Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • AIIMS Study: যোগের বলে মুক্তি মিলবে আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা থেকে, বলছে এইমসের সমীক্ষা

    AIIMS Study: যোগের বলে মুক্তি মিলবে আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা থেকে, বলছে এইমসের সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগ বলে রোগ আরোগ্য। বাক্যটি যে নেহাৎ কথার কথা নয়, তা জানা গেল এইমসের সাম্প্রতিক এক গবেষণাও (AIIMS Study)। জানা গিয়েছে, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের প্রদাহ ও ব্যথা (Arthritis Pain) কমাতেও দারুণ কাজ করে যোগ ব্যায়াম। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হল একটি ক্রনিক অটোইমিউন রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে হয় প্রদাহ, গাঁটে গাঁটে হয় ব্যথা। ফুসফুস, হার্ট এবং মস্তিষ্কেও প্রভাব পড়ে এই ব্যথার। যার জেরে রোগী ক্রমেই অথর্ব হয়ে পড়েন।

    যোগ বলে রোগ আরোগ্য (AIIMS Study)

    এইমসের চিকিৎসকদের করা গবেষণা বলছে, এর থেকে মুক্তি দিতে পারে যোগ ব্যায়াম। শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে এটি কাজ করে দারুণভাবে। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত যোগব্যায়াম করেন, তাঁরা দিব্যি সুস্থ রয়েছেন। অথর্ব বেদে যোগের গুণগান গাওয়া হলেও, সিংহভাগ ভারতীয়ই চর্চা করতেন না যোগের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই প্রথম যোগের গুণাগুন তুলে ধরেন সারা বিশ্বের কাছে। তার পর থেকে ফি বছর ২১ জুন দিনটি পালিত হয় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে। সেই যোগেরই নয়া কার্যকারিতার কথা জানা গেল এইমসের সমীক্ষায় (AIIMS Study)।

    এইমসের গবেষণা

    সমীক্ষাটি করেছে এইমসের ল্যাব ফর মলিকিউলার রিপ্রোডাকশন অ্যান্ড জেনেটিক্স, দ্য অ্যানাটমি ডিপার্টমেন্ট এবং রিউম্যাটোলজি ডিপার্টমেন্ট। তাদের সাহায্য করেছিল ডিএসটি। সেই সমীক্ষায়ই জানা গিয়েছে, কীভাবে রিউমাটেড আর্থ্রাইটিসের রোগীদের কোষ এবং মলিকিউলার লেভেলে কাজ করে যোগ। কেবল যন্ত্রণামুক্তিই নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু কাজ করে যোগ। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং সেলুলার ড্যামেজ কন্ট্রোল করে যোগ যে প্রদাহও হ্রাস করে, তা-ও জানা গিয়েছে ওই সমীক্ষায়। প্রো এবং অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি সাইটকিনসের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে যোগ।

    আরও পড়ুন: শ’য়ে শ’য়ে মসজিদ ভাঙছে চিন, নিশ্চিহ্ন করছে উইঘুরদের, নীরব মুসলিম দুনিয়া

    রোগীর শরীরে বাড়িয়ে দেয় এনডর্ফিনের স্তর, হ্রাস করে কর্টিসল এবং সিআরপির মাত্রা। মেলাটনিন রিদমও বজায় রাখে যোগ। প্রদাহ চক্রকে ভেঙে এটা করে যোগ। গড়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। মলিকিউলার লেভেলে যোগ টেলোমের্স এনজাইম এবং জিনের অ্যাক্টিভিটি বাড়িয়ে দেয়। এই জিন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ডিএনএ এবং কোষ চক্র রেগুলেশন করতে। এগুলোই রোধ করে কোষের বয়স বেড়ে যাওয়াকে। যার জেরে রোগী থাকেন চনমনে। রিউমাটোলজি বিভাগের প্রধান উমা কুমার বলেন, “যোগ যে কেবল রোগীর (Arthritis Pain) জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করে তাই নয়, রোগীদের মধ্যে থাকা চাপ এবং উদ্বেগও কমায় (AIIMS Study)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Pineapple: কাশি এবং ডায়ারিয়া কমায় আনারস! বর্ষার মরশুমের এই ফল কি কারও পক্ষে বিপজ্জনকও?

    Pineapple: কাশি এবং ডায়ারিয়া কমায় আনারস! বর্ষার মরশুমের এই ফল কি কারও পক্ষে বিপজ্জনকও?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাজ্য জুড়ে বৃষ্টি চলছেই। বর্ষায় যেমন বাঙালির পাতে থাকে ইলিশ, তেমনি বর্ষার মরশুমের আরেক খাবারও বাঙালির প্রিয়। আর সেটা হল আনারস। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আনারস খুবই উপকারী। বিশেষত এই সময়ে আনারস (Pineapple) নিয়মিত খেলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে সতর্কতাও জরুরি। না হলে আনারস বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। প্রথমে দেখে নেওয়া যাক, আনারসের উপকার কতখানি?

    আনারস কমায় ডায়ারিয়ার ঝুঁকি

    বর্ষায় (Rainy Season) ডায়ারিয়ার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে। বিভিন্ন জায়গায় জমা ও অপরিচ্ছন্ন জলের জেরে ডায়ারিয়ার মতো পেটের অসুখের ঝুঁকি তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আনারস ডায়ারিয়ার ঝুঁকি কমায়। তাই বর্ষার সময় অন্তত সপ্তাহে দু’দিন আনারস খেলে একাধিক পেটের অসুখের মোকাবিলা সহজ হয়। আনারস পেটের জন্য খুবই উপকারী। তাই ডায়ারিয়ার মতো রোগকেও সহজেই মোকাবিলা করা সম্ভব হয়।

    কাশি কমাতে সাহায্য করে আনারস (Pineapple)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষায় অনেকেই মারাত্মক সর্দি-কাশিতে ভোগেন। আনারস এই ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্য করে। আনারস গলার সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। তাই আনারস খেলে কাশির সমস্যার সহজেই মোকাবিলা করা যায়।

    ত্বকের সমস্যা কমায় আনারসের রস

    বর্ষায় স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া থাকে। আর তার জেরেই অনেকে নানান ফাঙ্গাস ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়। দেহের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি বা লাল হয়ে থাকা এর প্রধান লক্ষণ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আনারসের (Pineapple) রস সেই জায়গায় লাগালে দারুণ উপকার হয়। দ্রুত সংক্রমণ কমে। চুলকানির সমস্যাও কমে।

    কিডনি ভালো রাখে আনারস

    কিডনির জন্য আনারস ভীষণ উপকারী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আনারস মূত্রনালীর সংক্রমণ ও কিডনির সমস্যা মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। অনেকেই মূত্রনালীর সংক্রমণে ভোগেন। বিশেষত মহিলাদের এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এক কাপ আনারসের রস নিয়মিত খেলে কিডনি সুস্থ থাকে‌। কিডনিতে পাথরের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি অনেক কমে। আবার মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে। তাই মহিলাদের বিশেষ করে এই দিকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কাদের বিপদ বাড়াতে পারে বর্ষার এই ফল? (Pineapple)

    লিভার, কিডনি কিংবা ত্বকের জন্য উপকারী হলেও আনারস নিয়মিত খেলে কিছু ক্ষেত্রে তা বিপজ্জনক হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাঝেমধ্যে খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে নিয়মিত আনারস খেলে বিপদ হতে পারে। এবার দেখে নেওয়া যাক, সেগুলি কী কী।

    ক্যাভেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়! 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দাঁতের জন্য অনেক সময়েই আনারস (Pineapple) ঝুঁকি তৈরি করে‌। ক্যাভেটিস এবং জিংজাইভেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি অনেক সময় আনারস বাড়িয়ে দেয়।

    রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়

    আনারস মিষ্টি ফল। আবার অনেকেই চিনি মিশিয়ে আনারস খান। আর তার জেরেই বিপদ বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তরা নিয়মিত আনারস খেলে অনেক সময়েই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। তাই বাড়তি বিপদ তৈরি হয়।

    অ্যালার্জি থাকলে ভোগান্তি বাড়াবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই অ্যালার্জিপ্রবণ হন।‌ বিভিন্ন ধরনের খাবারে তাঁদের চুলকানি, ঠোঁট ও গলা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। তাঁদের জন্য আনারস বাড়তি ভোগান্তি তৈরি করতে পারে। তাই আনারস খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ (Rainy Season)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Superfood: রাজ্যভেদে পান্তা ভাতের হরেক নাম! কেন এই খাবারকে সুপারফুড বলা হয় জানুন

    Superfood: রাজ্যভেদে পান্তা ভাতের হরেক নাম! কেন এই খাবারকে সুপারফুড বলা হয় জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পান্তা ভাতের (Panta Bhat) হরেক নাম রয়েছে (Superfood)। ওড়িশায় পখাল, অসমে পৈতা ভাত, বিহার-ঝাড়খণ্ডে বাসিয়া ভাত ও তামিলনাড়ুতে কানজি। পান্তা ভাতের সঙ্গে কিন্তু বিলাসিতা বা আভিজাত্য একেবারেই জুড়ে নেই। গুণাগুণ ও উপযোগিতার (Superfood) কারণে যুগ যুগ ধরে পান্তা ভাত জনপ্রিয়। গ্রীষ্মকালে পান্তা ভাতের স্বাদ নিতে পছন্দ করেন প্রত্যেকেই। এর সঙ্গে যদি জুড়ে যায় এক টুকরো পেঁয়াজ ও কয়েকটি কাঁচা লঙ্কা তাহলে তো কথাই নেই। শ্রমজীবী মানুষদের প্রথম পছন্দ অবশ্যই পান্তা ভাত। গ্রীষ্মকালে তাঁরা এই খাবার খেয়েই কাজে বের হন। পান্তাভাত তৈরি করা খুব সহজ। ভাত রান্না করে ঠান্ডা করে তাতে জল মিশিয়ে ৮-১২ ঘণ্টা রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে পান্তা ভাত। সবচেয়ে ভালো হয় মাটির পাত্রে রাখতে পারলে।

    ওড়িশায় প্রভু জগন্নাথদেবকেও উৎসর্গ করা হয় পান্তা
     
    সাধারণভাবে আজকের দিনে মধ্যবিত্তের ফ্রিজে দেখা মেলে জল দেওয়া ভাতের। রাজ্য ভেদে পান্তা ভাত খাওয়ার রীতিও (Superfood) বদলে যায়। ওড়িশার লোকেরা পখাল ভাত (Panta Bhat) খেতে পছন্দ করেন দই, ভাজা শাক, সবজি, মরিচ এবং মাছ ভাজা দিয়ে। অন্যদিকে বাংলাতে সাধারণত মাছ ভাজা, কুমড়োর ফুল ভাজা, পোস্ত বড়া, আলু চোখার সঙ্গে পান্তা ভাত খাওয়া হয়। পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও একই ভাবে পান্তা ভাত খাওয়া হয়। অন্যদিকে, অসমে আলু ভাজা, বেগুন ভাজা, ভাজা মাছের সঙ্গে খাওয়া হয় পৈতা ভাত। ওড়িশাতে পখাল এতটাই জনপ্রিয় যে প্রভু জগন্নাথদেবকে উৎসর্গ করা হয় এই ভাত। প্রতিবছর ২০ মার্চ ওড়িশাতে পখাল দিবসও পালন করা হয়।

    আসুন জেনে নেওয়া যাক পান্তা ভাত সুপারফুড (Superfood) বলা হয়-

    পান্তা ভাতকে (Panta Bhat) এখন বলা হচ্ছে সুপারফুড (Superfood)। কী এমন আছে পান্তাভাতে, যে কারণে এই খাবার সুপারফুড?
     
    ১. পান্তা ভাতে থাকে পর্যাপ্ত আয়রন, যা অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা কমায়।
     
    ২. মাত্র একশগ্রাম পান্তা ভাতে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে যাদেরকে প্রোবায়োটিকস বলে, যাদের কাজ হল শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করা।

    ৩. এতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম থাকে পর্যাপ্ত, যা হার্ট ভালো রাখে।

    ৪. গরম ভাতে যে পরিমাণ ফ্যাট থাকে পান্তাভাতে তা প্রায় ৬ গুণ কমে যায়। স্লিম থাকার জন্যও পান্তা হেল্প করে। 

    ৫. পান্তা ভাতকে বলা হয় ন্যাচেরাল কুলার। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

    ৬. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এখন প্রায় অনেকেই নিদ্রাহীনতায় ভোগেন। পান্তা নিদ্রাহীনতা দূর করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cold and Cough: সন্তানের সর্দি-কাশিতে নাজেহাল? কোন ঘরোয়া উপাদান করবে মুশকিল আসান?

    Cold and Cough: সন্তানের সর্দি-কাশিতে নাজেহাল? কোন ঘরোয়া উপাদান করবে মুশকিল আসান?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুম হাজির হতেই শুরু ভোগান্তি। কখনও ভ্যাপসা গরম, আবার কখনও লাগাতার বৃষ্টি। আবহাওয়ার এই রকমফেরের জেরে নানান অসুখ বাড়ছে। বিশেষ করে ভাইরাস ঘটিত রোগের দাপট বাড়ছে। সর্দি-কাশি, গলাব্যথায় কাবু অধিকাংশ স্কুলপড়ুয়া‌। ঋতু পরিবর্তনের সময় লাগাতার সন্তানের সর্দি-কাশির জেরে নাজেহাল বাবা-মায়েরাও। বিশেষজ্ঞদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, কিছু ঘরোয়া উপাদানের (Domestic Ingredients) ব্যবহারেই হবে মুশকিল আসান। সামান্য কয়েকটি বিষয়ে সচেতনতা আর কিছু নিয়মিত অভ্যাসের বদল কমাবে ভোগান্তি। এবার একনজরে দেখে নিন, কোন ঘরোয়া উপাদান সমস্যা কমাবে?

    মেথি কমাবে শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি (Cold and Cough)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশির ভোগান্তি রুখতে মেথি খুবই সাহায্য করে। শ্বাসনালীতে ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের জেরে সর্দি-কাশি থেকে নিউমোনিয়ার মতো জটিল সমস্যাও তৈরি হয়। পাশপাশি ফুসফুসের কার্যকারিতাও সমস্যায় পড়ে। ফলে হাঁপানির মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে। মেথির মতো মশলা রান্নায় নিয়মিত ব্যবহার করলে শ্বাসনালী ভালো থাকে। সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। তাই বর্ষায় সন্তানকে সুস্থ রাখতে রান্নায় মেথির ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।

    নিয়মিত রান্নায় থাকুক আদা আর রসুন

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আদা আর রসুন-এই দুই উপাদান সর্দি-কাশি (Cold and Cough) মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত যে কোনও একটি তরকারি রান্নার সময় এই দুই উপাদান ব্যবহার করলে সর্দি-কাশি মোকাবিলা সহজ হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, রসুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই রসুন রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হয়। বর্ষার মরশুমে সর্দি-কাশির এই সমস্যা মূলত বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত হয়। তাই দেহে পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকলে, তা প্রতিরোধ সহজ হবে। পাশপাশি, আদা শ্বাসনালীর সংক্রমণ রুখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই বর্ষার আবহাওয়ায় নিয়মিত আদা খেলে গলাব্যথা আর কাশির মতো সমস্যা কমবে।

    এক চামচ মধু-লেবুর সিরাপ কমাবে সর্দির ঝুঁকি (Cold and Cough)

    মধু শরীরের জন্য খুবই উপকারী। মধু যেমন দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে, তেমনি রোগ প্রতিরোধ শক্তিও‌ বাড়ায়। সর্দি-কাশির মতো সমস্যা কমাতে মধু বিশেষ সাহায্য করে। আবার লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। যে কোনও রকম লেবু নিয়মিত খেলে দেহে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি পৌঁছয়। এর জেরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। সর্দি-কাশির ভোগান্তিও কমে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে বাড়িতেই এক ধরনের সিরাপ তৈরি থাক। নিয়মিত লেবুর রস আর মধু (Domestic Ingredients) মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশির ভোগান্তি কম হবে। এতে শরীর সুস্থ থাকবে।

    কোন অভ্যাস ছাড়লে কমবে রোগের ঝুঁকি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষার আবহাওয়ায় তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। কিন্তু অনেকেই এখনও সারারাত এসি চালিয়ে ঘুমোচ্ছেন। বিশেষত শিশুরা এই আবহাওয়ায় কোনও রকম চাদর গায়ে ঢাকা না দিয়ে, সারা রাত এসি ঘরে ঘুমোলে সর্দি-কাশির (Cold and Cough) ঝুঁকি বেড়ে যাবে। এসির ব্যবহারে তাই লাগাম টানতে হবে। ঠান্ডা পানীয় বা আইসক্রিম খাওয়ার ক্ষেত্রেও রাশ টানা জরুরি। খুব ঠান্ডা জাতীয় খাবার খেয়েই আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশন হয়। আর তার থেকেই সর্দি-কাশির ভোগান্তিও বাড়ে। তাই আইসক্রিম বা ঠান্ডা পানীয় খাবারে রাশ জরুরি। ফ্রিজে রাখ ঠান্ডা জল এই আবহাওয়ায় একেবারেই খাওয়া উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Snake Bite: বর্ষার জমা জলে বাড়ছে সাপের উপদ্রব! দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে ওষুধের আকাল

    Snake Bite: বর্ষার জমা জলে বাড়ছে সাপের উপদ্রব! দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে ওষুধের আকাল

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাজ্যের সর্বত্র বর্ষা হাজির। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির দাপটে ভোগান্তি বাড়ছে। একাধিক জেলায় জমা জলে সমস্যা হচ্ছে। আর সেই ভোগান্তিকে আরও প্রাণঘাতী করে তুলছে সাপের উপদ্রব (Snake Bite)। উত্তরের আলিপুরদুয়ার, মালদা থেকে দক্ষিণবঙ্গের নদীয়া, বর্ধমান, দুই চব্বিশ পরগনা, বর্ষায় সাপের উপদ্রবে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।

    কী অভিযোগ উঠছে?

    রাজ্যের একাধিক জেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ষা (Rainy Season) শুরু হতেই জল জমছে। নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা। তাই নর্দমা দিয়ে জল যাচ্ছে না। রাস্তায় জল জমার পাশপাশি ঘরেও জল জমছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন স্কুলের ক্লাসরুমেও জল জমছে‌। আর এর জেরেই বাড়ছে সাপের উপদ্রব। একাধিক সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে ক্লাসরুমের ভিতরে সাপ থাকার জেরে পড়ুয়ারা ক্লাস করতে পারছে না। জমা জলের জেরে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, ডায়ারিয়ার মতো নানান রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তার উপরে সাপের উপদ্রব (Snake Bite)। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। 
    তবে, সাপের উপদ্রবের চেয়েও বড় দুশ্চিন্তা ওষুধের আকাল। সাপে কামড়ের পরে হাসপাতালে গেলেও‌ ওষুধ পাওয়া যায়নি, এমন অভিযোগ উঠছে। রাজ্যের একাধিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অ্যান্টি স্নেক ভেনম (এএসভি) ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। সাপের কামড়ের টিকা না থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। রোগীকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে যাওয়া আরও কঠিন হয়ে উঠছে বলেই জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীদের একাংশ।

    দুশ্চিন্তা কোথায়? (Snake Bite)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যান্টি স্নেক ভেনম একটি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই এই টিকা সমস্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নেই। চিকিৎসক মহলের একাংশের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানানোর পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। বিশেষত সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই টিকা অমিল।‌ কিন্তু কুকুরে কামড়ানোর অ্যান্টি রেবিস টিকা কিংবা সাপে কামড়ানোর অ্যান্টি স্নেক ভেনম-র মতো‌ ওষুধ প্রত্যেকটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, সাপে কামড়ানোর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে এই টিকা দিলে প্রাণনাশের ঝুঁকি কমে‌। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সাপের কামড়ে মৃত্যুঝুঁকি কমাতে পারে একমাত্র অ্যান্টি স্নেক ভেনম। কামড়ের পরে যত দ্রুত এই ওষুধ দেওয়া হবে, তত মৃত্যুর আশঙ্কা কমবে। পাশপাশি কিডনি সহ শরীরের একাধিক অঙ্গ ক্ষতির ঝুঁকিও কমবে। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই রাজ্যে অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, ওষুধের জন্য রোগী ও পরিজনদের বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরতে হচ্ছে‌। এর জেরে অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।

    কী বলছেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা? (Snake Bite)

    স্বাস্থ্য ভবন অবশ্য ওষুধের আকালের অভিযোগ মানতে নারাজ। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, অনেক সময়েই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি থেকে নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধের তালিকা পাঠানো‌ হয় না। কোন ওষুধের প্রয়োজন বেশি, সে সম্পর্কে স্পষ্ট তালিকা না পৌঁছলে, সরাবরাহ করতে দেরি হয়। আবার বর্ষার সময়ে (Rainy Season) রাস্তার অবস্থা স্বাভাবিক থাকে না। তাই অনেক সময়েই প্রত্যন্ত এলাকায় ওষুধ পৌঁছতে সময় লাগে। কিন্তু এক-দুদিনের মধ্যেই সেই সমস্যা মিটে যায়। ওই স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “ওষুধের কোনও আকাল নেই। সব হাসপাতালেই অ্যান্টি স্নেক ভেনম ওষুধ রয়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও প্রয়োজন মতো‌ ওষুধ পৌঁছে যাচ্ছে। দুশ্চিন্তার কারণ নেই।”

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Zika virus: গর্ভবতীদের বিপদ বাড়াচ্ছে জিকা! কতখানি বিপজ্জনক এই ভাইরাস?

    Zika virus: গর্ভবতীদের বিপদ বাড়াচ্ছে জিকা! কতখানি বিপজ্জনক এই ভাইরাস?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মশাবাহিত রোগের দাপটে জেরবার বঙ্গবাসী। বর্ষা শুরু হতেই কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তার মধ্যেই আরেক নতুন ভাইরাসের শক্তি বৃদ্ধি বাড়তি চিন্তা তৈরি করল। এমনটাই জানাচ্ছেন রাজ্যের চিকিৎসক মহল। মহারাষ্ট্র সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দিয়েছে জিকা ভাইরাসের (Zika virus) দাপট। বিশেষত গর্ভবতী মহিলাদের উপরে এই ভাইরাসের বাড়তি প্রকোপ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তাই আগাম সচেতনতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য প্রশাসন? (Zika virus)

    সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি-র তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্য থেকে পাঠানো নমুনায় জিকা ভাইরাসের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাতে না যায়, সে দিকে এখন থেকেই কড়া নজরদারি জরুরি বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মহল। তাই জিকা-র সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেও দ্রুত প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করানো দরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, গর্ভবতী মহিলারা এই সংক্রমণের বেশি শিকার হচ্ছেন। ইতিমধ্যে দেশের একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে জিকা আক্রান্ত হয়ে গর্ভবতী মহিলাদের ভর্তির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আর তাই এই সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ ও বাড়ছে‌।

    জিকা সংক্রমণ কী?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জিকা (Zika virus) একটি মশাবাহিত রোগ। মূলত, এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে যায়। মার্তৃগর্ভে থাকা শিশুও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এর জেরে প্রাণনাশের মতো ঘটনাও ঘটে।

    জিকা ভাইরাসের উপসর্গ কী? (Zika virus)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। রোগীর মারাত্মক মাথার যন্ত্রণা হয়। পেশিতেও ব্যথা হয়। দেহের বিভিন্ন জায়গায় ফুসকুড়ি হয়। পাশপাশি কনজাংটিভাইটিসের মতোই চোখ লালচে হয়ে যায়। চোখের ভিতরে এক ধরনের ব্যথা অনুভব হয়। তাই এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, তা নিশ্চিত করা যায়। আর দ্রুত রোগ নির্ণয় হলে তা নিরাময় সহজ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Ayurvedic Superfoods: আধুনিক জীবনেও প্রাসঙ্গিক আয়ুর্বেদ! পেশির জোর বাড়ায় প্রকৃতির যে যে উপাদান

    Ayurvedic Superfoods: আধুনিক জীবনেও প্রাসঙ্গিক আয়ুর্বেদ! পেশির জোর বাড়ায় প্রকৃতির যে যে উপাদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রাশ ডায়েট ছেড়ে পুষ্টিকর খাবার (Superfoods) খেয়ে সুস্থ থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন নিউট্রিশনিস্টরা। আদর্শ ডায়েটে প্রোটিন, ফল, শাক-সবজি, বাদাম রাখার কথা বলেন তাঁরা। আয়ুর্বেদ অনুসারে এমন অনেক সুপারফুড রয়েছে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। আয়ুর্বেদে বেশ কয়েকটি খাবারকে প্রতিদিনের তালিকায় রাখার কথা বলা হয়েছে। এই খাবারগুলি পেশি শক্ত করে। 

    আয়ুর্বেদের গুরুত্ব

    আয়ুর্বেদাচার্যেরা প্রকৃতির বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শরীর সুস্থ রাখার নানা উপায় বাতলে দিয়েছেন। ভারতীয় সমাজে প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে আয়ুর্বেদের ব্যবহার। প্রাচীন ভারতের এই চিকিৎসা ব্যবস্থায় বেশ কিছু খাবারকে অমৃত হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমান সময়ে, অধিকাংশ মানুষ জীবনধারা এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভুগছেন। উপরন্তু, অতিরিক্ত মানসিক চাপ স্বাস্থ্যের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে, কার্যকরী হতে পারে আয়ুর্বেদ। প্রাচীনকাল থেকে ভারতে, মানুষের স্বাস্থ্যের সেবায় নিজের গুরুত্ব প্রমাণ করেছে আয়ুর্বেদ। যা এই আধুনিক জীবনেও প্রাসঙ্গিক। 

    হলুদের উপকার

    হলুদ আয়ুর্বেদে ‘গোল্ডেন স্পাইস’ হিসাবে বিবেচিত হয়। প্রদাহরোধী ক্ষমতা এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের গুণ রয়েছে হলুদে। আয়ুর্বেদে প্রাচীন কাল থেকে তা গুরুত্ব পেয়ে এসেছে।  হলুদের প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য আয়ুর্বেদে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং অস্টিওআর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এটি পেশী শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষের ক্ষতিকারী ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ধ্বংস করতে কাজ করে। হলুদে থাকা কারকিউমিনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে খাদ্যনালীকে বাঁচায়। কাঁচা হলুদে থাকা কারকিউমিন হাড়ের ক্ষয় ও হাড়ের গঠনের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখে ও হাড়কে সুস্থ ও মজবুত রাখে।

    অশ্বগন্ধার উপকার

    অশ্বগন্ধা আয়ুর্বেদের গুরুত্ব রয়েছে অপার৷ মানসিক চাপের উপসর্গ ও দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে অশ্বগন্ধা। ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি ঘটায়, সাপের বিষনাশক হিসাবে, ত্বকের পক্ষে বেশ উপকারী এছাড়াও সুফল রয়েছে একগুচ্ছ ৷ অশ্বগন্ধার টেস্টোস্টেরন মাসল শক্ত করে। 

    ঘি-এর উপকার

    ঘিতে এ, ডি, ই, কে প্রভৃতি ভিটামিন থাকে যা স্নেহ পদর্থে দ্রবীভূত হয়। এই ভিটামিনগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত উপযোগী। পাশাপাশি ঘি শরীরের বিভিন্ন খনিজ পদার্থ শোষণের ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। বিশুদ্ধ দেশি ঘি জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, ফলে দূরে থাকে সাধারণ সর্দি কাশির সমস্যা। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, খাঁটি ঘিয়ের অনেক উপকারিতা। সকালে খালি পেটে ঘি খেলে হজম শক্তি ভাল হয়। সারা বছর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও ঘি দারুণ উপকারী। বয়স বাড়লে অনেকেই গাঁটের ব্যথায় কষ্ট পান। সেই ব্যথা কমাতেও ঘিয়ের উপর ভরসা রাখতেই পারেন।  ঘি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। এই ফ্যাটি অ্যাসিড ওজন ঝরাতে কার্যকর, ফলে মাসল হয়ে ওঠে চনমনে।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভারতবাসীর হিতে সময় নষ্ট না করে আপনি সিদ্ধান্ত নেন’’, মোদির প্রশংসায় পুতিন

    সজনে পাতার গুরুত্ব

    শরীর চাঙ্গা রাখতে সারা বছরই সজনে চাইলে খেতে পারেন। না, ফুল বা ডাঁটা নয়, বাজারে সজনে গুঁড়ো পাওয়া যায়। সেই গুঁড়ো দিয়ে চা বানিয়ে রোজ সকালে খেতে পারেন। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর সেই চা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে রোগবালাইয়ের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। নানা ধরনের পুষ্টিগুণেও ভরপুর সজনে পাতা। এতে ভিটামিন এ, বি ১, বি২, বি৩ এবং সি রয়েছে। আছে ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়ামও।

    আমন্ডে রয়েছে হাজার গুণ

    আমন্ডে রয়েছে অনেক ধরনের ভিটামিন, খনিজ, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ফাইবার পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি বাদামে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসও থাকে, যা শরীরে পুষ্টি জোগায়। শরীর সুস্থ রাখতে কাঠবাদাম একাধিক ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমাণ তন্তু, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ থাকে। কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা অকাল বার্ধক্য, প্রদাহ এবং ক্যানসারের মতো একাধিক রোগ থেকে রক্ষা করে।

    ত্রিফলার যাদু

    আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে রোগ-ব্যধিকে ঠেকিয়ে রাখতে ত্রিফলার জুড়ি মেলা ভার। আমলকি, হরিতকি এবং বহেরা— এই তিন ফল শুকিয়ে তাদের চূর্ণ একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হয় ত্রিফলার মিশ্রণ। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর আমলকি শরীরে জমে থাকা টক্সিন পদার্থ বার করে দেয়। হরিতকিতেও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। পেশির জোর বাড়তে আর হাড় মজবুত করতে বহেরা বেশ উপকারী।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Brain Eating Amoeba: শিশুদের পুকুরের জলে স্নান করানো নিয়ে কেন সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Brain Eating Amoeba: শিশুদের পুকুরের জলে স্নান করানো নিয়ে কেন সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংক্রমণের ভ্রুকুটি। মস্তিষ্কের সংক্রমণে (Brain Eating Amoeba) ফের শিশুমৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেরলে একের পর এক শিশুমৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে, বিপদ বাড়বে।

    কেন উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য মন্ত্রক?

    কেরলে তিন শিশুর রহস্যজনকভাবে মস্তিষ্কের সংক্রমণ থেকে মৃত্যু হয়েছে। পাঁচ বছর বয়সি একটি মেয়ে এবং ১৩ বছর বয়সি আরেক কিশোরীর মৃত্যুর পরে, সম্প্রতি ১৪ বছর বয়সি আরেক কিশোর মারা যায়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ (Brain Eating Amoeba) থেকেই এই মৃত্যু হচ্ছে। সংক্রমণের জেরে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তার জেরে শরীরের নানান অঙ্গের জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি ওই ১৪ বছরের কিশোর এই উপসর্গ নিয়েই কেরলের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতিও হয়েছিল। কিন্তু তারপরে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। আর তার জেরেই ছেলেটি মারা যায়। এর আগে আরও দুই শিশু এক ভাবে মারা যায়। আর তার জন্যই উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? (Brain Eating Amoeba)

    স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক রাজ্যে এই নিয়ে সতর্কতা জারি করা জরুরি। শিশুরা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তাই মন্ত্রকের তরফ থেকে শিশুস্বাস্থ্যের দিকেও বাড়তি নজরদারি দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের এই সংক্রমণ এক ধরনের অ্যামিবা থেকে হচ্ছে। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, পুকুরের জল থেকেই এই সংক্রমণ হচ্ছে। পুকুর থেকেই ওই ব্যাকটেরিয়া নাকের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করছে। আর তার জেরেই বিপদ বাড়ছে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমছে। আর হঠাৎ করেই প্রাণহানির মতো বিপদও ঘটছে। 
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, শিশুদের বিশেষত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের, আপাতত পুকুরের জলে (Pond Water) স্নান না করানোই ভালো। কারণ, এদের কতখানি সংক্রামক ক্ষমতা রয়েছে, সে বিষয়েও এখনও নিশ্চিত কিছু বোঝা যাচ্ছে না। তাই কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া জরুরি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 

    ডুব সাঁতারে সতর্কতা

    ১০ বছরের উর্ধ্বে শিশুদের পুকুরে (Pond Water) স্নানের ক্ষেত্রে ডুব দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বহু কিশোর-কিশোরী খুব ভালো সাঁতার কাটতে পারে। তারা স্নানের সময় দীর্ঘক্ষণ পুকুরের ভিতরে ডুবসাঁতার দেয়। এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া (Brain Eating Amoeba) সহজেই নাকের মাধ্যমে তখন মস্তিষ্কে পৌঁছতে পারে। আর তার থেকেই বড় বিপদ ঘটতে পারে। তাই আপাতত এই ধরনের কাজ থেকে আপাতত বন্ধ রাখা উচিত। সুইমিং পুলে নামার ক্ষেত্রে শিশুদের জন্য সতর্কতা জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Inspiring Story: দুর্ঘটনার জেরে পঙ্গুপ্রায়, দশ শতাংশ ছিল বাঁচার সম্ভাবনা, এখন ডাক্তার হয়ে অন্যকে বাঁচান

    Inspiring Story: দুর্ঘটনার জেরে পঙ্গুপ্রায়, দশ শতাংশ ছিল বাঁচার সম্ভাবনা, এখন ডাক্তার হয়ে অন্যকে বাঁচান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আহমেদাবাদে ২৭ বছর বয়সি হাড়ের ডাক্তার সাক্ষী মাহেশ্বরী, আজ এক প্রেরণার (Inspiring Story) নাম। যাঁরা প্রতি মুহূর্তে সংঘর্ষ করছেন তাঁদের রোল মডেল হতে পারেন সাক্ষী। দুর্ঘটনায় পঙ্গুপ্রায় হয়েছিলেন, কুড়ি বার অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর শরীরে, একটা সময় নিজেও আশা হারিয়ে ফেলছিলেন তিনি। তবে মনের জোর অটুট রেখে শেষমেষ হাড়ের ডাক্তারই হয়ে উঠলেন সাক্ষী!

    সাত বছর আগের দুর্ঘটনা

    সাত বছর আগে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন (Inspiring Story) সাক্ষী, তখন তিনি এমবিবিএসের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। আর পাঁচটা দিনের মতো দুর্ঘটনার দিনও আহমেদাবাদে নিজেদের বাড়িতে বসে দৈনিক কাজকর্ম সারছিলেন সাক্ষীর বাবা দীনেশ এবং মা স্নেহা। মেয়ের দুর্ঘটনার কথা জানিয়ে হঠাৎই ফোন আসে তাঁদের কাছে। তড়িঘড়ি ফোন পেয়ে তাঁরা ছুটে যান কর্নাটকে। সেখানেই হয়েছিল দুর্ঘটনা। মেয়েকে দেখে হতবাক হয়ে যান তাঁরা। দুর্ঘটনায় বুকে, মাথায়, হাতে, পায়ে গুরুতর চোট। সাক্ষী (Sakshi Maheshwari) ২০ দিন ছিলেন আইসিইউতে। পর পর অস্ত্রোপচার হয়েছিল শরীরের বিভিন্ন অংশে। সেই সংখ্যাটা প্রায় ২০। এর পাশাপাশি অস্ত্রোপচারের পর ছ’মাস ধরে চলেছিল চিকিৎসা। সাক্ষীর পরিবার জানিয়েছে, দু’বছর ধরে টানা ফিজিয়োথেরাপি করানো হয়েছিল। সাক্ষীর পরিবার এখনও ভুলতে পারেননি দিনগুলি।

    হাসপাতাল ফেরত সাক্ষীর লড়াই (Inspiring Story)

    সাক্ষী (Sakshi Maheshwari) জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই শুরু হয়েছিল আসল লড়াই। তিনি জানিয়েছেন, নিজে ডাক্তারির ছাত্রী হয়েও শরীরের চোট-আঘাতের দিকে তাকাতে পারতেন না। দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নিতে বসেছিল তাঁর। চিকিৎসকেরাও জানিয়েছিলেন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ। শুধু নিজের জেদকে সম্বল করে ২৭ বছরের সাক্ষী আজ হাড়ের ডাক্তার হয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড় পাওয়ার পর অর্ধেক যুদ্ধ জিতে যান সাক্ষী। তবে বাকি যুদ্ধ এখনও তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল। সাক্ষী মাহেশ্বরীর নিজের ভাষায়, ‘‘আমি তখন ছিলাম একজন ডাক্তারি পড়ুয়া। যে গুরুতর আঘাত আমি পেয়েছিলাম তা দীর্ঘ সমস্যার সৃষ্টি করবে এটা জানতাম। এর পাশাপাশি আমি জানতাম যে ভবিষ্যতে চলার পথটাও খুব কঠিন হতে চলেছে।’’ বর্তমানে হাসপাতালে যখন দুর্ঘটনায় আক্রান্ত রোগীরা আসেন, তখন সাক্ষী তাঁদের মধ্যে নিজের অতীতকে খুঁজে পান, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে,  সব সময় মাথার মধ্যে ঘুরত একটাই প্রশ্ন, ‘‘কোনও দিন কি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব?’’ প্রতি বারই প্রশ্নের জবাব দিতেন নিজেই। নিজেকে বলতেন, ‘‘আমাকে পারতেই হবে (Inspiring Story)।’’ পাশে ছিলেন মা, বাবা, দাদু, দিদা।

    বাবা আমাকে দৈনন্দিন কাজে ছোট ছোট লক্ষ্য বেঁধে দিতেন

    সাক্ষী (Sakshi Maheshwari) বলেন, ‘‘কঠিন দিনগুলিতে সবার কাছ থেকেই সাহায্য পেয়েছি। বাবা আমাকে দৈনন্দিন কাজে ছোট ছোট লক্ষ্য বেঁধে দিতেন। আমি সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা করতাম।’’ বেশ কয়েকদিন শয্যাশায়ী থাকার পরে সাক্ষী ওয়াকারে করে হাঁটাচলা শুরু করেন। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, প্রথমে তাঁর হাঁটতে খুবই অসুবিধা হত। তিনি কেবলমাত্র ঘর থেকে বের হতে পারতেন, আবার বিছানায় চলে আসতেন প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। কিন্তু এমন সময়ে তাঁর বাবা ছোট ছোট লক্ষ্য বেঁধে দিতে থাকেন। লক্ষ্যপূরণের জন্য প্রতিদিন পাঁচটি করে বেশি পা ফেলতে থাকেন সাক্ষী ঘরে ঢোকার আগে। এভাবেই সেরে উঠছিলেন তিনি। পিতার কাছ থেকে পাওয়া এমন প্রেরণা তাঁকে সুস্থ হতে সাহায্য করেছে বলে মনে করেন (Inspiring Story) সাক্ষী।

    সাক্ষীর মা কী বলছেন?

    সাক্ষীর মা স্নেহা বলেন, ‘‘ওকে অত কষ্টের মধ্যে দেখে আমরাও ভেঙে পড়তাম প্রায়ই। প্রত্যেকটা দিনই ওর কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ ছিল।’’ এই অবস্থায় সাক্ষী জেদ ধরেন, ডাক্তারি পড়া তিনি চালিয়ে যাবেন যেকোনও মূল্যে। আত্মীয়-স্বজন, অধ্যাপক, সহপাঠী, বন্ধুরা বুঝিয়েছিলেন অনেক। তাঁদের মনে হয়েছিল, সাক্ষীর শরীরে যা অবস্থা, তাতে তিনি পড়ার চাপ সামলাতে পারবেন না। কিন্তু সাক্ষী ছিলেন নাছোড়বান্দা।

    স্নাতকোত্তরে ভর্তির দিন বোন কেটেছিলেন কেক

    দুর্ঘটনার পরেই সাক্ষী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, ডাক্তারি পড়া চালিয়ে যাবেন এবং স্নাতকোত্তরে অর্থোপেডিক নিয়েই পড়াশোনা করবেন। যে দিন আহমেদাবাদের বিজে হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিভাগে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন সাক্ষী, সে দিন তাঁর বোন ইশা কেক কেটেছিলেন। ইশা বলেন, ‘‘আমি মনে করতে পারি সেই দিনটির কথা যেদিন আমার দিদি আহমেদাবাদের ডিজে মেডিকেল কলেজে অর্থপেডিক ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়। সেদিন আমরা বাড়িতে উৎসব শুরু করি এবং কেক কাটি।’’

    সাক্ষীকে স্যালুট ছোট বোনের

    ইশা মাহেশ্বরী আরও বলেন, ‘‘দিদি আমার আদর্শ। খুব কম বোনেরই এমন সুযোগ থাকে নিজের দিদিকে বেড়ে উঠতে দেখার। আমি তাঁকে স্যালুট জানাই। তাঁর ইচ্ছা শক্তিকে স্যালুট জানাই। আমার জীবনের প্রধান চরিত্রই সাক্ষী।’’ ইশা আরও জানিয়েছেন, যে দিন সাক্ষী দুর্ঘটনার পর প্রথম বার নিজের দাঁত মাজতে পেরেছিলেন, পরিবারের সকলে নাচ-গান, হুল্লোড় করেছিলেন। সাক্ষী জানিয়েছেন, সে দিন সেই দুর্ঘটনা না হলে হয়ত রোগীদের প্রতি এতটা সমব্যথী হতে পারতেন না তিনি। তাঁদের কষ্টটা বুঝতে পারতেন না।

    যাঁরা সংঘর্ষ করছেন তাঁদের উদ্দেশ্যে সাক্ষীর বার্তা

    সাক্ষীর এমন গল্প অনেকের কাছেই প্রেরণা হতে পারে। যাঁরা সংঘর্ষ করছেন তাঁদের উদ্দেশে সাক্ষীর বার্তা, ‘‘কখনও আশা ছাড়বেন না। যা কিছু সংস্থান আছে সব ব্যবহার করতে থাকুন। সাফল্য মিলবেই।’’ সাক্ষী এও জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পরে শয্যাশায়ী অবস্থায় তিনি হাত নাড়াতে পারতেন না। তাই বর্তমানে যখন তিনি কোনও সমস্যায় পড়েন তখন নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে থাকেন এবং সেগুলোর প্রশংসা করেন। ভাবেন কীভাবে তাঁর হাত স্বপ্ন পূরণ করতে সাহায্য করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Conjunctivitis: বর্ষাকালে চোখে সংক্রমণ! জানুন কনজাঙ্কটিভাইটিস প্রতিরোধে ঘরোয়া পদ্ধতি

    Conjunctivitis: বর্ষাকালে চোখে সংক্রমণ! জানুন কনজাঙ্কটিভাইটিস প্রতিরোধে ঘরোয়া পদ্ধতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষাকালে চোখে সংক্রমণের সমস্যা কয়েকগুণে বেড়ে যায়। এই সময় কনজাঙ্কটিভাইটিসের (Conjunctivitis) সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। প্রথমে একটি চোখে কনজাঙ্কটিভাইটিস (Pink Eyes) হয়, তারপর দ্বিতীয় চোখেও সেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এক সঙ্গে দুটি চোখই সংক্রমিত হয়ে পড়ে। এই সমস্যা বাড়লে জ্বরও হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, বর্ষাকালে আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে এই সংক্রমণ হয়।

    কেন হয় কনজাঙ্কটিভাইটিস (Conjunctivitis) 

    ধুলো, ধুঁয়ো, ফুলের পরাগ রেণু, কার্বনের কণা অথবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে কসমেটিকসের কারণে অ্যালার্জিক কনজাঙ্কটিভাইটিস হয়ে থাকে। অনেক সময় বর্ষাকালে স্টেফায়লোকোকস, নিউমোকোকাস, হিমোকোকাস ইনফ্লুয়েঞ্জার ইত্যাদি জীবাণুর কারণে এই সংক্রমণ হয়ে থাকে, একে ব্যাক্টিরিয়াল কনজাঙ্কটিভাইটিস (Conjunctivitis) বলা হয়। বর্ষার জলে ছড়িয়ে থাকা এডিনোভাইরাসের কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। ভাইরাল কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে কানের গোড়া ফুলে যেতে পারে। কর্নিয়ায় সূক্ষ্ম ক্ষত দেখা যায়। যার ফলে রোগী চোখে কম দেখতে পায় এবং চোখ লাল হয়ে যায়। সঠিক সময় চিকিৎসা না-করলে ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি চিরকালের জন্য অস্পষ্ট হয়ে যেতে পারে।

    কনজাঙ্কটিভাইটিসের লক্ষণ (Conjunctivitis) 

    চোখ লাল হয়ে যাওয়া। চোখ থেকে জল পড়া।
    সকালে উঠলে চোখের পাতা পরস্পরের সঙ্গে আটকে থাকা বা চোখ খুলতে সমস্যা হওয়া।
    চোখ চুলকানো, জ্বালা ও অবসাদ।

    আরও পড়ুন: আজ রাশিয়া যাচ্ছেন মোদি, ‘‘ওরা হিংসায় জ্বলছে’’, পশ্চিমকে কটাক্ষ ক্রেমলিনের

    কীভাবে সারাবেন সংক্রমণ

    এই রোগ অত্যন্ত ছোঁয়াচে। সুস্থ হতেও বেশ অনেকটা সময় লেগে যায়। কনজাঙ্কটিভাইটিস (Conjunctivitis) হলে চোখে ঘন ঘন হাত দেওয়া ঠিক নয়। ওষুধ কিংবা ড্রপ দেওয়ার পর হাত ধুয়ে নিতে ভুলবেন না। ওই হাত অন্য কোথাও স্পর্শ করলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। রোগীর জামাকাপড়, তোয়ালে, চশমা, বালিশ, বিছানার চাদর অন্য কেউ ব্যবহার না করাই ভালো। এগুলির মাধ্যমে অন্য কারও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। সময়ে বেশি টিভি, ফোন না দেখাই ভালো। টিভি, ফোনের আলোয় চোখে অস্বস্তি বাড়তে পারে। কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে যতক্ষণ চোখ বন্ধ করে থাকা যায়, ততই ভালো।

    প্রতিরোধের উপায়

    কনজাঙ্কটিভাইটিস বা গোলাপী চোখ (Pink Eyes) হওয়ার আগেই সাবধান হোন। আপনার দৃষ্টিশক্তি ও চোখ ভালো রাখতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চলুন। 

    প্রাণায়ম: প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে প্রাণায়ম করলে আপনার দৃষ্টি শক্তি বাড়বে। অনুলোম-বিলোম ও ভ্রামরি দিনে অন্তত ৭বার করুন। 

    মহা ত্রিফলা ঘৃত: দিনে ২বার খাওয়ার পর এক চা-চামচ মহা ত্রিফলা-ঘৃত দুধে  মিশিয়ে খেয়ে নিন। চোখ ভালো থাকবে। এছাড়াও আমলকীর রস, গোলাপ জল ও ত্রিফলার জল চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share