Author: pranabjyoti

  • PM Modi: মোদি-ভাগবতের যুগলবন্দি, রাজনীতির বাইরেও এক অটুট বন্ধনের বার্তা

    PM Modi: মোদি-ভাগবতের যুগলবন্দি, রাজনীতির বাইরেও এক অটুট বন্ধনের বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও আরএসএসের সরসংঘচালক মোহন ভাগবতের মধ্যে সম্পর্ক সব সময়ই অভিন্ন আদর্শ ও গভীর পারস্পরিক শ্রদ্ধার। আরএসএসের প্রবীণরা প্রায়ই বলেন, তাঁরা সবচেয়ে ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছেন। বৃহত্তর লক্ষ্যে নিবেদিতপ্রাণ ভাইদের মতোই তাঁরা এক সঙ্গে কাজ করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন। রবিবার নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে (Mohan Bhagwat) গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তাঁদের যুগলবন্দি— স্মৃতি মন্দিরে পাশাপাশি হাঁটা, মঞ্চে হালকা মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়া এবং সহজ-সরল সৌহার্দপূর্ণ আচরণ—এই সম্পর্কের একটি বিরল প্রকাশ যা জনসমক্ষে দেখা যায় না।

    বিশেষ বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত (PM Modi)

    যাঁরা ভিজ্যুয়ালি দেখতে পেয়েছিলেন, তাঁরা খুব কমই জানতেন যে তাঁরা কী নিয়ে কথা বলেছেন। তবে এটি স্পষ্ট যে দুজনের মধ্যে বন্ধন— বৃহত্তম হিন্দুত্ব শক্তির প্রধান ও দেশের সবচেয়ে প্রতিভাধর মুখ— রাজনীতি, নিয়মিত বিষয় এবং সমস্ত বিতর্কের ঊর্ধ্বে। ২০০০ সালে ভাগবতকে আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। আর ২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন মোদি। একজন পদস্থ আরএসএস কর্মী বলেন, “যদিও তাঁরা বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তবুও তাঁরা সবসময় একটি বিশেষ বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।”

    কী বলছে আরএসএস?

    আরএসএসের আর এক পদস্থ কর্তা বলেন, “তাঁদের প্রায়ই জনসমক্ষে এক সঙ্গে দেখা যায় না। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, তাঁরা (PM Modi) কথাবার্তা বলেন না। প্রয়োজন অনুযায়ী এবং বিভিন্ন স্তরে তাঁরা যোগাযোগ রাখেন। আমরা প্রায়ই তাঁদের জয়-বীরু বলে ডাকি, যদিও আমাদের কাঠামোয় আমাদের সর্বদা শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকতে হয়, এমনকি কথাবার্তাতেও। কিন্তু আমরা তাঁদের বন্ধুত্ব, তাঁদের পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং আশ্চর্যজনক সংগঠনিক কাজের সমীকরণের কথা শুনে শুনেই বড় হয়েছি। গত তিন দশক ধরে, আমরা সেখানে কোনও ফাটল দেখিনি (Mohan Bhagwat)।” আরএসএস সূত্রে খবর, শনিবার মোদি-ভাগবতের এই মঞ্চ শেয়ার কোনও আকস্মিক সাক্ষাতের উদাহরণ নয় এটি ছিল একটি বন্ধনের পুনর্নিশ্চয়তা, যা দশকজুড়ে সাধারণ মূল্যবোধ, শৃঙ্খলা এবং সেবার প্রতি সমর্পণের মধ্যে প্রোথিত। রবিবার নাগপুরে দেশ যখন একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছিল, তখন এই বন্ধনটি ফের একবার প্রমাণিত হয়েছিল।

    আরএসএসের সদর দফতরে মোদি

    রবিবারই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে পা রাখেন। কেবল পা রাখাই নয়, এদিন মোদি ভাগবতের সঙ্গে, আরএসএসের ভরকেন্দ্র স্মৃতি মন্দির পরিদর্শনও করেন। স্মৃতি মন্দির— যেটি রেশিমবাগে হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দির নামে বেশি পরিচিত— সংঘের কাছে একটি পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ড. হেডগেওয়ার এবং এমএস গোলওয়ালকরের (যিনি সংঘের মধ্যে ‘গুরুজি’ নামে খ্যাত) উত্তরাধিকার ও স্মৃতি বহন করে চলেছে। এটি সর্বদাই সংঘের সব স্তরের স্বয়ংসেবকদের জন্য তাত্ত্বিক চিন্তা ও শ্রদ্ধা নিবেদনের কেন্দ্রস্থল। ভাগবতের সঙ্গে মোদির রেশিমবাগে উপস্থিতি ভারতের পুনরুত্থানের লক্ষ্যে আরএসএস ও সরকারের মধ্যে চিন্তার ধারাবাহিকতাকে প্রতীকীভাবে প্রকাশ করেছে। এটি সমগ্র সংঘ পরিবার, যার মধ্যে বিজেপিও অন্তর্ভুক্ত, তাদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় (Mohan Bhagwat)।

    “হম স্বয়ংসেবক”

    এদিন, স্মৃতি মন্দির থেকে মোদি ও ভাগবত মাধব নেত্রালয়ে পৌঁছান। এটি একটি প্রতিষ্ঠান যা আরএসএসের সেবা ধর্মের প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) দশকের পর দশক ধরে দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধারে তাদের অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন, সংগঠনের কাজ এবং আরএসএসের বৃহত্তর মিশনের প্রশংসাও করেন। সমাজে শারীরিক ও আদর্শগত দৃষ্টিভঙ্গি দুইই আনার কথাও বলেন তিনি। তাঁর বক্তৃতায়, মোদি একজন বহিরাগতের মতো নয়, বরং তাঁদেরই একজন হিসেবে কথা বলেন। তিনি বারবার “হম স্বয়ংসেবক” শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করে তাঁর আরএসএসের ঐতিহ্যকে পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রসঙ্গত, এক সময় আরএসএসের প্রচারক হিসেবে কাজ করতেন প্রধানমন্ত্রী। এই আনুষ্ঠানিকতার বাইরে যা চোখে পড়ল তা হল অকৃত্রিম কিছু মুহূর্ত— মোদি ও ভাগবতের সাবলীল কথোপকথন (Mohan Bhagwat), তাঁদের হাসি-ঠাট্টা এবং প্রাঞ্জল আলাপচারিতা।

    সম্মিলিত সংগ্রাম ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে গড়ে ওঠা বন্ধন

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদি-ভাগবতের এসব (PM Modi) আচরণ লোক দেখানোর জন্য নয়, বরং বছরের পর বছর ধরে সম্মিলিত সংগ্রাম ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে গড়ে ওঠা একটি বন্ধন, একটি সম্পর্কের প্রতিফলন। তাঁদের মধ্যে যে আন্তরিকতা বিভিন্ন টুকরো টুকরো দৃশ্যের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে, তা প্রায় সমস্ত অভিযোগমূলক বিভেদের ধারণা বা কোনও বিবাদের জল্পনাকে খারিজ করে দিয়েছে। আরএসএসের কর্তাদের একাংশের মতে, এদিনের এই অনুষ্ঠানটি একটি সুসময়ের সংযোগ, সযত্নে তৈরি একত্রীকরণের একটি মুহূর্ত। এটি আরএসএস ও সরকারের মধ্যে আদর্শিক সেতুকে আরও শক্তিশালী করেছে। নাগপুরে (PM Modi) এই অনুষ্ঠানের মূল বার্তা স্পষ্ট— একটি ঐক্যবদ্ধ সংঘ পরিবারের প্রতিচ্ছবি (Mohan Bhagwat)।

    এক দেশ, এক ভারত!

  • Chaitra Navratri 2025: স্বয়ং ব্রহ্মা তৈরি করেছিলেন পুষ্করের এই নবদুর্গা মন্দির, নবরাত্রিতে ভক্তের ঢল

    Chaitra Navratri 2025: স্বয়ং ব্রহ্মা তৈরি করেছিলেন পুষ্করের এই নবদুর্গা মন্দির, নবরাত্রিতে ভক্তের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, রবিবার। শুরু হয়ে গিয়েছে চৈত্র নবরাত্রি (Chaitra Navratri 2025)। এদিন থেকেই লাখ লাখ ভক্ত জড়ো হতে শুরু করেছেন আজমেঢ়ের প্রাচীন নবদুর্গা মন্দিরে (Nav Durga Temple)। প্রতিবারের মতো এবারও মধ্যপ্রদেশের এই মন্দিরে উড়ছে ১০৮ ফুট উঁচু একটি পতাকা। হিন্দুদের বিশ্বাস, এই মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময়ই। ত্রিমূর্তির প্রধান দেবতা সৃষ্টিকর্তা ভগবান ব্রহ্মা পুষ্করের নাগ পাহাড়ের প্রান্তে নবদুর্গাকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যাতে নবদুর্গা মা সৃষ্টি যজ্ঞে বাধা সৃষ্টিকারী নেতিবাচক শক্তিগুলিকে ধ্বংস করতে পারেন।

    মন্দিরের বিশেষত্ব (Nav Durga Temple)

    স্থানীয়দের বিশ্বাস, নবদুর্গা মা পুষ্করকে রক্ষা করেন। এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল, ভক্তরা এখানে এক সঙ্গে দেবীর নটি রূপের দর্শন লাভ করতে পারেন। এটি দেবী দুর্গার এমন একটি মন্দির, যেখানে দেবীর নটি রূপের মূ্র্তিই তৈরি মাটি দিয়ে। ভক্তদের কাছে নবদুর্গা মা নৌসর মাতা নামেও পরিচিত। বছরভর ভক্ত সমাগম হলেও, বছরে দুটি নবরাত্রিতে ব্যাপক ভিড় হয়। গোটা দেশে চৈত্র নবরাত্রি উপলক্ষে নবদুর্গার পুজো হয়। আজমেঢ়ের এই মন্দিরেও ঘটা করে পুজো হবে দেবী দুর্গার নটি রূপের। পদ্ম পুরাণেও উল্লেখ রয়েছে পুষ্করের নাগ পাহাড়ের চূড়োয় অবস্থিত নবদুর্গা মায়ের এই মন্দিরের।

    মন্দির তৈরি করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা

    শোনা যায়, ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির সময় জগৎপিতা ব্রহ্মা পুষ্করে যজ্ঞ করেছিলেন (Chaitra Navratri 2025)। যজ্ঞ পণ্ড করতে উপদ্রব শুরু করেছিল নেতিবাচক বিভিন্ন শক্তি। তখন ব্রহ্মা আদি শক্তির আরাধনা করে অপশক্তির হাত থেকে তাঁকে রক্ষা করতে অনুরোধ করেন (Nav Durga Temple)। তখনই দেবী পুষ্করে নটি রূপে আবির্ভূত হন। সৃষ্টি যজ্ঞ শেষে স্বয়ং ব্রহ্মা এখানে নবদুর্গা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। নৌসর মাতা মন্দিরের পীঠাধীশ্বর রামকৃষ্ণ দেব বলেন, “মায়ের এই মন্দির ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আগে থেকেই বিদ্যমান। মায়ের এমন রূপ পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখা যায় না।” তিনি বলেন, “এখানে একই দেহে দেবীর নটি ভিন্ন মুখমণ্ডল রয়েছে। নৌসর মায়ের এই অতি প্রাচীন মন্দির ভক্তদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।”

    কী বলছেন পীঠাধীশ্বর

    রামকৃষ্ণ বলেন, “শতাব্দীর পর শতাব্দী কেটে গেলেও, দেবী মূর্তির উজ্জ্বলতা এখনও অক্ষত রয়েছে। এটি একটি রহস্য। দ্বাপর যুগে, বনবাসের সময় পাণ্ডবরা পুষ্করের নাগ পাহাড়ে দীর্ঘকাল বসবাস করেছিলেন। পাণ্ডবরা এখানে শিব ও শক্তির পূজা করতেন। বনবাসের সময় পাণ্ডবরা এই মন্দিরে নবদুর্গার (Nav Durga Temple) পুজো করেছিলেন। এই মন্দিরের নবদুর্গার ভক্ত ছিলেন চৌহান রাজবংশের রাজারা। শোনা যায়, মহম্মদ ঘোরিকে যুদ্ধে পরাজিত করার আগে পৃথ্বীরাজ চৌহানও পুজো করেছিলেন এই নবদুর্গার। পীঠাধীশ্বর (Chaitra Navratri 2025) বলেন, “আওরঙ্গজেবের সেনাবাহিনী নবদুর্গা মায়ের মন্দিরের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিল। তারা মন্দিরের একটি অংশের চারটি দেওয়াল ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু তারাও মন্দিরে থাকা মায়ের মূর্তির কোনও ক্ষতি করতে পারেনি। মারাঠারা আজমেঢ়ের দখল নিলে নবদুর্গা মন্দিরের সংস্কার সাধন করেছিলেন।” তিনি জানান, পরে মন্দির সংস্কার করেন পীঠাধীশ্বর সন্ত বুধকরণ মহারাজ। সেও প্রায় ১৩২ বছর আগে।

    দেবীর ন’টি রূপ

    প্রসঙ্গত, বছরে চারবার নবরাত্রি উৎসব আসে। এর মধ্যে দুটি গুপ্ত। প্রকট বাকি দুটি – একটি চৈত্র নবরাত্রি, অন্যটি আশ্বিন নবরাত্রি। এই দুই নবরাত্রিতেই আরাধনা করা হয় দেবী দুর্গার। ন’টি দিনে দেবীর নয় রূপের পুজো করা হয়। দেবীর এই ন’টি রূপ হল শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী এবং সিদ্ধিদাত্রী। আশ্বিনের শুক্লা প্রতিপদ থেকে শুক্লা নবমী পর্যন্ত ন’দিন ধরে পালন করা হয় নবরাত্রি ব্রত (Chaitra Navratri 2025)। এই ন’দিনে দেবীর দুর্গার ন’টি রূপের আরাধনা করা হয়। চৈত্রের শুক্লা প্রতিপদ থেকে শুরু হয় চৈত্র নবরাত্রি ব্রত।

    কোন দিনে কী রূপে পুজো পান দেবী

    প্রতিপদে দেবী দুর্গা রূপ নেন হিমালয়ের কন্য শৈলপুত্রীর। দ্বিতীয়ায় সেই একই শক্তি ধারণ করেন ব্রহ্মচারিণীর রূপ। তৃতীয়ায় তিনি চন্দ্রঘণ্টার রূপ ধারণ করেন। দেবীর এই রূপ সাহস ও সৌন্দর্যের প্রতীক। চতুর্থীতে দেবী রূপ নেন কুষ্মাণ্ডার। পুরাণ অনুযায়ী, এই রূপেই দেবী সৃষ্টি করেন বিশ্ব চরাচর। পঞ্চমীতে দেবী পুজিত হন স্কন্দমাতা রূপে। ষড়ানন কার্তিকের জননী হিসেবে পুজিতা হন তিনি। কার্তিকের আর এক নাম স্কন্দ। তাই দেবী স্কন্দমাতা (Nav Durga Temple)। ষষ্ঠীতে দেবী পুজিত হন কাত্যায়নী রূপে। এই রূপে রয়েছে দেবীর চার হাত ও ত্রিনয়ন। এখানে দেবীর বাহন সিংহ। সপ্তম দিনে দেবী পুজিত হন কালরাত্রি রূপে। এদিন তিনি ভক্তদের সাহস ও উৎসাহ দান করেন। অষ্টমীতে দেবী হন মহাগৌরী। আর নবমীতে তিনিই হন সিদ্ধিদাত্রী। দেবীর এই রূপে অষ্টসিদ্ধি ঘিরে রাখেন তাঁকে (Chaitra Navratri 2025)।

    প্রসঙ্গত, চৈত্র নবরাত্রির অষ্টমীতে পুজো হয় দেবী অন্নপূর্ণার। আর এই নবরাত্রির নবমী তিথি পরিচিত রামনবমী হিসেবে (Nav Durga Temple)।

  • PM Modi: গড়লেন ইতিহাস, আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর, কী বললেন মোদি?

    PM Modi: গড়লেন ইতিহাস, আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর, কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, রবিবার হিন্দু নববর্ষ। এদিনই নাগপুরে আরএসএসের (RSS) দফতরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নাগপুরে কেশবকুঞ্জে একটি চক্ষু হাসপাতালের সম্প্রসারণের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সকালে তিনি প্রথমে যান রেশমিবাগে আরএসএসের সদর দফতরের কাছে স্মৃতি মন্দির দর্শনে। শ্রদ্ধা জানান সংঘের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারকে।

    আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী পা রাখলেন আরএসএসের সদর দফতরে। ২০১২ সালে শেষবারের মতো সংঘের সদর দফতরে গিয়েছিলেন মোদি। তবে তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। তারপর কেটে গিয়েছে আস্ত একটা যুগ। রাজনীতির কারবারিদের মতে, এই পর্বে দেশজুড়ে বিজেপিকে বিপুল রাজনৈতিক মাইলেজ দিয়েছে সংঘ। তবে সেই কারণে তিনি নাগপুর যাননি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিন আরএসএস প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এই বৈঠকের পর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নাম ঘোষণা করা হতে পারে।

    মোদির পাশে ভাগবত   

    এদিন মোদির শ্রদ্ধাজ্ঞাপন পর্বে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সরসংঘচালক মোহন ভাগবতকে। আরএসএসের শ্রুতি মন্দিরে সংঘ প্রতিষ্ঠাতাদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর দীক্ষাভূমি মন্দিরে যান প্রধানমন্ত্রী। পরে সংবিধান প্রণেতা বাবা সাহেব আম্বেডকরকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী যান দীক্ষাভূমিতে। এখানেই হিন্দু ধর্ম ছেড়ে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নিয়েছিলেন আম্বেডকর (PM Modi)।

    এর আগে গত বছর অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনে সংঘ প্রধানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৪ সালে একবার প্রকাশ্য অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছিল মোদি ও ভাগবতকে। তার পরে আবার এদিন এক মঞ্চে দেখা গেল দুই মহীরুহকে। আরএসএসের দফতর ঘোরার শেষে ভিজিটর্স বুকে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “নাগপুরে স্মৃতি মন্দির দর্শন একটি অত্যন্ত বিশেষ অভিজ্ঞতা। এটি জাতির সেবা করতে প্রাণিত করে।” ভিজিটর্স বুকে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ভারতীয় সংস্কৃতি, জাতীয়তাবাদ ও সংগঠনের মূল্যবোধের প্রতি নিবেদিত এই পবিত্র স্থান আমাদের দেশের সেবায় প্রেরণা জোগায়। এই স্থানের সঙ্গে যুক্ত সকল মহান ব্যক্তিদের নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রম (RSS) জাতির সেবায় লক্ষ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবকদের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। আমাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভারত মাতার গৌরব উজ্জ্বল হবে (PM Modi)।”

  • RSS: “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,” বললেন হোসাবলে

    RSS: “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,” বললেন হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দু একটি ভৌগোলিক-সাংস্কৃতিক পরিচয়। অন্য কোনও ধর্ম গ্রহণ করলেই কারও সাংস্কৃতিক পরিচয় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় না”। কথাগুলি বললেন (Hindu) আরএসএস (RSS) নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে। তিনি বলেন, “ভারতের মুসলমানরা তাঁদের ধর্মীয় অনুশীলন পরিবর্তন করলেও, হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়”।

    “হিন্দু ও মুসলমানদের একই পূর্বপুরুষ” (RSS)

    প্রসঙ্গত, আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবতও বলেছিলেন, হিন্দু ও মুসলমানদের একই পূর্বপুরুষ। তিনি এও বলেছিলেন, সমস্ত ভারতীয় একই ডিএনএ শেয়ার করে। তাই উপাসনার ভিত্তিতে তাদের মধ্যে পার্থক্য করা যায় না। তারও আগে ভাগবত বলেছিলেন, “হিন্দু শব্দটি আমাদের মাতৃভূমি, পূর্বপুরুষ ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের সমতুল্য এবং প্রতিটি ভারতীয় একজন হিন্দু।” হোসাবলের গলায়ও শোনা গেল প্রায় সেই একই সুর। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের বক্তব্যকে সমর্থন করে হোসাবলে বলেন, “দেশের মানুষ বিভিন্ন জাতিতে বিভক্ত নয়”।

    ‘এটি আদতে মানব ধর্ম’

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে হোসাবলে (RSS) বলেন, “এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, ভারতের মানুষ, তাঁদের ধর্ম, ভাষা বা ঐতিহ্য নির্বিশেষে, বিভিন্ন জাতির অন্তর্গত নয়। বাবাসাহেব আম্বেডকর তো নিজেই এটি বলেছেন। হিন্দু হওয়া একটি ধর্মীয় পরিচয় নয়। এটি একটি জীবনধারা। এস রাধাকৃষ্ণন এবং ভারতের সুপ্রিম কোর্টও এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।” আরএসএসের এই নেতা বলেন, “হিন্দুদের দ্বারা পালন করা ধর্মকে সাধারণত হিন্দু ধর্ম বলা হয়।  কিন্তু এটি আদতে মানব ধর্ম। মানবিক মূল্যবোধের সার্বজনীন নীতি। হিন্দু একটি ভৌগোলিক-সাংস্কৃতিক পরিচয়। এটি কোনও সম্প্রদায়গত বা কঠোর ধর্মীয় ধারণা নয়।” তিনি বলেন, হিন্দু ধারণাটি কখনওই একটি মাত্র ঐতিহ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কেউ অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হলে তার জাতীয় পরিচয় হারায় না (Hindu)।”

    হোসেবলে বলেন, “ভারতের মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারে। একজন বৌদ্ধ কি কালই লিঙ্গায়ত হতে পারবে না? একজন ব্রাহ্মণ, যদি তিনি চান, বৌদ্ধ হতে পারবেন না? একই পরিবারের ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী পৃথকভাবে শৈব ও বৈষ্ণব মত অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে এক সঙ্গে বসবাস করেন — এর অসংখ্য উদাহরণ আছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায় বা ঐতিহ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। শুধুমাত্র অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার অর্থ সাংস্কৃতিক ও জাতীয় পরিচয় ছিন্ন করা উচিত নয় (Hindu)। এটিই সংঘের (RSS) অবস্থান।”

  • Nepal Unrest: হিন্দুরাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল নেপাল, সংঘর্ষের বলি ২, জারি কারফিউ

    Nepal Unrest: হিন্দুরাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল নেপাল, সংঘর্ষের বলি ২, জারি কারফিউ

    মাধ্যম নিউজ জেস্ক: হিন্দুরাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল নেপাল (Nepal Unrest)। বিক্ষোভের আগুনে পুড়ল ঘরবাড়ি। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা জনতার। অবস্থা আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ায় বিক্ষোভকারীদের দিকে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ছোড়ে পুলিশ। তার পরেও নেভেনি অশান্তির আগুন। যার জেরে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। পুলিশ-জনতার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজন সাংবাদিক-সহ দুজনের। জখম হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে টিংকুনের কান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    নেপালে রাজতন্ত্র (Nepal Unrest)

    হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ছোট্ট দেশ নেপাল। এক সময় দেশটিতে ছিল রাজতন্ত্র। বিশ্বে একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবেও পরিচিত ছিল দেশটি। ২০০৮ সালে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। ঘুচে যায় হিন্দু রাষ্ট্রের তকমাও। তার পর থেকে মাঝে মধ্যেই রাজতন্ত্র ও হিন্দুরাষ্ট্রের দাবিতে সরব হয়েছেন নেপালের নাগরিকরা। শুক্রবার সেই আন্দোলনই ব্যাপক আকার ধারণ করে। যার বলি হলেন দুজন।

    হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা ফেরানো দাবিতে মিছিল

    জানা গিয়েছে, গণতন্ত্রের পরিবর্তে রাজতন্ত্র এবং হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা ফেরানোর দাবিতে শুক্রবার মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন রাজতন্ত্রের সমর্থক রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি এবং আরও কয়েকটি দলের নেতারা। মিছিল শেষে রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। সেই বিক্ষোভ দমন করতে গিয়েই খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে জনতা ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। তাঁর নাম সাবিন মহার্জন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক সাংবাদিকেরও। জখম হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। দেশে অশান্তির এই আবহে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রিসভার বৈঠকের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তলব করা হয়েছে সেনাকে। জারি করা হয়েছে কারফিউও। এদিন আন্দোলনকারীরা টিংকুনের একটি রাস্তার পাশের ভবনে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে পুলিশের তৈরি ব্যারিকেডও।

    জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ

    তার জেরেই বেঁধে যায় জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ। নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে জনতা। বিক্ষোভ দমনে ফাটানো হয় টিয়ার গ্যাসের শেল। ব্যবহার করা হয় জলকামান। তার পরেও আন্দোলনকারীদের দমন করতে না পেরে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। অশান্তি এড়াতে কাঠমাণ্ডুজুড়ে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। নিউ বাণেশ্বর এলাকায় যাওয়ার পথে বহু তরুণকে আটক করে পুলিশ (Nepal Unrest)।

    মিছিলে যোগী আদিত্যনাথের ছবিও

    এদিন আন্দোলনকারীরা স্লোগান দেন ‘নেপাল সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘দেশে রাজতন্ত্র ফিরে আসুক’। এই দাবিতে টিংকুনে এলাকায় পথে নামেন হাজার হাজার রাজতন্ত্র সমর্থক। নেপালের জাতীয় পতাকা ও দেশের প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহের ছবি হাতে ‘রাজা আসুন, দেশ বাঁচান’, ‘আমরা রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই’ – স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলে জ্ঞানেন্দ্রর পাশাপাশি ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ছবিও তুলে ধরেছিলেন অনেকে। জেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাত দশটা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। এই সময় কয়েকটি এলাকায় কাউকে রাস্তায় বেরতে দেওয়া হবে না। সূত্রের খবর, কারফিউয়ের সময়সীমা বাড়িয়ে করা হয়েছিল শনিবার সকাল সাতটা পর্যন্ত। পরে তা প্রত্যাহার করা হয়। শুক্রবার অশান্তির পর থেকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১০০ জনকে (Nepal Unrest)।

    রাজতন্ত্রের অবসান

    ২০০৮ সালে সংসদীয় ঘোষণার মাধ্যমে অবসান ঘটে নেপালের ২৪০ বছরের পুরানো রাজতন্ত্রের। হিন্দু রাষ্ট্র নেপাল পরিণত হয় ধর্মনিরপেক্ষ, যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে। এর ঠিক সতের বছর পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নেপালের গণতান্ত্রিক দিবসে প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ একটি ভিডিও বার্তা দেন। নেপালে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আবেদন জানান জনগণের কাছে। তার পরেই তৎপর হয়ে ওঠে রাজতন্ত্রের সমর্থক দলগুলি। গত ৯ মার্চ জ্ঞানেন্দ্রর সমর্থনে বিশাল মিছিল হয় নেপালে।জানা গিয়েছে, এদিনের এই প্রতিবাদ নেতৃত্বে ছিল নাওয়ারাজ সুবেদীর নেতৃত্বাধীন যৌথ আন্দোলন কমিটি। এছাড়াও, রাজেন্দ্র লিংডেনের নেতৃত্বাধীন রাজতন্ত্রপন্থী রাষ্ট্রীয় প্রজাতান্ত্রিক দল (আরপিপি)-ও এই আন্দোলনকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে, যা ব্যাপকভাবে রাজতন্ত্রপন্থী দাবিগুলির সঙ্গে সহমত পোষণ করে। গত কয়েক মাসে নেপালের প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্রর প্রতি সমর্থন বেড়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই এদিন ব্যাপক অশান্তি হয় নেপালে।

    এদিকে, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (মাওবাদী সেন্টার)-এর প্রধান পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ডর হুঁশিয়ারি, রাজতন্ত্রের বাহিনীরা যেন স্বাধীনচেতা নেপালবাসী ও দেশের রাজনৈতিক দলগুলিকে দুর্বল না ভাবে। রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ যেন ফের একই ভুল না করেন (Nepal Unrest)।

  • PM Modi: তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    PM Modi: তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ৩ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফর করবেন। এই সফরের একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ৪ এপ্রিল ব্যাংককে ষষ্ঠ বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন সামিট-এ (বিমস্টেক) শীর্ষ সম্মেলনে (BIMSTEC Summit) অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি ঘোষিত মহাসাগর নীতির অধীনে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোয় ভারতের লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই সফর করা হচ্ছে। এই সামিট শেষে ৪ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি শ্রীলঙ্কা সফর করবেন।

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি (PM Modi)

    অতীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে একদিনের সংক্ষিপ্ত, অথবা সর্বাধিক দু’দিনের শ্রীলঙ্কা সফর করেছিলেন। এবার তিনি যাবেন তিনদিনের সফরে। কলম্বোর বাইরে সম্ভাব্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমার দিশানায়েকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে শ্রীলঙ্কা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এটি হবে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) তৃতীয় তাইল্যান্ড  সফর। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফর এবং ৬ষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ ভারতের ‘প্রথমে প্রতিবেশী’ নীতি, ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি, ‘মহাসাগর’ দর্শন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক দর্শনের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করবে।” ‘মহাসাগর’ বা “মিউচুয়াল অ্যান্ড হোলিস্টিক অ্যাডভান্সমেন্ট ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্রোথ অ্যাক্রস রিজিয়নস” দর্শন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর মরিশাস সফরের সময়ই ঘোষণা করেছিলেন।

    বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলন

    বিমস্টেকের (BIMSTEC Summit) সদস্য দেশগুলি হল ভারত, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপাল ও ভুটান। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের পর এটি হবে প্রথমবারের মতো বিমস্টেক নেতাদের মুখোমুখি বৈঠক। পঞ্চম (PM Modi) বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২২ মার্চ, শ্রীলঙ্কার কলম্বোয়। এই শীর্ষ সম্মেলনে নেতারা বিমস্টেক সহযোগিতাকে আরও গতিশীল করার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নেতারা বিমস্টেক কাঠামোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সক্ষমতা নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত বিমস্টেকে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব জোরদার করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা বৃদ্ধি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহজীকরণ, স্থল, সামুদ্রিক ও ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন, খাদ্য, শক্তি, জলবায়ু ও মানব নিরাপত্তায় সহযোগিতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও দক্ষতা উন্নয়নকে উৎসাহিত করা, এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা।” বিমস্টেক (BIMSTEC Summit) ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩ এপ্রিল তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেটোংটান শিনাওয়াত্রার সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে যে, দুই প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পর্যালোচনা করবেন এবং ভবিষ্যতের অংশীদারিত্বের জন্য রূপরেখা তৈরি করবেন।

    প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কা সফর করবেন

    তাইল্যান্ড সফর শেষ করে, প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) ২০২৫ সালের ৪ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রীয় সফরে যাবেন। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুর কুমার দিসানায়ক প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং এই দুই নেতা “একটি সম্মিলিত ভবিষ্যতের জন্য অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা” যৌথ দর্শনের অধীনে সম্মত সহযোগিতার অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। এটি গৃহীত হয়েছিল শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির ভারত সফরের সময়। শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় হাইকমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারত ঐতিহ্যগতভাবে শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের মধ্যে একটি এবং শ্রীলঙ্কা সার্কে ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের মধ্যে একটি।

    বাণিজ্য বিভাগের খবর

    বাণিজ্য বিভাগের খবর, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে পণ্য বাণিজ্য ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ভারতের রফতানির পরিমাণ ৪.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, আর শ্রীলঙ্কার রফতানির পরিমাণ ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিভিন্ন ঋণ লাইন ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহের জন্য একটি ঋণ সুবিধা দ্বারাও সমর্থিত ছিল। এফটিএ-র পরিধি (PM Modi) আরও বিস্তৃত করার জন্য এবং উৎপত্তির নিয়মগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য, পণ্য এবং পরিষেবা উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করে একটি অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তি সহযোগিতা চুক্তির (ইটিসিএ) প্রস্তাব করা হয়েছিল।

    শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার ভারত

    ২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহের সফরের পরে ফের আলোচনা (BIMSTEC Summit) শুরু হয়েছে দুই দেশের। এখানে ইটিসিএ নিয়ে আলোচনাও করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত ১৪ দফা আলোচনা হয়েছে, যার মধ্যে সর্বশেষ আলোচনাটি হয়েছিল ২০২৪ সালের জুলাই মাসে, কলম্বোয়। শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হওয়ার পাশাপাশি, ভারত শ্রীলঙ্কায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বৃহত্তম অবদানকারীদের মধ্যে একটি, যার মোট পরিমাণ ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতের প্রধান বিনিয়োগগুলি হল জ্বালানি, আতিথেয়তা, রিয়েল এস্টেট, উৎপাদন, টেলিযোগাযোগ, ব্যাঙ্কিং এবং আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রে (PM Modi)।

  • S Jaishankar: “ভারত চেষ্টা করেও প্রতিবেশীর মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না”, পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ভারত চেষ্টা করেও প্রতিবেশীর মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না”, পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নয়াদিল্লি বারংবার স্পষ্টভাবে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু একটি প্রতিবেশী দেশের (পড়ুন, পাকিস্তান) উন্মত্ত ও সংকীর্ণ মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে (Pakistan) না।” শুক্রবার লোকসভায় কথাগুলি বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বে জয়শঙ্কর পাকিস্তানে ফেব্রুয়ারি মাসে হিন্দুদের ওপর হওয়া ১০টি হামলার ঘটনার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর মধ্যে সাতটি ঘটনায় অপহরণ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, দুটি ঘটনায় অপহরণ এবং একটি ঘটনায় হোলি উদযাপনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

    শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত তিন ঘটনা (S Jaishankar)

    জয়শঙ্কর বলেন, “পাকিস্তানে শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত তিনটি ঘটনা ঘটেছে। একটি ঘটনায় একটি শিখ পরিবারকে আক্রমণ করা হয়। অন্য ঘটনায় একটি পুরানো গুরুদ্বার পুনরায় খোলার কারণে একটি শিখ পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়। ওই সম্প্রদায়ের একটি মেয়ের অপহরণ ও ধর্মান্তরকরণের সমস্যাও ছিল। আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত দুটি মামলাও ছিল। একটি ঘটনায় একটি মসজিদ সিল করে দেওয়া হয় এবং অন্য ঘটনায় ৪০টি কবর ভেঙে ফেলা হয়। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলাও ছিল, যেখানে একজন খ্রিস্টানকে, ঈশ্বরনিন্দার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধীর কঠোর অবস্থানের মতো কোনও কঠোর পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা করছে কিনা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “একটি সরকার ও দেশ হিসেবে আমরা প্রতিবেশীর ধর্মান্ধ ও সংকীর্ণ মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারি না। ইন্দিরা গান্ধীও তা পারেননি (Pakistan)।” ২৬ মার্চ হিউম্যান রাইটস ফোকাস পাকিস্তান ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে সংস্থাটি এই ক্রমবর্ধমান নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে বলে যে, সম্পদের সীমাবদ্ধতা ও ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাবের কারণে সাহায্য ও ন্যায়বিচার এখনও অধরা রয়েছে।

    হিউম্যান রাইটস ফোকাস (S Jaishankar) পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নাভিদ ওয়াল্টার বলেন, “পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা হামলা, হত্যা, ঈশ্বরনিন্দার অভিযোগ, অপহরণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও জোরপূর্বক বিয়ের জন্য সহজ লক্ষ্য। তাদের দুর্দশা ও অবহেলার প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ না দেওয়া আরও বেশি বেদনাদায়ক (Pakistan)।”

  • Waqf Amendment Bill: ওয়াকফ সংশোধনী বিল: কিছু রটনা ও আসল ঘটনা

    Waqf Amendment Bill: ওয়াকফ সংশোধনী বিল: কিছু রটনা ও আসল ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি অধিবেশনেই সংসদে পেশ হতে পারে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill) ২০২৪। এই বিল নিয়ে জনমানসে, বিশেষ করে মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে ভুল বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন বিরোধীরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থেই তাঁরা এসব করে বেড়াচ্ছেন। আজ আমরা ফাঁস করব আসল রহস্য। জানব আসলে ঠিক কী বলা হয়েছে বিলে। তার আগে আসুন জেনে নেওয়া যাক, ওয়াকফ সম্পত্তি কী?

    ওয়াকফ সম্পত্তি কী? (Waqf Amendment Bill)

    ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Properties) হল সেই স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি, যা দলিলের মাধ্যমে আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে দেওয়া হয়। (অনেকটা হিন্দুদের দেবত্র সম্পত্তির মতো। তবে হিন্দুদের দেবত্র সম্পত্তিতে সব হিন্দুর অধিকার থাকে না। ওয়াকফ সম্পত্তিতে বিশ্বের সব মুসলমানের অধিকার থাকে।) এই সম্পত্তি চ্যারিটি কিংবা সেবার কাজে ব্যবহার করা হয়। অনেকে আবার উত্তরসূরি হিসেবে ব্যক্তিগত কাজেও ব্যবহার করেন। ওয়াকফ সম্পত্তি কখনও হস্তান্তর করা যায় না। এই সম্পত্তি মূলত ব্যবহার করা হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবর, মসজিদ কিংবা গরিব মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য। ওয়াকফ সম্পত্তি যাদের দায়িত্বে থাকে, আইনি ভাষায় তারাই ওয়াকফ বোর্ড। ১৯৬৪ সালে তৈরি হয় সেন্ট্রাল ওয়াকফ কাউন্সিল। দেশজুড়ে ওয়াকফ বোর্ডগুলি এই কাউন্সিলের নজরদারিতে চলে। এই ওয়াকফ সম্পত্তিতে নানা সময় উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। সেই দুর্নীতিই দূর করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    এবার জেনে নেওয়া ওয়াকফ সংশোধনী বিলের আইনি পরিবর্তন এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে ভুল বার্তা দেওয়ার বিষয়টি।

    প্রশ্ন: ওয়াকফ সম্পত্তি বাতিল করা হবে কি?

    উত্তর: বৈধভাবে ওয়াকফ ঘোষিত কোনও সম্পত্তি বাতিল করা হবে না। একবার কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ ঘোষিত হলে, তা স্থায়ীভাবে ওয়াকফ হিসেবেই থাকার কথা। বিলটি শুধুমাত্র ভালো ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতার জন্য নিয়মগুলি স্পষ্ট করে। এটি জেলা কালেক্টরকে এমন সম্পত্তি পর্যালোচনা করার অনুমতি দেয় যেগুলি ভুলবশত ওয়াকফ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, বিশেষ করে সেগুলি যদি সরকারি সম্পত্তি হয়। বৈধ ওয়াকফ সম্পত্তি সুরক্ষিত থাকবে।

    প্রশ্ন: ওয়াকফ সম্পত্তির সমীক্ষা হবে না?

    উত্তর: সমীক্ষা করা হবে। এই বিলে সার্ভে কমিশনারের পুরানো ভূমিকা জেলা কালেক্টর দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। জেলা কালেক্টর বর্তমান রাজস্ব পদ্ধতি ব্যবহার করে সমীক্ষা করবেন। এই পরিবর্তনের লক্ষ্য সমীক্ষা প্রক্রিয়া বন্ধ না করে রেকর্ডের নির্ভুলতা উন্নত করা (Waqf Amendment Bill)।

    প্রশ্ন: অমুসলিমরা কি ওয়াকফ বোর্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে?

    উত্তর: না, বোর্ডগুলিতে অমুসলিম সদস্য থাকবে, কিন্তু তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে না। এই বিলে কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল এবং রাজ্য বোর্ডগুলিতে অন্তত দু’জন অমুসলিম সদস্য রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে, বেশিরভাগ সদস্য মুসলিম সম্প্রদায়েরই থাকবেন। এই পরিবর্তনটি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকে দুর্বল না করেই দক্ষতা বৃদ্ধি ও স্বচ্ছতা আনার জন্য করা হয়েছে (Waqf Properties)।

    প্রশ্ন: নয়া সংশোধনীতে কি মুসলিমদের ব্যক্তিগত জমি অধিগ্রহণ করা হবে?

    উত্তর: কোনও ব্যক্তিগত জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। এই বিল শুধুমাত্র ওয়াকফ হিসেবে ঘোষিত সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এটি ব্যক্তিগত বা ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পত্তি, যেগুলি ওয়াকফ হিসেবে দান করা হয়নি, সেগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। শুধুমাত্র স্বেচ্ছায় ও আইনত ওয়াকফ হিসেবে উৎসর্গীকৃত সম্পত্তিই নয়া নিয়মের আওতায় পড়ে।

    প্রশ্ন: সরকার কি এই বিলের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তি দখল করবে?

    উত্তর: এই বিল জেলা কালেক্টরকে পর্যালোচনা ও যাচাই করার ক্ষমতা দেয় যে কোনও সম্পত্তি ভুলভাবে ওয়াকফ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে কিনা—বিশেষ করে যদি সেটি সরকারি সম্পত্তি হয়—কিন্তু এটি বৈধভাবে ঘোষিত ওয়াকফ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অনুমোদন দেয় না।

    প্রশ্ন: এই বিল কি অমুসলিমদের মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্পদ নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনার অনুমতি দেয়?

    উত্তর: সংশোধনীতে কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল এবং রাজ্য বোর্ডগুলিতে অন্তত দুজন অমুসলিম সদস্য রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তবে তাঁদের যোগ করা হয়েছে অতিরিক্ত দক্ষতা ও তদারকি করার জন্য। অধিকাংশ সদস্য মুসলিম সম্প্রদায়েরই থাকবেন, যার ফলে ধর্মীয় বিষয়গুলিতে সম্প্রদায়ের নিয়ন্ত্রণই কায়েম থাকবে (Waqf Amendment Bill)।

    প্রশ্ন: ঐতিহাসিক ওয়াকফ স্থানগুলির (যেমন মসজিদ, দরগা ও কবরস্থান) ঐতিহ্যপূর্ণ মর্যাদা কি ক্ষুণ্ণ হবে?

    উত্তর: এই বিল ওয়াকফ সম্পত্তির ধর্মীয় বা ঐতিহাসিক চরিত্রে হস্তক্ষেপ করে না। এর উদ্দেশ্য হল প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং জাল দাবি রোধ করা—এই পবিত্র স্থানগুলির প্রকৃতি পরিবর্তন করা নয়।

    প্রশ্ন: ‘ব্যবহারকারীর দ্বারা ওয়াকফ’ বিধান তুলে নেওয়া মানে কি দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে?

    উত্তর: এই বিধানটি অপসারণের উদ্দেশ্য হল সম্পত্তির ওপর অননুমোদিত বা মিথ্যা দাবি প্রতিরোধ করা। এটি রেজিস্ট্রি প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে, কেবলমাত্র আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াকফ হিসেবে ঘোষিত সম্পত্তিগুলিকেই স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে। এর ফলে বিরোধ কমে, তবে ঐতিহ্যবাহী ওয়াকফ ঘোষণাকে সম্মান করা হয় (Waqf Properties)।

    প্রশ্ন: বিলটি কি সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনার অধিকারে হস্তক্ষেপ করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে?

    উত্তর: বিলটির মূল লক্ষ্য হল রেকর্ড-সংরক্ষণ উন্নত করা, মিসম্যানেজমেন্ট কমানো এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা। এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় দান-অনুদান পরিচালনার অধিকার কেড়ে নেয় না। বরং এটি একটি কাঠামো তৈরি করে যাতে করে এই সম্পত্তিগুলি স্বচ্ছ ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হয় (Waqf Amendment Bill)।

    প্রশ্ন: ১৯২৩ থেকে ২০১৩ সালে ওয়াকফের সংজ্ঞা কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে?

    উত্তর: ২০১৩ সালে প্রধান সংজ্ঞাগত পরিবর্তনটি করা হয়েছিল, যখন ‘ইসলাম ধর্মাবলম্বী কোনও ব্যক্তির স্থায়ী উৎসর্গ’ এই অভিব্যক্তিটি প্রতিস্থাপিত হয় ‘যে কোনও ব্যক্তির স্থায়ী উৎসর্গ’ দ্বারা। এই সংশোধনের পরে ওয়াকফ যে কোনও ব্যক্তির সম্পত্তি ওয়াকফ বোর্ডে উৎসর্গ করার পথ উন্মুক্ত করবে।

    রাষ্ট্রীয় ওয়াকফ বোর্ডের গঠনের সম্প্রসারণ

    এই সংশোধনীটি নিশ্চিত করে যে রাষ্ট্রীয় ওয়াকফ বোর্ডে শিয়া, সুন্নি, বোহরা, আগাখানি এবং পিছিয়ে পড়া মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এতে কমপক্ষে একজন করে সদস্য শিয়া, সুন্নি এবং পিছিয়ে পড়া মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি থাকবেন। এর লক্ষ্য মুসলিম জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যাকে প্রতিফলিত করা এবং ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক নিশ্চিত করা (Waqf Properties)।

    রটনা!

    প্রসঙ্গত, সাংসদ সদস্য এবং সর্বভারতীয় মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড, জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ, জামায়াতে ইসলামি হিন্দের মতো সংগঠন-সহ একাধিক স্টেকহোল্ডার এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছে। তাঁদের যুক্তি, এটি ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪, ১৫, ২৫, ২৬ এবং ৩০০এ-এর মতো সাংবিধানিক বিধান লঙ্ঘন করে, যেখানে সমতা, বৈষম্যহীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সম্পত্তির অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। বিলটির একটি বিতর্কিত দিক হল, ওয়াকফ বোর্ডের সদস্যদের নির্বাচিত হওয়ার বদলে সরকার কর্তৃক মনোনীত হওয়ার ব্যবস্থা। বিরোধীদের দাবি, এতে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব কমে যাবে এবং সরকার ওয়াকফ সম্পত্তির ওপর অত্যধিক নিয়ন্ত্রণ পাবে (Waqf Properties)। সরকারের যুক্তি হল, ‘ব্যবহার দ্বারা ওয়াকফ’ বিধানটি বাতিল করলে সম্পত্তির অবৈধ দখল রোধ করা যাবে (Waqf Amendment Bill)।

    ঘটনা

    সংশোধনী বিলটিতে দুর্নীতি রোধ ও দক্ষতা উন্নত করার একগুচ্ছ ব্যবস্থা রয়েছে। ওয়াকফ বোর্ডগুলিকে তাদের কার্যক্রম এবং আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে পর্যায়ক্রমিক প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত অপসারণ করা হয়েছে, যাতে হাইকোর্ট আপিলের মাধ্যমে জুডিশিয়াল স্ক্রুটিনি বৃদ্ধি পায়। এটি সম্ভাব্য ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি সুরক্ষা দেয়, যার ফলে ওয়াকফ সম্পত্তি বিবাদের আইনি তদারকি শক্তিশালী হয়। আর্থিক নিরীক্ষা এবং স্বচ্ছ হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি প্রয়োগ করে তহবিলের অপব্যবহার রোধ করা হবে। ওয়াকফ দাবির জন্য দলিলি প্রমাণের প্রয়োজনীয়তা আরোপের পাশাপাশি এই আইনের উদ্দেশ্য হল জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ (Waqf Properties) প্রতিরোধ করা এবং বেসরকারি ও সরকারি জমিকে মিথ্যা দাবি থেকে রক্ষা করা (Waqf Amendment Bill)।

  • Civil Aviation Sector: ভারতের বিমানবন্দরগুলির ৫০ শতাংশেরও বেশি এখন একশো ভাগ সবুজ শক্তি ব্যবহার করছে, জানাল মন্ত্রক

    Civil Aviation Sector: ভারতের বিমানবন্দরগুলির ৫০ শতাংশেরও বেশি এখন একশো ভাগ সবুজ শক্তি ব্যবহার করছে, জানাল মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতে পরিচালনাধীন বিমানবন্দরগুলির ৫০ শতাংশেরও বেশি এখন ১০০ শতাংশ সবুজ শক্তি (Green Energy) ব্যবহার করছে।” বৃহস্পতিবার সংসদে এই তথ্য প্রকাশ করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক (Civil Aviation Sector)। তারা জানিয়েছে, ১৫৯টি বিমানবন্দরের মধ্যে ৮৭টি এখন সম্পূর্ণভাবে সবুজ শক্তি, যেমন সৌর ও বায়ু শক্তি দ্বারা চালিত হচ্ছে।

    কী বললেন মন্ত্রী (Civil Aviation Sector)

    বেসামরিক বিমান পরিবহণ রাষ্ট্রমন্ত্রী মুরলিধর মোহল লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “১৫৯টি পরিচালনাধীন বিমানবন্দরের মধ্যে ৮৭টি প্রায় ৫৫ শতাংশ বিমানবন্দর, ১০০ শতাংশ সবুজ শক্তি ব্যবহারের লক্ষ্য অর্জন করেছে।” মন্ত্রী জানান, এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া সহ বিভিন্ন বিমানবন্দর অপারেটররা সবুজ ও নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন ও স্ব-ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন স্থানে বা বিমানবন্দরে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, “এছাড়া, কিছু বিমানবন্দর ওপেন অ্যাক্সেসের মাধ্যমে সবুজ শক্তি কিনছে।”

    গ্রিন বিল্ডিং স্ট্যান্ডার্ড

    মুরলিধর মোহল বলেন, “অন্যান্য উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে গ্রিন বিল্ডিং স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ভবন নকশা গ্রহণ, প্রচলিত যানবাহনকে বৈদ্যুতিক যানবাহনে রূপান্তর, শক্তি-সাশ্রয়ী হিটিং, ভেন্টিলেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম, আলোকব্যবস্থা ও ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সিস্টেম ইত্যাদি।” তিনি বলেন, “বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয় (Civil Aviation Sector) সকল কার্যকরী বিমানবন্দর, যেগুলো নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে, এবং আসন্ন গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরের উন্নয়নকারীদের কার্বন নিরপেক্ষতা ও নেট জিরো অর্জনের জন্য কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, অন্য বিষয়গুলোর পাশাপাশি, সবুজ শক্তির ব্যবহারও।”

    মন্ত্রণালয় ভারতীয় বিমানবন্দরগুলোর কার্বন অ্যাকাউন্টিং এবং রিপোর্টিং কাঠামোকে উন্নত করার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে নলেজ শেয়ারিং সেশনেরও আয়োজন করেছে। মন্ত্রী বলেন, “এছাড়াও, নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনাকারী বিমানবন্দর অপারেটরদের তাদের নিজ নিজ বিমানবন্দরে কার্বন নিঃসরণ ম্যাপিং করার এবং ধাপে ধাপে কার্বন নিরপেক্ষতা ও নেট জিরো নিঃসরণের দিকে (Green Energy) এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে (Civil Aviation Sector)।”

  • Amit Shah: রাজ্যসভায় কংগ্রেস-তৃণমূলকে তুলোধনা শাহের, কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    Amit Shah: রাজ্যসভায় কংগ্রেস-তৃণমূলকে তুলোধনা শাহের, কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিএ-জমানায় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিলের অপব্যবহারের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। পিএম- কেয়ার্স ফান্ড (PM Cares) সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য বিরোধী দলগুলিকে (Congress) কড়া ভাষায় আক্রমণও শানিয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (সংশোধনী) বিলের ওপর আলোচনায় রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    বিনা প্রমাণে অভিযোগ করে পালিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি (Amit Shah)

    সেখানেই তিনি বলেন, দুর্যোগ ত্রাণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ নেহরু-গান্ধী পরিবার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে ডাইভার্টেড হয়েছিল। রাজ্যসভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিল পাশ হওয়ার সময় শাহ কংগ্রেসকে তাদের তহবিল ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা সম্পর্কে জবাব দিতে চ্যালেঞ্জ করেন এবং একটি দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা চালানোর অভিযোগ তোলেন যেখানে ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করতেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিনা প্রমাণে অভিযোগ করে পালিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু এটি সংসদ, রাস্তার প্রতিবাদ নয়। যদি আপনারা অভিযোগ করেন, তাহলে আপনাদের উত্তরও শুনতে হবে।”

    বিরোধীদের অভিযোগ খণ্ডন

    পিএম-কেয়ার্স তহবিলে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে বিরোধীদের তোলা অভিযোগ খণ্ডন করে দিয়ে শাহ বলেন, ‘‘এই তহবিল প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর দ্বারা পরিচালিত হয়, যেখানে কঠোর আর্থিক তদারকি ব্যবস্থা রয়েছে। এটি কংগ্রেসের (Congress) আমলের পিএমএনআরএফের সম্পূর্ণ বিপরীত, যেখানে কংগ্রেস সভাপতি সরাসরি সদস্য ছিলেন। এটি একটি রাজনৈতিক পরিবারকে তহবিল নিয়ন্ত্রণ ও নয়ছয় করার সুযোগ দিয়েছে।’’  শাহ (Amit Shah) জানান, কীভাবে ইউপিএ সরকার পিএমএনআরএফের তহবিল রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে পাচার করেছিল। এই ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে বিদেশি অনুদান, ধর্মান্তরণ গোষ্ঠী এবং পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংয়ের সঙ্গে সংযোগের অভিযোগ রয়েছে (Congress)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আপনারা স্বচ্ছতার কথা বলেন? আপনার দল জিপ থেকে বোফোর্স থেকে ২জি—এতগুলি কেলেঙ্কারিতে জড়িত। ভারতের মানুষ আপনার ইতিহাস জানেন।” বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, কেন দুর্যোগ ত্রাণের সরকারি অর্থ নেহরু-গান্ধী পরিবার নিয়ন্ত্রিত একটি ফাউন্ডেশনে পাঠানো হচ্ছিল?

    তৃণমূল কংগ্রেসকেও নিশানা

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসকেও নিশানা করেন শাহ। পশ্চিমবঙ্গে দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল বিতরণ না করার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছিল তৃণমূল। বাংলার শাসক দলের প্রতিনিধিদের সেই অভিযোগ খণ্ডন করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদি সরকারের আমলে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারগুলির তুলনায় রাজ্যে দুর্যোগ ত্রাণ বরাদ্দ ৩০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে (Amit Shah)। বিরোধী দলগুলির অতিরিক্ত তহবিলের দাবিকেও প্রত্যাখ্যান করে শাহ স্পষ্ট করে দেন, দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল আসল সংকট মোকাবিলার জন্য—খয়রাতির জন্য নয়। প্রসঙ্গত, এটি পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলির দিকে সরাসরি ইঙ্গিত, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় তহবিলের অপব্যবহার এবং দুর্যোগপ্রবণ এলাকার নাগরিকদের ত্রাণ না দেওয়ার জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছেন। শাহের এই খয়রাতির অভিযোগ শোনার পরেই ওয়াকআউট করেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। যদিও বলতেই থাকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন (Amit Shah), “আপনাদের (TMC) ব্যাখ্যা করতে হবে কেন আপনারা আরও তহবিল চান অথচ আগে যেসব তহবিল পেয়েছেন সেগুলি বিলি করতে ব্যর্থ হন।”

    আপনাদের রাজ্যে অনেক দাঙ্গা হয়?

    তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, সংশোধনীতে দুর্যোগের সংজ্ঞার অধীনে দাঙ্গাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হোক। তৃণমূলের এই দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আর দাঙ্গার মধ্যে কী সম্পর্ক? এটার কারণ কি আপনাদের রাজ্যে অনেক দাঙ্গা হয়, তাই?” তাঁর এই মন্তব্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্যে, বিশেষত তৃণমূলের সদস্যদের মধ্যে। কারণ তাঁদের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলাহীনতা ও রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ রয়েছে। রাজ্যসভার সভাপতি জগদীপ ধনখড় ডিসরাপশনের অনুমতি না দেওয়ায় তৃণমূলের সাংসদরা সভা থেকে ওয়াকআউট করেন।

    ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ’

    সংশোধনীটি ডিফেন্ড করতে গিয়ে অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনে ভারতের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক নেতৃত্বের কথাও তুলে ধরেন। তিনি সভাকে স্মরণ করিয়ে দেন, মোদিকে রাষ্ট্রসংঘের তরফে ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়েছিল, যা পরিবেশ সংরক্ষণ ও দুর্যোগ মোকাবিলায় তাঁর প্রচেষ্টার স্বীকৃতি (Amit Shah)। এদিন শাহ ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, মলদ্বীপ এবং ইতালির মতো দেশগুলিকে দুর্যোগ ত্রাণে সহায়তা করে মানবিক সহায়তায় একটি বৈশ্বিক নেতা হিসেবে তার অবস্থান শক্তিশালী করেছে ভারত।

    ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে লোকসভায় পাস হওয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (সংশোধনী) বিল, ২০২৪, বিরোধী দলগুলির আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যসভায় ভোটে পাশ হয়ে যায়। কংগ্রেস ও তার সহযোগীদের প্রস্তাবিত বেশ কয়েকটি সংশোধনী সরাসরি খারিজ হয়ে যায়। শাহ বলেন, “যদি কোনও ভবন মেরামত না করা হয়, তা ধসে পড়বে। একইভাবে, আইনগুলিকেও আপডেট করতে হবে (Congress)। এতে আপত্তি করার কী আছে (Amit Shah)?”

LinkedIn
Share