Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Saket Gokhale: আর্থিক অপচয়ের অভিযোগ! গুজরাট জেলে বন্দি তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করল ইডি

    Saket Gokhale: আর্থিক অপচয়ের অভিযোগ! গুজরাট জেলে বন্দি তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে এবার টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে  গ্রেফতার করল ইডি (ED)। জালিয়াতি মামলায় আগেই গুজরাটের জেলে বন্দি ছিলেন তৃণমূলের জাতীয় স্তরের মুখপাত্র সাকেত গোখলে।  এবার তাঁর বিরুদ্ধে  ১.০৭ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে তহবিল নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে সাকেতের বিপক্ষে।

    ক্রাউড ফান্ডিং-এর অভিযোগ

    আর্থিক তছরূপের মামলায় বুধবার তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে একত্রিত করা লক্ষাধিক টাকার তহবিল সাকেত অপব্যবহার করেছেন। প্রসঙ্গত, সাকেতকে গত ডিসেম্বর মাসে দিল্লি থেকে অপর একটি মামলায় গ্রেফতার করেছিল গুজরাট পুলিশ। সেই মামলায় এখনও জামিন পাননি তৃণমূল মুখপাত্র। গতকাল গুজরাট হাইকোর্ট সাকেতের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। আর এরই মধ্যে ইডি ফের গ্রেফতার করল সাকেত গোখলেকে। 

    আরও পড়ুন: আজ ফের তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির! দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা জেরায় নতুন কী তথ্য মিলল?

    কী বলছেন সাকেতের আইনজীবী

    ক্রাউড ফান্ডিং বলতে বোঝায় যখন জনসাধারণের উপকারে কোনও কাজের জন্য মানুষের থেকে টাকা সংগ্রহ করা হয়। পরে সেই টাকা ব্যক্তিগত কাজে বা অন্য কোনওভাবে ব্যবহার করলে সেটি আর্থিক তছরূপের আওতায় পড়ে। ইডি যে অর্থ অপচয়ের মামলায় সাকেতকে গ্রেফতার করেছে, সেই একই মামলাতে গুজরাট পুলিশের অপরাধ দমন শাখা গ্রেফতার করেছিল সাকেতকে। সেই মামলায়, গুজরাট হাইকোর্টে সাকেতের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, যে তাঁর মক্কেল অতীতে একজন আরটিআই কর্মী ও সমাজকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। যে সময়ে তিনি ক্রাউড ফান্ডিং করেছিলেন, সেই সময়ে তিনি এও জানিয়েছিলেন যে এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার জন্য এবং নিজের বেঁচে থাকার জন্য টাকার প্রয়োজন। কিন্তু কোনও টাকা তিনি নয়ছয় করেননি। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তিনি সেই কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি গোখলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তাঁর আয়ের যাবতীয় হিসেব রয়েছে এবং তিনি নিয়মিত আয়কর জমা করেছেন বলেও দাবি করেন সাকেতের আইনজীবী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Saraswati Puja: কোথাও খাঁচায় বন্দী, কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী! দেবী বন্দনায় নিয়োগ দুর্নীতির ছোঁয়া শহরের মণ্ডপে

    Saraswati Puja: কোথাও খাঁচায় বন্দী, কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী! দেবী বন্দনায় নিয়োগ দুর্নীতির ছোঁয়া শহরের মণ্ডপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যার দেবী সরস্বতী (Saraswati Puja 2023)। বাগদাত্রী দেবী শ্বেত পদ্মের উপর আসন পেতে থাকেন। মাঘী পঞ্চমীতে তাঁর আরধনায় মাতে ছোট থেকে বড়রা। বিদ্যা বিনয় দান করে। ন্যায়-অন্যায় বুঝতে শেখায়। কিন্তু বাংলায় এখন শিক্ষা বিক্রি হয়। অর্থের বিনময়ে শিক্ষক কেনা-বেচা হয়। বিদ্যাকে ছোট করে অর্থের বিনময়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ বাংলার অলি-গলিতে।  অভিযোগ উঠেছে,অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন। ফেল করেও শিক্ষকতা করার সুযোগ পেয়েছেন। তাই শহর কলকাতায় এবার সরস্বতী পুজোর থিমে কোথাও খাঁচায় বন্দি বাগদেবী কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় তোলা হয়েছে তাঁকে।

    দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী

    সাধারণত এ রাজ্যে বিভিন্ন পুজোর থিমের মাধ্যমেই তুলে আনা হয় সাম্প্রতিক কালের আলোচিত-চর্চিত বিভিন্ন ঘটনাকে। বাংলায় সাম্প্রতিককালের সবথেকে আলোচ্য বিষয় শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’। তাই এবার শহরের বুকে সরস্বতী পুজোর থিম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। অভিনব এই থিমের নাম ‘বঙ্গে বিক্রি শিক্ষা’। কাকুড়গাছি রেল ব্রিজ সংলগ্ন এই পুজোর প্যান্ডেলে দেখা যাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যারের মডেল। সামনে টাকার ৫০০ ও ২ হাজার টাকার নোটের বান্ডিল। ঠিক যেমনটা ইডির তল্লাশি অভিযানে দেখা গিয়েছিল। এই প্যান্ডেলে দেখানো হবে, দাঁড়িপাল্লায় রাখা হয়েছে সরস্বতীর মূর্তি ও টাকা। অর্থের ভারে হেলে গিয়েছে সরস্বতী। খাঁচায় বন্দি রাখা হয়েছে বইপত্র ও মা সরস্বতীকে। যার মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে, এ রাজ্যে শিক্ষাকে বন্দি রেখেই অর্থের বিনিময় অযোগ্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আগামীর ভবিষ্যৎ।

    আরও পড়ুন: মাঘেও উধাও শীত! গরমেই কাটবে সরস্বতী পুজো, জানিয়ে দিলেন আবহবিদরা

    পৌষ পেরিয়ে বাংলার গায়ে এখন মাঘের আমেজ। স্কুলে স্কুলে বাণী বন্দনার প্রস্তুতি তুঙ্গে। এরই মধ্যে এই ধরনের থিম এনেছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। সঙ্গে শিক্ষা নিয়ে যে অশিক্ষা বঙ্গে দেখা গিয়েছে, তাঁর জন্য ধিক্কার জানানো হয়েছে। থিমের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ও তাঁদের দাবিদাওয়াও তুলে ধরা হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের মডেল তৈরি করে তাঁদের হাতে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দাবি দেওয়া সম্মিলিত প্ল্যাকার্ড। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Kuntal Ghosh: অভিষেক থেকে ব্রাত্য অনেকের সঙ্গেই ছবি! বিএড কলেজ, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কে এই কুন্তল?

    Kuntal Ghosh: অভিষেক থেকে ব্রাত্য অনেকের সঙ্গেই ছবি! বিএড কলেজ, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কে এই কুন্তল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা। তদন্তে অসহযোগিতার জেরেই হুগলির এই যুব তৃণমল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। কিন্তু আসলে কে এই কুন্তল। তাঁর সঙ্গে আর কার যোগাযোগ রয়েছে? যে কোটি কোটি টাকা কুন্তল নিয়েছেন বলে অভিযোগ তা কী সবটাই কুন্তলের পকেটে? না এর পিছনে রয়েছে আরও কেউ? প্রশ্নগুলো ঘুরছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    কে কুন্তল

    হুগলির বলাগড়ের শ্রীপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি কুন্তলের। বাবা স্বপন ঘোষ ছিলেন সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান। যদিও কুন্তল নিজে যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক। গ্রামে ভাল ছেলে বলেই পরিচিত। সমাজসেবা থেকে দান-ধ্যান করতে বারবার এগিয়ে এসেছিলেন কুন্তল। তাঁদের একটা সারের দোকান ছিল, অ্যালুমিনিয়ামের কারখানাও ছিল। স্বচ্ছল পরিবার। তবে এসব কিছুর পিছনেই কী ছিল দুর্নীতির হাতছানি? এখন আর খুব বেশি বলাগড়ে থাকতেন না কুন্তল। এখন তিনি শহরের ছেলে। চিনার পার্কে দুটো ফ্ল্যাট! শিক্ষা ব্যবসায় নিজের নাম লিখিয়েছেন কুন্তল।

    নেতানেত্রীদের বৃত্তে

    ২০১১ সালে ধনেখালিতে একটি বিএড কলেজে পার্টনারসিপে ব্যবসা শুরু করেন কুন্তল। অনেকের মতে, ওটাই ছিল তাঁর শিক্ষা ব্যবসায় হাতেখড়ি। তারপর ধাপে ধাপে এগোতে থাকেন আরও বড় হওয়ার লক্ষ্যে। জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ বঙ্গের আরও কয়েকটি জেলার বিএড কলেজে তাঁর শেয়ার রয়েছে। তাছাড়া বলাগড়ে একটি ছোটদের ইংরাজি মাধ্যম স্কুলও চালু করেছিলেন তিনি। ২০১৬ সাল থেকে রাজনীতিতে উত্থান কুন্তলের। জেলার রাজনীতিতে তেমন পরিচিত নন তিনি। বেশিরভাগ সময় থাকতেন কলকাতা কেন্দ্রিক কর্মসূচিতে, নেতানেত্রীদের বৃত্তের মধ্যে। এই কুন্তলের সঙ্গেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের বিভিন্ন সময়ে নানা ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন বিজেপি রাজ্য সহ সভাপতি রথীন্দ্র বোস। কখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িযে হাসিমুখে দেখা যাচ্ছে কুন্তলকে। কখনও আবার কোনও অনুষ্ঠান মঞ্চে তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যাচ্ছে যুব নেতাকে। একটি ছবিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে কুন্তলকে। আবার কুন্তলের সঙ্গে একই ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকেও।

    আরও পড়ুন: ইডির জালে কুন্তল! কী মিলল চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে?

    কুন্তলের ফেসবুক পেজও ছিল চোখে পড়ার মতো। জ্যোতি বসুর জন্ম দিন থেকে জয়ললিতার মৃত্যু দিন, আরডি বর্মন, শৈলেন মান্না, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়—বিশেষ বিশেষ দিনে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেসবুক পোস্টার পোস্ট ছিল কুন্তলের রুটিন। আর সেসব পোস্টারে বিশিষ্টজনের সঙ্গে থাকত একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষের ছবি অন্য দিকে হাতজোড় করা কুন্তলের ছবি। তাহলে এসবের পিছনেই কী ছিল দুর্নীতির চক্র? আর  কুন্তলের হাত ধরে টাকা পৌঁছে যেত অন্য কোথাও?কুন্তলের খুঁটি কী বাঁধা থাকত শহরের অন্য কোথাও? জল্পনা চলছে হুগলি থেকে কলকাতা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chandan Mondal: হঠাতই উদয় ‘চন্দন’ এর! নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই জেরার জন্য নিজাম প্যালেসে বাগদার রঞ্জন

    Chandan Mondal: হঠাতই উদয় ‘চন্দন’ এর! নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই জেরার জন্য নিজাম প্যালেসে বাগদার রঞ্জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Primary Teacher Recruitment Scam) সিবিআই জেরার সামনে চন্দন মণ্ডল (Chandan Mondal) ওরফে বাগদার রঞ্জন। শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ আইনজীবীদের নিয়ে নিজাম প্যালেসে পৌঁছন তিনি। নিজাম প্যালেসে ঢোকার মুখে এদিন সরাসরি সিবিআইয়ের প্রাক্তন কর্তা উপেন বিশ্বাসের (Upen Biswas) নাম করে তিনি বলেন, ‘কাউকে চাকরি দিইনি। ভোটে উপেন বিশ্বাসকে সাহায্য না করায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’

    কী বললেন চন্দন

    ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল প্রাক্তন সিবিআই কর্তা তথা বাগদার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক উপেন বিশ্বাসের মুখে উঠে আসে চন্দন মণ্ডলের নাম। চন্দনকে ‘বাগদার রঞ্জন’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোটা টাকার বিনিময়ে বহু মানুষকে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন চন্দন। এমনকী তাঁর সততার প্রশংসা করে তিনি বলেন, চাকরি না দিতে পারলে টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি। এর পরই আদালতে ওঠে বিষয়টি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চন্দনের বিরুদ্ধে FIR করে সিবিআই। এর পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করা হয়। কিন্তু এতদিন চন্দনকে সামনে আসতে দেখা যায়নি। শনিবার সেই চন্দনই এলেন নিজাম প্যালেসে। বললেন, ‘আমি সহায়তা করতে এসেছি। আমাকে উনি (পড়ুন উপেন বিশ্বাস) ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন। যেহেতু উনি ওখানকার বিধায়ক ছিলেন। নির্বাচনের সময় ওনাকে সাহায্য করিনি তাই।’

    আরও পড়ুুন: ভাঙড়ে শাসক-আইএসএফ সংঘর্ষ, ইটের ঘায়ে মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর

    টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও এই মামলায় মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে যে তাঁর পরিচয় রয়েছে সে কথা স্বীকার করেন চন্দন। কীভাবে চিনলেন প্রসন্নকে? সেই প্রশ্নের উত্তরে চন্দন বলেন, ‘উনি আমার সঙ্গে ব্যবসা করতেন তাই চিনি।’ তবে কী ধরনের ব্যবসা করতেন তাঁরা, সেবিষয়ে খোলসা করেননি ‘রঞ্জন’। এর আগে একবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির হন চন্দন। সেদিন তিনি দাবি করেছিলেন, কোনও টাকা তিনি নেননি। কোনও চাকরিও দেননি। তিনি জানান, একজন ভারতীয় নাগরিক হিসাবে তদন্তে সহযোগিতা করতে এসেছেন। তবে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে কারা যুক্ত সেব্যাপারে কোনও ধারণা নেই তাঁর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Balochistan: বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন! বিক্ষোভ বালুচদের

    Balochistan: বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন! বিক্ষোভ বালুচদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন। বিশ্ব অর্থনীতিতে বালুচের সম্পদ বিক্রি করে মুনাফা লুঠছে শি জিনপিং সরকার। আর বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে বালুচ জনজাতি। সম্পদের প্রকৃত অধিকারীরা বঞ্চিত হচ্ছে।  সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষায়।

    চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর

    সম্প্রতি বালুচিস্তানের ওপর দিয়ে তৈরি হচ্ছে চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর। বালুচদের এক বড় অংশের ধারণা, এর ফলে তাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করতে চিনের সুবিধা হবে। এই ধারণা থেকে বেড়েছে তিক্ততা। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় বালুচিস্তান স্থির করে, তারা পাকিস্তানে যোগ দেবে। কিন্তু বালুচদের এক বড় অংশ ছিলেন ওই সিদ্ধান্তের বিরোধী। ২০১৩ সালে চায়না পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর তৈরি শুরু হয়। চিনের শিনজিয়াং প্রদেশ থেকে ওই পথ যাবে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া, গিলগিট-বালটিস্তান, পাঞ্জাব, বালুচিস্তান, সিন্ধু ও অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে। ওই পথ দিয়ে চিনের পণ্য খুব দ্রুত পৌঁছে যাবে পাকিস্তানে গাওয়াদার বন্দরে। সেই পণ্য নিয়ে বড় বড় জাহাজ পাড়ি দেবে আফ্রিকা আর পশ্চিম এশিয়ার উদ্দেশে। এই প্রকল্প একেবারেই বালুচদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। যে অঞ্চলের ওপর দিয়ে ওই রাস্তা নির্মিত হবে, সেখানকার লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। ওই প্রকল্পে স্থানীয় বালুচরা কাজও পাননি। বালুচরা মনে করে, ওই প্রকল্পে মূলত পাঞ্জাব লাভবান হবে। বালুচিস্তান বরাবরের মতোই বঞ্চিত হবে।

    আরও পড়ুন: গত ৬ মাসে রাজ্যের দিকে দিকে উদ্ধার বিপুল নগদ, দেখুন কবে, কোথায়

    সোনার খনি-মাছ ধরার ব্যবসা

    কোভিডের সময় সাময়িক ক্ষতি হলেও, বালুচিস্তানের সোনা, রুপো ও তামার খনি থেকে চিনের বিভিন্ন সংস্থা ২০২১-২২ সালে ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লাভ করে। যদিও এই লাভের সিংহভাগই চলে যায় চিনে। স্থানীয়রা কিছুই পায় না। সম্প্রতি মাছ ধরা নিয়ে বালুচদের সঙ্গে চিনাদের শুরু হয়েছে বিরোধ। আগে গাওয়াদার বন্দরের আশপাশে আরব সাগরে মাছ ধরতেন বালুচ মৎস্যজীবীরা। তাঁরা গরিব মানুষ। নৌকা চড়ে, অনেক ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরতেন। কিন্তু পাকিস্তান সরকার এখন চিনা ট্রলারগুলোকে গাওয়াদার বন্দরের আশপাশে মাছ ধরার অনুমতি দিয়েছে। ট্রলার খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ মাছ ধরতে পারে। তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে বালুচদের জেলে নৌকা। চিনা ট্রলারগুলিকে মাছ ধরার অধিকার বাতিলের দাবিতে ধরনায়ও বসেছিলেন বালুচ মৎস্যজীবীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kuntal Ghosh: অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ কুন্তল-তাপসের! কী বলছে ইডি?

    Kuntal Ghosh: অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ কুন্তল-তাপসের! কী বলছে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার হুগলির যুব তৃণমূল নেতা (TMC Leader) কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন, পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও জেলবন্দি তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)! তাঁর দাবি, টেট (TET) পাস থেকে শুরু করে চাকরি দেওয়ার নামে ১৯ কোটির বেশি টাকা নিয়েছেন কুন্তল। পাল্টা তাপস মণ্ডলকে টাকা না দেওয়ায় ষড়যন্ত্র করে তিনি তাঁকে গ্রেফতার করিয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন কুন্তল।

    কুন্তলের দাবি

    শনিবার ইডি আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতারের পর নিউটাউনের আবাসন থেকে বেরনোর সময় কুন্তল বলেন, ‘‘আমি কোনও টাকা নিইনি। সব তাপস মণ্ডলের ষড়যন্ত্র। তাপস আমার কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিল। সেই ঘুষ দিইনি, সেই জন্যই আমার এই হাল।’’ ইডি সূত্রে খবর, কুন্তলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হবে। শনিবারই কুন্তলকে আদালতে তুলতে চাইছে ইডি। এর আগে তিন দফায় যুব তৃণমূল নেতা কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। গতকাল, তাঁর নিউটাউনের (Newtown) ফ্ল্য়াটে হানা দেয় ইডি (ED)। 

    তাপসকে ২০১৫-১৬ সাল থেকে চিনতেন বলে জানিয়েছেন কুন্তল। কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় উপস্থিত ছিলেন তাঁর আইনজীবী পিন্টু কাঁড়ার। গতকাল, তাঁর নিউটাউনের (Newtown) ফ্ল্য়াটে হানা দেয় ইডি (ED)। ডিএলএড কলেজগুলির সংগঠনের সভাপতি তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) মুখ থেকেই প্রথম কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) নাম শোনেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ হিসেবে নিয়োগ দুর্নীতির চার্জশিটে নাম থাকায় তাপসকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এবার তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমেই পাল্টা তোপ দাগলেন তাপসের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: ইডির জালে কুন্তল! কী মিলল চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে?

    তাপস যা বললেন

    তাপস মণ্ডল অভিযোগ করেছিলেন, চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। যাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন, তাঁদের যাতে কুন্তল টাকা ফেরত দেন, সেই অনুরোধও নাকি করেছিলেন তাপস। কিন্তু তা অস্বীকার করেন কুন্তল। এ প্রসঙ্গে তাপস বলছেন, চার্জশিটে নাম আছে বলে তাঁকে ফাঁসাচ্ছেন কুন্তল। তাঁর দাবি, ‘‘কুন্তল সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছে। আমি কেন ঘুষ নিতে যাব! যে টাকা নিয়েছে, সে টাকা ফেরত চাইব না? চাকরির জন্য যে টাকা কুন্তল আমার ছাত্র এবং পরিচিত লোকেদের কাছ থেকে নিয়েছে, সেই প্রমাণ আমি সিবিআই ও ইডির কাছে দিয়েছি। সেই টাকা ফেরতের জন্য ক্রমাগত চাপ দিয়েছি। বার বার টাকা ফেরত দিতে বলেছি। ওর বাড়িতে যাঁরা ধর্না দিতেন, তাঁরা এসে আমার কাছে বলতেন। দীর্ঘ দিন ধরে টাকা ফেরতের জন্য চাপ তৈরি করেছি। এটা কি অন্যায়?’’ তাপস মণ্ডল বলেন,  “আমি চাই তদন্ত হোক। কুন্তলের ব্যাপারে তথ্য প্রমাণ পেয়েছি বলেই অভিযোগ তুলে ধরেছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Hookah: রাজ্যে বন্ধ হচ্ছে না হুক্কা বার! নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Hookah: রাজ্যে বন্ধ হচ্ছে না হুক্কা বার! নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখনই বন্ধ হচ্ছে না হুক্কা বার (Hookah Bar)। কলকাতা ও বিধাননগর পুর এলাকায় নিয়ম মেনে চালানো যাবে হুক্কা বারগুলি। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতি মান্থা জানান, যদি সিগারেট খাওয়ার অনুমোদন থাকে, তাহলে হুক্কাতে বাধা কোথায়? হুক্কাতে তো নিকোটিন আর হারবাল আছে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, “রাজ্যে হুক্কাবার বন্ধের কোনও রুল নেই। রাজ্যকে বন্ধ করতে হলে নতুন করে আইনের সংশোধন করতে হবে। তাই কলকাতা বা বিধাননগর এলাকায় হুক্কা বার বন্ধ করা যাবে না। এর থেকে কেন্দ্র ও রাজ্য প্রচুর রাজস্ব লাভ করে।”

    সওয়াল-জবাব

    কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই দাবি করা হয়, ‘হুক্কা বারগুলি (Hookah Bar) ২০০৩ এর আইনের পরিপন্থী। ‘অন্যদিকে, মামলাকারীর আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, ‘সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ আছে। আমরা সম্পূর্ণ আইন মেনেই হুক্কা বার চালাই। এর আগে মুম্বই, চেন্নাই ও আমেদাবাদে হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ জারি হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে সেই নির্দেশ খারিজ হয়ে যায়।’

    আরও পড়ুন: মেয়র, ডেপুটি মেয়র নির্বাচন, দিল্লিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    ডিসেম্বরের শুরুতে কলকাতা শহরে হুক্কা বার (Hookah Bar) নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কলকাতা পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, হুক্কা বারগুলিতে বেআইনি কাজ ও মাদক সেবনের অভিযোগ আসছে। তাই সেগুলির লাইসেন্স বাতিল করবে পুরসভা। পুরসভা নিষেধাজ্ঞা জারির পর বেশ কয়েক জায়গায় অভিযান চালিয়ে হুক্কা বারের মালিক ও কর্মচারীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় সরঞ্জাম। এরই মধ্যে বিধাননগর পুরসভাও হুক্কা বার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর পরই পুরসভার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় হুক্কাবার মালিকদের সংগঠন। হুক্কা বার সংক্রান্ত ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, একজন মেয়রের কথার ভিত্তিতে হুক্কা বার বন্ধ করা যায় না। পুলিশ যদি নারকোটিকস ব্যবহারের কোনও কিছু পায় তাহলে তারা সেই রেস্তরাঁ বন্ধ করতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BharOS: আত্মনির্ভর ভারত-এর আরও একটি ধাপ! দেশীয় অপারেটিং সিস্টেম BharOS-এর যাত্রা শুরু

    BharOS: আত্মনির্ভর ভারত-এর আরও একটি ধাপ! দেশীয় অপারেটিং সিস্টেম BharOS-এর যাত্রা শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেটিং সিস্টেমের জগতে Apple এবং Google-এর মনোপলিকে ধাক্কা দিতে ভারত নিয়ে এল সম্পূর্ণ দেশীয় অপারেটিং সিস্টেম ‘BharOS’। দেশকে ‘আত্মনির্ভর’বানানোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই স্বপ্নকে পূরণ করল আইআইটি মাদ্রাজ। মঙ্গলবার এই অপারেটিং সিস্টেম পরীক্ষা করে দেখেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

    দেশীয় অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য 

    BharOS  তৈরি করেছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি মাদ্রাজ(IIT Madras)। এর ফলে দেশের ব্যবহারকারীদের আরও উন্নত মানের নিরাপত্তা প্রদান করা সম্ভব  হবে বলে মত কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞদের। JandK অপারেশনস প্রাইভেট লিমিটেড বা সংক্ষেপে JandKops এই অপারেটিং সিস্টেম  ডেভেলপ করেছে। BharOS-এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট সংস্থার প্রাইভেট অ্যাপ স্টোর পরিষেবার (PASS) অ্যাক্সেস  মিলবে। শুধুমাত্র বিশ্বস্ত অ্যাপই থাকবে সেখানে। BharOS-এর আরেকটি উল্লেখযোগ্য ফিচার হল, এতে কোনও প্রি-ইনস্টল করা অ্যাপ  থাকে না। এর পাশাপাশি ডিভাইসে ইনস্টল করা অ্যাপগুলি কী কী কাজের অনুমতি  পাবে, তার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে ব্যবহারকারীর হাতে। আপাতত, কঠোর গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা প্রয়োজন, এমন কিছু সংস্থায় এই BharOS  প্রদান করা হয়েছে। এমন ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে, যেখানে সংবেদনশীল তথ্যের  আদান প্রদান হয়।  

    আরও পড়ুন: রাজ্যের বিরুদ্ধে ২.২৯ লক্ষ কোটি টাকার খরচের হিসাবে গরমিলের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে বিজেপি নেতা

    এদিন এই অপারেটিং সিস্টেম-এর খুঁটিনাটি দেখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “আট বছর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা বলতেন তখন বিরোধীরা ব্যাঙ্গ করত। কিন্তু আজ এই স্বপ্ন বাস্তব রূপ পাচ্ছে। এই অপারেটিং সিস্টেম তৈরিতে যাঁরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। এটি দেশকে অন্য মাত্রা দেবে।” মূলত আইআইটি মাদ্রাজের পড়ুয়ারাই এই অপারেটিং সিস্টেমটি ডেভলপ করেছে।  ডেভেলপাররা জানিয়েছেন, BharOS অপারেটিং সিস্টেমটি দেশের 100 কোটি মোবাইল ইউজার ব্যবহার করতে পারেন। কমার্শিয়াল অফ-দ্য-শেল্ফ হ্যান্ডসেটে সফটওয়্যারটি ইনস্টল করা যেতে পারে। ডেভেলপারর দাবি করছেন, গ্রাহকদের আরও সুরক্ষিত অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের স্বাদ দিতেই তৈরি করা হয়েছে BharOS। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • World Cup Hockey: নিউজিল্যান্ডের কাছে হার , স্বপ্ন অধরা ভারতের! জেনে নিন হকি বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কোন কোন দল

    World Cup Hockey: নিউজিল্যান্ডের কাছে হার , স্বপ্ন অধরা ভারতের! জেনে নিন হকি বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কোন কোন দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রসওভার ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে হকি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল ভারত। নির্ধারিত সময়ে খেলা ৩-৩ অমীমাংসিত থাকার পর শুটআউটে নিউজিল্যান্ড জিতল ৫-৪ ব্যবধানে। আয়োজক দেশ হিসাবে এদিন ভারত ছিল ফেবারিট। কিন্তু সমর্থকদের আশা পূরণে ব্যর্থ হল  হরমনপ্রীতের দল। কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া খেলবে স্পেনের বিপক্ষে। এখনও পর্যন্ত কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছন অপর দুটি দল হল ইংল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডস। আজ, ২৩ জানুয়ারি জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যে যে জিতবে সে খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আর আর্জেন্টিনা ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিজয়ী দল মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডসের।

    ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

    এদিন ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। নির্ধারিত সময়ে বার বার এগিয়ে গিয়েও গোল খায় হরমনপ্রীতরা। শুটআউটে গোলকিপার পিআর সৃজেশ তিনটি ভাল সেভ করলেও দলকে জেতাতে পারলেন না। তৃতীয় সেভের সময় চোট পান তিনি। পরিবর্ত গোলকিপার কৃষাণ পাঠক একটি শট বাঁচালেও বাকিগুলিতে পারলেন না। ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় বার হকি বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন অধরা থাকল ভারতের। গোটা ম্যাচে অসংখ্য পেনাল্টি কর্নার নষ্টের খেসারত দিতে হয়েছে ভারতকে। কোচ গ্রাহাম রিড আগেই এই ব্যাপারে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছিলেন। মরণ বাঁচন ম্যাচেও ভারতের সেই রোগ কাটল না। দশটি পেনাল্টি কর্নার পেয়ে তারা গোল করেছে মাত্র একটিতে।

    আরও পড়ুন: দুরমুশ নিউজিল্যান্ড, সিরিজ জিতল ভারত

    চাপ নিতে ব্যর্থ

    কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছনোর লক্ষ্যে দুই দলই এই ম্যাচে নিজেদের সর্বস্বটা উজাড় করে দেয়। তবে নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ স্কোরলাইনেই ম্যাচ শেষ হয়। ভারতের হয়ে ললিত, সুখজিৎ ও বরুণ কুমার তিনটি গোল করেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে স্যাম লেন, কেন রাসেল ও সন ফিন্ডলে গোল করেন। ম্যাচের মতো পেনাল্টি শ্যুট আউটেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে। ১৮টি শটের পর শেষমেশ জয় পায় নিউজিল্যান্ড। এই হারের পরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানসিক কন্ডিশনিং কোচের প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন হেড কোচ গ্রাহাম রিড। তিনি বলেন, “আমাদের সম্ভবত আলাদা কিছু করতে হবে। আমাদের দেখতে হবে, একজন মানসিক কোচকে কী ভাবে যুক্ত করতে পারি। সেটা নিয়ে কাজ করব। আসলে চাপ নিয়ে খেলতে পারছে না দল।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Kuntal Ghosh: ইডির জালে কুন্তল! কী মিলল চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে?

    Kuntal Ghosh: ইডির জালে কুন্তল! কী মিলল চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে গ্রেফতার তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার কুন্তল। শুক্রবারই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিলেন ইডি কর্তারা। দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টা তল্লাশির পর শনিবার সকালে তাঁকে হেফাজতে নিলেন তদন্তকারীরা। গতকাল সকাল সকাল হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছিলেন ইডি কর্তারা। দু’টি দলে ভাগ হয়ে কুন্তলের দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি আধিকারিকেরা। প্রায় ২৩ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে আটক করা হয় কুন্তলকে। তাঁর দুই ফ্ল্যাট থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। 

    কুন্তলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    শুক্রবার নিউটাউনে (New Town) কুন্তলের বিলাসবহুল দু’টি ফ্ল্যাটে দিনভর তল্লাশি চালায় ED। কুন্তলের (Kuntal Ghosh) বিরুদ্ধে নিয়োগের নাম করে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ১৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ED আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই তাঁর জোড়া ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি। এর আগেও হুগলির এই যুব তৃণমূল নেতাকে (TMC Leader) একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জেরা করতেই উঠে আসে হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) নাম।

    আরও পড়ুন: ১১ বছর পর কার্টুনকাণ্ড থেকে নিষ্কৃতি! এটা গণতন্ত্রপ্রিয় নাগরিকেরই জয়, অভিমত অম্বিকেশ মহাপাত্রর

    ইডির হাতে নানান তথ্য

    ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় কুন্তল বহু প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেননি। কুন্তলের বিপুল সম্পত্তির তালিকাও এসেছে ইডি-র হাতে। তার আয়ের উৎস কী, কুন্তল তার সদুত্তর দিতে পারেননি বলেও জানা যায়। কুন্তলের আয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পত্তির হিসেবের অসঙ্গতি রয়েছে। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কুন্তলকে গ্রেফতার করে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে নিয়ে যাওয়া হবে। আজই তাঁকে আদালতে পেশ করবে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ আগেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh Hooghly TMC)। তাঁর বক্তব্য ছিল, “আমি যদি টাকা নিতাম, CBI কি এত সহজে আমাকে ছেড়ে দিত?” এরপর তাঁকে বৃহস্পতিবারও হাজিরা দিতে হয় নিজাম প্যালেসে। এবার ইডির হাতে গ্রেফতারই হলেন কুন্তল।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share