Author: Susanta Das

  • Samvidhan Hatya Divas: জরুরি অবস্থার ৫০ বছর, আজ কেন প্রাসঙ্গিক সংবিধান হত্যা দিবস পালন?

    Samvidhan Hatya Divas: জরুরি অবস্থার ৫০ বছর, আজ কেন প্রাসঙ্গিক সংবিধান হত্যা দিবস পালন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ জুন ভারতীয় গণতন্ত্রের কাছে এক কালো দিন। আজ থেকে ঠিক পঞ্চাশ বছর আগে, আচমকা মধ্যরাতে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। না, কোনও যুদ্ধ নয়। নিজের গদি বাঁচাতে দেশবাসীকে কার্যত বন্দি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। যার প্রতিবাদে আজ দেশজুড়ে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন করছে বিজেপি। কী ঘটেছিল সেই সময়ে? কেমন ছিল সেই অন্ধকারময় অধ্যায়?

    ইতিহাসের পাতা উল্টে ফেরা যাক ঠিক ৫০ বছর আগেকার একটি অস্থির সময়ে। সালটা ১৯৭৫। যে সময় দেশ এক কঠিন সময়ের চরম নজির দেখেছিল ভারতবাসী। এমন একটা সময় যখন ক্ষমতাবলে দেশের সংবিধানকে হত্যা করেছিল দেশেরই শাসক। কংগ্রেস শাসনের স্বৈরতন্ত্রের সামনে ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল গণতন্ত্র। বিরোধে ওঠা সব কণ্ঠকে নির্বিচারে করা হয়ছিল রোধ। বিরোধী হলেই ঠাঁই ছিল গারদ।

    ক্ষমতা হারানোর ভয় পেলেন ইন্দিরা…

    ১৯৭১ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি কেন্দ্র থেকে জয়ী হন ইন্দিরা গান্ধী। বিপক্ষ প্রার্থী ছিলেন সংযুক্ত সোশ্যালিস্ট পার্টির রাজনারায়ণ। এই ভোটে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে কারচুপি করে জেতার অভিযোগ আনেন রাজনারায়ণ। সোশ্যালিস্ট পার্টির এই নেতা দ্বারস্থ হন এলাহাবাদ হাইকোর্টের। ইন্দিরার বিরুদ্ধে সরকারি ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচন জেতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এক ঐতিহাসিক রায়ে ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে তাঁকে ৬ বছর পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি জগমোহনলাল সিনহা।

    ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশাহারা ইন্দিরা তখন দ্বারস্থ হলেন সুপ্রিম কোর্টের। ১৯৭৫ সালের ২৩ জুন মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। ২৪ জুন বিচারপতি আইয়ার নির্দেশ দিলেন, যতক্ষণ না চূড়ান্ত রায় আসছে, ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। তবে সাংসদ হিসেবে কাজ চালাতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর বিরোধীরা বলতে শুরু করেন, “চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত ইন্দিরা প্রধানমন্ত্রী থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।” অন্যদিকে, ইন্দিরার পদত্যাগের দাবিতে তখন দেশজুড়ে প্রবল আন্দোলন শুরু করেন জয়প্রকাশ নারায়ণ।

    চুপিসারে মধ্যরাতে জারি এমার্জেন্সি

    ক্ষমতা হারানোর ভয় আরও তাড়া করতে শুরু করে কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রীকে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের ঠিক একদিন পরেই, ১৯৭৫ সালের ২৫ এবং ২৬ জুন মধ্যরাতে, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেন যাতে তাঁকে পদত্যাগ করতে না হয়। এই জরুরি অবস্থা চলেছিল ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত! এই গোটা সময় দেশ একটা চরম অন্ধকারময় অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল। এই সময়ে গোটা দেশকে কার্যত কারাগারে পরিণত করেছিল কংগ্রেস সরকার। গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক অধিকার দুটোই সেদিন কেড়ে নেয় গান্ধী পরিবারের শাসন। সরকার চাইলে যে কোনও ব্যক্তিকে যতদিন খুশি জেলে ভরে রাখতে পারত। সব থেকে বড় কথা, কোনও রকমের শুনানি ছাড়াই কয়েক হাজার সরকার বিরোধী ব্যক্তি জেলে ছিলেন। তাঁদের জামিনের আবেদন করার অধিকারও ছিল না।

    প্রথম গ্রেফতারি ভোর আড়াইটেয়…

    ২৬ তারিখের ভোররাত, অর্থাৎ জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার মাত্র আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই করা হয় প্রথম গ্রেফতারি। সেই সময়ের বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ প্রভাবিত অর্গানাইজার পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এইচ আর মালকানিকে পান্ডারা রোডে তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই রাতেই গ্রেফতার করা হয় লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণকে। কেন? কারণ, ইন্দিরা বিলক্ষণ জানতেন, তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে শুধুমাত্র আরএসএস ও জন সংঘের। তাই, আগেভাগে এদের গারদে পাঠাতে উদ্যত হয়েছিলেন ইন্দিরা। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সকল অধ্যাপকদের তালিকা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল হাসানের কাছে চেয়ে নেন ইন্দিরা-পুত্র সঞ্জয় গান্ধী। সেসময় জনসংঘ এবং আরএসএস-এর বহু প্রচারক কার্যকর্তা গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন।

    সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ, বন্ধ নির্বাচন

    শুধু তাই নয়। গণমাধ্যমগুলির ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করে ইন্দিরা-সরকার। তালিকায় ছিল ৩,৮০১ সংবাদপত্র। সূর্য ওঠার আগেই দেশের প্রথমসারির সংবাদপত্রগুলির অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সরকার। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ইন্দ্রকুমার গুজরালকে নির্দেশ দেন ইন্দিরা। জানিয়ে দেওয়া হয়, সংবাদপত্রের খবর আগে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে যাতে আসে। তারপর কোন খবর ছাপা হবে তা সরকার ঠিক করবে। বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশে সমস্ত ধরনের নির্বাচন।

    ভারতের ইতিহাসে কালো অধ্যায়

    এমনকি, ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা ঘোষণার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাও জানত না। ২৬ জুন সকাল ৬টার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ১৫ জনেরও বেশি মন্ত্রী প্রথমবারের জন্য জানতে পারেন, জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে দেশে। এরপরই আকাশবাণীর বেতার ভাষণে জরুরি অবস্থা জারির কথা ঘোষণা করেন ইন্দিরা গান্ধী। পরিসংখ্যান বলছে, সেসময় মোট রাজনৈতিক গ্রেফতারির সংখ্যা ১,১০,৮০৬। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের কোমরে দড়ি পরিয়ে পুলিশ জিপের সঙ্গে বেঁধে রাস্তায় হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হত। আর থানার লক আপে চলত অকথ্য পুলিশি অত্যাচার! যার জেরে অকালে এই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হয়েছে। শূন্য হয়েছে অনেক মায়ের কোল। মুছেছে অনেক শিঁথির সিঁদুর। এমনকি, দেহ লোপাটও করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।

    তোষামোদের প্রতিদানে জোড়ে ‘সেকুলার’

    বেঁচে থাকার অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার। সেটাই তখন ছিল কংগ্রেস সরকারের কুক্ষিগত। ২৮ বছর ধরে তখন দেশ শাসন করছিল কংগ্রেস। কংগ্রেস বললে ভুল হবে। গান্ধী-নেহরু পরিবারের বাবা ও মেয়ের হাতেই ছিল ক্ষমতা। আর এই একটাই পরিবারের হাতে বন্দি ছিল একটা গোটা দেশ! দেশে যখন এই কালো অধ্যায় চলছে, বিরোধী সমস্ত নেতা যখন জেলের ভিতর, তখনই এক প্রকার গায়ের জোরে ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংবিধান সংশোধনী এনে প্রস্তাবনায় জোড়া হয় ‘সেকুলার’ শব্দ। কেন? কারণ, তাঁর এই স্বৈরচারে সঙ্গ দিয়েছিল কমিউনিস্ট ও মুসলিম লিগ! তার প্রতিদান স্বরূপ দেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় জোড়া হয় ‘সেকুলার’। প্রায় পৌনে ২ বছর পর, ১৯৭৭ সালের মার্চ মাসে দেশে লোকসভা নির্বাচন হলে, তাতে বিপুল পরাজয় হয় ইন্দিরা এবং কংগ্রেসের। গণতন্ত্রের হাতিয়ারে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে বদলা নিয়েছিল দেশবাসী।

    ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন

    সংবিধানকে ভূলুণ্ঠিত করা শাসকদের আসল রূপ যাতে মানুষ মনে রাখে, দেশের এই কালো অধ্যায়কে স্মরণ করে প্রতি-বছর ২৫ জুন ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন করে আসছে বিজেপি। লক্ষ্য, তাঁদের শ্রদ্ধার্ঘ জানানো, যাঁরা জরুরি অবস্থার সময়ে স্বৈরাচারী সরকারের অবর্ণনীয় নির্যাতনের ভুক্তভোগী ছিলেন। সেই লক্ষ লক্ষ মানুষের লড়াইকে সম্মান করা, যাঁরা প্রাণ বিপন্ন করেও গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করে গিয়েছেন। জরুরি অবস্থা চলাকালীন যারা অমানবিক কষ্ট সহ্য করেছিলেন, তাঁদের অবদানকে স্মরণ করা। প্রতিটি ভারতীয়ের মধ্যে ব্যক্তি স্বাধীনতার অমর জ্যোতিকে বাঁচিয়ে রাখা। যাতে ভবিষ্যতে কংগ্রেসের মতো কোনও একনায়কতান্ত্রিক মানসিকতা এর পুনরাবৃত্তি করতে না পারে।

  • Anemia in Bengal: মহিলাদের রক্তাল্পতা তালিকায় শীর্ষে মমতার বাংলা! রাজ্যে কেন বাড়ছে অ্যানিমিয়া?

    Anemia in Bengal: মহিলাদের রক্তাল্পতা তালিকায় শীর্ষে মমতার বাংলা! রাজ্যে কেন বাড়ছে অ্যানিমিয়া?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশজুড়ে বাড়ছে অ্যানিমিয়া। রক্তাল্পতা সমস্যায় শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ (Anemia in Bengal)। রক্তে প্রয়োজনের তুলনায় আয়রনের ঘাটতি থেকেই এই রোগ। যা সুস্থ জীবন যাপন ব্যহত করে। পাশপাশি, নানান রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। মহিলা ও শিশুদের মধ্যে আয়রনের এই ঘাটতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রক্তে আয়রনের ঘাটতির সমস্যা বাড়ছে। এর প্রভাব সুদূরপ্রসারি।

    কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশ জুড়ে অ্যানিমিয়া আক্রান্ত বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ওই রিপোর্টে অনুযায়ী, ৬৭ শতাংশ শিশু এবং ৫৯ শতাংশ কিশোরী অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভুগছে। দেশের প্রতি চারজন মহিলার মধ্যে তিনজন রক্তাল্পতা সমস্যায় ভুগছেন। রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ায় ভুক্তভোগীর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (Bengal Tops Anemia List)। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, এ রাজ্যে ৮০ শতাংশের বেশি মহিলা অ্যানিমিয়ার শিকার। রাজ্যের অধিকাংশ মহিলার এই রক্তাল্পতার সমস্যা অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সঙ্কট বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    রাজ্যে কেন রক্তাল্পতার (Anemia in Bengal) সমস্যা বাড়ছে? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে মূলত তিনটে কারণে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার মতো সমস্যা বাড়ছে।

    পুষ্টি সম্পর্কে অসচেতনতা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুষ্টি সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের অসচেতনতা এ রাজ্যের মহিলাদের অ্যানিমিয়ার সমস্যা বাড়ার অন্যতম কারণ। অ্যানিমিয়ার সবচেয়ে বড় কারণ পুষ্টিকর খাবারের অভাব। বহুক্ষেত্রে মহিলারা নিয়মিত প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছেন না। তাই এ রাজ্যে রক্তাল্পতার সমস্যা বাড়ছে। তবে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশপাশি অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল এমনকি ধনী পরিবারের মহিলাদেরও অ্যানিমিয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মহিলার নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া হয় না। আর এই কারণেই রক্তাল্পতা (Anemia in Bengal) বাড়ছে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমিণে আয়রন যুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় থাকছে না। এ রাজ্যের অধিকাংশ শহুরে কিশোরীর নিত্যদিনের খাবারের তালিকায় মাছ, ডাল, কাঁচকলা, মোচা জাতীয় খাবার থাকে না। এগুলো থেকে শরীর সহজেই আয়রনের চাহিদা পূরণ করে। কিন্তু নিয়মিত অনেকেই এই ধরনের খাবার খায় না। বরং এমন অনেক প্রক্রিয়াজাত খাবার নিয়মিত খাওয়া হচ্ছে, যেগুলোর কোনও পুষ্টিগুণ নেই। ফলে ওজন বাড়ছে এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও বাড়ছে।

    বায়ুদূষণ!

    পশ্চিমবঙ্গ গত কয়েক বছরে বায়ুদূষণের মাত্রা মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে আয়রনের ঘাটতি বাড়ার অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ (Anemia in Bengal)। তাঁরা জানাচ্ছেন, বায়ু দূষণ শুধু ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি বাড়ায় না। শরীরের একাধিক ক্ষতি করে। নানান দূষিত কণা শরীরে পৌঁছে শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রন নষ্ট করে। এর ফলেও রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এ রাজ্যে মারাত্মকভাবে রক্তাল্পতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের বিশেষত বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সতর্ক হওয়া জরুরি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শৌচালয়, স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। এগুলো না হলে নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এমনকি শারীরিক বিকাশ ও ঠিকমতো হয় না। এর ফলেও অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে (Anemia in Bengal)।

    রক্তাল্পতা কেন উদ্বেগজনক?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের আয়রনের ঘাটতি রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমিয়ে দেয়। তাই অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার বৃদ্ধি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিশ্ব জুড়ে নানান কারণে প্রতি বছর ভাইরাস ঘটিত রোগের দাপট বাড়ছে। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধির দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। কিন্তু এ রাজ্যে যে হারে অ্যানিমিয়ার দাপট বাড়ছে, তাতে সুস্থ জীবন যাপন আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমলে যেকোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এ ছাড়া মহিলাদের অ্যানিমিয়া (Anemia in Bengal) আক্রান্ত হওয়ার ফলে গর্ভাবস্থায় আরও জটিলতা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সুস্থ সন্তানের জন্মদান করার জন্য মায়ের সুস্থ থাকা সবচেয়ে জরুরি। মায়ের শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে সন্তানের শরীরে তার প্রভাব পড়বে। তাছাড়া মায়ের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়বে। মায়ের জীবনের ঝুঁকিও বাড়বে। ফলে গর্ভাবস্থায় নানান জটিলতাও তৈরি হবে। তাই অ্যানিমিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে এই সমস্যা মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অ্যানিমিয়া (Anemia in Bengal) রুখতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডাল খাওয়া জরুরি। মুসুর, মুগ কিংবা ছোলার ডাল, যেকোনও রকমের ডাল শরীরের জন্য উপকারি। পাশপাশি মাছ নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছ থেকে শরীর সহজেই আয়রন পায়। তাই নিয়মিত মাছ খেলে আয়রনের জোগান সহজেই পাওয়া যায়। এছাড়াও, কলা, আপেল, বেদানার মতো ফল সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ফলগুলো আয়রনে ভরপুর। নিয়মিত এই ফল খেলে শরীরে রক্তাল্পতার সমস্যা কমবে (Bengal Tops Anemia List)‌। ডুমুর, থোড়, মোচার মতো সব্জি সপ্তাহে অন্তত একবার কিংবা দু’বার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই অ্যানিমিয় মোকাবিলায় সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • International Yoga Day 2025: প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন মোদি, আজ সারা বিশ্বে পালিত আন্তর্জাতিক যোগ দিবস

    International Yoga Day 2025: প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন মোদি, আজ সারা বিশ্বে পালিত আন্তর্জাতিক যোগ দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার ২১ জুন, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day 2025)। এই বছর বিশ্ব তার ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন করতে চলেছে। মানুষের মধ্যে যোগব্যায়ামের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ২১ জুন সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়। যোগ দিবসের দিনে বিভিন্ন স্থানে যোগ শিবিরের আয়োজন করা হয় যাতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এই দিনে যোগব্যায়ামের অংশ হতে পারে।

    যোগ বা যোগাভ্যাস কী?

    আগে জেনে নেওয়া যাক যোগ বা যোগাভ্যাস কী? যোগ হল একই সঙ্গে শরীর, মন এবং আধ্যাত্মিকতার যোগ। প্রাচীন ভারতে জন্ম যোগার। সংস্কৃতে ‘যোগা’ (International Day of Yoga) শব্দের অর্থ যোগ করা, একীভূত করা। দেহের সঙ্গে চৈতন্যকে একীভূত করাই হল যোগ। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৬৯তম অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে যোগের উপকারিতা সম্পর্কে বলেছিলেন মোদি। সেদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “যোগ হল আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যের এক অমূল্য ধারা। যোগ শরীর এবং মনের ঐক্য সাধন করে। চিন্তার সঙ্গে ঐক্য গড়ে তোলে কাজের। শরীর এবং মন ভাল রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হল যোগ। এটা কেবল শরীর চর্চা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। যোগ একটা পথ, যে পথ নিজের সঙ্গে একাত্মবোধ গড়ে তোলে, ঐক্যবোধ গড়ে তোলে বিশ্ব এবং প্রকৃতির সঙ্গেও।”

    ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ ও মোদির ভূমিকা

    তার পরেই প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘকে অনুরোধ করেন ২১ জুন দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ (International Yoga Day 2025) হিসেবে ঘোষণা করার। ২১ জুন দিনটিকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জানান, এদিন উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন, রাত ছোট। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সেই অনুরোধে সাড়া দেয় রাষ্ট্রসংঘ। তার পরের বছর থেকে ২১ জুন দিনটি পালিত হয়ে আসছে ‘ইন্টারন্যাশনাল যোগা ডে’ হিসেবে। নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে যে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনও ভাল থাকে, তামাম বিশ্বকে সেই বার্তা দিতেই আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় রাষ্ট্রসংঘ। যোগ দিবস পালন সংক্রান্ত খসড়ায় স্বাক্ষর করেন বিশ্বের ১৭৭টি দেশের প্রতিনিধিরা।

    নিয়মিত যোগাভ্যাসের গুরুত্বকে স্বীকৃতি ‘হু’-র

    দেশে প্রথমবার আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day 2025) পালনের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রের আয়ূষ মন্ত্রক। সেবার অংশ নিয়েছিলেন ৩৫ হাজার ৯৮৫ জন। এঁদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। ছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৮৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিও। দিল্লির রাজপথের ওই অনুষ্ঠানে ৩৫ মিনিটে তাঁরা ২১টি আসন করেছিলেন। এটাই ছিল বিশ্বের সব চেয়ে বড় যোগাভ্যাসের ক্লাস। নিয়মিত যোগাভ্যাসের গুরুত্ব (Yoga Benefits) স্বীকার করে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তারাও সদস্য দেশগুলিকে অনুরোধ করেছে যোগ সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন করতে। কারণ নিয়মিত যোগাভ্যাসের ফলে দূরে রাখা যায় ক্যান্সার, ডায়াবেটিস মায় হার্টের রোগকেও।

    “এক পৃথিবীর জন্য যোগ, এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ”

    এই বছর প্রধানমন্ত্রী মোদি যোগ দিবসের (International Day of Yoga) থিম নির্ধারণ করেছেন— “এক পৃথিবীর জন্য যোগ, এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ।” ঘটনাচক্রে সম্প্রতি মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্ণ হয়েছে। তাই এবার দুইয়ের সম্মিলিত প্রচারে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। শহর থেকে গ্রাম, প্রান্তিক অঞ্চল থেকে শুরু করে আদিবাসী এলাকা, দেশের প্রতিটি কোণে যাতে যোগ দিবসের বার্তা পৌঁছে দিতে সব মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন মোদি। ছুটির দিনেও সরকারি কর্মচারীদের সিংহভাগকে কী করে যোগ অনুষ্ঠানে শামিল করানো যায়, তা নিয়ে আয়ূষ এবং তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক যৌথভাবে ঘনঘন বৈঠকে বসছে। বিভিন্ন মন্ত্রক থেকে ৪০০ কর্মীকে এ ব্যাপারে কাজে লাগানো হচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, কীভাবে যোগ দিবসের ছবি, ভিডিও প্রচার করা যায়। আয়ূষ মন্ত্রকের সচিব রাজেশ কোটেচা, যুগ্মসচিব মোনালিসা দাস, তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের যুগ্মসচিব সি সেন্থিল রাজন এব্যাপারে সরকারি কর্মীদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগী হয়েছেন। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ১ লক্ষেরও বেশি স্থানে সাধারণ যোগ প্রোটোকল (CYP) অনুযায়ী একযোগে গণ যোগব্যায়ামের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে যোগ সঙ্গমে, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭:৪৫ পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে আয়োজন করা জাতীয় অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন (International Yoga Day 2025)।

  • Regular Yoga Practice: হার্ট অ্যাটাক থেকে ডিপ্রেশন, একাধিক রোগের ‘দাওয়াই’ লুকিয়ে যোগাভ্যাসে!

    Regular Yoga Practice: হার্ট অ্যাটাক থেকে ডিপ্রেশন, একাধিক রোগের ‘দাওয়াই’ লুকিয়ে যোগাভ্যাসে!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স তিরিশ ছোঁয়ার আগেই শরীরে বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ এমনকি মানসিক অবসাদের মতো নানান জটিল সমস্যা বাড়ছে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিশেষত এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবন যাপনে ব্যস্ততা বেশি। ‘ফাস্ট লাইফস্টাইল’ শরীরের উপরে বাড়তি চাপ তৈরি করছে। মানসিক চাপ ও দেখা দিচ্ছে। তার উপরে অধিকাংশের অনিয়মিত এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বাড়তি বিপদ তৈরি করছে। কিন্তু এই সমস্যার সমাধানের পথ রয়েছে যোগাভ্যাসে (Yoga)। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের (International Yoga Day 2025) আগে চিকিৎসকদের একাধিক কর্মশালায় উঠে এল এমনিই সমাধান। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাধিক শারীরিক সমস্যা জীবন যাপন ধরণ সংক্রান্ত। তাই যোগাভ্যাস সেই সমস্যা মোকাবিলার সবচেয়ে সক্রিয় ‘দাওয়াই’ হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) একাধিক বিপদ রুখে দিতে পারে।

    কোন কোন বিপদ রুখতে কার্যকরী যোগাভ্যাস, দেখে নেওয়া যাক—

    স্থূলতা কমাতে সাহায্য করবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতের তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হলো অতিরিক্ত ওজন। স্থুলতার জেরে এক দিকে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে, আরেকদিকে হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্ব, হাড়ের ক্ষয় রোগের মতো একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই স্থুলতা যথেষ্ট বিপজ্জনক। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে যোগাভ্যাস। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) করলে দেহের অতিরিক্ত ক্যালোরি ক্ষয় করা সহজ হয়। দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরে যায়। তাই সহজেই স্থুলতা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শেষ দুই দশকে ভারতীয়দের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হার্ট অ্যাটাক। ভারতীয়দের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বাড়ছে। বিশেষত কম বয়সি পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক ভাবেই বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস এই ঝুঁকি কমাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। দেহের রক্তচাপ ও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে। বাড়তি চাপ তৈরি করে না। তাই হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদ রুখতে যোগাভ্যাসে ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কিডনির সুস্থ রাখতে ভরসা থাকুক যোগাভ্যাসে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রৌঢ় বয়সে কিডনির রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। কম বয়স থেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার জেরেই কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে এই বিপদ কমানো যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। এতে শরীরের সমস্ত পেশির কার্যকারিতা বজায় থাকে। এর প্রভাব কিডনিতেও পড়ে। কিডনির কার্যকারিতাও স্বাভাবিক রাখে।

    মানসিক চাপ ও অবসাদ কমাতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজরদারি জরুরি। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য শরীরের মতোই মনের সুস্থ থাকাও জরুরি। কিন্তু বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই বহু ছেলেমেয়ে মানসিক চাপ ও অবসাদের শিকার হচ্ছে। পরবর্তী জীবনে তার গভীর প্রভাব পড়ছে‌। শারীরিক একাধিক সমস্যার কারণ মানসিক চাপ এবং অবসাদ। তাই এ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ ও স্বাভাবিক ভাবে হয়। এর ফলে মানসিক চাপ ও কমে। অবসাদের মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

    উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাবে!

    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই প্রথম থেকেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তাঁদের পরামর্শ নিয়মিত যোগাভ্যাস এই কাজে সাহায্য করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার ঝুঁকিও কমে।

    কেন যোগাভ্যাস সুস্থ থাকার চাবিকাঠি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে শারীরিক কসরতের সুযোগ কমছে। অনেকেই দিনের অধিকাংশ সময় চেয়ারে বসে থাকেন। কিংবা এমন কোনও কাজ করেন, যেখানে ছোটাছুটির বিশেষ সুযোগ থাকে না। অনেক সময়েই নানান কারণে ঘুমের সময় কমে। এগুলো শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যোগাভ্যাস শরীরের সমস্ত পেশি এবং স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে। নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) করলে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। পেশি, স্নায়ু সক্রিয় থাকলে শরীরের সমস্ত অঙ্গে কার্যক্ষমতা বাড়ে। ফলে, রোগ মোকাবিলা সহজ। পাশপাশি যোগাভ্যাস হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। নিয়মিত মেডিটেশন করলে মানসিক অস্থিরতা কমে। ফলে নানান মানসিক জটিলতা কমার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই আধুনিক জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ মোকাবিলায় যোগাভ্যাসেই ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Ambubachi 2025: শুধু শাস্ত্র নয়, অম্বুবাচী পালনের নেপথ্যে রয়েছে বড় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও! জানেন কি?

    Ambubachi 2025: শুধু শাস্ত্র নয়, অম্বুবাচী পালনের নেপথ্যে রয়েছে বড় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও! জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের উদযাপিত হওয়া বিভিন্ন ধর্মকৃত্য বা লৌকিক আচার অথবা বিভিন্ন ব্রত একটু খতিয়ে দেখলে দেখা যায় যে, এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো অনেকটাই বিজ্ঞান সম্মত। আসলে, সাধারণ মানুষ ধর্মের কথা যতটা বোঝেন বিজ্ঞানের কথা তার থেকে অনেকটা কম উপলব্ধি করতে পারেন। তাই বৈজ্ঞানিক কারণগুলিকে ধর্মীয় আচারের মোড়কে তুলে ধরা হয়, যাতে মানুষের বুঝতে সাহায্য হয়। তেমনই একটি আচার বা উৎসব হল অম্বুবাচী (Ambubachi 2025)।

    ধরিত্রীকে মা অর্থাৎ নারী হিসেবে গণ্য করার প্রবণতা বহু প্রাচীন। বিভিন্ন সভ্যতা এবং বিভিন্ন অঞ্চলের ইতিহাস ঘাঁটলে আমরা দেখতে পাব নানা আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ধরিত্রীর নারীত্ব উদযাপন করা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে পালিত হওয়া তেমনি একটি লোকাচার ‘অম্বুবাচী’ বা ‘রজঃপর্ব’। এই উপমহাদেশে ধরিত্রী বা দেশকে মা হিসেবে মহিমান্বিত করে নারীত্বের উদযাপন আমরা দেখি। ধরিত্রী বা দেবীকে নারী হিসেবে কল্পনা করে সেটা উদযাপন করার উৎসব হল অম্বুবাচী (Ambubachi Utsav)। এটি প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং পৃথিবীর উর্বরতা ও প্রজননের প্রতীক। এই সময়টি কৃষি কাজের জন্য প্রস্তুতি এবং প্রকৃতির চক্রের সাথে একাত্মতা প্রকাশের সময়। এটি নারী প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের একটি উৎসবও বটে।

    চলতি বছর অম্বুবাচীর তারিখ

    অম্বুবাচী প্রবৃত্তি (শুরু)- ২২ জুন ২০২৫, রবিবার (৭ আষাঢ় ১৪৩২)
    অম্বুবাচী নিবৃত্তি (সমাপ্ত)- ২৫ জুন ২০২২, বুধবার (১০ আষাঢ় ১৪৩২)

    সতীপীঠ কামাখ্যায় সূত্রপাত অম্বুবাচীর

    একান্ন সতীপীঠের অন্যতম অসমের নীলাচল পাহাড়ে অবস্থিত কামাখ্যা মন্দির (Kamakhya Mandir)। যেখান থেকেই এই অম্বুবাচী পালনের সূত্রপাত। অম্বুবাচীর সময় অসমের কামাখ্যা মন্দিরে বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সতীপিঠের অন্যতম এই কামাখ্যা মন্দির তন্ত্র সাধনার অন্যতম পীঠ। একান্নটি খন্ডে বিভক্ত হওয়া দেবী সতীর গর্ভ এবং যোনি পড়েছিল এখানে। এর ইতিহাস সুদূরপ্রসারী।

    শাস্ত্রে অম্বুবাচীর নিয়ম

    অম্বুবাচীর (Ambubachi 2025) প্রথম দিন থেকে কামাখ্যা মন্দিরের গর্ভগৃহের দ্বার বন্ধ থাকে। চতুর্থদিনের স্নান ও পুজো সম্পন্ন হওয়ার পর কামাখ্যা মায়ের দর্শন করার অনুমতি দেওয়া হয়। এই সময় ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় কামাখ্যায়। অম্বুবাচী প্রবৃত্তির তিনদিন পর হয় অম্বুবাচী নিবৃত্তি। পঞ্জিকা মতে, আষাঢ় মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখ গ্রামবাংলায় এই আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়। পিঠে-পায়েস বানানোর রীতি আছে এই সময়। বিধবা মহিলারা এই সময় তিন দিন ধরে ব্রত পালন করে থাকেন। শাস্ত্র অনুসারে, অম্বুবাচীর তিন দিন যে কোনও মাঙ্গলিক কার্য বা শুভ কর্ম, যেমন – বিবাহ, অন্নপ্রাশন, গৃহ প্রবেশ, উপনয়ন, ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা উচিত। কৃষিকাজ সংক্রান্ত কাজও এই সময় বন্ধ থাকে। জমিতে কোনও রকম খোঁড়াখুড়ি থেকে বিরত থাকা হয়। তবে চতুর্থ দিন থেকে কোনও বাধা থাকে না। অম্বুবাচীর নিবৃত্তির পর আবার জমিতে চাষাবাদ শুরু হয়।

    অম্বুবাচী শব্দের উৎস কী?

    অম্বুবাচী শব্দটি অম্বু এবং বাচী এই দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত, যেখানে অম্বু অর্থ জল এবং বাচী অর্থ প্রস্ফুটিত। এই শব্দটি নারীর শক্তি এবং তাদের জন্ম দেওয়ার ক্ষমতাকে প্রতিফলিত করে। ‘অম্বুবাচী’ (Ambubachi 2025) শব্দের অর্থ হল জল সূচনা। আষাঢ় মাসের শুরুতে ধরিত্রী বা বসুমাতা বর্ষার জলে সিক্ত হয়ে ঋতুমতি নারী হিসেবে গণ্য হন। কৃষিভিত্তিক সমাজের সাথে যার নিবিড় যোগসূত্র। রজঃস্বলা নারীকে যেমন সন্তান ধারণে সক্ষম মনে করা হয় তেমনি বসুধাও ঋতুমতি হয়ে জলসিক্ত হয়, হয়ে ওঠে শস্যশ্যামলা। উর্বরতা বৃদ্ধি এবং ভাল ফসল ফলার সাথে সম্পর্কিত এটি।

    বেদ-শাস্ত্রে বলা হয়েছে ধরিত্রী মা

    শাস্ত্রে পৃথিবীকে মাতৃস্থানীয় বা ধরিত্রী মাতা বলা হয়। বেদে এই রকমই বলা হয়েছে বসুন্ধরা আমাদের মা। পৌরাণিক যুগেও পৃথিবীকে ধরিত্রী মাতা বলা হত। আবার আক্ষরিক অর্থে পৃথিবী সকল উদ্ভিদ ও জীব কুলের মাতা, কারণ সেখানেই আমাদের জন্ম, শুধু আমাদের কেন- ফুল, পাখি, প্রকৃতি এক কথায় সবাই আমরা পৃথিবীর সন্তান। প্রাচীন কালে চাষ আবাদ বা কৃষিকাজ বিশেষ কিছু তিথি নক্ষত্র অনুসারে শুরু করা হত। তার কারণ মানুষের কাছে তেমন কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ছিল না। লোককথা অনুসারে, আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় পাদ অতীত হলে চতুর্থ পাদে আর্দ্রা নক্ষত্রের প্রথম পাদের মধ‍্যে ধরিত্রীদেবী ঋতুমতী হন বলে বিশ্বাস। সূর্য আদ্রা নক্ষত্রে গমন করলে বর্ষাকাল শুরু হয়। আবার অম্বুবাচীর অর্থও হল জল বৃদ্ধি। তাই এই সময়কে অম্বুবাচী বলা শুরু হয়। এই সময়েই পালন করা হয় অম্বুবাচী। এই সময় মাটি কাটা, জমিতে লাঙ্গল চালানো যায় না।

    পৃথিবীর উর্বরতার প্রতীক

    অম্বুবাচী (Ambubachi 2025) হল ধরিত্রী মাতার ঋতুস্রাব এবং পৃথিবীর উর্বরতার প্রতীক। বর্ষার শুরুতে বসুমতি মাতা যখন বর্ষা ঋতুর জলে সিক্ত হয়ে ওঠেন, তখন তাকে এক ঋতুমতী নারী রূপে গণ্য করা হয়। ঋতুকালে নারীরা রজঃস্বলা হওয়ার পর সন্তানধারণে সক্ষম হয়, বসুমতী মাতাকেও সেইভাবে গণ্য করা হয়, কারণ সিক্ত ধরা সহজেই ফসল উৎপাদন করতে পারে। গ্রীষ্মের প্রখর তাপ প্রবাহের পর শুষ্ক ধরিত্রী কে বর্ষার জলসিঞ্চন এর মাধ্যমে উর্বর করার জন্য কিছুদিন বিশ্রাম প্রদান করা হয়। মৃত্তিকা হয়ে ওঠে উর্বর। উর্বর মৃত্তিকাই প্রদান করতে পারে উৎকৃষ্ট মানের ফসলের। শস্য শ্যামল উর্বর পৃথিবীর জন্য সন্তানগণ ধরণী মায়ের নিকট এই তিনদিন প্রার্থনা করেন। যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তার বুক থেকে উৎপন্ন শস্য খাদ্য হিসাবের গ্রহণ করে দুধে ভাতে বেঁচে থাকতে পারে।

    অম্বুবাচীর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

    প্রকৃত পক্ষে, অম্বুবাচীর সময়টিকে বর্ষার সূচনা হিসেবে দেখা যেতে পারে। আষাঢ় মাসে বৃষ্টি শুরু হওয়ার কারণে মাঠ-ঘাট ভিজে যায়। অম্বুবাচীর (Ambubachi 2025) সময় বৃষ্টিপাতের কারণে মাটি আর্দ্র থাকে এবং এটি ফসল রোপণের জন্য উপযুক্ত সময়। বৃষ্টির কারণে মাটির উর্বরতা বাড়ে এবং এটি ফসলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। বৃষ্টির জল এবং আর্দ্রতা মাটির অণুজীবের কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে, যা মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। এই সময়টিকে পৃথিবীর উর্বর হওয়ার কাল হিসেবে ধরা হয়। জল ধরনের ফলে কৃষিকাজের ও সেচের প্রয়োজনীয় জল ও সহজেই সংগৃহীত হয় বাড়ত ভূগর্ভস্থ জলস্তর। সেকারণে অম্বুবাচীর কটা দিন প্রকৃত পক্ষে ধরণীকে আরো বেশি উর্বর হবার সুযোগ দেবার জন্য কৃষকরা কৃষিকাজ থেকে বিরত থাকেন। অম্বুবাচী নিবৃত্তির পরেই প্রাচীনকালে জমিতে চাষ আবাদ শুরু করা হত। ফলে, অম্বুবাচী (Ambubachi Utsav) একটি কৃষিভিত্তিক উৎসব।

  • Alzheimers-Dementia: প্রৌঢ় বয়সে একাকিত্ব বাড়াচ্ছে বিপদ! কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    Alzheimers-Dementia: প্রৌঢ় বয়সে একাকিত্ব বাড়াচ্ছে বিপদ! কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বদলে যাচ্ছে পরিবার! কাজের জন্য অধিকাংশ পরিবারেই সন্তান আর বাবা-মায়ের বাসস্থানের ঠিকানা এখন আলাদা! পড়াশোনা কিংবা কর্মসূত্রে অধিকাংশ পরিবারের তরুণ প্রজন্মকে আলাদা শহরে কিংবা ভিনদেশে থাকতে হচ্ছে। বাড়িতে থাকছেন প্রৌঢ় বাবা-মা। আর তার প্রভাব পড়ছে মস্তিষ্কে! সম্প্রতি অ্যালজাইমার নিয়ে এক কর্মশালায় চিকিৎসকদের একাংশ জানালেন, একাকিত্ব সমস্যা বাড়াচ্ছে। বিশেষত স্নায়ু ও মস্তিষ্ক সংক্রান্ত একাধিক সমস্যার কারণ একাকিত্ব (Loneliness)!

    কী বলছে সাম্প্রতিক তথ্য?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত দুই দশকে দেশ জুড়ে বেড়েছে ডিমেনশিয়া, অ্যালজাইমার (Alzheimers-Dementia) মতো রোগ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যা বাড়ছে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে। প্রৌঢ় বয়সেই অনেকে খুব সাধারণ দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিসের বিষয়ে মনে রাখতে পারছেন না। এর ফলে বয়স্কদের স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে। স্নায়ু ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স পঞ্চাশের চৌকাঠ পেরনোর পরেই ‘ব্রেন ফগ’-র মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ, স্বাভাবিক কাজ করার সময়েই হঠাৎ কী কাজ করা হচ্ছিল, কীভাবে করতে হবে, সে সম্পর্কে সবকিছু কিছু সময়ের জন্য সম্পূর্ণ ভুলে যাওয়া। এই সমস্যা বারবার দেখা দিলে যথেষ্ট আশঙ্কার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ব্যবহারের ছোটো ছোটো জিনিস মনে রাখতে না পারা, ডিমেনশিয়া বা অ্যালজাইমারের (Alzheimers-Dementia) মতো সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গ। একাধিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ভারতীয়দের মধ্যে ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা বাড়ছে। তাই আগাম সচেতনতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন একাকিত্ব (Loneliness) বিপদ বাড়াচ্ছে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত দুই দশকে সমাজ ও পরিবারের কাঠামো অনেকটাই বদলে গিয়েছে। আধুনিক জীবন যাপনে ব্যস্ততা বেড়েছে। তাই অনেক সময়েই পরিবারের তরুণ প্রজন্মদের সঙ্গে বয়স্কদের সময় কাটানোর বিশেষ সুযোগ হয় না। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনের বেশিরভাগ সময় একা থাকলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। কথা বলে মনের ভাব প্রকাশ করতে না পারলে, অনেক সময়েই মানসিক চাপ ও অবসাদ তৈরি হয়। এর প্রভাব মস্তিষ্কে পড়ে। স্নায়ুর সক্রিয়তা ও কমে যায়। বয়স বাড়লে স্বাভাবিক কারণেই স্নায়ুর ক্ষমতা কমে। কিন্তু তার উপরে মানসিক চাপ বাড়তি প্রভাব ফেলে। পাশপাশি, বাড়িতে দীর্ঘ সময় একা থাকলে সক্রিয় থাকার সুযোগ কম হয়। স্থির জীবনে মস্তিষ্কের কাজ করার সুযোগ ও কমে যায়। এর প্রভাব পড়ে স্মৃতিশক্তির উপরে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও কমতে থাকে‌। তাই অ্যালজাইমার কিংবা ডিমেনশিয়ার (Alzheimers-Dementia) মতো রোগের প্রকোপ বাড়ার পিছনে একাকিত্ব সবচেয়ে বড় কারণ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের?

    ডিমেনশিয়া কিংবা অ্যালজাইমারের মতো রোগের দাপট কমাতে সচেতনতা জরুরি। পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। পরিবারের কাঠামো ও বদলে যাচ্ছে। তাই এই সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন থাকাও দরকার। প্রৌঢ় বয়সে নিজের মতো জীবন যাপন জরুরি। সে সম্পর্কে অবগত থাকাও প্রয়োজন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকলেই ডিমেনশিয়া কিংবা অ্যালজাইমারের (Alzheimers-Dementia) মতো রোগের ঝুঁকি কমবে‌। মানসিক চাপ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। নিয়মিত সক্রিয় জীবন যাপন, সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি। তাই সে দিকে খেয়াল রাখা দরকার।

    বই পড়া, হাঁটা জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত বই পড়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়স্কদের নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস একাকিত্ব (Loneliness) কাটাতে সাহায্য করবে। মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখবে। স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতেও সাহায্য করবে‌‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কয়েক ঘণ্টা বা পড়লে মস্তিষ্কের কাজ হয়। আবার একাকিত্ব কমে‌। এর ফলে মানসিক অবসাদ দূর হয়।
    এর পাশপাশি নিয়মিত হাঁটাচলা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত সকাল ও বিকেলে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাইরে বেরোলে অবসাদ কমে। মানুষের সঙ্গে দেখা হওয়া, প্রতিবেশির সঙ্গে কথা বলা এগুলো একাকিত্ব কমাতে সাহায্য করে। আবার নিয়মিত আধ ঘণ্টা হাঁটলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো হয়‌। পেশি ও স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বাড়ে। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও ঠিক থাকে।

    আড্ডায় অনেক উপকার

    বিভিন্ন ধরনের মেন্টাল অ্যাক্টিভিটির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঘরে বসেই ক্রশওয়ার্ড বা পাজেল গেম জাতীয় অ্যাক্টিভিটির অভ্যাস বজায় রাখা জরুরি। এতে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে‌। বন্ধু তৈরি সবচেয়ে জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও বয়সেই স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য বন্ধু প্রয়োজন। একাকিত্ব কাটাতে এবং প্রৌঢ় বয়সের রোগের ঝুঁকি কমাতেও জরুরি বন্ধু। তাই এলাকার ও আশপাশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক দরকার। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এলাকার সম বয়সিদের সঙ্গে কিছুটা সময় গল্প করার অভ্যাস থাকা জরুরি। তাহলে একাকিত্ব (Loneliness) জটিল আকার নিতে পারবে না। ডিমেনশিয়া কিংবা অ্যালজাইমারের (Alzheimers-Dementia) মতো রোগের ঝুঁকিও অনেকটা কমবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Crude Oil Crisis: ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষে বিশ্বে তেল সঙ্কট! ভারতে কী প্রভাব? ‘চিন্তা নেই’, আশ্বাস কেন্দ্রের

    Crude Oil Crisis: ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষে বিশ্বে তেল সঙ্কট! ভারতে কী প্রভাব? ‘চিন্তা নেই’, আশ্বাস কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাউদাউ করে জ্বলছে ইরানের তেলকূপ। সেই আগুনের লেলিহান শিখা যত ছড়াচ্ছে, ততই চিন্তার ভাঁজ পড়ছে বিশ্বে। না, কোনও পরিবেশজনিত কারণে এই উদ্বেগ নয়। এই উদ্বেগ বিশ্বের চালিকা শক্তিকে ঘিরে। এই চিন্তা জ্বালানি তেলকে (Crude Oil Crisis) ঘিরে।

    শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েল এবং ইরানের সংঘর্ষের (Israel Iran Conflict) মাঝে আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের বাজারেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের একের পর এক তেলের খনিতে আছড়ে পড়ছে। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিচ্ছে তেহরানও। ফলে, সংঘর্ষ থামার ইঙ্গিত তো নেই-ই, উল্টে তার পরিধি ও প্রভাব আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এই নিয়ে বিশ্বজুড়ে তৈরি চাপা উৎকণ্ঠা (Crude Oil Crisis)।

    দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্র ইরান

    কেন? বিশ্বের খনিজ তেলের ভান্ডারের প্রায় ১০ শতাংশ রয়েছে ইরানের হাতে। বিশ্বে তেল রফতানিকারী দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে রয়েছে ইরান। পেট্রোলিয়াম রফতানিকারী দেশগুলির সংস্থা ওপেক-এর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্র এটি। ইরান সহ বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্রগুলির গোষ্ঠী অয়েল অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (সংক্ষেপে ওপেক) গড়ে দৈনিক ১২ কোটি ব্যারেল তেল উৎপাদন করে (Crude Oil Crisis)। এর মধ্যে, ইরান প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩৪ লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে, যার মধ্যে প্রায় ১৭ লক্ষ ব্যারেল রফতানি করা হয়। বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেল সরবরাহে ইরান একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে।

    আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি

    তথ্য বলছে, ইজরায়েল এবং ইরানের সংঘর্ষ (Israel Iran Conflict) শুরু হওয়া ইস্তক, বিশ্বের দৈনিক তেল উৎপাদনের পরিমাণ ১২ কোটি থেকে কমে ৯.৭ কোটি ব্যারেল হয়েছে। ধরে নেওয়া যেতে পারে, এই ঘাটতি ইরানের থেকেই উৎপন্ন। ফলে, ইরানের যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্ব তেলের বাজারে (Crude Oil Crisis)। যুদ্ধ শুরু ইস্তক আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নির্ধারণের মানদণ্ড ব্রেন্ট-এর প্রকাশিত দৈনিক মূল্য তালিকা অনুযায়ী, জুন মাসে অপরিশোধিত তেলের দাম ২০.২ শতাংশ বেড়েছে। গত ১৪টি সেশনে বেড়েছে ৯ বার! অর্থাৎ, সেশন-প্রতি ১.৩২ শতাংশ বৃদ্ধি।

    ৮৫ শতাংশ তেল আমদানি করে ভারত

    বিশ্বে তেল আমদানিকারী দেশগুলির অন্যতম ভারত। বর্তমানে, প্রায় ৮৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেলই অন্য দেশ থেকে আমদানি করে ভারত। তবে, বিগত ২ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল আমদানির পরিমাণ কমিয়েছে ভারত। এখন এই ৮৫ শতাংশের মধ্যে ৪০ শতাংশ তেলই ভারত কেনে রাশিয়া থেকে। এটা চালু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে। সেই সময় অত্যন্ত সুকৌশল অবলম্বন করে রাশিয়া থেকে সস্তায় বিপুল পরিমাণ অশোধিত তেল আমদানি শুরু করে ভারত। একটা সময় ছিল, যখন ভারত ২৭টি দেশ (মূলত ওপেক গোষ্ঠীভুক্ত) থেকে তেল আমদানি করত। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০। ফলে, ভারতের হাতে একাধিক বিকল্প রয়েছে। যার জেরে দেশের তেল সরবরাহ সুরক্ষা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

    হরমুজ প্রণালির গুরুত্ব কতটা?

    তবে, ভারতের আশঙ্কা কি একেবারেই নেই? না, অবশ্যই রয়েছে। ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের (Israel Iran Conflict) জেরে যদি হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে একটা আশঙ্কা (Crude Oil Crisis) তৈরি হতে পারে। কী এই হরমুজ প্রণালি? কোথায় অবস্থিত? কেন এতটা তাৎপর্যপূর্ণ? হরমুজ প্রণালির মাধ্যমে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর সংযুক্ত হয় এবং পরে এর মাধ্যমে তা আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়।হরমুজ প্রণালি মাত্র ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত। এই হরমুজ প্রণালির উত্তরে রয়েছে ইরান, দক্ষিণে রয়েছে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। সবচেয়ে বড় কথা, এর নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই ইরানের হাতে।

    কতটা প্রভাব পড়বে ভারতে?

    মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করা তেল মূলত হরমুজ প্রণালি রুট দিয়ে ভারতে আসে। শুধু ভারত নয়, এটি দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি তেল আমদানির অন্যতম পথ। বিশ্বের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ তেল (১ কোটি ৭০ লক্ষ ব্যারেলেরও বেশি) প্রতিদিন এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে যায়। সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো উৎপাদক দেশগুলি থেকে জ্বালানির রফতানির অন্যতম প্রধান জাহাজপথ হল এই প্রণালি। আবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসন যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেলের বেশি তেল এই সংকীর্ণ হরমুজ প্রণালির জলপথ দিয়েই যায়। এর ৮৩ শতাংশই এশিয়ার বিভিন্ন বাজারের জন্য নির্ধারিত।

    ভারতের আমদানি করা অপরিশোধিত তেলের ৩৩ শতাংশ এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে আসে। এই রাস্তা বন্ধ হলে ইরাক, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী থেকে আসা তেলের সরবরাহ (Crude Oil Crisis) বাধাপ্রাপ্ত হবে। এর ফলে অন্য দেশ থেকে তেল আমদানি করতে হতে পারে ভারতকে, যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়বে তেলের দামে। শুধু তেল নয়, এই পথেই কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করে ভারত। তাই এই প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানিও বন্ধ হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়।

    বিকল্প পথ তৈরি ভারতের

    তাহলে ভারতের সামনে উপায় কী? পশ্চিম এশিয়ায় সম্ভাব্য টালমাটাল পরস্থিতির (Israel Iran Conflict) কথা চিন্তা করে আগাম বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করেছে ভারত। এখন আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা থেকেও তেল কেনে ভারত। যেগুলি ভারত মহাসাগর হয়ে আসে। তাই এগুলোই বিকল্প হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়। তবে এই দেশগুলি থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয় তা অনেকটাই কম। হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে, সেই পরিমাণ বাড়াতে হবে। তবে, তাতে অর্থ ও সময় দুই বেশি ব্যয় হবে। ফলে, বাড়বে তেলের দাম। অর্থাৎ, হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে প্রতিটি ভারতবাসী এর প্রভাব অনুভব করতে পারবে। পেট্রোলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি মাসে সাংসারিক খরচও প্রতিটি পরিবারকে বেঁধে দিতে হবে, বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতিও।

    ‘চিন্তা নেই’, আশ্বাস কেন্দ্রের

    যদিও, দেশে জ্বালানি তেল নিয়ে সঙ্কট তৈরি হবে না বলে অভয় দিচ্ছে ভারত সরকার। কেন্দ্রের মতে, দাম বাড়লেও, সরবরাহের কোনও ঘাটতি হবে না। তৈরি হবে না দেশে তেলের ভান্ডারগুলিতে যে পরিমাণ তেল মজুত রয়েছে, তাতে কোনও সঙ্কট তৈরি হবে না বলেই আশ্বাস দিচ্ছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ৫৬ লক্ষ ব্যারেল তেল ব্যবহার হয় ভারতে (Israel Iran Conflict)। এর মধ্যে মাত্র ১৫ থেকে ২০ লক্ষ ব্যারেল পরিমাণ তেল হরমুজ প্রণালি দিয়ে আসে। বাকিগুলি এখন আসে অন্য রুট দিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরে এই রুটের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে দিল্লি। উপরন্তু, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, সারাদেশে বর্তমানে ৭৪ দিনের তেল মজুত রয়েছে এবং কৌশলগত মজুতও রয়েছে ১০ দিনের তেল।

    ফলে, এখনই ভারতের চিন্তার কিছু নেই (Crude Oil Crisis)।

  • Dengue in Bengal: বর্ষা আসতে না আসতেই রাজ্যে ডেঙ্গির চোখরাঙানি! কোথায় বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    Dengue in Bengal: বর্ষা আসতে না আসতেই রাজ্যে ডেঙ্গির চোখরাঙানি! কোথায় বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ চড়লেও আকাশে মেঘ জমেছে! মাঝেমধ্যেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বর্ষা (Monsoon) আসছে! আবহাওয়া দফতর জানান দিয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গেই ডেঙ্গির চোখরাঙানি (Dengue) শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে ফের ডেঙ্গির দাপট (Dengue in Bengal) শুরু হতে পারে। তাই আগাম বাড়তি সতর্কতা জরুরি। রাজ্যবাসীর ভোগান্তি কমাতে এখন থেকেই বাড়তি তৎপরতা (Dengue Precautions) প্রয়োজন। না হলে বিপদ মারাত্মক হতে পারে।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতর?

    রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department) সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের একাধিক জেলায় বর্ষা (Monsoon Season) শুরু হওয়ার আগেই ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা গিয়েছে। বৃষ্টি বাড়লে প্রকোপ আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে রাজ্যে অগাস্ট-সেপ্টেম্বর-অক্টোবর এই তিন মাসে ডেঙ্গি সবচেয়ে বেশি দাপট দেখিয়েছে। বিশেষত সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে ব্যাপকভাবে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তাই অন্তত জুন-জুলাই থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি (Dengue Precautions)। বর্ষার শুরু থেকেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় সক্রিয় হলে, বিপদ মোকাবিলা সহজ হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    রাজ্যের কী পরিস্থিতি?

    স্বাস্থ্য দফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের (Dengue in Bengal) সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বর্ষা শুরুর আগেই হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হুগলি এবং মুর্শিদাবাদের ডেঙ্গি পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তথ্য অনুযায়ী, জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত হাওড়ায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৯০ জন। উত্তর চব্বিশ পরগনায় কমবেশি ১৬০ জন। হুগলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১৩৫ জন। মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১২০ জন। ডেঙ্গির চোখরাঙানি থেকে বাদ নেই কলকাতাও। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কলকাতাতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ জন। এছাড়াও, বর্ধমান, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, নদিয়া জেলার পরিস্থিতিও যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য প্রশাসনের একাংশ।

    কীভাবে ডেঙ্গি মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারের তৎপরতা এবং সাধারণ মানুষের সতর্কতা ডেঙ্গি মোকাবিলা সহজ করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গি মোকাবিলায় এলাকা (Dengue in Bengal) পরিষ্কার সবচেয়ে জরুরি। মশার আঁতুরঘর ভাঙতে না পারলে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়বে। তাই এলাকার পার্ক, রাস্তা এমনকি আবর্জনা ফেলার জায়গাও পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জল জমতে দেওয়া চলবে না। বাড়ির ছাদে, বাগানে কিংবা এলাকার পার্কে আগাছা জন্মালে পরিষ্কার করতে হবে। বিশেষত যারা ছাদে বা বারন্দায় বাগান করেন, তাঁদের জন্য পরামর্শ, টবে যাতে জল না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থির জলে ডেঙ্গি মশা বেশি জন্মায়। তাই টব কিংবা ফুলদানির মতো জায়গায় জল জমলে ডেঙ্গির মশার প্রকোপ বাড়ার ঝুঁকিও (Dengue Risks) বেশি। বাড়িতে চৌবাচ্চা থাকলে সেখানেও সাত দিনের বেশি জল যাতে না জমে সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    আশপাশ পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি ডেঙ্গি মোকাবিলায় নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সংক্রমণ রুখতে ডেঙ্গির উপসর্গ সম্পর্কেও সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, তিন দিন লাগাতার জ্বর-সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করা জরুরি (Dengue in Bengal)। ডেঙ্গি হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। তাহলেই সংক্রমণ রুখতে সহজ হবে। রোগীর দ্রুত চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদ এড়ানোও সহজ হবে। পরিবারের কোনো সদস্য ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে তাকে অবশ্যই আলাদা ঘরে রাখতে হবে। মশারি টাঙিয়ে রাখা জরুরি। বাড়ির অন্য সদস্যদের যাতে ডেঙ্গি (Dengue Precautions) না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে বাড়তি তৎপরতা প্রয়োজন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • High Fiber Foods: নিয়মিত মেনুতে অতিরিক্ত ফাইবার যুক্ত খাবার! কোন বিপদ বাড়াচ্ছে?

    High Fiber Foods: নিয়মিত মেনুতে অতিরিক্ত ফাইবার যুক্ত খাবার! কোন বিপদ বাড়াচ্ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পরিমাণেই রয়েছে পুষ্টিগুণ! শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদান ও অতিরিক্ত পরিমাণে পৌঁছলে বিপদ বাড়তে পারে। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানবিষয়ক পত্রিকায় পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানিয়েছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষের শরীরে নানান উপাদানের ঘাটতির জেরেই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কিছু উপাদান প্রয়োজনের অতিরিক্ত শরীরে প্রবেশ করছে। তার জেরেও নানান শারীরিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তেমনি একটি উপাদান হল ফাইবার। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ রাখতে এবং একাধিক রোগ এড়াতে নিয়মিত ফাইবার জাতীয় খাবার (High Fiber Foods) জরুরি। কিন্তু নিয়মিত প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফাইবার শরীরে পৌঁছলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের এই প্রয়োজন সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকছে না। আর তার জেরেই বিপদ (Health Risks) বাড়ছে।

    অতিরিক্ত ফাইবার কী সমস্যা তৈরি করে?

    শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীরের একাধিক অঙ্গ সুস্থ রাখতে উচ্চ ফাইবার-যুক্ত খাবারের (High Fiber Foods) ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত ফাইবার শরীরে পৌঁছলে হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। ফাইবার জাতীয় খাবার হজম করতে সময় লাগে। অতিরিক্ত পরিমাণ ফাইবার জাতীয় খাবার খেলে, অনেক সময় হজমের গোলমাল হয়।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে বহু মানুষ হজমের সমস্যায় ভোগেন। এই আবহাওয়ায় সহজপাচ্য খাবার খাওয়া জরুরি। নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে ফাইবার খেলে (High Fiber Foods) হজমের লাগাতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। হজমের নিয়মিত সমস্যা অন্ত্রের উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। এমনটাই জানাচ্ছেন অন্ত্র বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পাকস্থলি, অন্ত্র এবং লিভারের একাধিক জটিল রোগের সূত্রপাত হজমের সমস্যা। গ্যাস, অম্বলের মতো সমস্যা। তাই খাবার যাতে সহজে হজম হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই মেনু সাজানো দরকার।

    অতিরিক্ত ফাইবার নিয়মিত খেলে পেট খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকছে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। তাই অতিরিক্ত ফাইবার জাতীয় খাবার (High Fiber Foods) খেলে বারবার মলত্যাগের সমস্যা হতে পারে। নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণ ফাইবার খেলে বমির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে বলেই জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, হজম না হওয়া, পেট ব্যথা এবং বমি এগুলো‌ ভোগান্তি বাড়াবে।

    কতখানি ফাইবার প্রয়োজন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে কতখানি ফাইবার প্রয়োজন, মহিলা নাকি পুরুষ, বয়স কত সেগুলোর উপরেই নির্ভর করে। তাই ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো বলেই, প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমাণে নিয়মিত খেলে সমস্যা দেখা যায়। আমেরিকান নিউট্রেশনিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, শিশুর বয়স ২ বছর হওয়ার আগে, নিয়মিত ফাইবার (High Fiber Foods) জাতীয় খাবার দেওয়া উচিত নয়। ২ থেকে ৪ বছর বয়সি শিশুর ১৪ গ্রাম ফাইবার নিয়মিত পর্যাপ্ত। ১৪ বছরের কম বয়সি মেয়েদের নিয়মিত ২২ গ্রাম এবং ছেলেদের ২৫ গ্রাম ফাইবার নিয়মিত জরুরি। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ নিয়মিত ৩১ গ্রাম এবং মহিলা নিয়মিত ২৫ গ্রাম ফাইবার জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু বয়স চল্লিশের চৌকাঠ পেরলেই ফাইবার গ্রহণের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ জরুরি। কারণ, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হজমশক্তি নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। তাই পঞ্চাশোর্ধ মহিলাদের নিয়মিত ২২ গ্রাম এবং পুরুষদের ২৬ গ্রামের বেশি ফাইবারজাতীয় খাবার (Health Risks) খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।

    কোন খাবারে অতিরিক্ত ফাইবার থাকে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিছু খাবারে শরীরের প্রয়োজন মাফিক ফাইবার থাকে। যা রোজ খেলেও বিশেষ সমস্যা তৈরি হয় না। কিন্তু কিছু খাবারে থাকে অতিরিক্ত ফাইবার (High Fiber Foods)। যা নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে বিপদ তৈরি হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আটা, বাজরা, রাগী, মিলেটের মতো দানাশস্যে‌ ফাইবার থাকে। নিয়মিত এই ধরনের দানাশস্যের তৈরি রুটি একটি বা দুটি খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় ফাইবার পৌঁছয়। কিন্তু কিডনি বিনস্ (রাজমা), আলুবোখারা, কিসমিস, বাদাম জাতীয় কিছু খাবারে অতিরিক্ত ফাইবার থাকে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ১০০ গ্রাম রাজমা খেলে ৭ গ্রামের বেশি ফাইবারের চাহিদা পূরণ হয়।

    আলুবোখারাতেও থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। একজন‌ প্রাপ্ত বয়স্ক দিনে দুটোর বেশি আলুবোখারা খেলে তাই হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সূর্যমুখীর বীজ শরীরের জন্য উপকারি। কিন্তু পরিমাণ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সূর্যমুখীর বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে (High Fiber Foods)। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ সূর্যমুখীর বীজ খেলে, বিশেষত গ্রীষ্মপ্রধান দেশে এই ধরনের খাবার নিয়মিত খেলে লিভারের উপরে বাড়তি চাপ তৈরি হয়। তাই এই ধরনের খাবার নিয়মিত না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হলে শরীর সুস্থ থাকবে। প্রয়োজনীয় উপকার ও পাওয়া যাবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Ashad Month: ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ থেকে এল আষাঢ়, দক্ষিণে কবে আসবে বর্ষা?

    Ashad Month: ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ থেকে এল আষাঢ়, দক্ষিণে কবে আসবে বর্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে— ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।’’ কবিগুরুর লেখা ‘আষাঢ়’ কবিতা পড়লেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে কৃষ্ণ কালো মেঘে ঢাকা বিস্তৃত নীলাম্বর। আষাঢ় (Ashad Month) মানেই পাঁপড় ভাজা আর রথের রশিতে টান। আষাঢ় মানেই মন পাগল করা সোঁদা মাটির ঘ্রাণ।

    আজ পয়লা আষাঢ়

    ক্যালেন্ডারের পাতা বলছে, আজ, সোমবার ১৬ জুন থেকে শুরু হল আষাঢ় মাস (Ashad Month)। বাংলা পঞ্জিকা মতে, আজ পয়লা আষাঢ়। তবে, পঞ্জিকার পাতায় আষাঢ় এলেও দক্ষিণবঙ্গে নেই বৃষ্টির ছিটেফোঁটা। কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গই বেশ কয়েকদিন ধরেই গুমোট। আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকলেও বৃষ্টির দেখা নেই। রোদের তাপ, গরমের ভাপ আর শুষ্ক বাতাস যেন প্রকৃতির বর্ষা-ঘোষণাকে উপহাস করছে (Ashad Month)। চারদিকে শুধুই ভ্যাপসা গরম, গুমোট বাতাস আর রোদের তাপপ্রবাহ। গরমে হাঁসফাঁস করছে জনজীবন। আকাশে মেঘ, অথচ তার নিচে ঝরছে ঘাম। প্রকৃতি যেন অপেক্ষার খেলা খেলছে। বিদায় নেয়নি পুরোপুরি গ্রীষ্ম, আসেনি পুরোপুরি বর্ষাও।

    কী বলছে আবহাওয়া দফতর (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, পরিস্থিতি বর্ষার অনুকূল। যে কোনও সময় নামতে পারে বৃষ্টি। পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসন্ন। আর দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করবে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। তার মাঝেই কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় মুষলধারে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Ashad Month)। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দুটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ বাংলাদেশ ও সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি। যা থেকে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে দক্ষিণ ওড়িশা পর্যন্ত। আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। সোমবার থেকে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে।

    আবহাওয়া দফতরের আরও পূর্বাভাস (Weather Update), মঙ্গলবার ও বুধবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পশ্চিমের জেলাগুলিতেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। অন্যদিকে, আগামী কয়েক দিনে উত্তরের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে (Ashad Month)। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের জন্য। এছাড়া জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারেও ভারী বৃষ্টি চলবে।

LinkedIn
Share