Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • International Men’s Health Week: ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে কোন কোন রোগ বাড়ছে? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    International Men’s Health Week: ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে কোন কোন রোগ বাড়ছে? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    জুনের ১০ থেকে ১৬ তারিখ বিশ্ব জুড়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল মেন হেলথ উইক’ (International Men’s Health Week) পালন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি বছর অসচেতনতার জেরে সময়ের আগে মারা যান কয়েক লাখ মানুষ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, পুরুষেরা ঠিকমতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান না। আর তার জেরেই নানান জটিল রোগে তাঁরা আক্রান্ত হন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। তাই এ বছরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পুরুষদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়েই আরও বেশি সচেতনতা কর্মসূচি চালানো‌ হবে। যাতে রোগের চিকিৎসার দরকার না হয়‌। রোগের প্রকোপ আগেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই দরকার ঠিকমতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা। ভারতের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই ভারতীয় পুরুষদের মধ্যেও সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তার জেরেই সময়ের আগে অনেক সময় প্রাণ সংশয় দেখা দিচ্ছে‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে যে সব রোগের প্রকোপ বেশি, সেগুলো অধিকাংশ জীবন যাপন অস্বাস্থ্যকর হওয়ার জন্য হচ্ছে। জেনে নিন, কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে ভারতীয় পুরুষদের?

    ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে (International Men’s Health Week) 

    ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে‌। অধিকাংশ ভারতীয় পুরুষদের সময়ের আগে মৃত্যুর অন্যতম কারণ ফুসফুসের ক্যান্সার। দেশজুড়ে নানান ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ছে। তবে পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার প্রথম সারিতে রয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসচেতনতার কারণে অনেক দেরিতে রোগ নির্ণয় হয়। তাই চিকিৎসা শুরু করতেও সময় চলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তবে, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এই রোগের অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পৃথিবী জুড়ে বায়ু দূষণ বাড়ছে। তাই সব বয়সের মানুষের ফুসফুসের নানান সংক্রমণ রোগের দাপট বাড়ছে‌। তবে, ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ তামাক সেবন। খুব কম বয়স থেকেই ভারতীয় পুরুষদের একাংশ সিগারেট, বিড়ির মতো তামাকজাত দ্রব্যের সেবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। আর এর জেরেই ফুসফুসের ক্যান্সারের মতো রোগের শিকার হচ্ছেন।

    হৃদরোগের সমস্যা বেশি

    ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়ছে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় পুরুষদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হৃদ সমস্যা। আর অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনকেই এই জন্য দায়ী করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ভারতীয় পুরুষ খাবারে অতিরিক্ত তেলের ব্যবহার, অতিরিক্ত মশলাজাতীয় খাবার খাওয়া, প্রাণীজ প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ায় অভ্যস্থ। আর এর জেরেই অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে হৃদপিণ্ডের উপরে। তাই ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগের (International Men’s Health Week) ঝুঁকি বাড়ছে।

    কিডনির সমস্যা দেখা দিচ্ছে (International Men’s Health Week) 

    খুব কম বয়স থেকেই ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে কিডনির নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যার জেরে স্বাভাবিক জীবন যাপনে বিঘ্ন ঘটছে‌। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এর নেপথ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস। ভারতীয়দের মধ্যে ডায়াবেটিস বাড়ছে‌‌। শিশুদের মধ্যেও টাইপ ২ ডায়াবেটিস বাড়ছে। আর এর জেরেই কিডনির রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

    মানসিক অবসাদ বাড়ছে

    ভারতীয় পুরুষদের শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় পুরুষদের হৃদরোগ কিংবা ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ার অন্যতম কারণ মানসিক চাপ বা অবসাদের মতো সমস্যা। আধুনিক জীবন যাপনে অনেকেই ব্যস্ততার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। পাশপাশি মানসিক চাপ বাড়ছে। একাকিত্বও বাড়ছে। আর তার জেরেই মানসিক স্বাস্থ্যে (International Men’s Health Week) প্রভাব পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মানসিক স্বাস্থ্যে বিপর্যয়ের জেরেই ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা তলানিতে। ঠিকমতো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন না। আর তার জেরেই অনেক সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা? (International Men’s Health Week) 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা আরও বাড়ানো জরুরি। কর্মস্থলে আরও বেশি করে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় জোর দিতে হবে। যাতে বছরে অন্তত একবার ঠিকমতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়‌। তাতে রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা বোঝা যাবে। হৃদরোগের ঝুঁকি কতখানি সে বিষয়েও আন্দাজ করা যাবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে বড় বিপদ এড়ানো যাবে। তবে পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি করতে হবে। ধূমপানের মতো অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcium: শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি নানা রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে! মোকাবিলা করবেন কীভাবে? 

    Calcium: শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি নানা রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে! মোকাবিলা করবেন কীভাবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়ার সঙ্গে কমে ক্যালসিয়াম। এমন ধারণা এখন বদলে যাচ্ছে। তিরিশের চৌকাঠ পেরিয়েই অনেকের কমছে ক্যালসিয়াম (Calcium)। তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের মধ্যেও বাড়ছে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। আর এর জেরে বাড়ছে নানান রোগের ঝুঁকি। তাই সতর্কতা জরুরি। কারণ, চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ক্যালসিয়ামের অভাব শরীরে একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। কম বয়স থেকে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে দীর্ঘমেয়াদি একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। যার জেরে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়।

    কী কী রোগের প্রকোপ বাড়ায়? (Calcium)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ক্যালসিয়ামের অভাবে শিশুদের হাড় ও স্নায়ুর একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে‌। পেশির জোর কমে। এর ফলে শিশুদের মধ্যে দুর্বলতা দেখা যায়। হাত ও পায়ে মাঝে মধ্যে খিঁচুনি হতে পারে। এমনকী অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যা পরবর্তীতে নানান জটিল রোগের কারণ হয়। ক্যালসিয়ামের অভাবে শিশুদের অস্টিওপেনিয়া, রিকেটের মতো রোগ হতে পারে। এর ফলে শিশুর হাত ও পায়ের গঠন ঠিকমতো হয় না। দীর্ঘমেয়াদি স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়। 
    তরুণ বয়সে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে হাড়ের একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়সি বিশেষত মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে অস্ট্রিয়পোরেসিসের সমস্যা। এটা এক ধরনের হাড়ের ক্ষয় রোগ। ক্যালসিয়ামের (Calcium) অভাবের জেরেই এই রোগ হয়। 
    এছাড়াও, দাঁতের সমস্যার কারণ ক্যালসিয়ামের অভাব। অনেকেই দাঁতে ব্যথা অনুভব করেন। মাড়িতে নানান সংক্রমণ ঘটে। এগুলোর কারণ, শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম না থাকা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পড়ে গেলে অনেকের হাড় ভেঙে যায়। সামান্য দুর্ঘটনাতেও তাই ভোগান্তি বাড়ে। ক্যালসিয়ামের অভাব থাকলে হাড় দুর্বল হয়। এর জেরেই সামান্য আঘাতেও হাড় ভাঙার মতো বিপত্তি ঘটতে পারে। ছোটদের পাশপাশি বড়দেরও শরীরে দুর্বলতা বা ক্লান্তি বাড়ায় ক্যালসিয়ামের অভাব।

    কীভাবে সহজে মিটবে ক্যালসিয়ামের অভাব? (Calcium)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সহজেই ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করা সম্ভব। তাছাড়া শিশুরা খাবার থেকেই প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম পেতে পারে। তাই ছোট থেকেই খাবারে নজরদারি করলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেবে না।‌ 
    নিয়মিত দুধ, পনির বা দই  খাওয়া জরুরি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও দুগ্ধজাত খাবার শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে‌। মহিলারা নিয়মিত টক দই খেতে পারেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের ক্যালসিয়ামের অভাব বেশি দেখা যায়‌। তাই দুধের পাশাপাশি দই খেলে হাড় মজবুত হবে। 
    রোজ যে কোনও এক ধরনের বাদাম খাওয়া জরুরি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঠবাদাম হোক কিংবা কাজুবাদাম, নিয়মিত যে কোনও ধরনের বাদাম খাদ্যতালিকায় রাখা দরকার। কারণ, বাদাম ক্যালসিয়ামের অন্যতম উৎস। নিয়মিত বাদাম খেলে কমবে ক্যালসিয়ামের (Calcium) ঘাটতি। 
    ডিম এবং লেবু ক্যালসিয়ামের জোগান দেয়। তাই শিশুর আট মাস বয়স থেকেই নিয়মিত ডিম খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। পাশপাশি যে কোনও এক ধরনের লেবু নিয়মিত খেলে ক্যালসিয়ামের চাহিদা সহজেই পূরণ হবে। 
    পালং শাকের মতো সবুজ সবজিও শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান দেয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিন, দুধের পাশপাশি এই ধরনের সবুজ সবজি নিয়মিত খাওয়া জরুরি। তবেই শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sugarcane Juice: তাপপ্রবাহের ঠেলায় নাস্তানাবুদ? এনার্জি ফিরে পেতে আখের রসের জুড়ি মেলা ভার!

    Sugarcane Juice: তাপপ্রবাহের ঠেলায় নাস্তানাবুদ? এনার্জি ফিরে পেতে আখের রসের জুড়ি মেলা ভার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে মানুষ ঠান্ডা পানীয়ের ওপর অনেক সময়ই নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। বাইরের তীব্র গরমে নিজের শরীরকে কিছু সময়ের জন্য ঠান্ডা করতে নানান ফলের জুস থেকে শুরু করে ঠান্ডা পানীয় খেয়ে থাকেন অনেকেই। কিন্তু এই গরমে আরও এক পানীয় হল আখের রস (Sugarcane Juice), যা অনেকেরই প্রিয়। ভারতীয় ঐতিহ্য এবং আয়ুর্বেদিক দিক থেকে আখের রস একটি পুষ্টিকর ও উপকারী পানীয় নামেই পরিচিত। এতে ফাইবার ও বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর উপাদান থাকে, যা মানুষের শরীরকে ঠিক রাখতে নানান ভাবে সাহায্য করে। তবে যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত, তাদের এই আখের রস এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। কারণ এটি আচমকা মানব শরীরের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে।

    কোথায় মেলে? (Sugarcane Juice)

    ভারতের বিভিন্ন জায়গা যেমন মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, পন্ডিচেরি এবং কেরলে আখ চাষ হয়। এই আখের রস একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়। যা গরম আবহাওয়া থেকে মানব শরীরকে সুস্থ সতেজ রাখে। তাছাড়াও ক্লান্তি, হিট স্ট্রোক প্রভৃতি থেকে শরীরকে দূরে থাকে। গরমে মানুষের শরীরকে হাইড্রেট রাখাটা খুবই দরকারি। তাই এই আখের রসই হয়ে উঠতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ পানীয়। আসুন, দেখে নিই, কী কী উপকারিতা আছে এই আখের রসের।

    প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক

    এটি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এক গ্লাস আখের রস (Sugarcane Juice) এই তীব্র গরমে আপনার ক্লান্ত শরীরকে নিমেষে শক্তি জোগাতে পারে। আখের রসে আছে গ্লুকোজ, এবং বিভিন্ন ইলেক্ট্রোলাইট যা শরীরকে তাৎক্ষণিক ঠান্ডা করতে সাহায্য করে।

    ক্যান্সার রোধে সাহায্যকারী (Sugarcane Juice)

    বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই আখের রসের মধ্যে আছে ক্যান্সার রোধের গুণাবলী। আখের রস শরীরে পাওয়া ফ্লেভোন ক্যান্সার কোষের উৎপাদন ও বিস্তার বন্ধ করতে সাহায্য করে। শরীরের পিএইচ-এর মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে।

    কিডনি ভালো রাখে

    আখের রস উপকারী মূত্রবর্ধক (Sugarcane Juice) হিসেবেও পরিচিত। কারণ এটি কিডনির কার্যক্ষমতাকে স্বাভাবিক রাখে, দেহের অতিরিক্ত লবণ অপসারণ করে এবং শরীরকে কিডনি জনিত নানান সমস্যা থেকে দূরে রাখে।

    ত্বক ভালো রাখতে উপকারী

    আখের রসের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, এবং অন্যান্য ইলেক্ট্রোলাইট পদার্থ যা আমাদের শরীরের রক্ত প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে ও স্বাভাবিক রাখে যা সুন্দর ত্বক পেতে সাহায্য করে। তাছাড়াও বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে ত্বককে দূরে রাখে (Sugarcane Juice)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diabetes: স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও বাড়ছে ঝুঁকি! কীভাবে বুঝবেন সন্তান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত? 

    Diabetes: স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও বাড়ছে ঝুঁকি! কীভাবে বুঝবেন সন্তান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শিশুদের বাড়ছে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। তরুণ প্রজন্মের পাশপাশি একেবারে সদ্য স্কুলের গন্ডিতে পা রেখেই ডায়াবেটিস (Diabetes) আক্রান্ত হচ্ছে, এমন সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে‌। ছোটদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ছে‌। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সচেতনতাই পারবে এই বিপদ রুখতে। পরিবারের কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে, বিশেষত বাবা বা মায়ের ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সন্তানের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বেশি হয়। তাই স্বাস্থ্য সচেতনতা জরুরি। মন্ত্রকের তরফে লাগাতার ডায়াবেটিস স্ক্রিনিংয়ের বিষয়েও নজর দেওয়া হয়েছে। বিশেষত স্কুল কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে বাড়তি উদ্যোগ জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুলে শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়ে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো দরকার। কারণ, ভারতীয় শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    কীভাবে বুঝবেন সন্তান ডায়াবেটিস আক্রান্ত? (Diabetes)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বহু শিশু টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। এই রোগে দেহে ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর জেরে কৃত্রিম ইনসুলিন হরমোন দিতে হয়। কিন্তু, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, শিশুদের মধ্যে বাড়ছে টাইপ ২ ডায়বেটিস। মূলত কিশোর বয়সে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কিছু উপসর্গ জানান দেয়, সন্তান‌ ডায়াবেটিস আক্রান্ত কিনা।

    কোন কোন উপসর্গ দেখে বুঝবেন?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হঠাৎ করেই খিদে বেড়ে গেলে সতর্ক হওয়া জরুরি। অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়ার ইচ্ছে, ঠিকমতো খাবার খাওয়ার পরেও পেট ভরছে না মনে হওয়া, ওজন মারাত্মক বেড়ে যাওয়া ডায়াবেটিসের লক্ষণ। পাশাপাশি, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থূলতা ডায়াবেটিসের অন্যতম উপসর্গ। তাঁদের পরামর্শ, সন্তানের ওজন মারাত্মক বাড়লে, স্থূলতার সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে। কারণ, ডায়াবেটিসের (Diabetes) ঝুঁকি স্থূলতা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। পাশপাশি অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ অত্যন্ত বিপজ্জনক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান যদি খুব সামান্য কাজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তাহলে সতর্কতা জরুরি। ডায়াবেটিসের আরেকটি উপসর্গ এই ক্লান্ত হয়ে পড়া। কিংবা দুর্বল হয়ে পড়া। ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দিলে, দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমবে। তাই নানান রোগে বিশেষত সংক্রামক রোগে সন্তান বারবার আক্রান্ত হলে ডায়াবেটিস পরীক্ষা জরুরি।

    মূত্রত্যাগের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে? (Diabetes)

    এছাড়াও, মূত্রত্যাগের পরিমাণ বেড়ে গেলে সতর্কতা জরুরি। কারণ এটা ডায়াবেটিসের অন্যতম উপসর্গ। আবার খুব কম বয়সে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে রোগী অনেক সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। একে ডায়াবেটিস কিটোএসিডোসিস বলা হয়। এর জেরে পেটে ব্যথা, এক ধরনের খিঁচুনি, এমনকি দেহে জলের পরিমাণ কমে যাওয়ার মতো নানান জটিল সমস্যা তৈরি হয়। এমন ঘটনা বারবার ঘটলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। না হলে প্রাণঘাতী বিপদ ঘটতে পারে। এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ মহল‌। 
    বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে তাদের ত্বকেও নানান সমস্যা দেখা দেয়। ঘাড়ের কাছে কালো দাগ‌ দেখা দেয়। এমন উপসর্গ দেখ দিলেও চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে রুখবেন সন্তানের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি?

    পরিবারের কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তবে এখন যে হারে ডায়াবেটিসের (Diabetes) প্রকোপ বাড়ছে, তাতে সব অভিভাবকদের সচেতন থাকা দরকার। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, শিশুদের জীবন যাপন স্বাস্থ্যকর হলেই এই ধরনের রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। তাই শিশুদের নিয়মিত যোগাভ্যাসের মতো শারীরিক কসরতে অভ্যস্ত করতে হবে। যাতে তাদের মস্তিষ্ক ও শরীরের সমস্ত অংশ সচল থাকে। এর জেরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে। পাশপাশি মেদ কমবে। স্থূলতার ঝুঁকি কমবে। নিয়মিত খেলাধুলায় অভ্যস্ত করা জরুরি। যাতে শারীরিক কসরত ঠিকমতো হয়। পাশপাশি খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যকর হওয়া জরুরি। অতিরিক্ত ভাজা খাবার একেবারেই নয়। বার্গার, হটডগ, পিৎজার মতো প্রিজারভেটিভ খাবারে শিশুদের অভ্যস্ত করতে চলবে না। বরং শাক, সব্জির সঙ্গে প্রাণীজ প্রোটিনের ভারসাম্য বজায় রেখে ডায়েট তৈরি করতে হবে। যাতে শিশুর চাহিদা মতো ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট সবকিছুই শরীরে পৌঁছয়। ব্যালান্স খাবার খেলে বেশির ভাগ রোগ মোকাবিলা সহজ হবে‌।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indoor Plants: বাড়ির পরিবেশ স্বাস্থ্যকর রাখবে ইন্ডোর প্ল্যান্ট! কোন গাছ বসালে কমবে অসুখের ঝুঁকি?

    Indoor Plants: বাড়ির পরিবেশ স্বাস্থ্যকর রাখবে ইন্ডোর প্ল্যান্ট! কোন গাছ বসালে কমবে অসুখের ঝুঁকি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাড়ি‌ সাজাতে নানান রকমারি ছবি কিংবা শো-পিস‌ এখন পুরানো রেওয়াজ হয়ে গিয়েছে। নতুন ফ্ল্যাট কিংবা বাড়ি সাজানোর ফ্যাশনে এখন এগিয়ে রয়েছে গাছ। হরেক রকমের গাছ, বিশেষত ইন্ডোর প্ল্যান্ট দিয়ে বাড়ি বা ফ্ল্যাট সাজানোই এখন রেওয়াজ। তবে, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধুই ফ্যাশনের জন্য নয়। বাড়িতে এমন কিছু ইন্ডোর প্ল্যান্ট (Indoor Plants) রাখা উচিত, যাতে পরিবারের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এমন কয়েকটি গাছ রয়েছে, যা শোওয়ার ঘরে কিংবা বাইরের ঘরে রাখলে পরিবেশ ভালো থাকে। রোগের ঝুঁকি কমে। এমনকি সেই গাছের পাতা নিয়মিত ব্যবহার করলে একাধিক রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়। একদিকে বাসস্থানের সৌন্দর্য, আরেকদিকে রোগ প্রতিরোধ ও সুস্বাস্থ্য। ইন্ডোর প্ল্যান্টের গুণ অনেক। কিন্তু কোন ইন্ডোর প্ল্যান্ট সুস্বাস্থ্যের পথ সহজ করে?

    বায়ুদূষণ কমায় স্নেক প্ল্যান্ট! (Indoor Plants)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্নেক প্ল্যান্ট একটি জনপ্রিয় ইন্ডোর প্ল্যান্ট। লম্বাটে হলুদ-সবুজ পাতার স্নেক প্ল্যান্ট শুধু সৌন্দর্য বাড়ায় না, এই গাছ বাড়ির পরিবেশও ভালো রাখে। বাতাসে দূষণ বাড়ছে‌। ফুসফুসের সমস্যা কিংবা বক্ষঃরোগের অন্যতম কারণ হল দূষিত বাতাস। স্নেক প্ল্যান্ট বাতাসের খারাপ উপাদান সহজেই শোষণ করে নেয়। এই গাছ বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়ারের মতোই কাজ করে‌। তাই স্নেক প্ল্যান্ট অত্যন্ত উপকারী একটি ইন্ডোর প্ল্যান্ট।

    অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর একাধিক উপকার! 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাড়িতে অ্যালোভেরা কিংবা ঘৃতকুমারীর মতো ইন্ডোর প্ল্যান্ট রাখলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। সবুজ সতেজ এই গাছ বাড়ির সৌন্দর্য কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। আবার অ্যালোভেরার স্বাস্থ‌্যগুণ অপরিসীম। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একাধিক ত্বকের রোগ কমাতে অ্যালোভেরার (Indoor Plants) বিকল্প নেই। তাই বাড়িতে এই গাছ রাখলে তার পাতার ভিতরের জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে‌। অ্যালোভেরার পাতার জেলি ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ হয়। ত্বকের একাধিক রোগ কমে।

    পিস লিলি অক্সিজেনের জোগান দেয় (Indoor Plants)

    বাড়ি সাজাতে অনেকেই নানান সুন্দর গাছ ব্যবহার করেন। তার মধ্যে অন্যতম হল পিস লিলি। এই গাছ বাড়ির যে কোনও জায়গায় রাখলেই আলাদা মাত্রায় সৌন্দর্য বাড়াবে। এই গাছ কম আলোতেও ভালো থাকে। এই শোওয়ার ঘরের কোণেও এই গাছ রাখা যায়।  তবে এই গাছের গুণ বিশেষ রকমের। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অক্সিজেন দ্রুত তৈরি করতে পারে পিস লিলি। তাই এই গাছ বাড়িতে থাকলে বাড়ির পরিবেশ সুস্থ থাকে। রোগের দাপট কমাতে পারে পিস লিলি। 

    আরেকা পাম সুস্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী 

    যে কোনও পাম জাতীয় গাছ বাতাসের দূষিত কণা দ্রুত টেনে নেয়। তবে ইন্ডোর প্ল্যান্ট (Indoor Plants) হিসেবে সব চেয়ে জনপ্রিয় আরেকা পাম। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই গাছের রক্ষণাবেক্ষণ সহজ। এই গাছ সহজেই বাড়ির বাতাস বিশুদ্ধ করে। বাতাসের দূষিত কণা টেনে নেওয়ার পাশপাশি বাড়ির পরিবেশকেও স্বাস্থ‌্যকর করে তোলে এই গাছ। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুভয় রুখে দেবে তিন পদক্ষেপ! কী করলে কমবে প্রাণ-সংশয়? 

    Heart Attack: হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুভয় রুখে দেবে তিন পদক্ষেপ! কী করলে কমবে প্রাণ-সংশয়? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগের সমস্যা। তরুণ প্রজন্মের একাংশ ভুগছে নানান‌ হৃদ সমস্যায়। খুব কম বয়স থেকেই কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ আর ডায়াবেটিসের কবলে পড়ছেন অনেকেই। আর এর জেরেই বাড়ছে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি। তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগ মানেই মৃত্যুভয় নয়! বরং সচেতনতা থাকলেই কমবে প্রাণ-সংশয়। তাই বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে অযথা উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। বরং চটজলদি সচেতন ভাবে কিছু পদক্ষেপ নিলেই বড় বিপদ এড়ানো যাবে। তাহলে জেনে নিন, কোন তিন পদক্ষেপ কমাবে মৃত্যুর আশঙ্কা?

    গোল্ডেন আওয়ারে হাসপাতালে নিয়ে যেতেই হবে (Heart Attack)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হয় না। হার্ট অ্যাটাকের পরের ৪৫ মিনিট সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এই সময়কেই বলা হয় গোল্ডেন আওয়ার। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই রোগী এই গোল্ডেন আওয়ারের পরে হাসপাতালে পৌঁছন। চিকিৎসা শুরু হয় অনেকটাই দেরিতে। এর জেরে সমস্যা আরও জটিল হয়। প্রাণ-সংশয়ের আশঙ্কা বাড়ে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, সচেতনতা না বাড়লে এই সমস্যা কমবে না। হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঘটনাও বাড়বে। পরিবারের কেউ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস কিংবা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগলে তার নির্দিষ্ট সময় অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শ মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো দরকার। এর পরেও হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে রোগীর খুব ঘাম হওয়া, জ্ঞান হারানো কিংবা বুকে যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দিলে একেবারেই দেরি করা চলবে না। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। হাসপাতালে সময় মতো নিয়ে যেতে পারলে, মৃত্যু ঝুঁকি কমবে।

    আক্রান্তকে জাগিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে (Heart Attack) 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাক হলে অনেকেই জ্ঞান হারান। আর এই উপসর্গ যথেষ্ট উদ্বেগজনক। পরিবারের সদস্যদের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আক্রান্তকে সজাগ রাখার চেষ্টা করতে হবে। হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে, যেন রোগী জ্ঞান না হারান, সে দিকে নজর দিতে হবে (Heart Attack)। এতে মস্তিষ্কে প্রভাব পড়ার ঝুঁকি কমে। মস্তিষ্ক ও স্নায়ু সক্রিয় থাকে। ফলে, শারীরিক পরিস্থিতি সহজে অবনতি হয় না। পাশপাশি তার শ্বাস নেওয়ায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কেউ বুকের যন্ত্রণা অনুভব করলে কিংবা শারীরিক অস্বস্তি হলে, ভিড় এলাকা থেকে সরিয়ে আনতে হবে। আশপাশের পরিবেশ যাতে শান্ত থাকে, সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে। অকারণ উত্তেজনা তৈরি হলে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে।

    চেস্ট কম্প্রেসন সম্পর্কে সচেতন হলেই ঝুঁকি কমবে (Heart Attack)

    হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর চেস্ট কম্প্রেসন দিতে পারলে তা খুবই উপকারী। এমনটাই জানাচ্ছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই নিয়ে একাধিক কর্মশালা হয়। তাই পরিবারের কেউ হৃদ সমস্যায় আক্রান্ত থাকলে, সদস্যদের এই বিষয়ে সচেতন থাকা দরকার। মিনিটে ১০০ বার হালকা চেস্ট কম্প্রেসন করলে হৃদ রোগে আক্রান্তের প্রাণের ঝুঁকি অনেক কমে। রক্ত সঞ্চালন কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতাও ফিরিয়ে আনার প্রাথমিক চেষ্টা হয়। তাই হাসপাতালে আনার পথে এই চেস্ট কম্প্রেসন দিতে পারলে রোগীর ঝুঁকি অনেকটাই কমবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 

    তবে, হার্ট অ্যাটাক রুখতে সচেতনতা ও সতর্কতা আরও বাড়ানো দরকার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপন স্বাস্থ্যকর করলে, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে বড় বিপদ এড়নো সম্ভব (Heart Attack)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Tomato: স্যালাড কিংবা তরকারিতে নিয়মিত একটা টম্যাটো খেলে কমবে পাঁচ রোগের ঝুঁকি! 

    Tomato: স্যালাড কিংবা তরকারিতে নিয়মিত একটা টম্যাটো খেলে কমবে পাঁচ রোগের ঝুঁকি! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্যালাড হিসেবে, কিংবা স্যান্ডুইচে কয়েক টুকরো টম্যাটো (Tomato) ব্যবহার করা হয়। অথবা, যে কোনও নিরামিষ কিংবা আমিষ তরকারিতেও দেওয়া হয় টম্যাটো। আর নিয়মিত টম্যাটো খেলে উপকার অনেক! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত অন্তত একটি টম্যাটো খেলে কমবে একাধিক রোগের ঝুঁকি। তাই ভারী খাবারের সঙ্গে স্যালাড হিসেবে কিংবা যে কোনও তরকারিতে টম্যাটো ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। জেনে নিন, কোন কোন রোগের ঝুঁকি কমায় টম্যাটো?

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় (Tomato)

    হৃদ সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগের একাধিক লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। এমনকি দেশ জুড়ে বেড়েছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। টম্যাটো হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, টম্যাটোতে রয়েছে একাধিক ভিটামিন এবং টম্যাটোয় শর্করার পরিমাণ কম থাকে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত টম্যাটো খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে।

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়

    টম্যাটো রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, টম্যাটোতে (Tomato) থাকে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে‌ তোলে। তাই নিয়মিত টম্যাটো খেলে নানা ধরনের ভাইরাস ঘটিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হয়। দেহে প্রতিরোধ শক্তি বেড়ে যায়।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের বিশেষ সাহায্য করে (Tomato)

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য টম্যাটো বিশেষ উপকারী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে টম্যাটো খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাই ডায়াবেটিস রুখতে নিয়মিত টম্যাটো খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

    টম্যাটো অন্ত্রের জন্য ভালো। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত টম্যাটো (Tomato) খেলে অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিকমতো হয়। এর জেরে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর হয়। 

    তবে, শিশু ও বয়স্কদের টম্যাটো খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্ক থাকা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, টম্যাটো অনেক সময় হজম করতে সময় লাগে। বিশেষত হজমের সমস্যা থাকলে টম্যাটো নিয়মিত খাওয়া উচিত নয়। তাতে নানান সমস্যা বাড়তে পারে। তাই শিশু ও বয়স্করা নিয়মিত টম্যাটো হজম করতে পারছে কিনা, সেদিকে নজর রেখেই মেনুতে টম্যাটো (Tomato) রাখা যাবে কিনা,তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Honey: নিয়মিত মধু খান? জানেন, শরীরে কী প্রভাব পড়ছে? শিশুদের বিপদ বাড়াচ্ছে না তো? 

    Honey: নিয়মিত মধু খান? জানেন, শরীরে কী প্রভাব পড়ছে? শিশুদের বিপদ বাড়াচ্ছে না তো? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে গরম জলে মিশিয়ে, কিংবা‌‌ জলখাবারে এক চামচ, অথবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে অনেকেই নিয়মিত মধু (Honey) খান। দিনের যে কোনও সময় এক চামচ মধু নিয়মিত খেলে একাধিক উপকার পাওয়া যায় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিশেষত বাড়ির ছোটদের নিয়মিত মধু খাওয়ালে দীর্ঘ জীবনে নানা উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশের সতর্কবার্তা, এক বছরের কম বয়সি শিশুদের একেবারেই মধু খাওয়ানো উচিত নয়। মধুর কিছু উপাদান সদ্যোজাতদের শরীরে সহ্য হয় না। এর জেরে পেটে নানান সংক্রমণ শুরু হয়।  আবার মধু মিষ্টিজাতীয় খাবার, তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা নিয়মিত মধু খেলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে‌। তবে ডায়াবেটিসের সমস্যা না থাকলে কিংবা বয়স এক বছরের বেশি হলে নিয়মিত মধু খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী।

    নিয়মিত মধু খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে? (Honey)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত মধু খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। পাশপাশি যে কোনও সংক্রামক রোগের ঝুঁকিও কমে। কারণ, মধুতে একাধিক প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে‌, যার পুষ্টিগুণ অপরিসীম। পাশপাশি মধুতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি ভাইরাল বৈশিষ্ট্য। এই কারণে ঋতু পরিবর্তনের সময়ে নিয়মিত মধু খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যায়। শরীরে ভাইরাস ঘটিত রোগের প্রকোপ কমে। গলাব্যথা, কাশি কিংবা আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশনের মতো রোগের ঝুঁকিও কমায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত মধু খান, তাঁদের ভাইরাস ঘটিত রোগের প্রকোপ কমে।

    মধু হৃদপিণ্ডের জন্য খুবই উপকারী

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মধু (Honey) নিয়মিত খেলে রক্তে পলিফোনিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাড়ে। এর জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। তাছাড়া, মধু কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়মিত দারুচিনি গুঁড়ো মধু দিয়ে খেলে ১০ শতাংশ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি, বিশেষত হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে। মধু ডায়রিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থুলতা কমাতে মধু বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, মধুতে রয়েছে একাধিক প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান। এর জেরে মধু নিয়মিত গরম জলে খেলে দেহের অতিরিক্ত মেদ সহজেই কমে যায়।

    মধু হজম শক্তি বাড়ায় (Honey)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মধু নিয়মিত খেলে অন্ত্র ভালো থাকে। তাই মধু হজমশক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাছাড়া, মধু ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মধু দেহের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে‌। মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। তাই মধু নিয়মিত খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। ত্বকের শুষ্কভাব কমে যায়। তাই যাঁরা নিয়মিত মধু খান, তাঁদের ত্বকের সমস্যা কম থাকে (Honey)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Benefits of Eating Eggs: শরীরের পক্ষে ডিম কতটা স্বাস্থ্যকর? জেনে নিন এর কিছু উপকারিতা

    Benefits of Eating Eggs: শরীরের পক্ষে ডিম কতটা স্বাস্থ্যকর? জেনে নিন এর কিছু উপকারিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ মানের প্রোটিন, প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে পূর্ণ, বিশ্বের সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে বেশি পুষ্টিতে ঠাসা ব্রেকফাস্টগুলির মধ্যে একটি হল ডিম। ডিম হল একেবারে যাকে বলে মুঠোতে ভরা পুষ্টি এবং স্বল্প মূল্যের প্রাণীজ উৎস প্রোটিনগুলির মধ্যে একটি। ফলে ডিমকে স্বাস্থ্যকর একটি খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যাকে বলা হয় সুপার ফুড (National Egg Day)। 

    অনেকে কোলেস্টেরলের ভয়ে ডিম খান না। কিন্তু এটি ঠিক নয়। কারণ, একটি ডিমে ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে, যা খুব বেশি নয়। একটি সিদ্ধ ডিমে রয়েছে ৭৮ ক্যালরি, ৬.৩ গ্রাম প্রোটিন, ৫.৩৪ গ্রাম ফ্যাট ও সামান্য কার্বোহাইড্রেট। এ ছাড়া রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, আয়োডিন, সেলেনিয়াম, ফসফোরিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন ডি, জিংক, ফোলেট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কোলিন, লুটেইন ও জেক্সানথিন। প্রতি বছর ৩ জুন জাতীয় ডিম দিবস (National Egg Day) হিসেবে পালিত হয়। সাশ্রয়ী মূল্যের পুষ্টিকর খাবার সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই দিনটি উদযাপিত হয়। আসুন আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক।

    ডিম খাওয়ার কিছু উপকারিতা- (Benefits of Eating Eggs) 

    শরীরের ভেতরের অনেক সমস্যার নিমেষে সমাধান করে ডিম। যদিও ডিম খাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, সকালের দিকে ডিম খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। 

    শরীরে প্রোটিনের জোগান 
    ডিমে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন। আর এই প্রোটিনে রয়েছে হাইড্রোলাইসেট নামক উপাদান, যা মস্তিষ্কের যত্ন নেয়। মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষ সচল রাখে এই রাসায়নিক উপাদান, যা মনোযোগ বাড়ায়, সৃজনশীল হয়ে উঠতে সাহায্য করে, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, উদ্বেগ কমায়। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ডিম দারুণ কার্যকর বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। 

    ভরপুর পুষ্টিগুণ
    ডিমে রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুণ। ডিমের পুষ্টি উপাদানের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে, যা শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। 

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
    ডিমে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, যেমন ভিটামিন এ, ডি, বি১২ এবং আয়রন। এই পুষ্টিগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা আমাদের ছোট এবং বড় অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

    চোখের যত্ন
    ডিমে রয়েছে লুটেইন এবং জেক্সানথিনের মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চোখকে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার অবক্ষয় প্রতিরোধেও সাহায্য (Benefits of Eating Eggs) করতে পারে। 

    শরীরে জলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
    অনেকেরই একটা ভুল ধারণা আছে যে ডিম শরীরে তাপ তৈরি করে। তা কিন্তু একেবারেই না। বরং এটি সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের একটি ভালো উৎস, যা শরীরে জলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 

    আরও পড়ুন: “মোদির ওপরই ভরসা রেখেছেন অরুণাচলবাসী”, বিপুল জয়ের পর বলছেন খাণ্ডু

    হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি হ্রাস
    হার্টের রোগে আক্রান্ত হলে বেশি ডিম খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। তবে আগে থেকেই যদি ডিম খাওয়া যায়, তা হলে আর হার্টের সমস্যা দেখা দেয় না। সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, সপ্তাহে ৪-৭টি ডিম খেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে ৭৫ শতাংশ। 

    কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি
    সাম্প্রতিককালে ডায়াবিটিসি, উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি কোলেস্টেরলের সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। তবে রোজ যদি ডিম খেতে পারেন, তাহলে ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএলের মাত্রা বাড়ে। ফলে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমে।

    ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা
    শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনের অভাবে ওজন বাড়তে থাকে। তাই ডায়েটে প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। আর ডিম হল সেই প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। প্রোটিনের গুণে ওজন ঝরে (Benefits of Eating Eggs) দ্রুত। তাই ডায়েট করলেও ডিম খাওয়া বন্ধ করা যাবে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tobacco: তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফুসফুসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে! এর অন্যতম কারণ কী জানেন?

    Tobacco: তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফুসফুসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে! এর অন্যতম কারণ কী জানেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সিগারেট, বিড়ির মাধ্যমে কিংবা পান, গুটখার মাধ্যমে। তামাক বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি। একাধিক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তামাক (Tobacco) সেবনের প্রবণতা বাড়ছে। পুরুষদের পাশপাশি মহিলাদের মধ্যেও এই প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যেও তামাক সেবনের প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষত ধূমপানে আসক্তি বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবসে চিকিৎসকদের একাংশ জানালেন, তামাক সেবন না করলে কমবে একাধিক রোগের ঝুঁকি। তাঁরা জানাচ্ছেন, তামাক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। সুস্থ জীবনযাপনের প্রথম শর্ত তামাকে আসক্ত না হওয়া। দেখে নিন, কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ায় তামাক?

    ১. ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় তামাক (Tobacco)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের তামাক শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, সিগারেট, বিড়ির মতো তামাকজাত দ্রব্য নিয়মিত ধূমপান করলে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। আবার পান, গুটখায় ব্যবহৃত তামাক মুখ ও গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, আলকাতরা সহ একাধিক উপাদান তামাকজাত দ্রব্যে থাকে, যার প্রভাব স্বাস্থ্যের উপরে ভয়ঙ্কর পরে। তাই তামাক ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।

    ২. তামাক বাড়ায় ফুসফুসের অসুখ

    ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) থেকে অ্যাজমা, ফুসফুসের একাধিক রোগের কারণ তামাক। অতিরিক্ত ধূমপান ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।‌ ফুসফুসে বায়ু যাতায়াতের এক ধরনের জাল থাকে, তা নষ্ট করে দেয় তামাক। এর জেরে ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে। এর জেরেই সিওপিডি, অ্যাজমার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফুসফুসের সংক্রমণ বাড়ার অন্যতম কারণ ধূমপানের অভ্যাস। তামাক ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে (Tobacco)।

    ৩. তামাক বাড়ায় স্ট্রোকের ঝুঁকি

    নিয়মিত তামাকজাত দ্রব্য সেবন করলে রক্ত ও স্নায়ুর উপরে চাপ পড়ে। রক্ত ও স্নায়ুর চাপ বাড়লে, মস্তিষ্কের উপরে প্রভাব পড়ে। তার জেরেই হয় স্ট্রোক। তাই তামাকজাত দ্রব্য সেবন করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    ৪. হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় তামাক (Tobacco)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগ বিশেষত হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় তামাক। তামাকজাত দ্রব্য শরীরে এক ধরনের উত্তেজনা তৈরি করে। এর সরাসরি প্রভাব হৃদপিণ্ডের উপরে পড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তামাক সেবন করলে রক্ত সঞ্চালনে বাধা পড়ে। ফলে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা ঠিক মতো হয় না‌। এর জেরে একাধিক হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষত হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।

    ৫. মানসিক অস্থিরতা তৈরি করে তামাক

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তামাকের রয়েছে নিকোটিন। তাই যে কোনও তামাকজাত দ্রব্য নিয়মিত সেবন করলে স্নায়ু ও হরমোন তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তামাকজাত দ্রব্যের জেরে এক ধরনের আসক্তি তৈরি হয়। এই নিকোটিনের জেরেই মানসিক স্বাস্থ্যে বিঘ্ন ঘটে। মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয় (Tobacco)। তাই তামাক শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ও খুবই ভয়ঙ্কর।

    ৬. বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ তামাক

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তামাকজাত দ্রব্য বাড়ায় বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি। তাঁরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বাড়ার অন্যতম কারণ তামাক সেবন। তামাক জরায়ু এবং ওভারির বিশেষ ক্ষতি করে। তবে শুধু মহিলাদের নয়, তামাক পুরুষদের মধ্যেও বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।

    ৭. ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ায় তামাক (Tobacco)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্তের ঝুঁকিও বাড়ায় তামাক। এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তামাক সেবনকারীরা ইনফ্লুয়েঞ্জায় বেশি আক্রান্ত হন। ভোগান্তিও বেশি হয়। বিশেষত প্রবীণ নাগরিকদের এই সমস্যা বেশি হয়।

    ৮. ডায়বেটিস রোগীদের বিপদ বাড়ায় তামাক সেবনের অভ্যাস

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী ধূমপানে অভ্যস্ত হলে কিংবা তামাক সেবন করলে আরও বিপদ বাড়ে। ডায়বেটিস আক্রান্তদের হৃদরোগ ও কিডনির রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বেশি থাকে। তার সঙ্গে ধূমপানের অভ্যাস সেই ঝুঁকি আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম থাকে। ধূমপান করলে নানান রোগের ঝুঁকি বিশেষত সংক্রমণ রোগের ঝুঁকি বাড়ে। কারণ এই অভ্যাস ফুসফুস ও শ্বাসনালীকে দূর্বল করে দেয়। তাই ডায়বেটিস আক্রান্তদের ধূমপানের অভ্যাস বাড়তি বিপদ তৈরি করে (Tobacco)। 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রতি বছর ৫০ লাখের বেশি মানুষ তামাক সেবনের জন্য মারা যাচ্ছে। সময়ের আগেই মৃত্যুর কারণের তালিকায় তামাক সেবনের জেরে মৃত্যু সবচেয়ে বেশি হয়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, তামাকমুক্ত জীবন জরুরি। তবেই সুস্থ দীর্ঘ জীবনযাপন সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share