Author: Susanta Das

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর-এ ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে করাচি বন্দর ফাঁকা করে দিয়েছিল পাকিস্তান! বলছে উপগ্রহ চিত্র

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর-এ ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে করাচি বন্দর ফাঁকা করে দিয়েছিল পাকিস্তান! বলছে উপগ্রহ চিত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ফাঁকা কলসির আওয়াজ বেশি’! মুখে যতই তর্জন-গর্জন করুক না কেন, অপারেশন সিঁদুর-এ (Operation Sindoor) ভারতের প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের পিলে যে চমকে উঠেছিল, তার আরও একটা অকাট্য প্রমাণ মিলল। সম্প্রতি, প্রকাশিত হওয়া উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে যে, অপারেশন সিঁদুরের সময় করাচি বন্দর থেকে রণতরীগুলিকে সরিয়ে ইরান সীমান্তের কাছে গ্বদর বন্দরের কাছে রেখে দেয় পাকিস্তান। অর্থাৎ, কার্যত পালিয়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচায় পাক নৌসেনা (Pakistan Navy)। ফের প্রমাণিত হল পাকিস্তানের ওই তর্জন-গর্জন শুধুই ছিল ‘মুখেন মারিতং জগৎ’।

    লেজ গুটিয়ে পালিয়েছিল পাক নৌসেনা

    অপারেশন সিন্দুরের (Operation Sindoor) সময়ে পাকিস্তান কীভাবে লেজ গুটিয়ে পালিয়েছিল, তা প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়েছে। সেই সময়কার স্যাটেলাইট ছবির কিছু ভিজ্যুয়াল প্রকাশ করেছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। সবগুলি ৬-৭ মে তারিখের বলে দাবি। ঠিক যে সময় পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল ভারত। যা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে, সংঘাত যখন শীর্ষে ছিল তখনই পাক সেনার পগারপার হওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে। ওই উপগ্রহ চিত্রগুলিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, করাচি বন্দর কার্যত ফাঁকা। অন্যদিকে, গ্বদর বন্দরে সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে পাক নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজগুলি। তাও আবার কিনা বাণিজ্যিক টার্মিনালে নোঙর করা হয় রণতরীগুলিকে!

    পগারপার পাক নৌবাহিনির ‘বীরপুঙ্গব’রা

    ৭ মে’র রাতে যখন ভারত (Operation Sindoor) একের পর এক পাক জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছিল, তখন আরব সাগরে পাকিস্তানের করাচি বন্দরের ওপর ব্রহ্মোস দিয়ে নিশানা করে রেখেছিল ভারতীয় নৌবহর। অপেক্ষা ছিল শুধু নির্দেশের। যদিও শেষ পর্যন্ত সেখানে ভারত কোনও হামলা করেনি। কিন্তু হামলা হতে পারে আশঙ্কায়, ভারতের মিসাইলের ভয়ে আগেভাগেই জাহাজ নিয়ে পগারপার পাক নৌবাহিনির ‘বীরপুঙ্গব’রা। এক কথায় ‘চাচা, আপন প্রাণ বাঁচা’-র মতো নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে তৎপর হয় পাক নৌসেনা। প্রকাশিত হওয়া ছবিগুলি অনুযায়ী, করাচি থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে ইরানের কাছে গ্বদর বন্দরে গিয়ে লুকোয় পাকিস্তান নৌবাহিনী। এর মধ্যে একটি ছিল জুলফিকার-ক্লাসের ফ্রিগেট। যা চিনের তৈরি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধজাহাজ। কারণ বেজিং পাকিস্তানকে এই উন্নত জাহাজগুলির মধ্যে মাত্র চারটি দিয়েছে। অপারেশন সিন্দুরের মাত্র ছ’মাস আগে, ইসলামাবাদ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল, যেখানে ফ্রিগেটটিকে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছিল।

    ১৯৭১-এর যুদ্ধের ছায়া…

    ভারত-পাক যুদ্ধে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে শেষবার ১৯৭১-এর যুদ্ধের সময় হামলা চালিয়েছিল ভারত। সেই সময় কার্যত গুঁড়িয়ে যায় করাচি বন্দর। সে কথা মনে রেখেই, আগেই পালিয়ে যায় পাকিস্তানের নৌবহর। পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ভারতের দক্ষিণ নৌ কমান্ডের প্রাক্তন প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এসসি সুরেশ বাঙ্গারা, যিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে ভারতের হামলার সময়ও অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর মতে, ভারত আক্রমণ চালাতে পারে এ বিষয়ে পাকিস্তানের তিনটি বাহিনীরই পূর্ণ সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের প্রথম সারির যুদ্ধজাহাজগুলিকে তখনও বন্দরে দেখতে পাওয়া তাদের নিম্নমানের অপারেশনাল প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়।

    ভারতের ভয়ে কাঁটা…

    বিগত কয়েক মাস ধরে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) সম্পর্কে পাকিস্তান বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গল্প বানিয়ে শুনিয়েছে। অস্ত্রের লড়াইয়ে এঁটে উঠতে না পারলেও মুখের লড়াইয়ে কোনও খামতি ছিল না পাকিস্তানের। ভারতের সঙ্গে সংঘাত চলাকালীন একাধিকবার পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছে পাকিস্তানের নেতা-মন্ত্রীদের মুখে। ভারতের সেনাঘাঁটি ধ্বংসের মিথ্যে দাবিও করা হয়েছিল। এমনকি সংঘর্ষবিরতির পর মিথ্যে যুদ্ধ জয়ের বিজয় উৎসবও করেছে। কিন্তু ভারতের হামলাতেই যে পাল্টা পাকিস্তানের সেনাঘাঁটি ধ্বংস হয়েছিল তা স্পষ্ট। এবার উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে ফের একবার প্রমাণ হল অপারেশন সিঁদুর-এর সময় কতটা ভয়ে কাঁটা হয়ে ছিল পাক নৌসেনা (Pakistan Navy)।

  • Child Stubbornness: শিশুর মারাত্মক জেদ সামলাতে হিমশিম! কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?

    Child Stubbornness: শিশুর মারাত্মক জেদ সামলাতে হিমশিম! কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সময় মতো খেতে বসা কিংবা ঘুমোনোর জন্যও হয়রানি হচ্ছে। মনোযোগের অভাবে সাধারণ জিনিসেও ভুল হচ্ছে। আবার মনের মতো কিছু না হলেই বিপত্তি! পরিবারের একরত্তি সদস্যের মারাত্মক জেদ আর খিটখিটে‌ মেজাজ সামলাতে অনেক বাবা-মা হিমশিম খাচ্ছেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের এই মেজাজ হারানোর সমস্যায় অধিকাংশ অভিভাবক নাজেহাল। অতিরিক্ত জেদ এবং খিটখিটে মেজাজের জন্য অনেক সময়েই তাদের পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে। এমন অনেক আচরণ তারা করছে, যা একেবারেই কাম্য নয়। ফলে বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আট থেকে বারো বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। তবে অনেক সময় এর থেকেও কম বয়সিদের মধ্যেও এই ধরনের অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে।

    কেন সন্তান জেদি এবং খিটখিটে হয়ে উঠছে?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান যেকোনও সামান্য বিষয়েও মারাত্মক জেদ করলে কিংবা দিনের অধিকাংশ সময়ে খুব খিটখিটে মেজাজে থাকলে তার প্রতি বাড়তি যত্ন ও নজরদারি জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সন্তানের লাগাতার জেদ আর খিটখিটে স্বভাবের জন‌্য অভিভাবকেরা তাকে অতিরিক্ত শাসন করেন‌। এর ফল হয় উল্টো। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত চাপ এবং ক্লান্তিবোধ শিশুকে খিটখিটে স্বভাবের করে তুলতে পারে। এর ফলেই তৈরি হয় একগুঁয়ে আর জেদি মনোভাব। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু খুব কম বয়স থেকেই স্কুলে ভর্তি হয়ে যায়। পড়াশোনার পাশাপাশি একাধিক বিষয় তারা তালিম নেয়। অর্থাৎ, দিনের অধিকাংশ সময় নানান প্রশিক্ষণের মধ্যেই কাটে। একটা মানসিক চাপ সব সময় কাজ করে। এর ফলে তারা শারীরিক ও মানসিক ভাবে যথেষ্ট ক্লান্ত হয়ে থাকে। তার উপরে যেকোনও বিষয় নিয়ে আরো বাড়তি চাপ দিলে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান দিনের কতটা সময় স্ক্রিন টাইম কাটায় সে দিকে নজর দেওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক বাড়িতেই বিনোদন হিসাবে সন্তানের হাতে‌ মোবাইল ধরিয়ে দেওয়া হয়‌। কিন্তু মোবাইল কখনোই শিশুর অবসর যাপনের মাধ্যম হতে পারে না। এতে মস্তিষ্কে বাড়তি চাপ তৈরি করে। চোখের পক্ষে ক্ষতিকারক। আবার শিশু মোবাইলে কী দেখছে, সেটাও নজরে রাখা প্রয়োজন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এমন একাধিক বিষয় শিশু মোবাইল থেকে শেখে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। আর তার থেকেই তৈরি হয় খিটেখিটে স্বভাব।

    তবে সন্তানের অতিরিক্ত জেদের কারণ একাকিত্ব বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু নিউক্লিয়ার পরিবারে বড় হচ্ছে। তাই ভাগ করে নেওয়া, অপেক্ষা করা কিংবা অন্যকে ভালো বলার মতো স্বাভাবিক গুণ ঠিকমতো বিকশিত হচ্ছে না। আধুনিক জীবনে অধিকাংশ পরিবারে বাবা এবং মা দুজনেই কাজে ব্যস্ত থাকেন। অনেক সময়েই শিশু দিনের একটা বড় অংশ মা-বাবার সঙ্গে থাকার সুযোগ পায় না। এর ফলে তাদের মধ্যে একটা একাকিত্ব গ্রাস করে। আবার নানান সামাজিক বিনিময় ও ঠিকমতো হয় না। এই সবকিছুর প্রভাব তাদের আচরণে পড়ে।

    কীভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, শিশুর খুব সামান্য জিনিস নিয়ে জেদ করা কিংবা পরিবারের যেকোনও সদস্যের সঙ্গে আচরণে কোনো সমস্যা দেখা দিলে প্রথম থেকেই বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন।‌ তাহলে পরিস্থিতি জটিল হবে না।‌ তবে কখনোই অতিরিক্ত বকাবকি চলবে না। তাঁদের পরামর্শ, শিশুর পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখতেই হবে। নিজের মতো কিছুটা সময় খেলাধুলা করা জরুরি। এতে সারাদিনের ক্লান্তি এবং মানসিক চাপ কমে। অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে তালিম দেওয়ার পাশপাশি যাতে শিশুর খেলার সময় থাকে, সেটা সন্তানের দৈনন্দিন রুটিন তৈরির সময় অবশ্যই নজর দিতে হবে।

    পাশাপাশি শিশুর বিশ্রামের দিকে নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন বিশ্রামে ঘাটতি হলে শরীর ও মন ক্লান্ত হয়ে যায়। ফলে খিটখিটে মেজাজ দেখা যায়। রাগ, জেদ বাড়ে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব ঘটে। আর তার ফলেই এই মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়। সন্তান নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুমোতে পারছে কিনা সেদিকে নজরদারি জরুরি। ঠিকমতো পর্যাপ্ত ঘুম হলে সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ ঠিকমতো হবে। ক্লান্তি কমবে। মানসিক অস্থিরতাও থাকবে না।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর বিনোদন মানে কখনোই স্ক্রিন টাইম নয়। সন্তানকে ছাদে ঘুড়ি ওড়ানো, সাইকেল চালানো, রঙ করা কিংবা গল্পের বই পড়ার মতো বিষয়ে অভ্যস্ত করে তোলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের অভ্যাসে শরীর ও মন সুস্থ থাকে। মস্তিষ্কে বাড়তি উত্তেজনা তৈরি হয় না। বরং মানসিক চাপ কমে।

    পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোতে অভ্যস্ত করা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত রাগ, জেদ নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় সন্তানের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ তৈরি। তাই ছুটির দিনে একসঙ্গে বসে দাবা, লুডো খেলা কিংবা একসঙ্গে মাঠে যাওয়া অথবা গান শোনার জন্য সময় বরাদ্দ জরুরি। এতে সন্তানের মনে কি চলছে সে সম্পর্কে সহজেই হদিশ পাওয়া যায়। আবার অনেক আচরণ সম্পর্কে তাদের সহজেই শেখানো‌ যায়। এতে জটিলতা কমে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • West Bengal Weather Update: ৩০ দিনে ৭টি! বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে নতুন নিম্নচাপ, ফের ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ?

    West Bengal Weather Update: ৩০ দিনে ৭টি! বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে নতুন নিম্নচাপ, ফের ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে ফের তৈরি হওয়ার পথে নিম্নচাপ। তেমনটা হলে, সেক্ষেত্রে গত ৩০ দিনে এই নিয়ে সাতটি নিম্নচাপ তৈরি হবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় নিম্নচাপ ঘনীভূত হতে পারে। ফলত বেশ কিছু জেলায় আগামী কয়েকদিন তেড়ে বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মৎস্যজীবীদের জন্যও রয়েছে সতর্কতা।

    কোথায় রয়েছে নিম্নচাপ অঞ্চল?

    আলিপুর হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছে পশ্চিম-মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। তার ফলে রবিবার নতুন করে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ অঞ্চল। আবহবিদরা জানান, ঘূর্ণাবর্তটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ৯ কিলোমিটার উপরে রয়েছে। এটি আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে এবং শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট দুপুরে এটি স্থলভাগে ঢুকতে পারে। মূলত দক্ষিণ ওড়িশা এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে এর প্রভাব বেশি থাকবে। ফলে, প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না। তবে, পরোক্ষ প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়।

    কী বলছে দক্ষিণবঙ্গের পূর্বাভাস?

    আলিপুরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃষ্টির সম্ভাবনা কিছুটা বেশি কলকাতায়। আংশিক বা সম্পূর্ণ মেঘলা আকাশ। কয়েক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। পাশাপাশি, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকবে। তবে, দক্ষিণবঙ্গে পশ্চিমের জেলার কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। কোথাও কোথাও ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও বজ্রপাতের পূর্বাভাস রয়েছে মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার। মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণের সব জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। বুধবার সতর্কতা জারি করা হয়েছে হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ার একটি বা দুটি অংশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

    উত্তরের আবহাওয়া থাকবে কেমন?

    অন্যদিকে, সোমবার উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায়। মঙ্গলবার ও বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে উত্তরে। ফের বৃহস্পতিবারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি। শুক্রবারেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায়।

  • Kidney Stones: কিডনিতে পাথর! বারবার হতে পারে ভোগান্তি! কোন পথে সমাধান?

    Kidney Stones: কিডনিতে পাথর! বারবার হতে পারে ভোগান্তি! কোন পথে সমাধান?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীর সুস্থ রাখতে এবং নিয়মিত সুস্থ জীবন যাপনের জন্য শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের সক্রিয় থাকা এবং সুস্থ থাকা জরুরি। কিন্তু সম্প্রতি কিডনির রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বয়সের সীমানায় আর রোগের ভোগান্তি আটকে থাকছে না। খুব কম বয়সিদের মধ্যেও কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে কিডনিতে পাথর (Kidney Stones) হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পেটে অসহ্য যন্ত্রণা, বমি, কিংবা হাত-পা অসাড় হয়ে যাওয়ায় মতো নানান সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শারীরিক পরীক্ষা করে দেখা যায় কিডনিতে পাথর! তাঁরা জানাচ্ছেন, কিডনিতে পাথর জমা এমন একটা সমস্যা, যা বারবার ফিরে আসতে পারে। এর ফলে ভোগান্তি বাড়ে। স্বাভাবিক সুস্থ জীবন যাপন করা মুশকিল হয়ে ওঠে। খুব কম বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যেও এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা দিচ্ছে। কিডনি দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এর ফলে শরীরে তার গভীর প্রভাব পড়ছে।

    কেন কিডনিতে পাথর (Kidney Stones) জমে?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কিডনি হল দেহের ছাঁকনি! অর্থাৎ,শরীরের সমস্ত দূষিত পদার্থ কিডনিতে গিয়ে জমা হয়। মূত্রত্যাগের মাধ্যমে শরীরে থেকে সেই দূষিত পদার্থ নিষ্কাশন হয়ে যায়। কিন্তু এই নিষ্কাশন ঠিকমতো না হলেই কিডনিতে পাথর তৈরি হয়। শরীরে ক্যালসিয়াম অক্সালেট, ক্যালসিয়াম ফসফেট, ইউরিক অ্যাসিডের মতো অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় উপাদান এবং দূষিত পদার্থ জমে এই পাথর তৈরি হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবন‌ যাপনের জেরেই কিডনিতে পাথর জমার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    কীভাবে এই রোগের ঝুঁকি কমাবেন?

    পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া জরুরি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেলে শরীরে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। বিশেষত কিডনিকে সক্রিয় এবং সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খান না। এর ফলে শরীরের দূষিত পদার্থ ঠিকমতো নিষ্কাশন হয় না। ফলে কিডনিতে পাথর (Kidney Stones) জমে। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের চার থেকে পাঁচ লিটার জল খাওয়া জরুরি। তাহলে এই ধরনের রোগের ঝুঁকি কমবে।

    অক্সালেট জাতীয় খাবারে রাশ জরুরি!

    কিডনিতে পাথর (Kidney Stones) জমার মতো সমস্যা এড়াতে খাবারের দিকে নজরদারি জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি কমায়। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত টাটকা সব্জি এবং ফল খাওয়া জরুরি। এতে শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন, আয়রন এবং খনিজ পদার্থের জোগান থাকে‌। এর ফলে শরীরে অপ্রয়োজনীয় ক্ষতিকারক উপাদান তৈরি হতে পারে না। আবার অতিরিক্ত পরিমাণে লবন, চিনি, বাদাম জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা দরকার। কারণ এগুলো কিডনিতে বাড়তি অক্সালেট জমতে সাহায্য করে‌। পাশপাশি প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই নিয়মিত বার্গার, পিৎজার মতো রাসায়নিক পদার্থ মেশানো প্রক্রিয়াজাত খাবার খেতেই অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। তাই কিডনিতে পাথর জমার মতো সমস্যা বাড়ছে।

    দেহের ওজন নিয়ে বাড়তি সজাগ!

    দেহের ওজন বাড়লে যেমন সতর্কতা জরুরি, তেমনি অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করে দেহের ওজন কমাতে গেলেও বিপদ ঘটতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে কিংবা দ্রুত ওজন ঝরালে কিডনিতে পাথর জমার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থূলতা কিডনি কিংবা হৃদপিণ্ডের উপরে চাপ সৃষ্টি করে। আবার খুব দ্রুত ওজন কমালেও কিডনির উপরে চাপ পড়ে। কারণ এই দুই ক্ষেত্রেই শরীরে হরমোনের মারাত্মক হেরফের হয়। তাই কিডনিতে পাথর (Kidney Stones) জমার মতো ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে‌ এবং শরীর চর্চা করলে স্থুলতা এড়ানো সম্ভব। আবার যদি কোনও কারণে শরীরের ওজন অপ্রয়োজনীয় ভাবে বেড়ে যায়, তাহলে তাড়াহুড়ো নয়। বরং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো নির্দিষ্ট ভাবে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করেই সেই ওজন ঝরানো জরুরি। তাহলে এই ধরনের রোগ এড়ানো সহজ হয়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Nandotsav: জন্মাষ্টমীর পরের দিন কৃষ্ণ নবমীতে পালন করা হয় নন্দোৎসব, কী এর তাৎপর্য?

    Nandotsav: জন্মাষ্টমীর পরের দিন কৃষ্ণ নবমীতে পালন করা হয় নন্দোৎসব, কী এর তাৎপর্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দেশজুড়ে পালিত হয়েছে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2025)। আজ, রবিবার (১৭ অগাস্ট), কৃষ্ণ নবমীতে পালন করা হয় নন্দোৎসব (Nandotsav)। প্রতি বছর জন্মাষ্টমীর পরের দিন এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। কথিত আছে, শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হওয়ার আনন্দে নন্দদেব এই দিন সকল ব্রজবাসীদের নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন। নন্দ মহারাজ (কৃষ্ণের পালক পিতা) তার পুত্রের জন্ম উপলক্ষে এই উৎসব পালন করেছিলেন।

    নন্দোৎসবের বিশেষ আচার

    এদিন, ভক্তরা নন্দ মহারাজ এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করে এবং তাঁদের প্রতি ভক্তি জানায়। নন্দোৎসব (Nandotsav) ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসবের আনন্দ ও উল্লাসের উদযাপন। এই দিনে, ভক্তরা নন্দ মহারাজ এবং শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এটি ভক্তদের মধ্যে আনন্দ, প্রেম এবং ভক্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়। এই উৎসবটি বৃন্দাবনের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই বিশেষ দিনে কৃষ্ণের প্রিয় ভোগ নিবেদন করা হয়। অনেক বাড়িতে জন্মাষ্টমীর থেকেও বেশি বড় করে নন্দোৎসব পালন করা হয়। নন্দোৎসবের দিন বাড়িতে কীর্তন দেওয়ার প্রথা আছে। বাড়িতে কীর্তন দিতে না পারলেও এই দিন অবশ্যই বাড়িতে গীতা পাঠ করতে হয়। কথিত আছে, নন্দদেব এই দিনে সকল ব্রজবাসীদের প্রচুর দান করতেন। আপনিও এই দিন নিজের সাধ্যমতো কিছু দান করতে পারেন।

    নন্দোৎসবের বিশেষ খাবার

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2025) উপবাস যাঁরা পালন করেন, তাঁদের নন্দোৎসবের (Nandotsav) দিন বিশেষ কিছু খাবার খেতে হয়। নন্দোৎসবে বিশেষ ভোগ নিবেদন করা হয় এবং অনেক বাড়িতে এই উৎসব জন্মাষ্টমীর থেকেও বড় আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালন করা হয়। বলা হয়, এদিন কাঁচকলার তৈরি যে কোনও খাবার তৈরি করে খেতে হবে। নন্দোৎসবের দিন ঠাকুরকে খিচুড়ি ভোগ দিতে হয়। পুজোর পর ভোগের প্রসাদ নিজে গ্রহণ করতে হয় এবং বাড়ির সকল সদস্যদেরও এই খিচুড়ি ভোগ দিতে হয়। খিচুড়ি ভোগের সঙ্গে যে কোনও মিষ্টি কিছু ভোগও দিতে হয়।

  • Janmashtami 2025: জন্মাষ্টমীতে কেন পালন করা হয় ‘দহি হান্ডি’ উৎসব? কী এর তাৎপর্য?

    Janmashtami 2025: জন্মাষ্টমীতে কেন পালন করা হয় ‘দহি হান্ডি’ উৎসব? কী এর তাৎপর্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে ভাদ্র মাসে কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমীতে পালিত হয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2025)। সারা ভারত জুড়ে উত্সাহের সঙ্গে পালিত হয় এই উৎসব। কৃষ্ণ হলেন ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। এই বছর জন্মাষ্টমী পালিত হবে সোমবার, ২৬ অগাস্ট। দহি হান্ডি উতসব পালিত হবে মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট। জন্মাষ্টমীর সঙ্গে যুক্ত অনেক রীতিনীতির মধ্যে একটি হল দহি হান্ডি (Dahi Handi Festival) উৎসব। গুজরাট, মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যে পালিত হয় এই উৎসব। আসুন জেনে নিই এই উৎসবের তাৎপর্য।

    কৃষ্ণের তরুণ বয়সের প্রতীক

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2025) দহি হান্ডি (Dahi Handi Festival) উৎসব হল কৃষ্ণের তরুণ বয়সের প্রতীক। হাঁড়িতে দই রেখে সেই হাঁড়ি ভাঙা। সংক্ষেপে এমন উৎসবের নামই হল দহি-হান্ডি উৎসব। এই উপলক্ষে একরকম প্রতিযোগিতাও চলে। যারা অংশ গ্রহণ করে, তারা মজার ছলে কৌতুকপূর্ণ এবং দুষ্টু প্রকৃতির ভাবনাগুলিকে ফুটিয়ে তোলে। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, কৃষ্ণ মাখন বেশ পছন্দ করতেন, প্রায়শই কৃষ্ণ গোকুলের গ্রামবাসীদের বাড়ি থেকে মাখন চুরি করতেন। মাখনের প্রতি ভালবাসা এতটাই তীব্র যে, বন্ধুদের সঙ্গে মিলে মানুষের পিরামিড তৈরি করতেন। একটি মাটির পাত্রে অর্থৎ হান্ডিতে মাখন এবং দই রেখে উঁচু থেকে ঝুলিয়ে রাখা হতো। এরপর মানুষের পিরামিড বেয়ে উঠে হান্ডি ভাঙা হয়। এই খেলা বেশ জনপ্রিয় ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যুগের পরিবর্তনে, মাখন চুরির কৌতুকপূর্ণ খেলাটি মহারাষ্ট্র, গুজরাট এবং ভারতের অন্যান্য অংশে অত্যন্ত উত্সাহের সঙ্গে পালিত হয়। এই উৎসবে হাজার হাজার কৃষ্ণভক্ত যোগদান করে থাকেন।

    দহি হান্ডির তাৎপর্য

    দহি হান্ডি (Janmashtami 2025) উদযাপনের গভীর প্রতীকী অর্থ রয়েছে। হান্ডি ভাঙার অর্থ হল মন্দের উপর ভালোর জয়কে চিহ্নিত করা। সামাজিক রীতিনীতির অনমনীয়তার উপর কৃষ্ণের ঐশ্বরিক বিজয়কে কৌতুকের সঙ্গে প্রতিধ্বনিত করা। এই উত্সবে মানুষের দলগত কাজ, ঐক্য এবং সাহসের মূল্যবোধের উপরও জোর দেওয়া হয়। কারণ যুবকদের দল, কৃষ্ণের নাম গোবিন্দ নামে পরিচিত হয়। মাটির পাত্র ভাঙার জন্য মানব পিরামিডের নির্মাণ করা হয়।

    দল এবং একতা

    শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে (Janmashtami 2025) দহি হান্ডির ঐতিহ্যের মধ্যে সহযোগিতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্বকে বিশেষ ভাবে প্রদর্শন করা হয়। গোবিন্দরা অর্থাৎ স্থানীয় যারা যোগদান করে, তারা একত্রে কাজ করে একটি সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টা করে থাকে। এই সবটাই একতার মধ্যে থাকা শক্তির প্রতীক। সাহস ও অধ্যবসায় ছাড়া উঁচুতে রাখা মাটির পাত্র ভাঙা সহজ কাজ নয়। পিরামিডগুলি বেশ লম্বা হতে পারে এবং কাজটির জন্য প্রচুর শারীরিক শক্তি, ভারসাম্য এবং সংকল্পের প্রয়োজন হয়। ফলে সাহস এবং অধ্যবসার মাধ্যমে কীভাবে প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে শক্তি সঞ্চয় করা যায়, সেটাই প্রমাণ করা হয় এই খেলায়। কৃষ্ণ স্বয়ং সমস্যা থেকে জয় পেতে শক্তির প্রতীক ছিলেন।

    আধ্যাত্মিক তাৎপর্য

    এই উৎসবের গভীরে রয়েছে আধ্যাত্মিক উচ্চতার রূপক। হান্ডি অহংকে প্রতিনিধিত্ব করে, যা ভাঙা কঠিন। তাই ভাঙার স্তরে পৌঁছানোর জন্য গোবিন্দকে আত্ম-উপলব্ধির মধ্যে দিয়ে মানব মনকে যাত্রা করাতে হয়। আবার মাটির পাত্রের মধ্যে থাকা দই ঐশ্বরিক আনন্দের মাধুর্যকে নির্দেশ করে, যা একজন ব্যক্তি অহং-কে ভেঙে দেয়। ফলে নিজের আত্মাকে উপলব্ধি করা এবং পরিচালনার জন্য মনকে অনুভব করা প্রয়োজন।

    আধুনিক সময়ে কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী

    সমসাময়িক সময়ে, দহি হান্ডি (Janmashtami 2025) একটি উৎসবমুখর পরিবেশে একটি প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়ায় পরিণত হয়েছে। অনেক রাজ্যে দহি হান্ডি প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়ে থাকে। যেখানে গোবিন্দদের দল সর্বোচ্চ পিরামিড গঠনের জন্য প্রতিযোগিতা করে এবং বিজয় সুনিশ্চিত করে পুরস্কার অর্জন করে থাকে। প্রতিযোগিতাটি সঙ্গীত, নৃত্য এবং “গোবিন্দ আলা রে” গানের সাথে একটি প্রাণবন্ত আনন্দময় পরিবেশ তৈরি করে থাকে। ভক্তরাও দারুণ উপভোগ করে থাকেন। জন্মাষ্টমীর ধর্মীয় উৎসব এখন একটি সামাজিক মাত্রাও অর্জন করেছে। আয়োজকদের দেওয়া পুরস্কারের অর্থ প্রায়ই জনকল্যাণ প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী এবং দহি হান্ডি প্রথা শুধু ধর্মীয় উৎসব (Dahi Handi Festival) নয়, তার থেকেও চেয়েও বেশি পরিমাণে সামজিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। মানুষের জীবন, আনন্দ এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রবহমান ধারাকে নিশ্চিত করে।

  • Janmashtami 2025: জন্মাষ্টমীতে গোপালকে কেন নিবেদন করা হয় ৫৬ ভোগ? জানুন পৌরাণিক কাহিনি

    Janmashtami 2025: জন্মাষ্টমীতে গোপালকে কেন নিবেদন করা হয় ৫৬ ভোগ? জানুন পৌরাণিক কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দেশজুড়ি পালিত হচ্ছে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মর্ত্যে আবির্ভুত হয়েছিলেন শ্রী কৃষ্ণ। যে কারণে, দেশের প্রতিটি কৃষ্ণ মন্দির সেজে ওঠে এই দিন। ঘরে ঘরে আরাধনা করা হয় যশোদা-কা নন্দলালার। “হরে-কৃষ্ণ নাম”-এ মেতে ওঠে নবদ্বীপ থেকে মায়াপুর, মথুরা-বৃন্দাবন। লুচি, মালপোয়া, মোহনভোগ, তালের বড়া, তাল ক্ষীর সাজিয়ে শ্রী কৃষ্ণের প্রার্থনায় মেতে ওঠেন আট থেকে আশি। গোপালকে নিবেদন করা হয় মাখন, মিছরি, ননী-ক্ষীর-সহ ছাপান্ন ভোগ (Krishna Janmashtami 56 Bhog)।

    জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণের আরাধনা

    দ্বাপর যুগে মর্ত্যে আবির্ভাব ঘটে বিষ্ণুর অষ্টম (Janmashtami 2025) অবতার শ্রী কৃষ্ণের। সনাতন ধর্মে, পাপভার থেকে পৃথিবীকে মুক্তি দিতে ও সাধু-সন্ন্যাসীদের পরিত্রাণের জন্য মর্ত্যে আর্বিভূত হয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। ভাদ্রমাসের রোহিনী নক্ষত্র অবস্থিত অষ্টমী তিথিকে শ্রীকৃষ্ণের আর্বিভাব তিথি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি জন্মাষ্টমী হিসেবে পরিচিত। এদিন ধুমধাম করে সারা দেশে কৃষ্ণ পুজো করা হয়ে থাকে। শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে রাধা, বলরাম ও সুভদ্রার পুজোও করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল মথুরায়। তবে তিনি বেড়ে ওঠেন গোকুলে। সেজন্য মথুরা ও বৃন্দাবনে এই উত্‍সব সবচেয়ে বড় করে হয়।

    কেন ছাপান্ন ভোগ?

    জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপালকে ৫৬ ভোগ (Krishna Janmashtami 56 Bhog) দেওয়া হয়। জন্মাষ্টমীতে গোপালকে ৫৬ ভোগ অর্পণ করে তাঁর প্রসাদ গ্রহণ করা অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। ৫৬ ভোগে ভগবান কৃষ্ণ প্রসন্ন হন ও ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ করেন, এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের। ৫৬ রকমের ভোগ অর্পণ করা হয় গোপালকে। ভাত, ডাল, লুচি থেকে তালের বড়া, ক্ষীর, মালপোয়া, লস্যি কী থাকে না! আর মাখন, মিছরি ছাড়া তো গোপালের ভোগই অসম্পূর্ণ।

    পৌরাণিক কাহিনি

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2025) দিন বালগোপালকে ৫৬ রকম পদ সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়। হিন্দুশাস্ত্র মতে, দেব-দেবীদের পুজোর সময় সাধারণ বিজোড় সংখ্যায় নৈবেদ্য সাজানো হয়ে থাকে। কিন্তু কৃষ্ণকে দেওয়া ৫৬ ভোগ (Krishna Janmashtami 56 Bhog)। পৌরাণিক কাহিনি মতে, বৃন্দাবনবাসীরা ইন্দ্রকে নানারূপে মহার্ঘ ভোগ নিবেদন করে সন্তুষ্ট রাখতেন। হিন্দুশাস্ত্র মতে, ইন্দ্র হলেন বৃষ্টি ও ব্রজের দেবতা। তাঁর আশীর্বাদেই সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত বর্ষণ হয়। তাই চাষীরা ইন্দ্রদেবকে তুষ্ট করতে দামি ও প্রচুর ভোগ রান্না করে নিবেদন করতেন। কিন্তু, গরিব চাষীদের পক্ষে দামি ভোগ নিবেদন করা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। চাষীদের কষ্ট দূর করতে এগিয়ে আসেন শ্রীকৃষ্ণ। এভাবে ভোগ নিবেদন না করে ইন্দ্রকে নিজের ভোগ অবস্থা বুঝে নিবেদন করার পরামর্শ গরিব চাষীদের দেন কৃষ্ণ। তাঁর কথা শুনে চাষীরা সেই কাজই করেন। এদিকে, ভোগের সামগ্রীতে ঘাটতি দেখে ইন্দ্র অত্যন্ত রেগে যান। তাঁর ক্রোধে প্রচণ্ড বৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে থাকে। ক্রোধের কারণে বৃন্দাবনে হতে থাকে মেঘভাঙা বৃষ্টি। তারপর থেকেই মানুষের জীবন হয়ে ওঠে বিপন্ন।

    বিপদে পড়ে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারস্থ হয় সকলে। বন্যা পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে গ্রামবাসীরা গোবর্ধন পর্বতের দিকে চলে যায়। সেখানে গিয়ে সকলেই দেখেন, শ্রীকৃষ্ণ পর্বতকে নিজের কড়ে আঙুল তুলে রেখে দিয়েছেন। সেই পর্বতের তলায় আশ্রয় নেন সকল গ্রামবাসীরা। টানা সাতদিন ধরে বৃষ্টিপাত হলে বন্যা পরিস্থিতি আরও জোরালো হয়ে ওঠে। সাতদিন টানা কৃষ্ণঠাকুর কড়ে আঙুলে পর্বতকে ধরে থাকেন। সাতদিন ধরে একচুলও নড়েননি তিনি। এমনকী, এককণা খাবারও মুখে তোলেননি। এরপর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মাতা যশোদা এবং ব্রজবাসীরা মিলে সাত দিন ও অষ্টপ্রহর হিসেবে ৫৬ ধরনের খাবার প্রস্তুত করে কৃষ্ণের কাছে পরিবেশন করেন। তারপর থেকে প্রত্যেক জন্মাষ্টমীতে (Janmashtami 2025) তাঁর জন্য ছাপ্পান্ন ধরনের ভোগ প্রস্তুত করা হয়। কথিত আছে, শ্রীকৃষ্ণকে প্রসন্ন করতে এই ছাপ্পান্ন ভোগ নিবেদন করলে ভক্তদের মনোবাসনা পূর্ণ হয়ে থাকে।

    ৫৬ ভোগে কী কী থাকে? (Krishna Janmashtami 56 Bhog)

    ভাত (ভক্ত), ডাল (সুপ), চাটনি (প্রলেহ), কঢ়ী (সদিকা), দই-সব্জির কঢ়ী (দধিশাকজা), সিখরন (সিখরিণী), শরবৎ (অবলেহ), বাটী (বালকা), মোরব্বা (ইক্ষু খেরিণী), শর্করা যুক্ত (ত্রিকোণ), বড়া (বটক), মঠরী (মধু শীর্ষক), ফেনি (ফেণিকা), পুরী বা লুচি (পরিষ্টশ্চ), খজলা (শতপত্র), ঘেওয়ার (সধিদ্রক), মালপোয়া (চক্রাম), চোলা (চিল্ডিকা), জিলিপি (সুধাকুন্ডলিকা), মেসু (ধৃতপূর), রসগোল্লা (বায়ুপূর), চন্দ্রকলা (পগী হুই), মহারায়তা (দই), থুলি (স্থূলী), লবঙ্গপুরী (কর্পূরনাড়ী), খুরমা (খণ্ড মণ্ডল), ডালিয়া (গোধূম), পরিখা, সুফলঢয়া (মৌরী যুক্ত), বিলসারু (দধিরূপ), লাড্ডু (মোদক), শাক, অধানৌ আচার (সৌধান), মোঠ (মণ্ডকা), পায়েস (ক্ষীর), দই, গাওয়া ঘি, মাখন (হৈয়ঙ্গপীনম), মালাই (মন্ডূরী), রাবড়ি (কূপিকা), পাপড় (পর্পট), সীরা (শক্তিকা), লস্যি (লসিকা), সুবত, মোহন (সংঘায়), সুপারি (সুফলা), এলাচ (সিতা), ফল, তাম্বুল, মোহন ভোগ, লবণ, কষায়, মধুর, তিক্ত, কটূ, অম্ল।

    কীভাবে প্রস্তুত করবেন ছাপান্ন ভোগ

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2025) ভোরে উঠেই এই ভোগ রান্না তৈরি করা শুরু করে দেওয়া উচিত। শুদ্ধাচারে হলুদ বস্ত্র পরে এই ভোগ রান্না করা ভাল। অনেকে এই সময় মুখে কাপড় বেঁধে এই রান্না করেন। ছাপান্ন ভোগে শস্য, ফল, শুকনো ফল, মিষ্টি, পানীয়, নোনতা, আচার প্রভৃতিও নিবেদন করা হয়। নিয়ম অনুসারে ৫৬ ভোগে (Krishna Janmashtami 56 Bhog) থাকে ১৬ ধরনের জলখাবার, ২০টি মিষ্টি এবং ২০ ধরনের শুকনো ফল। যার মধ্যে দুধের তৈরি খাবার সবার আগে পরিবেশন করতে হয়।

  • Janmashtami 2025: আজ জন্মাষ্টমী, এ বছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কততম আবির্ভাব তিথি জানেন?

    Janmashtami 2025: আজ জন্মাষ্টমী, এ বছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কততম আবির্ভাব তিথি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2025)। দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, দ্বাপর যুগে আজকের দিন শ্রীকৃষ্ণের মর্ত্যে আগমন ঘটেছিল। দেখে নেওয়া যাক, আজ শ্রীকৃষ্ণের কততম জন্মতিথি (Lord Krishna Birth Anniversary)। কীভাবেই বা হিসেব করা হয়েছে সেই সময়?

    শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব কবে?

    বিভিন্ন হিন্দু শাস্ত্র থেকে জানা যায়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর মর্ত্যলোকে ছিলেন। পুরাণ অনুসারে, মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান ইহধাম ত্যাগ করেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, সেই দিনই কলিযুগ প্রবেশ করে। জানা যায়, ওই দিন ছিল শুক্রবার। অর্থাৎ হিসেব করে দেখলে খ্রিস্টপূর্ব ৩১০১ সালে কলিযুগ শুরু হয়, বর্তমানে চলছে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ। অঙ্কের হিসেবে কলির বয়স দাঁড়াচ্ছে ৩১০১ + ২০২৫= ৫১২৬ বছর। শ্রীকৃষ্ণের (Lord Shri Krishna) অর্ন্তধানের দিন কলি যুগের সূচনা বলে মনে করা হয়। আগেই বলা হয়েছে, শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর ধরাধামে ছিলেন। তা হলে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ৫১২৬ + ১২৫= ৫২৫১ বছর পূর্বে হয়েছিল বলে বোঝা যাচ্ছে।

    ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি

    ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি এবং রোহিণী নক্ষত্রের মিলনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। কংসের অত্যাচার থেকে পৃথিবীকে মুক্তি দিতে তাঁর মর্ত্যে আগমন। এই দিনে রাতের পুজোর তাৎপর্য রয়েছে, কারণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই রাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশু-রূপের পুজো করা হয়। এই শিশু রূপের অনেক নাম রয়েছে। যেমন— নন্দগোপাল, ননীগোপাল, নাড়ুগোপাল ইত্যাদি। এই পুজের রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম। শিষ্টাচারে, যথাযথ নিয়ম মেনে এই দিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করলে দুঃখ-কষ্ট দূর হয়।

    জন্মাষ্টমী পুজোর পদ্ধতি

    জন্মাষ্টমীর আগের দিন নিরমিষ অন্ন খেয়ে সংযম পালন করতে হবে এবং রাত ১২টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। পুজোর দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুন। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করুন। বাড়ির মন্দিরে প্রদীপ জ্বালান। সমস্ত দেবতার জলাভিষেক করুন। তারপর ব্রত বা উপাসনার সংকল্প নিন। সারাদিন জলাহার ও ফলাহার করুন। সাত্বিক থাকুন। তারপর একটি পাত্রে ভগবান কৃষ্ণের একটি ধাতব মূর্তি রাখুন এবং স্নান করান। প্রথমে দুধ, তারপর দই, তারপর মধু, তারপর চিনি এবং সবশেষে ঘি দিয়ে প্রভুকে স্নান করান। একে পঞ্চামৃত স্নান বলে। প্রভুকে যথাযথভাবে স্নান করানোর পর, তাকে জল দিয়ে স্নান করান। মনে রাখবেন যে জিনিসগুলি নিবেদন করা হবে তা শঙ্খের মধ্যে রেখেই নিবেদন করা উচিত।

    প্রসাদ নিবেদন

    এরপর পীতাম্বর, ফুল ও প্রসাদ নিবেদন করুন। এর পর ভগবানকে দোলনায় বসিয়ে দোল দিন। নাড়ুগোপালকে ছেলের মতো যত্ন করে ভোগ নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালকে চিনি, মিছরি এবং শুকনো ফল নিবেদন করুন। ননীও মাখন দিতে ভুলবেন ন। তারপর নাড়ুগোপালের আরতি করুন। ঈশ্বরের কাছে আপনার জীবনের সমস্ত কষ্ট দূর করার জন্য অনুরোধ করুন। এর পরে, আপনি “হরে কৃষ্ণ” মহামন্ত্রও জপ করতে পারেন। জীবনে প্রেম এবং সুখের জন্য “মধুরাষ্টক” পাঠ করুন। শ্রী কৃষ্ণকে গুরুরূপে পেতে হলে শ্রীমদ্ভগবদ গীতা পাঠ করুন।

  • Tariff War: “দাম কম, দম বেশি মন্ত্র অনুসরণ করতে হবে ভারতকে,” লালকেল্লায় বললেন মোদি

    Tariff War: “দাম কম, দম বেশি মন্ত্র অনুসরণ করতে হবে ভারতকে,” লালকেল্লায় বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতকে উচ্চমানের ও সাশ্রয়ী পণ্যের ওপর জোর দিতে হবে “দাম কম, দম (গুণমান) বেশি” মন্ত্র অনুসরণ করে, যাতে একটি সমৃদ্ধশালী,  স্বনির্ভর দেশ হিসেবে গড়ে তোলা যায়, যা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগকে সম্মান জানায়।”  শুক্রবার ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে দিল্লির লালকেল্লায় ভাষণ দিতে (Tariff War) গিয়ে কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুধু তাই নয়, দেশবাসীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “অন্যদের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতাকে দুর্বল করতে পারে”। ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক নিয়ে দড়ি টানাটানির আবহে তিনি বলেন, “যারা অন্যের ওপর অতিরিক্ত নির্ভর করে, তারা নিজের স্বাধীনতার ওপর বড় প্রশ্নচিহ্ন ডেকে আনে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (Tariff War)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসল দুর্ভাগ্য শুরু হয় তখন, যখন নির্ভরতা অভ্যাসে পরিণত হয়। আর বুঝতেই না পেরে আমরা আত্মনির্ভর হওয়া বন্ধ করে দিই এবং অন্য কারও ওপর নির্ভর করতে শুরু করি। এই অভ্যাস ঝুঁকিমুক্ত নয়, তাই আত্মনির্ভর থাকতে হলে আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আত্মনির্ভরতা কেবলমাত্র আমদানি, রফতানি বা মুদ্রা বিনিময়ের সীমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি আমাদের সক্ষমতার সঙ্গেও যুক্ত। যখন আত্মনির্ভরতা ক্ষয় হতে শুরু করে, তখন আমাদের শক্তিও ক্ষয় হয়। আমাদের সক্ষমতা রক্ষা, বজায় রাখা এবং উন্নত করার জন্য আত্মনির্ভরতা অপরিহার্য।”

    বিশ্বে সম্মান অর্জনের জন্য ভারতীয়দের করণীয়

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক স্বার্থপরতার এই (Tariff War) সময়ে (PM Modi), বিশ্বে সম্মান অর্জনের জন্য ভারতকে অন্যদের সীমিত করার বদলে নিজেকে শক্তিশালী করায় মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের উচিত নয় অন্য কারও লাইন ছোট করার চেষ্টা করে নিজের শক্তি নষ্ট করা। বরং আমাদের নিজের লাইনকে সর্বশক্তি দিয়ে দীর্ঘায়িত করতে হবে। বিশ্ব আমাদের শক্তিকেই সম্মান দেবে। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে, যেখানে অর্থনৈতিক স্বার্থপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে, সেখানে প্রয়োজন কাঁদতে বসে থাকা নয়, বরং সাহসের সঙ্গে নিজের লাইন দীর্ঘ করা।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমাদের কাজ করা উচিত এই মন্ত্র (PM Modi) নিয়ে—‘দাম কম, দম বেশি’, অর্থাৎ খরচ কম, গুণমান বেশি। মনে রাখতে হবে, আমাদের স্বাধীনতা এসেছে অসীম ত্যাগের মাধ্যমে (Tariff War)।”

  • Janmashtami 2025: এখন ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী, পুজোতে এই উপকরণগুলো অবশ্যই রাখবেন

    Janmashtami 2025: এখন ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী, পুজোতে এই উপকরণগুলো অবশ্যই রাখবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী। দৃক সিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধ সিদ্ধান্তমতে জন্মাষ্টমীর অষ্টমী তিথি আরম্ভ হচ্ছে আজ, শুক্রবার ১৫ অগাস্ট। এদিন রাত ১১টা ৫১ মিনিটে এই তিথি শুরু হচ্ছে। আর অষ্টমী তিথি শেষ হচ্ছে শনিবার ১৬ অগাস্ট রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে। মধ্যরাত ১২টা ০৪ মিনিট থেকে ১২টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত পুজো করার শুভ সময়। অন্যদিকে, গুপ্তপ্রেস বা বেণীমাধব শীলের ফুল পঞ্জিকামতে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর অষ্টমী তিথি আরম্ভ হচ্ছে, শুক্রবার ১৫ অগাস্ট গভীর রাত ১টা ১৬ মিনিট ৯ সেকেন্ডে। শেষ হবে শনিবার রাত ১০টা ৪৮ মিনিট ৩ সেকেন্ডে। ফলে, উদয় তিথি হিসেবে শনিবার অষ্টমী। ফলে, শনিবারই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জন্মাষ্টমী পুজো হবে। তবে, মধ্যরাতের নিরিখে শুক্রবারেও বহু গৃহে উদযাপন হচ্ছে।

    জন্মাষ্টমী পুজোর উপকরণ—

    ধূপকাঠি, কর্পূর, জাফরান, চন্দন, সিঁদুর, সুপারি, পান, পদ্ম, তুলসীর মালা, ধনে, যজ্ঞবেত ৫, কুমকুম, ধান, আবির, কাঁচা হলুদ, গোপালের গয়না, সপ্তমৃত্তিকা, সপ্তধন, কুশ ও দূর্বা, শুকনো ফল, গঙ্গাজল, মধু, চিনি, মিছরি, তুলসী ডাল, খাঁটি ঘি, দই, দুধ, মৌসুমি ফল, নৈবেদ্য বা মিষ্টান্ন, ছোট এলাচ, লবঙ্গ, সুগন্ধি, সিংহাসন, ঝুলা।

    এই পুজোতে লাগে— আমপল্লব, পঞ্চামৃত, কলা পাতা, ওষুধ, শ্রী কৃষ্ণের মূর্তি বা ছবি, গণেশের ছবি, অম্বিকার ছবি, ভগবানের পোশাক, গণেশকে নিবেদনের পোশাক, অম্বিকাকে নিবেদনের পোশাক, সাদা কাপড়, লাল কাপড়, পঞ্চ রত্ন, প্রদীপ, পান, নারকেল, চাল, গম, গোলাপ ও লাল পদ্মফুল, দূর্বা, অর্ঘ্য পাত্র, পঞ্চগব্য, পঞ্চগুড়ি, পাট, বালি, পঞ্চবর্ণের গুড়ো, মধুপর্কের বাটি।

    জন্মাষ্টমীর পুজোয় ময়ূরের পালক ও বাঁশির মাহাত্ম্য

    ময়ুর পালক

    ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মবার্ষিকীতে ময়ূরের পালক দেওয়া ভগবান কৃষ্ণের আরাধনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান কৃষ্ণ বাঁশির মতো ময়ূরের পালক অত্যন্ত পছন্দ করেন। তাই তিনি এটিকে মুকুট হিসাবে ব্যবহার করতেন। জন্মাষ্টমীর পুজো সফল করতে ময়ূরের পালক ও একটি মুকুট অর্পণ করুন গোপালকে। ঘরের সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূরে সরিয়ে সমৃদ্ধি পেতে চাইলে বাড়িতে রাখুন ময়ূরের পালক। জন্মাষ্টমীর পুজোতেও ময়ূরের পালক রাখা প্রয়োজন। এতে ঘরে সুখ শান্তি আসে।

    বাঁশি

    ময়ূরের পালকের মতো বাঁশি ছাড়াও পুজো করা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে বাঁশি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। আপনি যদি চান যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ আপনার উপর বর্ষিত হোক, তা হলে আপনাকে অবশ্যই গোপালকে জন্মবার্ষিকীতে বাঁশি নিবেদন করতে হবে। বলা হয়, কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিন বাড়িতে বাঁশি রাখলে খুবই উপকার হয়। এতে ঘরে ধন-সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ে সুখ ও শান্তি। ফলে পুজোর বেদীতে শ্রীকৃষ্ণের বাঁশি রেখে দিতে পারেন।

    শঙ্খ ও তুলসীর তাৎপর্য

    শঙ্খ

    জন্মাষ্টমীর পুজোতে শঙ্খ ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। শঙ্খকে সনাতন ঐতিহ্যে শুভর প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জন্মাষ্টমীর উৎসবে গোপালকে স্নান করাতে এবং পুজোর সময় শঙ্খ ব্যবহার করা হয়। জন্মাষ্টমীর পুজোর সময় সঙ্গে রাখুন একটি শঙ্খ।

    তুলসী

    জন্মাষ্টমীর পুজোয় তুলসী পাতা অবশ্যই নিবেদন করতে হয় গোপালকে। কারণ তুলসী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে জন্মাষ্টমীর পুজোয় তুলসী নিবেদন করলে শীঘ্রই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রসন্ন হন এবং কাঙ্খিত বরদান করেন।

    জন্মাষ্টমীর বিশেষ ভোগ-

    জন্মাষ্টমীর ভোগের মধ্যে ৫৬ ভোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ৫৬ রকমের নৈবেদ্যর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। নিয়ম অনুসারে ৫৬ ভোগে থাকে ১৬ ধরনের জলখাবার, ২০ টি মিষ্টি এবং ২০ ধরণের শুকনো ফল। যার মধ্যে দুধের তৈরি খাবার সবার আগে পরিবেশন করতে হয়।

    তবে, যদি বাড়িতে ৫৬ ভোগ করা সম্ভব না হয়, তাহলে লুচি, ছোলার ডাল এবং সুজি প্রস্তুত করুন। গোপাল পুজোয় ঘরে ঘরে তৈরি হয় তালের বড়া ও তালের ক্ষীর, মালপোয়া, মোহনভোগ, নারকেল নাড়ু, মাখন, ক্ষীর, মিষ্টি, পায়েস, বাসন্তী পোলাও। এর পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই দুধ-দই, কাঁচা মাখন বা ননীর ব্যবস্থা করতে হবে, কারণ গোপাল দুধ-দই এবং মাখন খুব পছন্দ করেন। পঞ্চামৃত তৈরি করুন এবং সব ধরনের ফল রাখুন।

    জন্মাষ্টমী পুজোর পদ্ধতি

    জন্মাষ্টমীর আগের দিন নিরমিষ অন্ন খেয়ে সংযম পালন করতে হবে এবং রাত ১২টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। ঘুমনোর আগে অবশ্যই ভাল করে মুখ ধুয়ে ঘুমতে হবে। পুজোর দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে নিন। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করুন। বাড়ির মন্দিরে প্রদীপ জ্বালান। সমস্ত দেবতার জলাভিষেক করুন।

    এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশু-রূপের পুজো করা হয়। এই শিশু রূপের অনেক নাম রয়েছে। যেমন— নন্দগোপাল, ননীগোপাল, নাড়ুগোপাল ইত্যাদি। নাড়ুগোপালকে ছেলের মতো যত্ন করে ভোগ নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালের জলাভিষেক করে তাকে দোলনায় রাখুন। এরপর আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী নাড়ুগোপালকে ভোগ নিবেদন করুন। মনে রাখবেন যে শুধুমাত্র সাত্ত্বিক জিনিস ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করা হয়।

    এই দিনে রাতের পুজোর তাৎপর্য রয়েছে, কারণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ পুজো করুন। সেই সময় নাড়ুগোপালকে চিনি, মিছরি এবং শুকনো ফল নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালকে ভোগ নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালের আরতি করুন।

LinkedIn
Share