Author: pranabjyoti

  • Missionary Networks: বাড়ছে খ্রিস্টান মিশনারিদের দৌরাত্ম্য, বদলে যাচ্ছে ভারতের সোশ্যাল ফ্যাব্রিক!

    Missionary Networks: বাড়ছে খ্রিস্টান মিশনারিদের দৌরাত্ম্য, বদলে যাচ্ছে ভারতের সোশ্যাল ফ্যাব্রিক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর চল্লিশের মার্কিন খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারক ড্যানিয়েল স্টিফেন কর্টনি এখন বিশ্বব্যাপী বিতর্কের কেন্দ্রে। তিনি নিজেকে এক নির্ভীক ধর্ম প্রচারক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। প্রকাশ্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে খ্রিস্টান ধর্ম (Missionary Networks) প্রচার করেছেন ভারত, নেপাল, ইজরায়েল, ব্রিটেন এবং আমেরিকায়। এই ধর্ম প্রচারের আড়ালেই (Indias Social Fabric) তিনি অস্ত্র পাচার করছেন বলে অভিযোগ। গত ডিসেম্বরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ‘ইন্ডিয়া টুডে’। সেখানে এক ভিডিওতে দেখা যায়, মণিপুরে গোষ্ঠীসংঘর্ষ চলাকালীন কর্টনি গোপনে কুকি জঙ্গিদের ড্রোন, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করছেন। ভিডিও ফুটেজটি সংগ্রহ করা হয়েছে ২০২৩ সালের অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। সেখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে সক্রিয়ভাবে তিনি হিন্দু মেইতেইদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন এবং সাহায্য করছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি শুধু ধর্ম প্রচারের কাজই নয়, বরং ভারতের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে হস্তক্ষেপ, যা সশস্ত্র বিদ্রোহীদের প্রত্যক্ষ সমর্থনের কাছাকাছি।

    বহিষ্কার করা হয়েছিল কোর্টনিকে (Missionary Networks)

    ঘটনাটি কোর্টনির আগের কুখ্যাতির পরপরই সামনে আসে। ২০১৭ সালে ভারতে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং নিষিদ্ধ ধর্মীয় কার্যকলাপে জড়িত থাকার কারণে দেশ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে তিনি আবার নেপাল ও ভারতে আসেন, আড়ালে থেকে চালাতে থাকেন কার্যকলাপ। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, তিনি নেপালের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় ধর্মান্তরকরণে সহায়তা করেছেন এবং সামাজিক সেবার আড়ালে মিশনারি অ্যাজেন্ডা চালিয়ে গিয়েছেন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যকলাপেও প্রায়ই হিন্দু-বিরোধী ও বিজেপি-বিরোধী বক্তব্য থাকত, যা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। অবশেষে গত ডিসেম্বরে নেপালের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাঁকে অবৈধ কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করে।

    বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়

    কোর্টনি মামলাটি কোনও এক উগ্র মিশনারির (Missionary Networks) বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি আরও গভীর একটি সমস্যাকে উন্মোচিত করে, কীভাবে বিদেশি এজেন্টরা, যারা প্রায়ই সাহায্যকর্মী বা মানবাধিকার কর্মীর ছদ্মবেশে ভারতের সংবেদনশীল অঞ্চলে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নেয়। এমন উদ্বেগজনক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি এমন এক নতুন ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে যেখানে এই ধরনের কার্যকলাপ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে (Indias Social Fabric)। কোর্টনি গ্রেফতার হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই বাংলার এক চমকপ্রদ ছবি সামনে আসে। একটি ছবি থেকে জানা যায়, তিনি কলকাতা-ভিত্তিক একটি এনজিও, ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এটি প্রমাণ করে, কীভাবে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিরা নিঃশব্দে এনজিও নেটওয়ার্কে নিজেদের জায়গা করে নিতে পারছে। এই এনজিওগুলির সিংহভাগই বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত হয় বলে খবর।

    চিকিৎসা শিবিরগুলি আসলে ধর্মান্তরের আড়াল মাত্র

    ২০২৫ সালের অগাস্টে প্রকাশিত একটি বিশেষ প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে যে, তথাকথিত চিকিৎসা শিবির বা বিশ্বাসভিত্তিক চিকিৎসা শিবিরগুলি আসলে ধর্মান্তরের আড়াল মাত্র (Missionary Networks)। হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদা অঞ্চলে গ্রামবাসীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা কিংবা বিশ্বাসভিত্তিক আরোগ্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আকৃষ্ট করা হচ্ছিল। একবার তারা এর প্রতি আকৃষ্ট হলে সন্ধ্যার প্রার্থনা সভার সময় আধ্যাত্মিক পরামর্শ ও সামাজিক চাপের মাধ্যমে ধীরে ধীরে তাদের খ্রিস্টধর্মের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছিল। একই ধরনের আর একটি ঘটনা ঘটে ২০২৫ সালের জুন মাসে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে কিছু মিশনারি অলৌকিক আরোগ্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রামবাসীদের ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করেছিলেন (Indias Social Fabric)। তবে স্থানীয় হিন্দুরা প্রতিবাদ করলে পালিয়ে যান মিশনারিরা। প্রতিবারই এদের কৌশল একই থাকে- প্রথমে দান-দক্ষিণা, পরে ধর্মান্তর।

    মোদীর আমলে বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন

    দশকের পর দশক ধরে ভারতে এনজিওগুলি এক ধরনের দ্বিমুখী তলোয়ারের মতো কাজ করে। অনেকে সত্যিই সমাজকল্যাণ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার জন্য কাজ করে। আবার অনেকে, যারা বিশেষ করে যারা বিপুল বিদেশি সহায়তা পায়, তারা কল্যাণমূলক কর্মসূচিকে ধর্মান্তরকরণের আড়াল হিসেবে ব্যবহার করছে (Missionary Networks)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর করা হয়। বাতিল করা হয় শ’য়ে শ’য়ে এনজিওর লাইসেন্স। তার পরেও পশ্চিমবঙ্গ ক্রমশ এক ব্যতিক্রম হিসেবে উঠে আসছে ওপরের সারিতে। এখানে বিশ্বাসভিত্তিক চিকিৎসাশিবির, গোপন প্রার্থনাসভা এবং প্রলোভনভিত্তিক ধর্মান্তরের খবর ক্রমেই বাড়ছে।

    বদলে যাচ্ছে ভারতের সোশ্যাল ফ্যাব্রিক

    ধর্মান্তরের সমস্যা শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়। গোটা ভারতে, বিশেষ করে ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশার মতো রাজ্যে মিশনারি কার্যকলাপের বাড়বাড়ন্ত। শুধু ছত্তিশগড়েই বিধানসভায় বিদেশি-অর্থায়িত এনজিওগুলি কীভাবে আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে ধর্মান্তরের কাজে ব্যবহার করছে, তা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার তার বিরোধী-ধর্মান্তর আইনের অধীনে একাধিক এফআইআর দায়ের করেছে। আদালত প্রতারণা বা প্রলোভনের মাধ্যমে করা ধর্মান্তরের জন্য কারাদণ্ডও দিয়েছে। তার পরেও রমরমিয়ে চলছে ধর্মান্তরের এই ‘ব্যবসা’ (Indias Social Fabric)। যার জেরে বদলে যাচ্ছে ভারতের সোশ্যাল ফ্যাব্রিক (Missionary Networks)।

  • Rahul Gandhi: কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই ভোট চুরির অভিযোগে সরব কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া

    Rahul Gandhi: কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই ভোট চুরির অভিযোগে সরব কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সরব হয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এবার তাঁর বিরুদ্ধেই ভোট চুরির অভিযোগে সরব হলেন কংগ্রসেরই নেতা কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। ১৯৯১ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে রাহুলকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। স্বদলেরই এক বরিষ্ঠ নেতার এমনতর গুরুতর অভিযোগের জেরে বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি।

    হেরে গিয়েছিলাম জালিয়াতির কারণে (Rahul Gandhi)

    প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের লোকসভা নির্বাচনে কপ্পল লোকসভা কেন্দ্রে জনতা দলের প্রার্থী হয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। ওই নির্বাচনে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কংগ্রেসের বাসবরাজ পাটিল আনওয়ারি। তাঁর কাছে ১১ হাজারেরও বেশি ভোটে হেরে গিয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। সেদিনের কথা স্মরণ করেই বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া বলেন, “১৯৯১ সালে আমি ভোটে লড়েছিলাম এবং হেরে গিয়েছিলাম জালিয়াতির কারণে।” সেই কঠিন সময়ে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য তিনি রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রফেসর রবি বর্মা কুমারকে ধন্যবাদও দেন।

    অমিত মালব্যর আক্রমণ

    সিদ্দারামাইয়ার ওই মন্তব্যের ভিডিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি শাখার প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “যিনি এক সময় কংগ্রেসের ভোট চুরির বিরুদ্ধে লড়েছিলেন, তিনিই আজ কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী এবং ভোটার অধিকার মিছিলেন নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তখন তিনি (সিদ্দারামাইয়া) ব্যালট পেপারে হেরে গিয়ে ভোট চুরি বলে কেঁদেছিলেন। আর আজ রাহুল গান্ধী নির্বাচনী জালিয়াতি নিয়ে হাহাকার করছেন। কারণ ভারতের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ও হ্যাক করা যায় না, এমন যন্ত্র ইভিএমের মাধ্যমে কংগ্রেসকে সাফ করে দিয়েছে।” সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি এও লেখেন, “কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah) প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে ১৯৯১ সালের কপ্পল লোকসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের ভোট কারচুপির শিকার হয়েছিলেন। এটি প্রমাণ করে যে কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরেই ভোট চুরির রাজনীতি করেছে।আয়রনি হল, রাহুল গান্ধী বিজেপিকে সেই কাজের জন্য অভিযুক্ত করছেন, যা তাঁর নিজের দল দশকের পর দশক ধরে করেছে।”

    আক্রমণ পদ্ম শিবিরের

    কর্নাটকের বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বিজেপির আর অশোকও বলেন, “কংগ্রেস (Rahul Gandhi) প্রতারণা করে সিদ্দারামাইয়াকে হারিয়েছিল।” তিনি বলেন, “সিদ্দারামাইয়া নিজেই কংগ্রেস পার্টির মুখোশ খুলে দিয়েছেন। তিনি ১৯৯১ সালে জনতা দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েছিলেন, আর এখন তিনি স্বীকার করছেন যে কংগ্রেস জালিয়াতির মাধ্যমে তাঁকে পরাজিত করেছিল। সত্যটি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকেই বেরিয়ে এসেছে।” পদ্ম শিবিরের আর এক নেতা সরাসরি রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ (Siddaramaiah) করে বলেন, “রাহুল গান্ধী কি এখন প্রতারণা ফাঁস করার জন্য সিদ্দারামাইয়াকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করবেন? নাকি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা শুধু দলিত নেতা সত্যিশ জারকিহোলির মতো নেতাদের জন্যই রাখা হয়েছে, যিনি আগে অপমানের শিকার হয়েছিলেন? সিদ্দারামাইয়া যখন কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন, তখন রাহুল গান্ধী নীরব কেন?”

    ১৯৯১ সালের অশান্ত লোকসভা নির্বাচন

    সিদ্দারামাইয়ার মন্তব্য ১৯৯১ সালের অশান্ত লোকসভা নির্বাচনের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। ওই নির্বাচনে একাধিক আসনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তাই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য এখন বড় হাতিয়ার হয়ে উঠেছে (Rahul Gandhi) বিজেপির। তাদের প্রশ্ন, যদি কংগ্রেস ১৯৯১ সালে ভোট কারচুপি করে থাকে, তবে আজ বিজেপিকে অভিযুক্ত করার নৈতিক অধিকার তাদের কোথায়? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাহুল এবং সিদ্দারামাইয়ার মন্তব্যে বিরোধাভাস স্পষ্ট। রাহুল জোরালোভাবে বিজেপিকে একমাত্র নির্বাচনী জালিয়াত হিসেবে তুলে ধরেছেন, অথচ তাঁর নিজের দলের মুখ্যমন্ত্রীই প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন অনিয়মের শিকার হয়েছিলেন তিনি স্বয়ং (Siddaramaiah)।

    প্রশ্ন একাধিক

    বিহার এবং কর্নাটক-সহ অন্যান্য নির্বাচনে বিজেপি যে এটিকেই প্রধান ইস্যু করবে, তা স্পষ্ট। তারা কংগ্রেসকে এমন একটি দল হিসেবে ব্র্যান্ড করবে, যারা অনেক আগেই ভোট কারচুপিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল, আর এখন অন্যদের দিকে আঙুল তুলছে। এই বিতর্কে সিদ্দারামাইয়া ও রাহুল (Rahul Gandhi) কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে যা প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেটিই যে ব্যুমেরাং হয়ে ফিরবে, তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। স্বাভাবিকভাবই তাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন হল, কংগ্রেস কি আসলেই ১৯৯১ সালের নির্বাচনে কারচুপি করেছিল? আর যদি করেই থাকে, তবে (Rahul Gandhi) প্রকৃত ভোট চোর কারা?

  • Vladimir Putin: ভারতে আসছেন পুতিন, শুল্ক-সংঘাতের আবহে আরও কাছাকাছি আসছে ভারত-রাশিয়া!

    Vladimir Putin: ভারতে আসছেন পুতিন, শুল্ক-সংঘাতের আবহে আরও কাছাকাছি আসছে ভারত-রাশিয়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাম্পের চড়া শুল্কহারের জেরে আরও কাছাকাছি আসছে ভারত (India) ও রাশিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। শুক্রবার সরকারিভাবে এ কথা ঘোষণা করে দিল মস্কো। ক্রেমলিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির ক্ষেত্রে পুতিনের এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

    শুল্ক আরোপ আমেরিকার (Vladimir Putin)

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে মস্কোকে কাঠগড়ায় তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছিল। তাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে ভারত। তার জেরে দু’দফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর সব মিলিয়ে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে আমেরিকা। সঙ্গে চাপিয়ে দেয় মোটা অঙ্কের জরিমানাও। এই আবহে ৩১ অগাস্ট দু’দিনের চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লক্ষ্য, এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়া। এই সম্মেলনে যোগ দেবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টও। সোমবার তাঁদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা। তার ঠিক আগেই পুতিনের নয়াদিল্লি সফরের বার্তা দিল ক্রেমলিন।

    মোদির ডাকে সাড়া

    প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ও দু’জনের মধ্যে হয়েছিল পার্শ্ববৈঠক। সেই সময়ই তিনি ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্টকে। চলতি বছরের মার্চ মার্চ মাসে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছিলেন, মোদির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন পুতিন। যদিও সেই সময় পুতিনের ভারত সফরের সম্ভাব্য দিনক্ষণ সম্পর্কে কিছু জানাননি লাভরভ। চলতি মাসে মস্কোয় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই সময় (Vladimir Putin) তিনিই জানিয়েছিলেন, চলতি বছরই ভারতে আসতে পারেন পুতিন। শুক্রবার সেটাই নিশ্চিত করল রাশিয়া।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ভারতে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। গত সপ্তাহেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিরও ভারতে (India) আসার খবর মিলেছিল। নয়াদিল্লিতে ইউক্রেনের দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে শীঘ্রই ভারতে আসবেন জেলেনস্কি। তিনি চান, বন্ধু দেশ রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধ থামানোর ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করুক ভারত। তবে জেলেনস্কি ঠিক কবে নয়াদিল্লিতে আসবেন, তা এখনও জানানো হয়নি ইউক্রেনের তরফে (Vladimir Putin)।

  • Ajit Doval: কয়েকটা মাত্র চুল সংগ্রহ করেই পাকিস্তানের পারমাণবিক পরিকল্পনার পর্দা ফাঁস করেছিলেন ডোভাল

    Ajit Doval: কয়েকটা মাত্র চুল সংগ্রহ করেই পাকিস্তানের পারমাণবিক পরিকল্পনার পর্দা ফাঁস করেছিলেন ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গায়ে ছেঁড়াফাটা একটা শাল। রাস্তার ধারে বসে রয়েছেন মলিন বেশের একটি মানুষ (Ajit Doval)। গায়ে মাথায় ধূসর ধুলোর আস্তরণ। এহেন ভিখিরিকে দেখে পাকিস্তানের কেউ একটা বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি (Pakistans Nuclear Plans)। এমন কত মানুষই তো রাস্তার ধারে বসে থাকে! সমাজের অবাঞ্ছিত এই সব মানুষের ভিড়েই সেদিন মিশে গিয়েছিলেন অজিত ডোভাল। বর্তমানে আশি ছুঁইছুঁই যে মানুষটি সামলাচ্ছেন মোদি সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব। আটের দশকে তিনিই উদ্দেশ্যহীনভাবে (?) ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অলিতে-গলিতে।

    ভিখিরির ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ইসলামাবাদের রাস্তায় (Ajit Doval)

    দিন কয়েক রাস্তার ধারে ধূলিধূসরিত যে মানুষটি বসেছিলেন, তিনিই এবার ভিখিরির ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ইসলামাবাদের রাস্তায় রাস্তায়। লোক দেখলেই চাইছেন ভিক্ষে। মাথা ভর্তি চুল-দাড়ি আর ছেঁড়া শালের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছেন যে মানুষটি, তাঁর বুদ্ধি ক্ষুরধার। ইসলামাবাদে তাঁর এই ছদ্মবেশ ধারণ করার আসল লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের গোপন পারমাণবিক পরিকল্পনার পর্দা ফাঁস করা। পাকিস্তানের সব চেয়ে সুরক্ষিত পারমাণবিক পরিকল্পনার রহস্য উদ্ঘাটন করা। আর তা করতে হলে যেন-তেন প্রকারে ঢুকতে হবে পাকিস্তানের গবেষণা কেন্দ্রে কিংবা সংগ্রহ করতে হবে নমুনা। ১৯৭৪ সালে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার পর নয়াদিল্লিকে টেক্কা দিতে কোমর (Ajit Doval) বেঁধে মাঠে নেমে পড়ে ইসলামাবাদও। এ ব্যাপারে তাদের সাহায্য (Pakistans Nuclear Plans) করেছিল চিন। ভারতের প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের এই গোপন প্রচেষ্টার একটি সুনির্দিষ্ট প্রমাণ। আর সেই গুরু দায়িত্ব পড়েছিল অজিত ডোভালের ঘাড়ে, যিনি তখন পরিচিত ছিলেন ‘সুপার কপ’ নামে।

    খান রিসার্চ ল্যাবরেটরিজ

    ইসলামাবাদের কাহুটায় রয়েছে কুখ্যাত খান রিসার্চ ল্যাবরেটরি। এটি কোনও সাধারণ শহর নয়। বহুস্তরীয় নিরাপত্তার বলয় ভেদ করে ঢুকতে হত শহরে। কঠোর নিয়ম মেনে চলাফেরা করতেন বিজ্ঞানী, নিরাপত্তা কর্মী এবং সরকারি কর্তারা। শ্যেনদৃষ্টিতে তাঁদের চলাফেরার ওপর তাকিয়ে থাকতেন প্রহরীরা। মাস কয়েক ধরে ভিখিরির ছদ্মবেশে এখানকারই রাস্তায় ঘুরতে লাগলেন ডোভাল। পর্যবেক্ষণ করলেন এখানে আসা লোকজনকে, নিলেন নোটও। হাতড়ে বেড়ালেন ওই গবেষণা কেন্দ্রে ঢোকার রাস্তা। সেখান থেকে বেরনোর উপায়ই বা কি! এই গবেষণা কেন্দ্রে যাতায়াত করার প্রতিটি ব্যক্তির অঙ্গভঙ্গি, নড়াচড়া, কে, কোথায় যান, তাঁদের গতিবিধির ওপরও নজর রাখতে শুরু করলেন ডোভাল।

    তিনি লক্ষ্য করলেন, এই গবেষণা কেন্দ্রে আসা লোকজন স্থানীয় একটি (Ajit Doval) নির্দিষ্ট সেলুনেই যান চুল কাটতে। একদিন ওই সেলুনে গেলেন ডোভালও। সংগ্রহ করলেন মেঝেয় পড়ে থাকা বিজ্ঞানীদের কয়েকটা চুল। গোপনে পাঠিয়ে দিলেন ভারতে, বিশ্লেষণের জন্য। সেই চুল পরীক্ষা করে ভারতীয় গবেষকরা জানতে পারেন, চুলে রয়েছে ইউরেনিয়াম এবং তেজস্ক্রিয়তার চিহ্ন, পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে যার গুরুত্ব অপরিসীম (Pakistans Nuclear Plans)। টানা ছ’বছর ধরে ইসলামাবাদে কাটিয়ে এলেও, এই দুঁদে গোয়েন্দার টিকিটিও ছুঁতে পারেননি কোনও পাক কর্তা। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁর এই কাজের ফলে পাকিস্তানের পারমাণবিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পিছিয়ে গিয়েছিল প্রায় ১৫ বছর (Ajit Doval)।

  • Jaish Terrorists: নেপাল হয়ে বিহারে ঢুকেছে পাকিস্তানের ৩ জইশ জঙ্গি, জারি হাই অ্যালার্ট

    Jaish Terrorists: নেপাল হয়ে বিহারে ঢুকেছে পাকিস্তানের ৩ জইশ জঙ্গি, জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান থেকে ভায়া নেপাল হয়ে বিহারে ঢুকে পড়েছে তিন জইশ জঙ্গি (Jaish Terrorists)। গোয়েন্দাদের তরফে বিহার পুলিশকে এ ব্যাপারে সতর্ক (High Alert) করা হয়েছে। তার পরেই রাজ্যজুড়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে বিহার পুলিশ। ভারতে ঢুকে পড়া তিন পাক জঙ্গিকেই শনাক্ত করা গিয়েছে। এরা হল রাওয়ালপিন্ডির বাসিন্দা হাসনাইন আলি, উমরকোটের বাসিন্দা আদিল হুসেন এবং বহওয়ালপুরের মহম্মদ উসমান।

    জইশ-ই-মহম্মদের ৩ জঙ্গি (Jaish Terrorists) 

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জইশ-ই-মহম্মদের এই জঙ্গিরা অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকিস্তান থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে পৌঁছয়। সম্প্রতি তারা ঢোকে ভারতে। তিন জঙ্গির ছবি প্রকাশ করে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করা হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযানও। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হয়েছে, কোনওরকম সন্দেহজনক কিছু দেখলেই যেন খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হিন্দু পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার পরে পাকিস্তান ও পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তার পর থেকে আঁটসাঁট করা হয়েছে বিহারে ভারত-নেপাল সীমান্তের নিরাপত্তা।

    ভায়া নেপাল ভারতে ঢুকেছে পাক জঙ্গিরা!

    বিহারের দিকে ভারতের সঙ্গে নেপাল সীমান্তের প্রায় ৭২৯ কিলোমিটার উন্মুক্ত। তাই এই জায়গাগুলিই অনুপ্রবেশের হটস্পট হয়ে উঠেছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, সহজেই সীমান্ত পারাপার হয় এই অঞ্চল দিয়ে। গোয়েন্দাদের অনুমান, সীমান্তবর্তী জেলাগুলির কোনও একটি হয়েই জঙ্গিরা অনুপ্রবেশ করেছে বিহারে। চলতি বছরেই রয়েছে বিহার বিধানসভার নির্বাচন। অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, তার আগে বিহারে একটি বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। এই তিন জঙ্গিকেই গ্রেফতার করেছে বিহার পুলিশ। চলছে জেরাও। যদিও সরকারিভাবে এখনও জানানো হয়নি তিন জঙ্গির গ্রেফতারির খবর। এই জঙ্গিদের (Jaish Terrorists) জেরা করে তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, তাদের সঙ্গে আর কোনও জঙ্গি ভারতে প্রবেশ করেছে কিনা। নাশকতার ছকের এই জাল কতদূর বিস্তৃত, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    প্রসঙ্গত, মাত্র তিন মাস আগেই ২০ দিনের মধ্যে বিহারে ঢুকেছিল ১৮ জন সন্দেহভাজন। তাদের (High Alert) মধ্যে একজনকে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে পুলিশ (Jaish Terrorists)।

  • Supreme Court: “দাগি প্রার্থী পরীক্ষায় বসলেই ফল ভুগতে হবে এসএসসিকে,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: “দাগি প্রার্থী পরীক্ষায় বসলেই ফল ভুগতে হবে এসএসসিকে,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একজনও দাগি প্রার্থী পরীক্ষায় বসলে ফল ভুগতে হবে এসএসসিকে (SSC)।” বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। অযোগ্যদেরও পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসএসসি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তার জেরেই এদিন কমিশনকে ভর্ৎসনা করে দেশের শীর্ষ আদালত। এসএসসির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন, “যদি অভিযোগকারীর আইনজীবী প্রমাণ করতে পারেন যে আবারও অযোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করা হয়েছে, তাহলে আপনাদের কড়া সমালোচনার মুখোমুখি হতে হবে।”

    প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া কলঙ্কিত হয়েছিল (Supreme Court)

    এর পরেই তিনি বলেন, “আপনাদের কাছে অযোগ্য (এঁরাই তৃণমূলের বিভিন্ন নেতাকে টাকা দিয়ে চাকরি কিনেছিলেন বলে অভিযোগ।) প্রার্থীদের তালিকা রয়েছে। আপনারা যদি ওই প্রার্থীদের ছাড় দেন, তাহলে তার ফল ভুগতে হবে।” বিচারপতির প্রশ্ন, “অযোগ্য প্রার্থীদের জন্য কেন হাইকোর্টে গিয়েছে এসএসসি? যদি না কিছু মন্ত্রী চান যে ওই প্রার্থীরা থাকুন, তাহলে কোনও যুক্তিই এর জন্য যথেষ্ট নয়।” শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া কলঙ্কিত হয়েছিল, কারণ কিছু মন্ত্রী চেয়েছিলেন তাঁদের প্রার্থীরা থাকুক। ত্রুটিপূর্ণ বাছাই প্রক্রিয়ার জন্য বোর্ড, এসএসসি এবং রাজ্য সরকার দায়ী।” বিচারপতি বলেন, “আপনাদের জন্যই যোগ্যরা চাকরি হারিয়েছেন। তাঁদের জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন। আপনারাই বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছেন, আর আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে, এটা কি ঠিক?” বিচারপতি বলেন, “এসএসসির কাজের ওপর কড়া নজর রাখছে সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ নিয়ে কারচুপি করা হলেই হস্তক্ষেপ করবে সুপ্রিম কোর্ট।”

    অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ

    এর আগের শুনানিতে বিচারপতি বলেছিলেন, “স্বচ্ছতার স্বার্থেই পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছিল। এখন দাগিরাও আবেদন করছেন, এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে তা হবে দুর্ভাগ্যজনক।” এর পরেই এসএসসিকে (SSC) সতর্ক করে শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, এটা যেন কোনওভাবেই না হয়। বৃহস্পতিবার শুনানির সময় বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন (Supreme Court)। প্রশ্ন তোলা হয়, “কেন এখনও অযোগ্যদের নাম প্রকাশ করেনি এসএসসি? কেন অযোগ্যদের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কমিশন? এর পরেই সঞ্জয় কুমারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী সাত দিনের মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে অযোগ্যদের তালিকা। আদালত অবশ্য এও জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই পরীক্ষা হবে ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর। এসএসসির তরফে আইনজীবী তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেওয়া হয়, সাত দিনের মধ্যেই যাতে তালিকা প্রকাশ করা হয়, সে ব্যাপারে।

    আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট সাতদিনের সময় সীমা দিয়েছে। তবে আমি আপনাদের বলতে পারি ওরা এখনও সততার সঙ্গে সেই লিস্ট পাবলিশড করবে না। কারণ ওরা জানে, যাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, তাঁদের (SSC) নাম প্রকাশ্যে এলে ঘোর বিপদ। তাই কোনও কাজই ওরা সততার সঙ্গে করবে না (Supreme Court)।”

  • Trumps Tariffs: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ট্রাম্প!

    Trumps Tariffs: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ট্রাম্প!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! দু’দফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ (US GDP) শুল্ক আরোপ (Trumps Tariffs) করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যার জেরে চিড় ধরেছে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে। শুধু তাই নয়, ভারতকে ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়ে নিজেই উচিত শিক্ষা পেয়ে গিয়েছেন ট্রাম্প। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চারবার ফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও একবারও ফোন ধরেননি ‘মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার’ নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি ভারত-মার্কিন অর্থনীতিতে অতিরিক্ত শুল্কের প্রভাব নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, ভারতকে চাপে রাখতে গিয়ে নিজেই বিপাকে পড়েছে ট্রাম্পের দেশ।

    ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়়া শুল্ক আরোপ (Trumps Tariffs)

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। পরে ফের একপ্রস্ত শুল্ক আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়। ২৭ অগাস্ট সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকেই এই নয়া শুল্কহার কার্যকর হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার জেরেই খাদের কিনারায় গিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    এসবিআইয়ের রিপোর্ট

    স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে মার্কিন অর্থনীতিতে। এর ফলে অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে পারে মার্কিন অর্থনীতি। শুধু তাই নয়, এটি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি করলেও, বড় ধাক্কা দিতে পারে প্রবৃদ্ধিতে। এসবিআইয়ের রিসার্চের একটি নোটে বলা হয়েছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারও মূল্যস্ফীতির চাপের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা মূলত সাম্প্রতিক শুল্ক আরোপ ও দুর্বল ডলারের প্রভাব থেকে উদ্ভূত। বিশেষ করে আমদানি-নির্ভর খাতগুলি যেমন ইলেকট্রনিক্স, গাড়ি এবং টেকসই ভোগ্যপণ্যে এর প্রভাব স্পষ্ট হচ্ছে (Trumps Tariffs)।”

    এসবিআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নয়া শুল্কহারের কারণে আমেরিকার জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমতে পারে ৪০-৫০ বেসিস পয়েন্ট। শুধু তাই নয়, দুর্বল মার্কিন ডলার ও ব্যয়মূল্য বৃদ্ধির কারণেও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে মুদ্রাস্ফীতিও। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০২৬ সালে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ২ শতাংশ। তবে এই হার তার চেয়েও অনেক বেশি হতে চলেছে। এর মূল কারণ চড়া হারে শুল্ক চাপানোর প্রভাব।

    জানা গিয়েছে, মার্কিন পাইকারি দামের ক্ষেত্রে গত তিন বছরের মধ্যে সব চেয়ে বড় মাসিক বৃদ্ধি রেকর্ড হয়েছে, যেখানে জুলাই মাসে লাফিয়েছে প্রায় ১ শতাংশ। বছরে ৩.৩ শতাংশ হারে বেড়েছে প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স। শুল্ক-সংবেদনশীল আমদানি করা পণ্য যেমন আসবাবপত্র, পোশাক, প্রক্রিয়াজাত সামগ্রী এবং পরিষেবার ক্ষেত্রে (US GDP) সব চেয়ে তীব্র দামের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে (Trumps Tariffs)।

  • Trumps Tariffs: ট্রাম্পকে ‘শিক্ষা’ দিতে ভারতীয় বস্ত্রের জন্য ৪০টি দেশের বাজার ধরার ভাবনা নয়াদিল্লির

    Trumps Tariffs: ট্রাম্পকে ‘শিক্ষা’ দিতে ভারতীয় বস্ত্রের জন্য ৪০টি দেশের বাজার ধরার ভাবনা নয়াদিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trumps Tariffs)। তার পরেই মার খেতে পারে ভারতের বস্ত্রশিল্প (Textile Exports)। এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লি বিশ্বের ৪০টি দেশে বিশেষ মার্কেটিং করার পরিকল্পনা করছে বলে খবর। সরকারি এক আধিকারিক জানান, এই ৪০টি দেশের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, পোল্যান্ড, রাশিয়া, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডস, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ব্রিটেন। তাঁর মতে, এই ৪০টি দেশে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা হল এমন একটি কৌশল গ্রহণ করা যেখানে নিজেদেরকে উচ্চমানের, টেকসই ও উদ্ভাবনী বস্ত্রপণ্যের নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। অর্থাৎ, এক ঢিলে দুই পাখি! একদিকে ট্রাম্পের শুল্ক-নীতির মোকাবিলা করা হবে। অন্যদিকে, বিশ্বের দরবারে ভারতীয় বস্ত্রকে তুলে ধরাও হবে।

    সরকারি আধিকারিকের বক্তব্য (Trumps Tariffs) 

    তিনি বলেন, “ভারতীয় শিল্পখাতের নেতৃত্বমূলক ভূমিকা (যার মধ্যে ইপিসিএস এবং ওই দেশগুলিতে অবস্থিত ভারতীয় মিশনগুলিও অন্তর্ভুক্ত) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। জানা গিয়েছে, ভারত ইতিমধ্যেই ২২০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে রফতানি সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তবে যে ৪০টি দেশের জন্য বিশেষ যোগাযোগের পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেগুলিই বহুমুখীকরণের প্রকৃত চাবিকাঠি ধরে রেখেছে। প্রশ্ন হল, কেন এই ৪০টি দেশকেই বেছে নেওয়া হয়েছে? সরকারি ওই আধিকারিক বলেন, “এই ৪০টি দেশ একসঙ্গে টেক্সটাইল ও পোশাক আমদানিতে ৫৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি প্রতিনিধিত্ব করে, যা ভারতের জন্য বাজার অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির বিশাল সুযোগ তৈরি করছে। বর্তমানে ভারতের অংশীদারিত্ব মাত্র প্রায় ৫-৬ শতাংশ (Trumps Tariffs)। বিষয়টি উপলব্ধি করে সরকার এই ৪০টি দেশের প্রতিটিতে বিশেষ মার্কেটিং করার পরিকল্পনা করছে, যেখানে গুরুত্ব দেওয়া হবে ঐতিহ্যবাহী বাজারের পাশাপাশি উদীয়মান বাজারকেও।”

    মার্কিন চড়া শুল্ক হার

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের শুল্ক, যা ২৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে, ৪৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রফতানিকে প্রভাবিত করবে। আধিকারিকদের মতে, ভারতের এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলস্‌ (ইপিসিএস) হবে বৈচিত্র্যকরণ কৌশলের মেরুদণ্ড (Textile Exports)। তারা বাজারের মানচিত্র তৈরি করবে, উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন পণ্য চিহ্নিত করবে এবং সুরাট, পানিপথ, তিরুপুর ও ভদোহির মতো বিশেষ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে ৪০টি দেশের সম্ভাবনার সঙ্গে যুক্ত করবে। ইপিসিএসের কাছ থেকে আরও আশা করা হচ্ছে যে, তারা ভারতের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী, বাণিজ্য মেলা এবং ক্রেতা-বিক্রেতা বৈঠকে অংশগ্রহণে নেতৃত্ব দেবে। একইসঙ্গে ‘ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া’ ধারণার অধীনে বিভিন্ন খাতে প্রচারও করবে। কাউন্সিলগুলি রফতানিকারকীদের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) ব্যবহারের উপায়, টেকসই মানদণ্ড পূরণ এবং প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেশন পাওয়ার বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেবে। তিনি বলেন, “এই ভৌগোলিক অঞ্চলের সঙ্গে এফটিএ এবং আলোচনার ফলে ভারতীয় রফতানি প্রতিযোগিতামূলক হবে এবং এই খাতে প্রবৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে (Trumps Tariffs)।”

  • Mohan Bhagwat: “বিশ্বের সামনে থাকা আধুনিক সব সমস্যার সমাধান করতে পারে ভারত”, আরএসএসের শতবর্ষে দাবি ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “বিশ্বের সামনে থাকা আধুনিক সব সমস্যার সমাধান করতে পারে ভারত”, আরএসএসের শতবর্ষে দাবি ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উগ্রবাদ বাড়ছে। ওকিজম আজকের বিশ্বের অন্যতম বড় হুমকি। পরিবেশ ধ্বংসও মানুষের অশান্তি থেকে জন্ম নেওয়া একটি গুরুতর উদ্বেগ। এর সমাধান ধর্মে নিহিত, যা কোনও সংকীর্ণ অর্থে ধর্ম নয়। ধর্ম বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এর মধ্যে পরিবেশের প্রতিও শ্রদ্ধা অন্তর্ভুক্ত। ধর্ম ভারসাম্যের কথা বলে। আর ভারতই এই আধুনিক সমস্যার সমাধান করতে পারে, যা আজ বিশ্বের সামনে রয়েছে।” এক নিঃশ্বাসে কথাগুলি বলে গেলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সংঘ যাত্রার ১০০ বছরের (RSS Centenary) দ্বিতীয় দিনেও বক্তব্য রাখেন সরসংঘচালক ভাগবত। সেখানেই তিনি আরএসএসের ভারতের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। আরএসএস প্রধান বলেন, “আজ ইতিবাচক পরিবেশ রয়েছে। তবে একজন স্বয়ংসেবক ভাবেন, ইতিবাচকতা মানে থেমে যাওয়া নয়,  তাকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করা, এমনকি যদি মতবিরোধ থাকে, তাহলেও। সংঘে কোনও ব্যক্তিগত প্রণোদনা নেই, কিন্তু স্বয়ংসেবকরা আনন্দ নিয়ে কাজ করেন। কারণ তাঁরা জানেন তাঁদের কাজ বিশ্বকল্যাণের জন্য নিবেদিত।”

    হিন্দু ধর্ম (Mohan Bhagwat)

    হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভাগবত বলেন, “আমাদের ধর্ম হল বিশ্বধর্ম। এটি পৃথিবীতে শান্তি আনতে সক্ষম। ধর্ম কখনও অন্যকে জোর করে নিজের দিকে টানতে চায় না। ভারতীয় জীবনধারা সারা বিশ্বের জন্য একটি আদর্শ হতে পারে।” তিনি বলেন, “ভারত সবসময় সাহায্য করেছে নিজের স্বার্থের কথা না ভেবেই। এমনকি তাদেরও সাহায্য করেছে, যারা ভারতের বিরোধিতা করেছিল। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবেশগত সমস্যাগুলি পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই ভারতীয় সমাজকে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে।”

    সংঘের দায়িত্ব

    সংঘের দায়িত্বের প্রসঙ্গে আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমাদের দায়িত্ব হল চরিত্র গঠন করা এবং আরও দেশপ্রেমিক সমাজ গড়ে তোলা। আমরা যা সংঘে করি, তা গোটা সমাজে বিস্তার করতে হবে।” তিনি বলেন, “দেশের সবচেয়ে দরিদ্র থেকে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, প্রত্যেক গ্রাম ও প্রতিটি পরিবারের মানুষ এর বাইরে নয়। তাদের সংঘ শাখার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। যারা সমাজের জন্য কাজ করছে, তাদেরও শাখার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।” তিনি বলেন, “আমাদের দেশে এত বৈচিত্র্য রয়েছে। অনেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও মতবাদ বাইরের দেশ থেকে এখানে এসেছে। তারা আজও আমাদের দেশে আছে। মতবাদ বাইরে থেকে আসতে পারে, কিন্তু সমাজে যে বিভাজন তৈরি হয়েছে, তা মেটাতে হবে, এবং দেশের ঐক্য আরও দৃঢ় করার পথ খুঁজে বের করতে হবে। আমরা যেখানেই বাস করি বা কাজ করি, সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে এবং তাঁদের (RSS Centenary) আপনজন হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। জল, শ্মশান ও মন্দির সবার জন্য, এখানে কোনও ভেদাভেদ চলবে না।” তিনি বলেন, “মানুষে-মানুষে যোগাযোগ, হৃদয়ে-হৃদয়ে কথা এটা যখন হবে, তখনই প্রকৃত পরিবর্তন আসবে।”

    স্বদেশীর অর্থ

    সরসংঘচালকের মুখেও এদিন শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথার প্রতিধ্বনি। প্রধানমন্ত্রীর মতোই ভাগবতও বলেন, “স্বদেশীর অর্থ হল, যেসব জিনিস আমাদের দেশে আছে বা সহজেই তৈরি করা সম্ভব, তা বাইরে থেকে আমদানি না করা। বাইরে থেকে জিনিস আমদানি করলে দেশীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।” তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “সংঘ চায় ভারতীয় সমাজ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছক, যা পৃথিবীতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনে।” হিন্দুত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, “হিন্দুত্বকে দুটি শব্দে বোঝানো যায় — সত্য ও প্রেম। মানবসম্পর্ক কেবল চুক্তি বা ব্যবসার ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। পৃথিবীর প্রত্যেক দেশের মানুষের উচিত জীবনের পাঠ ভারত থেকে শেখা।” তিনি বলেন, “হিন্দুস্থানের উদ্দেশ্য হল বিশ্বকল্যাণ। সংঘে যোগ দিলে কিছুই লাভ হয় না, বরং যা আছে তাও হারাতে হতে পারে। একজন স্বয়ংসেবক এই মনোভাব নিয়েই কাজ করেন – আত্মমুক্তি ও বিশ্বকল্যাণের জন্য।”

    আরএসএস হল হিন্দু জাতির জীবনমিশনের এক বিবর্তন

    ভাগবত বলেন, দাদরাও পরমার্থ একবার বলেছিলেন,  “আরএসএস হল হিন্দু জাতির জীবনমিশনের এক বিবর্তন।” তিনি বলেন, “ভোগবাদ ও বস্তুবাদের কারণে সাতটি সামাজিক পাপ বাড়ছে – সম্পদহীন কাজ, বিবেকহীন ভোগ, চরিত্রহীন জ্ঞান, নীতিহীন বাণিজ্য, মানবতাহীন বিজ্ঞান, ত্যাগহীন ধর্ম এবং নীতিহীন রাজনীতি।” সরসংঘচালক বলেন, “ধর্মে কোনও ধর্মান্তর নেই। ধর্ম হল শাশ্বত সত্য, যার ভিত্তিতে সবকিছু চলে। একে (RSS Centenary) বলা হয় স্বভাব ও কর্তব্য। ধর্ম কখনও দুঃখ সৃষ্টি করে না। ধর্ম সর্বদা আনন্দদায়ক এবং সামঞ্জস্য রক্ষাকারী। বিবেকানন্দ বলতেন, ভারত একটি ধর্মকেন্দ্রিক জাতি, সময়ে সময়ে তাকে বিশ্বকে ধর্ম দিতে হয়। সর্বজনের কল্যাণ – এটাই আমাদের দর্শনের সারমর্ম।” তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “হিন্দু ধর্মই সেই শক্তি, যা বিশ্বশান্তি আনতে পারে। শত্রুতা জন্মায় অহংকার থেকে। হিন্দুস্থান অহংকারের ঊর্ধ্বে। আমাদের অগ্রাধিকার হল পারিবারিক সংস্কৃতি রক্ষা করা। ভারতের অধিকাংশ প্রতিবেশী দেশ একসময় ভারতেরই অংশ ছিল। মানুষ ও ভূগোল একই। আমাদের প্রথম কর্তব্য হল তাদের সঙ্গে ফের সম্প্রীতির বন্ধনে যুক্ত হওয়া।” তিনি বলেন, “আত্মনির্ভরতা হল সব কিছুর মূল। আমাদের জাতিকে আত্মনির্ভর হতে হবে। একজনকে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টাই বাঁচতে হবে জাতির জন্য। আমরা থাকি বা না থাকি, ভারতকে থাকতে (RSS Centenary) হবে, এবং বিশ্বকেও থাকতে হবে।”

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেপাল, শ্রীলংকা, নিউজিল্যান্ড, ইজরায়েল, ডেনমার্ক, চিন, আমেরিকা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া-সহ বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা (Mohan Bhagwat)।

  • Jiban Krishna Saha: ভোটে ২৫ লাখ টাকা খরচ করেছিলেন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক জীবনকৃষ্ণ!

    Jiban Krishna Saha: ভোটে ২৫ লাখ টাকা খরচ করেছিলেন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক জীবনকৃষ্ণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। অথচ তাঁরই অ্যাকাউন্টে কিনা জমা রয়েছে লাখ লাখ টাকা! এই টাকা তৃণমূল নেতা জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) অ্যাকাউন্টে এল কোথা থেকে আপাতত এই প্রশ্নেরই উত্তর (Poll Campaign) হাতড়ে বেড়াচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা। তৃণমূলের এই বিধায়ক গ্রেফতার হওয়ার পরেই প্রকাশ্যে এল জীবনকৃষ্ণের ভোট-খরচের হিসেব। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ২০২১ সালেই তিনি নির্বাচনী কাজে ব্যয় করছিলেন ২৫ লাখ টাকা। যা জেনে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় তদন্তকারী আধিকারিকদের। মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়কের দাবি, এই টাকা তাঁর জমানো টাকা। তদন্তকারীদের একাংশের প্রশ্ন, একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কত মাইনে যে সংসার খরচ সামলেও, ব্যাংকে জমা হয় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা!

    জীবনকৃষ্ণের পিসি (Jiban Krishna Saha)

    তৃণমূলের এই বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে তদন্তকারীরা জীবনকৃষ্ণের পিসি মায়া সাহা-সহ একাধিক ঘনিষ্ঠের নামে প্রচুর জমি কেনার নথি উদ্ধার করেছেন। তার পরেই বীরভূমে বিধায়কের পিসির বাড়িতেও সেদিন তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এই পিসিও তৃণমূলেরই কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট মায়াকে সিজিওতে তলব করেছে ইডি। প্রসঙ্গত, সাঁইথিয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মায়া। মায়ার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় ঢুকতে গিয়েছিলেন সাঁইথিয়া থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর দীনেশ মুখোপাধ্যায়। তাঁকে প্রথমে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরে দীনেশের বডি ক্যাম খুলিয়ে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয় মায়ার বাড়িতে।

    তৃণমূল নেত্রীর দাবি

    তৃণমূল নেত্রীর দাবি, সাড়ে ৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়েও তাঁর বাড়ি থেকে কিছুই পাননি ইডির আধিকারিকরা। ভাইপো জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কেও কিছু জানেন না বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূলের কাউন্সিলর মায়া। যদিও জীবনকৃষ্ণের (Jiban Krishna Saha) বাবা কিন্তু প্রথম থেকেই ছেলে এবং বোনের বিরুদ্ধে তুলেছিলেন অভিযোগের আঙুল। এদিকে, ৬ দিনের ইডি হেফাজতে রয়েছেন জীবনকৃষ্ণ। গ্রেফতারির আগে পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টাও করেছিলেন তৃণমূলের এই কীর্তিমান নেতা। সূত্রের খবর, চাকরি বিক্রির জন্য কাদের কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হয়েছিল, তার উল্লেখ রয়েছে ইডির নথিতে। ইডির দাবি, আমরা যা-ই জিজ্ঞাসা করেছি (Poll Campaign), তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি জীবনকৃষ্ণ, দেখাতে পারেননি প্রয়োজনীয় নথিও (Jiban Krishna Saha)।

LinkedIn
Share