Author: Susanta Das

  • Heart Disease: শীতের শুরুতেই বাড়ছে হৃদরোগের প্রকোপ! কাদের ঝুঁকি বেশি?

    Heart Disease: শীতের শুরুতেই বাড়ছে হৃদরোগের প্রকোপ! কাদের ঝুঁকি বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দরজায় কড়া নাড়ছে শীত (Winter Season)! ভোরের ঠান্ডা হাওয়া জানান দিচ্ছে আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া। দুপুরে রোদের তীব্রতায় ঠান্ডার আমেজ আর থাকছে না। তাই বাড়ছে অস্বস্তিও। এমন পরিস্থিতিতে বিপদ বাড়ছে। হৃদরোগের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। প্রৌঢ়দের পাশাপাশি কম বয়সিদের মধ্যেও হৃদরোগের (Heart Disease) প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। বিশেষত শীতের আগে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। তাই যথেষ্ট উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, আগাম সতর্কতা না নিলে বড় বিপদ এড়ানো যাবে না।

    কেন শীতের (Winter Season) শুরুতে হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের শুরুতে হৃদরোগের (Heart Disease) প্রকোপ বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতে হৃদরোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও এই রোগের দাপট বাড়ছে। তাই বছরভর সাবধানতা জরুরি। তবে শীতের সময়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বছরের এই সময়ে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়। বিশেষত তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য বদল ঘটে। তাপমাত্রা বারবার ওঠানামার জেরে রক্তচাপের উপরেও প্রভাব পড়ে। দিনের একটা সময়ে হঠাৎ গরম, আবার কিছুটা সময়ে বেশ ঠান্ডা, এমন তাপমাত্রার বদলের জেরে রক্তচাপ হঠাৎ করেই ওঠানামা করে, এর জন্য হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে।

    কাদের বিপদ বেশি?

    হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে হৃদরোগের (Heart Disease) ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই শীতের (Winter Season) শুরুতে তাঁদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্যও বাড়তি ঝুঁকি তৈরি হয়। কারণ, এই সমস্যা থাকলে অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হয়। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে।

    কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ রাখতে এই আবহাওয়ায় বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। বিশেষত হৃদরোগের (Heart Disease) ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। সহজপাচ্য খাবার নিয়মিত খাওয়া দরকার। কম তেল মশলা দিয়ে নিয়মিত সবুজ সব্জি, মাছ, মাংস কিংবা ডিম খাওয়া প্রয়োজন। যাতে শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং প্রোটিন পায়। আবার যাতে কোলেস্টেরলের মাত্রা না বাড়ে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না। যাতে শরীরে অতিরিক্ত ওজন না বাড়ে। তাতে কোলেস্টেরলের মাত্রাও‌ বাড়ে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। প্রাণীজ প্রোটিনের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে সবুজ সব্জি, ফাইবার সমৃদ্ধ ফল খেতে হবে। শরীরে প্রোটিনের পাশপাশি ভিটমিন, খনিজ পদার্থের জোগান হলে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। শরীর সুস্থ থাকবে।

    খাবারের পাশপাশি নিয়মিত শারীরিক কসরত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত আধ ঘণ্টা হাঁটা জরুরি।‌ তাতে শরীরে ক্যালোরি ক্ষয় হয়। নিয়মিত আধ ঘণ্টা হাঁটলে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। আবার প্রত্যেক দিন সকালে যোগাভ্যাস করলে স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শরীরের অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। শীতে ঘাম কম হয়। তাই অনেক সময়েই ক্যালোরি ক্ষয় কম হয়। তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে‌। এই সময়ে নিয়মিত ব্যায়াম করলে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমবে। হৃদরোগের আশঙ্কাও কমবে।

    হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্তদের নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা দরকার। যাতে তাদের রক্তচাপ অনিয়মিত হচ্ছে কিনা, সেটা নজরে রাখা যায়। তাছাড়া, ডায়াবেটিস কিংবা কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে হাতে-পায়ের পেশিতে খিঁচুনি, মাথার পিছনে যন্ত্রণা কিংবা বুকে চিনচিনে ব্যথা, বমি ভাবের মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। প্রথমেই চিকিৎসা শুরু হলে হৃদরোগের (Heart Disease) বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Modi Rajnath on Delhi Blast: ‘‘ষড়যন্ত্রকারীদের রেয়াত করা হবে না’’ দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে হুঁশিয়ারি মোদি-রাজনাথের, প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় পাকিস্তানে জারি হাই-অ্যালার্ট

    Modi Rajnath on Delhi Blast: ‘‘ষড়যন্ত্রকারীদের রেয়াত করা হবে না’’ দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে হুঁশিয়ারি মোদি-রাজনাথের, প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় পাকিস্তানে জারি হাই-অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ষড়যন্ত্রকারীদের রেয়াত করা হবে না। দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে।’’ দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ড নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের আশ্বাস, ‘‘জড়িত দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’’

    ‘‘ষড়যন্ত্রকারীদের রেয়াত করা হবে না’’: প্রধানমন্ত্রী

    দিল্লি বিস্ফোরণের আবহে বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে ভুটানে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে দিল্লি বিস্ফেরণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কড়া ভাষায় বলেন, ‘‘ষড়যন্ত্রকারীদের রেয়াত করা হবে না।’’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ আমি খুব ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এখানে এসেছি। গতকাল সন্ধ্যায় দিল্লিতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনাটি সকলকে শোকাহত করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কষ্ট আমি বুঝতে পারি। আজ পুরো দেশ তাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। গত রাতভর আমি এই ঘটনার তদন্তকারী সকল সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলাম। আমাদের তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই ষড়যন্ত্রের গভীরে পৌঁছাবে। এর পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের রেয়াত করা হবে না। এই ঘটনায় দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে।’’ পাশাপাশি, নিহতদের পরিজনদের প্রতি আরও একবার সমবেদনা জানিয়েছেন মোদি। বলেন, এই দুঃসময়ে গোটা দেশ তাঁদের সঙ্গে রয়েছে। একইসঙ্গে এও জানান, নিরাপত্তা ও আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা নিরপেক্ষ তদন্ত করে। দ্রুত তদন্তের নিষ্পত্তি করে।

    ‘‘দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে’’: রাজনাথ

    ষড়যন্ত্রকারীদের কড়া হুঁশিয়ারি দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও। তিনিও জানিয়ে দেন, গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত দোষীদের কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। কোনও অবস্থাতেই তাদের রেহাই দেওয়া হবে না।’’ একইসঙ্গে ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক’ উল্লেখ করে বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান রাজনাথ। “গতকাল দিল্লিতে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, আমি তাদের সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। এই গভীর শোকের মুহূর্তে আমি প্রার্থনা করি ঈশ্বর যেন শোকাহত পরিবারগুলিকে শক্তি ও সান্ত্বনা দেন।”

    সিঁদুর আতঙ্কে নোটাম জারি পাকিস্তানের

    এদিকে, লালকেল্লা বিস্ফোরণের পরেই সিঁদুর আতঙ্কে নোটাম জারি করে দিয়েছে পাকিস্তান। গত এপ্রিল মাসে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি শিবির। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে যায় পাকিস্তানের অন্তত ১১টি একধিক বায়ু সেনাঘাঁটি।ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয় ১০০ জনের বেশি জঙ্গি ও ৩৫-৪০ জন পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদের আর্জিতে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় নয়াদিল্লি। তবে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের উদ্দেশে জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে ভারতের মাটিতে কোনও রকম জঙ্গি হামলা হলে, তা ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ-ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে, এবার দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের পর ফের সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে পাকিস্তান। পাক আকাশ সীমায় হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ইসলামাবাদ! সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের স্থল, বায়ু এবং নৌসেনাকেও বিশেষ সতর্ক থাকতে বলেছে সেদেশের সরকার।

    পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপাল সীমান্তে জারি উচ্চ সতর্কতা

    সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ৬টা ৫৫ মিনিট নাগাদ গাড়ি-বোমা বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু ঘটেছে। জখম হন আরও অনেকে। দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ তো বটেই, পাশাপাশি একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্ত করছে। ঘটনার পর পরই লালকেল্লার সামনে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) দল। এ ছাড়াও, এনএসজি এবং ফরেন্সিক দলও জড়িত এই ঘটনার তদন্তে। এই বিস্ফোরণ যে নাশকতার জেরেই ঘটেছে, তা স্পষ্ট হয়ে যায় তদন্ত এগোতেই। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপাল সীমান্তে জারি হয় উচ্চ সতর্কতা। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিএসএফ ইতিমধ্যেই পঞ্জাবে জোরদার টহলদারি শুরু করেছে সীমান্তে। রাজস্থান সীমান্তেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বিভিন্ন আউটপোস্টে। নেপাল সীমান্ত দিয়ে যাতায়াতকারী প্রত্যেককে খুটিয়ে খুটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

  • Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণের আত্মঘাতী জঙ্গি কাশ্মীরি চিকিৎসক উমর, যুক্ত ছিল ফরিদাবাদ মডিউলের সঙ্গে!

    Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণের আত্মঘাতী জঙ্গি কাশ্মীরি চিকিৎসক উমর, যুক্ত ছিল ফরিদাবাদ মডিউলের সঙ্গে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমাবার সন্ধ্যায় লাল কেল্লার কাছে ঘটে যায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। শক্তিশালী গাড়ি বিস্ফোরণে ঝরে গিয়েছে অন্তত ১১টি প্রাণ। আহত বহু। এই ঘটনার পরই, দ্রুত তদন্তে নামে একাধিক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এজেন্সি। এরই মধ্যে হামলার আগের মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা থেকে বিরাট সূত্র পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, সাদা রঙের ওই ‘হুন্ডাই আই২০’ গাড়িটি দুপুর ৩টে ১৯ মিনিটে লালকেল্লার অদূরে সুনহেরি মসজিদ কাছে একটি পার্কিংয়ে প্রবেশ করেছিল। সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত গাড়িটি সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিল। তার পরে ওই পার্কিং থেকে বেরোয় গাড়িটি। পার্কিং থেকে বার হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে লালকেল্লার কাছে গাড়িটিতে বিস্ফোরণ হয়।

    সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে

    এর কিছুক্ষণ আগে তোলা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ভিড়ের মধ্যে দিয়ে একটি আই-২০ গাড়ি যাচ্ছে। কালো মাস্ক পরা ব্যক্তি, যাকে গাড়ির ভেতরে চালকের আসনে বসে থাকতে দেখা গেছে, তাকে জঙ্গি মহম্মদ উমর বলে মনে করা হচ্ছে। সন্দেহজনক গাড়ির এই ফুটেজটি বিস্ফোরণের তদন্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে রাস্তাটি যখন খুব ব্যস্ত ছিল, তখন একটি সাদা আই-২০ গাড়ি ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। গাড়িটি যানজটের মধ্য দিয়ে চলতে থাকে। ফুটেজ অনুসারে, গাড়িটি যে চালাচ্ছিল তার মুখ কালো মাস্ক দিয়ে ঢাকা ছিল।

    ‘হোয়াইট কলার টেরর’

    সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযানে কয়েকদিন আগেই প্রথম জম্মু-কাশ্মীরের এক ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর তদন্ত যত এগিয়েছে তত উঠে এসেছে একের পর এক ডাক্তার যোগ। বিস্ফোরণের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই এই লালকেল্লা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে বাজেয়াপ্ত হয় প্রায় ৩ হাজার কেজি বিস্ফোরক! প্রথমে মুজাম্মিল শাকিল নামে এক চিকিৎসকের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে সাড়ে তিনশো কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। এরপর ওই চিকিৎসকের আর একটি ভাড়া বাড়ি থেকে আড়াই হাজার কেজির বেশি বিস্ফোরক উদ্ধার করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বলে জানা যায়। গোয়েন্দাদের তখনই সন্দেহ ছিল, দেশের বিরাট এলাকা জুড়ে ‘হোয়াইট কলার’ সন্ত্রাসবাদের বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করে ফেলেছে জঙ্গি মডিউলগুলি, যাদের অংশ এই ডাক্তাররা।

    ফরিদাবাদ জঙ্গি মডিউল

    এই ঘটনায় গোয়েন্দারা গ্রেফতার করে তিন চিকিৎসককে। গত কয়েকদিনে তদন্তকারীরা ফরিদাবাদ জঙ্গি মডিউলের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, দুই কাশ্মীরি চিকিৎসক ডাঃ মুজাম্মিল শাকিল এবং ডাঃ আদিল রাথেরকে গ্রেফতার করে, সেই সঙ্গে মোট ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করে। মুজাম্মিলের সহযোগী ফরিদাবাদ নিবাসী শাহীন শাহিদ নামে এক কাশ্মীরি মহিলা চিকিৎসককের হদিশ মেলে। তাঁর গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় একে-৪৭ রাইফেল। পরে লখনউ থেকে ওই মহিলা চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই চক্রের তদন্তে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে কাশ্মীর পুলিশ। ধৃতেরা হল আরিফ নিসর দার, ইয়াসির-উল-আসরফ, মকসুদ আহমেদ দার, ইরফান আহমেদ, জামির আহমেদ।

    আত্মঘাতী চালকের পরিচয়

    কিন্তু, পলাতক ছিল আরও এক কাশ্মীরি চিকিৎসক। সে-ই হল এই আত্মঘাতী জঙ্গি মহম্মদ উমর। তদন্তকারীদের অনুমান, সঙ্গীরা গ্রেফতার হতেই ডাঃ উমর মহম্মদ আতঙ্কিত হয়ে লাল কেল্লার কাছে বিস্ফোরণ ঘটায়। পেশায় চিকিৎসক উমরই গাড়িটি চালিয়ে নিয়ে যান এবং দুই সহযোগীর সঙ্গে মিলে তিনিই হামলার পরিকল্পনা করেন বলে সূত্রের খবর। কিন্তু, সোমবার ফরিদাবাদ থেকে দু’জন গ্রেফতার হওয়ার পর, ভয়ে তড়িঘড়ি বিস্ফোরণ ঘটানো হয় লালকেল্লার কাছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সহযোগীদের সঙ্গে মিলে গাড়িতে ডিটোনেটর রাখেন উমরই। বিস্ফোরণ ঘটাতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। ভেবেচিন্তেই ভিড় জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছিল বলেও মনে করা হচ্ছে।

  • White Collar Terror: ‘হোয়াইট কলার টেরর’-এর মুখ চিকিৎসকরা! ৪ গ্রেফতারি তুলে দিল বড় প্রশ্ন

    White Collar Terror: ‘হোয়াইট কলার টেরর’-এর মুখ চিকিৎসকরা! ৪ গ্রেফতারি তুলে দিল বড় প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত চার দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেফতার চার চিকিৎসক। না, কোনও চিকিৎসা-সংক্রান্ত গাফিলতি বা দুর্নীতি নয়, একেবারে সরাসরি জঙ্গি-যোগের অভিযোগে! সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে বিপুল বিস্ফোরক, ডেটোনেটর সহ বোমা বানানোর যাবতীয় উপকরণ এবং এক-৪৭ সহ একাধিক অ্যাসল্ট রাইফেল। এই গ্রেফতারির ঘটনাপ্রবাহ দেশের চিকিৎসক মহলে তো বটেই, নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক স্তরেও উদ্বেগ ছড়িয়ে দিয়েছে। এতদিন ভারতে নাশকতা কার্যকলাপের বিস্তারে সাধারণ নাগরিকদের ‘স্লিপার সেল’ ও ‘ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার’ হিসেবে নিয়োগ করত পাকিস্তানের জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলি। কিন্তু, এখন একবারে সাদা কোট পরা ও গলায় স্টেথো ঝোলানো চিকিৎসকদের এই কাজে নিয়োগ শুরু করেছে তারা। অর্থাৎ, পদস্থ পেশাদারদের ব্রেনওয়াশ করে তাঁদের ব্যবহার করা হচ্ছে এদেশে নাশতকামূলক কার্যকলাপ ছড়িয়ে দিতে। এরই পোশাকী নাম ‘হোয়াইট কলার টেরর’।

    হোয়াইট কালার টেরর-এর মুখ!

    সীমান্তপারের জঙ্গি নেতা ও ভারত-বিরোধী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট ডিপ-স্টেট নেটওয়ার্কের নেওয়া এই পন্থা এদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, এই ৪ চিকিৎসক পাকিস্তান ও বিদেশি রাষ্ট্রের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। এমনকি, জৈশ-ই-মহম্মদ, আইসিস ও আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের মতো নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সংস্পর্শে এসেছিল এই চিকিৎসকরা। আর শুধু কি এই চারজনই? নাকি আরও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে? এখনও যারা গ্রেফতার হয়নি! যারা এখনও দেশের কোথাও না কোথাও মিশে গিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছে! এই চিন্তা দুঁদে গোয়েন্দাদেরও এখন একটা বড় প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে করিয়ে দিয়েছে। সেটা হল— ‘হোয়াইট কলার টেরর’-এর মুখ কি এখন চিকিৎসকরা?

    গ্রেফতার হয়েছে যারা…

    উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আদিল রাথের

    চিকিৎসক-জঙ্গি যোগ তদন্তের প্রথম গ্রেফতার হওয়া ডাক্তারের নাম আদিল আহমেদ রাথের। জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের (জিএমসি) প্রাক্তন সিনিয়র আবাসিক ডাক্তার আদিলের ব্যক্তিগত লকার থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। অনন্তনাগের কাজিগুন্ডের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সি আদিল আহমেদ রাথের গত বছরের ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত জিএমসি অনন্তনাগে কর্মরত ছিল।

    পুলিশ জানিয়েছে যে, রাথেরের সঙ্গে জৈশ-ই-মহম্মদ এবং আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের যোগসূত্র ছিল। ২৭ অক্টোবর শ্রীনগরে জৈশ-সমর্থন পোস্টার দেখা যাওয়ার পর এই আবিষ্কার হয়। সিসিটিভি ফুটেজে রাথেরের কার্যকলাপ ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তাকে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে ট্র্যাক করা হয় এবং ৬ নভেম্বর তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। অস্ত্র আইন এবং বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (ইউএপিএ) এর অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

    গুজরাট থেকে গ্রেফতার আহমেদ সৈয়দ

    হায়দরাবাদের ৩৫ বছর বয়সি চিকিৎসক আহমেদ মহিউদ্দিন সৈয়দকে ৭ নভেম্বর গুজরাট এটিএস গ্রেফতার করে। চিনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এমবিবিএস ডাক্তার সৈয়দ ক্যাস্টর (রেড়ি) বীজ থেকে প্রাপ্ত প্রাণঘাতী প্রোটিন রাইসিন তৈরি করছিল এবং দিল্লির আজাদপুর মান্ডি, আহমেদাবাদের নারোদা ফলের বাজার এবং লখনউতে আরএসএস অফিস সহ জনাকীর্ণ জনসমাগমস্থলে কয়েক মাস ধরে নজরদারি চালিয়েছিল। দুটি গ্লক পিস্তল, একটি বেরেটা, ৩০টি তাজা কার্তুজ এবং চার লিটার ক্যাস্টর অয়েল সহ আমেদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সৈয়দকে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, সৈয়দ আইসিস-খোরাসান প্রদেশের আবু খাদিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ, অস্ত্র আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

    হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার মুজমিল শাকিল

    তৃতীয় চিকিৎসক যাকে গ্রেফতার করা হয়, সে হল মুজামিল শাকিল। আদিলের মতো মুজমিলও কাশ্মীরি চিকিৎসক। আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ডাঃ মুজামিল শাকিলকে ৯ নভেম্বর দিল্লির কাছে ফরিদাবাদ থেকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানা পুলিশের একটি যৌথ দল গ্রেফতার করে। মুজমিলের বাড়িতে হানা দিয়ে সেখান থেকে ১২টি স্যুটকেসে মজুদ করা ৩৬০ কিলোগ্রাম সন্দেহভাজন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করেছে, যা প্রায়শই ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ফরিদাবাদ পুলিশ কমিশনার সতেন্দ্র কুমার গুপ্তা বলেন, শাকিলের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসূত্র ছিল এবং সেও আগে শ্রীনগরে জেএম-সমর্থক পোস্টার পোস্ট করেছিল। রাথারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

    হরিয়ানা থেকে এক মহিলা চিকিৎসক গ্রেফতার

    মুজমিলের পাশাপাশি, ওই অভিযানে পুলিশ এক মহিলা চিকিৎসককেও গ্রেফতার করে। তার গাড়ির ডিকি থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলা চিকিৎসকের সুইফ্ট গাড়ি থেকে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল এবং অন্যান্য অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে যা মহিলা ডাক্তারের সঙ্গে যুক্ত। গাড়ি থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে ছিল একটি একে-৪৭ তিনটি ম্যাগাজিন সহ, একটি পিস্তল লাইভ রাউন্ড সহ, দুটি খালি কার্তুজ এবং দুটি অতিরিক্ত ম্যাগাজিন।

  • RDX AK-47 Recovered: কাশ্মীরি চিকিৎসকের লকারে উদ্ধার একে-৪৭, জেরা করে মিলল ৩৫০ কেজি বিস্ফোরকের খোঁজ!

    RDX AK-47 Recovered: কাশ্মীরি চিকিৎসকের লকারে উদ্ধার একে-৪৭, জেরা করে মিলল ৩৫০ কেজি বিস্ফোরকের খোঁজ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে তিন আইএস জঙ্গি গ্রেফতারের পর এবার দেশের বড়সড় জঙ্গি হামলার ছক ফাঁস করল সুরক্ষা বাহিনী। দেশের রাজধানী দিল্লির কাছে ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের একটি দল হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে ৩০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, একটি অ্যাসল্ট রাইফেল-সহ প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। এর আগে অনন্তনাগের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের আদিল আহমেদ রাদার নামে এক প্রাক্তন চিকিৎসকের লকার থেকে একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার করেছিল পুলিশ৷ অভিযুক্ত ওই চিকিৎসককে জেরা করে আরও এক সন্দেহভাজন চিকিৎসকের সন্ধান মেলে৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকেও আটক করা হয়৷

    চিকিৎসকের লকারে একে-৪৭!

    পর্দাফাঁস তদন্তের শুরুটা হয়েছিল শ্রীনগরে জইশ-ই-মহম্মদের পোস্টার লাগানোর তদন্তকে ঘিরে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একজন ওই পোস্টার লাগাচ্ছেন। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তিনি আদিল আহমেদ রাথের। পেশায় চিকিৎসক। জানা যায়, তিনি অনন্তনাগ মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন রেসিডেন্ট চিকিৎসক। শুক্রবার আদিলের ব্যক্তিগত লকার থেকে একটি এক-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। স্টেথোস্কোপ, রোগীদের প্রেসক্রিপশনের সঙ্গে রাখা ছিল ওই একে-৪৭ রাইফেলটি। অনন্তনাগের কাজিগুন্ডের বাসিন্দা ওই যুবক ২০২৪ সালের ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ওই হাসপাতালে সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। অনন্তনাগের জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টার (জেআইসি) ও শ্রীনগর পুলিশের যৌথ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাইফেলটি বাজেয়াপ্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হয় আদিলকে।

    কেঁচো খুঁড়তে বেরল কেউটে!

    কিন্তু, চক্রান্ত ফাঁসের এটা ছিল প্রথম ধাপ। গোয়েন্দারা তখনও জানতে পারেননি, পরে কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে পড়বে আস্ত কেউটে! আদিলকে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে অনন্তনাগের জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টারে নিয়ে গিয়ে জেরা করে তাঁর থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিরাট বড় নাশকতার ছক বানচাল করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। আদিলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মুজাহিল শাকিল নামে অনন্তনাগের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের আরেক ডাক্তারের খোঁজ মেলে। সেই চিকিৎসককে জেরা করতেই উঠে আসে ফরিদাবাদ সংযোগ। তদন্তে প্রকাশ, এই দুই চিকিৎসকের সঙ্গে আরও একজন চিকিৎসকের যোগাযোগ ছিল, যাদের নেটওয়ার্ক দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে হরিয়ানা পর্যন্ত বিস্তৃত।

    চলছে “মাস্টারমাইন্ড”-এর খোঁজ

    এই সূত্র ধরেই রাজধানী দিল্লির কাছে ফরিদাবাদে মুজাহিলের বাড়ি ও হাসপাতালে হানা দেয় ছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ও হরিয়ানা পুলিশের পুলিশের বিশাল যৌথ বাহিনী। কিন্তু, সেখানে পৌঁছে গোয়েন্দাদের চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় একটি অ্যাসল্ট রাইফেল এবং প্রায় ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক। উদ্ধার হয় ৮৩টি কার্তুজ সহ তিনটি ম্যাগাজিন, আটটি কার্তুজ সহ একটি পিস্তল, আটটি বড় স্যুটকেস ৪ট ছোট স্যুটকেস, ব্যাটারি সমেত ২০টি টাইমার, ২৪টি রিমোট কন্ট্রোল, ৫ কেজি ভারী ধাতু, ওয়াকি-টকি, বৈদ্যুতিন তার। এই বিপুল অস্ত্র এবং বিস্ফোরক কোথা থেকে পাঠানো হচ্ছে, তার উৎসের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ৷ উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও বিস্ফোরক ফরেনসিক টিমের হাতে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে এবং খুব শিগগিরই এই চক্রের “মাস্টারমাইন্ড”-এর পরিচয় প্রকাশ করা হবে। তদন্তকারীদের মতে, এই নেটওয়ার্ক শুধুমাত্র কাশ্মীর নয়, বরং দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে।

    তদন্তে এনআইএ, আইবি

    জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। এনআইএ এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোসহ একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে। পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে পরিচালিত ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার্স (ওজিডব্লিউ) এবং সন্ত্রাসবাদী দলের কমান্ডারদের বিরুদ্ধে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। গত তিন দিন ধরে প্রায় ৫০০টি স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে এবং ৩০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘এই অভিযানের মূল লক্ষ্য সন্ত্রাসবাদীদের সহায়তা করে এমন পরিকাঠামো নষ্ট করা। এর মধ্যে রয়েছে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদীদের এবং তাদের আন্তঃসীমান্ত হ্যান্ডলারদের লজিস্টিক, আর্থিক এবং আদর্শগত সহায়তা প্রদান করে এমন নেটওয়ার্কগুলি ধ্বংস করা।’

  • Breast Cancer: প্রতি আট মিনিটে একজনের মৃত্যু! বাড়তি ওজন আর অনিয়মিত জীবনযাপনে বাড়ছে স্তন ক্যান্সারের বিপদ?

    Breast Cancer: প্রতি আট মিনিটে একজনের মৃত্যু! বাড়তি ওজন আর অনিয়মিত জীবনযাপনে বাড়ছে স্তন ক্যান্সারের বিপদ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    ভারতীয় মহিলাদের ক‌্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে, তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছে স্তন ক্যান্সার (Breast Cancer)। এক দশক আগেও চল্লিশ পেরিয়ে বহু মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হতেন। দেরিতে চিকিৎসা শুরু করার জেরে বিপদ‌ বাড়ত। কিন্তু গত এক দশকে বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। তাই উদ্বেগ আরও বাড়ছে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্তন ক্যান্সার নিয়ে আরও সচেতনতা এবং সতর্কতা না বাড়লে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

    কী বলছে নতুন তথ্য?

    কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীয় ক্যান্সার (Breast Cancer) আক্রান্ত মহিলাদের ২৯ শতাংশ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। প্রতি চার মিনিটে ভারতে একজন মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতি আট মিনিটে একজন স্তন ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলা মারা যান। প্রতি বছর ৯০ হাজার মানুষ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।এই তথ্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এ দেশে স্তন ক্যান্সারের সুচিকিৎসা রয়েছে। কিন্তু তারপরেও প্রতি বছর এই মৃত্যু হার জানান দিচ্ছে এই রোগ নিয়ে সচেতনা তলানিতে। তাই রোগ নির্ণয়ে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। ফলে চিকিৎসা দেরিতে শুরু হয়। তার জেরেই পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বয়স ২৫ কিংবা ৩০ হলেও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। গত তিন-চার বছরে তিরিশের চৌকাঠ পেরনোর আগেই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কেন বাড়ছে এই‌ রোগের দাপট?

    ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের (Breast Cancer) দাপট বাড়ার অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর জীবন‌ যাপন। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্থুলতা অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার নেপথ্যে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের বাড়তি ওজন নানান রোগের ঝুঁকি তৈরি করে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমিয়ে দেয়। অতিরিক্ত ওজনের জন্য হরমোনের ভারসাম্যের অভাব দেখা দেয়। আর এই কারণেই ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত খাবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পিৎজা, বার্গার কিংবা প্যাকেটজাত ন্যুডলসের মতো খাবারে নানান রাসায়নিক থাকে। সেগুলো খাবারে স্বাদ ধরে রাখে। কিন্তু তার জেরে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা যায়। তাছাড়া ওই রাসায়নিক শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। এর ফলে শরীরের বাড়তি ওজন হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওই সমস্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। প্রয়োজনীয় ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজ পদার্থ থাকে না। ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বেড়ে ওঠে না। তাই শরীর দূর্বল হয়ে যায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওজন ও খাবারের পরিমাণ, এই দুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই স্তন ক্যান্সারের (Breast Cancer) ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

    বড় বিপদ এড়ানোর কী কৌশল জানাচ্ছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞেরা?

    ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সচেতনতা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই এই রোগ সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরি। নিয়মিত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রয়োজন।‌ যাতে কোনো সমস্যা হলেই প্রথম পর্বেই তার চিকিৎসা শুরু হতে পারে। তাছাড়া, এই রোগ এড়াতে স্বাস্থ্যকর জীবন‌যাপন প্রয়োজন। ওজন নিয়ে সচেতনতা প্রয়োজন। যাতে অতিরিক্ত ওজন না হয়, তার জন্য খাবারে নজরদারির পাশপাশি নিয়মিত শারীরিক কসরত করা জরুরি। তাতে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এতে শরীর সুস্থ থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার ক‌্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তাই নিয়মিত ডাল, ছোলা, আপেল, লেবু জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। পরিবারের কেউ ক্যান্সার আক্রান্ত হলে, অন্যান্য সদস্যদের এই রোগ সম্পর্কে বাড়তি সচেতনতা জরুরি। তাহলে বড় সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়।

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, স্তন ক্যান্সার (Breast Cancer) জয় করে আবার স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব। কিন্তু এ দেশে অসচেতনতার জেরে এই রোগে মৃত্যু হার উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। প্রথম পর্বে রোগ নির্ণয় হলে এবং সম্পূর্ণ চিকিৎসা করলে আবার স্বাভাবিক জীবন‌ যাপন করা যায়। তাই অযথা আতঙ্ক নয়। বরং সচেতনতাকে হাতিয়ার করলেই এ দেশে স্তন ক্যান্সারের ছবি বদলে যাওয়া যাবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • HAL-GE Jet Engine Deal: মার্কিন জিই এরোস্পেস থেকে ১১৩টি জেট ইঞ্জিন কিনছে ভারত, ৮ হাজার ৮৭০ কোটির চুক্তি স্বাক্ষর

    HAL-GE Jet Engine Deal: মার্কিন জিই এরোস্পেস থেকে ১১৩টি জেট ইঞ্জিন কিনছে ভারত, ৮ হাজার ৮৭০ কোটির চুক্তি স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে শুল্ক-সংঘাতের আবহের মধ্যে মার্কিন সংস্থার সঙ্গে বিরাট বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত। দেশীয় তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের জন্য ১১৩টি অত্যাধুনিক শক্তিশালী ‘এফ-৪০৪ আইএন২০’ ইঞ্জিন কিনতে প্রায় ৮ হাজার ৮৭০ কোটি টাকার চুক্তি সম্পন্ন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত যুদ্ধবিমান উৎপাদনকারী সংস্থা হিন্দুস্থান এরোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল। শুক্রবারই এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

    তেজস জেট উৎপাদনের সমস্যা দূর হবে

    এই চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৭ সাল থেকে ইঞ্জিন পেতে শুরু করবে ভারত। ২০৩২ সালের মধ্যে সবকটি ইঞ্জিন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে। হ্যালের তরফে জানানো হয়েছে, এই চুক্তির ফলে ভারতের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান উৎপাদনে বিশেষ সুবিধা হবে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ৬২,৩৭০ কোটি টাকায় ৯৭টি ৪.৫ প্রজন্মের হালকা ‘মাল্টি রোল সুপারসনিক’ যুদ্ধবিমান তেজস মার্ক-১এ কেনার চুক্তি করেছিল। ২০২৭-২৮ থেকে সরবরাহ শুরু হওয়ার কথা। ছ’বছরের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে। মার্কিন সংস্থার সঙ্গে এই ইঞ্জিন-চুক্তি তেজস সরবরাহ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন ইঞ্জিন পেলে সময়মতো যুদ্ধবিমান সরবরাহে সমস্যা হবে না বলে হ্যাল সূত্রের খবর।

    ১০ বছরের প্রতিরক্ষা সমঝোতা ভারত-আমেরিকার

    গতমাসের শেষ দিকে, আগামী এক দশকে প্রতিরক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত ও আমেরিকা। সেখানে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয় মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিটার হেগসথের৷ ওই বৈঠকের পর মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের দাবি করেন, ওই চুক্তি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও প্রতিরোধমূলক সক্ষমতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। এটি দুই দেশের মধ্যে সমন্বয়, তথ্য বিনিময় ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও জোরদার হবে এর মাধ্যমে। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই স্বাক্ষরিত হল হ্যাল-জিই ইঞ্জিন চুক্তি। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে দশ বছরের জন্য হওয়া এই চুক্তি ভারত ও আমেরিকাকে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার প্রশ্নে আরও কাছাকাছি এনে দিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে৷

  • Bitter Gourd: হৃদরোগ থেকে ডায়াবেটিস, একাধিক রোগ রুখবে করলা!

    Bitter Gourd: হৃদরোগ থেকে ডায়াবেটিস, একাধিক রোগ রুখবে করলা!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্বাদ তেতো হলেও শরীরের জন্য খুবই উপকারি। তাই দুপুরের খাবারের শুরু হোক করলা (Bitter Gourd) দিয়েই। এমনটাই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তরুণ প্রজন্মের একাংশ, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা কিংবা ডায়াবেটিসের মতো নানান জটিল রোগে (Lifestyle Diseases) ভুগছেন। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, একাধিক জটিল রোগের ঝুঁকি কমাবে এই সব্জি! নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে করলা খেলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়।

    কোন কোন রোগ করলা মোকাবিলা করতে পারে?

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়সিদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার খাওয়ার জেরে এই ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। করলা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত করলা (Bitter Gourd) খেলে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে!

    দেশ জুড়ে বাড়ছে ডায়াবেটিস। স্কুল পড়ুয়া থেকে প্রৌঢ়, সব বয়সীদের মধ্যেই ডায়াবেটিসের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। ডায়াবেটিস শরীরে একাধিক রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, দীর্ঘ সুস্থ জীবন যাপনের জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকা জরুরি। আর এই কাজে সাহায্য করে করলার মতো সব্জি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত করলা খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, করলা (Korola Karela) ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারি। আবার যারা প্রি-ডায়াবেটিক, অর্থাৎ, যাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার বাড়তি ঝুঁকি রয়েছে, তাঁদের নিয়মিত করলা খেলে বিপদ কমবে।

    লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে!

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়লায় থাকে ডিটক্সিফাইং উপাদান। এই জেরে নিয়মিত করলা (Bitter Gourd) খেলে লিভারের নানান অসুখের ঝুঁকি কমে। লিভার সুস্থ থাকে। হজম শক্তিও বাড়ে। এর পাশপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমে।

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়!

    কয়লায় ভিটামিন সি থাকে। তাই পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত করলা খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। যেকোনও সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমে। আবার সর্দি-কাশির ভোগান্তিও কমবে।

    কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকিও কমায়!

    কিডনিতে পাথর জমার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অসময়ে খাওয়ার অভ্যাস, ঠিকমতো বিশ্রাম না নেওয়া, পর্যাপ্ত জল না খাওয়া, বারবার হজমের সমস্যা ও নানান অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের (Lifestyle Diseases) অভ্যাসের জেরেই কিডনিতে পাথর জমার মতো রোগ দেখা দিচ্ছে। আর কিডনিতে একবার পাথর জমলে, বারবার পাথর তৈরির ঝুঁকিও থাকে। নিয়মিত করলা খেলে এই ঝুঁকি কমে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়লায় থাকা নানান উপাদান কিডনিতে বারবার পাথর তৈরি হতে বাধা দেয়। কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত ভাতের আগে করলা (Bitter Gourd) খাওয়া যায়। করলার তরকারি বা অন্য পদ তৈরি করে নিয়মিত খেলে শরীরের উপকার হয়। করলা সব বয়সের মানুষের জন্য সমান উপকারি।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Stroke Victim: স্ট্রোকে আক্রান্তের নিরিখে দেশের শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ! কাদের ঝুঁকি বেশি?

    Stroke Victim: স্ট্রোকে আক্রান্তের নিরিখে দেশের শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ! কাদের ঝুঁকি বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রোগ আর বয়সের বেড়াজাল মানছে না। কম বয়সিদের মধ্যে এমন নানান রোগের দাপট বাড়ছে, যার ফলে দীর্ঘমেয়াদি ভোগান্তি বাড়ছে‌। বাড়ছে মৃত্যু হার। সেই রোগের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে স্ট্রোক। ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। আর আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। দেশের অন্যান্য শহরের তুলনায় কলকাতায় স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সাম্প্রতিক রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে চিকিৎসক মহলের দাবি, তরুণ বঙ্গবাসীর জীবন যাপনের অভ্যাস স্ট্রোকের বিপদ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

    কী বলছে তথ্য?

    ইন্ডিয়ান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন-র সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় কলকাতায় ৪০ শতাংশ বেশি স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। আর অধিকাংশ রোগীর বয়স ৪০ বছরের কম। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭০ শতাংশ স্ট্রোক আক্রান্তের চিকিৎসা গড়ে প্রায় ৯-১০ ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়। আর এই তথ্য সবচেয়ে উদ্বেগজনক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ট্রোকে আক্রান্তের চিকিৎসা দেরিতে শুরু হওয়ার জেরেই মৃত্যুর হার বাড়ছে। কলকাতার পাশপাশি গোটা রাজ্যের পরিস্থিতিও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর কারণের মধ্যে ৬২ শতাংশ স্ট্রোকে মারা যান। পশ্চিমবঙ্গে শহরের তুলনায় গ্রামে স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা বেশি। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে শহুরে এলাকায় প্রতি ১ লাখে ২৫০ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। কিন্তু গ্রামের পরিস্থিতি আরও খারাপ। প্রতি ১ লাগে ৩৬৯ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন।

    কেন পশ্চিমবঙ্গে স্ট্রোকের দাপট বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের ধরনের জন্য কম বয়সিদের জন্য স্ট্রোকের দাপট বাড়ছে। একাধিক সর্বভারতীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ধূমপান এবং মদ্যপানে আসক্তের তালিকাতেও পশ্চিমবঙ্গে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। আর সেই প্রবণতাই জানান দেয়, কেন রাজ্যে স্ট্রোকের প্রকোপ বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস। এ রাজ্যের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই দুই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস বাড়ছে। তার জেরে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বাড়ছে। অনিয়ন্ত্রিত ভাবে রক্তচাপ ওঠানামা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। পাশাপাশি এ রাজ্যে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যাও উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে। রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ছে। খাদ্যাভাস স্ট্রোকের অন্যতম কারণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের বঙ্গবাসীর একাংশ একেবারেই ব্যালেন্স ডায়েট মেনে চলছেন না। অধিকাংশ সময়েই তাঁরা প্রাণীজ প্রোটিন খাচ্ছেন। কিন্তু তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার শরীরে যায় না। যে ধরনের প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া হচ্ছে, তাতে থাকছে অতিরিক্ত তেল ও মশলা। এর ফলে ওবেসিটির সমস্যা বাড়ছে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

    কীভাবে এই বিপদ কমানো সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্ট্রোক সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। ইন্ডিয়ান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন-র তরফে জানানো‌ হয়েছে, স্ট্রোকের লক্ষণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। হাত-পা অসাড় হয়ে যাওয়া, হঠাৎ করেই জ্ঞান হারানো, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া কিংবা স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো নানান উপসর্গ স্ট্রোকের জানান দেয়। এই ধরনের সমস্যা হলেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। এর পাশপাশি সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, তরুণ স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের আরও বেশি কর্মশালা জরুরি। যাতে তাঁরাও স্ট্রোকে আক্রান্তের চিকিৎসায় আরও প্রশিক্ষিত হতে পারেন। নিপুণ হতে পারেন। স্ট্রোকে মৃত্যু হার কমানোর একমাত্র উপায় দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা। পশ্চিমবঙ্গে দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় চিকিৎসা শুরু দেরিতে হয়। তাই মৃত্যু হার ও বেশি। এর পাশাপাশি, স্ট্রোকের দাপট কমাতে কম বয়সিদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর জীবন‌যাপনের অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ। নিয়মিত শারীরিক কসরত করার অভ্যাস তৈরি করা এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস আয়ত্ত করতে পারলেই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে।

  • Winter Vegetables: ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রুখতে শীতের সব্জিতেই ভরসা চিকিৎসকদের, কোন পদে বাড়তি উপকার?

    Winter Vegetables: ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রুখতে শীতের সব্জিতেই ভরসা চিকিৎসকদের, কোন পদে বাড়তি উপকার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    শীত প্রায় দরজায় হাজির! বাজারে দেদার সব্জি! কিন্তু ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কি সব খাওয়া যায়? শীতের সব্জিতেও (Winter Vegetables) কি রাশ টানতে হবে? খাবার নিয়ে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মনে চলে নানান সংশয়।

    শীতের সব্জি ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য উপকারি

    দেশজুড়ে বাড়ছে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতি বছর ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ছে। এমনকি স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও টাইপ-টু ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। দীর্ঘমেয়াদি এই লাইফস্টাইল ডিজিজ বিপদ বাড়াচ্ছে। একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি করছে। হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা থেকে স্ট্রোক এমনকি নানান সংক্রামক রোগের দাপট ও বাড়িয়ে দেয়। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে (Control Diabetes) রাখা সবচেয়ে জরুরি। আর ডায়াবেটিসের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার খাদ্যাভ্যাস। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। কারণ অস্বাস্থ্যকর খাবার রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু শীতের এমন নানান সব্জি (Winter Vegetables) রয়েছে, যা ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বাড়তি উপকারি!

    কোন সব্জিতে ভরসা রাখছেন পুষ্টিবিদেরা?

    শিম…

    বাঙালির রান্নাঘরে অতি পরিচিত সব্জি হলো শিম! শিম পোস্ত হোক কিংবা মাছের ঝোলে শিম! শীতের এই সব্জি নানান পদে হাজির থাকে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও এই সব্জি নানান রান্নায় দেওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিমে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্কের মতো নানান খনিজ সম্পদ। পাশপাশি এই সব্জি ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ।‌ যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। তাই মাছের ঝোল কিংবা নিরামিষ তরকারিতে শিমের মতো সব্জি থাকলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার নানান খনিজ সম্পদে ভরপুর শিম হৃদরোগ রুখতেও‌ বিশেষ সাহায্য করে।

    পালং শাক…

    শীতের সব্জির (Winter Vegetables) তালিকায় বাঙালির পরিচিত শাক হলো পালং শাক। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাকে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, সি এবং কে থাকে। পালং শাকে ক্যালোরি কম থাকে। তাই এই শাক ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো।

    মটরশুঁটি…

    বাঙালির নানান রকমের রান্নায় মটরশুঁটি শীতের তরকারির জানান দেয়। মটরশুঁটি খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশপাশি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মটরশুঁটির কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে (Control Diabetes) সাহায্য করে। তাই ডায়বেটিস রোগীদের জন্য মটরশুঁটি বিশেষ উপকারি। তাঁদের পরামর্শ, যেকোনও তরকারিতে মটরশুঁটি দেওয়া যায়। এতে পুষ্টিগুণ বাড়ে। আবার স্বাদও ভালো লাগে। তাছাড়া ভাতের সঙ্গেও মটরশুঁটি মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। যাতে কার্বোহাইড্রেটের পাশপাশি ফাইবার শরীরে পৌঁছয়।

    ফুলকপি ও বাঁধাকপি…

    শীতের শুরুর জানান দেয় বাজারে দেদার থাকা ফুলকপি ও বাঁধাকপি। এই দুই সব্জি (Winter Vegetables) দিয়েই বাঙালি হরেক রকমের আমিষ ও নিরামিষ পদ তৈরি করে। ভাত ও রুটি, সবকিছুর সঙ্গেই মানানসই এই দুই সব্জি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফুলকপি ও বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ফাইবার প্রয়োজন। কার্বোহাইড্রেট কম এবং ফাইবার বেশি থাকলে রক্তে শর্করার পরিমাণ সহজে নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই এই দুই সব্জিই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছের ঝোলে আলুর পরিবর্তে ফুলকপি দিয়ে রান্না করার যেতে পারে। আবার রুটির সঙ্গে বাঁধাকপির তরকারি খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি পৌঁছবে না। তবে শরীর প্রয়োজনীয় এনার্জি সহজেই পাবে।

    ব্রোকলি…

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে (Winter Vegetables) সহজেই বাজারে ব্রোকলি পাওয়া যায়। ব্রোকলি খুবই উপকারি। এতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো নানান রকমের খনিজ পদার্থ থাকে। আবার একাধিক ভিটামিন সমৃদ্ধ এই সব্জি। তাই ডায়াবেটিস (Control Diabetes) আক্রান্তদের জন্য এই সব্জি খুব স্বাস্থ্যকর।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share