Author: Susanta Das

  • Snoring: ঘুমের পরেই নাক ডাকার আওয়াজে হিমশিম! কোনও রোগের ইঙ্গিত কি?

    Snoring: ঘুমের পরেই নাক ডাকার আওয়াজে হিমশিম! কোনও রোগের ইঙ্গিত কি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দুপুরের ভুরিভোজের পরের স্বল্প সময়ের সুখ নিদ্রায় হোক কিংবা দিনভরের ক্লান্ত শরীরে রাতের বিছানায় গভীর ঘুমে, ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে নিজের নাক! এমন নাকের ডাক, যে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের তো বটেই, নিজের ঘুম ও অনেক সময় ভেঙে যাচ্ছে। নাক ডাকার বিচিত্র অদ্ভুত আওয়াজ নিয়ে রসিকতা ও করছেন পরিবার। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিছক মজার বিষয় মনে হলেও ব্যাপারটা আসলে খুবই গুরুতর। স্বাস্থ্য নিয়েও উদ্বিগ্ন হওয়ার মতোই একটি সমস্যা। তাই পরিবারের কেউ মারাত্মক নাক ডাকলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। বরং চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কেন নাক ডাকার সমস্যা হয়?

    স্থূলতার সমস্যা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নাক ডাকার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত ওজন। দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে ঘুমের সময় নাক দিয়ে আওয়াজ হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওজন বেড়ে যাওয়ার অর্থ শরীরে অতিরিক্ত চর্বি বা মেদ তৈরি হয়ে যাওয়া। গলা এবং ঘাড়ের অংশে অতিরিক্ত মেদ তৈরি হয়ে যাওয়ার কারণে শ্বাসনালীতে চাপ পড়ে। আর সেই জন্য নাক ডাকার সমস্যা দেখা যায়।

    অ্যালার্জিজনিত সমস্যা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যালার্জির কারণেও নাক ডাকার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই অনেকে নানান অ্যালার্জিতে ভোগেন। যার জেরে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো কিংবা সর্দির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। আর তার জেরেই নাক ডাকার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।

    মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস!

    মদ্যপান ও ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। লিভার, ফুসফুসের একাধিক রোগের কারণ এই দুই অভ্যাস। আবার নাক ডাকার মতো সমস্যাও বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ধুমপান করলে ঘুমের সময় মুখ ও গলার পেশি শিথিল হয়ে যায়। এর ফলেই নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় অদ্ভুত একটা আওয়াজ তৈরি হয়। ফলে নাক ডাকার সমস্যা দেখা দেয়।

    ভিটামিন ডি অভাব!

    সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নাক ডাকার অন্যতম কারণ ভিটামিন ডি-র অভাব। ওই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী চিকিৎসক-গবেষকদের একাংশ বলছেন, ভিটামিন ডি যেমন শরীরের হাড় মজবুত করতে প্রয়োজনীয়। তেমনি শরীরে গভীর ঘুমের জন্য ও ভিটামিন ডি জরুরি। শরীরের সমস্ত পেশি, স্নায়ুর বিশ্রাম প্রয়োজন। তবেই শরীর আবার নতুনভাবে কাজের শক্তি পাবে। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকলে ঘুমের গুণগত মান বাড়ে। অর্থাৎ শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শরীরে ভিটামিন ডি অভাব থাকলে ঠিকমতো ঘুম হয় না।‌ ফলে পেশি ও স্নায়ুর কার্যক্ষমতা কমে। নাক ডাকার মতো সমস্যাও তৈরি হয়।

    কেন নাক ডাকার সমস্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নাক ডাকার সমস্যা একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। ঘুমের মধ্যে শ্বাসনালীতে ঠিকমতো অক্সিজেন পৌঁছয় না। নিঃশ্বাস ও প্রশ্বাস প্রক্রিয়ায় বাধা‌ তৈরি হয়। তার জেরেই নাক ডাকার মতো সমস্যা তৈরি হয়। তাই অতিরিক্ত নাসিকা‌ গর্জনে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো বিপদ ও ঘটতে পারে। ঘুমের ভিতরে হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো বিপদ ঘটনার পিছনেও থাকে নাক ডাকার সমস্যা। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। অতিরিক্ত নাক ডাকার সমস্যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো রোগের জন্ম দেয়। তাই নাক ডাকার মতো সমস্যা মোটেও অবহেলা করা উচিত নয় বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Swami Vivekananda: ‘‘সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অফ আমেরিকা…’’, ১৩২তম বর্ষপূর্তিতে ফিরে দেখা স্বামীজির শিকাগো ভাষণ

    Swami Vivekananda: ‘‘সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অফ আমেরিকা…’’, ১৩২তম বর্ষপূর্তিতে ফিরে দেখা স্বামীজির শিকাগো ভাষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১১ সেপ্টেম্বর, স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) শিকাগো ভাষণের ১৩২তম বর্ষপূর্তি। ১৮৯৩ সালের এই দিনেই বিশ্বধর্ম সম্মেলনে হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন শ্রী রামকৃষ্ণের শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর শিকাগো ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেছিলেন, ‘‘সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অফ আমেরিকা…’’ এখানেই প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে করতালি চলতে থাকে। কারণ প্রথমবারের জন্য বিশ্ববাসীকে কেউ ‘ভাই ও বোন’ বলে সম্বোধন করেন শিকাগো ধর্ম সম্মেলনে। তাঁর আগের বক্তারা প্রত্যকেই ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’ বলেই সম্বোধন করেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ সেখানে তুলে ধরেন ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর কথা (Vivekananda Chicago Speech)। ভারতের সীমাহীন সভ্যতার কথা। ভারতবর্ষের সনাতন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও পরম্পরার কথা। সেখানেই শোনান এদেশের ধর্মীয় সহিষ্ণুতার কথা। ভারতবর্ষ কোনও ধর্মের ওপর কখনও আঘাত হানেনি, সে কথাও সেখানে তুলে ধরেন স্বামীজি। বিশ্ব মঞ্চে স্বামীজির ভাষণ সেদিন আলোড়ন তৈরি করে। ভারতীয় সভ্যতার মর্যাদা ব্যাপকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন স্বামীজি তাঁর নিজের ভাষণের মধ্য দিয়ে। তাঁর সেদিনের ভাষণের নির্বাচিত কিছু অংশের বিশ্লেষণ নীচে করা হল।

    পৃথিবীর মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সন্ন্যাসী-সমাজের পক্ষ হইতে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জানাইতেছি

    ‘‘হে আমার আমেরিকাবাসী ভগিনী ও ভ্রাতৃবৃন্দ, আজ আপনারা আমাদিগকে যে আন্তরিক ও সাদর অভ্যর্থনা করিয়াছেন, তাহার উত্তর দিবার জন্য উঠিতে গিয়া আমার হৃদয় অনির্বচনীয় আনন্দে পরিপূর্ণ হইয়া গিয়াছে। পৃথিবীর মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সন্ন্যাসী-সমাজের পক্ষ হইতে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জানাইতেছি। সর্বধর্মের যিনি প্রসূতি-স্বরূপ, তাঁহার নামে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিতেছি। সকল জাতি ও সম্প্রদায়ের অন্তর্গত কোটি কোটি হিন্দু নরনারীর হইয়া আমি (Swami Vivekananda) আপনাদিগকে ধন্যবাদ দিতেছি।’’

    আমরা শুধু সকল ধর্মকেই সহ্য করিনা, সকল ধর্মকেই আমরা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করি

    ‘‘এই সভামঞ্চে সেই কয়েকজন বক্তাকেও আমি ধন্যবাদ জানাই, যাঁহারা প্রাচ্যদেশীয় প্রতিনিধিদের সম্বন্ধে এরূপ মন্তব্য প্রকাশ করিলেন যে, অতি দূরদেশবাসী জাতিসমূহের মধ্য হইতে যাঁহারা এখানে সমাগত হইয়াছেন, তাঁহারাও বিভিন্ন দেশে পরধর্মসহিষ্ণুতার ভাব প্রচারের গৌরব দাবি করিতে পারেন। যে ধর্ম জগৎকে চিরকাল পরমতসহিষ্ণুতা ও সর্বাধিক মত স্বীকার করার শিক্ষা দিয়া আসিতেছে, আমি সেই ধর্মভুক্ত বলিয়া নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি। আমরা শুধু সকল ধর্মকেই সহ্য করি না, সকল ধর্মকেই আমরা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করি। যে ধর্মের পবিত্র সংস্কৃত ভাষায় ইংরেজি ‘এক্সক্লুশন’ (ভবার্থঃ বহিষ্হকরণ, পরিবর্জন) শব্দটি অনুবাদ করা যায় না, আমি সেই ধর্মভুক্ত বলিয়া গর্ব অনুভব করি। যে জাতি পৃথিবীর সকল ধর্মের ও সকল জাতির নিপীড়িত ও আশ্রয়প্রার্থী জনগণকে চিরকাল আশ্রয় দিয়া আসিয়াছে, আমি (Swami Vivekananda) সেই জাতির অর্ন্তভুক্ত বলিয়া নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি।’’

    আমরাই ইহুদীদের খাঁটি বংশধরগণের অবশিষ্ট অংশকে সাদরে হৃদয়ে ধারণ করিয়া রাখিয়াছি

    ‘‘আমি আপনাদের এ কথা বলিতে গর্ব অনুভব করিতেছি যে, আমরাই ইহুদিদের খাঁটি বংশধরগণের অবশিষ্ট অংশকে সাদরে হৃদয়ে ধারণ করিয়া রাখিয়াছি; যে বৎসর রোমানদের ভয়ংঙ্কর উৎপীড়নে তাহদের পবিত্র মন্দির বিধ্বস্ত হয়, সেই বৎসরই তাহারা দক্ষিণভারতে আমাদের মধ্যে আশ্রয়লাভের জন্য আসিয়াছিলেন। জরাথুষ্ট্রের অনুগামী মহান পারসিক জাতির অবশিষ্টাংশকে যে ধর্মাবলম্বীগণ আশ্রয় দান করিয়াছিল এবং আজ পর্যন্ত যাহারা তাঁহাদিগকে প্রতিপালন করিতেছেন, আমি তাঁহাদেরই অন্তর্ভুক্ত।’’

    যত মত তত পথের কথা (Vivekananda Chicago Speech)

    ‘‘বিভিন্ন নদীর উৎস বিভিন্ন স্থানে, কিন্তু তাহারা সকলে যেমন এক সমুদ্রে তাহাদের জলরাশি ঢালিয়া মিলাইয়া দেয়, তেমনই হে ভগবান, নিজ নিজ রুচির বৈচিত্র্যবশতঃ সরল ও কুটিল নানা পথে যাহারা চলিয়াছে, তুমিই তাহাদের সকলের একমাত্র লক্ষ্য। পৃথিবীতে এযাবৎ অনুষ্ঠিত সম্মেলনগুলির মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাসম্মেলনে গীতা-প্রচারিত সেই অপূর্ব মতেরই সত্যতা প্রতিপন্ন করিতেছি, সেই বাণীই ঘোষণা করিতেছিঃ ‘যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম্। মম বর্ত্মানুবর্তন্তে মনুষ্যাঃ পার্থ সর্বশঃ।।’ (যে কোনও ব্যক্তি যে ভাব আশ্রয় করিয়া আসুক না কেন, আমি তাহাকে সেই ভাবেই অনুগ্রহ করিয়া থাকি। হে অর্জুন মনুষ্যগণ সর্বতোভাবে আমার পথেই চলিয়া থাকে)।’’

    সাম্পদায়িকতা, গোঁড়ামি ও এগুলির ভয়াবহ ফলস্বরূপ ধর্মোন্মত্ততা এই সুন্দর পৃথিবীকে বহুকাল অধিকার করিয়া রাখিয়াছে

    ‘‘সাম্পদায়িকতা, গোঁড়ামি ও এগুলির ভয়াবহ ফলস্বরূপ ধর্মোন্মত্ততা এই সুন্দর পৃথিবীকে বহুকাল অধিকার করিয়া রাখিয়াছে। ইহারা পৃথিবীকে হিংসায় পূর্ণ করিয়াছে, বরাবার ইহাকে নরশোণিতে সিক্ত করিয়াছে, সভ্যতা ধ্বংস করিয়াছে এবং সমগ্র জাতিকে হতাশায় মগ্ন করিয়াছে। এই-সকল ভীষণ পিশাচগুলি যদি না থাকিত, তাহা হইলে মানবসমাজ আজ পূর্বাপেক্ষা অনেক উন্নত হইত। তবে ইহাদের মৃত্যুকাল উপস্থিত; এবং আমি সর্বতোভাবে আশা করি, এই ধর্ম-মহাসমিতির সন্মানার্থ আজ যে ঘণ্টাধ্বনি নিনাদিত হইয়াছে, তাহাই সর্ববিধ ধর্মোন্মত্ততা, তরবারি অথবা লিখনীমুখে অনুষ্ঠিত সর্বপ্রকার নির্যাতন এবং একই লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর ব্যক্তিগণের মধ্যে সর্ববিধ অসদ্ভাবের সম্পূর্ণ অবসানের বার্তা ঘোষণা করুক।’’

    খেতড়ির রাজা অজিত সিংহের সাহায্যে স্বামীজি পৌঁছান আমেরিকা

    খুব সহজে অবশ্য স্বামীজির (Swami Vivekananda) আমেরিকা সফর সম্পন্ন হয়নি। উত্তর-পূর্ব রাজস্থানে খেতড়ির রাজা অজিত সিং স্বামী বিবেকানন্দকে শিকাগো যাওয়ার জন্য ‘ওরিয়েন্ট’ জাহাজে ফার্স্ট ক্লাসের টিকিট কিনে দেন বলে জানা যায়। কিন্তু সেখানে গিয়েও তাঁকে সহ্য করতে হয়েছিল দারুণ দুঃখ-কষ্ট। তিনি শিকার হন বর্ণ-বিদ্বেষের। কারণ তৎকালীন আমেরিকায় পাশ্চাত্যের লোকেদের কাছে এই ভারত ছিল অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া। শিকাগো পৌঁছে শেষ পর্যন্ত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন হেনরি রাইটের ব্যক্তিগত পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে বিবেকানন্দ (Swami Vivekananda) ওই সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন (Vivekananda Chicago Speech)।

  • ISIS Terrorists Arrested: দেশে আইএস-এর বড় চক্র ফাঁস, দিল্লি ও রাঁচি থেকে গ্রেফতার ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি

    ISIS Terrorists Arrested: দেশে আইএস-এর বড় চক্র ফাঁস, দিল্লি ও রাঁচি থেকে গ্রেফতার ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে নাশকতার জাল বিছাচ্ছে ইসলামিক স্টেট! ভারতে বসেই সন্ত্রাসের ছক কষছে ইসলামিক স্টেট! দিল্লি ও ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে দুই আইএস জঙ্গির গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

    বড় জঙ্গি-চক্র ফাঁস

    ভারতে বড়সড় নাশকতামূলক হামলা হওয়ার আগেই বড় জঙ্গি-চক্র ফাঁস করল দেশের গোয়েন্দাবাহিনী। খবরে প্রকাশে, বিশেষ সূত্রে গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে দেশের দুটি শহরের দুটি ডেরায় হানা দেয় দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। একদিকে, ঝাড়খণ্ড সন্ত্রাসদমন স্কোয়াড (এটিএস) এবং রাঁচি পুলিশের যৌথ সহায়তায় রাঁচির ইসলামনগর এলাকা থেকে এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম আজহার দানিশ। আদতে সে বোকারো জেলার পেটওয়ারের বাসিন্দা। অন্যদিকে, রাজধানী অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয় আফতাব নামে আর এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে। দুজনকে জেরা করা হচ্ছে। প্রাথমিক অনুমান, এই দুই যুবক জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া, দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে আরও ৬ জনকে।

    আইএস-এর এজেন্ট আজহার-আফতাব

    প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ধৃত আফতাব ও দানিশের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক বৈদ্যুতিন যন্ত্রের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে পুরনো এক মামলায় দীর্ঘদিন ধরে দানিশকে খুঁজছিল পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সন্দেহভাজন কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। সেই মতো, তদন্তে নামে পুলিশ। তাতেই আইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে স্পষ্ট যোগ পাওয়া যায় দানিশের। সঙ্গে আফতাবরও। দিল্লি পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ভারতে আইএসআইএস-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করত অভিযুক্তরা। ফলে, এই দুজনের গ্রেফতারি সন্ত্রাসদমন অভিযানে বড় সাফল্য। সন্দেহভাজন দুই জঙ্গিকে জেরা করে ভারতে আইসিস নেটওয়ার্কের খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    মাথাচাড়া দিচ্ছে আইএস

    ইরাক ও সিরিয়া থেকে কার্যত মুছে যাওয়ার পর ইসলামিক স্টেট মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এশিয়ার নানা প্রান্তে। তবে হারলেও এখনও যথেষ্ট শক্তি ধরে সংগঠনটি। সংগঠনটির লক্ষ্য ছিল বিশ্বজুড়ে ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠা। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় গোপনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। নেপাল, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানের বহু সন্ত্রাসী ভারতে প্রবেশ করছে। পূর্বে ভারতের কেরল-সহ আরও একাধিক রাজ্যে এই সংগঠনের তৎপরতা নজরে এসেছে।
    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • Suicide Prevention: ‘আত্মহত্যা’ সবচেয়ে বড় ‘মহামারি’! কীভাবে রুখবেন প্রবণতা?

    Suicide Prevention: ‘আত্মহত্যা’ সবচেয়ে বড় ‘মহামারি’! কীভাবে রুখবেন প্রবণতা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আত্মহত্যা (Suicide) নিয়ে কটাক্ষ নয়। বরং আত্মহত্যা সম্পর্কে সতর্কতা জরুরি। প্রতিবছর ১০ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড সুইসাইড প্রিভেনশন ডে (World Suicide Prevention Day) পালিত হয়। এছাড়া, ভারতে ৭ থেকে ১৩ তারিখ ন্যাশনাল সুইসাইড প্রিভেনশন উইক (National Suicide Prevention Week) পালিত হচ্ছে। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশ জুড়ে আত্মহত্যা সম্পর্কে সতর্কতা ও সচেতনতা জরুরি (Prevent Suicide)। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আত্মহত্যা ‘মহামারি’-র আকার ধারণ করবে। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই ভয়ঙ্কর প্রবণতা মারাত্মক ভাবে‌ বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) তথ্য অনুযায়ী, ভারতে গত তিন বছরে প্রায় ২৭ শতাংশ আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারেন, সেই লক্ষণ সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরি। আর এই মহামারি রুখতে সবচেয়ে জরুরি মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) সম্পর্কে সচেতন হওয়া। তাই দেশ জুড়ে চলছে আত্মহত্যা সম্পর্কে সচেতনতা (Suicide Awareness) কর্মসূচি।

    কাদের জন্য উদ্বেগ বাড়ছে? কর্মশালার লক্ষ্য কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা বেশি দেখা যাচ্ছে। মানসিক অবসাদ (Mental Depression), হতাশা বাড়ছে।‌ তার থেকেই আত্মহত্যার চেষ্টা বাড়ছে। গত কয়েক বছরে ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। বিশেষত ছেলেদের মধ্যে এই ঘটনা আরও বেশি। চলতি বছরে ন্যাশনাল সুইসাইড প্রিভেনশন উইক উপলক্ষে দেশ জুড়ে সচেতনতা কর্মসূচি (Prevent Suicide) পালন চলছে। মূল লক্ষ্য আত্মহত্যা নিয়ে কটাক্ষ বন্ধ করা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে এ দেশে সচেতনতার হার এখনও অনেক কম। তাই কেউ আত্মহত্যা করবেন, জানালে অনেকেই এ নিয়ে কটাক্ষ করেন।

    এমন কথা অনেক সময়েই বলা হয়, যাতে সেই ব্যক্তির আত্মহত্যা করার ঝোঁক আরও বেড়ে যায়‌। আবার পরিবারের কেউ আত্মহত্যা করলে বাকিদের অনেক সময়েই নানান সামাজিক কটাক্ষের শিকার হতে হয়। যার ফলে তাদের মধ্যেও হতাশা তৈরি হয়। আত্মহত্যার ঝুঁকিও বাড়ে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আত্মহত্যা নিয়ে কটাক্ষ নয়। বরং আত্মহত্যার লক্ষণ সম্পর্কে সতর্কতা জরুরি। এই লক্ষ নিয়েই মূলত দেশ জুড়ে একাধিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। মূলত স্কুলগুলোতে নাটক, নাচ, গানের মাধ্যমে এই বিষয়ে কর্মশালা চলছে।‌ যাতে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি হয়। অবসাদ কিংবা হতাশার মতো সমস্যা হলে কীভাবে‌ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া যায় এবং আবার স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায় সে সম্পর্কেও জানানো হচ্ছে।

    কীভাবে আত্মহত্যার প্রবণতা (Suicidal Tendencies) রুখবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আত্মহত্যার ঘটনা কমানোর জন্য এই সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হঠাৎ কেউ অতিরিক্ত চুপচাপ হয়ে গেলে পরিবারের অন্য সদস্যদের সতর্ক‌ (Prevent Suicide) থাকা প্রয়োজন। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েরা যদি দিনের অতিরিক্ত সময় ঘর বন্ধ করে একলা থাকে, তাহলে বাড়তি নজরদারি জরুরি। একাকিত্ব আত্মহত্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। পরিবারের কেউ কোনও ঘটনায় মারাত্মক আবেগপ্রবণ হয়ে উঠলেও বাকিদের সতর্কতা জরুরি। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে, অনেক সময় আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটে।

    বন্ধু কিংবা পরিবারের কোনও সদস্য মানসিক অবসাদে ভুগছেন কিনা সে সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরি। আত্মহত্যার অন্যতম কারণ মানসিক অবসাদ। অনেক সময়েই অবসাদের মতো জটিল রোগকে নিছক মন খারাপের তকমা দেওয়া হয়। এর ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটে। তাই এই সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরি।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, আত্মহত্যা রুখতে শুধুই কথা বলা নয়। প্রয়োজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং চিকিৎসা। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ রাখতে‌ যেমন রোগীকে, তাঁর পরিবারের যত্নের পাশাপাশি চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধের প্রয়োজন হয় (Prevent Suicide)। ঠিক তেমনি আত্মহত্যার প্রবণতার মতো জটিল মানসিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন থেরাপি। তাই পরিবার ও বন্ধুদের পাশে থাকার পাশপাশি মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও থেরাপিও জরুরি। তাই কাছের মানুষের মধ্যে এই ধরনের প্রবণতা তৈরি হলে দেরি করা উচিত নয়। বরং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। তবেই‌ বড় বিপদ আটকানো সম্ভব হবে। আত্মহত্যাকে মহামারির আকার দেওয়া যাবে না।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Old Age Ailments: ডায়াবেটিস থেকে ব্রেন ফগ, বার্ধক্যের একাধিক রোগকে কাবু করবে নারকেল!

    Old Age Ailments: ডায়াবেটিস থেকে ব্রেন ফগ, বার্ধক্যের একাধিক রোগকে কাবু করবে নারকেল!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পশ্চিমবঙ্গ থেকে মহারাষ্ট্র, কিংবা, কেরল থেকে উত্তরপ্রদেশ, ভারতের সর্বত্র নারকেল খুব সহজলভ্য একটি ফল। বাড়ির একটুকরো উঠোনেও নারকেল গাছ নিজের জায়গা সহজেই করে নেয়। একঘেয়ে তরকারির স্বাদ বাড়াতে কিংবা উৎসবের মিষ্টির তৈরির উপাদান হিসাবে নারকেল ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও একাধিক শুভ কাজে নারকেল ব্যবহারের রীতি রয়েছে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু স্বাদের নিরিখেই নয়। স্বাস্থ্যের জন্যও নারকেল খুবই উপকারি! নিয়মিত নারকেল খেলে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। নারকেলের পুষ্টিগুণ প্রচুর।

    কোন রোগ মোকাবিলায় নারকেল বিশেষ সাহায্য করে?

    ব্রেন ফগ রুখতে বিশেষ সাহায্য করে!

    মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখা, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আধুনিক ব্যস্ত জীবনে বয়স পঞ্চাশের চৌকাঠে যাওয়ার আগেই স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। প্রৌঢ় বয়সে স্বাভাবিক জীবন যাপনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে উঠছে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যা। পাশাপাশি হঠাৎ করেই সাধারণ বিভিন্ন বিষয়, নাম, ঠিকানা ভুলে যাওয়ার মতো সমস্যা ও দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের ভিতরে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ব্রেন ফগ। এর জেরেই এই ধরনের ভোগান্তি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত নারকেল খেলে ব্রেন ফগের ঝুঁকি কমবে‌। কারণ, নারকেলে আছে ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মতো একাধিক খনিজ পদার্থ। এই খনিজগুলো মস্তিষ্কের স্নায়ুর উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। এর ফলে মস্তিষ্কের স্নায়ু সক্রিয় থাকে। ব্রেন ফগের ঝুঁকি কমে।

    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে!

    ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বয়সের সীমারেখা আর থাকছে না। ভারতে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নারকেল বিশেষ উপকারি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ফলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে এই ফল বিশেষ সাহায্য করে। ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা নারকেল খেলে বিশেষ উপকার পাবেন বলেই মত পুষ্টিবিদদের একাংশের।

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে!

    যে কোনও জীবাণু সংক্রমণ রুখতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নারকেল নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ ভোগান্তি এড়াতে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন নারকেল খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নারকেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। তাই নারকেল খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। যে কোনও ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাস ঘটিত অসুখ কাবু করা সহজ‌ হয়।

    ফাইবার হজমে সাহায্য করে!

    নারকেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নারকেল খেলে হজম সহজে হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কম হয়।

    ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়!

    ভারত গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। বছরের বেশিরভাগ সময় গরমের নাজেহাল হতে হয়। অতিরিক্ত ঘামের জেরে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা যায়। তার ফলে নানান শারীরিক ঝুঁকিও তৈরি হয়। নারকেল কিংবা ডাবের জল এই ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত নারকেল কিংবা ডাবের জল খেলে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ হবে। আবার ডাব কিংবা নারকেলের জলে থাকে একাধিক উপকারি খনিজ‌ পদার্থ। এগুলো স্বাস্থ্যের পক্ষে বিশেষ উপকারি। দূর্বলতা কমাতেও এগুলো বিশেষ সাহায্য করে।

    তবে নারকেলের একাধিক গুণ থাকলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নারকেল অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে দেহের ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নারকেলে থাকে ফ্যাট। তাই অতিরিক্ত নারকেল নিয়মিত খেলে স্থুলতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার হৃদরোগের ঝুঁকিও তৈরি করে। তাই পরিমিত পরিমাণে নারকেল খেলে শরীরে উপকার হয়। বাড়তি সমস্যা তৈরি হয় না। বরং একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Total Lunar Eclipse: ৮২ মিনিট ধরে রাতের আকাশে ‘ব্লাড মুন’! রবিবার চন্দ্রগ্রহণ, বিরল ঘটনা দেখবে কলকাতা

    Total Lunar Eclipse: ৮২ মিনিট ধরে রাতের আকাশে ‘ব্লাড মুন’! রবিবার চন্দ্রগ্রহণ, বিরল ঘটনা দেখবে কলকাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৭ সেপ্টেম্বর, এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকার সুযোগ রয়েছে কলকাতা তথা ভারতবাসীর। আগামী রবিবার হতে চলেছে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse)। এটিই বছরের দ্বিতীয় এবং শেষ চন্দ্রগ্রহণ। সবচেয়ে বড় কথা, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে রাতের আকাশে ‘ব্লাড মুন’ (Blood Moon) প্রত্যক্ষ করতে পারবেন সকলে। এত সময় ধরে পূর্ণগ্রাসের পর্ব চলা সত্যিই বিরল। মোট গ্রহণের প্রক্রিয়া চলবে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এটিই অন্যতম দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ।

    দেখা যাবে কলকাতা থেকে, ৮২ মিনিট ধরে ‘ব্লাড মুন’!

    জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ৭-৮ তারিখে যে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse) হবে, তা চলবে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে। সাম্প্রতিক সময়ে এতক্ষণ ধরে চন্দ্রগ্রহণ সে ভাবে হয়নি। এটি ৭ সেপ্টেম্বর রাত ০৯টা ৫৭ মিনিট থেকে শুরু হবে। শেষ হবে ৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাত ১টা ২৬ মিনিটে। চন্দ্রগ্রহণের মোট সময়কাল ৩ ঘন্টা ২৯ মিনিট। তবে, পূর্ণগ্রাস শুরু হবে রাত ১১টা থেকে। চলবে ১২টা ২২ মিনিট পর্যন্ত। অর্থাৎ, পুরো ৮২ মিনিট! আর এই গোটা সময়টায় চাঁদের রং হয়ে উঠবে রক্তিম (Blood Moon)। ভারতের প্রায় সব শহর থেকেই দেখা যাবে। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, পুণে, লখনউ, হায়দরাবাদ, চণ্ডীগড় থেকে স্পষ্ট এই গ্রহণ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আবহাওয়া অবশ্যই অনুকূল থাকতে হবে। এছাড়াও, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, নিউজিল্যান্ড, ফিজি দ্বীপপুঞ্জ এবং অ্যান্টার্কটিকার কিছু অংশে এই গ্রহণ দেখা যাবে।

    কী এই ‘ব্লাড মুন’ (Blood Moon), কেন এত আগ্রহ?

    ব্লাড মুন নিয়ে অনেক গল্প রয়েছে। রূপকথা থেকে শুরু করে হাড়হিম করা ভৌতিক কাহিনিতে ব্লাড মুন-এর একটা আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। শুধু তাই নয়। বহু প্রাচীন সভ্যতায় এর নির্দশন মেলে। এমনকী, এখনও পৃথিবীর বহু সংস্কৃতিতে ব্লাড মুন পৌরাণিক কাহিনী ও কুসংস্কারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে, যেখানে একে পরিবর্তন বা রূপান্তরের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। তবে, বিজ্ঞানের ব্যাখ্যায় ব্লাড মুন হয় আলোর তরঙ্গের কারণে। তাঁদের মতে, চাঁদের নিজস্ব আলো নেই। তার উপর সূর্যের আলো পড়ে। সেই আলো প্রতিফলিত হলে, আমরা চাঁদকে দেখতে পাই। গ্রহণ তখনই ঘটে, যখন সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই সরলরেখায় চলে আসে। চন্দ্রগ্রহণের (Total Lunar Eclipse) ক্ষেত্রে চাঁদ এবং সূর্যের মাঝে পৃথিবী চলে আসে। ফলে, সূর্যের আলো আর চাঁদে পড়ে না। বদলে পৃথিবীর ছায়া পড়ে চাঁদের উপরে। তখনই হয় চন্দ্রগ্রহণ। চাঁদ পুরোপুরি কালো কিন্তু হয় না। বদলে লাল হয়ে ওঠে। সূর্য আর চাঁদের মাঝে পৃথিবী চলে এলে সূর্যের রশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ধাক্কা খায়। এই বায়ুমণ্ডল ছোট তরঙ্গ (নীল এবং বেগুনি)-কে ছেঁকে নেয়। শুধু দীর্ঘ (লাল, কমলা) তরঙ্গই চাঁদে গিয়ে পৌঁছোয়। সে কারণে চাঁদকে রক্তিম দেখায়। তাকেই বলা হয় ‘ব্লাড মুন’ (Blood Moon)।

  • Anxiety in Children: পরীক্ষার আগে সন্তানের বাড়তি মানসিক চাপ নিয়ে চিন্তিত! ঘরোয়া খাবারেই লুকিয়ে সমাধান

    Anxiety in Children: পরীক্ষার আগে সন্তানের বাড়তি মানসিক চাপ নিয়ে চিন্তিত! ঘরোয়া খাবারেই লুকিয়ে সমাধান

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পড়াশোনার চাপ বাড়ছে। তার সঙ্গে নানান চাপ বাড়তি মানসিক উদ্বেগ তৈরি করছে। অভিভাবকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তানের পড়াশোনার চাপ তাদের মনের উপরেও বাড়তি চাপ তৈরি করছে। এর ফলে তাদের মধ্যে একধরনের উদ্বেগ (Anxiety in Children) তৈরি হচ্ছে।

    পরীক্ষার আগে বাড়ছে উদ্বেগ

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের একাংশ এই মানসিক উদ্বেগের সমস্যায় (Mental Stress Among Children) ভুগছে। যে কোনও পরীক্ষার আগে তাদের মধ্যে এই উদ্বেগ বাড়ছে। এর ফলে তারা সহজ বিষয় ও মনে রাখতে পারছে না। স্মৃতিশক্তি ঠিকমতো কাজ করছে না। আবার আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। সন্তানের এই মানসিক উদ্বেগ (Anxiety in Children) নিয়ে চিন্তিত বাবা-মায়েরা। তবে, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কয়েকটি ঘরোয়া খাবারেই (Homemade Foods) সমাধান পাওয়া যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানসিক স্বাস্থ্য (Child Mental Health) ভালো রাখতে, চাপ কমাতে এবং উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে এই ঘরোয়া উপাদান বিশেষ উপকারি।

    মানসিক উদ্বেগ (Anxiety in Children) কমাতে কোন ঘরোয়া উপদানে ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    কুমড়োর বীজ!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতের একাধিক উপাদান শরীর ও মনের জন্য বিশেষ উপকারি। কুমড়োর বীজ‌ তেমনি একটি উপাদান। তাঁরা জানাচ্ছেন, কুমড়োর বীজে থাকে পটাশিয়াম। এই খনিজ সম্পদ শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও বিশেষ উপকারি। তাই কুমড়োর বীজ ভালোভাবে শুকনো করে খেলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। উদ্বেগ কমে। তাছাড়া বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের হরমোন ঘটিত নানান পরিবর্তনের জেরে অনেক সময় মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। কুমড়োর বীজ খেলে মেজাজ শান্ত থাকে।

    বাদাম!

    যেকোনও ধরনের বাদাম মস্তিষ্কের জন্য বিশেষ উপকারি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঠবাদাম হোক কিংবা কাজুবাদাম, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে যেকোনও বাদাম বিশেষ সাহায্য করে। আবার বাদামে থাকে ভিটামিন ই, উপকারি ফ্যাট। এই দুই উপাদান মস্তিষ্কের স্নায়ুর জন্য বিশেষ ইতিবাচক। তাই বাদাম খেলে একদিকে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। আরেকদিকে মানসিক চাপ কমে। ফলে উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাছাড়া বাদাম অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই সন্তানের বাড়তি উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত বাদাম খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    টক দই!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের পাশপাশি মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও টক দই খুবই জরুরি একটি খাবার। নিয়মিত টক দই খেলে মন ভালো থাকার নিউরোট্রান্সমিটার উৎপাদন বাড়ে। এই খাবারে থাকে ভালো ব্যাকটেরিয়া যা শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে। নিয়মিত টক দই খেলে মানসিক উদ্বেগ কম তৈরি হয়। বরং মন শান্ত থাকে।

    কমলালেবু!

    কমলালেবু একটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। তাই এই ফল নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কের স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে। উদ্বেগ কমে।

    আদা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারের পাশপাশি রান্নার কিছু উপকরণ ও মানসিক উদ্বেগ (Anxiety in Children) কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তেমনি একটি উপকরণ হলো আদা। তাঁরা জানাচ্ছেন, আদাতে প্রদাহরোধী যৌগ থাকে। এটা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে বিশেষ সাহায্য করে।

    তবে শুধুমাত্র খাবারেই মানসিক উদ্বেগ পুরোপুরি কমবে না বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানসিক সুস্থতা অনেকটাই জীবন যাপনের ধরনের উপরে নির্ভর করছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরীক্ষার আগে বাড়তি চাপ যাতে তৈরি না হয়, তাই বছরভর একটি সুস্থ জীবন যাপনে অভ্যস্ত হওয়া জরুরি। নিয়মিত অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। অতিরিক্ত রাত জেগে না থাকা, নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া এবং শারীরিক কসরত করার মতো সুঅভ্যাস গড়ে‌ তোলা জরুরি। এর পাশপাশি, মানসিক চাপ কমাতে (Reduce Mental Stress) নিয়মিত গান শোনা বা ছবি আঁকার মতো সৃজনশীল কাজের দিনের কিছুটা সময় বরাদ্দ করা জরুরি। তাহলে বাড়তি উদ্বেগ (Anxiety in Children) তৈরির আশঙ্কা কমবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Teacher’s Day 2025: সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের স্মরণে আজ শিক্ষক দিবস, জেনে নিন তাঁর জীবনী

    Teacher’s Day 2025: সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের স্মরণে আজ শিক্ষক দিবস, জেনে নিন তাঁর জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ সেপ্টেম্বর গোটা দেশ জুড়ে পালিত হয় শিক্ষক দিবস (Teacher’s Day)। দিনটি যাঁর জন্মদিনের স্মরণে পালিত হয়, তিনি হলেন ড. সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ (Dr Sarvepalli Radhakrishnan)। শিক্ষা, উন্নয়ন এবং মানব কল্যাণকেই তিনি করে নিয়েছিলেন জীবনের ব্রত। কারণ শিক্ষার জগতে তাঁর অবদান অপরিসীম। তিনি একজন অত্যন্ত দক্ষ শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি, দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

    রাধাকৃষ্ণণের শিক্ষাজীবন (Teacher’s Day)

    ১৮৮৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ (Dr Sarvepalli Radhakrishnan) তামিলনাড়ুর তিরুত্তানিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাবা সর্বপল্লি বীরস্বামী এবং মা সীতাম্মা। লুথার্ন মিশনারি স্কুল, তিরুপতি এবং ভেলোরে প্রাথমিক শিক্ষা (Teacher’s Day)। ছোট থেকেই পড়াশোনায় তাঁর তেমন মন ছিল না। এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ানোই ছিল পয়লা পছন্দের। ছেলের এমন মতিগতি দেখে চিন্তায় পড়ে যান বাবা। তাই তাঁকে ভর্তি করিয়ে দেন ভেলোরের একটি মিশনারি স্কুলে। মন পড়াশোনায় না বসলে কী হবে, স্কুলজীবন থেকেই পড়াশুনায় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন তিনি। বরাবরই সে জন্য তিনি বৃত্তি পেয়ে এসেছেন। এরপর মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। ১৯১৬ সাল থেকে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন।

    বিবেচিত হয়েছিলেন নোবেল পুরস্কারের জন্যও

    জীবনের বড় সময় শিক্ষকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ছিলেন ছাত্র সমাজের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়। একবার তাঁকে ফুলসজ্জিত কার্ট নিয়ে স্টেশন থেকে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এরই মধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি যে সব বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায়। তাঁর হাতে সৃষ্টি হয়েছে একাধিক দার্শনিক গ্রন্থ, যা নিয়েও হইচই পড়ে গিয়েছিল। তাঁর ‘অ্যান আইডিয়ালিস্ট ভিউ অফ লাইফ’ বিবেচিত হয়েছিল নোবেল প্রাইজের জন্যও। ১৯৭৫ সালে ‘প্রগতিতে ধর্মের অবদান’ রচনা তাঁকে এনে দিয়েছিল ‘টেম্পলটন’ পুরস্কার। তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু কাজের মধ্যে রয়েছে— Reign of Religion in Contemporary Philosophy, Philosophy of Rabindranath Tagore, The Hindu View of Life, Kalki or the Future of Civilisation, An Idealist View of Life, The Religion We Need, India and China, and Gautama the Buddha.

    প্রশাসনিক জীবন

    সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ (Teacher’s Day) ১৯৩১ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এরপর ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এর মধ্যে, ১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ১৯৫২ সালে তিনি ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং ১৯৬২ সালে দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে, তিনি মরণোত্তর ভারতরত্ন পেয়েছিলেন।

    কেন পালিত হয় শিক্ষক দিবস? (Teacher’s Day)

    রাধাকৃষ্ণণ (Dr Sarvepalli Radhakrishnan) একজন মহান শিক্ষাবিদ। শিক্ষার প্রসারে তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। শিক্ষাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নিরন্তর ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। দেশে শিক্ষার প্রসারের জন্য ১৯৬২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষক দিবস পালন শুরু হয়। সেটা ছিল তাঁর ৭৭তম জন্মদিন। এই দিনে প্রথমবার শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। ১৯৬৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই দিনকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্কুল-কলেজে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ছাত্রছাত্রীরা নাচ, গান, আবৃত্তি সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান জানিয়ে থাকেন।

    আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস

    ৫ সেপ্টেম্বর দিনটিকে সম্মান জানিয়ে ১৯৯৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস (Teacher’s Day) পালন করা হয়ে থাকে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি বিশেষ সংগঠন ইউনেস্কো (ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন) এবং ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের যৌথ উদ্যোগে এই দিনটি স্মরণ করা হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস উদযাপন করার পিছনে একটি বড় কারণ হল, শিক্ষকদের শ্রমকে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি দেওয়া। সমাজ গঠনে শিক্ষকের বিশেষ ভূমিকা থাকে। তাই মানুষ গড়ার এই কারিগরদের শ্রমের মর্যাদা দেওয়ার জন্যই আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস পালন করা হয়ে থাকে।

  • Weather Update: সেপ্টেম্বর মাস জুড়েই বৃষ্টি হবে! পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের, মাটি হবে পুজো?

    Weather Update: সেপ্টেম্বর মাস জুড়েই বৃষ্টি হবে! পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের, মাটি হবে পুজো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসের শেষে দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই, মানুষ বৃষ্টি মাথায় করেই কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন। পাড়ায় পাড়ায় প্যান্ডেলের কাজও চলছে পুরোদমে। তার মধ্যেই আশঙ্কার কথা শোনাল আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। পূর্বাভাস, গোটা সেপ্টেম্বর মাস জুড়েই বৃষ্টি চলবে। পুজোয় বৃষ্টি হবে। লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস কার্যত দেওয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহবিদরা জানিয়েছেন, পুজোয় বর্ষা পুরো ছন্দেই থাকছে। এখনই বর্ষা বিদায়ের কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাঁদের মতে, অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে মৌসুমী বায়ু এবং মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় থাকতে পারে। তবে পুজোয় কোন দিন কতটা বৃষ্টি তা সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে নির্দিষ্ট করে জানাতে পারবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    বঙ্গোপসাগরে নতুন নিম্নচাপ

    এদিকে, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেতেও নিম্নচাপের বৃষ্টি অব্যাহত বঙ্গে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে (Weather Update)। বুধবার এটি ক্রমশ ও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বিকেলের পর সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং ওড়িশা উপকূলে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। মঙ্গলবার দিনভর জেলায় জেলায় দফায় দফায় বৃষ্টির পর আজ বুধবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা (Heavy Rain Alert) রয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই কলকাতায় আকাশের মুখভার। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েই চলেছে। বৃষ্টির জেরে ফের একবার কলকাতার নিচু এলাকাগুলি নতুন করে জলমগ্ন হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

    দক্ষিণবঙ্গে সতর্কতা

    আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট, নিম্নচাপের প্রভাবে চলতি সপ্তাহজুড়ে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিরও সতর্কতা রয়েছে (Weather Update)। পূর্বাভাস, আগামী ৪৮-ঘণ্টা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রামে। বৃহস্পতি ও শুক্রবারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলা— কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শনি ও রবিবার বৃষ্টি কমলেও সোমবার ফের বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে অনুমান।

    উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি

    অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি চলবে। আগামী ২৪-ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতে আজ প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে (Weather Update)। কম-বেশি বৃষ্টি চলতে পারে উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। শুক্রবার ও শনিবারও বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকবে। তবে রবিবার থেকে ফের বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। রবিবার ও সোমবার, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।

  • India Russia Defence: আরও ‘সুদর্শন-চক্র’ কিনতে উদ্যোগী ভারত, রাশিয়ার প্রস্তাব ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ সু-৫৭

    India Russia Defence: আরও ‘সুদর্শন-চক্র’ কিনতে উদ্যোগী ভারত, রাশিয়ার প্রস্তাব ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ সু-৫৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে সদ্যসমাপ্ত এসসিও সম্মেলেনর ফাঁকে নরেন্দ্র মোদি ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে একান্ত আলাপচারিতার ছবি সকলেই দেখেছেন। বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘প্রিয় বন্ধু’ বলে সম্বোধন করে বরাবরের মতোই হাতে-হাত মিলিয়ে চলার প্রতিজ্ঞা করেন। জবাবে মোদি বলেন, ‘‘কঠিন সময়েও ভারত ও রাশিয়া একে অপরের পাশে থেকেছে।’’ এর ঠিক দুদিন পরই দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সম্পর্কিত বড় খবর সামনে এল। একদিকে যেমন জানা যাচ্ছে, নয়াদিল্লিকে তেলের দামে আরও ছাড় দিতে চলেছে মস্কো। তেমনই সামরিক (India Russia Defence) ক্ষেত্রেও ভারতকে আরও শক্তিশালী করতে অতিরিক্ত ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ (S-400 Triumf) আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ‘সু-৫৭’ (Su-57) যুদ্ধবিমান নিয়ে কথা চালাচ্ছে রাশিয়া।

    ভারতকে রাশিয়ার প্রস্তাব

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা ৫০ শতাংশ শুল্কের কাছে মাথা নত না করা এবং সেই প্রবল চাপকে উপেক্ষা করে বন্ধু রাশিয়ার থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি জারি রাখার ‘লাভ’ তুলতে চলেছে ভারত! মোদি-পুতিন বৈঠকের পর আরও বৃদ্ধি পেতে চলেছে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সখ্যতা (India Russia Defence)। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি বিষয়ক এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার তাস সংবাদসংস্থা জানিয়েছে যে, আরও বেশি সংখ্যক এস-৪০০ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম সরবরাহ করা নিয়ে নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে আলোচনা চলছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার ‘ফেডারেল সার্ভিস ফর মিলিটারি-টেকনিক্যাল কোঅপারেশন’-এর প্রধান দিমিত্রি শুগায়েভ জানিয়েছেন, এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ (S-400 Triumf) আকাশ-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও বেশি কেনার বিষয়ে দুদেশের মধ্যে কথাবার্তা চলছে।

    আরও ‘সুদর্শন চক্র’ কেনার উদ্যোগ

    ২০১৮ সালে ভারত ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে রাশিয়ার সঙ্গে পাঁচটি এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ দূরপাল্লার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার চুক্তি করে। এর মধ্যে প্রথম তিনটি ইউনিট পৌঁছালেও, বাকি দুই ইউনিটের ডেলিভারি একাধিকবার পিছিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শেষ দুটি এস-৪০০ (S-400 Triumf) ইউনিট ভারতকে সরবরাহ করবে রাশিয়া ২০২৬ এবং ২০২৭ সালে। তার মধ্যেই বাড়তি ইউনিটের জন্য মস্কোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিল ভারত, বলে দাবি রুশ সংবাদসংস্থার। এখানে উল্লেখ করা দরকার, ভারতে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম পরিচিত ‘সুদর্শন চক্র’ নামে। গত মে মাসে অপারেশন সিঁদুরের সময় এই সুদর্শন চক্র দিয়ে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে ভারত।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ সু-৫৭

    একদিকে রাশিয়ার থেকে অতিরিক্ত এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম কেনার জন্য যেমন আলোচনা চালাচ্ছে ভারত, তেমনই অন্যদিকে, নয়াদিল্লির সামনে ফের একবার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ সু-৫৭ স্টেলথ যুদ্ধবিমানের প্রস্তাব পেড়েছে মস্কো (India Russia Defence)। সংবাদসংস্থা তাস-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়া এখন ভারতেই তাদের অত্যাধুনিক সু-৫৭ ফিফথ-জেনারেশন বা পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করার সম্ভাবনা যাচাই করছে। ভারতীয় বায়ুসেনার আধুনিক যুদ্ধবিমানের চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রস্তাবনার আওতায় কত পরিমাণ বিনিয়োগ লাগবে, তা নিয়ে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ বিস্তারিতভাবে গবেষণা করছে।

    একই কারখানায় সু-৩০ ও সু-৫৭!

    ভারত ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তাদের প্রয়োজন অন্তত দুই থেকে তিন স্কোয়াড্রন (৪০-৬০) পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। তার পর থেকেই, রাশিয়া বহুদিন ধরেই ভারতকে সি-৫৭ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য অনুরোধ করে আসছে। রাশিয়ার পেশ করা প্রস্তাব অনুয়ায়ী, বর্তমানে ভারতের হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ইতিমধ্যেই নাসিকের কারখানায় লাইসেন্স নিয়ে রাশিয়ার সু-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমান উৎপাদন করছে। প্রয়োজনে সেই একই কারখানাটিকে সু-৫৭ (Su-57) যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও, ভারতের বিভিন্ন কারখানায় ইতিমধ্যে রাশিয়ান প্রযুক্তির সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন হয়। যেগুলিকে ব্যবহার করে সু-৫৭ তৈরি করলে খরচ অনেকটাই কমে যাবে বলে অনুমান (India Russia Defence)।

    প্রসঙ্গত, ভারত আগে রাশিয়ার ফিফথ-জেনারেশন ফাইটার এয়ারক্রাফট প্রকল্পের অংশ ছিল। কিন্তু প্রায় ৮-১০ বছর আগে কিছু কারণবশত সেই প্রকল্প থেকে সরে আসে। তবে বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি দেখে এই পুরনো প্রকল্প আবার নতুন করে শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share