেকনোলজিও তৈরি হবে বিহারে। কিষান ক্রেডিট কার্ডে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করা (Union Budget 2025) হবে বলেও বাজেটে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আগে এই ঋণের পরিমাণ ছিল তিন লাখ। সেটাই বাড়িয়ে করা হবে পাঁচ লাখ। তুলো উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৫ বছরের বিশেষ পরিকল্পনাও নিয়েছে কেন্দ্র। কৃষকদের জন্য ইউরিয়া প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। কৃষকরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন বলেও জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

    বাজেট পেশের শুরুতেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) বলেন, “সবার উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। বিশ্বে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি।” এর পরেই তিনি  বলেন, “বাজেটে মধ্যবিত্তদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। কৃষক, নারী, ক্ষুদ্রশিল্পে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ৭০ শতাংশ মহিলা যাতে আর্থিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সেদিকেও নজর দেওয়া হবে । আমাদের কাছে আগামী পাঁচ বছর উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে (Union Budget 2025)।”

  • Indian Railways: কারগিল যুদ্ধের শহিদকে শ্রদ্ধা ভারতীয় রেলের, আস্ত লোকোমোটিভ উৎসর্গ

    Indian Railways: কারগিল যুদ্ধের শহিদকে শ্রদ্ধা ভারতীয় রেলের, আস্ত লোকোমোটিভ উৎসর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাবীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ারের সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। তাঁর স্মৃতিতে একটি ডব্লুএজি-৯ এইচসি লোকোমোটিভ উৎসর্গ করল তারা। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি হয় তামিলনাড়ুর আরাক্কোনামের ইলেকট্রিক লোকো শেডে। ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের (Kargil War Hero) এই বীর শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হল এই অনুষ্ঠান।

    কারগিল যুদ্ধের নায়ক

    ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ার কারগিল যুদ্ধে অসম সাহস দেখিয়ে আত্মত্যাগ করেন। তাঁর বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে মরণোত্তর মহাবীর চক্র দেওয়া হয়। এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান। এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় রেল জানিয়েছে, “বীরত্ব অমর! ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধে মহাবীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ারের অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগকে স্মরণ করে, ভারতীয় রেলওয়ে গর্বের সঙ্গে তাঁর স্মৃতিতে ডব্লুএজি-৯ এইচসি লোকোমোটিভ উৎসর্গ করেছে আরাক্কোনামের ইলেকট্রিক লোকো শেডে।”

    নায়ারের গুরু দায়িত্ব

    ১৯৭৫ সালের ২৮ অগাস্ট দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন নায়ার। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু ডিপিএস মথুরা রোডে। তারপর চলে যান ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে। পরে যোগ দেন ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি, দেরাদুনে। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৭ জাঠ রেজিমেন্টে কমিশনপ্রাপ্ত হন। অপারেশন বিজয়ের সময়, ক্যাপ্টেন নায়ার মুশকোহ উপত্যকায় পয়েন্ট ৪৮৭৫ পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর ইউনিটকে শত্রুর ভারী গোলাগুলির মধ্যে খাড়া, কঠিন ভূখণ্ডে শত্রুর বাঙ্কার ধ্বংসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল (Indian Railways)। ৬ জুলাই ১৯৯৯ সালে, যখন তাঁর দল অগ্রসর হচ্ছিল, তখন পাকিস্তানি সেনারা সুরক্ষিত অবস্থান থেকে প্রবল গোলাবর্ষণ শুরু করে।

    তীব্র গোলাবর্ষণের মধ্যেও ক্যাপ্টেন নায়ার তাঁর সৈন্যদের নেতৃত্ব দেন। ধ্বংস করেন চারটি শত্রু বাঙ্কার। নিকেশ করেন বহু শত্রু সেনাকে। ভয়ঙ্কর গোলাবর্ষণের মধ্যেও তিনি অবিচলভাবে এগিয়ে যান। নিশ্চিত করেন মিশনের সাফল্য। পরে শত্রুর একটি আরপিজি শেলের আঘাতে শহিদ হন তিনি। সেনা সূত্রে খবর, শহিদ হওয়ার আগে তিনি ন’জন শত্রু সেনাকে খতম করেন (Kargil War Hero)। শত্রু সেনার তিনটি মাঝারি মেশিনগানের অবস্থানও ধ্বংস করে দেন এই অসম সাহসী বীর (Indian Railways)।

  • Justin Trudeau: মুখ পুড়ল ট্রুডোর! নিজ্জর হত্যায় ভারত-যোগের প্রমাণ নেই, বলছে কানাডার রিপোর্টই

    Justin Trudeau: মুখ পুড়ল ট্রুডোর! নিজ্জর হত্যায় ভারত-যোগের প্রমাণ নেই, বলছে কানাডার রিপোর্টই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ ছাড়াই নিজ্জর খুনে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। এবার নিজের দেশের রিপোর্টেই জানা গেল ট্রুডোর দাবি ভিত্তিহীন। স্বাভাবিকভাবেই মুখ পুড়ল কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রীর। কানাডার রিপোর্টেই সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিজ্জর হত্যায় (Nijjars Killing) কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের যোগের নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।

    নিজ্জর খুনে কানাডার অভিযোগ (Justin Trudeau)

    ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার সারেতে একটি গুরুদ্বারের বাইরে খুন হন খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং পুরী নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন ট্রুডো। কেবল দাবি করাই নয়, কানাডার সংসদেও এমন দাবি করেছিলেন তিনি। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করেছিল ভারত। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, নিজ্জর খুনে ভারতের কোনও হাত নেই। এবার কানাডা কমিশনের নয়া রিপোর্টেও জানিয়ে দেওয়া হল, খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুনে ভারতের হাতই নেই। মঙ্গলবার ‘পাবলিক ইনকোয়ারি ইনটু ফরেন ইন্টারফেয়ারেন্স ইন ফেডারেল ইলেক্টোরাল প্রসেসেস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউশনস’ শীর্ষক রিপোর্টেই এ কথা জানানো হয়েছে।

    ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি

    খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুনের জেরে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ছ’জন ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা। পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারতও বহিষ্কার করে কানাডার ছ’জন কূটনীতিককে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের জেরে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারত-কানাডার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। পরবর্তীকালে দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। ১২৩ পাতার ওই রিপোর্টে কমিশনার মেরি জোসি হোগ বলেন (Justin Trudeau), “বিভ্রান্তিমূলক তথ্যকে এখানে একটি প্রতিশোধমূলক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থী সিদ্ধান্তগুলির জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।” অর্থাৎ ভারতের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে কমিশনের রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় সন্দেহভাজন ভারতীয় জড়িত থাকার বিষয়ে কানাডার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পরে পাল্টা ভারতের তরফে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করা হয়েছে। তবে রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে বিদেশের যোগ নেই (Nijjars Killing)।

    কী বলছে কমিশনের রিপোর্ট

    জানা গিয়েছে, কানাডার নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং সে দেশের গণতান্ত্রিক সংগঠনগুলির ওপর বিদেশিদের হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত করছিল ওই কমিশন। সেই কমিশনের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, নিজ্জর খুনে কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অথচ কানাডার প্রধানমন্ত্রী ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলার পরে পরেই গত মে মাসে নিজ্জর খুনের অভিযোগে চারজন ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে গ্রেফতার করে কানাডা পুলিশ। চলতি মাসেই জামিন পান তাঁরা। এঁরা হলেন করণ ব্রার, আমনদীপ সিং, কমলপ্রীত সিং এবং করণপ্রীত সিং। অবশ্য জামিন মিললেও, জেলমুক্তি হয়নি তাঁদের। জানা গিয়েছে, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বন্দিদশা ঘুঁচবে না ওই চার অভিযুক্তের (Justin Trudeau)। ঘরে-বাইরে অসন্তোষের জেরে ইতিমধ্যেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ট্রুডো। তবে এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এমতাবস্থায় প্রকাশ্যে এল কমিশনের রিপোর্ট। যে রিপোর্টের জেরে আদতে মুখ পুড়ল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর।

    উপযুক্ত জবাব দিয়েছিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক

    গত অক্টোবরেই কানাডা সরকার অভিযোগ করেছিল, বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে খুনের ঘটনায় ভারত জড়িত। কিন্তু বুধবার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, এই বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। আছে কেবল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত কিছু ধারণা। সেই সব সম্ভাবনার কথা ভারতকে জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন ট্রুডো। ট্রুডোর ওই স্বীকারোক্তির পরে পরেই বিবৃতি দেয় বিদেশমন্ত্রক। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তোপ (Nijjars Killing) দেগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্ত্রক জানায়, তারা যা বলে আসছিল, তা-ই অবশেষে সত্যি হল (Justin Trudeau)। সেই সময় বিদেশমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল (Justin Trudeau), অভিযোগের প্রেক্ষিতে কানাডা আমাদের কাছে কোনও প্রমাণ দেয়নি। তার পরেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর রুক্ষ আচরণের নিন্দা করে নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়, ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে প্রভাব পড়েছে, তার দায় কেবল ট্রুডোর।

    নিজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা

    ২০২০ সালে খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করে ভারত। এর ঠিক তিন বছর পর খুন হন খালিস্তানপন্থী ওই নেতা। তার পরেই ভারতকে কাঠগড়ায় তোলেন ট্রুডো স্বয়ং। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এহেন অভিযোগের ভিত্তিতে দলের মধ্যেই সমালোচনার শিকার হন ট্রুডো। তিনি যতই ভারতকে নিশানা করেছেন, ততই তাঁর দলের মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়েছে বিদ্রোহ। যার জেরে তাঁকে সরতে হয় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। চলতি বছরের শেষের দিকে কানাডায় সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচনে ট্রুডোকে সামনে রেখে লড়তে রাজি নয় তাঁর দল। সেটাও ট্রুডোকে সরিয়ে দেওয়ার একটা বড় কারণ। এমতাবস্থায় ট্রুডোর মুখোশ খুলে দিল তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট (Nijjars Killing)।

    এর পর ফের প্রার্থী হলে আদৌ জিততে পারবেন তো কানাডার প্রধানমন্ত্রী (Justin Trudeau)?

  • Mahakumbh 2025: কুম্ভমেলার ভূয়সী প্রশংসা ব্রিটিশ স্নায়ুবিজ্ঞানীর মুখে, কী বললেন জানেন?

    Mahakumbh 2025: কুম্ভমেলার ভূয়সী প্রশংসা ব্রিটিশ স্নায়ুবিজ্ঞানীর মুখে, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভ মেলা (Mahakumbh 2025)। এই মহা মিলন মেলায় শামিল হয়েছেন দেশ-বিদেশের বহু পুণ্যার্থী। বিশ্বের এই বৃহত্তম মেলায় এসেছেন লন্ডনের বিখ্যাত স্নায়ুবিজ্ঞানী ইটিয়েল ড্রর। লন্ডন থেকে তিনি এসেছেন কুম্ভমেলা দর্শনে। তিনি জানান, তাঁর মহাকুম্ভ মেলা সফর কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব প্রত্যক্ষ করার (Indias Heritage) জন্য নয়, বরং এই মহৎ সমাবেশের অন্তর্নিহিত আবেগ ও আধ্যাত্মিক শক্তি উপলব্ধি করার একটি চেষ্টাও।

     

    মহাকুম্ভে ব্যাপক ভিড় (Mahakumbh 2025)

     

    গত ১২ জানুয়ারি প্রয়াগরাজের গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতি ১২ বছর অন্তর হয় পূর্ণকুম্ভ। ১২টি পূর্ণকুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। এ বছর যে মহাকুম্ভের যোগ এসেছে, তা আসবে ফের ১৪৪ বছর পরে। যেহেতু এবার মহাকুম্ভ, তাই প্রয়াগরাজে ব্যাপক ভিড় হবে বলে আশা উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই প্রায় ২০ কোটি মানুষ এই ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান করেছেন। উদ্যোক্তাদের আশা, এবার অন্তত ৪০ কোটি মানুষ ডুব দেবেন প্রয়াগরাজের এই সঙ্গমে। কেবল পুণ্যার্থীরা নন, এবার কুম্ভমেলা দর্শনে এসেছেন বহু অনুসন্ধিৎসু মানুষও। এবার এই মহোৎসবটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে, কারণ এটি এমন একটি জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক যোগের সঙ্গে মিলে গেছে, যা প্রতি ১৪৪ বছরে একবার ঘটে। এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনাটি বিজ্ঞানী, আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানী এবং পর্যটক-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষকে প্রয়াগরাজে টেনে এনেছে। এঁদের মধ্যেই (Mahakumbh 2025) একজন স্নায়ুবিজ্ঞানী ইটিয়েল ড্রর।

     

    ভারতীয় চায়ের প্রশংসা

     

    ড্ররের ভারত-মুগ্ধতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল ঢের আগেই। যখন তিনি দেশের সবচেয়ে আইকনিক পানীয় — চা সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ভারতীয় চা সেরা।” তিনি এও বলেছিলেন, “বৈচিত্র্যময় এবং সমৃদ্ধ চা সংস্কৃতির জন্যই ভারত পরিচিত। ভারত চায়ের একটি দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য ধারণ করে। এই চা মেলে শহরের ব্যস্ত বাজারে কিংবা সাধারণ মানুষের বাড়িতে।” মহাকুম্ভ মেলার আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন ড্রর। তিনি একে “অদ্ভুত” বলে বর্ণনা করেছেন। মেলা আয়োজনের নিখুঁত পরিকল্পনা এবং মানুষের শক্তির প্রতি তাঁর বিস্ময়ও প্রকাশ করেছেন। অমৃত কুম্ভের সন্ধানে এসে তিনি বলেন, “এখানে তরুণরা তাদের সাংস্কৃতিক শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত এবং পূর্ণ শক্তিতে ভরপুর, যা প্রমাণ করে যে, আধুনিকতার মুখেও ভারতীয় যুবকরা তাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রাখে।” তাঁর কথা থেকে এটা স্পষ্ট যে, মহাকুম্ভ কেবল একটি ধর্মীয় সমাবেশ (Indias Heritage) নয়, বরং ভারতের সমৃদ্ধ এবং চিরস্থায়ী সংস্কৃতির একটি প্রতীক।

     

    ব্রিটিশরা ভারতীয়দের ওপর অত্যাচার করেছিল

     

    ড্ররের প্রশংসা ভারতীয় (Mahakumbh 2025) বর্তমান সময়ের প্রাণচাঞ্চল্যতার ওপরই থেমে থাকেনি। তিনি মন্তব্য করেছেন ইতিহাসের অন্ধকারময় দিকটি নিয়েও। এই অন্ধকারময় দিকটি হল প্রায় দুশো বছরের ব্রিটিশ শাসন। তিনি বলেন, “ঔপনিবেশিক সময়ে ব্রিটিশরা ভারতীয়দের ওপর অত্যাচার করেছিল।” ভারতীয় উপনিবেশে ব্রিটিশ শাসনের শোষণমূলক প্রকৃতিকেও স্বীকার করেন তিনি। ড্রর কবুল করেন, “উপনিবেশকালের সময় ভারতের ধনসম্পদ লুঠ করা হয়েছিল। যে পরিকাঠামো নির্মিত হয়েছিল, তা মূলত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের লাভের জন্য সম্পদ আহরণের উদ্দেশ্যে।” একটি বিবৃতিতে তিনি ব্রিটিশদের নির্মিত কুখ্যাত ট্রেনগুলির কথারও উল্লেখ করেন। এই ট্রেনগুলি কেবল পরিবহণের জন্য ব্যবহৃত হত না, বরং ভারতীয় সম্পদ এবং ধনসম্পদ বহন করার জন্য নির্মিত হয়েছিল। ব্রিটেনের ভারতীয়দের ওপর ঐতিহাসিক শোষণের এই সৎ স্বীকারোক্তি বহু ভারতীয়দের হৃদয়ে গভীরভাবে প্রতিধ্বনিত হয়েছিল, যাঁরা দীর্ঘকাল ধরে ঔপনিবেশিক আঘাতগুলি স্মরণ করে আসছেন। এই সময়ের প্রতি ড্ররের সততা, ভারত সম্পর্কে তাঁর প্রশংসায় একটি বিশেষ মাত্রা যোগ করে।

     

    ভারতীয় সমাজের আত্মিক বন্ধন

     

    ভারতীয় সমাজের (Mahakumbh 2025) আত্মিক বন্ধনের কথাও স্বীকার করেছেন ড্রর। ভারতজুড়ে বহু মানুষের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন এই খ্যাতনামা স্নায়ুবিজ্ঞানী। তিনি জানান, ৬০-৭০টিরও বেশি দেশ ভ্রমণ করার পরেও, তিনি ভারতের মানুষের সঙ্গে এক বিশেষ সম্পর্ক অনুভব করেছেন। তাঁর কথায় ধরা পড়েছে ভারতীয়দের আতিথেয়তা, উষ্ণতা এবং দৃঢ়তার কথা। তিনি বলেন, “ওঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমি খুব ভালো অনুভব করেছি।”

    ড্রর মহাকুম্ভের আয়োজনেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, এটি দেশের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং উদযাপনের প্রতি প্রতিশ্রুতির একটি প্রমাণ। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসাও করেছেন (Indias Heritage)। তাঁদের নেতৃত্বের প্রতি তার অন্তরের শ্রদ্ধাও জানিয়েছেন এই স্নায়ুবিজ্ঞানী (Mahakumbh 2025)।

  • RSS: আরএসএস-ই মহাত্মা গান্ধীর যথার্থ উত্তরসূরি!

    RSS: আরএসএস-ই মহাত্মা গান্ধীর যথার্থ উত্তরসূরি!

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: আরএসএসের (RSS) নাম শুনলেই যাঁরা নাক সিঁটকান, তাঁরা জেনে রাখুন আরএসএস-ই মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) যথার্থ উত্তরসূরি! কারণ মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর আদর্শ ধরে রেখেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, যাঁরা আরএসএস নামেই পরিচিত।

    মহাত্মা গান্ধী (RSS)

    মহাত্মা গান্ধী ছিলেন একনিষ্ঠ হিন্দু। হিন্দু ধর্ম, গো-সুরক্ষা, স্বদেশি ও অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ সম্পর্কে তাঁর ভাবনাগুলি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে আরএসএস। প্রকৃতপক্ষে, মহাত্মা গান্ধী ছিলেন সংঘের অন্যতম বড় প্রশংসক। ১৯৩৪ সালে গান্ধী মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধায় একটি আরএসএস প্রশিক্ষণ শিবির পরিদর্শন করেছিলেন। এটি দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন। কারণ এই প্রশিক্ষণ শিবিরে সব বর্ণের যুবক ও বালকরা একসঙ্গে অবস্থান করছিল। তারা একই ছাদের নীচে খাচ্ছিল। সহ-স্বয়ংসেবকদের জাতি নিয়ে কোনও ভেদাভেদ ছিল না।

    গান্ধীর বক্তব্য

    স্বাধীনতার এক মাস পর, ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালে, দিল্লিতে এক ভাষণে আরএসএস কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গান্ধী স্মরণ করেছিলেন, “আমি বছর কয়েক আগে আরএসএস (RSS) শিবিরে গিয়েছিলাম। যখন প্রতিষ্ঠাতা শ্রীর (কেশব বালিরাম) হেডগেওয়ার উপস্থিত ছিলেন। তোমাদের শৃঙ্খলা, অস্পৃশ্যতার সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি এবং কঠোর সরলতা আমাকে গভীরভাবে মুগ্ধ করেছিল।” তিনি বলেছিলেন, “তখন থেকে সংঘ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে যে কোনও সংগঠন, যা সেবার উচ্চ আদর্শ এবং আত্মত্যাগ দ্বারা অনুপ্রাণিত, তা অবশ্যই শক্তিশালী হয়ে উঠবে (Mahatma Gandhi)।”

    হেডগেওয়ারের বক্তব্য

    ১৯৩৯ সালে পুণেতে সংঘ শিক্ষা বর্গ (আরএসএসের প্রশিক্ষণ শিবির) পরিদর্শন করেছিলেন ভারতীয় সংবিধানের জনক ভীমরাও অম্বেডকরও। তিনি যখন আরএসএসের (RSS) প্রতিষ্ঠাতা ডঃ কে বি হেডগেওয়ারকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে শিবিরে কোনও অস্পৃশ্য ব্যক্তি রয়েছেন কিনা। তখন আরএসএস প্রতিষ্ঠাতা উত্তর দিয়েছিলেন যে এখানে স্পৃশ্য বা অস্পৃশ্য কেউ নেই, কেবল হিন্দুরাই রয়েছেন। অম্বেডকর বলেছিলেন, “আমি আশ্চর্য হয়েছি দেখে যে স্বয়ংসেবকরা সম্পূর্ণ সমতা ও ভ্রাতৃত্বের সঙ্গে চলাফেরা করছে। তারা এমনকি একে অন্যের জাতপাত সম্পর্কে জানার প্রয়োজনও অনুভব করছে না।”

    ওয়াল্টার অ্যান্ডারসন

    আরএসএসের উচ্চকিত প্রশংসা করেছিলেন বিশ্বশ্রুত লেখক ওয়াল্টার অ্যান্ডারসনও। তিনি ছিলেন জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের প্রধান। আরএসএসের ওপর বেশ কয়েকটি বই লিখেছিলেন তিনি। ‘ইন্টিগ্রাল হিউম্যানিজম’ শীর্ষক একটি সংকলনে (দীনদয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রকাশ করেছে) তিনি একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। সেখানে তিনি মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে প্রবীণ আরএসএস প্রচারক ও চিন্তাবিদ পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের তুলনা (RSS) করেছেন।

    অ্যান্ডারসনের বক্তব্য

    এই উপাধ্যায়ই ছিলেন ভারতীয় জনসংঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ভারতীয় জনতা পার্টির পূর্ববর্তী রূপ এই ভারতীয় জনসংঘ (Mahatma Gandhi)। “অখণ্ড মানবতাবাদ”-ই হল বিজেপির সরকারি মতাদর্শ। ১৯৯২ সালে প্রকাশিত ‘গান্ধী এবং দীনদয়াল: দুই ঋষি’ শীর্ষক প্রবন্ধে অ্যান্ডারসন গান্ধী ও উপাধ্যায়ের মধ্যে তুলনা করেছিলেন। তিনি তাঁদের দুজনের মধ্যে অনেক মিল খুঁজে পেয়েছিলেন। অ্যান্ডারসন লেখেন, “গান্ধী ও উপাধ্যায় মূলত সংগঠক ছিলেন। দার্শনিক জল্পনার চেয়ে সংগঠন গঠনে বেশি আগ্রহী ছিলেন। উভয়ই ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।” তিনি আরও লেখেন, “গান্ধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে রূপান্তরিত করেছিলেন। ‘মহাত্মা’ হিসেবে তার ক্যারিশমাটিক আবেদন কংগ্রেসকে স্বাধীনতা আন্দোলনের কার্যকর বাহিনীতে পরিণত করেছিল। উপাধ্যায়ও সাধুসুলভ চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। জনসংঘের কর্মীদের ওপর তাঁরও একই রকম প্রভাব ছিল।”

    গান্ধী ও উপাধ্যায়

    গান্ধী ও উপাধ্যায় উভয়েই সরাসরি ক্ষমতার রাজনীতির বৃত্ত থেকে দূরে ছিলেন। দুজনেই তীক্ষ্ণ কিন্তু বাস্তববাদী বুদ্ধিজীবী ছিলেন। তাঁদের তাত্ত্বিক কাঠামো গড়ে উঠেছিল বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। গান্ধী ছিলেন ‘স্বরাজ’ ও ‘স্বদেশী’র প্রবল সমর্থক। উপাধ্যায়ও ‘অখণ্ড মানবতাবাদে’র আলোচনায় একই দর্শনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, পশ্চিমি উন্নয়ন মডেলের প্রত্যাখ্যানই ছিল গান্ধী ও উপাধ্যায় উভয়ের চিন্তার মূল ভিত্তি। অ্যান্ডারসন লিখেছেন, “শেষ পর্যন্ত, উভয়েই রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রতি সন্দিহান ছিলেন। এটি কীভাবে জননেতাদের দুর্নীতিগ্রস্ত করে তোলে তা নিয়েও উদ্বিগ্ন ছিলেন। কেউই কখনও কোনও রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত হননি, এমনকি তা চাওয়ারও চেষ্টা করেননি”। তিনি লিখেছেন, “ভারত স্বাধীনতা লাভের কয়েক মাস পর গান্ধী তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের বলেছিলেন— ক্ষমতা পরিত্যাগ করে এবং ভোটারদের প্রতি বিশুদ্ধ ও নিঃস্বার্থ সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করে, আমরা তাঁদের পরিচালিত ও প্রভাবিত করতে পারি। এটি আমাদের প্রকৃত ক্ষমতা দেবে, যা আমরা সরকারে গিয়ে অর্জন করতে পারব না। আজ রাজনীতি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। যে কেউ এতে প্রবেশ করে, সে কলুষিত হয়। আসুন আমরা একেবারেই এর বাইরে থাকি। এর ফলে আমাদের প্রভাব আরও বৃদ্ধি পাবে।”

    গান্ধী এবং উপাধ্যায় উভয়েই একই (RSS) সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে সমাজে পুরুষ ও নারীর গুণগত মানই শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রকৃতি নির্ধারণ করে। আরএসএস মনে করে যে এমন পুরুষ ও নারীদের প্রস্তুত করার কাজই গত ৯৩ বছর ধরে দেশে কেবলমাত্র একটি সংগঠন— আরএসএসই নিরবচ্ছিন্নভাবে করে আসছে (Mahatma Gandhi)।

     

  • Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা, শোকপ্রকাশ মোদি-শাহের

    Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা, শোকপ্রকাশ মোদি-শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা। মঙ্গলবার গভীর রাতের ওই ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানালেন মহাকুম্ভের দায়িত্বে থাকা ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণ। তিনি জানান, মৃতদের মধ্যে এখনও ৫জনকে শনাক্ত করা যায়নি। জখম হওয়া ৯০ জনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।

    মৌনী অমাবস্যার অমৃতস্নানের যোগ (Mahakumbh 2025)

    বুধবার ছিল মৌনী অমাবস্যার অমৃতস্নানের যোগ। প্রত্যাশিতভাবেই ব্যাপক ভিড় হয়েছিল (Prayagraj) মঙ্গলবার। এদিন রাত একটা-দুটো নাগাদ সঙ্গম নোজ দিয়ে স্নান করতে যাচ্ছিলেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। সেই পথ দিয়েই স্নান সেরে ফিরছিলেন বহু পুণ্যার্থী। তার জেরেই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয়দের দাবি, এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থেকেই মহাকুম্ভে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক পদপিষ্টের ঘটনা।

    কী বলছেন স্থানীয়রা

    রাম সিং স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি বলেন (Mahakumbh 2025), “ফেরার কোনও রাস্তা ছিল না। সব দিকেই জনতার ভিড়। ফলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। আমাদের সামনেই অনেকে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান। ভিড়ের চাপে ফেরার রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।” যদিও মেলার বিশেষ কার্যনির্বাহী কর্তা আকাঙ্খা রানার দাবি, সঙ্গমের পথে কিছু বাধা ভেঙে এগিয়ে যান বহু মানুষ। তার জেরেই ঘটে পদপিষ্টের ঘটনা।

    ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির নির্বাচনী সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আজ মহাকুম্ভে একটি দুর্ঘটনায় অনেকের প্রাণ গিয়েছে। আহতও হয়েছেন বহু মানুষ। আমি সবার আগে নিহতদের শ্রদ্ধা জানাই। ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” ঘটনার পর থেকেই আমি উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। মৌনী অমাবস্যা বলে আজ প্রচুর ভিড় হয়েছিল। ঘটনার জেরে খানিকক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল স্নান। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

    ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “যাঁরা কাছের মানুষকে হারিয়েছেন, ঈশ্বর তাঁদের শক্তি দিন এই দুঃখ ভুলতে (Mahakumbh 2025)।”

    পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন পরমার্থ নিকেতন আশ্রমের সভাপতি স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে (Prayagraj) তৎপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বিভিন্ন আখড়া যেভাবে আগে ভক্তদের স্নানের সুযোগ করে দিয়েছে, সেটাকেও সাধুবাদ জানান তিনি (Mahakumbh 2025)।

  • Mahakumbh 2025: টানা রিক্সায় করে নবতিপর বৃদ্ধা মাকে নিয়ে ‘অমৃত কুম্ভের সন্ধানে’ প্রৌঢ়

    Mahakumbh 2025: টানা রিক্সায় করে নবতিপর বৃদ্ধা মাকে নিয়ে ‘অমৃত কুম্ভের সন্ধানে’ প্রৌঢ়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অমৃত কুম্ভের সন্ধানে’ প্রয়াগরাজের (Prayagraj) কুম্ভমেলায় (Mahakumbh 2025) যাওয়ার ইচ্ছে ছিল উত্তরপ্রদেশেরই মুজাফফরনগরের নবতিপর এক বৃদ্ধার। মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে টানা রিক্সায় করে মাকে টেনে নিয়ে কুম্ভমেলায় গেলেন এক ব্যক্তি। যে সময়ে অনেক পরিবারেই মা-বাবার ঠাঁই হয় বৃদ্ধাশ্রমে, সেখানে মায়ের প্রতি সন্তানের এই কর্তব্য নজির সৃষ্টি করেছে বই কি!

    মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025)

    চলতি বছর ১২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে উদ্বোধন হয়েছে মহাকুম্ভ মেলার। প্রতি ১৪৪ বছর অন্তর হয় মহাকুম্ভ। আর ১২ বছর অন্তর হয় পূর্ণকুম্ভ। মহাকুম্ভে স্নানের সুপ্ত ইচ্ছে ৯২ বছরের ওই বৃদ্ধা ব্যক্ত করেছিলেন ছেলের কাছে। তার পরেই মাকে নিয়ে কুম্ভের উদ্দেশে রওনা দেন ওই প্রৌঢ়। গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে মাকে অমৃত স্নান করিয়ে বাড়িও ফিরেছেন ওই ব্যক্তি।

    মোক্ষ লাভ

    হিন্দুদের বিশ্বাস, কুম্ভস্নান করলে মোক্ষ লাভ হয়। সেই বিশ্বাসে প্রতিটি কুম্ভমেলায় প্রয়াগরাজে ভিড় করেন কোটি কোটি পুণ্যার্থী। প্রতি ছ’বছর অন্তর হয় অর্ধকুম্ভ। সেই সময়ও ভিড় হয়। তবে পূর্ণকুম্ভের মতো ভিড় সেই সময় হয় না। এবার আবার মহাকুম্ভ যোগ। প্রত্যাশিতভাবেই ভিড় হবে ব্যাপক। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের আশা, এবার অন্তত ৪০ কোটি মানুষ কুম্ভস্নান করবেন। অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কুম্ভস্নান সেরেছেন ২৫ কোটিরও বেশি মানুষ।

    আজ, বুধবার ছিল মৌনী অমাবস্যার স্নান (Mahakumbh 2025)। এদিন অমৃতস্নান করেছেন ১০ কোটিরও বেশি মানুষ। এখনও দুটি বিশেষ দিন রয়েছে অমৃতস্নানের। একটি হল ৩ ফেব্রুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমীর দিন। আর একটি দিন হল ২৬ ফেব্রুয়ারি, মহা শিবরাত্রির দিন। ভিড়ভাট্টা এড়াতে এই বিশেষ দিনের মাঝের দিনগুলিতে সঙ্গমে পবিত্র ডুব দিতে ভিড় করেন বহু মানুষ। এঁদের মধ্যে যেমন বহু সাধারণ মানুষ থাকেন, তেমনই থাকেন নেতা-মন্ত্রীরা।

    ইতিমধ্যেই অমৃতস্নান করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সপরিবারে পবিত্র ডুব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ৫ ফেব্রুয়ারি সঙ্গমে স্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং (Prayagraj) উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় স্নান করবেন ১০ ফেব্রুয়ারি (Mahakumbh 2025)।

  • India Canada Relation: কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ, পত্রপাট খারিজ করল ভারত

    India Canada Relation: কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ, পত্রপাট খারিজ করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার সাধারণ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে (India Canada Relation)। খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকে কেন্দ্র করে এমনিতেই ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে (Election Meddling)। তার পর এমনতর অভিযোগ করায় কানাডাকে মোক্ষম জবাব দিল ভারত।

    কানাডার দাবি (India Canada Relation)

    কানাডার বিদেশি হস্তক্ষেপ কমিশনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ কমিশন একটি রিপোর্টে দাবি করেছে, কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের নিরিখে চিনের পরেই সব চেয়ে সক্রিয় দেশ হল ভারত। সেই অভিযোগ খারিজ করে দিল নয়াদিল্লি।

    পাল্টা দাবি ভারতের

    ভারতের পাল্টা দাবি, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে কানাডা। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা একটি রিপোর্টে দেখেছি যেখানে ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কানাডাই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে লাগাতার হস্তক্ষেপ করছে। অবৈধ অভিবাসন এবং সংগঠিত অপরাধের পরিবেশ তৈরি করছে।’ ওই রিপোর্টে ‘ভারতের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ খারিজ করছি। আশা করছি, অবৈধ অভিবাসনে উৎসাহ দেওয়া বন্ধ হবে।’

    প্রসঙ্গত, কানাডিয়ান কমিশন ১২৩-পৃষ্ঠার রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে চিনের পর ভারত কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বাধিক জড়িত দেশ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ভারত কানাডায় নির্বাচনী বিদেশি হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বাধিক সক্রিয় দেশ। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের মতো, ভারতও বিশ্ব মঞ্চে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। কানাডা এবং ভারত কয়েক দশক ধরে একসঙ্গে কাজ করেছে, তবে এই সম্পর্কের কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো দীর্ঘদিনের এবং এগুলো ভারতের বিদেশি হস্তক্ষেপ কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে (India Canada Relation)।”

    গত মে মাসে প্রাথমিক রিপোর্টে চিনকে নিশানা করেছিল কানাডা। জানিয়েছিল, কানাডার বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে হস্তক্ষেপ করছে চিন। কিন্তু চূড়ান্ত রিপোর্টে তারা জানিয়েছে, কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে দ্বিতীয় সক্রিয় দেশ ভারত। কানাডার বিদেশি হস্তক্ষেপ কমিশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন কমিশনার মারি জোস হগ। তদন্তে তিনি লিখেছেন, ‘চিনের মতো ভারত কূটনৈতিক অফিসার ও প্রক্সি এজেন্টদের (Election Meddling) মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করেছে।’ ওই রিপোর্টে রাশিয়া, পাকিস্তান এবং ইরানকেও কানাডায় বিদেশি হস্তক্ষেপের তালিকায় রাখা হয়েছে (India Canada Relation)

  • BJP: ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে ঐক্যের ছবি এনডিএতে, বাজেট অধিবেশনে বিল পাশে প্রত্যয়ী বিজেপি

    BJP: ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে ঐক্যের ছবি এনডিএতে, বাজেট অধিবেশনে বিল পাশে প্রত্যয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী (Waqf Amendment) বিল ২০২৪ অনুমোদন করেছে যৌথ সংসদীয় কমিটি। এনডিএ সদস্যদের প্রস্তাবিত সমস্ত সংশোধনী-সহ অনুমোদিত হল বিলটি। সংসদে বিলটি পাশ করানোর ক্ষেত্রে এটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে পারে বিজেপির (BJP)। কারণ এর আগে বিল নিয়ে দ্বিমত ছিল এনডিএর কয়েকটি শরিকের মধ্যে। সংশোধনী খসড়া পেশ করার পর কাটল জট। সংসদের বাজেট অধিবেশনেই পেশ হবে বিলটি। তার আগে এনডির ঐক্যের চেহারা দেখল গোটা দেশ। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, এই ছবি হলে, আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই সহজেই ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নিতে সক্ষম হবে বিজেপি।

    এনডিএ-র পক্ষে রায় (BJP)

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে মাত্র ২৪০টি আসনে। ২৭ জানুয়ারি ১৪টি সংশোধনী অনুমোদন করেছে জেপিসি। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সদস্যদের প্রস্তাবিত সমস্ত সংশোধনী খারিজ করা হয়েছে। কারণ ভোটাভুটিতে এনডিএর পক্ষে রায় গিয়েছে ১৬:১০ ব্যবধানে। এনডিএর বিভিন্ন শরিক দল যেমন নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জনতা দল ইউনাইটেড এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বাধীন তেলুগু দেশম পার্টি কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব করেছিল।

    এনডিএ দলগুলোর সম্মতি

    এই প্রস্তাবগুলি সমর্থন করেছিল সমস্ত রাজনৈতিক দল। এ থেকেই স্পষ্ট হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিলের সংশোধিত সংস্করণের প্রতি এনডিএ দলগুলোর সম্মতি রয়েছে। গত অগাস্টে এই বিল নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান (BJP) নিয়েছিল জেডি(ইউ), লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) এবং চন্দ্রবাবুর টিডিপি। যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠক হয়েছিল গত বছরের অগাস্ট মাসে। সেই সময় এনডিএর দুটি শরিক দল মুসলমানদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর উদ্বেগগুলোর সমাধানের পক্ষে মতপ্রকাশ করেছিল। প্রায় ছ’মাস পরে দেখা গেল, এনডিএর সব শরিক দল ওয়াকফ বিল নিয়ে একজোট হয়েছে। সংশোধনীগুলির পক্ষেও ভোট দিয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, এজন্য শরিক দলগুলির কাছে আবেদন করেছেন সংখ্যালঘু ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

    জানা গিয়েছে, লোকসভায় বিলটি পাশ করাতে বিজেপির প্রয়োজন হবে ১৬ জন টিডিপি সদস্য, ১২ জন জেডিইউ সদস্য এবং ৫ জন এলজেপি (আরভি) সদস্যের ভোট। এনডিএর ছোট শরিক দলগুলির মধ্যে আরএলডির ২, জেডিএসের ২, এবং আপনা দল (এস)-এর একটি ভোটও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রসঙ্গত, সংসদের উভয় কক্ষে বিলটি পাশ হওয়ার পরে ওই বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিললে ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের (Waqf Amendment) নয়া নাম হবে ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট (BJP)।

LinkedIn
Share