Author: pranabjyoti

  • Donald Trump: আমেরিকায় অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ, হিংসা দমনে সেনা পাঠালেন ট্রাম্প

    Donald Trump: আমেরিকায় অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ, হিংসা দমনে সেনা পাঠালেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লস অ্যাঞ্জেলেসে তৃতীয় দিনে পড়ল মার্কিন অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। ক্রমেই বেড়ে চলেছে হিংসা। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি ফেডারেল আটক কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে (Donald Trump)। রবিবার একটি ফেডারেল ভবনের বাইরে ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি বিক্ষোভকারী দলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ওই এলাকায় জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। তার পরেও ব্যাপক জনসমাবেশ হয় (Violent Mobs Riot)। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। লাঠিচার্জ করে। ব্যবহার করে অন্যান্য কম প্রাণঘাতী অস্ত্র। কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে কাচের বোতল, কংক্রিটের টুকরো ও অন্যান্য বিপজ্জনক বস্তু ছুঁড়ে মারে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    অশান্তির সূত্রপাত শুক্রবার (Donald Trump)

    অশান্তির সূত্রপাত হয় শুক্রবার গভীর রাতে। এদিন জোর কদমে শুরু হয় মার্কিন অভিবাসন অভিযান। অভিবাসন আইন প্রয়োগের পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা ফেডারেল ভবন ও আটক কেন্দ্রগুলির বাইরে জড়ো হয়। কম্পটন এবং প্যারামাউন্ট এলাকায়ও বিশাল উত্তেজনা দেখা দেয়, যেখানে স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি একটি হোম ডিপোর আশপাশেও বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন অভিবাসন অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ও ফ্ল্যাশ-ব্যাং গ্রেনেড ব্যবহার করে। সরকারি ভবনগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ করার সময় লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ সাফ জানিয়ে দেয় যে তারা ফেডারেল এজেন্টদের সঙ্গে নাগরিক অভিবাসন আইন প্রয়োগে কোনওরকম সহযোগিতা করে না। কেবল কারও অভিবাসন স্টেটাস যাচাইয়ের জন্য কাউকে আটক করার নীতিতেও বিশ্বাসী নয় তারা।

    ক্রমেই বাড়ছে হিংসা

    এদিকে, ক্রমেই হিংসা বৃদ্ধি এবং ফেডারেল কর্মী ও সম্পদের ওপর হুমকির প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউসের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউএস নর্দার্ন কমান্ডকে ন্যাশনাল গার্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মোট ২,০০০ সেনাকে লস অ্যাঞ্জেলেস অঞ্চলে ৬০ দিনের জন্য অথবা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাশনাল গার্ডের (Violent Mobs Riot) ৭৯তম ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড কমব্যাট টিমের ৩০০ সেনা সদস্যকে ফেডারেল ভবনগুলির নিরাপত্তা রক্ষার জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে (Donald Trump)। এক্স হ্যান্ডেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন কমান্ড জানিয়েছে, সৈন্যরা বর্তমানে ফেডারেল ভবনগুলির নিরাপত্তা ও কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করায় মনোযোগ দিচ্ছে। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের কর্তারা জানান, জাতীয় রক্ষীবাহিনীর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সমন্বয় রেখেই কাজ চলছে।

    ট্রাম্পের বার্তা

    অন্যদিকে, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে একটি কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্যের নির্যাস, অবৈধ অভিবাসীদের আগ্রাসন থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তিনি যেসব গোষ্ঠীকে সহিংস ও বিদ্রোহী ভিড় হিসেবে উল্লেখ করেছেন, তাদের নিন্দা করে প্রেসিডেন্ট (Donald Trump) বলেন, যারা আইনসম্মত বহিষ্কার অভিযান ব্যাহত করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কী বললেন ট্রাম্প

    ট্রাম্প বলেন, “এক সময়ের মহান আমেরিকান শহর লস অ্যাঞ্জেলেস আজ অবৈধ অভিবাসী ও অপরাধীদের দ্বারা আক্রান্ত ও দখলকৃত। এখন এই সহিংস, বিদ্রোহী ভিড় আমাদের ফেডারেল এজেন্টদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, আমাদের বহিষ্কারের কর্মসূচি থামাতে চাইছে। কিন্তু এই আইনবিরোধী দাঙ্গা আমাদের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করে তুলছে।” তিনি জানান, তিনি স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোএম, প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ এবং অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন (Violent Mobs Riot) তাঁরা সংশ্লিষ্ট সব বিভাগগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে অশান্তি বন্ধ এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ অবৈধ অভিবাসীদের অপসারণ নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “অবৈধদের বিতাড়িত করা হবে। লস অ্যাঞ্জেলেস মুক্ত হবে (Donald Trump)।”

    প্রসঙ্গত, রবিবারই নিউ জার্সিতে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমার একটি ছোট্ট বক্তব্য রয়েছে। তা হল, ওরা থুতু ছিটিয়েছে, আমরা মেরেছি।” বিক্ষোভকারীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “মানুষের দিকে থুতু ছিটিয়েছে। আপনারা জানেন যে, এটা ওদের (Violent Mobs Riot) নতুন কায়দা।” হুঁশিয়ারির সুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “কেউ আমাদের পুলিশ আধিকারিক ও সেনার দিকে থুতু ছেটাবে, এটা মেনে নেওয়া হবে না। যদি এটা হয়, তাহলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে (Donald Trump)।”

  • Shubhanshu Shukla: ৪১ বছর পর ফের মহাকাশে যাচ্ছেন এক ভারতীয়, কেন তাৎপর্যপূর্ণ শুভাংশুর এই যাত্রা?

    Shubhanshu Shukla: ৪১ বছর পর ফের মহাকাশে যাচ্ছেন এক ভারতীয়, কেন তাৎপর্যপূর্ণ শুভাংশুর এই যাত্রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪১ বছর পরে এবার ফের মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছেন এক ভারতীয়। বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্ল (Shubhanshu Shukla)। শুক্রবার ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভ্রাংশুকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (International Space Station) পাঠাবে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা, নাসা। প্রাইমারি মিশন পাইলট হিসেবে থাকছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুক্ল। বায়ুসেনার আর এক কর্তা, গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালকৃষ্ণণ নায়ার থাকবেন ব্যাকআপ মিশন পাইলট হিসেবে।

    শুভাংশু শুক্ল (Shubhanshu Shukla)

    উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের বাসিন্দা শুভাংশু। প্রায় ১৮ বছর আগে তিনি যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনায়। শুভাংশুর দিদি জানান, কার্গিল যুদ্ধই ছিল তাঁর বাহিনীতে যোগদানের অনুপ্রেরণা। ১৯৯৯ সালে, কার্গিল যুদ্ধের সময় শুক্লর বয়স ছিল ১৪ বছর। সেই সময় ভারতীয় সেনাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের বীরগাথা পড়তে পড়তেই তিনি ঠিক করে নিয়েছিলেন সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেবেন।

    অ্যাক্সিওম স্পেস

    প্রায় ৯ মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কাটানোর পর গত মার্চ মাসে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর। এবার সেখানেই যাওয়ার কথা শুভাংশুর। গত মে মাসের ২৯ তারিখেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশুর। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে যাওয়ার সেই অভিযান স্থগিত হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে অ্যাক্সিওম স্পেস। জানা গিয়েছে, এএক্স-৪ মিশনের এই উৎক্ষেপণ হবে মঙ্গলবার, ১০ জুন। দু’হাজার ঘণ্টারও বেশি উড়ানের অভিজ্ঞতা রয়েছে শুভাংশুর। ২০১৯ সালে ভারতের মহাকাশচারী কর্মসূচির জন্য নির্বাচিত হন তিনি। এজন্য রাশিয়া, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। তিনিই হবেন কনিষ্ঠতম মহাকাশচারী।

    রাত পোহালেই রচিত হবে ইতিহাস

    আবহাওয়া অনুকূল (Shubhanshu Shukla) থাকলে ১০ জুন ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার (NASA) থেকে স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট উৎক্ষেপণ করা হবে। এই রকেটটি চারজন মহাকাশচারীকে নিয়ে দুসপ্তাহের যাত্রায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের দিকে রওনা দেবে। এই দলেই থাকবেন শুভাংশু। এই অভিযানের নাম রাখা হয়েছে “অ্যাক্সিওম মিশন ৪” (Ax-4)। এটি পরিচালনা করছে হিউস্টন-ভিত্তিক একটি বেসরকারি সংস্থা অ্যাক্সিওম স্পেস, যারা পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে কাজের ক্ষেত্রে দ্রুতই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অর্জন করেছে। শুভাংশু হবেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে যাওয়া প্রথম ভারতীয় নভশ্চর (International Space Station)। অ্যাক্সিওম-৪ হল অ্যাক্সিওম স্পেসের চতুর্থ মানববাহী মহাকাশ মিশন, যা নাসা এবং স্পেস এক্সের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি একটি বেসরকারিভাবে পরিচালিত বাণিজ্যিক মহাকাশযাত্রা, যার উদ্দেশ্য হল মানব শারীরবিদ্যা, পৃথিবী পর্যবেক্ষণ, পদার্থবিদ্যা, এবং মহাকাশ কৃষি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে ৬০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করা।

    এই মিশনের গুরুত্ব

    এই মিশন নানা (Shubhanshu Shukla) কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এটি মহাকাশে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার সাফল্য প্রদর্শন করে এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মানুষের উপস্থিতিকে আরও সম্প্রসারিত করে। এই মিশন ভারতের মতো দেশ, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির মতো যারা বহু দশক ধরে মানব মহাকাশ অভিযানে যোগ দিতে পারেনি, তাদের মহাকাশে নিজেদের অবস্থান পুনরুদ্ধার করার সুযোগ দেয়। শুভাংশু এএক্স-৪ মিশনের পাইলট হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর স্থান মিশন কমান্ডারের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে। তাঁর দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে নেভিগেশন, ডকিং এবং জরুরি পরিস্থিতিতে পরিচালনার কৌশল। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে শুভাংশু বলেন, “আমি মহাকাশে যাচ্ছি। শুধু যন্ত্রপাতি ও উপকরণই বহন করছি না, আমি বহন করছি ১০০ কোটি হৃদয়ের আশা ও স্বপ্ন। আমি সকল ভারতীয়ের কাছে আমাদের মিশনের সাফল্যের জন্য প্রার্থনার অনুরোধ জানাই।”

    ভারতের বিনিয়োগ

    ভারত শুক্লার আসন সুরক্ষিত করতে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এটি কেবল প্রতীকী পদক্ষেপ নয়, বরং একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত, যাতে ইসরোর গগনযান মিশন (যেটি ২০২৫–২০২৭ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা) আন্তর্জাতিক মঞ্চে (International Space Station) পরিচিতি এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির সুবিধা পায়। ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণ বলেন, “এই মিশন থেকে আমরা যে উপকার পাব, তা অভূতপূর্ব — প্রশিক্ষণ, সুবিধাগুলির সঙ্গে পরিচিতি এবং মহাকাশে যৌথভাবে পরীক্ষানিরীক্ষা পরিচালনার অভিজ্ঞতা — এগুলি সব দিক থেকেই অত্যন্ত মূল্যবান।”

    ভারত পরীক্ষা করবে ৭টি

    জানা গিয়েছে, এএক্স-৪ এর (Shubhanshu Shukla) ৬০টি গবেষণামূলক প্রকল্পের মধ্যে সাতটি পরীক্ষা পরিচালনা করবে ভারত। একটি পরীক্ষায় ছ’টি প্রজাতির ফসলের বীজ মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে কীভাবে মানিয়ে নিতে পারে, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য হল, মহাকাশে কৃষিকাজের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করা, একই সঙ্গে পৃথিবীতে জলবায়ু-সহনশীল ফসলের উন্নয়নে অবদান রাখা। অন্য একটি পরীক্ষায় তিনটি মাইক্রোঅ্যালগির প্রজাতি বিশ্লেষণ করা হবে, যাতে দেখা যায় দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ অভিযানে সেগুলো খাদ্য, জ্বালানি বা জীবন-সহায়ক উপাদান হিসেবে ব্যবহারযোগ্য কি না। গবেষকরা টারডিগ্রেড নামক অতিক্ষুদ্র প্রাণীর সহনশীলতা নিয়েও গবেষণা করবেন। এই প্রাণীগুলি চরম প্রতিকূল পরিবেশেও বেঁচে থাকতে পারে। একটি আলাদা গবেষণায় মাধ্যাকর্ষণহীন পরিবেশে পেশির ক্ষয় নিয়ে কাজ করা হবে এবং দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ অভিযানে মহাকাশচারীদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক পুনর্বাসন পদ্ধতিগুলি অনুসন্ধান করা হবে (International Space Station)। আর একটি পরীক্ষায় বিশ্লেষণ করা হবে কীভাবে মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে স্ক্রিনের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া চোখের গতি, মানসিক চাপ এবং মানসিক সজাগতার ওপর প্রভাব ফেলে (Shubhanshu Shukla)।

  • Lord Vishnu Idol: বাঁকুড়ায় নদী গর্ভে মিলল প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Lord Vishnu Idol: বাঁকুড়ায় নদী গর্ভে মিলল প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদী গর্ভ থেকে বালি তুলতে গিয়ে মিলল বিষ্ণুমূর্তি (Lord Vishnu Idol)। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, বেলে পাথরের এই মূর্তিটি একাদশ শতকে তৈরি। বাঁকুড়ার (Bankura) দ্বারকেশ্বর নদ থেকে উদ্ধার হয়েছে মূর্তিটি। মূর্তিটির মাথার ওপর রয়েছে কিরীট, কানে কর্ণকুন্তল, গলায় বরমালা। প্রত্ন গবেষক সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মূর্তিটি সব দিক থেকে ব্যতিক্রমী বলে মনে হয়েছে। আর অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে বলে শিল্পনৈপুণ্যের দিক থেকে এটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ঐতিহাসিক প্রত্নসামগ্রী হিসেবেও অত্যন্ত মূল্যবান।” তিনি জানান, মূর্তিটিতে প্রাচীন জৈন সংস্কৃতির ছাপ রয়েছে।

    লোকেশ্বর বিষ্ণুর মূর্তি (Lord Vishnu Idol)

    গবেষকদের মতে, মূর্তিটি দ্বাদশভূজ লোকেশ্বর বিষ্ণুর। মোট চারটি দেবদেবী রয়েছেন। বিষ্ণুমূর্তির ১২টি হাত। এর মধ্যে ৮টি হাতে বিভিন্ন আয়ুধ এবং সামগ্রী থাকলেও, দু’পাশের চারটি হাত রয়েছে চার মূর্তির মাথায়। এর মধ্যে দু’টি হাত রয়েছে আয়ুধ পুরুষের মাথায়, বাকি হাত দু’টি রয়েছে দুই দেবীর মাথায়। এই দুই দেবী হলেন ভূদেবী এবং শ্রীদেবী। প্রত্ন গবেষকদের দাবি, মূর্তিটি দ্বাদশভূজ লোকেশ্বর বিষ্ণুর। শনিবার বিকেলে বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের ওলা দুবরাজপুরের মন্দিরতলা এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদ থেকে উদ্ধার হয় মূর্তিটি। বাদামী বেলেপাথর খোদাই করা মূর্তিটির উচ্চতা ৩ ফুট ৯ ইঞ্চি, প্রস্থ প্রায় ২ ফুট। মূর্তি উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়রা সেটি নিয়ে যান গ্রামের একটি কালী মন্দিরে।

    স্থানীয়দের দাবি

    স্থানীয়দের একাংশের দাবি, দ্বারকেশ্বরের যে এলাকা থেকে মূর্তিটি উদ্ধার হয়েছে, এক সময় তারই অদূরে ছিল বিষ্ণুমন্দির। সেই মন্দিরের নাম অনুসারেই এলাকার নাম হয় মন্দিরতলা। ওই মন্দিরেই পূজিত হত ভগবান বিষ্ণুর এই মূর্তি। দ্বারকেশ্বরের ভাঙনে মন্দিরটি নদীগর্ভে তলিয়ে গেলে মূ্র্তিটিও আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এদিন আর্থ মুভার দিয়ে বালি তুলতে যাওয়ার সময়ই মেলে সেই বিষ্ণুমূর্তি (Lord Vishnu Idol)।

    বাঁকুড়ার দ্বারকেশ্বর ও কংসাবতী নদী উপত্যকার সভ্যতা বহু প্রাচীন। এক সময় এই দুই নদীর তীরবর্তী এলাকায় গড়ে উঠেছিল উন্নত জৈন সভ্যতা। সেই সভ্যতারই প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে কংসাবতী ও দ্বারকেশ্বরের (Bankura) গর্ভে মিলেছে জৈন তীর্থঙ্করদের দিগম্বর মূর্তি। এবার তীর্থঙ্কর নয়, মিলল বিষ্ণুমূর্তি (Lord Vishnu Idol)।

  • Pakistan: সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন, মোদি সরকারকে আর্জি পাকিস্তানের

    Pakistan: সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন, মোদি সরকারকে আর্জি পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। তার পর থেকে এ পর্যন্ত মোদি সরকারকে চারবার চিঠি দিল পাকিস্তান। প্রতিটি চিঠিতেই আর্জি জানানো হয়েছে সিদ্ধান্ত (Indus Treaty) পুনর্বিবেচনার। চিঠিগুলি এসেছে পাকিস্তানের জলসম্পদ মন্ত্রকের সচিব সৈয়দ আলি মুর্তাজার কাছ থেকে। ভারতের জলশক্তি মন্ত্রক চারটি চিঠিই নিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে বিদেশমন্ত্রকে।

    বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা (Pakistan)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। এর মধ্যেই রয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৬০ সালে, বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায়। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর ভারত সাফ জানিয়ে দেয়, যতদিন না পর্যন্ত পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করছে, ততদিন এই চুক্তি স্থগিত থাকবে।

    বিপাকে পাকিস্তান

    সিন্ধু ও তার দুটি উপনদী বিতস্তা ও চন্দ্রভাগা পাকিস্তানমুখী। এই তিন নদীর জলের ওপর পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিকাজ নির্ভর করে। সিন্ধুর বাকি তিন উপনদী বিপাশা, শতদ্রু এবং ইরাবতী ভারতের ওপর দিয়েই বইছে। পাকিস্তানের আশঙ্কা, সিন্ধু চুক্তির শর্ত না মানলে পাকিস্তানমুখী নদীগুলির জলপ্রবাহ অনিয়মিত হয়ে পড়বে। ফলে পাকিস্তানজুড়ে দেখা দিতে পারে জলসংকট। সেই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, ভারতকে চিঠি লিখে তারই চেষ্টা করে চলেছে শাহবাজ শরিফের সরকার (Pakistan)।

    প্রসঙ্গত, ভারত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করতেই পাক সেনেটর সইদ আলি জাফর বলেছিলেন, “এই সমস্যার আশু সমাধান চাই। নয়তো আমরা না খেতে পেয়ে মরব। আমাদের প্রয়োজনীয় জলের তিন-চতুর্থাংশই আসে দেশের বাইরে থেকে। সিন্ধু অববাহিকা হল আমাদের জীবনরেখা। ১০ জনের মধ্যে ন’জনের বেঁচে থাকা নির্ভর করে সিন্ধু অববাহিকার জলের (Indus Treaty) ওপর। প্রায় ৯০ শতাংশ ফসলই এর ওপর নির্ভরশীল। আমাদের সব বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জলাধারও এখানে রয়েছে। এ যেন এক জলবোমা! এই বোমা আমাদের নিষ্ক্রিয় করতেই হবে (Pakistan)।”

  • China: “কোভিডের থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারে,” সতর্ক করলেন চিন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ

    China: “কোভিডের থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারে,” সতর্ক করলেন চিন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক না থাকলে কোভিডের (Covid) থেকেও খারাপ কিছু ঘটতে পারে।” এমনই সতর্ক বার্তা দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিন (China) বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ। সম্প্রতি আমেরিকায় একটি বিষাক্ত ছত্রাক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে চিনা বিজ্ঞানী দম্পতিকে। তার প্রেক্ষিতেই কথাগুলি বলেন ওই বিশেষজ্ঞ। অভিযোগ, বছর তেত্রিশের ইউনকিং জিয়ান ও তাঁর স্বামী ঝুনইয়ং লিউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘ফিউসারিয়াম গ্রামিনিয়ারাম’ নামক একটি ছত্রাক পাচার করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এই ছত্রাকটি “হেড ব্লাইট” নামক এক ধরণের রোগ সৃষ্টি করে, যা গম, যব, ভুট্টা এবং ধানের ফসলকে আক্রান্ত করে (China)।

    দম্পতি ধৃত (China)

    বর্তমানে এক মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছেন জিয়ান। তাঁকেই ছত্রাকটি পাঠান বিজ্ঞানী লিউ। তার পরেই দুজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, চোরাচালান, মিথ্যা বিবৃতি এবং ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগের তরফে এই ঘটনাকে ‘কৃষি সন্ত্রাস’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, আমেরিকাকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। মার্কিন বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি করোনা ভাইরাসের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক হতে পারে। যদি এই ঘটনার পরেও আমেরিকা চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করে, তবে এর পরিণতি হতে পারে অত্যন্ত মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক। ‘চায়না ইজ গোয়িং টু ওয়ার’ বইয়ের লেখক গর্ডন জি চ্যাংয়ের মতে, এই বিপদের একমাত্র প্রতিকার হল চিনের (China) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। এই ছত্রাকটি কোভিড-১৯ এর চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। এতে আমেরিকার ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে।

    যুদ্ধ ঘোষণার সমান

    চ্যাং বলেন, “এই কাজ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সমান।” তিনি বলেন, “২০১৯ সালের মে মাসে চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলি একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করে, যেখানে আমেরিকার বিরুদ্ধে ‘জনযুদ্ধ’ ঘোষণা করা হয়। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির জন্য এই ধরনের শব্দচয়ন কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” চ্যাং বলেন, “চিন আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মানসিকতা নিয়ে এগোচ্ছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (China) বারবার যুদ্ধের কথা বলছেন এবং পুরো চিনা সমাজকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করছেন। আমরা হয়তো সামরিকভাবে শক্তিশালী, কিন্তু (Covid) আত্মরক্ষায় আমরা যতটা দৃঢ় হওয়া উচিত, ততটা নই।”

  • Fadnavis: “যে জনতার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়, সেই জনগণের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে,” রাহুলের খোঁচার জবাবে বললেন ফড়নবীশ

    Fadnavis: “যে জনতার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়, সেই জনগণের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে,” রাহুলের খোঁচার জবাবে বললেন ফড়নবীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যে জনতার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়, সেই জনগণের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে।” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে এ কথাই বললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Fadnavis)। গত বছর হয়েছিল মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন। সম্প্রতি এই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাহুল। এই নির্বাচনে বিজেপি, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপি নিয়ে গঠিত জোট ২৮৮টির মধ্যে ২৩৫টি আসনে জয়ী হয়। মুখ থুবড়ে পড়ে কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা গোষ্ঠী এবং শরদ পাওয়ারের এনসিপি নিয়ে গঠিত মহা বিকাশ আগাড়ি জোট। ওই নির্বাচনে বিজেপি একাই ১৩২টি আসনে জয়ী হয়।

    রাহুলের অভিযোগ (Fadnavis)

    রাহুল তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “নির্বাচনে কারচুপি করার প্রথম ধাপ হল নির্বাচন কমিশন নিয়োগের প্যানেলে জালিয়াতি করা। দ্বিতীয়ত, ভোটার লিস্টে ভুয়ো ভোটার প্রবেশ করানো। তৃতীয়ত, ভোটের হার বেশি করে দেখানো। চতুর্থত, বিজেপি যেখানে জিততে চায়, সেখানে বেশি করে জালিয়াতির জাল বিস্তার করা। পঞ্চমত, প্রমাণ গোপন করা।” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “রিগিং একটি ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের মতো — যারা ফিক্স করে তারা হয়তো একটি খেলা জিততে পারে, কিন্তু এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর ও জনগণের ফলাফলের প্রতি আস্থা চিরতরে নষ্ট হয়ে যায়।” তিনি বলেন, “ম্যাচ-ফিক্সড নির্বাচন যে কোনও গণতন্ত্রের পক্ষে বিষের মতো।” রাহুল গান্ধীর পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পর, নির্বাচন কমিশন এ বছরের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত একটি নথি পুনরায় প্রকাশ করে জানিয়ে দেয়, তাঁর অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ অবাস্তব (Fadnavis)।

    ইভিএমের দোষ!

    ফড়নবীশ রাহুলের মন্তব্যের জবাবে বলেন, “যদি আপনি মানুষকে বোঝাতে না পারেন, তাহলে তাঁদের বিভ্রান্ত করুন—এই নীতিই রাহুল গান্ধী গ্রহণ করেছেন।” তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস ইভিএমের দোষ দিয়ে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর গণতন্ত্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তিনি বলেন, “এখন মহারাষ্ট্রে প্রতিটি নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোর অভ্যাস হয়ে গিয়েছে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলা। ইভিএম নিয়ে সব মামলাই সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে।” তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী এমন একজন নেতা যিনি পরাজয় মেনে নিতে পারেন না।” তাঁর প্রশ্ন, “যেসব নির্বাচনে কংগ্রেস সরকার জেতে, সেই সব ইভিএম কি ঠিক (Rahul Gandhi)?” তিনি বলেন, “জনগণের রায়কে সম্মান করুন (Fadnavis)।”

  • Assam Govt. “১৯৫০ সালে পাশ হওয়া আইন প্রয়োগ করেই অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো যাবে”, বললেন হিমন্ত

    Assam Govt. “১৯৫০ সালে পাশ হওয়া আইন প্রয়োগ করেই অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো যাবে”, বললেন হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Immigrants) তাড়াতে অসম সরকারকে (Assam Govt.) ফি বার আদালতে যেতে হবে না। ১৯৫০ সালে পাশ হওয়া একটি পুরানো আইন ব্যবহার করেই এটি করা সম্ভব। শনিবার নলবাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ কথাই বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি জানান,

    ইমিগ্র্যান্টস অ্যাক্ট, ১৯৫০ (Assam Govt)

    সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে “ইমিগ্র্যান্টস (এক্সপালশন ফ্রম আসাম) অ্যাক্ট, ১৯৫০” এখনও বৈধ এবং এই আইন ব্যবহার করে রাজ্য সরকার আদালতের দ্বারস্থ না হয়েই অবৈধ বিদেশিদের বিতাড়ন করতে পারে। তিনি বলেন, “একটি পুরনো আইন আছে যার নাম ‘ইমিগ্র্যান্টস এক্সপালশন অর্ডার (১৯৫০)’, এবং নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারা সম্পর্কিত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে এই আইন এখনও কার্যকর। এই আইনের আওতায় এমনকি একজন জেলাশাসকও অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর আদেশ দিতে পারেন।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কোনও এক কারণে এই বিধানটি ভুলে যাওয়া হয়েছিল এবং সরকারপক্ষের আইনজীবীরাও এর উল্লেখ করেননি। সম্প্রতি এই আইনের অস্তিত্বের বিষয়টি সামনে আসে। তাই এখন রাজ্য সরকার এই আইন ব্যবহার করেই অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে দেবে।” তিনি বলেন, “এখন থেকে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করার পর আর বিষয়টি ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর দরকার হবে না, আমরা সরাসরি সীমান্তে তাদের তাড়িয়ে দেব (Illegal Immigrants)।”

    কী বললেন হিমন্ত?

    হিমন্ত বলেন, “অসমে এনআরসির কারণে যে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া একেবারে ধীরগতিতে চলছিল, এখন তা দ্রুত গতিতে হবে। একবার শনাক্ত হলে, আমরা তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাব।” অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানান (Assam Govt.), অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তকরণ ও প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে শুরু করা হবে এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও চলছে। তিনি বলেন, “এখন এসব বিষয় ট্রাইবুনালে পাঠানোর প্রয়োজন পড়বে না। ফলে প্রক্রিয়াটি আরও দ্রুত হবে।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, যেসব ব্যক্তি তাঁদের নির্বাসনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছেন, আদালত সেই বিষয় নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত তাঁদের নির্বাসন দেওয়া হবে না।

    অসমের নাগরিকত্ব আইন

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ঘোষিত রায়ে অসমের নাগরিকত্ব আইনের ধারা ৬এ-র বৈধতা সমর্থন করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ১৯৫০ সালের ‘অসম থেকে অভিবাসী বহিষ্কার আইন’-এর বিধানসমূহকেও ধারা ৬এ-র অন্তর্ভুক্ত হিসেবে পড়া হবে এবং অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে তা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হবে।” সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, ‘ইমিগ্রান্টস এক্সপালশন’ আইনটি নাগরিকত্ব আইনের ধারা ৬এ-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় এবং দুটি আইন একসঙ্গে চলতে পারে (Illegal Immigrants)। শীর্ষ আদালত বলেছে, সংসদ যখন এই আইন প্রণয়ন করেছে, সেটিই প্রমাণ করে যে “বাংলাদেশ থেকে অসমে বিপুল সংখ্যক অভিবাসীর অনুপ্রবেশ সবসময়ই একটি ‘উদ্বেগের কারণ’ ছিল এবং এই সমস্যার সমাধানে সংসদ ইতিপূর্বেও পদক্ষেপ করেছে।”

    কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা

    উল্লেখযোগ্যভাবে, পশ্চিম সীমান্তের জন্য প্রণীত অনুরূপ আইন—“পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ (নিয়ন্ত্রণ) আইন”—১৯৫২ সালের জানুয়ারিতে বাতিল করা হয়। কিন্তু শুধুমাত্র অসমে প্রযোজ্য পূর্ব সীমান্তের আইনটি কার্যকর ছিল। সুপ্রিম কোর্ট আরও বলে যে, ১৯৫০ সালের ‘অসম থেকে অভিবাসী বহিষ্কার আইন’ প্রণয়ন করা হয়েছিল। কারণ তৎকালীন ‘ফরেনার্স অ্যাক্টে’ পাকিস্তান থেকে আগত অভিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি (Assam Govt.)। অসমবাসী বহিরাগত (বহিষ্কার) আইন, ১৯৫০ অনুযায়ী, যদি কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে যে অসমের বাইরে থেকে আগত কোনও ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি ভারতের সাধারণ জনগণের বা জনগণের কোনও নির্দিষ্ট অংশের বা অসমের কোনও নির্ধারিত জনজাতির স্বার্থের পরিপন্থী হয়, তবে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের অসম ত্যাগ করার নির্দেশ দিতে পারে এবং তাদের অসম থেকে অপসারণের আদেশ জারি করতে পারে (Illegal Immigrants)।

    কেন্দ্রের ক্ষমতা

    যদিও এই ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়া হয়েছে, আইনটি কেন্দ্রীয় সরকারকে এই ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও আধিকারিক অথবা অসম, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ড রাজ্য সরকারের কোনও আধিকারিকের ওপর ন্যস্ত করার অনুমতি দেয় (Assam Govt.)। প্রসঙ্গত, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের স্বদেশে ফেরাতে কাঠখড় পোড়াতে হয় বিস্তর। তাই বিএসএফ রাতের অন্ধকারে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। এতে লাভ হচ্ছে দুটো। এক, আগের তুলনায় অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা কমেছে। আর দুই, শনাক্ত করার পরেই অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Immigrants) দ্রুত তাদের দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হচ্ছে (Assam Govt.)।

  • Madhavi Latha: চেনাব সেতু নির্মাণের নেপথ্যে থাকা মাধবী লতাকে চেনেন?

    Madhavi Latha: চেনাব সেতু নির্মাণের নেপথ্যে থাকা মাধবী লতাকে চেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৭ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক প্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক মাধবী লতা (Madhavi Latha)। তাঁর সেই অধ্যাবসায়ের ফল হল বিশ্বের উচ্চতম রেল সেতু চেনাব সেতু। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়র হলেন মাধবী লতা।

    চেনাব সেতু, একটি চ্যালেঞ্জিং স্বপ্ন (Madhavi Latha)

    কাশ্মীরের চেনাব সেতু (Chenab Bridge) প্রকল্পের সঙ্গে মাধবী লতা যুক্ত হয়েছিলেন সেই ২০০০ সালে, যখন এই সেতুটি ছিল স্রেফ একটি চ্যালেঞ্জিং স্বপ্ন। নেপথ্যে থেকে কাজ করলেও, সেতু তৈরিতে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন জিওটেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে প্রায় দুদশক ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে এসেছেন মাধবী লতা। চেনাব সেতুটি তৈরি হয়েছে বিশ্বের অন্যতম ভূতাত্ত্বিকভাবে দুর্বল ভূখণ্ডে। এই সময় তিনি প্রযুক্তিবিদদের সাহায্য করেছেন জটিল ঢাল স্থিতিশীলতা কৌশল এবং সাব-স্ট্রাকচার নিরাপত্তা নকশা নিয়ে কাজ করতে। কেবল পরামর্শ দেওয়াই নয়, মাধবী লতা বারবার সাইট পরিদর্শন করেছেন, করেছেন তথ্য বিশ্লেষণও, কাঠামোগত মূল্যায়নও করেছেন, যেগুলি মাটির পরিবর্তনশীল আচরণ, উচ্চ ভূমিকম্পপ্রবণতা এবং অপ্রত্যাশিত আবহাওয়ার কারণে বারবার নতুন করে ক্যালিব্রেট করতে হয়েছে।

    মাধবী লতার অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন

    মাধবী লতার অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন চোখ ধাঁধানো। ১৯৯২ সালে তিনি জওহরলাল নেহরু টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক করেন। এরপর এনআইটি ওয়ারাঙ্গাল থেকে জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে এম টেক করেন। অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য স্বর্ণপদকও লাভ করেন তিনি। ২০০০ সালে মাদ্রাজ আইআইটি থেকে জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করেন। বছরের পর বছর ধরে তিনি দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জিওটেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু জাতীয় সম্মান অর্জন করেন তিনি (Madhavi Latha)।

    সেরা মহিলা জিওটেকনিক্যাল গবেষক পুরস্কার

    ২০২১ সালে তিনি ইন্ডিয়ান জিওটেকনিক্যাল সোসাইটি থেকে “সেরা মহিলা জিওটেকনিক্যাল গবেষক পুরস্কার” পান। পরের বছর তিনি ভারতের শীর্ষ ৭৫ জন এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) ক্ষেত্রের নারীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। এটি বিজ্ঞানে ও প্রযুক্তিতে তাঁর অবদানের এক উজ্জ্বল স্বীকৃতি (Chenab Bridge)। বর্তমানে তিনি আইআইএসসিতে এইচএজি গ্রেডের অধ্যাপক। নয়া প্রজন্মের টেকনিক্যাল পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি। চেনাব সেতুটি চেনাব নদীর ওপর ৩৫৯ মিটার উচ্চতায় নির্মিত হয়েছে। এটি আইফেল টাওয়ারের চেয়েও উঁচু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১৫ মিটার, যা একে শুধু একটি প্রযুক্তিগত কৃতিত্ব নয়, বরং একটি লজিস্টিক ও ভূতাত্ত্বিক ধাঁধায় পরিণত করেছে। এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি খাড়া, ঢালু এবং গভীর খাত দিয়ে গঠিত। দুর্বল শিলা দিয়ে গঠিত ভূমি। তাই ধসের আশঙ্কা প্রতি পদে।

    লতার কাজ

    অধ্যাপক লতা ছিলেন এই ঢালগুলির চরিত্র বিশ্লেষণ এবং এমন স্থিতিশীলকরণ পদ্ধতি নির্ধারণের দায়িত্বে, যা চরম আবহাওয়া ও ভূতাত্ত্বিক চাপও সহ্য করতে পারে (Chenab Bridge)। তাঁর অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল টিমের জন্য এমন গভীর ভিত্তি এবং বিশাল আর্চ সমর্থন ডিজাইন করতে সহায়তা করা, যা ঘণ্টায় ২২০ কিমি পর্যন্ত বায়ু প্রবাহ সহ্য করতে পারে এবং এই ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের কম্পনেও অনড় থাকতে পারে। এক বিবৃতিতে লতা বলেন, “এত জটিল ভূপ্রকৃতিতে ভিত্তি ডিজাইন করার অর্থ ছিল একাধিক ভাঙনের সম্ভাব্যতা বিবেচনা করা। সেতুটি এমন একটি জায়গায় অবস্থিত, যা কল্পনাতীতভাবে কঠিন। নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি কাঠামোগত সিদ্ধান্ত তিনবার করে যাচাই করা হয়েছে (Madhavi Latha)।”

    ভূগর্ভস্থ দুর্ঘটনা রুখতে পদক্ষেপ

    প্রধান নির্মাণ সংস্থা আফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সঙ্গে কাজ করার সময় মাধবী লতা ভূ-প্রযুক্তিগত সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করতেন। ঢালের চরিত্র পর্যবেক্ষণ করতেন। অপ্রত্যাশিত কোনও ভূগর্ভস্থ দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, তাই প্রায়ই তিনি কাঠামোগত নকশায় পরিবর্তনের সুপারিশ করতেন (Chenab Bridge)। এই ধরনের বৃহৎ প্রকল্পে সাধারণত রাজনৈতিক নেতৃত্ব বা প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যের ওপর বেশি ফোকাস পড়ে। কিন্তু অধ্যাপক মাধবী লতার মতো প্রযুক্তিবিদরা দেশকে মনে করিয়ে দেন যে, বৈজ্ঞানিক পরিশ্রম, কারিগরি দক্ষতা এবং গভীর প্রতিশ্রুতিই একমাত্র দর্শনকে বাস্তবে রূপ দেয় (Madhavi Latha)।

    ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তিগত প্রকল্পের ইতিহাসে মাধবী লতার নাম চিরস্থায়ীভাবে খোদাই করা হয়ে গিয়েছে। লতা কেবল একজন অধ্যাপক নন, তিনি নিজেই এই সেতুর এক স্তম্ভ — দৃঢ়, স্থিতিশীল এবং অপরিহার্য। প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরের রেসি জেলার বাক্কাল ও কুরির মধ্যে একটি ইস্পাত ও কংক্রিট খিলান যুক্ত রেল সেতুই হল চেনাব সেতু (Chenab Bridge)। সেতুটি চেনাব নদীর তলদেশ থেকে ৩৫৯ মিটার উঁচু। বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতু এটি (Madhavi Latha)।

  • Extreme Poverty Rate: ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য

    Extreme Poverty Rate: ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার বিশ্বব্যাংকের মুখে শোনা গেল মোদি-স্তুতি। কারণ কী জানেন? কারণ মোদি জমানায় ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য। তামাম বিশ্বের মতো করোনা অতিমারির ধাক্কা লেগেছিল ভারতেও। সেই অভিঘাত কাটিয়ে দারিদ্র্য দূরীকরণে (Extreme Poverty Rate) ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে ভারত। বিশ্বব্যাংকের (World Bank) সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, সামগ্রিকভাবেও গত এক দশকে ভারতে চরম দারিদ্র্য কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ২০১১-১২ সালে যেখানে চরম দারিদ্র্যের হার ছিল ২৭.১ শতাংশ, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা কমে হয়েছে ৫.৩ শতাংশ। বলা বাহুল্য, এই পুরো সময়টাই দেশ চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্ত (Extreme Poverty Rate)

    বিশ্বব্যাংকের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ওই এক দশকে ২৬ কোটি ৯০ লাখের কিছু বেশি মানুষকে চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করেছে ভারত। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নিরিখে একে উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের করোনা অতিমারি পর্বে ভারতে অন্তত ৫.৬ কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে গিয়েছিলেন বলে ২০২২ সালে বিশ্বব্যাংকের পভার্টি অ্যান্ড শেয়ার্ড প্রসপারিটি শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছিল।

    অতিমারি পর্বের ধাক্কা

    অতিমারি পর্বের সেই ধাক্কা সামলে মোদি জমানায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি। ২০১১-১২ সালে ভারতে চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি। ২০২২-২৩ সালে তা নেমে এসেছে সাড়ে সাত কোটিতে। ওই রিপোর্ট থেকেই জানা যাচ্ছে, ২০১১-২৩ সালের মধ্যে নিম্ন-মধ্য আয়ের দারিদ্র্যও ৫৭.৭ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.৯ শতাংশে। বিশ্বব্যাংক দারিদ্র্যের সংজ্ঞা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগে দৈনিক ২.১৫ মার্কিন ডলার খরচের ক্ষমতাসীমা মেনে চলত। ২০২১ সালে তা বাড়িয়ে করা হয় ৩ মার্কিন ডলার। তার পরেও ভারতে কমেছে দরিদ্র্যের সংখ্যা।

    বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট

    বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুসারে, গ্রামীণ ও শহুরে উভয় ক্ষেত্রেই দারিদ্র্য হ্রাসে ভারত অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। গ্রামীণ এলাকায় চরম দারিদ্র্য ২০১১-১২ সালে ১৮.৪ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ সালে ২.৮ শতাংশে নেমেছে। শহুরে এলাকায় এই হার ১০.৭ শতাংশ থেকে ১.১ শতাংশে কমেছে। গ্রামীণ ও শহুরে দারিদ্র্যের ব্যবধানও ৭.৭ শতাংশ পয়েন্ট থেকে মাত্র ১.৭ শতাংশ পয়েন্টে নেমে এসেছে, যা বার্ষিক ১৬ হ্রাসের ইঙ্গিত দেয় (Extreme Poverty Rate)। আয়ের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ অ্যাক্সেসের মতো ক্ষেত্রগুলি বিবেচনা করে বিশ্বব্যাঙ্কের বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক অনুসারে, ভারতের অ-আর্থিক দারিদ্র্যও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০০৫-’০৬ সালে এই সূচক ছিল ৫৩.৮ শতাংশ, যা ২০১৯-২১ সালে ১৬.৪ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ সালে আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১৫.৫ শতাংশে। এই অগ্রগতি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং মৌলিক পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস বৃদ্ধির ফল।

    চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যা

    উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশের মতো পাঁচটি রাজ্য ২০১১-১২ সালে ভারতের চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ নিয়ে গঠিত ছিল। এই রাজ্যগুলি ২০২২-২৩ সালের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাসে দুই-তৃতীয়াংশ অবদান রেখেছে (World Bank)। তবে এই রাজ্যগুলি এখনও ২০২২-’২৩ সালে দেশের চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ এবং ২০১৯-’২১ সালে বহুমাত্রিক দরিদ্র জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ নিয়ে গঠিত (Extreme Poverty Rate)।

    মোদির ক্রেডিট

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প এই সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আয়ুষ্মান ভারত, জন ধন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা এবং পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনার মতো প্রকল্পগুলি মৌলিক পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস বাড়িয়েছে এবং দারিদ্র্য কমাতে সাহায্য করেছে। সরকারি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এই প্রকল্পগুলির কার্যকর করায় প্রায় ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

    দারিদ্র্যের মানদণ্ড

    এই অগ্রগতি নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। তবে বিশ্বব্যাংক এবং অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, দারিদ্র্যের মানদণ্ড খুবই কম হতে পারে। ২.১৫ মার্কিন ডলার প্রতিদিনের সীমা মাসিক ৫ হাজার ২০০ টাকার কম খরচের সমতুল, যা বাস্তব জীবনে পর্যাপ্ত নাও হতে পারে। এছাড়া, আয়ের বৈষম্য এখনও একটি চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব বৈষম্য ডেটাবেস অনুসারে, ২০২৩ সালে ভারতের আয়ের গিনি সূচক ৫২ থেকে ৬২-তে উন্নীত হয়েছে এবং শীর্ষ ১০ শতাংশ জনগোষ্ঠী নিম্ন ১০ শতাংশের তুলনায় ১৩ গুণ বেশি আয় করে (Extreme Poverty Rate)। ওই রিপোর্টে দারিদ্র্য হ্রাসের ভিত পোক্ত করতে বিশ্বব্যাংক শিক্ষা, স্যানিটেশন এবং আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে আরও উন্নতির ওপর জোর দিয়েছে (World Bank)।

    প্রসঙ্গত, মোদি জমানায় যে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পারদ চড়চড়িয়ে বাড়ছে, তার প্রমাণ মিলেছে আগেও। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে থাকা ভারত বর্তমানে উঠে এসেছে চতুর্থ স্থানে (Extreme Poverty Rate)।

  • G7 Summit: জি৭ সামিটে ভারতকে কেন আমন্ত্রণ? কারণ ব্যাখ্যা করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি

    G7 Summit: জি৭ সামিটে ভারতকে কেন আমন্ত্রণ? কারণ ব্যাখ্যা করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি৭ সামিটে (G7 Summit) আমন্ত্রণ পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ অতিথি দেশ হিসেবে অংশ নেবে ভারত। ১৫ থেকে ১৭ জুন কানাডার আলবার্টার কানানাসকিসে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ওই সম্মেলন। যদিও ভারত জি৭-এর সদস্য নয়, তবুও বৈশ্বিক ক্ষেত্রে ভারতের ক্রমবর্ধমান (Canada PM) প্রভাবের কারণে এবারের জি৭ সভাপতির দায়িত্বে থাকা কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

    কার্নির বক্তব্য (G7 Summit)

    ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কার্নি বলেন, ‘‘কিছু দেশ আছে যাদের এই আলোচনার টেবিলে থাকা উচিত। ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি, সর্বাধিক জনবহুল দেশ এবং একাধিক বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের কেন্দ্রবিন্দু।’’ তাঁর এই মন্তব্য ভারতকে বৈশ্বিক বাণিজ্য, জ্বালানি রূপান্তর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উদীয়মান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে তুলে ধরে। জানা গিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের অ্যাজেন্ডায় গুরুত্ব দেওয়া হবে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ সুরক্ষিত করা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালনার অগ্রগতি সাধন এবং বিশ্বসেরা অর্থনীতি ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর। প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, উদ্দীপনাপূর্ণ গণতন্ত্র হিসেবে, যাদের মধ্যে গভীর জনসম্পর্ক রয়েছে, ভারত ও কানাডা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে নতুন উদ্যমে এক সঙ্গে কাজ করবে।

    শিখ অধিকার সংগঠন

    ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোয় কার্নির ওপর বেজায় খাপ্পা কানাডার শিখ অধিকার বিভিন্ন সংগঠন। তারা কার্নির এই পদক্ষেপের ব্যাপক সমালোচনা করেছে। তারা ২০২৩ সালে হরদীপ সিং নিজ্জর নামে এক খালিস্তানপন্থীর হত্যার তদন্তের উল্লেখ করেছে। কার্নি বলেন, “এই বিষয়ে একটি আইনগত প্রক্রিয়া কানাডায় চলছে এবং অনেকটাই এগিয়ে গেছে… এই ধরনের আইনগত প্রক্রিয়া চলাকালে মন্তব্য করা কখনোই উপযুক্ত নয়।” জানা গিয়েছে, চারজন ভারতীয় নাগরিককে নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তেজনা সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কথাবার্তা ফের শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত (Canada PM), ভারত এখনও কানাডার দশম বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।

    ভারতের গুরুত্ব

    কার্নি বলেন, ‘‘এই ধরনের (G7 Summit) আলোচনার জন্য কিছু নির্দিষ্ট দেশকে অবশ্যই আলোচনার টেবিলে থাকতে হবে, জি৭-এর চেয়ার হিসেবে আমি এই পরামর্শ দিচ্ছি। তিনি বলেন, ভারত বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি কার্যত বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ শৃঙ্খলের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে। তাই এর অংশগ্রহণ পুরোপুরি যুক্তিসঙ্গত। এর পাশাপাশি, দ্বিপাক্ষিকভাবে আমরা এখন নিয়মিত আইন প্রয়োগ সংক্রান্ত সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি, যা একটি অগ্রগতি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই প্রেক্ষাপটে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম এবং তিনি তা গ্রহণও করেছেন।’’

    মোদির প্রতিক্রিয়া

    কার্নির ফোন পেয়ে যারপরনাই আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি বলেন, ‘‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক জে কার্নির ফোনকল পেয়ে আনন্দিত। সাম্প্রতিক নির্বাচনে বিজয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানালাম এবং এই মাসের শেষের দিকে কানানাসকিসে অনুষ্ঠিতব্য জি৭ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানালাম (G7 Summit)। প্রাণবন্ত গণতন্ত্র হিসেবে, যাদের মধ্যে গভীর জনসংযোগ রয়েছে, ভারত ও কানাডা পারস্পরিক সম্মান এবং অভিন্ন স্বার্থকে পথনির্দেশ করে নয়া উদ্যমে এক সঙ্গে কাজ করবে। সম্মেলনে আমাদের সাক্ষাতের (Canada PM) অপেক্ষায় রইলাম।’’ এবার জি৭-এর আয়োজক দেশ কানাডা। তাই কানাডাই আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতকে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউক্রেন এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট।

    জি৭ সম্মেলন

    আগামী ১৫ থেকে ১৭ জুন কানাডায় হবে ৫১তম জি৭ সম্মেলন। রীতি অনুযায়ী, আয়োজক দেশ জি৭-এর বাইরে থাকা কিছু দেশকেও বৈঠকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়। কিন্তু এতদিন ভারতের কাছে কানাডার তরফে এমন কোনও আমন্ত্রণ না আসায় জল্পনা তৈরি হয়েছিল। বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্যের জন্য অপেক্ষা না করেই কংগ্রেস দাবি করেছে জি৭ সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটি ভারতের আরও একটি কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলে দাবি করে সোনিয়া গান্ধীর দল। তার পরে পরেই আসে কার্নির আমন্ত্রণ। মুখ পোড়ে কংগ্রেসের (G7 Summit)।

    প্রসঙ্গত, জি৭ হল বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির দেশগুলির একটি গোষ্ঠী। এর সদস্য দেশগুলি হল ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেন, জাপান, আমেরিকা এবং কানাডা। এই বৈঠকে ভারতের (Canada PM) প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি আমন্ত্রিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক এবং রাষ্ট্রসংঘও (G7 Summit)।

LinkedIn
Share