Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Coconuts: চিংড়ির মালাইকারি কিংবা সন্ধ্যার মশলামুড়ি, শরীরে নারকেলের প্রভাব কম নয়!

    Coconuts: চিংড়ির মালাইকারি কিংবা সন্ধ্যার মশলামুড়ি, শরীরে নারকেলের প্রভাব কম নয়!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দুপুরে ভাতের সঙ্গে চিংড়ির মালাইকারি হোক কিংবা সন্ধ্যার মশলামুড়ি, নারকেল (Coconuts) বাঙালি নানান পদে ব্যবহার করে। উৎসবের মরশুমে নারকেলের নাড়ু থেকে রোজকার সাধারণ রান্নাতেও অনেকে নারকেল ব্যবহার করেন। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, নারকেল খেলে শরীরে এর গভীর প্রভাব পড়ে। তাই নারকেল কেন খাবেন, সে নিয়ে সচেতনতা থাকা জরুরি। তাহলে আসুন, দেখে নিই, নারকেল খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে?

    হার্টের রোগের ঝুঁকি কমে (Coconuts)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, নারকেল হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তবে মনে রাখতে হবে, নারকেল খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে, নারকেলের তেলে কিন্তু নয়। কারণ, নারকেলে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিডের এক মিশ্রণ, যার নাম লরিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড রক্তে ভালো কোলেস্টেরল অর্থাৎ এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। এর জেরেই হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

    স্থূলতার সমস্যা 

    নারকেল বাড়তি ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, নারকেলে (Coconuts) রয়েছে মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড। এর জেরে হজম ভালো হয়। পাশপাশি ক্যালোরি বার্ন হতেও নারকেল সাহায্য করে। তাই স্থূলতা রুখতে নারকেল বিশেষ সাহায্য করে।

    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ (Coconuts)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে নারকেল খুব সাহায্য করে। বিশেষত টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নারকেল কার্যকর। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন ডায়াবেটিস আক্রান্তের ডায়েটে নারকেল রাখা উচিত।

    নারকেল রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, নারকেল রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। কারণ, নারকেলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। পাশপাশি নারকেলে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে। তাই যে কোনও সংক্রমক রোগ রুখতে নারকেল (Coconuts) শরীরকে শক্তি জোগায়।

    মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে

    সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে (Nutritional Benefits) নারকেল বিশেষ সাহায্য করে। ওই গবেষণায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নারকেলে থাকে মিডিয়ায় চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড। এর জেরেই মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। তাই অ্যালজাইমারের মতো রোগের ঝুঁকিও কমে।

    ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, নারকেলে রয়েছে ময়েশ্চারাইজার। এই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, দূষণ সহ একাধিক কারণে অধিকাংশ মানুষ ত্বক এবং চুলের নানান সমস্যায় ভোগেন। নারকেল তাদের জন্য বাড়তি উপকারী (Nutritional Benefits)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Morning Walk: মর্নিং ওয়াকেই রয়েছে ম্যাজিক! সকালে নিয়মিত হাঁটলে গায়েব হবে কোন কোন রোগ?

    Morning Walk: মর্নিং ওয়াকেই রয়েছে ম্যাজিক! সকালে নিয়মিত হাঁটলে গায়েব হবে কোন কোন রোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা। আর তার পরেই অন্তত তিরিশ মিনিট বাড়ির সামনের পার্কে হাঁটা (Morning Walk)। ব্যাস! তাতেই রয়েছে ম্যাজিক! সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি রয়েছে এই অভ্যাসেই। এমনটাই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, সুস্থ জীবন যাপনের জন্য কম বয়স থেকেই এই অভ্যাস রপ্ত করা জরুরি। সকালে হাঁটার এই অভ্যাস একাধিক রোগের মোকাবিলা করে। শরীর সুস্থ রাখে। পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। আসুন, এক নজরে দেখে নিই, কোন কোন রোগের মোকাবিলা করতে পারে মর্নিং ওয়াক?

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, মর্নিং ওয়াক হৃদযন্ত্র সুস্থ ও কার্যকর রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তারা জানাচ্ছে, সকালে নিয়মিত হাঁটলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা ঠিক মতো হয়। শরীরে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হলেই হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। তাই নিয়মিত মর্নিং ওয়াক হার্ট অ্যাটাকের মতো ঝুঁকিও (Disease) কমাতে সাহায্য করে।

    কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ (Morning Walk)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, নিয়মিত সকালে হাঁটলে কমবে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি। নিয়মিত মর্নিং ওয়াক করলে এলডিএল নামক ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার এইচডিএলের মতো ভালো কোলেস্টেরল তৈরি হয়। ফলে একাধিক শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি কমে। কোলেস্টেরলের পাশপাশি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। নিয়মিত মর্নিং ওয়াক করলে রক্ত সঞ্চালন ভালোভাবে হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা তৈরির ঝুঁকি কমে।

    স্থূলতা মোকাবিলায় সাহায্য করে

    নিয়মিত সকালে হাঁটলে (Morning Walk) স্থূলতাকে সহজেই কাবু করা সম্ভব। এমনটাই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, সকালে হাঁটলে ক্যালরি সহজেই ঝরে যায়। মেদ কমানোর সহজ উপায় মর্নিং ওয়াক। তাই স্থূলতার সমস্যা থেকে নিস্তার মেলা সহজ হয়।

    পেশি ও হাড়ের সমস্যা কমায়

    পেশি ও হাড়ের সমস্যা কমানোর জন্য শারীরিক কসরত খুব গুরুত্বপূর্ণ। মর্নিং ওয়াক শারীরিক কসরতের একটি অত্যন্ত ভালো উপায়। শরীরের বিভিন্ন পেশির কার্যক্ষমতা বাড়ায়, আবার দেহের জয়েন্টগুলোকেও সচল রাখে। তাই পেশি ও হাড়ের ব্যথা কমাতে নিয়মিত মর্নিং ওয়াক বিশেষ উপকারী।

    মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে (Morning Walk)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও মর্নিং ওয়াক বিশেষ উপকারী। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মানসিক চাপ, অবসাদের মতো একাধিক মানসিক সমস্যা বাড়ছে। নিয়মিত মর্নিং ওয়াক করলে এই ধরনের সমস্যা কমবে। তারা জানাচ্ছে, মর্নিং ওয়াক করলে স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এর জেরেই মানসিক চাপ কিংবা অবসাদের মতো সমস্যার মোকাবিলা করা সহজ হয়।

    মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে, অ্যালজাইমারের ঝুঁকি কমায়

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, অ্যালজাইমারের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে‌। স্মৃতিশক্তি জনিত সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। নিয়মিত মর্নিং ওয়াক করলে এই ধরনের রোগের ঝুঁকি কমবে।মর্নিং ওয়াক করলে একদিকে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকছে, আরেকদিকে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হচ্ছে। স্নায়ু সক্রিয় থাকছে। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই স্মৃতিশক্তিও ভালো থাকছে।

    কীভাবে মর্নিং ওয়াক করলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মর্নিং ওয়াকের সময় কয়েকটি দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি। তবেই বাড়তি উপকার পাওয়া সম্ভব। 
    মর্নিং ওয়াকের শুরুতেই খুব দ্রুত হাঁটা কিংবা দৌড়ে হাঁটার মতো অভ্যাস না করারই পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তারা জানাচ্ছে, এতে খুব কম সময়েই হাঁফিয়ে উঠতে পারেন।‌ ফলে তিরিশ মিনিট হাঁটা সম্ভব হবে না। পায়ের জুতো খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মর্নিং ওয়াক করার জন্য আরামদায়ক জুতো পরতে হবে। পেশিতে যাতে টান‌ না ধরে, সেদিকে খেয়াল রেখে জুতো নির্বাচন জরুরি। মর্নিং ওয়াক শুরুর আগে হালকা ওয়ার্ম আপ করা দরকার। যাতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। ঘুম ভাব সম্পূর্ণ কেটে যায়। তবে মর্নিং ওয়াক শুরুর আগে পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। কারণ মর্নিং ওয়াক করলে অনেকের অতিরিক্ত ঘাম হয়। এর ফলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি (Disease) তৈরি হয়। তাই জল খাওয়া নিয়ে সচেতনতা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hypersomnia: দিনভর ঘুম ঘুম ভাব! কোন রোগের ইঙ্গিত? কী সমস্যার জেরে এমনটা হয়?

    Hypersomnia: দিনভর ঘুম ঘুম ভাব! কোন রোগের ইঙ্গিত? কী সমস্যার জেরে এমনটা হয়?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেও ক্লান্তি দূর হয় না। অফিসে পৌঁছেও ঘুম ঘুম ভাব (Hypersomnia)! বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে কাজের ইচ্ছে। বাড়ির ছোটখাট কাজ করলেও বড্ড পরিশ্রান্ত মনে হয়! দিনভর ঘুম ভাবের জেরে বিরক্তিও বাড়ে! এমন সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, কম বয়সিরাও এই ধরনের সমস্যায় ভোগেন। সারাদিন এই ঘুম ভাবের জেরে নানান সমস্যাতেও পড়তে হয়। তবে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে মোটেও অবহেলা করা উচিত নয়। বরং, এ নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। প্রথমে জেনে নিন, কেন দিনভর ঘুম ঘুম ভাব হয়?

    কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি (Hypersomnia)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রাতে ঘুমানোর পরেও সারাদিন ঘুম ভাব থাকার অন্যতম কারণ শরীরে এনার্জির অভাব। যা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে কার্বোহাইড্রেটের অভাব দেখা দিলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। স্থূলতা এড়াতে অধিকাংশ কম বয়সিরা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলছেন। ফলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এর জেরেই অতিরিক্ত ক্লান্তি বা সামান্য কাজ করলেই ক্লান্তি গ্রাস করছে। আর ঘুম ভাব দেখা দিচ্ছে।

    পর্যাপ্ত জলের অভাব

    তবে কার্বোহাইড্রেটের পাশপাশি পর্যাপ্ত জলের অভাবেও শরীরে ঘুম ভাব দেখা দিতে পারে। এমনই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, শরীরের এনার্জি ধরে রাখতে জলের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে তাই ক্লান্তি ভাব বাড়ে এবং ঘুম পায় (Hypersomnia)। তাই দিনভর পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া হচ্ছে কিনা, সেদিকে নজর রাখা জরুরি।

    পর্যাপ্ত ঘুম হয় কি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রাতের ঘুম নিয়ে সচেতনতার অভাব বাড়ছে‌। রাতে কমপক্ষে আট ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এখন আট ঘণ্টা ঘুমানোর সুযোগ পান না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রাতে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ঘুম হয়। ফলে ঘুমের মারাত্মক ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। তাই দিনভর ক্লান্তি বোধ হচ্ছে। দেখা দিচ্ছে ঘুম ঘুম ভাব। এর জেরে কাজের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

    ভিটামিনের অভাবে বাড়ছে সমস্যা (Hypersomnia)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, শরীরে ভিটামিনের অভাবে অনেকেই ভুগছেন। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে ভিটামিনের অভাবের সমস্যা বাড়ছে। আর তার জেরে দিনভর ঘুম ভাবের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। কিন্তু কীভাবে এইসব সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব?

    নিয়মিত শারীরিক কসরত

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, দিনভর ঘুম ভাবের সমস্যা কাটাতে সকালে নিয়মিত শারীরিক কসরত জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শারীরিক কসরত করলে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হলে হৃদপিণ্ড এবং স্নায়ু সক্রিয় হয়ে ওঠে। এর জেরে ঘুম ভাব (Excessive Sleepiness) কমে।

    খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যকর হতে হবে

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে যেমন নজরদারি জরুরি, তেমনি শরীরের সুস্থ থাকার বিষয়টিতেও নজরদারি জরুরি। তাই কার্বোহাইড্রেট খাওয়া দরকার। পরিমিত কার্বোহাইড্রেট খেলে শরীরে উপকার হয়। অর্থাৎ, রাতের মেনুতে ডাল সিদ্ধের সঙ্গে আলু সিদ্ধ, গাজর খাওয়া যেতে পারে। এতে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটের চাহিদা দুটোই পূরণ হবে। শরীরে প্রয়োজনীয় এনার্জির ঘাটতি পূরণ হবে‌। পাশপাশি দিনে অন্তত চার লিটার জল খেতে হবে। পাশপাশি, দিনে অন্তত একটা লেবু, একটা ডিম নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। এতে শরীরে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে। শরীরের ক্লান্তি (Hypersomnia) দূর হবে।

    রাতের ঘুম পর্যাপ্ত হওয়া জরুরি

    অতিরিক্ত রাত জাগার অভ্যাস ছাড়তে হবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, রাতের ঘুম পর্যাপ্ত হলে একাধিক সমস্যা এড়ানো যায়। শরীর সুস্থ থাকে। তাই বাড়তি রাত জাগার অভ্যাস কমাতে হবে‌। রাতে যাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয়, সেটা নিশ্চিত করা জরুরি।

    শারীরিক পরীক্ষা জরুরি

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, দিনভর অতিরিক্ত ঘুম পেলে (Excessive Sleepiness) এবং ক্লান্তি কিছুতেই না কমলে চিকিৎসকদের পরামর্শ জরুরি। গুরুতর হৃদরোগ থাকলে কিংবা অতিরিক্ত ডায়াবেটিস থাকলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই প্রয়োজনে শারীরিক পরীক্ষা করানো দরকার। যাতে অন্য কোনও জটিল রোগ রয়েছে কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘স্বাস্থ্য সিন্ডিকেট’ কি সব হাসপাতালেই সক্রিয়? কাদের দাপটে চলছে এই সিন্ডিকেট?

    RG Kar: ‘স্বাস্থ্য সিন্ডিকেট’ কি সব হাসপাতালেই সক্রিয়? কাদের দাপটে চলছে এই সিন্ডিকেট?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রোগ ছড়িয়েছে সর্বত্রই! অন্তত এমনই অভিযোগ তুলছে রাজ্যের চিকিৎসক মহল। দুর্নীতির শিকড় (Health Syndicate) নাকি গভীরে পৌঁছে গিয়েছে! আরজি কর (RG Kar) হাসপাতাল ব্যতিক্রম নয়, রাজ্যের অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজেই চলছে এমন দুর্নীতি। এমন অভিযোগ তুলেই সরব হয়েছে রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ। আর তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক কলেজ কাউন্সিল অভিযুক্ত চিকিৎসক ও পদাধিকারীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে! এমনটাই জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল।

    স্বাস্থ্য সিন্ডিকেট কী?

    রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজেই এক অসাধু চক্র সক্রিয় রয়েছে। কলেজের হস্টেলে ঘর পাওয়া থেকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার অনুমতি, এমনকী পাশ করানোর ক্ষেত্রেও দুর্নীতির এই চক্র সক্রিয় থাকে। তাঁদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ জমা না করলে পড়ুয়াদের পাশ করানো হবে না, এমন হুমকিও দেওয়া হয়। পাশপাশি অভিযোগ, ইন্টার্ন কিংবা হাউজ স্টাফদের হুমকি দেওয়া হয়, নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা না দিলে ওই পড়ুয়ার এমবিবিএস সার্টিফিকেট আটকে দেওয়া হবে। এমনকী এমবিবিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্রেরও ‘দাম’ নির্ধারিত রয়েছে। মেডিক্যাল পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছে, নির্দিষ্ট দাম দিতে পারলে পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়া যায়। এমনকী পরীক্ষার সময়ে অবাধে বই দেখে লেখার সুযোগও পাওয়া যায়।

    কাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ?

    সরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, রাজ্যের কয়েকজন প্রভাবশালী চিকিৎসক এই স্বাস্থ্য সিন্ডিকেটের মাথায় রয়েছেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস হাসপাতাল, এমনকী খোদ স্বাস্থ্য ভবনেও রাজ্যের শাসক দলের ঘনিষ্ঠ কিছু চিকিৎসকের ছবি দিয়ে পোস্টার আটকেছে চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, ওই চিকিৎসক নেতাদের অঙ্গুলি হেলনেই রাজ্য জুড়ে স্বাস্থ্য দুর্নীতি চলছে। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এবং বারাসত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল এবং রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা সুদীপ্ত রায়, শাসক ঘনিষ্ঠ এই তিন চিকিৎসক রাজ্যের একাধিক সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নানান অসাধু চক্র চালাচ্ছেন।

    কেন উঠছে অভিযোগ?

    আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর পরেই রাজ্যের চিকিৎসক মহল সরব হয়। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার পাশপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্য দুর্নীতি নিয়েও নানান অভিযোগ উঠছে। নির্যাতিতার মৃত্যুর (RG Kar) পিছনে এই দুর্নীতির সঙ্গে আপস না করার কারণও থাকতে পারে বলে মনে করছে চিকিৎসকদের একাংশ। কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। 
    আর তার সঙ্গেই জোরালো হচ্ছে রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালেও দুর্নীতির আঁতুরঘরের অভিযোগ। সম্প্রতি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্য সিন্ডিকেট নিয়ে সরব হন পড়ুয়া ও চিকিৎসকদের একাংশ। এরপরেই নড়েচড়ে বসে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ওই হাসপাতালের আরও তিনজন চিকিৎসক-শিক্ষকের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের হেনস্থা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ওঠে। এরপরেই দ্রুত কলেজ কাউন্সিলের তরফে ওই তিন জন চিকিৎসক-শিক্ষককে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত কলেজের কোনও কাজ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজেও পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে নানান অভিযোগ উঠছে। অসৎ উপায়ে পরীক্ষা নেওয়া এবং পাশ করানোর অভিযোগও উঠেছে। যদিও ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ। আর এই সব ঘটনার জেরেই জোরালো হচ্ছে রাজ্য জুড়ে স্বাস্থ্য সিন্ডিকেটের অভিযোগ।

    কী বলছেন অভিযুক্তরা?

    রাজ্যের স্বাস্থ্য সিন্ডিকেট নিয়ে মূলত তিনজন চিকিৎসকের নাম বারবার সামনে আসছে। এই নিয়ে অবশ্য স্বাস্থ্য ভবন মুখ খুলতে চায়নি। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের (Health Syndicate) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এই বিষয়ে কিছুই বলবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন। আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। সুহৃতা পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনের উত্তর দেননি। সুদীপ্ত রায় অবশ্য জানান, তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chickpeas Benefits: সকালে খালি পেটে ভিজে ছোলা! নিমেষেই কাবু কোন কোন রোগ?

    Chickpeas Benefits: সকালে খালি পেটে ভিজে ছোলা! নিমেষেই কাবু কোন কোন রোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস জল। আর ঠিক তার পরেই রাতের ভেজানো ছোলা। এই খাবার খেয়েই কি দিন শুরু করেন? তাহলে কিন্তু একাধিক রোগকে সহজেই কাবু করা সম্ভব! পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, ছোলার একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। তার উপরে খালি পেটে ভেজা ছোলা (Chickpeas Benefits) খেলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়। এবার দেখে নেওয়া যাক, নিয়মিত ভিজে ছোলা খেলে কোন রোগকে কাবু করা সম্ভব?

    স্থূলতা কাবু সহজেই (Chickpeas Benefits)

    সকালে খালি পেটে ভিজে ছোলা খেলে স্থূলতা সহজেই কাবু হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ছোলায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে। কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। পাশপাশি ছোলায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই অল্প পরিমাণ ছোলা খেলেও পেট ভরে যায়। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার ঝুঁকি কমে (Empty Stomach)। স্থূলতার সমস্যাকেও সহজেই এড়ানো যায়।

    কাবু ডায়াবেটিসও

    ছোলা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ভেজানো ছোলায় থাকে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফাইবার। এর জেরে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এর জেরেই টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। তাই নিয়মিত ছোলা (Chickpeas Benefits) খেলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ যেমন কমে, তেমনি ডায়াবেটিস আক্রান্তরাও নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে তাঁদের সহজেই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

    আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মহিলাদের আয়রনের ঘাটতির সমস্যা বেশি দেখা যায়। এর জেরে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়‌। শরীর দুর্বল হয়ে যায়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। আয়রনের ঘাটতির জেরে কার্যক্ষমতাও কমে। নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে (Empty Stomach) আয়রনের ঘাটতি সহজেই পূরণ হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ, গর্ভবতী মহিলারা এবং সদ্যোজাতের মায়েরা নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে বাড়তি উপকার পাবেন‌। অ্যানিমিয়ার ঝুঁকিও কমবে।

    কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে (Chickpeas Benefits)

    ভেজানো ছোলা সকালে নিয়মিত খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ছোলায় থাকে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজ। এই ধরনের উপাদান হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার কোলেস্টেরলের মাত্রাও ঠিক থাকে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে‌।

    চুল ও ত্বকের সমস্যা কমে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ভেজানো ছোলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমায়। হজম শক্তি বাড়ায়। এর ফলে চুল ও ত্বকের সমস্যা কমে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, হজমের গোলমালের জেরেই অধিকাংশের চুল ও ত্বকের সমস্যা হয়। শরীরে নানান রকম অ্যাসিড তৈরি হয়। তার ফলেই ত্বকে নানান সমস্যা হয়‌। চুল পড়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। তাই নিয়মিত ছোলা (Chickpeas Benefits) খেলে এই ধরনের সমস্যা কমে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: নিহত তরুণীর দেহের কাছে ৩ সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ! ভাইরাল ভিডিও তুলল একাধিক প্রশ্ন

    RG Kar Incident: নিহত তরুণীর দেহের কাছে ৩ সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ! ভাইরাল ভিডিও তুলল একাধিক প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) মধ্যে একটি ভাইরাল ভিডিও ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ভাইরাল ভিডিওটি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সেমিনার রুমের বলে দাবি করা হয়েছে। যেখান থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে ওই জমায়েতের ভিডিও যখন তোলা হয়েছে, তখন সেমিনার রুমের মধ্যে তরুণী চিকিৎসকের দেহ ছিল। আর বাইরে তাঁর বাবা-মা অপেক্ষা করছিলেন। যদিও ওই ভাইরাল ভিডিওর প্রেক্ষিতে সিবিআই বা কলকাতা পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। (ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। )

    ভিডিওয় কী দেখা গিয়েছে

    যে ভিডিও (RG Kar Incident) সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, সেমিনার রুমের বাইরে শান্তনু দে-কে। তিনি আইনজীবী। স্বাস্থ্য ভবনের একাংশের মতে, এই শান্তনু দে হলেন সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) ছায়াসঙ্গী। কিন্তু সেখানে আইনজীবী কী করতে গিয়েছিলেন? প্লেস অফ অকারেন্সে বা ঘটনাস্থলে দেখা মিলেছে সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ ফরেন্সিক চিকিৎসক দেবাশিস সোমের। তাঁকে সোমবার নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। তিনি আরজি করের কর্মীই নন। কিন্তু ঘটনার পর মুহূর্তেই সেমিনার রুমে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দাবি স্বাস্থ্য ভবনের একাংশ। দেখা গিয়েছে সন্দীপ ঘোষের আরও এক কাছের লোক ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কেও। 

    ভাইরাল ভিডিও তুলছে প্রশ্ন

    ফরেন্সিক মেডিসিনের ডেমনস্ট্রেটর, সন্দীপ ঘোষের ছায়াসঙ্গী আর সন্দীপ ঘনিষ্ঠ (Sandip Ghosh) আইনজীবী কেন সেই সময় ঘটনাস্থলে? প্রশ্ন উঠছে, এই যে ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’ তাঁরা সেখানে কীভাবে পৌঁছলেন? তাঁদেরকে কে ডেকে পাঠিয়েছিলেন? প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সেখানে পরিকল্পনা চলছিল, কীভাবে সেখানে তথ্য প্রমাণ লোপাট করা যায়? চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, দেহ তড়িঘড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার থেকে শুরু করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছিল সেদিন। শাসকদলের প্রভাবশালী চিকিৎসক নেতা হিসাবে পরিচিত অনেককেই সেদিন আরজি করে (RG Kar Incident) দেখা গিয়েছিল। এমনকী, এও অভিযোগ, যেখানে বডি পাওয়া গিয়েছিল, সেই সেমিনার রুমে মিটিং করেন এই তিন মূর্তি। ওই চিকিৎসক নেতারা কেউই আরজি করে কর্তব্যরত নন। স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চ পদাধিকারীও নন, বলে দাবি আরজি করের জুনিয়ার ডাক্তারদের।

    আরও পড়ুন: ‘মর্গে পানশালা, দেহ ঘিরে দালাল চক্র’! বিস্ফোরক আরজি করের প্রাক্তন কর্মী

    ওঁরা গেলেন কীভাবে? প্রশ্ন বিজেপির

    আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) ওই ভাইরাল ভিডিওর প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি প্রশ্ন তোলেন, ‘দেবাশিস সোম – ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক। প্রসূন চট্টোপাধ্যায়, শান্তনু দে সহ একাধিক লোকজন সেমিনার রুমে কি করছিলেন? ফরেন্সিক তথ্য লোপাটের চেষ্টা? ঘটনাস্থলে অর্থাৎ ক্রাইম সিনে কারও যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু ওঁরা গেলেন কীভাবে? পুলিশ আটকাল না কেন?’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cocktail drugs banned: ১৫৬টি ককটেল ওষুধ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র, জানেন তালিকায় কী কী?  

    Cocktail drugs banned: ১৫৬টি ককটেল ওষুধ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র, জানেন তালিকায় কী কী?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথা, পায়ে যন্ত্রণা, অ্যালার্জির জন্য ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়েই ফটাফট ওষুধ খাচ্ছেন? ডেকে আনছেন বড় বিপদ! ফের আরও একবার বাজার চলতি বহু ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিল কেন্দ্র। গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় এবার ১৫৬টি ককটেল ওষুধ বাতিল (Cocktail drugs banned) করে দিল কেন্দ্র সরকার। গত ১২ অগাস্ট ১৫৬টি ওষুধ বাতিলের নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার থেকেই ওষুধগুলি নিষিদ্ধ (Drugs banned by Centre) করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই ওষুধগুলি শরীরের জন্য বিপজ্জনকও হতে পারে। 

    ককটেল ওষুধ কী

    ষে ওষুধগুলিতে (Cocktail drugs banned) নির্দিষ্ট অনুপাতে দুই বা ততোধিক ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদানের সংমিশ্রণ থাকে, সেগুলিকে এফডিসি ওষুধ বলে। চলতি ভাষায় এদের ‘ককটেল’ ওষুধও বলা যায়। সাধারণত ককটেল ওষুধ বলতে বোঝায়, একটি ওষুধের মধ্যে অনেকগুলি ওষুধের সংমিশ্রণ থাকা। কিন্তু সম্প্রতি বিশেষজ্ঞ কমিটি পরীক্ষা করে জানিয়েছে, যে ওষুধগুলি একাধিক ওষুধের সংমিশ্রণ দিয়ে তৈরি হয়, তা রোগীদের পক্ষে বিপজ্জনক। সেই রিপোর্ট আসার পর মোদি সরকার ওই ওষুধ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জুন মাসেও ৩৪৪টি ড্রাগ কম্বিনেশনের ১৪টি ককটেল ওষুধ নিষিদ্ধ করেছিল কেন্দ্র। যে ওষুধগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তার মধ্যে ছিল হার্টের ওষুধ, ডায়াবেটিস, প্রেসার থেকে শুরু করে মাল্টিভিটামিনের নানা ওষুধ।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ’’, পুতিন ও জেলেনস্কিকে মোদির আলিঙ্গন নিয়ে কৌশলী জয়শঙ্কর

    কোন কোন ওষুধ বাতিল

    এই ১৫৬টি ওষুধের (Cocktail drugs banned) তালিকায় রয়েছে অ্যাসিক্লোফেন্যাক ৫০ এমজি + প্যারাসিটামল ১২৫ এমজি, মেফেনামিক অ্যাসিড + প্যারাসিটামল ইনজেকশন, সেটিরিজাইন এইচসিএল + প্যারাসিটামল + ফেনিলেফ্রিন, এইচসিএল লিভোসেট্রিজাইন + ফেনিলেফ্রিন এইচসিএল + প্যারাসিটামল, প্যারাসিটামল + ক্লোরফেনির্মাইন মালেট + ফেনিল প্রোপানোলামিন এবং ক্যামিলোফিন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড ২৫ এমজি + প্যারাসিটামল ৩০০ এমজি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেখানে উল্লেখিত ওষুধগুলি নিরাপদ বিকল্প পাওয়া যায়, সেখানে এই ফিক্সড ডোজ সংমিশ্রনের ওষুধের ব্যবহার মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এফডিসি অর্থাৎ ককটেল ওষুধ মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, তাই বৃহত্তর জনস্বার্থে ড্রাগস এন্ড কসমেটিক অ্যাক্ট-এ ওষুধগুলি (Drugs banned by Centre) বাতিল করা হল। অভিযোগ, উপযুক্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য ছাড়াই অনেক ওষুধ কোম্পানি এই ওষুধ তৈরি করছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Janmashtami Festival: তালের বড়া, ক্ষীর কিংবা পিঠে! জন্মাষ্টমীর ভোগে এমন নানা পদের ছড়াছড়ি

    Janmashtami Festival: তালের বড়া, ক্ষীর কিংবা পিঠে! জন্মাষ্টমীর ভোগে এমন নানা পদের ছড়াছড়ি

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তালের বড়া, তালের ক্ষীর, তাল-ফুলুড়ি কিংবা তালের পিঠে! বাঙালি বাড়িতে জন্মাষ্টমীর ভোগে (Janmashtami Festival) এমন নানান পদ তৈরির রীতি রয়েছে! শ্রাবণ মাসে বাজারে সহজেই তাল পাওয়া যায়! বর্ষার মরশুমে এই ফলের চাহিদাও অনেক। কিন্তু তাল খেলে কী হয়, শরীরের জন্য কতখানি উপকারী এই ফল? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    ডায়ারিয়া রুখতে বিশেষ সাহায্য করে

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, কচি তালের শাঁস দেহের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে‌। আর দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা পেলে ডায়ারিয়ার মতো রোগকে সহজেই কাবু করা যায়। পাশপাশি কচি তালের শাঁস বমি ভাব কমাতেও বিশেষ সাহায্য করে।

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর (Janmashtami Festival)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, তালে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই তাল সহজেই দেহের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জোগানে সাহায্য করতে পারে। এর জেরে ক্যান্সারের মতো রোগের প্রতিরোধ সহজ হয়। আবার এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।

    লিভারের জন্য বিশেষ উপকারী

    তাল লিভারের জন্য বিশেষ উপকারী। এমনটাই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, তালে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস সহ একাধিক উপাদান থাকে।  এই সব উপাদান লিভারের রোগ কমাতে সাহায্য করে (Janmashtami Festival)।

    বাতের সমস্যার মোকাবিলা করে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, বাতের সমস্যা মোকাবিলায় তাল (Taler Bora) বিশেষ সাহায্য করে! তালের রস জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনের অভাব সহজেই পূরণ হয়। তাই বাতের সমস্যা কমে।

    কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

    তাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সহজেই দূর হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, তালে থাকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ। তাই এই খাবার খেলে সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে যায়।

    জেলাটিন কমাবে স্থূলতার ঝুঁকি (Janmashtami Festival) 

    তালে থাকে প্রচুর পরিমাণে জেলাটিন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, জেলাটিন থাকার কারণে অল্প পরিমাণে তাল খেলেও পেট ভরে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়। আর সেই কারণেই বেশি পরিমাণে খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। এতে স্থূলতার মতো রোগের ঝুঁকি কমে! 

    তবে, তাল টাটকা কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, পাকা তাল খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাজা তাল না খেলে নানান সমস্যা হতে পারে। পেটের অসুখ, হজমের গোলমাল সহ একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই তাল পেকে গেলে (Taler Bora) একদিনের বেশি বাড়িতে রাখা উচিত নয়। কারণ, পাকা তাল সতেজ না থাকলে সেই খাবারে কোনও পুষ্টিগুণ থাকবে না। বরং আরও সমস্যা বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Monkey Pox: মাঙ্কিপক্স নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল দিল্লি এইমস, কী আছে তাতে?

    Monkey Pox: মাঙ্কিপক্স নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল দিল্লি এইমস, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্সের (Monkey Pox) উপসর্গ নিয়ে রোগীর খোঁজ মিললে, সেক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন, মঙ্গলবার তার নির্দেশিকা প্রকাশ করল দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা এইমস (AIIMS Delhi)। যদিও ভারতে এখনও কোনও এই ধরনের আক্রান্তের খবর  নেই। জানা গিয়েছে, আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

    এইমসের ডাক্তাররা কী বললেন?

    এইমস (AIIMS) ডাক্তাররা জানাচ্ছেন যে, মাঙ্কিপক্স একটি ‘ভাইরাল জুনোসিস’, যার লক্ষণগুলি গুটিবসন্তের মতো, যদিও কম গুরুতর। মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবকে বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এই রোগ যাতে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে তা রোধ করার জন্য উচ্চতর সচেতনতা, দ্রুত সনাক্তকরণ এবং কঠোর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে ‘হু’।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে শ্যামবাজারে আজ থেকে ধর্না বিজেপির

    মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে?

    হু (WHO)-এর জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণাকে মান্যতা দিয়ে সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্স রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করেছে দিল্লি এইমস (AIIMS)। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা রূপরেখা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের কার্যপ্রণালিতে। প্রধান লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ফোলা লিম্ফ নোড, ঠান্ডা লাগা, ক্লান্তি এবং ত্বকের ক্ষত। সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের জন্য পাঁচটি শয্যা মনোনীত করা হয়েছে।

    এইমসের জারি হওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যতক্ষণ না সন্দেহজনক এমপক্স আক্রান্তদের জন্য মনোনীত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এইমসে চিকিৎসা করা হবে। উপসর্গ থাকা রোগীদের আইসোলেশনে রাখা হবে।  অন্যান্য রোগী এবং কর্মীদের সঙ্গে যথাসাধ্য যোগাযোগ কম করে তা নিশ্চিত করতে হবে। কঠোর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং সঠিক ডকুমেন্টেশন পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে বজায় রাখতে হবে। পরবর্তীকালে, সন্দেহজনক রোগীদের সফদরজং হাসপাতালে রেফার করা হবে। সেখানে আক্রান্তদের চিকিৎসা করার পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল এবং লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।

    পরিকাঠামো নিয়ে কী বললেন চিকিৎসকরা?

    সফদরজং হাসপাতালের মাঙ্কিপক্সের নোডাল অফিসার ডাঃ সুশ্রুত কাঠুরিয়া বলেন, সমস্তরকম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নতুন জরুরি ব্লকে একটি ঘর এই ধরনের রোগীদের জন্য রাখা হয়েছে। সুপারস্পেশালিটি ব্লকে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে। আরএমএল হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ অজয় শুক্লা বলেন, একটি ১০-শয্যার ওয়ার্ড মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। আর হাসপাতালের মেডিসিন এবং চর্মরোগ বিভাগের দুজন নোডাল অফিসার পরিস্থিতির তদারকি করছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hypokalemia: হার্ট বিটের হঠাৎ ওঠা-নামা, পেশিতে খিঁচুনি কীসের লক্ষণ? কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    Hypokalemia: হার্ট বিটের হঠাৎ ওঠা-নামা, পেশিতে খিঁচুনি কীসের লক্ষণ? কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বুকের ভিতরে হঠাৎ ধড়ফড় করে ওঠে। হৃদস্পন্দন ওঠানামা করতে শুরু করে! আবার কখনও হাতে-পায়ে এক ধরনের অসাড়তা! হাত-পা নাড়াচাড়া করার শক্তিটুকুও থাকছে না। ক্লান্তি গ্রাস করছে শরীরে! অনেকেই এই ধরনের সমস্যায় ভোগেন। হঠাৎ এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে ভোগান্তি বাড়ে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা করা উচিত নয়। বারবার এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে, বুঝতে হবে শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি (Hypokalemia) দেখা দিচ্ছে। কারণ, পটাশিয়াম শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মস্তিষ্ক সচল রাখতে, পেশির কার্যকারিতা বজায় রাখতে এবং হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা ঠিকমতো বজায় রাখতে পটাশিয়াম অত্যন্ত জরুরি। তাই শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি হলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে পটাশিয়ামের ঘাটতি রয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করা যায়। তাই তা পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে‌। পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে, তা পূরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও জরুরি। তবে শরীরে যাতে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা না দেয়, সে নিয়ে আগাম সতর্কতা দরকার। তাই খাদ্যতালিকায় সেই মতো নজরদারি প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। কিন্তু কীভাবে পটাশিয়ামের ঘাটতি মিটবে? চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত কিছু খাবার খেলেই শরীরের প্রয়োজনীয় পটাশিয়ামের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়।

    কলা (Hypokalemia)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, নিয়মিত একটি কলা খেলেই শরীরে পটাশিয়ামের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হয়‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, একটি কলায় ৪০০-৪৫০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। তাই কলা খেলে শরীর সহজেই পটাশিয়ামের জোগান পায়। বিশেষত শিশুদের নিয়মিত কলা খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে পুষ্টিবিদদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, শিশুদের শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি তৈরি হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও বাড়ে।‌ তাই নিয়মিত একটি কলা খেলে অনেকটাই সমস্যা (Potassium Deficiency) কমে।

    ডাব

    ডাব শরীরের পটাশিয়ামের চাহিদা সহজেই পূরণ করে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, এক কাপ ডাবের জলে প্রায় ১৩ শতাংশ পটাশিয়াম থাকে। তাই নিয়মিত ডাব খেলে পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়। ডাবের জলে থাকে প্রাকৃতিক চিনি। এর জেরে শরীরের প্রত্যেক কোষে সহজেই এনার্জি পৌঁছে যায়। শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতির (Hypokalemia) ঝুঁকিও কমে।

    বিনস

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, ২০০ গ্রাম বিনস নিয়মিত খেলে শরীরের ২১ শতাংশ পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, যাঁরা পটাশিয়ামের ঘাটতির (Potassium Deficiency) সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের নিয়মিত বিনস খাওয়া জরুরি।

    কমলা লেবু (Hypokalemia)

    শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে কমলা লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, একটি কমলা লেবুতে প্রায় ২৩০ গ্রাম পটাশিয়াম থাকে। তাই শরীরের ক্লান্তি দূর করতে, পেশি সবল রাখতে কমলা লেবু অত্যন্ত উপকারী।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share