Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Mpox Emergency: ‘এমপক্স’-এর বাড়বাড়ন্তে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক! সতর্ক করল ‘হু’, নজরদারি বৃদ্ধি ভারতে

    Mpox Emergency: ‘এমপক্স’-এর বাড়বাড়ন্তে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক! সতর্ক করল ‘হু’, নজরদারি বৃদ্ধি ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা মহামারির পর এবার আরও এক উদ্বেগ ‘এমপক্স’ (মাঙ্কিপক্স)। সম্প্রতি এমপক্স (Mpox Emergency) সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ১১৬টি দেশে এই রোগের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ভারতে (India) এখনও এই রোগের একটিও কেস রিপোর্ট হয়নি। তবে, আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্র। দেশে ঢোকার এন্ট্রি-পয়েন্টগুলিতে নজরদারি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার।

    সংক্রমণ থেকে বাঁচতে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে কেন্দ্র 

    এমতাবস্থায়, প্রধানমন্ত্রী মোদি মন্ত্রিসভার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পিকে মিশ্র এমপক্স (Mpox Emergency) প্রাদুর্ভাবের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করার জন্য একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেন। একইসঙ্গে ভাইরাস সংক্রমণের তাৎক্ষণিক সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানোর জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। বৈঠকের সময়, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ভারতে কোনও নতুন এমপক্স কেস সনাক্ত হয়নি। তবে এমপক্স (Mpox Emergency) সংক্রমণ ঠেকাতে ভারত কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছে।

    একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ কেন্দ্রের

    ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (NCDC) এমপক্স নিয়ে ভারতের (India) ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে গত ১২ অগাস্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করে। সেখানেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিকে স্বাস্থ্য পরিক্ষার ক্ষেত্রে সতর্কতা দেওয়া হয়। এর পরই, (১৯ অগাস্ট) সোমবার, নির্দেশিকা জারি করা হয় কেন্দ্রের তরফে। সেখানে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত বিমানবন্দর এবং কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সীমান্তের স্থলবন্দরগুলিতে আগত যাত্রীদের এমপক্সের কোনও লক্ষণ আছে কি না, সে বিষয়ে কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, এমপক্সে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল, সফদারজং হাসপাতাল এবং লেডি হার্ডিঞ্জ হাসপাতালকে ‘নোডাল সেন্টার’ হিসাবে বাছা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল মহিলা-বিরোধী, যুব-বিরোধী, গণতন্ত্র-বিরোধী”, রাজ্যকে তোপ নাড্ডার 

    এমপক্সের উপসর্গ (Mpox Emergency) 

    এমপক্স হল মাঙ্কিপক্স ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। ১৯৫৮ সালে প্রথম বাঁদরের দেহে এই রোগের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এই কারণে রোগের নামকরণ হয়েছে মাঙ্কি পক্স। এটি মূলত প্রাণীর থেকে মানুষের দেহে সংক্রামিত হয়। ভারতে (India) এই রোগের সংক্রমণ প্রথম ধরা পড়ে ২০২২ সালে। কেরলের ৩৫ বছরের এক যুবক মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হন। এমপক্সে স্মলপক্সের মতোই উপসর্গ দেখা যায়। যেমন— জ্বর, মাথাব্যথা, পেশীতে ব্যথা, র‌্যাশ (যা প্রথমে মুখে দেখা যায়। তারপর তা সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে)। এই উপসর্গ দেখা যায় দুই থেকে চার সপ্তাহের তফাতে। কারও কারও ক্ষেত্রে এই রোগের মৃদু উপসর্গ থাকে। কারও ক্ষেত্রে তা প্রকট হয়। সংক্রামিত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং দীর্ঘস্থায়ী যোগাযোগের মাধ্যমেও এই রোগের সংক্রমণ হয়।  
    তবে বর্তমানে গোটা বিশ্বে বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলিতে এমপক্সের ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত আফ্রিকার একাধিক দেশে মাঙ্কিপক্সে (Mpox Emergency) মোট ১৪ হাজার জন আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৫২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diabetic Nephropathy: ডায়াবেটিস হলেই কি কিডনির রোগ? কী ধরনের সমস্যা হতে পারে? 

    Diabetic Nephropathy: ডায়াবেটিস হলেই কি কিডনির রোগ? কী ধরনের সমস্যা হতে পারে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরনোর আগেই রক্তে বাড়ছে শর্করার মাত্রা। তরুণ প্রজন্মের অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা ডায়াবেটিস। এমনকী স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও টাইপ টু ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। আর ডায়াবেটিসের জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিডনি। দেশ জুড়ে বাড়ছে কিডনির রোগ। গত কয়েক বছরে দেশে মারাত্মক ভাবে বেড়েছে‌ কিডনির সমস্যা। কিডনির কার্যকারিতা হারানোর জেরে মৃত্যুর ঘটনাও বাড়ছে। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। তারা জানাচ্ছে, ডায়াবেটিস রোগীদের প্রথম থেকেই কিডনি নিয়ে বাড়তি সচেতনতা (Diabetic Nephropathy) না থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে পারে।

    ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলেই কি কিডনির রোগের ঝুঁকি? (Diabetic Nephropathy)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ে। কারণ, ডায়াবেটিস হলে গ্লুমেরুলি সংকীর্ণ হয়। এর জেরে রক্তনালীর মধ্যে দিয়ে রক্ত সঞ্চালনে বাধা পায়। আর তার জেরেই কিডনির কার্যকারিতাতেও সমস্যা দেখা যায়। পাশপাশি কিডনিতে অ্যালবুমিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর তার জেরেই কিডনির ভিতরের বিভিন্ন ফিল্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে কিডনির রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের স্নায়ুর কার্যকারিতা কমে যায়। মস্তিষ্কের স্নায়ু এবং মূত্রনালীর মধ্যে ঠিকমতো যোগাযোগ থাকে না। এর ফলে, মূত্রথলি পূর্ণ হয়ে গেলেও আক্রান্ত অনুভব করতে পারেন না। দীর্ঘদিন এইভাবে চললে কিডনির উপরে মারাত্মক চাপ পড়ে। কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট হয়। ‌ডায়াবেটিস আক্রান্তদের শরীরে বিশেষত কিডনিতে নানান ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। এর জেরে কিডনির রোগের ঝুঁকি (Kidney Disease) বেড়ে যায়।

    কীভাবে এই রোগ শনাক্ত করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে,‌ ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কিডনির রোগের ঝুঁকি (Diabetic Nephropathy) মারাত্মক বেশি। তাই প্রথম থেকেই সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, রোগ নির্ণয় প্রাথমিক পর্বেই হলে, চিকিৎসার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনির অসুখ শনাক্ত করা বেশ কঠিন। অনেক ক্ষেত্রেই উপসর্গ চিহ্নিত করা যায় না। তাই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কিডনির পরীক্ষা করানো জরুরি। কিডনির কার্যকারিতা ঠিক রয়েছে কিনা, তা যাচাই করা দরকার। তবে, পা ফুলে যাওয়া, সব সময় ক্লান্তি ভাব, বমি ভাবের মতো উপসর্গ নিয়মিত দেখা গেলে কিডনির পরীক্ষা আবশ্যিক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন? (Diabetic Nephropathy)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে প্রথম থেকেই সতর্কতা জরুরি। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে শর্করার পরিমাণ জানা দরকার। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেও নজরদারি জরুরি। ডায়াবেটিস আক্রান্তের কখনই কুকিজ, সোডা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। এতে কিডনির অসুখের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। চিনিজাতীয় কোনও খাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পাশপাশি তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাড়তি নজরদারি দরকার। কারণ, ডায়াবেটিসের সঙ্গে রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হলে তা কিডনি ও হার্টের রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত শারীরিক কসরত করা জরুরি।‌ যাতে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এছাড়া, খেজুর, বাদাম জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, এই ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ থাকে। ফলে, কিডনিও সুস্থ থাকে (Kidney Disease)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ কেন‌ বাড়ছে? কীভাবে চিনবেন এই রোগ? কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ কেন‌ বাড়ছে? কীভাবে চিনবেন এই রোগ? কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফি-বছর বর্ষাকালে রাজ্যের মানুষের ভোগান্তি বাড়ায় ডেঙ্গি। মশাবাহিত এই রোগে নাজেহাল সকলেই। কয়েক হাজার মানুষ মারাও যান। লাখখানেক মানুষ আক্রান্ত হন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, সচেতনতার অভাব এই রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলছে! আসুন, এক নজরে দেখে নিই এই মারণ রোগের খুঁটিনাটি।

    ডেঙ্গি কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডেঙ্গি একটা ভাইরাস, যা মশার মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে আরেক জনের রক্তে সংক্রমিত হয়। মূলত স্ত্রী এডিস মশা ডেঙ্গির ভাইরাস বহন করে।

    কীভাবে চিনবেন এই রোগ? (Dengue)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে জ্বর হয়। দেহের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যায়। তার সঙ্গে গোটা শরীরে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব হয়। বিশেষত হাত ও পায়ের জয়েন্টে যন্ত্রণা বেশি হয়। মাথার যন্ত্রণা হয়। এর পাশপাশি শরীরের বিভিন্ন অংশে লালচে গোল দাগ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ডেঙ্গি সংক্রমণ হলে মাথা ঘোরা, বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, দেহের যে কোনও অংশ থেকে রক্তপাত শুরু হলে, বুঝতে হবে পরিস্থিতি বেশ জটিল। তাই আরও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

    কেন ডেঙ্গি বিপজ্জনক?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডেঙ্গি ভাইরাস সংক্রমণ (Virus Infection) হলে আক্রান্তের রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণ কমতে থাকে। আর তা হলেই রক্ত সঞ্চালন থমকে যায়। তার ফলে হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনি, মস্তিষ্ক সহ একাধিক অঙ্গের কার্যকারিতা বাধা পায়। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহও কমে যায়। মস্তিষ্ক কাজ করতে পারে না। ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণ হলে মাল্টি অরগ্যান ফেলিওরের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই ডেঙ্গি বিপজ্জনক বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কাদের জন্য বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে ডেঙ্গি? (Dengue)

    প্রথম থেকে চিকিৎসা শুরু না করলে ডেঙ্গি সংক্রমণ যে কোনও সময় বিপজ্জনক হতে পারে। তবে শিশু, বয়স্ক ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ডেঙ্গি মারাত্মক জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, শিশু ও গর্ভবতী মহিলারা ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে দ্রুত পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। মৃত্যুহার খতিয়ে দেখলে দেখা যায়, গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অন্যদের তুলনায় বেশি। 
    তবে একবার ডেঙ্গি আক্রান্ত আরেকবার ভিন্ন প্রজাতির ডেঙ্গিতে সংক্রামিত হলে বিপদ আরও বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এ রাজ্যে ডেঙ্গির মূলত চারটি প্রজাতি রয়েছে। এক প্রজাতির ভাইরাস এক ব্যক্তির দেহে একাধিক বার সংক্রমিত হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হয় না। কারণ সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু এক ব্যক্তিকে বারবার এক ভাইরাসের ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি সংক্রমিত করলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। তখন আক্রান্তের রোগ প্রতিরোধ শক্তি তলানিতে গিয়ে ঠেকে। একাধিক অঙ্গের ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই একবার ডেঙ্গি সংক্রমণ হলে, তাকে আরও সতর্ক ভাবে থাকতে হবে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডেঙ্গি (Dengue) মশাবাহিত রোগ। তাই মশার দাপট রুখতে পারলেই ডেঙ্গির মোকাবিলা সহজ‌‌ হবে। নিয়মিত মশারি টাঙিয়ে ঘুমনোর পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর পাশপাশি বাড়ির আশপাশ ও এলাকা পরিষ্কারের দিকে নজরদারি জরুরি। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার, যে কোনও জায়গায় জল জমতে না দেওয়ার দিকে নজর রাখতে হবে। এলাকার বিভিন্ন পার্ক ও বাগানে নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দিতে হবে। তাছাড়া, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রয়েছে কিনা সেটাও নজরদারি জরুরি‌। এলাকার কেউ জ্বর, সর্দিতে আক্রান্ত হলে কিংবা ডেঙ্গির উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা জরুরি। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত থাকা দরকার। তবেই দ্রুত চিকিৎসা মাধ্যমে সুস্থ থাকা যাবে। আক্রান্তকে‌ আলাদা ভাবে রাখতে হবে। এলাকায় কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত (Virus Infection) হলে বাকিদের আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গি আক্রান্তে ফের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা! প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাবে বাড়ছে উদ্বেগ

    Dengue: ডেঙ্গি আক্রান্তে ফের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা! প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাবে বাড়ছে উদ্বেগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটানা বৃষ্টি! তার পরে কয়েক দিনের রোদ! এই আবহাওয়া এখন উদ্বেগজনক। কিন্তু চলতি সপ্তাহে এমনই আবহাওয়ার জেরে রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue) দাপট আরও বাড়তে পারে বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। চলতি বছরে ডেঙ্গি বঙ্গবাসীর ভোগান্তি আরও বাড়াবে বলেই আশঙ্কা করছে প্রশাসনের একাংশ। কিন্তু সেই তুলনায় প্রশাসনের তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলেই বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। মানুষের তিক্ত অভিজ্ঞতা হল, সরকারের বিভিন্ন দফতরের মধ্যে এই মারণ রোগ মোকাবিলায় কোনও সমন্বয়ই নেই। তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে।

    উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কোন জেলা? (Dengue)

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দফতরের বৈঠকে প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, এবারে আক্রান্তের নিরিখে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা। ইতিমধ্যেই ওই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়েছে। শুধুমাত্র জুলাই মাসের শেষ দুই সপ্তাহে উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে ৫০০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। উত্তর ২৪ পরগনার পরেই নদিয়া। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, নদিয়া জেলায় গত মাসে ৪০০-র বেশি মানুষ নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া কলকাতা ও হাওড়ার পরিস্থিতিও নজরে রাখা হয়েছে বলে প্রশাসনিক (State Administration) সূত্রে দাবি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছে, গত বছরের মতোই চলতি বছরেও জুন মাস থেকেই কলকাতা ও হাওড়ায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কলকাতায় ডেঙ্গির (Dengue) পাশপাশি ম্যালেরিয়ার দাপটও যথেষ্ট। মশার এই জোড়া আক্রমণে নাজেহাল কলকাতা তথা বঙ্গবাসী।

    কী পরিকল্পনা করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকা পরিদর্শনের পাশপাশি স্কুল, কলেজ, হাসপাতালেও পরিদর্শন জরুরি। এমনই নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য প্রশাসন। কর্তারা জানাচ্ছেন, একটানা বৃষ্টির জেরে স্কুল, কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে বহু জায়গায় জল জমে আগাছা জন্মাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। আর তার জেরেই মশার বাড়বাড়ন্ত। তাই স্কুল, কলেজ ক্যাম্পাস পরিদর্শন জরুরি। পাশপাশি হাসপাতাল চত্বরে যাতে জল না জমে, সে নিয়েও নজরদারি জরুরি। এক স্বাস্থ্যকর্তার (State Administration) কথায়, “ইতিমধ্যেই শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ব্যাপারে নজর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্তাদেরও এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।” 
    তবে, স্বাস্থ্য দফতরের একাংশ জানাচ্ছে, গতানুগতিক ভাবে শুধু পরিকল্পনা যথেষ্ট নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue) রুখতে প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। অনেক সময়েই তা নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। ডেঙ্গি যে ভাবে বাড়ছে, সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য কর্তাদেরই একাংশ।‌ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Breastfeeding Week: জন্মের পরের ছ’মাস শুধুই স্তন্যপান! শিশু ও মায়ের শরীরে কী প্রভাব ফেলে?

    World Breastfeeding Week: জন্মের পরের ছ’মাস শুধুই স্তন্যপান! শিশু ও মায়ের শরীরে কী প্রভাব ফেলে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সন্তানের জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস, তার শারীরিক বিকাশের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে শিশুর খাদ্যাভ্যাস থেকে পরিচর্যা, সব বিষয়ে অতিরিক্ত নজরদারি না রাখলে পরবর্তী সময়ে নানান জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে তাই জানানো হয়েছে, শিশুর জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস শুধু মাতৃ স্তন্যপান (World Breastfeeding Week) যথেষ্ট। এতেই শিশুর ঠিকমতো বিকাশ হবে। সুস্থ শরীর ও মানসিক গঠন ঠিক মতো হবে‌। কিন্তু বিশ্ব জুড়েই মাতৃদুগ্ধ (Mother’s Milk) পান নিয়ে নানান ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহল কিন্তু স্পষ্ট জানাচ্ছে, শিশুর জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ যথেষ্ট। আর কিছুই দরকার নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো‌ ভারতেও স্তন্যপান করানো নিয়ে নানান ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। তাই দেশ জুড়ে অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ স্তন্যপান সচেতনতা সপ্তাহ হিসেবে পালন করা হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, স্তন্যপান করানো শুধু সদ্যোজাতের জন্য উপকারী নয়, মায়ের শরীরের পক্ষেও অত্যন্ত উপকারী। তাই মা ও শিশুকে সুস্থ রাখতে স্তন্যপান জরুরি।

    শিশুর শরীরে স্তন্যপান কতখানি গুরুত্বপূর্ণ? (World Breastfeeding Week)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ পান করলে, শিশুর যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কমে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের খাবার থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে সব চেয়ে বেশি। কিন্তু মায়ের বুকের দুধ খেলে সেই ঝুঁকি কার্যত থাকে না। বিশেষত পেটের অসুখের ঝুঁকি একেবারেই কমে যায়। জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খেলে, তার প্রভাব হয় সুদূর প্রসারী। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মায়ের বুকের দুধে কোলেস্ট্রাম থাকে। এই উপাদান দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। বিশেষত অন্ত্র, লিভার এবং পাকস্থলীর রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে এই উপাদানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তাই মাতৃদুগ্ধ সন্তানের জন্য সব চেয়ে উপকারী। জন্মের পরে প্রথম ছ’মাস শুধুমাত্র ব্রেস্টফিডিং করলে শিশুর কিডনি ভালো থাকে বলেও জানাচ্ছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই এদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশেও মায়ের দুধের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।‌ তারা জানাচ্ছে, শিশুর জন্মের পরে মায়ের বুকের দুধে এক ধরণের হলদে উপাদান থাকে। এই উপাদান শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে।

    স্তন্যপান করালে মায়ের শরীরে কী প্রভাব পড়ে?

    শিশুকে নিয়মিত স্তন্যপান (World Breastfeeding Week) করালে তার পাশপাশি মায়ের শরীরেও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, শিশুকে স্তন্যপান করালে মায়ের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমে যায়। বিশ্বের একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, স্তন্যপান করালে মহিলাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমতে পারে। সন্তানকে নিয়মিত স্তন্যপান করালে স্তন ক্যান্সারের পাশাপাশি ওভারি এবং জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমতে বিশেষ সাহায্য করে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমার পাশপাশি মায়ের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম হয়। শিশুকে নিয়মিত স্তন্যপান করালে নতুন মায়ের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। এমনটাই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, গর্ভাবস্থায় মায়ের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। সন্তান জন্মের পরে দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার স্তন্যপান (Mother’s Milk) করালে, মায়ের রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক হয়। ফলে মায়ের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। সন্তানকে স্তন্যপান করালে মহিলাদের পোস্ট পার্টোম ডিপ্রেশনের ঝুঁকি কমে বলেও‌ জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, অধিকাংশ মায়েরাই সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে নানান মানসিক অবসাদে ভোগেন। দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য পরিবর্তন ঘটার জেরেই এই ধরনের অবসাদ তৈরি হয়। নিয়মিত স্তন্যপান করালে মায়ের শরীরে হরমোনের পরিবর্তনেও প্রভাব ফেলে। ফলে মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য ও ভালো থাকে। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে স্তন্যপান (World Breastfeeding Week)। মা নিয়মিত সদ্যোজাতকে স্তন্যপান করালে মায়ের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। যা শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Empty Stomach: সকালে খালি পেটে কী খাবেন? কোন ঘরোয়া উপাদানে রয়েছে সুস্থ শরীরের চাবিকাঠি? 

    Empty Stomach: সকালে খালি পেটে কী খাবেন? কোন ঘরোয়া উপাদানে রয়েছে সুস্থ শরীরের চাবিকাঠি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালে ঘুম থেকে উঠেই সরাসরি ভারী খাবার নয় (Empty Stomach)। বরং কিছু ঘরোয়া খাবারই করবে বাজিমাত। শরীর রাখবে সুস্থ। তা একাধিক জটিল রোগ মোকাবিলায় সাহায্য করবে‌। এমনই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তারা জানাচ্ছে, কম বয়স থেকেই এখন নানান জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। একদিকে স্থূলতার মতো সমস্যা, আরেকদিকে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ। এসব রোগে এখন তরুণ প্রজন্ম নাজেহাল।‌ তাই দিনের শুরু থেকেই জরুরি রোগ প্রতিরোধ শক্তি নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ঘরোয়া কিছু উপাদানের নিয়মিত ব্যবহার হৃদরোগ থেকে কিডনির জটিল অসুখ, কিংবা মহিলাদের ওভারি, জরায়ুর জটিল সমস্যা দূর করতে পারে। এমনই পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন ঘরোয়া উপাদান (Household Ingredients) কতখানি উপকারী?

    আমলকি ভেজানো জল (Empty Stomach)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জল খাওয়ার অভ্যাস একাধিক রোগ‌ মোকাবিলায় সাহায্য করে। তারা জানাচ্ছে, আমলকি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই আমলকি ভেজানো জল খালি পেটে খেলে, তা যথেষ্ট উপকারে আসে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, আমলকিতে রয়েছে একাধিক খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন ই। তাই খালি পেটে আমলকি ভেজানো জল খেলে একদিকে হজমের সমস্যা কমে, শরীরে প্রতিরোধ শক্তিও বাড়ে। আবার ত্বক এবং চুলের সমস্যাও কমে। ত্বক উজ্জ্বল হয়।

    গরম জলে মধু মিশিয়ে খাওয়া

    সকালে ঘুম থেকে উঠে সপ্তাহে অন্তত তিন‌ দিন গরম জলে মধু মিশিয়ে খেলে (Empty Stomach) শরীর সুস্থ থাকবে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, এই পানীয় শরীরের টক্সিন বের করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। এর জেরে একদিকে সহজেই স্থূলতার সমস্যার মোকাবিলা করা যায়। এই পানীয় মেদ দ্রুত ঝরায়।‌ আরেকদিকে কিডনি ভালো থাকে। মহিলাদের ওভারি সুস্থ রাখতে এই পানীয় বিশেষ সাহায্য করে। আবার ত্বকও ভালো‌ থাকে।

    ভেজানো কাঠবাদাম (Empty Stomach)

    সকালে খালি পেটে ভেজানো কাঠবাদাম অন্তত পাঁচটা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তারা জানাচ্ছে, কাঠবাদাম মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে‌। তাই শিশুদের খালি পেটে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ানোয় অভ্যস্ত করার পরামর্শ দিচ্ছে পুষ্টিবিদদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো উপাদান।‌ তাই এই উপাদান শরীরে এনার্জি জোগায়। আবার স্নায়ু সুস্থ রাখে। পাশাপাশি এই ধরনের উপাদানগুলো মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই সকালে উঠে নিয়মিত ভেজানো কাঠবাদাম খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যায়।

    খালি পেটে খেজুর কমাবে একাধিক সমস্যা

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, বহু মানুষ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। খালি পেটে (Household Ingredients) একটা খেজুর খেলে এই সমস্যা সহজেই মোকাবিলা সম্ভব। তারা জানাচ্ছে, খেজুরে রয়েছে একাধিক ভিটামিন এবং ফাইবার। তাই এই ফল একদিকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে সহজেই কাবু করে, আবার দ্রুত শক্তি জোগায়‌।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nutritional Value: প্যাকেটজাত খাবার ঘিরে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, স্বাগত জানাল স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ

    Nutritional Value: প্যাকেটজাত খাবার ঘিরে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, স্বাগত জানাল স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যে কোনও খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেটে লবণ, চিনি ও চর্বির পরিমাণ (Nutritional Value) জানাতে হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবার ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা দফতর এবং ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (FSSAI) তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেটে পুষ্টিগুণের পাশাপাশি লবণ, চিনি এবং চর্বির মাত্রা কতটা রয়েছে, (Food Safety) এই সংক্রান্ত তথ্য মোটা অক্ষরে সংস্থাকে জনগণের জ্ঞাতার্থে উল্লেখ করতে হবে।

    চিনি, লবণ এবং চর্বি সংক্রান্ত তথ্য জানাতে হবে (Nutritional Value)

    মোটা অক্ষরে চিনি, লবণ এবং চর্বি সংক্রান্ত তথ্য প্রদর্শনের প্রস্তাব অনুমোদন হওয়ায়, স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ উপকৃত হবেন। এছাড়াও ডায়াবেটিস এবং লবণ গ্রহণের সমস্যা যাদের রয়েছে তাঁরাও উপকৃত হবেন। এতদিন পর্যন্ত ভারতে খাদ্য প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি শুধুমাত্র প্যাকেটের পিছন দিকে প্রাথমিক পুষ্টি (Food Safety) সংক্রান্ত তথ্য মুদ্রণ করতে বাধ্য ছিল। যদিও বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে প্যাকেটের সামনের দিকে এই সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক। সেই সমস্ত দেশে অস্বাস্থ্যকর খাবার ব্যবহারের প্রতি মানুষের ঝোঁক কমেছে। যদিও প্রথমে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া তরফে প্রস্তাব রাখা হয়েছিল, খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেটে হেলথ স্টার রেটিং রাখা হবে এবং খাবারের গুণাগুণ সংক্রান্ত তথ্য প্যাকেটের সামনের দিকে থাকতে হবে। কিন্তু তারা হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত থেকে কেন সরে এল, তা জানা যায়নি। হেলথ স্টার রেটিং মডেলের উদ্দেশ্য হল, ওই খাদ্য মানব দেহের জন্য কতটা ক্ষতিকারক কিংবা কতটা সুরক্ষিত সে সংক্রান্ত তথ্য সাধারণ মানুষকে দেওয়া। কিন্তু এই রেটিং সিস্টেমের বিরোধিতা এসেছিল বিভিন্ন মহল থেকে। মনে করা হচ্ছ, এর জন্যই বিকল্প পন্থা অবলম্বন করে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া ।

    আরও পড়ুন: বর্ষায় সর্বদা তরতাজা থাকতে চান? মেনে চলুন এই ৬টি অভ্যাস

    নয়া পন্থায় খাদ্য দ্রব্যের প্যাকেটে চিনি, লবণ এবং চর্বির মাত্রা জানানোর ফলে খাবারের অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি, লবন বা চর্বি থাকলে আগেভাগেই তা জেনে নিতে পারবেন উপভোক্তারা।

    স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের বক্তব্য (Food Safety)

    স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ প্রথম থেকে হেলথ স্টার সিস্টেমের বিরোধিতা করছিল। তাদের অভিযোগ, হেলথ স্টার সিস্টেমে (Food Safety) অতিরিক্ত স্টার থাকলেও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওই খাদ্যদ্রব্য কারও কারও জন্য ক্ষতিকারক হতে পারত এবং স্টার সিস্টেমের বুজরুকি হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল প্রবল। বিশেষ করে প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির কাছে স্টার ব্যবস্থায় (Nutritional Value) চালাকি করার সুযোগ ছিল। কিন্তু চিনি, লবণ এবং চর্বির পরিমাণ জানালে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, কিডনি এবং যকৃতের অসুখে ভোগা ব্যক্তিরা আগেভাগে ওই খাদ্যের গুণাগুণ সম্পর্কে সতর্ক হতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lung cancer: কম বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে ফুসফুসের ক্যান্সার! নেপথ্যে কি সেই ধূমপান?

    Lung cancer: কম বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে ফুসফুসের ক্যান্সার! নেপথ্যে কি সেই ধূমপান?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে ফুসফুসের ক্যান্সার। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুসের রোগ (Lung cancer) বাড়ছে‌। বিভিন্ন সংক্রমণের জেরে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমছে। আর তার ফলে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়ছে শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। পরিবেশে দূষণের জেরে বাড়ছে নানান ভাইরাসের দাপট। আবার লাগামহীন বায়ুদূষণ বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বাড়াচ্ছে। ফুসফুসের অসুখের সেটাও আরেকটা কারণ। তবে এর পাশপাশি জীবন যাপনের ধরন ক্যান্সার আক্রান্ত বাড়ার অন্যতম কারণ বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। ১ অগাস্ট ওয়ার্ল্ড লাং ক্যান্সার ডে! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লাগাতার সচেতনতা কমাতে পারে ক্যান্সারের প্রকোপ। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য জরুরি সতর্কতা।

    ভারতে ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রকোপ কতখানি? (Lung cancer)

    বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও বাড়ছে ক্যান্সারের দাপট। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-র তথ্য অনুযায়ী, ভারতে ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রকোপ প্রতি বছর বাড়ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারের দাপট বেশি। তবে বাদ নেই মহিলারাও। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত দু’বছরে মহারাষ্ট্র, কেরল, মিজোরামের মতো রাজ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ শতাংশ বেড়েছে। আবার, দেশ জুড়ে দেখা গিয়েছে, ৯০ শতাংশ নতুন ভাবে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী ক্যান্সারের তৃতীয় পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছেন। ফলে, চিকিৎসা শুরু করতেই অনেকটা দেরি হয়ে যাচ্ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় পুরুষদের মুখ ও গলার ক্যান্সারের পরেই দেখা যাচ্ছে ফুসফুসের ক্যান্সারের জেরে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। ভারতীয় মহিলাদের ক্ষেত্রে ক্যান্সার আক্রান্তের নিরিখে স্তন ক্যান্সার এবং জরায়ুর ক্যান্সারের পরেই ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে। দেশ জুড়ে ফুসফুসের ক্যান্সার আক্রান্ত উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    ফুসফুসের ক্যান্সার বৃদ্ধির নেপথ্যে কি ধূমপান?

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে মোট ফুসফুসের ক্যান্সার আক্রান্তের ২০ শতাংশ রোগী দেখা গিয়েছে, ধূমপান (Smoking) করেন না। কিন্তু ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রোগী দীর্ঘদিন ধূমপানে অভ্যস্ত। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, ধূমপানের অভ্যাস বাড়াচ্ছে ফুসফুসের বিপদ(Lung cancer)। সিগারেট কিংবা বিড়ির ক্রনিক পালমোনারি ডিজিজ, হাঁপানি সহ একাধিক ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তেমনি এই তামাক সেবনের অভ্যাস ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, খুব বয়স থেকেই অনেকেই এখন ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারাও ধূমপান করছে। এমনকী শহরের বিভিন্ন নামী রেস্তোরাঁয় নানান রকমের ধূমপানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অনেকেই সেখানে ধূমপান করছেন।‌ আবার যাঁরা সরাসরি ধূমপান করেন না, কিন্তু আশপাশের মানুষ করছেন, তাঁরাও কিন্তু ধূমপানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের শরীরে পরোক্ষভাবে তামাকের ধোঁয়া প্রবেশ করছে। ফলে তাঁদের ফুসফুস ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Lung cancer)

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, লাগাতার সচেতনতা জরুরি। স্কুল পর্যায় থেকেই ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে। ইন্টারনেটের যুগে স্কুল পড়ুয়ারা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে। তাই স্কুল থেকেই শুরু হোক কর্মশালা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ধূমপান ক্ষতিকারক। এই ধরনের অভ্যাস থাকলে পড়ুয়ারা ‘কুল’ হবে না। বরং তাদের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করবে। আর সেই ক্ষতি কতখানি ভয়ানক হতে পারে, সে সম্পর্কে সতর্ক করা জরুরি। এই সচেতনতার হার বাড়াতে পারলে ধূমপানের অভ্যাস কমবে। আবার রেস্তোরাঁ বা বিভিন্ন হোটেলে যে অবাধে নানান রকম ধূমপানের সুযোগ থাকে, সেটাও বন্ধ করা জরুরি। সে ব্যাপারে প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    তবে, এই সবের পাশাপাশি মাস্ক পরে বাইরে যাওয়ার অভ্যাস‌ থাকা দরকার। চিকিৎসকদের মতে, বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বাড়ছে। নানান দূষিত উপাদানও বাড়ছে। ফুসফুস সুস্থ রাখতে মাস্ক কিছুটা সাহায্য করবে (Smoking)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Liver Problems: ২৩ থেকে ৩৫ বছর বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে লিভারের সমস্যা, কেন জানেন?

    Liver Problems: ২৩ থেকে ৩৫ বছর বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে লিভারের সমস্যা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজমের সমস্যা থেকে শুরু। তারপর অল্প সময়ের মধ্যেই শরীরে দানা বাঁধছে বড় অসুখ। এখন কম বয়সেই লিভারের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। ছোট-বড়, সবার মধ্যেই দিনে দিনে বাড়ছে লিভারের অসুখ। ২৩ থেকে ৩৫ বছর বয়সিদের মধ্যে লিভারের সমস্যা বেড়েছে দ্রুত হারে। এর কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে সমস্যাকে গুরুত্ব না দেওয়া আর অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন।

    কেন বাড়ছে লিভারের সমস্যা

    চিকিৎসকরা মনে করছেন, অ্যালকোহল, জাঙ্ক ফুড, বেশি চর্বিযুক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত চিনি যুক্ত পানীয় খাওয়া, ইত্যাদি অভ্যেস ভারতে লিভারের রোগের (Liver diseases) বাড়বাড়ন্তের কারণ। লিভারের রোগ ভারতে মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন লিভারের অসুখে ভুগছেন। ভারতে, লিভারের অসুখে মৃত্যুর হার প্রতি বছর আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গিয়েছে। সারা বিশ্বে ২০ লক্ষ মানুষের লিভার-সম্পর্কিত রোগে মৃত্যু ঘটে। সেই সঙ্গে ভয়াবহ ভাবে লিভার ক্যান্সারের হার বাড়ছে। এই মুহূর্তে ভারতে যকৃতের অসুখে ভোগা রোগীদের মধ্যে একটা বড় অংশের বয়স ২৩-৩৫ । 

    অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার 

    ক্রমবর্ধমান হারে অ্যালকোহল সেবনের ফলে ভারতে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (AFLD) এ আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে, বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। মহিলাদের অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিসিজ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কারও কারও ক্ষেত্রে বিপাকে সমস্যা এবং জেনেটিক কারণে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লিভারের এই অসুখের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। পুষ্টিতে ঘাটতি থাকলেও লিভারের অসুখ করতে পারে।

    টিকা না নেওয়া

    এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, হেপাটাইটিসের জন্য চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের মধ্যে ৬০ শতাংশই হেপাটাইটিসের টিকা নেননি। অ্যালকোহল-সম্পর্কিত লিভারের রোগ, ফ্যাটি লিভার, হেপাটাইটিস এবং সিরোসিসের মতো বিভিন্ন সমস্যা তরুণদের লিভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এর ফলে তরুণদের মধ্যে মৃত্যু ও অসুস্থতার হার বেড়েছে। অ্যালকোহল সেবন, ধূমপান, পর্যাপ্ত জল পান না করা, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, ভাইরাল সংক্রমণ এবং দীর্ঘদিন কিছু ওষুধ খাওয়া লিভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। টাইপ ২ ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা লিভারের সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

    লিভারের গুরুত্ব

    লিভার আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা বিভিন্ন কাজ করে। এটি বিষাক্ত পদার্থ দূরীকরণ, পুষ্টি প্রক্রিয়াকরণ, হরমোন নিয়ন্ত্রণ, ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু মেরামত, ইমিউন সিস্টেমের কাজ এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও রাসায়নিক পদার্থের সঞ্চয় করে।

    চিকিৎসকদের অভিমত

    বর্তমানে দেশে তরুণদের মধ্যে লিভারের সমস্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। চিকিৎসকদের কথায়, “২৩ থেকে ৩৫ বছর বয়সিদের মধ্যে তীব্র ভাইরাল হেপাটাইটিস, সিরোসিস, অ্যালকোহলিক হেপাটাইটিস, ফ্যাটি লিভার এবং নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো গুরুতর সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পুরুষ এবং মহিলাদের অনুপাত প্রায় ১:২ (পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের সংখ্যা দ্বিগুণ)। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের কারণে গত কয়েক বছরে এই সংখ্যা বেড়েছে।” 

    হেপাটাইটিস কী

    হেপাটাইটিস হল লিভারের গুরুতর প্রদাহ যা ভাইরাস (হেপাটাইটিস এ, বি, সি এবং ই), টক্সিন, রাসায়নিক, ড্রাগ অপব্যবহার, অ্যালকোহল পান, জেনেটিক ডিসঅর্ডার এবং কিছু অটোইমিউন রোগের কারণে হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের হেপাটাইটিস রয়েছে যেমন হেপাটাইটিস এ (দূষিত জল বা খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়), হেপাটাইটিস বি (সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে রক্তের সংস্পর্শ বা অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায়), হেপাটাইটিস সি (রক্ত থেকে রক্তের সংস্পর্শে ছড়ায়), হেপাটাইটিস ডি (কেবল হেপাটাইটিস বি-র রোগীদের ক্ষেত্রেই দেখা যায়), হেপাটাইটিস ই (দূষিত জলের মাধ্যমে ছড়ায়)। দেখা যাচ্ছে যে হেপাটাইটিস সংক্রমণে আক্রান্তদের হেপাটাইটিসের টিকা নেওয়া হয়নি। হেপাটাইটিস সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ হেপাটাইটিসের টিকা নেননি। এই সংক্রমণ হেপাটাইটিসের টিকা নিয়ে সহজেই প্রতিরোধ করা যায়।

    সিরোসিস অফ লিভার

    ‘সিরোসিস অফ লিভার’ শব্দবন্ধটি ক্যানসারের চেয়ে কোনও অংশে কম আতঙ্কের নয়। বরং কিছু ক্ষেত্রে এই রোগ ক্যানসারের চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর। কারণ, এই রোগ সহজে ধরা পড়ে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এতটা দেরি হয়ে যায় যে, তখন আর কিছু করার থাকে না। চিকিৎসক জানান, “সিরোসিস অফ লিভার হল লিভার রোগের শেষ পর্যায়। এখানে থেকে ফিরে আসার কোনও উপায় নেই। এর মানে হল লিভার সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আসলে প্রথমে ফ্যাটি লিভার হল, অর্থাৎ লিভারটি বড় হয়। তারপর লিভার শক্ত হয়ে যায়। তখনও যদি আমরা সতর্ক না-হই তাহলে লিভারটি ফেটে যায় ৷ একেই বলে সিরোসিস অফ লিভার। অতএব ফ্যাটি লিভার হল সিরোসিস অফ লিভারের প্রথম ধাপ।

    আরও পড়ুন: স্যান্ডউইচ বিক্রেতা থেকে ট্র্যাজেডি কিং! বলিউডের বর্ণময় চরিত্র দিলীপ কুমার

    সুস্থ থাকার উপায়

    লিভারকে সুস্থ রাখার জন্য চিকিৎসকরা বলেন, ফ্যাট জাতীয় খাওয়ার যতটা কম খাওয়ার যায় তত ভালো। তার সঙ্গে টাটকা শাক-সবজি ও ফল খেতে হবে। ফাইবার জাতীয় খাওয়ার মানে আটা, ওটস, কনফ্লেক্স বেশি খেতে হবে। অতিরিক্ত মাত্রায় জল খেতে হবে। আর সব থেকে বেশি দরকার হল শারীরিক ব্যায়াম। মানুষের শারীরিক কাজকর্ম কমে যাওয়ার ফলে শরীরে ফ্যাট জমছে ৷ যার ফলে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মদ্যপান কমাতে হবে। অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাত্রায় লাগাম টানতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loneliness: একাকিত্ব বাড়ছে, তার জেরেই বাড়ছে একাধিক রোগের দাপট! কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    Loneliness: একাকিত্ব বাড়ছে, তার জেরেই বাড়ছে একাধিক রোগের দাপট! কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পঞ্চাশের চৌকাঠে পা রেখেই বাড়ছে নানান রোগ। নানান ওষুধের গুণে দীর্ঘ জীবন পেলেও, সুস্থ জীবনযাপন এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, একাকিত্ব বাড়ছে। আর তার জেরেই বাড়ছে একাধিক রোগের দাপট। সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানাচ্ছে, বন্ধুহীন নিঃসঙ্গ জীবন (Loneliness) কমাচ্ছে জীবন‌ যাপনের মান। আর তার জেরেই সমস্যা বাড়ছে। অন্তত এমনটাই জানাচ্ছে এক সাম্প্রতিক গবেষণার রিপোর্ট।

    কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    আন্তর্জাতিক এক সংস্থার তত্ত্বাবধানে দেশজুড়ে গবেষণায় দেখা গিয়েছে, একাকিত্ব বাড়ছে। পঞ্চাশোর্ধ্বদের মধ্যে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই সহ দেশের একাধিক বড় শহরে অধিকাংশ মানুষ বন্ধুহীন জীবন কাটাচ্ছেন। তাই বাড়ছে একাকিত্ব। যার জেরে নানান রোগের জটিলতাও বাড়ছে‌।

    কী সমস্যা বাড়ায় একাকিত্ব? (Loneliness)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, একাকিত্ব মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর জেরে এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হয়। দীর্ঘদিন একাকিত্বের সমস্যায় ভুগলে মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। জেরেন্টোলজিস্টদের (বয়স্কদের রোগ বিশেষজ্ঞ) একাংশ জানাচ্ছে, বয়স্কদের একাধিক রোগের কারণ এই একাকিত্ব। একাকিত্বের জেরে বাড়ছে মানসিক অবসাদ। তার জন্য খাওয়ার ইচ্ছে চলে যাচ্ছে। অনেক বয়স্করাই একা থাকার জন্য ঠিক মতো নিয়মিত রান্না করেন না। সময় মেনে অনেকেই খাবার খান না। এর জেরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। আবার একাকিত্বের জেরে বাড়ছে নানান মানসিক চাপ ও উদ্বেগ। ফলে, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাও বাড়ছে। তাই হৃদরোগ থেকে কিডনির জটিল অসুখ, সবকিছুর পিছনেই রয়েছে একাকিত্বের মতো‌ সমস্যা।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, একাকিত্ব (Loneliness) এক ধরনের মানসিক অবস্থা। একা থাকা মানেই একাকিত্ব নয়। অনেকেই পরিবারের সঙ্গে থেকেও এই একাকিত্বের সমস্যায় ভোগেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সন্তানেরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। বাড়িতে কেউ থাকেন না। পরিবার বলতে আশপাশে কেউ নেই। এমন মানুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে একাকিত্বের মতো সমস্যায় ভুগছেন। তাই মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কিছুই ভালো না লাগা, হঠাৎ খুব নিঃসঙ্গ মনে হওয়া, যে কোনও বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দরকার চিকিৎসকের পরামর্শ। প্রয়োজনীয় থেরাপি ও ওষুধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে, একাকিত্বের সমস্যা (Multiple Diseases) এড়াতে নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। 
    নিয়মিত সকালে হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাঠে নিয়মিত হাঁটলে পরিবেশের সঙ্গে সুন্দর যোগাযোগ গড়ে ওঠে। সকালে হাঁটার অভ্যাস শরীর সুস্থ রাখার পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ক্লান্তি দূর করে‌। সকালে বহু মানুষের সঙ্গে সহজেই দেখা হয়। তাই মন হালকা থাকে। একাকিত্ব গ্রাস করে না।

    বই পড়ুন

    বই পড়ার অভ্যাস জরুরি। এমনি পরামর্শ দিচ্ছেন জেরেন্টোলজিস্টদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক এখন একা (Loneliness) থাকেন। দিনভর তাদের সঙ্গ দেওয়ার মানুষের অভাব। তাই দরকার বই পড়ার অভ্যাস। এতে দিনের অনেকটা সময় সুন্দরভাবে কাটানো যায়। এর ফলে একাকিত্ব গ্রাস করার সুযোগ কম। আবার নিয়মিত বই পড়লে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় থাকে (Multiple Diseases)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share