Author: Susanta Das

  • Edible Mushrooms: নিয়মিত মেনুতে থাকে মাশরুম! নয়া প্রজন্মের এই পছন্দের খাবার শরীরে কী প্রভাব ফেলে?

    Edible Mushrooms: নিয়মিত মেনুতে থাকে মাশরুম! নয়া প্রজন্মের এই পছন্দের খাবার শরীরে কী প্রভাব ফেলে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশের পছন্দের খাবারের তালিকায় থাকছে মাশরুম! কম বয়সিদের স্বাদের খবর পেয়েই শহরের নানান নামীদামী রেস্তোরাঁয় মাশরুমের হরেক পদ তৈরি হচ্ছে। ইতালি-চিন-জাপানের পদ থেকে ভারতীয়, নানান মশলা আর রান্নার ধরনে তৈরি হচ্ছে মাশরুম। তবে পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু স্বাদে নয়, স্বাস্থ্যের জন্য ও এই খাবার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মাশরুম নিয়ম মাফিক রান্না করে খেলে, তা শরীরে গভীর প্রভাব ফেলে। একাধিক অঙ্গের সুস্থতার সঙ্গে মাশরুম খাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    মাশরুম কেন খাওয়া দরকার?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাশরুম এক ধরনের উদ্ভিদ জাতীয় খাবার। কিন্তু এই খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও থাকে নানান খনিজ পদার্থ। যা শরীরে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নিয়মিত মাশরুম খেলে শরীরের সহজেই ভিটামিন এবং প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। পাশপাশি পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়ামের মতো একাধিক প্রয়োজনীয় উপাদানের জোগান ও হয়। বিশেষত যারা প্রাণীজ প্রোটিন খেতে চান না, তাদের জন্য বিকল্প খাবার হিসাবে মাশরুম খুবই উপকারি‌। ক্যান্সার থেকে হৃদরোগ, একাধিক জটিল অসুখের ঝুঁকি কমাবে মাশরুম। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    শরীরের কোন রোগ রুখতে সাহায্য করে মাশরুম?

    ক্যান্সার রুখতে পারে!

    সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকায় চিকিৎসক-গবেষকেরা জানাচ্ছেন, সপ্তাহে দুই থেকে তিন কাপ মাশরুম খেলে ক্যান্সারের ঝুকি ৪৫ শতাংশ কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, জাপান সহ পৃথিবীর একাধিক দেশে ক্যান্সার চিকিৎসায় মাশরুম ব্যবহার করা হয়। এমন কিছু ওষুধ দেওয়া হয়, যাতে মাশরুমের উপাদান ক্যান্সার রোগীর শরীরে পৌঁছয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাশরুমে থাকে গ্লুটাথিওয়ান এবং এরগোথিওয়ানাইন নামে দুই ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। এই দুই উপাদান ক্যান্সারের কোষ নষ্ট করতে বিশেষ সাহায্য করে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে এই দুই উপাদানের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই সপ্তাহে অন্তত দু-তিনদিন মাশরুম খেলে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগকেও দূরে রাখা যাবে বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    অ্যালজাইমারের ঝুঁকি কমাতে পারে!

    বয়স পঞ্চাশ কিংবা ষাটের চৌকাঠে পৌঁছলেই স্মৃতিশক্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। আধুনিক জীবনে প্রৌঢ়কালের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে অ্যালজাইমারের মতো রোগ। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমছে। স্মৃতিশক্তি থাকছে না। ফলে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমাতে পারে মাশরুম। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাশরুমে রয়েছে ভিটামিন বি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই দুই উপাদান মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। মস্তিষ্কের স্নায়ুর উপরেও প্রভাব ফেলে। এর ফলে অ্যালজাইমারের মতো রোগের ঝুঁকি কমে। আবার স্মৃতিশক্তিও ভালো থাকে। গবেষক-চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সপ্তাহে দু’কাপ পরিমাণ মাশরুম খেলে মস্তিষ্কের বিকাশ বেশি হয়। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমার ঝুঁকিও অর্ধেক হয়ে যায়।

    হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়!

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ব্যালেন্স রাখতে মাশরুম বিশেষ সাহায্য করে। তাই এই খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই মাশরুম খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে। হৃদপিণ্ডের প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান সহজেই পেয়ে যাবে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে।

    হাড়ের ক্ষয় রোগ রুখতে পারে!

    হাড় ক্ষয়ের রোগ বাড়ছে। বিশেষত ভারতে মহিলাদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা আরও বেশি দেখা যাচ্ছে। হাড়ের দুর্বলতা ও ক্ষয়রোগের জেরে হাঁটাচলা এমনকি বসে থাকাও কষ্টকর হয়ে উঠছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন ডি-র অভাবেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের একাংশ ও ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগছেন। যার জেরে অনেকেই কোমড় ও হাঁটুর যন্ত্রণায় কাবু হচ্ছে।‌ পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, খুব কম খাবারেই পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকে। যে কয়েকটি খাবার থেকে শরীর সহজেই ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ করতে পারে, তাদের মধ্যে রয়েছে মাশরুম। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত মাশরুম খেলে শরীরে ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ হয়। এতে হাড় ক্ষয়ের মতো রোগ সহজেই আটকানো‌ যায়।

    অন্ত্রের জন্য উপকারি!

    ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজের পাশপাশি মাশরুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই মাশরুম নিয়মিত খেলে হজম শক্তি বাড়ে। অন্ত্রের জন্য ও এই খাবার বিশেষ উপকারি।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Afghanistan Earthquake: মৃত্যু ৮০০ পার, ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস মোদি, জয়শঙ্করের

    Afghanistan Earthquake: মৃত্যু ৮০০ পার, ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস মোদি, জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার গভীর রাতে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে (Afghanistan Earthquake) মৃতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়াল। আহতের সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এই বিপর্যয়ে আফগানিস্তানের পাশে দাঁড়াল ভারত। চিন থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানিয়েছেন, ‘সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ভারত।’ একই কথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করও।

    সাহায্যের আশ্বাস ভারতের

    এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে চিন সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকেই তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে (Afghanistan Earthquake) প্রাণহানিতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। এই কঠিন সময়ে আমরা শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির পাশে রয়েছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। ভারত সবরকম মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ পাঠাতে প্রস্তুত।” প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) পাশাপাশি, আফগানিস্তানের এই বিপর্যয়ে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রীও। এস জয়শঙ্কর এই বিপর্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এই কঠিন সময়ে ভারত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। নিহতদের পরিবারের প্রতি রইল আমাদের গভীর সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”

    মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্প

    মার্কিন ইউএসজিএস-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্র ছিল জালালাবাদ শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী রিখটার স্কেলে প্রথম ভূকম্পনের (Afghanistan Earthquake) মাত্রা ছিল ৬.৩। মূল কম্পনের পর আরও অন্তত চারটি আফটারশক অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ৪.৫ থেকে ৫.২ তীব্রতার মধ্যে। শেষ খবর মেলা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮২০। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি উদ্ধারকারী দলগুলো দুর্গম এলাকাগুলিতে পৌঁছাতে লড়াই করছে। সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল, ফলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারিত হয়নি। তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে শুধুমাত্র প্রত্যন্ত কুনার প্রদেশেই প্রায় ৮০০ জন নিহত এবং ২ হাজার ৫০০ জন আহত হয়েছেন। নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। তিনি আরও জানান, পার্শ্ববর্তী নাঙ্গারহার প্রদেশে আরও ১২ জন নিহত এবং ২৫৫ জন আহত হয়েছেন। তালিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি জানান, অসংখ্য বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।

    কেন ভূমিকম্পপ্রবণ আফগানিস্তান

    আফগানিস্তান একটি ভূমিকম্পপ্রবণ (Afghanistan Earthquake) অঞ্চল, কারণ এটি ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি ভূপ্রকৃতির কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে ভূমিধসের ঝুঁকি থাকে ব্যাপক, ফলে উদ্ধারকার্যও চরমভাবে ব্যাহত হয়। এর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে তালিবান সরকারের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৪,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে তাখার ও বাদাখশন প্রদেশে প্রায় ৪,০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে। রাষ্ট্রসংঘের হিসেব অনুযায়ী, গত এক দশকে আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৭,০০০ জনের, অর্থাৎ প্রতিবছর গড়ে ৫৬০ জনের প্রাণহানি ঘটে।

  • Bad Cooking Practices: রান্নাঘরের এই পাঁচ অভ্যাস বাড়াচ্ছে বিপদ! কীভাবে এড়াবেন?

    Bad Cooking Practices: রান্নাঘরের এই পাঁচ অভ্যাস বাড়াচ্ছে বিপদ! কীভাবে এড়াবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীর সুস্থ রাখার চাবিকাঠি রয়েছে রান্নাঘরে! কী খাবার তৈরি হচ্ছে, কীভাবে সেটা রান্না হচ্ছে আর কখন খাওয়া হচ্ছে, এই সবকিছুই জরুরি। এগুলোর উপরে শরীর সুস্থ থাকার শর্ত অনেকটাই নির্ভর করে। অন্তত এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বহু শিশু নিয়মিত পেটের অসুখে ভোগে। অনেকেই বমি কিংবা হজমের গোলমালের জেরে হয়রানি হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, এই ধরনের নানান সমস্যা হয় খাবার থেকেই। তাই রান্নাঘরের অভ্যাস নিয়ে সচেতনতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই জানেন না, খুব সাধারণ রান্নাঘরের পাঁচটি অভ্যাস আসলে বিপজ্জনক। শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করছে।

    নিয়মিত বাসি ভাত এবং ডিম খাওয়ার অভ্যাস!

    জীবনের ব্যস্ততা বাড়ছে। অনেকেই এখন কাজ কমাতে একসঙ্গে অনেকটা রান্না করে রাখেন‌। তারপরে সময় মতো গরম করে খান। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস খুবই বিপজ্জনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিছু খাবার পুনরায় গরম করে খেলে, তার পুষ্টিগুণ একেবারেই থাকে না। বরং আরও বেশি শারীরিক ক্ষতি করে। তেমনি দুটো খাবার হলো ভাত এবং ডিম। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাসি ভাতে নানান ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। বাসি ভাত খেলে ডায়রিয়ার ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। দেখা যায়, নিয়মিত বাসি ভাত খেলে অনেকেই পেটের অসুখে ভুগছেন। ভাতের পাশাপাশি ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রেও এই পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাসি ডিম শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। কারণ ডিম পুনরায় গরম করে খেলে ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে কোনও উপকার হয় না। বরং নানান রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

    প্লাস্টিকের বোতলে জল রাখার অভ্যাস!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য যেমন ক্ষতিকারক, তেমনি শরীরের জন্যও ক্ষতিকারক। অধিকাংশ বাড়িতেই প্লাস্টিকের বোতলে জল রাখার রেওয়াজ। যা একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ প্লাস্টিক বোতল একবার ব্যবহারযোগ্য। কিন্তু বহু বাড়িতেই ওই বোতল দিনের পর দিন ব্যবহার হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্লাস্টিকের বোতল তৈরির সময় বিসফেনল জাতীয় উপাদান ব্যবহার করা হয়। এই উপাদান রক্তচাপের ভারসাম্য নষ্ট করে। হরমোনের সমস্যা তৈরি করে। এমনকি ইনসুলিন ক্ষরণের ক্ষেত্রেও নানান জটিলতা তৈরি করে। দীর্ঘদিন প্লাস্টিকের বোতলে জল রেখে জল খেলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হরমোন ঘটিত অসুখ এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকিও তৈরি হয়।

    রান্নাঘরে অতিরিক্ত সুগন্ধি ব্যবহার!

    রান্নাঘরে মাছ-মাংসের আঁশটে গন্ধ দূর করতে অনেকেই বাজারে সহজলভ্য সুগন্ধি ব্যবহার করেন। অনেকেই এখন রান্নার পরে ঘরে এয়ার ফ্রেশনার কিংবা সুগন্ধযুক্ত মোমবাতি জ্বালিয়ে গন্ধ দূর করেন। এতে সাময়িক স্বস্তি হলেও শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ এই সুগন্ধিতেই থ্যালেট সহ একাধিক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এগুলো শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক। হৃদপিণ্ড, ফুসফুসের উপরে এগুলোর গভীর প্রভাব পড়ে। তাই রান্নাঘরে নিয়মিত এই ধরনের সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বরং তাদের পরামর্শ রান্নার পরে রান্নাঘর নিমপাতা এবং লেবুর রস মেশানো ঘরোয়া মিশ্রণে পরিষ্কার করলে জীবাণু দূর হবে আবার বাজে গন্ধ ও থাকবে না।

    পুরনো ননস্টিক বাসনে রান্না!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কী খাওয়া হচ্ছে, এর পাশপাশি কীভাবে রান্না করা হচ্ছে এটাও সমান জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে তাই কোথায় কীভাবে রান্না হচ্ছে সেটার দিকে নজরদারি প্রয়োজন। তাই তাঁদের পরামর্শ পুরনো ননস্টিক বাসনে রান্না করা একেবারেই উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ননস্টিক বাসনে টেফলন নামে একটি রাসায়নিকের আস্তরন থাকে। পুরোনো বাসন বারবার ঘষা মাজার ফলে সেই আস্তরন ছিঁড়ে যায়। এতে বাসনের মধ্যে একধরনের রাসায়নিক ক্রিয়া হয়। ওই বাসনে রান্না করলে, ওই রাসায়নিক খাবারে মিশে যেতে পারে। বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যার প্রভাব শরীরেও পড়ে।

    অতিরিক্ত তেল ও কৃত্রিম চিনির ব্যবহার!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশজুড়ে ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের সুস্থ থাকার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সবচেয়ে বড় কারণ জীবন‌ যাপন সংক্রান্ত নানান অভ্যাস। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেলে রান্না করা খাবার খাওয়া এবং কৃত্রিম চিনি খাওয়ার অভ্যাস শরীরে নানান রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই নিয়মিত তেলে ভাজা জাতীয় খাবার খান‌। অনেকেই একবার রান্না করা তেল, পুনরায় ব্যবহার করেন। যা খুবই বিপজ্জনক। একবার রান্না করার পরে আবার সেই তেল পুনরায় ব্যবহার করলে শরীরে নানান জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়‌। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রুখতে তরুণ প্রজন্মের একাংশ কৃত্রিম চিনি নিয়মিত ব্যবহার করছে। যা খুবই বিপজ্জনক। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কৃত্রিম চিনিতে নানান ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে। যার ফলে ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাঁদের পরামর্শ, কম তেলে রান্না করতে হবে। চিনি কিংবা কৃত্রিম চিনি কোনোটাই শরীরের জন্য উপকারী নয়। তাই এগুলো‌ বাদ দেওয়া উচিত।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • India DEW Laser Weapon: ভারতের লেজার অস্ত্র পরীক্ষায় চিনের চোখ কপালে, ‘‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’’ লিখল গ্লোবাল টাইমস

    India DEW Laser Weapon: ভারতের লেজার অস্ত্র পরীক্ষায় চিনের চোখ কপালে, ‘‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’’ লিখল গ্লোবাল টাইমস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহে ওড়িশার উপকূলে দেশীয় ‘সুদর্শন চক্র’-র (Sudarshan Chakra) তকমা পাওয়া ‘ইন্টিগ্রেটেড এয়ার ডিফেন্স ওয়েপন্স সিস্টেম’ (আইএডিডব্লিউএস)-এর প্রাথমিক পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)। ফলে, হাতে ডাইরেক্টেড এনার্জি ওয়েপন (DEW) সিস্টেম থাকা দেশগুলির এলিট তালিকায় যোগ দিয়েছে ভারত। এই কৃতিত্বের দৌলতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চিন, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ইজরায়েলের সঙ্গে একাসনে যুক্ত হল ভারত, যাদের কাছে এই অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে। ভারত এই মাইলফলক অর্জন করার পর প্রতিক্রিয়ায় চিন স্বীকার করেছে যে, লেজার-ভিত্তিক আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নয়াদিল্লির এই সাফল্য আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে একটি ‘‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’’। মোদির চিন-সফরের মুখে ভারতের অস্ত্র-পরীক্ষা নিয়ে চিনা স্তুতি বিশেষ অর্থবহ।

    ভারতের নিজস্ব ‘সুদর্শন চক্র’

    গত বৃহস্পতিবার (২১ অগাস্ট) ওড়িশা উপকূলে পরীক্ষা চালানো হয় আইএডিডব্লিউএস-এর (IADWS) পরীক্ষা।। দুদিন পর, সেই কথা খোলসা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আইএডিডব্লিউএস একটি বহু-স্তরযুক্ত প্রতিরক্ষা ঢাল হিসাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা তিনটি অত্যাধুনিক দেশীয় প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়েছে। এগুলি হল— (১) কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (কিউআরএসএএম), (২) অ্যাডভান্সড ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (ভিএসএইচওআরএডিএস) ক্ষেপণাস্ত্র এবং (৩) উচ্চ-শক্তি লেজার-ভিত্তিক নির্দেশিত শক্তি অস্ত্র (ডিইডব্লিউ)।

    আইএডিডব্লিউএস-এর তিন বাহু

    এই তিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাজেও ফারাক রয়েছে। কিউআরএসএএম- দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম। এটি ৩ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত শত্রুর বিমান হামলা বা ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করতে সক্ষম। ভিএসএইচওআরএডিএস- স্বল্প দূরত্বের কোনও লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে। কাছাকাছি কোনও বিপদ আঁচ করলেই এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে উঠবে। এই সিস্টেম কাছাকাছি দূরত্বে আসা হুমকি যেমন – ড্রোন ও হেলিকপ্টার ধ্বংস করতে কার্যকর। অন্যদিকে, ডিইডব্লিউ- এটি অত্যাধুনিক লেজার-ভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। শত্রুপক্ষের কোনও অস্ত্র আকাশসীমায় ঢুকলেই তা নষ্ট করে দেবে। এটি আলোর গতিতে শত্রুর বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন সহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম। এই অস্ত্র বহুবার ব্যবহার করা যায় এবং অত্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে।

    চমকে গিয়েছে চিন…

    ভারতের এই পরীক্ষা যে বিশ্বের নজর কেড়েছে তা বলাই বাহুল্য। চিন ভারতের আইএডিডব্লিউএস পরীক্ষার ওপর নজর রাখছিল। তবে, কিউআরএসএএম এবং ভিএসএইচওআরএডিএস প্রযুক্তি নিয়ে বেশি মাতামাতিকে নারাজ চিন। তবে, ডিইডব্লিউ নিয়ে চিনা সামরিক বিশেষজ্ঞদের মধ্য বিশাল আগ্রহ। বেজিং-ভিত্তিক এয়ারোস্পেস নলেজ ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস-কে বলেন, “ভারতের আইএডিডব্লিউএস (IADWS) সিস্টেম মূলত ক্রুজ মিসাইল, ড্রোন, হেলিকপ্টার এবং কম উচ্চতায় উড়তে থাকা বিমান থামানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে।”

    ওয়াং আরও বলেন, “কিউআরএসএএম এবং ভিএসএইচওআরএডিএস প্রযুক্তিগতভাবে তেমন নতুন কিছু নয়, কিন্তু লেজার-ভিত্তিক সিস্টেম প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।” চিনের বিশেষজ্ঞের এই মন্তব্য দুটি কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথম কারণ, চিন সাম্প্রতিক সময়ে নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে এবং পাকিস্তানকেও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করছে। দ্বিতীয় কারণ, ৯ বছর পর চলতি সপ্তাহের শেষে চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ডিইডব্লিউ ঠিক কী?

    ডাইরেক্টেড এনার্জি ওয়েপন সিস্টেম (ডিইডব্লিউ) হল একটি উন্নত এবং উচ্চ প্রযুক্তির উন্নত যন্ত্র। এটি শত্রুর লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস বা ক্ষতি করার জন্য প্রচলিত গোলাবারুদের পরিবর্তে কেন্দ্রীভূত শক্তি (Directed Energy) ব্যবহার করে। ডিইডব্লিউ গুলি বা বিস্ফোরক ওয়ারহেডের পরিবর্তে আলোর গতিতে চলা উচ্চ-শক্তির লেজার রশ্মি, মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ বা পার্টিকেল বিম ব্যবহার করে।

    • হাই এনার্জি লেজার (এইচইএল): এটি শত্রুর ড্রোন, বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে মাঝ-আকাশেই পুড়িয়ে বা অক্ষম করতে ঘনীভূত আলোক বিম ব্যবহার করে।

    • হাই পাওয়ার মাইক্রোওয়েভ (এইচপিএম): এটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ দিয়ে শত্রুর ড্রোন, বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলির ইলেকট্রনিক সার্কিটগুলিকে নষ্ট করে তাদের অক্ষম করতে পারে।

    • পার্টিকেল বিম ওয়েপন (পিবিডব্লিউ): এটি তীব্র চার্জযুক্ত কণার স্রোত ব্যবহার করে শত্রুর ড্রোন, বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে অক্ষম করে দেয়। বর্তমানে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।

    প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রের পরিবর্তে ডিইডব্লিউ-গুলি শান্তভাবে নিজেদের কাজ করে। এখানে রিলোডিং-এর সমস্যা নেই। ফলে, যতবার খুশি চালানো যেতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, শট প্রতি খরচ অত্যন্ত কম। ফলে, কামিকাজে ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল এবং সস্তার সোয়ার্ম ড্রোন মোকাবিলায় এগুলি একটি গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে।

  • Russia Navy Drone-Boat: রাশিয়ার নৌসেনার ড্রোন-বোট হামলায় ধ্বংস ইউক্রেনের সর্ববৃহৎ রণতরী

    Russia Navy Drone-Boat: রাশিয়ার নৌসেনার ড্রোন-বোট হামলায় ধ্বংস ইউক্রেনের সর্ববৃহৎ রণতরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Ukraine Russia War) নয়া মোড়! প্রথম বার রাশিয়ার সামুদ্রিক ড্রোন-বোট হামলায় ধ্বংস ইউক্রেনের সর্ববৃহৎ রণতরী।

    বড় দাবি রাশিয়ার, স্বীকার ইউক্রেনের

    সমাজমাধ্যম টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে সাফল্যের তথ্যপ্রমাণ প্রকাশ করেছে রুশ বিদেশমন্ত্রক। তারা বলেছে, ‘সিম্ফেরোপোল’ নামে যুদ্ধজাহাজটিকে দানিয়ুব নদীর প্রবেশদ্বারে ডুবিয়ে (Russia Sinks Ukraine Ship) দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনীয় রণতরী ধ্বংসের একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। রুশ সংবাদসংস্থা ‘তাস’-এর দাবি, এই প্রথম ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর জাহাজকে ধ্বংস করার জন্য সামুদ্রিক ড্রোন-বোটের (Russia Navy Drone-Boat) সফল ব্যবহার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের নৌবাহিনীর মুখপাত্র দিমিত্রো প্লেটেনচুক হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, হামলায় এক ক্রু মারা গেছেন এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। এছাড়া কিছু ক্রু নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজ করা হচ্ছে। মুখপাত্র জানিয়েছেন, হামলার পরের পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বেশিরভাগ ক্রু নিরাপদে আছেন এবং নিখোঁজ বেশ কয়েকজন নাবিকের সন্ধান চলছে।

    ইউক্রেনের বৃহত্তম জাহাজ ‘সিম্ফারোপোল’

    ‘সিম্ফেরোপোল’ যুদ্ধজাহাজ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনের বৃহত্তম জাহাজ বলে পরিচিত। ২০১৯ সালে জাহাজটি সমুদ্রে নামে। তবে ইউক্রেনের নৌবাহিনীতে যুক্ত হয় ২০২১ সালে। জাহাজটির মূল কাজ হল গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে নৌবাহিনীর অভিযানকে সহায়তা করা। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এই ঘটনাকে একটি একক সামুদ্রিক ড্রোন-বোট (Russia Navy Drone-Boat) ব্যবহার করে ইউক্রেনের নৌবাহিনীর কোনও জাহাজ ডুবিয়ে (Russia Sinks Ukraine Ship)দেওয়ার প্রথম সফল দৃষ্টান্ত হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রেডিও, ইলেকট্রনিক, রেডার এবং অপটিক্যাল গোয়েন্দা বাহিনীর জন্য তৈরি লাগুনা-শ্রেণির মাঝারি আকারের জাহাজটিতে দানিয়ুব নদীর ব-দ্বীপে আঘাত হানে, যার একটি অংশ ইউক্রেনের ওডেসা অঞ্চলে অবস্থিত।

    কিয়েভেও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার

    পাশাপাশি, বুধবার মধ্যরাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভয়াবহ হামলা চালায় রাশিয়া। এতে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এরপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নাকি ইউরোপের কয়েকজন নেতাকে জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাঁর দেশের জন্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা কী হবে, তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা এখন খুব জরুরি। এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘‘মোদির যুদ্ধ’’ বলে অবিশ্বাস্য দাবি করে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই পরামর্শদাতার এহেন যুক্তি বিস্মিত করেছে বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতা ও বিশেষজ্ঞদেরও। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার নাভারো দাবি করেছেন যে, ভারতের মতো দেশকে তেল বিক্রি করে সেই টাকায় ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে রাশিয়া।

  • Chapra Sasthi 2025: আজ চাপড়া ষষ্ঠী, ভাদ্র মাসের শুক্ল ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয় এই উৎসব, কী এর মাহাত্ম্য?

    Chapra Sasthi 2025: আজ চাপড়া ষষ্ঠী, ভাদ্র মাসের শুক্ল ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয় এই উৎসব, কী এর মাহাত্ম্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ চাপড়া ষষ্ঠী (Chapra Sasthi 2025)। প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শুক্লষষ্ঠীর তিথিতে পালিত হয় চাপড়া ষষ্ঠী। মূলত সন্তান-সন্ততির মঙ্গলকামনায় মায়েরা পালন করে থাকেন চাপড়া ষষ্ঠী (Chapra Sasthi)।

    বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নিয়ম

    বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নিয়ম মেনে পালিত হয় চাপড়া ষষ্ঠী। তবে, এই দিন সব মায়েরা মা ষষ্ঠীর পুজো করে সন্তানের মঙ্গল কামনা করে থাকেন। হিন্দু বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি মাসের শুক্লাষষ্ঠী তিথিতে বিভিন্ন নামে পূজিত হন মা ষষ্ঠী। জ্যৈষ্ঠ মাসে অরণ্য ষষ্ঠী, শ্রাবণ মাসে লুন্ঠন ষষ্ঠী, ভাদ্র মাসে চাপড়া ষষ্ঠী (Chapra Sasthi 2025), আশ্বিন মাসে দুর্গা ষষ্ঠী বা বোধন ষষ্ঠী, অগ্রহায়ণ মাসে মূলা ষষ্ঠী, পৌষ মাসে পাটাই ষষ্ঠী, মাঘ মাসে শীতল ষষ্ঠী, চৈত্র মাসে অশোক ষষ্ঠী পালিত হয়।

    পুরাণে চাপড়া ষষ্ঠীর উল্লেখ

    স্কন্দ পুরাণ অনুসারে, দেবী ষষ্ঠী হলেন কার্তিকের স্ত্রী। তিনি ব্রহ্মার মানস কন্যা, নাম দেবসেনা। ভাদ্র মাসে চাপড়াষষ্ঠী ও মন্থন ষষ্ঠী। একে অক্ষয় ষষ্ঠীও বলা হয়। মূলত মায়েরা এই লৌকিক উৎসবে যোগদান করেন। তাঁরা আঁচলে কলা বেঁধে ছেলেমেয়েকে কোলে নিয়ে চাপড়া ষষ্ঠীর ব্রতকথা (Chapra Sasthi Vrat) শোনেন। তারপর কাঁঠালী কলা, পিটুলী গোলা দিয়ে পুতুল বানিয়ে পুকুরে ভাসায় গ্রামের মায়েরা, সন্তানের কল্যাণে। অনেক জায়গায় কলা গাছের কান্ডের ত্বক আর নারকেলের পাতার খিল দিয়ে নৌকা তৈরি করা হয়। নৌকায় রাখা হয় পিটুলি দিয়ে তৈরি পুতুল, রিং এর মতো দেখতে পিটুলির চাপড়া, তাতে সিঁদুরের টিপ দেওয়া হয়। পুজোর শেষে নৌকা ভাসিয়ে দেন। এই দিন চালের কিছু খেতে নেই। তার বদলে লুচি, পরোটা খাওয়ার বিধান রয়েছে। আর মটর ডালের চাপড়া বানিয়ে তাওয়ায় সেঁকে মায়েদের খেতে হয়। তালের রস দিয়ে চাপড়া পিঠে বানিয়ে দেবীকে উৎসর্গ করেন। তারপর পুজো শেষে তা বাচ্চাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

    চাপড়া ষষ্ঠীর ব্রতকথা…

    কথিত আছে, কোনও এক দেশে এক বণিক বাস করত। তার তিন ছেলে তিন বউ ছিল। বণিক ও বণিকের বউ তার ছোট ছেলের সন্তানকে বেশি ভালোবাসতেন। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের একসময় চাপড়া ষষ্ঠী (Chapra Sasthi 2025) করবে বলে বণিকের বউ একটি পুকুর কাটলে সেই পুকুরের কোন জল দেখা গেল না। তারা মনের দুঃখে মা ষষ্ঠীর কাছে প্রার্থনা করে ঘুমিয়ে যেতেই রাত্রে স্বপ্নাদেশ পান যে ছোট নাতিকে কেটে যদি তার রক্ত ওই পুকুরে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, তবে জল দেখা দেবে। অনেক কান্নাকাটি পর তারা মা ষষ্ঠীর আদেশ অনুযায়ী ছোট নাতির রক্ত সেই পুকুরে ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে ছোট বউ তার চাপড়া এবং পিটুলির পুতুল ভাসানোর সময় পুকুর থেকে পুনরায় তার ছেলেকে ফিরে পায় এবং এরপর থেকেই মা ষষ্ঠীর মাহাত্ম্য চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং এই ব্রত (Chapra Sasthi) শুরু হয়।

    ভাদ্র মাসজুড়ে পর পর উৎসব

    গোটা ভাদ্র মাস জুড়ে থাকে একাধিক উৎসব। ৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে ললিতা সপ্তমী। এই দিন থেকে শুরু হচ্ছে মহালক্ষ্মী ব্রত। রয়েছে, জ্যেষ্ঠ গৌরী আবাহনা। ৪ সেপ্টেম্বর রবিবার পালিত হবে, রাধা অষ্টমী। পালিত হবে জ্যেষ্ঠ গৌরী পুজো। তেমনই ৫ সেপ্টেম্বর রবিবারে পালিত হবে জ্যোষ্ঠ গৌরী বিসর্জন। ৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রয়েছে পার্শ্ব একাদশী। ৭ সেপ্টেম্বর বুধবার বামন জয়ন্তী, ভুবনেশ্বরী জয়ন্তী পালিত হবে। তেমনই সেদিন বৈষ্ণব পর্ব একাদশী ও কল্কি দ্বাদশী তিথি রয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার হল গণেশ চতুর্দশী। এদিন গণেশ পুজো সমাপ্ত ও বিসর্জন হবে।

  • Diet And Nutrition: পুষ্টির ঘাটতিতে দেখা দিচ্ছে একাধিক শারীরিক সমস্যা! বাড়ছে কোন কোন রোগের প্রকোপ?

    Diet And Nutrition: পুষ্টির ঘাটতিতে দেখা দিচ্ছে একাধিক শারীরিক সমস্যা! বাড়ছে কোন কোন রোগের প্রকোপ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মাত্র তিরিশের চৌকাঠ পেরিয়ে কেউ ভুগছেন হাঁটু ও কোমরের যন্ত্রণায়। আবার কেউ লাগাতার ক্লান্তিবোধ অনুভব করেন। অনেকেই সিঁড়িতে কয়েক ধাপ ওঠার পরেই শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। দৈনন্দিন জীবনে এমন নানান শারীরিক অসুবিধায় অনুভব করছেন তরুণ প্রজন্মের একাংশ। তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের সমস্যার নেপথ্যে সব সময় জটিল অসুখ থাকছে না। পুষ্টির অভাবেই অধিকাংশ সময়ে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পুষ্টি সম্পর্কে অসচেতনতা প্রতিদিনের স্বাভাবিক জীবন যাপনে বাধা তৈরি করছে‌।

    কেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পুষ্টির অভাব দেখা দিচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারের অভাবেই পুষ্টির সমস্যা হয় না। বরং ভারতের মতো দেশে খাবার সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পুষ্টির অভাব বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সতর্ক নন।‌ তার ফলেই তাঁদের শরীরে নানান জটিলতা দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে খাবার খান। এর ফলে অন্ত্র এবং লিভারের উপরে এর গভীর প্রভাব পড়ে‌। আবার অধিকাংশ সময়েই তাঁদের খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ অধিক থাকে। ব্যালেন্স ডায়েট খুব কম মেনে চলেন। আর এর জেরেই বিপদ বাড়ে। অনেকেই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে খিদে মেটাতে পিৎজা কিংবা বার্গারের মতো খাবার খাচ্ছেন। কেউ আবার প্যাকেটজাত খাবার চটজলদি বানিয়ে নিচ্ছেন। ফলে শরীরের সমস্ত চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। নিয়মিত খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনের পাশপাশি ভিটামিন, ফাইবার, আয়রন, কার্বোহাইড্রেট না থাকলে শরীর সুস্থ থাকবে না। শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দেবে।

    পুষ্টির অভাবে কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ পুষ্টির অভাব। বিশেষত মহিলারা তিরিশের পরেই হাড়ের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হাঁটু কিংবা কোমরে যন্ত্রণা, দীর্ঘ সময় দাঁড়ানো কিংবা হাঁটাচলা করায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পুষ্টির অভাবেই এই সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত শরীর পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পাচ্ছে না। কারণ, দুধ, ডিম, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার অর্থাৎ লেবু, কিউইর মতো ফল অনেকেই নিয়মিত খান না। এর ফলে শরীরে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। তার থেকেই বাড়ে ভোগান্তি।

    ক্লান্তিবোধ অনেকের নিয়মিত কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে আয়রনের ঘাটতি অনেক সময় এই ক্লান্তিবোধের নেপথ্যে কাজ করে। প্রক্রিয়াজাত মুখরোচক মাছ-মাংসের পদ খেলে শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয় না। বরং নানান রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। তাতে আয়রনের চাহিদা মেটে। কিন্তু মাছ, মাংস, সোয়াবিনের মতো পদ হালকা মশলা, কম তেলে টাটকা রান্না করে খেলে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মেটে। আয়রনের অভাব পূরণ হয়। আবার প্রোটিনের পাশপাশি নিয়মিত মোচা, ডুমুর, কাঁচকলার মতো সব্জি খাওয়া জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে‌। তাই এগুলো নিয়মিত খেলে শরীরে ক্লান্তি বোধ কমে।

    শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে ভিটামিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর ভিটামিনের অন্যতম মূল উৎস হল সব্জি! এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত শাক-সব্জি খায় না। আর এর ফলেই শ্বাসকষ্ট, চুল পড়া, দাঁতের সমস্যা এমনকি দৃষ্টিশক্তির সমস্যাও দেখা যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, টমেটো, লাউ, পালং শাক, পটল, ঢ্যাঁড়শ কিংবা উচ্ছের‌ মতো‌ সব্জি নিয়মিত খেলে শরীরে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-র মতো একাধিক প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো নানান খনিজের চাহিদা ও পূরণ হয়। এই উপাদানগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। হৃদপিণ্ড থেকে কিডনি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের সুস্থতার চাবিকাঠি। আবার মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে। সবমিলিয়ে নিয়মিত সবুজ সব্জি শরীর সুস্থ রাখতে পারে।

    তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে, পুষ্টি সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরি। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান খাবার থেকেই সহজে সংগ্রহ করা যায়। তাই প্রতিদিনের খাবার কতখানি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ, সে সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকলে সুস্থ জীবন যাপন সহজ হয়ে যাবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Rajnath singh: ‘ভারতের আছে ভাসমান এফ-৩৫’, এক জোড়া স্টেলথ ফ্রিগেটের অন্তর্ভুক্তির দিনে আমেরিকাকে ‘খোঁচা’ রাজনাথের

    Rajnath singh: ‘ভারতের আছে ভাসমান এফ-৩৫’, এক জোড়া স্টেলথ ফ্রিগেটের অন্তর্ভুক্তির দিনে আমেরিকাকে ‘খোঁচা’ রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘আপনারা ভাসমান এফ-৩৫ তৈরি করে ফেলেছেন।’’ দেশে তৈরি ২ অত্যাধুনিক রণতরীর অন্তর্ভুক্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ঠিক এই ভাষাতেই আমেরিকাকে বিঁধলেন রাজনাথ সিং (Rajnath singh)।

    কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী?

    মঙ্গলবার বিশাখাপত্তনমে নৌসেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদরে বাহিনীতে সরকারিভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ভারতে তৈরি এক জোড়া অত্যাধুনিক ফ্রিগেট শ্রেণির স্টেলথ রণতরী ‘আইএনএস উদয়গিরি’ (INS Udaygiri) ও ‘আইএনএস হিমগিরি’ (INS Himgiri)। সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath singh)। সেখানেই তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘‘এটি হল ভারত সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগের সাফল্যের প্রতিফলন। দুটি ভিন্ন শিপইয়ার্ডে নির্মিত এই দুটি যুদ্ধজাহাজ এই প্রথমবার একই সময়ে কার্যকরী হল, যা জলপথে যুদ্ধ সরঞ্জামের আধুনিকীকরণের প্রতীক হয়ে উঠবে।’’ এদিন নিজের বক্তব্যে মার্কিন পঞ্চম প্রজন্মের ‘এফ-৩৫’ স্টেলথ যুদ্ধবিমানের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে আমেরিকাকে হালকা খোঁচাও মারেন রাজনাথ (Rajnath singh)। বলেন, ‘‘আপনারা এফ-৩৫ যুদ্ধজাহাজ নিয়ে এলেন। একটা দেশের কাছে উড়ন্ত এফ-৩৫ আছে। আর আপনারা ভাসমান এফ-৩৫ তৈরি করে ফেলেছেন। সেটাও ভারতে তৈরি করা হয়েছে।’’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, সম্পূর্ণভাবে ভারতেই তৈরি উদয়গিরি এবং হিমগিরিতে যে অস্ত্রশস্ত্র এবং সেন্সর আছে, তাতে দুটি রণতরীই ‘সমুদ্রের অপরাজেয় রক্ষাকর্তা’ হয়ে উঠবে।

    ‘উদয়গিরি’ ও ‘হিমগিরি’

    ‘আইএনএস উদয়গিরি’ ও ‘আইএনএস হিমগিরি’ (INS Udaygiri INS Himgiri) হল নৌসেনার প্রজেক্ট ১৭ আলফা (পি-১৭এ)-র অংশ। এই যুদ্ধ জাহাজগুলির অন্তর্ভুক্তির পর, ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। আইএনএস হিমগিরি তৈরি করেছে কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারস (জিআরসিই)। অন্যদিকে, আইএনএস উদয়গিরি তৈরি করেছে মুম্বইয়ের মাঝগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড। যে সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে, তার ৭৫ শতাংশই দেশীয়। প্রায় ৬,৭০০ টন ওজনের ফ্রিগেটগুলি তাদের পূর্বসূরী শিবালিক-শ্রেণির ফ্রিগেটগুলির চেয়ে প্রায় পাঁচ শতাংশ বড়। আধুনিক ও ভবিষ্যৎ যুদ্ধকে মাথায় রেখে এই দুই রণতরীকে নির্মাণ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই দুই স্টেলথ ফ্রিগেটে মোতায়েন রয়েছে বহু দূরে আঘাত হানতে সক্ষম সুপারসনিক সারফেস-টু-সারফেস ব্রহ্মস মিসাইল সিস্টেম, মিডিয়াম-রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার বারাক-৮ মিসাইল সিস্টেম। রয়েছে রকেট লঞ্চার, টর্পিডো লঞ্চার, কমব্যাট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মতো অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। এছাড়া, এই দুই রণতরীতে রয়েছে তিন ধরনের ক্লোজ-ইন ওয়েপন সিস্টেম যথা— ৭৬ এমএম এমআর (র‌্যাপিড ফায়ার) গান, ৩০ এমএম গান এবং ১২.৭ এমএম গান, যা এর মারণশক্তি বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই দুটি ফ্রিগেট (INS Udaygiri INS Himgiri) ভারতীয় নৌসেনার ইস্টার্ন ফ্লিটে যুক্ত হবে। যা বঙ্গোপসাগর এবং ভারতীয় মহাসাগর অঞ্চলে সামুদ্রিক স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে নৌসেনার হাত আরও মজবুত করবে।

  • Hair Fall Problem: বর্ষায় চুল নিয়ে দুর্ভোগ! এই সময়ে চুলের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই, কোনও রোগের ইঙ্গিত?

    Hair Fall Problem: বর্ষায় চুল নিয়ে দুর্ভোগ! এই সময়ে চুলের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই, কোনও রোগের ইঙ্গিত?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    একনাগাড়ে বৃষ্টিতে নাজেহাল বঙ্গবাসী। জল যন্ত্রণা, নানান রোগের পাশপাশি অনেকেই চুলের সমস্যাতেও জেরবার। বর্ষায় চুল অতিরিক্ত ঝরে পড়ার (Monsoon Hair Treatment) সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। যাকে বলা হয় হেয়ার ফল প্রবলেম (Hairfall Problem)। আবার অনেকের মাথার চামড়ায় অতিরিক্ত চুলকানি হয়। লাল গোল দাগ হয়ে যায়। অতিরিক্ত চুল পড়া এবং এই ধরনের মস্তিষ্কের ত্বকের সমস্যার জেরে ভোগান্তি বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষায় এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। বরং বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এই সমস্যা অন্য রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। সতর্ক না থাকলে সমস্যা আরও জটিল হতে পারে।

    কোনও রোগের ইঙ্গিত হতে পারে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চুলের যে কোনও সমস্যার (Hairfall Problem) প্রধান কারণ মস্তিষ্কের ত্বক। চুলের গোড়া আটকে আছে সেই ত্বকে। তাই সেখানে কোনো ধরনের সমস্যা হলেই চুলে তার প্রভাব পড়বে। চিকিৎসকদের ভাষায় মাথার ত্বকে রোগ হয়েছে কিনা সে বিষয়ে যাচাই করা দরকার। অর্থাৎ মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, কিংবা কোনো ধরনের অ্যালার্জি হয়েছে কিনা, সেটা পরীক্ষা জরুরি। বর্ষায় এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষায় ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কারণ একনাগাড়ে বৃষ্টিতে পরিবেশে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব তৈরি হয়। এই জন্য ছত্রাকের বংশবৃদ্ধি পায়। সক্রিয়তা ও বাড়ে। তাই এই সময়ে চুলের সমস্যাও বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষায় অনেকেই এই ধরনের ছত্রাক সংক্রমণে আক্রান্ত হন। শরীরের অন্যান্য অংশে না হলেও, চুলের ভিতরে অর্থাৎ মাথার ত্বকে সংক্রমণ হয়। তাই চুলের সমস্যা (Hairfall Problem) বাড়ে‌।

    কীভাবে সমাধান পাওয়া যাবে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো সবচেয়ে প্রথম উপায় হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্ষার স্যাঁতস্যাঁতে ভাব থাকলেও শরীরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। অর্থাৎ নিয়মিত পরিষ্কার জলে স্নান জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের অন্যান্য অংশে পরিষ্কারের পাশপাশি নিয়মিত মাথার ত্বকও পরিষ্কার রাখতে হবে। যাতে কোনো রকম সংক্রমণ না হয়। মাথা পরিষ্কার জলে ধোয়ার পরে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। এতে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে (Hairfall Problem)।

    নিয়মিত অত্যাধিক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত চুলে এবং মাথার ত্বকে একাধিক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করেন (Monsoon Hair Treatment)। সাজসজ্জার অংশ হিসাবেই এই ব্যবহার হয়। কিন্তু মারাত্মক পরিমাণে নিয়মিত এই রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার মস্তিষ্কের ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকারক হয়ে উঠছে। এর ফলে শুষ্কতা বাড়ছে। এছাড়াও ত্বকে নানান রকমের অ্যালার্জি দেখা দিচ্ছে। মাথার ত্বকে বারবার ফুসকুড়ি দেখা দিলে, লাল গোল চাকা হয়ে উঠলে কিংবা চুলকানি বাড়লে অবহেলা করা উচিত নয়। বরং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Ganesh Chaturthi 2025: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে গণেশ চতুর্থী, সিদ্ধিদাতার আরাধনায় জীবনে আসবে সুখ-সমৃদ্ধি

    Ganesh Chaturthi 2025: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে গণেশ চতুর্থী, সিদ্ধিদাতার আরাধনায় জীবনে আসবে সুখ-সমৃদ্ধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিদ্ধিদাতা গণেশকে সঙ্কট মোচক বলা হয়। জীবনের সকল বাধা দূর করেন গণপতি বাপ্পা। আজ, বুধবার, ২৭ অগাস্ট গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi 2025)। প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে দেশজুড়ে সাড়ম্বরে গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi) উদযাপিত হয়। আজ সারা দেশে পালন করা হচ্ছে গণেশ চতুর্থী। এই দিনটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভক্তদের বিশ্বাস, গণেশের পুজো ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি নিয়ে আসে। অনেকেই সিদ্ধিদাতা গণপতির পুজো করে কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করেন। গণপতির কৃপায় বহু কষ্টই লাঘব হতে পারে বলে মনে করা হয়।

    চতুর্দশী তিথিতে বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে এই উৎসব। আবির্ভাব দিবস থেকে বিসর্জন— মোট ১০ দিন গণেশ ভক্তরা পুজো, উপোস, প্রার্থনা, সঙ্গীত এবং নৃত্যের মধ্যে দিয়ে দিন নির্বাহ করেন। এই উৎসব অত্যন্ত পবিত্র। ভারতের জাতীয়তাবোধের উন্মেষের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত গণেশ পুজো। পরাধীন ভারতে মহারাষ্ট্রে গণপতি উৎসব (Ganesh Chaturthi 2025) শুরু করেছিলেন লোকমান্য বাল গঙ্গাধর তিলক। হিন্দু জাতীয়তাবাদী উৎসব হিসেবে তা ব্যাপক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছিল। বাল গঙ্গাধর তিলকের আগে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজও সপ্তদশ শতকে গণেশ উৎসব করেছিলেন।

    গণেশ চতুর্থীর শুভ সময়

    চতুর্থী তিথি শুরু: ২৬ অগাস্ট, মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৫৪ মিনিট থেকে
    চতুর্থীর তারিখ শেষ: ২৭ অগাস্ট, বুধবার দুপুর ৩টে ৪৪ মিনিটে
    গণেশ পুজোর মুহূর্ত: ২৭ অগাস্ট, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৬ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত
    গণেশ চতুর্থীর ব্রত পালন: ২৭ অগাস্ট

    গণেশ উৎসবের তাৎপর্য

    স্কন্দপূরাণ অনুযায়ী, শ্রী গণেশ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে। এদিনই মা পার্বতীর কোলে এসেছিল গণেশ। সমস্ত দেব-দেবীর মধ্যে গণেশ হলেন প্রথম পূজিত দেবতা। ভগবান শিব গণেশকে এই বর দিয়েছিলেন। যে কোনও শুভ কাজে এবং আচার-অনুষ্ঠানে প্রথমেই ভগবান গণেশের পুজো করা হয়। গণেশের পুজো করলে সমস্ত বাধা দূর হয়। তাই গণেশ চতুর্থী নামে জনপ্রিয়। এই দিনটি আবার বিনায়ক চতুর্থী নামেও পরিচিত। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী থেকে এই মাসের চতুর্দর্শী তিথি পর্যন্ত ভগবান গণেশ পৃথিবীতে ১০ দিন অবস্থান করেন। গণেশ চতুর্থীতে প্যান্ডেল এবং বাড়িতে গণেশ স্থাপন করা হয়। কথিত আছে যে এই দিনগুলিতে যে ব্যক্তি বাড়িতে বসে ভক্তি ভরে গণেশের পূজা করেন, তার জীবন থেকে মানসিক চাপ দূর হয়। সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।

    গণেশ চতুর্থী পুজো-বিধি

    গণেশ চতুর্থীর দিন সকালে স্নান সেরে বাড়ির মন্দিরে প্রদীপ জ্বালান। এরপর পুজো ও ব্রতর সঙ্কল্প নিন। এই দিনে শুভ সময়ে গণেশের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ভক্তদের তাদের ইচ্ছানুযায়ী গণপতির মূর্তি স্থাপন করা উচিত। এরপর গঙ্গাজল দিয়ে প্রতিমাকে অভিষেক করুন। এবার গণেশকে ফুল ও দূর্বা ঘাস অর্পণ করুন। দূর্বা ভগবান গণেশের খুব প্রিয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দূর্বা নিবেদন করলে ভগবান গণেশ প্রসন্ন হন এবং ভক্তদের সমস্ত কষ্ট দূর করেন। ভগবান গণেশের পূজোর সময়, তাঁকে সিঁদুর লাগান এবং তাঁর প্রিয় ভোগ মোদক বা লাড্ডু নিবেদন করুন। পুজো শেষে আরতি করে তাঁকে প্রণাম করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। শেষে প্রসাদ বিতরণ করুন।

    কিন্তু গণপতির পুজোরও বহু নিয়ম আছে। পুজো করার জন্য সেই নিয়মগুলি ঠিক করে পালন করতে হয়। সেই নিয়মগুল পালন না করলে গণপতির কৃপা পাওয়া থেকে এত কিছুর পরেও বঞ্চিত থেকে যেতে পারেন কেউ কেউ। শাস্ত্র অনুসারে, দূর্বা ছাড়া গণপতির পুজো অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। এছাড়াও, কথিত আছে যে সিদ্ধিদাতাকে দূর্বা নিবেদন করলে তিনি দ্রুত প্রসন্ন হন এবং ভক্তদের সমস্ত কষ্ট দূর করেন।

    ভগবান গণেশকে দূর্বা ঘাস নিবেদন করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। দূর্বা ভগবান গণেশের প্রিয়। দূর্বা সবসময় জোড়ায় জোড়ায় নিবেদন করা হয়। এমন অবস্থায় দুটি দূর্বাকে যুক্ত করে একটি গিঁট তৈরি করা হয়। এমন অবস্থায় ২২টি দূর্বা যোগ করে ১১ জোড়া তৈরি করুন। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে সিদ্ধিদাতাকে ৩ বা ৫ গাঁট দূর্বাও নিবেদন করা যেতে পারে।

    গণেশের পুজোয় কখনই তুলসী পাতা ব্যবহার করা উচিত নয়। পুজোর সময় শুধুমাত্র সাদা বা হলুদ কাপড় পরুন। কালো রঙের কাপড় পরিধান করা থেকে বিরত থাকুন। এদিন চাঁদ দেখা উচিত নয়। বিশ্বাস, চাঁদ দেখলে কলঙ্কের শিকার হতে হয়।

LinkedIn
Share