Author: pranabjyoti

  • Operation Sindoor: আর কত নিচে নামবে পাকিস্তান! ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই-কমিশনে সরবরাহ বন্ধ জল-গ্যাস এবং সংবাদপত্রের

    Operation Sindoor: আর কত নিচে নামবে পাকিস্তান! ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই-কমিশনে সরবরাহ বন্ধ জল-গ্যাস এবং সংবাদপত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে এঁটে উঠতে না পেরে এবার পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের ওপর ‘প্রতিশোধ’ (Operation Sindoor) নিতে শুরু করেছে পাকিস্তান। যার জেরে ফের একবার বিশ্বের দরবারে মুখ পুড়ল ইসলামাবাদের (Pakistan)। শুধু তাই নয়, এর ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গিয়েছে। প্রবীণ সরকারি আধিকারিকদের মতে, এই পদক্ষেপ ইচ্ছাকৃত, পরিকল্পিত এবং ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া অপারেশন সিঁদুর। সেই অভিযানে কার্যত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল খায় পাক সেনাবাহিনী। পরে পাল্টা প্রতিশোধ নিতে শুরু করে তারা। যদিও ভারতের কাছে পরাস্ত হয়ে শেষমেশ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠায় ভারতের কাছে। তাতে সাড়া দেয় ভারত।

    বন্ধ গ্যস, জল এবং খবরের কাগজ

    পাকিস্তানে ভারতীয় হাই কমিশন প্রাঙ্গনে গ্যাস পাইপলাইন বসিয়েছে সুই নর্দার্ন গ্যাস পাইপলাইন্স লিমিটেড। এতদিন তারাই গ্যাস সরবরাহ করছিল ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের বাড়ি এবং তাঁদের অফিসে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই গ্যাস সরবরাহ। এর ফলে ভারতীয় কূটনীতিক ও তাঁদের পরিবারকে বাধ্য হয়ে খোলাবাজারে চড়া দরে সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে। নিতান্তই তা সম্ভব না হলে ব্যবস্থা করতে হচ্ছে বিকল্প জ্বালানির।

    কেবল জ্বালানি নয়, বন্ধ (Operation Sindoor) করে দেওয়া হয়েছে জল সরবরাহও। ইসলামাবাদের সব বিক্রেতাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন ভারতীয় হাই কমশনকে মিনারেল ওয়াটার সরবরাহ না করেন (Pakistan)। এই ফতোয়ার জেরে ঘোর বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরা। পানীয় জলের পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সংবাদপত্র বিক্রিও। তথ্য প্রবাহ সীমিত করতেই ভারতীয় দূতাবাস ও তাদের কর্মীদের বাড়িতে কোনও প্রকাশনা সংস্থাই যেন খবরের কাগজ কিংবা ম্যাগাজিন বিক্রি না করে, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, পাকিস্তানের এই সব নির্দেশ ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্সের বিরোধী। এই ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স ভারতীয় দূতাবাসগুলির নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ কার্যকলাপ নিশ্চিত করে (Operation Sindoor)।

  • Asim Munir: মার্কিন-ভূমে দাঁড়িয়ে ভারতকে ফের পরমাণু বোমার হুমকি মুনিরের! নেপথ্যে ট্রাম্পের ইন্ধন?

    Asim Munir: মার্কিন-ভূমে দাঁড়িয়ে ভারতকে ফের পরমাণু বোমার হুমকি মুনিরের! নেপথ্যে ট্রাম্পের ইন্ধন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন-ভূম থেকে পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Asim Munir) পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলেন ভারতকে। এর পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, মার্কিন ভূমে দাঁড়িয়ে ভারতকে সরাসরি হুমকি কী করে দিচ্ছেন মুনির? ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এর নেপথ্যে নিশ্চয়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইন্ধন রয়েছে, নয়তো, এত দুঃসাহস মুনিরের হত না।

    ঠিক কী বলেছেন মুনির?

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাম্পায় পাকিস্তানের কনসাল আদনান আসাদ আয়োজিত ব্ল্যাক-টাই ডিনারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুনির বলেন, “আমরা একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি আমরা মনে করি আমরা ডুবে যাচ্ছি, তাহলে আমরা বিশ্বের অর্ধেককে আমাদের সঙ্গে নিয়ে ডুবব।” তিনি আরও বলেন, “আমরা শুরু করব ভারতের পূর্ব দিক থেকে, যেখানে তাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ রয়েছে, তারপর পশ্চিম দিকে এগোব (Asim Munir)।” সিন্ধু জল চুক্তির প্রসঙ্গে মুনির বলেন, “এই চুক্তি স্থগিত করে ভারত ২৫ কোটি মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। আমরা অপেক্ষা করব ভারতের বাঁধ নির্মাণ করা পর্যন্ত। যখন তারা এটা করবে তখন ১০টি মিসাইল দিয়ে তা ধ্বংস করে দেব।” তিনি বলেন, “সিন্ধু নদ ভারতীয়দের পারিবারিক সম্পত্তি নয়। আমাদের মিসাইলের কোনও অভাব নেই (Asim Munir)।”

    ভারত-মার্কিন বাণিজ্য জটকে হাতিয়ার

    এর পরেই ভারত ও পাকিস্তান প্রসঙ্গে (Inflammatory Nuke Speech) মুনির একটি মার্সিডিজ গাড়ি এবং নুড়ি-পাথর ভর্তি ট্রাকের উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি বোঝাতে আমি একটি সরল উদাহরণ ব্যবহার করছি। ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, যা হাইওয়েতে ছুটছে, আর আমরা নুড়ি-পাথরে ভর্তি একটি ডাম্প ট্রাক। যদি ট্রাকটি গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়, তবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কে?”  ভারত-আমেরিকার মধ্যে বর্তমান বাণিজ্যিক উত্তেজনার প্রসঙ্গও তোলেন মুনির। ট্রাম্পের অধীনে ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির বর্তমান বাণিজ্য উত্তেজনাকে নিশানা করে তাঁর কটাক্ষ, পাকিস্তানের উচিত প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির ভারসাম্য রক্ষায় মাস্টারক্লাস অফার করা। মুনির বলেন, “আমাদের সাফল্যের আসল কারণ হল আমরা কৃপণ নই। কেউ ভালো কাজ করলে আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁকে স্বীকৃতি দিই। এই কারণেই আমরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছি।”

    মুনিরের বক্তব্য ওড়ালেন বিশেষজ্ঞরা

    মুনিরের উসকানিমূলক ভাষণে কী বললেন সেটা নয়, বরং কোথায় দাঁড়িয়ে মুনির কথাগুলি বললেন, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। মুনিরের এই বক্তব্যকে আসলে আমেরিকার তরফে একটি পরোক্ষ হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রাক্তন রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র’)-এর প্রধান বিক্রম সুদ। তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানকে বোঝাতে মুনির যে উদাহরণ দিয়েছেন – ভারতকে মার্সিডিজ-বেঞ্জ এবং পাকিস্তানকে কাঁকরবাহী ট্রাকের সঙ্গে তুলনা—তা যথার্থ।  এক্স হ্যান্ডেলে বিক্রম বলেন, এক অর্থে, মার্কিন ভূমিতে মুনিরের ঘোরাঘুরি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরোক্ষ হুমকি। এটিকেই সেইভাবে দেখা উচিত। মার্সিডিজ আর ডাম্প ট্রাকের উদাহরণটি সঠিক—শুধু পার্থক্য হল, ডাম্প ট্রাকে এক কণা নুড়িও নেই (Inflammatory Nuke Speech)।” মুনিরের বক্তব্য খারিজ করে দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল পিকে সেহগলও। তিনি বলেন, “পারমাণবিক অস্ত্র হল প্রতিরোধের অস্ত্র এবং সেগুলি কখনওই ব্যবহার করা যাবে না।”

    কেন আমেরিকার ভূমিকে বাছলেন মুনির?

    প্রশ্ন হল, কেন মুনির ভারতকে হুমকি দিলেন মার্কিন ভূখণ্ড থেকে? মুনিরের আমেরিকাকে তাঁর উসকানিমূলক মন্তব্যের মঞ্চ হিসেবে বেছে নেওয়ার পরিকল্পনার নেপথ্য কারণ হল ট্রাম্পের আমলে পাক-মার্কিন সম্পর্কের সাম্প্রতিক উন্নতি। তাই আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে মুনিরের (Asim Munir) এই হুমকি মোটেই বিস্ময়ের নয়। আয়ুব থেকে জিয়া এবং মোশাররফ থেকে মুনির—প্রত্যেকেই ভেবেছিলেন আমেরিকানরাই তাঁদের প্রকৃত বন্ধু। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁরা হচ্ছেন আদতে দাবার বোড়ে। তাই মুনিরের পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি দেওয়ার মূল কারণ হল ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুরে’ পাকিস্তানের পারমাণবিক ভয় দেখানোর কৌশল ভেঙে দেওয়া।

    উগ্রপন্থীদের আশ্বস্ত করার প্রয়াস মাত্র!

    মুনিরের হুমকি ছিল ভারতের সাহসী সামরিক অভিযানের জবাব, যেখানে ‘অপারেশন সিন্দুরে’ পাক ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি শিবিরগুলিকে টার্গেট করা হয়েছিল। এমনকি প্রতীকী বার্তা হিসেবে কাইরানা পাহাড়েও আঘাত হানা হয়, যা দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রের (Asim Munir) ভান্ডার হিসেবে পরিচিত।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুনিরের এই সব মন্তব্য পাকিস্তানের উগ্রপন্থীদের আশ্বস্ত করার উদ্দেশ্যেও করা হয়েছে, বিশেষত যখন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে একের পর প্রশ্নবাণে বিদ্ধ মুনিরের নেতৃত্ব।

    প্রসঙ্গত, এর আগে গত জুন মাসে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে আমেরিকায় গিয়েছিলেন মুনির। সেবার ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজও সেরেছিলেন তিনি। সেই প্রথম কোনও সরকারি আধিকারিক ছাড়াই পাক সেনাপ্রধানকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন কোনও প্রেসিডেন্ট। সেই সময় ভারত-পাক (Inflammatory Nuke Speech) উত্তেজনা প্রশমনেও মুনিরের ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন ট্রাম্প। তার পরেই পরমাণু যুদ্ধ রোখার জন্য ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব দেন পাক সেনাপ্রধান (Asim Munir)।

  • Rilways Announces: দূরপাল্লার ট্রেনে যাওয়া-আসার টিকিটের ওপর ২০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে ভারতীয় রেল

    Rilways Announces: দূরপাল্লার ট্রেনে যাওয়া-আসার টিকিটের ওপর ২০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে ভারতীয় রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূরপাল্লার ট্রেনে যাওয়া-আসার টিকিটের ওপর ২০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে ভারতীয় রেল (Rilways Announces)। তবে এই অফার মিলবে কেবলমাত্র উৎসবের মরসুমে (Festival Season)। প্রাথমিকভাবে দু’সপ্তাহের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এই সুবিধা চালু করেছে রেল। রাজধানী, শতাব্দী, দূরন্ত এক্সপ্রেসের মতো কিছু ট্রেন ছাড়া সব দূরপাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রেই যাত্রীদের এই সুবিধা দেবে রেল। আগামী ১৪ অগাস্ট থেকে এই বিশেষ ছাড়-সহ অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। তবে এ ক্ষেত্রেও কিছু শর্ত রয়েছে।

    কী জানাল রেল (Rilways Announces)

    রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এই সুবিধা পাওয়ার জন্য যাওয়া এবং ফেরার টিকিট একই ট্রেনের হতে হবে। সফর শুরু করতে হবে ১৩ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে। ফেরার টিকিট হতে হবে ১৭ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে। দূরপাল্লার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ৬০ আগে কাটা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে ফেরার টিকিটের জন্য সেই নিয়ম থাকছে না। সফরে যাওয়ার টিকিটের সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীরা কেটে নিতে পারবেন ফেরার টিকিটও। যাওয়ার টিকিটে যে যাত্রীদের নাম থাকবে, ফেরার টিকিটেও সেই একই যাত্রীর নাম থাকতে হবে। যাত্রীরা কোথা থেকে ট্রেনে উঠবেন, নামবেনই বা কোথায়, সেই স্টেশনের নামও যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে একই হতে হবে। টিকিটও কাটতে হবে এক সঙ্গেই। এই শর্ত মানলেই ফেরার টিকিটের ওপর ২০ শতাংশ ছাড় মিলবে।

    মানতে হবে শর্ত

    রেলের তরফে (Rilways Announces) জানানো হয়েছে, যাওয়া এবং আসা দু’পিঠেই কনফার্ম টিকিট হলে, তবেই বুকিং করা যাবে। যে শ্রেণির কামরায় যাত্রা করা হবে, সেই একই শ্রেণির কামরায় ফেরার টিকিটও কাটতে হবে। টিকিট বাতিল করলে কোনও টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না। অনলাইন এবং রেলস্টেশনে অগ্রিম বুকিং কাউন্টার থেকে উভয় ক্ষেত্রেই টিকিট কাটতে পারেন ভ্রমণকারীরা (Rilways Announces)। জানা গিয়েছে, কানেক্টিং জার্নি ফিচারের মাধ্যমে এই স্কিমের আওতায় টিকিট কাটতে হবে। তবেই ২০ শতাংশ ছাড় মিলবে রিটার্ন জার্নিতে (Festival Season)।

  • Hindus Under Attack: দেশ তো বটেই, বিদেশেও বাড়ছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা

    Hindus Under Attack: দেশ তো বটেই, বিদেশেও বাড়ছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর অবিরাম চলছে হামলা। বিশ্বের বহু অঞ্চলে এই নির্যাতন আমাদের চোখের সামনে ধীরে ধীরে চলতে থাকা এক গণহত্যার মতো। কয়েক দশক ধরে বিশ্ব এই হামলার আসল গভীরতা ও বিস্তৃতিকে উপেক্ষা করেছে চলছে। যা ভয়াবহ হিন্দু-বিরোধী বিদ্বেষ দ্বারা পরিচালিত। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, উৎসবের ওপর হামলা, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য – হিন্দুরা (Hindus Under Attack) এখন তাঁদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও এক নজিরবিহীন হিন্দু বিদ্বেষের মুখোমুখি হয়েছেন (Roundup Week)।

    অপরাধের সংক্ষিপ্ত ছবি (Hindus Under Attack)

    ২০২৫ সালের ৩ অগাস্ট থেকে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে আমরা এমন কিছু অপরাধের একটি সংক্ষিপ্ত ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করছি, যাতে বিশ্বব্যাপী আরও বেশি করে মানুষ এই মানবাধিকার সংকট সম্পর্কে সচেতন হন। প্রথমেই তাকানো যাক ভারতের দিকে। নাঈম কাদরি ওরফে পীর নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে এক হিন্দু মহিলাকে চাপ দিচ্ছিল যাতে তিনি তাঁর নাবালিকা মেয়েকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে তার সঙ্গে বিয়ে দেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি আসলে একজন প্রতারক, যার কোনও বৈধ চিকিৎসা ডিগ্রি নেই এবং সে গোপনে তন্ত্র, কালাজাদু ও তথাকথিত ‘বিশ্বাসভিত্তিক চিকিৎসা’ ব্যবহার করে নারীদের প্রভাবিত করত। উত্তরপ্রদেশে এক সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ সালাউদ্দিনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি হিন্দু শিক্ষার্থীদের জোর করে উর্দু শেখাতেন এবং তাঁদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাপ দিতেন। ঘটনাটি বিজনোর জেলার হরবংশপুর ধর্মের একটি কম্পোজিট স্কুলের। উত্তরপ্রদেশের চৌবেপুরের বারাণসীতে এক হিন্দু ব্যক্তির অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী এবং প্রয়াগরাজের এক ইসলামপন্থী যুবক মহম্মদ আফজল, একটি ধর্মান্তর ষড়যন্ত্রে জড়িত। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর স্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আফজলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত এবং প্রেমের ফাঁদে ফেলে আফজল সম্ভবত তাকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করছিল। দেওরিয়া জেলায় ‘লাভ জিহাদ’ ষড়যন্ত্রের চক্রী সন্দেহভাজন সামির আলিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    কী বলছেন বিধায়ক

    সদর বিধায়ক ডা. শলভ মণি ত্রিপাঠীর জরুরি অভিযোগের ভিত্তিতে, গৌরিবাজার থানার বিভিন্ন ঘটনার পর পুলিশ তৎপর হয়। তামিল অভিনেতা কমল হাসন যিনি একসময় খ্রিস্টধর্ম প্রচারের কথা স্বীকার করেছিলেন, তিনিই এখন সনাতন ধর্মের শৃঙ্খল ভাঙার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কর্নাটকের চামরাজনগরের এক মঠে হিন্দু সন্ন্যাসী সেজে থাকত বছর বাইশের এক মুসলিম। স্থানীয়রা তার মুসলিম পরিচয় জানতে পারার (Hindus Under Attack) পরেই মঠ ছেড়ে পালিয়ে যায় সে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ‘লাভ জিহাদের’ একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অপহৃত এক হিন্দু কিশোরীকে উদ্ধার করেছে এবং অভিযুক্ত সাইনুল শাহকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, সে ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে প্রলুব্ধ করেছিল।

    আইএসআইএসের সঙ্গে যুক্ত নেটওয়ার্কের অংশ

    দেওরিয়া থেকে মুম্বাই পর্যন্ত বিস্তৃত এই পুলিশ অভিযান ক্রমবর্ধমান এই বিপদের গুরুত্বকে প্রমাণ করে। এদিকে, ইডি কর্নাটকের ঐতিহ্যবাহী ধর্মস্থল মঞ্জুনাথ স্বামী মন্দিরকে লক্ষ্য করে একটি গুরুতর জঙ্গি ষড়যন্ত্রের তথ্য উদঘাটন করেছে, যা দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে সক্রিয় এক আইএসআইএসের সঙ্গে যুক্ত নেটওয়ার্কের অংশ। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ‘লাভ জিহাদে’র ভয়াবহতার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। মালওয়া-নিমার অঞ্চল, যা একসময় সিমির মতো জঙ্গি নেটওয়ার্কের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল, সেখানে ২৮৩ জন হিন্দু মেয়ে লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়েছে, যাদের মধ্যে ৭৩ জনই আবার নাবালিকা (Roundup Week)।

    বাংলাদেশের ছবিটা

    এবার দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশের (Hindus Under Attack) ছবিটা। সেখানে হিন্দুদের ওপর মুসলমানদের হামলা অব্যাহত। এর উদ্দেশ্য হল ধীরে ধীরে দেশ থেকে এই ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নির্মূল করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বরকতের একটি গবেষণা অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কোনও হিন্দু আর অবশিষ্ট থাকবেন না। কারণ তাঁরা পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। মন্দির ভাঙচুর, ভূমি দখল, মিথ্যা ধর্মনিন্দার অভিযোগে গণপ্রহার, নারীদের ধর্ষণ বা জোরপূর্বক ধর্মান্তর, এবং বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা – এসবই হিন্দুদের ভয় দেখানো সে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ‘ধর্মনিন্দা’র অজুহাতে মুসলিম দাঙ্গাবাজদের হামলার শিকার সংখ্যালঘু ভুক্তভোগীদের জন্য নির্ধারিত ত্রাণ বিলি বন্ধ করে দেয় এবং আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী গোপীনাথ দাস ব্রহ্মচারীকে অপমান করে (Roundup Week)।

    তামাম বিশ্বের ছবিটাও এর ব্যতিক্রম নয়। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে আয়ারল্যান্ডে কেরালার এক দম্পতির ছয় বছরের কন্যা নিয়া তার বাড়ির বাইরেই হামলার শিকার হয়। তার ওপর ব্যাপক তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি তারা তাকে ‘নোংরা ইন্ডিয়ান’ বলে গালাগালি দেয়। চিৎকার করে বলতে থাকে ‘ভারতে ফিরে যাও’ (Hindus Under Attack)।

  • Alaska Meet: শুক্রবার আলাস্কায় মুখোমুখি ট্রাম্প-পুতিন, স্বাগত জানাল ভারত

    Alaska Meet: শুক্রবার আলাস্কায় মুখোমুখি ট্রাম্প-পুতিন, স্বাগত জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছর হতে চলল। এখনও অবসান হয়নি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। এহেন আবহে চড়া দরে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধের আকাশে ধ্বনিত হচ্ছে পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারিও। এই যখন অবস্থা, তখন শেষমেশ রাশিয়ার সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন বিশ্বের দুই শক্তিধর রাষ্ট্রের প্রধানরা। আগামী ১৫ অগাস্ট আলাস্কায় (Alaska Meet) বৈঠকে বসতে চলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়া এবং আমেরিকার দুই ‘হুজুরে’র এই বৈঠককে স্বাগত জানাল ভারত (India)। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রকের তরফে এ নিয়ে বিবৃতি জারি করেন মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তাতে তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবার যুদ্ধ বন্ধের পথ খুঁজবে রাশিয়া-ইউক্রেন। এর আগে অনেকবারই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রুশ প্রেসিডেন্টকে বলেছিলেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়।” এদিন ফের জারি করা এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর এই বাক্যবন্ধেরও উল্লেখ ছিল। ভারত যে সব সময় ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’য়ের পক্ষে, তাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    বৈঠকে কি যোগ দেবে ইউক্রেন (Alaska Meet)

    প্রশ্ন হল, ট্রাম্প ও পুতিনের এই আলাস্কা বৈঠকে কি যোগ দেবে ইউক্রেন? ইউরোপীয় নেতাদের বক্তব্য, ইউক্রেনে শান্তির পথ কিয়েভকে (ইউক্রেনের রাজধানী) বাদ দিয়ে করা সম্ভব নয়। আলোচনাগুলি হতে পারে নিছকই যুদ্ধবিরতি বা শত্রুতা হ্রাসের প্রেক্ষাপটে। আলাস্কায় ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। জানিয়ে দিয়েছে, এই বৈঠক ইউক্রেনের এই সংঘাতের অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতিও বহন করে।

    ইউক্রেনকে ক্রিমিয়া ছেড়ে দিতে হবে

    এদিকে, এনবিসি নিউজ শনিবার জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আলাস্কায় আমন্ত্রণ জানানোর কথা বিবেচনা করছেন। এর আগে, ট্রাম্প প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শেষ করতে শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে উভয় পক্ষের নিয়ন্ত্রিত কিছু এলাকা বিনিময় হতে পারে (India)। সেই পরিকল্পনার মধ্যে থাকতে পারে পুতিনের একটি দাবি, ইউক্রেনকে ক্রিমিয়া ছেড়ে দিতে হবে, যা ২০১৪ সালে ক্রেমলিন বাহিনী অবৈধভাবে দখল করেছিল, এবং পুরো পূর্ব দোনবাস অঞ্চলও। এমন একটি অবস্থায় জেলেনস্কিকে লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চলের সেই অংশ থেকেও সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই ()Alaska Meet অঞ্চলটি এখনও কিয়েভের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।

    বিদেশমন্ত্রকের জারি করা বিবৃতি 

    শনিবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে আলাস্কায় ১৫ আগস্ট ২০২৫-এ বৈঠকের জন্য যে সমঝোতা হয়েছে, ভারত তাকে স্বাগত জানায়।” মন্ত্রক এও বলেছে, “এই বৈঠক ইউক্রেনে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে শান্তির সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে। যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার বলেছেন—‘এটি যুদ্ধের সময় নয়।’” এদিকে, এনবিসি নিউজ শীর্ষ আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আলাস্কায় আমন্ত্রণ জানানোর কথা বিবেচনা করছে, যেখানে ১৫ আগস্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। ইউক্রেন ওই বৈঠকে যোগ দেবে কিনা, সে প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলেনস্কির কোনও সফর এখনও চূড়ান্ত হয়নি এবং শেষ পর্যন্ত তিনি আলাস্কায় বৈঠকে যোগ দেবেন কি না, তাও স্পষ্ট নয়, যদিও বিষয়টি এখনও সম্ভাবনার স্তরেই রয়েছে (Alaska Meet)।

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাফ কথা

    যদিও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে নেওয়া যে কোনও সিদ্ধান্তই শান্তির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত হবে। এগুলি অর্থহীন। কোনও লাভ হবে না।” তবে তিনি বলেন, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে নেওয়া যে কোনও সিদ্ধান্তই একই সঙ্গে শান্তির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত হবে। এতে কোনও লাভ হবে না।” তিনি এও বলেন, “ইউক্রেনের আঞ্চলিক প্রশ্নের উত্তর ইউক্রেনের সংবিধানের মধ্যেই রয়েছে। কেউই এর থেকে বিচ্যুত হবে না এবং হতে পারবেও না (India ।”

    ইউক্রেন ভাগের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা মেনে নেব না

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কিছু ভূখণ্ড বিনিময় হবে এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই বলে সতর্ক করেন যে ইউক্রেন দেশটিকে ভাগ করার দ্বিতীয় প্রচেষ্টা মেনে নেবে না। তিনি বলেন, “ইউক্রেনীয়রা তাদের জমি দখলদারকে উপহার দেবে না।” তিনি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার জন্য কোনও ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং পরে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, শান্তি আসতে হবে ন্যায়সঙ্গতভাবে যুদ্ধের অবসানের মাধ্যমে, রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিয়ে নয় (Alaska Meet)।

    ইউরোপীয় দেশগুলির বক্তব্য

    এদিকে, শনিবার ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ইউক্রেনে শান্তির পথ কিয়েভকে বাদ দিয়ে নির্ধারণ করা যাবে না, পরিবর্তন করা যাবে না আন্তর্জাতিক সীমান্ত বলপ্রয়োগের মাধ্যমেও। এদিকে, ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স শনিবার ব্রিটেনে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা। সেখানে ট্রাম্পের ইউক্রেন শান্তি উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা হবে। এদিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার বৈঠকের আগে জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে মতবিনিময়ও করেছেন বলে সূত্রের খবর। ভারতের প্রাক্তন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পঙ্কজ সারণ বলেন, “আগামী সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া শীর্ষ (India) সম্মেলনের দিকে কড়া নজর রাখতে হবে, কারণ যে কোনও কিছুই ঘটতে পারে। এবং নিশ্চিতভাবেই ভারতের ওপর এর প্রভাব পড়বে (Alaska Meet)।” প্রসঙ্গত, ট্রাম্প এবং পুতিন শেষবার এক সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ২০১৯ সালে, জাপানে অনুষ্ঠিত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে তাঁরা একাধিকবার টেলিফোনে কথাও বলেছেন।

    আগেও বৈঠক হয়েছে ট্রাম্প-পুতিনের

    পুতিন এর আগে ২০১৮ সালে হেলসিঙ্কিতে ট্রাম্পের সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠকও করেছিলেন। সেই সময় ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার এই সিদ্ধান্তের চেয়ে পুতিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন বলে মনে হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, রাশিয়া নিউ ইয়র্কের এই ধনকুবেরকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছিল। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুতিন শেষবার কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ২০১৫ সালে, যখন তিনি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বৈঠকে বারাক ওবামার সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন (Alaska Meet)। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউক্রেন প্রেডিসেন্ট বলেন, “ইউক্রেন রাশিয়াকে জমি ছেড়ে দেবে না। ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে আলোচনায় বসাও অর্থহীন। আমরা সবাই শান্তি চাই। কিন্তু ইউক্রেনকে ছাড়া এই যুদ্ধ বন্ধ সম্ভব নয় (India)।”

    ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়ায় পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি নিজেই প্রকাশ্যে এনেছেন ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, “অবশেষে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও আমার বৈঠকটি হতে চলেছে। ১৫ অগাস্ট শুক্রবার আলাস্কায় আমাদের সাক্ষাৎ হবে। পরে টেলিগ্রামে রাশিয়ার তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চুক্তির বিষয়টি নিশ্চত করতে প্রেসিডেন্টরা নিঃসন্দেহে ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করবেন (Alaska Meet)।”

  • Bangladesh Crisis: আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই ভোট বাংলাদেশে, নির্বাচন কমিশনকে চিঠি ইউনূস প্রশাসনের

    Bangladesh Crisis: আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই ভোট বাংলাদেশে, নির্বাচন কমিশনকে চিঠি ইউনূস প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই ভোট হচ্ছে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis)! অন্তত এমনই জানালেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। দিন কয়েক আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আয়োজন করা হবে (Muhammad Yunus)।” তিনি ভোটের আয়োজন করার জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করতে চিঠি পাঠালেন নির্বাচন কমিশনকে।

    কমিশনকে চিঠি

    ইউনূসের দফতরের মুখ্যসচিব এম সিরাজউদ্দিন মিঞা অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে কমিশনকে চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে (রমজান মাস শুরুর আগে) প্রত্যাশিত মানের অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। নির্বাচনের আয়োজনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে সব রকম সহযোগিতা করা হবে বলেও কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছে ইউনূসের দফতর।

    প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি

    গত বছরের জুলাই মাসের গোড়ায় শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং তৎপরবর্তী সময়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের রাশ তুলে দেওয়া হয় ইউনূসের হাতে। পালাবদলের এই বর্ষপূর্তির দিনেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে ইউনূস বলেছিলেন, “এবার আমাদের সর্বশেষ দায়িত্ব পালনের পালা – নির্বাচনের আয়োজন করা। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে একটি চিঠি পাঠাব যাতে আসন্ন রমজানের আগে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন কমিশনকে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার অনুরোধ করা হয়।” প্রসঙ্গত, আগামী বছরের ১৭ বা ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে চলেছে রমজান মাস। তার আগেই সে দেশে হবে সাধারণ নির্বাচন (Bangladesh Crisis)।

    উল্লেখ্য, পালাবদলের ওই দিনই অন্যত্র একটি অনুষ্ঠানে ইউনূস জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্ট মাসের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান পাবে উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি। প্রসঙ্গত, গত ছ’মাস ধরে এই নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে টানাপোড়েন চলছিল অন্তর্বর্তী সরকারের। পরে যখন সরকারের তরফে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়, তখন ইউনূস সরকারের এই পদক্ষেপকে (Muhammad Yunus) স্বাগত জানিয়েছে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি (Bangladesh Crisis)।

  • Nabanna Aabhiyan: নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার, অবস্থান বিক্ষোভ শুভেন্দুর, সাঁতরাগাছিতে জ্বলল আগুন

    Nabanna Aabhiyan: নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার, অবস্থান বিক্ষোভ শুভেন্দুর, সাঁতরাগাছিতে জ্বলল আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Aabhiyan) ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি কলকাতার পার্কস্ট্রিটে। পুলিশের মারে জখম শতাধিক আন্দোলনকারী। শাঁখা ভাঙল আরজিকরকাণ্ডে নিহত তরুণী চিকিৎসকের মায়ের। নবান্ন অভিযানে বাধা পেয়ে পার্কস্ট্রিটেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ক্ষোভ উগরে দেন পুলিশের বিরুদ্ধে। বলেন, “অনুব্রত ঠিকই বলেছিল।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যখন জনগণের ন্যায়বিচারের দাবি দমন করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে (Nabanna Aabhiyan), তখন বোঝা যায় অনুব্রত মণ্ডলের কথার মধ্যে কিছু সত্যি ছিল।”

    আরজিকর কাণ্ডের বর্ষপূর্তি (Nabanna Aabhiyan)

    আরজিকর কাণ্ডের বর্ষপূর্তি ৯ অগাস্ট। এখনও বিচার পাননি নির্যাতিতার পরিবার। এরই প্রতিবাদে এদিন ডাক দেওয়া হয়েছিল নবান্ন অভিযানের। এই অভিযানে ছিলেন নির্যাতিতা প্রয়াত চিকিৎসকের মা-বাবা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা। ছিলেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও। এদিনের অভিযানে দলীয় ঝান্ডা ছাড়াই যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জায়েন্ট কিলার (বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতাকে হারানোয় রাজ্যে এই নামেই পরিচিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা) শুভেন্দু অধিকারীও।

    ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নের দিকে যাত্রার চেষ্টা

    নবান্ন চত্বরে জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা (আগে এটাই ছিল ১৪৪ ধারা)। তাই সেখানে কোনও আন্দোলন করা যাবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। আন্দোলনকারীরা যাতে নবান্নের কাছ অবধি পৌঁছতে না পারে, তাই ত্রিস্ত্ররীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছিল পুলিশ। তবে পুলিশের কথায় কান না দিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নের দিকে যাত্রার চেষ্টা করেছে একের পর এক মিছিল। হাওড়া ময়দান, সাঁতরাগাছি, পার্কস্ট্রিট, ডোরিনা ক্রসিং সর্বত্রই পুলিশ আটকে দিয়েছে মিছিলের গতি। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙেও কোথাও কোথাও এগিয়েছে মিছিল। সাঁতরাগাছিতে লোহার ব্যারিকেডগুলি বাঁধা ছিল শেকল দিয়ে। সেই ব্যারিকেডের ওপরই উঠে পড়েন আন্দোলনকারীদের অনেকে। পুলিশের তরফে বিভিন্ন জায়গায় ‘শান্তি বজায় রাখুন’, ‘ডোন্ট ক্রস লাইন’ লেখা ব্যানার থাকলেও, সে-সবের তোয়াক্কা না করেই চলতে থাকে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা।

    লাঠিচার্জ পুলিশের

    এদিন নবান্ন অভিযানের শুরুতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে বাধা দেয় পুলিশ। বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ বিধানসভা থেকে তিনি সরাসরি চলে যান ডোরিনা ক্রসিংয়ে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, সাংসদ অর্জুন সিং-সহ অন্য (Nabanna Aabhiyan) নেতারা। মিছিল রানি রাসমণি অ্যাভেনিউতে পৌঁছতেই শুভেন্দুর পথ আটকায় পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। খানিকক্ষণ বচসার পরে মিছিলের রুট বদল করে জওহরলাল নেহরু রোড ধরে নবান্ন অভিমুখে যাত্রা করে শুভেন্দুর নেতৃত্বে মিছিল। মিছিল যখন পার্কস্ট্রিটে পৌঁছয়, তখনই এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের লাঠির ঘায়ে জখম হন শতাধিক বিক্ষোভকারী। এঁদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। পুলিশের লাঠির আঘাতেই ভেঙে যায় নিহত তরুণী চিকিৎসকের মায়ের হাতের শাঁখা। এরই প্রতিবাদে পার্কস্ট্রিটেই অবস্থানে বসে পড়েন শুভেন্দু, অগ্নিমিত্রা এবং বিক্ষোভকারীদের একটা বড় অংশ।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় তাঁর সঙ্গীদের মারধর করা হয়েছে। জখম হয়েছেন বিধায়করা। নির্যাতিতার মা-বাবাকেও মারা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পার্কস্ট্রিট মোড়ে এক পুলিশের লাঠির ঘায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন নিহত তরুণী চিকিৎসকের মা। ভেঙে গিয়েছে তাঁর হাতের শাঁখাও। বস্তুত, এদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন (Suvendu Adhikari) নির্যাতিতার মা ও বাবা। তাঁরা ছিলেন পার্কস্ট্রিটের মিছিলে। সেখানে বাধা পেয়ে জনা তিরিশেক সমর্থক নিয়ে তাঁরা রেসকোর্সের পাশ দিয়ে এগোতে থাকেন দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে। সেখানে ফের আটকানো হয় তাঁদের। মাথায় চোট লাগায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে।

    সাঁতরাগাছিতে জ্বলল আগুন

    এদিকে (Nabanna Aabhiyan), ডোরিনা ক্রসিংয়ে বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। হাওড়ার সাঁতরাগাছিতেও ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। বিক্ষোভকারীদের গতিরোধ করতে ব্যারিকেডের ওপারে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে তৈরিই ছিল পুলিশ। ‘দফা এক, দাবি এক – মমতার পদত্যাগ’ এই স্লোগান দিতে দিতে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। যদিও হাজার চেষ্টা করেও সেই ব্যারিকেড ভাঙতে পারেননি তাঁরা। জানা গিয়েছে, এদিনের নবান্ন অভিযান রুখতে সাঁতরাগাছি-সহ যেসব জায়গায় ব্যারিকেড করা হয়েছিল, সেগুলি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট, লোহার বিম এবং মোটা লোহার রড। তাই আটকানো গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, এর আগে একবার বিজেপির ডাকা নবান্ন অভিযানের সময় গলিপথ ধরে নবান্নের প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতেই এবার আঁটোসাঁটো করা হয়েছিল নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। সেই ঘেরাটোপ ভাঙতে না পেরে সাঁতরাগাছিতে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা।

    কী বললেন শুভেন্দু

    পার্কস্ট্রিটে শুভেন্দুর নেতৃত্বে মিছিল আটকাতেই পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, “অনুব্রত ঠিকই বলেছিল।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যখন জনগণের ন্যায়বিচারের দাবি দমন করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে (Nabanna Aabhiyan), তখন বোঝা যায় অনুব্রত মণ্ডলের কথার মধ্যে কিছু সত্যি ছিল।” তিনি বলেন, “নির্যাতিতার মা-বাবাকেও রেহাই দেয়নি পুলিশ।” তাঁর দাবি, আজ ৫০ হাজার লোক হয়েছে। পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে, ১০০ জনেরও বেশি জখম হয়েছেন। তিনি বলেন, “আজকের লড়াই বাংলা বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই। তাই নির্যাতিতার বাবা-মা যতক্ষণ চাইবেন, এই অবস্থান চলবে।” শুভেন্দু বলেন, “একটাও বিজেপির ঝান্ডা নেই। অথচ ১৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে রেলের হাসপাতালে (Suvendu Adhikari)।” বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচি বলেন, “কাকিমার (নির্যাতিতার মায়ের) শাঁখা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। আগে মেয়েকে মেরেছে। এবার শাঁখা ভেঙে দিয়েছে। এটাই পুলিশের চরিত্র (Nabanna Aabhiyan)।”

  • PM Modi: মোদির সম্ভাব্য চিন সফরে গুরুত্ব বেজিংয়ের, ড্রাগনের দেশের সংবাদপত্রে হিন্দু প্রবাদ

    PM Modi: মোদির সম্ভাব্য চিন সফরে গুরুত্ব বেজিংয়ের, ড্রাগনের দেশের সংবাদপত্রে হিন্দু প্রবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তোমার ভাইয়ের নৌকোকে নদী পার করিয়ে দাও, তাতে তোমার নিজের নৌকোও তীরে পৌঁছে যাবে।” হিন্দুদের এই প্রবাদ (Hindu Proverb) বাক্যটি গুরুত্ব সহকারে ছাপা হয়েছে চিনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয়তে। সেখানে এও লেখা হয়েছে, ভারত-চিন (PM Modi) সম্পর্কের এই ঘনিষ্ঠতা থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে, আমেরিকা ভারতের স্বাধীন বিদেশনীতিকে কোনওভাবেই প্রভাবিত করতে পারবে না। তাহলে কি সংবাদ মাধ্যমের আশঙ্কাই ঠিক? আমেরিকাকে রুখতে জোটবদ্ধ হচ্ছে রাশিয়া-ভারত-চিন, সংক্ষেপে ‘রিচ’ (RICH)!

    এসসিওর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে মোদি (PM Modi)

    এবার এসসিও (সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন) সম্মেলন হতে চলেছে চিনের তিয়ানজিনে। এসসিওর এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিন সফরে যাবেন তিনি। গত সাত বছরের মধ্যে এটাই হবে মোদির প্রথম চিন সফর। প্রধানমন্ত্রী যে এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে যাচ্ছেন, সে ব্যাপারে এখনও সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা হয়নি। তবে পরিবর্তিত ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যে প্রধানমন্ত্রী ড্রাগনের দেশে যাচ্ছেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত। প্রধানমন্ত্রী যদি ওই দিন সত্যিই চিনে যান এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে, তাহলে ২০২০ সালের গালওয়ান সীমান্ত সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্কে সৃষ্টি হওয়া তিক্ততার সম্পর্ক ফের মধুর হতে পারে।

    ভারত-চিনের সম্পর্কের উন্নতি

    সাম্প্রতিক কালে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হচ্ছে। বহু বছরের টানাপোড়েনের পর এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়েছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। গিয়েছিলেন শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্তাও। তাঁদের ধারাবাহিক সফর কূটনৈতিক অচলাবস্থার বরফ গলানোরই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। ২০২৪ সালের অক্টোবরে কাজানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে পার্শ্ববৈঠকে জট খুলতে শুরু করে ভারত-চিন সম্পর্কের। উভয় পক্ষই এ বিষয়ে একমত যে, ভারত ও চিন উন্নয়নের অংশীদার, হুমকি বা প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। এরপর থেকে ফের শুরু হয়েছে ভারত চিনের নাগরিকদের জন্য পর্যটন ভিসা ইস্যু করা। কৈলাশ-মানস সরোবর তীর্থযাত্রার পথ আবারও খুলে দিয়েছে চিন (PM Modi)।

    চিনা সংবাদপত্রে হিন্দু প্রবাদ

    চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস মোদির সম্ভাব্য সফরের খবরে বেশ আশাবাদী। পত্রিকাটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সাম্প্রতিক গতি স্বীকার করলেও ভারতের তৈরি কিছু প্রতিবন্ধকতা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, চিনা বিনিয়োগের ওপর ভারতের পর্যালোচনা ও সীমাবদ্ধতা, চিনা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের ভিসা প্রদানে সীমাবদ্ধতা এবং সরাসরি ফ্লাইট ফের চালুর দেরি। গ্লোবাল টাইমস সতর্ক করেছে যে, এসব প্রতিবন্ধকতার সমাধান না হলে আস্থা ফেরানো কঠিন হবে (Hindu Proverb)। এর পরেই সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছে হিন্দু প্রবাদটি: “তোমার ভাইয়ের নৌকোকে নদী পার করিয়ে দাও, তাতে তোমার নিজের নৌকোও তীরে পৌঁছে যাবে।”

    মোদির সফরকে গুরুত্ব

    সম্পাদকীয়তে জোর দেওয়া হয়েছে যে, যদি প্রধানমন্ত্রী মোদির সফর এসব সমস্যার সমাধান করতে পারে, তবে এটি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা গভীর করার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হয়ে উঠতে পারে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদির সম্ভাব্য চিন সফরের সময়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এটি ঘটতে চলেছে এমন একটা সময়ে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করার কয়েক দিনের মধ্যেই। এই পদক্ষেপটির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে ভারতের রাশিয়া থেকে অব্যাহত তেল আমদানিকে, ওয়াশিংটনের মতে যা সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি স্বরূপ (PM Modi)।

    মার্কিন হুমকির জবাবে দৃঢ় অবস্থান মোদির

    মার্কিন হুমকির জবাবে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত তার অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করবে এবং কোনও চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। চিনা গণমাধ্যম মোদির কূটনৈতিক অবস্থান পরিবর্তনকে ভারতের স্বাধীন বিদেশনীতির অংশ হিসেবেই দেখেছে (Hindu Proverb)। পশ্চিমী মহলের জল্পনা, মোদির চিন সফর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষার পদক্ষেপ। যদিও গ্লোবাল টাইমস জানিয়ে দিয়েছে, চিন-ভারত সম্পর্ক অভিন্ন স্বার্থ ও দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহাসিক যুক্তির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, তৃতীয় পক্ষের বিরোধিতার ওপর নয় (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, বিশ্বের বৃহত্তম দুটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে চিন ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই এবং আঞ্চলিক উন্নয়নের মতো ক্ষেত্রে যৌথ স্বার্থ রয়েছে। উভয় দেশই গ্লোবাল সাউথের শীর্ষ কণ্ঠ এবং এসসিওর মতো বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর এই ক্ষেত্রগুলিতে আরও বেশি সহযোগিতার অনুঘটক হতে পারে, সূচনা করতে পারে চিন-ভারত সম্পর্কের একটি নয়া অধ্যায়ের। বিশ্ববাসী দেখতে পারেন (Hindu Proverb) ‘ড্রাগন’ ও ‘হাতি’র যৌথ নৃত্য (PM Modi)।

  • PM Modi: লক্ষ্য মার্কিন খবরদারি রোখা, ফোনে কথা মোদি-পুতিনের, কী ‘গপ্পো’ হল দুই ‘হুজুরে’র?

    PM Modi: লক্ষ্য মার্কিন খবরদারি রোখা, ফোনে কথা মোদি-পুতিনের, কী ‘গপ্পো’ হল দুই ‘হুজুরে’র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধুত্বের মুখোশধারীদের (Trumps Tariff Threats) থেকে দূরত্ব তৈরি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)! বেছে নিলেন প্রকৃত বন্ধুও। ভারত-মার্কিন শুল্ক নিয়ে চাপানউতোরের আবহেই শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই রাষ্ট্রনেতার কী কথোপকথন হল, তাও শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    পুতিনকে নিজের ‘বন্ধু’ সম্বোধন (Trumps Tariff Threats)

    পুতিনকে নিজের ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, তাঁরা দুজনেই ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক আরও মজবুত করার ওপর জোর দিয়েছেন। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারি বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেছেন। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির বিষয়ে পুতিন তাঁকে অবগত করেছেন বলেও জানিয়েছেন মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “বন্ধু পুতিনের সঙ্গে খুব ভালো ও পুঙ্খানুপুঙ্খ কথোপকথন হয়েছে। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা জানানোর জন্য ওঁকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। ভারত ও রাশিয়ার বিশেষ কৌশলগত অংশীদারি বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা করেছি। চলতি বছরে পুতিনকে এ দেশে স্বাগত জানানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছি।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সূত্রের খবর, তার পরেই মোদির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের। এর পরেই প্রকাশ্যে এসেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নয়া বন্ধুর কথা।

    চড়া শুল্ক আরোপ

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতের ওপর দু’দফায় সব মিলিয়ে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, আরোপ করা হয়েছে জরিমানাও। তেল কেনা বন্ধ না করলে আরও শুল্ক আরোপেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অথচ, ট্রাম্পেরই আমন্ত্রণে আমেরিকা গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ট্রাম্পও। মোদিকে সম্মান জানাতে মার্কিন মুলুকে আয়োজন করেছিলেন ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠান। তখনও অটুট দুই ‘হুজুরে’র বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্বেই চিড় ধরে দিন কয়েক আগে। ভারতের ওপর প্রথমেই ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। তার পরেও ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনে চলায় ফের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রসিডেন্ট। ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এহেন আবহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মোদি পরোক্ষে বার্তা দিলেন বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের (Trumps Tariff Threats)। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সার্বভৌম দেশগুলির অবশ্যই তাদের বাণিজ্য ও আর্থিক সহযোগী নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে (PM Modi)।

    ট্রাম্পের বক্তব্য

    ভারতীয় পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্টের চাপানো শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ২৭ অগাস্ট থেকে। ট্রাম্পের বক্তব্য, ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থা রাশিয়া থেকে তেল কিনে খোলা বাজারে বিক্রি করে মুনাফা লুটছে এবং রাশিয়াকে যুদ্ধে সাহায্য করে চলেছে। তাই এই শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা। তার পরেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বাধীন ভারতের পুরানো বন্ধু, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর আমলে সূত্রপাত হয়েছিল যে বন্ধুত্বের।

    কী কারণে ফের ভারত-রাশিয়া কাছাকাছি

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, আরও একটি কারণে রাশিয়া দাঁড়িয়েছে ভারতের পাশে। সেটি হল তামাম বিশ্বের ওপর মার্কিন খবরদারি রোখা। বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চার নম্বরে চলে এসেছে ভারত। জাপানের ঠিক পরেই। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, অচিরেই ভারত টপকে যাবে জাপানকেও (Trumps Tariff Threats)। তাই আমেরিকাকে থোড়াই কেয়ার করে ভারত। সেই কারণেই যেদিন দ্বিতীয় দফায় ভারতের ওপর ফের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং আরও শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প, সেদিনই সন্ধ্যায় মস্কোয় পৌঁছে যান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথাও হয় তাঁর। তার পরপরই পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)।

    ভারতের সাফ কথা

    ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করে বসে রাশিয়া। মস্কোর এই আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাশিয়ার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পশ্চিমী বিশ্ব। তার জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে মার খায় রাশিয়ার ব্যবসা। এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে (Trumps Tariff Threats) সস্তায় অপরিশোধিত তেল বিক্রি করতে শুরু করে রাশিয়া। সেই সুযোগটাই লুফে নেয় নরেন্দ্র মোদির ভারত। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে রাশিয়া থেকে কয়েক গুণ বেশি তেল কিনতে শুরু করে নয়াদিল্লি। এতেই বেজায় চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে মিস্টার প্রেসিডেন্টের শুল্ক হুমকির প্রতিক্রিয়া বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “জাতীয় স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক বাজারদরের কথা মাথায় রেখেই বাণিজ্যনীতি নির্ধারণ করে থাকে ভারত। রাশিয়া সস্তায় তেল বিক্রি করছে বলেই কিনছে ভারত।”

    ‘মিস্টার প্রেসিডেন্টে’র (Trumps Tariff Threats) মুখে কি ঝামা ঘষে দিলেন ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ (PM Modi)!

  • Udaipur Files: ‘উদয়পুর ফাইলসে’র বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিল কেন্দ্রও

    Udaipur Files: ‘উদয়পুর ফাইলসে’র বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিল কেন্দ্রও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য উদয়পুর ফাইলস’ (Udaipur Files) চলচ্চিত্রটির বিরুদ্ধে দায়ের করা পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক (Union Government)। ৬ অগাস্ট সরকারি নির্দেশে মন্ত্রক জানায়, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (CBFC) আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং ৫৫টি সংশোধন প্রয়োগ করার পর চলচ্চিত্রটিকে ছাড়পত্র দেয়। মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, প্রযোজকরা সিবিএফসি নির্দেশিত সংশোধনের বাইরেও অতিরিক্ত সম্পাদনা করেছেন। মন্ত্রক এও জানিয়েছে, যারা চলচ্চিত্রটির মুক্তির বিরোধিতা করেছেন, তাঁরা এমন কোনও যুক্তিসম্মত কারণ দেখাতে পারেননি যাতে মন্ত্রক আরও পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়।

    দ্য উদয়পুর ফাইলস’: কেন্দ্রের বক্তব্য (Udaipur Files)

    মন্ত্রকের পক্ষে আন্ডার সেক্রেটারি সন্তোষ কুমার মৌর্য বলেন, “উপরোক্ত তথ্য ও প্রাপ্ত ফলের নিরিখে, এবং ১ অগাস্ট, ২০২৫ তারিখে দিল্লি হাইকোর্ট কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনার ভিত্তিতে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ (যিনি সিনেমাটোগ্রাফ আইন, ১৯৫২-এর ধারা ৬ অনুযায়ী পুনর্বিবেচনা কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করছেন) মনে করেন যে, এই আইনের ধারা ৬(২) প্রয়োগের কোনও উপযুক্ত ভিত্তি নেই। অতএব, পুনর্বিবেচনা আবেদন ও অন্যান্য উপস্থাপনাগুলি খারিজ করা হল।”

    দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ

    এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট ‘উদয়পুর ফাইলস’ (Udaipur Files)  ছবিটি পুনরায় পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছিল, যখন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মা আদালতকে জানিয়েছিলেন যে, মন্ত্রক পূর্বের কাটছাঁট সংক্রান্ত আদেশ প্রত্যাহার করে আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসারে একটি নতুন সিদ্ধান্ত নেবে (Union Government)। আদালত কেন্দ্রের এমন সম্পাদনার নির্দেশ দেওয়ার কর্তৃত্ব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। চলচ্চিত্রটির প্রযোজকরা ৮ অগাস্ট ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা করায় আদালত মন্ত্রককে নির্দেশ দেয় যে ৭ অগাস্টের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

    প্রসঙ্গত, ‘উদয়পুর ফাইলস’ ছবিটির মুক্তির বিরোধিতায় দায়ের করা কয়েকটি মামলার শুনানি করছিল দিল্লি হাই কোর্ট। আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের সভাপতি মওলানা আরশাদ মাদানি এবং কানহাইয়া লাল হত্যা মামলার এক অভিযুক্ত। তাঁদের যুক্তি, এই চলচ্চিত্রটিতে মুসলমানদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে এবং অভিযুক্তের ন্যায্য বিচারের অধিকার ক্ষুণ্ণ হতে পারে (Udaipur Files)।

    কানহাইয়া লাল নামে উদয়পুরের এক দর্জিকে ২০২২ সালের জুন মাসে নৃশংসভাবে খুন করে দুই আততায়ী। তিনি প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার পক্ষে একটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন (Union Government)। নূপুর শর্মা পূর্বে নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিতর্কিত একটি মন্তব্য করেছিলেন। চলচ্চিত্রটি মুক্তির দিন ধার্য করা হয়েছিল ১১ জুলাই (Udaipur Files)।

LinkedIn
Share