Category: গ্যাজেট

Get updated Gadget related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • WhatsApp: ভয়েস রেকর্ড মেসেজ লিখিত আকারে পৌঁছবে প্রাপকের কাছে! ভারতে চালু হোয়াটসঅ্যাপের নয়া ফিচার

    WhatsApp: ভয়েস রেকর্ড মেসেজ লিখিত আকারে পৌঁছবে প্রাপকের কাছে! ভারতে চালু হোয়াটসঅ্যাপের নয়া ফিচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেটা-র মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) এ বার ভারতে আনল নয়া ফিচার। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভয়েস মেসেজ ট্রান্সক্রিপশন’। হোয়াটসঅ্যাপের ভয়েস মেসেজ ‘ট্রান্সক্রিপশন’ ফিচারটি অন করা থাকলে ভয়েস রেকর্ডেড বার্তার লিখিত প্রতিরূপ প্রাপকের কাছে পৌঁছে যাবে। অনেকক্ষেত্রে রেকর্ড করা বার্তা সব জায়গায় খোলা সম্ভব হয় না। এতে গোপনীয়তা নষ্ট হয় আশেপাশে ভিড় থাকলে। হোয়াটসঅ্যাপের এই নয়া ফিচারের (WhatsApp) মাধ্যমে সেই সমস্যা মিটবে বলেই মনে করছেন অনেকে। একইসঙ্গে কিছু অফিসিয়াল বিষয় তো থাকেই, যা লিখিত রূপে পাঠানোই ভালো।

    ফিচারটির কীভাবে কাজ করবে?

    জনসমক্ষে রেকর্ড করা বার্তা শুনতে হবে না প্রাপককে। যিনি বার্তা (WhatsApp) পাঠাবেন, তাঁকে কষ্ট করে লিখতেও হবে না। ভয়েস রেকর্ড করার পদ্ধতিতেই পুরো বিষয়টি, পরে যখন তা প্রাপকের কাছে পৌঁছবে তখন তা মিলবে লিখিত ভাবে।

    কিন্তু নিরাপত্তার কী হবে?

    মেটা-র ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম এনিয়ে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হোয়াট্‌সঅ্যাপ (WhatsApp) জানিয়েছে, এই ধরনের বার্তালাপ শুধুমাত্র সেই যন্ত্র বা মোবাইলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এই কথাবার্তা হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থার (WhatsApp New Feature) কাছেও পৌঁছোবে না। মেটার এই মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, এই সুবিধা নেওয়া বা না নেওয়ার পুরোটাই নির্ভর করছে ব্যবহারকারীর ওপরে। ব্যবহারকারী মে করলে সেটিংস অপশন থেকে এটি বন্ধও করে দিতে পারেন। প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর মাসেই এই সুবিধা প্রদান করার কথা ঘোষণা করেছিল মেটা সংস্থা।

    কীভাবে চালু করবেন এই ফিচার?

    • প্রথমে ফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) ‘সেটিংস’ অপশনে যেতে হবে।

    • এরপর ‘চ্যাট’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।

    • পরের ধাপে ‘ভয়েস মেসেজ ট্রান্সক্রিপশন’ অপশন দেখা যাবে। তার পাশে ‘অন’ বোতামে ক্লিক করতে হবে।

    • ‘অন’ বোতামে ক্লিক করলেই পছন্দের ভাষা বেছে নেওয়ার নানা বিকল্প দেখা যাবে সামনে।

    • যদিও এই মুহূর্তে খুব বেশি বিকল্প পাওয়া যাবে না, বলেই জানিয়েছে মেটা। আপাতত ইংরেজি, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ এবং রাশিয়ান— এই চারটি ভাষায় প্রতিলিপি পাবেন ব্যবহারকারীরা। অন্যদিকে আঞ্চলিক ভাষার বিকল্প নিয়েও কাজ চলছে বলে জানিয়েছে মেটা।

    • পছন্দের ভাষা বেছে নেওয়ার পরে আসবে আরও দুটি অপশন।

    • সেট আপ নাও এবং ওয়েট ফর ওয়াই-ফাই — যে কোনও একটি অপশনে ক্লিক করতে হবে। তখনই আপনার ফোন প্রস্তুত হয়ে যাবে সুবিধাটি নেওয়ার ক্ষেত্রে।

    ভয়েস মেসেজ কী ভাবে ট্রান্সক্রাইব হবে?

    হোয়াটসঅ্যাপে যেখানে ভয়েস রেকর্ড করার অপশন রয়েছে, সেই বোতামটি দীর্ঘক্ষণ চেপে ধরে থাকতে হবে। এরপরেই ভয়েস রেকর্ডার অন হয়ে যাবে। কথা রেকর্ড হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পর্দায় ফুটে উঠবে ‘ট্রান্সক্রিপশন’ করার বিকল্প। সেখানে ক্লিক করলেই বার্তাটির লিখিত রূপ দেখতে পাওয়া যাবে।

  • Whatsapp New Feature: এবার হোয়াটসঅ্যাপেই খোলা যাবে ইনস্টাগ্রাম-ফেসবুকের লিঙ্ক! কীভাবে?

    Whatsapp New Feature: এবার হোয়াটসঅ্যাপেই খোলা যাবে ইনস্টাগ্রাম-ফেসবুকের লিঙ্ক! কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোয়াট্সঅ্যাপের (Whatsapp New Feature) সঙ্গে এবার যুক্ত হল ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক। এ বার একই হোয়াট্‌সঅ্যাপ প্রোফাইল থেকে খোলা যাবে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের লিঙ্ক। একইসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া স্ট্যাটাস চাইলে যে কেউ নিজেদের ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও সরাসরি পোস্ট করতে পারবে। মেটার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) বিটা সংস্করণেই আপাতত এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তবে, শীঘ্রই জনসাধারণের জন্যেও খুলে দেওয়া হবে এই পরিষেবা।

    হোয়াটসঅ্যাপের অ্যাকাউন্ট সেটিংস অপশন থেকে ফেসবুক ইনস্টাগ্রামের লিঙ্ক যোগ করা যাবে

    হোয়াটসঅ্যাপবিটাইনফো (ডব্লিউএবিটাইনফো)-র সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের (Whatsapp New Feature) প্রোফাইলে গিয়ে অ্যাকাউন্ট সেটিংস অপশন থেকে ইনস্টাগ্রামের লিঙ্ক যোগ করা যাবে। এর পাশাপাশি, বিটার সবচেয়ে আপডেটেড সংস্করণ থেকে ফেসবুক ও থ্রেডের লিঙ্কও খোলা যাবে। তবে সবার জন্য মিলবে না এমন সুবিধা। এর জন্য বিটার নতুন সংস্করণকে আপডেট করতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা তাদের স্ট্যাটাস ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকেও শেয়ার করতে পারবেন। চাইলে যেকোনও কাউকে ট্যাগও করতে পারবেন বলে জানিয়েছে মেটা। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা এরফলে নিজেদের প্রোফাইলে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের লিঙ্কও শেয়ার করতে পারবেন। ফলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই ব্যবহারকারীরা নিজেদের প্রোফাইলে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক পোস্টের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারবেন। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর নাম, পরিচয় গোপন রাখার ব্যবস্থাও করেছে হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp New Feature)।

    একের বেশি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে (Whatsapp New Feature)

    অন্যদিকে, হোয়াটসঅ্যাপের আইওএস ভার্সনে আসতে চলেছে নতুন ফিচারের সাপোর্ট। জানা গিয়েছে, আইফোন ইউজাররা একটি আইফোনে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের সুবিধা পাবেন। সুইচ অ্যাকাউন্ট অপশনের মধ্যমে একের বেশি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে। তবে কবে এই ফিচার সমস্ত আইওএস ইউজারদের জন্য চালু হবে তা এখনও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, অনেক ব্যবহারকারী কাজের জন্য কর্মক্ষেত্রে একটি ফোন নম্বর ব্যবহার করেন। এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য থাকে আরেকটি নম্বর। নতুন ফিচার চালু হলে আইফোন ব্যবহারকারীরা একটি ফোনেই দুটো হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp New Feature) অ্যাকাউন্ট চালু রাখতে পারবেন, দুটো আলাদা নম্বর থেকে। একটি পেশাদার কাজে, অন্যটি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে দুটো আলাদা ডিভাইসের অর্থাৎ ফোনে প্রয়োজন হবে না।

  • Mark Zuckerberg: স্মার্টফোনের দিন শেষ! আসছে স্মার্ট চশমা, দাবি জুকেরবার্গের

    Mark Zuckerberg: স্মার্টফোনের দিন শেষ! আসছে স্মার্ট চশমা, দাবি জুকেরবার্গের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় তিন দশক ধরে স্মার্টফোন আধুনিক জীবনে প্রাধান্য বিস্তার করেছে। সাধারণ যোগাযোগের উপকরণ থেকে শক্তিশালী ডিভাইসে পরিণত হয়েছে স্মার্টফোন। কর্মজগত থেকে বিনোদন সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে এই মুঠোফোন। তবে, এর যুগ শেষ হতে চলেছে। এমনই দাবি করলেন মার্ক জুকেরবার্গ (Mark Zuckerberg)। তাঁর মতে, আগামী দশকের মধ্যে স্মার্টফোনের জায়গা দখল করবে স্মার্ট চশমা। যা হবে মানুষের প্রধান ডিজিটাল তথ্য প্রবেশের মাধ্যম।

    স্মার্টফোনের সমাপ্তি

    প্রযুক্তির প্রগতির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের ধরণও একেবারে বদলে যেতে পারে, বলে অভিমত জুকেরবার্গের। স্মার্টফোন দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদিনের জীবনের অংশ হয়ে থাকলেও, তার প্রভাব এবার কিছুটা হালকা হতে পারে। স্ক্রিন ক্লান্তি, অবিরাম নোটিফিকেশন এবং হাতে ধরে রাখা ডিভাইসের উপর নির্ভরশীলতা ক্রমশ বিরক্তিকর হয়ে উঠছে, তাই হ্যান্ডস-ফ্রি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে যাওয়ার ধারণাটি এখন আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরবর্তী উদ্ভাবন স্মার্টফোনের উন্নতির ব্যাপারে নয়, বরং সেটিকে সম্পূর্ণভাবে প্রতিস্থাপন করার ব্যাপারে হবে। জুকেরবার্গ এমন একটি পৃথিবী কল্পনা করেন, যেখানে মানুষ কোনও ডিভাইস বের না করেই ডিজিটাল কনটেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবে। স্মার্টফোনের জায়গায় আসবে স্মার্ট চশমা।

    স্মার্ট চশমার উত্থান

    এটি আর শুধু একটি দূর কল্পনা নয়। মেটা এবং অ্যাপল ইতিমধ্যেই অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) পরিধানযোগ্য প্রযুক্তির প্রতি তাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে। অ্যাপলের ভিশন প্রো তাদের স্মার্টফোনের পরবর্তী যুগে যাওয়ার সংকল্পের নিদর্শন, যখন মেটা মূলধারায় স্মার্ট চশমা চালু করার লক্ষ্যে কাজ করছে। ধারণাটি হলো, ফোনের স্ক্রিনে তাকানোর পরিবর্তে, ডিজিটাল তথ্য বাস্তব জগতের সাথে একীভূত হয়ে বাস্তব সময়ে প্রদর্শিত হবে। স্মার্টফোনের পরিবর্তে স্মার্ট চশমা আসার মূল কারণ হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটির ক্ষেত্রে অগ্রগতি। স্মার্ট চশমা শুধুমাত্র তথ্য প্রদর্শন করবে না, তারা হবে একটি বুদ্ধিমান ব্যক্তিগত সহকারী, যা ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে সাড়া দিতে সক্ষম।

     

     

  • DeepSeek: সব উত্তর ঠিক দিচ্ছে কি ডিপসিক? বিশ্বে ঝড় তোলা এই চিনা এআই কতটা নিরাপদ?

    DeepSeek: সব উত্তর ঠিক দিচ্ছে কি ডিপসিক? বিশ্বে ঝড় তোলা এই চিনা এআই কতটা নিরাপদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই সপ্তাহে চিনা এআই প্ল্যাটফর্ম ডিপসিক (DeepSeek) প্রযুক্তি দুনিয়াতে ঝড় তোলে এবং সোমবার ওয়াল স্ট্রিটেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলে, যার ফলে মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা এনভিডিয়া এবং গুগলের শেয়ারদরে বড় পতন দেখা যায়। যদিও অ্যাপটির প্রশংসা হচ্ছে, তবে এর নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা নিয়েও সম্প্রতি নানা প্রশ্ন উঠছে। বিশেষত, এই অ্যাপকে কেন্দ্র করে প্রাইভেসি এবং সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ভিপিএন-এর মতো প্রাইভেসি সফটওয়্যারও এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সক্ষম নয় বলে মনে করা হচ্ছে।

    ডিপসিক কী

    ইলেকট্রনিক গ্যাজেট থেকে অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি, সর্বত্র নিজেদের একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করার পর এবার ড্রাগনের দেশের নজরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ডিপসিক, চিনের কোম্পানি। চ্যাটজিপিটির সমান, বা তার থেকেও বেশি। কিন্তু খরচ এবং লোকবল অনেক কম। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের এই ধরনের প্রোগ্রাম তৈরি করতে মার্কিন সংস্থা এনভিডিয়ার এ-১০০ চিপ প্রয়োজন। কিন্তু পরে আমেরিকা-চিন বিবাদে এই এ-১০০ চিপ আসা বন্ধ হয়ে যায়। ডিপসিকের (DeepSeek) মালিক লিয়াং ওয়েনফেং বুদ্ধি করে প্রচুর এ-১০০ চিপ জড়ো করে রেখেছিলেন। তাই দিয়েই কামাল করে দিয়েছেন লিয়াং। অর্থাত্‍ মার্কিন প্রযুক্তিতেই, আমেরিকার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জগতকে কুপোকাৎ করে দিয়েছে চিনের লিয়াংয়ের এই ডিপসিক! ওপেন এআই-এর চ্যাট জিপিটি, গুগলের জেমিনি থেকে ক্লাউড এআই সকলকে বিগত কয়েকদিনেই কার্যত শুইয়ে দিয়েছে এই ডিপসিক। হিসেব বলছে চ্যাট জিপিটি বা ক্লাউড এআইয়ের থেকে অন্তত ১৪% এগিয়ে কাজ করছে ডিপসিক। আর খরচ? ওই মার্কিন কোম্পানিগুলোর থেকে ৯০-৯৫% কম। তবে সমস্যাও রয়েছে প্রচুর।

    প্রাইভেসি ম্যানেজমেন্ট

    ডিপসিকের (DeepSeek) প্রথম প্রাইভেসি সমস্যা হল, ব্যবহারকারীদের গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লগ ইন করতে বলা হয়। এতে ডিপসিক গুগল থেকে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ইমেল ঠিকানা এবং প্রোফাইল ছবি সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। প্রাইভেসি পলিসিতে বলা হয়েছে, যখন আপনি কোনও তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে লগ ইন করবেন, তখন ওই সেবা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হতে পারে। পলিসি অনুযায়ী, ডিপসিকের পার্টনাররা আপনার কার্যকলাপ সম্পর্কিত তথ্য শেয়ার করতে পারে, যা অন্য ওয়েবসাইটে বা অন্য সেবায় আপনার ক্রয়কৃত পণ্য বা সেবার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। ডিপসিক আরও কিছু তথ্য সংগ্রহ করে। যেমন আইপি ঠিকানা, ডিভাইস মডেল, প্রোফাইল তথ্য, কুকি, পেমেন্ট তথ্য এবং পাঠানো টেক্সট, অডিও ইনপুট, আপলোড করা ফাইল, প্রতিক্রিয়া এবং চ্যাট ইতিহাসও রেকর্ড করা হতে পারে। যদিও প্রাইভেসি পলিসি বলছে যে চ্যাট ইতিহাস এবং কিছু কুকি নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব, তবে এর ফলে সেবার কার্যকারিতা প্রভাবিত হতে পারে।

    নির্বাচিত উত্তর

    ডিপসিকের (DeepSeek) কার্যকারিতা নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে চিনের রাজনৈতিক বিষয়গুলোতে। চিনা ইস্যু সম্পর্কিত প্রশ্ন যেমন “ভারত-চিন যুদ্ধ কে জিতেছে?”, “সি জিনপিং কে?”, বা “তিয়ানআনমেন স্কয়ারে কী ঘটেছিল?”, এসবের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। এসব ক্ষেত্রে ডিপসিকের একমাত্র উত্তর ছিল, “দুঃখিত, এটি আমার বর্তমান সীমার বাইরে, অন্য কিছু বলুন।” আসলে ডিপসিক চিনের রাজনৈতিক বিষয়ে নির্দিষ্ট উত্তর দিতে বা ওই সব বিষয়ে আলোচনা করতে অস্বীকার করেছে। চিনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিতর্কিত বিষয় যেমন তাইওয়ান, দালাই লামা এবং হংকংয়ের প্রতিবাদ সম্পর্কে ডিপসিক সঠিক উত্তর দিচ্ছে না। ডিপসিক তাইওয়ানকে চিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছে। ডিপসিক বলেছে, “তাইওয়ানের স্বাধীনতার জন্য কোনও প্রচেষ্টা সফল হবে না।”

    সাইবার নিরাপত্তা উদ্বেগ

    ডিপসিকের (DeepSeek) একটি বড় উদ্বেগ হলো এর সাইবার নিরাপত্তা দুর্বলতা। কেলা সাইবারসিকিউরিটি সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এটি সহজেই ‘জেলব্রেক’ করা যায়। যার মানে হল যে, কেউ চাইলে এর মাধ্যমে ক্ষতিকর আউটপুট তৈরি করতে পারে। ভিপিএন ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখার প্রচেষ্টা এখানে একেবারেই ফলপ্রসূ নয়, কারণ যদি আপনি ডিপসিকের মাধ্যমে আপনার তথ্য প্রদান করেন, তবে আপনার ব্যক্তিগত ডেটা সংগ্রহ করা হবে, যেটি ভিপিএন দ্বারা সুরক্ষিত হওয়া সম্ভব নয়। বাস্তবে, ডিপসিক একটি এমন টুল হিসেবে পরিচিত, যা এখনও অনেক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এর প্রাইভেসি পলিসির কারণে ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকতে হবে। চিনা সংস্থা, নিরাপত্তা ঝুঁকি এর সবচেয়ে বড়। ফোন থেকে ডেটা, চুরি করলে তার দায় কিন্তু কারোর নয়। তাই ডিপসিক ব্যবহার করলে তা উপভোগ করতে হবে সম্পূর্ণ নিজের রিস্কে।

  • Meta: থাকছে না ‘ফ্যাক্ট চেকার’, এক্স-এর মতো এবার মেটা প্ল্যাটফর্মেও আসছে ‘কমিউনিটি নোট’

    Meta: থাকছে না ‘ফ্যাক্ট চেকার’, এক্স-এর মতো এবার মেটা প্ল্যাটফর্মেও আসছে ‘কমিউনিটি নোট’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইলন মাস্কের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) প্ল্যাটফর্মের মতো এবার জুকেরবার্গের মেটাতেও (Meta) আসছে ‘কমিউনিটি নোট’ (Community Notes)। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে আর থাকছে না ফ্যাক্ট চেকার। তবে প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চালু হচ্ছে এই ব্যবস্থা। গত মঙ্গলবারই এক ভিডিও বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন মার্ক জুকেরবার্গ।

    ভুয়ো তথ্য জানানো যাবে 

    প্রসঙ্গত, এই ব্যবস্থার (Meta) মাধ্যমে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের কোনও পোস্টে ভুল বা বিভ্রান্তিকর কোনও খবর, তথ্য বা ওই জাতীয় কিছু হলে অন্য ইউজাররা কমিউনিটি নোটের মাধ্যমে তা জানিয়ে দিতে পারবেন। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়।

    কমিউনিটির নোটের মাধ্যমে কীভাবে জানানো যাবে আসল ঘটনা 

    ধরা যাক, কোনও ব্যক্তি ফেসবুক পোস্টে একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখলেন, এই স্থানে খুব মারপিট হচ্ছে, ব্যাপক হিংসা ছড়িয়েছে, আর তাঁর পোস্ট করা এই ভিডিওটি (Meta) হল প্রমাণ। কিন্তু আসল সত্যি হল, ওই ভিডিওটি অনেক পুরনো ও অন্য জায়গার হিংসার ভিডিও। সেক্ষেত্রে এবার থেকে কমিউনিটি নোটের মাধ্যমে যে কোনও ব্যবহারকারী লিখতে পারবেন ভিডিও ও পোস্টটি ভুয়ো এবং আসল সত্য ঘটনাও লেখা যাবে সেখানে। অতীতে দেখা গিয়েছে, বিশ্বের নানা প্রান্তে এভাবেই ভুয়ো ভিডিও পোস্ট করে জাতি দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করেছে মৌলবাদীরা। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামকে যাতে অসৎ উদ্দেশে ব্যবহার না করা যায়, তাই এই প্রয়াস বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, ইলন মাস্কের এক্স প্ল্যাটফর্মে কমিউনিটি পোস্ট (Meta) বেশ সফলতা পেয়েছে বলেই জানাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা (Community Notes)। এবার এমন ব্যবস্থা গড়ে উঠছে মেটা নিয়ন্ত্রিত ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rule Change: বছরের প্রথম দিন থেকেই ইপিএফও, ইউপিআই, জিএসটি ও ভিসার নিয়মে বদল এসেছে, জানেন তো?

    Rule Change: বছরের প্রথম দিন থেকেই ইপিএফও, ইউপিআই, জিএসটি ও ভিসার নিয়মে বদল এসেছে, জানেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে পরিবর্তিত হল ইপিএফও (EPFO), ইউপিআই (UPI), জিএসটি (GST) এবং ভিসা (Visa) কিছু নিয়ম। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু নিয়ন্ত্রক এবং আর্থিক পরিবর্তন কার্যকর হচ্ছে। ফলে সারা দেশের নাগরিকদের প্রভাবিত করবে এই নিয়মগুলি (Rule Change)। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) পদ্ধতি থেকে শুরু করে ইউপিআই-এর ব্যবহার— সব কিছুর মধ্যে বদল কার্যকর হল বুধবার থেকেই। কেমন সেই নতুন নিয়মগুলি, একবার জেনে নেওয়া যাক।

    এপিএফও-র নতুন নিয়ম (Rule Change)

    জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় পেনশন পেমেন্ট সিস্টেমের (EPFO UPI GST Visa) অংশ হিসেবে ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে পিএফ থেকে পেনশন প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটিকে আরও সুগম করা হবে। পেনশনভোগীরা এখন বাড়িতে ভেরিফিকেশনের ঝামেলা দূর করে যে কোনও ব্যাঙ্কে তাঁরা পেনশন তোলার সুবিধা পাবেন। এটিএম থেকেও টাকা তোলার প্রক্রিয়া শীঘ্রই চালু করবে ইপিএফও। ফলে, গ্রাহক ২৪ ঘণ্টাই টাকা তোলার সুবিধা পাবেন।

    জিএসটি

    জিএসটি (EPFO UPI GST Visa) পোর্টালে ভালো নিরাপত্তার জন্য করদাতাদের মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বাধ্যতামূলক করা হবে (Rule Change)। অতিরিক্তভাবে, ই-ওয়ে বিল শুধুমাত্র ১৮০ দিনের পুরনো নথিগুলির জন্য তৈরি করা যাবে।

    ইউপিআই এবং কৃষক ঋণ

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-এর সম্প্রতি একটি সার্কুলার দিয়ে জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকে ইউপিআই ১২৩পে-র মাধ্যমে (EPFO UPI GST Visa) করে ফিচার ফোন ব্যবহারকারীরা অনলাইন পেমেন্ট করে লেনদেনের সীমা বৃদ্ধি করতে পারবেন। নতুন সীমা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। একই ভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক কৃষকদের জন্য অসুরক্ষিত ঋণের সীমা ১.৬০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লক্ষ টাকা করেছে। এই বৃদ্ধি বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে (Rule Change)। কৃষকদের আরও আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে সবরকম ভাবে উন্নত কৃষি ব্যবস্থা এবং বিনিয়োগে সহায়তা করার কথাও জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ বছরের প্রথম দিনেই সুখবর, রান্নার গ্যাসের দাম কমল সিলিন্ডার প্রতি ১৬ টাকা!

    ভিসার প্রয়োজনীয়তা

    ১ জানুয়ারি থেকে ভারতে অ-অভিবাসী ভিসা (EPFO UPI GST Visa) আবেদনকারীরা প্রথমবার বিনামূল্যে তাঁদের নির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্টের দিনক্ষণ পাল্টাতে পারবেন। তবে দ্বিতীয়বার থেকে নতুন করে ফি জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। স্বচ্ছতা বজায় রেখে অ্যাপয়েন্টমেন্টের প্রক্রিয়াকে সুগম করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    এইচ-১বি ভিসা প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন (Rule Change)

    নতুন নিয়মে ২০২৫ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে এইচ-১বি ভিসার (Visa) প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করা হয়েছে। নিয়োগকর্তাদের নিয়মে সরলীকরণ করা হয়েছে। ভারতীয় এফ-১ ভিসাধারীদের জন্য সহজলভ্য করে তোলা হচ্ছে প্রক্রিয়াকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • DTM: সিম, ইন্টারনেট ছাড়াই ভিডিও দেখা যাবে মোবাইলে, কেন্দ্র আনছে ‘ডিটুএম’ প্রযুক্তি

    DTM: সিম, ইন্টারনেট ছাড়াই ভিডিও দেখা যাবে মোবাইলে, কেন্দ্র আনছে ‘ডিটুএম’ প্রযুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিম ইন্টারনেট (SIM Internet) ছাড়াই ভিডিও দেখা যাবে মোবাইলে, সেই সঙ্গে টিভিতে রাখা যাবে চোখ। কেন্দ্রীয় সরকার এই যুগান্তকারী প্রযুক্তি আনার ইঙ্গিত দিয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর জুন মাসে আইআইটি কানপুর, প্রসার ভারতী এবং টেলি কমিউনিকেশন ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় ‘ডিটুএম’ (DTM) সম্প্রচারের উপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার। এই প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করবে তা আলোচনা করা হয়েছে সেখানে।

    ‘ডিটুএম’-এর অর্থ হল, ‘ডাইরেক্ট টু মোবাইল’ (DTM)

    প্রসার ভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ডিটুএম’ (DTM) প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। সাংখ্য ল্যাবেস এবং আইআইটি কানপুরে নির্মিত স্বদেশী এই প্রযুক্তি শীঘ্রই ভারতের বিভিন্ন শহরে পরীক্ষামূলক ভাবে কাজ করবে। ‘ডিটুএম’-এর অর্থ হল, ‘ডাইরেক্ট টু মোবাইল’। এই প্রযুক্তির কারণে মোবাইলে সিম কার্ড (SIM Internet) না থাকলেও চলবে। এতে কোনও রকম ইন্টারনেট দরকার হবে না। ফোনেই দেখা যাবে ভিডিও, এমনকি টিভিতে পছন্দসই চ্যানেল দেখা যাবে। এমনকী লাইভও দেখা যাবে। এই প্রযুক্তিতে সক্রিয় ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই স্মার্ট ফোনে ভিডিও স্ট্রিম করার সুযোগ পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুনঃ “জঙ্গিদের হাতে কি চলে গিয়েছে বাংলাদেশ? প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি!” তোপ তসলিমার

    ৪৭০-৫৮২ মেগাহার্জের স্পেকট্রাম সংরক্ষণ করবে সরকার

    কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, বিনা ইন্টারনেটে মোবাইলের জন্য বিভিন্ন কন্টেন্টের আলাদা আলদা বিষয়ে ভিডিও তৈরি করা হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে জরুরি বিষয় সম্প্রচার করা হবে। তবে এই ধরনের পরিষেবার প্রযুক্তি অনেকটাই এফএম রেডিও কিংবা ডিটিএইচ-এর মতো। সেখানে সরাসরি স্যাটেলাইট যন্ত্রের মাধ্যমে যেমন-ডিশ অ্যান্টেনা, সেট-টপ বক্সে বার্তা পাঠানো যাবে। রেডিও এবং টেলিভিশনের মতো স্মার্ট ফোনে কাজ করবে। মোবাইল ফোনে সরাসরি সিগন্যাল পাঠানোর জন্য টেলিকমিউনিকেশন পরিকাঠামো এবং নির্দিষ্ট স্পেকট্রাম ব্যবহার করবে। এরপর সেই সংকেত গ্রহণ করবে রিসিভার। এরপর থেকে ভিডিও আকারে মোবাইলের স্ক্রিনে ফুটে উঠবে। এই প্রযুক্তির জন্য সরকার ৪৭০-৫৮২ মেগাহার্জের স্পেকট্রাম সংরক্ষণ করবে। গত বছর বেঙ্গালুরু, দিল্লির কর্তব্য পথ এবং নয়ডায় ‘ডিটুএম’ (DTM)-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Aadhaar: বিনামূল্যে আধার নথি আপলোড, আরও বাড়ল সময়সীমা, কবে শেষ তারিখ জেনে নিন

    Aadhaar: বিনামূল্যে আধার নথি আপলোড, আরও বাড়ল সময়সীমা, কবে শেষ তারিখ জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একবার আধার (Aadhaar) আপডেটের (Document Upload) সময় বাড়ল। আধারের নথি আপডেটের সময়সীমাকে বৃদ্ধি করল নরেন্দ্র মোদি সরকার। গ্রাহকদের আর্থিক সাশ্রয়ের কথা মাথায় রেখে চলতি বছরে এই নিয়ে তৃতীয়বার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে আধার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথিরিটি অফ ইন্ডিয়া। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগামী বছরের ১৪ জুন পর্যন্ত মিলবে এই সুবিধা। উপকৃত হবেন কয়েক লক্ষ আধার গ্রাহক।

    ১৪ জুন হল আবেদনের শেষ তারিখ (Aadhaar)

    চলতি বছরের ১৪ জুন নিখরচায় আধার কার্ডের (Aadhaar) অনলাইন নথি জমার শেষ তারিখ ধার্য করেছিল ইউআইডিএআই। পরে দু’দফায় তা বৃদ্ধি করে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সংস্থা। প্রথমবারে ১৪ সেপ্টেম্বর এবং পরের বার ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছিল। এইবারে তৃতীয়বারের জন্য বিনামূল্যে আধার কার্ডের নথি জমার শেষ তারিখ সম্প্রসারিত করল ইউআইডিএআই। আধারের এই পরিষেবাকে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে এক্স হ্যান্ডলে একটি বার্তা দিয়ে বলা হয়, “২০২৫ সালের ১৪ জুন পর্যন্ত বিনামূল্যে অনলাইনে আধার নথি আপডেটের (Document Upload) জন্য আমরা গ্রাহকদের উৎসাহী করছি। আধার কার্ডের জন্য তথ্য নিখরচায় বদল করতে চাইলে তা ১৪ জুনের মধ্যে করে ফেলুন।”

    কীভাবে আবেদন করবেন?

    ১>অনলাইন আধার কার্ডের (Aadhaar) নথি আপলোড করতে হলে প্রথমে মাই আধার পোর্টালে লগ ইন করুন।

    ২>এরপর আধার নম্বর ব্যবহার করে এটা করতে পারবেন গ্রাহকরা।

    ৩>লগ ইনের সময়ে লিখতে হবে ক্যাপচা।

    ৪>এরপর আধার নম্বরের সঙ্গে সংযুক্ত মোবাইল নম্বরে আসবে ওটিপি। এরপর সেই নম্বর দিলে তবেই খুলবে পোর্টাল।

    ৫>এরপর ডকুমেন্ট আপডেট সেকশনে ঢুকতে হবে। সেখানে আপলোড করা নথি এবং তথ্য দেখতে পাবেন তিনি। এর মধ্যে যে যে তথ্য বদল করতে হবে সেগুলিকে বেছে নিতে হবে।

    ৬>কী কী তথ্যগুলিকে আপলোড (Document Upload) করতে হবে তা ড্রপ বক্স থেকে জানতে পারেবেন গ্রাহক। সেই মতো নথির স্ক্যান আপলোড করতে হবে। নথি আপলোড হয়ে গেলে সেগুলির যাচাই বা ভেরিফিকেশন পর্ব শুরু করবে আধার কর্তৃপক্ষ।

    ৭>নথি জমা করার পর পোর্টাল থেকে মিলবে সার্ভিস রিকোয়েস্ট নম্বর। এই নম্বরকে গ্রাহককে লিখে রাখতে হবে। এর সাহায্যে জানা যাবে যাচাই বা ভেরিফিকেশন পর্ব কতটা হয়েছে। মাই আধারে গোটা প্রক্রিয়া জানা যাবে।

    আরও পড়ুনঃ ফের অসুস্থ লালকৃষ্ণ আডবাণী, ভর্তি করা হল দিল্লির হাসপাতালে, কেমন আছেন?

    বয়স ৫ বছরের কম হলে অন্তত দুবার আপডেট করতে হবে

    উল্লেখ্য প্রতি দশ বছর অন্তর আধারে (Aadhaar) আপডেট করার কথা বলা হয়ে থাকে। নাবালক-নাবালিকার বয়স ৫ বছরের কম হলে অন্তত দুবার আধার তথ্য আপডেট (Document Upload) করতে হবে। দ্বিতীয়বার ১৫ বছর পা দিলে ফের আধার কার্ডের তথ্য আপডেট করতে বলেছে ইউআইডিএআই। তবে কোনও অবস্থাতেই নাম, জন্ম তারিখ বা জন্ম স্থান সংক্রান্ত তথ্য আপডেট করা যাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CCI: গোপনীয়তা নীতি লঙ্ঘন, হোয়াটসঅ্যাপকে ২১৩ কোটি জরিমানা করল কেন্দ্রীয় সংস্থা সিসিআই

    CCI: গোপনীয়তা নীতি লঙ্ঘন, হোয়াটসঅ্যাপকে ২১৩ কোটি জরিমানা করল কেন্দ্রীয় সংস্থা সিসিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপের গোপনীয়তা নীতি নিয়ে অভিযোগ, প্রতিযোগিতা কমিশন বা সিসিআইয়ের (CCI) তরফে ২১৩.১৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হল জুকেরবার্গের সংস্থাকে। অভিযোগ, হোয়াট্‌সঅ্যাপ গোপনীয়তা নীতি বদলের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার নিয়ম ভাঙছে, তাই এই জরিমানা বলে জানিয়েছে সিসিআই (CCI)। জুকেরবার্গের সংস্থা অবশ্য জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি নিয়ে আবেদন করা হবে। জুকেরবার্গের সংস্থা মেটাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতেও বলা হয়েছে। নয়া নির্দেশে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপকে ইউজারদের ডেটা শেয়ার করতে হলে বিস্তৃত ব্যাখ্যা দিতে হবে।

    ব্যবহারকারীদের তথ্য মেটার অন্য অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছিল হোয়াটসঅ্যাপ

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে গোপনীয়তা নীতি বদল করে হোয়াটসঅ্যাপ। সিসিআইয়ের অভিযোগ, হোয়াটসঅ্যাপের গোপনীয়তা নীতি বদল করার পর বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে মেটা (Meta) পরিচালিত অ্যাপ্লিকেশনগুলির সঙ্গে ব্যবহারকারীর তথ্য ভাগ করে নেওয়া হচ্ছিল। প্রতিযোগিতা কমাতেই এমনটা করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে সিসিআই (CCI)। এর পরেই মেটার ওপর ২১৩ কোটির জরিমানার বোঝা চাপায় এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। জানা গিয়েছে, গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ ও সেগুলি ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের মতো মেটার শাখার সঙ্গে ভাগ করা থেকে বিরত থাকতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপকে। কেন্দ্রীয় সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপকে এভাবে ডেটা শেয়ার করার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

    আবেদন জানাবে মেটা (Meta)

    অন্যদিকে সিসিআইয়ের (CCI) এই অভিযোগের বিরুদ্ধেই এবার আবেদন করার কথা জানাল মেটা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেটার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁদের সংস্থা সিসিআইয়ের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত নয় এবং তারা আবেদন করতে চায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Apple iPhone: উৎপাদনের পাশাপাশি ভবিষ্যতে আইফোনের নকশাও হবে ভারতে! নয়া সংস্থা গড়ল অ্যাপল

    Apple iPhone: উৎপাদনের পাশাপাশি ভবিষ্যতে আইফোনের নকশাও হবে ভারতে! নয়া সংস্থা গড়ল অ্যাপল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপল (Apple iPhone) এখন ভারতে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে স্থানীয় ডিজাইন এবং পরিকাঠামোকে বৃদ্ধি করতে উদ্যোগী হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত এই কোম্পানির কোনও বিশেষ ডিজাইন কাঠামো ভারতে ছিল না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং ইজরায়েলের মতো দেশেই এই ধরনের কাজ বেশি হত। এবার থেকে ভারতেও হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য ভারত এখন গত ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষে এই স্মার্টফোন উৎপাদনে (Manufacturing) বিশেষ গুরুত্ব রাখছে। ইতিমধ্যে দেশীয় বাজার এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় উৎপাদন বিশেষ প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। দেশে কেন্দ্রের মোদি সরকারও স্থানীয় পরিকাঠামো দিয়ে কোম্পানিগুলিকে ব্যাপক সহযোগিতা করছে। 

    মূল লক্ষ্য কী (Apple iPhone)?

    স্মার্টফোন নির্মাতা অ্যাপল (Apple iPhone) ভারতে তার উৎপাদন প্রসারিত করার জন্য কাজ শুরু করেছে। ভারতের দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারিং দ্বারা স্থানীয় চাহিদা এবং মূল্য সংযোজন করার লক্ষ্যই সংস্থার প্রধান উদ্দেশ্য। একই ভাবে অ্যাপল দেশের অভ্যন্তরে গবেষণা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং উন্নত ডিজাইন পরিচালনার জন্য ভিত্তি তৈরির ভাবনা রেখেছে। অ্যাপেল ভারতে স্থায়ী বাজার নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করতে অত্যন্ত আগ্রহী। তবে উৎপাদনের জন্য অ্যাসেম্বলি অপারেশন এবং গ্রাহকদের জন্য অফিসিয়াল স্টোর একান্ত আবশ্যক। এই দুই ব্যবস্থা স্মার্টফোনের বাজারকে আরও গতি দেবে। আইফোন উৎপাদনের জন্য সরকারের পিএলআই প্রকল্পের অন্যতম সুবিধাভোগী হবেন গ্রাহকরা। চিন, আমেরিকা, ইজারেয়েলের মতো উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হবে ভারতও।

    অ্যাপেল অপারেটিং ইন্ডিয়া স্থাপন হয়েছে

    অ্যাপল অপারেটিং ইন্ডিয়া (Apple Operations India) নামে একটি সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সাবসিডিয়ারি সংস্থা ভারতে স্থাপন করেছে অ্যাপল। প্রকিওরমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ডেভেলপিং, ম্যানুফ্যাকচারিং সাপোর্ট এবং অন্যান্য বিভিন্ন কাজ এখানে হবে। সেই সঙ্গে প্রক্রিয়াকরণ, বিজ্ঞান, প্রকৌশল, প্রযুক্তি এবং ডিজাইন সম্পর্কিত ভাবনাগুলি ব্যবসায় জড়িত থাকবে কীভাবে তাও ঠিক করা হয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, আর অ্যান্ড ডি (গবেষণা ও  উৎপাদন) এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা, পরীক্ষা এবং বিশ্লেষণ সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে ভারত সরকার অ্যাপলের মতো কোম্পানিগুলিকে উপযুক্ত কাজের পরিবেশ গড়ে দিয়েছে।

    একই ভাবে গবেষণা, উন্নয়ন এবং ডিজাইন অপারেশন্স পরিচালনার ক্ষেত্রে স্থানীয় উপকরণ ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি, বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টর স্পেসগুলির জন্য ভারত একটি প্রধান ডিজাইন হাব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। তাই এখন থেকে বেশিরভাগ স্মার্টফোন (Apple iPhone) কোম্পানি এখনও ভারতেই ডিজাইন করে প্রস্তুত করতে পারবে। একই ভাবে দেশের মধ্যে যেমন উৎপাদন কারখানা হবে, তেমনি দেশে-বিদেশে রফতানি করতেও পারবে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে স্মার্টফোনের বাজারে ভারতের গুরুত্ব বিশেষ ভাবে বৃদ্ধি পাবে।  

    গবেষণা ইকোসিস্টেমে একটি বৃহত্তর স্থান হবে

    কেন্দ্রীয় সরকার ইলেকট্রনিক্স সেক্টরে স্থানীয় মূল্য নির্ধারণে উৎপাদনের নকশা, গুণমান দেখে বিচার করে থাকে। অবশ্য কোম্পানিগুলি তাদের অ্যাসেম্বলি অপারেশনগুলিকে স্থানীয় কারখানা নিয়ে গিয়ে একটি পরিকাঠামো ইউনিট স্থাপন করে থাকে। একই ভাবে অ্যাপলও ভারতে উৎপাদন পরিকাঠামো স্থাপন এবং গবেষণা ইকোসিস্টেমের মধ্যে একটি বৃহত্তর স্থান তৈরি করতে সাহায্য করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন সঞ্জীব খান্না, জেনে নিন তাঁর ট্র্যাক রেকর্ড

    বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের ১৪ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে ভারত

    এক সিনিয়র সরকারি কর্তা বলেছেন, “আমাদের দেশে ইঞ্জিনিয়ারদের একটি বড় জোগান রয়েছে। যার কারণে সমস্ত বড় কোম্পানি এখানে গবেষণা ও  উৎপাদন কাজ করতে আগ্রহী হয়। এখন আমরা স্মার্টফোন (Apple iPhone) সেক্টরের ক্ষেত্রেও অনুরূপ উন্নয়ন আশা প্রকাশ করতেই পারি।” এটি আইফোনের জন্য ভারতে একটি উল্লেখযোগ্য উৎপাদন ভিত্তি তৈরি করেছে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩-২৪ অনুসারে, ২০২৪ অর্থবছরে ভারত ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের আইফোন (iPhones) অ্যাসেম্বলিংয়ের কাজ করেছিল। অ্যাপলের বিশ্বব্যাপী ডিভাইসের উৎপাদনের ১৪ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে। এখন ভারতে অ্যাপলের প্রোডাক্টের প্রস্তুতকারক সংস্থা ফক্সকন যে ফোনগুলি তৈরি করছে তা দেশেও বিক্রি হচ্ছে এবং রফতানিও হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share