Author: Susanta Das

  • Vice President Election: উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু নির্বাচন কমিশনের, সংখ্যার খেলায় এগিয়ে এনডিএ

    Vice President Election: উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু নির্বাচন কমিশনের, সংখ্যার খেলায় এগিয়ে এনডিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনের কাজকর্ম শেষ করে রাতে হঠাৎ উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন জগদীপ ধনখড়৷ স্বাস্থ্যের কারণে তাঁর এই ইস্তফা বলে জানান তিনি। এবার তাঁর উত্তরসূরি বাছাইয়ে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেলকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করল কমিশন। রাজ্যসভার অন্য দু’জন সচিবকে অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

    রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ নির্বাচন কমিশনের

    গত ২১ জুলাই ইস্তফা দেন ধনখড়। পরদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে উপরাষ্ট্রপতি পদ শূন্য থাকার কথা জানায়। তারপরই উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন নিয়ে তৎপর হয় কমিশন। শুক্রবার, আইন মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার পর রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের সম্মতিতে ১ জন রিটার্নিং অফিসার ও ২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়। রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেল বা মহাসচিব পিসি মোদিকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেছে কমিশন। পাশাপাশি, রাজ্যসভার যুগ্মসচিব গরিমা জৈন এবং রাজ্যসভা সচিবালয়ের অধিকর্তা বিজয় কুমারকে সহকারি রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কমিশন এখনও পর্যন্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি না করলেও, কমিশন জানিয়েছে, প্রস্তুতি সারা হয়ে গেলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হবে৷ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৮ অনুসারে, উপরাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হলে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি জারির ৩০ দিনের আশপাশে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা। ভারতের সংবিধানের ধারা ৬৬(১) অনুসারে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয় লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে। ভোট হয় একক স্থানান্তরযোগ্য ভোটপদ্ধতিতে, অর্থাৎ গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সাংসদদের পছন্দক্রম অনুযায়ী ভোটদান।

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন কারা?

    বর্তমানে লোকসভায় ৫৪৩টি আসনের মধ্যে একটি আসন (পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট) শূন্য। রাজ্যসভায় ২৪৫টি আসনের মধ্যে ৫টি শূন্য— এর মধ্যে ৪টি জম্মু-কাশ্মীর এবং ১টি পাঞ্জাবের। ফলে কার্যত ভোটদানে যোগ্য সাংসদ সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৭৮২। নির্বাচিত ও মনোনীত— উভয় কক্ষের সদস্যরাই ভোট দিতে পারেন। সংখ্যার নিরিখে জিততে প্রয়োজন কমপক্ষে ৩৯২টি ভোট।

    এনডিএ না ইন্ডি— কে এগিয়ে কে পিছিয়ে?

    লোকসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের সাংসদ সংখ্যা ২৯৩। রাজ্যসভায় এনডিএ-র সমর্থনে রয়েছেন ১২৯ জন সাংসদ। সব মিলিয়ে এনডিএ-র ঝুলিতে আছে ৪২২টি ভোট— যা প্রয়োজনীয় সংখ্যার চেয়ে অনেকটাই বেশি। অন্যদিকে, কংগ্রেসের রয়েছে লোকসভায় ৯৯ এবং রাজ্যসভায় ২৭ জন সাংসদ। বিরোধী জোট ‘ইন্ডি’ ব্লকের সমর্থনে এই সংখ্যা ৩৫০-র বেশি হলেও, সম্প্রতি আম আদমি পার্টি সেই জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে বিরোধীরা। উপরন্তু, কয়েকজন সাংসদের দলত্যাগ বা অনুপস্থিতির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। যদিও শেষ মুহূর্তে কে ভোট দেন, কে দেন না, বা কারা পক্ষ বদলান — তার উপরই নির্ভর করছে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সাংসদদের ভোটদানের ক্ষেত্রে দল হুইপ জারি করতে পারে না। তবে, এনডিএ প্রার্থীর জয় কার্যত নিশ্চিত।

  • Stealth Fighters: ‘CAATSA’-হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, কোন বিকল্প পথে রুশ সু-৫৭ স্টেলথ বিমান নিতে পারে ভারত?

    Stealth Fighters: ‘CAATSA’-হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, কোন বিকল্প পথে রুশ সু-৫৭ স্টেলথ বিমান নিতে পারে ভারত?

    সুশান্ত দাস

    ভারতীয় সেনায় অ্যাপাচে (Apache AH-64E) অন্তর্ভুক্তি হওয়ার দুদিন পরেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এক বিরাট খবর সামনে এল। জানা যাচ্ছে, আপৎকালীন ভিত্তিতে এবার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান বা স্টেলথ ফাইটার (Stealth Fighters) জেট কেনার বিষয়ে গুরুত্ব দিয় ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে মোদি সরকার (Modi Sarkar)।

    অ্যামকা (AMCA) হাতে পেতে আরও ১০ বছর

    ভারতের নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (Fifth Generation Fighter Jets) ‘অ্যামকা’ তৈরির প্রকল্প বাস্তব রূপ পেতে ঢের দেরি। ডিআরডিও এই প্রকল্পের কাজ জোরদার চালালেও, এই যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ইঞ্জিন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরঞ্জাম জোগাড় করা এবং তার পর একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হওয়ার পরেই মাস প্রোডাকশন বা অধিক সংখ্যায় তৈরি করা হবে অ্যামকা। তার পর গিয়ে তা শেষমেশ বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হবে। আর এসব হতে হতে অন্তত ১০ বছর সময় লাগবে। অর্থাৎ, বায়ুসেনায় অ্যামকা পুরোপুরি অন্তর্ভুক্ত হতে আরও এক দশক!

    পাকিস্তানকে সাজাচ্ছে চিন!

    কিন্তু, ভারতের শত্রুরা তো বসে নেই। চিন তো প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়িয়েই চলেছে। উল্টোদিকে, অপারেশন সিঁদুরের ভারতের হাতে মার খাওয়ার পর থেকেই প্রতিরক্ষাকে ঢেলে সাজাচ্ছে পাকিস্তানও। আর তাতে পাকিস্তানকে সর্বস্ব দিয়ে সাহায্য করছে সব ঋতুর বন্ধু চিন। এমনও শোনা গিয়েছে, বেজিং তার নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার জেট ইসলামাবাদকে দিতে আগ্রহী। যদি তা বাস্তব হয়, তাহলে ভারতের কাছে তা বড় বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমতাবস্থায়, ভারত কখনই চাইবে না, তেমন দিন দেখতে। ভারতকেও অবিলম্বে এই অস্ত্র নিজের ঘরে তুলতে হবে। প্রশ্ন হল, এখন ভারত কী করবে?

    শূন্যস্থান পূরণের দাবি জোরালো…

    পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটারের শূন্যস্থান পূরণের জন্য ভারত আপৎকালীন ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক যুদ্ধবিমান কেনার ভাবনাচিন্তা করছে ভারত। যা খবর আসছে, বিদেশ থেকে ২ থেকে ৩ স্কোয়াড্রন স্টেলথ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের কাছে এই মর্মে একটি প্রস্তাব পেশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেখানে বলা হয়েছে, অ্যামকা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বায়ুসেনার অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখে দুই থেকে তিনটি স্কোয়াড্রন (৪০-৬০টি বিমান) কেনা হোক। বায়ুসেনা তাদের প্রস্তাব পেশ করে প্রতিরক্ষা সচিব আরকে সিং-এর নেতৃত্বাধীন একটি ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির কাছে। সূত্রের খবর, বাহিনীর প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রস্তুতি বাড়ানোর জন্য পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কিনে উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে ওই কমিটি।

    কেন্দ্রকে অভিনব ফর্মুলা বায়ুসেনার

    ইতিমধ্যে এমআরএফএ (MRFA) প্রকল্পের আওতায় ৪.৫ প্লাস প্রজন্মের যুদ্ধববিমান কেনার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে ভারত। এই প্রকল্পের আওতায় ১১৪টি যুদ্ধবিমান কেনার কথা। এক্ষেত্রে, ভারতের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফ্রান্সের দাসো এভিয়েশনের রাফাল যুদ্ধবিমানের এফ-৪ ভেরিয়েন্ট। বায়ুসেনার এক-একটি স্কোয়াড্রনে ১৮-২০টি বিমান থাকে। অর্থাৎ, ১১৪টি যুদ্ধবিমান হল আনুমানিক ৬টি স্কোয়াড্রনের সমান। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, বায়ুসনার তরফে প্রতিরক্ষা সচিবের কাছে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে, শুধুমাত্র ১১৪টা ৪.৫ প্লাস প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনার জায়গায় সংখ্যাটিকে দুভাগে ভাঙতে। যেমন— ৬০টা ৪.৫ প্রজন্মের আর ৫৪টা পঞ্চম প্রজন্মের। বা উল্টোটা। অর্থাৎ, ৫৪টা যুদ্ধবিমান ৪.৫ প্রজন্মের আর ৬০টা পঞ্চম প্রজন্মের। এক কথায়, তিন স্কোয়াড্রন ৪.৫ প্রজন্মের আর বাকি তিনটে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনা যেতে পারে। জানা গিয়েছে, প্রতিরক্ষা সচিব সেই ফর্মুলায় সম্মত হয়েছেন।

    ভারতকে প্রস্তাব দুই দেশের

    এবার প্রশ্ন, কার থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিতে পারবে ভারত? তবে, এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে দেখে নেওয়া যাক, এই মুহূর্তে স্টেলথ ফাইটার জেট রয়েছে বিশ্বের কোন কোন দেশের কাছে। অপারেশনাল পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ জেট রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিনের। এছাড়া, আমেরিকার এফ-৩৫ ব্যবহার করে ইজরায়েল, যুক্তরাজ্য সহ কয়েকটি দেশ। চিন ভারতের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। ফলে, রইল বাকি আমেরিকা ও রাশিয়া। এদের দুজনেই তাদের স্টেলথ বিমান বিক্রির প্রস্তাব ভারতের সামনে রেখেছে। একদিকে আমেরিকা সামনে করছে তাদের এফ-৩৫এ (F-35A) যুদ্ধবিমান। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রস্তাবে রয়েছে সু-৫৭ (Su-57)।

    কার স্টেলথ বিমান নেবে ভারত?

    তাহলে ভারত কাদের দিকে ঝুঁকবে? মার্কিন এফ-৩৫ খাতায়-কলমে বিশ্বের সেরা হলেও, এটা কেনায় অনেক জটিলতা রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে এফ-৩৫ বেচতে চাইলেও, ভারত যা চাইবে, তা পাবে না (বলা ভালো দেওয়া হবে না)। যুদ্ধবিমানের নির্মাতা লকহিড-মার্টিন কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখে। নিজেদের ‘নয়নের মণি’ বিমানের প্রযুক্তি এবং যন্ত্রাংশ— উভয়ের উপরই কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখে পেন্টাগন। এমনকি, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও ভারতের হাতে ছাড়া হবে না। তার জন্য ভারতে একাধিক মার্কিন কর্মীকে মোতায়েন করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে কঠোর এন্ড-ইউজার মনিটরিং ক্লজ চাপাতে পারে, যাতে ভারত সায় দেবে না। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আমেরিকা চাইলে বিমানের কার্যকারিতা সীমিত করতে পারে। উপরন্তু, এফ-৩৫ রাখা প্রায় সাদা হাতি পোষার সামিল। বিমানের দাম থেকে এর রক্ষণাবেক্ষণের খরচের ভার বিপুল। এছাড়াও আরও অনেক কারণ আছে, যা ভারতের বাধা।

    রাশিয়া থেকে কেনা সহজ নয়…

    তাহলে কি ভারত পুরনো বিশ্বস্ত বন্ধু রাশিয়ার সু-৫৭ যুদ্ধবিমানই কিনতে চলেছে? এখনও এই প্রশ্নের উত্তর নেই। কারণ, ভারতের কেনার বিষয়টি পুরোটাই ভাবনাচিন্তার স্তরে রয়েছে। আরও বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ও বিশ্লেষণ হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কমিটি। তবে, রাশিয়া থেকে কেনাও এতটা সহজ হবে না। প্রধান কারণ হল আমেরিকার তীব্র আপত্তি। এমনিতেই রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কেনা নিয়ে ভারতকে পরোক্ষে হুমকি দিচ্ছে আমেরিকা। সর্বোপরি, রাশিয়া স্টেলথ যুদ্ধবিমানের সমস্ত প্রযুক্তিই নয়, এই বিমানের সোর্স কোড-ও ভারতকে দিতে রাজি হয়েছে। এতেই তেলে-বেগুনে ট্রাম্প! রাশিয়ার স্টেলথ বিমান কেনা থেকে ভারতকে আটকাতে নয়াদিল্লির ওপর নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া ঝুলিয়ে রেখেছে ওয়াশিংটন। হুমকি দিচ্ছে, যদি ভারত রাশিয়া থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনে, তাহলে, ভারতের ওপর ‘CAATSA’ আরোপ করা হবে। সহজ কথায়, ভারতকে আমেরিকার শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

    সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না…

    তাহলে, ভারত কী করতে পারে? ইচ্ছে থাকলেও ভারত কি কিনতে পারবে না রুশ পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান? উপায় একটা আছে। তা হলে, সরাসরি না কিনে, ঘুরপথে যাওয়া। অন্তত তেমনই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। কেমন সম্ভব হবে সেটা? কী সেই ঘুরপথ? ভারত যেটা করতে পারে, তা হল রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান প্রোগ্রামের অংশীদার হয়ে যাওয়া। যা ভারত একটা সময় পর্যন্ত ছিল। ২০১১ সালে ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। প্রোজেক্টের নাম ছিল ‘পিএকে-এফএ টি-৫০’। তখন সু-৫৭ দিনের আলো দেখেনি। বলা যেতে পারে, বর্তমান সু-৫৭’র পূর্বসূরি ছিল ‘টি-৫০’। কিন্তু, প্রযুক্তি হস্তান্তর সহ একাধিক বিষয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় ২০১৭ সালে ওই প্রকল্পে থেকে পিছিয়ে আসে ভারত। এখন রাশিয়া যদি জানায়, তারা আবার ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে স্টেলথ প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, তাহলে ভারত অংশীদার হতে পারে। তাতে আমেরিকার বলার কোনও জায়গা থাকবে না। সেক্ষেত্রে, ভারতের কাছে সবকিছুই থাকবে। অংশীদার হিসেবে রুশ সু-৫৭ নিতে ভারতের অসুবিধে হবে না। অর্থাৎ, সাপও মরবে, আবার লাঠিও ভাঙবে না। অন্তত, তথ্যাভিজ্ঞ মহল এমনটাই মনে করছে। বাস্তবে কী হবে, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

  • Kargil Vijay Diwas 2025: আজ কার্গিল বিজয় দিবসের ২৬তম বর্ষপূর্তি, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন?

    Kargil Vijay Diwas 2025: আজ কার্গিল বিজয় দিবসের ২৬তম বর্ষপূর্তি, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ২৬ জুলাই, কার্গিল বিজয় দিবস (Kargil Vijay Diwas 2025)। ১৯৯৯ সালের এই দিনে কার্গিল যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘অপারেশন বিজয়’ এর মধ্যে দিয়ে পাকিস্তান বাহিনীকে হটিয়ে কার্গিল অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছিল। প্রতি বছর এই দিনটি কার্গিল বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি আমাদের মনে করায়, ১৯৯৯ সালে কার্গিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার যুদ্ধ (1999 India Pakistan War) জয়। এবছর কার্গিল জয়ের ২৬তম বর্ষপূর্তি পালন করছে দেশ।

    ২৬ জুলাই দিনটি উৎসর্গ করা হয়েছে সেই সমস্ত সাহসী সৈন্যদের প্রতি, যাঁরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতাকে রক্ষা করার জন্য যুদ্ধ ময়দানে নেমেছিলেন। এই দিনটির অন্যতম গুরুত্ব হল, কার্গিলে যে সমস্ত অঞ্চল পাকিস্তানি সৈন্যরা দখল করেছিল, ভারতীয় সেনা বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে সেই স্থানগুলিকে দখলমুক্ত করে। ভারতীয় সেনার এমন দাপটে পিছু হঠতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি সেনা। কার্গিল বিজয় দিবসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভারতের বীর সেনার বলিদান স্মরণ করার দিন (India Salutes War Heroes)।

    ১৯৯৯ সালের মে মাসে শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ (1999 Kargil War)

    ১৯৯৯ সালের মে মাসে শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ, যখন পাকিস্তানি সৈন্য এবং জঙ্গিরা যৌথভাবে সীমান্ত পেরিয়ে কার্গিলের বেশ কিছু অঞ্চলকে দখল করে। ১৯৯৯ সালের জুন মাসে ভারতীয় সেনা শুরু করে ‘অপারেশন বিজয়’ (Operation Vijay)। এর মাধ্যমে কার্গিলকে পাকিস্তানি জঙ্গি ও সৈন্যদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করে সেনা। ১৯৯৯ সালে ২৬ জুলাই সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তানি সৈন্যকে পরাস্ত করে কার্গিলকে দখলমুক্ত করে ভারতীয় সেনা। চলতি বছরে কার্গিল বিজয় দিবসের ২৫তম বর্ষপূর্তি হচ্ছে।

    লাহোর ঘোষণাপত্রে সই সত্ত্বেও শান্তি স্থায়ী হয়নি

    কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাহোর ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করা সত্ত্বেও, শান্তি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। পাকিস্তানি সৈন্য এবং জঙ্গিরা ১৯৯৮-১৯৯৯ সালে শীতকালে জম্মু ও কাশ্মীরের কার্গিল জেলায় অনুপ্রবেশ শুরু করে, কাশ্মীর এবং লাদাখের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ভূমিও দখল করে তারা। এরপর মে মাসে ভারতীয় সেনাবাহিনী অনুপ্রবেশের বিষয়টি চিহ্নিত করে, এরপরই শুরু হয় কার্গিলে ভারতীয় সেনার অভিযান। তীব্র যুদ্ধের সঙ্গে শুরু হয় ‘অপারেশন বিজয়’।

    অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ছিল পাক সেনাও

    ১৯৯৯ সালের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত জম্মু এবং কাশ্মীরের দ্রাস-কার্গিল সেক্টরে চলে যুদ্ধ। পাকিস্তানের দিক থেকে অনুপ্রবেশ চলতে থাকে কার্গিলে। পাকিস্তান প্রথমে দাবি করে, জঙ্গিরাই এ সব করছে। এখানে পাক সেনার কোনও ভূমিকা নেই। পরে যদিও পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান পারভেজ মুশারফ তাঁর আত্মজীবনী ‘ইন দ্য লাইফ অব ফায়ার’-এ স্বীকার করেছিলেন, অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ছিল পাক সেনাও।

    আমেরিকার দ্বারস্থ হয় পাকিস্তান

    কার্গিলের যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের অবস্থা যখন একেবারে বেসামাল, তখন আমেরিকার কাছে সাহায্য চেয়েছিল পাকিস্তান। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের সহযোগী ব্রুস রিডেল দাবি করেছিলেন, বৃহত্তর সংঘাত এড়াতে পাকিস্তানকে সাহায্য করতে রাজি হয়নি আমেরিকা। আমেরিকার দাবি ছিল, ভারত থেকে পাকিস্তান সৈন্য প্রত্যাহার না করলে তারা কোনও ভাবেই সাহায্য করবে না।

    ৫২৭ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহিদ হন এই যুদ্ধে

    প্রসঙ্গত, কার্গিল হল জম্মু-কাশ্মীরের একটি জেলা। এই জেলাকে নিয়ে তখনই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়, যখন পাকিস্তানি সেনা এবং জঙ্গিরা এখানে অনুপ্রবেশ করতে থাকে সীমান্ত পেরিয়ে। এই অঞ্চলের একাধিক স্থান তারা নিজেদের দখলে আনতে থাকে। এরপরে ‘অপারেশন বিজয়ে’র মাধ্যমে অসম্ভব সাহস ও বীরত্বের পরিচয় দিয়ে সরাসরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় ভারতীয় সেনা। দখলমুক্ত হয় কার্গিল। কার্গিল বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা জানানো হয় সেই সমস্ত ভারতীয় সেনাদের প্রতি যাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে বীরগতিপ্রাপ্ত হয়েছেন। জানা যায়, ৫২৭ জন ভারতীয় সেনা মাতৃভূমির মাটি দখলমুক্ত করতে শহিদ হন এই যুদ্ধে। প্রতিবছরের ২৬ জুলাই শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

    কীভাবে পালন করা হয় কার্গিল বিজয় দিবস

    কার্গিল বিজয় দিবসে সারাদেশে যুদ্ধের যে স্মৃতিসৌধগুলি রয়েছে সেখানে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ অনুষ্ঠান করা হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয় দ্রাসে, এই স্থানটি কার্গিলে অবস্থিত। সেখানে উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিক থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিকরা ও নেতা-মন্ত্রীরা শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করেন। কার্গিল বিজয় দিবসের স্মরণে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় দেশ জুড়ে। দেশাত্মবোধক গান, নৃত্যের মাধ্যমে ভারতীয় জওয়ানদের বীরত্বগাথাকে স্মরণ করা হয়। কার্গিল বিজয় দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে অবহিত করানো হয় দেশের যুবসমাজকে। দেশের স্কুল-কলেজ তথা বিভিন্ন এনজিও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই দিনে।

  • West Bengal Weather Update: নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    West Bengal Weather Update: নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়রে নিম্নচাপ। যার প্রভাবে বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা। আবহাওয়া দফতর (West Bengal Weather Update) জানিয়েছে, রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও ভারী, কোথাও মাঝারি। যার জেরে জলমগ্ন কলকাতা তো বটেই বিভিন্ন জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। রাতভর বৃষ্টিতে কোথাও গোড়ালি ভেজা জল জমে, আবার কোথাও হাঁটু সমান। বিপর্যস্ত হয় জনজীবন। এমনকি, শুক্রবারও নিস্তার নেই বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টির তেজ কমলেও আকাশ মেঘলা। আগামী কয়েকদিন গোটা দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (Heavy Rainfall Alert) দিয়েছে আবহাওয়া দফতর । ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে কলকাতা ও শহরতলিতেও।

    কোথায় দাঁড়িয়ে নিম্নচাপ?

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হওয়ায় নিম্নচাপের জেরে আগামী কয়েকদিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গের সব জায়গায় (West Bengal Weather Update)৷ জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে কলকাতা থেকে ১৭০ কিমি দূরে রয়েছে গভীর নিম্নচাপ। সাগরদ্বীপ থেকে নিম্নচাপের দূরত্ব ১৫০ কিমি। নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি আরও পশ্চিম-উত্তর থেকে পশ্চিম দিকে সরবে৷ যার অভিমুখ পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর ওড়িশা উপকূলের দিকে। তারপর গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে নিম্নচাপটি। আবহাওয়া দফতরের অনুমান, এদিন দুপুরে বাংলা হয়েই স্থলভাগে ঢুকবে। দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে ঝাড়খণ্ডে সরবে নিম্নচাপটি। সংলগ্ন ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭.৬ কিলোমিটার উপরে।

    কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

    এর প্রভাবে আগামী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall Alert) পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওায়া দফতর। পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায় চরম ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আরও ৪ জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে (West Bengal Weather Update)। সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের সোমবার পর্যন্ত সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও কোনও অঞ্চলে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।

    শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে। রবিবার দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা (West Bengal Weather Update)। সোমবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমানে। মঙ্গলবার পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়ায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি এবং পূর্ব বর্ধমানে।

    কী পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গে?

    দক্ষিণের পাশাপাশি, ভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall Alert) পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে শুক্রবার। বাকি জেলায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বজ্রপাতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। শুধু বাঁকুড়াতেই মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এছাড়াও পূর্ব বর্ধমানে ৫ জন, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও দক্ষিণ দিনাজপুরে আরও ১ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন বজ্রাঘাতে। শুক্রবারও, একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস (West Bengal Weather Update) দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে বৃষ্টির সময় নিরাপদ স্থানে থাকার আবেদন জানানো হয়।

  • SSC Recruitment: সেপ্টেম্বরেই এসএসসি নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা, দিনক্ষণ ঘোষণা কমিশনের

    SSC Recruitment: সেপ্টেম্বরেই এসএসসি নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা, দিনক্ষণ ঘোষণা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সেপ্টেম্বরে হবে এসএসসির নিয়োগ পরীক্ষা (SSC Recruitment)। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। একইসঙ্গে পরীক্ষার দিনক্ষণ ও সূচিও ঘোষণা করা হয়েছে কমিশনের তরফে।

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ অনুযায়ী নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে এসএসসি। কমিশনের ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, একদিন নবম-দশম ও আর একদিন একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হবে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ও ১৪ সেপ্টেম্বর এসএসসি-র নিয়োগের পরীক্ষা হবে। ৭ তারিখে নবম-দশম ও ১৪ তারিখে একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা হবে। ওই দু’দিনই দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে পরীক্ষা। দেড় ঘণ্টা ধরে পরীক্ষা চলবে। দৃষ্টিশক্তিহীন প্রার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। পরীক্ষার বাকি নিয়ম পরে জানানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    এসএসসি-র নতুন (SSC Recruitment) বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিনচিট দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের রাজ্যে ২০১৬ সালের এসএসসি-র প্যানেলের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে গত ৩০ মে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, গত ১৬ জুন বিকেল ৫টা থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। ১৪ জুলাই আবেদন জানানোর শেষ দিন ছিল। সেটাই এবার বেড়ে হয় ২১ জুলাই। কমিশন জানিয়েছে, নবম-দশম ও একাদশ–দ্বাদশে নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য মোট ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৭০০ জন পরীক্ষার্থী আবেদন জানিয়েছেন। যার মধ্যে ১৩ হাজারের বেশি ‘যোগ্য’ শিক্ষক শিক্ষিকা আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছে এসএসসি। মোট আবেদনকারীর মধ্যে নবম-দশমের নিয়োগের জন্য প্রায় ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৬৫০ জন পরীক্ষার্থী, একাদশ-দ্বাদশের জন্য প্রায় ২ লক্ষ ৫৪ হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন। ২০১৬ নিয়োগের তুলনায় ২ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে এবারের নিয়োগে।

    পরীক্ষার (SSC Recruitment) প্রশ্নপত্র কেমন হবে? কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, লিখিত পরীক্ষা মাল্টি চয়েস কোয়েশ্চেন বা এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে। মোট ৬০টি প্রশ্ন করা হবে। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ থাকবে ১ নম্বর। তবে কোনওরকম নেগেটিভ মার্কিংয়ের ব্যাপার থাকবে না। অর্থাৎ যতগুলি প্রশ্নের উত্তর সঠিক দেবেন, তত নম্বরই পাবেন। আর কোনও যোগ-বিয়োগের ব্যাপার থাকবে না। তবে লিখিত পরীক্ষার জন্য কবে থেকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে, সে বিষয়ে আপাতত কমিশনের তরফে কিছু জানানো হয়নি। পাশাপাশি, লিখিত পরীক্ষার (SSC Recruitment) দিন পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির নিরাপত্তার ব্যবস্থা কেমন হবে, তার পরিকল্পনা করতে শীঘ্রই উচ্চ পর্যায়ে প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হবে। কমিশন সূত্রে খবর, ফল প্রকাশ করা হতে পারে অক্টোবরের চতুর্থ সপ্তাহে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে কাউন্সেলিং শুরু হওয়ার কথা।

  • Increase Child Memory: স্মৃতিশক্তি নিয়ে উদ্বেগ! নিয়মিত কোন পাঁচটি কাজ শিশু-মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াবে?

    Increase Child Memory: স্মৃতিশক্তি নিয়ে উদ্বেগ! নিয়মিত কোন পাঁচটি কাজ শিশু-মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সাধারণ কয়েকটি ঠিকানা কিংবা কয়েকজনের নাম, মনে রাখতেই অনেক সময় হিমশিম খেতে হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই বহু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মনে রাখতে পারেন না। আবার স্মৃতিশক্তি হ্রাসের এই সমস্যা অনেকের খুব কম বয়সেই দেখা যায়। স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যা বাড়ছে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমার এই সমস্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই শিশুদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নিয়ে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই মনে করছেন তাঁরা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুকাল থেকেই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে বাড়তি নজর দিলে পরবর্তীতে মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ে। জীবনের নানান পর্যায়ে যা খুবই সাহায্য করে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সঠিক পুষ্টিকর খাবারের পাশপাশি কিছু অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই পরিবারের খুদে সদস্যকে সেই অভ্যাস রপ্ত করাতে পারলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়বে এবং স্মৃতিশক্তিও প্রখর হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।

    নিয়মিত মেমোরি গেম কিংবা পাজল সলভ করা!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত এমন কিছু খেলায় শিশুদের অভ্যস্ত করা দরকার, যাতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। এতে শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের পাজল গেম, জিকসো পাজল বা ব্লগ পাজলের মতো খেলায় মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। এই ধরনের খেলায় নতুন ভাবে কিছু সমাধান করার চেষ্টা থাকে। তাই চিন্তাশক্তি বাড়ে। যা মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করে‌। এর ফলে স্মৃতিশক্তি ও বাড়ে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের বিনোদনের সময়ে মোবাইল বা টিভির কার্টুনের পরিবর্তে নিয়মিত এই পাজল সলভ ধরনের খেলায় অভ্যস্ত করলে মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। পাশপাশি নানান ধরনের মেমোরি গেম খেললে স্মৃতিশক্তি বাড়তে পারে।

    নিয়মিত গান শোনার অভ্যাস!

    শিশু বয়স থেকেই নিয়মিত গান শোনার অভ্যাস জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গান শরীরের একাধিক সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। পাশপাশি গান মস্তিষ্কের উপরেও বিশেষ প্রভাব ফেলে। তাই শিশু বয়স থেকেই নিয়মিত গান শুনলে মস্তিষ্কে দীর্ঘ প্রসারী প্রভাব পড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ট্রেস হরমোন মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, ভয় এগুলো স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। স্মৃতিশক্তি হ্রাস হয়। পাশপাশি যেকোনও কাজের আত্মবিশ্বাস কমে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে খুব কম বয়স থেকেই নানান জটিলতার মধ্যে শিশুদের থাকতে হচ্ছে। এর ফলে তার প্রভাব তাদের মস্তিষ্কে পড়ছে। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে তার জোরালো প্রভাব দেখা দিচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত গান শুনলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক হয়। স্নায়ুর শক্তিও বজায় থাকে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি হয় না। এর ফলে মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ে। যেকোনও কাজে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তাই ছোটো থেকেই নিয়মিত গান শোনার অভ্যাস তৈরি হোক।

    ক্রসওয়ার্ড দিয়ে শব্দের ভাণ্ডার বাড়ানো!

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের শব্দ শেখানো নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের সঙ্গে নিয়মিত দীর্ঘ সময় কথা বললে তাদের শব্দ ভাণ্ডার বাড়ে। এর ফলে সহজেই দুটি সমস্যার সমাধান করা যায়। একদিকে শিশুর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। আরেকদিকে শিশুর কথা বলা সহজ হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে শিশুদের কথা বলার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, তিন বছর পেরিয়ে গেলেও শিশু ঠিকমতো কথা বলছে না। ইশারাতেই কথা বলছে। শারীরিক সমস্যা না থাকলেও এমন ঘটনা ঘটছে। তার নেপথ্যে রয়েছে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম এবং কথা বলার মানুষের অভাব। এর ফলে পরবর্তীতে নানান জটিলতা দেখা দিচ্ছে। তাই শিশুদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলা জরুরি।‌ পাশপাশি বছর পাঁচেক বয়সের পরে শিশুদের শব্দ ভাণ্ডার কতখানি বাড়ছে, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। এতে তাদের স্মৃতিশক্তি বাড়বে, আরেকদিকে তাদের যেকোনও ভাষায় দক্ষতাও বাড়বে। তাই নিয়মিত শিশু যাতে নতুন শব্দ শেখে সে নিয়ে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এর পাশপাশি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে তাঁরা শিশুকে ক্রসওয়ার্ডের মতো খেলায় অভ্যস্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

    সাবেকি ঘরোয়া খেলায় বাড়বে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবেশ একটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশু যদি তার পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটায়, স্বচ্ছন্দ থাকে তবেই তার মানসিক বিকাশ ঠিকমতো হবে। স্মৃতিশক্তি বাড়বে এবং বিভিন্ন কাজে আত্মবিশ্বাস পাবে‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, মোবাইল কিংবা ট্যাবলেটের ভিডিও গেম নয়। বরং পরিবারের সকলের সঙ্গে বসে কিছু সাবেকী খেলা শিশুর মানসিক বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভিডিও গেম একদিকে একাকিত্ব বোধ বাড়িয়ে দেয়, আরেকদিকে চোখের পক্ষে এবং স্নায়ুর পক্ষেও ক্ষতিকারক। কিন্তু লুডো, ক্যারমের মতো খেলা বা যে কোনও কার্ড গেম পরিবারের সঙ্গে বসে খেললে, একদিকে পরিবারের সকলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। শিশু অন্যরকম সময় কাটানোর সুযোগ পায়। মানসিক চাপ কমে‌। একাকিত্ব বোধ তৈরি হয় না। আর এগুলো শিশুর মানসিক বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। শিশুর জন্য বাড়তি উপকারি হয়।

    নাচের অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়!

    নিয়মিত নাচের অভ্যাস মস্তিষ্কের উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নাচ নিয়মিত করলে শরীরের একাধিক পেশি যেমন সক্রিয় থাকে, তেমন মস্তিষ্কের স্নায়ুও সক্রিয় থাকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পারকিনসনের মতো মস্তিষ্কের জটিল সমস্যায় আক্রান্তদের অত্যন্ত কার্যকরী থেরাপি হলো নাচ। তাই মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে, সক্রিয় রাখতে নিয়মিত নাচ জরুরি। এতে মস্তিষ্কের স্নায়ু সুস্থ থাকে। শরীরে অন্যান্য পেশির সক্রিয়তা বজায় থাকে। এতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Bangladesh Jet Crash: মান্ধাতা আমলের যুদ্ধবিমান কেনার পরিণাম! অধিক চিন-প্রীতির খেসারত দিচ্ছে বাংলাদেশ?

    Bangladesh Jet Crash: মান্ধাতা আমলের যুদ্ধবিমান কেনার পরিণাম! অধিক চিন-প্রীতির খেসারত দিচ্ছে বাংলাদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথাতেই রয়েছে, ‘চায়নার মালের কোনও গ্যারান্টি নেই।’ বাজারে সস্তার জিনিসকে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বোঝাতেও মানুষজন ‘চাইনিজ মাল’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করে থাকে। এই ধারণা যে অমূলক নয়, তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রমাণিত। সাংসারিক হোক বা সামরিক— চিনা জিনিস কোথাও নির্ভরযোগ্য নয়। একে ভরসা করেছে কী মরেছে! ঠিক যেমনটা টের পাচ্ছে ভারতের দুই প্রান্তের দুই প্রতিবেশী। হালে, অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতের বিরুদ্ধে চিনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে একেবারে পর্যুদস্ত হয়েছে পাকিস্তান। এবার বাংলাদেশও টের পেতে শুরু করেছে ‘চাইনিজ মাল’-এর অর্থ। সোমবার, ঢাকার উত্তরায় একটি স্কুল বিল্ডিংয়ে ভেঙে পড়ল বাংলাদেশ বায়ুসেনার একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ‘এফ-৭বিজিআই’ বিমানটি চিনের একটি সংস্থা তৈরি করে। সংস্থার নাম চেংডু এয়ারক্র্যাফট কর্পোরেশন। যারা কিনা পাকিস্তানকে জে-১০ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে।

    ৩৩ বছরে ২৭ যুদ্ধবিমান ধ্বংস

    পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক দশকে একাধিক চিনা যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছে। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, বাংলাদেশে চিনা যুদ্ধবিমানের দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খতিয়ান। সেদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১৯৯২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের অন্তত ২৭টি যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সেই সব বিমানের বেশিরভাগই চিনের তৈরি। বিশেষ করে এফ-৭, এফটি-৭ এবং পিটি-৬ মডেলের বিমানই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। গত ২০ বছরের সময়সীমা ধরলে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনার সংখ্যা ১১। তার মধ্যে ৭টি চিনের তৈরি। আবার, শেষ ১৭ বছরে ভেঙে পড়েছে চিন থেকে কেনা চারটি এফ-৭ যুদ্ধবিমান। ২০১৮ সালের নভেম্বরে টাঙ্গাইলে একটি এফ-৭ প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে বিমানটির পাইলট উইং কমান্ডার আরিফ আহমেদ নিহত হন। ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারে প্রশিক্ষণের সময় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুটি প্রশিক্ষণ বিমান ভেঙে পড়ে। এর আগে ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরে প্রশিক্ষণ বিমান ধ্বংস হয়ে তামান্না রহমান নামের এক পাইলট নিহত হন।

    রুশ মিগ-২১ বিমানের সস্তা কপি এফ-৭

    আদতে, বাংলাদেশের এফ-৭ যুদ্ধবিমানটিকে রাশিয়ার মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের সস্তা কপি-ও বলা যেতে পারে। সাবেক সোভিয়েতের তৈরি মিগ-২১ যুদ্ধবিমানকে নকল করে ষাটের দশকে লাল ফৌজের জন্য তৈরি করা হয়েছিল জে-৭ নামে এক-ইঞ্জিন বিশিষ্ট এই যুদ্ধবিমানটি। পরে বিদেশেও রফতানি হয় এই যুদ্ধবিমানকে। তবে, জে-৭ নামে নয়, এফ-৭ নাম দিয়ে। চিনের তৈরি এফ-৭ যুদ্ধবিমান এক সময় অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য ছিল তুলনামূলক কম খরচে আকাশ প্রতিরক্ষার একটি সমাধান। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সমাধান আজ পরিণত হয়েছে বিপদে। মান্ধাতা আমলের প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়ায় নতুন প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের চেয়ে এফ-৭ জেটের দুর্ঘটনার হার বেশি। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, ইরানসহ আরও কয়েকটি দেশে ব্যবহার হওয়া এই বিমানটি এখন প্রায়ই শিরোনামে আসে—বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার কারণে। এর প্রধান কারণ, পুরনো নকশার এয়ারফ্রেম, সীমিত নিরাপত্তা, আধুনিক ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অভাব ইত্যাদি। ইঞ্জিনের ব্যর্থতা থেকে শুরু করে কারিগরি এবং পাইলটের ত্রুটির সঙ্গে জড়িত অসংখ্য কারণ বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট করা হয়েছে। তবে, সোমবারের দুর্ঘটনার কারণ ঠিক কী, এখনও অবধি সবিস্তার তা জানা যায়নি।

    বাংলাদেশের মধ্যেই এবার উঠছে প্রশ্ন

    বর্তমান বাংলাদেশের কাছে ২০১৩ সালে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া এফ-৭ সংস্করণের ৩৬টি যুদ্ধবিমান রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই এফ-৭ বিজিআই ভ্যারিয়েন্ট। তবে এফ-৭ এমবি ও এফটি-৭ ভ্যারিয়েন্টও রয়েছে। একাংশের মতে, চিনের তৈরি এই সব ফাইটার এয়ারক্র্যাফটকে যুদ্ধবিমান না বলে ‘উড়ন্ত কফিন’ বলাই ভালো। সোমবারের দুর্ঘটনার পর থেকেই চিন থেকে সস্তায় সমরাস্ত্র কেনার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। যদিও এই বিষয়ে বাংলাদেশ বায়ুসেনা কিংবা তদারকি সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে, বাংলাদেশ মুখে কুলুপ আঁটলেও, সময়টা খারাপই চলছে চিনের, বিশেষ করে চেংডুর চিনা যুদ্ধবিমান নির্মাণকারী সংস্থাগুলির। প্রথমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে পাক বায়ুসেনার জে-১০ ও জেএফ-১৭ বিমান ভূপতিত। সম্প্রতি, মায়ানমারে বিদ্রোহীদের স্টিঙ্গার মিসাইলে ভূপতিত জুন্টার বায়ুসেনার চিনা যুদ্ধবিমান। এখন বাংলাদেশে দুর্ঘটনার কবলে চিনা যুদ্ধবিমান। গত কয়েক মাসে, চিনা যুদ্ধবিমান সংস্থাগুলির শেয়ারের মূল্যে বিরাট পতন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবারেই চেংডুর শেয়ার দর ২ শতাংশ পড়েছে।

    খয়রাতি সাহায্য এবং কম দামের আশায়…

    সামান্য কিছু খয়রাতি সাহায্য এবং কম দামের আশায় চিন থেকে একের পর এক মান্ধাতা আমলের যুদ্ধবিমান কিনেই চলেছে বাংলাদেশ। তার ফলে খেসারত দিতে হচ্ছে সেদেশের বায়ুসেনাকেই। তবে, সোমবারের ঘটনার পর চিন থেকে সরে অন্য দেশ থেকে যুদ্ধবিমান কেনার কথা ভাবনাচিন্তা করছে বাংলাদেশ, এমন খবর সেদেশের সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশিত হয়েছে। এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি অবশেষে চিন থেকে মন উঠল মহম্মদ ইউনূসের? কিছুদিন আগে পর্যন্ত তো চিনে গিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব তথা সেভেন সিস্টার্স নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন তিনি? এবার কি তাহলে ‘চিনা মাল’-এ ভরসা রাখতে পারছেন না মহম্মদ ইউনূস? সেটা অবশ্য সময়ই বলবে।

  • Indian Medical Team: কূটনৈতিক দূরত্ব ভুলে সৌজন্যতার নজির, বাংলাদেশে বিশেষ চিকিৎসক দল পাঠাচ্ছে ভারত

    Indian Medical Team: কূটনৈতিক দূরত্ব ভুলে সৌজন্যতার নজির, বাংলাদেশে বিশেষ চিকিৎসক দল পাঠাচ্ছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনৈতিক দূরত্ব সত্ত্বেও ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাকাণ্ডে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াল ভারত। সোমবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের এই খারাপ অবস্থার সময়ে ভারত সবরকমভাবে পাশে থাকতে রাজি। সেই মতো এবার মহম্মদ ইউনূসের দেশে ভারত থেকে যাচ্ছে ডাক্তার-নার্সদের টিম। মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, চিকিৎসক এবং নার্সদের দলকে বাংলাদেশে পাঠানো হবে, তাঁরা এরকম পুড়ে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ। শীঘ্রই তাঁরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে ভারতের তরফে জানানো হয়েছে। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক সরঞ্জামও পাঠাচ্ছে ভারত।

    সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মোদি

    সোমবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তরায় উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ বায়ুসেনার প্রশিক্ষণরত একটি বিমান। ফলে আগুন ধরে যায়। দগ্ধ হয় অনেক পড়ুয়া। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৫ শিশু-সহ ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স ১২ বছরের নিচে। আহতের সংখ্যা ২০০-র মতো। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঢাকার প্রায় ৬টি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আহতদের। বিমান দুর্ঘটনার পর উত্তরার ওই স্কুলের অনের শিশু আহত হয়। বেশিভাগই অগ্নিদগ্ধ। অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
    এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদি। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘‘ঢাকায় একটি মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত ও দুঃখিত বোধ করছি। যেখানে মৃতদের মধ্যে অনেকেই তরুণ শিক্ষার্থী। পরিবারগুলোর জন্য আমাদের হৃদয় শোকাহত। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও ব‌লেন, ‘‘ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে এবং সম্ভাব্য সব সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’’

    বার্ন-স্পেশালিস্ট ডাক্তার ও মেডিক্যাল টিম

    মোদি সাহায্যের বার্তা পাঠানোর পরে দুই দেশের বিদেশ সচিব স্তরে যোগাযোগ বজায় ছিল টানা। ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশে তার কাউন্টারপার্টকে ফোন করেন। যে কোনও দরকারে ভারত যে সর্বতোভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত, সে কথাও জানিয়ে দেন। কী ধরনের চিকিৎসার সাহায্য প্রয়োজন তা জানতে চেয়েছিল ভারত। তার উত্তরে বাংলাদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল যেহেতু জখমরা সকলেই অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন, সেই কারণে তাদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও যন্ত্রপাতির প্রয়োজন রয়েছে। সেই মতো পদক্ষেপ করেছে ভারত। দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আলোপ আলোচনা চলার পরই ভারত সেই দেশের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা যাচ্ছে, বার্ন ইউনিটে কাজ করার অর্থাৎ অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন ডাক্তার ও চিকিৎসাকর্মীদের বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। মেডিক্যাল টিমে দিল্লির দুজন ডাক্তার রয়েছেন- একজন রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের এবং অন্যজন সফদরজং হাসপাতালের। প্রয়োজনে আরও চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী পাঠানো হবে বলে ভারতের তরফে থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

    ভারতেও চিকিৎসার আশ্বাস

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বিশেষ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আহতদের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখবেন। প্রয়োজনে ভারতের বিশেষ চিকিৎসার সুপারিশ করবেন। অর্থাৎ তাঁরা সুপারিশ করলে আহতদের ভারতে নিয়ে আসার দরজাও খুলে দিচ্ছে নয়াদিল্লি। এমনকী প্রয়োজন হলে চিকিৎসার জন্য ভারত আরও এরকম বিশেষজ্ঞ দল পাঠাবে বলেও জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বেড়েছে দূরত্ব। দুই প্রতিবেশীর মধ্যে দেখা দিয়েছে কূটনৈতিক লড়াই। বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়েছে প্রবল ভারত বিরোধিতার সুর। সবকিছুকে উপেক্ষা করে, প্রতিবেশীর বিপর্যয়ে সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়ল ভারত।

  • Nyoma Airbase: ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস! এলএসি-র গা ঘেঁষে তৈরি ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি, চালু অক্টোবরেই

    Nyoma Airbase: ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস! এলএসি-র গা ঘেঁষে তৈরি ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি, চালু অক্টোবরেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের চোখরাঙানির সমুচিত জবাব দিতে বিরাট পদক্ষেপ ভারতের। লাদাখের দুর্গম উচ্চতায় চিন-সীমান্ত (India China Border) ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে দেশের বায়ুসেনার সর্বোচ্চ নিয়োমা বিমানঘাঁটি (Nyoma Airbase)। নির্মাণ-পর্ব প্রায় সম্পন্ন। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, আগামী অক্টোবরেই এই ‘এয়ারফিল্ড’ অপারেশনাল হতে চলেছে।

    ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল, তেজস

    পূর্ব লাদাখের মুধ-নিয়োমায় (Mudh-Nyoma Airfield) ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি তৈরি হয়েছে। প্রায় ১৩,৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত, পূর্ব লাগাখের মুধ-নিয়োমা হতে চলেছে এলএসি-র নিকটতম অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড (Advanced Landing Ground)। এলএসি-র কাছে এই ঘাঁটিতে নিয়মিত ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল বা তেজসের মতো যুদ্ধবিমান। দেশের নিরাপত্তা তো বটেই আপতকালীন পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে এই বায়ুসেনা ঘাঁটি। যুদ্ধের সময়ে এর কৌশলগত অবস্থান বিমানবাহিনীকে (Indian Air Force) বাড়তি সুবিধা দেবে। পাশাপাশি, লাদাখের মতো পাহাড়ি এলাকায় সংঘর্ষ বাধলে দ্রুত ফৌজকে রণাঙ্গনে নিয়ে যাওয়া বা সৈনিকদের জন্য হাতিয়ার ও গোলা-বারুদের জোগান ঠিক রাখতেও এই ঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।

    গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে নিয়োমা

    চিন সীমান্তের কাছে, লাদাখেই আছে বায়ুসেনার আরও একটি এয়ারস্ট্রিপ। সিয়াচেন হিমবাহের কাছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬,৬১৪ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত দৌলত বেগ ওলডি-ই হচ্ছে ভারতের সর্বোচ্চ এয়ারস্ট্রিপ। ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধের সময়ে তা তৈরি হয়েছিল। তার পরে দীর্ঘদিন তা ব্যবহার করা হয়নি। ২০০৮ সালে তা নতুন করে চালু করে ভারতীয় বায়ুসেনা। এখান থেকে এএন-৩২, সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস বিমান উড়তে পারে। কিন্তু, এই এয়ারস্ট্রিপ ঘিরে কোনও বিমানঘাঁটি তৈরি হয়নি। তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দৌলত বেগের দূরত্ব বেশি হওয়ায় নতুন এয়ারফিল্ড নির্মাণ অবশ্যাম্ভাবী হয়ে পড়ে। লাদাখের এই নিয়োমা অঞ্চল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে হওয়ায় কারণে কৌশলগতভাবে এই বিমান ঘাঁটি সেনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    সীমান্তে পৌঁছে যাওয়া যাবে অতি দ্রুত

    ২০২১ সালে মুধ-নিয়োমা প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয় ২১৪ কোটি টাকা। এরপরই জোরকদমে শুরু হয়ে যায় কাজ। ইতিমধ্যেই ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রানওয়ে ইতিমধ্যেই নির্মাণ করা হয়েছে। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুর্গম এলাকাগুলিতে নজরদারি চালানো খুবই চ্যালেঞ্জিং। স্থলসেনার সেখানে পৌঁছতে কালঘাম ছুটে যায়। এত দিন পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনও বায়ু সেনাঘাঁটি না থাকায় সে ভাবে নজর রাখতে পারছিল না বায়ুসেনা। এ বার স্থলবাহিনীর পাশাপাশি চিন সীমান্তের উপর কড়া নজরদারি করতে পারবে তারাও। ভারতের উত্তর সীমান্ত, বিশেষ করে প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চল, যেখানে স্থল পরিবহণ কঠিন, সেখানে পৌঁছে যাওয়া যাবে অতি দ্রুত।

    গালওয়ানের পর থেকেই কাঠামো বৃদ্ধিতে জোর

    পাঁচ বছর আগে, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে আগ্রাসন দেখিয়েছিল চিন। গালওয়ান সংঘর্ষে কর্নেল বি সন্তোষ বাবু-সহ নিহত হন ২০ জন জওয়ান। পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, ওই ঘটনায় ৪০ থেকে ৫০ জন সৈনিক হারিয়েছিল চিনা ফৌজ। যা সরকারি ভাবে কখনই স্বীকার করেনি বেজিং। এর পরই, এলএসি জুড়ে বিপুল সেনা মোতায়েন করে বেজিং। পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করে নয়াদিল্লিও। রাতারাতি লাদাখ সীমান্তে বাহিনীর পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্র। গত পাঁচ বছরে লাদাখ ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন শুরু করেছে কেন্দ্র। সামরিকভাবে লাল ফৌজের মোকাবিলা করার পাশাপাশি ওই অঞ্চলে সহজ যাতায়াত করার জন্য রাস্তা, টানেল এবং সেতু নির্মাণে কাজে গতিও আনে ভারত। সেই পরিস্থিতিতে মুধ-নিয়োমায় এয়ারফিল্ড নির্মাণে সবুজ সঙ্কেত দেয় মোদি সরকার। এই বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বেজিং। সেই চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করেই দ্রুত গতিতে এয়ারফিল্ড তৈরির কাজ চালিয়ে যায় ভারত।

    চিনকে আবার বিশ্বাস! নৈব নৈব চ…

    গালওয়ান সংঘাত পেরিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও, চিনকে বিশ্বাস নেই। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ঢোকার চেষ্টা চালায় পিএলএ। কিন্তু ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে পিছু হটতে হয় তাঁদের। অরুণাচল থেকে শুরু করে লাদাখ পর্যন্ত চিনা আগ্রাসন বরাবর চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ভারতের জন্য। লাদাখের একাধিক অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে চিন। ডেমচক এবং ডেপসাং সমভূমিতে ভারত ও চিনের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক বিচ্ছিন্নতার পর নিয়োমার গুরুত্ব বেড়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, তিব্বতের বায়ু সেনাঘাঁটিতে একাধিক যুদ্ধবিমান এবং বোমারু বিমান মোতায়েন করে রেখেছে পিএলএ। ফলে সংঘর্ষের সময়ে অনায়াসে সেখান থেকে এলএসিতে থাকা ভারতীয় সৈনিকদের উপর আক্রমণ শানাতে পারবে বেজিং। সে ক্ষেত্রে নতুন এয়ারফিল্ড থেকে পাল্টা জবাব দেওয়া অনেক সহজ হবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা।

  • Workout Diet: শরীর সুস্থ রাখতে ওয়ার্ক আউট করছেন! তার আগে জরুরি কোন খাবার?

    Workout Diet: শরীর সুস্থ রাখতে ওয়ার্ক আউট করছেন! তার আগে জরুরি কোন খাবার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাড়ছে ব্যস্ততা! কিন্তু তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানান রোগের দাপট। সুস্থ জীবন যাপনের প্রধান হাতিয়ার নিয়মিত যোগাভ্যাস। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, বন্ধ্যাত্বের মতো একাধিক রোগের মোকাবিলা করবে নিয়মিত শারীরিক কসরত। কিন্তু নিয়মিত এই ওয়ার্ক আউটের আগে জরুরি শরীরকে প্রস্তুত করা। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, জিম কিংবা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, যেকোনও ধরনের শারীরিক কসরত করার আগে শরীরকে প্রস্তুত করা জরুরি। তবেই ক্যালোরি ক্ষয় হওয়া এবং এনার্জি ধরে রাখা যাবে। কাজ করতে অসুবিধা হবে না। পাশপাশি ওজন ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই ওয়ার্ক আউট করার আগে কয়েকটি খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    নিয়মিত একটি কলা খাওয়া জরুরি!

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকাল হোক বা সন্ধ্যা, ওয়ার্ক আউটের আগে অন্তত একটি কলা খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওয়ার্ক আউটের আগে সরল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এতে শরীরে এনার্জি পৌঁছয়। ফলে, শারীরিক কসরত করলে বাড়তি ক্লান্তিবোধ হয় না। আবার সরল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। হজমেও অসুবিধা তৈরি করে না। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সরল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার হিসাবে সবচেয়ে উপযুক্ত হলো কলা। শারীরিক কসরতের আগে এই ফল খেলে শরীরে এনার্জি পাওয়া যায়। আবার কলায় থাকে আয়রন এবং পটাশিয়াম। এই খনিজ পদার্থ একাধিক রোগ মোকাবিলায় সাহায্য করে। পাশপাশি, ডায়াবেটিস, রক্তাল্পতার মতো সমস্যাও রুখতে সাহায্য করে। তাই কলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    পোরিজ জাতীয় খাবার জরুরি!

    সকালে জিম বা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ শুরু করার আগে পোরিজ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খালি পেটে কখনই শারীরিক কসরত করা উচিত নয়। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ হয় না। বরং পেশি দূর্বল হয়ে পড়ে। ফলে সারাদিন ক্লান্তি বোধ হয়। স্বাভাবিক কাজ ব্যহত হয়। তাই সকালে শারীরিক কসরত করার আগে পোরিজ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঠবাদাম, পেস্তা, খেজুর, বেদানা আর কয়েক টুকরো আপেলের মতো ফল যেকোনও দানাশস্য জাতীয় খাবার যেমন মিলেট, বাজরা বা সাধারণ মুসুর বা ছোলার ডালের সঙ্গে মিশিয়ে পোরিজ জাতীয় খাবার তৈরি করা যেতে পারে। এই সব উপকরণগুলো শরীরে এনার্জি জোগাবে। পেশি মজবুত করতে সাহায্য করবে। তাই ক্যালোরি বার্ন হলেও শরীর দূর্বল হবে না। বরং সারাদিনের কাজের বাড়তি এনার্জি পাওয়া যাবে।

    প্রোটিন জাতীয় খাবারে নজরদারি!

    ওয়ার্ক আউট শুরুর অন্তত আধ ঘন্টা আগে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকাল বা বিকেল, যেকোনও সময় ওয়ার্ক আউট শুরু করার অন্তত কুড়ি মিনিট আগে, প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, পেশি সুস্থ রাখতে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। নিয়মিত শারীরিক কসরত করলে পেশিতে বাড়তি চাপ পড়ে। প্রোটিন শরীরে ঠিকমতো না পৌঁছলে হাত-পায়ে যন্ত্রণা শুরু হবে। আবার পেশি অসাড় হয়ে যেতে পারে। তাই প্রোটিন জাতীয় খাবার খেয়ে তবেই শারীরিক কসরত শুরু করার পরামর্শ দিচ্ছেন। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সকালে শারীরিক কসরত করলে, তার অন্তত কুড়ি মিনিট আগে ফ্লেক্স সীড, চিয়া সীড কিংবা তিলের বীজ জাতীয় বীজ মিশিয়ে ডিমের পোচ খাওয়া প্রয়োজন। এতে শরীরে এনার্জির ঘাটতি হবে না। বিকেল বা সন্ধ্যায় ওয়ার্ক আউট করলে দুপুরের মেনুতে প্রোটিন জাতীয় খাবার থাকা জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, চিকেন স্টু, সোয়াবিন বা পনীর জাতীয় খাবার অবশ্যই মেনুতে রাখা জরুরি। প্রোটিন শরীরে ঠিকমতো পৌঁছলে তবেই ওয়ার্ক আউট ফলপ্রসূ হবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share