Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধান মিলল! আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের পরই তদন্তে নয়া দিক

    Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধান মিলল! আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের পরই তদন্তে নয়া দিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে শ্রদ্ধা খুনে অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার পলিগ্রাফ টেস্ট করা হল বৃহস্পতিবার। দিল্লি পুলিশের তরফে সে কথা জানানো হয়। দিল্লির রোহিনী ফরেন্সিক ল্যাবে এই পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার সময়ই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আফতাবের কথার উপর ভিত্তি করেই মেলে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করতে ব্যবহার করা পাঁচটি ছুরি।

    কোথায় মিলল ছুরি

    আফতাবের ঘর থেকে ৫টি ছুরি পুলিশ উদ্ধার করেছে। সেগুলিকে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পুলিশের তরফে জানানো হয়, পলিগ্রাফ টেস্টের সময় আজ আফতাব পুনাওয়ালা (Aftab Amin Poonawala) একেবারে স্বাভাবিক ছিল। পলিগ্রাফ টেস্টের সময় আফতাব ধীর, স্থির ছিল বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত বুধবারই আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের কথা ছিল। তবে গতকাল আফতাব সুস্থবোধ না করায়, পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। পলিগ্রাফের পর আফতাবের নারকো টেস্টও করা হবে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা হত্যা মামলায় আফতাবের পরিবারের বয়ান রেকর্ড করল দিল্লি পুলিশ

    বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করতে ৫টি ছুরি ব্যবহার করেছিলেন আফতাব। ওই পাঁচটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। শ্রদ্ধাকে খুনের পর দেহ টুকরো করতে যে একের বেশি অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন আফতাব, তার আন্দাজ আগেই করেছিল পুলিশ। সম্প্রতি দিল্লিতে আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে ১টি করাতও উদ্ধার হয়। দেহ টুকরো করতে ওই করাতটি ব্যবহার করা হয়েছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। দিল্লিতে প্রেমিকা তথা লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক আফতাবের (Aftab Amin Poonawalla) বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে নিজের অপরাধের কথা সে স্বীকারও করে নিয়েছে। তবে তা প্রমাণ করতে মরিয়া পুলিশ। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই নতুন নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। শ্রদ্ধা খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে, বলে আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • FIFA World Cup:  জার্মানিকে হারিয়ে ইতিহাস জাপানের, আজ রাতেই ব্রাজিল-সার্বিয়া

    FIFA World Cup: জার্মানিকে হারিয়ে ইতিহাস জাপানের, আজ রাতেই ব্রাজিল-সার্বিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অঘটনের বিশ্বকাপ। পর পর দু’দিন দু’টো অপ্রত্যাশিত ফল। আর্জেন্টিনার পর প্রথম ম্যাচেই ঘায়েল জার্মানি। যেন আর্জেন্টিনা ম্যাচেরই রি-প্লে দেখাল জাপান। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হেলায় হারাল জাপান। উদিত সূর্যের দেশের কাছে ম্লান জার্মান দম্ভ। জাপান ম্যাচের শেষ দিকে দুরন্ত ফুটবল খেলে জয় ছিনিয়ে নিল জার্মানির বিরুদ্ধে।

    জার্মান-জাপান ম্যাচ

     ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের চতুর্থ দিনে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটাল জাপান। বুধবার, ২৩ নভেম্বর গ্রুপ-ই-তে চারবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল এশিয়ার জায়ান্ট জাপান। এর আগে মঙ্গলবার আর্জেন্টিনাকে ১-২ গোলে হারিয়েছিল সৌদি আরব। এবার জার্মানিকে হারাল জাপান। খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আয়োজিত গ্রুপ ই-এর ম্যাচে জাপান ২-১ গোলে চার বারের বিশ্ব খেতাব জয়ী জার্মানিকে হারিয়ে চমক দিল। ম্যাচের ৭৫ মিনিট পর্যন্ত মনে হয়েছিল জার্মানিই জিতবে। কিন্তু এর পর ৮ মিনিটের ব্যবধানে দু’টি গোল করে বসে জাপান। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারেনি জার্মানি। প্রথমার্ধের ৩৩ মিনিটে ইকে গুয়েন্দোগান গোল করে এগিয়ে দেন জার্মানিকে। দ্বিতীয়ার্ধ কিন্তু জাপানের। গর্ব করার মতো ফুটবল খেলল জাপান। খেলার ৭৫ মিনিটে রিৎসু দোয়ান জাপানের হয়ে গোল করে সমতা ফেরান। ৮ মিনিট পরে জাপানের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন তাকুমা আসন। আর্জেন্টিনার দিনও প্রথমে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মেসি। পরে সেই গোল শোধ করে ম্যাচ জিতে যায় সৌদি আরব।

    আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে অঘটন, সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হারল মেসির আর্জেন্টিনা

    বুধবারের অন্য ম্যাচ

    কোস্তারিকাকে নিয়ে এদিন ছেলেখেলা করল স্পেন। সাত সাতটা গোল দিল তারা। স্পেন প্রথমার্ধে ৩টি গোল করে। বাকি ৪টি গোল করে দ্বিতীয়ার্ধে। বিশ্বকাপে এত বেশি ব্যবধানে স্পেন কখনও জেতেনি। কাতার বিশ্বকাপে বুধবার প্রথম ম্যাচ ছিল ক্রোয়েশিয়া বনাম মরক্কোর। ক্রোয়েশিয়া গত বিশ্বকাপের রানার্স আপ। সেইমতো তাদের কাছে অনেক প্রত্যাশা ছিল ফুটবলপ্রেমীদের। কিন্তু ক্রোয়েশিয়া হতাশ করল। ম্যাচ গোলশূন্য রেখে ১ পয়েন্ট ছিনিয়ে নিল মরক্কো। 

    গতকালের ম্যাচের ফলাফল:

    মরক্কো ০ : ক্রোয়েশিয়া ০  

    জার্মানি ১ : জাপান ২

    স্পেন ৭ : কোস্তারিকা ০

    বেলজিয়াম ১: কানাডা ০

    আজকের ম্যাচ:

    সুইৎজারল্যান্ড-ক্যামেরুন (দুপুর সাড়ে ৩টে)

    উরুগুয়ে-কোরিয়া রিপাবলিক (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা)

    পর্তুগাল-ঘানা (রাত সাড়ে ৯টা)

    ব্রাজিল-সার্বিয়া (২৫, নভেম্বর রাত সাড়ে ১২টা)

     

  • Calcutta High Court: শিক্ষাসচিবের হাজিরা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! রাতেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ  রাজ্য

    Calcutta High Court: শিক্ষাসচিবের হাজিরা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! রাতেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষাসচিবের হাজিরা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাতেই ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)আবেদন রাজ্যের। SSC নিয়োগে অতিরিক্ত শূন্যপদে (SSC Case) বেনামি-আবেদনের কৈফিয়ত চেয়ে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে (Manish Jain) হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Judge Abhijit Ganguly)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষাসচিবকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ পুলিশ অফিসার, ঘরে আছে ছোট্ট মেয়ে, উদ্বেগ পরিবারের  

    রাজ্যের আবেদন

    শিক্ষাসচিবের হাজিরার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার রাতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সকাল সাড়ে দশটার আগেই ডিভিশন বেঞ্চ বসিয়ে আবেদনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য। প্রধান বিচারপতির সচিবালয় মারফত ই-মেইল করে আবেদন করে রাজ্য। সূত্রের খবর, সকাল সাড়ে ১০টার আগেই ডিভিশন বেঞ্চ বসিয়ে রাজ্যের আবেদনের শুনানির আর্জি জানানো হয়। পাশাপাশি, অতিরিক্ত শূন্যপদে বেনামি-আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। গতকাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বেনামি আবেদনের ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত এবং বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে হাজিরার নির্দেশ দেন।  এই দুই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। এ নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তাঁর অনুমতি সাপেক্ষে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    অবৈধ আবেদন

    প্রথমে অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে যাদের চাকরি বাতিল হয়, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে পুর্নবহালের আবেদন করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এরপরেই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে কমিশন। এরপরে সেই মামলাতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের আইনজীবীদের কাছে জানতে চান, কার নির্দেশে করা হয় এহেন আবেদন। এবিষয়ে কোনও লিখিত প্রমাণ দেখাতে পারেননি কমিশনের আইনজীবী। তখনই শিক্ষাসচিবকে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Satyendar Jain: কারাগারে ‘আম’ মন্ত্রীর রাজকীয় ভোজ! সত্যেন্দ্র জৈনের নয়া ভিডিও ভাইরাল

    Satyendar Jain: কারাগারে ‘আম’ মন্ত্রীর রাজকীয় ভোজ! সত্যেন্দ্র জৈনের নয়া ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপের দায়ে অভিযুক্ত দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendra Jain) তিহাড়ের জেলে বসে খাচ্ছেন রাজকীয় খাবার। জেলে তেল মালিশের পর সদ্য আপ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের এই ভিডিও ভাইরাল। ওজন কমে গিয়েছে আঠাশ কেজি। যথেষ্ট খাবার দেওয়া হচ্ছে না জেলে। আদালতে এমন অভিযোগই করেছিলেন দিল্লির জেলবন্দি মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তার এক দিন পরেই প্রকাশ্যে এল একটি সিসিটিভি ফুটেজ, যেখানে দেখা গিয়েছে জেলের কুঠুরিতে বসে ফল, স্যালাড খাচ্ছেন সত্যেন্দ্র। তিহাড় জেলের একটি সূত্র বলছে, প্রকাশ্যে আসা ফুটেজ সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসের তিনটি দিনের। সূত্রটির দাবি, এই ফুটেজ থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, সত্যেন্দ্রের পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, জেলে থেকে দিল্লির মন্ত্রীর ওজন আঠাশ কেজি কমেনি। বরং ৮ কেজি বেড়েছে।

    নতুন ভিডিও

    বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা সম্প্রতি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে, আর্থিক তরুপের দায়ে গ্রেফতার হওয়া আপ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendra Jain) জেলের ভিতর নিজের পছন্দের খাবার খাচ্ছেন। ট্যুইটারে পুনাওয়ালা লেখেন, “জনমাধ্যমে আরও একটি ভিডিও সামনে এসেছে। ধর্ষকের কাছ থেকে মালিশ নেওয়ার পর এখন রাজকীয় খাবার উপভোগ করছেন সত্যেন্দ্র জৈন। তাঁকে সেলের মধ্যে কর্মীরা খাবার দিয়ে যাচ্ছেন, যেন কোনও রিসোর্টে বেড়াতে গিয়েছেন তিনি! কালো টাকার কারবারি যেন জেলের ভিতর ভিভিআইপি সুবিধা পান, তা কেজরিওয়ালজি নিজে নিশ্চিত করেছেন”। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, খিদে বৃদ্ধিকারক খাবার দিয়ে ভোজন শুরু করার পর স্যালাড সহ অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছেন মন্ত্রী। সেইসঙ্গে তাঁর জন্য কেনা পানীয় জলের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। একজন কর্মী তাঁকে খাবার সাজিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে তাঁর চেয়ারের কাছে একটি ডাস্টবিনও রেখে দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: জেলে সত্যেন্দ্রকে মালিশ করা ব্যক্তি ধর্ষণে অভিযুক্ত বন্দি! সরব বিজেপি

    বিতর্কের কেন্দ্র

    উল্লেখ্য,গত কয়েক দিন ধরেই সত্যেন্দ্র জৈনকে (Satyendra Jain) ঘিরে একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। যা নিয়ে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বিতর্কের কেন্দ্রে থেকেছেন।সত্যেন্দ্রর আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেছিলেন, গত ছ’মাসে শুধুই ফল, সব্জি, দানাশস্য, শুকনো ফল এবং খেজুর খেয়ে রয়েছেন। প্রত্যেক জেলবন্দির জন্য যে রেশন বরাদ্দ থাকে, তার আওতায় ওই ফলমূল কিনে খেয়েছেন বলে দাবি সত্যেন্দ্রের। অভিযোগ ছিল, গত ছ’মাস ধরে ধর্মীয় উপবাস করছেন সত্যেন্দ্র। তা সত্ত্বেও তাঁকে ফল, সব্জি, শুকনো ফল, খেজুর দিচ্ছেন না জেল কর্তৃপক্ষ। এর ফলে সত্যেন্দ্রর শরীরে ‘প্রোটিন ও আয়রনের ঘাটতি’ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। এই অবস্থায় প্রকাশ্যে এল এই ভিডিও ফুটেজ। যা নিয়ে পুরভোটের আগে দিল্লির রাজনীতি সরগরম।

  • Suvendu Adhikari:  সৌজন্য সাক্ষাত! রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: সৌজন্য সাক্ষাত! রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনে নতুন রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পরে আলাদাভাবে নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের  সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার পর ইংরেজিতে লেখা একটি গীতা তাঁকে উপহার দেন শুভেন্দু। রাজ্যপালও তাঁর নিজের লেখা একটি হিন্দি বই শুভেন্দুকে উপহার দেন। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষেই ডিসেম্বর রহস্যের উন্মোচন করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ডিসেম্বরে রাজ্যের সবচেয়ে বড় চোর ধরা পড়বে। 

    রাজ্যপালকে রিপোর্ট

    বুধবার বিকেলে রাজভবনে আনন্দ বোসের হাতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি রিপোর্ট তুলে দেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গে শাসকের আইন চলে, আইনের শাসন চলে না।” রাজ্যের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে রাজ্যপালকে বোঝানোর জন্যই এই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু বলেন, “ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে বইটি প্রকাশ করেছে, সেই বইটি তাঁর অনুমতি নিয়ে তাঁকে উপহার দিয়েছি। উনি এসেছেন সংবিধানকে রক্ষা করার জন্য। যাতে সরকার ফর দা পার্টি, বাই দা পার্টি, অব দা পার্টি না চলে… যাতে সরকার ফর দা পিপল, বাই দা পিপল, অব দা পিপল চলে… জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে যা বলে গিয়েছে, তা প্রথমদিন রাজ্যপালের কাছে বিরোধী দলনেতা হিসেবে তুলে দেওয়া আমার দায়িত্ব ছিল। বিরোধী দলনেতার পদকে আমি সম্মান করি। তার দায়িত্বটাও বুঝি। সেটাই পালন করেছি।” রাজ্যপাল সংবিধানকে রক্ষা করবেন। সংবিধানের যে চারটি স্তম্ভ রয়েছে – বিধানসভা, আমলা, বিচারব্যবস্থা ও সংবাদমাধ্যম যাতে আক্রান্ত না হয় তা উনি দেখবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু-সুকান্তরা, কেন?

    ডিসেম্বর তত্ত্ব

    গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে মাসখানেক আগে থেকেই বারবার ডিসেম্বর তত্ত্বের কথা উঠে এসেছে। অনেকেই বলছেন সরকার বদলাবে। অনেকে বলছেন অপেক্ষা করুন, কী হবে দেখাই যাবে। তবে এদিন নয়া রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর ডিসেম্বরে কী হতে চলেছে তা পরিষ্কার করে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “ডিসেম্বরে রাজ্যের সবথেকে বড় চোর ধরা পড়বে। বিধায়ক ভাঙিয়ে নয়, ভোটে জিতে সরকার গড়বে বিজেপি।” তবে রাজ্যের সবথেকে বড় চোর কে সে প্রসঙ্গে খোলসা করে কিছু বলেননি শুভেন্দু। তাঁর কথায়, সময় হলেই সবাই সব কিছু দেখতে পাবে। সত্যি সামনে আসবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mithun Chakraborty: দুর্নীতি থেকে হিংসা, শীর্ষে বাংলা! রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে হতাশ মিঠুন

    Mithun Chakraborty: দুর্নীতি থেকে হিংসা, শীর্ষে বাংলা! রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে হতাশ মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি থেকে হিংসা বাংলা এখন সব কিছুতেই শীর্ষে। আগে বাঙালি বলে গর্ববোধ হতো আর এখন বাঙালি শুনলে লোকে হাসে। শহরে এসেই বাংলার সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন বাঙালির রোল মডেল মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। শীতের শুরুতেই শাসক-বিরোধী দ্বন্দে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) সলতে পাকানো চলছে। এরই মধ্যে শহরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার নির্দেশে বাংলায় দলের হয়ে প্রচারে এসেছেন মিঠুন। রাজ্যে পা দিয়েই এখানকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শাসক থেকে সংবাদ মাধ্যম সবাইকেই দুষলেন মহাগুরু।

    মিঠুনের কথা

    কলকাতা বিমানবন্দরে পা রেখে মিঠুন (Mithun Chakraborty) জানান, দলের সভাপতির নির্দেশে রাজ্যে এসেছেন। যা করবেন সবাই জানতে পারবেন তিনি লুকিয়ে কিছু করবেন না। ইদানিং বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষের সুরে মিঠুন বলেন,  “বাংলার ইমেজ এখন ফাটাফাটি। সব জিনিস টপ গিয়ারে চলছে। দুর্নীতিতে নম্বর ওয়ান। হিংসায় নম্বর ওয়ান। এখন বাংলাকে হারানো মুশকিল আছে।” মিঠুনের দাবি, একটা সময় ছিল যখন বাঙালি বলে গর্ববোধ করা যেত। এখন কিছু বললে সকলে হাসে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিঠুন বলেন, “আগে একটা সময় ছিল যখন বাঙালি মানে গর্ববোধ করা যেত। সেটা যেন কোথায় একটা চলে গিয়েছে। যে জায়গায় চলে গিয়েছে বাংলা সেখান থেকে কী করে ফিরবে আমি জানি না। তবে এর জন্য আমরা সকলেই দায়ী।”

    আরও পড়ুন: সাংসদ ও বিধায়কেরা শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপিতে আসতে চাইছেন! দাবি মহাগুরু মিঠুনের

    সংবাদ মাধ্যমের সমালোচনা

    ক্ষোভের সুরে মিঠুন (Mithun Chakraborty) সংবাদমাধ্যমেরও সমালোচনা করেন। বলেন, “মিডিয়া দায়ী। ভোটের পরে যে হিংসা হয়েছে, সেটা কতটুকু দেখিয়েছে মিডিয়া? দেখালে আজকে এই জায়গাটা আসত না। একটা রাজ্যে কোনও মিডিয়াই ছিল না যারা এই হিংসাকে দেখাবে। ৫৯ জন মানুষকে খুন করা হয়েছে। ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে শেষ করে দিয়েছে। কিন্তু, এক-দুজন ছাড়া কোনও সংবাদমাধ্যম সামনে আসেনি। আমি বিজেপির হয়ে কথা বলছি না। আমি এটা সাধারণ মানুষ হিসাবে বলছি।”

    বিপ্লবের ডাক

    রাজ্যে শাসক দলের দুর্নীতি দূর করতে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মিঠুন (Mithun Chakraborty)। তিনি বলেন, দিনের পর দিন রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তারপরও হুঁশ ফিরছে না বাংলার মানুষের। তাঁর কথায়, “কোনও পলিটিক্যাল সাপোর্ট না নিয়ে রাস্তায় বসেছে, আন্দোলন করছে, এটা অনেক বড় ব্যাপার। কোনও বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেসের সাপোর্ট নেয়নি। কিন্তু, বাংলার মানুষের হল কী? যে বাংলাকে আন্দোলনের মুখ বলা হত, বিপ্লবের মুখ বলা হত সেই মানুষরা কোথায়? কেন পার্টিদের আসতে হবে? কেন লাগবে পার্টি? কালকে সব ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে যদি মাঠে মানুষ নেমে পড়ে। কিন্তু তারা কোথায়? আমি বিপ্লবের মধ্যে বড় হয়েছি। সেখানে এটা বুঝতেই পারি না কী করে হল। আমার মাথায় কিছু আসে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Gujarat Election: গুজরাটই পথ দেখাবে দেশকে! নির্বাচনী প্রচারে মোদিকে ফের প্রধানমন্ত্রী করার আর্জি হিমন্তের

    Gujarat Election: গুজরাটই পথ দেখাবে দেশকে! নির্বাচনী প্রচারে মোদিকে ফের প্রধানমন্ত্রী করার আর্জি হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে (Gujarat Election) ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে মোদিকে ফের দেশের প্রধানমন্ত্রী করার আর্জি জানালেন  বিজেপি নেতা তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Hemant Biswa Sarma)। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “যদি দেশে কোনও শক্তিশালী নেতা না থাকে তাহলে দেশে অরাজকতার সৃষ্টি হবে। একমাত্র মোদিই পারেন দেশকে এক সুতোয় বেঁধে রাখতে। আর গুজরাটের মানুষ রাজ্যে ফের বিজেপিকে বিপুল ভোটে জিতিয়ে মোদিকে ফের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দিকে এগিয়ে দেবেন।”

    আরও পড়ুন: টাকায় লক্ষ্মী-গণেশের ছবি ছাপানোর আবেদন কেজরির, কী বলল বিজেপি?

    গুজরাটই পথ দেখাবে

    সামনেই গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন (Gujarat Election)। সেই নির্বাচনের প্রচারেই গুজরাট গিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। কচ্ছে বিজেপির হয়ে প্রচার চালাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত করার আর্জি জানান তিনি। গুজরাটে এ নিয়ে তিনটি নির্বাচনী জনসভায় অংশ নিয়েছেন হিমন্ত। সুরাটেও সভা করেছেন তিনি। হিমন্ত বলেন, “গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে  বিজেপিকে বিপুল ভোটে জেতাতে হবে। গুজরাট নির্বাচন দেশের মানুষকে পথ দেখাবে। ” তাঁর মতে, দেশের এবং গুজরাটের সার্বিক বিকাশের জন্য কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই সেই রাজ্যের মানুষ আবার BJP-কেই ভোট দেবেন।

    আরও পড়ুন: ‘হিন্দু’ পার্সিয়ান শব্দ! কংগ্রেস নেতার ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানের জন্য লড়াই

    ২০১৭ সালের নির্বাচনে (Gujarat Election) ১৮২টির মধ্যে ৯৯টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। এবার তারা ১৪০ আসনে জিতবেন বলেও নিশ্চিত হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তাঁর দাবি, কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হওয়ার জন্য লড়াই করছে। একইসঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেও নিশানা করেন তিনি। এই নির্বাচনের প্রচারে এখনও দেখা যায়নি রাহুলকে। তিনি এখন ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নিয়ে ব্যস্ত। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর মতে, যখন যে রাজ্যে নির্বাচন হয় তখন সেই রাজ্যে থাকেন না রাহুল। রাহুল মাঠে নেমে লড়াই করতে ভয় পান বলেও কটাক্ষ করেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Baruipur: বারুইপুর হত্যাকাণ্ডে দিল্লির-শ্রদ্ধা খুনের ছায়া! বাবার দেহ টুকরো করল ছেলে

    Baruipur: বারুইপুর হত্যাকাণ্ডে দিল্লির-শ্রদ্ধা খুনের ছায়া! বাবার দেহ টুকরো করল ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুইপুরে (Baruipur) হত্যাকাণ্ডে দিল্লিতে শ্রদ্ধা-খুনের ছায়া। পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লির (Delhi) শ্রদ্ধা-হত্যার ঘটনা দেখেই খুন করে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দেহ টুকরো করে প্রমাণ লোপাটের ছক কষে  তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। 

    দেহ টুকরো করে লোপাটের চেষ্টা

    পুলিশের দাবি, বারুইপুরের প্রাক্তন নৌসেনাকর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে খুন করেছেন তাঁর ছেলে ও স্ত্রী। তারপর মাকে সঙ্গে নিয়েই শৌচাগারে বাবার দেহ টুকরো করে ছেলে। করাত দিয়ে ৬ টুকরো করা হয় দেহ। তিনবারে সরানো হয় প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর দেহাংশ। প্রথমবার মাকে নিয়ে সাইকেলে চাপিয়ে দেহাংশ পুকুরে ফেলে আসে ছেলে। পরে আরও দু’বার একাই সাইকেলে দেহাংশ নিয়ে ফেলে আসে ছেলে জয়।

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    গার্হস্থ্য হিংসার জের

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নৌসেনা থেকে অবসরের পর সারাক্ষণ নেশা করতেন উজ্জ্বল। তাঁর ছেলে জয় চক্রবর্তী পলিটেকনিক নিয়ে পড়াশোনা করে। ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় কোর্স ফি দেওয়া নিয়ে বাবার সঙ্গে বিবাদ বাধে ছেলের। এর জেরে ছেলের গায়ে হাত তোলে বাবা। বাবাকেও ধাক্কা দেয় জয়। মাটিতে পড়ে যান উজ্জ্বল। স্ত্রী শ্যামলীর গায়েও হাত তোলেন উজ্জ্বল। তাঁকে আটকাতে গিয়ে তাঁর গলা টিপে ধরে ছেলে। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে জয়। জেরায় জয় জানিয়েছে, সে বুঝতে পারেনি বাবা মারা যাবেন। কিন্তু পরে যখন বুঝতে পারে তখন ভয় পেয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে। ঘটনার সময় সামনেই ছিলেন উজ্জ্বলবাবুর স্ত্রী শ্যামলী। বারুইপুর পুলিশের এসপি বলেন, “ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স ও নেশা করা যে সমাজের জন্য কতটা ক্ষতিকর, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।”

    আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ৩২৫ জনের নিয়োগ করতে টাকা নিয়েছিলেন মানিক! ইডির হাতে নতুন তথ্য

    কীভাবে মিলল দেহ

    গত ১৭ নভেম্বর বারুইপুর –মল্লিকপুর সড়কের পাশে মদনমাল্য গ্রামের পুকুর থেকে উদ্ধার হয় উজ্জ্বলবাবুর দেহ। দেহের হাত পা ছিল কাটা। দেহটি গোসাপ খাচ্ছিল। তাই দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। শ্যামলীদেবী দেহ সনাক্ত করেন। তিনি জানান ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নেশা করতে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। কিন্তু গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে সময়ের কথা শ্যামলীদেবী বলছেন, তখন বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায়নি উজ্জ্বলবাবুকে। এর পরই মা ও ছেলেকে লাগাতার জেরা শুরু করেন গোয়েন্দারা। জেরায় ঘটনার কথা স্বীকার করে জয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Religious Conversion: জোর করে ধর্মান্তকরণ জামিন অযোগ্য অপরাধ উত্তরাখণ্ডে, হতে পারে ১০ বছরের জেল

    Religious Conversion: জোর করে ধর্মান্তকরণ জামিন অযোগ্য অপরাধ উত্তরাখণ্ডে, হতে পারে ১০ বছরের জেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর করে ধর্মান্তকরণ জামিন অযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে উত্তরাখণ্ডে। সাজার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ১০ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুষ্কর ধামির সরকার। সম্প্রতি জোর করে , ভয় দেখিয়ে বা লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তকরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। জবরদস্তি করে ধর্ম পরিবর্তন আটকাতে কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া আইন তৈরির সুপারিশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

    আরও পড়ুন: নোটবন্দির সিদ্ধান্ত সুবিবেচনা প্রসূত, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    উত্তরাখণ্ডে নয়া আইন

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের পর গতকাল বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকার এই সংক্রান্ত আইনের বিধান আরও কঠোর করল। জোর করে ধর্মান্তকরণ ও লাভ-জিহাদ আগেই নিষিদ্ধ করেছিল ওই রাজ্যের সরকার। এবার উত্তরাখণ্ড মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধর্ম পরিবর্তন আইনে কঠোর পরিবর্তন আনা হয়েছে। জোর করে ধর্মান্তকরণ জামিন অযোগ্য অপরাধ বলে ধরা হয়েছে। ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের।

    আরও পড়ুন: জোর করে ধর্মান্তকরণ, গুরুতর বিষয়! পদক্ষেপ নিক কেন্দ্র, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    আগের আইন

    ২০১৮ সালের এপ্রিলে উত্তরাখণ্ডে ধর্মের স্বাধীনতা আইন পাশ করা হয়। ওই রাজ্যের সরকারের অধীনে, জোরপূর্বক বা প্রতারণামূলক ধর্মান্তকরণের মামলাগুলিকে জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হত না। কারাবাসের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। যদিও পাশেই উত্তরপ্রদেশের আইনে ধর্মান্তকরণ জামিন অযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হয়। সাজার মেয়াদও ১০ বছর। উত্তরপ্রদেশের আইনকে মডেল করেই এবার উত্তরাখণ্ডে নয়া আইন তৈরি করা হল। গত ১৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ভয় বা লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তরকরণকে একটি গুরুতর বিষয় বলে অভিহিত করে। সোমবার একটি আবেদনের শুনানির সময়, আদালত বলেছে যে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ শুধুমাত্র ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারের বিরুদ্ধেই নয়, দেশের নিরাপত্তার জন্যও একটা চ্যালেঞ্জ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Akhil Giri: রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য! অখিল গিরিকে হলফনামা জমা দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    Akhil Giri: রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য! অখিল গিরিকে হলফনামা জমা দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য কেন করলেন অখিল গিরি(Akhil Giri)? তা জানাতে হবে হলফনামায়, বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। গত সপ্তাহে দেশের রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর রাজ্যের কারা দফতরের স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী অখিল গিরির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।  সেই মামলার শুনানিতে এদিন রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলকে সমর্থন করা বাংলাদেশিদের নামই ভোটার লিস্টে রাখুন’’, বিতর্কে বিধায়ক

    হাইকোর্টের বক্তব্য

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বাহ্যিক রূপ নিয়ে যে মন্তব্য অখিল করেছেন,তার বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষ থেকে আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত একটি মামলা করেন। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেন, কেন এমন মন্তব্য? তা হলফনামার আকারে জমা দিতে হবে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অখিল গিরির বিরুদ্ধে আদৌ কোনও পদক্ষেপ রাজ্য নিয়েছে কিনা তা রিপোর্ট আকারে জানাতে হবে। পাশাপাশি, এই মন্তব্য নিয়ে পুলিশের অনুসন্ধান রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। এই মামলা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন অখিলের আইনজীবী। আদালত লিখিত আবেদনের অনুমতি দিয়েছে। আগামী ১২ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

    আরও পড়ুন: অভিষেকই ‘কয়লা ভাইপো’? মেনে নিচ্ছে তৃণমূল?

    পুলিশের কাছেও রিপোর্ট তলব

    উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে এক প্রকাশ্য সভায় রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করায় অখিল গিরির নামে রাজ্যের একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এমনকী রাজধানী দিল্লিতেও অখিল গিরির নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যে যেসব অভিযোগ দায়ের হয়েছে রাজ্য পুলিশ সেই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী কী তদন্ত করেছে তার রিপোর্ট আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share