Author: Susanta Das

  • Health Problems: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় হানা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগ, সুস্থ থাকতে কী কী করণীয়?

    Health Problems: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় হানা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগ, সুস্থ থাকতে কী কী করণীয়?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। আবহ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী কয়েক দিন অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হলেও, তাপমাত্রা কমছে না। বরং আগামী কয়েকদিনে অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়ার এই রকমফেরে বাড়ছে নানান শারীরিক সমস্যা (Health Problems)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কখনও বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা সামান্য কমছে, আবার কখনও তীব্র অস্বস্তিকর গরমে ঘামে শরীর ভিজে যাচ্ছে। আর এর ফলেই শ্বাসনালীর সংক্রমণ, গলা ব্যথা, কাশি, সর্দির মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তার পাশপাশি অনেকেই হজমের সমস্যাতেও ভুগছেন‌। তাই বাড়তি সতর্কতা না নিলে ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বাতাসে সুপার-অ্যাক্টিভ ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কখনও গরম, আবার কখনও তাপমাত্রার পারদ পতনে বাতাসে নানান ভাইরাস সক্রিয় হচ্ছে। যার ফলে ভাইরাস ঘটিত অসুখের ঝুঁকি বাড়ছে (Health Problems)। গরমে ঘাম হওয়ার জেরে আবার সাময়িক স্বস্তি পেতে অনেকটা সময় একটানা এসি ঘরে থাকার জেরে ব্যাক্টেরিয়া এবং ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আবহাওয়ার দ্রুত রকমফেরে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি বাড়ে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এর পাশপাশি এই পরিবেশে হজমের সমস্যাও বাড়ছে। অনেকেই পেটের অসুখ, বমির মতো সমস্যায় ভুগছেন।‌ বিশেষত শিশুদের সমস্যা বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা?

    আবহাওয়ার এই অস্বস্তিকর অবস্থায় সুস্থ থাকতে (Experts Health Tips) ঘরোয়া উপাদানেই ভরসা রাখছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খাওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুরা প্রাপ্ত বয়স্কদের থেকে বেশি দৌড়াদৌড়ি করে। ঘাম ও হয়। তাই তাদের শরীরে বাড়তি জল প্রয়োজন। তাই সেই চাহিদা পূরণ হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখা জরুরি। নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খেলে হজমের সমস্যা (Health Problems) কমবে। পেটের অসুখের ঝুঁকিও কমবে। গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার জেরে যে এনার্জির ঘাটতি হয়, সেটাও সহজে পূরণ করবে জল। ছোটোদের পাশাপাশি বড়দের জন্যও একই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, জল পর্যাপ্ত খাওয়ার দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন।

    অতিরিক্ত তেল-মশলা জাতীয় খাবার বর্জন

    পাশপাশি কম তেল মশলা যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার হজম করা কঠিন। বিশেষত চর্বি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিন এবং অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার হজম করা কঠিন। ফলে এই আবহাওয়ায় নানান শারীরিক সমস্যা (Health Problems) দেখা দিতে পারে। সহজ পাচ্য খাবার নিয়মিত খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। খাবারের সম্পূর্ণ পুষ্টি পাওয়া যাবে। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই তাঁদের পরামর্শ (Experts Health Tips), নিয়মিত ডাল, সব্জি এবং পরিমিত পরিমাণে মাছ, ডিম জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। প্রয়োজনীয় এনার্জি শরীর সহজেই পাবে।

    সব সমস্যার সমাধানে জল ও ফল

    তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় নিয়মিত ফল খাওয়া দরকার। সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমাতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো দরকার (Health Problems)। তাই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, যেমন বিভিন্ন ধরনের লেবু, কিউই,‌ অ্যাপ্রিকট, বেরি জাতীয় ফল নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এতে শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ে।

    হজমের গোলমাল এড়াতে এবং পেটের সমস্যা কমাতে নিয়মিত মেথি ভেজানো জল এবং ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ (Experts Health Tips) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই দুয়েই থাকে পর্যাপ্ত খনিজ। যা হজম শক্তি বাড়ায়। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই গরমে নিয়মিত এই দুইটি শরবত খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • I-STAR Spy Planes: ১০ হাজার কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনা পাচ্ছে ৩টি ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমান, কী বিশেষত্ব?

    I-STAR Spy Planes: ১০ হাজার কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনা পাচ্ছে ৩টি ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমান, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চলমান ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আবহেই ভারতীয় বায়ুসেনাকে (Indian Air Force) আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হল মোদি সরকার। সেই মর্মে মার্কিন রেথিয়ন ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমানের (I-STAR Spy Planes) ধাঁচে বায়ুসেনার জন্য তিনটি অত্যাধুনিক গোয়েন্দা বিমান কেনার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব বিবেচনা করতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    এলিট গ্রুপে প্রবেশ করবে ভারত

    জানা যাচ্ছে, এই বিমানগুলি এলে আকাশ থেকে ভূমির নির্ভুল, পরিষ্কার ছবি হাতে চলে আসবে বায়ুসেনার। সেই চিত্র ব্যবহার করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রেডার স্টেশন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও কমান্ড পোস্টের মত শত্রুর গুরুত্বপূর্ণ সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে আরও নিখুঁত ভাবে টার্গেট করে হামলা চালাতে পারবে ভারত। সূত্রের খবর, বর্তমানে এই প্রস্তাব প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চ-পর্যায়ের কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। মন্ত্রিসভার সবুজ সঙ্কেত মিললেই এই বিমান (I-STAR Spy Planes) কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। একবার তা হয়ে গেলেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইজরায়েলের মতো হাতে গোনা কয়েকটি দেশের এলিট তালিকায় স্থান করে নেবে ভারত। যা খবর, চলতি মাসের শেষের দিকে এর অনুমোদন মিলতে পারে।

    ডিআরডিও-র তৈরি প্রযুক্তি আই-স্টার

    আই-স্টার (I-STAR Spy Planes) শব্দগুচ্ছের পুরো অর্থ হল— ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেল্যান্স, টার্গেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড রিকনেস্যান্স। তবে ভারত যে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চলেছে তার একটা বড় অংশ দেশীয়। এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-র অধিনস্থ সেন্টার ফর এয়ারবোর্ন সিস্টেম (ক্যাবস্)। এই প্রযুক্তি মোতায়েন করা হতে পারে বিদেশি বোম্বার্ডিয়ার বা বোয়িং বিমানে। যে কারণে, একাধিক বিদেশি বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক স্তরের আলোচনা এগিয়ে রাখা হচ্ছে। এমনকি, ইতিমধ্যে বিদেশি নির্মাতাদের কাছ থেকে উন্মুক্ত দরপত্রও ডাকা হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, এই বিশেষ গুপ্তচর বিমানের (I-STAR Spy Planes) মাধ্যমে শত্রুর সামরিক বিষয়ে নজরদারি চালিয়ে গোয়েন্দা তথ্য, থেকে শুরু করে লক্ষ্য অর্জন এবং রেকি করতে পারবে ভারত। এক কথায়, এই বিমানগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) নজরদারি ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। এগুলো এয়ার-টু-গ্রাউন্ড ইন্টেলিজেন্স সরবরাহ করবে। এর ফলে শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আক্রমণ করা সম্ভব হবে।

    দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোর আধুনিকীকরণ

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, আই-স্টার সিস্টেমে (I-STAR Spy Planes) এমন সক্ষমতা থাকবে যা দিন-রাত উভয় সময়েই এবং দুর্গম ভূখণ্ডেও শত্রুদের অবস্থান নির্ভুলভাবে শনাক্ত, খুঁজে বের করতে ও ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে। এই বিমানগুলি অধিক উচ্চতা এবং নিরাপদ দূরত্ব থেকেও কাজ করতে পারবে। যার ফলে শত্রু দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ না করেই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। একবার চালু হলে, এই বিমানগুলি যুদ্ধক্ষেত্রের একটি গতিশীল এবং রিয়েল-টাইম চিত্র সরবরাহ করবে। যা সামরিক কমান্ডারদের (Indian Air Force) দ্রুত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। এটি দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোকে আধুনিকীকরণ করবে এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় ভারতকে আরও প্রস্তুত করে তুলবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। শীঘ্রই এক বিশেষ প্রতিরক্ষা সক্ষমতার অধিকারী (I-STAR Spy Planes) হতে চলেছে ভারত, অন্তত তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Vat Purnima Vrat 2025: আজ বট পূর্ণিমা, স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় বিবাহিতারা করেন এই ব্রতপালন

    Vat Purnima Vrat 2025: আজ বট পূর্ণিমা, স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় বিবাহিতারা করেন এই ব্রতপালন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে বটবৃক্ষের (Banyan Tree) অপার মহিমা বলা হয়েছে। এই গাছ ত্রিমূর্তি, বাকলের মধ্যে বিষ্ণু, মূলে ব্রহ্মা এবং শাখায় শিবের প্রতীক। এই গাছটি দীর্ঘকাল নবায়নযোগ্য থাকে, তাই একে ‘অক্ষয়বত’ও বলা হয়। সৌভাগ্যবতীর বর পাওয়ার পাশাপাশি এই বটগাছটি স্বাস্থ্যের জন্যও পুজো করা হয়।

    বট পূর্ণিমা ব্রত ২০২৫ (Vat Purnima Vrat 2025) তিথি ও পুজোর সময়

    আজ, মঙ্গলবার ১০ জুন, জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হবে বট পূর্ণিমা ব্রত। এদিন পূর্ণিমা (Vat Purnima) তিথি সকাল ১১ টা ৩৫ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং ১১ জুন (বুধবার) দুপুর ১টা ১৩ মিনিটে শেষ হবে। ১০ জুন উপবাস পালন করা হবে এবং ১১ জুন স্নান এবং দান করা হবে। উপবাসের দিনে পুজোর শুভ সময়: বট পুজো মুহূর্ত: সকাল ৮টা ৫২ মিনিট থেকে দুপুর ২টো ০৫ মিনিট পর্যন্ত। স্নান ও দানের সময়: ভোর ৪টে ০২ মিনিট থেকে ৪টে ৪২ মিনিট পর্যন্ত। চন্দ্রোদয়: সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটে।

    বট পূর্ণিমা ব্রতর (Vat Purnima Vrat 2025) তাৎপর্য

    এই উৎসবটি বিশেষ করে উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, গোয়া এবং গুজরাটে ভক্তির সঙ্গে পালিত হয়। এই দিনে বিবাহিত মহিলারা ষোলটি সাজের পর বটবৃক্ষের পুজো করেন। হিন্দু মতে, স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় ও পরিবারের সুস্বাস্থ্যের জন্য বিবাহিত মহিলারা বট পূর্ণিমা ব্রত (Vat Purnima Vrat) পালন করে থাকেন। হিন্দু শাস্ত্র মতে বহু ব্রত পালেনর উল্লেখ রয়েছে, তার মধ্যে এই ব্রত অন্যতম। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমায় এই ব্রত (Vat Purnima Vrat 2025) পালন করা হয়। সূর্যোদয় থেকে চন্দ্রোদয় পর্যন্ত উপবাস রাখার নিয়ম রয়েছে এবং পূর্ণিমা তিথিতেই চাঁদের পুজো করা হয়। যে মহিলা ৭ বার বটবৃক্ষ প্রদক্ষিণ করে মৌলি বাঁধেন, তিনি ৭ জন্মের পবিত্র বৈবাহিক বন্ধনের আশীর্বাদপ্রাপ্ত হন। এই দিনে বিবাহিত মহিলাদের শৃঙ্গারের জিনিসপত্র দান করলেও পুণ্য ফল লাভ হয়।

    বট পূর্ণিমা ব্রতর (Vat Purnima Vrat 2025) পৌরাণিক আখ্যান

    হিন্দু পুরাণ যেমন ভবিষ্যপুরাণ, স্কন্দপুরাণ এবং মহাভারতে বট পূর্ণিমার (Vat Purnima) মাহাত্ম্যের কথা উল্লেখ রয়েছে। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, নরকের অধিপতি যম যখন সাবিত্রীর স্বামী সত্যবানকে নিতে এসেছিলেন, সেই সময় স্বামীর জীবন ফিরিয়ে দিতে যমকে কাতর অনুরোধ করেছিলেন সাবিত্রী। কিন্তু অপারগ যম সাবিত্রীর অনুরোধে সাড়া দিয়ে বলেছিলেন, কঠিন ব্রত ও উপবাসের মধ্যে দিয়ে স্বামীর প্রতি নিষ্ঠা পরিবেশন করলে তিনি সত্যবানের জীবন ফিরিয়ে দেবেন। সাবিত্রীর ভক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে সত্যবানকে সঙ্গে না নিয়ে ফিরে যান মৃত্যুর দেবতা যম। এই দিন, মহিলারা বটবৃক্ষ গাছকে (Banyan Tree) উপাসনা করেন। তার কারণ হিন্দু মতে, বটবৃক্ষ আদতে ত্রিমূর্তি-ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশের প্রতীক। তাই সারাদিন উপবাস রেখে বটবৃক্ষকে পুজো করে স্বামীর জীবনরক্ষার জন্য ব্রত পালন করে থাকেন মহিলারা।

    বট পূর্ণিমা ব্রত (Vat Purnima Vrat 2025) পুজো বিধি

    – সূর্যোদয়ের আগে মহিলারা জলের মধ্যে তিল ও আমলা দিয়ে স্নান সেরে নতুন পোশাক, চুরি, টিপ, সিঁদুর পরেন।

    – এইদিন মহিলারা উপবাস রাখেন। খাবার হিসেবে ফলের শিকড়, সবজির মূল খেয়ে থাকেন।

    – বট পূর্ণিমার (Vat Purnima) দিন বটগাছকে দেবতা হিসেবে পুজো করা হয়। তবে বট গাছ না পাওয়া যায়, তাহলে বিকল্প হিসেবে বটগাছের একটি ডালকেও পুজো করা হয়ে থাকে। যদি তাও না পাওয়া যায় তাহলে একটি কাঠের প্রতিকৃতিতে হলুদ ও চন্দন দিয়ে সাজিয়ে পুজো করার নিয়ম রয়েছে।

    -পুজোর সময় জল, ফুল, চাল, ছোলা বীজ, সুতো এবং বাড়িতে তৈরি বিশেষ খাবার বটগাছের তলায় রেখে দেবতাদের অর্পণ করা হয়।

    – মহিলারা এদিন বটগাছে চারপাশে ৭ বার হলুদ ও লাল সুতো দিয়ে জড়িয়ে পরিক্রমা করেন।

    – বট পূর্ণিমার (Vat Purnima Vrat 2025) দিন সাবিত্রী সত্যবানের ব্রতকথা পাঠ করেন বিবাহিত মহিলারা।

    – এই দিন স্বামীর মঙ্গল কামনায় কিছু খাবার, টাকা-পয়সা, বস্ত্র দুঃস্থদের দান করা হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে সর্বদা বিশেষজ্ঞের মতামত নিন এবং সেই পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।

  • Shuvendu Adhikari: অনুব্রত কেন রাজ্যসভায় যাননি জানেন, খাপ খুলে দিলেন শুভেন্দু

    Shuvendu Adhikari: অনুব্রত কেন রাজ্যসভায় যাননি জানেন, খাপ খুলে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অনুব্রত মণ্ডলকে আরও ৪ বছর জেল খাটতে হবে।” সোমবার সন্ধ্যায় বোলপুর চৌমাথায় দাঁড়িয়ে এই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে এই হুমকিই দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari)। অনুব্রতর কুকথাকাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন বোলপুরে নারী সম্মান যাত্রায় অংশ নেন শুভেন্দু। বোলপুরের ট্যুরিস্ট লজ মোড় থেকে চৌমাথা পর্যন্ত পদযাত্রা করেন শুভেন্দু। পরে এক জনসভায় যোগ দেন তিনি। সেখানে আগাগোড়াই তিনি আক্রমণ শানান তৃণমূলকে।

    কী বললেন শুভেন্দু

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলকে এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান করে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রেখেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতবার বীরভূমে এসেছেন, অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর পাশে দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিজিপি ও এসপিকে বলেছেন, আপনারা অনুব্রতর নির্দেশে চলবেন।” তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমরা কেষ্টকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিলাম। তিনি যাননি। কারণ তিনি দিল্লিতে যেতে চান না।” শুভেন্দু বলেন, “দিল্লিতে গেলে এখানকার পাথর, বালি, জেলা পরিষদ, পুরসভা, ১০০ দিনের কাজ, আবাস, কয়লা, গরুপাচার, টাকা তুলবেন কখন? আর বোলপুরের প্রাসাদে বসে গুণবেন কখন? আর মুড়ির টিনে করে মমতা ব্যানার্জির কালীঘাটে পাঠাবেন কখন? তাই তিনি রাজ্যসভায় যাননি।” বোলপুরের আইসির মা ও স্ত্রীকে উদ্দেশ করে কুকথা বলায় ক্ষমতায় এসে অনুব্রতকে ৫ বছরের জন্য জেলে ভরবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    অনুব্রতকে শুভেন্দুর (Shuvendu Adhikari) হুঁশিয়ারি, “অনুব্রত মণ্ডলকে যে ধারায় ইডি গ্রেফতার করেছে, তাতে সর্বোচ্চ ৬ বছর জেল খাটতে হয়। অনুব্রত মণ্ডল দু’বছর জেল খেটেছে। দেশের আইন ঠিক থাকলে আরও ৪ বছর জেল খাটতে হবে। সব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নিলাম (BJP) শুরু হল বলে। এদেরকে আমরা শিকড়-সহ তুলব। যাতে আর একটা পাতাও না গজায়।” শুভেন্দু বলেন, “যে ভাষায় অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরের মা ও আইসিকে অপমান করেছেন, তা মুখে আনা যায় না, কানে শোনা যায় না। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে যদি যোগী আদিত্যনাথ থাকতেন, তাহলে ধরে নিয়ে যেতেন। ১৪ দিন হেফাজতে রাখতেন। প্রতিদিন শুকনো লঙ্কা জ্বালানো হত। আর নাকে নল ঢোকানো হত। যেদিন পাতা উল্টে দেবেন, তার পরের দিনই এই মামলা রিওপেন হবে। মারতে মারতে তুলে নিয়ে যাবে পুলিশ। পকসো আইনে পাঁচ বছর জেলে রাখব। রেকর্ড করে রাখুন।” তিনি বলেন, “বোলপুরের আইসির চামড়া মোটা হতে পারে, কিন্তু তাঁর মায়ের (BJP) ও স্ত্রীর অপমান গোটা বাংলার নারীদের অপমান (Shuvendu Adhikari)।”

  • Birsa Munda Death Anniversary: আজ ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’র ১২৫তম তিরোধান দিবস, দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে পুণ্যতিথি

    Birsa Munda Death Anniversary: আজ ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’র ১২৫তম তিরোধান দিবস, দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে পুণ্যতিথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ৯ জুন বিরসা মুন্ডার তিরোধান দিবস (Birsa Munda Death Anniversary)। প্রতিবছর এই দিনটিকে বিরসা মুন্ডা পুণ্যতিথি (Birsa Munda Punyatithi 2025) হিসেবে উদযাপন করা হয় দেশে। ভারতের অন্যতম শ্রদ্ধেয় আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং সমাজ সংস্কারক ছিলেন বিরসা মুন্ডা। তিনি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার, সংস্কৃতি এবং ভূমি রক্ষায়, বিশেষ করে বর্তমান ঝাড়খণ্ডে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

    ১৮৭৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন বিরসা, মুখস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত

    ১৮৭৫ সালের ১৫ নভেম্বর এক গরীব পরিবারে জন্ম হয় বিরসা মুন্ডার। পার্থিব জীবন মাত্র ২৫ বছরের ছিল (Birsa Munda Death Anniversary)। কিন্তু তিনি আজও বেঁচে রয়েছেন শোষণ, বঞ্চনা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে। জীবিত অবস্থাতেই তিনি ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’ নামে খ্যাতি লাভ করেন। কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসনে তিনি আসীন। ভারতের জনজাতি এলাকাগুলিতে খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণ ব্রিটিশ আমল থেকেই চালু রয়েছে। ছোট্ট প্রত্যন্ত গ্রামে বিরসা মুন্ডাকে খ্রিস্টান ধর্মের উপাসনা করার জন্য জোর করা হলে, তিনি গ্রামের খ্রিস্টান স্কুল ত্যাগ করেন। বিরসা মুন্ডা হিন্দুধর্মের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন বলে জানা যায়। নিজগৃহের বিভিন্ন দেবতার প্রতি তাঁর পরম ভক্তি ছিল। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বৈষ্ণব ধর্মগুরু আনন্দ পাঁড়ের কাছে দীক্ষা নেন। খাদ্যাভাসে ছিলেন নিরামিষাশী। কণ্ঠস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত।

    অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সেনাবাহিনী গঠন

    ১৮৯৪ সালে ভয়াবহ খরা দেখা দিল। নির্দয় ব্রিটিশ সরকার তবুও কর সংগ্রহ করছিল সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে। ওই বছরেই ব্রিটিশ সরকার অরণ্য আইন বলবৎ করে। অরণ্যের উপর জনজাতিদের অধিকার খর্ব হয়। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সংকল্পবদ্ধ হন তরুণ বিরসা মুন্ডা (Birsa Munda Death Anniversary)। স্থানীয় মানুষজনকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে সেনাবাহিনী তৈরির কাজ শুরু করেন। ১৮৯৫ সালেই ‘কর মুক্ত’ আন্দোলন করার অপরাধে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। দুই বছর জেলে থাকার পরে ১৮৯৭ সালে তিনি মুক্তি পান। পুনরায় শুরু হয় বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক আন্দোলন। ছোটনাগপুরে শুরু হয় তীর ধনুক নিয়ে আন্দোলন।

    ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ

    ১৮৯৮ সালে টাঙ্গা নদীর তীরে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিরসা মুন্ডার যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে ব্রিটিশদের পরাজিত করতে সমর্থ হন তিনি। যুদ্ধজয়ের পর তিনি বলেন, ‘‘প্রথমবার আমরা জয়লাভ করেছি। কিন্তু এর বিরূপ প্রভাব শত শত মানুষ ভোগ করেছে। শত শত মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতন করা হয়েছে। এত নির্যাতনের পরেও থামেনি মানুষের সংগ্রাম।’’ ১৯০০ সালে ডোবাড়ি পাহাড়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সংঘর্ষে অনেক নারী ও শিশু নিহত হন (Birsa Munda Punyatithi 2025)। বিরসা মুন্ডাকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে ব্রিটিশ সরকার। নিরস্ত্র বিরসাকে জঙ্গলের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে ব্রিটিশ সরকার। কথিত আছে, কারাগারে থাকাকালীন খাবারে বিষ মিশিয়ে বিরসা মুন্ডাকে হত্যা করা হয়‌। ১৯০০ সালের ৯ জুন স্বর্গযাত্রা করেন ভগবান বিরসা মুন্ডা (Birsa Munda Death Anniversary)।

  • Children Foods: দুধ থেকে সন্ধ্যার খাবার, সব শিশু খাদ্যেই মিষ্টির পরিমাণ বেশি! কতটা ক্ষতিকারক?

    Children Foods: দুধ থেকে সন্ধ্যার খাবার, সব শিশু খাদ্যেই মিষ্টির পরিমাণ বেশি! কতটা ক্ষতিকারক?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের দুধের গ্লাস কিংবা সন্ধ্যার জলখাবারের পদ, বাড়ির একরত্তির জন্য তৈরি করা, যেকোনও খাবারেই মিষ্টির পরিমাণ যথেষ্ট বেশি থাকে (Children Foods)। যা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বলেই জানাচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় শিশুরা ছোটো থেকেই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে শর্করা (High Sugar Content) জাতীয় খাবার গ্রহণ করে। এর ফলে পরবর্তী কালে তাদের নানান রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    কী বলছে সমীক্ষার তথ্য?

    সম্প্রতি, এক আর্ন্তজাতিক সংস্থার সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতীয় শিশুরা নিয়মিত প্রয়োজনের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি শর্করা জাতীয় উপাদান গ্রহণ করে। অধিকাংশ শিশু খাদ্যে (Children Foods) প্রয়োজনের অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় উপাদান থাকছে। যার শরীরে গভীর প্রভাব পড়ছে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় শিশুদের স্থুলতা এবং ডায়বেটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ার জেরেই এই ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার কেন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়সি ভারতীয়দের মধ্যে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়বেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ছে (Children Health Risks)। স্কুল স্তর পেরনোর আগেই শিশুরা ডায়বেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। এর ফলে শিশুদের স্বাভাবিক জীবন‌ যাপন‌ এবং পড়াশোনা ব্যহত হচ্ছে। ছোটো থেকে ডায়বেটিস আক্রান্ত হলে, দীর্ঘকাল রোগের প্রকোপ শরীরে আরও গভীর ভাবে পড়ছে। কিডনি এবং স্নায়ুর জটিল সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই শিশুদের ডায়বেটিস বাড়তি উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের আশঙ্কা, অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবারের (Children Foods) জেরেই আরো বেশি এই ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

    স্থূলতা ভারতীয় শিশুদের অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা বলে জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক সমীক্ষা।‌ স্কুল স্তর থেকেই অধিকাংশ ভারতীয় শিশু অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভোগে। দেহে অতিরিক্ত মেদের জেরে শিশুদের স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হয়। এমনকি বয়ঃসন্ধিকালে নানান হরমোন ঘটিত সমস্যাও দেখা দিতে থাকে। অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার (High Sugar Content) খাওয়ার জেরেই স্থুলতার সমস্যা বাড়ছে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। শিশুর শরীরের বিকাশের জন্য শর্করার পাশপাশি কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের সমান প্রয়োজন (Children Foods)। বিশেষত শিশুদের শরীরের বাড়তির এনার্জির জোগান দিতে এবং হাড়, পেশি মজবুত করতে প্রোটিন, ভিটামিনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। এই সবরকম উপাদানের জোগান ঠিকমতো না হলেই সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর খাবারে বাড়তি চিনির ব্যবহার একেবারেই চলবে না।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের মিষ্টি কিংবা চকলেট জাতীয় খাবার প্রায় খাওয়া হয়। তাই নিয়মিত খাবারে বাড়তি মিষ্টি দেওয়া উচিত নয় (Children Foods)। প্রথম থেকেই দুধ বা অন্য যেকোনও খাবারে বাড়তি মিষ্টি দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা উচিত নয়। প্যাকেটজাত হেলথ ড্রিঙ্কস কিংবা খাবারের পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি খিচুড়ি, ডাল, সব্জি জাতীয় খাবার নিয়মিত মেনুতে রাখার চেষ্টা করা উচিত। তাতে শরীরে ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন সরাবরাহ ঠিকমতো হয়। আবার বাড়তি শর্করা যাওয়ার ঝুঁকিও কমে। চিনি খাওয়ার অভ্যাস (High Sugar Content) বর্জন করতে পারলে শিশুর একাধিক রোগের ঝুঁকি (Children Health Risks) সহজেই কমানো‌ যাবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    তবে মিষ্টি, কেক, পেস্ট্রি জাতীয় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও রাশ টানা জরুরি। নিয়মিত চকলেট, আইসক্রিম, লাড্ডু কিংবা কেক জাতীয় খাবার যাতে শিশু না খায়, সেদিকে নজরদারি জরুরি (Children Foods)। কারণ এই ধরনের খাবারে পুষ্টিগুণ বিশেষ নেই। বরং এগুলো শরীরে বাড়তি ওজন তৈরি করে। যা পরবর্তীতে নানান রোগের কারণ হয়ে ওঠে। এমনটাই জানাচ্ছেন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Brain Tumor: মানসিক চাপেই বাড়ছে বিপদ! ব্রেন টিউমারের নেপথ্যে কি স্ট্রেস?

    Brain Tumor: মানসিক চাপেই বাড়ছে বিপদ! ব্রেন টিউমারের নেপথ্যে কি স্ট্রেস?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্ট্রেস বা মানসিক চাপ মনের পাশাপাশি শরীরের উপরেও গভীর ছাপ ফেলে! মানসিক চাপ থেকে শুরু করে ডিপ্রেসন বা অবসাদ মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক! শরীরের একাধিক রোগের কারণ! এমনকি মস্তিষ্কের টিউমারের (Brain Tumor) কারণ ও হতে পারে মানসিক চাপ। সম্প্রতি চিকিৎসকদের এক আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্রে এমন তথ্যই প্রকাশিত হল। তবে, প্রথম থেকেই সতর্ক হলে বড় বিপদ মোকাবিলা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসার সুযোগ হারিয়ে যায়। তারপরে শুরু হয় রোগ নির্ণয়। এটাই মস্তিষ্কের টিউমারের চিকিৎসায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আজ, ৮ মে ওয়ার্ল্ড ব্রেন টিউমার ডে (World Brain Tumor Day)। সেই উপলক্ষে একটি সর্বভারতীয় কর্মশালায় এমনটাই জানালেন দেশের বিভিন্ন শহরের শল্য চিকিৎসকদের একাংশ। বিশ্ব জুড়ে লাগাতার মস্তিষ্কের টিউমার ও তার চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা চলছে। গবেষণায় নতুন দিক উঠে আসছে। তবে আধুনিক এই চিকিৎসার প্রথম শর্ত হল দ্রুত রোগ নির্ণয়। ভারতে মস্তিষ্কের টিউমার (Brain Tumor) চিকিৎসার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সচেতনতার অভাব। তাই রোগ নির্ণয় করতেই অনেকটা সময় চলে যায়‌।

    ভারতে ব্রেন টিউমারে ভুক্তভোগীদের সংখ্যা কি বাড়ছে?

    ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ভারতে নতুন করে ব্রেন টিউমারে আক্রান্তের তালিকা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিবছর প্রায় তিরিশ হাজার মানুষ এ দেশে নতুন করে ব্রেন টিউমারের সমস্যার শিকার হন। যা যথেষ্ট উদ্বেগের। এই রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় রোগীর বাড়তি ভোগান্তি হয় বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কেন ব্রেন টিউমার (Brain Tumor) হয়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোনও একটি নির্দিষ্ট কারণকে ব্রেন টিউমারের জন্য দায়ী করা যায় না। তবে কিছু কারণে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেগুলো এড়িয়ে চললে রোগের ঝুঁকিও কমতে পারে। মানসিক চাপ ব্রেন টিউমারের অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশে ব্রেন টিউমারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, মানসিক অসুস্থতা! আধুনিক জীবন যাপনে অধিকাংশ মানুষ নানান কারণে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন‌। বদলে যাচ্ছে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সম্পর্ক। এমনকি কর্মজীবনে ও নানান পরিবর্তন আসছে। আর এই সবকিছুই মানুষের মনে গভীর প্রভাব ফেলছে। বহু মানুষ নানান কারণে মানসিক চাপের শিকার হচ্ছেন। এর ফলে মস্তিষ্কে অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। মানসিক চাপ থাকলে শরীরে অতিরিক্ত স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ হয়। মস্তিষ্কে এর গভীর প্রভাব পড়ে। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হিসাবে টিউমার (Brain Tumor) হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    স্ট্রেস ফ্যাক্টরের পাশপাশি আরও কিছু কারণ মস্তিষ্কের টিউমারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। নিয়মিত রেডিয়েশন, এক্স রে শরীরে প্রবেশ করলে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই দেখা যায়, অন্য কোনও রোগের জেরে দীর্ঘদিন রেডিয়েশন থেরাপি নেওয়ার জেরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে ব্রেন টিউমার (Brain Tumor) হয়েছে। আবার বংশানুক্রমিক সমস্যার জেরেও এই রোগ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারে ক্যান্সারে আক্রান্ত কেউ থাকলে বা আগে কেউ অন্য কোনও টিউমারে আক্রান্ত থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের মস্তিষ্কের টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্থুলতা মস্তিষ্কের টিউমারের অন্যতম কারণ হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে মস্তিষ্কে চাপ‌ পড়ে। সেটা টিউমারের অন্যতম কারণ হতে পারে।

    কীভাবে উপসর্গ চিনবেন?

    চিকিৎসকদের মতে, প্রথম পর্বেই রোগ নির্ণয় হয়ে গেলে রোগের‌ মোকাবিলা সম্ভব। কিছু উপসর্গ সম্পর্কে সজাগ হলেই রোগ নির্ণয় দ্রুত সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত মাথার তীব্র যন্ত্রণা, মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলা, স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলা, কাজ করার ইচ্ছে না থাকা, বমি হওয়া, মল-মূত্রত্যাগে নিয়ন্ত্রণ হারানোর মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নির্দিষ্ট পরীক্ষার (Brain Tumor) মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সম্ভব।‌

    চিকিৎসার পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ব্রেন টিউমারের (World Brain Tumor Day) আক্রান্ত মানেই জীবন শেষ, এমন ভাবনা একেবারেই ঠিক নয়। টিউমারের চিকিৎসা সম্ভব। আর টিউমার হলেই ক্যান্সার বা অন্য কোনও জটিল রোগ হবে এমন ভাবাও অপ্রয়োজনীয়। নানান নেতিবাচক ভাবনা বাদ দিয়ে ঠিকমতো চিকিৎসা সম্পূর্ণ করলে আবার সুস্থ জীবনে ফিরে আসা যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • African Swine Fever: করোনা আবহে ভারতে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার হানা! কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    African Swine Fever: করোনা আবহে ভারতে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার হানা! কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফের ফিরছে আতঙ্ক! কয়েক বছর আগের স্মৃতি এখনো তাজা! আর তার মধ্যেই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ আবার বাড়ছে। তাই বাড়ছে আতঙ্ক! কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন শহরে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। আর তার মধ্যেই দেশে হানা দিয়েছে নতুন রোগ। আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) দেশে ছড়িয়েছে। আর তার জেরেই বাড়তি উদ্বেগ।

    আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার কী?

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (ASF Alert in India) একটি সংক্রামক রোগ। জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দির মতো সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বরের উপসর্গ এই রোগে প্রথমে জানান দেয়। কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন ফুসফুস, লিভার এবং হৃদপিণ্ড ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এর ফলে শরীরে একাধিক জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর আশঙ্কাও রয়েছে।

    ভারতের কোথায় এই সংক্রমণ হয়েছে?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের এক গ্রামে এই রোগের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। ওই গ্রামে মূলত পশু পালন করেই অধিকাংশ মানুষ জীবন নির্বাহ করেন। দিন কয়েক আগেই কয়েকজন এই আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) আক্রান্ত হয়েছেন। প্রশাসনের তরফে আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। গোটা গ্রামে ‘প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা’ জারি হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে গ্রামবাসীদের গ্রামের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কয়েক দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    কীভাবে এই রোগ ছড়ায়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) মূলত পশুবাহিত রোগ। অর্থাৎ, পশুর দেহেই এই রোগ ছড়ায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, মূলত শুয়োরের দেহ থেকে এই রোগের ভাইরাস মানুষের দেহে পৌঁছয়। আর সেখান থেকেই সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অসমের যে গ্রামে এই রোগে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, সেখানেও শুয়োর থেকেই মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।

    কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) যথেষ্ট বিপজ্জনক। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়লে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে। তাই প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সংক্রমণ রুখতে সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিশেষ করে করোনা আবহে আরও বাড়তি সতর্কতা জরুরি (ASF Alert in India) বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাইরে থেকে ফেরার পথে অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

    কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব?

    বিশেষত, যারা পশু পালনের কাজ করেন, এই পরিস্থিতিতে তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বারবার হাত পরিষ্কার রাখা এবং কাজের শেষে ঘরম জলে ভালোভাবে স্নান করা দরকার। যাতে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। ভিড় এলাকায় নাক ও মুখ ঢেকে রাখা জরুরি। কারণ নাক ও মুখের মাধ্যমেই সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। তাই করোনা হোক বা আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার, যেকোনও সংক্রামক রোগ রুখতে মাস্ক সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    খাবারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) পশুর শরীর থেকেই মানুষের শরীরে পৌঁছয়। তাই যেখানে-সেখানে মাংসের তৈরি পদ খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে পোর্কের পদ খাওয়ার ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন। যাতে স্বাস্থ্যের বাড়তি জটিলতা তৈরি না হয়, সেদিকে নজর রেখেই খাওয়া-দাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

  • Immunity Power: করোনার চোখরাঙানি বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তি?

    Immunity Power: করোনার চোখরাঙানি বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    করোনা প্রকোপ বাড়ছে।‌ দেশ জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কয়েক বছর আগের করোনা অতিমারির স্মৃতি এখনও তাজা। এই রোগের জেরে গত কয়েক বছরে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আক্রান্তের অনেকেই ভয়ঙ্কর ভাবে ভুগেছেন। তাই করোনার দাপট বাড়লেই বাড়তি সতর্কতা তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে সবরকমের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা জরুরি। তবেই করোনার মতো রোগ সহজেই মোকাবিলা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনা রুখতে নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বেড়ে তোলা জরুরি। তাই সেদিকে নজর জরুরি। আর রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়তে ঘরোয়া উপাদানেই (Coronavirus Home Remedies) ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কোন কোন ঘরোয়া উপাদানে ভরসা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণ ঘরোয়া উপাদান অর্থাৎ, ভারতীয় একাধিক মশলা, সব্জি এবং নানান গাছের অংশে ঔষধি উপকার অতুলনীয়। বহু যুগ ধরেই আমাদের আশপাশের একাধিক জিনিসের মধ্যে স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারি উপাদান রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে এবং করোনার মতো জটিল ও কঠিন রোগকে প্রতিরোধ (Immunity Power) করতেও সেগুলো সাহায্য করে। করোনা রুখতে এবং নিজের শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সেই উপাদানের ভরসা করছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, তাঁরা জানাচ্ছেন, দুর্বল শরীরে সংক্রামক রোগ বেশি দ্রুত বাসা বাঁধে। তাই নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি ঠিকমতো থাকলে, আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে।

    চায়ের মতোই রোজ থাকুক ত্রিফলা!

    আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ত্রিফলা খুবই উপকারি। একাধিক রোগের মোকাবিলায় ত্রিফলা সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে করোনা‌ মোকাবিলাতেও (Coronavirus Home Remedies) ত্রিফলা সাহায্য করবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, হরতকি, আমলকি এবং বয়েরা এই তিন ফলকে একসঙ্গে ত্রিফলা বলা হয়। নিয়মিত এই তিন ফল একসঙ্গে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সারা রাত এই তিন ফল ভিজিয়ে রেখে, এর জল সকালে খালি পেটে গেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। আবার এই তিন ফল চায়ের মতোই গরম জলে ফুটিয়ে খেলেও রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই এই তিন ফলের উপকার অনেক। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর পাশপাশি এই তিন ফলে অন্ত্র ঠিক রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।

    হলুদ বাড়তি উপকার দেবে!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হলুদ শরীরের জন্য খুবই উপকারি। বিশেষত রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে হলুদ বাড়তি সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হলুদের মধ্যে কারকিউমিন উপাদান থাকে। এই উপাদানের জেরে শরীরে ইনফ্লেমেশনের প্রবণতা কমে। যেকোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুধে হলুদ মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়া কিংবা রান্নায় নিয়মিত হলুদের ব্যবহার জরুরি। যাতে শরীরে পর্যাপ্ত হলুদ পৌঁছয়। তাহলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়বে।

    সকালে উঠেই প্রথমে কয়েকটি তুলসী পাতা খাওয়া!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তুলসীর গুণ অপরিসীম। নিয়মিত কয়েকটি তুলসী পাতা খেলে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতেও তুলসী খুবই সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তুলসী পাতাতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। এর ফলে যেকোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখ রুখতে তুলসী পাতা খুবই উপকারি। করোনার মতো জটিল অসুখের পাশপাশি সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বরের ভোগান্তিও সহজেই কমাতে পারে তুলসী পাতা। তাছাড়া, তুলসী পাতা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভরপুর। তাই নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, সকালে মধুর সঙ্গে তুলসী পাতা মিশিয়ে খেলে সহজেই উপকার পাওয়া যায়। আবার খাওয়ার জলে তুলসী পাতা ফেলে রাখারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত তুলসী পাতা ভেজানো জল খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।

    আদাতে কাবু হবে একাধিক ভাইরাস!

    ভারতীয়দের রান্নাঘরে অত্যন্ত পরিচিত রান্নার উপকরণ হলো আদা। একাধিক রান্নার স্বাদ বাড়াতে প্রায় সব বাড়িতেই আদা ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রান্নার এই উপকরণ স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুব উপকারি। তাঁরা জানাচ্ছেন, আদায় রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান। এই দুই উপাদান শরীরে যেকোনও ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই আদা নিয়মিত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। আবার করোনার মতো সংক্রামক রোগের (Coronavirus Home Remedies) ঝুঁকিও কমাবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Tobacco Health Risks: তামাক বাড়াচ্ছে বিপদ! কতখানি প্রাণঘাতী হতে পারে এই অভ্যাস?

    Tobacco Health Risks: তামাক বাড়াচ্ছে বিপদ! কতখানি প্রাণঘাতী হতে পারে এই অভ্যাস?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ‘স্মার্ট’ দেখানোর কৌশল কিংবা আর পাঁচ জনের সামনে ‘আধুনিক’ হিসাবে নিজেকে তুলে ধরার জন্য অনেকেই প্রথম সুখটান দেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই নিছক আনন্দ, অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। আর তার জেরেই বাড়ে বিপদ। ধূমপান বা গুটখার মতো তামাকজাত পণ্য সেবনের জেরে একাধিক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে (Tobacco Health Risks)। অনেকক্ষেত্রে তা প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে‌ বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কিন্তু তারপরেও ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তামাক সেবনের প্রবণতা বাড়ছে বলেই জানাচ্ছে একাধিক সমীক্ষার রিপোর্ট। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী বলছে সাম্প্রতিক তথ্য?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে তামাক সেবনের প্রবণতা বাড়ছে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বয়স ১৪ বছরের চৌকাঠ পেরোলেই অধিকাংশ ভারতীয় ছেলেমেয়েরা ধূমপান করছে। ছেলের পাশপাশি মেয়েদের মধ্যেও ধূমপানের অভ্যাস থাকছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই ছেলেমেয়েরা নিয়মিত ধূমপান করছে। দীর্ঘকাল এই অভ্যাস থাকছে। যার ফলে নানান রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিচ্ছে (Tobacco Health Risks)। ধূমপানের পাশপাশি গুটখা, পানমশলার মতো তামাকজাত পণ্যেও তরুণ প্রজন্মের একাংশ অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। ওই সমীক্ষায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে। তাই প্রশাসনের সর্বস্তরে এবং স্কুলেও এই নিয়ে বাড়তি কর্মশালা জরুরি। ১ জুন ওয়ার্ল্ড নো টোবাকো ডে (World No Tobacco Day)! জুন মাস জুড়ে তাই বিভিন্ন স্তরে চিকিৎসক সংগঠনগুলো তামাক নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি চালানোর পরিকল্পনা করেছে। স্কুলগুলোতে ও নানান কর্মশালা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

    কেন তামাক বিপদ বাড়াচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তামাক সেবনের জেরে দেহের একাধিক রোগের ঝুঁকি বেড়ে চলেছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। হার্ট অ্যাটাকের ঘটনাও গত এক দশকে উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে। দেখা গিয়েছে, ধূমপান করলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ তামাক সেবন। ভারতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে (Tobacco Health Risks)। তামাক সেবন তার অন্যতম কারণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগের সমস্যা বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের তামাক সেবনের অভ্যাস, তার জন্য দায়ী বলেও মনে করছেন একাংশের চিকিৎসক।

    ফুসফুসের সমস্যা এবং সংক্রমণের অন্যতম কারণ তামাক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত এক দশকে ভারতে উল্লেখযোগ্য ভাবে ফুসফুসের রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের একাংশ ফুসফুসের লাগাতার সংক্রমণে ভুগছে। নিউমোনিয়ার মতো‌ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। নিউমোনিয়ার জেরে মৃত্যুর সংখ্যাও যথেষ্ট বেড়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ধূমপান ফুসফুসের সংক্রমণের অন্যতম কারণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ধূমপান করলে ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে যায়। ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায় (Tobacco Health Risks)। কম বয়স থেকেই ধুমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে ফুসফুসে জটিল রোগ সহজেই বাসা বাঁধে। এমনকি ফুসফুসের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    তামাক ডেকে আনে বন্ধ্যাত্ব থেকে হরমোনের সমস্যা

    নিয়মিত তামাক সেবন করলে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন। তামাক সেবন তার অন্যতম কারণ বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। তামাক শরীরের নানান হরমোনের নিঃসরণের উপরে সরাসরি প্রভাব ফেলে। এর ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই তামাক সেবন করলে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তামাক মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তামাক সেবন করলে মস্তিষ্কে অসাড়তা তৈরি হয়। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। স্মৃতিশক্তির উপরেও প্রভাব পড়ে। তাই তামাক সেবন শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকারক (Tobacco Health Risks)।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্কুল স্তর থেকে তামাক নিয়ে লাগাতার কর্মসূচি প্রয়োজন। তামাক সেবন থেকে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তামাক সেবন হার্ট অ্যাটাক, কিডনির রোগ এবং নানান সংক্রামক রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। এই সম্পর্কে সর্বস্তরে বারবার জানানো দরকার। স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি হলে তবেই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস কমবে। এর পাশপাশি প্রয়োজন কাউন্সেলিং। স্কুলে স্কুলে বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের বোঝানো‌ দরকার। তাঁদের পরামর্শ, প্রয়োজনে কাউন্সেলিং করা দরকার। বন্ধু মহলে স্মার্ট দেখানো বা নিজেকে আধুনিক প্রমাণের হাতিয়ার অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। বরং ধূমপান একেবারেই একটি খারাপ অভ্যাস। এর সঙ্গে আধুনিকতার কোনো মেলবন্ধন হয় না। এটা বোঝানো এবং প্রচার জরুরি। তামাকের ক্ষতিকারক দিকগুলোর (Tobacco Health Risks) পাশপাশি এই দিক থেকেও বিষয়টি বারবার কম বয়সিদের সামনে তুলে ধরতে হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবেই তামাক সেবন নিয়ে সচেতনতা (Tobacco awareness) গড়ে উঠবে। এর পাশপাশি তামাকজাত পণ্যও যেন স্কুল পড়ুয়াদের কাছে সহজে না পৌঁছয় সে সম্পর্কে প্রশাসনকে সতর্ক হতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share