Category: বিনোদন

Get updates on Entertainment News Celebrities, Hollywood, Bollywood, Tollywood Movies, Web series, OTT from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Pushpa 2: বক্স অফিসে দাপিয়ে রাজত্ব করছে ‘পুষ্পা ২ – দ্য রুল’, ভারতে আয় পৌঁছল ১০০০ কোটিতে

    Pushpa 2: বক্স অফিসে দাপিয়ে রাজত্ব করছে ‘পুষ্পা ২ – দ্য রুল’, ভারতে আয় পৌঁছল ১০০০ কোটিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যতদিন যাচ্ছে বক্স অফিসে নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে ‘পুষ্পা ২ – দ্য় রুল’ (Pushpa-2) সিনেমা। প্রেক্ষাগৃহে ধুন্ধুমার আয় করেই চলেছে অল্লু অর্জুনের ছবি। এই ছবি দেখার জন্য সিনেমা হলে প্রতিদিন দর্শকরা ভিড় করছেন। আর মাত্র দুসপ্তাহের মধ্যেই ভারতে এই ছবি ছুঁয়ে ফেলেছে ১০০০ কোটি টাকার অঙ্ক। বলা যেতে পারে, ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে ‘পুষ্পা ২’ সিনেমা রেকর্ড গড়ার পথে। ‘বাহুবলী-২’, ‘কেজিএফ-২’, ‘স্ত্রী-২’, ‘জওয়ান’, ‘পাঠান’-এর মতোই হল থেকে মুক্তির প্রথম ১৫ দিনে রেকর্ড আয় করেছে এই সিনেমা। বক্স অফিসে পুষ্পা-২ দুসপ্তাহ ধরে দাপিয়ে রাজত্ব করে চলেছে। অন্যান্য হিন্দি সিনেমার একের পর এক রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে।

    হিন্দিতে কিছু শীর্ষ-আয়কারী সিনেমার তালিকা (Pushpa-2)

    জানা গিয়েছে, প্রথম সপ্তাহেই ছবির (Pushpa-2) হিন্দি সংস্করণের নেট আয় পৌঁছয় ৪৩৩.৫০ কোটি টাকায়। দ্বিতীয় সপ্তাহের আয় দাঁড়ায় ১৯৯ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মোট আয় হয় ৬৩২.৫০ কোটি টাকা। এটা শুধু হিন্দি ভাষায়। সব ভাষার আয় ধরলে, ১৬ দিনে ভারতে ‘পুষ্পা ২ – দ্য় রুল’-এর ঝুলিতে এসে গিয়েছে ১০০৪ কোটি টাকা৷ হিন্দিতে শীর্ষ-আয়কারী সিনেমাগুলির মধ্যে ‘স্ত্রী-২’ – (৫৯৭.৯৯ কোটি টাকা), ‘জওয়ান’- (৫৮২.৩১ কোটি টাকা), ‘পাঠান’ (৫২৪.২৪ কোটি টাকা), ‘বাহুবলী-২ দ্য কনক্লুশন’ – (৫১০ কোটি টাকা), ‘কেজিএফ-২’ – (৪৩৫.৩৩ কোটি টাকা) এবং ‘অ্যানিমেল’ (৫০২.৯৮ কোটি টাকা) অন্যতম।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

    সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে

    জানা গিয়েছে, ‘পুষ্পা ২ – দ্য় রুল’ সিনেমা (Pushpa-2) বিশ্বব্যাপী ভারতের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করার লক্ষ্যে রয়েছে। আমির খানের দঙ্গল এখনও প্রথম স্থানে রয়েছে। দঙ্গল সিনেমা বিশ্বব্যাপী ২০০০ কোটি টাকা আয় করেছে। আর পুষ্পা-২ এই কয়েকদিনে ছবিটি ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী ১৫০০ কোটি টাকা আয় করেছে। ২০২১ সালের হিট ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’-এর একটি সিক্যুয়াল সিনেমা হচ্ছে ‘পুষ্পা ২ – দ্য় রুল’। পুষ্পা সিনেমার জন্য অল্লু অর্জুন সেরা অভিনেতা হওয়ার জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন। এই কৃতিত্ব অর্জনকারী প্রথম তেলুগু অভিনেতা তিনি। ছবিটি দর্শকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • The Sabarmati Report: “দ্য সবরমতী রিপোর্ট দেখার পর মোদিজির চোখের কোণে ছিল জল”, আবেগাপ্লুত বিক্রান্ত মৈসী

    The Sabarmati Report: “দ্য সবরমতী রিপোর্ট দেখার পর মোদিজির চোখের কোণে ছিল জল”, আবেগাপ্লুত বিক্রান্ত মৈসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ (The Sabarmati Report) নজর কেড়েছে দর্শকদের। এই সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) এবং তাঁর মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা। নরেন্দ্র মোদির চোখে জল দেখেছিলেন সিনেমার অভিনেতা বিক্রান্ত মৈসী। নিজের অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করে সেই অনুভূতি ভাগ করে নিলেন তিনি। জানালেন, এই সিনেমার অভিনয় দাগ কেটেছে মোদিজির মনে। তাঁর ‘চোখের কোণে জল’ দেখেছি আমি।

    “আমার কাজ পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী” (The Sabarmati Report)

    সম্প্রতি একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে আলাপচারিতার প্রসঙ্গ টেনে অভিনেতা বিক্রান্ত মৈসী বলেন, “দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে। তবে তা গোপন রাখাই শ্রেয়। কিন্তু এইটুকু বলতে পারি আমাদের মোদিজি সিনেমাটি (The Sabarmati Report) উপভোগ করেছেন। আমাদের পরিশ্রম, প্রচেষ্টার ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। আমার কাজ পছন্দ করেছেন, ওঁর চোখের কোণে জল ছিল। এই প্রশংসা আজীবন আমার সঙ্গে থেকে যাবে।” উল্লেখ্য সিনেমার বিষয় ছিল ২০০২ সালে গোধরা দাঙ্গার প্রেক্ষাপট। সবরমতি এক্সপ্রেসে কীভাবে আগুন লাগিয়ে রামভক্ত করসেবকদের ষড়যন্ত্র করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল সেই কাহিনি রয়েছে সিনেমার গল্পে। নিহত ৫৯ জনের মধ্যে অধিকাংশ মহিলা এবং শিশু ছিল। সংবাদ মাধ্যম ঘটনাকে চেপে সত্যতাকে কীভাবে লুকিয়ে রেখেছিল, সেই গল্প রয়েছে সিনেমায়।

    আরও পড়ুনঃ করিডর তৈরির পর তিন বছরে ১৯.১৩ কোটি ভক্ত বেড়েছে কাশী বিশ্বনাথ ধামে

    বক্স অফিসে সাফল্যই বড় কথা নয়

    অভিনেতা বিক্রান্ত মৈসী আরও বলেন, “অনেক ধরনের অভিনেতা রয়েছেন। আমি একটা সংশোধন করতে চাই-সবরমতী রিপোর্ট (The Sabarmati Report) হিট। যদি বিনিয়োগ, প্রোডাকশনের খরচ ও আয় দেখেন তবে এটা অবশ্যই হিট। আমি মনে করি ২০০ কোটি টাকা দিয়ে সিনেমা তৈরি করে ২৫০ কোটি টাকা আয় করলে সেটা মোটেও ভালো ব্যবসা নয়। আর যদি ১৫ কোটি ব্যয় করে সিনেমা তৈরি করে ৪০ কোটি টাকা আয় করে সেটা ভা্লো ব্যবসা। আমি এই ধরনের মানসিকতার সঙ্গে কাজ করি। তবে বক্স অফিসে সাফল্যই সিনেমার সাফল্যের একমাত্র মাপকাঠি নয়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Allu Arjun: ‘পুষ্পা ২’-এর প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মহিলার মৃত্যু, গ্রেফতার অভিনেতা অল্লু অর্জুন

    Allu Arjun: ‘পুষ্পা ২’-এর প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মহিলার মৃত্যু, গ্রেফতার অভিনেতা অল্লু অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার হয়েছেন দক্ষিণের অভিনেতা অল্লু অর্জুন (Allu Arjun)। গত ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা ২’ (Pushpa-2) ছবির প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়ে ছিল এক মহিলার। এবার এই মৃত্যুর ঘটনায় পদক্ষেপ করল পুলিশ। উল্লেখ্য যখন ওই মহিলার মৃত্যু হয়, তখন সেই সময় উপস্থিত ছিলেন এই অভিনেতা। উল্লেখ্য অল্লু অভিনীত সিরিজের প্রথম পর্ব ‘পুস্পা’ বক্স অফিসে ব্যাপক সফল হয়েছিল। সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ছিল। তাই প্রিমিয়ারে অত্যধিক ভিড়ে মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।

    অত্যন্ত ভিড় সম্পর্কে আগাম তথ্য জানানো হয়নি (Allu Arjun)

    জানা গিয়েছে, অল্লু অর্জুন (Allu Arjun) অভিনীত ‘পুস্পা ২’ (Pushpa-2) সিনেমার প্রিমিয়ার মৃত মহিলার বয়স ছিল ৩৯। এই মহিলার সঙ্গে তাঁর নাবালক ছেলেও ছিল। একই সঙ্গে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে অনেক মানুষ পদপৃষ্ঠ হয়ে গুরুতর আহতও হয়েছিলেন। পরে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর আয়োজক সন্ধ্যা থিয়েটারের ব্যবস্থাপনার কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, “চলচ্চিত্র কলাকুশলীদের উপস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকে জানানো হয়নি। অত্যন্ত ভিড় সম্পর্কে আগাম তথ্য জানানো হয়নি।”

    মৃতের পরিবারের সদস্য অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা

    ঘটনায় বড়সড় গাফিলতি এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার অভিনেতা অল্লু অর্জুনকে (Allu Arjun) আটক করে নিয়ে আসা হয় চিক্কাদপল্লী থানায়। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারার ১০৫ নম্বর ধারার অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই মামলায় হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ যুক্ত করা হয়েছে। একই ভাবে ধারা ১১৮(১) আর ডবলু ৩(৫)-তে স্বেচ্ছায় আঘাত করার মামলাও দায়ের হয়েছে। সেন্ট্রাল জোনের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ, অক্ষাংশ যাদব বলেন, “মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে থিয়েটারের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী সমস্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন অনুসারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনা অত্যন্ত মর্মস্পর্শী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • The Sabarmati Report: বিক্রান্ত মৈসী অভিনীত ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’ ছবি দেখলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    The Sabarmati Report: বিক্রান্ত মৈসী অভিনীত ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’ ছবি দেখলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্রান্ত মৈসী অভিনীত ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’ (The Sabarmati Report) সিনেমা দেখেলেন প্রধান নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Modi)। ২০০২ সালের গোধরা স্টেশনে সবরমতি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে করসেবকদের পুড়িয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার উপর নির্মিত এই সিনেমার প্রশংসা গত মাসেই করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মিথ্যাচার, অসত্য কথন এবং বিভ্রান্তির গুজবের বিরুদ্ধে সত্য প্রকাশিত হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। একই ভাবে সিনেমার পরিচালক, প্রযোজক এবং অভিনেতাদের ভালো কাজ বলে মূল্যায়ন করেছিলেন।

    ৫৯ জনকে পুড়িয়ে মেরেছিল মুসলিম দুষ্কৃতীরা (The Sabarmati Report)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Modi) সোমবার বিকাল ৪টায় সংসদ কমপ্লেক্সের লাইব্রেরিতে ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’ দেখেছেন। এই সিনেমার মূল বিষয় হল, ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, যেদিন গুজরাটের গোধরা স্টেশনে সবরমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে ৫৯ জন শিশু, মহিলা এবং পুরুষদের নৃশংস ভাবে পুড়িয়ে মেরেছিল মুসলিম দুষ্কৃতীরা। পরিকল্পনা করে ষড়যন্ত্র করে যে করা হয়েছিল, সেই সময়ে মূল ধারার সংবাদমাধ্যম তুলে ধরেনি। তাই সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা এবং সত্যকে চাপা দেওয়া বিষয়ের বিরুদ্ধে নির্মাণ করা হয়েছে সিনেমায়। এদিন মোদির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগত প্রকাশ নাড্ডা সহ আরও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের আরও অনেক নেতারা। এই সিনেমার প্রযোজক হলেন একতা কাপুর, পরিচালক ধীরাজ সারনা এবং মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন বিক্রান্ত মৈসী, ঋদ্ধি ডোগরা।

    “মিথ্যা কথন বেশি দিন চলে না”

    এদিন সিনেমা দেখে মোদি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে মোদি বলেন, “এনডিএ জোটের সাংসদদের নিয়ে দ্য সবরমতি রিপোর্ট দেখালাম। আমি চলচ্চিত্র (The Sabarmati Report) নির্মাতাদের এই প্রচেষ্টার জন্য সাধুবাদ জানাই। মিথ্যা কথন বেশি দিন চলে না, সত্যকে সাময়িক চাপা দেওয়া যায়, কিন্তু একদিন না একদিন উঠে আসবেই।” একই ভাবে অভিনেতা বিক্রান্ত মৈসী নিজের একটি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সিনেমা দেখার বিষয়টি অত্যন্ত ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওখানে উপস্থিত ছিলেন। আমি কতটা আনন্দিত, ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমার জীবনে মোদিজির সঙ্গে সিনেমা দেখার সুযোগ একটি বিরাট পাওনা। আমার ক্যারিয়ারের সব থেকে বড় প্রাপ্তি।” উল্লেখ্য গত ১৫ নেভেম্বর মুক্তি পেয়েছে সিনেমা। ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গুজরাট, ওড়িশা, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে কর মুক্ত করা হয়েছে।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Vikrant Massey (@vikrantmassey)

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Vikrant Massey: আসছিল লাগাতার হুমকি, টার্গেট ৯ মাসের সন্তানকেও! অভিনয়কে বিদায় বিক্রান্ত মৈসীর

    Vikrant Massey: আসছিল লাগাতার হুমকি, টার্গেট ৯ মাসের সন্তানকেও! অভিনয়কে বিদায় বিক্রান্ত মৈসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্রান্ত মৈসী (Vikrant Massey) এবং তাঁর স্ত্রী শীতল ঠাকুর গত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ প্রথম নবজাতকের পিতৃত্ব এবং মাতৃত্ব লাভ করেছিলেন। সম্প্রতি এই বলিউড অভিনেতা ‘সবরমতি রিপোর্ট’ সিনেমায় অসাধারণ অভিনয়ে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন। সেখানে কীভাবে রামভক্ত কর সেবককের পুড়িয়ে মারা হয়, তার বিশ্লেষণ হয়েছে। তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে মূল ধারার সাংবাদ মাধ্যমকেও। ঠিক পরে পরেই অভিনেতা এবং তাঁর সন্তানকে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এরপর নিজে থেকেই সিনেমা থেকে অবসর (Vikrant Massey Quits Acting) নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বিক্রান্ত। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    নিরাপত্তার জন্য আমার খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে

    বিক্রান্ত মৈসী (Vikrant Massey) নিজে একাধিক বার ছেলে বরদানের নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগ রয়েছেন। একটি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে জানিয়েছেন, সামাজিক মাধ্যম এবং হোয়াটঅ্যাপে ছেলেকে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমি মাত্র ৯ মাস আগে সন্তানের বাবা হয়েছি। যে কীনা এখনও চলতে শেখেনি, কিন্তু তাকেও জড়িয়ে প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ওর নিরাপত্তার জন্য আমার খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে। আমরা কেমন সমাজে বসবাস করছি ভাবতেই অবাক লাগছে। কিন্তু আমি সিনেমা নিয়ে ভীত (Vikrant Massey Quits Acting) নই। ভয় পেলে সিনেমা মুক্তি পেত না।”

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Vikrant Massey (@vikrantmassey)

    সামজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া

    বলিউড অভিনেতা বিক্রান্তের (Vikrant Massey) একাধিক সিনেমা দর্শক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অভিনয় ছাড়ার প্রসঙ্গ নিয়ে বলেন, “২০২৫ সাল আসছে, আমরা একে অপরের সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করব। আমার শেষ দুটি সিনেমা অনেক বছরের স্মৃতি হয়ে কাজ করবে। আমি বাড়িতে ফিরে যেতে চাই একজন স্বামী, বাবা এবং পুত্র হিসেবে। আমার যা অর্জন সব দর্শকদের জন্য। আমি সবার কাছে বিশেষ ভাবে ঋণী।”

    “বলিউডে আপনার অভিনয় আরও প্রয়োজন”

    তবে সামাজিক মাধ্যমে এই অভিনেতার (Vikrant Massey) পোস্টকে ঘিরে দর্শক মহলে নানা প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গিয়েছে। কেউ বলছেন ‘ছোট বিরতি’। অপর আরেকজন লিখেছেন, “হঠাৎ? সবকিছু ঠিক আছে তো? ভক্তদের কাছে খুবই আশ্চর্য জনক বিষয়। আমরা আপনার অভিনয়, সিনেমাকে খুব পছন্দ করি। ইতিমধ্যেই সুশান্ত সিং রাজপুতের মতো এক অভিনেতাকে আমরা হারিয়েছি। বলিউডে আপনার অভিনয় আরও প্রয়োজন।” আবার আরও এক ভক্ত লিখেছেন, “আরও শক্তিশালী হয়ে আবার ফিরে আসুন অভিনয়ের ময়দানে (Vikrant Massey Quits Acting)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rabi Ghosh: চাকরি ছেড়ে দিয়ে অভিনয়, পড়ুন বডিবিল্ডার রবি ঘোষের কমেডিয়ান হয়ে ওঠার কাহিনি

    Rabi Ghosh: চাকরি ছেড়ে দিয়ে অভিনয়, পড়ুন বডিবিল্ডার রবি ঘোষের কমেডিয়ান হয়ে ওঠার কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা ছবির কিংবদন্তী অভিনেতা (Actor) রবি ঘোষ। শুধু কমেডিয়ান বললে তাঁকে সঠিক সম্মান জানানো হয় না। বুদ্ধিদীপ্ত কমেডি অভিনয়ের শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ছিলেন রবি ঘোষ, যাঁর চোখ কথা বলত। সেই চোখের প্রশংসা করেছিলেন সত্যজিৎ রায় থেকে তপন সিন‍্‍হা। ১৯৩১ সালের ২৪ নভেম্বর কোচবিহারে জন্ম হয় রবি ঘোষের (Rabi Ghosh)। তাঁর আসল নাম ছিল রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দস্তিদার। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন তিনি। 

    স্কুল-কলেজ জীবন (Rabi Ghosh)

    রবি ঘোষের (Rabi Ghosh) পূর্বপুরুষরা ছিলেন বাংলাদেশের বরিশালের লোক। তাঁর বাবা জিতেন্দ্রনাথ ঘোষ দস্তিদার চাকরির সুবাদে পরিবার নিয়ে থাকতেন কলকাতার মহিম হালদার স্ট্রিটে। কোচবিহার জেনকিন্স স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা রবির। তারপর দেশভাগ। ভারতবর্ষ স্বাধীনতা পেল। ১৯৪৭ সালে কলকাতার ‘সাউথ সাবার্বান মেন স্কুল’ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। স্কুলে রবির সহপাঠী ছিলেন উত্তম কুমারের ছোটভাই তরুণ চট্টোপাধ্যায়, অর্থাৎ অভিনেতা তরুণ কুমার। তখন কে জানত পরবর্তীকালে দুই বন্ধু একইসঙ্গে বাংলা ছবির উজ্জ্বল নক্ষত্র হবেন। রবি ঘোষ এবং তরুণ কুমার একসঙ্গে শুধু ফিল্ম নয়, প্রচুর নাটকও করেছেন পেশাদার রঙ্গমঞ্চে। রবি ঘোষ আশুতোষ কলেজ থেকে আইএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৯৪৯ সালে এবং সেই কলেজেরই নৈশ বিভাগ শ্যামাপ্রসাদ কলেজে বি.কম-এ ভর্তি হন। নিয়মিত শরীরচর্চা শুরু কলেজের ব্যায়ামাগারেই। কারণ রবির দু’চোখে তখন শুধু বডিবিল্ডার হওয়ার স্বপ্ন। অভাব-অনটন-দুর্যোগ কাটিয়ে রবি ঘোষ বডিবিল্ডার হতে পেরেছিলেন। যে কারও চোখ ঝলসে যেত রবির পেশি ফোলানো চেহারা দেখে। কোন বাঙালি ছেলের অমন চেহারা দেখা দুর্লভ তখন। রবি হতে চেয়েছিলেন বডি বিল্ডার, হয়ে গেলেন কমেডিয়ান।

    পুলিশের চাকরি ছেড়ে অভিনয়ে

    ১৯৫৩ সালে কলকাতা পুলিশ-কোর্টে (Rabi Ghosh) চাকরি শুরু করলেও ১৯৬১ সালে সেসব পাট চুকিয়ে পাকাপাকি অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। অভিনয় জীবন শুরু পঞ্চাশের দশকে ‘সাংবাদিক’ নাটক দিয়ে। পরিচালক ছিলেন উৎপল দত্ত। রবি ঘোষের ছবি করা শুরু হয় অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের ‘কিছুক্ষণ’ ছবি দিয়ে। সে ছবি আজ লুপ্ত। সে সময়ে হিরোদের বাহুবলী হওয়ার দরকার পড়ত না। দরকার পড়ত অভিনয়ের, আর খানিকটা সুন্দর মুখেরও। রবি ঘোষের ‘সুন্দর মুখ’ ছিল না, তাই নায়ক হওয়া হয়নি। উত্তম-সৌমিত্র-বসন্ত যুগে পেলেন না রবি নায়কের রোল।  কিন্তু রবি তাঁর প্যাশন বিসর্জন দিলেন না। তবে, ‘গল্প হলেও সত্যি’র ধনঞ্জয় তো নায়কই। হিন্দিতে যখন ‘গল্প হলেও সত্যি’র রিমেকে ‘বাবুর্চি’ হলেন রাজেশ খান্না, সে তো কাকের গায়ে ময়ূরপুচ্ছ লাগানো হল। রাজেশ খান্না সুপারস্টার হিরো। কিন্তু সেই স্টারডমে যেন ধনঞ্জয়ই এগিয়ে রইলেন। এখানেই রবি ঘোষের জয়। যদি হিন্দি রিমেকেও রবি ঘোষ থাকতেন তাহলে হয়তো ছবিটা অন্য ইতিহাস করত। কিন্তু বলিউড প্রযোজকরা একজন আঞ্চলিক অভিনেতার ওপর ভরসা করতে পারেননি।

    সব ধরনের অভিনয়ে বাজিমাত!

    সত্যজিৎ রায়, তপন সিন‍্‍হা, দীনেন গুপ্ত থেকে অঞ্জন চৌধুরী। সব ধারার ছবিতে দশকের পর দশক রবি ঘোষ (Rabi Ghosh) অনন্য, কি কমেডি কি অন্যধারার অভিনয়। সত্যজিৎ রায়ের বাঘার অভিনয় সকলের নজর কেড়েছিলেন। ‘আগন্তুক’ বা ‘নির্জন সৈকতে’র রবি ঘোষ দুটো একদম ভিন্ন চরিত্র। একটি চরিত্র বন্ধুবৎসল, বিচক্ষণ লোক এবং অন্যটি পুরীর পান্ডা, যে উড়ে-ভাষী। কী রেঞ্জ অভিনয়ের! ‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’য় পানু প্রাণকেষ্টর চরিত্রেও অসামান্য রবি ঘোষ। মৃণাল সেনের কোরাস সিনেমাটির শুরুতেও তাঁকে দেখা যায়। তরুণ মজুমদার অনেক ছবিতেই রবি ঘোষকে নিয়ে কাজ করেন, যেমন ‘ঠগিনী’, ‘রূপসী’, ‘শহর থেকে দূরে’। বিজয় বসুর ‘বাঘিনী’র ভিলেন রোলেও রবি দুরন্ত। সত্যজিৎ বাবুর ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ ছবিতে রবি ঘোষ মাতাল বন্ধুদের সঙ্গে থেকেও মদ্যপান করেননি। তাঁর শেষ কাজ কলকাতা দূরদর্শনে ‘গোপাল ভাঁড়’, তা দেখতে প্রতি রবিবার দুপুরে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যেত।

    মেলেনি সরকারি স্বীকৃতি

    কলকাতা শহরে রবি ঘোষকে (Rabi Ghosh) নিয়ে কোনও অনুষ্ঠান নেই, চর্চা নেই। এমনই আক্ষেপ তাঁর অনুগামীদের। লেজেন্ডরা সরকারি স্বীকৃতি কবেই বা পেয়েছেন! তবু দর্শক মনে তাঁদের চির-উজ্জ্বল উপস্থিতিই যেন আসল পুরস্কার। ভয়ঙ্কর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন রবি ঘোষ। প্রয়োজনের বাইরে একটি কথাও তিনি বলতেন না। রাশভারী গোছের মানুষ ছিলেন। তবে অভিনয় জগতে ‘সিন স্টিলার’ ছিলেন তিনি। দৃশ্য চুরি করে নিতে পারতেন অনায়াসেই। রবি ঘোষ এমন একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি খেতে খেতে খুব ভালো কথা বলতে পারেন। প্রিয় খাবার ছিল লুচি আর পাঁঠার মাংস। ১৯৯৭ সালের 8 ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। তবে, তাঁর অভিনয়ের মধ্যে দিতে তিনি আজও বেঁচে রয়েছেন বাঙালির মনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • The Sabarmati Report: মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশে কর মুক্ত ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’, একই পথে গোয়াও

    The Sabarmati Report: মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশে কর মুক্ত ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’, একই পথে গোয়াও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসার পরই উত্তরপ্রদেশ করমুক্ত হল ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’। এর আগে ছবিটি মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানার সরকার করমুক্ত করেছে। ছবি দেখার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবির (The Sabarmati Report) প্রশংসা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘এই ছবির মাধ্যমেই সত্যি উন্মোচিত হয়েছে। খুব ভালো।’’

    উত্তরপ্রদেশে করমুক্ত ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ (The Sabarmati Report)

    বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউতে এই ছবিটির স্পেশাল স্ক্রিনিং হয়। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছবির (The Sabarmati Report) অন্যতম অভিনেতা বিক্রান্ত মাসে- সহ অন্যান্য কলাকুশলী। সেই অনুষ্ঠানেই সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলীদের সঙ্গে দেখা করে ছবিটি করমুক্ত করার কথা ঘোষণা করেন যোগী আদিত্যনাথ। ২০০২ সালের গোধরা কাণ্ডের ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ সিনেমা। ছবির প্রশংসা করে রবিবার মোদি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছিলেন, ‘‘ভুয়ো তথ্য কিংবা অপপ্রচারের আয়ু বেশি দিন হয় না। সত্যিটা সবসময় সামনে বেরিয়ে আসে।’’ এই প্রথম নয় যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোনও ছবির প্রশংসা করলেন। এর আগে ২০২২ সালে তিনি বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’-এর প্রশংসা করেছিলেন এবং ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-এর কথাও উল্লেখ করেছিলেন।

    বিক্রান্ত মাসে কী বললেন?

    প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ছবির প্রযোজক একতা কাপুর। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনি আমাদের সাহস জুগিয়েছেন। আমরা যে-সঠিক পথেই যাচ্ছি, আপনার প্রশংসাই তার প্রমাণ।’ ছবিটি (The Sabarmati Report) নিয়ে যে বিতর্ক হবে, তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। তবে তার জন্য মুখ্য অভিনেতাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হবে, সেটা কেউ ভাবতে পারেননি। অভিনেতা বিক্রান্ত মাসে এএনআইকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, ‘‘আদিত্যনাথজিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিল্ম এবং আমি সবাইকে এই ছবিটি দেখার জন্য অনুরোধ করছি।’’

    সিনেমা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী

    অন্যদিকে, উপ-মুখ্যমন্ত্রী অরুণ সাও-এর সঙ্গে ২১ নভেম্বর রায়পুরে ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ সিনেমাটি দেখেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই। মন্ত্রী পরিষদের সহকর্মী, বিজেপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পরিবারের সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আর ছবির প্রযোজক ও শিল্পী নিয়ে ছবিটি (The Sabarmati Report) দেখেছেন তাঁরা। এই ছবিতে খোলামেলা সত্য দেখানোর সাহসী প্রচেষ্টা অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং চিত্তাকর্ষক। এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই ছবিটির প্রশংসা করে বলেছেন, “এটি একটি ভালো সিনেমা। আমরা সকলেই দেখলাম। গোধরা ঘটনার সত্যতা দেশ ও গোটা বিশ্ববাসী জানবে।”

    কর মুক্ত করার ভাবনা গোয়া সরকারের

    এমনিতেই দেশের একাধিক রাজ্য এই সিনেমাটি কর মুক্ত ঘোষণা করে দিয়েছে। অনেকে আবার সেই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে, দেশজুড়ে এই সিনেমাটিকে (The Sabarmati Report)  নিয়ে বাড়তি উত্তেজনা কাজ করছে। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তও ছবিটির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এটিকে গোয়ায় করমুক্ত করার কথা চিন্তাভাবনা করেছেন। তিনি বলেন, “এই সিনেমাটি দেখার পর, আমি এটিকে গোয়ায় করমুক্ত করার কথা ভাবছি। আমরা কয়েক দিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করব।” ফলে, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, ছত্তিশগড়ের পর এবার গোয়া সরকারও সেই পথে হাঁটছে। সিনেমাটির সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রমোদ সাওয়ান্ত আরও বলেন, “আজ, আমি আমার দলের রাজ্য সভাপতি এবং মন্ত্রীদের সঙ্গে সবরমতি রিপোর্ট দেখেছি। সেই সময় এই ঘটনায় গোটা গুজরাট উত্তাল হয়ে উঠেছিল। দেশবাসীর কাছে সমস্ত বিযয়টি জানার খুব প্রয়োজন ছিল। খুব কম ফিল্মমেকারই বাস্তব ঘটনার ওপর ফোকাস করেন। এই ছবিটি একটি সত্য ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। আমি প্রযোজক এবং অভিনেতাদের তাদের প্রশংসনীয় কাজের জন্য অভিনন্দন জানাই।”

    সিনেমা দেখলেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব

    দেশের একাধিক রাজ্যে প্রশংসিত হয়েছে ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ সিনেমা। বৃহস্পতিবার বাংলার বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এই সিনেমাটি (The Sabarmati Report) দেখেন। প্রত্যেকে সিনেমাটি প্রশংসা করেছেন। সেদিনের প্রকৃত ঘটনা দেশবাসী জানতে পারবেন বলে বঙ্গ বিজেপির নেতারা মনে করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pather Panchali: চলে গেলেন ‘পথের পাঁচালী’র দুর্গা! প্রয়াত অভিনেত্রী উমা দাশগুপ্ত

    Pather Panchali: চলে গেলেন ‘পথের পাঁচালী’র দুর্গা! প্রয়াত অভিনেত্রী উমা দাশগুপ্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত অভিনেত্রী উমা দাশগুপ্ত (Uma Dasgupta)। সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মাত্র একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তাতেই বিশ্বজোড়া খ্যাতি। ১৯৫৫ সালে সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’তে (Pather Panchali) তিনি ‘অপু’র দিদি ‘দুর্গা’-র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। কিশোরী বয়সের দুর্গাকে পর্দায় জীবন্ত করেছিলেন উমা। এর পর তাঁকে আর পর্দায় দেখা যায়নি। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন শিক্ষক। ফলে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল ক্ষীণ। অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর আবাসনের বাসিন্দা উমা দাশগুপ্ত। বিধায়ক-পরিচালক-অভিনেতা চিরঞ্জিৎ দুর্গার চলে যাওয়ার খবর দেন।

    মারণ ব্যাধির সঙ্গে লড়াই

    কয়েক বছর আগে ক্যান্সার হয়েছিল তাঁর। তার পর প্রাথমিক চিকিত্‍সায় সাড়াও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মারণরোগ আবারও শরীরে বাসা বাঁধে তাঁর। শেষ রক্ষা হল না। চিকিত্‍সার জন্য তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন উমাদেবী। যদিও এখনও তাঁকে ‘দুর্গা’ হিসাবেই মনে রেখেছেন সবাই। মাঝে অনেক বারই তাঁর মৃত্যুর ভুয়ো সংবাদ শোনা গিয়েছিল। তবে এবার আর কোনও রটনা নয়। চিরবিদায় নিলেন ‘পথের পাঁচালী’র দুর্গা। তবে অসীমের মাঝে তিনি বিলীন হলেও বাঙালির মনে তাঁর আসন চিরস্থায়ী। দুর্গার বিসর্জনে তাই মন খারাপ বিশ্ব জোড়া বাঙালির।

    আরও পড়ুন: ভারত-জাপান বিশেষ প্রতিরক্ষা-চুক্তি, নৌসেনার রণতরীগুলিতে বসবে ‘স্টেলথ’ মাস্তুল

    ‘পথের পাঁচালী’র দুর্গার সম্পর্কে সত্যজিৎ রায়ের পুত্র পরিচালক সন্দীপ রায় জানান,  “তখন আমি শিশু। ফলে, সে ভাবে কোনও স্মৃতিই আর নেই। উমাদি তখন মাত্র ১৪। পরে আর অভিনয় করেননি। ফলে, ওঁর সঙ্গে আমাদের আর যোগাযোগ ছিল না।” পরিচালক-পুত্রের আফসোস, সেই সময়ের সব স্মৃতি প্রয়াত অভিনেত্রী সঙ্গে নিয়ে চলে গেলেন! ‘পথের পাঁচালী’র পর আর কোনও ছবিতে কেন অভিনয় করেননি তিনি, তা এক রহস্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Akshay Kumar: আগেই ছেড়েছেন কানাডার নাগরিকত্ব, “আমার মন, হৃদয় এবং আত্মা ভারতীয়”, বার্তা অক্ষয়ের

    Akshay Kumar: আগেই ছেড়েছেন কানাডার নাগরিকত্ব, “আমার মন, হৃদয় এবং আত্মা ভারতীয়”, বার্তা অক্ষয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড অভিনেতা সুপারস্টার অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar) কানাডার নাগরিকত্ব দীর্ঘ দিন ধরে ছিল। এবার তিনি কেন কানাডিয়ান নাগরিকত্ব ছাড়লেন, তা সামাজিক এবং সংবাদ মাধ্যমে অকপটে জানালেন। উল্লেখ্য গতবছরই সামাজিক মাধ্যমে ওই দেশের নাগরিকত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এবার তিনি বলেন, “আমার মন, হৃদয় এবং আত্মা ভারতীয় (Indian)। এটি সর্বদা অক্ষত থাকবে।” ঘটনায় ভারতীয় সংস্কৃতি-ঐতিহ্য এবং পরম্পরার প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা প্রকাশও করেন। উল্লেখ্য কানাডার সঙ্গে ভারতের বর্তমান কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত তিক্ততার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। এই অবস্থায় অক্ষয়ের মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    কেন কানাডার নাগরিকত্ব ছাড়লেন (Akshay Kumar)

    তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে (Akshay Kumar) প্রায় সময়ে প্রশ্ন করা হয়, প্রায় এটা নিয়ে সামজিক মাধ্যমেও বিভিন্ন সময়ে ব্যাপক ভাবে ট্রোলড করা হয় তাঁকে। কিন্তু এবার কানাডার নাগরিকত্ব ছাড়ার পর ভারতের প্রতি আস্থা প্রকাশ করলেন তিনি। হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট ২০২৪-এ একটি সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেন, “কানাডিয়ান নাগরিকত্ব ত্যাগের বিষয়টি বর্তমান ভূ-রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কহীন। কোন বাবা নয়, আমার বাবা-মায়ের আশীর্বাদ সব সময় ছিল। ম্যায় চুপচাপ নিকাল গেয়া (আমি চুপচাপ বেরিয়ে এসেছি)।” একই ভাবে গত বছর সামজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে বলেন, “আমার মন আর নাগরিকত্ব দুটোই হিন্দুস্থানি অর্থাৎ হৃদয় এবং নাগরিকত্ব ভারতীয় (Indian)। স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। জয় হিন্দ।”

    ভারতের প্রতি আস্থা

    নতুন সিনেমা ‘সিঙ্ঘম্‌ এগেইন’-এর প্রমোশন প্রসঙ্গে অভিনেতা অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar) এদিন আরও বলেন, “ওই সময়ে আমার ছবিগুলোর কাজ হচ্ছিল না। বাকিদের সবাইকার কাজ চলছিল। তখন আমি কানাডায় আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কার্গোতে কাজ করছিলাম। কিন্তু দুটি সিনেমা মুক্তিও পায় এবং তারপর সেগুলো হিট করে যায়। ওটা আমার সঙ্কটের সময় ছিল, আমি পরবর্তীতে আরও অনেক হিট সিনেমা করতে পেরেছি। সবটাই দরকারে ছিল কানাডার নাগরিকত্ব। প্রায় ৩-৪ বছর আগে আমি এই মঞ্চে বলেছিলাম যে আমি কানাডার নাগরিকত্ব ছেড়ে দেব এতে কিছু সময় লেগেছে। গত বছর ঠিক ১৪ বা ১৫ অগাস্ট আমি আমার ভারতীয় (Indian) পাসপোর্ট পেয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shah Rukh Khan: ৩১ বছর পর আসছে ‘বাজিগর ২’, নায়ক শাহরুখ খান, জানালেন চিত্র প্রযোজক

    Shah Rukh Khan: ৩১ বছর পর আসছে ‘বাজিগর ২’, নায়ক শাহরুখ খান, জানালেন চিত্র প্রযোজক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আসছে ‘বাজিগর ২’ (Baazigar 2), নায়ক শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)। সিনেমা সম্পর্কে জানালেন প্রযোজক রতন জৈন। উল্লেখ্য ৩১ বছর আগে এই ‘বাজিগর’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল কিং খানকে। তারপর আর ক্যারিয়ারের পিছন দিকে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবিতে সুপার হিটে দর্শকদের মনে বিরাট জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। আজও ‘বাজিগর’ সিনেমার গানে মন মজে দর্শকদের।

    ৩০ বছর পর নতুন লুকে কিং খান (Shah Rukh Khan)

    ১৯৯৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) ‘বাজিগর’ সিনেমা। মুভির পোস্টারে মধ্যেখানে ছিলেন শাহরুখ এবং পাশে দুই নায়িকা। এক দিকে শিল্পা শেট্টি এবং অপর দিকে কাজল। প্রেম রোম্যান্স, অ্যাকশন এবং কমেডিতে হিট ছিল সিনেমা। কিন্তু সেই সময় সিনেমা জগতে প্রথম শুরু খানের। কিং খানের তকমা পাননি। অবশ্য নায়ক বেশে খলনায়ক তেমন চোখে পড়ত না বলিউডে। সেই সময় একের পর এক ছবিতে নেগেটিভ হিরো-র চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জিতে নিয়েছিলেন শাহরুখ। যার অন্যতম ছিল ‘বাজিগর’। এখন অনেক সময় পার করে এসেছেন। ৩০ বছর আর কম সময় নয়। অনেক জল বয়ে গেছে। ২০২৪ সালের এই সিনেমা রিমেক বলছেন কেউ কেউ। তবে জানা গিয়েছে নায়ককে দেখা যাবে একদম নতুন লুকে (Baazigar 2)। দর্শক মহল মনে করছেন হয়ত ৩০ বছরের আগেই ফিরে যাবেন সিনেমায়।

    আরও পড়ুনঃ ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ শূন্য! প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা নাট্যকার মনোজ মিত্র

    প্রয়োজক অত্যন্ত আশাবাদী

    তবে শাহরুখ (Shah Rukh Khan) যে সিনেমায় আগ্রহী ছিলেন না তা নয়। অভিনেতা—পরিচালকের সঙ্গে আলোচানায় নানা কথা উঠে এসেছে। সিনেমা (Baazigar 2) যে নির্মাণ হচ্ছে তা পরিচালক রতন জৈন স্পষ্ট করে জানিয়েছেন। তবে সিনেমার নায়ক হিসেবে কিং খানের ইচ্ছেকে প্রধান্য দেওয়া হবে। তবে এই বিষয়ে প্রযোজক অত্যন্ত আশাবাদী।  

    বাজিগর সিনেমায় প্রথমে অনিল কাপুরকে ভিকির চরিত্রে কল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু অনিল তখন ‘রূপ কি রানী চোর কা রাজা’ সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাই অফার মানা করে দেন। পরবর্তী সময়ে ‘বাজিগর’ সিনেমার অফার করা হয় সালমান খানকে। কিন্তু সালমানের বাবা সেলিম চাননি ছেলে এইরকম কোনও নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করুক। অবশেষে এই অফার যায় শাহরুখ খানের কাছে। তিনি রাজি হন। সিনেমা ব্যাপক হিট হয়। বাকিটা ইতিহাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share