Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • World Chocolate Day 2024: ৭ জুলাই ‘বিশ্ব চকলেট দিবস’, জানুন দিনটির তাৎপর্য ও ইতিহাস

    World Chocolate Day 2024: ৭ জুলাই ‘বিশ্ব চকলেট দিবস’, জানুন দিনটির তাৎপর্য ও ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭ জুলাই ‘বিশ্ব চকলেট দিবস’ (World Chocolate Day 2024)। মিষ্টিপ্রেমীদের কাছে বছরের সব দিনই চকলেট ডে। তবু আজকের দিনটি আপনি প্রিয়জনকে চকলেট (Chocolate) উপহার দিতেই পারেন। হরেক রকমের চকলেট এখন বাজারে পাওয়া যায়। প্রেমিকাকে চকলেট দেওয়ার দিন অবশ্য আর একটা রয়েছে সেটা ভ্যালেন্টাইনস ডে-এর ৫ দিন আগে ৯ ফেব্রুয়ারি, চকলেট ডে। তবে সারা বছরই চকলেট প্রেমীরা মনের সুখে স্বাদ নিতে থাকেন চকলেটের।

    চকলেটের (World Chocolate Day 2024) জন্য এমন বিশেষ দিন কীভাবে এল?

    চকলেটের (World Chocolate Day 2024) জন্য এমন বিশেষ দিন কীভাবে এল? চকলেট এত জনপ্রিয়তা কীভাবে পেল? এ নিয়ে নানা মহলের নানা মত রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চকলেট প্রথম আসে ইউরোপেই। আজ থেকে প্রায় ৪৭৫ বছর আগে, ১৫৫০ সাল নাগাদ। চকলেট আসার সেই দিনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যই ২০০৯ সাল থেকেই মহাসমারোহে শুরু হয়  ‘বিশ্ব চকলেট দিবস’ পালন। তবে ইউরোপে চকলেট সাড়ে চারশো বছর আগে এলেও, এর ইতিহাস অন্তত ২ হাজার বছরের পুরনো। মানে আজ থেকে ২ হাজার বছর আগেও চকলেট (Chocolate) মিলত এই পৃথিবীতে। এমনটাই মত রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

    চকলেট বিলাসিতা আর ক্ষমতার প্রতীক হয়ে উঠেছিল

    মিষ্টিজাতীয় খাবার হিসেবে চকলেট (World Chocolate Day 2024) পরিচিতি পায় স্প্যানিশদের হাত ধরে। তারপর তাদের হাত ধরেই তা ইউরোপে যায়। সে সময় থেকে চকলেট হয়ে ওঠে অভিজাত পরিবারের খাবার। চকলেট বিলাসিতা আর ক্ষমতার প্রতীক হয়ে উঠেছিল। তারপর ধীরে ধীরে চকলেট ইউরোপের অন্য দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। আর তখন থেকেই বাণিজ্যিকভাবে চকলেট চাষ করা শুরু হয়। কোকোবীজ চাষের জন্য ইউরোপিয়ানরা আফ্রিকায় উপনিবেশ গড়ে তোলে। জানা যায়, ১৮২০ সাল নাগাদ কোকো প্রেসের মেশিন দিয়ে কোকোবীজের পাউডার উৎপাদন করা শুরু হয়। আর তখন থেকেই চকলেট সবার জন্য সহজলভ্য হয়ে ওঠে। ১৮৪৮ সাল থেকে শক্ত চকলেট বাজারে বিক্রি করা হয়। অভিজাতদের কাছ থেকে চকলেট সহজলভ্য হয় সাধারণ মানুষের কাছেও। আর তার পর থেকে চকলেট (World Chocolate Day 2024) নতুন নতুন রূপে,নানান স্বাদে আকৃষ্ট করে চলেছে সবাইকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hepatitis: বর্ষার শুরুতেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হেপাটাইটিস! কেন উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল?

    Hepatitis: বর্ষার শুরুতেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হেপাটাইটিস! কেন উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু উদ্বেগ বাড়ছে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। উত্তর থেকে দক্ষিণ, গোটা রাজ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। আর এর মধ্যেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হেপাটাইটিস। রাজ্যে বাড়ছে জন্ডিস আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষত স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে এই রোগের (Hepatitis) সংক্রমণ বাড়ছে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, আগাম সতর্কতা জরুরি। না হলে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

    কেন বর্ষার মরশুমে বাড়ছে হেপাটাইটিস? (Hepatitis)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের সর্বত্র জল জমছে। বৃষ্টির জল জমে অধিকাংশ নিকাশি ব্যবস্থা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেক জায়গায় পানীয় জলের পাইপেও ফাটল ধরছে। আর এর জেরেই বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। অপরিচ্ছন্ন জল থেকেই জন্ডিস বা হেপাটাইটিসের মতো গুরুতর রোগ হচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই জল নিকাশ ঠিকমতো হচ্ছে না। আবার, খাওয়ার জলের পরিচ্ছন্নতাও বজায় রাখা যাচ্ছে না। ফলে লিভারের জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ছে‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক স্কুলে খাবার জল পরিশ্রুত থাকছে না। তাই স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে খাবার জল থেকেই মূলত জন্ডিসের (Jaundice) মতো রোগের সংক্রমণ হচ্ছে।

    কীভাবে রোগ নির্ণয় হবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রথম পর্যায়েই রোগ নির্ণয় হলে বড় বিপদ এড়ানো যায়। কিন্তু হেপাটাইটিসের (Hepatitis) চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়ে গেলে, তা প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই রোগের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, জন্ডিস হলে পেটে এক ধরনের ব্যথা অনুভব হয়। বমি হয়। আবার চোখ, হাত ও পায়ের তলার চামড়ায় হলদে ভাব দেখা যায়। অনেকের জ্বর হয়। পাশপাশি, পায়খানার রং আলকাতরার মতো কালো হয়‌। শরীর অস্বাভাবিক দুর্বল হয়ে পড়ে‌। খাওয়ার ইচ্ছে একেবারেই থাকে না। রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর তার জেরেই লিভারে এই জটিল সমস্যা তৈরি হয়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Hepatitis)

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় জলের দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিশ্রুত জল খেলে, বর্ষার একাধিক রোগের মোকাবিলা সহজ হয়। ভাইরাস ঘটিত রোগ হোক কিংবা হেপাটাইটিসের মতো জটিল অসুখ, যে কোনও সমস্যার উৎস, অধিকাংশ সময়েই দেখা যায় জল। তাই বর্ষায় জল খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। পরিশ্রুত জল খাওয়া হচ্ছে কিনা, তার নজরদারি জরুরি। তাছাড়া, বাইরের রঙিন পানীয় একেবারেই খাওয়া উচিত নয় বলে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ওই রঙিন পানীয় থেকে নানান জলবাহিত রোগ (Hepatitis) হয়।

    তাছাড়া, খাবারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। হালকা, সহজপাচ্য খাবার খেলে লিভার ভালো থাকে। তবে, জন্ডিস হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরল, তেলবিহীন, সহজপাচ্য খাবার হেপাটাইটিস আক্রান্তকে দিতে হবে। যাতে সহজেই হজম হয়, কিন্তু শরীরে রোগ (Jaundice) প্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে। দুর্বলতা সহজেই কাটে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Artificial sweeteners: ডায়াবেটিস রোগীদের চিনির সঙ্গে বাদ থাকুক ‘কৃত্রিম চিনি’ও! কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?

    Artificial sweeteners: ডায়াবেটিস রোগীদের চিনির সঙ্গে বাদ থাকুক ‘কৃত্রিম চিনি’ও! কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। পাশপাশি বিপত্তি বাড়াচ্ছে ওজন। তরুণ প্রজন্মের একাংশ, এই দুই শারীরিক সমস্যার জেরে নাজেহাল। তাই সহজ পথে অনেকেই হাঁটতে চাইছেন। নিত্যদিনের খাবারের তালিকা থেকেই সহজেই বাদ পড়ছে চিনি। কিন্তু অনেকেই আবার মিষ্টিবিহীন খাদ্যতালিকার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। তাই চিনি বাদ দিলেও, তার জায়গায় আসছে কৃত্রিম চিনি। অনেকেই মনে করছেন, চিনির থেকে ঢের ভালো এই ‘কৃত্রিম চিনি’ (Artificial sweeteners)। নিশ্চিন্তে চা-কফি কিংবা সরবতে দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, একেবারেই নিশ্চিন্ত থাকা যাবে না। এই অভ্যাস (Sugar Substitutes) অজান্তেই শরীরের বিপদ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

    কেন উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা? (Artificial sweeteners)

    সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কৃত্রিম চিনির একেবারেই পুষ্টিগুণ নেই। বরং এই চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। সংস্থার নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সেফটি-র তরফে জানানো হয়েছে, কৃত্রিম চিনি বা আর্টিফিশিয়াল সুইটনার রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে কোনও ভূমিকা পালন করে না। এমনকী ওজন নিয়ন্ত্রণে ও কোনো উপকার দেয় না। বরং, এই কৃত্রিম চিনির কিছু রাসায়নিক উপাদান শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, অ্যাসপার্টেম, সুক্রোজ, স্টিভিয়া, স্যাকারিনের মতো উপাদান কৃত্রিম চিনিতে অতিরিক্ত পরিমাণ থাকে। এগুলো শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।

    কী ক্ষতি করছে কৃত্রিম চিনি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যাসপার্টেমের মতো রাসায়নিক কৃত্রিম চিনিতে থাকে। চিনির থেকেও বেশি পরিমাণ থাকে। আর এই রাসায়নিক শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই উপাদান ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কৃত্রিম চিনিতে (Artificial sweeteners) নানান রাসায়নিক থাকে, যেগুলো প্রসেসড খাবারে থাকে। এর জেরে দেহে অতিরিক্ত মেদ জমার ঝুঁকিও তৈরি হয়। অর্থাৎ, ওজন তো কমেই না, বরং কৃত্রিম চিনি অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কৃত্রিম চিনি সহজলভ্য করতে অনেক সময়েই সিলিকা সহ একাধিক রাসায়নিক এর সঙ্গে মেশানো হয়। এই সব রাসায়নিক লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। 
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন যাঁরা নিয়মিত কৃত্রিম চিনি খান, তাঁদের স্নায়ুর রোগের ঝুঁকি বাড়ে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কৃত্রিম চিনি খেলে মাথার যন্ত্রণা, হাত-পায়ে খিঁচুনি সহ নানান রোগের প্রকোপ বাড়ে। এমনকী দেহে হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট হয়। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে হৃদরোগের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ এই কৃত্রিম চিনি। নিয়মিত কৃত্রিম চিনি খেলে, তা হৃদপিণ্ডের জন্য একেবারেই ভালো না। খুবই ক্ষতিকারক। এতে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা কমে‌। 
    সাধারণ চিনির তুলনায় এই কৃত্রিম চিনির মিষ্টত্ব প্রায় তিনশো গুণ বেশি। তাই পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, এই কৃত্রিম চিনি একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। সুস্থ ভাবে বাঁচতে হলে এড়িয়ে চলতে হবে চিনি। তা যে কোনও ধরনের চিনিই হোক না কেন (Sugar Substitutes)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Quit Tobacco: ‘তামাক বর্জন করুন…’, আহ্বান জানিয়ে প্রথম গাইডলাইন আনল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    Quit Tobacco: ‘তামাক বর্জন করুন…’, আহ্বান জানিয়ে প্রথম গাইডলাইন আনল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামাক সেবন (Quit Tobacco) বন্ধ করতে সম্প্রতি একটি কর্মসূচি নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। হু-এর কথায় তামাক হচ্ছে ভবিষ্যতের অগ্রগতির পথে বাধা (Tobacco–a threat to Development)। তামাক সেবনের জেরে যাতে আগামী প্রজন্ম আক্রান্ত না হয়, তার দিকে সদা নজর রাখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-এর প্রতিনিধিরা দেখেছেন, অনেকে তামক বর্জনের চেষ্টা করেও ফল পাচ্ছেন না। তাই হু-এর তরফে এবার তামাক বর্জনের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হল।

    ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান 

    পরিসংখ্যান বলছে, একটি সিগারেট ১১ মিনিট করে জীবন কমিয়ে দেয়। একটি পুরো প্যাকেট সিগারেট শেষ করে দেয় জীবনের অমূল্য ৪০টা মিনিট। আমাদের দেশে প্রতি ঘণ্টায় তামাক সেবনের জেরে মৃত্যু হয় ১৩৭ জনের। আর বিশ্বে প্রতি ৬ সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু হয়। ধূমপায়ীদের আয়ু, যাঁরা ধূমপান করে না, তাদের চেয়ে গড়ে ২২ থেকে ২৬ শতাংশ কম হয়। হু (WHO)-র সার্ভে বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে তামাক সেবনকারী মানুষের সংখ্যা হবে ২২০ কোটি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ হলো, ধূমপান ছেড়ে দিন। কারণ সুস্থ থাকতে চাইলে ধূমপান বর্জন করা জরুরি। অনেকেই ধূমপান ছাড়তে চেয়েও পারেন না। কারণ তাদের এই অভ্যাস ত্যাগের প্রক্রিয়া অনেক সময় সঠিক থাকে না। ধূমপানের মতো অভ্যাস (Quit Tobacco) চাইলেই একদিনে ছাড়া সম্ভব হয় না। কিছুটা সময় নিতে হয়।

    আরও পড়ুন: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে কড়া বার্তা ভারতের, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী চিন

    তামাক বর্জনে নানা ওষুধ (Quit Tobacco)

    নেশা ছাড়ার ইচ্ছে ও মনোবল থাকলে, কাউন্সেলিংয়ের পাশাপাশি ওষুধ ও নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির (এনআরটি) মিশেলে তামক বর্জনের (Quit Tobacco) কাজটা তুলনায় অনেক সহজ। ভার্নেক্লাইন নামক একটি বড়ির সাহায্য নিতে পারা যায়। এটি কিনতে গেলে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন লাগে। নানা ওষুধ ব্যবহার করেও যাঁরা তামাক বর্জন করতে পারেনি তাৎা এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। বুপ্রোপিওন (Bupropion) প্রধানত বিষণ্ণতা রোধের জন্য ব্যবহৃত একটি অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ। এটি ধূমপান বন্ধ করতে সহায়তা করে। উদ্ভিদের দেহ থেকে পাওয়া যৌগ সাইটিসাইন (stop smoking compound) সাধারণ ভাবে ধূমপানের নেশা ছাড়াতে ‘নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি’-র থেকেও বেশি কার্যকরী। সমস্যা একটাই। মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলি ছাড়া বিশ্বের প্রায় অন্য কোথাও এর ব্যবহারে লাইসেন্স নেই। এবার সাইটিসাইন ব্যবহারের কথা বলল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও (WHO)।

    নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি 

    নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুমোদিত ১২ সপ্তাহের একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যা ধূমপায়ীদের আসক্তি কমাতে ও ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করে। ৬০ থেকে ৯০ দিনের এই থেরাপি করাতে প্রতি দিনের খরচ ১০ থেকে ১৩ টাকা। এই পদ্ধতিতে চিউইংগাম ছাড়াও ধূমপান ছাড়ানোর জন্য লজেন্স ও ট্রান্সডারমাল প্যাচের মতো দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Monsoon Diseases: হাজির বর্ষা, সঙ্গে এসেছে হরেক ব্যাধিও, কী কী রোগ হতে পারে জানেন?

    Monsoon Diseases: হাজির বর্ষা, সঙ্গে এসেছে হরেক ব্যাধিও, কী কী রোগ হতে পারে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গে এসে গিয়েছে বর্ষা। বর্ষা এসেছে গোটা দেশেও। সঙ্গে এসেছে বর্ষার বিভিন্ন রোগ্য-ব্যাধি (Monsoon Diseases)। গ্রীষ্মের খরতাপে পুড়েছে দেশ। তার পর স্বস্তির বৃষ্টি এনেছে বর্ষা। তবে স্বস্তির পাশাপাশি সঙ্গে নিয়ে এসেছে অস্বস্তিও। কারণ রোগ-বালাইয়ের (Infections And Diseases) জ্বালায় অস্থির দেশবাসী। বর্ষার মরশুমের এই রোগগুলির মধ্যে কয়েকটি আবার প্রাণঘাতীও। ঠিক সময় চিকিৎসা শুরু না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে রোগী কিংবা রোগিণীর।

    বর্ষার রোগবালাই (Monsoon Diseases)

    এই রোগগুলির কয়েকটির বাহক মশা। বর্ষায় বৃষ্টির জল জমে যত্রতত্র। সেই জমা জলে জন্মায় মশা। পরবর্তীকালে সে-ই হয়ে দাঁড়ায় প্রাণঘাতী নানা রোগের বাহক। মশা-বাহিত রোগের পাশাপাশি বর্ষাকালে উপদ্রব বাড়ে ভাইরাসেরও। তাই এই সময় ভাইরাসঘটিত রোগবালাইয়েও ভোগেন মানুষ। ছত্রাকের সংক্রমণ তো ফি বর্ষার রুটিনের মধ্যেই পড়ে। তাই বর্ষার সময় একটু বেশিই সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। একমাত্র সাবধানতা অবলম্বন করলেই জমিয়ে উপভোগ করা যাবে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি-ঋতুর সৌন্দর্য। এবার জেনে নেওয়া যাক, বর্ষায় কী কী রোগ হতে পারে।

    পেটের রোগ

    ফি বর্ষায় ভারতে যে রোগটি খুবই কমন (Monsoon Diseases), সেটি হল পেটের রোগ। ডায়েরিয়া, তলপেটে খিঁচুনি, বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে, বমিও হতে পারে। জলের মাধ্যমে ছড়ায় ডায়েরিয়া। সামান্য জ্বরও হতে পারে। হতে পারে গাঁটে ব্যথাও। দ্রুত চিকিৎসা শুরু না করলে হতে পারে শরীরের ভয়ঙ্কর ক্ষতি। ডিহাইড্রেশন, ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স মায় কিডনি ফেলিওরও হতে পারে। ডায়েরিয়ার কোনও লক্ষণ দেখা গেলেই দ্রুত ওআরএস খাওয়াতে হবে রোগীকে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে শুরু করতে হবে যথাযথ চিকিৎসাও।

    ডেঙ্গি

    বর্ষার আর একটি ভয়ঙ্কর রোগ হল ডেঙ্গি। মশা-বাহিত এই রোগে প্রতি বছর মৃত্যু হয় অনেকের। ন্যাশনাল ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের রিপোর্ট বলছে, ২০২১ সালে ভারতে নথিভুক্ত হয়েছিল ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এক লাখ রোগীর নাম। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ব্যক্তি ভুগবেন প্রচণ্ড জ্বরে। মাথাব্যথায় কাতর হবেন রোগী। যন্ত্রণা হতে পারে চোখের পিছনেও। শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে যন্ত্রণাও হতে পারে। ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে ত্বকে। ডেঙ্গি থেকেই হতে পারে ডেঙ্গি হেমোরাজিক ফিভার। এক্ষেত্রে রোগীর শরীর থেকে রক্তপাত হতে থাকবে। বিকল হতে পারে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। মৃত্যুও হতে পারে রোগীর। যেসব শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ক্ষেত্রে বিপদের সম্ভাবনা অনেক বেশি।

    আর পড়ুন: ইলিশ কেনা থেকে শিষ্যদের ব্যাকরণ পড়ানো, প্রয়াণের দিনে কী কী করেছিলেন স্বামীজি?

    ম্যালেরিয়া

    ডেঙ্গির পাশাপাশি বর্ষার আর একটি উপদ্রব হল মশা-বাহিত রোগ ম্যালেরিয়া। জমা জলে দ্রুত ((Monsoon Diseases)) বংশবৃদ্ধি করে অ্যানোফিলিস মশা। এই মশাই ম্যালেরিয়ার বাহক। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রার পারদ বাড়তে থাকে দ্রুত। রোগী ভুগতে থাকেন প্রচণ্ড জ্বরে। ঘনঘন জ্বর আসবে। রোগীর খুব ঘাম হবে। মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব এবং পেশিতেও ব্যথা হবে। হঠাৎ হঠাৎ জ্বর আসবে। ফ্লুয়ের মতো লক্ষণও দেখা দেয়। জ্বর আসে কাঁপুনি দিয়ে। ম্যালেরিয়ার দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে অ্যানিমিয়া, শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হতে পারে। সেরিব্রাল ম্যালেরিয়া হলে রোগী কোমায় চলে যেতে পারেন, মৃত্যুও হতে পারে।

    কলেরা

    প্রতি বছর বর্ষায় কলেরা ভয়ঙ্কর আকার (Infections And Diseases) ধারণ করে ভারতে। জলবাহিত এই রোগে অনেকের মৃত্যুও হয়। জলের মতো পাতলা পায়খানা হতে পারে রোগীর। বমি করতে থাকেন। শরীর থেকে জল বেরিয়ে যেতে থাকবে। প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাবে। রোগীর চোখ গর্তে ঢুকে যেতে পারে। ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্সও দেখা দিতে পারে। অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং জল থেকে এই রোগ ছড়ায়। এক্ষেত্রেও রোগীকে দ্রুত ওআরএস খাওয়ানো প্রয়োজন। রোগের উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরে পরেই রোগীকে নিয়ে যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে।

    টাইফয়েড

    বর্ষায় ভারতের বিভিন্ন অংশে টাইফয়েডের উপদ্রবও দেখা (Monsoon Diseases) যায়। এক্ষেত্রেও রোগীর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় অনেকখানি। মাথাব্যথা, তলপেটে যন্ত্রণা এবং দুর্বলতা গ্রাস করে রোগীকে। এক্ষেত্রে জ্বর বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে, রোগীর খিদে কমে যায়, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা ডায়েরিয়াও দেখা যায়। বুকে গোলাপি ছোপ ছোপ দেখা যায়। টাইফয়েডে আক্রান্ত ব্যক্তির দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে রোগীর জীবনহানি পর্যন্ত হতে পারে। রোগী আক্রান্ত হতে পারেন সেপ্টিসেমিয়ায়ও।

    ফ্লু

    বর্ষার আর একটি অতি পরিচিত রোগ হল ফ্লু। ঠান্ডা লাগা, নাক এঁটে যাওয়া, নাক দিয়ে জল গড়ানো এবং মাথাব্যথা এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। এ থেকেই রোগী আক্রান্ত হতে পারেন নিউমোনিয়ায়। শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যায়ও ভুগতে পারেন রোগী। জন-ঘন-পূর্ণ এলাকায় দ্রুত ছড়ায় ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস। এই রোগে সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে বয়স্ক ব্যক্তি এবং শিশুদের।

    লেপ্টোস্পাইরোসিস

    বর্ষায় আর একটি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এটি হল লেপ্টোস্পাইরোসিস। এই রোগ মূলত দেখা যায় বানভাসি এলাকায়। এক্ষেত্রেও ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ দেখা দেবে, রোগী বমি করতে থাকবেন, চোখ হয়ে উঠবে জবাফুলের মতো টকটকে লাল। ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না হলে রোগীর লিভার এবং কিডনি ড্যামেজ হতে পারে। মেনিনজাইটিস এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

    ছত্রাক-ঘটিত রোগ

    বর্ষায় ছত্রাক ঘটিত রোগের প্রাদুর্ভাব অতি পরিচিত একটি ঘটনা। দাদ-হাজা-চুলকুনির সমস্যা দেখা দেয়। নখকুনির সমস্যাও হয় এই সময়। এসব ক্ষেত্রে গা-হাত-পা চুলকোতে (Infections And Diseases) শুরু করবে, চামড়া কুঁচকে যেতে পারে, শরীরে ফোস্কার মতো দেখা দিতে পারে, ছাল উঠতে পারে। অবহেলা করলে চামড়ার স্থায়ী সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে (Monsoon Diseases)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Hilsa Fish: বর্ষার মরশুমে ভাতের সঙ্গে ইলিশ না হলেই নয়! কিন্তু কাদের জন্য এই মাছ বাড়তি বিপদের? 

    Hilsa Fish: বর্ষার মরশুমে ভাতের সঙ্গে ইলিশ না হলেই নয়! কিন্তু কাদের জন্য এই মাছ বাড়তি বিপদের? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দিন দুয়েক লাগাতার বৃষ্টি। উত্তর থেকে দক্ষিণ একঘেয়ে বৃষ্টিতে নাজেহাল বঙ্গবাসী। কিন্তু বর্ষার নানান ভোগান্তি থাকলেও, বর্ষার বাঙালির স্বাদ বাড়ায় ইলিশ (Hilsa Fish)। জলের রূপোলি শস্য, ইলিশের জন্য মুখিয়ে থাকেন অধিকাংশ বাঙালিই। বৃষ্টির দিনে খিচুড়ির সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজা হোক কিংবা ইলিশের পাতুরি, নানান পদের ইলিশ মাছ রান্না হয় বাঙালির হেঁসেলে। কিন্তু বাঙালির এই প্রিয় মাছে পুষ্টিগুণ কতখানি, কাদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে এই মাছ (Ilish)! সে দিকে নজর না থাকলে শরীরে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে ইলিশ। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    ইলিশ খেলে কী হতে পারে? (Hilsa Fish)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইলিশ নিয়ে অযথা ভয় পাওয়ার দরকার নেই। ইলিশ মাছ নিয়ে নানান ভুল ধারণা রয়েছে। কিন্তু আসলে ইলিশ শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইলিশে রয়েছে পটাশিয়াম, সোডিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম। এই তিন উপাদান হার্টের জন্য খুব উপকারী। তাই ইলিশ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। 
    এছাড়া ইলিশ আয়রন এবং ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ একটা মাছ। তাই মহিলাদের জন্য বিশেষ করে ইলিশ মাছ খুব উপকারী বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রক্তাল্পতার মতো সমস্যা কমায় ইলিশ। আবার ওমেগা থ্রি থাকায় একাধিক শারীরিক সমস্যা মোকাবিলাতেও ইলিশ সাহায্য করে। 
    ইলিশে (Hilsa Fish) রয়েছে নানান ভিটামিন। তাই ইলিশ ত্বক ও চুল ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তবে সবচেয়ে জরুরি ইলিশের ফ্যাট। ইলিশ মাছে রয়েছে গুড ফ্যাট। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইলিশ মাছে যে ফ্যাট উপাদান রয়েছে, তা শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। এই গুড ফ্যাট‌ হার্ট ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। ইলিশ মাছ চোখের জন্য ভালো। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইলিশে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ। এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে।

    কিন্তু কাদের বিপদ বাড়াচ্ছে ইলিশ? (Hilsa Fish)

    খুব উপকারি মাছ হলেও, সবার শরীরে ইলিশের উপকার একরকম নয়। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইলিশ সামুদ্রিক মাছ। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ছে। আর এই রোগ বাড়ার অন্যতম কারণ সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া। তাই যাঁদের অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁদের জন‌্য ইলিশ বিপজ্জনক হতে পারে। মুখে বা শরীরের যে কোনও অংশে লাল দাগ হওয়া, পেটে ব্যথা অনুভব করার মতো নানান উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক বেশি থাকলে ইলিশ খেলে সমস্যা হতে পারে। কারণ, অনেক সময়েই ইলিশ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে ইলিশ মাছ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইলিশ সামুদ্রিক মাছ। আর এই মাছ থেকে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে। ফলে শ্বাসকষ্টের রোগীর সমস্যাও বাড়তে পারে। তাই ইলিশ মাছ (Ilish) খাওয়ার সময়ে এগুলো খেয়াল রাখা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Ultra Processed Food: বাঁচতে হলে দূরে থাকুন! মৃত্যু-ঝুঁকি বাড়াতে পারে আলট্রাপ্রসেসড ফুড, বলছে গবেষণা

    Ultra Processed Food: বাঁচতে হলে দূরে থাকুন! মৃত্যু-ঝুঁকি বাড়াতে পারে আলট্রাপ্রসেসড ফুড, বলছে গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোজ কোল্ড ড্রিঙ্কস পান করেন। একটু মশলাদার ফাস্ট-ফুড খেলে তো কথা নেই। কোল্ড-ড্রিঙ্কস চাই, তা-কালো হোক বা সাদা। গরম কালে বিকেলে আইসক্রিমের জুড়ি মেলা ভার। আর টুকটাক মুখ চালাতে চাইলে চিপস বা বিস্কিট। কিন্তু জানেন কী, এই ধরনের আলট্রা-প্রসেসড ফুড আপনাকে মৃত্যুর (Health Risks) দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে। সম্প্রতি মেরিল্যান্ডের বেথেসডায় অবস্থিত ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের কয়েকজন গবেষক এর উপর গবেষণা করে এমনই জানিয়েছেন। তাঁদের প্রধান লেখক এরিকা লফটফিল্ড বলেন ‘‘প্রসেসড ফুড (Ultra Processed Food) পুরুষদের ক্ষেত্রে ১৫% এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ১৪% পর্যন্ত মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।’’

    আলট্রা-প্রসেসড ফুড কী (Ultra Processed Food)

    আলট্রা-প্রসেসড ফুড প্রচুর প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে তৈরি করা হয়। সাধরণ অবস্থায় একটি খাবার বেশিদিন টাটকা থাকে না। প্রসেসিং বা প্রক্রিয়াগুলি করে খাবারকে অনেকদিন পর্যন্ত টিকিয়ে রাখা হয়। এই প্রক্রিয়াগুলির বেশিরভাগটাই মেশিনে করা হয়। এই ধরনের খাবারে নুন, চিনি, ফ্যাটের মাত্রা বেশি থাকে। পাশাপাশি খাবার সংরক্ষণ করতে নানা রাসায়নিকও মেশানো থাকে। প্রসঙ্গত, এর কোনওটাই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। আলট্রা-প্রসেসড ফুড খেলে ওজন বেড়ে যাওয়া থেকে ঘুমের সমস্যাসহ একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

    কী কী সমস্য়া হতে পারে (Ultra Processed Food)

    ফ্যাটি লিভারের আশঙ্কা – আলট্রা-প্রসেসড ফুডে বেশি পরিমাণে চিনি মেশানো হয়। এই অ্যাডেড সুগার লিভারের ক্ষতি করে। লিভারে চর্বি জমতে শুরু করলে ফ্যাটি লিভার হয়।
    রাতে ঘুমের সমস্যা – ঘুমের চক্র বা স্লিপ সাইকলের উপর প্রভাব ফেলে আলট্রা-প্রসেসড ফুড। ঘুম ঠিকমতো হয় না। বেশি বা কম ঘুমের সমস্যায় ভুগতে থাকেন একজন।
    ক্লান্তি বাড়ে – অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার এই অভ্যাস থেকে ক্লান্তি বেড়ে যায়। এনার্জি ড্রিঙ্ক প্রাথমিকভাবে কাজের এনার্জি দেয় বলে মনে হয়। কিন্তু আদতে একটা সময়ের পর সেই এনার্জি কমে যায়।
    হার্টের সমস্যা – এই ধরনের খাবার দীর্ঘদিন খেলে হার্টের উপর চাপ পড়ে।
    ক্যান্সারের আশঙ্কা – ওবেসিটি ও ফ্য়াটি লিভার বেড়ে যায় আলট্রাপ্রসেসড ফুড খেলে। আর এর থেকেই ক্যানসারের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

    গবেষণায় প্রমাণ

    আল্ট্রা-প্রসেসড ফুড (Ultra Processed Food) বা অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার হৃদরোগ, ক্যানসার, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং অকাল মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকিসহ মানব স্বাস্থ্যের ৩২টি ক্ষতিকারক প্রভাবের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। শিকাগোতে আমেরিকান সোসাইটি ফর নিউট্রিশনের বার্ষিক সভায় সম্প্রতি লটফিল্ড জানান, গত ৩০ বছর ধরে ৫ লাখ ৪১ হাজার মানুষের উপর গবেষণা করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, উচ্চ মাত্রার আল্ট্রা-প্রসেসড ফুড মানব স্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে, ফলে মানুষের খাদ্য তালিকা থেকে আল্ট্রা-প্রসেসড ফুডের পরিমাণ কমিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকারক হল নরম পানীয়। তারপর প্রক্রিয়াজাত মাংস।

    ৩২টি ক্ষতিকর প্রভাব

    গবেষকরা জানাচ্ছেন, সামগ্রিকভাবে অকাল মৃত্যু, ক্যানসার ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, শ্বাসযন্ত্র, কার্ডিওভাসকুলার, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্য সমস্যাসহ মানব স্বাস্থ্যের ৩২টি ক্ষতিকারক প্রভাবের সঙ্গে আল্ট্রা-প্রসেসড ফুডের (Ultra Processed Food) সরাসরি সংযোগ রয়েছে। গবেষকদের দাবি, প্যাকেটজাত খাবার ও স্ন্যাকস, কোমল পানীয়, চিনিযুক্ত সেরিয়াল এবং রেডি-টু-ইট বা প্রস্তুতকৃত খাবারসহ আল্ট্রা-প্রসেসড ফুড একাধিক শিল্প প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় এবং প্রায়শই এগুলোতে রঙ, ইমালসিফায়ার, ফ্লেভার ও অন্যান্য উপাদান যোগ করা হয়। এসব পণ্যে অতিরিক্ত চিনি, চর্বি ও লবণ বেশি থাকলেও ভিটামিন এবং ফাইবার খুব একটা থাকে না বললেই চলে।

    আরও পড়ুন: “আলোচনার কোনও সীমাবদ্ধতা নেই”, মোদির রাশিয়া সফর নিয়ে বলল মস্কো

    আয়ু কমে যাওয়ার শঙ্কা

    আলট্রা-প্রসেসড খাবার কার্ডিয়াভাসকুলার রোগের ঝুঁকি (heart disease risk) বাড়িয়ে দেয়। এই রোগের তালিকায় রয়েছে, হার্টের রোগ, রক্তনালির নানা গুরুতর সমস্যা। রক্তনালির সমস্যার মধ্যে রয়েছে কোলেস্টেরল জমা থেকে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি। তবে শুধু হার্ট নয়, বিপদের তালিকায় শরীরের অন্য বেশ কিছু অঙ্গও রয়েছে। তার মধ্যে থাকছে লিভার, কোলন, পাকস্থলির মতো জরুরি অঙ্গগুলি। আলট্রা-প্রসেসড খাবার (ultra-processed food) হার্টের রোগের ঝুঁকি প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয় (Health Risks)। অন্য দিকে উদ্বেগ ও সাধারণ কিছু মানসিক সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায় ৪৮ থেকে ৫৩ শতাংশ। ৩২ রকম রোগের তালিকা থেকে বাদ নেই ডায়াবেটিস। এই ধরনের খাবার খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের আশঙ্কা ১২ শতাংশ বেড়ে যায় বলে মত বিজ্ঞানীদের। এত রকম সমস্যা শরীরে দানা বাঁধলে স্বাভাবিক ভাবেই তা গড় আয়ু ১০ বছর কমিয়ে দেবে বলে দাবি গবেষকদের। তাই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা বা রাতে সিরিজ দেখা, একা হোন বা পার্টিতে মুখ চালানোর জন্যে চিপস, কোল্ড ড্রিংকস বাদ দিন। আইসক্রিম-সসেজকেও করুন বাই বাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Physicians: চিকিৎসকদের মধ্যে বাড়ছে কোন রোগ? কেন হঠাৎ মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছেন তাঁরা?

    Physicians: চিকিৎসকদের মধ্যে বাড়ছে কোন রোগ? কেন হঠাৎ মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছেন তাঁরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সামান্য জ্বর থেকে জটিল রোগ, যে কোনও সমস্যাতেই চিকিৎসকই (Physicians) ভরসা। রোগ নিরাময়ের ‘জাদুকাঠি’ তাঁদের হাতেই‌। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, রোগ নিরাময়ের কারিগরেরা নিজেরাই ভালো নেই। অধিকাংশ সময়ে নিজেদের অসুখকেই তাঁরা অবহেলা করছেন। আর তার জেরে অকালে ঘটছে মারাত্মক বিপদ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পেশাগত চাপ সামলেও স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা জরুরি। চিকিৎসক বলেই সব কিছু সামলে নেওয়ার ক্ষমতা থাকে না। নিজের সুস্থতার দিকে নজরদারিও জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট? (Physicians)

    সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, চিকিৎসকদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে‌। পাশপাশি গত কয়েক বছরে উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে চিকিৎসকদের আত্মহত্যার ঘটনা। এই দুই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে দেশ জুড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনা প্রায় দেড়গুণ বেড়েছে। আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েছে দ্বিগুণ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বেশি হচ্ছে চল্লিশোর্ধ চিকিৎসকদের মধ্যে। আবার আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে তরুণ চিকিৎসকদের (Medical Practitioner) মধ্যে‌‌। পুরো বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কেন বাড়ছে এই সমস্যা?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিকিৎসকদের (Physicians) শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের এই অবস্থার জন্য মূলত দুটি বিষয় রয়েছে। এক, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অনিদ্রা এবং অত্যধিক মানসিক চাপ।চিকিৎসক মহল জানাচ্ছেন, সার্জারি, অ্যানাস্থেশিয়া, পেডিয়াট্রিক সার্জারির মতো চিকিৎসা বিজ্ঞানের শাখায় পেশাগত চাপ থাকে মারাত্মক। এই ধরনের চিকিৎসায় তরুণ প্রজন্মের চিকিৎসকেরা খুব সহজে সাফল্য পান না। তাই এক ধরনের অবসাদ কাজ করে। আবার কাজে সামান্য ভুল হলেও মারাত্মক বিপদ ঘটতে পারে। তাই আরেক রকম চাপ তৈরি হয়। সব মিলিয়ে পুরো সময়টাই মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ভালো হয় না‌। তাই‌ দেখা যায়, এক ধরনের অবসাদ তৈরি হয়। যা শরীর আর মন, দুইয়ের পক্ষেই ক্ষতিকারক।

    আবার সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের অনেকেই কাজের চাপে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন না। অনেকেই বছরের পর বছর বাড়ি থেকে অনেক দূরে থাকেন। এক ধরনের একাকিত্ব গ্রাস করে‌। তার উপরে থাকে রোগীর চাপ। মেডিসিন, শিশুরোগ বিভাগ কিংবা স্ত্রীরোগ বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকেরা (Physicians) অধিকাংশ সময়েই রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খান। নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার সুযোগ পান না‌। অনেক সময়েই পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। দীর্ঘদিন অনিয়মিত খাওয়া আর ঘুম কম হওয়ার জেরে হৃদরোগের সমস্যা তৈরি হয়‌। আবার মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হতে থাকেন। যার প্রভাব হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতার উপরে পড়ে‌। সব মিলিয়েই বাড়ে বিপদ।

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, চিকিৎসকদের (Medical Practitioner) নিজেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়মিত হওয়া জরুরি। সরকারি কিংবা বেসরকারি, যে কোনও হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষা আবশ্যিক হলে সহজেই সমস্যা ধরা পড়বে। অবহেলার সুযোগ কমবে‌। বড় বিপদ আটকানো সহজ হবে‌।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Juvenile Arthritis: ১৬-র আগেই হাঁটুর ব্যথা, দৃষ্টিশক্তিতেও সমস্যা! বার্ধ্যকের রোগে কেন কাবু সন্তান? 

    Juvenile Arthritis: ১৬-র আগেই হাঁটুর ব্যথা, দৃষ্টিশক্তিতেও সমস্যা! বার্ধ্যকের রোগে কেন কাবু সন্তান? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়লে বাড়ে হাঁটু আর কোমরের সমস্যা (Juvenile Arthritis)। সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটাচলা করতেও হয় অনেক সমস্যা। তার পাশপাশি চোখে সুক্ষ্ম জিনিস দেখতেও সমস্যা হয়। কিন্তু বার্ধ্যকের এই সব সমস্যা যদি দেখা দেয় পরিবারের একরত্তির শরীরে! চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সাবধান! অবহেলা করলে জীবনভর ভোগান্তি থাকবে। এমনকী শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশও থমকে যেতে পারে।

    কী রোগের জন্য এই আশঙ্কা চিকিৎসকদের? (Juvenile Arthritis)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জুভেনাইল আর্থরাইটিস রোগের প্রকোপ বাড়ছে! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্বের অধিকাংশ দেশের শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। পরিবারকে আরও সতর্ক হতে হবে। হাড়ের এই রোগ হল এক ধরনের বাত। সাধারণত বয়স বাড়লে আর্থরাইটিসের মতো বাতের ব্যথা দেখা দেয় (Knee Pain)। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যেও এই রোগের দাপট বাড়ছে। জুভেনাইল আর্থরাইটিস শিশুদের জন্য খুবই বিপজ্জনক বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে জানা যাবে এই রোগ?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জুভেনাইল আর্থরাইটিসে (Juvenile Arthritis) আক্রান্ত হলে শিশুদের শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা বা যন্ত্রণা দেখা দেবে। বিশেষত হাঁটুতে ব্যথা হবে। মাঝেমধ্যে কনুই, হাঁটু, পায়ের গোড়ালি ফুলে যাবে। লাল হয়ে যাবে। সন্তান জুভেনাইল আর্থরাইটিসে আক্রান্ত কিনা, তা বোঝার সহজ উপায়, সন্তানের ঘুম থেকে ওঠার পরে হাঁটাচলা। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে শিশুর ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে বিশেষ অসুবিধা হবে। নিয়মিত এই সমস্যা দেখা গেলে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    পাশপাশি, তাঁরা জানাচ্ছেন, জুভেনাইল আর্থরাইটিস (Juvenile Arthritis) থাকলে শিশুদের দৃষ্টিশক্তিতে বিশেষ সমস্যা হয়। তাই চোখের সমস্যা বাড়লে সতর্ক হতে হবে বলেও মত বিশেষজ্ঞ মহলের। তাছাড়া, এই রোগে আক্রান্ত হলে শিশুর একাধিক ত্বকের সমস্যা এবং জ্বর হয়। বারবার জ্বর হওয়া এবং দেহের বিভিন্ন অংশ ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, আর্থরাইটিস হাড়ে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। ফলে এই রোগে আক্রান্ত হলে, শিশুর বিকাশে বাধা ঘটে। শিশুর ওজন কোনও ভাবেই না বাড়লে, খাওয়ার পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দিলে এবং সব সময়ে ক্লান্ত থাকা, এই রোগের অন্যতম লক্ষণ বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? (Juvenile Arthritis)

    জুলাই মাস জুভেনাইল আর্থরাইটিস অ্যাওয়ারনেস মাস (Juvenile Arthritis Awareness Month)! তাই চিকিৎসক মহল এই রোগ নিয়ে লাগাতার প্রচার ও সচেতনতা কর্মসূচি করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, অসচেতনতার জেরেই শিশুদের ভোগান্তি বাড়ছে। পরিবারের কেউ আর্থরাইটিসে আক্রান্ত থাকলে অভিভাবকদের বিশেষ সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ এই রোগ বংশানুক্রমিক ভাবে হয়। তাই যদি পরিবারের কেউ এই রোগে আক্রান্ত হয় আর শিশুদের মধ্যে সামান্য এই রোগের লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। এছাড়া, শিশুর খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপন খুব গুরুত্বপূর্ণ। হাড়ের রোগ (Knee Pain) রুখতে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। তাহলে এই ধরনের রোগ প্রতিরোধ সহজ হবে‌। শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি থাকলে যে কোনও সমস্যা সহজে মোকাবিলা করা যায়। তাই শিশুকে নিয়মিত দুধ, ডিম, লেবু, কলার মতো ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারে অভ্যস্ত করাতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Lancet Global Study: অর্ধেক ভারতীয়ই শারীরিকভাবে ‘আনফিট’! দাবি ‘ল্যানসেট গ্লোবাল স্টাডি’ রিপোর্টের

    Lancet Global Study: অর্ধেক ভারতীয়ই শারীরিকভাবে ‘আনফিট’! দাবি ‘ল্যানসেট গ্লোবাল স্টাডি’ রিপোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়দের ফিটনেস নিয়ে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে গ্লোবাল হেলথ জার্নালে। ল্যানসেট গ্লোবাল স্টাডির (Lancet Global Study) ওই সমীক্ষা অনুসারে, অর্ধেক ভারতীয়ই শারীরিকভাবে ‘আনফিট’। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন তথ্য রীতিমতো উদ্বেগের। ওই সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়দের মধ্যে অর্ধেকের চেয়ে বেশি সংখ্যক নাগরিকই পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীর চর্চা করেন না এবং শরীর চর্চার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও-এর যে নির্দেশিকা রয়েছে, তা কোনওভাবেই তাঁরা মেনে চলেন না। যার কারণে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ছেন তাঁরা শারীরিকভাবে অক্ষমতার দিক থেকে ভারতীয় পুরুষদের থেকে মহিলাদের হার অনেক বেশি। ওই রিপোর্ট অনুসারে দেখা যাচ্ছে, পুরুষদের মধ্যে শারীরিকভাবে আনফিট ৪২ শতাংশ এবং মহিলাদের মধ্যে এই সংখ্যা ৫৭ শতাংশ অর্থাৎ পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের শারীরিক অক্ষমতার হার বেশি।

    ২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ শতাংশ ভারতীয় নাগরিকই শারীরিক সক্ষমতা হারাবেন!

    সবচেয়ে উদ্বেগ ওই সমীক্ষায় (Lancet Global Study) প্রকাশিত হয়েছে যে প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়দের মধ্যে শরীরচর্চার প্রবণতা একেবারেই নেই। শরীরচর্চার বিষয়ে অবহেলা করেন তাঁরা। রিপোর্টে আরও দেখা যাচ্ছে, ২০০০ সালে পুরুষদের মধ্যে শরীরচর্চা করতেন না ২২.৩ শতাংশ। ২০২২ সালে সেই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯.৩ শতাংশ। অর্থাৎ উদ্বেগজনক ভাবে রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ শতাংশ ভারতীয় নাগরিকই শারীরিক সক্ষমতা হারাবেন, শরীরচর্চা না করার জন্য।

    শরীরচর্চা নিয়ে কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO Health Guidelines)

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ (WHO Health Guidelines) সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ থেকে ৩০০ মিনিটের শরীরচর্চা করার সুপারিশ করে। প্রতিদিন গড়ে ২০ মিনিটের শরীরচর্চা যেকোনও ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে সক্ষম করে তুলতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও জানিয়েছে, শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয়তার কারণেই প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে হৃদরোগের সম্ভাবনা (Lancet Global Study) বেড়েই চলেছে। বাড়ছে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, টাইপ টু ডায়াবেটিস, ডিমনেশিয়া এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি।

    ল্যানসেট গ্লোবাল স্টাডি (Lancet Global Study), ১৯৫ দেশের ওপর এই সমীক্ষা চালিয়েছিল

    ল্যানসেট গ্লোবাল স্টাডি (Lancet Global Study), ১৯৫ দেশের ওপর এই সমীক্ষা চালিয়েছিল। সমীক্ষাতে দেখা গিয়েছে, তালিকায় ভারত গোটা বিশ্বে ১২তম স্থান অধিকার করেছে। বিশ্বব্যাপী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশই শরীর চর্চা করেন না বলে ওই রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৮০ কোটি মানুষ ২০২২ সালে শরীরচর্চার কোনও নির্দেশিকা মানেনি। শরীরচর্চার বিষয়ে সবথেকে বেশি অবহেলার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরী অঞ্চলে। যেখানে ৪৮ শতাংশ মানুষই শরীরচর্চার বিষয়ে অবহেলা করেন। পশ্চিমীদেশ গুলোতে এই হার ২৮ শতাংশ। এবিষয়ে ডাক্তার প্রজ্ঞা শুক্লা বলেন, ‘‘যুব সমাজের মধ্যে ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়ছে। শরীরচর্চা না করার জন্য।’’ একই মত ভারতীয় ডাক্তার অনুপ সারিয়ারও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share