Author: pranabjyoti

  • Budget 2025: ৮-১২ লাখ আয়ে ১০% ট্যাক্স ধার্য হলে, কীভাবে ১২ লক্ষ পর্যন্ত কর-মুক্ত আয়? রইল ব্যাখ্যা

    Budget 2025: ৮-১২ লাখ আয়ে ১০% ট্যাক্স ধার্য হলে, কীভাবে ১২ লক্ষ পর্যন্ত কর-মুক্ত আয়? রইল ব্যাখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়লা ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Budget 2025)। তাঁর এই বাজেটে স্বস্তি পেয়েছেন মধ্যবিত্তরা। ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর (Income Tax Slab) দিতে হবে না বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তার পরেই উঠছে প্রশ্ন, তাহলে ৪ থেকে ৮ লক্ষ টাকার আয়ে ৫ শতাংশ এবং ৮ থেকে ১২ লাখে যে ১০ শতাংশ কর দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তা কীসের? সেক্ষেত্রে, কীভাবে কর-মুক্ত সম্ভব?

    স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন (Budget 2025)

    নয়া কর ব্যবস্থায়, বেতনভোগীদের ক্ষেত্রে ১২ লাখ টাকার ওপর ৭৫ হাজার টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হিসেবে আয়ের ওপর কোনও কর দিতে হবে না। যদিও সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, ৪ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা রোজগারে ৫ শতাংশ, ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত ট্যাক্সের পরিমাণ ১০ শতাংশ, ১২ থেকে ১৬ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে ট্যাক্স দিতে হবে ১৫ শতাংশ। ১৬ লক্ষ টাকা থেকে ২০ লক্ষ টাকাপর্যন্ত আয়ে ট্যাক্স দিতে হবে ২০ শতাংশ, ২০ লক্ষ টাকা থেকে ২৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ট্যাক্স দিতে হবে ২৫ শতাংশ। এবং ২৪ লক্ষ টাকার উপরে বার্ষিক আয়ের উপর ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে সবাইকে৷

    আইনের ৮৭এ ধারা

    আমজনতার প্রশ্ন হল, বার্ষিক ১২ লক্ষ আয়ের উপর কোনও ট্যাক্স না থাকলে, ৪ থেকে ৮ লক্ষের উপর ৫ শতাংশ এবং ৮ থেকে ১২ লক্ষের উপর ১০ শতাংশ ট্যাক্স তাহলে দেখানো হচ্ছে কেন? বিষয়টা অনেকের কাছেই গোলমেলে লাগছে। তাই প্রয়োজন ব্যাখ্যার। সরকার যে ছাড়ের আইন করেছে, তা আইনের ৮৭এ ধারায়। এর অর্থ হল, আপনার আয়ের মোট ট্যাক্স যদি কোনও স্ল্যাব অনুযায়ী গণনা করা হয়, তাহলে করদাতা কিছু ছাড় পাবেন। বিষয়টা ভালো করে বোঝা যাক। যদি কারও বার্ষিক আয় ৪ থেকে ৮ লাখ টাকার মধ্যে হয়, তাহলে ওই ব্যক্তির ট্যাক্স হবে ২০ হাজার টাকা। বার্ষিক আয় ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা হলে, কর দিতে হবে ৪০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে মোট কর হয় ৬০ হাজার টাকা। এবার ৮৭এ-এর আওতায় ১২ লাখ টাকার বার্ষিক আয়ের ওপর কর রিবেট বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। অর্থাৎ, কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৪ থেকে ৮ লাখ বা বার্ষিক ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা হয়, তাঁকে কোনও ট্যাক্স দিতে হবে না। এটাই হল ট্যাক্স রিবেট (Budget 2025)।

    প্রশ্ন হল, ট্যাক্স রিবেট কী? ট্যাক্স রিবেট হল একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক আইন, যা করদাতাদের রোজগারের ওপর ধার্য কর থেকে ত্রাণ হিসেবে দেওয়া হয়। এই আইনটি তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যাঁদের বার্ষিক আয় একটি নির্দিষ্ট সীমার নীচে (Income Tax Slab)। ভারতে এই বিধানটিই আসে আয়কর আইনের ৮৭এ ধারায় (Budget 2025)।

  • Labour Code: শ্রম সংস্কারের দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, ১ এপ্রিল থেকে দেশে চালু হচ্ছে নতুন শ্রম-বিধি!

    Labour Code: শ্রম সংস্কারের দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, ১ এপ্রিল থেকে দেশে চালু হচ্ছে নতুন শ্রম-বিধি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রম সংস্কারের দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে প্রস্তুত ভারত (India)। ৩১ মার্চের মধ্যেই শ্রম কোড চূড়ান্ত হওয়ার কথা। এটি চূড়ান্ত হয়ে গেলে ১ এপ্রিল থেকে চারটি শ্রম কোড বা শ্রম-বিধি (Labour Code) বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত হতে পারে। কেন্দ্র ও রাজ্যের শ্রমমন্ত্রকের কর্তাদের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে কোডগুলির অধীনে বিধি প্রণয়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটাই বহু প্রতীক্ষিত শ্রম আইন সংস্কারের শেষ ধাপ।

    শ্রমমন্ত্রকের কর্তাদের বৈঠক (Labour Code)

    বৈঠকে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৮টিরও বেশি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ সংস্কার কার্যকর করেছে। আর ৩২টিরও বেশি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল খসড়া বিধিগুলি প্রকাশ করেছে। অবশিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এ ব্যাপারে সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে। ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলই ৩১ মার্চের মধ্যে সমন্বিত খসড়া বিধির প্রি-পাবলিকেশন সম্পন্ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটা হলেই শ্রম কোডগুলির সর্বভারতীয় বাস্তবায়ন নিশ্চিত হবে। উচ্চ পর্যায়ের ওই বৈঠক হয়েছে দুদিন ধরে। সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। বৈঠকে  বৃহত্তর শ্রম সংস্কারগুলির ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গিগ এবং প্ল্যাটফর্ম কর্মীদের নীতিগুলিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

    মন্ত্রীর আহ্বান

    শ্রমিকদের কল্যাণ ও শিল্প প্রবৃদ্ধির মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন মন্ত্রী। শ্রম সংস্কারের বিষয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সেরা অনুশীলনগুলি ভাগ করার আহ্বানও জানান তিনি। মাণ্ডব্য উল্লেখ করেন, শ্রমবাজারের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সামঞ্জস্য আনার জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এর মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল ক্যারিয়ার সার্ভিস (NCS) পোর্টাল এবং মডেল ক্যারিয়ার সেন্টারস (MCCs)। এগুলি কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে সহায়ক হবে।

    বৈঠকের সময়, মন্ত্রী ই-শ্রমের উদ্যোগের (Labour Code) অধীনে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর মাইক্রোসাইট এবং অকুপেশনাল শর্টেজ ইনডেস্ক চালু করেন। ই-শ্রম মাইক্রোসাইটগুলি জাতীয় ই-শ্রম ডাটাবেসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। এতে অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ হবে।

    অন্যদিকে, অকুপেশনাল শর্টেজ ইনডেস্ক শ্রমবাজারের প্রবণতা বিশ্লেষণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা নীতি নির্ধারক এবং নিয়োগকারীদের দক্ষতার ঘাটতি চিহ্নিত করতে এবং চাকরি প্রার্থীদের দক্ষতাকে শিল্পের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে সহায়তা করবে (India)। এর ফলে সারা দেশে কর্মসংস্থানের ফল উন্নত হবে (Labour Code)।

  • Maha Kumbh 2025: আইআইটির প্রাক্তনী, রতন টাটার চাকরি ছেড়ে সন্ন্যাস নিয়েছেন জয়শঙ্কর

    Maha Kumbh 2025: আইআইটির প্রাক্তনী, রতন টাটার চাকরি ছেড়ে সন্ন্যাস নিয়েছেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআইটির প্রাক্তনী। টাটায় মোটা অঙ্কের চাকরি। ঘুরে এসেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে এসব তাঁকে টানেনি। তাই চাকরি ছেড়ে নিয়েছেন সন্ন্যাস (Acharya Jaishankar Narayanan)। গেরুয়া পোশাক পরে গলায় ঝুলিয়েছেন রুদ্রাক্ষের মালা। তিনিও এসেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে (Maha Kumbh 2025) ডুব দিতে। আইআইটির প্রাক্তনী এই সন্ন্যাসীর নাম আচার্য জয়শঙ্কর।

    আইআইটি পাশ করে চাকরি (Maha Kumbh 2025)

    আইআইটি বারাণসী থেকে পাশ করে চাকরি নিয়েছিলেন মার্কিন মুলুকের নামী সংস্থায়। বেশ কিছুদিন চাকরি করেছেন রতন টাটার সংস্থায়ও। সেই মোটা মাইনের চাকরিও হেলায় ছেড়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। দীক্ষা নিয়েছেন সন্ন্যাস ধর্মে। পার্থিব সুখ ছেড়ে কেন অপার্থিবের সন্ধানে? জয়শঙ্কর বলেন, “হৃষিকেশে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল। তখনই বেদান্তের সংস্পর্শে আসি।” বেদান্তর আত্মমোক্ষ ও চিরন্তন সুখের দর্শন জয়শঙ্করকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। তিনি বলেন, “জাগতিক সাফল্যলাভের পরেও আমি দেখেছি ভারত ও আমেরিকা দুদেশের মানুষই অসুখী। আসল সুখ এই বস্তুগত পৃথিবীতে মেলে না। বেদান্তে যে আত্মজ্ঞান ও আত্মোপলব্ধির উল্লেখ রয়েছে। তাই প্রকৃত আনন্দ এনে দিতে পারে (Maha Kumbh 2025)।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর বলেন, “জগতে আমরা যে আনন্দ পেয়ে থাকি, তার মধ্যে আনন্দের সঙ্গে বেদনাও মিশে থাকে। আনন্দ কিছুদিন পরে উবে যায়। কিন্তু তখনও দুঃখ রয়ে যায়। আনন্দ-বেদনার এই মিলন-বিচ্ছেদ, আসা-যাওয়া লেগেই থাকে। এই অবস্থায় টাইম ও স্পেসের বাইরে যে জগৎ, তাই আমাদের শাস্বত সুখ এনে দিতে পারে। ধর্মগ্রন্থে একথাই লেখা আছে। বেদান্তেরও সার কথা এটাই।”

    তিনি বলেন, “ধর্মগ্রন্থ বলে, মানুষ অনন্ত। মানুষই সকল জ্ঞানের সার। এই ধারণা অর্জন করতে পারলেই সত্যিকারের সুখ লাভ সম্ভব।” জয়শঙ্কর বলেন, “ধর্মই আমাদের প্রথম পুরুষার্থ, প্রথম লক্ষ্য। ধর্ম ছাড়া মোক্ষলাভ অসম্ভব। আমরা যাই করি না কেন, সব কিছু ধর্মের সঙ্গে সংলগ্ন থাকা উচিত।” তিনি বলেন, “আমি ১৯৯৫ সালে ভারতে ফিরে আসি এবং গুরুকুলমের আবাসিক কোর্সে যোগদান করি। এবং বেদান্ত শিখতে শুরু করি (Acharya Jaishankar Narayanan)। গত ২০ বছর ধরে আমি বেদান্ত ও সংস্কৃত শেখাচ্ছি (Maha Kumbh 2025)।”

  • Delhi Elections: ভোটের আগে ‘রাম’ধাক্কা খেল আপ, দল ছেড়ে বিধায়করা বিজেপিতে

    Delhi Elections: ভোটের আগে ‘রাম’ধাক্কা খেল আপ, দল ছেড়ে বিধায়করা বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন (Delhi Elections)। তার ঠিক আগে বড়সড় ধাক্কা খেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (AAP)। শুক্রবারই আপের সংস্রব ছেড়েছিলেন আটজন বিধায়ক। শনিবারই তাঁরা যোগ দিলেন বিজেপিতে। তাঁদের সঙ্গে আপের কিছু কাউন্সিলরও ভিড়েছেন পদ্মশিবিরে।

    বিপাকে আপ (Delhi Elections)

    ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে আপের একঝাঁক নেতা গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ায় পদ্মপার্টির শক্তি যে বাড়ল, তা বলাই বাহুল্য। এদিন যেসব বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁরা হলেন ভবনা গৌর, মদন লাল, গিরিশ সোনি, রাজেশ ঋষি, নরেশ যাদব, পবন শর্মা, বিএস জুন, রোহিত মেহরোলিয়া এবং বিজেন্দ্র গর্গ। বিজেন্দ্র প্রাক্তন বিধায়ক। অজয় রাই আপের কাউন্সিলর ছিলেন।

    দুর্নীতির অভিযোগ

    শুক্রবার আপের সংস্রব ত্যাগ করার সময় বিধায়করা অভিযোগ করেছিলেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন দল তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে (Delhi Elections)। কেজরিওয়াল সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও করেন তাঁরা। আপ ছাড়ার পর বিধায়করা জানান, তাঁরা বিধানসভার স্পিকারের কাছে তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, ইস্তফা দিয়েছেন বিধায়ক পদে। আপের পোড়খাওয়া নেতা-কর্মীদের স্বাগত জানিয়ে দিল্লি বিজেপির জাতীয় সহ সভাপতি ও ইনচার্জ বৈজয়ন্ত পান্ডা বলেন, “এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। কারণ তাঁরা এএপদা (দুর্যোগ) থেকে মুক্তি পেয়েছেন এবং আশা করছেন যে ৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পরবর্তী দিল্লি এই দুর্যোগ থেকে মুক্ত হবে।” উল্লেখ্য, দিল্লি বিধানসভার আসন সংখ্যা ৭০।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, আম আদমি পার্টি প্রধান কেজরিওয়াল এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতীশি উভয়েই পাঁচ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচনে তাদের নিজ নিজ আসন হারাবেন। এদিন শাহ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দিল্লিতে বিজেপি একটি ডবল ইঞ্জিন সরকার গঠন করবে।” কেজরিওয়ালকে নিশানা করে শাহ বলেন, “গত ১০ বছরে অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লিকে আবর্জনার স্তূপে পরিণত করেছে। যমুনা আগের (AAP) চেয়ে বেশি দূষিত এবং শহরের পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে (Delhi Elections)।”

  • Union Budget 2025: “মধ্যবিত্ত শ্রেণি সর্বদা মোদির হৃদয়ে থাকে,” বাজেট প্রসঙ্গে বললেন শাহ

    Union Budget 2025: “মধ্যবিত্ত শ্রেণি সর্বদা মোদির হৃদয়ে থাকে,” বাজেট প্রসঙ্গে বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সব সময় মধ্যবিত্ত শ্রেণির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।” ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট (Union Budget 2025) পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই বাজেটে বার্ষিক ১২ লাখ পর্যন্ত আয়করে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তার পরেই বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    শাহের পোস্ট (Union Budget 2025)

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সব সময় মধ্যবিত্ত শ্রেণির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।” ২০২৫ সালের বাজেটকে মোদি সরকারের একটি নকশা হিসেবেও বর্ণনা করেন তিনি। এই নকশা প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নত ও সেরা ভারত গড়ার দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, “মধ্যবিত্ত শ্রেণি সর্বদা প্রধানমন্ত্রীর মোদির হৃদয়ে থাকে। ১২ লাখ টাকা আয় পর্যন্ত আয়কর শূন্য। প্রস্তাবিত কর ছাড় মধ্যবিত্তের আর্থিক কল্যাণ বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই উপলক্ষে সকল উপকারভোগীকে অভিনন্দন।” এই বাজেটকে তিনি মোদি সরকারের উন্নত ও সর্বোত্তম ভারত গঠনের দৃষ্টিভঙ্গির নকশা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, নির্মলা পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কারগুলির জন্য একটি নীল নকশা (Union Budget 2025) তৈরি করেছেন। বিমায় এফডিআইয়ের সীমা বাড়ানো, কর আইনের সরলীকরণ এবং একাধিক পদক্ষেপের জন্য বর্ধিত আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় মধ্যস্থতাকারীদের ওপর শুল্ক কমানোর মতো একাধিক বিষয়ের উল্লেখ আছে বাজেটে।

    বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির

    বাজেট প্রসঙ্গে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আজ ভারতের উন্নয়নযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি ১৪০ কোটি ভারতীয়ের আকাঙ্খার বাজেট। এটি এমন একটি বাজেট, যা প্রতিটি ভারতীয়ের স্বপ্ন পূরণ করে। আমরা যুব সমাজের জন্য অনেক খাত খুলে দিয়েছি। সাধারণ নাগরিকই বিকশিত ভারতের মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পেশ করা বাজেট উন্নত ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য একটি দুর্দান্ত বাজেট। এই বাজেটে সমাজের সব অংশের মানুষের কথা ভাবা হয়েছে। এই বাজেট দেশের উন্নয়নের প্রচার (Union Budget 2025) করতে চলেছে (PM Modi)।”

  • Maha Kumbh 2025: প্রয়াগরাজগামী বিমানের ভাড়ায় মিলবে ৫০ শতাংশ ছাড়! ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Maha Kumbh 2025: প্রয়াগরাজগামী বিমানের ভাড়ায় মিলবে ৫০ শতাংশ ছাড়! ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে হচ্ছে মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh 2025)। মেলা শুরু হয়েছে ১২ জানুয়ারি, চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (Airfare)। দেশ তো বটেই, বিদেশেরও নানা প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা আসছেন গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিতে। কেবল পুণ্যার্থীরা নন, আসছেন অনুসন্ধিৎসু, গবেষক, ভিন দেশের পর্যটকও।

    বিমানভাড়ায় ৫০ শতাংশ ছাড় (Maha Kumbh 2025)

    এই কুম্ভমেলায় পৌঁছতে ঝামেলা পোহাতে হয় অনেক। এবার সেই সব তীর্থযাত্রীরা যাতে বিমানে মহাকুম্ভে গিয়ে স্নান সেরে ফিরতে পারেন, সেজন্য বিমানভাড়ায় ৫০ শতাংশ ছাড়ের কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কে রামমোহন নাইডু। ১ ফেব্রুয়ারি, শনিবার থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মহাকুম্ভে যাওয়া বিমানের ভাড়া কমানো হয়েছে বলে জানান তিনি। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মন্ত্রী জানান (Maha Kumbh 2025), প্রয়াগরাজে যাওয়ার ভাড়া ৫০ শতাংশ কমছে। নয়া ভাড়া নেওয়া হবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই।

    বৈঠকে কেন্দ্র

    জানা গিয়েছে, প্রয়াগরাজে যাওয়ার ভাড়া নিয়ে বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলির সঙ্গে তিনবার বৈঠক করেছে কেন্দ্র। তার পরেই ভাড়া কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ভাড়া কমানো হলেও, বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলির আর্থিক ক্ষতি হবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, টিকিটের চাহিদার কথা মাথায় রেখে জানুয়ারি মাসে প্রয়াগরাজে ৮১টি অতিরিক্ত বিমান উড়ানের অনুমতি দেয় ডিজিসিএ। দিন কয়েক আগেই প্রয়াগরাজ যাওয়ার ভাড়া বেড়ে গিয়েছিল ৫০ হাজার টাকার বেশি। সেটাই এক ধাক্কায় কমে গেল অনেকখানি।

    এক্স হ্যান্ডেলে ডিজিসিএ লিখেছে, “সম্ভাব্য চাহিদা বৃদ্ধির দিকে লক্ষ্য রেখে, ডিজি (সিএ) ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে এয়ারলাইন্সের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং তাদের ফ্লাইট বাড়িয়ে আরও ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ও ভাড়া যুক্তসঙ্গত করতে অনুরোধ করেন।” ৮১টি অতিরিক্ত উড়ান অনুমোদন করায় প্রয়াগরাজে যাতায়াত করা উড়ানের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩২টি। নয়া হারে কলকাতা থেকে প্রয়াগরাজের ভাড়া দাঁড়াল ১২ হাজার থেকে ২০ হাজার। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ভাড়া কমে হবে ৯ হাজার টাকা। নয়াদিল্লি থেকে প্রয়াগরাজের ভাড়া হবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। মুম্বই থেকে প্রয়াগরাজের ভাড়া হবে ১৪ থেকে ২১ হাজার টাকা (Maha Kumbh 2025)।

    লোকাল সার্কেলসের সমীক্ষা অনুযায়ী, মহাকুম্ভ ২০২৫-এর সময় বিমান সংস্থাগুলির অতিরিক্ত লাভ নিয়ে বেশ কিছু উপভোক্তা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রকৃত ভাড়ার চেয়ে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩-৬ গুণ বেশি। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি ১০ জন বিমানযাত্রীর মধ্যে ৮ জন গত এক বছরে কমপক্ষে (Airfare) একবার অত্যন্ত বেশি ভাড়া দিয়েছেন (Maha Kumbh 2025)।

  • Union Budget 2025: নতুন মহিলা, তফশিলি উদ্যোগপতিদের ২ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদি ঋণ, ঘোষণা নির্মলার

    Union Budget 2025: নতুন মহিলা, তফশিলি উদ্যোগপতিদের ২ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদি ঋণ, ঘোষণা নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় এনিয়ে অষ্টমবার বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Union Budget 2025)। এবারের বাজেটে বড় ঘোষণা করলেন তিনি। বললেন (Nirmala Sitharaman), পাঁচ লাখ প্রথমবারের মহিলা, তফশিলি জাতি-উপজাতি অন্ত্রেপ্রেনারদের (উদ্যোগপতি) জন্য ২ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদি ঋণ দেওয়া হবে। তাঁর ঘোষণা, সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত রফতানিমুখী এমএসএমইগুলির জন্য ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদী ঋণ দেওয়া হবে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী? (Union Budget 2025)

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ঋণ গ্যারান্টি কভার দ্বিগুণ করে ২০ কোটি টাকা করা হবে এবং গ্যারান্টি ফি ১ শতাংশ কমানো হবে। তিনি বলেন, ‘‘ঋণে প্রবেশাধিকার উন্নত করতে, ঋণ গ্যারান্টি কভার বৃদ্ধি করা হবে। ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোগের জন্য এটি ৫ কোটি টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হবে, যার ফলে আগামী পাঁচ বছরে অতিরিক্ত ১.৫ লাখ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া সম্ভব হবে। স্টার্টআপগুলির ক্ষেত্রে এটি ১০ কোটি টাকা থেকে ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হবে এবং ২৭টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রের জন্য গ্যারান্টি ফি ১ শতাংশ করা হবে, যা আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’’

    এমএসএমইদের জন্য ২০ কোটি টাকা

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “ভালোভাবে (Union Budget 2025) পরিচালিত রপ্তানিকারক এমএসএমইদের জন্য ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদী ঋণের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও, ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলির জন্য, আমরা উদ্যম পোর্টালে নিবন্ধিত ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলির জন্য ৫ লাখ টাকার সীমাবদ্ধতা-সহ কাস্টমাইজড ক্রেডিট কার্ড চালু করব।” তিনি জানান, সহজ কাস্টমস শুল্ক কাঠামোর জন্য ৭টি শুল্ক হার বাতিল করেছেন। মন্ত্রী বলেন, ‘‘জুলাই ২০২৪ সালের বাজেটে ঘোষিত কাস্টমস শুল্ক কাঠামোর ব্যাপক পর্যালোচনার অংশ হিসেবে, আমি ৭টি শুল্ক হার বাতিল করার প্রস্তাব দিচ্ছি – এটি ২০২৩-২৪ সালের বাজেটে বাতিল হওয়া শুল্ক হারগুলোর অতিরিক্ত।’’ তিনি বলেন, “সব এমএসএমইর শ্রেণিবিন্যাসের জন্য বিনিয়োগ ও টার্নওভার যথাক্রমে ২.৫ গুণ ও ২ গুণ বাড়ানো হবে। এটি তাদের বৃদ্ধি পেতে ও আমাদের যুব সমাজের (Nirmala Sitharaman) জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে আত্মবিশ্বাস জোগাবে (Union Budget 2025)।”

  • Union Budget 2025: এবারের বাজেটে চার শ্রেণিকে গুরুত্ব দিলেন নির্মলা, কী কী ঘোষণা করলেন?

    Union Budget 2025: এবারের বাজেটে চার শ্রেণিকে গুরুত্ব দিলেন নির্মলা, কী কী ঘোষণা করলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা রাখলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। শনিবার বাজেট পেশের শুরুতেই তিনি বলেছিলেন, “সবার উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। বিশ্বে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি (Union Budget 2025)।” তিনি এও বলেছিলেন, “বাজেটে মধ্যবিত্তদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। গরিব, যুব, কৃষক, মহিলাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ৭০ শতাংশ মহিলা যাতে আর্থিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সেদিকেও নজর দেওয়া হবে।” কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘আমরা আগামী ৫ বছরকে ‘সবকা বিকাশ’ বাস্তবায়নের একটি অনন্য সুযোগ হিসেবে দেখি, যা সমস্ত অঞ্চলের সমতামূলক প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করবে।’’

    নারীদের জন্য প্রকল্প (Union Budget 2025)

    নারী ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের উদ্যোক্তাদের জন্য নয়া প্রকল্প চালু করা হবে বলেও এদিন বাজেটে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, সরকার নিবন্ধিত ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলির জন্য ৫ লাখ টাকার সীমাযুক্ত কাস্টমাইজড ক্রেডিট কার্ড চালু করবে। তিনি বলেন, ‘‘ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ বাড়ানোর জন্য, ক্রেডিট গ্যারান্টি কভার বাড়ানো হবে। ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগগুলির জন্য এটি ৫ কোটি টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা করা হবে, যার ফলে আগামী ৫ বছরে অতিরিক্ত ১.৫ লাখ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হবে। স্টার্টআপগুলির ক্ষেত্রে, এটি ১০ কোটি টাকা থেকে ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।’’

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’

    নির্মলা বলেন, ‘‘২৭টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ঋণের জন্য গ্যারান্টি ফি ১% নির্ধারণ করা হবে, যা ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভালোভাবে পরিচালিত রপ্তানিকারক এমএসএমই-গুলির জন্য, মেয়াদি ঋণের সীমা ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হবে। এছাড়াও, ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলির জন্য, উদ্যম পোর্টালে নিবন্ধিত উদ্যোগগুলির জন্য ৫ লাখ টাকার সীমাযুক্ত কাস্টমাইজড ক্রেডিট কার্ড চালু করা হবে।’’ নয়া কর ব্যবস্থায় ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের জন্য কোনও কর দিতে (Union Budget 2025) হবে না। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বেতনভোগীদের বছরে ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ে করের পরিমাণ শূন্য রাখা হয়েছে। টিডিএস ও টিসিএস সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে সম্মতি সংক্রান্ত বোঝা হ্রাস পেয়েছে। রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্য জিডিপির ৪.৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ২০২৫ অর্থবর্ষের ৪.৮ শতাংশ থেকে কমানো হয়েছে। বাজার থেকে ঋণ গ্রহণ নির্ধারণ করা হয়েছে ১১.৫৪ লাখ কোটি টাকা। মোট ঋণ গ্রহণের পরিমাণ ১৪.৮২ লাখ কোটি টাকা।’’

    ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’

    কৃষিক্ষেত্রে চালু হচ্ছে ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, এই যোজনায় উপকৃত হবেন দেশের মোট ১০০টি জেলার ১.৭ কোটি কৃষক। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলে ওই জেলাগুলিতে কৃষি উন্নয়নে কাজ করবে কেন্দ্র। তিনি জানান, যেসব জেলায় উৎপাদনের হার কম, সেরকমই ১০০টি জেলাকে চিহ্নিত করা হবে। ওই জেলাগুলির পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে আলাদা আালাদা ফসল চিহ্নিত করা হবে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ (Nirmala Sitharaman) দেওয়া হবে। ব্যবস্থা করা হবে উৎপাদিত ফসল বিক্রির। প্রক্রিয়াকরণও হবে ওই জেলাগুলিতে।

    ডালজাতীয় শস্যে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা

    ভোজ্য তেল এবং ডালজাতীয় শস্যে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বিহারে তৈরি হবে মাখনা বোর্ড। কিষান ক্রেডিট কার্ডে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করা (Union Budget 2025) হবে বলেও বাজেটে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আগে এই ঋণের পরিমাণ ছিল তিন লাখ টাকা। সেটাই এবার বাড়িয়ে করা হবে পাঁচ লাখ। তুলো উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৫ বছরের বিশেষ পরিকল্পনাও নিয়েছে কেন্দ্র। কৃষকদের জন্য ইউরিয়া প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে।

    ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ঋণ

    ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ঋণ গ্যারান্টির সীমা বৃদ্ধি করে করা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। গভীর প্রযুক্তি ও উৎপাদন খাতে স্টার্টআপের জন্য চালু করা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল। এমএসএমই ক্রেডিট কার্ড চালু করা হয়েছে। এটির সাহায্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের সুবিধা পাবেন। প্রথমবারের মতো উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেওয়া হবে। এখানে নারী ও তফশিলি জাতি ও উপজাতির লোকজন ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। রাজ্যগুলির জন্য মূলধনী প্রকল্পে ১.৫ লাখ কোটি টাকা সুদমুক্ত ঋণ বরাদ্দ করা (Union Budget 2025) হয়েছে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী?

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, সব এমএসএমইর শ্রেণিবিন্যাসের জন্য বিনিয়োগ ও টার্নওভার যথাক্রমে ২.৫ গুণ ও ২ গুণ বাড়ানো হবে (Union Budget 2025)। এটি তাদের বৃদ্ধি পেতে ও আমাদের যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। ৮ কোটি শিশু ও মহিলাকে পুষ্টিগত সহায়তা দিতে “সক্ষম আঙ্গনওয়াড়ি এবং পোষণ ২.০” কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)।

  • Union Budget 2025: কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’ ঘোষণা নির্মলার

    Union Budget 2025: কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’ ঘোষণা নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেটে (Union Budget 2025) যে কৃষি, মহিলা এবং যুবসমাজকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে, শনিবার বাজেট ভাষণের শুরুতেই সে কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। বাজেট ভাষণের শুরুটাও তিনি করলেন কৃষিক্ষেত্র দিয়েই। কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে ঘোষণা করলেন ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’।

    নির্মলার ঘোষণা (Union Budget 2025)

    নির্মলা জানান, এই যোজনায় উপকৃত হবেন দেশের মোট ১০০টি জেলার ১.৭ কোটি কৃষক। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলে ওই জেলাগুলিতে কৃষি উন্নয়নে কাজ করবে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, যেসব জেলায় উৎপাদনের হার কম, সেরকমই ১০০টি জেলাকে চিহ্নিত করা হবে। ওই জেলাগুলির পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে আলাদা আালাদা ফসল চিহ্নিত করা হবে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ব্যবস্থা করা হবে উৎপাদিত ফসল বিক্রির। প্রক্রিয়াকরণও হবে ওই জেলাগুলিতে। নির্মলার দাবি, এই প্রকল্পে বদলে যাবে ১.৭ কোটি কৃষকের জীবন।

    ডালজাতীয় শস্যে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা

    ভোজ্য তেল এবং ডালজাতীয় শস্যে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বিহারে তৈরি হবে মাখনা বোর্ড। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফুড টেকনোলজিও তৈরি হবে বিহারে। কিষান ক্রেডিট কার্ডে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করা (Union Budget 2025) হবে বলেও বাজেটে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আগে এই ঋণের পরিমাণ ছিল তিন লাখ। সেটাই বাড়িয়ে করা হবে পাঁচ লাখ। তুলো উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৫ বছরের বিশেষ পরিকল্পনাও নিয়েছে কেন্দ্র। কৃষকদের জন্য ইউরিয়া প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। কৃষকরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন বলেও জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

    বাজেট পেশের শুরুতেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) বলেন, “সবার উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। বিশ্বে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি।” এর পরেই তিনি  বলেন, “বাজেটে মধ্যবিত্তদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। কৃষক, নারী, ক্ষুদ্রশিল্পে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ৭০ শতাংশ মহিলা যাতে আর্থিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সেদিকেও নজর দেওয়া হবে । আমাদের কাছে আগামী পাঁচ বছর উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে (Union Budget 2025)।”

  • Indian Railways: কারগিল যুদ্ধের শহিদকে শ্রদ্ধা ভারতীয় রেলের, আস্ত লোকোমোটিভ উৎসর্গ

    Indian Railways: কারগিল যুদ্ধের শহিদকে শ্রদ্ধা ভারতীয় রেলের, আস্ত লোকোমোটিভ উৎসর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাবীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ারের সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। তাঁর স্মৃতিতে একটি ডব্লুএজি-৯ এইচসি লোকোমোটিভ উৎসর্গ করল তারা। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি হয় তামিলনাড়ুর আরাক্কোনামের ইলেকট্রিক লোকো শেডে। ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের (Kargil War Hero) এই বীর শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হল এই অনুষ্ঠান।

    কারগিল যুদ্ধের নায়ক

    ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ার কারগিল যুদ্ধে অসম সাহস দেখিয়ে আত্মত্যাগ করেন। তাঁর বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে মরণোত্তর মহাবীর চক্র দেওয়া হয়। এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান। এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় রেল জানিয়েছে, “বীরত্ব অমর! ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধে মহাবীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ারের অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগকে স্মরণ করে, ভারতীয় রেলওয়ে গর্বের সঙ্গে তাঁর স্মৃতিতে ডব্লুএজি-৯ এইচসি লোকোমোটিভ উৎসর্গ করেছে আরাক্কোনামের ইলেকট্রিক লোকো শেডে।”

    নায়ারের গুরু দায়িত্ব

    ১৯৭৫ সালের ২৮ অগাস্ট দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন নায়ার। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু ডিপিএস মথুরা রোডে। তারপর চলে যান ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে। পরে যোগ দেন ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি, দেরাদুনে। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৭ জাঠ রেজিমেন্টে কমিশনপ্রাপ্ত হন। অপারেশন বিজয়ের সময়, ক্যাপ্টেন নায়ার মুশকোহ উপত্যকায় পয়েন্ট ৪৮৭৫ পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর ইউনিটকে শত্রুর ভারী গোলাগুলির মধ্যে খাড়া, কঠিন ভূখণ্ডে শত্রুর বাঙ্কার ধ্বংসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল (Indian Railways)। ৬ জুলাই ১৯৯৯ সালে, যখন তাঁর দল অগ্রসর হচ্ছিল, তখন পাকিস্তানি সেনারা সুরক্ষিত অবস্থান থেকে প্রবল গোলাবর্ষণ শুরু করে।

    তীব্র গোলাবর্ষণের মধ্যেও ক্যাপ্টেন নায়ার তাঁর সৈন্যদের নেতৃত্ব দেন। ধ্বংস করেন চারটি শত্রু বাঙ্কার। নিকেশ করেন বহু শত্রু সেনাকে। ভয়ঙ্কর গোলাবর্ষণের মধ্যেও তিনি অবিচলভাবে এগিয়ে যান। নিশ্চিত করেন মিশনের সাফল্য। পরে শত্রুর একটি আরপিজি শেলের আঘাতে শহিদ হন তিনি। সেনা সূত্রে খবর, শহিদ হওয়ার আগে তিনি ন’জন শত্রু সেনাকে খতম করেন (Kargil War Hero)। শত্রু সেনার তিনটি মাঝারি মেশিনগানের অবস্থানও ধ্বংস করে দেন এই অসম সাহসী বীর (Indian Railways)।

LinkedIn
Share