Author: Susanta Das

  • MEA Slams NATO: ‘‘বিবৃতি দেওয়ার আগে তথ্য যাচাই করবেন’’! নেটো প্রধানকে সতর্ক করল ভারত

    MEA Slams NATO: ‘‘বিবৃতি দেওয়ার আগে তথ্য যাচাই করবেন’’! নেটো প্রধানকে সতর্ক করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেটোর মহাসচিব মার্ক রুট সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, মার্কিন শুল্কবাণ ঠেকাতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ফোন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর আরও দাবি ছিল, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে সম্প্রতি ফোনে আলোচনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এবার, নেটো প্রধানের করা সেই বক্তব্যের কড়া জবাব দিল ভারত। রুটের দাবি সরাসরি খারিজ করে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘‘তথ্যগত ভাবে ভুল এবং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন দাবি করবেন না।’’ সেইসঙ্গে, নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (নেটো) প্রধানকে নয়াদিল্লির সতর্কবার্তা, ‘‘ভবিষ্যতে প্রকাশ্যে বিবৃতি দেওয়ার আগে সঠিক তথ্য যাচাই করবেন।’’

    কী বলল বিদেশমন্ত্রক?

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ফোনালাপ প্রসঙ্গে নেটো প্রধান রুটের বয়ান শুনেছি। আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই এই বয়ান সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা। নেটো প্রধানের এই মন্তব্য তথ্যের দিক দিয়ে পুরোপুরি ভুল এবং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। প্রধানমন্ত্রী মোদি শুল্ক ইস্যুতে কোনও আলোচনা করেননি পুতিনের সঙ্গে। ফলে যে দাবি করা হচ্ছে তার কোনও অর্থ নেই।” নেটো প্রধানের দাবিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য বলে উল্লেখ করেছেন জয়সওয়াল। তিনি বলেন, “নেটোর মতো এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকদের কাছ থেকে আমরা আশা করব তাঁরা যেন এই ধরনের বিবৃতি দেওয়ার আগে সঠিক তথ্য যাচাই করবেন। নেটোর মতো প্রতিষ্ঠান যে দায়িত্ববান হবে, সেটাই আমরা আশা করি। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এই ধরনের টিপ্পনী কখনই গ্রহনযোগ্য নয়। এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার নজির।”

    মার্কিন শুল্কের জবাব

    সাম্প্রতিক অতীতে ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যেভাবে চড়াই- উতরাই পেরিয়েছে। প্রথমে ২৫ শতাংশ ও পরে রাশিয়ার তেল কেনার অভিযোগে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে ভারতের উপর। সবমিলিয়ে মোট মার্কিন শুল্কের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। আমেরিকা দাবি করেছে যে, রাশিয়ার থেকে জ্বালানি তেল কেনার জেরে তারা ভারতের উপর এই শুল্ক চাপিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনে পরোক্ষভাবে মদত মিলছে ভারতের তেল কেনার মাধ্যমে। যার পরই নয়াদিল্লি স্পষ্ট করে দেয় যে, “ভারত তার জাতীয় স্বার্থ ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষার্থে যা যা ব্যবস্থা অবলম্বন করা দরকার, তা করবে।” জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমি আবারও বলতে চাই যে, দেশের জনগণের জ্বালানি চাহিদা পূরণ করা আমাদের কাছে অগ্রাধিকার। এই প্রচেষ্টায়, আমরা গোটা বিশ্বের বাজার দেখে সিদ্ধান্ত নিই।’’

    রুশ সেনায় ভারতীয়দের নিয়ে কথা

    এর মাঝে বৃহস্পতিবার আসে নেটো প্রধানের বয়ান। যেখানে তিনি দাবি করেন, ‘‘ভারতের উপর ট্রাম্পের শুল্ক চাপানোর বড় প্রভাব পড়ছে রাশিয়ায়। দিল্লি থেকে পুতিনকে ফোন করা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদি তাঁকে ইউক্রেন নিয়ে প্রশ্ন করছেন। ইউক্রেন সম্বন্ধে পুতিনের অবস্থান জানতে চাইছেন বার বার।” এবার পালটা বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এই দাবি নিতান্ত জল্পনা বা ভাবনা-চিন্তা না করেই মন্তব্য৷ এই ধরনের মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়৷ তিনি যোগ করেন, ২৭ জন ভারতীয় নাগরিককে রাশিয়ার সেনাবাহিনী থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলেছে৷ নয়াদিল্লি জানতে পেরেছে, আরও অনেক ভারতীয় রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে ভাড়াটে সেনার কাজ করছে৷ তাঁদের পরিবারের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, তাতে এই মুহূর্তে ২৭ জন ভারতীয় রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে কাজ করছেন৷ আমরা তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি৷ আমরা আবারও সব ভারতীয়ের কাছে আর্জি জানাচ্ছি, রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাবের ফাঁদে পা দেবেন না৷ এই কাজ অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং জীবনের ঝুঁকি রয়েছে৷’’

  • BSNL swadeshi 4G network: দেশজুড়ে বিএসএনএল-এর স্বদেশি ৪জি পরিষেবার উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    BSNL swadeshi 4G network: দেশজুড়ে বিএসএনএল-এর স্বদেশি ৪জি পরিষেবার উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) হাত ধরে দেশজুড়ে চালু হল চালু হল রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল-এর সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ৪জি পরিষেবা (BSNL swadeshi 4G network)। শনিবার ওড়িশার ঝাড়সুগদা থেকে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেন দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ৯৭ হাজার ৫০০ বিএসএনএল ৪জি টাওয়ারের। ৩৭ হাজার কোটি টাকা দিয়ে এই স্বদেশি প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে। সংস্থার আশা, এর ফলে আরও হাইস্পিড ইন্টারনেট, কম কলড্রপ এবং উন্নত কানেক্টিভিটি পাবেন গ্রাহকরা। শনিবার উদ্বোধন হতে চলা টাওয়ারগুলির মধ্যে রয়েছে কলকাতা সার্কেলের ১৬০০টি এবং পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের ২ হাজার ১৪৮টি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) শনিবার ওড়িশা থেকে দাঁড়িয়ে বলেন, “টেলিকমে ভারত গ্লোবাল ম্যানুফাকচারিং হাব হয়ে উঠছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পোস্ট রি-পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিন্ধিয়া তুলে ধরেছেন বিএসএনএলের ৪জি স্বদেশি (BSNL swadeshi 4G network) স্পিরিটকে। ৯২ হাজার সাইট জুড়েছে ২.২০ কোটি মানুষকে। এটা ভারতের নির্ভরতা থেকে আত্মবিশ্বাস, কর্মসংস্থান, রফতানি, আর্থিক উন্নয়ন ও আত্মনির্ভর ভারতের যাত্রাকে তুলে ধরেছে।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান যে, স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিএসএনএলের নেটওয়ার্ক প্রত্যন্ত এলাকা, সীমান্তবর্তী এলাকায় যোগাযোগ স্থাপন করবে। সিন্ধিয়া বলেন, ‘‘এটি টেলিকম খাতের জন্য একটি নতুন যুগ, এমন একটি যুগ যেখানে ভারত বিগ ফোরের ডোমেনে প্রবেশ করেছে, যা বিশ্বে টেলিকম সরঞ্জাম উৎপাদন করে। ডেনমার্ক, সুইডেন, দক্ষিণ কোরিয়া, চিন, বড় চারটি দেশ এবং বড় পাঁচটি কোম্পানি। ভারত এখন বিশ্বের ইতিহাসে পঞ্চম দেশ এবং ষষ্ঠ কোম্পানি যারা টেলিকম সরঞ্জাম উৎপাদন করে।’’

    কী বলছে বিএসএনএল?

    উল্লেখ্য, এই স্বদেশী ৪জি পরিষেবার (BSNL swadeshi 4G network) নেপথ্যে রয়েছে তেজস নেটওয়ার্ক, টিসিএস এবং সি-ডট। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের বক্তব্য, প্রতিযোগিতায় আগেই পিছিয়ে পড়েছে বিএসএনএল। প্রশ্ন উঠছে, বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি এক যুগ আগে ৪জি পরিষেবা এনেছিল। তারা এখন ৪জি পেরিয়ে, এমনকী ৫জি পেরিয়ে ৬জি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। ফলে, অন্যান্য টেলিকম সংস্থার উন্নত ৫জি নেটওয়ার্কের ভিড়ে আদৌ কতটা সাড়া ফেলবে বিএসএনএল-এর দেশীয় ৪জি পরিষেবা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যদিও, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দাবি করেছেন, বিএসএনএল-এর ৪জি টাওয়ারগুলিতে (BSNL swadeshi 4G network) সফ্টওয়্যার আপডেট করলেই ৫জি পরিষেবা মিলবে। বিএসএনএল জানিয়েছে, আগামী দিনে ৪জি এবং ৫জি—দুই ক্ষেত্রেই পরিষেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী জায়গা করে নিতে চায় তারা, যাতে বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে পাল্লা দেওয়া যায়।

  • Durga Puja 2025: ষষ্ঠীতে হয় দেবীর বোধন, কেন একে অকালবোধন বলা হয়, জানেন?

    Durga Puja 2025: ষষ্ঠীতে হয় দেবীর বোধন, কেন একে অকালবোধন বলা হয়, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয় তিথি অনুযায়ী, শনিবার ২৭ সেপ্টেম্বর মহাপঞ্চমী হলেও, এদিন পঞ্চমী থাকবে দুপুর ১২টা ৪ মিনিট পর্যন্ত। তার পর থেকেই পড়ে যাচ্ছে ষষ্ঠী। ফলে, এদিন, অর্থাৎ, শনিবার সন্ধ্যাবেলা হবে দেবীর বোধন (Maha Sasthi Akalbodhan)। ১১ আশ্বিন ইংরেজি ২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুর ২টো ২৮ মিনিট পর্যন্ত ষষ্ঠী থাকছে। সকাল ৯টা ১৬ মিনিটের মধ্যে শারদীয়া দুর্গাদেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ। সন্ধ্যাবেলা হবে দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাস। উদয় তিথি অনুসারে, গোটা দিনটাই ষষ্ঠী।

    মহাষষ্ঠী ও বোধন

    এবার দেখে নেওয়া যাক মহাষষ্ঠী ও বোধনের তাৎপর্য। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, মহাষষ্ঠীর দিন দেবী দুর্গা তাঁর চার সন্তান— সরস্বতী, লক্ষ্মী, গণেশ এবং কার্তিককে নিয়ে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতরণ করেন। ফলে এদিন থেকেই ঢাক ও কাঁসরের আওয়াজে চারিদিক যেন গমগম করে। মা দুর্গার আগমণে সবাই যোন আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। উৎসবপ্রেমী বাঙালীদের সবচেয়ে বড় পার্বণ হল দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025)। পুজো শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নয়, দেশের বহু রাজ্যে ধুমধাম করে উদযাপন করা হয়ে থাকে। এছাড়া বিদেশেও বাঙালিরা উৎসাহ ও আনন্দের সঙ্গে জাঁকজমকভাবে উৎযাপন করে থাকে পুজোর দিনগুলি।

    পুজোর পাঁচটি দিন- মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী, বিজয়া দশমীর কিছু তাৎপর্য রয়েছে। যেমন মহাষষ্ঠীর দিনেই দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2025) প্রথম অন্যতম যে নিয়মটি পালন করা হয়ে থাকে তা হল বোধন। এই ‘বোধন’ শব্দটির অর্থ হল জাগ্রত করা। মর্ত্যে দুর্গার আবাহনের জন্য বোধনের (Maha Sasthi Akalbodhan) রীতি প্রচলিত রয়েছে। দেবী দুর্গার মুখের আবরণ উন্মোচন করা হয় এই দিনে। সাধারণত ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় এই নিয়মটি পালন করা হয়ে থাকে এই নিয়মটি।

    বোধনের তাৎপর্য

    পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, দেবীপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে দুর্গার বোধন করে পুজো করেন শ্রীরামচন্দ্র। এদিন মা দুর্গা স্বর্গ থেকে মর্ত্যে পদার্পণ করেন ও দেবী দুর্গার মুখের আবরণ উন্মোচনই এই দিনের প্রধান কাজ। এই দিন কল্পারম্ভ-এর মাধ্যমে সূচনা হয় পুজোর (Durga Puja 2025)। তারপর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে মা-কে বরণ করে নেওয়া হয়। অকাল বোধনের (Maha Sasthi Akalbodhan) মাধ্যমেই উন্মোচন করা হয় মায়ের মুখ। মনে করা হয় বোধনের পর প্রতিমার মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই নিয়মের পরেই সকল দেব-দেবী এবং তার সঙ্গে মহিষাসুরের ও পুজো করা হয়। এরপরই মহা সমারোহে শুরু হয় দুর্গাপুজো।

    অকাল বোধনের কাহিনী

    বোধন কে আবার অকাল-বোধনও (Maha Sasthi Akalbodhan) বলা হয়ে থাকে। হিন্দু শাস্ত্র মতে, সূর্যের উত্তরায়ন দেবতাদের সকাল। উত্তরায়নের ছয় মাস দেবতাদের দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। সকালে সমস্ত দেব-দেবীর পুজো করা হয়। আবার দক্ষিণায়ন শুরু হলে ছয় মাসের জন্য নিদ্রায় যান সমস্ত দেব-দেবী। এই দক্ষিণায়ন দেবতাদের রাত। রাতে দেব-দেবীর পুজো করা হয় না। কিন্তু দক্ষিণায়নের ছয় মাসের মধ্যেই দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) হয় বলে বোধনের মাধ্যমে আগে দেবী দুর্গাকে ঘুম থেকে তোলা হয়। আর পুরাণ মতে, এই কাজটি সর্বপ্রথম করেছিলেন দশরথ পুত্র রাজা রামচন্দ্র। লঙ্কায় রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়ার আগে এই তিথিতেই দুর্গার বোধন করেছিলেন রামচন্দ্র। তাই ষষ্ঠীর বোধনে বা অকালে মা দুর্গাকে জাগিয়ে তোলা হয়েছিল বলেই এই বোধনকে অকাল-বোধনও (Maha Sasthi Akalbodhan) বলা হয়ে থাকে।

  • Durga Puja 2025: অষ্টমী পড়ছে কখন? পুষ্পাঞ্জলি থেকে সন্ধিপুজো— জেনে নিন সম্পূর্ণ নির্ঘণ্ট

    Durga Puja 2025: অষ্টমী পড়ছে কখন? পুষ্পাঞ্জলি থেকে সন্ধিপুজো— জেনে নিন সম্পূর্ণ নির্ঘণ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, পুজোর (Durga Puja 2025) কটা দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। তা সত্ত্বেও, উমার আরাধনায় মেতে উঠতে প্রস্তুত আপামর বাঙালি। দেবীপক্ষের সূচনাতেই দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু। আর পুজোর আলোচনা মানেই, আগে অষ্টমীর অঞ্জলীর সময়কাল দেখে নিতে হয়, আবার কখনওবা সন্ধিপুজোর সময়ের দিকে রাখতে হয় খেয়াল। দেখে নেওয়া যাক, এই বছরের দুর্গাপুদোর নির্ঘণ্টে (Panjika Puja Timings) কখন রয়েছে সন্ধিপুজো, কখন রয়েছে অঞ্জলীর সময়কাল।

    বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে দুর্গাপুজো ২০২৫-এর (Durga Puja 2025) নির্ঘণ্ট (Panjika Puja Timings)

    মহাপঞ্চমী – ১০ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে দেবীর বোধন

    মহাষষ্ঠী – ১১ আশ্বিন (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় দেবীর ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ, সন্ধ্যা ৬,৩০ মিনিটে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস

    মহাসপ্তমী – ১২ আশ্বিন (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৫.৪০ মিনিটে দেবীর সপ্তমীবিহিত পূজারম্ভ, নব পত্রিকা স্নান, মহাস্নান

    মহাষ্টমী – ১৩ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৫.৪০ মিনিটে অষ্টমীবিহিত পূজারম্ভ, মহাস্নান। সকাল ৯টায় কুমারী পুজো, সন্ধ্যা ৫.৪৩ থেকে ৬.৩১ মিনিট সন্ধিপুজো

    মহানবমী – ১৪ আশ্বিন (১ অক্টোবর) সকাল ৫.৪০ মিনিট দেবীর মহানবমীবিহিত পূজারম্ভ, মহাস্নান। দুপুর ১২.৫৭ থেকে আড়াইটে পর্যন্ত হোম

    দশমী – ১৫ আশ্বিন (২ অক্টোবর) সকাল ৬.৩০ মিনিটে দেবীর দশমীবিহিত পূজারম্ভ, সকাল ৮.৪৫ থেকে ৯.১৫ মিনিটে দর্পণ বিসর্জন, শ্রীশ্রীঠাকুরের সন্ধ্যা আরতির পর প্রতিমা নিরঞ্জন ও শান্তিজল প্রদান

    গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে দুর্গাপুজো ২০২৫-এর (Durga Puja 2025) নির্ঘণ্ট (Panjika Puja Timings)

    মহাপঞ্চমী – শনিবার (১০ আশ্বিন, ইংরেজি ২৭ সেপ্টেম্বর) মহাপঞ্চমী থাকবে সকাল ৮টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত। সন্ধ্যায় দেবীর বোধন।

    মহাষষ্ঠী – রবিবার (১১ আশ্বিন, ইংরেজি ২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত ষষ্ঠী। পূর্বাহ্ন ৯টা ২৭ মিনিটের মধ্যে শারদীয়া দুর্গাদেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ।

    মহাসপ্তমী – সোমবার (১২ আশ্বিন ইংরেজি ২৯ সেপ্টেম্বর) সপ্তমী থাকবে সেদিন দুপুর ১২টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত। সকাল ৯টা ২৭ মিনিটের মধ্যে নবপত্রিকার স্নান ও স্থাপন। বেলা ১২টা ২৬ মিনিটের মধ্যে সপ্তমী বিহিত পুজো ও সপ্তমাদি কল্পারম্ভ চতুর্থ কল্প বিহিত পুজো।

    মহাষ্টমী – মঙ্গলবার (১৩ আশ্বিন, ৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত অষ্টমী তিথি।

    মহানবমী – বুধবার (১৪ আশ্বিন, ১ অক্টোবর) দুপুর ২টো ৩৫ মিনিট পর্যন্ত। সকাল ৯টা ২৭ মিনিটের মধ্যে দুর্গাদেবীর কল্পারম্ভ নবমী বিহিত পুজো। দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটের মধ্যে কুমারী পুজো, বলিদান, হোম কর্মাদি ও দেবীর নবরাত্রি ব্রত সমাপন।

    দশমী – (১৪ আশ্বিন, ২ অক্টোবর) দশমী দুপুর ২টো ৫৪ মিনিট পর্যন্ত থাকছে।

  • Durga Puja 2025: নবদুর্গার পঞ্চম রূপ, মহাপঞ্চমীতে পূজিতা হন দেবী স্কন্দমাতা, জানুন মাহাত্ম্য

    Durga Puja 2025: নবদুর্গার পঞ্চম রূপ, মহাপঞ্চমীতে পূজিতা হন দেবী স্কন্দমাতা, জানুন মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের (Durga Puja 2025) সূচনা হয়। পরের দিন, অর্থাৎ শুক্ল প্রতিপদ তিথি থেকে শুরু হয় নবরাত্রি (Navaratri 2025)। যা চলে দুর্গা নবমী পর্যন্ত। এই নবরাত্রিতে দেবী দুর্গা নয়টি ভিন্ন রূপে পূজিতা হন। নবদুর্গার (Nabadurga) এই নয়টি রূপ হল— দেবী শৈলপুত্রী, দেবী ব্রহ্মচারিণী, দেবী চন্দ্রঘণ্টা, দেবী কুষ্মাণ্ডা, দেবী স্কন্দমাতা (Devi Skandamata), দেবী কাত্যায়নী, দেবী কালরাত্রি, দেবী মহাগৌরী এবং দেবী সিদ্ধিদাত্রী।

    পুরাণ অনুযায়ী, দেবাদিদেব মহাদেবের পুত্র হলেন দেব সেনাপতি কার্তিক। তাঁর অপর নাম স্কন্দ। স্কন্দমাতা (Devi Skandamata) মানে হল কার্তিকের মাতা। দেবী পার্বতীর এই রূপেরই পুজো করা হয় নবরাত্রির পঞ্চমীর দিন। কার্তিকের জন্মবৃত্তান্ত এবং মাতা পার্বতীর স্কন্দমাতা হয়ে ওঠার কাহিনি জানতে হলে অপর একটি পৌরাণিক কাহিনি শুনতে হবে (Durga Puja 2025)।

    অসুর-দেবতা যুদ্ধ

    পুরাকালে বজ্রাঙ্গ নামে এক অসুর রাজা ছিলেন। তিনি ছিলেন দিতির পুত্র। দেবতাদের রাজা ইন্দ্রকে বজ্রাঙ্গ সিংহাসনচ্যুত করে বন্দি করেন। দেবতাদের প্রতি বজ্রাঙ্গের এই রোষ আসলে ছিল তাঁর প্রতিশোধ। কারণ ইতিপূর্বে দিতির অসংখ্য পুত্রকে মানে বজ্রাঙ্গের নিজ ভাইদের দেবতারা হত্যা করেছিলেন। বজ্রাঙ্গের হাতে বন্দি ইন্দ্রকে মুক্ত করতে আসেন ব্রহ্মা এবং কাশ্যপ মুনি। কাশ্যপ মুনি ছিলেন বজ্রাঙ্গের পিতা, অর্থাৎ দিতির স্বামী। ব্রহ্মা এবং কাশ্যপ মুনির অনুরোধে বজ্রাঙ্গ তখনকার মতো ইন্দ্রকে (Durga Puja 2025) মুক্ত করেন।

    দৈত্য হয়েও এমন দয়ার ভাব বজ্রাঙ্গের মধ্যে দেখতে পেয়ে ব্রহ্মা তাঁকে বরদান করতে ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন। বজ্রাঙ্গ তখন তপস্বী হওয়ার বর প্রার্থনা করলেন এবং বাকি জীবন যেন তিনি ধর্মপথে চলতে পারেন, সেই আশীর্বাদ ব্রহ্মার কাছে চাইলেন। ব্রহ্মা তাঁর মানসকন্যা বরাঙ্গীর সঙ্গে বজ্রাঙ্গের বিবাহ দিলেন। বজ্রাঙ্গ এবং বরাঙ্গী বনের মধ্যে কুটির বানিয়ে ধর্মকর্ম করতে লাগলেন। বজ্রাঙ্গ তপস্যায় রত থাকতেন এবং বরাঙ্গী গৃহস্থের কর্ম সম্পাদন করতেন।

    বরাঙ্গীর গর্ভে জন্ম হল তারকাসুরের

    একদিন দেবরাজ ইন্দ্র ওই কুটিরের পাশ দিয়ে যেতে যেতে বরাঙ্গীকে দেখতে পেয়ে পুরনো অপমানের বদলা নিতে চাইলেন। কখনও বানর সেজে, কখনও ভেড়া বা কখনও সাপ হয়ে কুটির লন্ডভন্ড করতে লাগলেন। ক্রন্দনরত অবস্থায় বরাঙ্গী তাঁর স্বামী বজ্রাঙ্গকে এসব বিষয়ে বললে, বজ্রাঙ্গ ব্রহ্মাকে স্মরণ করলেন। ব্রহ্মা প্রকট হয়ে বর দিতে চাইলে বজ্রাঙ্গ বললেন, “আমাকে এমন পুত্র দিন, যে দেবতাদের উপর অত্যাচার করতে সমর্থ হবে।” ব্রহ্মা বজ্রাঙ্গের মনমতো বরদান করলেন। বরাঙ্গীর গর্ভে জন্ম হল তারক নামের অসুরের‌।

    পরবর্তীতে তারকাসুরের উপর ব্রহ্মার বরদান ছিল যে, “একমাত্র শিবের বালকপুত্র ছাড়া, কারও হাতে তিনি হত হবেন না।” ব্রহ্মার বরদানে অজেয়, অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন তারকাসুর। কারণ তিনি জানতেন শিব কখনও বিবাহ করবেন না এবং ত্রিভুবনে ব্রহ্মার বরদানে তাঁকে হত্যা করতে পারে, এমন ক্ষমতা কোনও দেবতা, মানুষ বা জীবজন্তুর নেই। তারকাসুর দেবলোক নিজের দখলে আনেন। দেবরাজ ইন্দ্র সিংহাসনচ্যুত হলেন। বিতাড়িত দেবতারা বুঝতে পারলেন শিবের বিয়ে দিতে পারলে তবে তাঁর পুত্রই তারকাসুরকে বধ করতে পারবেন।

    শিব-পার্বতীর বিবাহ ও স্কন্দের জন্ম

    আয়োজন শুরু হল শিব-পার্বতীর বিবাহের। সেখানেও তারকাসুরের আক্রমণ হল। পার্বতী দেবী (Durga Puja 2025), মাতা চন্দ্রঘণ্টার রূপধারণ করে অসুরদের বিতাড়িত করলেন। এরপর সুসম্পন্ন হল শিব-পার্বতীর বিবাহ। জন্ম হল কার্তিকের। মাতা পার্বতী তখন হলেন স্কন্দমাতা (Devi Skandamata) অর্থাৎ কার্তিক জননী। দৈববাণী পেয়ে দেবরাজ ইন্দ্র কার্তিককে সেনাপতি নিযুক্ত করলেন। এক প্রবল যুদ্ধে কার্তিকের হাতে তারকাসুর হত হলেন। দেবতারা তাঁদের হৃত স্বর্গরাজ্য পুনরায় নিজেদের দখলে আনলেন। এমনটাই লেখা রয়েছে “স্কন্দ পুরাণে”।

    স্কন্দমাতার বিবরণ

    স্কন্দমাতার অপর নাম কার্তিকেয়। ত্রিনয়নী মাতার (Durga Puja 2025) কোলে তাঁর শিশুপুত্রকে দেখতে পাই আমরা। এই শিশুপুত্রই হলেন স্কন্দ বা কার্তিক। স্কন্দমাতা স্নেহ, মায়া, সন্তান বাৎসল্য-এর প্রতীক। মাতার ভক্তরা মনে করেন দেবীর পুজো করলে সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়, জীবনের সকল বাধাবিঘ্ন দূর হয়, অশুভ শক্তি বিনষ্ট হয়, সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে জীবন। দেবী পদ্মাসনা। তাঁর বাহন সিংহ। তাঁর দুই হাতে দুটি পদ্ম। একহাতে কার্তিককে ধরে থাকেন। অপর হাত বর-মুদ্রার ভঙ্গিতে থাকে। যার দ্বারা ভক্তদের উদ্দেশে সর্বদাই আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। স্কন্দমাতার পুজো করলে শত্রু বিনাশ হয়, শক্তি বৃদ্ধি হয়, এমনটাই মনে করেন ভক্তরা। স্কন্দমাতার পুজোতে সাদা রঙের পোশাক পরলে মাতা প্রসন্ন হন, এমনটাই প্রচলিত ধারণা রয়েছে। দেবীর আশীর্বাদ পেতে ভক্তরা নৈবেদ্যতে কলা বা কদলী ভোগ দেন।

  • Tejas Mk-1A: ৬২ হাজার কোটি টাকায় ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত, হ্যালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

    Tejas Mk-1A: ৬২ হাজার কোটি টাকায় ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত, হ্যালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু যুদ্ধে অংশ নেওয়া বুড়ো ঘোড়াদের অবসরের আগের দিনই নতুন অশ্ব কেনার বরাত দিল ভারত।

    বায়ুসেনায় মিগ যুগের অবসান

    ভারতীয় বায়ুসেনায় মিগ যুগের অবসান হতে চলেছে৷ আর তার জায়গা নিচ্ছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তেজস৷ আজ শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর অবসর নিতে চলেছে বায়ুসেনার কিংবদন্তী মিগ-২১ (MiG-21) যুদ্ধবিমানগুলি। ঠিক তার আগের দিন, ৯৭টি মাল্টি-রোল সুপারসনিক লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (এলসিএ) তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)-এর সঙ্গে চুক্তি করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। চুক্তির মূল্য ৬২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। গতমাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি এই চুক্তিতে ছাড়পত্র দিয়েছিল৷

    ২০২৭-২৮ অর্থবর্ষ থেকে ডেলিভারি!

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, হ্যাল ৯৭টি যুদ্ধবিমান তৈরি করবে। এর মধ্যে থাকবে ৬৮টি ফাইটার যুদ্ধবিমান। আর বাকি ২৯টি থাকবে টুইন সিটার প্রশিক্ষণ বিমান। ২০২৭-২৮ অর্থবর্ষ থেকে এই যুদ্ধবিমানের ডেলিভারি শুরু করবে হিন্দুস্তান অ্যারনটিক্স লিমিটেড। বাকি যুদ্ধবিমানগুলি সরবরাহ করা হবে প্রথম ডেলিভারি থেকে শুরু করে ৬ বছরের মধ্যে। এর আগে হ্যালকে ৮৩টি তেজস মার্ক-১ যুদ্ধবিমান তৈরির বরাত দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    হাতে আসেনি প্রথম বরাতের প্রথম বিমান!

    এর আগে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বায়ুসেনা ৪৮,০০০ কোটি টাকায় ৮৩টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ বিমানের অর্ডার দিয়েছিল। কিন্তু চার বছর অতিক্রান্ত হওয়া সত্বেও সেই বিমান সরবরাহ শুরু হয়নি। এই নিয়ে প্রকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। উৎপাদনকারী সংস্থা হ্যালের তরফে জানানো হয়, আমেরিকা থেকে ইঞ্জিন আসতে দেরি হওয়ার কারণেই এই বিলম্ব। সূত্রের খবর, প্রথম অর্ডারের প্রথম বিমান হাতে আসতে পারে ২০২৫ সালের অক্টোবরে। হ্যালের নাসিকের কারখানা থেকে প্রথম এলসিএ মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) যুদ্ধবিমানটি শীঘ্রই আকাশে উড়বে। তার আগেই কেন্দ্রের তরফে দ্বিতীয় অর্ডার চলে হল।

    মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ উৎপাদন

    নতুন বরাতের ফলে, ভারতীয় বায়ুসেনায় মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান আসতে চলেছে। জানা গিয়েছে, হ্যালের বেঙ্গালুরুর কারখানা প্রতি বছর ১৬টি এবং নাসিকে ২৪টি তেজস মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) বিমান তৈরি করতে পারে। সেই অনুযায়ী, ২০৩২ সাল নাগাদ ১৮০টি বিমান সরবরাহ হতে পারে বলে অনুমান। এর মধ্যেই সূত্রের খবর, হ্যাল ভবিষ্যতে আরও ২০০টির বেশি তেজস মার্ক–২ এবং সমসংখ্যক পঞ্চম প্রজন্মের উন্নত মাঝারি যুদ্ধবিমান অ্যামকা তৈরির বড় অর্ডার পেতে চলেছে।

    ১১,৭৫০ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কর্মসংস্থান

    ৪.৫ প্রজন্মের এলসিএ তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানগুলির ৬৪ শতাংশই তৈরি হবে দেশীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে। ফলত, প্রায় ৫০০টি দেশীয় শিল্প, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলি, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক ব্যবসার সুযোগ পাবে। বার্ষিক প্রায় ১১,৭৫০ জনের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রকল্পটি ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অগ্রদূত হিসেবে ধরা হচ্ছে। এটি হতে চলেছে ভারতের প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম বড় প্রতীক।

    উত্তম আয়েসা, স্বয়ম রক্ষা কবচ

    এই ফাইটার জেটগুলিতে ৬৭টি অতিরিক্ত ইক্যুইপমেন্ট অন্তর্ভুক্ত থাকবে। উত্তম অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারে রেডার (UTTAM AESA), স্বয়ম রক্ষা কবচ এবং কন্ট্রোল সারফেস অ্যাকচুয়েটর্সের মতো ইক্যুইপমেন্ট থাকবে এই ধরনের যুদ্ধবিমানে। ইতিমধ্যেই জিই-৪০৪ ইঞ্জিন এসেছে হ্যালের হাতে। এই ধরনের যুদ্ধবিমানে তৈরির জন্য ওই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে। এই যুদ্ধবিমানে মিড-এয়ার রিফুয়েলিং ক্ষমতা থাকবে।

  • Durga Puja 2025: মহাষষ্ঠী থেকে দশমী, কোন কোন নিয়ম মেনে হয় মা দুর্গার আরাধনা? জেনে নিন

    Durga Puja 2025: মহাষষ্ঠী থেকে দশমী, কোন কোন নিয়ম মেনে হয় মা দুর্গার আরাধনা? জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব হল দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025)। সম্প্রতি কয়েক বছর আগে বাঙালির এই মহোৎসব পেয়েছে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমাও। এই উৎসব শুধুই আর ধর্মীয় উৎসবে সীমাবদ্ধ নেই। এই উৎসব আজ হয়ে উঠেছে সর্বধর্ম সমন্বয়ের উৎসব। যদিও মহালয়া থেকেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। দেবীপক্ষের সূচনা থেকেই শুরু হয় পুজো। পুজোর এই কয়েক দিন, মানুষ তাঁর জীবনের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট ভুলে উৎসবে মেতে ওঠেন। মহাষষ্ঠী থেকে বিজয় দশমী, দুর্গাপুজোর এই পাঁচ দিনে বহু নিয়ম মেনে মা দুর্গার আরাধনা করা হয়। জেনে নিন দুর্গা পুজোয় কবে কোন কোন নিয়ম পালন (Puja Rituals) করা হয়।

    মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন

    মহাষষ্ঠীর (Durga Puja 2025) দিনই শুরু হয়ে যায় দেবীর আরাধনা। দেবীপক্ষের শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে মা দুর্গার বোধন করা হয়। এই রীতির সঙ্গে জড়িত আছে এক পৌরাণিক কাহিনি। বোধনের অর্থ জাগ্রত করা। জাগ্রত করা হয় দেবীকে। মা দুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কথিত আছে, শরৎকালে দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। লঙ্কার রাজা রাবণকে পরাজিত করার জন্য দেবীর আশীর্বাদ কামনায়, তিনিই এই সময় দুর্গার অকাল বোধন (Durga Akal Bodhan) করেন। বোধনের মাধ্যমেই দুর্গাকে আবাহন করা হয়। আর তাতে রামচন্দ্রকে সাহায্য করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা।

    মহাসপ্তমীতে নবপত্রিকা বা কলা বউ স্নান

    সপ্তমীতে কলা বউ স্নানের রীতি (Puja Rituals) প্রচলিত আছে। একেই বলা হয় নবপত্রিকা। নবপত্রিকার অর্থ হল নটি পাতা। কিন্তু এই ক্ষেত্রে নটি গাছ দিয়ে নবপত্রিকা গঠন করা হয়। এই নটি গাছ মা দুর্গার নয় শক্তির প্রতীক। গাছগুলি হল-কলাগাছ, কচু, হলুদ, জয়ন্তী, বেল, ডালিম, অশোক, মান ও ধান। সপ্তমীর সকালে নবপত্রিকাকে স্নানের জন্য নদী বা পুকুরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর লাল পাড় সাদা শাড়িতে মুড়িয়ে ঘোমটা দিয়ে বধূর আকারে সেটিকে গণেশের পাশে স্থাপন করা হয়। অনেকেই বলে থাকেন, নবপত্রিকার পুজো প্রকৃতপক্ষে শস্যদেবীর পুজো। ফসলের উর্বরতার সঙ্গে একটা প্রত্যক্ষ যোগ থাকে এই পুজোতে।

    মহাষ্টমীর অঞ্জলি

    মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী-এই তিনদিনই পুষ্পাঞ্জলি (Durga Puja 2025) দেওয়া যায়। কিন্তু অষ্টমীর অঞ্জলিকে একটু বেশিই গুরুত্ব দেন বাঙালিরা। হাত ভরে ফুল নিয়ে পুরোহিতের বলা মন্ত্র উচ্চারণের পর, হাতে ধরে থাকা ফুল-পাতা দেবীর চরণে অর্পণ করা হয়। অঞ্জলি দেওয়ার মাধ্যমে মায়ের প্রতি নিজেদের বিশ্বাস, শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন ভক্তরা। সকলেই মায়ের আশীর্বাদ চান। অশুভ শক্তির বিনাশ চেয়ে শুভ শক্তির প্রকাশ চান।

    কুমারী পুজো

    অষ্টমী বা নবমী তিথিতে বহু জায়গায় কুমারী পুজোর রীতি (Puja Rituals) পালিত হয়। শাস্ত্রমতে, এক থেকে ষোল বছর বয়স পর্যন্ত, যেসব মেয়েরা ঋতুচক্রে পা দেয়নি তাদের দেবী রূপে পুজো করা হয়।

    সন্ধি পুজো

    মহাঅষ্টমীর সমাপ্তি ও মহানবমীর সূচনার সন্ধিক্ষণে করা হয় সন্ধিপুজো। মনে করা হয়, মহাঅষ্টমী ও মহানবমীর সন্ধিক্ষণে দেবী চামুণ্ডা চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই অসুরকে বধ করেছিলেন (Durga Puja 2025)। তাই এই সময় দেবীকে চামুণ্ডা রূপে পুজো করা হয়। সন্ধিপুজোর সমস্ত মন্ত্রই চামুণ্ডা দেবীর মন্ত্র। সন্ধিপুজোয় দেবীকে ১০৮ পদ্ম এবং ১০৮ দীপ জ্বালিয়ে পুজো করা হয়।

    বিজয়া দশমীতে সিঁদুর খেলা

    বিজয়া দশমীতেই সকলকে কাঁদিয়ে মা দুর্গা শ্বশুরবাড়ি পাড়ি দেন। বিজয়ার দিনে সিঁদুর খেলা দুর্গাপুজোর এক বিশেষ অনুষ্ঠান। পতিগৃহে রওনা দেওয়ার আগে উমাকে বরণ করার রীতি (Puja Rituals) প্রচলিত রয়েছে। তাই, দশমীর দিন ঘরের মেয়েকে সিঁদুরে রাঙিয়ে, মিষ্টি মুখ করিয়ে, পান, ধান, দুর্বা দিয়ে বরণ করা হয়। দেবীর বরণের পরই গৃহবধূরা মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়।

    দেবীর বিসর্জন

    প্রতিমা পুজার অন্তিম পর্যায় বিসর্জন (Durga Puja 2025)। জলের মাধ্যমেই মাটির প্রতিমা প্রকৃতিতে লীন হয়। নৌকায় করে মাঝ নদীতে নিয়ে গিয়ে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। আর শুরু হয় মায়ের অপেক্ষা। পরের বছর মায়ের আগমনের এক বছরের অপেক্ষা। শুরু হয় দিন গোনা।

  • Durga Puja 2025: হুগলির গুপ্তিপাড়ার ‘বারো ইয়ার’-এর পুজোই ধীরে ধীরে হয়ে উঠল সর্বজনীন, জানুন ইতিহাস

    Durga Puja 2025: হুগলির গুপ্তিপাড়ার ‘বারো ইয়ার’-এর পুজোই ধীরে ধীরে হয়ে উঠল সর্বজনীন, জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2025) বারোয়ারি শব্দের বহুল ব্যবহার। তাই স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন জাগে, এই কথাটির প্রকৃত অর্থ কী? পুজোর ক্ষেত্রে এই কথাটি এল কীভাবে? আজকের প্রতিবেদনে আমরা এই বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব। শুরুতেই জেনে নেওয়া যাক, এই শব্দের আভিধানিক অর্থ কী? ‘বারোয়ারি’ শব্দটির উৎপত্তি ‘বারো’ এবং ‘ইয়ার’ এই দুটি শব্দ থেকে। ‘ইয়ার’ শব্দের অর্থ বন্ধু। তাহলে বারোয়ারি বলতে বোঝায় বারোজন বন্ধু। বাস্তবে ঘটেওছিল এমনটাই, বারোজন বন্ধুই প্রথম একজোট হয়ে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) করেছিলেন। তাই এক সঙ্গে যখন অনেকে পুজো করেন, তখন তাকে বলা হয় বারোয়ারি পুজো (Barowari Puja Origin)। এখন অবশ্য ‘বারোয়ারি’ কথাটির বদলে ‘সর্বজনীন’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। তার কারণ, এখন আর বারোজন মিলে কোনও পুজো করেন না, করেন অনেকে মিলে। কোথাও একটা গোটা পাড়া, কোথাও আবার পাড়ার বাইরেও বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা তোলা হয়। তাই বারোয়ারি পুজো এখন বদলে হয়েছে সর্বজনীন।

    শুরু হুগলির গুপ্তিপাড়ায়

    কিন্তু মনে প্রশ্ন থেকেই যায়, প্রথম যে বারোজন মিলে পুজো (Durga Puja 2025) শুরু করেছিলেন, তাঁরা কারা? কোথায়ই বা তাঁরা সেই পুজো করেছিলেন। এবার আসা যাক সেই ঘটনাতেই। জানা যায়, ১৭৯০ সালে হুগলির গুপ্তিপাড়ায় বারোজন ব্রাহ্মণ বন্ধু প্রথম চাঁদা তুলে পুজো শুরু করেন। এই পুজোই বারোয়ারি পুজো (Barowari Puja Origin) নামে খ্যাত। বাংলায় যখন দুর্গাপুজো শুরু হয়, তখন তা মূলত হত ধনীদের বাড়িতেই। কারণ দুর্গাপুজোর খরচ বিস্তর। পুজোও চার-পাঁচ দিনের। তাই ধনীরা পুজো করতেন। কিছু কিছু ব্রাহ্মণ বাড়িতেও পুজো হত। তবে তা নিতান্তই সাদামাটাভাবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুজো হত পট কিংবা যন্ত্রে। সেখানে ধনী গৃহস্থ বাড়িতে পুজো হত প্রতিমা বানিয়ে।

    কালীপুজো, জগদ্ধাত্রীপুজোও সর্বজনীন

    এক সময় কলকাতায় হাতে গোনা কয়েকটি সর্বজনীন দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) হত। কালক্রমে পুজোর সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে আলোর রোশনাই-জৌলুসও। তবে কেবল দুর্গাপুজোই যে সর্বজনীনভাবে হয় তা নয়, বারাসত-বারাকপুরের কালীপুজো, কৃষ্ণনগর, চন্দননগর, বাউড়িয়ার জগদ্ধাত্রীপুজো, উলুবেড়িয়া, কাটোয়া, চুঁচুড়া-বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে কার্তিক পুজো এবং নবদ্বীপের শাক্ত রাসও হয় সর্বজনীনভাবে (Sarbojanin Puja)।

  • Agni-Prime Missile Launch: ট্রেন থেকে অগ্নি-প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ! বিশ্বকে তাক লাগাল ভারত

    Agni-Prime Missile Launch: ট্রেন থেকে অগ্নি-প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ! বিশ্বকে তাক লাগাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করল ভারত। এই প্রথমবার ট্রেন থেকে ২ হাজার কিলোমিটার পাল্লার অগ্নি-প্রাইম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (Agni-Prime Missile Launch) সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করল দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও)। ওড়িশার চাঁদিপুরে অবস্থিত আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে একটি রেল মোবাইল লঞ্চার (Rail-Based Mobile Launcher) থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটিকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এর ফলে, বিশ্বের হাতে গোনা গুটিকয়েক সেই সব দেশের তালিকায় ঢুকে পড়ল ভারত, যাদের হাতে এই বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ প্রযুক্তি রয়েছে। এই উৎক্ষেপণের ফলে ভারতের সাফল্যে মুকুটে যে আরও একটা সাফল্যের পালক জুড়ল, তা বলাই যায়।

    কী বললেন রাজনাথ সিং?

    এই সফল ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কথা জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর জন্য ডিআরডিওকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করার আরও একটি প্রক্রিয়া সফল হল। এর জন্য গোটা দেশ গর্বিত। এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে তিনি লেখেন, “অগ্নি-প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার জন্য ডিআরডিও, স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড (SFC) এবং ভারতীয় সেনাকে অভিনন্দন। এই সফল উৎক্ষেপণ (Agni-Prime Missile Launch) ভারতকে সেই সমস্ত নির্বাচিত দেশগুলির দলে জায়গা করে দিল, যারা মোবাইল রেল নেটওয়ার্ক থেকে ক্যানিস্টারাইজড লঞ্চ সিস্টেম তৈরির ক্ষমতা রাখে।” রাজনাথ আরও বলেন, “আগামীদিনে কী কী পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে সে কথা মাথায় রেখেই এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হয়েছে৷ বিভিন্ন উন্নত সরঞ্জাম বা প্রযুক্তির মাধ্যমে সেভাবেই এটিকে ডিজাইন করা হয়েছে৷”

    রেল লঞ্চার সিস্টেম ঠিক কী?

    এটি এক ধরনের বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। ক্ষেপণাস্ত্র বহন ও উৎক্ষেপণকারী ক্যানিস্টারকে (সিলিন্ডার সদৃশ যার মধ্যে বসানো থাকে ক্ষেপণাস্ত্রটি) একটি পণ্যবাহী ট্রেনের পিছনে বগির মতো জুড়ে দেওয়া হয়। কোনও ভাবেই বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয় যে, এটি একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা (Agni-Prime Missile Launch। দেখতে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রেনের মতোই মনে হতে পারে। ফলে, একে রেলপথে যে কোনও জায়গায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়ে সেখান থেকেই উৎক্ষেপণ করা যায়। এতদিন পর্যন্ত কেবলমাত্র স্থায়ী লঞ্চপ্যাড থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বা নিক্ষেপ করা সম্ভব হত। কিন্তু, এখন থেকে রেল মোবাইল লঞ্চার (Rail-Based Mobile Launcher) ব্যবস্থাও ভারতের হাতের মুঠোয় চলে এল। এর ফলে, শত্রু ঠাওর করতে পারবে না, কোথায় রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র। শত্রুপক্ষের নজর সহজে এড়ানো যাবে। চলতে চলতেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতে পারে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

    অগ্নি-প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব কী?

    অগ্নি-প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে ২০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ক্ষমতা। এই মিসাইলের আরেকটি বিশেষত্ব হল, এটি যে কোনও স্থান থেকে নিক্ষেপ (Rail-Based Mobile Launcher) করা সম্ভব। একে দেশের যে কোনও সীমান্তে দ্রুত স্থানান্তর করা সম্ভব, কারণ এটি রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে সক্ষম। ক্যানিস্টারাইজড সিস্টেমে ক্ষেপণাস্ত্রটিকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে এটিকে খুব সহজেই স্টোরেজ করা যেতে পারে। এছাড়া, ক্ষেপণাস্ত্রটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে এর রেডার ফাঁকি দেওয়া এবং অত্যাধুনিক নেভিগেশন সিস্টেমের মাধ্যমে শত্রুর অবস্থানকে সঠিকভাবে নিশানা করার ক্ষমতা। অত্যাধুনিক ইনর্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম ছাড়াও এই ক্ষেপণাস্ত্রে (Agni-Prime Missile Launch) রয়েছে অপটিক্যাল জিপিএস এবং দেশীয় নাবিক স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম, যা লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত করতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি দুই ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করে। এই মিসাইল অগ্নি-১ এবং অগ্নি-২ ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় হালকা, আরও আধুনিক এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত।

  • Durga Puja 2025: ফিরবে সৌভাগ্য! পুজোর চারদিন কোন রঙের পোশাক পরলে সন্তুষ্ট হন দেবী?

    Durga Puja 2025: ফিরবে সৌভাগ্য! পুজোর চারদিন কোন রঙের পোশাক পরলে সন্তুষ্ট হন দেবী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ একটা বছর অপেক্ষার পর মা দুর্গা আবার আসছেন বাপের বাড়ি। চারপাশে ঢাকের বাদ্যি, উৎসবের মেজাজ। সাজগোজ হোক কিংবা পোশাক—পুজোর চার দিন সব কিছুই হতে হবে পরিপাটি। পুজো মানেই নিজের পছন্দের পোশাকে নিজেকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা। সারা বছর কেনাকাটা হোক বা না হোক, দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2025) কেনাকাটা মাস্ট। তাই পুজোর চারদিন বিভিন্ন রঙের পোশাকে নিজেকে সাজিয়ে নিন। তবে, সৌভাগ্য বজায় রাখতে হলে বা মায়ের আশীর্বাদ পেতে হলে শাস্ত্র মতে বিশেষ রঙের পোশাক (Dresses Colour Code) পরুন পুজোর কটা দিন।

    বিশেষ রঙের গুরুত্ব

    জ্যোতিষশাস্ত্রে রঙের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রং আমাদের সৌভাগ্য বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে। হিন্দু ধর্ম অনুসারে বিভিন্ন দেবদেবীর নিজস্ব প্রিয় রং রয়েছে। শাস্ত্রেই রয়েছে মা দুর্গার ৯টি রূপের, নয়টি আলাদা রং রয়েছে। দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2025) পোশাক বেছে নেওয়ার সময় এই ৯টি রঙের (Dresses Colour Code) কথা মাথায় রাখুন। এক্ষেত্রে অবাঙালিরা নবরাত্রি পালন করলেও, বাঙালিরা পুজোর চারদিনের পোশাকই বেছে নিন।

    কোন দিন কোন রং

    দুর্গা ষষ্ঠীতে মা দুর্গার মা কাত্যায়নী রূপের পুজো হয়। কাত্যায়নীর পছন্দের রং লাল। তাই আমরা ষষ্ঠীতে এই রঙের পোশাক পরলে মায়ের আশীর্বাদ পাওয়ার সম্ভবনা থাকে। মায়ের কালরাত্রি রূপের পুজো হয় এ দিন। দুর্গার এই রূপের পছন্দের রঙ নীল। তাই এবার সপ্তমীতে নীল রঙের পোশাক পরলে দুর্গার আশীর্বাদ পেতে পারেন। মা দুর্গার মহাগৌরী রূপ এ দিন পূজিত হয় (Durga Puja 2025)। মহা গৌরীর প্রিয় রঙ গোলাপী। তাই অষ্টমীর সন্ধ্যেয় আমাদের নতুন পোশাকের রঙও গোলাপি হলে মা দুর্গার কৃপাদৃষ্টি পেতে পারি আমরা। নবরাত্রির শেষ দিন মহা নবমীতে দুর্গার মা সিদ্ধিধাত্রী রূপের পুজো করা হয়। মায়ের এই রূপের পছন্দের রঙ বেগুনি (Dresses Colour Code)। নতুন পোশাক-কাপড়ও এদিন আমরা বেগুনি রঙের পরলে মা দুর্গার আশীর্বাদ লাভ করতে পারি। দশমীতে দেবীর বিসর্জন, আবার অপেক্ষা এক বছরের। এদিন লাল ও সাদা রঙের পোশাক পরা সবচেয় শুভ বলে প্রচলিত বিশ্বাস।

LinkedIn
Share