Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Suryakumar Yadav: সূর্যের তেজ! প্রথমবার আইসিসি টি-২০ ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষে সূর্যকুমার

    Suryakumar Yadav: সূর্যের তেজ! প্রথমবার আইসিসি টি-২০ ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষে সূর্যকুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সূর্যকুমার যাদবের দুরন্ত ফর্ম অব্যাহত। চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে চার ম্যাচে ১৬৪ রান করে ফেলেছেন তিনি। যাতে রয়েছে দু’টি অর্ধশতরানের ইনিংসও। সেই সুবাদে প্রথমবার আইসিসি টি-২০ র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এলেন তিনি। সিংহাসনচ্যুত করলেন পাকিস্তানের মহম্মদ রিজওয়ানকে। ‘স্কাই’-এর সংগৃহীত রেটিং পয়েন্ট ৮৬৩।  রিজওয়ানের ৮৪২। দশম স্থানে রয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি (৬৩৮)। ভারতের জার্সিতে অভিষেকের পর থেকেই ব্যাট হাতে আলো ছড়াচ্ছেন সূর্যকুমার। ক্রিজে এসে প্রথম বল থেকে মারমুখী মেজাজে থাকেন ‘স্কাই’। চলতি  বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে  পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাত্র ১৫ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয়  ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ঘুরে দাড়ান। উপহার দেন ৫১ রানের ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও দলের কঠিন পরিস্থিতিতে হাল ধরেছিলেন তিনি। হাঁকিয়েছিলেন আরও একটি দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরি। বাংলাদেশ ম্যাচেও সূর্যের ব্যাট থেকে বেরিয়েছে  রানের ফুলঝুরি। ১৬ বলে করেন ৩০ রান।

    ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে আইসিসি টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষস্থান দখলের জন্য সূর্যকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। বিসিসিআই ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে সূর্য কুমারের ছবি। তার প্রত্যুত্তরে ভারতীয় ব্যাটসম্যানটি লিখেছেন, “আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থনে আমি গর্বিত। যা আমাকে আরো কঠোর পরিশ্রম করার অনুপ্রেরণা যোগায়।”

    আরও পড়ুন: বিরাট রেকর্ড কোহলির! সচিনকে পিছনে ফেলে বিদেশের মাঠে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কে জানেন?

    দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন বিরাট কোহলি। তবে বিসিসিআই-এর (BCCI) ভারতের এবার বিশ্বকাপ জয় অনেকটাই নির্ভর করছে সূর্য কুমার যাদবের উপর। কারণ যে কোনও পিচে তিনি রান করতে সক্ষম। হাতে রয়েছে রকমারি শট। সেই কারণেই তো সূর্যকে বলা হয় থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি ব্যাটসম্যান। ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সূর্য কুমারকে। তিনি বলেছেন, শুধু টি-টোয়েন্টি (T- 20) ফরম্যাট নয় ওয়ানডের (ODI) পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটেও এরকম চমকপ্রদ ইনিংস খেলার ক্ষমতা রয়েছে সূর্য কুমারের। তাই ওকে অবিলম্বে লাল বলের ক্রিকেটে দেশের জার্সি গায়ে খেলানোর চিন্তা ভাবনা করা উচিত।

     

  • T20 World Cup:  জয়ের কাছাকাছি ছিলাম, তবে ম্যাচ শেষ করতে পারিনি! ভারতের কাছে হারের জন্য অনভিজ্ঞতাকেই দায়ী করলেন শাকিব

    T20 World Cup: জয়ের কাছাকাছি ছিলাম, তবে ম্যাচ শেষ করতে পারিনি! ভারতের কাছে হারের জন্য অনভিজ্ঞতাকেই দায়ী করলেন শাকিব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমর্থকরা যা-ই বলুন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের কাছে পাঁচ রানে হারের জন্য নিজেদের অভিজ্ঞতার অভাবকেই দুষছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “আমরা এই ধরনের ক্লোজ ম্যাচ খুব একটা খেলিনি। ফলে কীভাবে স্নায়ুর চাপ ধরে রেখে এই ধরনের ম্যাচ জিততে হয়, সে বিষয়ে আমরা অনভিজ্ঞ। ১৮৫ হোক বা ১৫১ রান, তাড়া করাটা অসম্ভব ছিল না। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা সেটা করতে পারিনি। আবেগ নিয়ন্ত্রণের অক্ষমতা এবং অভিজ্ঞতার অভাবেই আমরা হারলাম।” 

    [fb]https://fb.watch/gzqtY_eIBW/[/fb]

    বৃষ্টির জেরে ব্যাটিং টিম বাড়তি সুবিধা পায় বলেও দাবি করেন শাকিব, “ভেজা মাঠে সবসময় ব্যাটাররা সুবিধা পায়। কারণ সেসময় রান করা সহজ হয়। উল্টে আমরা বৃষ্টির পর মোমেন্টামটাই হারিয়ে ফেলি। আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারার কারণেই হারতে হল। কী ভাবে ম্যাচটা শেষ করতে হবে, সে সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারণা ছিল না।” ম্যাচ হারের জন্য কোনও বিশেষ মুহূর্তের কথা জিজ্ঞাসা করা হলে শাকিব জানান,  “লিটনের রান আউটটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বৃষ্টির পরেই আমরা ছন্দ হারালাম। কিন্তু বৃষ্টিকে তো আর নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।”

    আরও পড়ুন: বিরাট রেকর্ড কোহলির! সচিনকে পিছনে ফেলে বিদেশের মাঠে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কে জানেন?

    বৃষ্টির পর বাংলাদেশ কি আর খেলতে চাইছিল না? সে কথাই কি আম্পায়ারকে বলছিলেন তিনি? এক সাংবাদিকের এই প্রশ্নকেও দারুণভাবে সামলে দেন শাকিব। বাংলাদেশ অধিনায়ক হাসতে হাসতে জবাব দেন, “আমাদের হাতে কি কোনও সুযোগ ছিল? আম্পায়ারকে কি বোঝানোর ক্ষমতা আছে আমার?” ওই সাংবাদিক পুনরায় জানতে চান, তাহলে আপনি কি আম্পায়ারের সঙ্গে বাংলাদেশের নদী নিয়ে আলোচনা করছিলেন? তখনও মাথা ঠান্ডা রেখেই শাকিব ঘটনার বিবরণ দেন। বলেন, দুই দলের অধিনায়ককে ডেকেছিলেন আম্পায়ার এবং লক্ষ্যমাত্রা, কত ওভার বাকি ও খেলার নিয়ম বলছিলেন। সেই অনুযায়ীই খেলা এগিয়েছে।

     

  • IND vs BAN T20 World Cup: রানে ফিরলেন রাহুল! লোকেশের পর অর্ধশতরান কোহলির, বাংলাদেশের টার্গেট ১৮৫

    IND vs BAN T20 World Cup: রানে ফিরলেন রাহুল! লোকেশের পর অর্ধশতরান কোহলির, বাংলাদেশের টার্গেট ১৮৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য ১৮৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখল ভারত। ৪৪ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত কোহলি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক বিরাট। ছাপিয়ে গেলেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ব্যাটার মহেলা জয়বর্ধনেকে। বিরাট-ব্যাটে ভর দিয়েই বাংলাদেশের সামনে বড় রানের টার্গেট খাড়া করল ভারত। ছয় উইকেট হারিয়ে ভারত তুলল ১৮৪ রান। সমালোচনার জবাব দিয়ে ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি করলেন লোকেশ রাহুল। রাহুল স্যারের কথা ঠিক হল। ভরসা দিল ছাত্রের ব্যাট। ৭ রান করেন অক্ষর পটেল। ৫ রান করে ফিরলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। এদিন বড় রান করতে না পারলেও ১৬ বলে ৩০ রান করে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেন সূর্যকুমার যাদব। ব্যক্তিগত মাত্র ২ রানের মাথায় প্য়াভিলিয়ন ফেরেন রোহিত শর্মা।

    টি-২০ বিশ্বকাপের কার্যত ডু অর ডাই ম্যাচে এদিন অ্যাডিলেডে মুখোমুখি হয় ভারত বনাম বাংলাদেশ। এই ম্যাচের ফলের উপর অনেকটাই নির্ভর করছে দুই দলের সেমিফাইনাল ভাগ্য। তিনটি ম্যাচ খেলে ভারত জিতেছে দুটিতে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। চার পয়েন্ট নিয়ে রোহিত শর্মারা আপাতত রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। সম সংখ্যক ম্যাচ খেলে বাংলাদেশেরও সংগ্রহ চার পয়েন্ট। অর্থাৎ দুই দলই এই ম্যাচ জিততে মরিয়া। শাকিবদের কাছে হারলে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে ভারতীয় শিবিরে।

    তবে শুরুটা ভাল ছিল না রোহিতদের। অ্যাডিলেডে টস ভাগ্য সঙ্গ দিল না ভারত অধিনায়কের। টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাকিব। দুই দলে একটি মাত্র পরিবর্তন হয়েছে। ভারতীয় দলে দীপক হুডার বদলে দলে ফিরেছেন অক্ষর প্যাটেল। অপরদিকে, বাংলাদেশ দলে সৌম্য সরকারের পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। ভারতীয় দলের প্রথম একাদশের ব্যাটিং লাইনে কেএল রাহুল ও রোহিত শর্মা ওপেন করেছেন। এরপর মিডল অর্ডারে রয়েছেন দুরন্ত ফর্মে থাকা বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদব। দলে উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে আরও একবার সুযোগ পেয়েছেন দীনেশ কার্তিক। পেসার অলরাউন্ডার হিসেবে খেলছেন হার্দিক পান্ডিয়া। দলে প্রধান স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এছাড়া দলে বাঁ হাতি স্পিনার অলরাউন্ডার হিসেবে ফিরেছেন অক্ষর প্যাটেল।  

    আরও পড়ুন: আমরা জিততে আসিনি, তাই চাপটা ওদের, আমাদের নয়! ভারতের বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা দেওয়াই লক্ষ্য শাকিবের

    ভারতের প্রথম একাদশ: রোহিত শর্মা (ক্যাপ্টেন), লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, দীনেশ কার্তিক (উইকেটকিপার), অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মহম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমার ও অর্শদীপ সিং।

    বাংলাদেশের প্রথম একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, শাকিব আল হাসান (ক্যাপ্টেন), আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলি, নুরুল হাসান (উইকেটকিপার), মোসাদ্দেক হোসেন, তাস্কিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Maa Jagadhatri: সারদা মায়ের জন্মভিটেতেও পুজো হয় দেবী জগদ্ধাত্রীর! জানেন এর পিছনের গল্প?

    Maa Jagadhatri: সারদা মায়ের জন্মভিটেতেও পুজো হয় দেবী জগদ্ধাত্রীর! জানেন এর পিছনের গল্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান গদাধর চট্টোপাধ্যায় পরবর্তীকালে হয়েছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। তাঁর সহধর্মিণী সারদা দেবী বলতেন “আমি সকলের মা”। বাস্তবিকই তিনি ঠাকুরের শিষ্যদের মা হয়ে উঠেছিলেন। আজও ঠাকুরের সঙ্গেই তিনি ঘরে ঘরে পূজিতা হন। রামকৃষ্ণ-সারদা দেবী, মাতা কালীর আরাধনা করতেন। কিন্তু জানেন সারদা মায়ের নামের সাথে জগদ্ধাত্রী পুজোও সম্পর্কিত। সারদা মায়ের  জন্মভিটে জয়রামবাটির জগদ্ধাত্রী পুজো বিশেষ প্রসিদ্ধ। ১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর  বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমার অন্তর্গত প্রত্যন্ত গ্রাম জয়রামবাটির এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে সারদা দেবীর জন্ম হয়। সারদা দেবীর মাতার নাম ছিল শ্যামাসুন্দরী দেবী।

    আরও পড়ুন: রাত পোহালেই জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় মাতবে বাঙালি! জানেন কে এই পুজোর শুরু করেন?

    কথিত আছে, সারদাদেবীর মা শ্যামাসুন্দরী দেবী খুব অল্প বয়সেই বিধবা হন‌। বিধবা শ্যামাসুন্দরী দেবীর পক্ষে সংসারের ভরণপোষণ কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। সাংসারিক চাপে শ্যামাসুন্দরী দেবী বাধ্য হয়ে গ্রামের এক ধনী ব্রাহ্মণের বাড়িতে ধান ভানার কাজ বেছে নেন, যদিও  মা সারদা ততদিনে রামকৃষ্ণ জায়া হয়ে গিয়েছেন। শোনা যায়, মা সারদা দক্ষিণেশ্বর থেকে বাপের বাড়ি এলে,  শ্যামাসুন্দরী দেবীকে ধান ভানার কাজে সাহায্য করতেন। জয়রামবাটিতে সেসময় কালীপুজোতে গ্রামের জনৈক ব্রাহ্মণ নব মুখার্জী, প্রত্যেক গ্রামবাসীর ঘর থেকে মা কালীর পুজোর জন্য নৈবেদ্যের চাল নিতেন। হঠাৎ সে বছর কোনও এক অজ্ঞাত কারণে নব মুখার্জী শ্যামাসুন্দরী দেবীর বাড়িতে চাল নৈবেদ্য নিতে অস্বীকার করেন। এই ঘটনায় শ্যামাসুন্দরী দেবী অত্যন্ত মর্মাহত হন। অভাবের সংসার হলেও তিনি মা কালীর উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য অর্পণ করতে অপারগ নন। এই ভাবনায় শ্যামাদেবী একরাশ দুঃখ নিয়ে সারারাত কাঁদতে থাকেন। নিদ্রাহীন রাত্রিতে  হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করেন, তাঁর পাশে এক দেবী এসে তাঁকে বলছেন – ‘কাঁদছ কেন মেয়ে? তোমার নৈবেদ্য মা কালীর পুজোর জন্য নেয়নি তো কী হয়েছে, আমি তোমার নৈবেদ্য গ্রহণ করবো’। শ্যামাদেবীর বিশ্বাসে আবির্ভূত এই দেবী ছিলেন স্বয়ং মাতা জগদ্ধাত্রী। সেই বছরই অর্থাৎ ১৮৭৭ সালে  জয়রামবাটিতে শুরু হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। পুজোতে দক্ষিণেশ্বর থেকে এসে অংশগ্রহণ করেন স্বয়ং সারদাদেবীও। শোনা যায় এই পুজোর কথা শুনে উচ্ছ্বসিত হয়ে  রামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন- “মা আসছে, যা যা খুব মঙ্গল হবে তোদের।”

    আরও পড়ুন: কার্তিক মাসে গ্রাম বাংলায় পালিত হয় ‘যমপুকুর ব্রত’! জানেন এর নেপথ্য গল্প?

    কথিত আছে, এই জগদ্ধাত্রী পুজোর পরই শ্যামাদেবীর সংসারে উন্নতি আসে। অভাব মিটে  যায়। সারদা দেবীও প্রতিবছর  জয়রামবাটিতে গিয়ে পুজোর খুঁটিনাটি সমস্ত ব্যাপার দেখতেন । শোনা যায়, প্রথম বছর প্রতিমা নিরঞ্জনের দিন বৃহস্পতিবার ছিল। তাই সারদা দেবী লক্ষ্মীবারে বিসর্জন করতে দেননি জগদ্ধাত্রী প্রতিমা। পরদিন সংক্রান্তি ও তার পরদিন মাস পয়লা থাকায় ওই দুই দিনও বিসর্জন হয়নি। বিসর্জন হয় চতুর্থ দিনে।
    তাঁর প্রয়াণের পরেও বন্ধ হয়নি পুজো। আজও মহাসমারোহে জয়রামবাটিতে আরাধিতা হন দেবী জগদ্ধাত্রী। এরপর ১৯২৩ সালে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী সারদানন্দজীর উদ্যোগে জয়রামবাটিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় মিশন। এখন পুজোর দায়িত্বে রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তদের সমাগম হয়।

  • ICC T20 World Cup: খাতায় কলমে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত! শেষ বলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় টিম ইন্ডিয়ার

    ICC T20 World Cup: খাতায় কলমে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত! শেষ বলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় টিম ইন্ডিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানটান ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত করে ফেলল ভারত। লিগ টেবিলে শীর্ষস্থানে টিম ইন্ডিয়া। আক্ষরিক অর্থেই টিম-গেম। সকলের চেষ্টায় সফল ভারত। সঙ্গী বরুণ দেবও। বরুণ দেবের কৃপায় আত্মবিশ্বাস ফির পায় ভারত। বৃষ্টি-বিরতির পর থেকেই ম্যাচের রাশ চলে যায় ভারতের হাতে। প্রথমে ব্যাট করে ভারত তোলে ১৮৪ রান। ৪৪ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন কোহলি। সমালোচনার জবাব দিয়ে ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন লোকেশ রাহুল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্বপ্নের ইনিংস খেলছিলেন লিটন দাস। শুরু থেকেই ভারতীয় বোলারদের উপরে শাসন চালাতে থাকেন তিনি। অর্শদীপের সিংয়ের ওভার থেকেই হাত খুলতে শুরু করেন লিটন। অর্শদীপের ওভারে ওঠে ১২ রান। পরের ওভারে ভুবনেশ্বর দিলেন ১৬ রান। ষষ্ঠ ওভারে শামিও ১৬ রান দিলেন। দিশেহারা ক্যাপ্টেন রোহিত কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না। রোহিত-কোহলি আলোচনা করতে থাকেন কাকে বল দেবেন। তখনই বরুণ দেবের আশীর্বাদ। অঝোরে বৃষ্টি নামল অ্যাডিলেডে।

    বাংলাদেশের ইনিংসের মাঝে বৃষ্টি এসে খেলা বন্ধ রাখল আধ ঘণ্টারও বেশি। তার পরেই ম্যাচের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারাল বাংলাদেশ। তা সত্ত্বেও শেষ বল পর্যন্ত লড়ে গেল ভারতের পড়শি দেশ। শেষ হাসি অবশ্য রোহিত শর্মাদেরই। প্রথম দু ওভারে শামির দিয়েছিলেন ২১ রান। বৃষ্টি বিরতির পর আক্রমণে এসে প্রথম বলেই উইকেট। ফেরালেন ওপেনার নাজমুল হাসান শান্তকে। দুর্দান্ত ওভার। মাত্র ৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন বাংলার পেসার। ব্যাটিংয়ে ফর্মে ফিরেছেন। ডিরেক্ট থ্রোয়ে ফেরালেন বিপজ্জনক লিটন দাসকে। নিজের জাত চেনালেন লোকেশ রাহুল। ২৭ বলে ৬০ রানে ফিরলেন লিটন। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। বৃষ্টির পর ওভার কমে মোট ১৬ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৫১। হার্দিক ও অর্শদীপ পরপর দুই ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দেয়। জয়ের জন্য শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ২০ রান। অর্শদীপ সিংয়ের প্রথম বলে ১ রান নেন তাস্কিন। দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারেন নুরুল। তৃতীয় বলে কোনও রান দেননি অর্শদীপ। চতুর্থ বলে ২ রান নেন নুরুল। পঞ্চম বলে ৪ মারেন তিনি। সুতরাং জয়ের জন্য শেষ বলে ৭ রান দরকার বাংলাদেশের। ছয় মারলেই ম্যাচ গড়াবে সুপার ওভারে। তবে শেষ বলে ১ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেননি নুরুল। ফলে ৫ রানে ম্যাচ জেতে ভারত। 

  • Cattle Smuggling Case: দিল্লিতে ইডির দফতরে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা! কী প্রশ্ন করলেন তদন্তকারীরা?

    Cattle Smuggling Case: দিল্লিতে ইডির দফতরে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা! কী প্রশ্ন করলেন তদন্তকারীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। গরুপাচার মামলায় তাঁকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)  দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে তাঁকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। এর আগে গত ২৭ অক্টোবর সুকন্যাকে তলব করেছিল ইডি। তবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। ইডি’র তরফে সুকন্যাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২ নভেম্বর দিল্লিতে এসে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। এবার আর হাজিরা এড়াননি তিনি। এবার হাজিরা এড়ালে তাঁকে হয়ত গ্রেফতারির মুখে পড়তে হত।

    আরও পড়ুন: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ মুখে কালো মাস্ক পরে সুকন্যা ইডি অফিসে পৌঁছন। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও ইডি দফতরে আনা হয়। সকাল ১০টা নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছন সুকন্যা। তারও মিনিট পঞ্চাশেক আগে সায়গল হোসেনকে মেডিক্যাল চেক আপের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাঁকে ইডি দফতরে নিয়ে আসা হয়। জানা যাচ্ছে, তাঁদের আলাদা আলাদা রুমে বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। এরপর দুজনের বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে। পরে এক রুমে বসিয়েও জেরা করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। গরু পাচার কাণ্ডে যে ইডি অফিসার বাংলায় তদন্ত করেছেন, তিনিও রয়েছেন দিল্লি সদর দফতরে। তাঁর সাহায্যেই হয়ত তদন্ত চলবে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন! অভিযোগ শুভেন্দুর

    এর আগে ২৭ অক্টোবর সুকন্যা মণ্ডলকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। এবার তাঁকে যেতে হতই। সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিট অনুসারে ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে সুকন্যার আয় ছিল ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। অন্তত ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে সুকন্যার নামে। গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়েরও বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পায় ইডি। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা সুকন্যা এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথা থেকে পেলেন,তা প্রথমেই জানতে চায় ইডি। তদন্তকারীদের সন্দেহ,গরু পাচারের টাকাই সুকন্যার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়েছিল। যার ফলে তাঁর এই বিপুল সম্পদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • coimbatore-blast: কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণে আইএসআইএস যোগ, সন্দেহ এনআইএ-র! আসল লক্ষ্য ছিল কী?

    coimbatore-blast: কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণে আইএসআইএস যোগ, সন্দেহ এনআইএ-র! আসল লক্ষ্য ছিল কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোয়েম্বাতুরে (Coimbatore) মন্দিরের সামনে একটি গাড়ি বিস্ফোরণের তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে। ওই ঘটনায় হাত থাকতে পারে আইএসআইএস (ISIS) জঙ্গিদের। ওই ঘটনায় ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে,  শ্রীলঙ্কার ইস্টার হামলার সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এই বিস্ফোরণে নিহত জামেজা মুবিন। সূত্রের খবর, ওই বিস্ফোরণের আগে মুবিনরা কোয়েম্বাতুরের ছয়টি মন্দির ঘুরে দেখেছিল। কখন কোন মন্দিরে ভক্ত সমাগম বেশি হয় তা-ও খতিয়ে দেখা হয়েছিল। ভিড়ের মধ্যে মন্দিরে বিস্ফোরণ করার পরিকল্পনা ছিল তাদের, ধারণা তদন্তকারীদের।

    আরও পড়ুন: কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে এবার ইউএপিএ ধারায় মামলা পুলিশের

    গত ২৩ অক্টোবর, রবিবার ভোরে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাতুরের কোট্টাই ঈশ্বরান মন্দিরের কাছে একটি গাড়িতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় গাড়িতে থাকা যুবক জামেজা মুবিনের (Jameza Mubin)। সেই গাড়িতে পেরেক, সিলিন্ডার ও অন্যান্য বিস্ফোরক থাকায় পুলিশের অনুমান, বিস্ফোরক বানানোর চেষ্টায় ছিলেন মুবিন। এর পরেই এই দুর্ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি-যোগের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পাঁচ জনকে চিহ্নিত করা হয়। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি এই তদন্ত এনআইএ-র হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে। এনআইএ তদন্ত শুরু করার পরে পটাসিয়াম নাইট্রেট, অ্যালুমিনিয়াম পাউডার, সালফার এবং কাঠকয়লা-সহ ১০৯ রকমের বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয় মুবিন ও বাকি অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে।

    আরও পড়ুন: কোয়েম্বাতুর গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডে কেরল লিংক?

    বিস্ফোরণে নিহত জামেজা মুবিনকে ২০১৯ সালে একবার জেরা করেছিল এনআইএ (NIA)। তবে, সেই সময় তার থেকে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। রবিবার বিস্ফোরণের পর ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক যুবকের বাড়িতে তল্লশি চালিয়ে প্রায় ৭৫ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করে তামিলনাড়ু পুলিশ। UAPA ধারায় মামলা করে শুরু হয় তদন্ত। বিস্ফোরণের তদন্ত ভার নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিস্ফোরণে নিহত জামেজা মুবিন কেন ৭৫ কেজি বিস্ফোরক জমা করেছিল তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তাদের আরও বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও বিশেষ ব্যক্তি বা নেতা এই হামলার লক্ষ্য ছিল কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Team India: তিন ফরম্যাটে পৃথক অধিনায়ক! কী ভাবছেন বিসিসিআই কর্তারা?

    Team India: তিন ফরম্যাটে পৃথক অধিনায়ক! কী ভাবছেন বিসিসিআই কর্তারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বিশ্বকাপের পরেই টি-টোয়েন্টি (t20) অধিনায়কত্ব হারাতে পারেন রোহিত শর্মা। এমন ইঙ্গিত মিলেছে বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষ কর্তার বক্তব্যে। টি-টোয়েন্টিতে নতুন অধিনায়ক হিসেবে দৌড়ে রয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া, ঋষভ পন্থ ও লোকেশ রাহুল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে রোহিত শর্মাকে কেন টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে বিসিসিআই? এক্ষেত্রে ওই বোর্ড কর্তার যুক্তি, “২০২৪ সালে ফের হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এখন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাই আমরা। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির বয়স হয়েছে। ওদের পক্ষে তিন ফরম্যাটে সমান্তরালভাবে খেলা চালিয়ে যাওয়া ঝুঁকি হতে পারে। তাই ওদের বেছে বেছে গুরুত্বপূর্ণ টি-টোয়েন্টি সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্টে খেলানো হবে।” তুলনায় ওয়ানডে এবং টেস্ট ফরম্যাটে দুই তারকা ক্রিকেটারকে আরও বেশি করে মনোনিবেশ করার কথা বলতে পারেন নির্বাচকরা।

    রোহিত শর্মা যদি বেছে বেছে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন তাহলে তাঁর পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই নিউজিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য হার্দিক পান্ডিয়াকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। আসলে সামনের দিকে তাকাতে চাইছেন জাতীয় নির্বাচকরা। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওয়ার্ক লোড কমানোর চিন্তাভাবনাও চলছে। উল্লেখ্য গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল ভারত। তারপর বোর্ডের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন কোহলি। তার জেরে একের পর এক থেকে থেকে তাঁর অধিনায়কত্ব গিয়েছিল। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই রোহিত শর্মার নেতৃত্বও প্রশ্নের মুখে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়ক হিসেবে রোহিতের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো নয়। এশিয়া কাপে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলে তাঁর পক্ষে তিন ফরম্যাটেই নেতৃত্ব ধরে রাখা মুশকিল হবে।

    শুধু তাই নয় ২০২৩ সালে ভারতে হবে ওডিআই বিশ্বকাপ। ঘরের মাঠে খেতাব জয়ের প্রবল চাপ থাকবে টিম ইন্ডিয়ার উপর। ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে শেষবার ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। তারপর কেটে গিয়েছে এক যুগ। বিশ্বকাপের মঞ্চে বারবার হতাশ করেছে মেন ইন ব্লু। সেই ধারা অব্যাহত থাকলে একদিনের ক্রিকেটেও অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে রোহিত শর্মাকে সরিয়ে দেওয়া হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

  • T-20 World Cup: আজ কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল! বাংলাদেশকে হারাতে পারলেই শেষ চারের খুব কাছে টিম ইন্ডিয়া

    T-20 World Cup: আজ কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল! বাংলাদেশকে হারাতে পারলেই শেষ চারের খুব কাছে টিম ইন্ডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কিছুক্ষণ পরেই অ্যাডিলেডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T-20 World Cup) গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত বাংলাদেশ। এই ম্যাচের ফলের উপর অনেকটাই নির্ভর করছে দুই দলের সেমিফাইনাল ভাগ্য। তিনটি ম্যাচ খেলে ভারত জিতেছে দুটিতে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। চার পয়েন্ট নিয়ে রোহিত শর্মারা আপাতত রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। সম সংখ্যক ম্যাচ খেলে বাংলাদেশেরও সংগ্রহ চার পয়েন্ট। অর্থাৎ দুই দলই এই ম্যাচ জিততে মরিয়া হয়ে মাঠে নামবে।

    টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখনও পর্যন্ত ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত বাংলাদেশ। তারমধ্যে দশবার জিতেছে ভারত। সর্বসাকুল্যে বাংলাদেশ জয়ের মুখ দেখেছে একবার। পরিসংখ্যানই স্পষ্ট এই ম্যাচে পাল্লা ভারি টিম ইন্ডিয়ার। যদিও খেলাটা যেহেতু ক্রিকেট আর ফরম্যাট যখন টি-টোয়েন্টি তখন অনেক কিছুই ঘটতে পারে। ইতিমধ্যেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে ঘটে গিয়েছে বেশ কয়েকটি অঘটন। তাই রোহিত শর্মারা একটু সতর্ক হয়েই মাঠে নামতে চাইছেন।

    আরও পড়ুন: আমরা জিততে আসিনি, তাই চাপটা ওদের, আমাদের নয়! ভারতের বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা দেওয়াই লক্ষ্য শাকিবের

    ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে রয়েছে বৃষ্টির ভ্রুকুটি। মঙ্গলবার অবিরাম বৃষ্টির জেরে দুই দলের ক্রিকেটারদের ইন্ডোরে প্র্যাকটিস করতে হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার হাওয়া অফিস জানিয়েছে ম্যাচের দিনও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বইছে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। এই পরিবেশে দুই দলের পেশাররা একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। শেষ হাসি কারা হাসেন সেটাই দেখার।

    কোথায় হবে খেলা?
    অ্যাডিলেড ওভালে এই ম্যাচটি খেলা হবে।

    কখন শুরু ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচটি?
    ভারতীয় সময় অনুযায়ী দুুপুর ১.৩০ থেকে শুরু ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচটি। টস হওয়ার কথা তার আধ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ দুপুর ১টায়।

    কোথায় দেখা যাবে ভারত বনাম বাংলাদেশ এই ম্যাচটি?
    স্টার স্পোটর্স নেটওয়ার্কে দেখা যাবে এই ম্যাচটি।

    অনলাইনে কীভাবে দেখবেন এই ম্যাচ?
    অনলাইনে হটস্টার অ্যাপে দর্শকরা ভারত বনাম বাংলাদেশ এই ম্য়াচটি দেখতে পারবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Gujarat Bridge collapse: কাউকে আড়াল করা হবে না! মোরবি সেতু বিপর্যয়ে উচ্চপর্যায় তদন্তের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    Gujarat Bridge collapse: কাউকে আড়াল করা হবে না! মোরবি সেতু বিপর্যয়ে উচ্চপর্যায় তদন্তের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোরবি সেতু দুর্ঘটনায় (Morbi Bridge Collapse) কোনওভাবেই দোষীদের আড়াল করা হবে না। আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। গভীরে গিয়ে তদন্ত করতে হবে, বলেন মোদি। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনার সবিস্তার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রয়োজনে গভীরে গিয়ে তদন্ত করতে হবে। চিহ্নিত করতে হবে দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত দিকগুলি। তার থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: মোরবির দুর্ঘটনায় মোদির পাশে থাকার বার্তা বাইডেনের! আজ ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী মোদি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে এবং এই সময়ে তাঁরা যাতে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য পায় তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী উদ্ধারকাজ, এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার বিষয়ে বিশদে খোঁজ খবর নেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এই দুর্ঘটনার বিস্তারিত ও ব্যাপক তদন্তের প্রয়োজন। তার জন্য সময় লাগবে।” মোরবি সিভিল হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন মোদি। রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের মোরবি জেলায় মাচ্ছু নদীতে পড়ে যায় পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা আস্ত একটি কেবল ব্রিজ। যে সময় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে তখন সেখানে প্রায় ৪০০-র বেশি পর্যটক ছিল বলে জানা যায়। ইতিমধ্যেই ১৭৭ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে এসডিআরএফ, এনডিআরএফ, সামরিক বাহিনী, নৌসেনা, বায়ুসেনা।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে সেতু ভেঙে মৃত অন্তত ১৩২, ঘটনাস্থলে তদন্তকারী দল

    মোরবিতে সেতু দুর্ঘটনায়  শোকের ছায়া গোটা দেশে। সরকারি সূত্র মতে, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৩৫ জন। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। এবার শোক প্রকাশ করতে দেখা গেল চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে (Chinese President Xi Jinping)। ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে শোক বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংও শোক বার্তা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি লিখেছেন। একইসঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার সাইমন ওং-ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। আজ, ২ নভেম্বর, বুধবার রাজ্যব্যাপী শোক পালনের সিদ্বান্ত নিয়েছে গুজরাট সরকার। রাজ্যের সরকারি ভবনগুলিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রয়েছে। এদিন কোনও সরকারি অনুষ্ঠান,সংবর্ধনা বা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share