Author: subhra-katwa

  • China: ব্রহ্মপুত্রের ওপরে বিশ্বের বৃহত্তম নদীবাঁধ তৈরির কাজ শুরু করল চিন, কেন ভারতের কাছে আশঙ্কার?

    China: ব্রহ্মপুত্রের ওপরে বিশ্বের বৃহত্তম নদীবাঁধ তৈরির কাজ শুরু করল চিন, কেন ভারতের কাছে আশঙ্কার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সীমান্তঘেঁষা তিব্বতের অংশে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর বিশ্বের বৃহত্তম নদীবাঁধ নির্মাণের কাজ শনিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করল চিন (China)। চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘জিনহুয়া’ জানিয়েছে, ইয়ার্লুং সাংপো (যা ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত) নদীর নিম্নভূমিতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বাঁধ নির্মাণের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী লি কুয়াং। জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৪.৪ লক্ষ কোটি টাকা বা ১.২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান।

    কেন ভারতের জন্য আশঙ্কার কারণ হতে পারে?

    তিব্বতের এই ইয়ার্লুং সাংপো নদ ভারতে প্রবেশ করে অরুণাচল প্রদেশে সিয়াং নামে পরিচিত হয় এবং এরপর অসমে এসে ব্রহ্মপুত্র (Brahmaputra River) নাম ধারণ করে। ২০১৫ সাল থেকে ভারতের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে চিন একাধিক পর্যায়ে নদীর উপর নির্মাণকাজ চালিয়ে আসছে। এতে নদীর জলের স্তর হ্রাস পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে এই বাঁধের কারণে অসম, অরুণাচল সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে জলসংকট দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সতর্ক করেছেন, তিব্বতে চিনের (China) এই বাঁধ ভারতের জন্য এক গুরুতর নিরাপত্তা হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তাঁর মতে, এই বাঁধ কার্যত একটি বিস্ফোরক সময়বোমার মতো।

    প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশেও

    চিনের (China) এই প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে ভারত। যদিও সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি, তবু নয়াদিল্লি পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে বলে সূত্রের খবর। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বাঁধটি নির্মাণ করা হচ্ছে ব্রহ্মপুত্রের একটি বাঁক বরাবর, যার ফলে নদীর জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা চিনের হাতে চলে যেতে পারে। বর্ষাকালে নদীতে অতিরিক্ত জল ছেড়ে নিচের দিকের এলাকায় বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি করা এবং শুষ্ক মৌসুমে জলধারণ কমিয়ে দিয়ে তীব্র জলাভাব তৈরি করার আশঙ্কা করছেন অনেকে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র এমন একটি অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, ফলে এলাকা ভূমিকম্পপ্রবণ। নদীর স্বাভাবিক গতি কৃত্রিমভাবে বাঁধা দিলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। যদিও চিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের নির্মিত বাঁধ পরিবেশের কোনও ক্ষতি করবে না। বরং প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বেজিং (China)।

  • Rani Abbakka Chowta: মধ্যযুগে নারীরাও শিখতেন যুদ্ধ বিদ্যা, জানুন কর্নাটকের যোদ্ধা রানি আবাক্কা চৌতার কাহিনি

    Rani Abbakka Chowta: মধ্যযুগে নারীরাও শিখতেন যুদ্ধ বিদ্যা, জানুন কর্নাটকের যোদ্ধা রানি আবাক্কা চৌতার কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানি আবাক্কা চৌতা (Rani Abbakka Chowta)। ষোড়শ শতকের এই রানি, চৌতা রাজবংশের শাসক ছিলেন এবং কর্নাটকের উপকূলবর্তী অঞ্চলে রাজত্ব করতেন, যা তুলুনাড়ু (Tulu Nadu) নামে পরিচিত ছিল। জানা যায়, তিনি একটি যোদ্ধা পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন। এই চৌতা রাজবংশ কর্নাটকে দ্বাদশ শতক থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত শাসন করে ছিল।

    মহিলারাও পেতেন যুদ্ধ বিদ্যার প্রশিক্ষণ (Rani Abbakka Chowta)

    এই সময়ে তারা একটি বিশেষ সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন, যার নাম ছিল আলিয়াসনাতন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি হিন্দু পরিবারের পুরুষ সদস্যরা যেমন যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী হতেন, তেমনি মহিলারাও ঘর সামলানোর পাশাপাশি সরকারি কাজে অংশগ্রহণ করতেন। এই সংস্কৃতি ও সামাজিক কাঠামো ছিল এমন এক ভিত্তি, যেখানে মহিলারা মিলিটারি প্রশিক্ষণ পেতেন এবং রাজ্যশাসন সম্পর্কেও পারদর্শিতা অর্জন করতেন। এই আলিয়াসনাতন ব্যবস্থা ভারতবর্ষে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করে—যেখানে মহিলারা যুদ্ধবিদ্যার প্রশিক্ষণ পেতেন, মার্শাল আর্ট শিখতেন এবং রাজনীতি ও প্রশাসন চালাতে সক্ষম হতেন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমেই রানি আবাক্কা চৌতা-র উত্থান হয় এবং তাঁকে একজন যোদ্ধা রানি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রাচীন ভারতের এই সমাজব্যবস্থা নারীর ক্ষমতায়নকেই প্রতিফলিত করে। পাশ্চাত্যের থেকেও প্রাচীন ভারতে নারীরা এগিয়ে ছিলেন বলে ইতিহাসবিদরা মনে করেন।

    কাকা তিরুমালা রায়ের কাছে প্রশিক্ষণ নেন আবাক্কা (Rani Abbakka Chowta)

    জানা যায়, আবাক্কা চৌতা-র (Rani Abbakka Chowta) কাকা তিরুমালা রায় কর্ণাটকের উলাল অঞ্চলের শাসক ছিলেন (১৫১০ থেকে ১৫৪৪ সাল পর্যন্ত)। তিনিই আবাক্কাকে মার্শাল আর্ট, মিলিটারি কৌশল, এবং রাজ্যশাসন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন। তিরুমালা রায়ের পরেই আবাক্কা চৌতা সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। কেউ কেউ বলেন, তাঁর শাসনকাল শুরু হয় ১৫২৫ সালে, আবার অনেকে বলেন ১৫৪৪ সাল থেকে। ঐতিহাসিকদের মতে, আবাক্কা চৌতা-র শাসনকাল ছিল সুশাসনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর রাজত্বে জৈন, হিন্দু ও মুসলিম — সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকারভোগী ছিলেন এবং তাঁর দরবারে স্বাধীনভাবে উপস্থিত হতে পারতেন। তাঁর প্রশাসনে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই সুযোগ পেতেন। এমনকি তাঁর সেনাবাহিনীও ছিল বহুধর্মীয় ও বহুজাতিক। এইভাবেই আবাক্কা চৌতা ইতিহাসে একজন প্রগতিশীল, সাহসী এবং দক্ষ শাসক ও যোদ্ধা রানি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।

  • Malati Murmu: অযোধ্যা পাহাড়ের কোলে বিনা পয়সার স্কুল গড়েছেন মালতী মুর্মু, পড়ছে আদিবাসী শিশুরা

    Malati Murmu: অযোধ্যা পাহাড়ের কোলে বিনা পয়সার স্কুল গড়েছেন মালতী মুর্মু, পড়ছে আদিবাসী শিশুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের (Ayodhya Hills) কোলে ছোট্ট গ্রাম। নাম জিলিং সেরেং। পাহাড়ের হিলটপ থেকে প্রায় ২৫ কিমি দূরে। নেই আধুনিকতার ছোঁয়া। নেই বিদ্যুৎ, নেই রাস্তা। নেই সুযোগ-সুবিধা। তাতে কি! জনজাতি গ্রামের এক গৃহবধূ, এক মা নিজেই এগিয়ে নিয়ে চলেছেন শিক্ষার মশাল। নাম মালতী মুর্মু (Malati Murmu)। দুই মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে প্রায় ৪৫ জন শিশুকে পড়াচ্ছেন তিনি। না, কোনও বেতন নেই। নেই সরকারি সার্টিফিকেট। নেই মিড-ডে মিলের সাহায্য। আছে জনজাতি মায়ের এক অদম্য এক ইচ্ছাশক্তি। আছে ভালোবাসা। রয়েছে সংকল্প। সমাজকে বদলাতে হবে। সকাল হলেই মালতী দিদিমণির স্কুল শুরু হয়। একটা নামমাত্র ঘর রয়েছে। আছে কিছু খাতা-কলম, আর অনেকগুলো খুদে মুখ। যাদের চোখে রয়েছে স্বপ্ন। আর দিদিমণির কাছে শেখার আগ্রহ।

    করোনার ঢেউয়ে থেমে গিয়েছিল পৃথিবী, তখনই শুরু হয়েছিল মালতীদেবীর পথচলা

    ২০২০ সালে করোনার প্রথম ঢেউয়ে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা পৃথিবী। লকডাউনের সময় বন্ধ ছিল স্কুল। অনলাইনে পড়াশোনা শুরু হয়, কিন্তু সেই সময় গ্রামের অধিকাংশ ছেলেমেয়ের কাছেই স্মার্টফোন ছিল না। তখনই মালতি মুর্মু (Malati Murmu) নিজে একটি স্কুল গড়ার কথা ভাবেন। তিন-চারজন শিশুকে নিয়ে শুরু পথচলা। এই গ্রামে মোট পরিবার রয়েছে ৯৫টি। তবে অধিকাংশ লোকজনই জানেনা পড়াশোনা। শিক্ষার আলো হাতে মালতীদেবীর এগিয়ে চলা মুছে দিচ্ছে গ্রামের অশিক্ষার আলো।

    দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন মালতীদেবী

    জানা যায়, মালতি মুর্মুর (Malati Murmu) বিয়ে হয় ২০১৯ সালে। তারপর তিনি জিলিং সেরেং গ্রামের এক বাড়িতে আসেন। তখন তাঁর কোনও পরিকল্পনাই ছিল না শিক্ষক হওয়ার। অন্যান্য মহিলাদের মতো তিনিও বাড়ির কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। এরপর তিনি লক্ষ্য করেন যে, গ্রামে একটি স্কুল আছে বটে, তবে শুধুমাত্র তার পরিকাঠামোই আছে—সেখানে কেউ পড়াতে আসেন না। এরপরেই তিনি নিজের একটি ঘরে স্কুল শুরু করেন। জানা যায়, তিনি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।

    কোন কোন বিষয় পড়ানো হয়?

    বর্তমানে ৪৫ জন পড়ুয়া প্রতিদিন মাটিতে বসে মালতি মুর্মুর কাছে ক্লাস নেন। তারা পড়েন ও লেখেন সাঁওতালি ভাষায় এবং অলচিকি অক্ষরে। এর পাশাপাশি সেখানে বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক ও বিজ্ঞানও পড়ানো হয়। জানা যাচ্ছে, মালতি মুর্মু (Malati Murmu) নিজেই বলেন, শিক্ষা শুধুমাত্র পরীক্ষা পাশ করার জন্য নয়—শিক্ষা কুসংস্কার দূর করে, শ্রদ্ধাবোধ আনে এবং সমাজে সমতা গড়ে তোলে। প্রথমে যখন মালতি এই স্কুল খুলেছিলেন, তখন অনেকেই এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু এখন প্রত্যেকেই তাঁকে বিশ্বাস করেন এবং নিজেদের সন্তানদের তাঁর কাছে পড়তে পাঠান ভবিষ্যৎ নির্মাণের আশায়।

    নিজের সংকল্পে অটুট ছিলেন মালতী, শিক্ষিত করতেই হবে শিশুদের

    এমন উদ্যোগের কথা মালতীদেবী প্রথম তাঁর স্বামীকে জানান। পেশায় কৃষিজীবী স্বামী প্রথমে সায় দেননি (Ayodhya Hills)। সংসার, সন্তান, খেতের কাজ সব সামলে আবার পড়ানো! কীভাবে সম্ভব! কিন্তু মালতী মুর্মুর অদম্য মনোবলের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি কোনও কিছুই। অবশেষে স্বামীও বুঝলেন। পাশে দাঁড়ালেন স্ত্রীর। একজন গৃহবধূ, একজন মা, নিজে হাতে গড়ছেন ভারতের ভবিষ্যৎ। মালতী মুর্মু যেন এক জীবন্ত প্রতিমা। যিনি আমাদের শেখাচ্ছেন, সমাজ বদলাতে লাগে মনের ইচ্ছা আর সংকল্প। এর সামনে টিকতে পারেনা কোনও বাধা।

  • Daily Horoscope 20 July 2025: খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 20 July 2025: খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) মা-বাবার সঙ্গে জরুরি আলোচনা।

    ২) দুপুরের পরে কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে ক্ষতি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মিথুন

    ১) মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) সাবধান থাকুন।

    কর্কট

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ২) দাম্পত্য জীবনে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    সিংহ

    ১) খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কন্যা

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের চক্রান্তে সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    তুলা

    ১) মনে দুর্বুদ্ধির উদয় হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক-বিতর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) বাণীতে সতর্ক থাকুন।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের যোগ।

    ২) আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভাল সময়।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মকর

    ১) বিষয়সম্পত্তি কেনাবেচা নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য পরিবারে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কুম্ভ

    ১) সকালের দিকে পেটব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কিছু কেনার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) ভ্রমণে যাওয়ার আলোচনা এখন বন্ধ রাখাই ভালো।

    ২) সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩)  ধৈর্য্য ধরতে হবে আরও বেশি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 415: একজন অফিসওয়ালার বাড়িতে এরা সব যায়, সেখানে তারা ব্রাহ্মসমাজ করে

    Ramakrishna 415: একজন অফিসওয়ালার বাড়িতে এরা সব যায়, সেখানে তারা ব্রাহ্মসমাজ করে

    অর্থাৎ বাইরে থেকে পবিত্রতা দেখালেও ভেতরে যদি কিছু না থাকে, তাহলে শুধু ভণ্ডামি।

    চুনিলাল — এঁর (মাস্টার) ছোট নরেন, বাবুরাম, ও পরে নারায়ণ, পল্টু, তেজো, চন্দ্র — এরা সব ওঁর কাছে পড়তে আসে। কথা উঠেছে যে উনি (চুনিলাল) তাদের এখানে এনেছেন, আর তাদের পড়াশোনা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মাস্টারের নামে দোষ দিচ্ছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ — তাদের কথা কে বিশ্বাস করবে?

    এই সকল কথাবার্তা হচ্ছিল, এমন সময় নারায়ণ এসে ঠাকুরকে প্রণাম করল। নারায়ণ গৌরবর্ণ, বয়স ১৭-১৮ বছর, স্কুলে পড়ে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাকে খুব ভালোবাসেন — তাকে দেখার জন্য, তাকে খাওয়ানোর জন্য ব্যাকুল থাকেন। তার জন্য দক্ষিণেশ্বরে বসে বসে কাঁদেন। নারায়ণকে তিনি সাক্ষাৎ নারায়ণ (ভগবান) বলে মনে করেন।

    গিরিশ (নারায়ণ দৃষ্টে-) কে খবর দিলে? মাস্টারি দেখছি সব ছাড়লে, সকলের হাস্য।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)- রোসো, চুপচাপ করে থাকো, এর নামে একে বদনাম উঠছে।

    অন্য চিন্তা চমৎকার—ব্রাহ্মণের প্রতিগ্রহ করার ফল।

    আবার নরেন্দ্রর কথা পরিল।

    একজন ভক্ত- এখন তত আছেন না কেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ- অন্য চিন্তা চমৎকার! কালিদাস হয় বুদ্ধিহীনা।

    বলরাম- শিব গুহর বাড়ির ছেলে অন্নদা গুহর কাছে খুব আনাগোনা আছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- হ্যাঁ, একজন অফিসওয়ালার বাড়িতে এরা সব যায়। সেখানে তারা ব্রাহ্মসমাজ করে।

    একজন ভক্ত: তার নাম তারাপদ।

    বলরাম (হাসিতে): ব্রাহ্মণরা বলে অন্নদা গুহ লোকটার বড় অহংকার।

    শ্রীরামকৃষ্ণ: ব্রাহ্মণদের ওসব কথা শুনো না। তাদের তো জানো—না দিলেই খারাপ লোক, দিলেই ভালো। সকলের হাস্য! অন্নদাকে আমি জানি, ভালো লোক।

  • Arshad Nadeem: প্রতিশ্রুতি দিয়েও জমি দেয়নি পাক সরকার, ক্ষোভ প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনা জয়ী আরশাদ নাদিমের

    Arshad Nadeem: প্রতিশ্রুতি দিয়েও জমি দেয়নি পাক সরকার, ক্ষোভ প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনা জয়ী আরশাদ নাদিমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিক্সে ইতিহাস গড়েও জমি পাননি পাকিস্তানের আরশাদ নাদিম (Arshad Nadeem)। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক্সে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করে দেশের জন্য সোনার পদক জেতেন পাকিস্তানের জ্যাভেলিন তারকা আরশাদ নাদিম। এই জয় ছিল ঐতিহাসিক—কারণ, অলিম্পিক্স ইতিহাসে সেই প্রথম কোনও পাকিস্তানি অ্যাথলিট ব্যক্তিগত বিভাগে সোনার পদক জিতেছিলেন। দেশে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সরকার এবং একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আরশাদকে নানা পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয় (Pakistan)। কারও পক্ষ থেকে আর্থিক পুরস্কার, তো কারও পক্ষ থেকে জমির আশ্বাস—ঘোষণার বন্যা বইতে থাকে। তবে আশ্চর্যের বিষয়, আজও সেই প্রতিশ্রুত জমির একটি টুকরোও হাতে পাননি তিনি।

    প্রতিশ্রুতি এখনও বাস্তব হয়নি, ক্ষোভের কথা জানালেন আরশাদ

    ‘জিও টিভি’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরশাদ নাদিম নিজেই জানিয়েছেন, “পাকিস্তান সরকার (Arshad Nadeem) আমাকে জমি দেওয়ার কথা বলেছিল, কিন্তু বাস্তবে কিছুই পাইনি। এটা ছিল একেবারেই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। তবে অন্যান্য নগদ পুরস্কার আমি পেয়ে গিয়েছি।” সরকারের পক্ষ থেকে জমির প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলেও, আরশাদ জানিয়েছেন যে তিনি এখন পুরোপুরি নিজের অ্যাথলেটিক্স কেরিয়ারে মনোযোগ দিচ্ছেন। লক্ষ্য একটাই—নিজেকে আরও উন্নত করা।

    অলিম্পিক্সে আরশাদের বিস্ময়কর পারফরম্যান্স (Arshad Nadeem)

    ২৮ বছর বয়সি আরশাদ নাদিম (Arshad Nadeem) প্যারিস অলিম্পিক্সে ৯২.৯৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভেলিন ছুড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকেন এবং স্বর্ণপদক জেতেন। ঠিক তাঁর পরেই দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন ভারতের জ্যাভেলিন সেনসেশন নীরজ চোপড়া, যিনি রুপোর পদক ঘরে তোলেন। বর্তমানে এই দুই তারকার মধ্যে দ্বৈরথ দেখতে মুখিয়ে ক্রীড়াপ্রেমী বিশ্ব। ১৬ অগাস্ট, পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে সিলেসিয়া ডায়মন্ড লিগ। সেখানে আবার মুখোমুখি হবেন এই দুই শীর্ষ প্রতিযোগী। ১৯৯৭ সালে পাকিস্তানের (Pakistan) পাঞ্জাব প্রদেশে জন্ম নেন আরশাদ। ছোটবেলায় খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ থেকেই ধীরে ধীরে তিনি পা রাখেন জ্যাভেলিনে। এই খেলা তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। অলিম্পিক্স ছাড়াও কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতে নিজের কেরিয়ারে নতুন উচ্চতা ছুঁয়েছেন তিনি।

  • Calcutta High Court: ২১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মধ্য কলকাতায় যেন যানজট না-হয়! নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ২১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মধ্য কলকাতায় যেন যানজট না-হয়! নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস উপলক্ষে কলকাতায় মিছিলের দিন যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ওই দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত মিছিল করা যাবে। সকাল ৯টার মধ্যে মিছিল যেখানেই থাকবে, সেখানেই সেটিকে থামিয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শহরে যেন কোনও যানজট না হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police)। এই সংক্রান্ত মামলাটি দায়ের করে অল ইন্ডিয়া লয়্যার্স ইউনিয়ন। এই মামলাতেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রাস্তাসহ মধ্য কলকাতা এবং আশপাশের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে যান চলাচল যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, তা কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে নিশ্চিত করতে হবে। এই নির্দেশ কেবল কলকাতা পুলিশের অধীনস্থ এলাকাগুলির জন্য প্রযোজ্য। বেলা ১১টার পর মিছিল স্বাভাবিক নিয়মেই চলতে পারবে বলে আদালত জানিয়েছে (Calcutta High Court)।

    পুলিশ কমিশনারের পদক্ষেপ স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন

    বিচারপতি এদিন জানতে চান, সভায় কতজনের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাজ্যের আইনজীবী জানান, প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের জমায়েত হতে পারে। বিচারপতি তখন বলেন, ‘‘আপনার এই বক্তব্য রেকর্ডে আনব?’’ উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘‘এটা নতুন কিছু নয়।’’ বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কলকাতার পুলিশ (Kolkata Police) কমিশনার একজন সরকারি কর্মচারী। তিনি কী কী পদক্ষেপ করছেন, তা স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। যদি পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়, তখন কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা-ও আগে থেকে পরিকল্পনা করা দরকার। তিনি আরও বলেন, আমহার্স্ট স্ট্রিট ও কলেজ স্ট্রিট বন্ধ হলে উত্তর কলকাতার (Calcutta High Court) স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থমকে যাবে।

    যানজটের অভিযোগ দীর্ঘদিনের

    আসলে, ২১ জুলাইয়ের তৃণমূল কর্মসূচির কারণে মধ্য কলকাতায় দীর্ঘ যানজটের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই প্রেক্ষিতে ধর্মতলার মতো জনবহুল এলাকায় একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে কর্মসূচি করার অনুমতি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে আবেদনকারীরা। বিচারপতি ঘোষের এজলাসে মামলার শুনানিতে আদালত (Calcutta High Court) প্রশ্ন তোলে — একটানা কতদিন রাস্তা বন্ধ করে এই ধরনের কর্মসূচি মেনে নেওয়া সম্ভব? তিনি বলেন, “এই বছর কর্মসূচির স্থান পরিবর্তন করছি না, তবে কিছু শর্ত থাকছে।” তৃণমূলের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আগামী বছর শহিদ মিনার, ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড বা অন্য কোথাও সভা করার কথা ভাবতে পারেন।”

  • BJP Murder: অভিজিৎ সরকার হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন ওসি সহ দুই পুলিশ কর্মীর জেল! ‘রক্ষকই ভক্ষক’, বলল আদালত

    BJP Murder: অভিজিৎ সরকার হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন ওসি সহ দুই পুলিশ কর্মীর জেল! ‘রক্ষকই ভক্ষক’, বলল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের ভোট-পরবর্তী হিংসায় কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের হত্যা মামলায় (BJP Murder) কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সহকারী কমিশনার (তৎকালীন নারকেলডাঙা থানার ওসি) শুভজিৎ সেন এবং অভিযুক্ত সহযোগী সুজাতা দে-র জামিনের আবেদন শুক্রবার খারিজ করেছে আদালত। বিচারক তাঁদের ৩১ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। একই দিনে মামলার আরও দুই অভিযুক্ত—তৎকালীন সাব-ইন্সপেক্টর রত্না সরকার ও হোমগার্ড দীপঙ্কর দেবনাথকেও জেল হেফাজতে পাঠানো হয় (Abhijit Sarkar Case)।

    রক্ষকই যদি ভক্ষক হয়ে যায়, তখন সমাজ কোথায় দাঁড়াবে

    শুনানির সময় বিচারক মন্তব্য করেন, ‘‘যখন রক্ষকই ভক্ষক হয়ে যায়, তখন সমাজ কোথায় দাঁড়াবে?’’ পাশাপাশি, তদন্তকারী অফিসারকে না জানিয়ে কেন শুভজিৎ নিহত অভিজিতের (BJP Murder) মায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রাজ্যের বিভিন্ন অংশে হিংসার ঘটনা ঘটে। তার মধ্যেই কাঁকুড়গাছিতে অভিজিৎ সরকারের মৃত্যু ঘটে (BJP Murder)। পরিবার সূত্রে অভিযোগ, ফল ঘোষণার ঠিক পরেই গলায় দড়ি পেঁচিয়ে এবং বেধড়ক মারধর করে তাঁকে হত্যা করা হয়। প্রাথমিকভাবে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ তদন্তে থাকলেও পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই দায়িত্ব সিবিআই-এর হাতে যায়।

    চার্জশিটে নাম বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়কের (Abhijit Sarkar Case)

    এই মামলায় প্রথমে পুলিশ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। পরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সিবিআই প্রথম অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে, যেখানে অভিযুক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ২০ জনে। এর মধ্যে ১৫ জন আগে থেকেই পুলিশের চার্জশিটে ছিল। চলতি বছরের ২ জুলাই সিবিআই দ্বিতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয়। সেই নথিতে অভিযুক্তদের (BJP Murder) তালিকায় উঠে এসেছে বেলেঘাটা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষের নাম। এ ছাড়াও শুভজিৎ সেন, রত্না সরকারদের নামও সেখানে রয়েছে।

  • Ramakrishna 414: ভেতর বোঁদে, মানে যার মন অতল, ডুবুরি নামালেও তল পাওয়া যাবে না

    Ramakrishna 414: ভেতর বোঁদে, মানে যার মন অতল, ডুবুরি নামালেও তল পাওয়া যাবে না

    শ্রী রামকৃষ্ণ- এই মনের গোচর নন বটে, কিন্তু শুদ্ধ মনের গোচর। এটা বুদ্ধির দ্বারা ধরা যায় না, কিন্তু শুদ্ধ বুদ্ধির দ্বারা ধরা যায়। কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি গেলেই মন ও বুদ্ধি শুদ্ধ হয়। তখন শুদ্ধ মন ও শুদ্ধ বুদ্ধি একত্রে—সেই শুদ্ধ মনের গোচরে তিনি ধরা দেন।”

    ঋষি-মুনিরা কি তাঁকে দেখেননি? তাঁর চৈতন্যের দ্বারা তাঁকে চৈতন্যরূপেই সাক্ষাৎ করেছেন।

    গিরিশ (সহাস্যে) “নরেন্দ্র তর্কে আমার কাছে হেরেছে!”

    শ্রী রামকৃষ্ণ- না আমায় বলেছে, গিরিশ ঘোষ মানুষের অবতার, এটা তুমি বিশ্বাস করো।” এখন আমি আর কী বলব! আমার বিশ্বাসের উপর কিছু বলার নেই।

    গিরিশ (সহাস্যে), “সে মহাশয়! আমরা সব হল-ঘরে কথা বলছি, কিন্তু মাস্টার ঠোঁট চেপে বসে আছেন। কেমন বলেন, মহাশয়?”

    গিরিশ — মহাশয়, শ্লোকটি কী বললেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ — এই ক’টি লোকের থেকে সাবধান হবে।
    প্রথম — মুখে হোলসা, হল হল করে কথা বলে।
    দ্বিতীয় — ভেতর বোঁদে, মানে যার মন অতল, ডুবুরি নামালেও তল পাওয়া যাবে না।
    তৃতীয় — কান তুলসে, মানে কানে তুলসী দেয় ভক্তি দেখাবার জন্য।

    এরপর দীঘল ঘোমটা — লম্বা ঘোমটা দেখলেই লোকে ভাবে ভারী সতি, আসলে তা নয়। আর “পানা পুকুরে জল না থাকলে সান্নিপাতিক হয়” —

    অর্থাৎ বাইরে থেকে পবিত্রতা দেখালেও ভেতরে যদি কিছু না থাকে, তাহলে শুধু ভণ্ডামি।

    চুনিলাল — এঁর (মাস্টার) ছোট নরেন, বাবুরাম, ও পরে নারায়ণ, পল্টু, তেজো, চন্দ্র — এরা সব ওঁর কাছে পড়তে আসে। কথা উঠেছে যে উনি (চুনিলাল) তাদের এখানে এনেছেন, আর তাদের পড়াশোনা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মাস্টারের নামে দোষ দিচ্ছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ — তাদের কথা কে বিশ্বাস করবে?

    এই সকল কথাবার্তা হচ্ছিল, এমন সময় নারায়ণ এসে ঠাকুরকে প্রণাম করল।
    নারায়ণ গৌরবর্ণ, বয়স ১৭-১৮ বছর, স্কুলে পড়ে।
    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাকে খুব ভালোবাসেন — তাকে দেখার জন্য, তাকে খাওয়ানোর জন্য ব্যাকুল থাকেন।
    তার জন্য দক্ষিণেশ্বরে বসে বসে কাঁদেন।
    নারায়ণকে তিনি সাক্ষাৎ নারায়ণ (ভগবান) বলে মনে করেন।

  • Daily Horoscope 19 July 2025: প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 19 July 2025: প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) শেয়ার বাজারে লগ্নি নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    মিথুন

    ১) সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) কোনও কারণে মনে সংশয় বা ভয় কাজ করবে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেখা দেবে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় সমস্যা ও খরচ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) চক্ষুরোগ দেখা দিতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কপালে অপমান জুটতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

LinkedIn
Share